উত্তর : যেভাবে সম্ভব হবে সেভাবে আঙ্গুলে গণনার মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ করবে। কারণ হাদীছে আঙ্গুলে গণনার মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ করতে বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, অবশ্যই তোমরা তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহলীল (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ) ও তাক্বদীস (সুববুহুন কু
উত্তর : ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)সহ সালাফী বিদ্বানগণের বক্তব্য হ’ল, বিশুদ্ধ ক্বিয়াস বা যুক্তি কখনো অহি তথা কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী হবে না। অনুরূপভাবে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ কখনো বিশুদ্ধ ক্বিয়াস বিরোধী হবে না। ক্বিয়াস বা যুক্তি যদি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী হয়
উত্তর : মা তার সন্তানকে দুই বছরের পরেও দুধ পান করাতে পারে। আল্লাহ বলেন, জন্মদাত্রী মাতাগণ তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধ পানের মেয়াদ পূর্ণ করতে চায় (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। অর্থাৎ পূর্ণ দুই বছর শিশুর শরীর গঠনে মায়ের দুধ
উত্তর : পূরণ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। বিদ্বানগণ বলেন, মানতের মধ্যে বিবেচ্য বিষয় হ’ল নিয়ত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/৮৬)।প্রশ্নকারী : মাসঊদ, কুমিল্লা।
উত্তর: জানাযার ছালাত ফরযে কিফায়া। আর ফরযে কিফায়া সুন্নাতের উপর অগ্রগামী। সুতরাং ফরয ছালাতের পরেই জানাযা শুরু হ’লে তাতে অংশগ্রহণ করবে এবং সুন্নাত ছালাত পরে আদায় করে নিবে। আর সুন্নাতের পর শুরু হ’লে সুন্নাত পড়েই অংশগ্রহণ করবে। তবে সুন্নাতের পূর্বেই
উত্তর : কোন পুরুষের দৃষ্টিতে পড়া নারীর জন্য ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। এতে ওযূ ভঙ্গ হবে না (ফাতাওয়া আশ-শাবকাতুল ইসলামিয়া ১১/১৫১১)। তবে সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা।
উত্তর : জুম‘আ যেমন সমষ্টিগত একটি ইবাদত, তেমনি এটা ইসলামের একটি বড় নিদর্শন। সুতরাং যত্রতত্র জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। বরং মসজিদে গিয়ে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। সম্ভব না হ’লে যোহরের ছালাত আদায় করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/১৭৮)। তবে অত্র এলাকায়
উত্তর : এরূপ কথা বলা পাপ এবং মহাঅন্যায়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা নারীকে মা, কন্যা, বোন, স্ত্রী, খালা, নানী-দাদী ইত্যাদি পরিচয়ে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন। তারা মানবজাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক। এজন্য যে, আল্লা
উত্তর : উক্ত মেশিনে কাপড় ওয়াশ করাতে দোষ নেই। কারণ এতে বিভিন্ন প্রকারের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়, যাতে কুকুরে লালা বা অপরিষ্কার জিনিস ধুয়ে যায়। তাছাড়া কুকুর কোন খাবারের পাত্রে মুখ দিলে বিশেষভাবে ধোয়ার কথা বলা হয়েছে, অন্যক্ষেত্রে নয়। যেমন কোন প্র
উত্তর : স্ত্রীর কর্তব্য হচেছ স্বামীকে খুশী করার জন্য শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে অবস্থান করা এবং সাধ্যমত সেবা করা। আর স্বামীর দায়িত্ব হ’ল পিতা-মাতার সেবা করা। এক্ষণে স্ত্রী কোনভাবেই শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে অবস্থান করতে না চাইলে স্ত্রীর জন্য আলাদা থাকার ব্যব
উত্তর : বিবাহের পরিকল্পনা নিয়ে কোন গায়ের মাহরাম পুরুষের সাথে বিশেষ সম্পর্ক রাখা হারাম। বরং বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্রী দেখা বা জানাশোনা করে বিবাহের সিদ্ধান্ত নিবে। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন নারীকে বিবাহের প্রস্
উত্তর : মূল্য নির্ধারণ না করে এরূপ লেনদেন বৈধ হবে না। কেননা তা ‘গারার’ বা প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত হবে, যা থেকে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/১৫১৩; মিশকাত হা/২৮৫৪)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বুড়িচং, কুমিল্লা।
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে পাত্র ও পাত্রী উভয়ের দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর সবকিছুই নির্ভর করবে পাত্র-পাত্রীর ব্যক্তিগত পসন্দের উপর। যদিও দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে দ্বীনদারীর পাশাপাশি অর্থ ও বংশ মর্যাদা দ
উত্তর : ইবাদত কিংবা বরকত মনে করে কবরের উপরে গাছ লাগানো বিদ‘আত। কারণ রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম কোন কবরের উপর বৃক্ষ রোপণ করেননি। তবে কবরস্থানের ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষ থাকলে বা মুছল্লীদের ছায়ার জন্য বৃক্ষ রোপণ করলে তাতে দোষ নেই। তাছাড়া কবরস্থানের ব
উত্তর : সূর্যোদয়ের পর ইশরাক্বের ছালাতান্তে জুম‘আর দিনের উত্তম সময় শুরু হয়। কোন ব্যক্তি বা দল এ সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে সে বা তারা উঁট কুরবানী করার ছওয়াব পাবে। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পর থেকে খুৎবা পর্যন্ত সময়ের পাঁচটি স্তর থাকবে। প্রথম স্তর শুরু হবে স
উত্তর : মসজিদের অন্তর্গত গ্রাউন্ড ফ্লোরে ইমামের অবস্থান থেকে নীচে বা উপরে, ডানে বা বামে পর্দার সাথে নারীরা ছালাত আদায় করতে পারে। এতে কোন বাধা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ইমামের সামনে কাতার চলে না যায় (মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/২৯৩; ওছায়মীন, মাজ
উত্তর : ইস্তেহাযা অবস্থায় স্বামীর সাথে মিলিত হওয়া যাবে। কারণ এটা ঋতু বা নেফাস নয়, যে অবস্থায় স্ত্রী মিলন নিষেধ করা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২২২; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৩৭২; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/২৪৬)। ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর
উত্তর : ঋতু অবস্থায় মুখস্থ বা কুরআন স্পর্শ না করে দেখে দেখে তেলাওয়াত করা জায়েয। এমনকি ঋতুবর্তী মহিলা হাত মোযা পরে কুরআন স্পর্শ করেও তেলাওয়াত করতে পারবে। কারণ এটা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/২৩৮, ২১/৪৬০; ওছায়মীন
উত্তর : সর্বাবস্থায় কাতারের সাথে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করবে। কারণ জামা‘আতের জন্য শর্ত হচ্ছে কাতারের সাথে কাতার মিলে থাকা এবং ইমামের আওয়াজ শুনতে পাওয়া। এক্ষণে বাধ্যগত অবস্থায় মসজিদের বারান্দায় একাধিক মুছল্লী ছালাত আদায় করলে জামা‘আতে ছালাত হয়ে যাবে ই
উত্তর : নির্দিষ্ট কয়েক ওয়াক্ত ছালাত ছুটে গেলে ধারাবাহিক ভাবে ক্বাযা আদায় করে নিবে। তবে অগণিত ওয়াক্ত ছালাত ছুটে গিয়ে থাকলে অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে খালেছ তওবা করবে এবং পরবর্তীতে আর কোন ওয়াক্ত ছালাত যাতে ক্বাযা না হয়, সে বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে। কিন্তু উক্ত পাথরে বরকত আছে মনে করাটা শিরক হয়েছে। যেমন ওমর (রাঃ) হাজারে আসওয়াদকে চুমু দেওয়ার সময় বলেছিলেন, আল্লাহর কসম! আমি জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র। কোন উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা তোমার নেই। তবে যদি
উত্তর : উক্ত পেনশনের টাকা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার জন্য ভোগ করা জায়েয হবে না। কারণ উক্ত টাকার মূল ভিত্তি সূদী ব্যাংকের সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে উক্ত টাকা তুলে জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন কালভার্ট বা রাস্তা নির্মাণ, ইয়াতীম খানা পরিচালনা, কূপ খননসহ যেকোন জনহি
উত্তর : যাবে। কেননা শ্রোতার অবস্থা বুঝে বক্তা খুৎবা দিবেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বক্তব্যের সময় কখনো এত বেশী রেগে যেতেন যে, তার মুখমন্ডল লাল হয়ে যেত (মুসলিম হা/৮৬৭; মিশকাত হা/১৪০৭)। আবার কখনো এত কোমল ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় বক্তব্য দিতেন যে ছাহা
উত্তর : জায়েয হবে না। কারণ এতে অন্যায় কাজে সাহায্য করা হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তি দানকারী’ (মায়েদাহ ৫/২)।প্রশ্
উত্তর : রাতের নফল ছালাত দুই দুই রাক‘আত করে পড়তে হবে। এ ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই। তবে দিনের ছালাতের ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। কিছু বিদ্বান মনে করেন, দিনের নফল ছালাতও দুই দুই রাক‘আত করে পড়তে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, রাতের ও দিনের (নফল) ছালা
উত্তর : স্ত্রী ১/৮ অংশ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে। কন্যা অর্ধাংশ পাবে যখন এক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে। সহোদর ভাইয়ের পুত্র আছাবা বা একমাত্র অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে অবশিষ্ট সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে (নিসা ৪/১১)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : অধিকাংশ মুহাদ্দিছের মতে ছায়া দ্বারা উদ্দেশ্য আরশের ছায়া। কারণ হাদীছে স্পষ্ট ‘তার আরশের ছায়াতলের’ কথা উল্লেখ আছে (আলবানী, ইরওয়া হা/৮৮৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অর্থাৎ সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের ছায়াতলে অবস্থান করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়ে
উত্তর : জায়েয হবে। কিন্তু তাকে পরিবর্তনের সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার আশংকা কর, তাহ’লে তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং (প্রয়োজনে) প্রহার কর’ (নিসা ৪/৩৪)। এতেও সমাধান না হ’লে সর্বশেষ পদক্
উত্তর : প্রতিষ্ঠানে এরূপ নিয়ম থাকলে তা মেনে নিয়ে বিলম্ব ফী দিতে হবে। আর এটি করা হয় যাতে সবাই সময়মত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে তার তাকীদ হিসাবে। যেকোন বৈধ প্রতিষ্ঠানে দেরীর জন্য এরূপ জরিমানার বিধান করার স্বাধীনতা রয়েছে। এটি শরী‘আতের হালাল-হারাম বিধান
উত্তর : দুই থেকে আড়াই বছর ব্যবধান রাখা ভালো। কারণ আল্লাহ তা‘আলা একজন শিশুকে দুই থেকে আড়াই বছর দুধ পান করানোর নির্দেশনা দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। আর বিরতির সময় আযল বা অস্থায়ী যেকোন পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়। তবে নারী বা পুরুষের জন্য স্থায়ী বন্ধ্
উত্তর : হবে। কেননা একজনের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দা
উত্তর : এক বছর যাবত মিলন না হ’লেও তালাকের পর তিন মাস (তিন তোহর) এবং খোলা‘র পর স্ত্রীকে এক হায়েয ইদ্দত পালন করতে হবে। কারণ ইদ্দত শুরু হয় তালাক প্রদানের পর। আল্লাহ বলেন, আর (সহবাসকৃত) তালাক প্রাপ্তাগণ তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বাক্বারাহ ২
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। কিন্তু সনদগতভাবে বিশুদ্ধ নয়। ঘটনা এই যে, জনৈক ইরাশী (الْإِرَاشِيُّ) ব্যক্তি মক্কায় উট নিয়ে আসেন। আবু জাহল তার নিকট থেকে একটি উট খরীদ করেন। কিন্তু তার মূল্য পরিশোধে টাল-বাহানা করেন। তখন উক্ত ব্যক্তি কুরায়েশদে
উত্তর : স্ত্রীকে বাড়ির কাজে সহায়তা করা বা বাড়ির প্রয়োজনীয় কাজ নিজে করা রাসূলুল্লাহর অন্যতম আদর্শ বা অভ্যাসগত সুন্নাত। এটি সুন্নাত ছালাতের মত ইবাদতগত সুন্নাত নয়, যে না করলে গোনাহগার হ’তে হবে বা নেকীর কমতি হবে। আসওয়াদ বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্
উত্তর : বূলাস (بُولَسَ) নামে কোন নবী ছিলেন না। বরং বূলাস ছিলেন একজন ইহূদী। পরে খৃষ্টান হয়ে যান এবং ঈসা (আঃ)-এর পরে খৃষ্টধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। ফলে অনেকে তাকে নবী মনে করত। কিন্তু ঈসা (আঃ) ও মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়ে কোন নবী-রাসূল আস
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ঔষধ পরিহার করা এবং নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া আত্মহত্যার শামিল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল’ (নিসা ৪/২৯)। তিনি বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং নিজেদেরকে ধ্বংস
উত্তর : যথাযথ খাদ্য ও পানীয় দেওয়ার শর্তে বাড়িতে খাঁচার ভিতরে পাখি পালন করা জায়েয (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৯/৩৮১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৫১১)। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) সর্বাধিক সদাচারী ছিলেন। আমার একটা ভাই ছিল; তাকে আবূ উমায়ের বলে ডাকা
উত্তর : অবশ্যই আছে। যেমন (১) লায়লাতুল ক্বদরের রাত্রি। আল্লাহ বলেন, ক্বদরের রাত্রি হাযার মাস অপেক্ষা উত্তম’ (ক্বদর ৯৭/০৩)। অর্থাৎ হাযার মাস ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। এতদ্ব্যতীত তাহাজ্জুদের ফযীলত বিষয়ক হাদীছ দ্রষ্টব্য (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১
উত্তর : একটি হাদীছে বিনয় ও নম্রতার কথা বলা হয়েছে যা অন্তরের ইলমের সাথে সম্পর্কিত (ত্বাবারাণী কাবীর ৭/৩৫৪, শাদ্দাদ বিন আউস কর্তৃক বর্ণিত হাদীছ মওকূফ) এবং অপর হাদীছে আমানতের কথা বলা হয়েছে যা আমল ও আখলাকের সাথে সম্পর্কিত (মুছান্নাফ ই
উত্তর : প্যাথলজি টেস্টের রক্তের বা পেশাবের শিশি পকেটে নিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে, যদি তা বের না হয় এবং পোষাককে অপবিত্র না করে। কেননা মুমিন কখনও নাপাক হয়না (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৫১)।প্রশ্নকারী : আসাদুয্যামান, সিরাজগঞ্জ।
উত্তর : মেয়েদের থেকে জমিসহ বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে তা চিকিৎসায় ব্যয় করা যাবে। কারণ অন্য মানুষকে দান করার পর তা ফিরিয়ে নেওয়া হারাম হলেও সন্তানকে দান করা সম্পদ পিতা-মাতা ফিরিয়ে নিতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কারো জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে কাউকে দান করে তা ফ
উত্তর : পিতা-মাতাকে বুঝিয়ে বিবাহ করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি (ছহীহুত তারগীব হা/২৫০৩)। এক্ষণে পিতা ছেলের বিবাহে রাযী না হ’লে ছেলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে নিজেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারে। কারণ
উত্তর : গোপনে বিবাহ করা যাবে না। বরং বিষয়টি অভিভাবকদের যথাযথভাবে জানাবে ও বুঝাবে। এমতাবস্থায় অভিভাবকদের কর্তব্য হচ্ছে দ্রুত বৈধভাবে বিবাহের ব্যবস্থা করা। কারণ যে বিবাহ অধিক সহজ হয় সে বিবাহে বরকত বেশী হয় (আহমাদ হা/২৪৫২২, ২৪৬৫১; ইরওয়া হা/১৯২৮
উত্তর : এভাবে লিখিত নির্দেশনা প্রদান করা সঠিক নয়। কেননা ওয়াক্ত হয়ে গেলে বিশেষ প্রয়োজনে মসজিদের মূল জামা‘আতের পূর্বে ছালাত আদায় করায় বাধা নেই। যেমন ছালাতের সময় হয়ে যাওয়ার পরে রাসূল (ছাঃ)-এর অনুপস্থিতিতে আব্দুর রহমান বিন আওফ (রাঃ) জামা‘আতে ইমামতি
উত্তর : এগুলো সাধারণ খাদ্য। আর সাধারণ খাদ্য বিক্রয় করা দোষণীয় নয়। তবে শরীরের জন্য অতিরিক্ত ক্ষতিকর প্রমাণিত হ’লে উক্ত পণ্য বিক্রয় করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! আমরা তোমাদের যে রূযী দান করেছি, সেখান থেকে হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত সমূহ ভক্
উত্তর : ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাধ্যমত দৃষ্টিপাত এড়িয়ে কথা বলবে। আর দৃষ্টিপাত সম্পূর্ণ কামনামুক্ত রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে’ (নূর ২৪/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা হ’ল (বেগানা) নারীর
উত্তর : একটি বিষয়ের উপর দৃঢ় হ’তে হবে। যদি মনে হয় একটি সিজদা হয়েছে তাহ’লে তৎক্ষণাৎ আরেকটি সিজদা দিবে এবং শেষ বৈঠকে সহো সিজদা দিয়ে সালাম ফিরাবে। আর যদি মনে হয় দু’টি সিজদাই হয়েছে তাহ’লে তার উপর ভরসা রেখে ছালাত সম্পন্ন করবে। এমতাবস্থায় সহো সিজদা না
উত্তর : হারাম ও দুর্গন্ধযুক্ত বস্ত্ত দ্বারা হালাল প্রাণীর খাদ্য তৈরি করা সমীচীন নয়। তবে হালাল প্রাণীর বিষ্ঠা মৌলিক ভাবে নাপাক না হওয়ায় এগুলো দ্বারা বিশেষ প্রক্রিয়ায় অন্য প্রাণী বা মাছের খাদ্য বানানোতে দোষ নেই (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ; ও
উত্তর : উক্ত ব্যবসা হালাল। তবে উক্ত খেলনা গায়ের মাহরাম ছেলে-মেয়েদের জন্য অবৈধভাবে আনন্দের উপকরণ যেন না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পাপের কাজে সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং প
উত্তর : অন্যমনস্ক না হ’লে যিকর-আযকারে বাধা নেই। কেননা মুমিনের জিহবা সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকরে সিক্ত থাকবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ কর (আহযাব ৩৩/৪১)। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলামী বিধান তো আমার ক্
উত্তর : শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদীছটিকে মওকূফ হিসাবে হাসান বলেছেন। কারণ এ ব্যাপারে এক ডজনের অধিক ছাহাবী ও তাবেঈ থেকে বর্ণনা এসেছে (ইরওয়া হা/৫০০-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে এটি আলবানী (রহঃ)-এর ব্যক্তিগত গবেষণা। আর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বহু বিদ্বান
উত্তর : উক্ত চিন্তাধারা ভুল। কেননা নেশাদার দ্রব্য গ্রহণ করা হারাম এবং এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর (আ‘রাফ ৭/১৫৭)। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানবজাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত ভক্ষণ কর। আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়
উত্তর : মুখের যে অবাঞ্ছিত লোমের কারণে নারীকে অসুন্দর দেখায় তা তুলে ফেলাতে কোন দোষ নেই। কারণ এগুলোর ব্যাপারে ইসলাম কোন বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি। অবশ্য ভ্রূ কোনভাবেই তুলে ফেলা যাবে না। কারণ এ ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে (মুসলিম হা/২১২৫; ছহী
উত্তর : মসজিদের প্রাচীরে কোন কিছু লেখা সমীচীন নয়। বিশেষ করে সামনে দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত কোন কিছু লেখা বা টাঙানো মোটেও ঠিক নয়। কারণ এতে মুছল্লীর মনোযোগ বিনষ্ট হ’তে পারে, যা ছালাতের আদবের খেলাফ। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুছল্লী ছালাতের মধ্যে
উত্তর : উক্ত বিবাহ সঠিক নিয়মে হয়নি। কারণ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া নারীদের বিবাহ বৈধ নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অলী ব্যতীত বিবাহ নেই’ (তিরমিযী হা/১১০১ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩০)। তিনি বলেন ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে তাহ’লে তার ঐ বিবা
উত্তর : হালাল পন্থায় উপার্জন করেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কারণ হারাম পন্থায় উপার্জন করা আরেক বড় হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে মানবজাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত ভক্ষণ কর। আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্
উত্তর : এরূপ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে মূসা (আঃ) তার দলবল নিয়ে যখন নদী অতিক্রম করে চলে যান। তারা আর মিসরে ফিরে আসেননি। বরং ফিলিস্তীনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন এবং রাস্তায় মূর্তিপূজক সম্প্রদায়ের সাথে সাক্ষাৎ হয়। এরই মধ্যে আল্লাহ তা‘আলা চল্লিশ দিন
উত্তর : যাবে। যেকোন বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের জন্য উপকারী হালাল প্রাণী উৎপাদন করা জায়েয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীতে যা আছে সবকিছু’ (বাক্বারাহ ২/২৯)। অতএব বৈধ পন্থায় মানব কল্যাণে প্রাণী
উত্তর : যাবে। বিশেষ করে লাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলে মাইয়েতের কাফনে বা দেহে যে কোন সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার মৃত কন্যার গোসলকালীন যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাতে বলেছিলেন ‘তাকে তিনবার, পাঁচবার অথবা প্রয়োজনবোধে এর
উত্তর : সাধারণভাবে ইমাম যদি একাকী অল্প উঁচুতে দাঁড়িয়ে ইমামতি করেন বা ইমামের সাথে একাধিক মুছল্লী থাকে তাহ’লে ইমামের উঁচু স্থানে বা স্টেজে অবস্থান করে ইমামতি করা দোষণীয় নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা মিম্বারের উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে ছাহাবীগণের ছালাত
উত্তর : এ বক্তব্য ভিত্তিহীন। এ মর্মে যেসব বক্তব্য সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে, তা বিভ্রান্ত ছূফীদের কল্পিত বক্তব্য। কুরআন ও হাদীছে এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না।প্রশ্নকারী : সাঈদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ।
উত্তর : পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া জঘন্য পাপ। তবে এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভঙ্গের কারণ নয়। স্বামী বা স্ত্রী যে-ই এমন পাপে জড়িয়ে পড়ুক, তাকে অবশ্যই অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করে তা থেকে ফিরে আসতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন কোন অশ্লীলতার
উত্তর : ইত্তেহাদ বা ওয়াহদাতুল উজূদ বলতে অদ্বৈতবাদী দর্শন বুঝায়, যা ‘হুলূল’-এর পরবর্তী পরিণতি হিসাবে রূপ লাভ করে। এর অর্থ হ’ল আল্লাহর অস্তিত্বের মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়া। অস্তিত্ব জগতে যা কিছু আমরা দেখছি, সবকিছু একক এলাহী সত্তার বহিঃপ্রকাশ। এই আক্বী
উত্তর : ধৈর্য ধারণ করতে হবে, দো‘আ করা অব্যাহত রাখবে এবং দো‘আ কবূল না হওয়ার কারণগুলো বর্জন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কোন দো‘আ করলে তার দো‘আ কবুল হয়। হয়তোবা সে দুনিয়াতেই তার ফল পেয়ে যায় অথবা তা তার আখিরাতের জমা
উত্তর : এটি জায়েয হবে না। বরং ঘুষ হিসাবে গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রুযীর ব্যবস্থা করে থাকি’ (আবূদাঊদ হা/৩৫৮৮; মিশকত হা/৩৭৪৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬০২৩)। তবে নিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান
উত্তর : নির্ধারিত ইমামের পিছনে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করাই কর্তব্য (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/১৫৪)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যেন কোন ব্যক্তির নেতৃত্বস্থলে ইমামতি না করে এবং গৃহে তার বিশেষ আসনে তার বিনা অনুমতিতে না বসে&nb
উত্তর : প্রথমত : যেকোন মাধ্যমে লাশ স্থলভাগে নিয়ে যাবে এবং সেখানে দাফন করার চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে বরফ ব্যবহার করে লাশ অক্ষত রেখে স্থলভাগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে এবং কবরস্থ করার ব্যবস্থা করবে। দ্বিতীয়ত : যদি স্থলভাগে নিয়ে যাওয়
উত্তর : দাড়ি রাখা ওয়াজিব। কোন অবস্থাতে দাড়ি কাটা যাবে না। এক্ষণে কোন প্রতিষ্ঠান যদি দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ করে তাহ’লে ইসলামের বিধান অমান্য করে সে প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে না। ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) বলতেন, ‘দাড়ি মুন্ডন করা অঙ্গহানি করার শামিল। আ
উত্তর : সাধারণভাবে প্রকাশ্যে শাসকদের সমালোচনা করা ইসলামের নীতি নয় (বুখারী হা/৭০৫২, ৫৩)। কেননা এতে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশী হয়। তবে বর্তমান গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা অনুমোদিত। সেজন্য জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উক্ত খাবার গ্রহণে কোন বাধা নেই। তাছাড়া চরম ক্ষুধার্ত অবস্থায় এমন খাবার অনুমতি ছাড়া খাওয়াতেও দোষ নেই। তবে অতিরিক্ত খাদ্য বহন করে বাড়িতে বা বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে না (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আ
উত্তর : যেকোন বাঁশি বাজানো এবং শোনা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’টি বস্ত্ত দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। আনন্দের সময় বাঁশি বাজানো এবং বিপদের সময় বিলাপ করা (বাযযার, ছহীহুত তারগীব হা/৩৫২৭; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৪০১৭)। তিনি আরো বলেন, আমি দু’টি নির্ব
উত্তর : জমি বিক্রেতা ও মৃতের পরিবারের সাথে বসে এর সমাধান করতে হবে। কারণ জেনে-শুনে অন্যের সম্পদ ভক্ষণ করা হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের সম্পদ ভক্ষণ করো না এবং অন্যের সম্পদ গর্হিত পন্থায় গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তোমরা জেনে-শ
উত্তর : আবু লাহাব কর্তৃক তার দাসী ছুওয়াইবাকে মুক্ত করার বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। কারণ হিসাবে মৃত ছোট ভাই আব্দুল্লাহর পুত্র সন্তান হওয়ার আনন্দের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আবু লাহাবের কোন কর্মকান্ড শরী‘আতের দলীল নয় এবং সে মুসলমানও ছিল না।
উত্তর : উক্ত ঘটনা সত্য। শিশু অবস্থায় তিনি উক্ত কথাটি বলেছিলেন। হুসাইন বিন আলী (রাঃ) বলেন, আমি একদিন ওমরের কাছে আসলাম, যখন তিনি মিম্বারে খুৎবা দিচ্ছিলেন। আমি বললাম, আপনি আমার পিতার মিম্বার থেকে নেমে যান এবং আপনার পিতার মিম্বারে যান। তিনি বললেন, আ
উত্তর : এক শিশু আরেক শিশুকে মারলে বা কোন কিছু দ্বারা আঘাত করলে আহত শিশুর পিতা মেরে প্রতিশোধ নিতে পারবে না। বরং আঘাতকারী শিশুর অভিভাবকের মাধ্যমে তাকে শাসন করতে হবে বা আদব শিক্ষা দিতে হবে (ইবনু ফারহুন, তাবছিরাতুল হুক্কাম ২/২৪২,২৫৭; আল-মাওসূ‘আ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বামী-স্ত্রীকে এক সাথে গোসল করার নির্দেশ দিয়েছেন মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজ স্ত্রীর সাথে একই পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করেছেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি ও নবী করীম (ছাঃ) একই পাত্রের পানি নিয়ে
উত্তর : মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হয়ে যাওয়ার পর তওবা করলে কোন উপকারে আসবে না। তবে তার পূর্ব পর্যন্ত কোন ব্যক্তি তওবা করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন। যেমন তিনি বলেন, আল্লাহ তো কেবল তওবা কবুল করেন ঐসব ব্যক্তিদের, যারা মন্দ কর্ম করে অজ্ঞতাবশে। অতঃপর দ্
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে। এগুলোর সঠিক কোন ভিত্তি পাওয়া যায় না। তবে হিমছের গভর্ণর ওক্ববা বিন ফারক্বাদ তাঁর নিকটে সিলাল (سلال) নামক উন্নতমানের মিষ্টান্ন হাদিয়া পেশ করলে তিনি তাকে বলেন, হে ওক্ববা! সকল মুসলমান কি এরূপ
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়। যার কিছু জাল, কিছু যঈফ এবং মুরসাল (যঈফাহ হা/৪১২৯)। সুতরাং এটা আমলযোগ্য নয়। তবে সাধারণভাবে জুম‘আর ছালাতের পরে অন্যান্য ছালাতের ন্যায় একবার করে সূরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছপাঠ করতে পারে (তিরমিযী হা/
উত্তর : পাপাচারী ব্যক্তিরাও সুন্দর ও সত্য স্বপ্ন দেখতে পারে। যেমন ইউসুফ (আঃ)-এর দুই সাথীর সত্য স্বপ্ন এবং মিসরের বাদশার সত্য ও সতর্কতামূলক স্বপ্ন। তবে ফাসিক ব্যক্তির সুন্দর স্বপ্ন তার হেদায়াতের কারণ হ’তে পারে বা তার জন্য সতর্ক বার্তা হ’তে পারে।
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিম রাষ্ট্রের দর্শনীয় স্থানে ভ্রমনে যাওয়া দোষণীয় নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর। অতঃপর দেখ মিথ্যারোপকারীদের পরিণতি কেমন হয়েছে’ (আন‘আম ৬/১১)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ কিভাবে তিনি সৃষ্ট
উত্তর : অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘অতঃপর যার নিকটে তার প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশ এসে গেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তার জন্য পিছনের সব গোনাহ মাফ। তার (তওবা কবুলের) বিষয়টি আল্লাহর উপর ন্যস্ত’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)।
উত্তর : যতদিন মানুষ জানবে যে, উক্ত স্থানে কবর আছে ততদিন বাড়ি বা মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। কারণ উক্ত জায়গার জন্য মাইয়েতই অধিক হকদার (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৩০৩; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/২১২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২২১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব
উত্তর : যে কারণেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাক তা পূরণ করতে হবে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা না থাকলে প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করে ক্ষমা চেয়ে নিবে। কারণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা ফরয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা অঙ্গীকার পূরণ কর। নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসি
উত্তর : জায়েয হবে না। কারণ চাচা দুধ ভাই। আর দুধ ভাইয়ের মেয়ে ভাতিজী। আর ভাতিজীকে বিবাহ করা হারাম। আলী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আপনার চাচা হামযার মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হন না? কেননা,
উত্তর : এরূপ মায়ের রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে। কারণ রান্নার সাথে কুফরীর কোন সম্পর্ক নেই। একজন কাফির মহিলাও রান্না করলে তার রান্না করা হালাল খাবার খাওয়া জায়েয (মুছান্নাফে আব্দুর রাযযাক হা/১০১৫৫)। তবে মাকে এরূপ কথা না বলার জন্য নছীহত করতে হব
উত্তর : পুরুষদের সতর হচ্ছে হাটু থেকে নাভী পর্যন্ত। ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে এর সাথে যোগ হবে দুই কাঁধ। অতএব কেউ লুঙ্গী বা পায়জামার সাথে দুই কাঁধের উপর গামছা ঝুলিয়ে দিয়ে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। তবে ছালাত হচ্ছে আল্লাহর সাথে গোপন আলাপের মাধ্যম।
উত্তর : পুঁজ-রক্ত বের হওয়া অবস্থাতেই ছালাত আদায় করা যাবে। কারণ পুঁজ-রক্ত বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয় (বুখারী ১/৩১৮; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ৫০-৫১ পৃ.)।প্রশ্নকারী : মুস্তাক্বীম, ঢাকা।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল এবং ভিত্তিহীন (আবূদাউদ হা/১৬৬৫; মিশকাত হা/২৯৮৮; যঈফাহ হা/১৩৭৮)। তবে আল্লাহ তা‘আলা ভিক্ষুকদের তাড়িয়ে দিতে বা ধমক দিতে নিষেধ করেছেন (সূরা যোহা ৯৩/১০; মা‘উন ২)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, কাজলা, রাজ
উত্তর : ভ্যাট প্রদানের কারণে পণ্যের ক্রয় মুল্য বেড়ে গেলে বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে এবং ব্যবসায় লাভবান হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অথবা সরকারকে ভ্যাট কমানোর জন্য আহবান করতে হবে। কিন্তু মিথ্যা বলা বা সরকারকে ফাঁকি দেওয়া জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক
উত্তর : নাপাক পানি পরিশোধনের মাধ্যমে পানি তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্য তথা রং, স্বাদ, ঘ্রাণ, পুষ্টিগুণ ইত্যাদি ফিরে পেলে তা পবিত্র হয়ে যাবে এবং উক্ত পানি পান করা বা তাদ্বারা ওযূ করা জায়েয হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৯৫-৯৭)।প্রশ্নকারী : মাহমূদু
উত্তর : যে দেশের নাম দিয়ে একাউন্ট করা হবে সে দেশের অনুমোদন থাকলে উক্ত ব্যবসা জায়েয। আর সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমোদন না থাকলে জায়েয নয়। কারণ মিথ্যা এবং প্রতারণা কোন অবস্থাতেই জায়েয নয়।প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, সিলেট।
উত্তর : তালাকের নিয়ত সহকারে যদি স্বামী এসব কথা বলে এবং সে কারণে স্ত্রী চলে যায় অথবা স্বামীর কথায় সাড়া দিয়ে তালাকে সম্মতি দেয়, তবে এক তালাক হয়ে যাবে। এভাবে স্বামীর কথা বলার অর্থ স্ত্রীকে তালাক গ্রহণের অধিকার দেওয়া। এ অবস্থায় স্ত্রী তালাক গ্রহণ কর
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু শাহীন, আত-তারগীব হা/২৮৩)। তবে আলেমগণের সম্মানে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক বহু ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি আমাদের বড়দেরকে সম্মান দেয়
উত্তর : স্ত্রী এক অষ্টমাংশ পাবে এবং কন্যারা দুই তৃতীয়াংশ পাবে। অবশিষ্টাংশ বোন পাবে। বোন জীবিত থাকায় ভাতিজারা কোন অংশ পাবে না (নিসা ৪/১১)।প্রশ্নকারী : আবু হুরায়রা সিফাত, মান্দা, নওগাঁ।
উত্তর : যে খাদ্যে শূকরের চর্বি মিশ্রিত রয়েছে, তা জেনে-শুনে হালাল প্রাণীকে খাওয়ানো যাবে না। কারণ তা সবার জন্য খাওয়া হারাম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/১১৮; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৩/৪৪০)। তবে অল্প সময়ের জন্য বা অল্প পরিমাণ খেয়ে থাকলে উক্ত প্রাণীর গোশ
উত্তর : ব্যাংকের সূদ নেওয়া হারাম। অতএব মায়ের হারাম উপার্জন মায়ের জন্য হারাম হলেও সন্তানের জন্য নয়। কারণ একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ১৬৪)। তবে অবশ্যই মাকে সূদ বর্জনের উপদেশ দিতে হবে এবং হালাল উপার্জনের পথ ও পদ্ধতি বাতলিয়ে দিতে হ
উত্তর : মসজিদের উন্নতি কল্পে মসজিদের টাকা মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে কারো ব্যক্তিগত ব্যবসায় খাটানো যাবে না এবং কেউ ঋণ নিতেও পারবে না। কারণ এগুলো আল্লাহর আমানত। আর আমানত যে উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে কেবল স
উত্তর : ইবাদত করার মধ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য উদ্দেশ্য থাকে। অন্যদিকে বরকত অর্থ অতিরিক্ত, প্রাচুর্য, অন্তরে প্রশান্তি লাভ ইত্যাদি। বস্ত্তত হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা ইবাদত। এর দ্বারা বরকত লাভ উদ্দেশ্য নয়। ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি হাজ
উত্তর : সালোয়ার-কামীছ বড় হ’লে এবং ঢিলাঢালা হলে তার উপর হিজাব দ্বারা পর্দা হ’তে পারে। নারীদের পর্দার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা আবশ্যক। যথা- (১) তাক্বওয়াপূর্ণ পোষাক পরিধান করা (আ‘রাফ ৭/২৬)। (২) এমন পোষাক পরা, যা পুরো দেহ আবৃত করে&
উত্তর : ব্যক্তির পূর্বের স্ত্রীর ছেলের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর ঔরসে জন্ম নেওয়া মেয়ের বিবাহ জায়েয। বৈমাত্রেয় বোন সৎ মায়ের আগের স্বামীর হওয়ায় বিবাহ শরী‘আত সম্মত হবে। কারণ কুরআনে যেসকল নারীকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে এরূপ বোন তাদের ম
উত্তর : মসজিদের ভিতর জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে। আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য উম্মাহাতুল মুমিনীন মসজিদে নববীর মধ্যে সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ (রাঃ)-এর লাশ আনিয়ে নিজেরা জানাযা পড়েছিলেন (মুসলিম হা/৯৭৩, মিশকাত হা/১৬৫৬; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৮২)। কিছু লো
উত্তর : যদি একটি কবর হয় এবং সেটি কেবল সিঁড়ির অংশে পড়ে তাহ’লে কবরের অংশটুকু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর কবরের অংশটুক আলাদা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখবে। আর যদি কবর একাধিক থাকে তাহ’লে যে অঞ্চল জুড়ে কবর আছে সে অঞ্চলের ভবন ভেঙ্গে ফেলতে হবে। কারণ
উত্তর : উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। কারণ একজনের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। এজন্য তাকে খালেছভাবে তওবা করতে হবে। তবে তার দ্বিতীয় বিবাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকায় উক্ত বিবাহ শিবহে নিকাহ বা বিবাহের মত বন্ধন হিসাব
উত্তর : বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করা সমীচীন নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৫৬০; মিশকাত হা/১০৫৭)। বায়ুর অ
উত্তর : শারঈ কোন বিধানের ক্ষেত্রে কোন কাফির বিচারকের নিকট বিচার প্রার্থনা করা যাবে না। যেমন বিবাহ, তালাক, ইদ্দত ইত্যাদি। তবে দুনিয়াবী বিষয়ে তাদের নিকট বিচার চাওয়া যাবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়া ৩৩/২৯৫)।প্রশ্নকারী : ইকবাল করীম, সিডনী, অ
উত্তর : حضرة শব্দটি আরবী ও ফার্সীতে ব্যবহার হয়, যার বহুবচন حضرات। এর অর্থ মাননীয়, মহামান্য, সম্মানিত ইত্যাদি (আল-মু‘জামুল ওয়াছীত্ব ১/১৮১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম তাদের নিজের নামের পূর্বে ও সালাফগণ ছাহাবায়ে কেরামের নামের পূর্বে হ
উত্তর : উক্ত নারীর প্রেরিত তালাকনামার মাধ্যমে ‘খোলা’ হয়ে গেছে এবং স্বামীর সাথে স্ত্রীর বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে। ‘খোলা’ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নারীর পক্ষ থেকে, যা স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কার্যকর হয় (আল-মুগনী ৮/১৮১;
উত্তর : বিবাহিতা নারীর জন্য স্বামীর অনুসরণ করা কর্তব্য। স্বামী পড়াতে চাইলে পর্দার বিধান মেনে পড়াশুনা করবে। স্বামী সংসারে মনোনিবেশ করতে বললে তাই করবে। যদি পিতা-মাতা এবং স্বামীর আদেশ-নিষেধের মাঝে চূড়ান্ত বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে সংসার জীবনে ব
উত্তর : মালিককে অবহিত করে অনুতপ্ত হয়ে উক্ত জিনিস বা সমমূল্য ফেরত দেয়াই উত্তম হবে (ওছায়মীন, আল-লিক্বাউশ শাহরী ৩১; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৪/১৬২)। বিশেষ কারণে চুরির কথা না জানিয়ে চুরিকৃত মাল যে কোন উপায়ে ফেরত দেওয়াতেও কোন দোষ হবে না (ওছায়মীন, ফাতাও
উত্তর: যিনি আমানত রেখেছেন তার সরাসরি অনুমতি সাপেক্ষে তার আমানতের টাকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা যাবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/১৮৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আরোহণের পশু বন্ধক রাখলে, তার উপর আরোহণ করা যাবে। তার এর ব্যয়ভার তাকে বহন করতে হবে। দ
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থায় হিজড়া বা চাঁদাবাজদের দেওয়া যেতে পারে। তবে এ জাতীয় লোকদের অর্থ প্রদানের উদ্দেশ্যে ব্যাংকের সূদ গ্রহণ করা যাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।
উত্তর : যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রামাযানের ছিয়াম পরিত্যাগ করবে তাকে অবশ্যই তওবা করতে হবে এবং ছুটে যাওয়া ছিয়ামগুলোর পরিমাণ অনুমান করে ক্বাযা আদায় করতে হবে। তবে কাফফারা আদায় করতে হবে না। কারণ এটি একটি ফরয ইবাদত যা আদায় ব্যতীত যিম্মাদারী থেকে মুক্ত
উত্তর: যবহের বিনিময় হিসাবে কুরবানীর গোশত হাদিয়া নেওয়া যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ থেকে নিষেধ করেছেন। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তাঁর কুরবানীর উটগুলোর নিকট দাঁড়াতে এবং এগুলোর গোশত, চামড়া, ভুঁড়ি ইত্যাদি ছাদাক্বা করে দিতে আদেশ কর
উত্তর : গোসল ফরযের ভিত্তি হচ্ছে বীর্যপাত হওয়া। এক্ষণে কাপড় ভেজা দেখলে গোসল ফরয হবে অন্যথায় ফরয হবে না। সে নারী হৌক বা পুরুষ হৌক। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, যে স্বপ্নদোষের কথা স্মরণ করতে পারছে না, অথচ তা
উত্তর: সৎ মায়ের মর্যাদা জন্মদাত্রী মায়ের সমান নয়। তবে পিতার স্ত্রী হিসাবে তিনি মাহরাম এবং সদাচরণ পাওয়ার পূর্ণ হকদার। বনু সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার কোন অবকাশ আছে কি?
উত্তর: বেপর্দা নারী চরিত্রসহ শরী‘আত বিরোধী দৃশ্য থাকলে কিংবা তাক্বওয়া বিরোধী ও সঠিক ইতিহাস বিরোধী এবং সর্বোপরি তাওহীদের স্বচ্ছ আক্বীদা বিনষ্টকারী বিষয় থাকলে এসব অনুষ্ঠান দেখা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক। প্রকাশ থাকে যে, নাট্যচিত্রগুলোর বেশীরভাগ অংশই ম
উত্তর : হজ্জ ফরয হয়ে গেলে ছয় মাসের বাচ্চা নিরাপদে রেখে হজ্জে যেতে পারে। আর যদি বাচ্চার নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সাথে করে নিয়ে হজ্জে যাবে বা বাচ্চার নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে তার পরে হজ্জে যাবে (ওছায়মীন, আল-লিক্বাউশ
উত্তর : যাকাত ফরয হওয়ার জন্য সাবালক হওয়া শর্ত নয়। নাবালিকা সন্তানকে এককালীন কোন কিছু দান করে দিলে এবং তা নিছাব পরিমাণ হ’লে সে স্বর্ণের যাকাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বর্ণের মালিক নাবালিকা হওয়ায় তার সম্পদ থেকে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে পিতা যাকাত আদায় করে
উত্তর : মাথায় হাত রেখে দো‘আ পাঠের কোন দলীল নেই। তবে দু’টি সময়ে সূরা পাঠ করে মাথাসহ শরীরে হাত বুলানোর কথা হাদীছে এসেছে- (১) ঘুমানোর সময়। (২) ঝাড়-ফুঁক করার সময়। এছাড়া সকাল-সন্ধ্যা বা অন্য সময়গুলোতে কেবল সূরা বা দো‘আ পাঠের কথা এসেছে। আয়েশা (রাঃ) বল
উত্তর : এক্ষেত্রে নিজে না করে মহিলা নার্সের মাধ্যমে মহিলাদের ইনজেকশন পুশ করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। মহিলা ডাক্তার বা নার্স না পাওয়া গেলে বাধ্যগত অবস্থায় পুরুষ ডাক্তার এটি করতে পারে। কারণ বিভিন্ন যুদ্ধে উম্মে সুলায়েম, রুবাইয়ে‘ বিনতে মু‘আওয়া
উত্তর : সন্তানের পরিচিতি নিশ্চিতের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি বা ডিএনএ টেস্টের সহায়তা নেওয়া যাবে। কারণ সন্তানের পরিচিতির বিষয়টি একমাত্র মাতা নিশ্চিত করতে পারে। আবার কোন নারী একাধিক ব্যক্তির সাথে একই সময়ে মিলিত হয়ে থাকলে সেও সন্তানের পরিচিতি নিশ্চিত ক
উত্তর : উক্ত তালাক সঠিক ও ইসলামী শরী‘আত মোতাবেক হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তালাক হ’ল দু’বার। অতঃপর হয় তাকে ন্যায়ানুগভাবে রেখে দিবে, নয় সদাচরণের সাথে পরিত্যাগ করবে। আর তাদেরকে তোমরা যা কিছু দিয়েছ, তা থেকে কিছু ফেরৎ নেওয়া তোমাদের জন্য সিদ্ধ নয়&nbs
উত্তর : এশার ছালাতের পূর্বে কোন সুন্নাতে রাতেবা নেই। বরং আযানের পরে ও এক্বামতের পূর্বে দুই রাক‘আত সাধারণ নফল ছালাত আদায় করা যায় (বুখারী হা/৬২৮)। অনুরূপভাবে মাগরিবের ছালাতের পর থেকে এশা পর্যন্ত অনির্ধারিতভাবে নফল ছালাত আদায় করা যায় (ছহী
উত্তর : মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে এক সাথে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয়েছে (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। আর দ্বিতীয় তালাকটি হায়েয অবস্থায় হওয়ায় তা পতিত হয়নি। এমতাবস্থায় স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে ইদ্দতের মধ্যে সাধা
উত্তর : কুরবানী ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। কুরবানীর দিনগুলিতে কুরবানীর পশুও ইসলামের নিদর্শন (হজ্জ ২২/৩৬)। সুতরাং এই দিনগুলিতে কুরবানী ব্যতীত গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানীযোগ্য অন্য কোন পশু যবেহ করা সমীচীন নয়। কুরবানীর দিনসহ আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলি
উত্তর : সার্ভিস চার্জ বা পরিচালনা ফী হিসাবে নির্দিষ্ট অংকের ফী নেওয়া যাবে। তবে সময়ের সাথে ফী-এর পরিমাণ বৃদ্ধি বা দেরীতে পরিশোধে ফী বৃদ্ধি ইত্যাদি সূদী কলা-কৌশল করা যাবে না (মাজাল্লাতুল মুজাম্মা‘ সংখ্যা ২, ২/৫২৭; সংখ্যা ৩/৭৭)।প্রশ্নকারী :&nb
উত্তর : উক্ত বর্ণনার ছহীহ কোন ভিত্তি নেই। আর উক্ত মর্মে কিছু আংশিক বর্ণনা পাওয়া গেলেও তার সবগুলোই যঈফ অথবা জাল (আলবানী, যঈফুল জামে‘ হা/৫৭৮০-৮৩; যঈফুত তারগীব হা/৯৭৫)। তবে সূরা ইখলাছের ফযীলত সম্পর্কে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন-আবু হ
উত্তর : ঋতুর পূর্বে আগত বিভিন্ন রংয়ের রক্ত হায়েয হিসাবে গণ্য হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত আছে। ঋতু শুরু হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রক্ত বের হ’তে থাকা এবং সেই সাথে ব্যথা থাকা। যদি মধ্যের সময়ে রক্তপাত বন্ধ হয় এবং ব্যথা না থাকে, তাহ’লে তা ঋতু হিসাবে গণ্য
উত্তর : গুনাহগার হবেন না ইনশাআল্লাহ। তবে যে বান্ধবী ছবি প্রকাশ করেছে সে চরম গুনাহগার হবে। উল্লেখ্য যে, একজন নারীকে বহিরাগতদের সামনে নিজ ঘরেও শালীন অবস্থায় থাকতে হবে। এমনকি অন্য নারী কর্তৃক পর্দার বিধান লংঘিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেক্ষেত্রে বিশেষ
উত্তর : পারবে। কেননা দুধপিতার জন্য আপন দাদী মাহরাম নয়। আর নিষিদ্ধের বিষয়টি কেবল দুধ পানকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ দুধ পানকারীর জন্য তার দুধ মা, দুধপিতা, দুধ ভাই, দুধ বোন প্রমুখ নিষিদ্ধ। এদের মধ্যে পারস্পরিক হুরমত বা নিষিদ্ধের বিষয়টি কার্যকর
উত্তর : মসজিদের খুৎবা লাইভে শুনে জামা‘আতের সাথে জুম‘আ আদায় করা যাবে না। বরং মসজিদ বহু দূরে হ’লে সেক্ষেত্রে একাধিক মুছল্লী থাকলে নিজ কর্মস্থলে খুৎবা দিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। আর একাকী থাকলে বা জুম‘আ কায়েম করা সম্ভব না হ’লে যোহরের ছালাত
উত্তর : যাবে। আত্মীয়-স্বজনকে সাধ্যমত সহায়তা করবে। স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন দরিদ্র হ’লে তাদেরও সহায়তা করার চেষ্টা করবে। এক্ষণে নিজ আত্মীয়-স্বজনকে দান করার কারণে স্ত্রীর অসন্তুষ্ট হওয়াটা সমীচীন নয়। এরপরেও অসন্তুষ্ট হ’লে তাকে না জানিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে স
উত্তর : মসজিদের শ্রীবৃদ্ধি বা অতি অসহায় দরিদ্রদের ছাদাক্বার মধ্যে যেটি অধিক প্রয়োজন হবে, সেটিই করা উত্তম। প্রয়োজনে বিশুদ্ধ নিয়তে উভয় স্থানেও দিতে পারে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২০/৪৮)।প্রশ্নকারী : ছাববীর আহমাদ, পাবনা।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (মিশকাত হা/১৫৯০; যঈফুল জামে‘ হা/৩৮৯৯)। তবে বিদ্বানগণ বলেন, রোগী দেখতে গিয়ে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা যাবে না। কারণ এতে রোগী বা তার পরিবারের জন্য বিব্রতকর বা কষ্টদায়ক অবস্থা তৈরি হ’তে পারে। তবে রোগী কারো দীর
উত্তর : প্রথম স্ত্রীর ছেলে পিতার সম্পদে অন্যান্য ছেলে সন্তানের সমপরিমাণ সম্পদ পাবে। আর ছেলেরা কন্যা সন্তানের দ্বিগুণের ভিত্তিতে সম্পদ পাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের অংশ
উত্তর : পাঠদান হালাল হওয়ায় হালাল কর্মের বিনিময়ে ব্যাংকারের সন্তানকে পড়ানো এবং তার থেকে সম্মানী গ্রহণ করতে বাধা নেই। আর সূদের সাথে জড়িত থাকার জন্য ব্যক্তি গুনাহগার হবে। আল্লাহ বলেন, মানুষ যা করে তার ফল তার উপরে বর্তায়। একজনের পাপের বোঝা অন্যজন বহ
উত্তর : ডান দিকে সালাম ফিরানো অবস্থায় ছালাতে অংশ গ্রহণ করলে ছালাত হয়ে যাবে। আর বাম দিকে সালাম ফিরানোর সময় যোগ দিলে জামা‘আতে অংশগ্রহণ হবে না। তখন তাকে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ ইমাম সালামের মাধ্যমে ছালাত শেষ করে ফেলেছেন (মারদাভী, আল-
উত্তর : নতুন করে মুসলিম হ’তে হবে না। তবে আল্লাহর নিকট উক্ত পাপের জন্য খালেছ তওবা করতে হবে এবং কাযা ছালাতসমূহ আদায় করে নিতে হবে। কারণ ছুটে যাওয়া ছালাতের কাফফারা হচ্ছে উক্ত ছালাত আদায় করে নেওয়া। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যদি কেউ কোন ছালাতের কথা ভুলে
উত্তর : মাদ্দে মুত্তাছিল ৪ আলিফ টেনে পাঠ করা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। এতে ভুল হ’লে গুনাহ নেই। তবে সাধ্যমত মাদ্দের স্থানে এমন দীর্ঘস্বরে পাঠ করা কর্তব্য, যাতে শব্দের অর্থের কোন পরিবর্তন না হয়। অর্থাৎ যেখানে মাদ্দ নেই সেখানে দীর্ঘস্বরে পড়া যাবে না। আ
উত্তর: আশূরার ছিয়াম ১০ তারিখে একদিন রাখা যায়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদিনই রেখেছিলেন (বুখারী হা/২০০২, ৪৫০৪; মুসলিম হা/১১২৫)। তবে ১০ই মুহাররমের পূর্বে বা পরে আরেক দিন ছিয়াম রাখা উত্তম। কেননা ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তোমরা আশূরার দিন ছিয়াম রাখ
উত্তর : তোমাকে আমি ছেড়ে দিব, রাখব না, তুমি চলে যাও ইত্যাদি বাক্যগুলোর মধ্যে ‘তুমি চলে যাও’ বাক্যটি তালাকের নিয়তে বললে এক তালাক হয়ে যাবে। আর তিন তোহরে তিন মাসে এমন কথা তিনবার বলে থাকলে তিন তালাক হয়ে যাবে। কারণ এটি কেনায়া বা ইঙ্গিতবহ তালাক। আর কেন
উত্তর : স্ত্রীর বোন তথা শ্যালিকা মাহরাম না হওয়ায় তার প্রতি অন্যায় দৃষ্টিপাত বা স্পর্শ তো দূরের কথা, তার সাথে নির্জনে সাক্ষাৎ করা বা অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলাও হারাম। আল্লাহ বলেন, তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন কোন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না’ (আন‘আম ৬
উত্তর : ঈদায়নের তাকবীর সমূহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশনা ও ছাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। আর তা হ’ল-‘আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু, আল্ল-হু আকবার আল্ল-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হামদ্’ (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৬৭৯)।
উত্তর : হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) একদিন গোত্রের আবর্জনা ফেলার স্থানে আসলেন এবং সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করলেন। অতঃপর পানি আনতে বললেন। আমি তাঁকে পানি এনে দিলে তিনি ওযূ করলেন (বুখারী হা/২২৪; মিশকাত হা/৩৬৪)। অতএব বসার পরিবেশ না থাকলে বা জ
উত্তর : মুছল্লীদের খাওয়ানোর মাধ্যমে দো‘আ চাওয়া যাবে। কারণ মুছল্লীদের খাওয়ানো নফল ছাদাক্বার অন্তর্ভুক্ত। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা ছাদাক্বার মাধ্যমে তোমাদের রোগীদের চিকিৎসা কর (ছহীহুত তারগীব হা/৭৭৪)। ছাদাক্বাকারী দো‘আ না চাইলেও মুছল্ল
উত্তর : অমুসলিমদের নিকট দো‘আ চাওয়া যাবে না। আর তাদের দো‘আ কবুলও হবে না। আল্লাহ বলেন, বস্ত্তত (আল্লাহকে ছেড়ে) কাফেরদের প্রার্থনা কেবলই নিষ্ফল (রা‘দ ১৩/১৪)। তবে তারা নিজেদের হেদায়াতের জন্য বা দুনিয়াবী সাহায্যের জন্য দো‘আ করলে তাদের দো‘আয় আমীন
উত্তর : কোন অমুসলিম নারী ইসলাম গ্রহণ করলে তার বিবাহের অভিভাবক হিন্দু পিতা হ’তে পারবেন না। বরং ইসলামী আদালত বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অভিভাবক হয়ে বিবাহের ব্যবস্থা করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যদি মেয়ের অভিভাবকদের (ওলীগণের) মধ্যে আপোসে মতবিরোধ দেখা
উত্তর : স্ত্রী খোলা‘ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এজন্য আদালত বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দিবে’ (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৮/১৮১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/২৮৯-৯০)। খোলা‘কারী মহিলা এক ঋতু ইদ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য মূলত শিষ্টাচারমূলক। কেননা কুরআন, হাদীছসহ যে কোন কিতাব বা বই খুলে রেখে চলে যাওয়া আদবের খেলাফ। অতএব বই পড়ার পর তা বন্ধ করে আদব রক্ষা করবে। আর বই খুলে রাখার সাথে শয়তানের পড়ে নেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই (হাকীম তিরমিযী, নাওয়াদিরু
উত্তর : বিবাহিতা মেয়ে স্বামীর নির্দেশনা মেনে চলবে। স্বামী তার স্ত্রীকে যেখানে রাখতে চায় স্ত্রী সেখানেই থাকবে। যদি পিতা-মাতা এবং স্বামীর আদেশ-নিষেধের মাঝে বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে বৈষয়িক বিষয় সমূহে স্বামীর আদেশকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা ব
উত্তর : যে সকল প্রাণীর গোশত হালাল সে সকল প্রাণীর বিষ্ঠা হালাল। সুতরাং গরুর গোবর দিয়ে বাড়ির প্রাচীর লেপন করায় এবং উক্ত বাড়িতে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। একদা জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, ভেড়া-ছাগল বাঁধার স্থানে ছালাত আদায় করতে পা
উত্তর : ছেলে বা মেয়ে বালেগ হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন স্বপ্নদোষ হওয়া, (মেয়েদের) ঋতু হওয়া, নাভীর নীচে লোম গজানো বা ১৪/১৫ বছরে উপনীত হওয়া ইত্যাদি (বুখারী হা/২৬৬৪; মুসলিম হা/১৮৬৮; মিশকাত হা/৩৩৭৬, ৩৯৭৪)। এক্ষণে যখন কোন মেয়ের বালেগা হওয়ার
উত্তর : মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন বাড়তি সুযোগ গ্রহণ করা যাবে না। কারণ মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া উভয়টি কবীরা গুনাহ। আল্লাহ বলেন, অতএব তোমরা মূর্তিপূজার কলুষ এবং মিথ্যা কথা হ’তে দূরে থাক (হজ্জ ২২/৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমি কি তোমাদের
উত্তর : দায়িত্ব একটি আমানত। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তার দায়িত্বে অবহেলা করে বা ফাঁকি দেয় তাহ’লে ক্বিয়ামতের দিন সে কৈফিয়তের সম্মুখীন হবে (বুখারী হা/২৫৫৪; মুসলিম হা/২৮২৯)। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত সমূহকে
উত্তর : সাদা স্রাব বের হওয়ার কারণে ওযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কোন পুরুষের মযী বের হ’লে ওযূ ভঙ্গ হয়। ছালাতরত অবস্থায় সাদাস্রাব অনুভব করলে ছালাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর লজ্জাস্থান ধৌত করে ওযূ করবে এবং পুনরায় ছালাত আদায় করবে। তবে এটি যদি কারো নিয়মিত ব্যাধি হ
উত্তর : ইসলাম বিরোধী না হ’লে সরকারী নিয়মনীতি অনুসরণ করা আবশ্যক এবং বালুচরের জমি বিক্রয় করা হ’তে বিরত থাকা কর্তব্য। নইলে এতে দু’টি পাপ রয়েছে। ঘুষ দেওয়ার পাপ ও সরকারী বিধান লংঘন করার পাপ। অতএব রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধান মেনে চলতে
উত্তর : নির্বাচন কমিশন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সরকারের একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। প্রচলিত গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা ইসলাম সমর্থন করে না। তবে নেতৃত্ব নির্বাচন বৈধ বিষয়। অতএব বাধ্যগত অবস্থায় নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করলে
উত্তর : সূর্য ও চাঁদকে মামা বলা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় সংস্কৃতি। হিন্দু ধর্মানুসারে সমুদ্রমন্থনের ফলে সমুদ্রগর্ভ থেকে লক্ষ্মী আর চাঁদের উৎপত্তি। তাই তাদেরকে ভাই বোন হিসাবে ধরা হয়। আর হিন্দু শাস্ত্রে যেহেতু লক্ষ্মীদেবীকে মাতৃসম করে পূজা করা হয়, তা
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি ইবনু কুদামাহ বিনা সনদে স্বীয় ‘আত-তাওয়াবীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্বানগণ উক্ত ঘটনাকে ইস্রাঈলী বর্ণনা হিসাবে উল্লেখ করেছেন (ইবনু কুদামাহ, ‘আত-তাওয়াবীন’ ৫৫ পৃ.)।প্রশ্নকারী : আব্দুল মালেক বিন ইদ্রীস, চাঁপ
উত্তর : যে মসজিদের নীচে কবর রয়েছে তা পাকা করা হৌক বা ঢালাই করা হৌক তাতে ছালাত আদায় করা জায়েয নয়। কেননা কবরের ব্যাপারে তিনটি বিষয় নিষিদ্ধ- ১. কবরের উপরে ছালাত আদায় করা ২. সরাসরি কবরের দিকে ছালাত আদায় করা ৩. কবরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা মসজিদে ছালাত
উত্তর : ছূফীদের মতে, বুযুর্গানে দ্বীন যে খতম পড়ে দো‘আ করতেন সে খতমকে খতমে খাজেগান বলে। খাজেগান শব্দের অর্থ হ’ল ছাহেবগণ বা পীর ছাহেবগণ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল পীর ও বুযুর্গানে দ্বীন। এই খতমের নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। এসব পদ্ধতিতে দো‘আ ও যিকির পাঠের
উত্তর : গর্ভপাত করানো জায়েয হবে না। কারণ জনৈকা গামেদী মহিলা তার উপর যেনার হদ্দ কায়েম করতে বললে রাসূল (ছাঃ) তাকে সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন (মুসলিম হা/১৬৯৫; মিশকাত হা/৩৫৬২)। বিশেষ করে শিশুর শারীরিক গঠন শুরু হয়ে গেলে কোনভাবেই
উত্তর : সরকারের যেকোন বৈধ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা জায়েয এবং বেতন নেয়াও জায়েয। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবেন। এরপরেও ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে শিক্ষকগণ দায়ী হবেন না। কিন্তু শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অবহেলা
উত্তর : অন্যের জমি অবৈধভাবে দখল করা নিঃসন্দেহে মহাপাপ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কেউ যদি অন্যায়ভাবে কারু এক বিঘত জমি দখল করে, ক্বিয়ামতের দিন সাত তবক যমীন তার গলায় বেড়ী পরানো হবে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২৯৩৮)। সমস্ত অবৈধ সম্পদ ক্বিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি
উত্তর : অন্যের পক্ষ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা এবং এর বিনিময় গ্রহণ করা উভয়টি প্রতারণা ও হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে আমাদের সাথে প্রতারণা করল, সে আমাদের দলভূক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোন বিষয় হারাম ক
উত্তর : প্রথমত: ছাত্রদের থেকে মাত্রাতিরিক্ত ফী উঠানো সমীচীন নয়। অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী ফী উঠানোর পরও যদি টাকা অবশিষ্ট থাকে, তাহ’লে তা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষকগণ নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নিতে পারবেন। অনুমতি ছাড়া এমন কাজ করলে তা খেয়ানত হবে
উত্তর : সুন্নাত হ’ল মৃত্যুর পরে ওয়ারিছদের মধ্যে শরী‘আত মোতাবেক সম্পত্তি বণ্টন করা। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মৃত্যুর পরে সম্পদ বণ্টনের কথা বলেছেন’ (নিসা ৪/১১-১২)। এক্ষণে যদি কেউ কোন কারণ বশত তার যাবতীয় সম্পদ বা কিছু সম্পদ ওয়ারিছদের মাঝে বণ্টন করে
উত্তর : কালো জাদু বলতে এমন কিছু কাজ বুঝায়, যেগুলোর মাধ্যমে নিজ স্বার্থ হাছিল কিংবা অন্যের ক্ষতি সাধন করা হয়ে থাকে। যেমন বশীকরণ, তাবীয-কবয করা, বান মারা, জাদু-টোনা ইত্যাদি। এসব কাজকে যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, তা জাদু হিসাবেই পরিগণিত হবে। জা
উত্তর : যেহেতু জায়গাটি মায়ের নামে রয়েছে, সেহেতু মায়ের সকল ওয়ারিছ উক্ত সম্পত্তির ভাগ পাবে। আল্লাহ তা‘আলা সূরা নিসায় সম্পদ বণ্টন পদ্ধতি উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্র
উত্তর : হজ্জের কুরবানীর সাথে দেশে থাকা পরিবারের কুরবানীর কোন সম্পর্ক নেই। অতএব প্রত্যেক হাজীর কর্তব্য হবে সামর্থ্য থাকলে পরিবারের জন্য আলাদাভাবে কুরবানীর ব্যবস্থা করা (ওছায়মীন, আল লিকাউশ শাহরী ৩৪/১৬; বিস্তারিত দ্র.হাফাবা প্রকাশিত ‘মাসায়েলে
উত্তর : অভিভাবক ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে নারী তার অলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ করবে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (তিরমিযী হা/১১০২; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। তবে যেহেতু বিবাহ রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে বিবাহ সম্পাদিত হ
উত্তর : মুসলমান একে অপরকে হাদিয়া প্রদান করতে পারে। তবে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হবে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা এবং রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের উপর আমল করা। এছাড়া তাতে দুনিয়াবী কোন উদ্দেশ্যও রাখা যাবে না, নতুবা তা ঘুষে পরিণত হবে। ওমর (রাঃ) বলেন, ‘রাসূল (
উত্তর : কুরবানী করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। অতএব প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সাধ্যানুযায়ী কুরবারী করা আবশ্যক। তবে এটি ওয়াজিব নয়, যে সাধ্যে না কুলালেও তাকে কুরবানী করতেই হবে। এটি ইসলামের অন্যতম নিদর্শন, যা আল্লাহ কুরআনে ছালাতের পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন&
উত্তর : অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে দুই ওয়াক্তের ছালাত জমা‘ করে আদায় করা যায় (আবূদাউদ হা/২৯৪; নাসাঈ হা/২১৩. সনদ ছহীহ; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/১১৮)। যেমন যোহর ও আছরের ছালাত ক্বছর ছাড়াই জমা করবে এবং একইভাবে মাগরিব ও এশার ছাল
উত্তর : মাইয়েতের পরিচয়ের স্বার্থে অনলাইনে মাইয়েতের ছবি ব্যবহার করা দোষণীয় নয় (আলবানী, আহকামুল জানায়েয ৩৩. পৃ.; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ২/১০৬)। তবে মাইয়েতের মৃতদেহের ছবি প্রচার করা তার জন্য অবমাননার শামিল। অতএব তা প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। উল্লে
উত্তর : হারাম বস্ত্তর মাধ্যমে কোন চিকিৎসা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা রোগ নাযিল করেছেন এবং প্রতিষেধকও। আর প্রত্যেক রোগের ঔষধও নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং তোমরা ঔষধ ব্যবহার করো, কিন্তু হারাম বস্ত্ত দ্বারা ঔষধ সেবন করবে না (আবূদাউদ হা/৩
উত্তর : যদি ফেসবুকে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং তা অশ্লীলতামুক্ত ও হালাল হয়, তাহ’লে হালাল কন্টেন্ট পোস্টের মাধ্যমে যে অর্থ উপার্জিত হবে, তা গ্রহণ করা জায়েয হবে; নইলে নয়।প্রশ্নকারী : শারাবান তাহুরা, শিরোইল, রাজশাহী।
উত্তর : কেবল পিতা-মাতাই নয়, যেকোন বিবদমান দুই পক্ষের মাঝে সংশোধনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন করার জন্য (বানিয়ে) ভাল কথা পৌঁছে দেয় অথবা ভাল কথা বলে
উত্তর : আক্বীকার জন্য খাওয়ার আয়োজন করা কিংবা প্রতিবেশীদের মধ্যে সে গোশত বিতরণ করায় বাধা নেই। তবে স্মর্তব্য যে, একে অলীমা অনুষ্ঠানে পরিণত করা যাবে না। ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র ইমাম মালেকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বিবাহের অলীমায় যেভাবে লোকদের দাওয়াত দেও
উত্তর : অন্যান্য ওয়ারিছদের বাদ দিয়ে পুরো সম্পত্তি কোন একজনকে বা শুধু মেয়েদেরকে লিখে দেওয়া যাবে না। আর এতে অন্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত করার নিয়ত থাকলে তিনি নিশ্চিতভাবে আল্লাহর বিধান লংঘনের কারণে গোনাহগার হবেন। তবে শারঈ কারণে ও সন্তানের নিরাপত্তার স্বার
উত্তর : মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কবীরা গোনাহ। এর মাধ্যমে সে নিজে যেমন তার পরকাল হারায়, তেমনি অন্যের ক্ষতি করে বাড়তি গোনাহগার হয়। অতএব একজন পুলিশের জন্য কর্তব্য হবে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে আবশ্যিকভাবে বিরত থাকা। যদি মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ার কারণে
উত্তর : ছালাতে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করা সুন্নাত এবং এটা ছহীহ হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত। অতএব সবাইকে এই প্রতিষ্ঠিত সুন্নাতটি পালন করার চেষ্টা করতে হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৭/৯৫; বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১০৮ পৃষ্ঠা)। ইমাম শাফেঈ (রহ
উত্তর : কোন ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় মারা গেলে তার জন্য একটি গোসলই যথেষ্ট (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১২৩; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৩৪৫)। যেমন বদরের যুদ্ধে হানযালা (রাঃ) নাপাক অবস্থায় শহীদ হ’লে ফেরেশতাগণ একটি গোসলই দিয়েছিলেন (ছহীহাহ হা/৩২৬; ইরওয়া হা/
উত্তর : প্রশ্নেই স্পষ্ট যে উক্ত কার্যক্রম সূদভিত্তিক ও প্রতারণাপূর্ণ। আর আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন এবং সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, যে আমাদের দলভুক্ত নয়
উত্তর : অন্যান্য বিষয়ের মতই বিবাহ আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক পৃথিবী সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে লিপিবদ্ধ (মুসলিম হা/২৬৫৩; মিশকাত হা/৭৯)। আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষার কারণে বিবাহ বিলম্বিত হ’তে পারে। কেননা তিনি ভাল-মন্দের মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন&nb
উত্তর : মিথ্যা ও প্রতারণা না থাকার শর্তে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা জায়েয এবং এ কাজে পারিশ্রমিক নেওয়াও জায়েয। বেতনের বিনিময়ে শ্রমিক কোম্পানীর কাছে শ্রম বিক্রি করে থাকে। আর শ্রমিক সরবরাহ করাও একধরনের বেচাকেনা। এই ধরনের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী
উত্তর : সর্বাবস্থায় পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে যদিও তারা সন্তানের প্রতি যুলুম করেন (ইসরা ১৭/২৩)। পিতা তার ভাল-মন্দ কর্মের জন্য দায়ী হবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত’ (আবূদাঊদ, নাসাঈ
উত্তর : ‘সাধ’ বা ‘সাধভক্ষণ’ কোন কোন সমাজে একটি গর্ভকালীন অনুষ্ঠান হিসাবে পরিচিত। গর্ভবতী নারীর গর্ভধারণের সাত মাস পূর্ণ হ’লে অষ্টম বা নবম মাসে মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রসূতিকে ভাল কিছু খাওয়ানোর প্রথাকে ‘সাধভক্ষণ’ বলা হয়। এই রেওয়াজের সাথে ইস
উত্তর : ঋণ পরিশোধের নিমিত্তে যাকাতের অর্থ গ্রহণ করা যায় (তওবা ৯/৬০; নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২১০; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/২৩৪)। এক্ষণে যদি ব্যক্তি প্রকৃতই যাকাতের হকদার হয় এবং ঋণ পরিশোধের কোন অবলম্বন না থাকে, তাহ’লে স্বীয় ঋণ পরিশোধে উক্ত যাকাত
উত্তর : যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত দু’টি (১) নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ বা সমপরিমাণ নগদ অর্থের মালিক হওয়া বা স্বর্ণ ও নগদ অর্থের সমন্বয়ে নিছাব পরিমাণ সম্পদ মালিকানায় থাকা। (২) নিছাব পরিমাণ সম্পদ বা অর্থ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকা। এক্ষণে কারো মালিকানায়
উত্তর : উক্ত দো‘আটি নিয়মিত পাঠ করা যায়। এর পাশাপাশি নিম্নের দো‘আসমূহ পাঠ করবে। ১. ‘রাবিবগ্ফির্লী ওয়ালি ওয়া-লি দাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বায়তিয়া মুমিনাও ওয়া লিল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনাত’। (হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে বিশ
উত্তর : এমন কাজে সহায়তা করা যাবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যেমন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হ’তে নিষেধ করেছেন, তেমনি সহায়তা করতেও নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা গুনাহ ও সীমালংঘনের কাজে একে অপরকে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। অতএব উক্ত কোম্প
উত্তর : প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুরোপুরি সূদমুক্ত নয় বা সন্দেহমুক্ত নয়। আর ইসলামী শরী‘আত সন্দেহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর উভয়ের মধ্যে এমন বহু সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে, যা অনে
উত্তর : যেখানে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রসার ঘটে, সেখানে কাজ করা যাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তুমি বল, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার অশ্লীলতা হারাম করেছেন’ (আ‘রাফ ৭/৩৩)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা প্রকাশ্য বা গোপন কোন অশ্লীলতা
উত্তর : পিতার অনুমতি ছাড়া মা তার মেয়েকে অন্যত্র বিবাহ দিতে পারবে না। কারণ মেয়ের বিবাহের জন্য তার বৈধ পুরুষ অভিভাবক আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ওলী ব্যতীত বিবাহ সিদ্ধ নয়’ (আহমাদ, সুনান চতুষ্টয়; ছহীহুল জামে’ হা/৭৫৫৫; মিশকাত, হা/৩১৩০)। তিনি আরো
উত্তর : মূসা (আঃ)-এর তোতলামী তাঁর জন্য নবুঅত ও রিসালাতের দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধক ছিল না। তাছাড়া তাঁর দো‘আর কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সেই ত্রুটিও দূর করে দেন। মূসা (আঃ) দো‘আয় বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রসারিত করে দাও! আমার কর্ম সহজ ক
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনতে পেয়েও বিনা ওযরে মসজিদে আসে না তার ছালাত সিদ্ধ হবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩: ছহীহ তারগীব হা/৪২৬; মিশকাত হা/১০৭৭)। অতএব সাধ্যমত মসজিদে গিয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করব
উত্তর : এসকল ক্ষেত্রে স্ত্রীকে অধিক পরিমাণে নছীহত করবে। স্ত্রীর চাহিদা যেমন স্বামী পূরণ করবে, তেমনি স্বামীর চাহিদা পূরণেও স্ত্রী সচেষ্ট থাকবে। স্ত্রী সুস্থ থাকলে তার জন্য আবশ্যক হ’ল স্বামী আহবান করলে যে কোন সময় তার ডাকে সাড়া দেয়া (তিরমিযী হ
উত্তর : সিসি ক্যামেরার ছবিযুক্ত মনিটর ছালাতের জন্য প্রতিবন্ধক নয় কিংবা ফেরেশতাদের প্রবেশের জন্যও বাধা নয়। কেননা তা ছবি, মূর্তি, প্রতিকৃতির অন্তর্ভুক্ত নয় এবং তা সম্মানের উদ্দেশ্যেও রাখা হয় না। তবে তা সম্মুখভাবে থাকলে বা ছালাত আদায়ে বিঘ্ন সৃষ্টি
উত্তর : পবিত্র কুরআনে ফরয ছাদাক্বা সমূহ ব্যয়ের আটটি খাত বর্ণিত হয়েছে (তওবা ৯/৬০)। (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৮৬)। ইমাম শাফেঈসহ একদল বিদ্বান সূরা তাওবার ৬০ নং আয়াতে বর্ণিত যাকাতের ৮টি খাতেই ফিৎরা বণ্টন করাকে জায়েয বলেছেন। কেননা ফিৎরাও একটি ফর
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি সুন্নাহসম্মত হয়নি। বরং ঋতুবতী অথবা অপবিত্র ব্যক্তি মারা গেলে তার জন্য শুধু একবার গোসলই যথেষ্ট হবে (বাহূতী, কাশ্শাফুল ক্বেনা‘ ২/৮৭)। যেমন হানযালা (রাঃ) ওহোদের যুদ্ধে নাপাক অবস্থায় শহীদ হ’লে ফেরেশতাগণ তাঁকে একবারই গোসল দেন
উত্তর : পবিত্র সম্পদ থেকেই দান করা কর্তব্য (বাক্বারাহ ২/২৬৭)। তবে কেউ যদি হারাম উপার্জন থেকে স্বেচ্ছায় দান করে, তবে তা গ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৭)। হারাম উপার্জনের জন্য দাতা দায়ী হবেন, গ্
উত্তর : এমতাবস্থায় হজ্জ আদায় হয়ে যাবে এবং এর জন্য কোন কাফ্ফারা দিতে হবে না। কেননা কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (নাজম ৫৩/৩৮)। তবে অভিযুক্ত মু‘আল্লিমগণ কঠিন গুনাহের অংশীদার হবেন। এটা একদিকে যেমন প্রতারণা, অন্যদিকে হজ্জের একটি ওয়াজিব বিধান
উত্তর : আপন ভাই-বোন অসহায় হ’লে তাদের যাকাতের অর্থ দেওয়া জায়েয। কারণ তাদের উপর খরচ করা ভাইয়ের জন্য অপরিহার্য নয়। বরং আত্মীয়কে যাকাত দিলে দ্বিগুণ ছওয়াব পাওয়া যাবে। একগুণ দানের জন্য ও আরেকগুণ আত্মীয়কে দান করার মাধ্যমে সম্পর্ক রক্ষার জন্য (ওছায়
উত্তর : উক্ত ছালাতই যথেষ্ট হবে। পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে না (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৪১৪; বাহূতী, কাশশাফুল ক্বেনা‘ ১/২৬৯)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি নারীর চুল বা শরীরের কোন ছোট অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়, তবে তাকে ছালাত পুনরাবৃত্তি করতে হবে ন
উত্তর : বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য ছেলে-মেয়ে, মেয়ের অভিভাবক, ন্যায়পরায়ণ দু’জন সাক্ষী এবং ঈজাব কবূল সম্পন্ন হওয়া শর্ত। এগুলো বিদ্যমান থাকলে বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে (বুখারী হা/৪৭৪১; ছহীহুল জামে‘ হা/১০৭২, ৭৮৫৫)। আর বিদ্যমান না থাকলে বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। মো
উত্তর : সন্তান লাভের জন্য নবী ইব্রাহীম ও যাকারিয়া (আঃ) কর্তৃক পঠিত দো‘আ পাঠ করবে এবং যথাযথ চিকিৎসা করবে। (১) যাকারিয়া (আঃ) দো‘আয় বলেন, রবেব লা-তাযারনী ফারদাঁও ওয়া আনতা খায়রুল ওয়ারিছীন। অর্থ : হে আমার রব, আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম উত্
উত্তর : পোষা বা ক্রয় করা কোন পশুকে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করলে ও সেই মর্মে ঘোষণা দিলে তা আর বদল করা যাবে না। এটি ওয়াকফের মত। তবে যদি নির্দিষ্ট না করে থাকে, তাহ’লে তার বদলে উত্তম পশু কুরবানী দেওয়া যাবে (নববী, আল -মাজমূ‘ ৮/৪০২; ইবনু কুদামাহ,
উত্তর : যাদের পিতৃ পরিচয় অজ্ঞাত তারা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইসলামী আইনে নিজ পিতার স্থানে অন্য কাউকে পিতা হিসাবে পরিচয় দেয়া বৈধ নয়। অতএব পালক পুত্রকে নিজ পুত্র হিসাবে কোন দলীলে উপস্থাপন করা যাবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজ
উত্তর : একমাত্র শারঈ কারণ ব্যতীত স্বামীর নির্জনবাসের আহবানকে প্রত্যাখান করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সেই আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! কোন স্বামী তার স্ত্রীকে নিজ বিছানার দিকে আহবান করার পর সে আসতে অস্বীকার করলে যিনি আকাশে আছেন
উত্তর : যেনা-ব্যভিচার জঘন্য হারাম কাজ। এগুলো থেকে বিরত থাকা এমনকি নিকটবর্তী হওয়া থেকে দূরে থাকাও আবশ্যক (ইসরা ১৭/৩২)। এক্ষণে যেনার মাধ্যমে যেহেতু নারীর পেটে সন্তান চলে এসেছে সেজন্য উভয়ের তওবা করা আবশ্যক এবং ছেলের জন্য আবশ্যক হচ্ছে তাকে বিবা
উত্তর : কোম্পানীর সাথে যেভাবে চুক্তি হবে সেভাবে কাজ করা এবং কমিশন গ্রহণ করা জায়েয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের অঙ্গীকার সমূহ পূর্ণ কর’ (মায়েদাহ ৫/০১)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়
উত্তর : বিছানা ধুয়ে ফেলা ভাল, তবে আবশ্যক নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর কাপড়ে বীর্য লেগে শুঁকিয়ে গেলে আয়েশা (রাঃ) নখ দিয়ে খুঁটে ফেলতেন। অতঃপর তিনি ঐ কাপড়েই ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/২৮৮; মিশকাত হা/৪৯৫)। এজন্য অধিকাংশ ছাহাবী ও সালাফে ছালেহীন বীর্য লাগ
উত্তর: জনৈকা কুরায়শী মহিলা কর্তৃক দাওয়াত প্রদান এবং রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক গ্রহণ মর্মে বর্ণিত ঘটনাটি ছহীহ (আহমাদ হা/২২৫৬২; ছহীহাহ হা/৭৫৪; ইরওয়া হা/৭৪৪)। তবে মাইয়েতের
উত্তর : এক্ষেত্রে কিছুই করার প্রয়োজন নেই। প্রথমতঃ সাধারণ অবস্থায় অমুসলিমদের সালাম দেওয়ার মাধ্যমে দো‘আ করা যাবে না (ছহীহাহ হা/৭০৪; মিশকাত হা/৪৬৩৫)। দ্বিতীয়তঃ কোন অমুসলিম মুসলমানকে সালাম দিলে ‘ওয়া আলাইকা’ বলে উত্তর দিবে (বুখারী
উত্তর : নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর। সেজন্য নিয়ত মুখে পাঠ করা যাবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৪১৬)। বরং কুরবানীর পশু যবেহ করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ ও ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করবে এবং এর সাথে যার পক্ষ থেকে কুরবানী করা হবে তার নামও উল্লেখ করতে পারে&nb
উত্তর : আল-কুরআনে পারা, রুকূ ও মানযিলসহ অন্যান্য বিষয়গুলো ইজতিহাদী বিষয়, যা পরবর্তীকালে সংযোজিত হয়েছে। বিশেষ করে এগুলো হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আমলে সংযোজিত হয়। যদিও ইতিপূর্বে ছাহাবীদের আমলে কেবল সূরার ভিত্তিতেই কুরআনের বিভাজন করা হ’ত (ইবনু তায়ম
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করা হয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং তাদেরকে ‘মুমিনদের মা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন (আহযাব ৩৩/০৬)। কিন্তু তাদের কন্যাদের ‘মা’ বলে সম্বোধন করা সমীচীন নয়। কারণ এই পরিভাষাটি রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণের জ
উত্তর : সকল শুভ কাজ ডান হাতে করাই হাদীছ সম্মত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪০০)। তবে ডান হাত অক্ষম হ’লে বা দুর্বল হ’লে বাম হাতে কুরবানী করা জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৪৭৪-৭৫)। প্রশ্নকারী : রেযওয়ান, মিরপুর, ঢাকা।
উত্তর : সাগরের সকল প্রকারের প্রাণী হালাল। চাই তা হাঙ্গর, শুশুক কিংবা অক্টোপাস হোক। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য ভোগ্যবস্ত্ত হিসাবে সমুদ্রের শিকার ও সামুদ্রিক খাদ্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৯২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সমুদ্রের পানি পবিত্র
উত্তর : জুম‘আ ও ঈদের মতই ইস্তিস্কার ছালাতের ক্ষেত্রেও সুন্নাত হচ্ছে যিনি ইমামতি করবেন তিনিই খুৎবা দিবেন বা যিনি খুৎবা দিবেন তিনিই ইমামতি করবেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) ও খোলাফায়ে রাশেদীন নিজেরা খুৎবা দিতেন এবং ইমামতি করতেন। যিনি খুৎবা দিবেন তার জন্যই ই
উত্তর : ঈদের দিনে পারস্পরিক সাক্ষাতে কোলাকুলি করাতে দোষ নেই। কারণ লোকেরা এটা সামাজিক প্রথা হিসাবে করে থাকে, ইবাদত হিসাবে নয়। ঈদে বহু লোক বাইরে থেকে নিজ এলাকায় আগমনে করে এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ করে। কুশল বিনিময়ের সময় কোলাকুলি করে যা সুন্দ
উত্তর : বিবাহ করতে পারবে। কেননা দুধ পানকারীর জন্য কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম, অন্যান্য আত্মীয়দের জন্য হারাম নয় (ফাৎহুল বারী ৯/১৪১-১৪২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে সকল লোককে আল্লাহ তা‘আলা বংশগত সম্পর্কের কারণে (বিবাহ করা) হার
উত্তর : পাপী হ’তে থাকবে (ইবনু আলান, দলীলুল ফালেহীন ২/১৩৬; ওছায়মীন, শরহ রিয়াযুছ ছালেহীন ২/৩৪৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতির প্রচলন করবে, তার উপর তার নিজের এবং ঐ লোকদের গোনাহ বর্তাবে, যারা তার (মৃত্যুর) পর তার উপর
উত্তর : গর্ভবতী পশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। কারণ কোন পশুর গর্ভবতী হওয়া তার শারীরিক ত্রুটি নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৬/৩০৭)। তবে গর্ভহীন পশু দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। কারণ গর্ভবতী পশুর গোশত স্বাদে কম হয়ে থাকে (আল-মাওসূ‘আতুল
উত্তর : লাশ বা কবরের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া গেলে সেখানে মসজিদ নির্মাণ বা ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৩০৩; মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/৩৮৭)। তবে কবর থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হ’লে তার উপর কোনভাবেই মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : হালাল প্রাণী অমুসলিমদের থেকে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। আর কুরবানী হিসাবে কবুল হ’তেও কোন সমস্যা নেই। কারণ আল্লাহ যে সকল প্রাণী হালাল করেছেন তা খাওয়া হালাল সেটি যেখানেই লালিত-পালিত হোক না কেন (মায়েদাহ ৫/৫)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রাকিব
উত্তর : বিবাহের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য সন্তান লাভ করা। সেজন্য একান্ত বাধ্য না হ’লে সন্তান জন্মদান থেকে নিবৃত থাকা সমীচীন নয়। মা‘কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বলল, আমি এক সুন্দরী ও মর্যাদা সম্পন্ন নার
উত্তর : কেবল শুক্রবারকে কেন্দ্র করে কোন নফল ছিয়াম রাখা জায়েয হবে না। কারণ শুক্রবারকে রাসূল (ছাঃ) ছিয়াম দ্বারা খাছ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, রাত্রিসমূহের মধ্যে জুম‘আর রাতকে ক্বিয়াম (নফল ছালাত) পড়ার জন্য নির্দিষ্ট করো না এবং দিনসমূহের মধ্যে জু
উত্তর : পিতা-মাতার অন্য কোন আর্থিক উৎস থাকলে সন্তান ঋণ পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিবে। কারণ ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তা ব্যক্তির সাথে ঝুলন্ত থাকে। আর পিতা-মাতার অন্য কোন উৎস না থাকলে পিতা-মাতার প্রতি খরচ করাকে অগ্রাধিকার দিবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 
উত্তর : যুদ্ধের কারণে রামাযানের ফরয ছিয়াম ত্যাগ করা জায়েয (মুসলিম হা/১১২০; আবুদাঊদ হা/২৪০৬)। তবে যুদ্ধ শেষে আবশ্যিকভাবে উক্ত ছিয়ামগুলো ক্বাযা আদায় করে নেয়া কর্তব্য ছিল (ইবনু হাযম, আল-ইস্তিযকার ১/৭৭; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/৩৬৫; ফাতাওয়া ল
উত্তর : রুকূ পরবর্তী যিকিরের তিন অবস্থা- (১) ইমাম তার ইমামতিকালে ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ ও ‘আল্লা-হুম্মা রববানা লাকাল হামদ...’ উভয়টি বলবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪১৯; মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/৪৮; ইবনু রুশদ, বিদায়াত
উত্তর : মূসা বিন সাইয়ার ছাহাবী ছিলেন না। বরং তিনি তাবে তাবেঈ ছিলেন। তিনি বছরার অধিবাসী ছিলেন। বর্ণনাকারী হিসাবে তিনি ‘যঈফ’ ছিলেন। তিনি তাক্বদীরে অবিশ্বাসী ছিলেন। তাছাড়া তিনি একজন গল্পকারও ছিলেন (আবু ওছমান জাহিয, আল-বায়ান ওয়াত তাবঈন ১/২৯৩)।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ। ছালাত মুসলিম ও অমুসলিমের মাঝে পার্থক্য করে। যেমন অন্য হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘বান্দা ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ছালাত ত্যাগ করা’ (আবুদাঊদ হা/৪৬৭৮; মিশকাত হা/৫৬৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আমা
উত্তর : উক্ত ব্যবসা জায়েয হবে না। কারণ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আমি বাজারে গিয়ে যয়তুন কিনলাম। তা আমার হস্তগত হ’লে এক ব্যক্তি এসে আমাকে এর একটা ভালো মুনাফা দিতে চাইলো। আমি তাকে সেটা দিতে চাইলে পিছন থেকে এক ব্যক্তি আমার বাহু টেনে ধরলেন। তাকিয়ে দেখি, য
উত্তর : ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে না জানলেও একনিষ্ঠভাবে আমল করলে নির্ধারিত ছওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হ্যাঁ, যে ব্যক্তি তার চেহারাকে আল্লাহর জন্য সমর্পণ করেছে এবং সৎকর্মশীল হয়েছে, তার জন্য তার পালনকর্তার নিকটে প্রতিদান রয়েছে।
উত্তর : ছহীহ মুসলিমের উক্ত হাদীছটি মসজিদে অনুষ্ঠিত প্রথম জামা‘আতের সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং পরবর্তী জামা‘আত চলাকালীন অন্যান্য মুছল্লীদের সুন্নাত ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। ছহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীছটি হচ্ছে- রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাতের ইক্বামত দেয়া হ’
উত্তর : রহমত ও বরকত লাভের আশায় কোন আলেমকে বাড়িতে ছালাত আদায় করতে বলা যাবে না। কারণ বরকত ও রহমত কেবল আল্লাহর নিকট থেকে আসে। তবে রহমত ও বরকতের জন্য দো‘আ করতে বলা যাবে (শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/৬৫)। উল্লেখ্য যে, বদরী ছাহাবী ইতবান বিন মা
উত্তর : তারাবীহ ছালাতের পরে উক্ত দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা যায়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) রাতে তের রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতেন। প্রথমে তিনি আট রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন। তারপর বিতর আদায় করতেন। সবশেষে বসে বসে আরো দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন। ...অ
উত্তর : ঈদের ছালাত নারী-পুরুষ সবাই জামা‘আতের সাথে মাঠে আদায় করবে। এক্ষণে নারীদের জন্য যদি ঈদের ময়দানে ছালাতের ব্যবস্থা না থাকে তাহ’লে তারা কোন পুরুষ ইমামের নেতৃত্বে মসজিদে অথবা নিজেরা মসজিদ বা বাড়িতে আদায় করে নিতে পারে। যাকওয়ান (রাঃ)-এর ইমামতিতে
উত্তর : নিজে পড়ার জন্য ফটোকপি করা জায়েয। তবে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে কপি প্রিন্ট করা জায়েয নয় (ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৯/১৭৮)। কারণ এতে মূল প্রকাশক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে পারে। আর ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে কেউ অপরের দ্বারা ক্ষতি
উত্তর : এ বিষয়ে বিদ্বানদের মতভেদ রয়েছে। আধুনিক যুগের বিদ্বানদের মধ্যে যারা এ ব্যাপারে আপত্তি করেছেন তাদের মধ্যে শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, একদল বিদ্বান মরণোত্তর দেহদান জায়েয বললেও আমার নিকট তা হাদীছে নিষিদ্ধ অঙ্গহানি মনে হয়। সেজন্য অঙ্গদান থেকে বি
উত্তর : সূদী ব্যাংকে টাকা রেখে সূদ গ্রহণ করা হারাম। বরং এর পরিবর্তে সে উক্ত টাকা দিয়ে সরাসরি সহযোগিতা করতে পারে অথবা বৈধ কোন স্থানে বিনিয়োগ করে লাভবান হয়ে অসহায়কে সাহায্য করতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৩/৩৪৩; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৪
উত্তর : কাফির-মুশরিকেরা নির্যাতিত হ’লে এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তাদের দো‘আ কবুল হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, যিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন, যখন সে তাকে ডাকে এবং তার কষ্ট দূর করে দেন (নমল ২৭/৬২)। উক্ত আয়াতে মুসলিম ও অমুসলিমকে আলাদা করা হয়নি।
উত্তর : মক্কায় প্রবেশের জন্য বিশেষ কোন দো‘আ কুরআনে বা ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। বিভিন্ন বই-পুস্তকে এ বিষয়ে যে সকল দো‘আ পাওয়া যায় সেগুলো সনদবিহীন। অতএব মাসনূন বা রাসূল (ছাঃ) বর্ণিত দো‘আ হিসাবে কিছু পাঠ করা যাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/২৫৯; মাওয়
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা দু’টি কারণে বিপদ-আপদ দেন। প্রথমতঃ পাপীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। যেমন আল্লাহ বলেন, তোমাদের যেসব বিপদাপদ হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মের ফল (শূরা ৪২/৩০)। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, স্থলে ও সমুদ্রে সর্বত্র বিপর্যয় ছড়িয়ে
উত্তর : ছিয়ামরত অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস ব্যতীত অন্তরঙ্গ হওয়া জায়েয। তবে সাবধান থাকতে হবে, যেন এমন কাজ না করা হয়, যাতে ছিয়াম ভঙ্গ হওয়াসহ ক্বাযা ও কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হয়ে যায়। আর মযী নির্গত হওয়াতে ওযূ ভঙ্গ হ’লেও ছিয়াম ভঙ্গ হয় না (মুগনী ৩/
উত্তর : উক্ত বিবাহ বাতিল করে দিতে হবে এবং পুনরায় বিবাহ করতে চাইলে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা গর্ভবতী অবস্থায় বাচ্চা প্রসব না করা পর্যন্ত বিবাহ সংঘটিত হয় না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/১০৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন
উত্তর : ফরয ছাদাক্বা যাকাত, ওশর, ছাদাক্বাতুল ফিতর কেবল মুসলিম হকদারদের জন্য নির্দিষ্ট, অমুসলিমদের জন্য নয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/১৪২, ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ২/৪৮৭)। তবে যদি তাদের অন্তরকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্য থাকে কিংবা তাদের কোন বি
উত্তর : এটি জায়েয হবে না। কেননা কারবারটি জমি বন্ধকী প্রথার অন্তর্ভুক্ত, যা নিষিদ্ধ। তাছাড়া এখানে মেয়াদকাল অনির্ধারিত। আর ইসলামী শরী‘আতে অস্পষ্ট ব্যবসা হারাম (মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহীম, ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েল ৭/৪৯-৫০)। এটি এক ধরনের প্রতারণা। আর প্
উত্তর : যেসব মহিলা জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে যেতে চান তাদের জন্য গোসল করা সুন্নাত। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ এবং নারীর যে কেউ জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে আসবে সে যেন গোসল করে’ (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১৭৫২)। তিনি বলেন, হে মুসলিমগণ! জুম‘আ
উত্তর : কোন উপায় না থাকলে পুরুষ সার্জনের মাধ্যমে যথাসাধ্য পর্দা বজায় রেখে অপারেশন করানো যেতে পারে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২১/৪৩৯; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯/০২)। তবে মহিলা চিকিৎসককে দেখানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আর অর্থনৈত
উত্তর: ঋণদাতা স্বেচ্ছায় ও খুশী মনে ছেড়ে দিলে তা ভোগ করায় দোষ নেই। আর ভুলে গিয়ে ছেড়ে দিলে তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তাতেও স্মরণ না হ’লে তার নামে দান করে দিবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৫/৩৮৫, ১৯/১৯১)।প্রশ্নকারী :ন
উত্তর : পিতা-মাতার খেদমত করা অপরিহার্য। আবার জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব। এক্ষণে পিতা-মাতার পাশে থাকার মত অন্য কেউ থাকলে তাকে রেখে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। আর যদি কেউ না থাকে তাহ’লে পিতা-মাতার খেদমতকে অগ্রাধিকার দিবে এবং বাসায় ছালাত আদ
উত্তর : প্রথম বিবাহই যথেষ্ট। নতুন করে বিয়ে পড়তে হবে না। সংসারে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে হ’লে ইসলামের বিধি বিধান মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসা ও একে অপরের প্রতি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সংসার সুখী হবে ইনশাআল্লাহ&nbs
উত্তর : বিবাহ সঠিক হয়েছে। কারণ বিবাহের জন্য ছেলের ক্ষেত্রে অভিভাবক শর্ত নয়। তবে ছেলের উচিৎ বিবাহের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা ও মর্যাদার প্রতি খেয়াল রেখে বিবাহ করা। কারণ রাসূল (ছাঃ) কুফু বা সমতা দেখে সন্তানের বিবাহ প্রদানের নির্
উত্তর : এক্ষেত্রে গৃহীত সমপরিমাণ টাকাই ফেরত দিবে। এ ব্যাপারে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন মতভেদ নেই’ (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, মাসআলা নং ৩২৬১, ৪/২৩৯)। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, যদি কেউ কাউকে কোন ঋণ দেয়, সে যেন তা আদায় করার শর্ত ব্যতীত অন্য কোন
উত্তর : এটি একটি অনৈসলামিক সংস্কৃতি, যা পরিত্যাজ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ইহূদী-নাছারাদের অনুকরণে সালাম দিয়ো না। কেননা তারা হস্ততালু, মাথা ও ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাকে (দায়লামী, ছহীহাহ হা/১৭৮৩)। তিনি আরো বলেন, তোমরা সালাম প্রদান
উত্তর : ফেরত দিতে হবে। কারণ স্ত্রীর পক্ষ থেকে খোলা‘ বা বিবাহ বিচ্ছেদ হ’লে স্ত্রী তার মোহরানা স্বামীকে ফেরত দিবে (বুখারী হা/৫২৭৩; মিশকাত হা/৩২৭৪)। তবে ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে সামাজিকভাবে মীমাংসা করে নিবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৩২৩
উত্তর : ওযূ করার সময় ধৌতকৃত অঙ্গগুলো শুকানোর পূর্বে বাকী অঙ্গগুলো ধৌত করতে হবে। যদি কারো অঙ্গ ধৌত করার পর বাকী অঙ্গগুলো ধৌত করার পূর্বে শুকিয়ে যায় তাহ’লে ওযূ বাতিল হয়ে যাবে (শাওকানী, আস-সায়লুল জারার ৫৬ পৃ.; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৯৪; ওছ
উত্তর: ঋণগ্রস্ত হিসাবে যাকাতের টাকা গ্রহণ করতে পারবেন। কারণ এটি যাকাতের ৮টি খাতের অন্যতম (তওবাহ ৯/৬০; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৩৩১-৩৩৭)।প্রশ্নকারী :নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কিশোরগঞ্জ।
উত্তর : কোন প্রকারের সম্পর্ক রাখা যাবে না। এতে শয়তান অবৈধ সুযোগ নিবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় প্রতিটিই জিজ্ঞাসিত হবে’ (বনু ইস্রাঈল ৩৬)। তিনি বলেন, বস্ত্তত যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন’।
উত্তর : তালাক হবে না। তালাকের জন্য শর্ত হচ্ছে নিয়তের সাথে মুখে সরাসরি তালাকের কথা উল্লেখ করে বলা বা লিখা। আর তালাকে কেনায়ার ক্ষেত্রে অন্তরে স্পষ্ট তালাক প্রদানের নিয়ত থাকতে হবে। যেহেতু স্বামী তালাক প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করছে, সেহেতু তাতে তালা
উত্তর : এক্ষেত্রে বিধান হ’ল- প্রথমতঃ মুকুল আসার পূর্বে ফল বিক্রি করা জায়েয হবে না। কারণ জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এবং কয়েক বছরের মেয়াদে কোন গাছের বা বাগানের ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা
উত্তর : স্বামী ও স্ত্রী প্রত্যেকে নিজ নিজ সম্পদের যাকাত দিবে। কারণ যাকাত ফরয হয় মালিকানার উপর। এক্ষণে যেহেতু স্বামী এবং স্ত্রীর কারো সম্পত্তি আলাদাভাবে নিছাব পরিমাণ হয়নি তাতে যাকাত দিতে হবে না।প্রশ্নকারী :শাহারুল ইসলাম, শাহবাগ ,ঢাকা।
উত্তর : শেষ বৈঠকে দৃষ্টি শাহাদত আঙ্গুলি নাড়ানোর প্রতি থাকবে। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) যখন তাশাহহুদ আদায় করতে বসতেন তখন তাঁর ডানহাত তাঁর ডান উরুর উপর রাখতেন এবং তর্জনি দ্বারা ইশারা করতেন। আর দৃষ্টি তা
উত্তর : গীবত করা হয়েছে এমন ব্যক্তির জন্য অধিকহারে ইস্তিগফার পাঠ করাই তার কাফফারা। আর তার জন্য দান-ছাদাকা, ইস্তিগফার ও দো‘আ করবে (নববী, আল আযকার ৫৫০ পৃ.)। আর দো‘আয় বলবে, ‘আল্লাহুম্মাগফির লানা ওয়া লাহু’ অর্থাৎ আল্লাহ তুমি আমাদের ও তাকে ক্ষমা
উত্তর : পারবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তোমাদের কিছু দেয়, তাহ’লে তা তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর (নিসা ৪/৪)।প্রশ্নকারী :হাফছা বিনতে শাহীন, বগুড়া।
উত্তর : সময় মত ছালাত আদায় করা মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার। এই অধিকার কোম্পানীর নিকট চেয়ে নিতে হবে। আশা করি এ সুযোগ তারা দিবে। না দিলে এবং সকল চেষ্টা ব্যর্থ হলে চাকুরী ছেড়ে অন্যত্র রিযিক অন্বেষণ করবে। আল্লাহ বলেন, বস্ত্তত যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে,
উত্তর : এতে কোন সমস্যা নেই। তবে যদি স্পষ্ট কোন নাপাকি বহন করে আর তা কাপড়ে বা পোষাকে দৃশ্যমান হয় তাহ’লে তা ধুয়ে ফেলতে হবে (আত-তাজ ওয়াল ইক্বলীল ১/২০৬,২১৬; যাকারিয়া আনছারী, আসনাইল মাতালিব ১/১৪)।প্রশ্নকারী :ছিয়াম শিকদার, চিতলমারী, বাগেরহাট।
উত্তর : মানুষের উপর তার নামের প্রভাব পড়তে পারে। আর এজন্য রাসূল (ছাঃ) ব্যক্তি, বস্ত্ত এমনকি জায়গার নামও পরিবর্তন করে দিতেন। নবী করীম (ছাঃ) আ‘ছ (অবাধ্য), আযীয (পরাক্রমশালী), আতলাহ (কর্কশ), হাকাম (বিচারক), গুরাব (কাক), হুবাব (সাপ) ও শিহাব (উল্কা) ন
উত্তর : উক্ত ফযীলত পেতে হ’লে ইমামের ছালাত সমাপ্ত করা পর্যন্ত সাথে থাকতে হবে (আবুদাঊদ হা/১৩৭৫; মিশকাত হা/১২৯৮)। ইমাম যদি বিতর সমাপ্ত করেন তাহ’লে ইমামের সাথে বিতর আদায় করবে। আর ইমাম বিতর আদায় না করলে মসজিদে বা বাড়ীতে বিতর আদায় করবে। তাহ’লে পু
উত্তর : বছরের নিষিদ্ধ পাঁচ দিন বাদ দিয়ে সারা বছর ছিয়াম পালন করা যায়; তবে সেটি সুন্নাতসম্মত নয়। কারণ এতে দেহের হক নষ্ট হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সারা বছর ছিয়াম রাখলো সে যেন কোন ছিয়ামই রাখেনি। একথা তিনি তিনবার বলেন (বুখারী হা/১৯৭৭; মু
উত্তর : যে কোন হালাল পশুর যবেহকালীন প্রবাহিত রক্ত নাপাক (আন‘আম ৬/১৪৫)। তা দেহে বা পোষাকে লাগলে ধুয়ে ছালাত আদায় করতে হবে। আর মাংসে লেগে থাকা রক্তের ছিটাফেঁাটা শরীরে বা কাপড়ে লাগলে নাপাক হবে না। উক্ত পোষাক পরিধান করে ছালাত আদায়ে কোন দোষ নেই&n
উত্তর : পুরোটা আদায় করতে হবে। কারণ বছর অতিক্রান্ত হওয়া যাকাত মওকূফের কারণ নয়। এক্ষণে প্রত্যেক বছরের মূল সম্পদ আনুমানিক হিসাব করে যাকাতের পরিমাণ বের করবে এবং যাকাত আদায় করবে। আর যাকাত আদায়ে বিলম্ব করার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে (বিন বায,
উত্তর : ছালাতের সম্পর্ক পবিত্রতা ও সতরের সাথে। যদি প্যারালাইস্ড রোগীর ডায়াপারে অপবিত্রতা লেগে থাকে তাহ’লে ছালাতের পূর্বে পবিত্র হয়েই ছালাত আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে আত্মীয়রা সহযোগিতা করবে। কেউ সহযোগিতা করার মত না থাকলে উক্ত ডায়াপার পরেই ছালাত আদা
উত্তর : বিশুদ্ধ মতে জিনদের মাঝে আলাদা কোন নবী-রাসূল প্রেরণ করা হয়নি। বরং মানবজাতির নবী-রাসূলই জিনদের নবী-রাসূল। তবে জিনদের নিকট তাদের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনকারী আগমন করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমার পূর্বে আমরা জনপদবাসীদের মধ্য হ’তে কেবল পুরুষদে
উত্তর :‘ইয়া ছাবরা আইউবা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আইউব (আঃ)-এর মত ধৈর্য ধারণের তাওফীক দাও’। এরূপ বাক্য দো‘আ অর্থে ব্যবহার করায় দোষ নেই। কারণ শারঈ বিধান ব্যতীত নবী-রাসূলগণের আদর্শ ও আচরণ অনুসরণীয়। আল্লাহ বলেন, এরাই হ’ল ঐসব মান
উত্তর : স্বামী ইসলাম গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর সাথে তার বিবাহবন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তালাকে রাজঈ হয়ে গেছে। কেননা কোন মুসলিমের সাথে কাফির ব্যক্তির বিবাহ হারাম (বাক্বারাহ ২/২২১)। অতএব এমতাবস্থায় স্ত্রী থেকে আলাদা থাকতে হবে। এক্ষণে স্ত্র
উত্তর : মসজিদে কোন মুছল্লী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পাশের মুছল্লীগণ ছালাত ছেড়ে দিয়ে রোগীর সেবা করবে এবং পরবর্তীতে উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করে নিবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)।প্রশ্নকারী : হাসান আলী, ফুলবাড়ি, দিনাজপুর।
উত্তর : সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। এক্ষণে পিতার সম্পদ যদি হারাম উপার্জন থেকে হয় তাহ’লে সন্তানের জন্য সেখান থেকে খরচ গ্রহণ করা অপরাধ নয়। এতে সূদ গ্রহণ করার জন্য পিতা গুনাহগার হবেন, কিন্তু সন্তান নয়। তবে সন্তানের দায়িত্
উত্তর : পূর্বেকৃত পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়াবান (যুম
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা হাদীছটি পর্যালোচনা সাপেক্ষ। প্রথমত উক্ত হাদীছ দ্বারা স্বর্ণ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক এর বিপরীত আমল বর্ণিত হওয়ায় তা মানসূখ বলে কতিপয় বিদ্বান অভিমত ব্যক্ত করেছেন (বায়হাক্বী
উত্তর : ঈদের ছালাতের জন্য জামা‘আত শর্ত। কিন্তু ওযরের কারণে জামা‘আত ছুটে গেলে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ মত হচ্ছে, সাধারণ ছালাতের উপর ভিত্তি করে একাকী তাকবীরসহ দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে নিবে। এসময় খুৎবা দেওয়া যাবে না (ফ
উত্তর : হজ্জে ওযর ব্যতীত নারী-পুরুষ কেউ অন্যকে জামরায় পাথর নিক্ষেপের দায়িত্ব দিতে পারে না। কেউ এমনটি করলে ওয়াজিব ত্যাগকারী হিসাবে দম বা কুরবানী দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/২৮৯; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৩০৬)। অনুরূপভাবে কোন নারী বিন
উত্তর : এটা প্রতারণা হবে। কারণ মায়ের পণ্য কেনার সাথে নিজে লাভবান হওয়ার বিষয়টি মায়ের অজানা। ব্যবসা করতে হ’লে নিজের অর্থ দিয়ে ক্রয় করে মালিকানা সাব্যস্ত হওয়ার পর অধিক মূল্যে বিক্রয় করতে হবে (বুখারী হা/২১৩৫; মিশকাত হা/২৮৭০)। অতএব উক্ত কাজ থেকে
উত্তর : ঈদের দিন সন্তান জন্মের সপ্তম দিন হ’লে সে দিনেই আক্বীক্বা করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাউদ
উত্তর : মাসিক আত-তাহরীকসহ ইসলামী বইপত্র কুরআন ও হাদীছ সম্বলিত, সেজন্য এসব যত্রতত্র বিক্রয় করা যাবে না। বরং পাঠের জন্য অন্য মুসলমানদের মাঝে বিতরণ করা যেতে পারে। এতে ছওয়াব হবে। আর যদি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায় তাহ’লে মাটিতে পুঁতে দিতে পারে বা আগুনে
উত্তর : অমুসলিম শ্বশুর-শাশুড়ীর বাড়ীতে পিতা-মাতা বা শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর হক আদায়ের উদ্দেশ্যে গমন করায় বাধা নেই। তবে তা যেন তাদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে না হয়। কেননা ইসলামী শরী‘আতে অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করা হারাম (ফুরকান ৭২; আবুদাঊদ, মিশক
উত্তর : এই উক্তিটি ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব, ইবনু আববাস ও ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। তাঁদের উক্ত বাক্য দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, রাযা‘আত বা দুধ মা কেবল ছোটকালে দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করলে সাব্যস্ত হয়। বড় হয়ে বা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে দুধ
উত্তর : কাউকে কষ্ট না দেওয়ার উদ্দেশ্যে সন্তান বা শিশুদের ভালোবেসে তার নাম ছোট করে ডাকা দোষণীয় নয়। রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে ‘আয়েশ!’ বলে আহবান করতেন (বুখারী হা/৩৭৬৮; মিশকাত হা/৬১৭৮)। তিনি স্বীয় খাদেম আনজাশাহকে ‘আনজাশ’ বলে ডাকতেন (বুখার
উত্তর : এমতাবস্থায় তিনি ক্বাযাও আদায় করতে পারেন বা ফিদইয়াহও দিতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছেন অর্ধেক ছালাত এবং মুলতবী রেখেছেন ছিয়ামকে। আর গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধদানকারীণী মহিলা থেকে মুলতবী করে দিয়েছেন ছিয়াম
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কোন নারীর মাসিক শুরু হ’লে ছালাত ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে পবিত্র হ’লে উক্ত ছালাতের ক্বাযা আদায় করবে। কারণ ওয়াক্ত প্রবেশের পর তার মাসিক শুরু হয়েছে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২১৮)।প্রশ্নকারী : নাঈমা খাতুন, গোদাগাড়ী
উত্তর : সাধারণভাবে পশুর প্রতি ইহসান করার নিয়তে তাকে যবেহ করার সময় চোখ ঢেকে যবেহ করলে দোষ নেই। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ছাগল যবেহ করি এবং দয়াপরবশ হই অথবা সে বলল, ছাগল যবেহ করতে আমার অন্তরে দয়ার উদ্রেক হয়। রাসূল (ছাঃ) দুইবার বললেন, তু
উত্তর : যাবে। কারণ এগুলো কোন খাদ্য নয় যা পাকস্থলীতে যায়। আর এগুলি রক্ত তৈরিতেও সহায়তা করে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৫/২৪৫;মাজাল্লাতু মাজমা‘ইল ফিক্বহিল ইসলামী ১০/৯১৩)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম।
উত্তর : না, এতে কোন ক্ষতি নেই। এ কারণে স্ত্রী তার মা হয়ে যায় না। কারণ দুধ পানের মাধ্যমে হারাম হওয়ার জন্য প্রধানতঃ দু’টি শর্ত আছে। (১) দুই বছর বয়সের মধ্যে বা দুধ পানকালীন বয়সে দুধ পান করতে হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। সুতরাং প্রাপ্ত বয়সে দুধ পান ক
উত্তর : অনিচ্ছাকৃতভাবে কুরআন পড়ে গেলে কিংবা পা লাগলে ভীতি ও শ্রদ্ধার সাথে তওবার মন নিয়ে ‘ইন্নালিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজে‘উন’ পাঠ করবে (বাক্বারাহ ২/১৫৬; মুসলিম হা/৯১৮; মিশকাত হা/১৬১৮)। অনুরূপভাবে কারো শরীরে বা সম্মানজনক কিছুর
উত্তর : যাবে। কারণ দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরযে আইন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩/৩২৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; ছহীহুত তারগীব হা/৭২)।
উত্তর : স্বামীর আনুগত্য করা ফরয এবং অবাধ্য হওয়া হারাম। যে নারী দুনিয়ায় স্বামীর অবাধ্য হবে সে যেমন দুনিয়ায় আল্লাহ, ফেরেশতা এবং হুরে আইনের লা‘নত বা অভিশাপপ্রাপ্ত হবে তেমনি পরকালে জাহান্নামে যাবে। পিতার বাড়ি যেতে হ’লে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে যাকাতের খাত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাদাক্বাসমূহ কেবল (আট শ্রেণীর) লোকের জন্য। ‘ফক্বীর, অভাবগ্রস্ত, যাকাত আদায়ের কর্মচারী, ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট ব্যক্তি, দাসমুক্তি, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর রাস্তায় এবং (দুস
উত্তর : মোহর নির্ধারিত হবে বরের সামর্থানুযায়ী। বরের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হ’লে বর এবং কনে পক্ষ বসে মীমাংসা করে নিবে বা স্ত্রীর সাথে সমঝোতা করে সাধ্যমত মোহরানা প্রদান করে মিটমাট করে নিবে। জনৈক ছাহাবী চার উক্বিয়া মোহর প্রদানের মাধ্যমে বিয়ে করলে
উত্তর : স্বপ্নদোষ হ’লে কেবল গোসল ফরয হয়। আর যে পোষাকে বীর্য লেগে যায় কেবল সেটা ধুয়ে নিবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/১৪৬)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, কোন পুরুষ লোক (ঘুম থেকে জেগে শুক্রের) আর্দ্রতা পেল, অথচ স্বপ্নদোষের কথ
উত্তর: বাদ্যযন্ত্রের বাজনা যে মাধ্যমেই করা হৌক না তা হারাম। মুখের মাধ্যমে হ’লেও হারাম এবং অন্য কোন মাধ্যমে করা হ’লেও হারাম (ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-কালামু ‘আলা মাসআলাতিস সেমা‘ ১৬৭ পৃ.; তালবীসু ইবলীস ২৭৫ পৃ.)। ইবনু আবেদীন বলেন, বাদ্যযন্দ্র কেবল য
উত্তর : নফল ছালাতের ক্ষেত্রে ছালাতরত অবস্থায় প্রয়োজনে রাক‘আত কম বা বেশী করার নিয়ত পরিবর্তন করা যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘রাতের নফল ছালাত দুই দুই রাক‘আত। অতঃপর যখন তোমাদের কেউ ফজর হয়ে যাবার আশংকা করে, তখন সে যেন এক রাক‘আত পড়ে নেয়। যা তা
উত্তর : তওবা করলেই যথেষ্ট হবে। থুতনিসহ মুখমন্ডল ধৌত করা কর্তব্য। অজ্ঞতাবশত আমল না করার কারণে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তবে জানার পর থেকে থুতনিসহ মুখমন্ডল ধৌত করবে এবং পূর্বের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূ
উত্তর : অমুসলিমদের হেদায়াত এবং সুস্থতার জন্য দো‘আ করা জায়েয (হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ২/৮৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/১০৩)। ওক্ববা বিন ‘আমের আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বলেন, তিনি মুসলিমদের বেশভূষাধারী এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে গমনকালে সে তাকে সালাম দিল
উত্তর : উক্ত মেসেজ লেখায় এক তালাক কার্যকর হয়েছে। কারণ তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য স্ত্রীকে অবহিত করা শর্ত নয়। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নিয়তের সাথে মুখে তালাকের কথা উচ্চারণ করলে বা লিখলে তালাক হয়ে যাবে (বিন বায, ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৩/২৭৯; উছায়মীন, মা
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে। কেননা মসজিদটি কবর কেন্দ্রিক নয়। তাছাড়া কবর রয়েছে মসজিদের পিছনে। আর হাদীছে কবর সামনে নিয়ে বা কবরের উপরে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের
উত্তর : তাকদীরে বিশ্বাস করা ফরয। তাকদীরে লেখা থাকে বলে মানুষ আত্মহত্যা করে এমন কথা সঠিক নয়। বরং আল্লাহ তা‘আলা অদৃশ্যের খবর রাখেন। বান্দা সমগ্র জীবনে কি করবে বা করবে না তাঁর সবই জানা। এজন্য তিনি লিখে রাখেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৮/
উত্তর : পুনরায় আদায় করতে হবে না। কারণ ছালাত আদায়ের সময় উক্ত অপবিত্রতা সম্পর্কে তার জানা ছিল না। রাসূল (ছাঃ) নাপাক জুতা পরে ছালাত আদায় করছিলেন। যখন জিব্রীল (আঃ) তাকে অবহিত করলেন তাঁর জুতার নাপাকী সম্পর্কে, তখন তিনি জুতা খুলে ফেলে দিলেও ছালাত পুনর
উত্তর : অসৎ কাজ করতে থাকলে সর্বদা নছীহত করতে হবে এবং তার হেদায়াতের জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করতে হবে। তবে নরম ভাষায় তাকে উপদেশ দিতে হবে। কারণ আল্লাহ্ হেদায়াত না করলে যবরদস্তি করে কাউকে হেদায়াত করা সম্ভব নয় (বাক্বারাহ্ ২৭২; ক্বাছাছ ৫৬)। এছাড়া
উত্তর : হারামকে হারাম হিসাবে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাধ্যমত লোকদেরকে মদ খাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করবে। কোনভাবেই ‘অল্প খাবেন’ বা ‘অল্প ক্ষতিকর ব্রান্ডের খাবেন’ এজাতীয় কোন বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। সেই সাথে সুযোগমত ইসলামের পথে দাওয়াত দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ)
উত্তর: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে খাদীজা (রাঃ)-এর বিয়ের সময় খাদীজা (রাঃ)-এর বয়সের ব্যাপারে ছহীহ সনদে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে ঐতিহাসিকগণ চল্লিশ বছরকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৭৬৩ পৃ.)। আবার আরেকদল ঐতিহাসিক ২৫, ২৮, ৩৫ বছর
উত্তর : দো‘আ কবুলের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব এবং দো‘আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব। ফাযালা ইবনে ওবায়দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একজন লোককে ছালাতে প্রার্থনা করতে শুনলেন। কিন্তু সে তাতে আল্লাহর প্রশংসা করেনি
উত্তর : প্রকৃতিগতভাবে পুরুষ কোনভাবে নারী হ’তে পারে না। আবার নারী কখনো পুরুষ হ’তে পারে না। কেউ পুরুষ হয়ে নারীর ভান করার চেষ্টা করলে সেটা হারাম হবে। প্রথমতঃ এটা সৃষ্টির পরিবর্তন, যা আল্লাহ তা‘আলা হারাম করেছেন (নিসা ৪/১১৯)। দ্বি
উত্তর : প্রত্যেক মুমিনের জন্য কর্তব্য হ’ল চল্লিশ দিনের মধ্যে নাভীর নীচের লোমসহ সর্বপ্রকার নির্দেশিত ফিৎরাতসমূহ অপসারণ করা (মুসলিম হা/২৫৮; মিশকাত হা/৪৪২২)। চল্লিশ দিনের পরও এগুলো রেখে দেওয়া সুন্নাত বিরোধী কাজ। তাছাড়া দীর্ঘ দিন এগুলো কর্তন বা
উত্তর : এরূপ আমল করা যাবে। কিন্তু এর জন্য সময় নির্দিষ্ট করা জায়েয নয়। কেননা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না।উল্লেখ্য যে, সূরা ইখলাছ তিনবার তেলাওয়াত করলে একবার পুরো কুরআন তেলাওয়াতের নেকী পাওয়া যায়। কেবল ফজরের পর নয় বরং যেকোন স
উত্তর : বিজয়ের মসজিদ তথা ‘মাসজিদুল ফাৎহ’ মসজিদে নববীর পশ্চিম দিকে খন্দকের যুদ্ধস্থলের পার্শ্বে অবস্থিত। আর প্রতি বুধবারের যোহর এবং আছরের মধ্যবর্তী সময়টুকু দো‘আ কবুলের সময় বলে একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ
উত্তর : বাড়িতে সুন্নাতে রাতেবা দুই রাক‘আত আদায় করলে মসজিদে এসে বসার পূর্বে দুখূলুল মাসজিদ আদায় করতে পারে। আর মসজিদে এসে দুই রাক‘আত সুন্নাতে রাতেবা পড়লে তাহিইয়াতুল ওযূ ও দুখূলুল মাসজিদের হক আদায় হয়ে যাবে এবং পূর্ণ ছওয়াব পেয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, ফজ
উত্তর: উক্ত নামে মসজিদের নামকরণ করা যাবে না। কারণ এটা রাসূল (ছাঃ) এবং তাঁর মসজিদের সাথে খাছ। সুতরাং সাধারণভাবে অন্য মসজিদের এরূপ নামকরণ জায়েয নয়। কারণ এতে বহু বিধি-নিষেধের সমাবেশ ঘটে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৮৪)। আব্দুর রহমান বিন নাছের আল
উত্তর : ঋতুবতী মহিলারা মসজিদে অবস্থান করে খুৎবা শ্রবণ করতে পারবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৩৯৮, ৬/২৭২)। কারণ উম্মে আতিয়া (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঋতুবতী নারীদেরকে আদেশ করেছেন তারা যেন মুসলিমদের ছালাতের স্থান থেকে কিছুটা পৃথক থাকে (মুস
উত্তর : সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার জন্য পিতা-মাতা পাপী হবেন। এতদসত্ত্বেও সন্তান হিসাবে সাধ্যমত পিতা-মাতার মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অত
উত্তর : প্রথম বিবাহ শারঈ পদ্ধতিতে হয়নি। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে, তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (তিরমিযী হা/১১০২; আবুদাউদ হা/২০৮৩ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩১)। নবী করীম (ছাঃ) আরো বলেন, ‘কোন ম
উত্তর : ইন্টারনেটে প্রচলিত ইমোজিগুলো খৃষ্টানদের ধর্মীয় কোন চিহ্ন বলে প্রমাণিত নয়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলো ব্যবহারে দোষ নেই। আবার এটি সরাসরি শারীরিক কাঠামোযুক্ত জীবন্ত কোন ছবি নয় যা হারামের পর্যায়ে পড়ে। বরং এটি মানবমনের অবস্থার ইঙ্গিতবাহক। সুতরাং
উত্তর : নারী বা পুরুষ যারাই জুম‘আর ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসবে তাদের জন্যই গোসল করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ ও নারীর মধ্য হ’তে যেই জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে আসবে, সে যেন গোসল করে। আর যে আসবে না তার জন্য গোসল নেই’ (ছহীহ ইবনু খুযা
উত্তর : জেনে শুনে হারাম কাজ বা হারাম কাজে সহযোগিতা করা যাবে না; নতুবা উপার্জন হারাম হবে (ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৭২০)। বরং তাক্বওয়ার নীতি অবলম্বন করে আল্লাহর প্রতি ভরসা করবে। সাথে সাথে অন্য কোথাও হালাল আয়ের উৎস খোঁজ করবে। আল্লাহ তা‘আ
উত্তর : শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হারাম, যা অমুসলিমদের সংস্কৃতি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই অন্তর্ভুক্ত (আবুদাউদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। অতএব এত্থেকে মুসলিমদের বিরত থাকা আবশ্যক। তবে কাউকে
উত্তর : আদব শিক্ষার জন্য এমন নিয়ম করা প্রশংসনীয় কাজ। কারণ কুরআন তেলাওয়াত করাতে শিক্ষার্থীরা এক সময়ে কুরআন পাঠে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে এবং ছালাতের রাক‘আত ছুটে যাওয়া থেকেও বিরত থাকবে। আর এজন্য সাত বছরের শিশুদের ছালাত আদায়ের প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে। দশ
উত্তর : আযানের জবাব দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে সংক্ষেপে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করার পর বসে খুৎবা শ্রবণ করবে (মুগনী ১/৩১১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৩/৩০৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যখন আযান শুনবে, তখন মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও তা ব
উত্তর: গযব নাযিলের স্থান অভিশপ্ত হওয়ায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গযব নাযিলের স্থানে অবস্থান করতে এবং সেখানে পানি পান করতে নিষেধ করে বলেন, ‘তোমরা গযবপ্রাপ্ত ছামূদ কওমের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করো না ক্রন্দনরত অবস্থায় ব্যতীত। যাতে তাদের যে বিপদ হয়েছে, তোমাদের ত
উত্তর : রামাযানের ছিয়াম ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। যা অবহেলাবশতঃ পরিত্যাগ করার মাধ্যমে ব্যক্তি কবীরা গোনাহে পতিত হয়। অতএব উক্ত তিন বছর ছিয়াম ত্যাগের জন্য অনুতপ্ত চিত্তে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কোন দিন তা পরিত্যাগ করব না বলে প্রতিজ্ঞা করে আল
উত্তর : যে সকল কারণে ছিয়াম ছেড়ে দিলে কেবল ক্বাযা ওয়াজিব হয় সেগুলো হ’ল- ১. কোন ওযরের কারণে ছিয়াম ছাড়লে। যেমন অসুস্থ বা মুসাফির ব্যক্তির ছিয়াম, ঋতুবতী ও নিফাসওয়ালী নারীর ছিয়াম, গর্ভবতী বা দুগ্ধদান কারীণী মায়ের ছিয়াম। ২. কোন কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে
উত্তর : রামাযানে জোরপূর্বক কোন ছায়েমকে খাদ্য খাওয়ানো হ’লে তার ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। সে ছিয়াম চলমান রাখবে এবং দিনের বাকী সময়ে কিছু খাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৩২৬; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৯৪)। আল্লাহ বলেন, ‘যার উপরে (কুফরীর জন্য) যবরদস্তি কর
উত্তর : মুসাফির ব্যক্তি সফরকালে ছিয়াম ভাঙ্গতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসের ছিয়াম রাখে। তবে যে ব্যক্তি পীড়িত হবে অথবা সফরে থাকবে সে এটি অন্য সময় গণনা করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান, কঠিন চা
উত্তর : টয়লেটে ছালাত আদায় করা জায়েয নয় (তিরমিযী হা/৩১৭; মিশকাত হা/৭৩৭; আহমাদ হা/১১৮০১, সনদ ছহীহ)। তবে কোন উপায়ান্তর না থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় ফরয ছালাত এমন স্থানেও আদায় করা যায় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)। সেক্ষেত্রে ভয়ের কারণে য
উত্তর : অতি বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যারা ছিয়াম পালনে অক্ষম, তারা ছিয়ামের ফিদ্ইয়া হিসাবে দৈনিক একজন করে মিসকীন খাওয়াবেন (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। ছাহাবী আনাস (রাঃ) অতি বৃদ্ধ অবস্থায় গোশত-রুটি বানিয়ে একদিনে ৩০ (ত্রিশ) জন মিসকীন খাইয়েছিলেন (কুরতুবী)। ফি
উত্তর : পানিতে বরই পাতা ব্যবহার করা মুস্তাহাব। কারণ পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটা পরিপূর্ণ (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১১৩; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৪৭৩)। রাসূল (ছাঃ) তার মৃত কন্যার গোসল দানের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘তোমরা তিনবার, পাঁচবার,
উত্তর : ছালাতের পর এরূপ আমল রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম বা সালাফে ছালেহীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এটি বিদ‘আত (মুসলিম হা/১৭১৮; মিশকাত হা/৫৩১৫)। তবে চিকিৎসা হিসাবে উক্ত আমল করা যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ) সূরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছ পাঠ করে হা
উত্তর : পিতা সুস্থ অবস্থায় তার কন্যা সন্তানদের বা ছেলে সন্তানদের প্রয়োজন মাফিক সম্পত্তি হেবা করতে পারবেন। তবে অছিয়ত করতে পারবেন না। কারণ ওয়ারিছদের জন্য কোন অছিয়ত নেই (বুখারী হা/২৭৪৭; মিশকাত হা/৩০৭৪)। পিতা অন্যান্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত না করার ন
উত্তর : কন্যারা পাবে দুই-তৃতীয়াংশ, স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ এবং বাকী সম্পত্তি দুই সহোদর বোন পাবে। দুই সহোদর বোন থাকায় চাচাতো ভাই-বোন কোন সম্পত্তি পাবে না। আল্লাহ বলেন, যদি দুইয়ের অধিক কন্যা থাকে, তাহ’লে তারা পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। আর য
উত্তর : এ অবস্থায় স্বামীর অনুমতি নিতে হবে না। কারণ স্বামীর উপস্থিতিতে স্ত্রীকে নফল ছিয়াম পালন করতে নিষেধ করার কারণ হচ্ছে স্বামীর চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখা। অতএব স্বামী যেহেতু পাশে না থেকে আরেকজন স্ত্রীর নিকট অবস্থান করছে, সেজন্য নফল ছিয়াম পালনে অ
উত্তর : রামাযানে দিনের বেলায় কেউ কিছু সময় অজ্ঞান হয়ে থাকলে তার ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ‘বাতিল’ (আলবানী, যঈফাহ হা/৮৩১)। অন্য বর্ণনায় সত্তুরটি রামাযান অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে। এ বর্ণনাটিও ‘যঈফ’ (আতিয়া সালেম, শরহুল আরবাঈন ৫/৭৯)। আরো উল্লেখ্য যে, মক্কায় ছিয়াম পালন করা অন্যত্র ছিয়াম পালন অপেক
উত্তর : রামাযানে শয়তানদের শৃংখলাবদ্ধ করা হয় মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। এটি গায়েবী বিষয়। যেভাবে হাদীছে এসেছে সেভাবেই মুসলমানদের বিশ্বাস করতে হবে। তবে বিদ্বানগণ এর ব্যাখ্যায় বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ)
উত্তর : একাকী দো‘আ করার সময় হাতের পেট আকাশের দিকে মুখ বরাবর রেখে প্রার্থনা করবে। এ সময় এক হাত আরেক হাতের সাথে মিলে থাকবে (নববী, শরহ মুসলিম ৬/১৯০; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/১৮)। শায়খ ওছায়মীন বলেন, দুই হাত ফাঁকা করে বা আলাদা করে হাত তুলে প্
উত্তর : শারঈ কারণ ব্যতীত জীব হত্যা মহাপাপ। সুতরাং অসুস্থ বিড়ালকে সাধ্যমত চিকিৎসা দিতে হবে এবং কোন মাধ্যম ব্যবহার করে তাকে হত্যা করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমার সামনে জাহান্নামকে পেশ করা হয়। তাতে আমি বনু ইস্রাঈলের এমন একজন মহিলাকে দেখতে
উত্তর : কন্যাশিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে অন্য মুছল্লীদের জন্য বিরক্তিকর হ’লে তাদের নিয়ে যাবে না বা নিয়ে গেলেও পিছনে বসিয়ে রাখবে। আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে ইমামতি করতে দেখেছি। এমতাবস্থায় নাতনী উমামাহ বিনতে আবুল ‘আছ তা
উত্তর : সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন বৈধ সুবিধা গ্রহণ করাতে দোষ নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/১২৬-৩০)। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, আমি ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আমাকে কিছু দান করতেন, তখন আমি বলতাম, য
উত্তর: প্রথমে বিভিন্নভাবে টাকার মালিককে খোঁজার চেষ্টা করবে। খুঁজে না পেলে অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে উক্ত টাকা ছাদাক্বা করে দিবে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩১৩৩-৩৫; মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/১৪২)।তবে মালিকের নামে দান করার পরে যদি তার সন্ধান পাওয়া যায় এবং সে
উত্তর : ছাদাক্বা করা যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা ছাদাক্বার মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করো (ছহীহুত তারগীব হা/৭৪৪)। বিপদকালীন অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে নছীহত করে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বিপদ দেখতে পেলে আল্লাহর নিকট দো‘আ কর এবং তার বড়ত্ব ঘোষণ
উত্তর : কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছালাতের সময় পরীক্ষা না রাখা। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন (নিসা ৪/১০৩)। এক্ষণে পরীক্ষা চলাকালীন ছালাত আদায়ের সুযোগ না পেলে মা‘যূর হিসাবে পরীক্ষা শেষে ছালাত আদায় করে নিবে (বিন বায, ফা
উত্তর : পবিত্র কুরআন মুমিনদের জন্য রোগ নিরাময়কারী এবং রহমত। সুতরাং উক্ত দো‘আ হতাশা দূর করার জন্য পাঠ করা যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/২৪৪-৪৬; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৩৩৭)। দো‘আটি হ’ল- রবেব ইন্নী বিমা আনযালতা ইলাইয়া মিন খায়রিন ফ
উত্তর : নফল ছিয়াম আদায়কারী তার ছিয়ামের ব্যাপারে স্বেচ্ছাধীন। সে চাইলে তা পূর্ণ করতে পারে, আবার চাইলে ছেড়ে দিতে পারে (তিরমিযী হা/৭৩২; মিশকাত হা/২০৭৯, সনদ হাসান)। তিনি আরো বলেন, নফল ছিয়ামের উদাহরণ হ’ল ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে স্বীয় ধন-সম্পদ থেকে দ
উত্তর: অহংকারবশে পুরুষের টাখনুর নীচে যতটুকু কাপড় যাবে, সেটুকু জাহান্নামের আগুনে পুড়বে (বুখারী হা/৩৪৮৫, ৫৭৮৭; মিশকাত হা/৪৩১৩-১৪)। তবে প্রশ্নে উল্লেখিত বিব্রতকর অবস্থায় তিনি গোনাহগার হবেন না। কারণ এটি বাধ্যগত অবস্থা। আর আল্লাহ কারু উপরে তার সাধ্যে
উত্তর : উক্ত সম্পদ মালিককে ফেরত দেয়ার সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। মালিককে না পাওয়া গেলে তার ওয়ারিছদের ফেরত দিতে হবে। তাদেরও না পাওয়া গেলে মালিকের নামে ছাদাক্বা করে দিবে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩১৩৩-৩৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/১৪২)।প্রশ
উত্তর : বিশেষ কোন বরকত লাভের উদ্দেশ্যে আগরবাতি জ্বালানো হ’লে তা শিরক হবে, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তবে স্থান সুগন্ধিময় করার লক্ষ্যে মাইয়েতের পাশে আগরবাতি জ্বালানোতে কোন দোষ নেই (আহমাদ হা/১৪০৬৯; নাসাঈ হা/৩৯৪০; মিশকাত হা/৫২৬১, সনদ হাসান)।প্র
উত্তর : এক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, যেগুলো ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।(১) সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবর ৩৩ বার ও লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আল
উত্তর : যে কোন পশু যবহ করার সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর বলবে। এছাড়াও বিভিন্ন দো‘আ বর্ণিত হয়েছে। যার কয়েকটি নিম্নরূপ- কুরবানীর পশু যবহ করার সময় বলবে, বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী (আল্লাহর নামে, হে আল্ল
উত্তর : মোট ফসলের উপর বর্গাদার ওশর দিবে। কারণ ওশর হয় ফসলের উপর, জমির উপরে নয়। এর উপরেই জমহূর বিদ্বানগণের ঐক্যমত রয়েছে। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন, জমির মালিককে ওশর দিতে হবে বর্গদারকে নয় (ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা ৪/৪৭; ইবনু কুদামা,
উত্তর : এটা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর। কেননা যদি মৃত ব্যক্তি পুণ্যবান হয়, তবে তোমরা ‘ভাল’-কে দ্রুত কবরে সমর্পণ কর। আর যদি অন্যরূপ হয়, তাহ’লে ‘মন্দ’-কে দ্রুত তোমাদের কঁাধ থেকে নামিয়ে দাও’ (মুত
উত্তর : মূল অর্থ গ্রহণ করায় দোষ নেই। মূল অর্থ থেকে আগত লভ্যাংশ ছওয়াবের আশা ছাড়াই ছাদাক্বা করে দিতে হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৩০৭; ২৯/৩০৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হারাম মাল সঞ্চয় করে, অতঃপর তা থেকে
উত্তর : বান্দার হক বা অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলোই হাক্কুল ইবাদ। যেমন কারো অর্থ বা জমি আত্মসাৎ করা ইত্যাদি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়া থেকে ছালাত-ছিয়াম-যাকাত ইত্যাদি আদায় করে আসবে। সাথে ঐসব লোকেরাও আসবে, যা
উত্তর : জানাযার ছালাতে নিয়ত, ক্বিয়াম, চার তাকবীর, সূরা ফাতিহা পাঠ, দরূদ পাঠ, মাইয়েতের জন্য জানাযার দো‘আ ও সালামের মাধ্যমে ছালাত সমাপ্ত করা এক একটি রুকন। যার কোন একটি বাদ পড়লে ছালাত বাতিল হয়ে যাবে। কোন কোন বিদ্বান ধারাবাহিকতাকেও রুকন হিসাবে গণ্য
উত্তর : দানকৃত বস্ত্ত বিক্রয় করে তা দাতার উদ্দেশ্য মোতাবেক ব্যবহার করলে জায়েয হবে; নতুবা নয়। তবে মসজিদের ভিতরে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না (তিরমিযী হা/৩২২; মিশকাত হা/৭৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমরা মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখবে তখন বলবে, আল্
উত্তর : তাকবীরে তাহরীমার পর মাসবূক ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায় ছালাতে অংশগ্রহণ করবে। ইমামের সাথে যে কয় রাক‘আত পাবে সেগুলো তার প্রথম দিকের রাক‘আত হিসাবে গণ্য করবে এবং ইমাম সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে বাকী রাক‘আতগুলো আদায় করবে। বাকীগুলো পরের রা
উত্তর : Rx নিয়ে কয়েকটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলেন, এর দ্বারা রোমান দেবতা জুপিটার গ্রহ উদ্দেশ্য, যার শুভদৃষ্টিতে রোগ উপশম হবে বলে বিশ্বাস করা হয়। কারো মতে, এর দ্বারা বুঝানো হয় refer to x বা যিশুর নামে শুরু করছি। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রের অভিধান মতে
উত্তর : চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করলেও সুৎরা পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। কারণ সে মাথা নিচু করে ইশারায় হ’লেও রুকূ ও সিজদা করবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ৬/২১)।প্রশ্নকারী : আবুল হোসাইন, দারুসা, রাজশাহী।
উত্তর : যদি বিলম্বে ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ থাকে তাহ’লে বিবাহ করে ধীরে ধীরে ঋণ পরিশোধ করবে। আল্লাহ বলেন, যদি তারা নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন (নূর ৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার জন্য ঐ ব্যক্তিকে সাহায্
উত্তর : কবরের পাশে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের পাশে বা যে কোন স্থানে গিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করা বিদ‘আত (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৩৩৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/৪৩)। কবরস্থানে গিয়ে সূরা ইয়াসীন পাঠের ফযীলত
উত্তর : বাড়িতে থেকে জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা যাবে না। কেননা জামা‘আত হওয়ার জন্য শর্ত হ’ল কাতারের সাথে কাতার মিলে থাকা এবং ইমাম বা অন্য মুছল্লীদের দেখতে পাওয়া অথবা ইমামের আওয়াজ শুনতে পাওয়ার মাধ্যমে স্থানিক ঐক্য সাধিত হওয়া, যা বাড়ির মধ্যে থেকে সম্ভব ন
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়, যার সবগুলো যঈফ ও জাল (আলবানী, যঈফাহ হা/১২৫৫, ২৬৮৭)।প্রশ্নকারী : জাহেদুল ইসলাম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : মাথার চুল, নখ ইত্যাদি মাটির নীচে পুঁতে ফেলা উত্তম বলে কিছু কিছু বিদ্বান অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এটি যরূরী নয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/২৯০; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৬৬)। ইবনে ওমর (রাঃ) সহ একাধিক ছাহাবীর আমল থেকে পুঁতে ফেলার প্রমাণ পাওয়া য
উত্তর : অর্থ না বুঝে কুরআন তেলাওয়াত করলেও তেলাওয়াতের ছওয়াব পাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব হ’তে একটি হরফ পাঠ করবে তার জন্য দশটি নেকী রয়েছে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। তবে কুরআন বুঝে তেলাওয়াত করা অধিক ছওয়াবের কা
উত্তর : মদ খাওয়া নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৯০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সকল মাদক নিষিদ্ধ (মুসলিম হা/১৭৩৩; মিশকাত হা/৩৬৩৮)। তিনি বলেন, যার বেশীটা মাদকতা আনে, তার কমটাও হারাম (তিরমিযী হা/১৮৬৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩৬৪৫)। তিনি বলেন, তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ
উত্তর : এটা তালাক হিসাবে গণ্য হবে না। কারণ তালাক প্রদানের অধিকার স্বামীর হাতে, স্ত্রীর নয় (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৯/০২)। তবে স্বামীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে স্ত্রী চাইলে তালাক প্রার্থনা করতে পারে বা আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘ
উত্তর : মানব রচিত বিধান শরী‘আহ বিরোধী না হ’লে তা শিরকের মধ্যে গণ্য হবে না। এক্ষণে সরকারী কর্মজীবীরা রাষ্ট্রের অধীনে কাজ করে। রাষ্ট্র তার অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে কোন শিরকী কাজ করার আদেশ দিলে সাধ্যানুযায়ী তা পরিহার করবে। এরপরেও তা করতে বাধ্য করা হ
উত্তর : একাধিক ওয়াজিব ছুটে গেলে একাধিক দম দিতে হবে। সুতরাং একটি দম দেওয়া যথেষ্ট হয়নি। বরং যে কয়টি ওয়াজিব ছুটে গেছে সেটি হিসাব করে দম দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৩৪২; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৩/৪০০)। আর যদি ওয়াজিবগুলো ভুলক্রমে তরক করা
উত্তর : অন্তরকে আল্লাহমুখী করার জন্য ছালাত হ’ল সর্বোত্তম যিকর’ (ত্বোয়াহা ১৪)। এছাড়া অন্য যেকোন যিকর নীরবে করা উত্তম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ডাক বিনীতভাবে ও চুপে চুপে। নিশ্চয়ই তিনি সীমালংঘন কারীদের ভালবাসেন না’ (আ‘রাফ ৭
উত্তর : প্রথমত সুন্নাতী তরীকায় ছালাত আদায় করা হয়, এমন মসজিদে ছালাত আদায়ের চেষ্টা করবে, যদিও তা দূরে হয়। আর যদি এমন মসজিদ না পাওয়া যায়, তবে পার্শ্বস্থ মসজিদে গিয়েই জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে, যদি ইমামের বিদ‘আত এমন না হয়, যা তাকে ইসলাম থেকে খা
উত্তর : বোনদের সম্পদ বা মীরাছ থেকে বঞ্চিত করা কবীরা গোনাহ (ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন ৪/৩০৬; বিন বায, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২০/২২১)। এমতাবস্থায় মায়ের নিকট থেকে লিখিত জমি ভাইয়েরা প্রাপ্য অনুযায়ী বোনদের মাঝে বণ্টন করে দিবে। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : আল্লাহর ভয়ে অনুতপ্ত না হয়ে এমনিতেই গুনাহ ছাড়লে সে পাপ মুক্ত হবে না। তাছাড়া ছওয়াবের উদ্দেশ্য না থাকলে সে এতে কোন ছওয়াব পাবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/৭৩৮; ইবনুল ক্বাইয়িম, শিফাউল আলীল ১/১৭০)। আর সাধারণভাবে লোকলজ্জায় কোন প
উত্তর : যেকোন বৈধ কাজ সৎমানুষ দ্বারা উদ্বোধন করানো যাবে। মসজিদের ইমাম ইটের ভাটা আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করলে তাতে দোষ নেই। কেননা আগুন দিয়েই ইট পোড়ানো হয়। উল্লেখ্য যে, মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরী করার ব্যাপারে কোন কোন এলাকায় কুসংস্কার রয়েছে। মূ
উত্তর : স্বামী মারা গেলে স্ত্রী চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। ইদ্দত পালনকালে একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাবে না; এমনকি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও নয়। বাহ্যিক কোন সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে না। এমনকি কানের দুল, নাকফুল ইত
উত্তর : হৃদয়ে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে ও জেনে-বুঝে সেই মোতাবেক জীবন পরিচালনা করলে এবং আমৃত্যু এ অবস্থায় টিকে থাকতে পারলে সে জান্নাতে যাবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এ বিশ্বাস নিয়ে মারা যাবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, সে অবশ্যই জান্ন
উত্তর : যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকলে গুনাহ হবে না। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত খাবার বাড়িতে নেওয়া জায়েয হবে না। কারণ উক্ত খাবারের মালিক সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রূযীর ব্যব
উত্তর : ফুফুরা সুস্পষ্ট সম্মতি দেওয়ার পরে কোন স্বার্থের কারণে বর্তমানে তা অস্বীকার করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ একবার সর্বসম্মতিক্রমে কাউকে সম্পত্তি দেওয়ার পর তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা বা ফিরিয়ে নেওয়া জায়েয নয়। তবে ফুফুরা সম্পদ দাবী করলে ফারায়ে
উত্তর : মুকাবিবর নিযুক্তির উদ্দেশ্য ছিল মুছল্লীদের নিকট ইমামের আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া। আর মাইক বা বক্স ব্যবহারে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাচ্ছে। বরং নির্বিঘ্নে মুছল্লীদের নিকট আওয়াজ পৌঁছার ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ ও যরূরী মাধ্যম। সুতরাং মাইক ব্যবহারে সুন্নাত
উত্তর : সরাসরি উক্ত বাক্যে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে দো‘আ অর্থে আল্লাহ হাফেয, ফি আমানিল্লাহ, ফি হিফযিল্লাহ ইত্যাদি বাক্য ব্যবহারে দোষ নেই। যেমন জনৈক ছাহাবী সফরকালে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে বিদায় চাইলে তিনি তার হাত ধরে বলেন, ‘ফী হিফযিল্লাহ ওয়া ফী কান
উত্তর : কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত দো‘আসমূহ দো‘আ হিসাবে বলার সময় সর্বনাম, বচন বা লিঙ্গ পরিবর্তন করে পাঠ করা যাবে। এ ব্যাপারে ইবনু তায়মিয়াহ, শায়খ বিন বাযসহ বিদ্বানগণ আলোকপাত করেছেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২২/৪৮৮; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫
উত্তর: উক্ত মর্মে আয়েশা (রাঃ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে একটি বর্ণনা পাওয়া যায় (মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৪৫৮৬; ফাৎহুল বারী ৫/৭৪)। তবে আয়েশা (রাঃ) নিজেই তঁার এই ভুলের জন্য ওযর পেশ করেছেন। যেমন তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমার বুকে ও কোলে মাথা রেখে মারা গেছ
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়, যার অধিকাংশ ইস্রাঈলী বর্ণনা এবং যঈফ (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/১১৪; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৩/৩৬৬; ফাৎহুল বারী ৬/৪০৪)। সেজন্য কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যতটুকু পাওয়া যায় ততটুকুতেই বিশ্বাস রাখতে হবে (
উত্তর : বর্ণনাটির সনদ যঈফ (যঈফাহ হা/৬০১১)। তবে আয়েশা (রাঃ) দুনিয়া ও আখেরাতে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রী হবেন বলে একাধিক দলীল রয়েছে। যেমন একদিন রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি এতে খুশী নও যে, তুমি আমার দুনিয়া ও আখেরাতের স্ত্রী? তিনি বললে
উত্তর : উক্ত মর্মে কা‘ব আল-আহবার থেকে একটি ইস্রাঈলী বর্ণনা পাওয়া যায়, যা যঈফ (সুয়ূতী, আল-হাভী লিল ফাতাওয়া ২/৩৮২)। ঈসা (আঃ) ব্যতীত আসমানে অন্য কোন নবীর জীবিত থাকার ব্যাপারে বিশুদ্ধ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। অতএব কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যতটুকু আছে
উত্তর : বর্ণনামতে এক তালাক হয়ে গেছে। কারণ কেউ তালাকের নিয়তে স্ত্রীকে কোন কাজ করা বা না করার শর্ত দিলে এবং স্ত্রী তা ভঙ্গ করলে তার এক তালাক হয়ে যাবে (বুখারী ১৭/৪২৯; ফাৎহুল বারী ৯/৩৯২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৩/৬৫ পৃ.)। এক্ষণে স্ত্রী
উত্তর : সার্ভিস চার্জসহ দিতে হবে। কেননা যাকাতদাতার দায়িত্ব হ’ল যাকাতের অর্থ হকদারদের নিকট পৌঁছানো। সেজন্য সার্ভিস চার্জ যাকাতদাতার পক্ষ থেকেই দেওয়া কর্তব্য (বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ২/২৬৯; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৪৭৯-৮০)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : শীতের টুপি মাথায় দিয়ে কপাল আবৃত করে ছালাত আদায় করা যায়। তবে সিজদার সময় সরাসরি কপাল ও নাক ঠেকিয়ে সিজদা দেওয়া উত্তম (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৮/৩০৩; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৮/০২)। হাসান বাছরী (রহঃ) বলেন, রাসূলের ছাহ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কারণ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী করীম (ছাঃ) ঘুমিয়েছিলেন, তখন তাঁর নাক ডাকার আওয়াজ শোনা গেল। অতঃপর দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করলেন। কিন্তু ওযূ করলেন না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১১৯৫)। অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় বিদ্বানগণ বলেন
উত্তর : এজন্য সবচেয়ে বড় উপায় হ’ল পরনারী থেকে দৃষ্টিকে অবনত রাখা। যে বিষয়ে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন (নূর ২৪/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বেগানা নারীর দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, একবার দৃষ্টি পড়ার পর পুনরায় নয়। কেননা প্রথমবারের জন্য তোমার অনুমতি র
উত্তর : দ্বীন বলতে তাওহীদ এবং শরী‘আত বলতে বিভিন্ন নবীর জন্য নাযিলকৃত বিধিবিধান সমূহকে বুঝায়। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমরা পৃথক পৃথক বিধান ও পন্থা নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ চাইলে তোমাদের সবাইকে তিনি এক দলভুক্ত করে দিতেন। কিন্তু তিনি
উত্তর : মাসবূক্বের ইক্বতিদা করায় দোষ নেই। তবে একা ছালাত আদায় করা উত্তম (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ্দারব ১২/১৮৩; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/১৫২)। শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, মাসবূকের সাথে জামা‘আতে অংশ গ্রহণ করায় কোন দোষ নেই। তবে মাসবূক্বের ইক্ব
উত্তর : নারীরা মসজিদে ছালাত আদায় করতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) তাদের মসজিদে যেতে অনুমতি দিয়েছেন (বুখারী হা/৯০০)। সেজন্য ওমরা পালনকারী নারী বায়তুল্লাহ বা মসজিদে নববীতে গিয়ে ছালাত করতে পারেন। তবে বিদ্বানদের মতে, অতিরিক্ত ছওয়াব প্রাপ্তির বিষয়টি কেবল
উত্তর : স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম হ’লে স্ত্রী চাইলে ধৈর্য ধারণ করবে অথবা খোলা‘ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কারণ বিবাহের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক জৈবিক চাহিদা পূরণ করা (মুগনী ৭/২০১; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/২০৭)।প্রশ্নকা
উত্তর : ভ্রান্ত বিশ্বাস নিয়ে গঙ্গাসহ যেকোন তীর্থস্থানে জায়গায় যাওয়া এবং তাতে গোসল করা হারাম। কারণ তা শিরক। তাছাড়া খোলা জায়গায় গোসল করা নারীদের জন্য পর্দার খেলাফ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের নারীদের জন্য বাইরে গোসল করা হারাম’ (ছহীহাহ হা/
উত্তর : ইমামের ভুল সংশোধনের জন্য আল্লাহু আকবার বলা সুন্নাত সম্মত পন্থা নয়। বরং ভুল সংশোধনের বাক্য হচ্ছে সুবহানাল্লাহ(আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ১১/২৮৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ছালাতের মধ্যে যে ব্যক্তির কাছে কোন কিছু আপতিত হয় সে ব্যক্তি
উত্তর : আয়াতের শেষে লম্বা করে টানা যায়। তবে আয়াতের মধ্যে এক আলিফের স্থানে চার আলিফ টানা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। কেউ না জেনে টান দিয়ে পড়লে ছালাত বাতিল হবে না। কিন্তু জেনে শুনে যেখানে টান নেই সেখানে দীর্ঘ টান দিয়ে অর্থ বিকৃত করে ফেললে গুনাহ হবে। ত
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতি চালু করবে, তার পাপের বোঝা তার উপরই বর্তাবে এবং সে অনুযায়ী যে আমল করবে তার পাপও তার উপরে বর্তাবে। অথচ তাদের (অনুসরণকারীদের) পাপের কোন কমতি করা হবে না। পক্ষান্তরে প
উত্তর : কেবল অন্তরের পরিকল্পনায় তালাক হয় না। বরং তালাক দেওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা বা কাগজে লিখে প্রকাশ করা আবশ্যক। তবে তালাক দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে জানানো বা তাকে শোনানো শর্ত নয়। বরং স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অন্তরে নিয়ত রেখে মুখে উচ্চারণ করে তালাক দ
উত্তর : আত্মহত্যাকারী মুসলমান হ’লে তার জন্য দো‘আ ও ছাদাক্বা করা যায়। কেননা আত্মহত্যার ফলে সে কবীরা গুনাহগার হয়। কিন্তু কাফের হয়ে যায় না (নববী, শরহ মুসলিম ২/১৩২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৩৫১)। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন মদীনায় হিজরত কর
উত্তর : তাকবীরে তাহরীমার সময় আঙ্গুল স্বাভাবিক রাখবে (শানক্বীত্বী, শারহু যাদিল মুস্তাক্বনে‘ ১৩/৩৮; নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৩০৭)। আলক্বামা বিন ওয়ায়েল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন রুকূ করতেন তখন তাঁর (হাতের) আঙগুলগুলো পরস্পরে ফাঁক করে রাখতেন এব
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত বন্ধকী প্রথা নিষিদ্ধ। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ। ছাহাবীগণ এমন ঋণ দিতে নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭, ৫/২৩৪ পৃ.)। তবে বছরে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জমি ভাড়া (লীজ
উত্তর : যে সব প্রাণীর গোশত হালাল, সে সব প্রাণীর দুধও হালাল। ঘোড়া ও বন্য গাধার গোশত হালাল (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪১০৭-০৮)। মহিষ হ’ল গরুর সমজাতীয় হালাল প্রাণী (মির‘আত হা/১৪৭০-এর আলোচনা)।প্রশ্নকারী : লিয়াকত আলী, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও।
উত্তর : উক্ত মর্মে প্রচলিত বর্ণনাটি সঠিক নয়। তবে ডান দিক থেকে যেকোন ভালো কাজ করা মুস্তাহাব। কারণ নবী করীম (ছাঃ) জুতা পরা, চুল আঁচড়ানো এবং পবিত্রতা অর্জন করা তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক থেকে শুরু করতে ভালবাসতেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪০০)।প্রশ্নকা
উত্তর : মাইয়েত যতদিন বেহুঁশ বা জ্ঞানহীন অবস্থায় ছিলেন, ততদিন তিনি ছালাত ও ছিয়ামের বিধান থেকে মুক্তি পাবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তিন ধরনের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে- (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্ত
উত্তর : পারবে। বরং চল্লিশ দিনের মধ্যে অন্তত একবার এগুলি ছাফ করবে (মুগনী ১১/২৮৮)। তবে তা যেন সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য না হয় (শারবীনী, আল-ইক্বনা‘ ২/৪৭২)।প্রশ্নকারী : মাঈশা, নিমতলা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : বিভিন্ন কিতাবে উক্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে বর্ণনাটি সঠিক নয়। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ ও যাহাবীসহ অন্যান্য বিদ্বানগণ উক্ত ঘটনার অসারতা ও মিথ্যা হওয়ার বিষয়টি বর্ণনা করেছেন (মুহাম্মাদ বিন মুফলেহ, আল-আদাবুশ শার‘ইইয়াহ ২/৭৮; ড. নাছের আল-জাদী‘, আ
উত্তর : কোন যেনাকার নারী-পুরুষ খালেছ তওবা করলে তাকে বিবাহে বাধা নেই (ইবনু কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর; তাফসীরে সা‘দী ৫৬১ পৃ.)। তবে পিতা-মাতার সম্মান ও সামাজিক মর্যাদার প্রতি খেয়াল করে সন্তানের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মহিলাকে চ
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় স্থায়ীভাবে জন্মনিরোধ হারাম। তবে সাময়িকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েয। সেজন্য সৎ উদ্দেশ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করায় বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৯/৩১১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ্দারব ২১/৩৮৯)। উল্লেখ্য, দারিদ্রের ভ
উত্তর : মহিলাদের জন্য হালকা সুগন্ধিযুক্ত লোশন ব্যবহারে দোষ নেই। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এর সাথে (মদীনা থেকে) মক্কায় সফর করেছি এবং ইহরামের সময় আমরা আমাদের কপালে ‘সুক্ক’ (السُّكّ) নামক সুগন্ধি (মহিলাদের ব্যবহৃত সুগন্ধি বিশেষ, যা বাইর
উত্তর : মিসওয়াকের উদ্দেশ্য হচ্ছে মুখ পরিষ্কার করা (বুখারী হা/২৭; মিশকাত হা/৩৮১)। একই উদ্দেশ্যে পেষ্ট-ব্রাশ ব্যবহৃত হয়। সুতরাং টুথপেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করলেও মিসওয়াকের সুন্নাত পালন হবে এবং হাদীছে বর্ণিত ফযীলত পাওয়া যাবে। আর ‘মিসওয়াক’ দ্বারা প্রচল
উত্তর : উক্ত কাজ সঠিক হয়নি। ছালাতে শিশুদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া উত্তম। এতে শৈশব থেকেই তাদের মসজিদে ছালাত আদায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেকারণ নববী যুগে শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়ার প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শিশুর ক্রন্দন শুনে ছালাত সংক্ষিপ্ত করেছেন&nb
উত্তর : প্রতিবেশীর হক উভয়ের জন্য সমান। তবে মুসলমানদের তুলনায় কম। প্রতিবেশী তিন প্রকার: (১) মুসলিম আত্মীয় প্রতিবেশী যার তিনটি হক রয়েছে। মুসলমান হিসাবে। আত্মীয় হিসাবে ও প্রতিবেশী হিসাবে (২) মুসলিম প্রতিবেশীর জন্য দু’টি হক রয়েছে। মুসলিম হিসাবে ও প্
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি হীন ক্লেশকর কাজ। এর দ্বারা মানুষ তার চেহারাকেই ক্লান্ত করে ফেলে। তবে শাসকের নিকট কিছু চাওয়া বা এমন অবস্থায় চাওয়া, যখন কোন গত্যন্তর নেই, তাহ’লে
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না এবং উক্ত উপলক্ষে এলাকার দোকানের দেওয়া কোন ছাড় গ্রহণ করাও যাবে না। কারণ সেখানে গমন করলে এবং ক্রয়-বিক্রয় করলে তাদের ধর্মীয় উৎসবকে সম্মান করা হবে এবং তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে। অথচ আল্লাহ নেকীর ক
উত্তর : বিভিন্ন বর্ণনা থেকে পাওয়া যায় যে, রাসূল (ছাঃ) বড় বড় পাত্রে দু’হাত ডুবিয়ে পানি পান করেছেন। যেমন, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পেয়ালাটি তার দুই হাতে নিয়ে মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আবু হুরায়রা! এখন তুমি
উত্তর : একই আমল একাধিক নিয়তে করা যাবে। কেউ মাসিক আইয়ামে বীযের ৩দিন ও সাপ্তাহিক সোম ও বৃহস্পতিবারে দু’টি ছিয়ামের নিয়ত করে ছিয়াম পালন করলে উভয় ছিয়ামের ছওয়াব পেয়ে যাবে। অনুরূপভাবে কেউ তার রামাযানের ক্বাযা ছিয়ামগুলো আইয়ামে বীয বা সাপ্তাহিক ছিয়ামের দ
উত্তর : কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা এমন কোন বক্তব্য প্রমাণিত নয়। অতএব এরূপ আকবীদা পোষণ করা যাবে না।প্রশ্নকারী : ইশরাত জাহান, ঢাকা।
উত্তর : কবরস্থানে চাষাবাদ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় এরূপ রীতি ছিল না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৪০৭)। প্রশ্নকারী : যয়নাল আবেদীন, উত্তর দিনাজপুর, ভারত।
উত্তর : এতে কোন দোষ নেই। তাছাড়া কোম্পানীর জ্ঞাতসারে খাবার ও ভাড়ার টাকা ব্যবহার না করলেও দোষ নেই। তবে এরূপ বরাদ্দ না থাকলে প্রতিষ্ঠানের অজ্ঞাতসারে এটি নেওয়া যাবে না।প্রশ্নকারী : মি‘রাজুল ইসলাম, মিরপুর, ঢাকা।
উত্তর : সাধ্যমত দৃষ্টি অবনত রাখবে এবং তাকানো থেকে বিরত থাকবে। কারণ দৃষ্টিপাত মনের মধ্যে কামনার ফিৎনা সৃষ্টি করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা হ’ল (বেগানা) নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৮৬)।শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস কর
উত্তর : পারবে। কারণ দুধ পান সম্পর্কিত মাহরাম কেবল তার জন্য সাব্যস্ত হবে যে দুধ পান করেছে। অতএব দুধ পানকারীর অন্যান্য ভাই-বোনদের জন্য দুগ্ধদানকারীর আত্মীয়রা মাহরাম সাব্যস্ত হবে না (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘‘আলাদ্দারব ১৯/২)। আল্লাহ বলেন, তোমাদ
উত্তর : ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে সাধ্যমত সঠিক উচ্চারণে তেলাওয়াত করবে এবং অবশ্যই সূরা ফাতিহা সঠিক ভাবে পাঠ করবে। কেননা এটি ব্যতীত ছালাত হয় না’ (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৮২২; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)।প্রশ্নক
উত্তর : এটা জায়েয হবে না। শরী‘আতে যৌথ ব্যবসার পদ্ধতি দু’টি- (১) মুশারাকা : দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বিনিয়োগ করবে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ অনুযায়ী লাভ-লোকসান বণ্টিত হবে (দারাকুৎনী হা/৩০৭৭) (২) মুযারাবা : একজনের অর্থে অপরজন ব্যবসা করবে। লভ্যাংশ
উত্তর : শাব্দিক অর্থে পার্থক্য থাকলেও পারিভাষিক অর্থে ঈমান ও আক্বীদার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। ঈমান হ’ল মুখে স্বীকৃতি, হৃদয়ে বিশ্বাস এবং কর্মে বাস্তবায়নের নাম। আর আক্বীদা হ’ল অন্তরের অভিপ্রায়, ইচ্ছা ও সংকল্পের নাম। মূলত ঈমান হ’ল আম এবং আক্বীদা হ’
উত্তর : সাধারণভাবে কোন নাপাকী কাপড়ে লেগে গেলে তা ধুয়ে নিয়ে ছালাত আদায় করবে। আর ধুলা-বালি বা কাদা-মাটি কাপড়ে লেগে থাকলে তা কাপড়কে নাপাক করে না। বরং পরের ধুলা সেটি বিনষ্ট করে দেয় (আবুদাঊদ হা/৩৮৩; মিশকাত হা/৫০৪)। আর কাপড়ে স্পষ্ট কোন নাপাকী দেখ
উত্তর : শয়তান ওয়াসওয়াসা দিয়ে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে দূরে রাখতে চায়। এজন্য ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে হ’লে- (১) শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে (আ‘রাফ ৭/২০০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শয়তান তোমাদের কারো কারো নিকটে আসে এবং (বিভিন্ন ব্যা
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন সত্যতা নেই। বরং পৃথিবীর যে প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পান করবে সেখানেই এর বরকত লাভ করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৭/২৯৯)। উল্লেখ্য যে, যমযমের পানি পানের নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যমযমের পানি যে উ
উত্তর : যমযমের পানির সাথে অন্য পানি মিশানো দোষণীয় নয়। তবে অন্যকে মিশ্রিত পানি পান করালে বা হাদিয়া দিলে তাকে সেটা জানাতে হবে। নইলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হ’তে পারে। আর যমযমের পানির সাথে অন্য পানি মিশালে এর গুণগত মান অবশিষ্ট থাকে কি-না তা বৈজ্ঞানিকভ
উত্তর : সুন্নাত হচ্ছে নারী পুরুষের সম্মিলিত জামা‘আতে ইমাম ভুল করলে পুরুষেরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে এবং নারীরা বাম হাতের পিঠের উপর ডান হাত মারবে (বুখারী হা/১২০৩; মিশকাত হা/৯৮৮)। তবে যদি নারীদের জামা‘আতে নারী ইমাম ভুল করে বা নারী তার পুরুষ মাহরা
উত্তর : নতুন কাপড়ের মাধ্যমে হৌক বা পরিহিত কাপড় পরিষ্কার করার মাধ্যমে হৌক নারী বা পুরুষের যে কেউ ইহরাম অবস্থায় কাপড় পরিবর্তন করতে পারে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/৪০০; দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘হজ্জ ও ওমরাহ’ বই পৃ. ৬১)।প্রশ্নকারী : ক্বাযী হ
উত্তর : ‘তাহাজ্জুদ শুরু করলে আর ছাড়া যাবে না এবং ছাড়লে গুনাহ হবে’ মর্মে প্রচলিত কথাটি ভিত্তিহীন। তবে নিয়মিত পড়াই উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তোমরা রাতের ছালাত ছেড়ে দিয়ো না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এ ছালাত ছাড়তেন না। যখন তিনি অসুস্থ বা দুর্বল বোধ করতেন তখন
উত্তর : অপবিত্র পানি বা তরল কোন বস্ত্ত শরীরে বা কাপড়ে লেগে গেলে সিক্ত স্থান সাধ্যমত ধুয়ে ছালাত আদায় করবে। তবে এতে ওযূ নষ্ট হবে না (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৫/২৫৩)।প্রশ্নকারী : ইমরান ফরহাদ, রাজশাহী।
উত্তর: ঘরে কোন প্রাণীর ছবি টাঙিয়ে রাখা যাবে না। কারণ যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। তবে ছবি যদি বইয়ের ভিতরে থাকে বা কোন কিছু দ্বারা ঢেকে রাখা হয় বা জীবের অবয়ব মুছে ফেলা হয় তাহ’লে সে ঘরে ছালাত আদায়ে কোন দোষ নেই। আর এরূপ ঘরে
উত্তর : পুনরায় বিবাহ করতে হবে না। প্রথম বিবাহই যথেষ্ট (মুগনী ৫/৬৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৯০)।প্রশ্নকারী : সোহরাব হোসাইনআল-ক্বাছীম, সঊদী আরব।
উত্তর : ঘটককে নয় বরং সরাসরি বর বা কনেকে দেখা বা অভিভাবকের মাধ্যমে ছবি আদান প্রদান করা যাবে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, আমি আনছারদের এক মেয়েকে বিবাহ করতে চাই। তিনি বললেন, তুমি তাকে প্রথমে দেখে নাও। কারণ আনছার মহিলাদের চোখে দোষ থাকে&nb
উত্তর: চল্লিশ দিনের মধ্যে গোঁফ ছাটা, বগলের লোম উপড়ানো ও নাভীর নীচের লোম কাটা সুন্নাত (মুসলিম হা/২৫৮; মিশকাত হ/৪৪২২)। তবে প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করা উত্তম (শারহুস সুন্নাহ হা/৩১৯৭; কাশশাফুল ক্বেনা‘ ১/৭৭)।প্রশ্নকারী : মহিবুল ইসলাম, ন
উত্তর : সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, যারা সূদ খায়, সূদ দেয়, সূদের হিসাব লেখে এবং সূদের সাক্ষ্য দেয়, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের উপর লা‘নত করেছেন এবং অপরাধের ক্ষেত্রে এরা সকলেই সমান’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)।
উত্তর: ছালাতের ভিতরে নারীর সাদাস্রাব শুরু হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ছালাত ছেড়ে দিয়ে ওযূ করে নতুনভাবে ছালাত আদায় করবে (দারেমী হা/১১৪১; নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৪)। উল্লেখ্য যে, যে হাদীছে বলা হয়েছে যে, আগের ছালাতের সাথে মিলিয়ে ছালাত সম্পূর্
উত্তর : নিজের একাউন্ট থেকে ছবি ও ভিডিও মুছে করে ফেলুন এবং যার কাছে আছে, সেও যেন মুছে ফেলে। নইলে অশ্লীলতা প্রচারের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে (নূর ২৪/১৯)। মনে রাখতে হবে যে, অনুতপ্ত হওয়ার সাথে আন্তরিক তওবা আল্লাহ কবুল
উত্তর: যারা ইসলামের বিরোধিতা করে না বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না, তাদের সাথে বন্ধুত্বে কোন দোষ নেই (মুমতাহিনাহ ৬০/০৮)। তবে তাদের প্রতি বিশেষ মহববত ও ভালোবাসা রেখে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না এবং কোনভাবেই তাদের ধর্মীয় কাজে সহযোগিতা
উত্তর : হাদীছে বর্ণিত মনের যেনা বলতে যেনার পরিকল্পনাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কেউ যদি নির্দিষ্টভাবে কারো সাথে যেনা করার সংকল্প করে এবং বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে তাহ’লে সে রূপক অর্থে যেনাকার হিসাবে গুনাহগার হবে (নববী, শরহ মুসলিম ১৬/২০৬)।
উত্তর : মসজিদের জায়গায় হারাম কোন কাজ করা বা মাদক সেবন করা নিষিদ্ধ। এক্ষণে মসজিদ কমিটির দায়িত্ব হ’ল তাদেরকে বাধা দেওয়া। তারা এ ব্যাপারে সচেতন না হ’লে এবং ব্যবস্থা না নিলে গুনাহগার হবেন।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ পলাশ, পাংশা, রাজবাড়ী।
উত্তর: যমযমের পানি পানের সময় ১. বিসমিল্লাহ বলবে, ২. ডান হাতে পান করবে, ৩. তিন নিঃশ্বাসে পান করবে. ৪. দো‘আ পাঠ করবে।উল্লেখ্য যে, যমযম পানি কেবলামুখী হয়ে পান করার ছহীহ দলীল নেই। বরং যমযমের পানিসহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত (মুসলিম হা/২০২৪
উত্তর : জুম‘আর দিনে আখেরী যোহর নামে কোন ছালাত নেই। বরং জুম‘আর পরে সুন্নাত ছালাত রয়েছে। তা দুই, চার বা ছয় রাক‘আত পর্যন্ত পড়া যায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন জুম‘আর ছালাত আদায় করে, তখন সে যেন তারপরে চার রাকা‘আত (সুন্নাত) ছালাত আদায় কর
উত্তর : মর্যাদার মাপকাঠি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রূপ হ’তে পারে। যেমন (১) পদমর্যাদা : আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের (নিসা ৪/৫৯)। (২) ইলম : আল্লাহ বলেন, তুমি বল, যারা জানে এ
উত্তর : পিতার অনুমতি ও ভাই-বোনসহ অন্যান্য ওয়ারিছদের সম্মতি থাকলে পিতার জীবদ্দশায় বড় ভাই তার নিজের ভাগ বুঝে নিয়ে বাড়ি বানাতে পারেন। যা তিনি পিতার মৃত্যুর পর পুনরায় দাবী করতে পারবেন না। যেমন ছাহাবী সা‘দ বিন ওবাদা (রাঃ) তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর যাবতীয় স
উত্তর : কোন পুকুর বা ঘেরের মাছ তা শনাক্ত করা সম্ভব হ’লে মালিককে ফেরৎ দিবে। নইলে ঐ মাছ ধরা ও খাওয়া জায়েয। কারণ তখন তা আর কারো মালিকানায় থাকে না (ইমাম মালেক, আল-মুদাউবেনা ৪/৪৭৩)।প্রশ্নকারী : আব্দুল আহাদ, মোহনপুর, রাজশাহী।
উত্তর : কেউ ভালো কাজ করার নিয়ত করলে সে তা পূরণ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের মানত করে, সে যেন অবশ্যই তা আদায় করে। আর যে ব্যক্তি তাঁর নাফরমানীর মানত করে, সে যেন অবশ্যই তা না করে’ (ব
উত্তর : বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত হ’ল অলী উপস্থিত থাকা এবং তার সম্মতি থাকা। উক্ত বিবাহে দুই জন বালেগ সন্তান সাক্ষী থাকলেও অলী না থাকায় বিবাহ শুদ্ধ হয়নি (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমমে‘ ১৩/৩২৪, ১২/৯৯)। আর দু’জন বালেগ সন্তানের একজন অলী এবং অপরজন স
উত্তর : কোন ব্যক্তি বিশুদ্ধ নিয়তে ছওয়াবের আশায় কাউকে মানবতার জন্য علم نافع বা উপকারী কোন শিক্ষা দান করলে সে আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল সৃষ্টজীবের দো‘আয় শামিল হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ, ফেরেশতাকুল, আসমানসমূহ ও যমীনের অধিবাসীগণ এ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) তার সমগ্র জীবনে চারটি ওমরা এবং একটি হজ্জ করেছেন (মুসলিম হা/১২৫৩; তিরমিযী হা/৮১৫)। তবে হজ্জ ফরয হওয়ার পূর্বে মক্কায় থাকা অবস্থায় তিনি একাধিকবার হজ্জ করেছেন মর্মে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু তা শরী‘আতের বিধান হিসাবে আসার
উত্তর : ইহুদীরা বহু নবীকে হত্যা করেছিল। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা নিজেদের উপর আল্লাহর গযবকে ফিরিয়ে নিল। এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহে অবিশ্বাস করত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত’ (বাক্বারাহ ২/৬১)। তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু তাদের অঙ্গীকা
উত্তর : হায়েয বন্ধের বহুদিন পরেও কালো রক্ত দেখা দিলে তা হায়েয হিসাবে গণ্য হবে। কারণ হায়েয়ের রক্ত কালোও হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন হায়েযের রক্ত আসবে তখন তা কালো হয়, যা সহজে চেনা যায়। এ রক্ত দেখলে ছালাত আদায় করবে না (আবুদাউদ হা/৩০৪; মিশ
উত্তর : হানযালা ইবনু ছাফওয়ান নামের একজন নবীর কথা কিছু বর্ণনায় পাওয়া যায়। কিন্তু বর্ণনাগুলোর সনদ যঈফ হওয়ায় বিদ্বানগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কুরআনে যেভাবে এসেছে সেভাবে বিশ্বাস করার বিষয়টি তারা গুরুত্বারোপ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের পূর্বে ম
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। হিন্দু বা সনাতন ধর্ম কোন আসমানী ধর্ম নয়; বরং তাদের ধর্মগুরুদের রচিত ধর্ম মাত্র। আর ইসলামই প্রথম ও প্রাচীনতম ধর্ম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মনোনীত একমাত্র দ্বীন হ’ল ইসলাম (আলে ইমরান ৩/১৯)। তিনি আরো
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ যঈফ (আবুদাউদ হা/৫৩০; মিশকাত হা/৬৬৯)। সুতরাং এসময় বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত দো‘আসমূহ পাঠ করবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/১৬)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ গিয়াছুদ্দীন, ইব্রাহীমপুর, ঢাকা।
উত্তর : কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে হিসাবরক্ষক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারে (খারশী, শারহু মুখতাছারু খলীল ৭/১৯৪)। তবে কাউকে না জানিয়ে ক্যাশ থেকে কোন টাকা নেওয়া খেয়ানত হিসাবে গণ্য হবে। কারণ হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংরক্ষণ করা। বরং ব
উত্তর : যাবে না। কারণ এতে অন্যায় কাজে সহায়তা করা হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তি দানকারী (মায়েদাহ ৫/২)।প্র
উত্তর : স্ত্রী স্বামীর ঋণের টাকা পরিশোধে বাধ্য নয়। কেননা স্ত্রী ও সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব স্বামীর উপর। তবে স্ত্রী স্বামীর সংসারে ব্যয় করে স্বামীর প্রতি ইহসান করতে পারে। আবূ সাঈদ খুদরী বলেন, ইবনু মাসঊদের স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট
উত্তর : জমি ইজারা বা ভাড়া দেওয়া যায়। বর্গাও দেওয়া যায় (নাসাঈ হা/৩৮৯৪; আহমাদ হা/১৫৪২)। এসব ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতিতে চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ ভক্ষণ কর না, উভয়ের সন্তুষ্টিতে ব্যবসার
উত্তর : কোন অমুসলিম মসজিদে শর্তহীন দান করলে তা গ্রহণে কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের শর্তহীন অনুদান বা হাদিয়া গ্রহণ করতেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৪৯৯)। তাছাড়া মুসলিম রাষ্ট্রের এমপি রাষ্ট্রীয় সম্পদ থেকে অনুদান দিলে সেটা অমুসলি
উত্তর : ওয়াক্তের মধ্যে পানি পাওয়ার সম্ভবনা না থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (মায়েদাহ ৫/৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৫/৩৪২)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার আ
উত্তর : শারঈ পর্দার বিধান মেনে মহিলারাও ব্যবসা করতে পারে এবং ব্যবসায় স্বামীকে সহযোগিতা করতে পারবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৮/১০৭)।প্রশ্নকারী : মাসঊদ, ভোলাহাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : স্বামীর মৃত্যুজনিত কারণে স্ত্রী ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালনকালে সব ধরনের সৌন্দর্য বর্জন করবে। এর মধ্যে গহনাও শামিল (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২/১৯)। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেন, যে রমণীর স্বামী মারা গেছে, সে (ইদ
উত্তর : সম্মানের জন্য স্ত্রীর পিতা-মাতাকে বা স্বামীর পিতা-মাতাকে আববা-আম্মা বলে সম্বোধন করাতে কোন দোষ নেই। কারণ তারা পিতা ও মাতা সমতুল্য (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ২১/১২৫)। উল্লেখ্য যে, নিজের পিতা-মাতাকে বাদ দিয়ে অন্যকে আসল পিতা-মাত
উত্তর : নারী-পুরুষ তাদের দেহের কোন প্রকার বিকৃতি না ঘটিয়ে এবং শরী‘আত নিষিদ্ধ কাজ না করে রূপচর্চা করতে পারে। যেমন ভ্রূ উপড়াবে না, দুই দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করবে না বা আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন হয় এমন কাজ করবে না ইত্যাদি (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূ
উত্তর : আকদ সংঘটিত না হওয়া পর্যন্ত কোন মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখা যাবে না। কারণ তার সাথে বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্কটা গায়রে মাহরাম নারীর মতই। উল্লেখ্য যে, বিবাহ ঠিক করে দীর্ঘ দিন আকদ না করা এবং বিবাহবিহীন যোগাযোগ রক্ষা করা অনৈসলামিক সংস্কৃতি, যা
উত্তর : ধুলা-বালি বা ঘাস-পাতা ইত্যাদি পানিতে পড়ার কারণে পানি নাপাক হয় না; যতক্ষণ না এর রং, গন্ধ বা স্বাদের পরিবর্তন হয়। সেজন্য পানি অপবিত্র হওয়ার নিশ্চিত প্রমাণ না পেলে সে পানি দিয়েই ওযূ করে ছালাত আদায় করবে (মুগনী ১/২৫; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতা
উত্তর : পাপ থেকে বিরত থাকবে এবং কাফফারা দিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানত দু’প্রকার। অতএব যে ব্যক্তি নেক কাজের জন্য মানত করবে, তা কেবল আল্লাহর জন্য হবে। আর যে ব্যক্তি গুনাহের কাজের জন্য মানত করে, তা কেবল শয়তানের জন্য হবে। এই জাতীয় মানত পূরণ করতে নেই
উত্তর : যেকোন সম্মানজনক এবং ভালো কাজে রাসূল (ছাঃ) ডান হাত এবং ডান পা এবং ছোট কাজে বাম হাত ও বাম পা ব্যবহার করতেন (আবুদাউদ হা/৩২; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৯১২)। যেমন ওযূ, গোসল, লেনদেন, খাবার গ্রহণ, মুছাফাহা, মসজিদে প্রবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডান হাত ও
উত্তর : নবী-রাসূলগণের জীবনীতে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসকে কামনা করে ও অধিকহারে আল্লাহকে স্মরণ করে (আহযাব ৩৩/২১)।
উত্তর : কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত দায়িত্বশীল। সুতরাং প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ব্যতীত কৌশলে অতিরিক্ত লাভ করা ঘুষ গ্রহণের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিযুক্ত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করলে তা হবে খেয়ানত
উত্তর : পূর্বের স্বামী তালাক না দেওয়া পর্যন্ত এবং তালাক শেষে ইদ্দত পালন সম্পন্ন না হ’লে আরেকজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে না। তবে স্ত্রী যদি স্বামীর নিকট হ’তে খোলা‘ নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এক ঋতুকাল ইদ্দত পালন করে তাহ’লে অন্যত্র বিব
উত্তর : এভাবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েয নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন পুরুষ কোন পরনারীর সাথে নির্জনে কথা বলে, তখন সেখানে তৃতীয়জন থাকে শয়তান’ (তিরমিযী হা/১১৭১; মিশকাত হা/৩১১৮)। আর মোবাইলে কোন পরনারীর সাথে নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা শ
উত্তর : মালাকুল মাউত বা আযরাঈল কারো জান কবয করতে গিয়ে কেঁদেছেন মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং মালাকুল মাউতের কান্না সম্পর্কে যে বর্ণনাগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হয় কিচ্ছা-কাহিনী, না হয় ইস্রাঈলী বর্ণনা (আবুশ শায়েখ আছবাহানী, আল-‘আযমাহ হা/৪৪
উত্তর : ‘ওযূ ব্যতীত ছালাত কবুল হয় না’ (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০১)। ওযূ ভঙ্গের কারণে কাতার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর ইমামের সুতরাই মুক্তাদীদের সুতরা। অতএব মুক্তাদীদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে আসা দোষের নয়। এক্ষণে যদি কাতার থেকে বের হওয়ার সুযোগ না
উত্তর : সাধারণভাবে যেকোন গুনাহগার মুসলিমের মাগফিরাতের জন্য দো‘আ করা যাবে (নাসাঈ হা/১৯৬৪; নববী শরহ মুসলিম ৭/৪৮)। তবে কেউ যদি এমন স্পষ্ট শিরকে লিপ্ত হয় যা ইসলাম থেকে বের করে দেয় তাহ’লে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নবী ও
উত্তর : কতিপয় বিদ্বান ওযূর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করাকে মুস্তাহাব বলেছেন (আল-মাওসূ‘আতিুল ফিকহিয়া ৪৩/৩৭৮)। কারণ আলী (রাঃ) একদিন যোহরের ছালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে কূফা মসজিদের চত্বরে বসে পড়লেন। অবশেষে আছরের ছালাত আ
উত্তর : এরূপ বক্তব্য সঠিক নয়। বরং যোহরের সুন্নাত বাড়ীতে বা মসজিদে যেখানেই হোক চার বা দুই রাক‘আত আদায় করবে (বুখারী হা/৯৩৭; মিশকাত হা/১১৬০; আবুদাউদ হা/১২৬৯; মিশকাত হা/১১৬৭)। উভয় আমলই শরী‘আত সম্মত।প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক, নওগাঁ।
উত্তর : নফল বা ফরয কোন ছালাত শুরুর পূর্বে বিশেষ কোন দো‘আ বর্ণিত হয়নি। বরং ছালাতে তাকবীরে তাহরীমার পর ছানা হিসাবে বিভিন্ন দো‘আ বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর কোন একটি পাঠ করলে যথেষ্ট হবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/১৬৫, ৮/১৬৭, ১০/১২)।প্রশ্নকা
উত্তর : যদি বিচারক হিসাবে হককে হক হিসাবে আর বাতিলকে বাতিল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, হককে তার প্রাপকের নিকটে পৌঁছে দেয়ার এবং মযলূমকে সাহায্য করার সুযোগ থাকে এবং তা বাস্তবায়ন করা যায়, তাহ’লে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে শরী‘আতে বাধা নেই। আল্লাহ বলে
উত্তর : সর্বাবস্থায় নেক আমল করতে হবে এবং তাক্বদীরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস করতে হবে। কারণ তাক্বদীরে বিশ্বাস না করলে মানুষ যেকোন ব্যর্থতায় অস্থির হয়ে পড়ে। কিন্তু মুমিন কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না। সে কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের ব্যাপা
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিমদের কাছে জমি বিক্রয়ে বাধা নেই (বুখারী হা/২০৯৬; মুসলিম হা/১৬০৩)। তবে যদি জানা যায় যে, এই জমি ক্রয় করে অমুসলিমরা শিরক করবে বা মূর্তিপূজা করবে, অথবা ভবিষ্যতে নিজের জন্য দ্বীন পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে, তাহ’লে তাদের নিকট
উত্তর : শায়েখ আলবানী (রহঃ) বিভিন্ন দলীলের ভিত্তিতে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাওম’-কে ফজরের প্রথম আযানের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন, যা তাহাজ্জুদের আযান নামে খ্যাত এবং দ্বিতীয় আযানের সাথে সম্পৃক্ত করাকে বিদ‘আত ও সুন্নাত বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন (ত
উত্তর : কেউ মারা গেলে পরিবারের জন্য রান্না বন্ধ রাখা আবশ্যক নয়। তবে প্রতিবেশীদের উচিৎ শোকাহত পরিবারের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে অন্তত তিন দিন পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করা। জা‘ফর বিন আবী তালিব মু‘তার যুদ্ধে শহীদ হ’লে রাসূল (ছাঃ) তার পরিবারের জন্য খাবার
উত্তর : ইবনু ওমর (রাঃ) তার স্ত্রীকে ঋতু অবস্থায় তালাক দিলে সেটি গণ্য করা হয়নি (আবুদাঊদ হা/২১৮৫)। অতএব ঋতু অবস্থায় তালাক পতিত হবে না। স্বামী উক্ত বিষয়টি জানুন বা না জানুন। বরং জেনে-শুনে ঋতু অবস্থায় তালাক দিলে তিনি গুনাহগার হবেন (ওছায়মীন
উত্তর : সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরগুলো পাঠের সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে গ্রহণযোগ্য মত হ’ল, সন্ধ্যার যিকিরসমূহ আছরের পর থেকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত এবং সকালের যিকিরসমূহ ফজর উদয় থেকে ইশরাকের ছালাতের ওয়াক্ত পর্যন্ত পাঠ করা যায়। আল্লা
উত্তর : যেকোন ওযরে ছালাতের ভিতর প্রথম ইমাম মুছল্লীদের মধ্য হ’তে পিছন থেকে যে কাউকে ইমাম বানাতে পারেন। ওমর (রাঃ) ছালাতে শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হ’লে তিনি আব্দুর রহমান বিন ‘আওফকে ইমাম বানিয়ে পিছনে সরে যান এবং আব্দুর রহমান ছালাত শেষ করেন। কিন্তু তিনি
উত্তর : বিভিন্ন কারণে ভূমিকম্প হয়ে থাকে। যেমন- (১) কখনও আল্লাহ মুসলমানদের সতর্ক করা ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য ভূমিকম্প দেন (ইসরা ১৭/৫৯)। (২) কখনো আল্লাহ নিজের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভূমিকম্প পাঠান (বুখারী হা/১০৫৯; মিশকাত হা/১৪৮৪)। (৩) কখনও
উত্তর : ছালাতে কাতারের ডানে দাঁড়ানোর ফযীলতে বর্ণিত হাদীছগুলি যঈফ (তামামুল মিন্নাহ ১/২৮৮; যঈফ আবুদাউদ হা/১০৪; সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, টেপ নং ১৬৯)। ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, একাধিক মুছল্লী থাকা অবস্থায় ইমামের ডানে দাঁড়ালে বিশেষ ফযীলতের কোন দলী
উত্তর : সরাসরি কোন জিন কোন মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে না। সে স্বপ্নে কিছু করতে পারে বা ওয়াসওয়াসা দিতে পারে। তবে কোন কোন বিদ্বান বলেন, জিনেরা আমলহীন পুরুষ বা নারীর সাথে মিলন করতে সক্ষম। সেটা তিনটি পদ্ধতিতে হ’তে পারে। ১. স্বপ্নের মাধ্য
উত্তর : ইদ্দত পালন শেষে স্ত্রী যদি জানতে পারে যে, তার পেটে সন্তান রয়েছে তাহ’লে তার ইদ্দতকাল হবে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। আল্লাহ বলেন, গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল হবে গর্ভ খালাস হওয়া পর্যন্ত (তালাক ৬৫/৪)। উক্ত সন্তানের মালিক হবে পূর্বের স্বামী
উত্তর : লজ্জাস্থান থেকে হালকা পানি বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ। সুতরাং ওযূ করার পর কারো লজ্জাস্থান থেকে কোন তরল পদার্থ বের হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় সে ছালাত ছেড়ে দিয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে পুনরায় ওযূ করবে এবং কাপড়ের উপরে পানির ছিটা দিয়ে ছালাত আ
উত্তর : শরী‘আত বিরোধী নয় স্বামীর এমন যেকোন আদেশ-নিষেধ পালন করা স্ত্রীর কর্তব্য। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, আনুগত্যের ক্ষেত্রে বিবাহিতা নারীর জন্য পিতা-মাতার উপর স্বামীই অগ্রগণ্য (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/২৬১)।এক্ষণে স্বামীর কোন কথা বা কাজ অকল্যাণ
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআন বা হাদীছে স্পষ্ট কোন বর্ণনা নেই। বরং তাফসীর ইবনু জারীরে সূরা ছোয়াদ ৩১ আয়াতে বর্ণিত الصَّافِنَاتُ (দ্রুতগামী অশ্বরাজি) শব্দের তাফসীরে কয়েকটি মতামত উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ইবনু যায়েদ বলেন,وَكَانَتْ لَهَا أَجْنِحَةٌ ‘ঘোড়াগুল
উত্তর : শিশুর বয়স দশ বছর হয়ে গেলে বিছানা আলাদা করতে হবে। যেমন ছেলে শিশু থেকে মায়ের বিছানা, মেয়ে শিশু থেকে পিতার বিছানা কিংবা ভাই-বোন পরস্পরের বিছানা আলাদা হওয়া আবশ্যক। এক্ষণে জায়গার সংকটের কারণে কখনও মা তার ছেলে সন্তানকে নিয়ে একই বিছানায় ঘুমাতে
উত্তর : মুসাফির হিসাবে গ্রামের বাড়িতে ছালাত জমা‘ ও ক্বছর করা যাবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/৩৪; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৮৭ পৃ.)। যদিও তার সফর নিজ গ্রামের বাড়ি বা জন্মস্থানে হোক না কেন। এক্ষেত্রে তার বর্তমান অবস্থানই মুক্বীম হওয়ার স্
উত্তর : ভাই তার বোনকে বয়োজ্যেষ্ঠ হিসাবে শাসন বা নছীহত করতে পারবে। বিশেষত পিতা-মাতার অবর্তমানে বা তাদের অনুমতিক্রমে ভাই তার বোনকে আদব শিক্ষা দেওয়ার জন্য শাসন করতে পারে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/২১-২২)। উল্লেখ্য যে, শাসনের নামে শারীরিক নির্
উত্তর : কোন নারীকে মডেল বানিয়ে কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া জায়েয নয়। কারণ নারী প্রদর্শনীর বস্ত্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নারীরা পর্দার মানুষ। যখন সে বাড়ি থেকে বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে সুশোভিত করে তোলে (তিরমিযী হা/১১৭৩; মিশকাত হা/
উত্তর : বাচ্চা প্রসব করতে গিয়ে কোন মুসলিম নারী মারা গেলে সে শহীদের মর্যাদা পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর পথে (জিহাদে) নিহত হওয়া ছাড়া আরো সাত ব্যক্তি শহীদ হয়; প্লেগ রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ, ডুবে গিয়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, ফুসফুসের প্রদাহ বা যক্ষ্মা র
উত্তর: ছাদাক্বা দুই প্রকারের। (১) ঐ যাকাত, যা হকদার ব্যতীত অন্যদের জন্য হারাম। চাই সে শিক্ষক হৌক বা ছাত্র হৌক। তবে যাকাতের হকদার তার যাকাতের সম্পদ থেকে কোন ধনীকে দাওয়াত করে খাওয়ালে তাতে দোষ নেই। যেমন বারীরা (রাঃ)-এর যাকাতের অংশ থেকে রাসূল (ছাঃ)
উত্তর: ছাদাক্বা দুই প্রকারের। (১) ঐ যাকাত, যা হকদার ব্যতীত অন্যদের জন্য হারাম। চাই সে শিক্ষক হৌক বা ছাত্র হৌক। তবে যাকাতের হকদার তার যাকাতের সম্পদ থেকে কোন ধনীকে দাওয়াত করে খাওয়ালে তাতে দোষ নেই। যেমন বারীরা (রাঃ)-এর যাকাতের অংশ থেকে রাসূল (ছাঃ)
উত্তর: প্রথমতঃ ভাইকে সঠিক হিসাব প্রদানের জন্য নিজে বা কাউকে দিয়ে অনুরোধ জানাবে এবং সামাজিকভাবে চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ ইসলাম পারস্পরিক কল্যাণকামিতার ধর্ম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দ্বীন হ’ল কল্যাণ কামনার নাম। আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আললাহর জন্য
উত্তর: ঋণদাতাকে ঋণগ্রহীতা তুচ্ছ কোন হাদিয়া দিলেও সেটি গ্রহণ করা সূদ’ (বুখারী হা/৩৮১৪; মিশকাত হা/২৮৩৩)। অতএব ঋণদাতার সন্তুষ্টির জন্য বিশেষভাবে দাওয়াত দেয়া যাবে না। তবে যদি তাদের মধ্যে আগে থেকে সাধারণ যাতায়াত ও খাওয়া-দাওয়া থাকে তবে দাওয়াত খাও
উত্তর: স্বামী জীবিত থাকায় এবং সন্তান না থাকায় স্বামী পাবেন মৃত স্ত্রীর মোট সম্পত্তির অর্ধেক। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তোমরা অর্ধেক পাবে, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি থাকে, তবে তোমরা সিকি পাবে, তাদের অছিয়ত পূরণ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য শব্দে শব্দে সঠিক নয়, তবে মর্মের দিক দিয়ে সঠিক। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, বাড়িতে একাকী নিভৃতে সুন্নাত বা নফল ছালাত আদায় করলে অনুরূপ ছওয়াব পাওয়া যায়, যেরূপ ফরয ছালাত একাকী আদায়ের চেয়ে মসজিদে জামা‘আতের সাথে আদায় করলে পাওয়া যায়&nb
উত্তর: এতে বাধা নেই। কারণ এর অর্থ হচ্ছে তার জন্য জান্নাতের দো‘আ করা। আবু নুহায়লা (রহঃ)-কে বলা হ’ল, আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! রোগ কমিয়ে দিন, কিন্তু ছওয়াব কমাবেন না। তাকে বলা হ’ল, আরো দো‘আ করুন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! আমাকে আপনা
উত্তর: কাজের পারিশ্রমিক মালিক এবং শ্রমিকের সন্তুষ্টি অনুযায়ী আদান প্রদান করতে হবে। আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসা ব্যতীত (নিসা ৪/২৯)। তাছাড়া অন্যান্য হাদীছগুলোতে ছা‘-এর উল্
উত্তর : চন্দ্র মাসের ১৭, ১৯ বা ২১ তারিখে হিজামা করানো মুস্তাহাব। কারণ এই দিনগুলোতে রাসূল (ছাঃ) হিজামা করাতেন। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কাঁধের দু’পার্শ্বে এবং কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে শিঙ্গা লাগাতেন এবং তিনি ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখে শিঙ্গা লাগ
উত্তর : যেহেতু রূহই মানুষের মৌলিক বিষয়, সেজন্য আমাদের দেশে মৃত ব্যক্তির রূহের মাগফিরাত কামনার প্রচলন রয়েছে। তবে হাদীছের বর্ণনায় দেখা যায়, রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম রূহ নয়; বরং ব্যক্তির নাম ধরেই দো‘আ করতেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, হে আল্লাহ! তু
উত্তর : পেশা হিসাবে বই বিক্রয়ের পেশা নিঃসন্দেহে হালাল ও উত্তম। এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ দ্বীন প্রচারে বড় ভূমিকা রাখা যায়। যা সর্বাধিক নেকী হাছিলের মাধ্যম। তবে শিরক ও বিদ‘আতের দিকে আহবানকারী বই-পুস্তক বিক্রি করলে কঠিন গুনাহের ভাগিদার হ’তে হবে। এটা তার
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে এরূপ চিকিৎসার কোন ভিত্তি নেই। এছাড়া ক্রোধ দমনে ওযূ করা সম্পর্কিত হাদীছটিও যঈফ (আবুদাঊদ হা/৪৭৮৪, যঈফাহ হা/৫৮২)। বরং রাগ কমানোর জন্য রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা যখন রেগে যাবে তখন আ‘ঊযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম&nb
উত্তর : শরী‘আতে বিবাহের পূর্বে এরূপ ওয়াদাবদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই পিতা-মাতার নির্দেশ মেনে নিতে হবে। কেননা শরী‘আত বিরোধী নির্দেশ ছাড়া অন্য সকল ব্যাপারে পিতা-মাতার আনুগত্য করা অপরিহার্য (নিসা ৪/৩৬; আনকাবূত ২৯/৮; ইসরা ১৭/২৩, ২৪, লোক্বমান
উত্তর : ভোক্তার নির্দেশনায় হ’লেও পাপের কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। কেননা আল্লাহ রাববুল আলামীন অন্যায় কাজে সহায়তা করতে নিষেধ করেছেন (মায়েদাহ ৫/২)।প্রশ্নকারী : কাওছার আযম, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।
উত্তর : হিজামাকে চিকিৎসা পেশা হিসাবে গ্রহণ করা এবং এর বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং তাকে মজুরী দিয়েছেন। যদি এটি হারাম হ’ত বা তিনি নিকৃষ্ট মনে করতেন, তবে তিনি মজুরী দিতেন না’ (বুখারী হা/২১
উত্তর : বোনের নাতনী নিজ নাতনী সমতুল্য, যে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনেয়ী’ (নিসা ৪/২৩)। উক্ত আয়াতে বোনের নাতনী ভাগিনেয়ীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্
উত্তর : গায়ের মাহরাম নারী ও পুরুষ পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হওয়াটা স্বভাবজাত। অতএব নারীর পর্দার জন্য তার সৌন্দর্য ধর্তব্য নয়। বরং প্রত্যেক নারীকে ইসলামী পর্দার বিধান মেনে চলতে হবে। আল্লাহ বলেন, আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে
উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। বরং দ্বীন হ’ল নছীহত (মুসলিম হা/৫৫; মিশকাত হা/৭৯৬৬)। পিতা বা অন্য যে কেউ ভুল করলে তার সংশোধনের কথা তাকে জানাতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুমিন তাঁর ভাইয়ের জন্য আয়না স্বরূপ। সে তার কোন ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়’&
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে চুমু দেওয়া জায়েয। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ওছমান বিন মাযঊনকে মৃত অবস্থায় চুম্বন করেন। তখন তিনি ক্রন্দনরত ছিলেন এবং তাঁর অশ্রু ওছমানের চেহারার উপর পড়ছিল’ (তিরমিযী হা/৯৮৯; আবুদাঊদ হা/৩১৬৩; মিশকাত হা/১৬২৩)। তিন
উত্তর : এরূপ কবীরা গোনাহ সমূহের মধ্যে রয়েছে। যেমন- (১) গণীমতের মাল আত্মসাৎকারী (আবুদাউদ হা/২৭১০; মিশকাত হা/৪০১১)। (২) আত্মহত্যাকারী (মুসলিম হা/৯৭৮)। (৩) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি (বুখারী হা/২২৯৫; মিশকাত হা/২৯০৯)। (৪) ছালাত পরিত্যাগকারী, (৫
উত্তর : ছালাতের ফরয হুকুমের প্রতি বিশ্বাস রেখে কেউ অলসতাবশত ছালাত পরিত্যাগ করলে সে কবীরা গুনাহগার হবে। যা থেকে অবশ্যই তওবা করতে হবে। আর এর মাধ্যমে আমলগতভাবে সে কুফরী কাজ করলেও বিশ্বাসগত- ভাবে সে কাফির হবে না, যদিও সে নিয়মিত ছালাত আদায় না করে বা
উত্তর : বিশ্বব্যাংক বা সরকারের অর্থায়নে বৈধ কাজের ট্রেনিং করাতে কোন দোষ নেই। কারণ এমন প্রশিক্ষণের সাথে সূদী লেনদেনের সম্পর্ক নেই। অতএব এধরনের ব্যবস্থাপনায় ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণ করা জায়েয (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব; ওছায়মীন, আল-কাউলুল মু
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ছাহাবায়ে কেরামকে বায়তুল্লাহ তওয়াফে উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তওয়াফ করল এবং দু’রাক‘আত ছালাত পড়ল, তা একটি ক্রীতদাসকে মুক্ত করার সমতুল্য’ (ইবনু মাজাহ হা/২৯৫৬; মিশকাত হা/২৫৮০)। তিনি আরো বলেন, ‘কোন লোক
উত্তর : এমন ক্ষেত্রে আনুগত্য আবশ্যিক নয়। শারঈ কারণে পিতা-মাতা স্ত্রীকে তালাক দিতে বললে পিতা-মাতার আনুগত্য করতে হবে। যেমন ইসমাঈল (আঃ) তাঁর পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর এবং ইবনু ওমর তার পিতা ওমর (রাঃ)-এর নির্দেশ মেনে স্ব স্ব স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। তবে
উত্তর : এব্যাপারে সরাসরি কোন দলীল না থাকায় শায়েখ বিন বাযসহ কিছু বিদ্বান একে বিদ‘আত বলেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/২৯২)। বরং এজন্য ছালাতের শেষ বৈঠকে বা একাকী ছালাত শেষে হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রাণ ভরে দো‘আ করাই যথেষ্ট। এছাড়া নেককার মুরববীদের
উত্তর : যাবে। কারণ এইগুলো সম্মানসূচক শব্দ, যা আঞ্চলিক পরিভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আর যে কোন পরিভাষা শরী‘আহ বিরোধী না হ’লে তা ব্যবহারে কোন দোষ নেই (আল-ফারাবী, আছ-ছিহাহ ৫/১৯৯০; নববী, আল-আযকার ৩৬২-৬৩, ৫৭৫; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নে
উত্তর : কেউ অপবিত্র অবস্থায় ছালাত আদায় করলে তার ছালাত হবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, পাক-পবিত্রতা ছাড়া ছালাত এবং হারাম ধন-সম্পদের দান-খয়রাত কবূল হয় না (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০১)। তিনি আরো বলেন, যার ওযূ ছুটে গেছে তার ছালাত কবূল হয় না যতক
উত্তর : সূরা বাক্বারার ৬২ আয়াতে বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই মুমিন, ইহূদী, নাছারা ও ছাবেঈদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকটে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন
উত্তর : সূরা মুলক রাতে পাঠ করার যেমন ফযীলত রয়েছে তেমনি সাধারণভাবে যেকোন সময় পাঠেরও ফযীলত রয়েছে। তবে এটি রাতে পাঠ করাই উত্তম। সূরা মুলক সাধারণভাবে পাঠের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, এটি তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবে এবং জান্নাতে প্
উত্তর : কসমের সময় প্রয়োজনীয় কথা বলার বিষয়টি নিয়তে রাখলে কোন কাফফারা দিতে হবে না। আর নিয়তে না রাখলে একবার কাফফারা দিলেই যথেষ্ট হবে (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১৫/১৩২-১৩৩; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৩/৬২)। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন
উত্তর : স্বামীর উচিৎ স্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে তালাক প্রদানের মাধ্যমে স্ত্রীকে মুক্ত করে দেওয়া। নইলে স্বামী গোনাহগার হবে। আল্লাহ বলেন, ‘এক্ষণে যদি তোমরা ভয় কর যে তারা আল্লাহর নির্ধারিত সীমা ঠিক রাখতে পারবে না, তাহ’লে স্ত্রী কিছু বিনিময় দিলে তা গ্
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে সাধারণভাবে শয়তান মানব দেহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে তাকে ধোঁকা দিয়ে থাকে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠবে, সে যেন নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কেননা শয়তান তার নাকের ভ
উত্তর : রাষ্ট্রের আইন-কানূন শরী‘আতবিরোধী না হ’লে তা মেনে চলা আবশ্যক (শানক্বীতী, আযওয়াউল বায়ান ৩/২৬০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করতে হবে (তিরমিযী হা/১৩৫২; মিশকাত হা/২৯২৩)। অতএব প্রশাসনিক নি
উত্তর : প্রথমতঃ তালাকের নিয়তসহ এমন ইঙ্গিতবহ বাক্য উল্লেখ করে তালাক প্রদান করাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। অতএব তালাকের নিয়তে স্বামী এসব কথা বলে থাকলে প্রত্যেক মাসের পবিত্রতাকালীন সময়ে প্রদত্ত তালাক এক তালাক
উত্তর : স্ত্রীর জন্য স্বামীর অনুমতি ব্যতীত পিতার বাড়িতে চলে যাওয়া অবাধ্যতা এবং গুনাহের কাজ। তবে তার চলে যাওয়াটা মোহরানা মাফের কারণ নয়। এক্ষণে স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক হওয়ায় স্ত্রীকে তার প্রাপ্য মোহরানা দিতে হবে। প্রদান না করলে তিনি ঋণী থাকবেন। উল
উত্তর : মুওয়াযযিন বা যিনি ইক্বামত দিবেন তাকে ইমামের পিছনে দাঁড়ানো আবশ্যক নয়। তবে দায়িত্বশীল হিসাবে তিনি ইমামের পিছনে দাঁড়াতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মাঝে বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞজন (ছালাতে) আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। তারপর দাঁড়াবে তাদের নিকটবর্তী
উত্তর : সুন্নাত হ’ল মৃত্যুর পরে ওয়ারিছদের মধ্যে শরী‘আত মোতাবেক সম্পত্তি বণ্টন হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মৃত্যুর পরে সম্পদ বণ্টনের কথা আলোচনা করেছেন (নিসা ৪/১১-১২)। তাছাড়া জীবদ্দশায় সম্পদ বণ্টন করে দিলে নিজেই অসহায় হয়ে যেতে পারে। এক্ষণে কেউ যদ
উত্তর : শরী‘আত বিরোধী নয় রাষ্ট্রের এমন বিধিনিষেধ পালন করা আবশ্যক। কোন দেশের আইন উপেক্ষা করে সেখানে অবস্থান করা সমীচীন নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর’ (মায়েদাহ ৫/১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিম
উত্তর : তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করার পরে ওয়াক্তের মধ্যে পানি পেয়ে গেলেও পুনরায় ছালাত আদায় করার প্রয়োজন নেই। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) বলেন, দুই লোক সফরে বের হ’ল। পথিমধ্যে ছালাতের সময় হ’ল, অথচ তাদের কাছে পানি ছিল না। তাই তারা দু’জনই পাক মাটিতে তায়
উত্তর : আত্মহত্যা মহাপাপ এবং তার জাহান্নামী হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে সে পরকালীন শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে (১) পাগল, যতক
উত্তর : এ পদ্ধতি শরী‘আতসম্মত নয়। বরং এটি সূদী পদ্ধতি। এখান থেকে মুসলমানদের বেঁচে থাকা আবশ্যক। সরকার ঘোষিত সার্বজনীন পেনশনের রূপরেখাটি প্রচলিত বীমা পদ্ধতি বা ব্যাংকের ডিপিএসের মত, যা গারার (অস্পষ্টতা) ও রিবা (সূদ)-নির্ভর। অর্থাৎ একজন নাগরিক নির্দ
উত্তর : এটা সৃষ্টির পরিবর্তন নয়; বরং চিকিৎসা হিসাবে গণ্য হবে। কুলাবের যুদ্ধে আরফাজাহ বিন আস‘আদ-এর নাক কাটা গিয়েছিল। তিনি রূপার দ্বারা একটি নাক তৈরি করেছিলেন। অতঃপর তাতে দুর্গন্ধ দেখা দিলে নবী করীম (ছাঃ) তাঁকে স্বর্ণের নাক তৈরি করতে নির্দেশ দিলেন
উত্তর : মূল হারাম হ’লে লাভও হারাম হবে। তবে কেউ যদি না জেনে বিনিয়োগ করে থাকে, তবে হারাম সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর উক্ত হারাম মূলধন নেকীর আশা ব্যতীত জনকল্যাণে ব্যয় করে দিলে লভ্যাংশ হালাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যার নিকটে তার প্র
উত্তর : উক্ত হাদীছদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ‘ছওমে বিছাল’ পালন করবে না। লোকেরা বলল, আপনি যে ছওমে বিছাল করেন? তিনি বললেন, আমি তোমাদের মত নই। আমাকে পানাহার করানো হয় (অথবা বললেন) আমি পানাহার অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করি (বুখ
উত্তর : মাগরিব ছালাতের পরে দু’রাক‘আত সুন্নাতে রাতেবা রয়েছে। এর পরে কেউ নফল ছালাত আদায় করতে চাইলে নিয়মিতভাবে নয়, বরং অনিয়মিতভাবে দুই দুই রাক‘আত করে অনির্ধারিত রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতে পারে (শাওকানী, নায়লুল আওতার ৩/৬৮; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরু
উত্তর : মোবাইলে কুরআন পাঠ করা যায়। যদিও বিদ্বানগণ মুছহাফ থেকে তেলাওয়াতকে উত্তম বলেছেন। কারণ এতে অন্তরে অধিক পরিতৃপ্তি লাভ হয় (নববী, আত-তিবইয়ান ফি আদাবি হাম্মালাতিল কুরআন ১০০ পৃ.; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/১৬৬)। তবে যে পদ্ধতিতেই তেলাওয়াত করা হৌক না
উত্তর : বন্ধকী জমি দ্বারা উপকৃত হওয়া যাবে না এবং উপকার গ্রহণের শর্তে জমি বন্ধকও রাখা যাবে না। কারণ এটা ঋণ, আর ঋণ প্রদান করে এর বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদের অন্তর্ভুক্ত। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল
উত্তর : খুৎবার সময় অনুবাদ চলবে না (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৮১; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৯/১৭৮-৮০)। খুৎবা ও ফরয ছালাত শেষে খুৎবার অনুবাদ করা যেতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/২৫৩; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ০৮/০২)।প্রশ্নকারী :&nb
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কোন মুছল্লী তার জুতা চুরি হয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারলে ছালাত ছেড়ে নিজের সম্পদ রক্ষা করবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ০৮/০২)। অতঃপর ছালাতে দাঁড়িয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) জান ও মালের ক্ষতি থেকে আত্মরক্ষার জন্য ছালাতে সাপ ব
উত্তর: এটি জায়েয এবং কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী নয় (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৪/২)। বস্ত্ততঃ গর্ভাশয়ে সন্তানের অবস্থান বা লিঙ্গ জানা যায় ভ্রুণের বয়স চার মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর। এর পূর্বে মানুষ কিছুই জানতে পারে না। চার মাস পরে এটি আর গায়
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং এটি কোন বিদ্বানের হিকমতপূর্ণ বক্তব্য। তবে বাস্তবে ‘ছবর’ (ধৈর্য) নামে একটি বৃক্ষ রয়েছে যার পাতা ‘এলোভেরা’ নামে পরিচিত। এর দ্বারা রাসূল (ছাঃ) চোখের চিকিৎসা করতে বলেছেন। আর ছাহাবায়ে কেরাম এই ছবর বৃক্ষের
উত্তর : দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। ১. প্রত্যেক সূরা ধারাবাহিক একবার করে মোট তিন বার পাঠ করবে। ২. প্রত্যেক সূরা তিন তিন বার করে পাঠ করবে (ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৭/৪১৪-১৬)। যার নিকট যেটি সহজ হয় সে পদ্ধতিতে আমল করবে।প্রশ্নকারী : আমজাদ আলী, মণীপুর
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে রাশিফল নির্ণয় করা নিষিদ্ধ। গণককে বিশ্বাস করলে বা তার কথা সত্য বলে মেনে নিলে আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। হাফছা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হ
উত্তর : দাড়ি মুন্ডন করা ফাসেকী কাজ। কেউ দাড়ি মুন্ডল করলে সে গুনাহগার হবে। তবে দাড়ি মুন্ডন ইসলাম থেকে বের করে দেয় না। সেজন্য দাড়ি মুন্ডনকারীকে সালাম দিতে বাধা নেই (ওছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১৬৫/১২)।প্রশ্নকারী : আব্দুল লতীফ, কলারোয়া,
উত্তর : স্যাকারিন হারাম বস্ত্ত নয়। সেজন্য সরিষার সাথে স্যাকারিন মিশালে গুনাহ নেই। তবে গবেষকদের মতে, অতিরিক্ত স্যাকারিন মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। কেননা স্যাকারিন একটি মিষ্টিজাতীয় পদার্থ, যাতে কোন পুষ্টিকর উপাদান নেই। এটি মানবদেহে মেশে
উত্তর: পিতার গায়ে হাত তোলা ধ্বংসাত্মক কবীরা গুনাহ। পিতা-মাতা অন্যায় করলেও তাদের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে। এক্ষণে সন্তানের কর্তব্য হ’ল পূর্ণ অনুতপ্ত হয়ে পিতার নিকট ক্ষমা চেয়ে নেওয়া এবং তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করা। আর পিতার উচিৎ হবে সন্
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করো না এবং তার উপর বসো না (মুসলিম হা/৯৭২; মিশকাত হা/১৬৯৮)। শহীদ মিনার সরাসরি কবর নয়। সেটাকে কবর মনে করে শ্রদ্ধা জানানো শিরক। অতএব সামনে বা পার্শ্বে শহীদ মিনার থাকলে ছালাতের ক্
উত্তর : স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দিয়ে অপরাধ করেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি নিজ স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে আর সে অস্বীকৃতি জানায় এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর রাগ নিয়ে রাত্রি-যাপন করে, তাহ’লে ফেরেশতাগণ ঐ স্ত্রীর উপর সকাল পর্যন্ত লা‘নত করতে থ
উত্তর : উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে বর্ণনাটির সনদ জাল। অতএব এই ধরনের ভিত্তিহীন কথা রাসূল (ছাঃ)-এর দিকে সম্পৃক্ত করা যাবে না (মুসনাদে আবী ইয়া‘লা হা/৩৬৭৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৭৫৬০; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৩/২৪৮)। তাছাড়া এটি ছহীহ হাদ
উত্তর : ছওয়াব অর্জনই মূখ্য হতে হবে। তৃপ্তি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তৃপ্তি পাওয়ার জন্য তিনটি কাজ করতে হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকে, সে ঈমানের স্বাদ লাভ করে থাকে। ১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে অধিক
উত্তর : মানুষের শরীর থেকে রক্ত বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। কেননা তা অপবিত্র নয়। সুতরাং কারো দেহ থেকে রক্ত বের হ’লে এবং শরীরে বা পোষাকে লেগে থাকলে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না (বুখারী ১/৩১৮; তিরমিযী হা/১৫৮২; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৬৩-৬৫; ওছায়মীন, আশ
উত্তর : কুরআন বা হাদীছে এমন রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল বর্ণিত হয়নি। বরং এজন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হ’তে হবে। পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করবে, যে দো‘আটি আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আঃ)-কে মুখের জড়তা দূর হ
উত্তর : অভিভাবক বা সরকারী প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিবাহ না হওয়ায় উক্ত বিবাহ বৈধ হয়নি (আবুদাউদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। এমতাবস্থায় মেয়েটি অবৈধ বিবাহের পাপ থেকে খালেছ তওবা করবে। অতঃপর ইসলামী বিধান অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে
উত্তর : এটি কুসংস্কার। এতে বিশ্বাস করা শিরক। কারণ এখানে আল্লাহকে বাদ দিয়ে সাগরের পানিকে ব্যবসায় বরকতদাতা হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। অথচ ব্যবসায় বরকত রয়েছে সত্য কথা বলা এবং পণ্যের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার মধ্যে (বুখারী হা/২০৭৯; মিশকাত হা/২৮০২)। এ
উত্তর : প্রথমতঃ কবরস্থান চাষাবাদের জায়গা নয়। দ্বিতীয়ত: কবরস্থানকে বাগানের সদৃশ সুসজ্জিত করা মূলত: ইহূদী-নাছারাদের কাজ, যার বিরোধিতা করা আবশ্যক। তৃতীয়ত: কবরস্থানে ছায়াদার বৃক্ষরোপণ বা ফুলগাছ লাগানোর নযীর সালাফে ছালেহীন থেকে পাওয়া যায় না। এজন্য আজ
উত্তর : এরকম লোককে ইমাম হিসাবে রাখা যাবে না। কারণ ইমামতি একটি মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব, যার পিছনে অসংখ্য মুছল্লী ছালাত আদায় করেন। তবে বাধ্যগত অবস্থায় ফাসেক ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ ছাহাবায়ে কেরাম যালেম ও ফাসেক ব্য
উত্তর : শিরক মহাপাপ, যা তওবা ব্যতীত মাফ হয় না। তবে কোন ব্যক্তি দ্বীনের সঠিক দাওয়াত না পেলে কিংবা অনিচ্ছাকৃত বা অজ্ঞতাবশত শিরকে লিপ্ত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারেন (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩/২৩১; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৩৯; আশ-শারহ
উত্তর : এমন অনিশ্চয়তাপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎবাচক কথা বলায় তালাক হবে না (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১৩/৬১)। অতএব তারা যথারীতি সংসার করে যাবে।প্রশ্নকারী : জাবের হোসাইন, বরগুনা।
উত্তর : সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করা যাবে না। তবে সরকারের সাধারণ অনুমতি থাকলে চাষাবাদে বাধা নেই। যেমন নিজ জমির সম্মুখভাগে অবস্থিত রাস্তার জমি ব্যবহার করা তার জন্য অনুমোদিত। আর যদি কোন অরক্ষিত খাস জমিতে সরকারের কোন নির্দেশনা না থাকে, ত
উত্তর : বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা বৈধ নয়। এক্ষণে কোন কারণে টিকিট কাটা সম্ভব না হ’লে ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মকর্তার নিকট থেকে টিকিট সংগ্রহ করবে। তিনি টিকিট দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে যথাযথ ভাড়া প্রদান করে নিজেকে গুনাহমুক্ত করবে (বুখারী হা/৩৬০৩; মুসলি
উত্তর : এটি শরী‘আতসম্মত নয়। কারণ খুৎবার পূর্বে কোন বয়ান নেই। এতে দু’টি বিদ‘আত রয়েছে- ১. জুম‘আর সুন্নাতী খুৎবার পূর্বে একটি বিদ‘আতী খুৎবা চালু করা এবং ২. জুম‘আর পূর্বে সুন্নাতে রাতেবা চালু করা। অথচ জুম‘আর পূর্বে নফল ছালাত থাক দারব ১৩/২৭৮; ওছ
উত্তর : বাড়িতে একাধিক মহিলা থাকলে জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উত্তম। উম্মে সালামা ও আয়েশা (রাঃ) জামা‘আতের সাথে বাড়িতে ছালাত আদায় করতেন এবং তাঁরা কাতারের মাঝে দাঁড়িয়ে ইমামতি করতেন (বায়হাক্বী হা/৫৩৫৫; ইবনু আবী শায়বাহ হা/৪৯৫৩; আলবানী, তামামুল
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে শিরনী নামে কোন পরিভাষা নেই। বরং কেউ মারা গেলে তার আত্মীয়-স্বজন মাইয়েতের পরকালীন মুক্তির জন্য দো‘আ করবে এবং ছাদাক্বা করবে। যা গোপনে করাই উত্তম। আর প্রকাশ্যে করলে ফকীর-মিসকীনরাই তার বেশী হকদার (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আ
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে কবরের দু’টি পদ্ধতি চালু আছে। ১. লাহাদ তথা বগলী কবর, যা নবী করীম (ছাঃ)-এর কবর ছিল। ২. শাক্ক বা ছাদ কবর, যা বালিমাটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (মুসলিম হা/৯৬৬; মিশকাত হা/১৬৯৩)। অতএব মাটি বুঝে যে কোন পদ্ধতির কবর দেওয়া যাবে।প্রশ্
উত্তর : মসজিদের পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রয় করে মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করায় কোন বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩১/৯২)।প্রশ্নকারী : তানযীল আহমাদ, লালপুর, নাটোর।
প্রশ্নকারী : মুনীরুল গাযী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।উত্তর : যে কোন প্রকার এনার্জি ড্রিংকে যে এ্যালকোহল মিশ্রিত থাকে, তা প্রমাণিত। যদিও অতিরিক্ত ক্যাফেইন মিশ্রিত থাকায় সেটি অনেক সময় অনুভব করা যায় না। (www.drink aware.co.uk/)। আর কোন খাদ্য ও পান
উত্তর : মসজিদের মাইক আযানের জন্য ব্যবহৃত হবে অন্য কাজে নয়। তাছাড়া হারানো সম্পদ খোঁজার জন্য মসজিদের মাইক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ (মুসলিম হা/৫৬৮)। তবে বিশেষ সামাজিক প্রয়োজনে যেমন গ্রামে ডাকাত পড়লে, আগুন লাগলে বা শিশু হারিয়ে গেলে তার নিরাপত্তার জন
উত্তর : পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা দেখেন এবং তাঁকে সেটা অবহিত করেন। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, তার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছি
উত্তর : এটি রাসূল (ছাঃ) এবং আয়েশা (রাঃ)-এর চাহিদার ভিত্তিতে লোকেরা করত না। বরং তারা আয়েশা (রাঃ)-এর মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে করতেন। কারণ আয়েশা (রাঃ) একমাত্র স্ত্রী যার সাথে একই কাপড়ে থাকাকালীন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট অহী নাযিল হয়েছিল। লোকেরা আল্লাহ
উত্তর : পুরুষেরা রূপা বা চাঁদির আংটি ব্যবহার করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম চাঁদির আংটি ব্যবহার করেছেন। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, যখন নবী করীম (ছাঃ) পারস্যের রাজা কিছরা এবং রোম সম্রাট কায়ছার এবং নাজাশীর নিকট পত্র লিখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন,
উত্তর : আল্লাহর সকল সৃষ্টি তথা জীব ও জড় সব কিছুই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে। আল্লাহ বলেন, ‘সাত আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যেকার সবকিছু তাঁরই পবিত্রতা ঘোষণা করে। আর এমন কিছু নেই যা তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা বর্ণনা
উত্তর : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানো কবীরা গুনাহ। যদি পিতা-মাতাও দ্বীনী স্বার্থ ছাড়া দুনিয়াবী কারণে সন্তানের সংসার ভাঙ্গেন, তবে তারাও কবীরা গুনাহগার হবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে, মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারীকে প্ররোচিত
উত্তর : ফজরে নিয়মিত কুনূত পাঠ করা সমীচীন নয়। কারণ ফজরে নিয়মিত কুনূত পাঠ করার ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ এবং মুনকার (যঈফাহ হা/১২৩৮)। বরং রাসূল (ছাঃ) যখন কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তখন ফরয ছালাতে কুনূত পাঠ করেছেন। কখনও একমাস ব্যাপীও কুনূত প
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা কোন কাজ করার পূর্বে পরামর্শ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আবার রাসূল (ছাঃ) কোন কাজ করার পূর্বে ইস্তেখারার ছালাত আদায় করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এক্ষণে অধিকাংশের মতে, প্রথমে ইস্তেখারার ছালাত আদায় করবে। অতঃপর বিজ্ঞজনদের সাথে পরামর্শ ক
উত্তর : ঘুষ আদান-প্রদান কবীরা গুনাহ। এদের উপর আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয় (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। সুতরাং কোন অযোগ্য ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিলে সে নিজে যেমন অপরাধী, তেমনি অপরের হক নষ্ট করার জন্য দায়ী হবে। এমতাবস্থায় সে খালেছ নিয়
উত্তর : যাবে না। নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে এসব উপহার গ্রহণ করলে ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে হাদিয়া প্রদানকারী কোম্পানীর ঔষধ রোগীদেরকে লিখে দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেই উক্ত হাদিয়া প্রদান করা হয়ে থাকে, যা ঘুষ হিস
উত্তর : সন্তান পিতাকে সম্পূর্ণভাবে হারাম বর্জন করে হালাল ইনকামে উৎসাহিত করবে। তাদেরকে হালাল রিযিক উপার্জনের গুরুত্ব বুঝাবে। তবে এরপরেও যদি পিতা হারাম বর্জন না করে, তবুও তার উপার্জন থেকে সন্তানের পড়ার খরচ গ্রহণ করায় দোষ নেই। কারণ কেউ কারো পাপের ব
উত্তর : এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা পর্দার সাথে হ’লেও নারীদের জন্য সমীচীন নয়। কারণ এমন কর্মস্থলে নারী-পুরুষের বাধাহীন সহাবস্থানের কারণে ফিৎনার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এজন্য নারীবান্ধব কর্মস্থল খুঁজে নিতে হবে। কোন বিকল্প না থাকলে শারঈ পর্দার বিধান যথা
উত্তর : এটা ঠিক হবে না। কারণ মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। এই মানত ভঙ্গের জন্য আল্লাহ তার অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে দিবেন এবং পরকালে তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন (তওবাহ ৯/৭৫-৭৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য নযর মানে, সে যেন (তা
উত্তর : ছালাতে ক্রন্দন করা অধিক আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল লোকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরও বৃদ্ধি পায়’ (ইসরা ১৭/১০৯)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম ছালাতে ক্রন্দন করতেন। আব্দুল্লাহ
উত্তর : মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে ইদ্দত পালন শুরু করবে। জীবনের অস্তিত্ব থাকে বলেই কোমায় রাখা হয়। এক্ষণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎকগণ ব্যক্তির ব্রেন এবং হার্ট উভয়টির মৃত্যু নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তাকে মৃত হিসাবে গণ্য করা যাবে না। অতএব স্বামীর মৃত্যুর পরে
উত্তর : সক্ষম পুরুষের জন্য এটি জায়েয হবে না। কারণ ছালাত একটি সমষ্টিগত ইবাদত, যা মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে আদায় করা আবশ্যক (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১১/২০৫; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩২৩)। তবে মহিলারা বাড়ির ভিতরে একটি কক্ষ নির্বাচ
উত্তর: ঋণদাতা ও গ্রহীতার জন্য নিম্নের কয়েকটি বিষয় পালন করা কর্তব্য। যেমন (১) ঋণ গ্রহণ বা প্রদানের বিষয়টি উভয় পক্ষের স্বাক্ষরে লিখিত হওয়া (বাক্বারাহ ২/২৮৪)। (২) যথাসময়ে পরিশোধের মানসিকতা থাকা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঋণ নেয় পরিশো
উত্তর : অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে এবং সে গোনাহ পুনরায় না করলে আল্লাহ শিরকের গোনাহ ক্ষমা করে দেন। যেমন তিনি বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল গোনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশী
উত্তর : জুম‘আ যেমন সমষ্টিগত একটি ইবাদত, তেমনি এটা ইসলামের বড় নিদর্শন। সুতরাং যত্রতত্র জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। বরং মসজিদে গিয়ে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। সম্ভব না হ’লে যোহরের ছালাত আদায় করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/১৭৮)। তবে অত্র এলাকায় মসজিদ
উত্তর : প্রচলিত অনশন ধর্মঘট আত্মহত্যার শামিল। এতে মারা গেলে নিঃসন্দেহে সে আত্মহত্যাকারী হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না’ (নিসা ৪/২৯)। তিনি বলেন, ‘যে কেউ সীমালংঘন ও যুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে শীঘ্রই আমরা
উত্তর : শারঈ ওযর থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় এমনটি করা যাবে, নতুবা নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশে পাজামা বা লুঙ্গী টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে চলে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৩১১)। অন্য
উত্তর: কোল্ড ড্রিংক্সে পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যায়। অতএব এতে ওযূ করা জায়েয হবে না। এতে ওযূ করে ছালাত আদায় করলে তাকে পুনরায় পবিত্র পানিতে ওযূ করে ছালাত আদায় করতে হবে (মুগনী ১/১১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২১/২৬)। উল্লেখ্য যে, পব
উত্তর: নছীহত করা সত্ত্বেও দাদা-দাদী তওবা না করলে তাদের হারাম আয়ের জন্য তারাই দায়ী হবেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা নয়। কারণ একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (বাক্বারাহ ২/২৮৬; আন‘আম ৬/১৬৪)।প্রশ্নকারী : মাইশা সাবা*, শিবগঞ্জ, বগুড়া।*[আরবীতে ব
উত্তর : যিনি দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করতে সক্ষম, কিন্তু বসতে অক্ষম, তিনি দাঁড়িয়েই ছালাত আদায় করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। তিনি রুকূ ও সিজদা দাঁড়ানো অবস্থাতেই ইশারায় আদায় করবেন। রুকূতে সা
উত্তর: উক্ত সম্পদে মা ও ছেলের পরিবার উভয়ে অংশীদার হবে। কারণ একজন জায়গা ক্রয়ে বিনিয়োগ করেছেন, অন্যজন ভবন নির্মাণে বিনিয়োগ করেছেন। পূর্ব থেকে লিখিত বা মৌখিক চুক্তি থাকলে সে অনুপাতে উভয় পরিবার লভ্যাংশ ভোগ করবেন। না থাকলে মা এবং ছেলের পরিবার সমঝোতার
উত্তর : ত্বাওয়াফ অবস্থায় অতি সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় কথা বলা যায়। তবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা বা ভিডিও ধারণ করার মত অতিরঞ্জিত কর্ম থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, বায়তুল্লাহর ত্বাওয়াফ, ছাফা-মারওয়ার সাঈ এবং জামরায় কংকর নিক্ষেপ ইত্যাদি কেবলমাত্র আল
উত্তর : অসুস্থ বা মা‘যূর ব্যক্তি বসে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে ইমামতি করতে পারবেন। কারণ রাসূল (ছাঃ) ওযরের কারণে বসে ছালাতে ইমামতি করেছিলেন। আর আবুবকর (রাঃ) তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে এবং অন্যান্য ছাহাবীগণ তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ইক্তেদা করেছিলেন (ব
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে, লোকেরা মসজিদের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করে চলে যাবে। অথচ তাতে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে না এবং পরিচিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাউকে সালাম প্রদান করা হবে না (ছহী
উত্তর : কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্ম পালনের সুযোগ দিতে পারে, তবে ধর্ম পালনে সহায়তা করবে না। কারণ তাদের ধর্ম পালন অর্থ আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর কোন শিরকী কাজে কোনভাবেই সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর
উত্তর: এমন শর্তে বিয়ে করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করতে হবে। কিন্তু যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা জায়েয হবে না’ (আবুদাউদ হা/৩৫৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭১৪)। সুতরাং
উত্তর : পিতা ও দাদার পরকালীন মুক্তির জন্য চাচার প্রাপ্য অংশ প্রদান করা ভাতীজাদের উপর আবশ্যক (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৯/৪৯৪)। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ওয়ারিছদের নায্য অধিকার কুরআনে নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং রাসূল (ছাঃ) হাদীছে সন্তানদের ম
উত্তর : সুন্নাত হচ্ছে দ্বিতীয়বার মিলনের পূর্বে ওযূ করে নেওয়া। কারণ এতে মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায় (ছহীহুল জামে‘ হা/২৬৩)। তবে ওযূ বা গোসল না করলেও কোন বাধা নেই (ত্বাহাবী, শরহু মা‘আনিল আছার হা/৭৮৯)। সুতরাং ওযূ ছাড়া মিলন করার পর গর্ভে সন
উত্তর : অসুস্থতার কারণে পৃথক জায়নামায (মুছাল্লা) ব্যবহার করে ছালাত আদায় করা যাবে। এতে কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৭৯)।প্রশ্নকারী : ইয়াকূব, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর: পিতা যে কাউকে ওলীর দায়িত্ব দিয়ে মেয়ের বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারেন। তাছাড়া আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেও মেয়ের বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারেন। বরং আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেই ওলী হিসাবে মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করা উত্তম হবে
উত্তর: পর্দার সাথে হ’লেও ফেসবুকে অপ্রয়োজনীয় ও যথেচ্ছ ছবির ব্যবহার থেকে নারীদের সতর্ক থাকা উচিৎ। কারণ এতেও ফিৎনা ছড়ানোর আশংকা রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না’ (আন‘আম ৬/১৫১)।প্রশ্নকারী :ইবনু আনন
উত্তর: কবর যিয়ারত মৃত্যুকে স্মরণ করার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। কিন্তু যে সকল ইবাদতের ব্যাপারে হাদীছে সময়, কাল বা স্থান নির্ধারণ করা হয়নি সেগুলো পালন করার ক্ষেত্রে নিয়ম বানিয়ে নেওয়া যাবে না। বরং মাঝে মধ্যে কবর যিয়ারত করবে এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য দো
উত্তর: তাকবীরে উলার সময়সীমার ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। বিশুদ্ধ মতে, ইমাম যখন তাকবীরে তাহরীমা প্রদান করবেন তখন মুছল্লীকে মসজিদে উপস্থিত থেকে ছালাতে অংশগ্রহণ করতে হবে, তাহ’লে সে তাকবীরে উলা’র ফযীলত লাভ করবে, অন্যথায় নয়। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, মুস্
উত্তর : শারঈ কারণে ছুটে যাওয়া বিগত বছরের ছিয়ামগুলোর ক্বাযা আদায় করতে হবে (মুসলিম হা/৩৩৫; মিশকাত হা/২০৩২; ওছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম ৪৫৫পৃ.)। এক্ষণে নারীর বার্ধক্যের কারণে বা অসুস্থতার কারণে যদি ছিয়ামগুলোর ক্বাযা আদায়ে সক্ষমতা না থাকে, ত
উত্তর : এই পদ্ধতিতে জমি বিক্রয় হয়নি; বরং টাকার বিনিময়ে জমি বন্ধক রাখা হয়েছে। এরূপ পদ্ধতিতে জমি বন্ধক রাখা জায়েয। তবে বন্ধক গ্রহীতা উক্ত জমি চাষাবাদ করে উপকার লাভ করতে পারবে না। কারণ বন্ধককৃত জমি থেকে উপকার গ্রহণ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী
উত্তর : কোলাকুলি বা মুআ‘নাকা অর্থ কাঁধে কাঁধ মিলানো এবং মহববতে জড়িয়ে ধরা। মাহরাম পুরুষ বা নারীর সাথে সাধারণভাবে কোলাকুলি করা যায়। তবে বিরত থাকাই উত্তম। আর কোলাকুলির বিষয়টি সফর থেকে ফিরে আসা ব্যক্তির সাথে খাছ বলে বিদ্বানগণ আলোকপাত করেছেন (বি
উত্তর : আত্মহত্যা কবীরা গুনাহ। এই মহাপাপের ভাবনা থেকে মুমিনকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে জাহান্নামে সে সেই পদ্ধতিতেই শাস্তি ভোগ করবে। তবে তাওহীদে বিশ্বাসী আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি স্থায়ী জাহান্নামী হবে না। বরং শাস্তি ভো
উত্তর : উল্লিখিত দ্বিতীয় পদ্ধতিও সূদী। কারণ এখানে ঋণের বিনিময়ে অতিরিক্ত লাভ তথা তিন ভাগের এক ভাগ ফসল নেওয়া হচ্ছে। আর যে ঋণ লাভ নিয়ে আসে সেটাই সূদ। উবাই ইবনে কা’ব, ইবনে মাস‘উদ ও ইবনে আববাসসহ (রাঃ) অনেক ছাহাবী তা গ্রহণ করতে নিষেধ করতেন (বায়হা
উত্তর: জেনেশুনে এমন অপরাধে সহযোগিতা করলে পাপী হ’তে হবে। এজন্য তাকে ঋণ দেওয়ার সময় শর্ত করে নিতে হবে যে, উক্ত টাকা কোন অবৈধ কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সে ওয়াদা দিলে তাকে ঋণ দিবে, অন্যথায় দিবে না। কারণ পাপের কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘
উত্তর : খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে। বান্দা তার পাপ থেকে ফিরে আসতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বিশুদ্ধ তওবা করলে আল্লাহ তাঁর তওবা কবুল করবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তওবা কবুল করেন তার মৃত্যুর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত’ (তিরমিযী,
উত্তর : আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা বা দৃঢ় করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা উত্তম কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সালাম প্রদানের মাধ্যমে হ’লেও আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কর’ (ছহীহাহ হা/১৭৭৭)। তবে যে কোন বৈধ আয়োজন শারঈ বিধান অক্ষুণ্ণ রেখেই করতে হবে (বি
উত্তর : সম্মান পাওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহর পরেই পিতা-মাতার অবস্থান। সেজন্য পিতা-মাতার হেদায়াতের জন্য দো‘আ করবে এবং নছীহত করবে। এক্ষণে পিতা যদি স্পষ্ট শিরকী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং তার মাঝে সংশোধনের ইচ্ছা না থাকে, তবে তিনি মেয়ের বিবাহের অভিভাবকত্ব
উত্তর : ঘর-সংসার সামলানো ও স্বামী এবং সন্তানদের দেখাশুনা করা স্ত্রীর মৌলিক দায়িত্ব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নারী তার স্বামীর গৃহের ও সন্তানদের দায়িত্বশীল। এজন্য সে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হবে’ (মুসলিম হা/১৮২৯; মিশকাত হা/৩৬৮৫)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ ছহীহ (আহমাদ হা/১৫৬৪৮;ছহীহাহ হা/৫৮৯)। অতএব উক্ত ফযীলত প্রাপ্তির আশায় সূরা ইখলাছ পাঠ করা যায়।প্রশ্নকারী : মিশকাত উজ্জ্বল*, মাতুয়াইল, ঢাকা।*[সুন্দর ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : কোন ব্যক্তির মালিকানাধীন জিনিস তার অনুমতি ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। সেটা যে ধরনের বস্ত্তই হোক। সুতরাং কপিরাইট করা থাকলে বা মালিকের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে জিনিস গ্রহণ করা নাজায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৫/৪১৯; ফাতাওয়া&
উত্তর : পাপী মানুষ ও পাথরকে জাহান্নামের অন্যতম ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করা হবে। মানুষের মধ্যে যারা আল্লাহতে অবিশ্বাসী, বিদ্রোহী এবং পাথরের মধ্য হ’তে ঐ সকল পাথরকে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হবে, যে সকল পাথর দ্বারা মূর্তি বানিয়ে আল্লাহর সাথে শিরক কর
উত্তর : প্রথমতঃ হাদীছে বর্ণিত তিনটি মসজিদ ব্যতীত কোন মসজিদে ছওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ব্যতীত (ছওয়াবের উদ্দেশ্যে) সফর করা যায় না। সেগুলো হ’ল মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আক্বছা’ (বুখারী হ
উত্তর : যারা কুরআনের সাথে হাদীছকে শরী‘আতের দলীল হিসাবে বিশ্বাস করে না, তারা সুস্পষ্ট কাফির। কারণ হাদীছ অনুসরণ করা কুরআনেরই নির্দেশ। আল্লাহ বলেন, ‘আর রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত হও’ (হাশর ৫৯/৭)। তিনি আ
উত্তর : সন্তানেরা যদি পিতা-মাতার সাথে আর্থিকভাবে জড়িত থাকে কিংবা বাড়িতে এসে একই খাবারে অংশগ্রহণ করে তাহ’লে পিতা সবার পক্ষ থেকে কুরবানী দিলেই যথেষ্ট হবে। কিন্তু আলাদা বাড়িতে অবস্থান করলে এবং আলাদা রান্না হ’লে প্রত্যেককে আলাদাভাবে কুরবানী দিতে হবে
উত্তর : যে দেখবে বা যে এলাকায় দেখা যাবে কেবল তারাই সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের ছালাত আদায় করবে (নাসাঈ হা/১৪৮৩, ১৫০২; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩২)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, মহাদেবপুর, নওগাঁ।
উত্তর : কাউকে স্বাগত জানানোর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলের তোড়া প্রদান করা ইসলামের রীতি নয়। এতে অর্থেরও অপচয় হয়। তাছাড়া এর মাধ্যমে অমুসলিমদের রীতিকে উৎসাহিত করা হয়। এজন্য এত্থেকে বিরত থাকাই উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্ব
উত্তর : স্ত্রীর প্রকাশ্য অপকর্ম ও স্ত্রীর যেকোন অপকর্মে স্বামী বাধা না দিলে বা নীরব থাকলে ঐ স্বামী পাপী হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল। অতএব সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে’ (বুখারী হা/২৭৫১; মিশকাত হা/৩৬৮৫)।
উত্তর : প্রাপ্ত বয়স্ক ভাই-বোন একই বিছানায় অবস্থান করবে না। কারণ এতে বড় পাপ সংঘটিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হ’লে তাদেরকে ছালাত শিক্ষা দাও এবং দশ বছর হ’লে তার (ছালাতের) উপর তাদেরকে প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক
উত্তর : আটটি খাতের সবক’টি খাতে বণ্টন করা যরূরী নয়; বরং যেকোন একটি খাতে প্রদান করলেও যথেষ্ট হবে। (কাসানী, বাদায়েঊছ ছানায়ে‘ ২/৪৬ ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/২৪৭; দ্র. ‘যাকাত ও ছাদাক্বা’ বই)।প্রশ্নকারী : ফরীদুল ইসলাম, রাণীনগর, নওগাঁ।
উত্তর : স্ত্রী নিজের নিরাপত্তার জন্য তার স্বামীর নির্যাতনের কথা পিতা-মাতা বা নিকটতম অভিভাবকদের জানাতে পারবে। এটা গীবতের মধ্যে গণ্য হবে না। আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) তার স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত হ’লে তিনি পিতা আবুবকর (রাঃ)-কে অভিযোগ করেন। অভিযোগ শুন
উত্তর : যানবাহনের সামনে আল্লাহর নাম বা বিভিন্ন আয়াত লেখা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কারণ এসব স্থানে এগুলো টাঙানো হ’লে পদদলিত বা পড়ে গিয়ে অপদস্থ হ’তে পারে। তাছাড়া তাবীয ঝুলানোর ন্যায় অনেকে গাড়ি বা যানবাহনে এগুলো লিখে বরকত অর্জন করতে চায়, যা শিরক। বরং
উত্তর : ক্রিপ্টোকারেন্সি এক প্রকার জুয়া। সেহেতু এর ক্রয়-বিক্রয় বা এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়া বৈধ নয়। এক্ষণে হারাম থেকে মুক্তি পেতে নিজের বিনিয়োগ সেখান থেকে উঠিয়ে নিবে। সম্ভব না হ’লে ছেড়ে চলে আসতে হবে। কারণ হারাম বস্ত্ত বা খাদ্য যেমন নিজে ভোগ করা হারা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ ছহীহ (ছহীহাহ হা/১৮০৫)। হাদীছের ব্যাখ্যাও স্পষ্ট। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তিন শ্রেণীর লোক দো‘আ করবে, কিন্তু দো‘আ কবুল হবে না। কারণ তারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা অমান্য করেছে। উক্ত তিন শ্রেণী
উত্তর : জেনে-শুনে অন্যায় কাজে দৈহিক বা আর্থিক কোনভাবে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না (মায়েদাহ ৫/২)। তবে বাধ্যগত কারণে অন্তরে ঘৃণা রে
উত্তর : কোন মেয়ের বিবাহ হয়ে গেলে সে স্বামীর অধীনে চলে যায়। সেজন্য স্ত্রী চাইলে পরিবারের অসম্মতিতেও স্বামীর নিকট চলে যেতে পারে। তবে পিতা-মাতাকে বুঝানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, বিবাহিতা নারীর স্বামীই আনুগত্যের ক্ষেত্রে
উত্তর : স্ত্রীর পরিবারের প্রতি স্বামী সাধ্যমত সদাচরণ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে তোমরা নিশ্চয় মিসর জয় করবে। তা এমন একটি দেশ যেখানে কীরাত (আঞ্চলিক মুদ্রার নাম) ব্যবহার হয়ে থাকে। তোমরা যখন তা জয় করবে, তখন সেখানকার অধিবাসীদের সাথে সদ্ব্
উত্তর : পারবে। তবে সন্তানদের কিছু হেবা বা দান করতে চাইলে দু’টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। (১) শারঈ উত্তরাধিকার আইন অনুপাতে হেবা বা দান করতে হবে। (২) অন্য সন্তানদের সম্মতি সাপেক্ষে হেবা বা দান করতে হবে। এর বাইরে তাদের প্রতি খরচের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ত
উত্তর: ছালাত সম্পন্ন করবে। কারণ নিষিদ্ধ সময় কেবল নফল ছালাতের সাথে সম্পর্কিত। অতএব ফরয ছালাতের ক্বাযা বা মসজিদে প্রবেশকালীন ছালাত বা ত্বাওয়াফের ছালাত নিষিদ্ধ সময়েও আদায় করতে পারবে (মুসলিম হা/৬৮৪; মিশকাত হা/৬০৩; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দ
উত্তর : ইদ্দত পালন করতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১৭৪)। কারণ তালাক কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইদ্দত পালন করতে হয়। আল্লাহ বলেন, আর (সহবাসকৃত) তালাকপ্রাপ্তাগণ তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বাক্বারাহ ২/২২৮)। ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র (রহঃ)
উত্তর : জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্রয়-বিক্রয় ও তাগাদার ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা নমনীয়তা পসন্দ করেন’ (তিরমিযী হা/১৩১৯; ছহীহাহ হা/৮৯৯)। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ ঐ ব্যক্তির ওপর রহম করুন, যে ব্যক্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে এবং নিজের প্
প্রশ্নকারী : আব্দুল মান্নান, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।উত্তর : পারবে। কেউ মারা গেলে এবং তার জানাযায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার কবরকে সামনে রেখে একাকী বা জামা‘আতের সাথে মাইয়েতের জন্য যে কোন দিন জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছা
উত্তর : মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর মত প্রসিদ্ধ ছাহাবীকে কাফের আখ্যাদানকারী ব্যক্তি নিজেই কুফরীতে পতিত হয়েছে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইকে কাফের বলল, তাদের দু’জনের একজন কাফের হবে’ (মুসলিম হা/৬০)। অতএব তার এই ভ্রান্ত আক্ব
উত্তর : এই ধরনের বাক্য তিন প্রকারের অর্থ বহন করে। (১) ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংবাদ দেওয়া। এটা শিরক। কারণ ভবিষ্যতের বিষয় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না (হূদ ১১/১২৩; আলে ইমরান ৩/১৭৯)। (২) লক্ষণ দেখে বা দূরদৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে কোন কথা বলা। এটা শিরক
উত্তর : বিবাহের পর মিলনের পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিলে এক তালাকই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে স্ত্রী তালাকে বায়েন হয়ে যাবে। রাজ‘আত করার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে তাকে নির্ধারিত মোহরের অর্ধেক দিতে হবে এবং স্ত্রীকে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না (আবুদাঊদ হা/২
উত্তর : অশ্লীলতা বা গুনাহে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেসব পর্যটন স্থলে যাওয়া হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা প্রকাশ্য বা গোপন কোন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না’ (আন‘আম ৬/১৫১)। বরং আল্লাহ তা‘আলা সফর করতে বলেছেন যেখানে গেলে তাঁর সৃষ্টির রহস্য
উত্তর : এ মর্মে তিনটি জাল ও যঈফ হাদীছ পাওয়া যায় (বায়হাক্বী হা/৩৩২৪, ৩৩২৫, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৬৫২, ত্বাবারাণী কাবীর হা/১৭৮৭৯, যঈফাহ হা/৫৫০০)। অতএব এভাবে সিজদা করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।নিলুফার আখতার, ঝিনাইদহ।
উত্তর : চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার মত সম্পদ মামার না থাকলে তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে। কারণ কুরআনে যে সকল ব্যক্তিদের যাকাত দিতে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে ‘মিসকীন’ বা ‘অভাবগ্রস্ত’ অন্যতম। সুতরাং চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে সত্যিকার অর্থে অক্ষম হ’লে তিনি ‘অভ
উত্তর : যদি ওয়াক্তের মধ্যে অবতরণ করে গোসল করে ছালাত আদায়ের সুযোগ থাকে, তাহ’লে তাই করবে। নইলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (নিসা ৪/৪৩; আবুদাঊদ হা/৩৩৪; ইরওয়া হা/১৫৪)।প্রশ্নকারী : ছাদিকুল ইসলাম, মোহনপুর, রাজশাহী্
উত্তর : সকল স্থানে ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক আমল করার চেষ্টা করবে। কারণ কারো নিকট সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তা গোপন করা বা তার বিপরীত আমল করা জায়েয নয়। কেবলমাত্র জীবননাশের আশংকা থাকলে এটা করা যায়। যেমন করেছিলেন ‘আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ)। যাকে কঠিনভাবে
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিমদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য জায়েয। রাসূল (ছাঃ) খায়বারের ফসলি জমিগুলো ইহূদীদের চাষাবাদ করতে দিয়েছিলেন (বুখারী হা/২২৮৫; মিশকাত হা/২৯৭২)। তখন আল্লাহর রাসূল ছিলেন বিজয়ী ও শক্তিশালী। পক্ষান্তরে খায়বরের ইহূদীরা ছিল প্রজা। বর
উত্তর : যদি মুমূর্ষু ব্যক্তি সজ্ঞানে তার কোন অঙ্গদান করে এবং জীবিত ব্যক্তি তাতে উপকৃত হয় তাহ’লে এতে দোষ নেই। তবে দান বাস্তবায়ন অবশ্যই মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হ’তে হবে। জীবিত অবস্থায় হ’লে এমন অঙ্গ হওয়া যাবে না যার জন্য দানকারীর অঙ্গহানী হয়ে যায় ক
উত্তর : ইসলামে দিবস পালনের কোন সুযোগ নেই। প্রশ্নোল্লিখিত দিবসদ্বয় অপসংস্কৃতি, অশ্লীলতা ও শিরকী চিন্তাধারায় পরিপুষ্ট। সুতরাং এসব দিবসে ফুল বিক্রয় করে উক্ত কাজে সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। এটি শী‘আদের আবিষ্কৃত কোন বর্ণনা হ’তে পারে। তাছাড়া এতে ফাতেমা (রাঃ)-এর মত ছাহাবীর প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলে আলী (রাঃ) আবু জাহলের মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি হালাল
উত্তর : প্রথমতঃ মাসিক অবস্থায় স্ত্রী মিলন হারাম। কেউ যদি অজ্ঞতাবশত কিংবা ভুলক্রমে এরূপ করে, তবে তাকে তওবা করতে হবে (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১/৫৭১)। আর কেউ জ্ঞাতসারে করলে তাকে তওবার সাথে সাথে কাফফারা প্রদান করতে হবে। আর
উত্তর : মাহরাম বা কুরআনে যে ১৪ জন নারীকে বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারা ব্যতীত অন্য আত্মীয়দের বিবাহ করার ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ‘আত্মীয়রা আত্মীয়দের বিবাহ করো না...’- মর্মে বর্ণিত কথাটি হাদীছ নয়। সম্ভবতঃ ইমাম গাযালী তাঁর আল-ওয়াসীত্ব ও
উত্তর : সাধারণভাবে কেউ এক সাথে তিন তালাক দিলে এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে। তবে প্রশ্নোল্লিখিত দু’টি অবস্থায় তথা ঋতু অবস্থা ও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য ক্রোধের অবস্থায় তালাক পতিত হয় না (তালাক ৬৫/১; বুখারী হা/৫২৫১, ৫৩৩২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া
উত্তর : নিজ দ্বীন রক্ষার সুযোগ এবং যুলুম ও অন্যায় দূরীকরণের ইচ্ছা ও ক্ষমতা থাকলে অমুসলিম দেশে যেকোন বৈধ চাকুরী করা যাবে। বিচারকার্য একটি বৈধ পেশা। অতএব মুসলমানদের উপকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে পুলিশে কিংবা বিচারকার্যে সহায়ক হিসাবে চাকুরী করাতে কোন
উত্তর : নারীদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) নারীদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করেছেন (বুখারী হা/৭৩১০; মিশকাত হা/১৭৫৩)। অতএব ফিৎনার আশংকা না থাকলে গোপনীয়তার সুযোগ না রেখে গ্রুপে মেয়েদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। তবে সর্বাবস্থায় হৃদ
উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর আলী (রাঃ) পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে আরো আট জন মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর অন্যান্য স্ত্রীগণ হ’লেন- (১) উম্মুল বানীন বিনতে হিযাম, (২) লায়লা বিনতে মাসঊদ, ৩. আসমা বিনতে উমায়েস, ৪. উম্মে হাবীবা বিনতে রাব
উত্তর : ফরয-নফল উভয় ছিয়ামের জন্যই প্রযোজ্য। কেননা কোন হাদীছে উক্ত ফযীলতকে ফরয ছিয়ামের সাথে খাছ করা হয়নি (ইমাম বাজী, আল-মুনতাক্বা শারহুল মুওয়াত্ত্বা ২/৬০)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আল-মামূনএএসআই, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।
উত্তর : কোন জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করার বিধান নেই। তবে মাইয়েতের পক্ষ থেকে তিন অবস্থায় ছিয়াম পালন করা যাবে। (১) মাইয়েত যদি কোন ছিয়াম পালনের মানত করে মারা যায় তাহ’লে তার পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করতে হবে। (২) যদি মাইয়েতের রামাযানের ক্বাযা
উত্তর : উৎপাদনের খরচ ধর্তব্য নয় (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৮; ইবনুল হুমাম, ফাৎহুল ক্বাদীর ২/২৫০; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৫১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৫/৭৫)। মালিকানায় যে ফসল পাবে তা নিছাব পরিমাণ হ’লে তাতে ওশর দিতে হবে। এক্ষত্রে শারঈ
উত্তর : বদ নযর সত্য। কেবল শিশুই নয়, বড় মানুষও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে পারে। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।আসমা বিনতে ঊমাইস (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! জা‘ফরের সন্তানদের বদ নযর লাগে। আমি কি তাদের জন্যে ঝাড়-ফ
উত্তর : বিতর হ’ল রাত্রির শেষ ছালাত (বুখারী হা/৯৯৮; মিশকাত হা/১২৫৮)। এক্ষণে কেউ রাতের প্রথম অংশে বিতরের ছালাত আদায় করে নিলে সে ক্বিয়ামুল লায়েল বা তাহাজ্জুদ পড়তে পারে। তবে দ্বিতীয়বার আর বিতর পড়বে না। কেননা এক রাতে দু’বার বিতর পড়া যায় না
উত্তর : যে কোন প্রাণীর ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করতে হবে। আ‘ঊযু বি কালিমা-তিল্লাহিত তা-ম্মা-তি মিন শার্রি মা খালাক্বা’ ‘আমি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে সেই সবের ক্ষতি থেকে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেগুলি তিনি সৃষ্
উত্তর : দিতে হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘শাক-সবজিতে কোন যাকাত (ওশর) নেই’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪১১; মিশকাত হা/১৮১৩)। তবে এসবের ব্যবসার অর্থ যদি নিছাব পরিমাণ হয় এবং এক বছর সঞ্চিত থাকে, তাহ’লে উক্ত অর্থের ১/৪০ ভাগ যাকাত
উত্তর : মোবাইল বন্ধ করেই ছালাতে আসবে। ভুলবশতঃ মোবাইল বন্ধ না করে ছালাত শুরু করলে এবং ছালাতরত অবস্থায় মোবাইল বেজে উঠলে তা বন্ধ করা যাবে। কেননা ছালাতে বিঘ্ন ঘটায় এমন কাজ ছালাত অবস্থায় প্রতিহত করা যায়। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দরজা
উত্তর : সংসার দেখাশুনা ও অতিরিক্ত শ্রম দেওয়ার কারণে পিতা তাদের কিছু জায়গা কেনায় সহায়তা করে থাকলে, তা দোষণীয় নয়। কারণ এ সময়ে বাইরের কাউকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে তাকে বেতন বা পারিশ্রমিক দিতে হ’ত। সুতরাং এতে ইনছাফের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি (বিন বায, মা
উত্তর : যে পরিমাণ অর্থ মিথ্যার মাধ্যমে অর্জন করেছে, সে পরিমাণ অর্থ তার জন্য হারাম হবে। তবে ব্যবসায় মিথ্যা বললে বরকত উঠে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি তারা সত্য বলে ও সবকিছু খুলে বলে, তাহ’লে তাদের ব্যবসায়ে বরকত দেওয়া হবে। আর তারা যদি (দোষ-ত্রুটি) গ
উত্তর : কুরআন বা ছহীহ হাদীছে যে সকল দো‘আ পাঠের নির্দিষ্ট সময়, কাল বা পাত্র উল্লেখ করা হয়নি সে দো‘আগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিতভাবে পাঠ করা যাবে না। কেউ যদি কোন দো‘আ বা যিকিরকে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ করাকে নিয়ম বানিয়ে নেয়, তাহ’লে তা বিদ‘আত হবে। বরং য
উত্তর : যাবে। এতে পূর্ণ নেকীও অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব হ’তে একটি হরফ পাঠ করবে তার জন্য দশটি নেকী রয়েছে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। অতএব মুখস্ত হৌক, মুছহাফ দেখে হৌক আর কম্পিউটারে দেখে হৌক, সবক্
উত্তর : মাইয়েতের সম্পত্তি থাকলে তার সম্পত্তি থেকেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ওয়ারিছগণ উক্ত সম্পদ থেকে ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব পালন না করলে চরম গুনাহগার হবেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সম্পত্তি বণ্টনের পূর্বে ঋণ পরিশোধ ও অছিয়ত পূরণকে অপরিহার্য করে দিয়েছেন (
উত্তর: পারিশ্রমিক হিসাবে আদায়কারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে অনুরূপ অর্থ নিতে পারবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তিকে যদি আমরা কোন কাজে নিযুক্ত করি এবং তাকে সে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক প্রদান করি। অতঃপর যদি সে তার চাইতে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করে,
উত্তর: সাধারণভাবে লজ্জাস্থানে স্পর্শে ওযূ ও ছালাত নষ্ট হয় না (আবুদাঊদ হা/১৮২; মিশকাত হা/৩২০)। যে সকল হাদীছে লজ্জাস্থান স্পর্শে ওযূ নষ্ট হবে বা ওযূ করা আবশ্যক হবে বলা হয়েছে (আবুদাঊদ হা/১৮১; মিশকাত হা/৩১৯)। তার ব্যাখ্যা হ’ল, উত্তেজনার সা
উত্তর: মুছল্লীদের দাঁড়ানোর ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমা হাদীছে বর্ণিত হয়নি। যখনই ইক্বামত শুরু হবে, তখনই মুছল্লীরা দাঁড়াবে। দাঁড়ানোর নির্দিষ্ট সময়সীমার ব্যাপারে যে বর্ণনাগুলো এসেছে সেগুলো ইমামগণের অভিমত মাত্র (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/৩৬৭; ও
উত্তর : ঈদের ছালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে নারীদের জন্য মাঠে গমন করা মুস্তাহাব (নববী, শরহ মুসলিম হা/৮৯০-এর আলোচনা ৬/১৭৮; আল-মাজমূ‘ ৫/৯; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/২১০)। আর ঋতুবতী মহিলারাও ঈদের ময়দানে যেতে পারেন। তবে তারা ছালাতের কাতারে না দাঁড়ি
উত্তর : মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় নিদর্শন প্রচারের জন্য এবং মুছল্লীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য চাঁদ দেখার পর থেকে মাইকে তাকবীর পাঠ করা যাবে। ইমাম বা মুওয়াযযিন মাঝে-মধ্যে মাইকে তাকবীর পাঠ করে থেমে যাবে আর মুছল্লীরা একাকী পাঠ করবে। ইবনু ওমর ও আবু হ
উত্তর : সম্মতিসূচক আলহামদুলিল্লাহ বললেও বিবাহ কবুল হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/১১)।প্রশ্নকারী : হাবীবা, ঢাকা।
উত্তর : ছালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয। ছালাত পরিত্যাগ করা কুফরী। এক্ষণে কেউ ছালাত পরিত্যাগ করলে তাকে নছীহত করার উদ্দেশ্যে তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং
উত্তর : পিতা-মাতা সন্তানের নিকট সমান সম্মানের পাত্র। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের অগ্রাধিকার রয়েছে। প্রশ্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে সচেতন সন্তানের দায়িত্ব হ’ল নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে উভয়কে নিজেদের ভুলের ব্যাপারে সতর্ক করা এবং তাদের মাঝে মীমাংসা করা। আল্লাহ
উত্তর: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লেখা চাদর ব্যবহারে পৃথক কোন ফযীলত নেই। সুতরাং ভ্রান্ত আক্বীদার প্রসার বন্ধ করার জন্য কালেমা, আয়াতুল কুরসী বা কুরআনের অন্য কোন আয়াত লেখা চাদর লাশের উপর বা খাটিয়ার উপর রাখা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক। তাছাড়া এতে কালেমা বা
উত্তর :প্রথমত: সাধারণভাবে মুসলমানদের কবর খনন করে লাশ বের করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা জায়েয নয়। কারণ মাইয়েতেরা উক্ত জায়গার হকদার, যেমনভাবে কোন ব্যক্তি তার নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তির হকদার (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/১৩৯)। শায়খ উছায়মীন (রহঃ) বলে
উত্তর : মুসলিম বা অমুসলিম কারো সম্পদ আত্মসাৎ করা যাবে না। মুগীরা (রাঃ) অন্ধকার যুগে কয়েকজন ব্যক্তিকে তার সাথী হিসাবে নেন, পরে তিনি তাদের হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ নিয়ে নেন। অতঃপর তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট হাযির হয়ে ইসলাম কবুল করেন। তখন নবী করীম
উত্তর : ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে উপযুক্ত মাদুর বা কার্পেট বিছানো থাকলে আলাদা জায়নামায বিছানো সমীচীন নয়। কারণ এতে অহংকার প্রকাশ পেতে পারে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২২/১৭৩-৭৭)।প্রশ্নকারী : হুযায়ফা, সাহাপুর, রাজশাহী।
উত্তর : পারবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় চাচা আববাস, চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ বিন আববাস, ফযল বিন আববাস, জামাতা আলী, তার ভাই জা‘ফর, নাতি হাসান-হোসায়েন, গোলাম যায়েদ বিন হারেছাহ, তৎপুত্র উসামা বিন যায়েদ ও আয়মান ইবনে উম্মে আয়মান প্রমুখ পরিবারের সদস্যদের
উত্তর : হাম্দ ও ছানার মাধ্যমেই ঈদের খুৎবা শুরু করবে। তাকবীর পাঠের মাধ্যমে খুৎবা শুরুর ব্যাপারে আব্দুল্লাহ বিন ওক্ববা (রাঃ) থেকে যে বর্ণনা পাওয়া যায় সেটি তাঁর নিজস্ব আমল (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২২/৩৯৪-৯৫)।প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসল
উত্তর: খুৎবা চলাকালীন নয়, বরং তার পূর্বে বা পরে কৌটা, রুমাল, চাদর ইত্যাদি পদ্ধতি অবলম্বন করে মুছল্লীদের নিকট থেকে ছাদাক্বা গ্রহণ করা কর্তব্য। রাসূল (ছাঃ) ঈদের ছালাত শেষে দান-ছাদাক্বার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন (বুখারী হা/৯৮; মিশকাত হা/১৪২৯ ‘ঈদায়
উত্তর: ঈদের সুন্নাত মনে না করে শুধুমাত্র গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে ঈদুল ফিতরের দিন বা তার পূর্বের দিন গরু যবেহ করায় কোন দোষ নেই। কারণ ঈদের দিন হচ্ছে আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে বৈধ খেলাধুলা বা খাবারের আয়োজন করা ঈদের আনন্দেরই অংশ (বিন বায, ফাতাও
উত্তর : ওযূ অবস্থায় মোযা পরিধানের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ ওযূ অবস্থাতে মোযা খুললে ওযূ ভঙ্গ হয় না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২১/১৭৯,২১৫; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৭৯)। প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ রোহান, মান্দা, নওগাঁ।
উত্তর : মহিলারা পৃথকভাবে পর্দা বজায় রেখে ইমামের সাথে বা পৃথকভাবে জানাযার ছালাত আদায় করতে পারবে। আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য উম্মাহাতুল মুমিনীন মসজিদে নববীর মধ্যে সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ (রাঃ)-এর লাশ আনিয়ে নিজেরা জানাযা পড়েছিলেন (মুসলিম হা/৯৭৩, মি
উত্তর : এ বিষয়ে বিদ্বানদের মতপার্থক্য থাকলেও ক্বাযা আদায় করাই কর্তব্য এবং অধিক সতর্কতাপূর্ণ। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য ছালাতের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ছালাত আদায়ের অবকাশ দিয়েছিলেন। অতএব কোন ছালাতের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে হায়েয শুরু হ’ল
উত্তর : স্বামী হিসাবে কর্তব্য হ’ল স্ত্রীকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে যথাসাধ্য নছীহত করা এবং শারঈ পর্দার গুরুত্বের ব্যাপারে সচেতন করা। এভাবে স্বামী তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সে গোনাহগার হবে না। তবে নিঃসন্দেহে বেপর্দা এবং স্বামীর অবাধ্য হ
উত্তর : প্রকাশ্যে বা আকারে-ইঙ্গিতে দাবী করা কিংবা বাধ্য করে মোটর সাইকেল নিয়ে থাকলে সেটি পাপের কাজ হয়েছে। অতএব তা সরাসরি কিংবা তার সমমূল্য স্ত্রীর পরিবারকে ফেরত দিতে হবে। আর ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যদি কোন
উত্তর : বিবাহের ৪টি শর্তের মধ্যে দ্বীন হ’ল প্রধান। অতএব কনে বা তার পরিবারে যদি দ্বীন না থাকে, তাহ’লে বিবাহ বাতিল করাই উচিৎ। এরপরেও যদি করতেই হয়, তাহ’লে কনের পাপের বোঝা স্বামী বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪, ইসরা ১৫/১৫)।প্রশ্নকারী : মাহমূদুল
উত্তর : ঋণগ্রস্ত হিসাবে তাকে যাকাত দেয়া যাবে। অতঃপর উক্ত যাকাতের টাকা দিয়ে যদি সে ঋণ পরিশোধ করে তাতে কোন দোষ নেই (দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘যাকাতা ও ছাদাক্বা’ বই ‘বিবিধ মাসায়েল’ অনুচ্ছেদ, মাসআলা ২৩ পৃ. ১০১)। উল্লেখ্য যে, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির হাতে
উত্তর : স্ত্রীর ঋণ শোধ করার মত কোন সম্পদ না থাকলে সে যাকাতের হকদার। আর যাকাতের হকদার হিসাবে স্বামী ঋণগ্রস্ত স্ত্রীকে ঋণ পরিশোধের জন্য যাকাত দিতে পারবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১০/৫৬, ৬২)।প্রশ্নকারী : এমদাদুল হক, টিকরামপূর, চাঁপাই নবাবগঞ্
উত্তর : ছাদাক্বাতুল ফিৎর বা ফিৎরা ধনী-গরীব, ছোট-বড় প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয। সুতরাং তা পরিহার করা কবীরা গুনাহ। এক্ষণে কেউ তওবা করতে চাইলে তাকে যেমন অনুতপ্ত হ’তে হবে, তেমনি অধিকাংশ বিদ্বানের মতে বকেয়া ফিৎরাগুলো আদায় করতে হবে, যেমনভাবে বকে
উত্তর : যাবে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) একটি গরুর চামড়া বিক্রয় করে এর মূল্য ছাদাক্বা করে দেন (ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, মাসায়েলে ইমাম আহমাদ ৮/৪০৪৮-৪৯)। উল্লেখ্য যে, উক্ত অর্থ নিজে ভোগ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (ছহীহুত তারগীব হা/১০৮৮)।প্র
উত্তর : বিক্রেতার অনুমতি সাপেক্ষে খাদ্যদ্রব্য চেখে খাদ্যের স্বাদ বা মান যাচাই করা যাবে (বাহূতী, আর-রওযুল মুরবি‘ ৪/৩৩১)। তবে ক্রয়ের উদ্দেশ্য না থাকলে চেখে দেখা যাবে না।প্রশ্নকারী : মুজাহিদুল ইসলাম, দুপচাঁচিয়া, বগুড়া।
উত্তর : যাকাত আদায় করা একটি ফরয ইবাদত। আর এই ইবাদত পালনের জন্য নিয়ত শর্ত। সুতরাং দাতাকে না জানিয়ে তার পক্ষ থেকে তার সম্পদের যাকাত আদায় করা যাবে না। বরং সম্পদের মালিকের অনুমতি বা অবগতি সাপেক্ষে অন্য যে কেউ যাকাত আদায় করতে পারে (নববী, আল-মাজম
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়, তবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এর কোনটির সনদে ইনকিতা‘ বা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। আবার কোনটি যঈফ (ইবনুল জাওযী, আয-যু‘আফা ওয়াল মাতরূকীন ১/৩০১, সনদ যঈফ)।প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
উত্তর : অমুসলিমদের সকল প্রকার হালাল বস্ত্তর দান গ্রহণ করা যাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ২/৫২)। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৭)।প্রশ্নকারী : মোশাররফ আলী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। এই ব্যবস্থা না থাকলে সাধ্যমত দৃষ্টি নত রেখে পাঠদান করবে (নূর ২৪/৩০-৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বলেন, ‘হে আলী! তুমি দৃষ্টির উপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার
উত্তর : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, কেউ তরকারী বা অন্য কিছুর স্বাদ পরীক্ষা করলে তাতে কোন দোষ নেই (বুখারী ৭/২৮৮)। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, ছিয়াম অবস্থায় কোন কিছুর স্বাদ গ্রহণ না করাই উত্তম। তবে প্রয়োজনে করলে ক্ষতি নেই (মুগনী ৪/
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন শেষে শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম হা/১১৬৪; মিশকাত হা/২০৪৭)। অন্য হাদীছে এক বছরের হিসাব রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এভাবে দিয়েছেন যে, ‘রামাযা
উত্তর : তার পিছনে ছালাত আদায়ে দোষ নেই। তবে কেবল ইমাম ও মুওয়াযযিনই নয় প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক বর্ণিত সুন্নাত ও নফল ছালাতগুলো গুরুত্ব সহকারে আদায় করা এবং অবহেলা না করা (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ৬/২)।প্রশ্নকারী :&
উত্তর : এতে গোসল করতে হবে না। বরং ধূয়ে ফেলে ওযূ করতে হবে। তবে কারো যদি নিয়মিত এটা হয়, এমনকি ছালাতের সময়ও রক্ত বের হয় তাহ’লে তার বিধান মুস্তাহাযা নারীর বিধানের ন্যায়। অর্থাৎ ওযূ করে মলদ্বারে তুলা দিয়ে ছালাত শুরু করবে। এর মধ্যে রক্ত বের হ’লে ছালাত
উত্তর : সাহারীর আযান দেওয়া সুন্নাত। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আমলে এই সুন্নাত জারী ছিল (বুখারী হা/৬১৭; মিশকাত হা/৬৮০)। সাহারীর আযানে ‘হাইয়া আলাছ ছালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ’ যথারীতি বলবে কিন্তু ‘আছ-ছালাত খায়রুম মিনান নাওম’
উত্তর : এটি নিষিদ্ধ। কেননা কবরবাসী শুনতে পায় না। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোন মৃত ব্যক্তিকে’ (নামল ২৭/৮০)। আর ‘তুমি শুনাতে পারো না কোন কবরবাসীকে’ (ফাত্বির ৩৫/২২)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘তেলাওয়াতের উদ্দেশ্যে হ’
উত্তর : সুফারিশের বিনিময়ে কোন প্রকারের সুবিধা গ্রহণ করা যাবে না। সেটি ঘুষ হবে। যখন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট কোন প্রার্থী আসত, তখন তিনি তাঁর সঙ্গীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলতেন (এর জন্য) ‘তোমরা সুফারিশ কর, তোমাদেরকে পরস্কার দেওয়া হবে। আর আল্লাহ তাঁর নবী
প্রশ্নকারী : আয়েশা, ঢাকা।উত্তর : দেবর গায়ের মাহরাম। অতএব তার সামনেও যথাসম্ভব মুখমন্ডল ঢেকে রেখে পূর্ণ পর্দা করে চলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কোন নারীদের নিকট গমন (নিঃসঙ্গভাবে গৃহে প্রবেশ) করো না। (এটা শুনে) জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্
উত্তর : কেউ যদি বসবাসের জন্য বা ভাড়া দেওয়ার জন্য বাড়ি বানাতে ঋণ করে তাহ’লে উক্ত ঋণকৃত অর্থের যাকাত দিতে হবে না। তবে ভাড়া বাসা থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার টাকা নিছাব পরিমাণ হ’লে এবং তা এক বছর মালিকানায় থাকলে তাতে যাকাত দিতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাও
উত্তর : বর্ণনাগুলো জাল ও মুনকার (আলবানী, যঈফাহ হা/৬১৭৮-৭৯)। ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন, ‘এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নামে বানোয়াট বর্ণনা’ (আল-মাওযূ‘আত ৩/১৯১)। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘এ হাদীছের কোন বিশুদ্ধ ভিত্তি নেই। বরং এটা বাতিল ও মিথ্যা
উত্তর : স্বামী উক্ত কথা বলার দ্বারা তালাক উদ্দেশ্য নিয়ে থাকলে এবং স্ত্রী শর্তযুক্ত কাজ করে ফেললে তা এক তালাক গণ্য হবে। আর যদি স্ত্রীকে সতর্ক করা এবং ধমক দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলে থাকে, তবে তাতে কোন সমস্যা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ৩৩/৬
উত্তর : রোগীর আত্মীয়রা রোগীরা অধিকতর কল্যাণের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিবে। যদি তার জীবনের প্রত্যাশা ও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহ’লে অবশ্যই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিবে। উল্লেখ্য যে, রোগী বা মাইয়েতের সকল অছিয়ত বাস্তবায়ন করা আবশ্যক নয় (বিন বায, মা
উত্তর : ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে অতিরিক্ত সময়ে বাড়তি ইনকাম করা যেতে পারে। তবে অফিসের মূল কাজ ব্যাহত করে কোন কাজ করা যাবে না। আর অফিসের জিনিসপত্র ব্যবহারের কারণে অফিসকে অবশ্যই নির্ধারিত খরচ ও সার্ভিস চার্জ প্রদান করবে। এতে কোন অপরাধ হ
উত্তর : ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে এরূপ আমল পাওয়া যায় না। পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীয করা যদিও কতিপয় বিদ্বান জায়েয বলেছেন, কিন্তু তা জায়েয হওয়ার পক্ষে স্পষ্ট দলীল নেই। বরং কুরআন তেলাওয়াত ও আয়াত দ্বারা ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে কুরআন থেকে চিকিৎসা গ্রহণ কর
উত্তর : বিকল্প না থাকলে তাদের মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। কেননা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হ’ল, আহলে ক্বিবলার পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২৩/৩৫৩; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৭/৩৮২-৮৩; বিন বায, মা
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ বা সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত বই-পুস্ত্তক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাঠ করা সমীচীন নয়। কারণ এতে ঈমান হারানোর আশংকা রয়েছে। তবে যাদের সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করার যোগ্যতা আছে বা তাদের ধর্মীয় অসারতাকে প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে, ত
উত্তর : স্ত্রীর এমন কথা বৈবাহিক সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে স্ত্রী স্বামীকে তালাক প্রদানের অধিকারী নয়। এক্ষণে স্বামী যদি স্ত্রীকে এমন শর্তযুক্ত কথা বলে এবং স্ত্রী উক্ত শর্ত ভঙ্গ করে তাহ’লে স্ত্রী এক তালাক হয়ে যাবে 
উত্তর : আল-ফি‘আতুল বাগিয়াহ বা ‘বিদ্রোহী দল’ বলতে হাদীছে কী বুঝানো হয়েছে, তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমরা একটা একটা করে কাঁচা ইট বহন করছিলাম আর ‘আম্মার দু’টো করে কাঁচা ইট বহন করছিলেন। নবী করীম (ছাঃ) তা দেখে তাঁর দেহ হ’তে
উত্তর : ছালাত আদায়ে খুশূ‘-খুযূ বজায় রাখতে হবে। এক্ষণে তেলাওয়াতের সময় কারো মনোযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি হ’লে বা মনোযোগ না থাকলে পুনরায় সূরা ফাতিহা পড়তে হবে না। বরং যখনই ধারণা করবে যে, তার মনোযোগ নেই, তখনই মনোযোগ ফিরিয়ে আনবে (মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/৯৯;
উত্তর : ছালাত পূর্ণ করবে। ইমামের সাথে যে অংশ পাবে সেগুলো তার জন্য প্রথম অংশ হবে (বুখারী হা/৬৩৫; মিশকাত হা/৬৮৬)। আর এজন্য সে প্রথম তাকবীরের সূরা ফাতিহা ও তার সাথে অন্য সূরা মিলাবে অতঃপর দরূদ ও জানাযার দো‘আ পাঠ করবে এবং লাশ উঠানোর পূর্বেই ছাল
উত্তর : মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আক্বীক্বা দেওয়া সুন্নাত। প্রয়োজনে বড় ছাগল ক্রয় করে আক্বীক্বা দিবে। এর পরেও মেহমানদের জন্য পর্যাপ্ত না হ’লে বাজার থেকে গোশত ক্রয় করে খাওয়ানোতে কোন দোষ নেই (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১২৫৫; নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪৩০; ইব
উত্তর : যাতায়াতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হবে ঠিক সে পরিমাণই ভাউচারে লিখবে। অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের কারণে একদিকে মিথ্যা অন্যদিকে প্রতারণার অপরাধ হবে। এরূপ হারাম থেকে সর্বতোভাবে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : পিতা-মাতার সাথে সর্বাবস্থায় সদাচরণ করতে হবে। তবে শিরক বা বিদ‘আতযুক্ত কোন আমল করতে নির্দেশ দিলে তা সম্মানের সাথে পরিহার করবে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে চাপ দেয় আমার সাথে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান ন
উত্তর : ক্বায়লূলা তথা দুপুরের পর স্বল্প বিশ্রাম করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ক্বায়লূলা কর, কারণ শয়তান ক্বায়লূলা করে না’ (ছহীহাহ হা/১৬৪৭)। আর ক্বায়লূলার সময় হচ্ছে যোহর ছালাতের পর। যেমন ছাহাবীগণ বলেন, জুম‘আর (ছালাতের) পরই আমরা ক্বা
উত্তর : বিশুদ্ধমতে মুসলিম নারীরা অমুসলিম নারীদের থেকে সেভাবে পর্দা করবে যেভাবে মাহরাম পুরুষদের থেকে পর্দা করে থাকে। অর্থাৎ অমুসলিম নারীদের সামনে সাধারণভাবে মাথা, মুখমন্ডল, হাত ও পা প্রদর্শন করতে পারবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ১/৪
উত্তর : বিসমিল্লাহসহ সূরা কাফিরূন, নাছর, নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছ পাঠ করলে সফরকালীন বিশেষ ফযীলত পাওয়া যায় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ ও মুনকার (আলবানী, যঈফাহ হা/৬৯৬৩; যঈফুল জামে‘ হা/৮৮)। অতএব এটি আমলযোগ্য নয়।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহদক্ষিণ কোরি
উত্তর : এমতাবস্থায় নিয়ত পরিবর্তন করে পিতা-মাতার জন্য ব্যয় করায় কোন বাধা নেই। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, কিভাবে খরচ করবে? বলে দাও যে, ধন-সম্পদ হ’তে তোমরা যা ব্যয় করবে, তা তোমাদের পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফির
উত্তর : খাঁচায় বন্দী রেখে পাখি লালন-পালন করা এবং এগুলোর ব্যবসা করা যাবে। কেননা বন্দী না রাখা ব্যতীত তা থেকে উপকার গ্রহণ করা যায় না। তবে পাখিকে পানি ও খাদ্য ঠিক মত প্রদান করতে হবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/১৯৩; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৯/১৪৮)।প
উত্তর : দিন-রাত হয় ২৪ ঘণ্টায়। অতএব ২৪ ঘণ্টার হিসাব করে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে নিবে। দাজ্জাল আগমনের সময়কালে যখন একদিন এক বছরের সমান হবে তখনকার ছালাতের ব্যাপারে ছাহাবীগণ রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি বলেন, না। তোমরা (দিন রাতের ২৪ ঘণ্টা হি
উত্তর : ক্ষতি হবে না। তবে মসজিদের সম্মানার্থে সরাসরি মুছাল্লার উপরে বাথরুম নির্মাণ না করাই উত্তম (আলবানী, রিহলাতুল খায়র, টেপ নং ১০)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বগুড়া।
উত্তর : সন্তান গর্ভে আসার পর কোন ব্যবস্থা নেয়া যাবে না বা গর্ভপাত করা যাবে না। সুতরাং গর্ভে যখন সন্তান চলে এসেছে তখন ধৈর্য ধারণ করবে এবং আল্লাহর ফয়ছালার জন্য অপেক্ষা করবে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন
উত্তর : ই‘তিকাফ অবস্থায় নফল ছালাত, যিকির, তাসবীহ, তাহলীল, তাহমীদ ও কুরআন তেলাওয়াত প্রভৃতি ইবাদতে ব্যস্ত থাকা মুস্তাহাব। তবে একান্ত প্রয়োজনে ইবাদতের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য বইপত্র পড়তে পারে (বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ২/৩৬৩; নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২২৮)।
উত্তর : হিজড়াদের সামনে পর্দা করতে হবে। হাদীছে এসেছে, উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) তার ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ উমাইয়াকে উদ্দেশ্য করে এক হিজড়াকে বলতে শুনলেন, আল্লাহ যদি আগামীতে তায়েফ বিজয় দান করেন তবে আমি তোমাকে এমন এ
উত্তর : এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান (নিসা ৪/১১) ভিত্তিতে সম্পদ ভাগ হবে। সে হিসাবে জমিতে মোট ভাগ হবে ৯টি। যার ৮ ভাগ পাবে ৪ ছেলে এবং একভাগ পাবে ১ মেয়ে।প্রশ্নকারী : রাফী, ঝালোপাড়া, সিলেট।
উত্তর : সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি করা যাবে। তাছাড়া কোন স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি ব্যতীত জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না এবং স্থায়ীভাবে জন্মনিরোধ করা নিষিদ্ধ (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২
উত্তর : হালীম ডাল ও গোশতের মিস্রণে একটি জনপ্রিয় খাবার, যাকে আরবীতে হারিস বলা হয়ে থাকে। কালক্রমে উপমহাদেশে এটি হালীম নামে পরিচিতি লাভ করেছে। হালীম শব্দটি খাদ্যের নাম হিসাবে ব্যবহারে কোন দোষ নেই। কেননা হালীম শব্দটি আল্লাহর নাম ব্যতীত সৃষ্টির নাম হ
উত্তর : স্ত্রীর হায়েয বন্ধ হওয়ার পরে গোসল বা তায়াম্মুম না করা পর্যন্ত তার সাথে দৈহিক মিলন করা যাবে না। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের নিকটবর্তী হয়ো না পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নি
উত্তর : কোন অমুসলিম নারী ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে বিবাহ করা এবং তার সাথে সংসার করা জায়েয, যদিও সে বিবাহের জন্য ইসলাম গ্রহণ করে। কারণ এখানে মৌখিক স্বীকৃতিই গ্রহণীয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে’ (বা
উত্তর : ইসলাম গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শর্ত তিনটি। (১) ইসলাম গ্রহণের জন্য বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা (নিসা ১২৫; লোকমান ২২), (২) জেনে-বুঝে কালেমায়ে শাহাদত তথা-‘আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু’ পাঠ ক
উত্তর : প্রকৃত অভাবী হ’লে এবং জায়গা-জমি বিক্রয়ে সক্ষম না হ’লে, তাকে যাকাতের অর্থ প্রদান করা যাবে। নদী পারাপারের নৌকার মালিককে আল্লাহ ‘মিসকীন’ বলেছেন (কাহফ ১৮/৭৯)। অতএব অভাবী প্রতিবেশীকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/১৭৪-৭৬
উত্তর : নাপাক প্রাণীর গোবর যমীনে ফেলে রাখলে তার বিধান পরিবর্তন হয়ে যায়। সে হিসাবে শূকরের গোবর ব্যবহারে দোষ নেই। তবে অনেক বিদ্বান তা অপসন্দ করেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৪৪৮; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/৬৬৪)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রায্য
মাসিক আত-তাহরীক জানুয়ারী’২৩ প্রশ্নোত্তর ১৫/১৩৫-এর মধ্যে বলা হয়েছে, ‘তবে বন্ধকদাতার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় তা ভোগ করা বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার অনুমতি থাকলে তা জায়েয হবে। কেননা তা শর্তযুক্ত নয়’। লেখাটি ভুলবশতঃ যুক্ত করা হয়েছে। অনাকাংখিত ভুলের জন্য আমরা দুঃখ
উত্তর : নির্ভরযোগ্য যে কোন সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে যাকাত বিতরণের জন্য জমা দেওয়া যেতে পারে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/১৬৫; মারদাভী, আল ইনছাফ ৩/১৯৮; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/২৫৪)।প্রশ্নকারী : সাজিদ, মেঘনা, কুমিল্লা।
উত্তর : মসজিদ নির্মাণে অমুসলিমদের অনুদান গ্রহণ করা যাবে। যদিও এই অনুদানে তাদের কোন ছওয়াব নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৫৫-২৫৬)। রাসূল (ছাঃ) মুশরিকদের বহু হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/১৪৮১, ৩১৬১,২৬১৭; মুসলিম হা/২১৯০)। আসমা (রাঃ) তার ম
উত্তর : যামানত হিসাবে দেওয়া টাকার মালিকানা এখন যামানত গ্রহীতার। সুতরাং যাকাত তিনিই প্রদান করবেন। পরবর্তীতে যামানতকারী উক্ত টাকা ফেরৎ পাওয়ার পর তাকে নির্ধারিত নেছাব অনুযায়ী যাকাত প্রদান করতে হবে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/২৪)।প্রশ্নকারী :&n
উত্তর : স্বামী তার মৃত স্ত্রীকে বা স্ত্রী তার মৃত স্বামীকে গোসল দিতে পারেন যদি তাদের ধৈর্য থাকে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১১৪ ও ১২২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১০৯)। রাসূল (ছাঃ) স্বীয় স্ত্রী আয়েশা (রাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘যদি আমার পূর্বে তুমি মারা যাও,
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। কারণ শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বপ্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে আমার অনুসারীদের সংখ্যা হবে সর্বাপেক্ষা বেশী এবং আমিই প্রথম জান্নাতের দরজা
উত্তর : এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়। ১. নিজহাতে ব্যবহারকালে মলদ্বারের অভ্যন্তরে হাত প্রবেশ করানো যাবে না। নতুবা ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা যে ব্যক্তি লজ্জাস্থান স্পর্শ করবে তার ওযূ নষ্ট হবে (নাসাঈ হা/৪৪৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫৫৫; ইবনু কুদামাহ,
উত্তর : বসবাসের জন্য বা ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্মিত বাড়ির জন্য ব্যয়কৃত অর্থের যাকাত দিতে হবে না। তবে অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া অর্থ নিছাব পরিমাণ হ’লে এবং এক বছর থাকলে তাতে যাকাত দিতে হবে (বুখারী হা/১৪৬৪; মুসলিম
উত্তর : শারঈ পদ্ধতিতে বিবাহের ঈজাব ও কবুল হয়ে থাকলে নির্জনবাস করায় কোন বাধা নেই। তবে নিজ বাড়িতে এনে বাসর রাত উদযাপন করে নির্জনবাস করাই সামাজিক দৃষ্টিতে উত্তম (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/৩৯২)। উল্লেখ্য যে, দ্রুত অলীমা করা সুন্নাত। কিন্তু ব
উত্তর : মসজিদের ইমাম ছাহেব নয় বরং প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ নবী-রাসূলগণের সাথে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে। আল্লাহ বলেন, (স্মরণ কর) যেদিন আমরা প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের ইমামসহ আহবান করব। অতঃপর যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেওয়া হবে, তারা তাদের আ
উত্তর : মোহর নির্ধারণ ব্যতীতও বিবাহ জায়েয (বাক্বারাহ ২/২৩৬; আবুদাউদ হা/২১১৬; মিশকাত হা/৩২০৭)। বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে মোহর নির্ধারণ করবে। যদি উভয়ের মাঝে সমঝোতা না হয় তাহ’লে মেয়ের মায়ের সমপরিমাণ মোহর নির্ধারণ করবে বা স্থানীয় জনপ্র
উত্তর : যমযমের পানিসহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত। হাদীছে দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে (মুসলিম হা/২০২৪; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে পানকারী ব্যক্তি যদি জানতো এতে কি ক্ষতি রয়েছে, তাহ’লে সে
উত্তর : একান্ত বাধ্যগত না হ’লে প্রচলিত ময়না তদন্ত জায়েয নয়। কেননা মুসলিম মাইয়েতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অত্যাবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা জীবিত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গার ন্যায় (আবুদাউদ হা/৩২০৭; মিশকাত হা/১৭১৪)। জাবের (রা
উত্তর : এক্ষেত্রে দু’টি পদ্ধতিই শরী‘আত সম্মত। কেউ চাইলে পুরো ওযূ করে গোসল করবে (বুখারী হা/২৭২; নাসাঈ হা/৪২০)। আবার কেউ চাইলে ওযূর অন্যান্য অঙ্গ ধৈত করে গোসল করে নিবে এবং অবশেষে পা ধৌত করবে (বুখারী হা/২৪৯; মুসলিম হা/৩১৭)। এক্ষেত্রে যদি
উত্তর : উক্ত মর্মে হাদীছটি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়নি (যঈফাহ হা/৫২৮৬)। তবে সূরা তওবার শেষ আয়াত ও গুরুত্বপূর্ণ দো‘আ হওয়ায় তা সংখ্যা নির্দিষ্ট না করে পাঠ করা যেতে পারে (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ২/৩৭,৩৪২; বিন বায, মাজমূ‘ ফা
উত্তর : যাবে। সাবানের ফেনা বা কাপড়ের সাধারণ ময়লা অপবিত্র নয়। অতএব তা কাপড়ে বা শরীরে লেগে গেলে শরীর অপবিত্র হয় না বা ওযূ ভঙ্গ হয় না। উম্মু হানী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও মায়মূনাহ (রাঃ) একই পাত্রে গোসল করেছেন, তা এমন পাত্র ছিল যাতে আটার খামী
উত্তর : পুরুষরা নারীদের মাঝে অফলাইন বা অনলাইনে দাওয়াতী কাজ করতে পারে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! কেবলমাত্র পুরুষেরাই আপনার হাদীছ শোনার সৌভাগ্য লাভ করছে। সুতরাং আপনি আমাদের জন্যও একটি
উত্তর : উক্ত বিবাহ বিশুদ্ধ হবে। কারণ বিদ্বানগণ বলেন, পিতা তার উপযুক্ত ভাই বা আত্মীয়-স্বজন বা কোন পরহেযগার ব্যক্তিকে বিবাহের অলীর দায়িত্ব দিতে পারে (হাত্তাব, মাওয়াহিবুল জলীল ৩/৪১৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ
উত্তর : সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাঊদ হা/২৮৩৮ প্রভৃতি; ইরওয়া হা/১১৬৫)। অ
উত্তর : লেনদেনের কোন শর্তসাপেক্ষে বিবাহ করা যাবে না। কেননা তা যৌতুক, যা ইসলামে হারাম (ইবনু আবী শায়বাহ হা/১৭৩৮৪-৮৫; ইবনু হাযম, মুহাল্লা ৯/৫০)। তবে বিবাহের পর কোন শর্ত ছাড়া শ্বশুর বৈধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈধ চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিলে তাতে কোন
উত্তর : যেনা-ব্যভিচার হদযোগ্য কবীরা গুনাহ। এথেকে বেঁচে থাকা মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাদের হদ কায়েম করবে সরকার ও প্রশাসন। তারা সে দায়িত্ব পালন না করলে তারা দায়ী হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই বিবাহ জায়েয নয়। জমহূর বিদ্বান এর বিরোধিতা করেছেন। কেননা গর্ভ
উত্তর : পিতা-মাতার বিয়েটা সঠিক পদ্ধতিতে না হ’লেও তা শিবহে নিকাহ বা সন্দেহপূর্ণ বিবাহ হয়েছে। আর উক্ত বিবাহ ক্বাযীর মাধ্যমে হওয়ায় এবং পরবর্তীতে পিতা মেনে নেওয়ায় তাদের সন্তানেরা জারজ হিসাবে গণ্য হবে না। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান শামে থাকাকাল
উত্তর : উক্ত বর্ণনা কোন হাদীছের নয়। বরং জনৈক মুফাসসির বর্ণনা করেছেন। তিনি মনে করেন যে, বিসমিল্লাহ-সহ সূরা ফাতিহায় আটটি আয়াত রয়েছে এবং প্রত্যেকটি আয়াত পাঠে জান্নাতের এক একটি দরজা খুলে যাবে (আবু ইউসুফ যায়েদ, ফায়যুর রহমান তাফসীরু জাওয়াহিরিল কু
উত্তর : বিচার ব্যবস্থা দুই প্রকারের। ১. শারঈ বিচার ব্যবস্থা ২. দুনিয়াবী বিচার ব্যবস্থা। আর দুনিয়াবী বিচার ব্যবস্থা আবার দুইভাগে বিভক্ত। ১. শরী‘আত সম্মত। ২. শরী‘আত বিরোধী। এক্ষণে কোন মুসলিম দেশে যদি শরী‘আত বিরোধী আইন না থাকে, তাহ’লে তাতে চাকুরী ক
উত্তর : যাবে। কারণ বাবরী রাখা বাধ্যতামূলক নয়, বরং এটি অভ্যাসগত সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) কখনো চুল বড় রাখতেন, আবার কোন কোন সময়ে ছোট করতেন। এতে কোন বাধা নেই। ছাহাবী ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) একদিন লম্বা চুল নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এলেন। তখন রাসূল (ছ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৬৬২; যঈফুত তারগীব‘ হা/১৪৭৬)। তবে উক্ত হাদীছের মর্ম ছহীহ। কারণ যার উপর পিতা-মাতা সন্তুষ্ট তার উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং পিতার অসন্তুষ
উত্তর : গর্ভাবস্থায় দীর্ঘ সময় রক্ত বের হ’লে তা ঋতু হিসাবে গণ্য হবে এবং উক্ত দিনগুলোতে ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে। আর যদি বাচ্চা প্রসবের কিছু পূর্ব থেকে রক্ত দেখা যায়, তাহ’লে তা নিফাসের রক্ত হিসাবে গণ্য হবে। তখনও ছালাত ও ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে।
উত্তর : যদি বাচ্চা পেটে থাকার কারণে মায়ের জীবননাশের আশংকা থাকে, তবে ঔষধের মাধ্যমে বা যেকোন স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তবে বিষয়টি মানব হত্যার মত গুরুতর হওয়ায় একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে শারঈ বিধান অনুসরণ করে সিদ্ধা
উত্তরঃ উক্ত টাকা নেছাব পরিমাণ হ’লে তার যাকাত দিতে হবে। কারণ এ টাকার উপর তার পূর্ণ মালিকানা রয়েছে (ছহীহ আবূদাঊদ হা/১৫৭৩, সনদ ছহীহ)। তিনি ইচ্ছা করলে যখন-তখন টাকা উঠিয়ে খরচ করতে পারেন।প্রশ্নকারী : আব্দুল মতীন, চন্ডিপুর, নওগাঁ।
উত্তর : যদি অসাবধানতাবশত অল্প পরিমাণ চুল বের হয়ে যায়, তাহ’লে তার ছালাত বাতিল হবে না। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘যদি কোন মহিলার অল্প পরিমাণে এবং অল্প সময়ের জন্য চুল বা দেহের কোন অংশ প্রকাশ পেয়ে যায়, তাহ’লে তাকে ছালাত পুনরায় পড়তে হবে
উত্তর : ফেরেশতাগণ আমাদের মতই সৃষ্ট জীব। আল্লাহর ইবাদতের জন্য তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য কিছু কাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যেগুলো তারা কোন প্রশ্ন ছাড়াই পালন করে থাকেন। তার মধ্যে পৃথিবীর পরিচালনার বিষয়ে কিছু কার্যক্রম রয়েছে। যেম
উত্তর : পিতার সাথে যোগাযোগ করে তার অনুমতি নিয়েই মেয়ের বিবাহ দিতে হবে। আর পিতা মেয়ের খরচ দেয়া বা দেখা-শোনা না করার জন্য গুনাহগার হবেন। উল্লেখ্য যে, স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হয়ে আদালত কর্তৃক কন্যা সন্তানের দায়িত্ব পেয়ে গেলেও বিবাহের ক্ষেত্রে পিতা বা ত
উত্তর : রক্তদাতার শরীর ঠিক রাখার জন্য মেডিকেল থেকে বা রক্ত গ্রহীতার পক্ষ থেকে সৌজন্য হিসাবে যা কিছু খাওয়ানো হয়, তা রক্ত বিক্রয়ের হুকুমে পড়বে না। কেননা এটা সামাজিক সৌজন্যবোধ মাত্র (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৮/১০০)। উল্লেখ্য যে, রক্ত ক্রয়-বিক
উত্তর : মুরগীর ফার্ম বাড়িতে রাখতে চাইলে ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্গন্ধ দূর করার চেষ্টা করবে, যাতে প্রতিবেশীদের কষ্ট না হয়। অন্যথায় লোকালয় থেকে দূরে ফার্ম স্থানান্তর করবে (আলী হায়দার আফেন্দী, দুরারুল হুক্কাম ৩/২১৬)। আর যদি প্রতিবেশীকে কষ্ট দ
উত্তর : জানাযার ছালাতে প্রথম কাতারে জায়গা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত কাতার করানোতে কল্যাণ রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন মুসলিমের মৃত্যু ঘটলে তিন সারি বিশিষ্ট জামা‘আত দ্বারা জানাযার ছালাত আদায় সম্পন্ন করা গেলে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য (জান্নাত ও মাগফিরা
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। ইদ্দত পার হয়ে গেলে উভয়ের স
উত্তর : মৃত্যুর আগে হোক বা পরে হোক, ফয়তা নামক প্রচলিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। কেননা বিশেষ কোন উপলক্ষ বা দিবসকে কেন্দ্র করে এভাবে খাওয়ালে তা বিদ‘আতে পরিণত হবে। উল্লেখ্য যে, সাধারণ ছাদাক্বা হিসাবে যেকোন লোককে খাওয়ানোতে দোষ নেই। এতে ধনী-গরীব
উত্তর : যারা বলেন শবে ক্বদরে, তাদের কথাই ঠিক। কেননা শবেবরাতে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে স্পষ্ট কোন দলীল নেই। আর শবে ক্বদরে নাযিল হয়েছে বলে স্পষ্ট দলীল রয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, আমরা এটি নাযিল করেছি ক্বদরের রাত্রিতে’ (ক্বদর ৯৭/১)। তিনি বলেন, ‘রামা
উত্তর : এটি আল্লাহর জন্য ছিয়ামের কারণে হয়ে থাকে, অন্য কারণে নয়। ফলে সেটি আল্লাহর নিকটে অতীব প্রিয়। যদিও দুর্গন্ধ হওয়ার কারণে মানুষের নিকট অপ্রিয়। অবশ্য এর অর্থ এটা নয় যে, ছায়েমকে তার মুখ দুর্গন্ধযুক্ত রাখতে হবে। বরং সে প্রয়োজনে সকাল-বিকাল নিয়মিত
উত্তর : ‘বড় শয়তানগুলি শৃঙ্খলিত হয়’ এবং ‘প্রতি রাতে আহবানকারী ফেরেশতা মানুষকে আহবান করে’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করা হয়’। যার ফলাফল হিসাবে দেখা যায় যে, এ মাসে পৃথিবীতে দুষ্কৃতি কমে যায় এ
উত্তর : ১৯৮৬ সালের ১১-১৬ অক্টোবর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত ওআইসি-র অঙ্গসংস্থা ‘আন্তর্জাতিক ইসলামী ফিক্বহ একাডেমী’র উক্ত মর্মে গৃহীত ৫নং সিদ্ধান্তটি অগ্রহণযোগ্য। কারণ সিদ্ধান্তটি স্পষ্টভাবে কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীত। কেননা আল্লাহ বলেছেন, তো
উত্তর : কোন অবস্থাতেই সূদের উপর ঋণ নেওয়া যাবে না। কারণ সূদ হারাম। একমাত্র ক্ষুধায় মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার মত নিরুপায় অবস্থায় পড়লে সে অবস্থাতে হারাম ভক্ষণের অনুমতি রয়েছে (মায়েদাহ ৩)।প্রশ্নকারী : যাকির হোসাইন, নাটোর।
উত্তর : শরী‘আতে এরূপ নির্দেশনা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) যখন কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তেন, তখন তিনি নফল ছালাতে দন্ডায়মান হ’তেন (আবুদাঊদ হা/১৩১৯, মিশকাত হা/১৩২৫, সনদ হাসান)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) যখন কোন দুঃখ বা সংকটের সম্মুখীন হ’তেন, তখন এই দো‘আটি পড়তে
উত্তর : পারবে। কেননা যে সকল ছালাতে পুরুষ সরবে ক্বিরাআত করে, মহিলারাও সেই সকল ছালাতে সরবে তেলাওয়াত করতে পারে। এ বিধান নারী-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রে সমান। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈকা মহিলাকে তার পরিবারের ইমামতি করার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন (আবুদাঊদ হ
উত্তর : খালাতো বোনের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। আলী (রাঃ) তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে ফাতেমা (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন। একজন মেয়ের বিবাহের জন্য তার পিতার অনুমতি শর্ত। পিতা বা বৈধ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মেয়ের বিবাহ জায়েয নয় (আবূদাউদ হা/২০৮৩; মিশক
উত্তর : কেউ যদি ছিয়ামরত অবস্থায় ভুলবশতঃ স্ত্রী মিলন করে বা বীর্যপাত ঘটায় তাহ’লে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। এমতাবস্থায় ছায়েম তার ছিয়াম পূর্ণ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুল করে ছিয়াম অবস্থায় দিনের বেলায় স্ত্রী মিলন করে, তার কোন ক্বাযাও নেই, কাফফা
উত্তর : কতিপয় শাফেঈ বিদ্বান এমন মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তাদের পক্ষে কোন দলীল নেই। কারণ হাদীছে কম বা বেশী খাওয়ার কথা বলা হয়নি। বরং সাধারণভাবে ভুলে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ছায়েম ভুলে কিছু খায় সে যেন তার ছিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল
উত্তর : হাদীছে বর্ণিত কারণগুলো ছাড়া অন্য কোন গুনাহে লিপ্ত হ’লে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। ছিয়ামের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। তবে ছিয়ামরত অবস্থায় কেউ কবীরা গুনাহে লিপ্ত হ’লে সে ছিয়ামের ছওয়াব পাবে না (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৪/১১৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ;
উত্তর: শিশু বালেগ না হ’লে তার উপর ছিয়াম ফরয হয় না (আবুদাউদ হা/৪৪০১; মিশকাত হা/৩২৮৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৫১২)। আর বালেগ হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন, স্বপ্নদোষ হওয়া, নাভীর নীচে চুল গজানো বা ১৫ বছরে উপনীত হওয়া ইত্যাদি (বুখারী হা/২৬৬৪; মুসলিম হা/১
উত্তর : যার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে তার জন্যই খরচ করা কর্তব্য হবে। তবে অতিরিক্ত অর্থ অন্য কোন অসুস্থ ব্যক্তির জন্যও খরচ করা যায়। কারণ দাতাগণ মূলতঃ অসহায়কে সহায়তা করার জন্য অর্থ দান করেছেন (হাত্তাব, মাওয়াহিবুল জলীল ৬/৫৫; যাকারিয়া আনাছারী
উত্তর : অফিসের কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে নফল ছালাত আদায় করা যাবে না। বরং নিজ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। তোমাদের প্রত্যেককেই ক্বিয়ামতের দিন স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে’ (মুত্তাফ
উত্তর : উটের গোশত খেয়ে ওযূ করা আবশ্যক (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৫)। শরী‘আতের প্রতিটি বিধানের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য করা মুমিনের দায়িত্ব। হিকমত বা কারণ যাই হৌক তা শরী‘আতের বিধান। তবে বিদ্বানগণ কিছু হাদীছের আলোকে এর কারণ বর্ণনা করে বলেন, (১) উটের স
উত্তর : অন্যায় কাজে সহযোগিতার জন্য গোনাহগার হ’তে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর আর গুনাহ ও পাপ কাজে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাক (মায়েদাহ ৫/২)।প্রশ্নকারী : আলাউদ্দীন, মুম্বাই, ভারত।
উত্তর : যাবূর অন্যতম একটি আসমানী কিতাব, যা দাঊদ (আঃ)-এর ওপর নাযিল করা হয়েছিল (নিসা ৪/১৬৩)। বর্তমানে সেই কিতাবটি অক্ষত নেই। বর্তমানে মাযামীর নামে একটি কিতাব পাওয়া যায় যেটিকে কেউ কেউ যাবূর মনে করে, যা সঠিক নয়। আর যাবূরে ১৫০টি সূরা থাকলেও তাতে
উত্তর : যাবে। প্রবল শীতের কারণে শারীরিক অসুস্থতা বা রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে ওযূর পরিবর্তে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করা যাবে (আবুদাঊদ হা/৩৩৭; মিশকাত হা/৫৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৩৬২-৬৩)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের
উত্তর : প্রশিক্ষণ শিবির যদি সফর অবস্থায় হয় তবে সেখানে সাময়িক জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। বরং যোহর আদায় করবে কিংবা আশ-পাশের কোন মসজিদে গিয়ে জুম‘আ আদায় করবে। আর যদি মুক্বীম অবস্থায় হয় তাহ’লে অবশ্যই মসজিদে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। তবে যদি মসজিদে মুছল্ল
উত্তর : এটা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ এতে টাকার হার-জিত উদ্দেশ্য নয়, বরং উদ্দেশ্য হ’ল বৈধ আয়োজনের জন্য বৈধ প্রয়োজনের খরচ মেটানো। অতএব এতে কোন দোষ নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাত ৪৯৬-৯৭ পৃ.; ইবনু ক্বাইয়িম, আল-ফুরুসিয়া ৩১৮ পৃ.; উছায়মীন, লিক
উত্তর : পিতা-মাতার জন্য আবশ্যক হ’ল সন্তানের বয়স হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ দেওয়া। পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বীনকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য। আর সন্তানের কর্তব্য হ’ল পিতা-মাতাকে রাযী করে বিবাহ করা (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ২০/১৮৩; উছ
উত্তর : এমতবস্থায় ছালাত পুনরায় পড়তে হবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২২/১৮৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৭/৩০২; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২/৮)। কারণ রাসূল (ছাঃ) অজ্ঞাতসারে নাপাক জুতা পায়ে পরে ছালাত আদায় করছিলেন। জিব্রাঈল (
উত্তর : যাকাত না দেওয়ার নিয়তে এমন ছলচাতুরি করা যাবে না। তবে সাধারণভাবে সন্তানকে নিজের স্বর্ণালকার থেকে দান করা যায়। এমতাবস্থায় প্রত্যেকের স্বর্ণ যদি আলাদাভাবে নিছাব পরিমাণ না হয়, তাহ’লে যাকাত দিতে হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক স্বর্ণ ও রৌপ
উত্তর : অছিয়তের মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা বাস্তবায়ন করা ওয়ারিছদের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন তার মৃত ছেলে বা মেয়ের সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ দান করা (বাক্বারাহ ২/১৮১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৩৭৮)। এই ধরণের বৈধ অছিয়ত পূরণ করা বাধ্
উত্তর : হজ্জের নিয়তে জমাকৃত অর্থ বিশেষ প্রয়োজনে অন্য কাজে খরচ করতে পারে। তবে সক্ষমতা আসলে যত দ্রুত সম্ভব ফরয হজ্জ আদায় করার চেষ্টা করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৮/১২৭-২৮)।প্রশ্নকারী : মাহফূযুল হক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।
উত্তর : বিবাহের আক্বদ তথা ঈজাব-কবুল সংঘটিত হওয়ার পূর্বে সে স্ত্রী নয়। আর যে স্ত্রী নয় সে অন্যান্য গায়রে মাহরাম নারীর মতই। অতএব বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া প্রস্তাবিত নারীর সাথে সাধারণ কথাবার্তা বা আলাপচারিতা করা যাবে না। বরং তার অভিভাবকের সাথে সার্বিক যো
উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। আর হজ্জ বা ওমরাহ থেকে ফেরার পর বিশেষ কিছু পালনীয়ও নেই। তবে রাসূল (ছাঃ) হজ্জ বা ওমরা থেকে ফেরার সময় কিছু কাজ করতেন। যেমন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কোন যুদ্ধ, হজ্জ বা ওমরাহ হ’তে ফির
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী মানুষের রিযিক লিখে রেখেছেন। প্রতিটি মানুষের রিযিক নির্দিষ্ট। সেগুলো সে পাবেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের রিযিক আসতে বিলম্ব হচ্ছে এমন মনে করো না। কারণ কোন বান্দাহ ততক্ষণ পর্যন্ত মারা যাবে না যতক্ষণ না
উত্তর : বিশুদ্ধ মতে কাট-ছাঁট করা যাবে না। কেননা বৃদ্ধাবস্থাতেও রাসূল (ছাঃ)-এর ঠোটের নিম্নভাগে উক্ত লোম ছিল। যার কিছু অংশ সাদা ছিল (বুখারী হা/৩৫৪৫-৪৬)। জনৈক ব্যক্তি নিম্ন ঠোটের নীচের চুল কাটা অবস্থায় ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ)-এর নিকট সাক্ষ্য
উত্তর : এরূপ করা প্রতারণার শামিল, যা শরী‘আতে বৈধ নয়। কর্তৃপক্ষ প্রকৃত ওমরাহকারীদের তাওয়াফে সুবিধার জন্য এমন নিয়ম করেছে, যা লংঘন করা সঠিক নয় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)।প্রশ্নকারী : ক্বাযী হারূনুর রশীদ, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : ইহরামের কাপড় কোনভাবে নাপাক হয়ে গেলে ধুয়ে পরিস্কার করতে পারে। আবার পরিবর্তনও করতে পারে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৫৭; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৭/২৬৬)।প্রশ্নকারী : হারূনুর রশীদ, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে আযান বা ইক্বামত দেওয়া যাবে না এবং এক ওয়াক্ত ছালাতও আদায় করা যাবে না। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট ওয়াক্ত নির্ধারণ করেছেন (নিসা ৪/১০৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন ছালাতের সময় উপস্থিত হবে তখন একজন আয
উত্তর : যাবে। তবে যেন মসজিদে তাদের কোন শব্দ না আসে এবং ইবাদতে বিঘ্ন না ঘটে। ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) মসজিদে নববীর অনতিদূরে একটি বড় চত্বর বানিয়েছিলেন, এর নাম রাখা হয়েছিল ‘বুত্বায়হা’। তিনি লোকেদের বলে রেখেছিলেন, যে ব্যক্তি অনর্থক কথা বলবে অথবা কব
উত্তর : যে সকল পাখির গোশত খাওয়া হালাল সে সকল পাখির পায়খানা কাপড়ে লেগে থাকলে সে পোষাকে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে সম্ভবপর তা মুছে ফেলবে কিংবা ধুয়ে ফেলবে। আর যে সকল পাখির গোশত হারাম সে সকল পাখি বা প্রাণীর পেশাব বা পায়খানাও নাপাক। এ সকল প্রাণীর পায়খা
উত্তর: স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম হ’লে স্ত্রী উক্ত স্বামীর সাথে সংসার করতে বাধ্য নয়। বরং সে স্বামীর নিকট তালাক চাইতে পারে বা খোলা করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কারণ বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হ’ল পরস্পর
উত্তর : জানাযার ছালাতে তৃতীয় তাকবীরের পর মাইয়েতের জন্য খাছ দো‘আ পাঠের সময় পিতা-মাতার জন্য উক্ত দো‘আ পাঠ করা যায় (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৩৬৫; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১৪৭; আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/১৬৩)।প্রশ্নকারী : ক্বামারুয্যামান, সাঘাটা, গ
উত্তর : দাড়ি রাখার জন্য দাড়ি ঘন বা পাতলা হওয়া শর্ত নয়। বরং দাড়ি রাখা আবশ্যক। একদিক পাতলা বা ঘন হওয়া সাময়িক ব্যাপার, যা বয়সের সাথে ঠিক হয়ে যাবে। সুতরাং দাড়ি সেভ বা মুন্ডন করা যাবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩৬৩; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরু
উত্তর : স্বামী নিজ পিতার পরিচয় না দেওয়ার কারণে কবীরা গুনাহগার হবে (বুখারী হা/৪৩২৬; মিশকাত হা/৩৩১৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২০/৩৯২)। এজন্য তাকে তওবা করা আবশ্যক। তবে এ কারণে বিবাহ বাতিল হবে না। কারণ পুরুষের বিবাহের জন্য পিতা থাকা বা অভিভাবক থাক
উত্তর : অমুসলিম বা মিশ্রিত উপার্জনকারী থেকে করযে হাসানাহ নেওয়া যাবে। কারণ হারাম উপার্জনের জন্য উপার্জন কারী ব্যক্তি দায়ী হবে, গ্রহণকারী নয়। রাসূল (ছাঃ) তার মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে এক ইহুদীর কাছে বর্ম বন্ধক রেখে ত্রিশ কেজি যবের আটা করয বা ধার নিয়ে
উত্তর : সাধারণভাবে স্বপ্নের কথা স্মরণ থাক বা না থাক, ঘুম থেকে উঠে কাপড় ভেজা দেখলে গোসল ফরয হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, যে স্বপ্নদোষের কথা স্মরণ করতে পারছে না, অথচ তার কাপড় (বীর্যপাতের কারণে) ভিজা মন
উত্তর : কবীরা গুনাহ হ’ল যে সকল গুনাহের ব্যাপারে অভিসম্পাত করা হয়েছে এবং পরকালীন শাস্তি কিংবা দুনিয়ায় হদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর জেনে-শুনে বার বার ছগীরা গুনাহে লিপ্ত হ’লে তাও কবীরা গুনাহে পরিণত হয়। যেমন ওমর ও ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,لاَ ك
উত্তর : কেউ মারা গেলে এবং তার জানাযায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার কবরকে সামনে রেখে একাকী বা জামা‘আতের সাথে মাইয়েতের জন্য যে কোন দিন জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ একাধিক কবরের উপর জানাযার ছালাত আদায় করেছেন (বুখারী হ
উত্তর : অধিকাংশ বিদ্বানের মতে, সাদাস্রাব অপবিত্র নয়। তবে এটি বের হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে এবং ছালাতের জন্য পুনরায় ওযূ করতে হবে। আর মযীর মতই সাদাস্রাব কাপড়ে বা শরীরে লেগে থাকলে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক নয়। বরং সে পোষাক পরেই ছালাত আদায় করা যাবে (ইবনু
উত্তর : যাবে না। কারণ ফেন্সিডিল বা অনুরূপ কোন মাদক নেশাদার দ্রব্য, যা স্পষ্ট হারাম। এর দ্বারা চিকিৎসা নেয়া জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তার মধ্যে আরোগ্য রাখেননি, যা তিনি তোমাদের জন্য হারাম করেছেন’ (বুখারী হা/১৮, ৪৮০; ই
উত্তর : পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় পশু কুরবাণী করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এছাড়া উক্ত পশুর গোশত খাওয়া যাবে। এমনকি রুচি হ’লে পেটের বাচ্চাও খেতে পারে। আবু সাঈদ খুদরী বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমরা উটনী, গাভী ও ছাগী যবেহ করি এবং কখনো কখনো আমরা
উত্তর : পেশাব-পায়খানা বা বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে সেটি মাকরূহ। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৫৬০; মিশকাত হা/১০৫৭)। বায়ুর অতিরিক্ত চাপ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ ছহীহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে জেগে উঠে একশ’ বার বলবে, ‘সুবহানাল্লাহিল ‘আযীম ওয়া বিহামদিহি’ এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলে, তাহ’লে সৃষ্টিকুলের কেউই তার মত মর্যাদা ও ছওয়াব অর্জনে সক্ষম হবে
উত্তর: সাধারণভাবে অমুসলিমরা হালাল কোন খাবার হাদিয়া হিসাবে প্রদান করলে তা গ্রহণে দোষ নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২৫১)। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করে
উত্তর : স্ত্রীর একনিষ্ঠ তওবা সাপেক্ষে স্বামী তাকে স্ত্রী হিসাবে রাখতে পারে (ছহীহাহ হা/৬৬৩)। আর তার থেকে আবারও একই কর্মে জড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকলে, তাকে তালাক দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। কারণ স্ত্রীর ব্যভিচার চলমান থাকার বিষয়টি জানার পরেও তাক
উত্তর : মুসাফিরের জন্য সফরকালীন যোহর-আছর ও মাগরিব-এশার ছালাত জমা ও কছর করা মুস্তাহাব (বুখারী হা/১১১১)। তবে প্রতি ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের সুযোগ থাকলে জামা‘আতের সাথেও ছালাত আদায় করা যায়। কারণ ছালাত নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। আল্লাহ বলেন, নি
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলো যঈফ (আহমাদ হা/২৬৩৮৩; যঈফাহ হা/১৫০৩)। তবে ওযূর পূর্বে মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি যদি উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহ’লে প্রত্যেক ছালাতের সময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতা
উত্তর : মেয়েদের হোস্টেলে পূর্ণ পর্দার পরিবেশ ও নিরাপত্তা থাকলে সেখানে অবস্থান করে পড়াশোনা করা যাবে (বুখারী হা/৫২৩৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১২/১৭৮)।প্রশ্নকারী : রুক্বাইয়া খাতুন, সিংড়া, নাটোর।
উত্তর : উপার্জনের মাধ্যম হারাম হওয়ায় তার লভ্যাংশ সর্বাবস্থায় ভোগ করা নিষিদ্ধ এবং পরিত্যাজ্য। তাকে অবশ্যই খালেছ তওবার সাথে সাথে উক্ত সম্পদ মালিককে ফেরত দিতে হবে। আর মালিককে না পাওয়া গেলে তার নামে ছাদাক্বা করে দিবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ
উত্তর : পারবে না। বরং ইদ্দত শেষ করে ওমরাহ পালন করবে। কারণ মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হয় (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। অতএব সে ইদ্দত পালন করবে এবং পরবর্তীতে শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে ওমরাহ করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজ
উত্তর : বোনের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে। অবাধ্যতার কারণে সাময়িকভাবে শাস্তিমূলকভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করা যেতে পারে, কিন্তু স্থায়ীভাবে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা নিষিদ্ধ। তাছাড়া উক্ত বিচ্ছেদ যেহেতু ‘খোলা’ তালাক ছিল, অতএব উক্ত নারীর জন্য নতু
উত্তর : হাতের আঙ্গুল দ্বারা মুছে সে আঙ্গুল ও প্লেট চেটে খাওয়া সুন্নাত (ওছায়মীন, শরহ রিয়াযুছ ছালেহীন ২/২৯৯)। জাবের (রাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাওয়ার পর আঙ্গুলগুলি ও পাত্র চেটে খাওয়ার আদেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘ওর কোনটিতে বরকত আছে ত
উত্তর : ধৈর্যের সাথে মীমাংসার চেষ্টা করবে এবং প্রয়োজনে স্ত্রীকে চাকুরী ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে একই স্থানে থাকবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তা নিরসনের শারঈ পদ্ধতি হ’ল- প্রথমে তাকে উপদেশ দিতে হবে (বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮; মিশকাত
উত্তর : পারবে। কারণ নারীর পক্ষ থেকে তালাক নেওয়া শরী‘আতে ‘খোলা’ হিসাবে গণ্য। আর ‘খোলা’র ইদ্দত এক মাস। অতঃপর মোহর, অভিভাবকের অনুমতি ও দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে হ’তে হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৩/১৫৩)।প্রশ্নকারী : জামিরুল ইসলাম,
উত্তর: ওশর বা যাকাতের নির্দিষ্ট আটটি খাত রয়েছে। ওশর সেগুলোতেই দিতে হবে (তওবা ৯/৬০; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৩৩১-৩৩৯)। এক্ষণে দ্বীনী মাহফিল দ্বীনী জ্ঞান প্রচারের মাধ্যম। আর কুরআনে ‘ফী সাবীলিল্লাহ’ বা আল্লাহর পথ নামে একটি খাত রয়েছে। আর দ্বী
উত্তর: নিকটবর্তী তথা মহল্লার মসজিদে গমনই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘লোকেরা যেন তাদের নিকটতম মসজিদে ছালাত আদায় করে, একাধিক মসজিদ খুঁজে না বেড়ায় (ফাওয়ায়েদু তামাম হা/১৪১৬; ছহীহাহ হা/২২০০)। শায়খ ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, উত্তম হচ্ছে তুমি মহল্লার মসজ
উত্তর : নমীনী সাময়িকভাবে মৃতের সম্পত্তি প্রাপ্তির একটি মাধ্যম মাত্র। এটি ইসলামী উত্তরাধিকারের কোন পদ্ধতি নয়। এজন্য মাইয়েতের যাবতীয় সম্পত্তি শারঈ পদ্ধতিতে বণ্টন করতে হবে। এক্ষণে মোট সম্পত্তির এক-ষষ্ঠাংশ করে পিতা-মাতা পাবেন। স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ পাব
উত্তর: ওলামায়ে কেরাম পিতা-মাতা কর্তৃক সন্তানের সম্পদ গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু শর্তারোপ করেছেন। যেমন- ১. পিতা-মাতাকে দরিদ্র হ’তে হবে, যাদের কোন সম্পদ নেই এবং কোন উপার্জনও নেই। ২. পিতা-মাতার প্রতি খরচ করার জন্য সন্তানের সামর্থ্য থাকতে হবে। ইবনু কুদাম
উত্তর : এক্ষেত্রে দাতাকে পাপের ভাগিদার হ’তে হবে। কারণ এটি সরাসরি শিরকের কাজে সহযোগিতা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘন কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। অতএব এমন কাজে চাঁদা প্রদান থেকে
উত্তর : কিছু লোককে আল্লাহ বিশেষ দক্ষতা প্রদান করেন, যার মাধ্যমে ব্যক্তি বা বস্ত্তর কিছু লক্ষণ দেখে তারা তা বুঝতে পারেন। এটি তাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। যেমন চিকিৎসকগণ রোগীর কিছু লক্ষণ দেখে কিছু রোগের কথা বলতে পারেন। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ছালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য বা তেলাওয়াতে ছওয়াব পাওয়ার জন্য অর্থ বুঝা শর্ত নয়। তবে দ্বীনকে সঠিকভাবে বুঝা এবং ছালাতে পূর্ণ মনোযোগ আনার জন্য পঠিত সূরা এবং দো‘আগুলির অর্থ সাধ্যমত জানার চেষ্টা করা কর্তব্য (ইবনুল ক্বাইয়
উত্তর : সন্দেহের ক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি এটি কোন রুকনের ক্ষেত্রে হয় যেমন রুকূ, সিজদা বা শেষ বৈঠকের তাশাহহুদ, তাহ’লে সে রাক‘আত পুনরায় আদায় করতে হবে এবং শেষ বৈঠকে সহো সিজদা দিয়ে সালাম ফিরাবে। যদি কোন ওয়াজিবের ক্ষেত্র
উত্তর : গীবত বা পরনিন্দা হারাম। তবে পারিবারিক বিষয় মীমাংসার জন্য নিজেদের মধ্যে দোষ বলা বা সমালোচনা করা জায়েয (নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন ৪১২ পৃ.)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমল সম্পর্কে বলব না, যার ছওয়াবের মর্যাদা ছিয়াম, ছাদাক্বা ও ছ
উত্তর : পরস্পরে হাদিয়া আদান-প্রদান মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরে হাদিয়া দাও এবং মহববত বৃদ্ধি কর’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪; মিশকাত হা/৪৬৯৩)।হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফাতেমাকে একটা মোটা কাপড়ের চাদর, একটা মশক ও একটা
উত্তর: কোন তওবাকারীকে তার পূর্বের গোনাহ নিয়ে খোটা দেওয়া যাবেনা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গোনাহ থেকে তওবা করে, সে নির্দোষ ব্যক্তির ন্যায়’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২৫০; মিশকাত হা/২৩৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন শ্রেণীর ল
উত্তর : মানুষের মত জিনেরাও যমীনে বসবাস করে (রহমান ৫৫/১০)। গোপনস্থান সমূহে বিশেষ করে টয়লেটে (আবুদাঊদ হা/৬; মিশকাত হা/৩৫৭)। জিনেরাই আগে পৃথিবীতে বসবাস করত। কিন্তু তাদের অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ তাদেরকে হটিয়ে পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের ব্যবস্
উত্তর: বাজারদর অনুযায়ী লাভ করবে। কেননা লাভের সীমা শরী‘আতে নির্দিষ্ট করা হয়নি (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৩/৮৯-৯১)। জনৈক ছাহাবী এক দীনার দিয়ে একটি ছাগল কিনে দুই দীনারে বিক্রয় করেছিলেন (আহমাদ হা/১৯৩৮১; ইরওয়া হা/১২৮৭)।প্রশ্নকারী : তাক্বী
উত্তর : অনিয়মিত ঋতু হওয়ার কারণে ভুলবশত স্ত্রী মিলন করে থাকলে কোন কাফফারা দিতে হবে না। তবে এই ভুলের কারণে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৩৫৯)।প্রশ্নকারী : ওছমান গণী, ঢাকা।
উত্তর : বড় ভাই হিসাবে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সাধ্যমত ইসলামী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করবেন ও সবাইকে উপদেশ দিবেন। অনুষ্ঠানের কিছু অংশ অপসন্দনীয় হ’লেও পুরো অনুষ্ঠান বর্জন করা যাবে না। বোনকে পর্দার বিধান অনুসরণ করে মহিলাদের পরিবেশে রাখার
উত্তর : নৌযানে আরোহণের নির্দিষ্ট কোন দো‘আ ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। এজন্য সাধারণ বাহনে আরোহণের সময় পঠিতব্য দো‘আটি পাঠ করা যায় (ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৫/৫৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/১২৪)। আর সেটি হ’ল- সুবহা-নাল্লাযী সাখখারা লান
উত্তর : গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করা বা হত্যা করা নিষিদ্ধ। বিশেষ করে শিশুর গঠন শুরু হয়ে গেলে গর্ভপাত করা যাবে না। আর ৪০ দিনেই শিশুর গঠন শুরু হয়ে যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৪/১৬০)। উল্লেখ্য, গর্ভপাত ঘটানোর অর্থই হ’ল সন্তান হত্যা করা, য
উত্তর : নিজের ব্যভিচারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করা কন্যাকে বিবাহ করা যাবে না। কেননা জারজ হ’লেও সে তারই অংশবিশেষ। পিতৃপরিচয় গোপন থাকলেও সে জিনগতভাবে তারই সন্তান। অতএব তাকে বিয়ে করা হারাম। এ ব্যাপারে জমহুর বিদ্বানগণ একমত (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/১১
উত্তর : শরী‘আতের প্রতিটি বিধান পুরুষের পাশাপাশি নারীর জন্যও প্রযোজ্য। সুতরাং উক্ত ফযীলত মসজিদের ইক্বামতের সাথে খাছ নয়, বরং বাড়িতেও নারীরা উক্ত সময়ে দো‘আ করলে দো‘আ কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ছালাতের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন আসমানের
উত্তর : ছেলেরা বালেগ হ’লে তাদের উপর ছালাত ফরয হয়ে যায়। যদিও ছালাত আদায়ে অভ্যস্ত করতে ১০ বছর বয়স থেকেই তাদেরকে নিয়মিত ছালাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এজন্য সে ছওয়াব পাবে (আবুদাউদ হা/৪৩৯৮; মিশকাত হা/৩২৮৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৫১২)। সাধা
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা ফরয (নাসাঈ হা/১২৭৭; ইরওয়া হা/৩১৯; ইবনু কুদামাহ ১/৩৮৭)। তাছাড়া একদল বিদ্বানের মতে শেষ বৈঠকে দরূদ পাঠও ফরয বা ওয়াজিব (বুখারী হা/৪৭৯৮; মুসলিম হা/৪০৫; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২৯৯ পৃ.)। সেজন্য য
উত্তর : হ্যাঁ, যেনা-ব্যভিচারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণকারী জারজ সন্তানকে অপমানসূচক কথা বলা বা সমালোচনা করা গুনাহের কাজ। কেননা তার জন্মদাতা যেনাকার নারী-পুরুষের অপরাধের কারণে সে পাপী নয়। আল্লাহ বলেন, ‘কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪;
উত্তর : কারো মধ্যে স্পষ্ট কুফরী দেখা গেলে এবং তাকে সতর্ক করার পরও কুফরীর উপর অটল থাকলে তাকে কাফের বলা যাবে (বুখারী হা/৩০০৭, ২৬৬১, ৬১০৬; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/৩০৬)। তবে একজন নিরপরাধ মুমিনকে কুফরীর অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যার সমতুল্য
উত্তর : সম্পদ আত্মসাৎকারী বা ছিনতাইকারী নিঃসন্দেহে কবীরা গোনাহগার ও মহাপাপী এবং তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি (শূরা ৪২/৪২; মুত্বাফ্ফেফীন ৮৩/১-৬)। আদালতে বিচারক তাদের অপরাধের মাত্রা অনুপাতে শাস্তি নির্ধারণ করবেন। সেটি জেল বা জরিমানা বা
উত্তর : এমতাবস্থায় ছিয়াম পালন বা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর। দাওয়াতদাতা কষ্ট পাবে এমন সম্ভাবনা থাকলে ছিয়াম ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। আর আপত্তি না থাকলে ছিয়াম পালন করা উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) আমার নিকট এসে বলতেন, তোমাদ
উত্তর :প্রথমতঃ দৃষ্টি অবনমিত রাখবে এবং কোন গায়ের মাহরাম নারীর দিকে কামনার দৃষ্টিতে তাকাবেনা। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে’ (নূর ২৪/৩০)। অনুরূপভাবে নারীরাও এমন পোষাক পরে চলাফেরা করবে না, যাতে পুর
উত্তর : প্রথমতঃ কেউ ইচ্ছা করে ছালাত ত্যাগ করে থাকলে তাকে ক্বাযা আদায় করতে হবে না। বরং ছালাত ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করতে হবে এবং পরবর্তী ছালাতগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। সাথে সাথে অধিকহারে ইস্তিগফার করবে এবং অধিক পরিমাণে নফল ছালাত আ
উত্তর : হায়েয ও নিফাস অবস্থায় স্ত্রী মিলন করা হারাম। নিফাসের জন্য সর্বোচ্চ চল্লিশদিন অপেক্ষা করতে হবে (আবুদাউদ হা/৩১১; ইরওয়া হা/২১১)। তবে চল্লিশ দিনের পূর্বে কেউ পবিত্র হয়ে গেলে তার উপর ছালাত ও ফরয ছিয়াম আবশ্যক হয়ে যাবে এবং স্বামীর সাথে নির
উত্তর : উক্ত মর্মে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যার কোনটাই ছহীহ নয়। বরং কিছু যঈফ ও কিছু জাল (ইবনু বাত্তা, আল-ইবানাতুল কুবরা হা/১৭৯; আলবানী, যিলালুল জান্নাহ হা/৬৯৬)। অতএব মূসা (আঃ)-এর সাথে উক্ত বক্তব্য সম্পৃক্ত করা যাবে না।প্রশ্নকারী : তাইফ
উত্তর : প্রথমতঃ রাসূল (ছাঃ) অলী ছাড়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে বাতিল বলে গণ্য করেছেন (আবুদাউদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে হা/২৭০৯)। এরূপ ক্ষেত্রে অলী বা তার প্রতিনিধি বা বর্তমান অভিভাবকের সম্মতিতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুন
উত্তর :হাদীছটি সিলসিলা ছহীহাহ গ্রন্থে ছহীহ সূত্রে সংকলিত হয়েছে (হা/৬৪৭)। উক্ত হাদীছের অর্থ হ’ল ক্বিয়ামতের পূর্বে ব্যবসা-বাণিজ্যের চরম বিস্তার ঘটবে। বাড়িতে বাড়িতে দোকান-পাট তৈরি হবে। যত্রতত্র বাজার ছড়িয়ে যাবে। নারীরাও দোকানে বসবে এবং তাদের স্বামীদেরক
উত্তর : ইয়াজূজ ও মাজূজ মানব জাতিরই অংশ। তারা নূহ (আঃ)-এর ছেলে ইয়াফেছের বংশধর। তারা মানুষ হিসাবে জন্ম নিলেও মুসলিম নয়। কারণ তারা বিশ্বের অন্যান্য মানুষের মত ঈসা (আঃ)-এর অনুসারীদেরও ধ্বংসের চেষ্টায় থাকবে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৬/১০৪; আনওয়ার
উত্তর : গন্ধ ছড়ায় এমন কিছু মহিলারা ব্যবহার করবে না। সেটি সুগন্ধি নামে বিক্রি হৌক বা অন্য নামে বিক্রি হৌক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষরা গন্ধ পাবে এমন উদ্দেশ্যে আতর মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে গমন করে তাহ’লে সে একজন ব্যভিচারিণী বলে গণ্য হবে’&nb
উত্তর : দাড়ি রাখা ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং দাড়িকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দাও (বুখারী হা/৫৮৯২; মিশকাত হা/৪৪২১; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩৬৩; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৫)। কোন দুনিয়াবী
উত্তর : এটি বানোয়াট রেওয়াজ। ইসলামী শরী‘আতের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এই বানোয়াট প্রথা অবশ্যই বর্জনীয়।প্রশ্নকারী : তিথি*, ভাটিয়ারী, চট্টগ্রাম।*[আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : উক্ত হাদীছ সমূহে লা‘নত শব্দের অর্থ কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া, রহমত থেকে দূরে সরে যাওয়া, আল্লাহর রহমত থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য বদ দো‘আ করা ইত্যাদি (ইবনুল মানযূর, লিসানুল আরব ১৩/৩৮৭)। যে সকল বৈশিষ্ট্যের লোকদের লা‘নত করা হয়েছে তারা
উত্তর : এমতাবস্থায় তেলাওয়াত বা বক্তব্য বন্ধ রেখে আযানের জওয়াব দেওয়াই উত্তম। কেননা আযানের জওয়াব পরে দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আর একাধিক আযান হ’লে একটির জওয়াব দিলেই যথেষ্ট হবে। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ‘আযান শুনলে তেলাওয়াত বন্ধ করে আযানের শব্দগুলোর জওয়াব
উত্তর : এটা নিয়তের উপর নির্ভর করবে। কেউ যথার্থ কারণে সুফারিশ করলে গুনাহগার হবে না। কারণ কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪; ইসরা ১৭/১৫, ফাত্বির ৩৫/১৮; যুমার ৩৯/৭; নজম ৫৩/৩৮)। তবে জেনেশুনে খারাপ মানুষের পক্ষে সুফারিশ করা যাবে না। আ
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা ফরয (নাসাঈ হা/১২৭৭; ইরওয়া হা/৩১৯; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২৪৮; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৪৪)। সেজন্য যে ব্যক্তি তাশাহহুদ পাঠ ব্যতীত সালাম ফিরিয়েছে তাকে উক্ত দো‘আ ও দরূদ পাঠ করে সহো স
উত্তর : স্ত্রীর সম্মতি থাকলে সঠিক হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তোমাদের কিছু দেয়, তাহ’লে তা তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর’ (নিসা ৪/৪)। তবে স্ত্রী যদি এতে স
উত্তর : কুচকাওয়াজে হোক বা যেখানেই হোক বাদ্যযন্ত্র সর্বাবস্থায় হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতাবশে বাজে কথা ক্রয় করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি
উত্তর : এরূপ অস্বচ্ছ ব্যবসা জায়েয নয়। এই পদ্ধতিতে পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় উভয়টি হারাম। কেননা এটি শরী‘আতে নিষিদ্ধ বায়‘এ গারারের অন্তর্ভুক্ত। আর বায়‘এ গারার হ’ল এমন অস্পষ্ট ক্রয়-বিক্রয় করা যার প্রকৃতি ও পরিমাণ সম্পর্কে ক্রেতা বা বিক্রেতা জানে না
উত্তর : উক্ত আছারটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, যার সবগুলিই দুর্বল (দুর্রে মানছূর, ইবনু কাছীর, সূরা নিসা ৬৫ আয়াতের আলোচনা দ্রঃ; তাহক্বীক কুরতুবী হা/২২৯৮-৯৯)।প্রশ্নকারী : বযলুর রশীদ, খুলনা।
উত্তর : দো‘আ করার ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত (আর-রাহীক্ব পৃঃ ১২৬; ইবনু হিশাম ১/৪২০)। তবে এর সনদ যঈফ (ত্বাবারাণী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৯৩৩; দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘তায়েফ সফর’ অধ্যায়)।প্রশ্নকারী : মা‘রূফ, আশাশুনি, সাতক্ষীরা।
উত্তর : বিনিয়োগকারীর সম্মতি সাপেক্ষে সাধ্যমত সঠিকভাবে হিসাব করে লভ্যাংশ প্রদান করবে। এটি শরী‘আতসম্মত মুযারাবা পদ্ধতি, যা সূদ নয়। আনুমানিকভাবে দেয়া যাবে, তবে কোনমতেই যেন বিনিয়োগকারীকে ঠকানোর উদ্দেশ্য না থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! ত
উত্তর : কোন মুসলিম সিঁদুর ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ এটি হিন্দুদের ধর্মীয় রীতি বা নিদর্শন। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭; ছহীহুল জামে‘&
উত্তর : মুসলিম হওয়ার জন্য শর্ত হ’ল গোসল করে বিশুদ্ধ নিয়তে কালেমা শাহাদাত পাঠ করা এবং যাবতীয় শিরক ত্যাগ করে ইসলামের জন্য নিজেকে সোপর্দ করা (মুহাম্মাদ আল-ক্বাহত্বানী, মুখতাছারু মা‘আরিজিল কুবূল ১১৯-১২২ পৃ.)। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইনের অনুসরণে অ
উত্তর : ওযূ অবস্থায় সালাম দেওয়া ও সালামের জওয়াব দেওয়া জায়েয। তবে ওযূ শেষে জওয়াব দেওয়া উত্তম (আবুদাউদ হা/১৭; মিশকাত হা/৪৬৭; ছহীহাহ হা/ ৮৩৪; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১৫৫)।প্রশ্নকারী : শাহীন হোসাইন, চরফ্যাশন, ভোলা।
উত্তর : বাড়িতে পৌঁছলে মুসাফিরের হুকুম বাতিল হয়ে যায়। ফলে সফরের ক্বাযা ছালাত বাড়িতে বা নিজ এলাকায় পূর্ণ আদায় করতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৬/৪৪৯; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৭/২৮২, ২৮৭)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শামাউন, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
উত্তর : হাদীছের প্রামাণিকতাকে অস্বীকারকারী নিঃসন্দেহে কাফের এবং ইসলামের গন্ডি বহির্ভূত। কেননা যে হাদীছকে অস্বীকার করে, সে মূলতঃ কুরআনকেই অস্বীকার করে। হাদীছ ব্যতীত দ্বীনের ওপর আমল করা অসম্ভব। এজন্য মুসলিম বিদ্বানগণ সর্বসম্মতভাবে হাদীছ অস্বীকারকা
উত্তর : এগুলো স্পষ্ট প্রতারণার শামিল। আর প্রতারণা দ্বারা দু’টি পাপ হয়। একটি মিথ্যা বলা ও আরেকটি অন্যকে ঠকানো। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০১-১০২; মিশকাত হা/২৮৬০, ৩৫২০)। কিন্তু যদি ঘটনা
উত্তর : ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। তবে
উত্তর : ঈমান ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্যে কোনটি মারাত্মক পর্যায়ের যা ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়, আবার কোনটি কবীরা গুনাহ। আক্বীদাগত কোন বিষয় অস্বীকার করলে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তাকে কাফের বলা যাবে। যেমন আল্লাহর সাথে প্রকাশ্যে শিরক করা, প্রকাশ্যে কোন ফরয
উত্তর : ঘুষের কারবার সম্পূর্ণ হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষদাতা, ঘুষ গ্রহীতা ও ঘুষের দালাল সকলের উপর লা‘নত করেছেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, বায়হাক্বী ইত্যাদি মিশকাত হা/৩৭৫৩-৫৫, সনদ ছহীহ)। অতএব কষ্টকর হ’লেও ঘুষ দেওয়া বা ঘুষের কাজে মধ্যস্ততা করা থেকে
উত্তর : শিরকে আকবারে লিপ্ত হ’লে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে এবং তার সমস্ত আমল বাতিল হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি শিরক কর, তাহ’লে তোমার সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে (যুমার ৩৯/৬৫)। তবে কেউ শিরক
উত্তর : জায়েয হবে না। বরং এটাও সূদ হিসাবে গণ্য হবে। আর জাহেলী যুগে সূদের এই প্রথা ব্যাপক হারে প্রচলিত ছিল। যায়েদ ইবনু আসলাম (রহঃ) বলেন, জাহেলী যুগে সূদ ছিল এইরূপ যে, এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী পাওনা রয়েছে। যখন পাওনা আদায় করার সময় উপস্থি
উত্তর : প্রথমতঃ স্ত্রী স্বামীর অগোচরে কোন পাপ করলে স্বামী পাপী হবেন না। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪ প্রভৃতি)। আর যদি স্ত্রীর পাপের কথা স্বামী জ্ঞাত থাকে এবং সে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহ’লে স্বামী গু
উত্তর : ফজরের সুন্নাতের পর ও ফরয ছালাতের পূর্বে কোন ছালাত নেই (তিরমিযী হা/৪১৯; ইরওয়া হা/৪৭৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭৮)। তবে সাধারণ যিকর-আযকার করবে। উল্লেখ্য যে, তিরমিযী ও ছহীহ ইবনু খুযায়মাসহ কিছু হাদীছ গ্রন্থে ফজরের সুন্নাতের পর পঠিতব্য দীর
উত্তর : প্রথমে উক্ত ব্যক্তিকে সাধ্যমত নছীহত করতে হবে, যাতে সে সংশোধন হয়। আর অভিযোগ সম্পর্কে সুনিশ্চিত হ’লে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ পেশ করতে হবে। অন্যদিকে ছালাত আদায় করা আবশ্যক। কেননা কেউ ছালাতকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে। আর অলসতা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। যেখানে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ৫০ বার বায়তুল্লাহ ত্বাওয়াফ করবে সে পাপ থেকে ঐ দিনের মত মুক্ত হয়ে যায় যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছেন (তিরমিযী হা/৮৬৬; সিলাসিলা যঈফাহ হা/৫১০২)।প্রশ্নকারী : ফারহান ছাদীক, চা
উত্তর : স্বামীর জন্য কর্তব্য হ’ল স্ত্রীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। তবে স্ত্রীর বিলাসী কামনা পূরণ করা স্বামীর দায়িত্ব নয়। এক্ষণে স্বামী যদি প্রকৃতই স্ত্রীর মৌলিক চাহিদা পূরণ না করে বা সক্ষম না হয় তাহ’লে স্ত্রীর জন্য তার সাথে থাকা বা না থাকার এখতিয়ার
উত্তর : পিতা-মাতার নামে নাম রাখা যায়। তারা অছিয়ত করে গেলে সেই নামে নাম রাখা সদাচরণের মধ্যে গণ্য হবে। আর সাধারণভাবে ভালোবাসার টানে রাখলে নিয়ত অনুপাতে ছওয়াব হবে। তবে তাদের নামে নাম রাখা আবশ্যক কোন বিষয় নয়। বরং আল্লাহর নিকট ‘আব্দ’ যুক্ত প্রিয় নাম র
উত্তর : এমতাবস্থায় তাদের জন্য উচিৎ ছিল বাকী রাকা‘আতটি একাকী সম্পন্ন করা (বুখারী হা/৯০৮)। এর পরিবর্তে একই জামা‘আতে মূল ইমাম থেকে ভিন্ন আলাদা ইমাম নিয়োগ করায় তাদের ছালাত শুদ্ধ হয়নি। তাছাড়া নারীদের জন্য জুম‘আর ছালাতের ইমামতিও জায়েয নয়। কারণ তা
উত্তর : বিড়াল পোষা জায়েয (মুসলিম হা/১৫৬৯; মিশকাত হা/২৭৬৮)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম বিড়ালের প্রতি ইহসান করতেন এবং এদের মুখ দেওয়া খাবারকে পবিত্র মনে করতেন। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, বিড়াল নাপাক নয়। কারণ যেসব প্রাণী সবসময় তোমাদের আশে
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি ঐতিহাসিক আযরাকী তাঁর ‘আখবারু মাক্কা’ গ্রন্থে আলোচনা করেছেন। তবে বর্ণনাটি জাল। কারণ উক্ত বর্ণনার সনদে একাধিক মাতরূক (পরিত্যক্ত) ও মাজহূল (অপরিচিত) রাবী রয়েছে (যাহাবী, আল-মুগনী ২/৩৯৯; ইবনু হাজার, তাক্বরীবুত তাহযীব ১/৩৫৮)।
উত্তর : অন্যকে রক্তদান করা প্রভূত নেকীর কাজ। বিশেষত কারো জীবন বাঁচানোর স্বার্থে রক্তদান করা আরো গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ইহসান কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইহসানকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/১৯৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া
উত্তর : প্রত্যেক মুসলিমের উপর দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; মিশকাত হা/২১৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৯১৩)। অতএব পিতা-মাতার অবশ্য কর্তব্য হ’ল, সন্তানের দ্বীনী জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা করা, নতুবা তারা আল্লাহর কাছে দায়ী হয়ে যাবে। পিতা-মা
উত্তর : যাবে। এটা ওযূ ভঙ্গেরও কারণ নয়। তবে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে মসজিদে যাওয়া নিষেধ। জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই দুর্গন্ধময় গাছ খাবে সে যেন মসজিদে না আসে। কারণ মানুষ যাতে কষ্ট পায় ফেরেশতাগণও তাতে কষ্ট পায়’ (বুখারী, ম
উত্তর : ভবিষ্যদ্বাণী করা আর আশংকা বা অনুমান করা এক জিনিস নয়। অতএব কিছু আলামত বা নিদর্শন দেখে ভবিষ্যতের বিষয়ে আশংকাজনক কিছু বলাতে কোন দোষ নেই। যেমন কোন যুদ্ধের ফলাফল স্বরূপ বিশ্বে ধ্বংসলীলা হবে, এতে উৎপাদন কমে যাবে, জান-মালের ক্ষয় ক্ষতি হবে, জিনি
উত্তর : উক্ত ইমামের পিছনে ছালাত আদায়ে দোষ নেই। কারণ কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪, ইসরা ১৫/১৫, ফাত্বির ৩৫/১৮, যুমার ৩৯/৭, নাজম ৫৩/৩৮)। আর হারাম মিশ্রিত থাকলেও পিতার উপার্জিত সম্পদ সন্তানের জন্য মৌলিকভাবে হালাল (ইবনু তায়ম
উত্তর : ইসলাম গ্রহণের জন্য এফিডেভিট করে স্বীকৃতি দেয়া শর্ত নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় বিধান ও আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। বরং সঠিক নিয়তে গোসল করে কালেমা পাঠ করলেই মুসলমান হওয়া যায়। আর বিয়ের জন্য মেয়ের অভিভাবক আবশ্যক। আর যেহেতু তার মুসলিম অভিভাবক নেই, সেজন্য
উত্তর : শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্য হবে স্রষ্টাকে জানা এবং তাঁর প্রেরিত বিধানসমূহ অবগত হওয়া। দ্বিতীয় বিষয়টি এই যে, প্রকৃত শিক্ষা হ’ল সেটাই যা খালেক্ব-এর জ্ঞান দান করার সাথে সাথে ‘আলাক্ব-এর চাহিদা পূরণ করে। অর্থাৎ নৈতিক ও বৈষয়িক জ্ঞানের সম
উত্তর : ভাইকে হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকার জন্য উপদেশ দিবে। সে নিবৃত না হ’লে সাধারণভাবে তার সাথে বসবাস বা খাওয়াতে দোষ নেই। কেননা একের অপরাধ অন্যের উপর বর্তায় না (ইবনু কুদামা. মুগনী ৪/২০১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৯৬; উছায়মীন, লিকাউল বাব
উত্তর : প্রচন্ড বৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, ঠান্ডা ইত্যাদি কারণে আযানে ‘আছ-ছালাতু ফী রিহালিকুম বা বুয়ূতিকুম’ (তোমরা তোমাদের অবস্থানস্থল বা বাড়িতে ছালাত আদায় কর) বলা জায়েয (নববী, শারহু মুসলিম ৫/২০৭; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ২/১১৩)। আর এই বাক্যটি দু’টো
উত্তর : এমতাবস্থায় মাকে পারস্পরিক সুন্দর আচরণের গুরুত্ব বুঝাতে হবে। কোনভাবেই তাকে বুঝানো না গেলে পৃথকভাবে সংসার করবে এবং সে অবস্থাতেও ধৈর্যধারণ করবে। আর সর্বাবস্থায় মায়ের সাথে সদাচরণ করবে। পারতপক্ষে কোন কষ্ট দিবে না (লোকমান ৩১/১৫)। রাসূল (ছ
উত্তর : দো‘আ অর্থে এমন বাক্য ব্যবহারে কোন দোষ নেই। তবে সাক্ষাতে এবং বিদায়ের আদব হ’ল সালাম বিনিময় করা। কারণ সালাম হচ্ছে ইসলামের মৌলিক সম্ভাষণ। তাছাড়া সালামে রয়েছে ছওয়াব ও ভ্রাতৃত্বের চাবিকাঠি (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/১১৫, ১১৯; বিন বায, ফাতা
উত্তর : দু’জন সাক্ষী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির উপস্থিতিতে যদি ঈজাব ও কবুল হয়ে থাকে, তবুও নারীর ওলী বিহীন এরূপ বিবাহ শুদ্ধ নয়। তবে এটি শিবহে নিকাহ বা সন্দেহপূর্ণ বিবাহ হিসাবে গণ্য হবে (ইবনু কুদামা, মুগনী ৭/০৮, ১১/১৯৬; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতা
উত্তর : সূদমুক্ত ঋণ গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু সূদ দিতে হ’লে তা গ্রহণ করা যাবে না। কারণ সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, যারা সূদ খায়, সূদ দেয়, সূদের হিসাব লেখে এবং সূদের সাক্ষ্য দেয়, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের উপর লা‘নত
উত্তর : পারবে। কারণ এমতাবস্থায় দেবর বা ভাসুরের সাথে বিবাহে কোন বাধা নেই (নিসা ৪/২৪)। তবে বিধবা নারী অবশ্যই চার মাস দশ দিন স্বামীর জন্য শোক পালন করবে অতঃপর অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৪)।প্রশ্নকারী : আব্দুল ওয়াহেদ,&nbs
উত্তর : ঋণ যার কাছেই করা হোক বা যেভাবেই করা হোক তা পরিশোধ করা আবশ্যক। কারণ ঋণ পরিশোধ না করলে বিচার দিবসে এর বিনিময়ে ছওয়াব দিতে হবে অথবা প্রাপকের গুনাহ নিতে হবে। সেজন্য ঋণ করতে হ’লে তা পরিবারের সদস্যদের অবহিত করতে হবে। যাতে তারা অপরিশোধিত ঋণ পরিশ
উত্তর : মুযদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/১৩৪, ১৫০; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/২৭৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৩/৫১)। হাজীগণ মুযদালিফায় মাগরিব ও এশার ছালাত জমা‘ ও তাখীর করে আদায় করবেন। অতঃপর রাতে অবস্থান করে ফজরের ছালাত আদায় কর
উত্তর : ডান পায়ের রান বা হাঁটুর উপর ডান হাত রেখে মুষ্টিবদ্ধ করে শাহাদত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর বাম পায়ের উরু বা হাঁটুর উপর বাম হাত বিছিয়ে ক্বিবলামুখী করে রাখবে। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) বলেন, ছালাত আদায়ের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন তাশা
উত্তর : ছালাতে বিনা কারণে ইলতেফাত বা এদিক-ওদিক দেহ বা দৃষ্টি ফিরানো নিষেধ, কেননা তা ছালাতে খুশূ-খুযূর বিপরীত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ছালাতের মধ্যে এদিক-সেদিক দেখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটা শয়তানের ছোঁ মারা।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অধিকাংশ সময় দীর্ঘ জামা তথা প্রচলিত জুববার মত পোষাক পরিধান করতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৩০৫)। তবে ক্বামীছ ও পায়জামাও রাসূল (ছাঃ) মাঝে-মধ্যে পরিধান করেছেন (সাফারেনী, গেযাউল আলবাব ২/২৪১)। বরং ক্বামীছ রাসূল (
উত্তর : শারঈভাবে শাস্তিযোগ্য যে কোন অপরাধের ক্ষেত্রে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। বরং তাকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিবে। রাষ্ট্র শারঈ বিধান অনুযায়ী তার উপর হদ্দ কায়েম করবে। আল্লাহ বলেন, চোর পুরুষ হৌক বা নারী হৌক তার হাত কেটে দাও তার কৃতকর্মের শ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কোন সন্তান, ধন-সম্পদ বা কারো কোন নে‘মত প্রাপ্তিতে ‘বারাকাল্লাহু লাকা’ বা ‘মা-শাআল্লাহ লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বা ‘হাযা মিন ফাযলি রাববী’ পাঠ করবে (ইবনু কাছীর ৫/১৪৩, ৬/১৭২, সূরা নমল ২
উত্তর : ‘ছালাতুয যাওয়াল’ বা বা সূর্য ঢলে পড়ার ছালাত মূলতঃ ৪ রাক‘আত বিশিষ্ট নফল ছালাত। আব্দুল্লাহ ইবনুস সায়েব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূর্য ঢলার পর হ’তে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন এবং বলতেন, এ সময় আকাশের দরজা খুলে দেয়া হ
উত্তর : মৃত্যুর ফেরেশতা মূলতঃ একজন। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য নিযুক্ত মৃত্যুর ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে’ (সাজদাহ ৩২/১১)। তবে মালাকুল মউত ফেরেশতার অসংখ্য সহযোগী রয়েছে যারা তার নির্দেশে বহু প্রাণীর জান কবয করে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘প
উত্তর : বিভিন্ন খাত থেকে ব্যয় সংকোচন করার রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন বা সাধারণ প্রচলন থাকলে দোষ নেই। আর অনুমতি না থাকলে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজ অর্থ দ্বারা মেহমানদারী করবে। কারণ ক্ষেত্রবিশেষে মেহমানের আপ্যায়ন করা ওয়াজিব (বুখারী হা/৬০১৯
উত্তর : আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা কবীরা গুনাহ। যদি তারা ভুল করে তবে তাদেরকে কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি দাওয়াত দিতে হবে; কিন্তু পরিত্যাগ করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ‘আত্মীয়তা’-এর সাথে ওয়াদা করে বলেন, ... যে ব্যক্তি তোমাকে বহাল
উত্তর : ‘রিয়া’ তথা লোক দেখানো আমল ছোট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। অতএব ‘রিয়া’ থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিম্নের আমলগুলো সহায়ক। (১) যিকির ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা (তওবা ৯/১২৯; ফাতেহা ১/০৪)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়া ও ইবন
উত্তর : এটি হাদীছ ও কবর আযাব অস্বীকারকারীদের বক্তব্য। যা সরাসরি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। আল্লাহ বলেন, (১) আল্লাহ মুমিনদের দৃঢ় বাক্য দ্বারা মযবূত রাখেন ইহকালীন জীবনে ও পরকালে (ইব্রাহীম ১৪/২৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে ক
উত্তর : সার্ভিস চার্জ হিসাবে কিছু টাকা নেওয়াতে কোন দোষ নেই। কেননা সামাজিক প্রচলন মোতাবেক বিষয়টি গ্রাহকের অবগতিতেই থাকে ও তার সম্মতিও থাকে। তবে দায়মুক্তির জন্য যদি কেউ গ্রাহকের বাড়তি অর্থ ফেরৎ দেয়, তবে সেটাই অধিক তাক্বওয়াপূর্ণ হবে। আল্লাহ বলেন, ‘
উত্তর : কোন ঋতুবতী মহিলার স্বপ্নদোষ হ’লে সে ফরয গোসল করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি তোমরা নাপাক হয়ে থাক, তাহ’লে গোসলের মাধ্যমে ভালভাবে পবিত্র হও’ (মায়েদাহ ৫/০৬)। ইবনু কুদামাহ (রহঃ) বলেন, যদি কেউ ঋতুকালীন নাপাকীর গোসল করে, তাহ’লে তার গোসল শ
উত্তর : এ কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। কারণ মূর্তিপূজা শিরক (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৫/৪০৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১/২৮৬)। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)।প
উত্তর : নিজ ও পরিবারের বসবাস ও প্রয়োজনীয় খরচের জন্য ব্যবহৃত জমিজমার বাইরে সাধারণ বিক্রয়যোগ্য অতিরিক্ত জমিজমা থাকলে তার উপর হজ্জ ফরয হবে (বাহূতী, কাশশাফুল ক্বেনা‘ ২/৩৮৯; শারবীনী, মুগনিল মুহতাজ ২/২১৩)। আল্লাহ বলেন, আল্লাহর জন্য লোকদের উপর বায়
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল। এর সনদে আবু ইয়াহইয়া আল-কাত্ত্বাত ও সুওয়াইদ বিন সাঈদ নামে দু’জন যঈফ রাবী রয়েছে (আলবানী, যঈফাহ হা/৪০৯)।প্রশ্নকারী : ইলিয়াস হোসাইন, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।
উত্তর : যদি মুসলিম সন্তান পরবর্তীতে কাফের বা মুরতাদ হয়ে যায়, তাহ’লে সে ইসলামী বিধান মতে পিতা-মাতাসহ তার মুসলিম আত্মীয়দের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে। আর কাফের কোন মুসলিমের মীরাছ পাবে না (বুখারী হা/৬৭৬৪; মুসলিম হা/১৬১৪; মিশকাত হা/৩০৪৩)। তবে মুরতাদ
উত্তর : ছালাতে মেয়েরা চুল বেণী বা খোপা করে রাখবে। কারণ মেয়েদের চুল সতরের অন্তর্ভুক্ত। যা ঢেকে রাখা ওয়াজিব। মেয়েদের চুল যাতে বাইরে বের হয়ে না যায় সেদিকে যেমন সতর্ক দৃষ্টি রাখবে, তেমনি তাদের চুলের খোপা যেন উটের কুঁজের মত উঁচু হয়ে না থাকে সেদিকে খে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ (বুখারী হা/৭৫২৭)। মধুর সুরে তেলাওয়াতের অর্থ হচ্ছে নিজ স্বভাবজাত সুরে কুরআনকে শ্রুতিমধুর করে তোলা (নববী, শরহ মুসলিম ৬/৭৮; মির‘আত ৭/২৬৮)। যেমন রাসূল (ছাঃ) অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের (সুমিষ্ট) শব্দ দ্বার
উত্তর : অমুসলিমদের রান্নাকৃত খাবার গ্রহণে কোন দোষ নেই। তবে তাদের যবেহকৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না (মুছান্নাফে আব্দুর রাযযাক হা/১০১৫৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৪১৩)। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, মূর্তিপূজক ও মুশরিকদের খাবার গ্রহণে কোন দোষ নেই
উত্তর : পুরাতন মসজিদের জিনিসপত্র নবনির্মিতব্য মসজিদে ব্যবহার করা যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/৭৬-৭৭; ইবনুল হুমাম, ফাৎহুল ক্বাদীর ৬/২২৮)। তাছাড়া পুরাতন মসজিদের জমি বিক্রয় করেও তার অর্থ নতুন মসজিদে লাগানো যাবে। কূফার মসজিদে রক্ষিত বায়তুল মা
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে পিতা এবং ছেলের মাঝে বৈপরিত্য দেখা দিলে ছেলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। কারণ ছেলের বিবাহের জন্য অভিভাবকের অনুমোদন শর্ত নয়। তবে সর্বাবস্থায় পিতা-মাতার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবে এবং পিতার বিরোধিতার যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ থাক
উত্তর : অবৈধভাবে গর্ভবতী হ’লেও গর্ভপাত করা জায়েয হবে না। কারণ জনৈকা গামেদী মহিলা তার উপর যেনার হদ্দ কায়েম করতে বললে রাসূল (ছাঃ) তাকে সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন (মুসলিম হা/১৬৯৫; মিশকাত হা/৩৫৬২)। বিশেষ করে শিশুর গঠন শুরু হয়ে
উত্তর : উক্ত কথার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। বরং এগুলো হিন্দুদের থেকে আসা কুসংস্কার। বরং সন্ধ্যার সময় ইফতার গ্রহণ করার বিধান রয়েছে। যা সারা বছর চলতে থাকে। অতএব উক্ত কথা ভিত্তিহীন।প্রশ্নকারী : আহমাদ, গাযীপুর।
উত্তর : এমতাবস্থায় প্রথমতঃ খালেছ অন্তরে তওবা করতে হবে। কেননা ফরয বিধান পরিত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। দ্বিতীয়তঃ যেহেতু বিগত ছুটে যাওয়া ছিয়ামগুলোর নির্ধারিত কোন হিসাব নেই, সেহেতু এজন্য তওবা করাই যথেষ্ট হবে এবং বেশী বেশী নফল ছিয়াম আদায় করবে। ইবনু তায়মি
উত্তর : মানুষ হিসাবে সবার প্রতি মানবিক সমবেদনা দেখানো যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া কর, আসমানবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি দয়া করবেন’ (আবুদাউদ হা/৪৯৪১; মিশকাত হা/৪৯৬৯; ছহীহাহ হা/৯২৫)। জনৈক ইহূদী বালক রাসূল (ছাঃ)-এর খিদমত করত। সে
উত্তর : এটি একটি প্রতারণা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয় (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)। অতএব প্রতারণার কাজে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না (মায়েদাহ ৫/২)। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, কোনভাবেই পরীক্ষায় প্রতারণা করা বৈধ ন
উত্তর : সন্তানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হারাম। একদিন রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে একজন ছাহাবী বসে ছিলেন। তার পুত্র সন্তানটি আগমন করলে সে চুমু দিয়ে নিজের কোলে বসাল। একটু পরে তার কন্যা সন্তানটি আসলে তাকে পাশে বসিয়ে দিল। এটি দেখে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ত
উত্তর : চুল বিক্রয়যোগ্য বস্ত্ত নয়। কারণ চুল দেহেরই একটি অংশ। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা আদম সন্তানকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি’ (ইসরা ১৭/৭০)। তাই এটি জায়েয হবে না যে, এভাবে মানব দেহের কোন অংশ অপদস্থ ও অপমানিত হৌক’ (আল-ইনাইয়া শারহুল হেদায়া ৬/৪২৫; আল-মাওসূ‘আতুল ফ
উত্তর : মা ও বোনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকলে ওমরায় যাওয়া যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৩১৪)।-আব্দুল্লাহ, টেকনাফ, কক্সবাজার।
উত্তর : অস্বাভাবিক ও কুশ্রী লাগলে বা নারীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হ’লে তা উৎপাটন বা ওয়াক্সিং করতে পারে (আল- মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৪/৮২)।প্রশ্নকারী : হোসনে মোবারক, চিলমারী, কুড়িগ্রাম।
উত্তর : প্রথমেই তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে এবং তার মাল-সামান তার কাছে পৌঁছে দিবে বা তার কাছে ব্যবহারের অনুমতি নিবে। যদি যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, তাহ’লে তার জন্য এক বছর অপেক্ষা করবে। যদি এক বছরের মধ্যে তার সন্ধান পাওয়া না যায়, তাহ’লে তার জিনিসপ
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। অতএব ইদ্দতের মধ্যে অর্থাৎ তিন তোহরের মধ্যে স্বামী তাকে সরাসরি ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দত পার হয়ে গেলে উভয়ের সম্মতিতে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফেরত নিবে (বাক্ব
উত্তর : নির্দিষ্ট ইমাম থাকলে তিনিই ইমামতির সর্বাধিক হকদার। তার অনুমতিক্রমে অন্যে ইমামতি করতে পারবে। আর নির্ধারিত না থাকলে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিকেই ইমামতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘জামা‘আতের ইমামতি ঐ
উত্তর : আপন ভাগ্নীর মেয়ে মাহরাম। আর মাহরামকে বিবাহ করা হারাম (নিসা ৪/২৩; তাফসীর ক্বাসেমী ৫/৮৬, ৩/৬৩)। তবে মায়ের ফুফাতো বোন মাহরাম নয়। সে হিসাবে মায়ের ফুফাতো বা মামাতো বোনকে বিবাহ করা জায়েয (আহযাব ৩৩/৫০; তাফসীর সা‘দী ১/৬৬৯ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব
উত্তর : তাশাহহুদের সময় ডান পায়ের আংগুল কেবলামুখী করে রাখা সুন্নাত (মুসলিম, মিশকাত হা/৭৯১)। অসুস্থতা বা দৈহিক স্থূলতার কারণে যদি কেউ আংগুল কেবলামুখী করতে না পারে বা পায়ের পাতা দাঁড় করিয়ে রাখতে না পারে, তাহ’লে কোন দোষ নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৪৪৬)।প
উত্তর : সাধারণভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কোন বাধা নেই। যাতে মুছল্লীরা প্রশান্তির সাথে ছালাত আদায় করতে পারেন। ওছমান (রাঃ) মসজিদে নববীর সৌন্দর্য বর্ধন করেছিলেন (বুখারী ফাৎহসহ হা/৪৪৬, ১/৬৪৩)। তবে সাজ-সজ্জার প্রতিযোগিতা এবং গর্ব-অহংকার প্রকাশের জন্য মসজিদের
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে বন্ধক রাখা যাবে না। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (মুগনী ৪/২৫০; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। তবে অর্
উত্তর : ইসলামে এ ধরনের কোন দিবস পালনের বিধান নেই। এগুলো বিজাতীয় অপসংস্কৃতির অনুকরণ মাত্র। যা নিষিদ্ধ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; তিরমিযী হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৯৪)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে বড় বড় ঐতিহাসিক বিজয় সংঘটিত হয়েছিল। অথচ সালাফে ছালেহীন
উত্তর : এমতাবস্থায় পিতা-মাতা অভিযুক্ত ছেলেকে খুঁজে বের করে তার সাথে ঐ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি অভিযুক্ত মাহরাম হয় বা বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়, তাহ’লে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। অতঃপর অন্যত্র মেয়েকে বিয়ে দিবে (আবুদাউদ হা/২১৫৭; ইবনু
উত্তর : মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের পাশে নিয়মিত বা অনিয়মিত কোনভাবেই কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোন মৃতকে...’ (নমল ২৭/৮০)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় না। ইবনু তায়মিয়াহ
উত্তর : মাসবূকের ছালাত শেষ হওয়ার পর হাদীছ পাঠ করাই উত্তম। মসজিদে মুছল্লীদের ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কোন কাজ করা সমীচীন নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই ছালাতের মধ্যে আল্লাহর দিকে নিবিষ্টতা থাকে’ (বুখারী হা/১১৯৯; মুসলিম হা/৫৩৮; মিশকাত হা/৯৭৯)। এক্ষণে
উত্তর : যাবে না। কারণ এটি দৈহিক ইবাদত। যার নেকী কেবল ব্যক্তি পাবেন। অতএব যে ব্যক্তি এটি তেলাওয়াত করবে সে-ই এর ফযীলত লাভ করবে, অন্য কেউ নয়। কারণ ‘মানুষ মারা গেলে তার সমস্ত আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়’ (মুসলিম হা/২৬৮২)। তবে যেকোন সময় সন্তান দো‘আ করলে, ছাদাক্
উত্তর : সুন্নাত হ’ল প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরা মাইয়েতের পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করবে। জা‘ফর বিন আবু তালিব (রাঃ) মুতার যুদ্ধে শহীদ হ’লে রাসূল (ছাঃ) তার পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য প্রতিবেশীদের নির্দেশ দেন (আবুদাউদ হা/৩১৩২; ইবনু মাজাহ হা
উত্তর : এরূপ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শরী‘আত সম্মত নয়। এগুলো কুসংস্কার ও অমুসলিমদের অনুকরণ। যা নিষিদ্ধ (আবূদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। তবে বর-কনে চাইলে নিজেরা হলুদ মাখতে পারে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩২১০ ‘ওয়ালীমা’ অনুচ্ছেদ)। মূলতঃ গায়ে হলুদ হিন্দুদের বৈবাহিক
উত্তর : ঘুষ সংশ্লিষ্ট থাকায় এমন অনুদান গ্রহণ করা যাবে না। কেননা ঘুষ আদান-প্রদান হারাম। এই পন্থায় অর্থ গ্রহণ করলে হারাম কাজে সহযোগিতা করা হবে। আর আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মা
উত্তর : উক্ত ছালাতগুলি পুনরায় ক্বাযা আদায় করতে হবে। কারণ অপবিত্র অবস্থার ছালাত আল্লাহ কবুল করেন না (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১২/১৪৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)। উল্লেখ্য যে, পূর্বসময়ে অজ্ঞতা বা না জানার কারণে
উত্তর : রাতের নফল ছালাতে কিরাআত সরবে পাঠ করা উত্তম। তবে নীরবেও পাঠ করা যায় (আবূদাউদ হা/১৩২৯; মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৪১৯৯; মিশকাত হা/১২০৪; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৪-২৬)। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কায়েস বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে রাসূল (ছাঃ)-এর রাতের
উত্তর : জুম‘আর দিন সূরা জুম‘আ পাঠের বিশেষ কোন ফযীলত ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তবে রাসূল (ছাঃ) মাঝে মধ্যে জুম‘আর রাতে এশার ছালাতের প্রথম রাক‘আতে সূরা জুম‘আ পাঠ করতেন (মুসলিম হা/৮৭৯; আবুদাউদ হা/১১২৫)। তাছাড়া সূরা জুম‘আ মুফাছ্ছাল সূরা সমূহের অন্তর্ভুক্ত
উত্তর : ছালাত অবস্থায় অকারণ নড়াচড়া করা বা হাটাহাটি করা নিষিদ্ধ। কিন্তু কাতার পূরণ করার জন্য বা ফাঁকা জায়গা পূরণ করার জন্য স্থান পরিবর্তন করা মুস্তাহাব (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২৭, ৩১০; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১১২-১৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে
উত্তর : অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া বা তার সেবা করা যেমন মুসলমানের উপর ওয়াজিব, তেমনি এর বিশেষ ফযীলত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি। সে বলবে, হে প্রভু! কিভাবে আমি আপনা
উত্তর : দুধ মা সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত রয়েছে। প্রথমতঃ দুধ পান করার বয়সে দুধ পান করাতে হবে (বুখারী হা/২৬৪৭; মিশকাত হা/৩১৬৮)। দ্বিতীয়তঃ পৃথক পৃথক সময়ে পাঁচবার দুধ পান করাতে হবে (মুসলিম হা/১৪৫১; মিশকাত হা/৩১৬৭; আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/১১২-১১৩)। রাসূল
উত্তর : ওযূ করার পরে কিছু খেলে কুলি করা মুস্তাহাব। কারণ কোন কোন সময় দু’দাঁতের মাঝে খাবার আটকে থাকে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) একবার দুধ পান করার পর পানি আনালেন। এরপর কুলি করলেন এবং বললেন, এতে তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে (মুসলিম হা/৩৫৮; মিশকাত হা/৩০
উত্তর : সূরা বাক্বারার প্রথম পাঁচ আয়াত পাঠের বিশেষ কোন ফযীলত হাদীছে বর্ণিত হয়নি। সূরা বাক্বারার প্রথম চার আয়াত, আয়াতুল কুরসী, শেষ তিন আয়াত, আলে ইমরানের প্রথম আয়াত পাঠের ফযীলত সম্পর্কে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেটি অত্যন্ত যঈফ (আহমাদ হা/২১২১২; মাজ
উত্তর : সাজ-সজ্জা ও সৌন্দর্য মনে করে কেউ নাকফুল ব্যবহার করলে তাতে কোন দোষ নেই। কারণ এ ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই (হাশিয়া ইবনু আবেদীন ৬/৪২০; ফৎওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/৩৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব, ফৎওয়া নং ১৪৯২৭)। ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘কো
উত্তর : হায়েয ও নিফাসওয়ালী নারীদের জন্য বিশুদ্ধ মতে কুরআন তেলাওয়াত যেমন জায়েয, তেমনি লেখাও জায়েয (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/২০৯)।প্রশ্নকারী : রেযাউল করীম, খলীফাপাড়া, রংপুর।
উত্তর : প্রথমে খাওয়ার দো‘আ পড়বে। অতঃপর মেযবানের জন্য দো‘আ পড়বে। খাবার পরে একাধিক দো‘আ রয়েছে। যেমন- আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন্ গাইরি হাওলিম্ মিন্নী ওয়া লা কুউওয়াহ। অর্থাৎ ‘সেই আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা, যিনি আমাক
উত্তর : যদি স্পষ্টভাবে জানা যায় যে, উক্ত লেখা হারাম এবং অশ্লীলতা বা অন্যায় কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, তাহ’লে তা কম্পোজ করে দেওয়া যাবে না। তাছাড়া ফটোকপির বিষয়বস্ত্ত জানা বা বুঝা না গেলে ফটোকপি করা যাবে। আর যদি নিশ্চিত জানা যায় যে, সেগুলি হারাম বা বিদ‘আ
উত্তর : এজন্য কাপড় হৌক বা শরীর হৌক অপবিত্র স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৯১)। উল্লেখ্য যে, পেশাব থেকে পবিত্রতার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ কবরের অধিকাংশ আযাব পেশাবের কারণেই হয়ে থাকে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পেশাব
উত্তর : দাওয়াতের দায়িত্ব নারী ও পুরুষের উপর সমান। তবে নারীদের ক্ষেত্র আলাদা। তারা পর্দার মধ্যে থেকে নারী সমাজের মধ্যে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করবেন’ (সূরা তওবা ৯/৭১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/২৪০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২৩৩)। রাসূল (ছ
উত্তর : ছবি সরিয়ে ফেলবে বা ঢেকে রাখবে। কেননা প্রাণীর ছবি-মূর্তি হারাম। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) স্বীয় গৃহে (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কোন বস্ত্তই রাখতেন না; বরং তা নষ্ট করে ফেলতেন (বুখারী হা/৫৯৫২; মিশকাত হা/৪৪৯১)। একইভাবে প্লাস্টিকের ম্যান
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের পূর্বে কোন বিশেষ দো‘আ বা আমল নেই। বরং ওযূ করে ‘আ‘উযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ বলে তেলাওয়াত শুরু করবে (ওয়াক্বি‘আহ ৫৬/৭৭-৮০; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২১/২৬৬-৬৭)। আর তেলাওয়াতের পূর্বে নিয়মিত দরূদে ইব্র
উত্তর : ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সূদ ছাড়াই মূল ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করবে। কোনভাবেই তারা মেনে না নিলে বাধ্যগত অবস্থায় সূদ সহ ঋণ পরিশোধ করবে। আর এতে সন্তানের কোন গুনাহ হবে না। কেননা একের পাপের বোঝা অন্যে বহন ক
উত্তর : খালা এবং ফুফু উভয়ে মাহরাম। আর মাহরামের সামনে নারীরা নিজেদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারে (নিসা ৪/২৪)। তবে খালাতো ও ফুফাতো বোনদের থেকে পর্দা করে চলতে হবে (নূর ২৪/৩১; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৯৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৭/২৯০, ৯৭)। এক্ষণে
উত্তর : যাবে না। কারণ সময়ের পূর্বে ছালাত আদায় যথেষ্ট নয়। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই ছালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত (নিসা ৪/১০৩)। অতএব ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পরেই ফজরের ছালাত আদায় করতে হবে। যদি রাস্তায় ওয়াক্ত হয়, তবে সেখানেই পড়বে। সেই সুয
উত্তর : এই ব্যবসা ছেড়ে বিকল্প কর্মক্ষেত্র খুঁজতে হবে। কারণ এই পেশায় সাধারণতঃ ঘুষের কারবার চলমান থাকে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার প্রতি লা‘নত করেছেন (আবুদাউদ হা/৩৫৮০; ইবনু মাজাহ হা/২৩১৩; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহক
উত্তর : স্বামীর চাচা, মামা, খালু স্ত্রীর জন্য মাহরাম নয়। স্ত্রীকে এদের সামনে পর্দা করতে হবে। কেবলমাত্র স্বামীর পিতা ও দাদা স্ত্রীর জন্য মাহরাম (নূর ২৪/৩১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২০/২৯৩-৯৪; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৯/০২)। আর স
উত্তর : ওযূতে ঘাড় মাসাহ করা সুন্নাতও নয়, মুস্তাহাবও নয়। কারণ এর স্বপক্ষে কোন ছহীহ দলীল নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১০২)। আবূদাঊদে এ সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (আবূদাঊদ হা/১৩২, সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৯-এর আলোচনা দ্রঃ)। ইমাম নববী (রহঃ)
উত্তর : কোন ইজতিহাদী মাসআলায় কোন নির্ভরযোগ্য আলেমের কুরআন ও ছহীহ হাদীছভিত্তিক এবং সালাফে ছালেহীনের বুঝের আলোকে কৃত ইজতিহাদকে গ্রহণ করলে তা দোষ হবে না। বরং এমন পরিস্থিতিতে কারো প্রতি অন্ধ পক্ষপাত না করে আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে নির্ভরযোগ্য আলেম
উত্তর : বিভিন্ন সময়ে বহুবার তালাক দেওয়ায় সংসার ভেঙ্গে গেছে (মুসলিম হা/১৪৭১; আহমাদ হা/৪৫০০)। ফাতেমা বিনতে কায়েস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললাম, আমি আলে খালিদের কন্যা। হে আল্লাহর রাসূল! আমার স্বামী অমুক আমার নিকট তিন তালা
উত্তর : এ মর্মে দায়লামী তার মুসনাদুল ফিরদাউসে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। যা মওযূ‘ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯)।প্রশ্নকারী : জাহাঙ্গীর আলম, মোহনপুর, রাজশাহী।
উত্তর : আলী (রাঃ) সম্পর্কে উক্ত ঘটনা বিশুদ্ধ সনদে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে ৪র্থ হিজরীতে সংঘটিত যাতুর রিক্বা‘ যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে এক স্থানে রাতে বিশ্রামকালে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশে পাহারারত আনছার ছাহাবী ‘আববাদ বিন বিশ্র (রাঃ) গভীর মনোযোগে
উত্তর : সুন্নাত ছালাত নিয়মিত কাযা করা যাবে না। মালিককে বুঝিয়ে যথাসময়ে আদায় করার চেষ্টা করবে। অথবা ফরয ছালাত পড়ে এসে সুন্নাত দোকানে পড়ে নিবে। প্রয়োজনে কখনও বাসায় ক্বাযা আদায় করতে পারে। আর যদি ক্বাযা আদায় না করতে পারে, তাতে গুনাহ নেই (বিন বায,
উত্তর: খোলা‘র মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়া স্ত্রীকে তার স্বামী ইদ্দত চলাকালে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে পারবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৮/১২৭; তাফসীর ইবনু কাছীর ১/৬২০)। তবে পূর্ব স্বামী ব্যতীত অন্য কেউ ইদ্দত চলাকালীন বিবাহ করলে সে বিবাহ বাতিল বলে গণ
উত্তর : উক্ত ছালাতগুলো পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ অপবিত্র অবস্থার ছালাত আল্লাহ কবুল করেন না (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১২/১৪৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)। উল্লেখ্য যে, অজ্ঞতা বা না জানার কারণে কেউ যদি অগণিত
উত্তর : যে কোন অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি নিশ্চিত অনুমান করা যায় যে, উক্ত প
উত্তর : লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করার অনেক ফযীলত আছে। যেমন (১) একে জান্নাতের ধনভান্ডার বলা হয়েছে (বুখারী হা/৪২০৫; মিশকাত হা/২৩০৩)। (২) জান্নাতের দরজা বলা হয়েছে (তিরমিযী হা/৩৫৮১; ছহীহাহ হা/১৭৪৬)। (৩) এটি পাঠ করে দো‘আ করলে দো‘আ কবুল হয়
উত্তর : উক্ত বিবাহ জায়েয হয়েছে। কারণ বিবাহের পর তাদের শারীরিক কোন সম্পর্ক হয়নি। আর শারীরিক সম্পর্ক না হয়ে থাকলে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা মুমিন নারীদের বিবাহ করবে; অতঃপর তাকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দ
উত্তর : হাদীছে হুবহু এমন কথা বর্ণিত হয়নি। তবে বিভিন্ন অসৎ কর্মের কারণে যে মানুষের রিযিকে বরকত কমে যায়, তা সঠিক। যেমন- ১. যেনায় লিপ্ত হওয়া (ইবনু মাজাহ হা/৪০১৯; ছহীহুত তারগীব হা/৭৬৫)। ২. ওযনে কম দেওয়া (ছহীহাহ হা/১০৬)। ৩. আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার
উত্তর : মাহরাম নারীকে বিবাহ করা হারাম। কেউ জেনেশুনে মাহরাম নারীকে বিবাহ করলে এবং তার সাথে সহবাস করে থাকলে তার উপর হদ্দ কায়েম হবে। আর না জেনে বিবাহ করে থাকলে জানার সঙ্গে সঙ্গে আলাদা হয়ে যাবে এবং খালেছ নিয়তে তওবা করবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১২/৩৪১-
উত্তর : প্রথমতঃ এসকল দেশে দীর্ঘ সময়ের জন্য গমন থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এসব দেশগুলোতে অবস্থান করে ঈমান রক্ষা করা অতীব কঠিন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩০, ৬/১৩৮)। দ্বিতীয়তঃ এই দেশগুলোতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ বা ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে যেতে
উত্তর : পিতামাতা চাইলে সন্তানকে প্রদত্ত কোন দান ফেরত নিতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য কোন কিছু দান করার পর তা ফেরত নেওয়া জায়েয নয়। কেবল পিতা তার সন্তানদের কিছু দিয়ে তা ফেরত নিতে পারেন (আবুদাউদ হা/৩৫৩৯; নাসাঈ হা/৩৬৯০; মিশকাত হা/৩০
উত্তর : তিনি যদি শিরক ও কুফরীর মধ্যে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে থাকেন, তবে তার জন্য দো‘আ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নবী ও মুমিনদের উচিত নয় মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা যদিও তারা নিকটাত্মীয় হয়’ (তওবা ৯/১১৩)। শায়খ বিন বায (রহঃ) ব
উত্তর : ইয়াতীমের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব নিবেন দাদা। তবে পিতা মৃত্যুকালে কারো ব্যাপারে অছিয়ত করে গেলে সে-ই ইয়াতীমের সম্পদ দেখা-শুনা করবে। যদি দাদা না থাকে বা পিতা কারো ব্যাপারে অছিয়ত করে না যান, তাহ’লে স্থানীয় জনপ্রতিন
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ ‘হাসান’। শায়খ আলবানী, শু‘আইব আরনাউত্ব, ইবনু তায়মিয়াহ, যাহাবীসহ অনেকে এর সনদকে হাসান বা ছহীহ বলেছেন (আহমাদ হা/১৭১৯০, ১৭২০৩; মিশকাত হা/৫৭৫৯; ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ১২৭ আয়াত; ইবনু তায়মিয়াহ, আর-রাদ্দু
উত্তর : উক্ত সম্পদ ভাই-বোনদের সম্মতি ছাড়া গ্রহণ করা জায়েয হবে না। তবে ভাই-বোনেরা যদি পিতা-মাতার খেদমত করার কারণে সম্মতি দেয় তাহ’লে তা গ্রহণে কোন দোষ নেই। আর তারা সম্মতি না দিলে অতিরিক্ত অংশটুকু ফেরত দিতে হবে এবং পিতা-মাতার খেদমতের প্রতিদান আল
উত্তর : দো‘আ করার সময় নিয়তই মূল। মুখের ভুল উচ্চারণ বা ভাষা ধর্তব্য নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা কোন ভুল করলে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (আহযাব ৩৩/৫)। আর আল্লাহ তা‘আলা মানুষের নিয়ত ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভালো জানেন। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে জমি বন্ধক রাখা যাবে না। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; আল-মুদাওয়ান্নাহ ৪/১৪৯; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা মুনা
উত্তর : আল্লাহর নাম বা আয়াত বিশিষ্ট বই-পত্র বা পুরাতন কাগজগুলো পুড়িয়ে ফেলা জায়েয। বরং পদদলিত বা অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সেগুলো দ্রুত পুড়িয়ে ফেলাই কর্তব্য। ওছমান (রাঃ) কুরআন সংকলন করার পর ছিন্ন কপিগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন (
উত্তর : যাবে। কেননা যবেহের জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়। তবে অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবেহ করবে (বুখারী হা/৫৫০১; নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৭৪; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১১/৬১)।প্রশ্নকারী : সজীব হোসাইন, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।[শুধু ‘হোসাইন’ নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : বিকল্প না থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় শারঈ পর্দা বজায় রেখে বেগানা নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে। তবে সাধ্যমত সেই নারীর কোন মাহরামকে সাথে রাখার চেষ্টা রাখতে হবে। কারণ বেগানা নারী-পুরুষ একত্রিত হ’লে ফিৎনার আশঙ্কা থাকে। এজন্য রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : অমুসলিম নারীকে বিবাহ করা যাবে না (ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ৬/৩৮৫)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। (মনে রেখ) মুমিন ক্রীতদাসী মুশরিক স্বাধীনার চাইতে উত্তম। যদিও সে তোমাদের বিমোহিত করে। আর তোমরা মু
উত্তর : উপরোক্ত হাদীছটির সনদ হাসান (ছহীহাহ হা/১৮৬১)। দু’টি কালো পশু কুরবানী দেওয়া অপেক্ষা সাদা রংয়ের একটি পশু কুরবানী দেওয়া উত্তম। عَفْرَاءَ অর্থ মেটে/ধুসর নয় বরং যার অধিকাংশ সাদা বা সাদাটে রং। যেমন আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে সরাসরি সাদা রংয়ের বিষয়
উত্তর : এ সকল বিদ্বানের কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ফৎওয়াগুলো গ্রহণ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে ফৎওয়া দেয়া হ’লে তার পাপের বোঝা ফৎওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে (ইবনু মাজাহ হা/৫৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৬০৬৯)।
উত্তর : ‘ফিক্বহ’ অর্থ বুঝ। পারিভাষিক অর্থে কুরআন ও সুন্নাহর সঠিক বুঝ। আর এ ব্যাপারে ছাহাবায়ে কেরামের বুঝই সর্বাগ্রগণ্য। কারণ তাঁরাই ‘অহি’ নাযিলের প্রত্যক্ষ সাক্ষী এবং রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক তার প্রয়োগ ও ব্যাখ্যার যথার্থ অনুসারী ও বর্ণনাকারী। আল্ল
উত্তর : কুরআন বা হাদীছে বর্ণিত দো‘আর অর্থ না জেনেও কেউ দো‘আ করলে আললাহ তার নিয়ত ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে দো‘আ কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ দো‘আর উৎস থাকে হৃদয়ে। আর জিহবা তার অনুগামী (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/৪৮৯)। তবে অর্থ বুঝে দো‘আ করলে তা মানসিক&nbs
উত্তর : শেষ নবীর মতই অন্যান্য নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব। তবে গুরুত্বের দিক থেকে রাসূল (ছাঃ) দরূদের সর্বাধিক হকদার। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের প্রতি দরূদ পাঠ কর। কারণ আমার মতই তাদেরকে নবুঅত দিয়ে পাঠানো হয়েছিল’ (ছ
উত্তর : ফরয বা নফল ছালাত শেষে নিয়মিত হাত তুলে দো‘আ করা সুন্নাতসম্মত নয়। তবে মাঝে-মধ্যে একাকী হাত তুলে দো‘আ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ অত্যধিক লজ্জাশীল ও দাতা। যখন কোন ব্যক্তি তার দরবারে দুই হাত তুলে (প্রার্থনা করে), তখন তিনি তার হাত শূ
উত্তর : এমতাবস্থায় মুছাল্লী জামা‘আতের ছওয়াব পেয়ে যাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/২৪৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করে মসজিদে গিয়ে দেখতে পেল লোকেরা ছালাত আদায় করে ফেলেছে। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ তাকেও জামা‘আতে শামিল হয়ে
উত্তর : জেনেশুনে পূজার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য কোন কিছু বিক্রয় করা বা দান করা যাবে না। কারণ এটি অন্যায় কাজে সহায়তা করার শামিল। আর আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা কর না’ (ম
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কারণ এ সময় মুছল্লী আল্লাহর যিম্মায় থাকে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছয়টি এমন আমল রয়েছে, কোন মুসলমান যদি তার একটির উপরও আমলরত অবস্থায় মারা যায়, তবে আল্লাহ তার জান্নাতে প্রবেশ করানোর জন্য যিম্মাদার হবেন- (১) যে ব্যক্ত
উত্তর : মাগরিবের আযানের পর ছালাতের পূর্বে এরূপ আমল নিয়মিত করা যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) মাগরিবের আযানের পর ও ফরয ছালাতের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতে উৎসাহ দিতেন। রাসূল (ছাঃ) একদিন তিনবার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘তোমরা মাগরিবের পূর্বে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। কারণ মৃত্যুর পরে তার আমল বন্ধ হয়ে গেলেও তার জন্য কিছু নেক আমল আছে, যেগুলির ছওয়াব মাইয়েত পেতে থাকেন। জনৈকা মহিলা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। তিনি এভাবে মারা না গেলে ছাদাক্বা ও দান করে যেতেন।
উত্তর : কোন জান্নাতী ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী জান্নাতী হ’লে সবাই উক্ত স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবে। পক্ষান্তরে একাধিক জান্নাতী স্বামীর অধিকারী জান্নাতী মহিলা তার সর্বশেষ স্বামীর সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে। আবুদ্দারদা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর তাঁর বিধ
উত্তর : নারীদের হাতে মেহেদী ব্যবহারে বাধা নেই (আবূদাউদ হা/৪১৬৬)। তবে প্রচলিত নকশাদার মেহেদী ব্যবহারকারী নারী বাইরে গেলে ফেৎনার আশংকা রয়েছে। অতএব তার জন্য হাতে হাত মোযা ব্যবহার করাই কর্তব্য (তাফসীরে ইবনু কাছীর সূরা নূর ৩১ আয়াতের ব্যাখ্যা ৬/৪২; বিন ব
উত্তর : মসজিদে কোন স্থানকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরী‘আতসম্মত নয়। আব্দুর রহমান বিন শিবল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিনটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। সিজদায় কাকের ন্যায় ঠোকর মারতে, হিংস্র প্রাণীর ন্যায় হাত বিছিয়ে দিতে এবং মসজিদের কোন স্থানকে নিজের জন্
উত্তর : মসজিদে অপ্রয়োজনীয় দুনিয়ারী কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, অচিরেই এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ মসজিদে বসে নিজেদের দুনিয়াবী কথাবার্তা বলবে। অতএব তোমরা এসব লোকদের গল্প-গুজবে বসবে না। আল্লাহ তা‘আলার এমন লোকের প্
উত্তর : স্ত্রী যদি মনে করে স্বামী জানতে পারলে মেনে নিবেন না, তাহ’লে দান করতে পারবে না। কারণ স্বামীর অনুমতি ছাড়া দান করা নিষেধ (তিরমিযী হা/৬৭০, সনদ হাসান; মিশকাত হা/১৯৫১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৪৭২)। সংসার ধ্বংসকর নয় এমন দান করা যাবে। আয়
উত্তর : মুছাফাহা করার পরে বুকে হাত দেয়া, হাতে চুমু দেয়া বা মাথা ঝুঁকানো ইত্যাদি করা যাবে না। বরং ছহীহ হাদীছ মোতাবেক পরস্পরে ডান হাত মিলিয়ে মুছাফাহা করাই যথেষ্ট। এর অতিরিক্ত কিছু গ্রহণযোগ্য নয় (বি. দ্র. ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২৭৬ পৃ.)।প্রশ্নকার
উত্তর : ছালাতের মধ্যে তাকবীর, রাক‘আত বা কোন কিছু নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশী হয়ে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে। একবার রাসূল (ছাঃ) যোহরের ছালাত ৫ রাক‘আত আদায় করে সালাম ফিরালে মুছল্লীরা তাঁকে ভুল ধরিয়ে দেন। তখন তিনি সহো সিজদা আদায় করেন (বুখারী হা/
উত্তর : দো‘আ করার ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত (আর-রাহীক্ব পৃঃ ১২৬; ইবনু হিশাম ১/৪২০)। তবে এর সনদ যঈফ (ত্বাবারাণী, যঈফুল জামে‘ হা/১১৮২; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৯৩৩; দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘তায়েফ সফর’ অধ্যায়)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রশীদ, রাজবাড়ী।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য কুরআন-হাদীছ বা ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত নয় (ড. আব্দুল ওয়াহহাব আল-মাসীরী, মাওসূ‘আতুল ইয়াহূদ ওয়াল ইহূদীয়া ৫/২৯৩)।প্রশ্নকারী : মা‘ছূম বিল্লাহ, কোণাবাড়ি, গাযীপুর।
উত্তর : উক্ত উপায়ে অর্থ উপার্জন করা হালাল হবে না। কারণ এতে কেবল কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিক দিচ্ছে না। বরং অর্থের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে, যা টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা প্রদানের শামিল। আর এরূপ ব্যবসা ইসলামী শরী‘আতে হারাম 
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলার কোন গুণবাচক নামের কাছে কোন কিছু চাওয়া যাবে না। বরং যিনি এই সকল ছিফাত বা গুণবাচক নামের মালিক তথা আল্লাহ তা‘আলার নিকট বা গুণবাচক নাম ধরে যাবতীয় প্রার্থনা করতে হবে। যেমন হে কালামের মালিক! হে ক্ষমতার মালিক! তুমি আমাকে ক্ষমা কর
উত্তর : ছালাতের ভিতরে পরকাল বা মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে ছওয়াব কমবে না। বরং মনোযোগী হওয়ার জন্য অধিকহারে মৃত্যু ও পরকালকে স্মরণ করাই উত্তম। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সফলকাম হবে মুমিনগণ। যারা তাদের ছালাতে ভীত-বিনয়ী (মুমিনূন ২৩/১-২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট সহ দুনিয়ার সকল বস্ত্তর মূল মালিক আল্লাহ (রা‘দ ১৩/১৬)। আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য এগুলোর নিয়মিত সরবরাহ পেতে তাঁর নিকটেই প্রার্থনা করতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকটে তোমরা সব
উত্তর : এরূপ কোন নির্দেশনা শরী‘আতে নেই। এটি কতিপয় বিদ্বানের বক্তব্য মাত্র (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/২৩৩)। বরং মসজিদে ইমাম উপস্থিত থাকলে বা প্রবেশ করলে এবং সময় হয়ে গেলে মুছল্লীরা স্বাভাবিকভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যখন ছাল
উত্তর : সফরে ছালাত ক্বছর করা উত্তম (নিসা ৪/১০১; বুখারী হা/১১০২; মুসলিম হা/৬৮৯; মিশকাত হা/১৩৩৮)। তবে মুক্বীম-মুসাফির উভয় অবস্থাতেই জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব (বুখারী হা/৬১৮; আহমাদ হা/১৮৬২; ছহীহাহ হা/২৬৭৬; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মাঝের ব্যবধান বর্ণিত হয়নি। সেজন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না যে, এত বছর পূর্বে মানব সৃষ্টির সূচনা হয়েছে। তবে কোন কোন নবী-রাসূলের আগমনের ব্যবধান সম্পর্কে কিছু হাদীছ পা
উত্তর : সাধারণভাবে রং ফর্সা বা উজ্জ্বলকারী ক্রীম ব্যবহারে কোন দোষ নেই। কেননা তা মৌলিক সৃষ্টিগত পরিবর্তন নয়। তবে এজন্য কোনরূপ প্রতারণার আশ্রয় নেয়া যাবে না।প্রশ্নকারী : হাবীবা আখতার, ঢাকা।
উত্তর : ভালো মেয়ে বা ছেলে খুঁজে দেওয়া এবং উভয় পরিবারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার বিনিময়ে মজুরী নেওয়া যাবে। কারণ ইসলামী শরী‘আতের মূলনীতি সম্পর্কে আল্লামা শানকীত্বী বলেন, বৈধ উপকার প্রদানের বিনিময়ে মজুরী গ্রহণ করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে বিদ্বানগণের ঐক্
উত্তর : সূরা ফাতিহা ব্যতীত ইমামের অন্য সূরা পাঠকালীন মুছল্লীরা মনোযোগ সহকারে ইমামের তেলাওয়াত শুনবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২২১, ২৩৪)। কারণ আল্লাহ বলেন, আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাকো, যাতে তোমরা অনুগ্
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা ভূ-সম্পত্তি অর্জনে মগ্ন হয়ো না। কেননা তা তোমাদেরকে দুনিয়ার পিছনে লিপ্ত করে ফেলবে (তিরমিযী হা/২৩২৮; মিশকাত হা/৫১৭৮ ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়)। এখানে الضَّيْعَةَঅর্থ ভূ-সম্পত্তি, বাগ-বাগি
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা অনর্থক কোন কিছুই সৃষ্টি করেননি (আলে ইমরান ৩/১৯১)। সুতরাং সাপের মধ্যেও উপকারিতা রয়েছে। এক্ষণে যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাপ লালন-পালন করে উপকৃত হওয়া যায় তাহ’লে তা পালনে কোন দোষ নেই (ইবনু হুমাম, ফাৎহুল ক্বাদীর ৭/১
উত্তর : সূরা মুলক পাঠের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ত্রিশটি আয়াত আছে। যেটি তার পাঠকারীর পক্ষে সুফারিশ করবে এবং তার সুফারিশেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সেটি হ’ল সূরা মুল্ক (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা
উত্তর : বাড়িতে জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে জামা‘আতের নেকী পাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, একাকী ছালাত আদায়কারীর চেয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায়কারী ২৭ গুণ বেশী নেকী পাবে’ (বুখারী হা/৬৪৫; মুসলিম হা/৬৫০; মিশকাত হা/১০৫২)। তবে মসজিদে আদায়ের নেকী পাওয়া যাবে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে পশু থেকে রক্ত প্রবাহিত করা হয় এবং তাতে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়, তা থেকে তোমরা খাও’ (বুখারী হা/২৫০৭; মিশকাত হা/৪০৭১)। হুলকূম ও মারী অর্থাৎ দুই পাশের দড়া শিরা সহ শ্বাসনালী ও খাদ্যনালী কেটে ফেলার মাধ্যমেই পশু যবে
উত্তর : কুরআন ভুলে যাওয়া মন্দ কাজ। বিশেষতঃ অলসতা বশতঃ এরূপ হলে তা আরো নিন্দনীয়। আবুল ‘আলিয়া (রহঃ) বলেন, আমরা কোন ব্যক্তির কুরআন শিক্ষার পর তা থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখার কারণে ভুলে যাওয়াকে বড় পাপ হিসাবে গণ্য করতাম’। ইবনু সীরীন বলেন, কেউ কুরআন ভুল
উত্তর : নার্সিং একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এর মাধ্যমে মানব সেবা করার উত্তম সুযোগ পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় সেই ব্যক্তি যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী উপকারী (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৩৬৬৪৬; ছহীহাহ হা/৯০৬)। সাধারণভাবে পুরুষ
উত্তর : এটি বাংলাদেশের মডার্ণ হারবাল নামক একটি খাদ্যপণ্য প্রস্ত্ততকারী কোম্পানীর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। যেটি আমাদের জানা মতে এমএলএম পদ্ধতিকে ব্যবসা করে। আর এমএলএম পদ্ধতির সকল ব্যবসা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ। পিরামিড স্কীম, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এমএলএম যে ন
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলার কোন বিধান বা রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা বিনা শর্তে মেনে নেওয়াই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলার প্রতিটি নির্দেশনার পিছনে হিকমত রয়েছে। তবে শরী‘আতে সবগুলোর হিকমত বর্ণনা করা হয়নি। রাসূল (ছাঃ) নারীদের যে দু’টি ঘাটতির কথা বলেছেন
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন চিকিৎসা কুরআন বা হাদীছে পাওয়া যায় না। তবে সেটি বিপজ্জনক সময় হিসাবে ঐ সময় দো‘আ কবুল হয় (নমল ২৭/৬২)। আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা কুরআন নাযিল করি, যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমত স্বরূপ’ (ইসরা ১৭/৮২)। এক্ষণে কুরআনের কোন
উত্তর : অসম্মান হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে আল্লাহর যিকির সম্বলিত পোস্টার মানুষকে স্মরণ করানোর উদ্দেশ্যে নিরাপদ স্থানে টাঙিয়ে রাখায় কোন দোষ নেই। বরং নিজেকে বা অন্য মানুষকে স্মরণ করানোর জন্য দো‘আ, যিকির বা গুরুত্বপূর্ণ হাদীছ বা আয়াত বা আয়াতের অর্থ নি
উত্তর : এটা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত হজ্জের কোন অংশ নয়। তবে মসজিদে নববী যিয়ারতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের কবর যিয়ারত ও সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে মদীনার অদূরে মসজিদে ক্বোবায় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা
উত্তর : নারীদের জন্য ছালাতরত অবস্থায় মুখমন্ডল খোলা রাখা কর্তব্য। তবে গায়ের মাহরাম পুরুষ উপস্থিত থাকলে বা পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা থাকলে মুখমন্ডল ঢেকে ছালাত আদায় করতে পারে (বায়হাক্বী হা/৮৮৩২; ইরওয়া হা/১০২৩; মিশকাত হা/২৬৯০, ইবনু ক
উত্তর : চুরি করা কবীরা গুনাহ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৮)। যা তওবা ব্যতীত মাফ হবে না (নিসা ৪/৩১)। সেই সাথে এটি বান্দার হকের অন্তর্ভুক্ত। তাই তওবার কবুলের জন্য অবশ্যই চুরিকৃত সম্পদ মালিককে ফেরৎ দিতে হবে। এক্ষণে চুরিকৃত জিনিসপত্র মজুদ না থাকলে
উত্তর : এগুলি ভিত্তিহীন। তবে আল্লাহ বলেন, ‘আমরা কুরআন নাযিল করেছি। যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমত স্বরূপ’ (ইসরা ১৭/৮২)। এক্ষণে কোন সৎব্যক্তি কুরআনের আয়াত দিয়ে শিরকমুক্ত কোন আমল করলে তা থেকে তিনি উপকার পেতে পারেন।প্রশ্নকারী : ছাবিবর খান,&
উত্তর : ছালাত চলাকালে কোন মুছল্লী কাতার থেকে বের হয়ে গেলে সে স্থান পূরণ করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা স্থান পূর্ণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করবেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন’ (ছহীহাহ হা
উত্তর : দুধ ভাইয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে না। কারণ দুধ ভাই মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর চাচা হামযা (রাঃ) একই মায়ের দুধপান করেছিলেন। সেকারণ হামযার মেয়ের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হ’লে তিনি বলেন, সে আমার জন্য
উত্তর : সন্ধ্যার পর কিছু সময় জিন-শয়তানরা বাইরে ঘোরাফেরা করে। এজন্য তাদের অপপ্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষার উদ্দেশ্যে এ সময়ে তথা মাগরিব থেকে এশার ওয়াক্ত শুরু হওয়া পর্যন্ত শিশুদের বাইরে নিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের গৃহপালি
উত্তর : উক্ত ছালাত সঠিক হয়েছে। ইমাম শাওকানী বলেন, ওয়াজিব তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ সুন্নাত হবে (শাওকানী, আস-সায়লুল জাররা-র ১/২৭৪ পৃ.)। প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ভুলক্রমে সিজদা একটি বেশী হয়ে গেছে। এমতা
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় ইস্তিহাযার রক্ত বের হ’লেও ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, আমার রক্তস্রাব হ’তেই থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হ’তে পারি না। আমি কি ছালাত ছেড়ে দিব? তিনি বলেন, না। এটা হায়েযের রক্ত নয় বরং এ
উত্তর : যাবে। কেননা বিশেষ দিনের ছিয়াম যেমন আরাফা বা আশূরার ছিয়াম, ক্বাযা বা মানতের ছিয়াম বা অভ্যাসগত ছিয়াম ইত্যাদি কারণে জুমআ‘র দিন ছিয়াম পালনে বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৪৩৭; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৭০)।প্রশ্নকারী : আনাস, লক্ষ্মীপুর,&
উত্তর : ফেরেশতাগণের নামে সন্তানের নাম রাখা যায়। অধিকাংশ বিদ্বান নবী-রাসূল ও ফেরেশতাগণের নামে নাম রাখাকে জায়েয বলেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪৩৬; বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ৩/২৭)। তবে এর পরিবর্তে সুন্দর ও অর্থপূর্ণ নাম বা ‘আব্দ’ যুক্ত নাম রাখা উত্তম
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। বরং প্রত্যেক মসজিদে ওয়াক্ত হ’লে পৃথক পৃথক মুয়াযযিন আযান দিবে এবং ছালাত আদায় করবে। সমকালীন বিদ্বানগণ অধিকাংশই এরূপ আযানকে নাজায়েয সাব্যস্ত করেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৬২, ৬/৬৯; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছানা হিসাবে তাকবীরে তাহরীমার পর পড়া যাবে (মুসলিম হা/৭৭১; মিশকাত হা/৮১৩)। এটাকে এদেশে ‘জায়নামাযের দো‘আ’ বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে পাঠ করা হয়। যা ভুল।প্রশ্নকারী : আল-আমীন, পোতাহাটী, ঝিনাইদহ।
উত্তর : যে কোন নেককার মৃত মুসলিম ব্যক্তির নামের শেষে ‘রহেমাহুল্লাহ’ (আল্লাহ তার প্রতি দয়া কর) বলা যাবে। এটি বান্দার জন্য অপর বান্দার দো‘আ। তবে ইসলামী পরিভাষায় সকল নবীর নামের শেষে ‘আলাইহিস সালাম’ (আঃ) বলা হয়। কিন্তু শেষনবীর নামের শেষে ‘ছাল্লাল
উত্তর : নখ লম্বা রাখা যাবে না। এটি নবীগণের সুন্নাতের বিরোধী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মানুষের স্বভাবগত আমল হ’ল ৫টি (১) নাভির নীচের লোম ছাফ করা (২) খাৎনা করা (৩) গোফ ছেঁটে ফেলা (৪) বগলের লোম ছাফ করা (৫) নখ কাটা (বুখারী হা/১২৫৭)। অনেকে বগলের লোম
উত্তর : ইসলামী আদালত কর্তৃক উক্ত দন্ড কার্যকর হ’লে পরকালীন শাস্তির জন্য তা কাফফারা হয়ে যাবে (বুখারী হা/১৮; মুসলিম হা/১৭০৯; মিশকাত হা/১৮)।প্রশ্নকারী : রূহুল আমীন, ফরিদপুর।
উত্তর : হজ্জ ও ওমরাহ উভয় ক্ষেত্রে মাথা মুন্ডন করা অথবা সমস্ত চুল খাটো করা ওয়াজিব (বুখারী হা/১৭২৯; মুসলিম হা/১৩০১; মিশকাত হা/২৬৩৬)। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর রাসূল-এর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। তোমরা অবশ্যই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে আল্লাহর
উত্তর : না। একথা সঠিক নয়। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আহমাদ হা/৮৭০২, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৯৯-এর আলোচনা দ্রঃ)। আশূরার ছিয়াম ফেরাঊনের কবল থেকে নাজাতে মূসা (আঃ)-এর শুকরিয়া হিসাবে মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদী শরী‘আতে পালিত হয় (বুখারী হা/৪৭৩৭; মুসলিম হা/১১৩০)।
উত্তর : এক্ষেত্রে উক্ত নারী অত্যাচারিতা ও নিরপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। জনৈক পুরুষ একজন নারীকে ধর্ষণ করলে তাদেরকে উভয়কে রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আনা হ’লে তিনি মহিলাকে বললেন, তুমি চলে যাও। আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। অতঃপর তিনি ঐ ধর্ষণকারী পুরুষকে রজম কর
উত্তর : একথা সঠিক। মুমিনের রোগ-ব্যাধি হ’লে সেটি তার গুনাহের কাফফারা হয়। যেমন (১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমানের কোন বিপদাপদ, রোগ-ব্যাধি, দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা, দুঃখ-কষ্ট হয় না, এমনকি তার দেহে কোন কাঁটাও বিদ্ধ হয় না, যার দ্বারা আল্লাহ ত
উত্তর : কারো কল্যাণের জন্য ছিয়াম বা ছালাত আদায় করা যাবে না (মুওয়াত্ত্বা হা/১০৬৯, মিশকাত হা/২০৩৫)। বরং প্রিয় ব্যক্তিদের কল্যাণের জন্য দো‘আ করতে হবে। আর এ দো‘আ ‘ছালাতুল হাজত’ শেষেও করা যায়। আল্লাহ বলেন, তোমরা ছবর ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থ
উত্তর : এক্ষেত্রে কিছুই করণীয় নেই। এজন্য কোনরূপ ছাদাক্বা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর যেসব স্বপ্ন ব্যাখ্যাসাপেক্ষ নয়, সেগুলি মনের কল্পনা মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মানুষের স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে (ক) ভাল স্বপ্ন, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ ব
উত্তর : অধিক গ্রহণযোগ্য মত অনুযায়ী কর্মচারী যে অনুপাতে কাজ করবে সে অনুপাতে মজুরী পাবে। তবে কর্মচারী যদি গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত ও মালিকের অনুমতি ব্যতীত চুক্তি অনুযায়ী পূর্ণ দিবস কাজ না করে এবং তাতে মালিকের ক্ষতি হয়, তাহ’লে কর্মচারীকে ক্ষতিপূরণ
উত্তর : চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ক্ষতির আশংকা না থাকলে হায়েয বন্ধের জন্য ওষুধ সেবন করতে পারে। জনৈক মহিলা ওষুধ সেবন করে হায়েয বন্ধ করার ব্যাপারে ইবনু ওমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এতে কোন দোষ নেই (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১২১৯-২০ কাশশা
উত্তর : উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা এবং বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার মধ্যে কোন বিরোধ নেই। কারণ দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতারা বিচ্ছিন্ন মেঘমালাকে একত্রিত করার জন্য আগুনের চাবুক দিয়ে আঘাত করে তখন যে চার্জ সৃষ্টি হয় তাতেই গর্জন ও আলো বিচ্ছুরিত হয়। আবার ফেরেশতারা
উত্তর : প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা, কমিটি গঠন, যৌথ হিসাব খুলে ও ছক নির্ধারণ করে দ্বীনী খেদমতের উদ্দেশ্যে অর্থ আদায় করা যায়। তবে যাকাতের টাকা জমা রাখা যাবে না। কারণ এর নির্ধারিত খাত রয়েছে।প্রশ্নকারী : ইউনুস আকন্দ, ক্যান্টনমেন্ট, রাজ
উত্তর : মহিলারা কোন সুগন্ধি বা সুগন্ধিযুক্ত তেল ব্যবহার করে বাইরে বের হ’তে পারবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জেনে রাখো যে, পুরুষদের খোশবূ এমন যাতে সুগন্ধি আছে, রং নেই। আর নারীদের খোশবূ এমন যাতে রং আছে, সুগন্ধি নেই’ (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪
উত্তর : এজন্য স্ত্রীকে অধিকহারে নছীহত করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তমভাবে নছীহত কর। কেননা তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহ’লে তা ভেঙ্গে
উত্তর : পেশাবে সিক্ত বিছানা ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর তাতে শয়ন করলে কাপড় বা দেহ নাপাক হবে না (ছালেহ ফাওযান, আল-মুনতাক্বা ৪৮/১৮; ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ১/১৯৪)। কিন্তু নাপাক বিছানায় শুয়ে ঘেমে গেলে এবং পেশাবযুক্ত বিছানাকে সিক্ত করলে দেহ নাপাক হবে (হা
উত্তর : স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক আছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ... তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে। অতএব প্রত্যেক হাকদারকে তার প্রাপ্য হক প্রদান কর’ (বুখারী হা/১৯৭৫, ৬১৩৯)। স্ত্রীর হক আদায় না করার কারণে স্বামী গুনাহগার হবেন। তবে স্বামী তার স্ত্রীর সম
উত্তর : বিবাহ করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিবাহ করার ক্ষমতা রাখে, সে যেন বিবাহ করে। কেননা এটা তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। আর যে ব্যক্তি বিবাহ করতে অক্ষম, সে যেন ছিয়াম পালন করে
উত্তর : সন্তানের পাপের ভার পিতা-মাতাকে বহন করতে হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (ছাঃ) বলেন, সাবধান! অপরাধী তার অপরাধের দ্বারা নিজেকেই দায়বদ্ধ করে। পিতার অপরাধে পুত্রকে এবং পুত্রের অ
উত্তর : জুম‘আর খুৎবা শ্রবণ করা যেমন ওয়াজিব, তেমনি মসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বে দু’রাক‘আত তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করাও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। তাই জনৈক ব্যক্তি খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে রাসূল (ছাঃ) তাকে সংক্ষেপে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় ক
উত্তর : দো‘আ ও ছাদাক্বার মাধ্যমে জটিল রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। নবী-রাসূল ও সালাফে ছালেহীন দো‘আর মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা নিতেন। যেমন হযরত আইয়ূব (আঃ) দীর্ঘ দিন রোগাক্রান্ত থাকার পর আল্লাহর নিকট দো‘আ করে বলেন, (রাবিব ইন্নী মাস্সান
উত্তর : একাকী নির্জন ঘরে থাকার সময়ও বিনা কারণে সতর খুলে রাখা ঠিক নয় (মুসলিম হা/৩৪১; মিশকাত হা/৩১২২)। তবে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সামনে সতর উন্মুক্ত রাখতে পারে (মুমিনূন ২৩/৫-৬; বুখারী হা/২৯৯-৩০০)। বাহয বিন হাকীম তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, একদা তি
উত্তর : এশার ছালাতের পরে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা (বুখারী হা/১১৬৫; মুসলিম হা/৭২৮; মিশকাত হা/১১৫৯)। এরপরে বাড়িতে গিয়ে কেউ চাইলে চার রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতে পারে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৯৬)। উল্লেখ্য যে, এই চার রাক‘আত ছালাত বিশ
উত্তর : ওশর হ’ল ফসলের যাকাত। সুতরাং যে ব্যক্তি ফসল উৎপন্ন করবে তা নিছাব পরিমাণ হ’লে তাকে ফসলের ওশর বা নিছফে ওশর দিতে হবে। চাই তা ভাড়া জমি থেকে হোক বা নিজের জমি থেকে হোক (বাক্বারাহ ২/২৬৭; আন‘আম ১৪১; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/৩০)। কেবল বৃষ্টির পানিতে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) স্ত্রীদের ঘরের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) গৃহস্থালির কাজ করতেন। অর্থাৎ স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতেন। অতঃপর আযান হ’লে তিনি ছালাতের জন্য বেরিয়ে যেতেন (বুখারী হা/৬৭৬; মিশকাত হা/৫৮১৬)। হযরত আয়েশা (রা
উত্তর : পাত্র পাত্রীর মুখমন্ডল, কব্জি সহ দুই হাত ও গোড়ালী সহ দুই পা দেখতে পারে। এভাবে পাত্রীও পাত্রকে দেখতে পারে (ইবনু রুশদ, বেদায়াতুল মুজতাহিদ ৩/৩১)। এছাড়া উভয়ে উভয়কে যেকোন বৈধ মাধ্যমে যাচাই করতে পারে (আলবানী, ছহীহাহ হা/৯৯)।প্রশ্নকারী : মুস্তাক্বীম
উত্তর : আল্লাহর নিকট থেকে কল্যাণ ইঙ্গিত প্রার্থনার জন্য যে নফল ছালাত আদায় করা হয়, তাকে ‘ছালাতুল ইস্তেখারাহ’ বলা হয়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় কোন্ শুভ কাজটি করা মঙ্গলজনক হবে, সে বিষয়ে আল্লাহর নিকট থেকে ইঙ্গিত পাওয়ার আশায় বিশেষভাবে এই ছালাত আদায়
উত্তর : এমন কাজ করা পিতার জন্য জায়েয হবে না। বরং সন্তানদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেউ যদি তার সম্পদ দান করতেও চায় তাহ’লে সে তার সম্পদের সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ দান করতে পারবে। জনৈক ছাহাবীকে রাসূল (ছাঃ) বলেন, এক-তৃতীয়াংশ অছিয়ত করতে পার। আর এক-তৃতীয়
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণিত দো‘আ পাঠের পর আরবীতে অতিরিক্ত দো‘আ পাঠ করা যায় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪৯৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ক্রমিক ৭৭৮, ১৪/১৩৭ পৃ.)। ছাহাবীগণ বিতরের কুনূতে অতিরিক্ত দো‘আ পাঠ করেছেন (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৬৯৯; ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১১
উত্তর : যবহকৃত হালাল পশুর চামড়া, পা ইত্যাদি হালাল অংশ কেউ চাইলে রান্না করে খেতে পারে। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলে দাও, আমার নিকট যা অহি করা হয়েছে, তাতে ভক্ষণকারীর জন্য আমি কোন খাদ্য হারাম পাইনি যা সে ভক্ষণ করে, কেবল মৃত প্রাণী, প্রবাহি
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি বানোয়াট বা জাল (আলবানী, যঈফাহ হা/৩১১৩; যঈফুল জামে‘ হা/১৬৮২)।প্রশ্নকারী : আবেদ আলী, বিরামপুর, দিনাজপুর।
উত্তর : একজন আলেমের মধ্যে ন্যূনতম নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে তার নিকট থেকে ইলম অর্জন করা বা ফৎওয়া নেওয়া যাবে। (১) আল্লাহভীরু হওয়া (২) দলীল সহকারে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও বুঝ থাকা (৩) কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত সিদ্ধান্তের কাছে নিরংকুশভাবে আত্
উত্তর : সাধারণভাবে পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় কথা বলা অপসন্দনীয়। সে হিসাবে মোবাইলেও কথা বলা থেকে বিরত থাকবে (নববী, আল -মাজমূ‘ ২/৮৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/৩৪)। তবে যরূরী কোন কারণ দেখা দিলে বা প্রয়োজন পূরণরত অবস্থায় না থাকলে মোবাইলে বা সরাসরি কথা বলা
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। ইদ্দত প
উত্তর : সঙ্গত কারণেই খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা কম। প্রথমতঃ তারা খেলাফত, যুদ্ধ ও উম্মতের যরূরী বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে হাদীছ শ্রবণ ও বর্ণনায় মনোযোগ দিতে পারেননি। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, লোকেরা বলে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বড়
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের কতিপয় আদব হ’ল পবিত্রতা অর্জন করা (আবুদাঊদ হা/১৭; নাসাঈ হা/৩৮; মিশকাত হা/৪৬৭; ছহীহাহ হা/৮৩৪)। মিসওয়াক করা (ইবনু মাজাহ হা/২৯১; ছহীহাহ হা/১২১৩)। ক্বিবলামুখী হওয়া (আলে ইমরান ৩/১৯১)। তেলাওয়াতের শুরুতে আঊযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লা
উত্তর : রক্ত গ্রহণ বা প্রদান কাউকে মাহরাম সাব্যস্ত করে না। অতএব কাউকে রক্ত দান করে থাকলে তা বিবাহ বন্ধনের জন্য প্রতিবন্ধক হবে না (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২০/২৮৫-৮৬)।প্রশ্নকারী : খায়রুল ইসলাম, সরাইল, বি-বাড়িয়া।
উত্তর : উক্ত জঘন্য কাজের জন্য শ্বশুর কবীরা গুনাহগার হবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হাতের যেনা হ’ল স্পর্শ করা (মুসলিম হা/২৬৫৭, মিশকাত হা/৮)। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য কোন নারীকে অবৈধভাবে স্পর্শ করার চেয়ে তার মাথায় লৌহ সুচ দ্বারা খোঁচা খাওয়া বরং উত্তম (ত্ব
উত্তর : আমলে বড় শিরক থাকলে তার ঈমান ও আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং বড় শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে। যেমন আল্লাহর ইবাদতে শিরক করা ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে ক
উত্তর : বিবাহের উদ্দেশ্যে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতিক্রমে কেবলমাত্র পাত্র তার প্রস্তাবিত পাত্রীকে দেখতে পারে। পাত্র ব্যতীত কোন গায়ের মাহরাম পুরুষ পাত্রী দেখতে পারবে না। তবে পরিবেশ বা আনুসঙ্গিক বিষয় সমূহ দেখার জন্য অভিভাবকগণ খোঁজ-খবর নিতে পারবেন এ
উত্তর : প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই সুন্নাতসম্মত। কেননা প্রতি বছর ঈদুল আযহাতে একটি পশু কুরবানী করাই রাসূল (ছাঃ)-এর সাধারণ নির্দেশনা (বুখারী হা/৭২১০; আবুদাঊদ হা/২৭৮৮ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৪৭৮; মির‘আত হা/১৪৯২, ৫/১১৪ পৃ.)। শরীকা
উত্তর : উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি বৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকে, তবে সেখানে চাকরী করা হারাম নয়। তবে দায়িত্বশীল হিসাবে কর্তব্য হবে মালিককে সূদী লেনদেন থেকে বিরত রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। কেননা সূদী ঋণ গ্রহণ করে তিনি অপরাধ করেছেন (উছায়মীন, লিকাউ
উত্তর : এতে স্বামীর সম্মতি থাকলে কোন বাধা নেই। হযরত সাওদা বিনতে যাম‘আ (রাঃ) শারীরিক সম্পর্ক না রাখার শর্তে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রী হিসাবে থাকতে চাইলে তিনি তাতে সম্মতি দেন (আবুদাউদ হা/২১৩৫; ছহীহাহ হা/১৪৭৯)। অতএব অসুস্থতার কারণে উভয়ের সম্মতিতে এই ধ
উত্তর : গোঁফ ছাঁটাই সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দশটি বিষয় হ’ল স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। তার মধ্যে গোঁফ ছাঁটা অন্যতম’ (মুসলিম হা/২৬১; মিশকাত হা/৩৭৯ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়)। আর চল্লিশ দিনের অধিক গোঁফ না ছেঁটে রাখা যাবে না (মুসলিম হা/
উত্তর : যেকোন সূরা বা দো‘আ পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে সে পানি চিকিৎসা হিসাবে পান করা যাবে। এটি সূরা বা দো‘আর বরকত হিসাবে গণ্য হবে, ব্যক্তির ফুঁকের বরকত হিসাবে নয় (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/৯৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৬৭, ১/১০৭-৮; আব্দুল মুহসিন
উত্তর : স্বামীকে খুশী করার জন্য নিজের বাড়িতে স্ত্রী এরূপ পোষাক পরিধান করতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/৩৪)। কিন্তু বাড়ীতে অন্য কেউ থাকলে এরূপ পোষাক থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। আর কপালে টিপ দেওয়া যাবে না। কারণ এটি হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। প্রশ্নকারীঃ
উত্তর : যে সকল আয়াতের জবাব দেওয়ার ব্যাপারে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তা নিম্নরূপ-(১) সূরা আ‘লা-তে ‘সাবিবহিস্মা রবিবকাল আ‘লা’-এর জওয়াবে ‘সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা’ (মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক, যিনি সর্বোচ্চ) (আহমাদ, আবূদাঊদ হা/৮৮৩, মিশকাত হা/৮৫৯)।(২) সূরা ক্
উত্তর : মোবাইল আসক্তি বর্তমান সময়ে নৈতিক অধঃপতনের অন্যতম বড় মাধ্যম। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই মোবাইলের কোন না কোন এ্যাপস বা গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। মোবাইল আসক্তি থেকে বাঁচতে প্রথমেই সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হ’তে হবে। আল্লাহর দেওয়া নে‘মত এই সময়কে
উত্তর : যদি পিতামাতা কোন পাপের সূচনা করে যান এবং সন্তানেরা সেই পাপকর্ম করতে থাকে তাহ’লে সেই পাপের বোঝা পিতামাতাকে বহন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন ওরা পূর্ণমাত্রায় বহন করবে ওদের পাপভার এবং তাদের পাপভার যাদেরকে ওরা অজ্ঞতাবশে বিভ্রান্
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি খুবই যঈফ (আহমাদ হা/১৬০৭৫; ইরওয়া হা/১৯১২)। আর এটি আদৌ কোন সামান্য কারণ নয়। তাছাড়া বিবাহের বিষয়টি ব্যক্তিগত পসন্দ-অপসন্দের ব্যাপার। ইসলাম এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে স্বাধীনতা দিয়েছে।প্রশ্নকারীঃ আবুল হোসাইন,&nb
উত্তর : ফরয গোসলই জুম‘আর জন্য যথেষ্ট হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫৩৬)।প্রশ্নকারীঃ মাহদী হাসান, ঢাকা।
উত্তর : যার অলী নেই তার অলী হবে সরকার বা সরকার নিযুক্ত প্রতিনিধি বা আদালত (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮০; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৫৬)। অমুসলিম রাষ্ট্র হ’লে অলী হবে মুসলিম সংস্থা বা কোন ইসলামী প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা তার নিযুক্ত প্রতিনিধি। তবে অবশ্য
উত্তর : যেকোন ফরয ছালাতে কোন জাতীয় সমস্যার প্রতিকারার্থে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা যায়। সুতরাং জুম‘আর ছালাতেও কুনূতে নাযেলা পাঠে বাধা নেই। তবে খুৎবায় দো‘আ পাঠের সুযোগ থাকায় জুম‘আর ছালাতে কূনূতে নাযিলা পাঠ করাকে অনেক বিদ্বান অপসন্দ করেছেন। অতএব জু
উত্তর : মোবাইল এ্যাপস বা টেলিভিশনের রেকর্ডকৃত আযান শ্রবণকালে আযানের জওয়াব দিতে হবে না। কেননা এগুলো মৌলিক আযান নয়। বরং সরাসরি আযান শোনার সময়ই কেবল জওয়াব দিতে হবে। আর একাধিক আযান শোনার ক্ষেত্রে যেকোন একটি আযানের জওয়াব দিলেই যথেষ্ঠ হবে (উছায়মীন,
উত্তর : এমতাবস্থায় হজ্জ আদায় হয়ে যাবে এবং এর জন্য কোন কাফ্ফারা দিতে হবে না। কেননা কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (নাজম ৫৩/৩৮)। তবে অভিযুক্ত মু‘আল্লিমগণ কঠিন গুনাহের ভাগিদার হবেন। এটা একদিকে যেমন প্রতারণা, অন্যদিকে হজ্জের একটি ওয়াজিব বিধান লঙ্ঘন।
উত্তর : পোষা বা ক্রয় করা কোন পশুকে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করলে ও সেই মর্মে ঘোষণা দিলে তা আর বদল করা যাবে না। এটি ওয়াকফের মত। তবে যদি নির্দিষ্ট না করে থাকে, তাহ’লে তার বদলে উত্তম পশু কুরবানী দেওয়া যাবে। কোন কোন বিদ্বান উত্তম পশু ক্রয় করার লক্
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ কুরবানী দেওয়া সুন্নাত, ওয়াজিব নয় (ফাৎহুল বারী ১৬/৩; তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৭৯)। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই কুরবানী দিবে। নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া শর্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) নিজেও নিছাবের মালিক ছিলেন না। অথচ তিনি একাধিক
উত্তর : পূর্ণ চেষ্টার পরেও যদি ক্বিবলা ভুল হয়ে যায়, তবে পুনরায় তা আদায় করতে হবে না। একদা কতিপয় ছাহাবী অন্ধকার রাতে কোন এক অজ্ঞাত স্থানে ছালাত আদায় করার সময় ভুলে ক্বিবলার বিপরীত দিকে ফিরে ছালাত আদায় করেন। অতঃপর তারা রাসূল (ছাঃ)-কে ঘটনাটি বর্ণন
উত্তর : ওযুর পরে সন্দেহ দূরীকরণের জন্য লজ্জাস্থান বরাবর পানি ছিটানো নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য মুস্তাহাব (আহমাদ হা/১৭৫১৫; মিশকাত হা/৩৬৬; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/১১২)।প্রশ্নকারীঃ রফীকুল ইসলাম,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : বিশ্রামের জন্য ব্যবস্থা করা কল্যাণের কাজ। ওমর (রাঃ) মসজিদে নববীর সামনে লোকদের খোশগল্প করার জন্য একটি বারান্দা নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি অনর্থক কথা, কবিতা পাঠ কিংবা উচ্চ স্বরে কথা বলতে চায়, সে যেন ঐ স্থানে চলে যায়’
উত্তর : সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তাক্বওয়া অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যেমন চক্ষু অবনমিত করার আদেশ দিয়েছেন, তেমনি রাসূল (ছাঃ) দ্বিতীয়বার কোন নারীর দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন (নূর ২৪/৩০; আবুদাঊদ হা/২১৪৯; মিশকাত হা/৩১১০)। অতএব বৈধ কাজ সতর
উত্তর : অজ্ঞতা বা ভুলবশতঃ অপবিত্র কাপড়ে ছালাত সম্পাদন করার পর অপবিত্রতার বিষয়টি স্মরণ হ’লে বিশুদ্ধ মতে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে না। একদা রাসূল (ছাঃ) অপবিত্র লেগে থাকা জুতা পরে ছালাত আদায় করছিলেন। ছালাতের ভিতরে জিব্রাঈল (আঃ) বিষয়টি অবহিত করল
উত্তর : চারজন ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে জনপ্রতি দু’টি হিসাবে আটটি ছাগল দ্বারা আক্বীকা করা সুন্নাত (আবুদাঊদ হা/২৮৩৪; মিশকাত হা/৪১৫২)। এক্ষণে পিতা-মাতার পক্ষে আটটি ছাগল আক্বীক্বা করার সামর্থ্য না থাকলে চার ছেলের পক্ষ থেকে চারটি ছাগল আক্বীক্বা করবে (আব
উত্তর : মসজিদের হেফাযত অর্থ তার সম্মানের হেফাযত। তার চার দেওয়ালের হেফাযত নয়। খোদ রাসূল (ছাঃ) কা‘বাগৃহকে ভেঙ্গে ইব্রাহীমী ভিতের উপরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করেননি (মুসলিম হা/১৩৩৩)। এতে বুঝা যায় যে, যেকোন কারণে মসজিদ ভাঙ্গা-গড়া হ’
উত্তর : অন্ধ ব্যক্তির জন্য আযান ও ইমামতিতে বাধা নেই। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর আমলে অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) মসজিদে নববীতে ফজরের আযান দিতেন এবং রাসূল (ছাঃ) ও বড় বড় ছাহাবীগণের অনুপস্থিতিতে ইমামতি করেছেন (বুখারী হা/৬১৭; মিশকাত হা/
উত্তর : প্রথম তালাকটি একটি তালাক হিসাবে গণ্য হবে এবং পরবর্তী একই তোহরে প্রদত্ত দু’টি তালাক মূলতঃ এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আবু রুকানা তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর দারুণভাবে মর্
উত্তর : কোন ব্যক্তি খালেছভাবে হজ্জের নিয়ত করার পর মারা গেলে সে হজ্জের ছওয়াব পেয়ে যাবে (আহমাদ হা/১৮০৬০; ছহীহুত তারগীব হা/১৬)। তবে উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হয়ে গিয়েছিল এবং ইহরাম বাঁধার পূর্বে মারা যাওয়ায় তা পালনকৃত হজ্জ হিসাবে গণ্য হবে না। সুতরাং
উত্তর : যে সকল পাখির গোশত খাওয়া হালাল সে সকল প্রাণীর মলমূত্র অপবিত্র নয়। সুতরাং এ সকল প্রাণীর বিষ্ঠা কাপড়ে লেগে গেলে তাতে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে বিষ্ঠা লেগে গেলে কাপড় ধুয়ে ফেলা কিংবা পানি ছিটিয়ে দেওয়া কর্তব্য। অপরদিকে যে সকল পাখির গোশত খাওয়
উত্তর : হাদীছটির অর্থ হ’ল- দুনিয়া তার অধিবাসীকে আল্লাহ থেকে বিমুখ করে রাখে। তাই দুনিয়াকে অভিশপ্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর مَلْعُونٌ مَا فِيهَا অর্থ যারা আল্লাহর যিকর থেকে বিমুখ তারাও অভিশপ্ত। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ মান্য করে, নিষেধ বর্জন ক
উত্তর : উভয়ের মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। বরং আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে মাটির বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরী করেছেন এবং তার দেহে রূহ ফুঁকে দিয়েছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭-৭২; হজ্জ ২২/৫; হিজ্র ১৫/২৬)। অতঃপর মানুষকে সেই আদমের পানি (বীর্য) থেকে এবং তাকে বিভিন্ন স্তরে
উত্তর : সাধারণভাবে পুরুষ-নারীর সংমিশ্রণ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানে নারীর জন্য চাকুরী করা জায়েয নয়। কারণ এতে অনেক ধরনের ফিৎনার আশংকা রয়েছে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৭/৫৩; উছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৩/১০৩)। এক্ষণে বিকল্প না থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় সাধ্যমত পর্দার
উত্তর : গোপনীয়তা পরিহার করে গ্রুপে মেয়েদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। তবে সর্বাবস্থায় হৃদয়ের তাক্বওয়া ও ইসলামী পর্দা বজায় রাখতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/২২৬)।প্রশ্নকারীঃ ক্বামারুয্যামান, ঢাকা।
উত্তর : উক্ত দো‘আগুলি অনুচ্চস্বরে পাঠ করা সুন্নাত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রভুকে ডাক, বিনীতভাবে ও চুপে চুপে’ (আ‘রাফ ৭/৫৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/২৮৪-৮৫)। তবে পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি কেবল শুনতে পায় এমন শব্দে সিজদা ও রুকূ পরবর্তী দো‘আ পা
উত্তর : ত্বাগূত শব্দের অর্থ শয়তান, মূর্তি, প্রতিমা। আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ)-কে বাদ দিয়ে অন্য কারো নিকট থেকে ফায়ছালা গ্রহণ করা বা কারো প্রতি অন্ধ আনুগত্য প্রদর্শন করাই ত্বাগূত। এক কথায় আল্লাহ ব্যতীত অন্য যে কাউকে মা‘বূদ বা উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করা
উত্তর : যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত হ’ল নিছাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর কারো নিজ মালিকানায় থাকা। একান্নবর্তী পরিবার হ’লেও মা, স্ত্রী, সন্তান এবং পরিবারের কর্তা নিজ নিজ সম্পদের মালিক। তারা ব্যক্তিগতভাবে নিছাব পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী হ’লে যাকাত দিবে,
উত্তর : বিপদাপদে মুক্তির জন্য কুরআন তেলাওয়াত বা আযান দেওয়ার কোন দৃষ্টান্ত রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীদের যামানায় পাওয়া যায় না। বরং কোন মুছীবতে পড়লে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত দোআ‘গুলি পাঠ করবে অথবা ছালাতে দাঁড়িয়ে যাবে (বাক্বারাহ ৪৫; আবুদাঊদ হা/১৩১৯; মিশক
উত্তর : স্কুলে কোন অনৈসলামী কাজ না করার শর্তে উক্ত খেদমত করা যাবে এবং এতে ছওয়াবও পাওয়া যাবে। মানুষের কল্যাণে যে কোন পরিশ্রম বৃথা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় হ’ল সেই ব্যক্তি যে মানুষের জন্য সবচেয়ে উপকারী (ছহীহাহ হা/৪২
উত্তর : হজ্জের পূর্বে ওমরা পালন করা যায়। তবে যদি ওমরা পালনে হজ্জের খরচ বা প্রস্ত্ততি গ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে একই সফরে হজ্জ ও ওমরা পালন করা উত্তম। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রহঃ)-কে জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, আমি কি হজ্জের পূর্বে ওমরা করতে পারি। ত
উত্তর : ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। সুতরাং মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসবে না (বুখারী হা/৪৪৪; মুসলিম হা/৭১৪; মিশকাত হা/৭০৪)। এমনকি জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন সময়েও কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে রা
উত্তর : এগুলি সব ভুয়া কথা। শরী‘আতে শুভ-অশুভ লক্ষণ বলে কোনকিছুর ভিত্তি নেই। কোনকিছুতে কল্যাণ দান করা বা না করার মালিক আল্লাহ। উক্ত বাড়ি বা ভূমির কল্যাণ বা অকল্যাণের ব্যাপারে আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞান রাখেন। কারণ গায়েবের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে (আন‘আম ৬/৫৯)।
উত্তর : এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কেননা রাসূল (ছাঃ)-কে জিব্রীল বলেন, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বা তাদের একজনকে পেল। অথচ সে তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করল না, সে জাহান্নামে প্রবেশ করল। আল্লাহ তাকে স্বীয় রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দিলেন (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪০৯)।
উত্তর : একাধিক হজ্জ পালন করা মুস্তাহাব। আর ওমরাহ ইমাম শাফেঈ, আহমাদসহ সমকালীন অনেক বিদ্বানের মতে ওয়াজিব (বাক্বারাহ ২/১৬৬; ইবনু মাজাহ হা/২৯০১; নববী, মিনহাযুত ত্বালেবীন ৮২ পৃ.; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৩১৭; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৯/৭)। সেজন্য তৃতীয়বা
উত্তর : সফরের জন্য মহিলাদের সাথে মাহরাম পুরুষ থাকা শর্ত (বুখারী হা/১৮৬২)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, মাহরাম ব্যতীত কোন নারী হজ্জ করবে না (বাযযার, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৬৫)। বোনের স্বামী মাহরাম নয়। অতএব বোন থাকা সত্ত্বেও বোনের স্বামীর তত্ত্বাবধানে হজ্জে গম
উত্তর : হজব্রত পালনরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। একদা আরাফার মাঠে জনৈক ছাহাবী মুহরিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা তাকে বরই পাতা ও পানি দিয়ে গোসল করাও, তাকে দু’টি কাপড়ে কাফন পরাও, তাকে সুগন্ধি লাগিয়ো না এবং মাথ
উত্তর : মসজিদে আযান হওয়া ফরযে কিফায়াহ। সেজন্য প্রত্যেক মসজিদে আযান হওয়া আবশ্যক। এক্ষণে ইমামসহ যে কেউ বৃষ্টি বা ভয়-ভীতির কারণে জামা‘আতে ছালাত আদায় পরিত্যাগ করলে কোন দোষ নেই। তবে মসজিদের প্রতিবেশীরা একজন হ’লেও আযান ও এক্বামত দিয়ে ছালাত আদায়ের মাধ্যমে ম
উত্তর : এখানে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়। প্রথমতঃ কেউ যদি দুনিয়ার জীবনকে তুচ্ছ মনে করে এবং পরকালীন জীবনকে স্থায়ী মনে করে এমন কথা বলে তাহ’লে তাতে কোন দোষ নেই। কারণ দুনিয়ার জীবন অস্থায়ী। আল্লাহ বলেন, বস্ত্ততঃ পার্থিব জীবন ধোঁকার উপকরণ ছাড়া কিছুই নয়’ (আলে ইমরান
উত্তর : তারীখে ইস্ফাহান ও শারফু আছহাবিল হাদীছসহ কিছু গ্রন্থে উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। ঐ বর্ণনাটি ‘জাল’ (তাহযীবুল কামাল ১৪/৩০; লিসানুল মীযান, রাবী নং ১৪৫৮)।প্রশ্নকারী : আশিকুল ইসলাম, গঙ্গাচড়া, রংপুর।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর নবুঅত প্রাপ্তির পূর্বের কোন আমল বা বাণী শরী‘আতের দলীল হিসাবে গণ্য নয়। কারণ তখনও তিনি সাধারণ মানুষ ছিলেন এবং কোন কাজ আল্লাহর নিকট থেকে অহী প্রাপ্ত হয়ে করতেন না। সেজন্য ছাহাবায়ে কেরামদের কেউ গারে হেরায় বসে একদিনের জন্যও ই
উত্তর : মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ আদায়কালে লোকদেরকে হালাল উপার্জন থেকে দান করতে উৎসাহিত করা মুস্তাহাব। কেননা আল্লাহ পবিত্র জিনিস ছাড়া কবুল করেন না (মুসলিম হা/১০১৫)। তবে কেউ যদি তার হারাম উপার্জন যেমন সূদ, ঘুষ, ব্যাংকে চাকুরীর বেতন ইত্যাদির টা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা তাঁর নবুঅত প্রাপ্তির পূর্বেই মারা গেছেন। ফলে তাঁরা ঈমান আনার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতার ঈমান আনা সম্পর্কিত যত বর্ণনা এসেছে তার অধিকাংশই জাল। কিছু যঈফ বর্ণনা রয়েছে সেগুলোও পরিত্যাজ্য (আযীম
উত্তর : শিক্ষার্থীরা অপরাধ করলে প্রথমে তাদের বুঝাতে হবে এবং ভৎর্সনা করতে হবে। এরপর শাস্তির ভয় দেখাতে হবে। এতেও সংশোধন না হ’লে মৃদুভাবে প্রহার করা যেতে পারে। তবে যখম হয় এমনভাবে প্রহার করা যাবে না এবং মুখে মারা যাবে না। সর্বাবস্থায় শাস্তির উদ্দ
উত্তর : এ ব্যাপারে সরাসরি হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে নবী করীম (ছাঃ) বলেন, মুওয়াযযিন যা বলেন তোমরাও তাই বল (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। উক্ত হাদীছে থেকে এক্বামতের উত্তর দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয় (আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা দ্রঃ)। তাছাড়া অন্য হাদীছে
উত্তর : একই সাথে জামা‘আতে কোন ছালাত আদায় করলে নারী পুরুষের পিছনের সারিতে দাঁড়াবে, পাশাপাশি নয়। চাই সে মা হৌক বা স্ত্রী হৌক। তবে জামা‘আত ব্যতীত পৃথকভাবে যেকোন ছালাত পাশে দাঁড়িয়ে ব্যবধান রেখে আদায় করলে বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৩৩১)।প্রশ্নকারী
উত্তর : ডান হাত দ্বারা তাসবীহ গণনা করা মুস্তাহাব। কারণ রাসূল (ছাঃ) প্রতিটি ভালো কাজ ডান দিক দিয়ে শুরু করা পসন্দ করতেন (বুখারী হা/১৬৮, ৫৯২৬; মিশকাত হা/৪০০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাসবীহ সমূহ আঙ্গুলে গণনা কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ ক্বিয়ামতের দিন জ
উত্তর : যেকোন ভাল কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা মুস্তাহাব। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) জুতা পরা, চুল আঁচড়ানো এবং পবিত্রতা অর্জন করা তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক থেকে শুরু করতে ভালবাসতেন (বুখারী হা/১৬৮, ৫৯২৬; মিশকাত হা/৪০০)। ছাহাবায়ে কেরাম ভালো কা
উত্তর : আয়াতুল কুরসীসহ রাতে ঘুমের সময় পঠিতব্য যিকর গুলো দিনে ঘুমানোর পূর্বেও পাঠ করা যায়। তবে রাতে ঘুমানোর পূর্বে পাঠ করলেই যথেষ্ট হবে (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ, ক্লিপ নং ৫; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৭/৩৯৬)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ *বিল্ল
উত্তর : যে ইমাম তাবীয লেখার মত শিরকী কাজ এবং ভাগ্য গণনার মত কুফরী কাজে লিপ্ত, তার পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না। কমিটির দায়িত্ব হবে অনতিবিলম্বে তাকে সরিয়ে বিশুদ্ধ আক্বীদা সম্পন্ন কোন আলেমকে ইমাম নিযুক্ত করা (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া ক্রমিক ২
উত্তর : সঊদী ফাতাওয়া বোর্ডকে এ মর্মে প্রশ্ন করা হ’লে তারা উত্তরে বলেন- জাতীয় পতাকাকে সালাম দেয়া কিংবা জাতীয় পতাকার সম্মানে দেখিয়ে দাঁড়ানো নিকৃষ্ট বিদ‘আত। এরূপ কাজ রাসূল (ছাঃ) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে ছিল না। এছাড়া এসব কর্মকান্ডের দ্বারা কা
উত্তর : কান মাসাহ করার পরিমাপ ও পদ্ধতি সম্পর্কে ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) কানের ভিতরাংশ নিজের দুই শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ও উপরিভাগ বৃদ্ধাঙগুলি দ্বারা মাসাহ করেছেন (নাসাঈ হা/১০২; মিশকাত হা/৪১৩)। অর্থাৎ ভেজা হাতের শাহাদাত অঙ্গুলী কানের
উত্তর : উভয় পক্ষ পরস্পরের জানাশোনা ও বিশ্বস্ত হ’লে মেয়ের পিতা বা অভিভাবকের উপস্থিতিতে দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষীর সামনে মোবাইল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে কনের পিতা বা অভিভাবকের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ছেলে ‘কবুল’ করলে বিবাহ সিদ্ধ হবে (আবুদাউদ, তিরমিযী,
উত্তর : পিল বা এ জাতীয় ওষুধের মাধ্যমে সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা জায়েয। অতএব এর ব্যবসা করা যায়। এক্ষণে কেউ যদি এর অপব্যবহার করে তাহ’লে সে নিজে দায়ী হবে, বিক্রেতা নয় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২১/৩৯৪; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২২/০২
উত্তর : খতম তারাবীহ হৌক বা সূরা তারাবীহ হৌক এতে ইমামতির সম্মানী গ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যেসব জিনিসের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকো, তাদের মধ্যে কিতাবুল্লাহ (আল্লাহর কিতাব) অধিকতর উপযোগী’ (বুখারী হা/৫৭৩৭; মিশকাত হা/২৯৮৫)। তবে এ
উত্তর : মাসিকের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে প্রবাহিত রক্তকে ইস্তিহাযা বা প্রদর রোগ বলা হয়। একে কিছুই গণ্য না করে ছালাত ও ছিয়াম পালন করে যাবে। আর অতিরিক্ত হ’লে ছিয়াম পালন করবে এবং ওযূ করার পূর্বে প্যাড বা প্রতিরোধক কাপড় পরিধান করে ছালাত আদায় করবে (উ
উত্তর : উক্ত ব্যক্তি ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে শামিল হ’লে তাকে ফিদইয়া দেওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, আর যাদের জন্য এটি খুব কষ্টকর হবে, তারা যেন এর পরিবর্তে একজন করে মিসকীনকে খাদ্য দান করে (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। যে ছিয়াম পালন করেনি, তাকেও ফিদইয়া হিসাবে খাদ্য
উত্তর : বীর্য কাপড় থেকে তুলে ফেলবে বা ধুয়ে ফেলবে। চিহ্ন দেখা না গেলে পানি ছিটিয়ে দিবে। এটাই যথেষ্ট হবে। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা দেখেন এবং তাঁ
উত্তর : ই‘তিকাফ করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) ও অন্যান্য সালাফগণ রামাযানে নিয়মিত ই‘তিকাফ করতেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৫০১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/৪৪০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২০/১৫৮)। সুতরাং কেউ ই‘তিকাফ করলে ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। আর না করলেও গুনাহগার হবে ন
উত্তর : ছিয়ামরত অবস্থায় ঠোঁটে লিপজেল বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয় (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/২৬০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/২২৪; ফাতাওয়া উলামাইল বালাদিল হারাম ২০১ পৃ.)। তবে মুখের ভিতর কিছু যাচ্ছে এমন সন্দেহ হ’লে তা ফেলে দিবে বা
উত্তর : অন্যান্য সন্তানদের সম্মতি থাকলে ঘোষিত উপহার প্রদান করা যেতে পারে, এতে কোন বাধা নেই। আর সম্মতি না থাকলে তা দেওয়া যাবে না। কারণ দান বা উপহারের ক্ষেত্রে সন্তানদের মাঝে ইনছাফ করা আবশ্যক। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমা
উত্তর : স্বামী যে ভাষায় সম্মানবোধ করেন স্ত্রী তাকে সে ভাষাতেই সম্বোধন করবে। নিঃসন্দেহে আপনি অধিক সম্মানবোধক শব্দ। সে হিসাবে স্ত্রী স্বামীকে আপনি বলে সম্বোধন করতে পারে। যদি তুমি বলাতে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং বেশী হৃদ্যতা প্রকাশ পায়, তাতেও ক
উত্তর : উক্ত তালাক সংঘটিত হয়নি। কারণ জোর করে বা বাধ্য করে তালাক দেওয়া হ’লে তা কার্যকর হয় না। আল্লাহ বলেন, যার উপরে (কুফরীর জন্য) যবরদস্তি করা হয়, অথচ তার হৃদয় ঈমানের উপর অটল থাকে (নাহল ১৫/১০৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতক
উত্তর : সন্তান হিসাবে জন্মদাতা পিতা-মাতার সম্পত্তি যথারীতি পেয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান (নিসা ৪/১১)। আর ইসলামী শরী‘আতের আলোক
উত্তর : এমতাবস্থায় বাড়িতে ছালাত আদায় করা যাবে। এতে গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ দুর্গন্ধ যেমন মানুষের জন্য কষ্টদায়ক তেমনি ফেরেশতাদের জন্যও কষ্টদায়ক। দুর্গন্ধ ছড়ানো রোধের জন্য রাসূল (ছাঃ) কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন খেয়ে মসজিদে ছালাতে আসতে নিষেধ করেছ
উত্তর : এমতাবস্থায় গুনাহগার হবে না। কারণ পবিত্র হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী মিলিত হয়েছে। তবে পরবর্তীতে আবার রক্ত দেখা মাত্রই মিলন থেকে বিরত থাকবে। সাথে সাথে ছালাত ও ছিয়াম পালন থেকে বিরত থাকবে। কারণ পরবর্তী রক্তও হায়েয হিসাবে গণ
উত্তর : ঘুমানোর পূর্বে ওযূ করে শোয়া মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে মুসলিম রাতে পবিত্র অবস্থায় যিকর করতে করতে ঘুমায়, এরপর ঘুম ভেঙে গেলে সে আল্লাহর কাছে দো‘আ করে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য, তখন আল্লাহ্ তাকে তা দান করেন’ (আবুদাঊদ হ
উত্তর : প্রশ্নালোকে প্রথমবার প্রদত্ত তালাকটি এক তালাক হিসাবে কার্যকর হয়েছে। তবে ১২ই জানুয়ারীতে প্রদত্ত তালাকটি এমন তোহরে দেওয়া হয়েছে যে তোহরে মিলন হয়েছে। সেজন্য উক্ত তালাক কার্যকর হবে না (বুখারী হা/৫৩৩২; মুসলিম হা/১৪৭১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২০
উত্তর : এরূপ বলা ঠিক নয়; বরং বলতে হবে ‘আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন’। কারণ মানুষ নিজে নিজে ভাল থাকতে পারে না আল্লাহর রহমত ব্যতীত। তবে কেউ বললে তাতে শিরক বা অনুরূপ গুনাহ হবে না। কেননা এটি সংবাদবাচক বাক্য। এর দ্বারা সাধারণতঃ দো‘আই উদ্দেশ্য থাকে (উছা
উত্তর : জামাই অভাবী হ’লে যাকাতের টাকা দিয়ে সহায়তা করা যাবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে যে আটটি খাতের কথা বলেছেন তার মধ্যে মিসকীন বা অভাবী অন্যতম (তাওবাহ ৯/৬০)।প্রশ্নকারী : তানিয়া আখতার, রাজশাহী।
উত্তর : মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হয় (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। এমতাবস্থায় ইদ্দত পালনার্থে হজ্জের ফরযিয়াত রহিত হয়ে যায়। অতএব সে ইদ্দত পালন করবে এবং পরবর্তী বছর শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা থাকলে হজ্জ করবে। অন্যথায় কোন নেককার ব
উত্তর : পিঁপড়া বা ছোট ছোট পোকা খাবারে পড়ে গেলে খাদ্য নাপাক হয় না। কারণ এগুলো এমন প্রাণী, যেগুলোর রক্ত প্রবাহমান নয়। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) যে খাদ্যে মাছি পড়েছে, সে খাদ্যকে অপবিত্র বলেননি (বুখারী হা/৩৩২০)। তবে এ জাতীয় প্রাণী খাদ্যের ভিতর পড়লে যথাসম্
উত্তর : কবরস্থানের যে অংশে কবর রয়েছে সেখানে ফসলাদী আবাদ করা ও গাছ লাগানো ঠিক নয়। কারণ তা কবরের অবমাননার মধ্যে পড়ে যায় (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৬১ ‘জানাজা’ অধ্যায়)। তবে যে স্থানে কবর হয়নি বা বহু পুরাতন হওয়ায় যদি কোন চিহ্ন না থাকে তবে এমন জায়গ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সিজদা থেকে উঠে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন না’ মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৭৩৮; ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/৬৯৪)। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বসা অবস্থায় কখনো হস্ত উত্তোলন করতেন না’ (আবুদাঊদ হা/৭৪৪, তিরমিযী হা/৩৪২৩)। শায়খ আ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন ছাহাবীকে শা‘বান মাসের ছুটে যাওয়া ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে বলেননি। বরং প্রশ্নকারী ব্যক্তির প্রতি মাসের শেষে ছিয়াম পালন করার অভ্যাস ছিল। অথবা এটি তার মানতের ছিয়াম ছিল। যেটি রাসূল (ছাঃ) তাকে সেটি পরে আদায় করার নির্দেশ দেন।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ওলী ছাড়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে বাতিল বলে গণ্য করেছেন (আবুদাউদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে হা/২৭০৯)। এক্ষণে ওলীর সম্মতিতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুনরায় বিবাহের ঈজাব-কবুল করাতে হবে এবং মোহর প্রদান করতে হবে (মুগনী ৯/৩৪৬; আ
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ছাঃ) শিরকী কথার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা, মাদুলী ঝুলানো এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা তৈরীর জন্য কোন মাধ্যম অবলম্বন করা শিরক বলেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৩০; আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩)। তবে চিকিৎসা হিসাবে ঝাড়ফু
উত্তর : অত্র আয়াতে নূর অর্থ কুরআন অথবা ইসলাম বা আল্লাহ্র হেদায়াতের নূর, আলো, সঠিক পথ (তাফসীর ইবনে কাছীর, ফাৎহুল ক্বাদীর ২/২৩ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। আলোচ্য আয়াতে ‘নূর’ শব্দ দ্বারা নবী করীম (ছাঃ)-কে নূরের তৈরী বলা হয়েছে এমন তাফসীর কোন মুফাসসির করে
উত্তর : নারীদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা জায়েয। তবে তাদের বাড়িতে ছালাত আদায় করাই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাদের জন্য তাদের ঘরই উত্তম (আবুদাউদ হা/৫৬৭; মিশকাত হা/১০৬২; ছহীহুত
উত্তর : এভাবে নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ গ্রহণ করা সূদের অন্তর্ভুক্ত, যা হারাম। বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা করাকে মুশারাকা বলে। অর্থাৎ শরীকানা ব্যবসা। এতে লাভ-ক্ষতি বিনিয়োগের পরিমাণের ভিত্তিতে হবে (মুগনী ৫/২৭-২৮)। অতএব এভাবে চুক্তি ক
উত্তর : সম্পদ রক্ষার জন্য সমাজে প্রচলিত আইন মেনে যাবতীয় বৈধ পন্থা অবলম্বন করবে। প্রয়োজনে কোর্টে মামলা করতে হবে। কোনভাবেই প্রতিকার না পেলে ধৈর্যধারণ করতে হবে এবং আল্লাহ্র উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ চাইলে আরো বহু উপার্জনের পথ উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। আল
উত্তর : বিবাহের আক্বদ সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে পবিত্র থাকা বা হায়েয থেকে পবিত্র থাকা শর্ত নয়। বরং ওলী, সাক্ষী ও ঈজাব-কবুল হওয়া শর্ত (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, অডিও টেপ নং ১৪৯)। তবে হায়েয থেকে পবিত্র থাকা উত্তম। কেননা এমতাবস্থায় মিলন জায়েয নয়।
উত্তর: দো‘আ ছালাতের ভিতর হ’লে তাশাহহুদই আল্লাহ্র প্রশংসা ও দরূদের জন্য যথেষ্ট হবে। আর ছালাতের বাইরে হ’লে প্রথমে ‘আলহামদুলিল্লাহি রাবিবল আলামীন’ বলবে ও রাসূলের প্রতি দরূদের জন্য ‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি‘আলা ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদ’ বলে দো‘আ করবে বা অনুরূপ
উত্তর : এমতাবস্থায় মায়ের কর্তব্য হ’ল, সন্তানের হেদায়াতের জন্য বেশী বেশী উপদেশ দেওয়া, তাকে সম্ভবপর সঙ্গ দেওয়া, তার জন্য অধিকহারে দো‘আ করা, তার জন্য সৎসঙ্গীর ব্যবস্থা করে দেওয়া, কোন বিজ্ঞজন বা সন্তানের কোন শিক্ষক বা সৎ বন্ধুর মাধ্যমে সন্তানকে উপদেশ দেও
উত্তর : ছালাতের পর স্পষ্ট পেশাব বা আঠালো পদার্থের কারণে কাপড় ভেজা অনুভব করলে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করে ওযূ করে পুনরায় ছালাত আদায় করবে। সাথে সাথে পেশাবে ভেজা স্থান ধুয়ে ফেলবে এবং মযী দ্বারা ভেজা স্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে। কারণ পেশাব বের হওয়া বা মযী নির্গত
উত্তর : স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও সকল খরচ বহন করার দায়িত্ব স্বামীর। আল্লাহ বলেন, ‘আর জন্মদাতা পিতার দায়িত্ব হ’ল ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রসূতি মায়েদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা’ (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আর তোমাদের উপর তাদের ন্যায়সঙ্গত ভরণ-পোষণের ও
উত্তর : রামাযান মাসে যাকাত আদায়ের বিশেষ কোন ফযীলত বর্ণিত হয়নি। যাকাত যখন ফরয হবে তখনই আদায় করা ওয়াজিব। বরং আববাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যাকাত আদায়ের অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দেন (তিরমিযী হা/৬৭৮)। তবে রামাযানের কাছা
উত্তর : যদি সন্তান জন্মের দুই বা তিনদিন পূর্বে ব্যাথাসহ কোন রক্ত বের হয় তাহ’লে তা নিফাস হিসাবে গণ্য হবে। আর যদি কেবল তরল পানি বের হয় তাহ’লে তা কিছুই না। তাতে ছালাত বা ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। তবে তাতে ওযূ ভেঙ্গে যাবে (কাশশাফুল কেনা‘ ১/২১৯; উ
উত্তর: আপাতঃদৃষ্টিতে উক্ত কর্ম দোষনীয় নয়। কেননা জনস্বার্থবিরোধী এবং পাপের কাজে ব্যবহৃত না হ’লে প্রয়োজনে ভিপিএনের সাহায্য নিতে বাধা নেই। আর সাধারণভাবে যে কোন বৈধ কর্মের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করা জায়েয, যদি না তাতে কোন অস্পষ্টতা, ধোঁকা, প্রতারণা ব
উত্তর : মোহরের পরিমাণ ছেলের সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারিত হবে এবং সেই মোহর পরিশোধ করা স্বামীর জন্য আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং উত্তমভাবে তাদের মোহর প্রদান কর’ (নিসা ৪/২৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কম
উত্তর : কোন সন্তানকে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের খরচ হিসাবে কোন সম্পত্তি ব্যবহারের জন্য দিতে পারে। তবে মৃত্যুর পর সম্পদ মীরাছ অনুযায়ীই বণ্টিত হবে। যেমন আবুবকর (রাঃ) প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে আয়েশা (রাঃ)-কে জীবদ্দশায় কিছু সম্পদ অতিরিক্ত দিয়ে উপকৃত হ’
উত্তর : বিয়েতে মেয়ে রাযী না থাকায় এবং কাবিননামায় স্বাক্ষর না করায় আদতে বিয়েই হয়নি। এই অবস্থায় মেয়ের উচিৎ হয়নি স্বামীর ঘর করা। এজন্য মেয়েও দায়ী হবে। তাকে অবশ্যই অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র নিকট তওবা করতে হবে। এক্ষণে এটি ‘শিবহে নিকাহ’ হয়েছে। উক্ত নিকা
উত্তর : বর্ণনামতে ১ম তালাকটি হায়েয অবস্থায় দেওয়া হয়েছে। যা কার্যকর হবে না (বুখারী হা/৫২৫১, ৫৩৩২, মিশকাত হা/৩২৭৫)। ২য় এবং ৩য় তালাকটি নিশ্চিতভাবে ১টি করে তালাক হয়েছে। আর ৪র্থ তালাকের ক্ষেত্রে যদি এমন ক্রোধান্ধ অবস্থায় থাকে যে, সম্পূর্ণভাবে হিতাহিত
উত্তর : দুধ পান করানোর কারণে দুধ মা মাহরাম সাব্যস্ত হন এবং আত্মীয়তার হক লাভের অধিকারী হন। তবে এর দ্বারা তিনি প্রকৃত মায়ের মত অধিকার অর্জন করেন না এবং প্রকৃত মায়ের মত দুধ মায়ের প্রতি খরচ করা বা খেদমত করাও আবশ্যিক নয়; বরং মুস্তাহাব।প্রশ্নকারী :
উত্তর : ইদ্দতের মধ্যে বিবাহ করায় উক্ত বিবাহ হয়নি এবং ঐ স্ত্রীর সাথে পাঁচ মাস অবস্থান করা পুরোপুরি অবৈধ ছিল (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ২৯/৩৪৬; মুগনী ৮/১২৭)। আলাহ বলেন, ‘আর ইদ্দতকাল পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার সংকল্প করো ন
উত্তর : শিশুদের কথা বলানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল বা দো‘আ নেই। তবে কুরআনে যেহেতু সকল প্রকার রোগের শিফা রয়েছে সেজন্য ঝাঁড়ফুক সংক্রান্ত সূরা বা আয়াতগুলো এবং হাদীছে বর্ণিত দো‘আগুলো পাঠ করে ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়। যেমন মূসা (আঃ) তোত্লা ছিলেন
উত্তর : টাক দূর করার জন্য মাথার অন্য অংশের চুল টাকের স্থলে স্থাপন করা জায়েয। কারণ এটি সৃষ্টির পরিবর্তন নয়। বরং এটি পরিবর্তিত রূপকে আসল রূপে ফিরিয়ে আনার সমতুল্য (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/০৭,১৭/২৩)।প্রশ্নকারী : আসাদুয্যামান, গান্দাইল, সিরাজগঞ্জ
উত্তর : হাদীছের ভাষায় বুঝা যায় ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত মাইয়েত কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাবে না। বরং সে ঋণের সাথে ঝুলন্ত থাকে এবং তার উপর কবরের আযাব হ’তে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে যদি মৃতের নিকটাত্মীয় বা অন্য কোন ব্যক্তি ঋণদাতার নিকট থেকে সময় নেন এবং
উত্তর : মৃত সুন্নাত জীবিত কারী নয় বরং উম্মতের পতন অবস্থায় কোন সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণকারী ব্যক্তি পঞ্চাশ জন শহীদের সমান নেকী পাবে বলে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের পরে এমন একটা কঠিন সময় আসছে, যখন কোন সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধা
উত্তর : যে দেশে যাবে সে দেশের লোকেরা যে দিন ঈদ করবে সে দিন ঈদ করবে যদিও ছিয়াম ৩১টি হয়। আর ছিয়াম ২৮টি হয়ে গেলে লোকদের সাথে ঈদ করে নিবে এবং পরবর্তীতে একটি ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করে নিবে। কারণ আরবী মাস ২৮ দিনে হয় না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/১৫৫;
উত্তর : প্রথমতঃ ক্বিবলা নির্ধারণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। কারণ ছালাতের জন্য ক্বিবলা শর্ত (বাক্বারাহ ২/১৪৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৪৩৩-৩৫)। দ্বিতীয়তঃ ক্বিবলা অল্প বিচ্যুত হ’লে কোন দোষ নেই এবং তাতে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ
উত্তর : নেশাদার দ্রব্য গ্রহণ করা হারাম এবং এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর (আ‘রাফ ৭/১৫৭)। তবে এগুলো পান করে বা গ্রহণ করে কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে না। সেজন্য এগুলো আত্মহত্যা হিসাবে গণ্য হবে না (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৪/১৯৪)।প্রশ্নকার
উত্তর : অর্থ উপার্জন ও শিক্ষা দু’টিই প্রয়োজন। সেজন্য এমন উৎস থেকে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করবে, যেখানে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি শিক্ষা অর্জনও করা যায়। এমন উৎস না পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করবে এবং পিতা-মাতার আদেশ পালন করে বৈধ উৎস থে
উত্তর : মুখের অবাঞ্ছিত লোম বা দাগ যা দেখলে নারীকে অসুন্দর দেখায় তা তুলে ফেলাতে কোন দোষ নেই। কারণ এগুলোর ব্যাপারে ইসলাম কোন বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি। অবশ্য ভ্রু কোনভাবেই তুলে ফেলা যাবে না। কারণ এ ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে (ফাতাওয়া লাজনা দা
উত্তর : চিকিৎসার সুবিধার্থে একান্ত বাধ্যগত অবস্থায় অন্তর পবিত্র রেখে মহিলাদের শরীরে হাত দিলে কোন গুনাহ হবে না। তবে চেষ্টা থাকতে হবে যাতে মহিলা চিকিৎসকরাই মহিলাদের চিকিৎসা করে। সুযোগ ও পরিবেশ না থাকলে যরূরী অবস্থায় পুরুষ চিকিৎসকরা মহিলাদের চিক
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণের পর সিজদায়ে তেলাওয়াতের জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়। অতএব হায়েয অবস্থায় তেলাওয়াতের সিজদা দেওয়া এবং তাতে দো‘আ পাঠ করায় কোন দোষ নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২২৪; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১০/৪৪৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৭/২
উত্তর : প্রশাসনিক কোন দায়িত্ব পালন বা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে চাকুরী করা মৌলিকভাবে বৈধ। তবে যে সব অপরাধের শাস্তি ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী প্রদান করা যাচ্ছে না, সে জন্য দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলগণ, যাদের হাতে ক্ষমতা আছে। তাছাড়া অধিকাংশ বিচার
উত্তর : এ কথা ভিত্তিহীন। হাদীছে একসাথে খাওয়ার কথা এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বিসমিল্লাহ বলে এক সাথে খাবার গ্রহণ কর, তাতে তোমাদের জন্য বরকত নাযিল করা হবে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪২৫২; ছহীহাহ হা/৬৬৪)। তিনি বলেন, ‘সে খাবার আল্লাহর নিকট সর্
উত্তর : নাপাক অবস্থায় সাহারী খেলে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অপবিত্র অবস্থায় গোসল না করেই ঘুমিয়ে যেতেন, অতঃপর উঠে গোসল করতেন’ (ইবনু মাজাহ হা/৫৮১; তিরমিযী হা/১১৮, সনদ ছহীহ)। এছাড়া কখনও জুনুবী অবস্থায় রাসূল (ছাঃ
উত্তর : হাদিয়া ফেরত দেওয়া সমীচীন নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা দাওয়াত দানকারীর ডাকে সাড়া দিয়ো, উপহারাদি ফেরত দিও না এবং মুসলিমদেরকে প্রহার করো না’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১৫৭; আহমাদ হা/৩৮৩৮, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি চাওয়া বা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং সর্বাবস্থায় পুরুষদের জন্য স্বর্ণের গহনা ব্যবহার করা হারাম। চাই তা সফরে হৌক বা বাড়ীতে হৌক। রাসূল (ছাঃ) একদা ডান হাতে রেশম এবং বাম হাতে সোনা ধরলেন, অতঃপর বললেন, ‘আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দু’টি বস্ত্ত হারাম’
উত্তর : মাহরাম আত্মীয়রা সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামী। তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা অতীব যরূরী। অতঃপর গায়ের মাহরাম আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে নিকটতার ভিত্তিতে এর গুরুত্ব ও বিধান কম-বেশী হবে (কারাফী, আল-ফুরূক ১/১৪৭; আল-মাওস
উত্তর : ইফতারের পর ও সাহারীর পূর্বে ইনসুলিন নেওয়াই উত্তম। যদি এরপরেও প্রয়োজন হয়, সেটা দিনের বেলায় ছিয়াম অবস্থায় নিতে পারে। কেননা ইনসুলিন গ্রহণ করা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। আর এটি কোন খাদ্য নয়। অনুরূপ হাঁপানী রোগের জন্য ছিয়াম অবস্থায় ‘ইনহেলার’ নে
উত্তর : সাহারীর সময়সূচীর ১ মিনিট বাকী থাকলেও সে সময় এক লোকমা খাদ্য বা এক ঢোক পানি পান করলে সাহারী আদায় হয়ে যাবে এবং সাহারী খাওয়ার ফযীলত পাওয়া যাবে। তাছাড়া সাহারী খেতে না পারলেও ছিয়ামের নিয়ত করলে ছিয়াম আদায় হয়ে যাবে (বুখারী, ফাৎহুল বারী ৪/১৭৫ হা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ ও মুনকার (ইবনু আবী হাতিম, ইলালুল হাদীছ ১/২৪৯; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৭১; মিশকাত হা/১৯৬৫)। এর সনদে আলী ইবনু যায়েদ ইবনে জুদ‘আন নামে একজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী আছে (বুগইয়াতুল বাহেছ ১/৪১২)। প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, আ
উত্তর : উক্ত অবস্থায় যখন তাদের পক্ষে সম্ভব তখন আদায় করবে। এক বা দু’বছর পরেও যদি হয়। কেননা তাদের শারঈ ওযর রয়েছে। কিন্তু যদি কোন মহিলা অবজ্ঞা ও অবহেলা করে, তাহ’লে সে গোনাহগার হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমার কিছু ছিয়াম ক্বাযা হয়ে যেত, যা পরবর্তী শা‘
উত্তরঃ রামাযান মাসে হোক কিংবা রামাযানের বাইরে হোক মৃত ব্যক্তির জন্য আলেম-ওলামা বা মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে দাওয়াত দিয়ে কুরআন খতম করানো একটি বিদ‘আতী প্রথা মাত্র। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ নিয়ম চালু ছিল না (যাদুল মা‘আদ ১/৫২; নায়লুল আওত্বা
উত্তর : কথাটি স্বীয় জায়গায় সঠিক হ’লেও প্রয়োগক্ষেত্রটি সঠিক নয়। এর ভিত্তিতে কোন একটি নির্দিষ্ট মাযহাবকে অন্ধভাবে অনুসরণ সাব্যস্ত করা অবান্তর। বরং শারঈ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ আলোকে মাসআলা প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য বিদ্বানদের দলীলভিত্
উত্তর : কোন অমুসলিম উপকার করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ‘শুকরান’ বা ধন্যবাদ বলা যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষের শুকরিয়া আদায় করে না, সে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতিও শুকরিয়া আদায় করে না’ (আবুদাউদ হা/৪৮১১; ছহীহাহ হা/৪১৬)। এছাড়া তার
উত্তর : ঘরে কেউ না থাকলেও ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। এ সময় সাথে আরো কিছু বাক্য যোগ করতে পারে- আস-সালামু আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ-ছালেহীন অথবা- আস-সালামু আলাইকুম আহলাল বায়তি ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারারাকাতুহ (বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ
উত্তর : প্রথমতঃ এই হাদীছে মুমিন বান্দারা যে আল্লাহর অলী বা বন্ধু, তা বর্ণিত হয়েছে। যারা এসকল বান্দার সাথে শত্রুতা পোষণ করে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়াতেই ব্যবস্থা নেন। দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর নৈকট্য লাভের যে সকল মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ফরয ই
উত্তর : বড় বোন তার অংশ বিক্রয় করার ইচ্ছা করলে এবং উভয়ের জমিতে যাওয়ার পথ, সেচের পথ ও জমির সীমানা একই হ’লে প্রথমে ছোট বোনকে উক্ত অংশ নায্যমূল্যে ক্রয়ের প্রস্তাব করবে। সে প্রস্তাব গ্রহণ করলে তাকেই দিবে অন্যথায় বাইরে বিক্রয় করে দিবে। আর জমিতে প্র
উত্তর : ডিভোর্স লেটার কোর্ট থেকে যেই তারিখে পাঠানো শুরু হবে, সেদিন থেকে ইদ্দত পালনের সময় হিসাব করবে। তালাকপ্রাপ্তার নিকট কয়েক দিন পরে পৌঁছলেও তা ধর্তব্য নয়। আর তিন মাসের মধ্যে রাজ‘আত না করা হ’লে বা ফিরিয়ে না নিলে তা তালাকে মুগাল্লাযা বা চূড়ান
উত্তর : প্রথমতঃ নিয়ত বিশুদ্ধ করতে হবে। কারণ বান্দা কোন সৎ কাজের দৃঢ় নিয়ত করে থাকলে আল্লাহ তাকে অবশ্যই পথ দেখাবেন (আনকাবূত ২৯/৬৯)। দ্বিতীয়তঃ ফজর ছালাত জামা‘আতে আদায়ের গুরুত্ব সম্পর্ক সচেতন থাকতে হবে। কারণ এতে যেমন সারা রাত জেগে ইবাদত করার ছওয়াব পা
উত্তর : উক্ত ঘটনা তাফসীরে ইবনু কাছীর, কুরতুবীসহ বেশ কিছু হাদীছ গ্রন্থে রয়েছে। তবে এর সনদ যঈফ বরং জাল (মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১৭০৭৫; যঈফাহ হা/৪৮৪৩)।প্রশ্নকারী : রেযওয়ান, বগুড়া।
উত্তর : মালিককে সাধ্যমত খুঁজতে হবে। একান্ত না পাওয়া গেলে উক্ত অর্থ মালিকের নামে দান করে দিবে। কিন্তু পরবর্তীতে মালিককে খুঁজে পেলে উক্ত টাকা প্রদান করতে হবে। যদি সামর্থ্য না থাকে, তবে ক্ষমা চেয়ে নেবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩০/৪১৩-১৪; ব
উত্তর : কেউ ভুল করে কিছু দিলে তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে এবং তা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় অতিরিক্ত সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করার জন্য ক্বিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে (মুজাদালাহ ৫৮/৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি তার কোন ভাইয়ের সম্মান
উত্তর : কোন বাধা নেই। নাপাক অবস্থায় ঘুম থেকে উঠে শুধু সাহারী খাওয়ার সময় অবশিষ্ট থাকলে বিনা গোসলেই সাহারী খাবে। অতঃপর গোসল করে ফজরের ছালাত আদায় করবে। তবে সাহারী খাওয়ার সুযোগ নেই এমন সময় ঘুম ভাঙলে গোসল করে ছালাত (ফজর) আদায় করে মনে মনে ছিয়ামের ন
উত্তর : হাদীছটি ইমাম বায়হাক্বী সংকলিত ‘শু‘আবুল ঈমানে’ বর্ণিত হয়েছে (হা/৩৭১৭)। তবে বর্ণনাটি যঈফ ও মুনকার (যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৫৮৯; আলবানী, মিশকাত হা/১৯৬৫ ‘ছওম’ অধ্যায়)।প্রশ্নকারী : আখতারুল ইসলামচট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
উত্তরঃ রামাযান মাসে শয়তানের পায়ে শিকল দেয়া থাকে, রহমতের দরজা খোলা থাকে, জান্নাতের দরজা খোলা থাকে, জাহান্নামের দরজা বন্ধ থাকে (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৫৬)। এর মাধ্যমে মূলতঃ বান্দার প্রতি আল্লাহর অসীম রহমত ও দয়াকে বুঝানো হয়েছে এবং রামাযান মাসের বি
উত্তর : সূর্য ডোবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও বাড়তি সতর্কতার দোহাই দিয়ে তারা এটা করেন। যা সুন্নাত পরিপন্থী। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বুখারী হা/১৯৫৪; মুসলিম হা/১১০০; মিশকাত হা/১৯৮৫)। শুধু তাই নয়, দেরী করে
উত্তর : জুম‘আর খুৎবাকালীন লাঠি, ধনুক বা যেকোন জিনিসের উপর হেলান বা ঠেস দিয়ে খুৎবা দেওয়া মুস্তাহাব (আবুদাউদ হা/১০৯৬; ইরওয়া হা/৬১৬)। কারণ এতে খত্বীবের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতে সুবিধা হয় (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/৬২-৬৩)। এক্ষণে কেউ যদি খুৎবাকালীন
উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী উক্ত নারী দু’বার ‘খোলা’ করে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। আর ‘খোলা’র মাধ্যমে স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হ’লে এবং পুনরায় উভয়ে সংসার করতে চাইলে নতুন বিবাহ ও মোহরের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারে (বাক্বারাহ ২/২
উত্তর : কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকলে এটি জায়েয। নইলে নয়। কর্তৃপক্ষের অজান্তে কমিশন পাওয়ার লোভে নির্দিষ্ট কোন ট্রান্সপোর্টে পণ্য প্রেরণ করা প্রতারণার শামিল। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিয়োজিত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্রহ
উত্তর : আল্লাহ বলেন, জন্মদাত্রী মাতাগণ তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধপানের মেয়াদ পূর্ণ করতে চায় (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। অর্থাৎ পূর্ণ দুই বছর শিশুর শরীর গঠনে মায়ের দুধ যরূরী। তবে এরপরেও যদি মা শিশুর কল্যাণের জন্য দুধ পান করায়
উত্তর : পিতা সন্তানের কোন দেখাশুনা বা ভরণ-পোষণ না দিলে তার জবাবদিহিতা আল্লাহর দরবারে তিনিই করবেন। তবে এ কারণে সন্তান তার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবে না। পিতা পাপ করলে এর জন্য সন্তান দায়ী নয়; আবার সন্তান পাপ করলে তার জন্য পিতা দায়ী নন। আল্লাহ
উত্তর : প্রবল শীতের কারণে শারীরিক অসুস্থতা, রোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ হা/৩৩৬; মিশকাত হা/৫৩১)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার আ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) অধিক বিনয় প্রকাশের জন্য মাটিতে বসে খেতেন। যেমন তিনি বলেন, আমি খাই যেভাবে গোলাম খায়। আমি বসি যেভাবে গোলাম বসে (শারহুস সুন্নাহ; মিশকাত হা/৫৮৩৬; ছহীহাহ হা/৫৪৪)। তিনি জনৈক ব্যক্তিকে বলেন, আমি হেলান দিয়ে খাবার গ্রহণ করি না (বুখারী হা/৫
উত্তর : হারাম সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর হারাম সম্পত্তি জনকল্যাণ মূলক কাজে খরচ করে দিলে বাকী সম্পত্তি হালাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, অতঃপর যার নিকটে তার প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশ এসে গেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তার জন্য পিছনের সব গোনাহ মাফ। তার
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গুনাহ ও অন্যায়ের কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। অতএব কোন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে যদি শরীআ‘তের উপরোক্ত নির্দেশনা মেনে দায়িত্ব পালন করা দুঃসাধ্য হয়, তাহ’লে ঐরূপ চা
উত্তর : মৃত স্ত্রীর নামে হজ্জ করা যায়। কিন্তু ব্যাংকে থাকা চার লাখ টাকার মালিক এখন স্ত্রী নয়। বরং তার উত্তরাধিকারীরা (বুখারী হা/৬৫১৪; মিশকাত হা/৫১৬৭)। এক্ষণে ওয়ারিছরা সর্বসম্মতিক্রমে মাইয়েতের স্বামীকে উক্ত অর্থ দিয়ে হজ্জ সম্পাদন করার অনুমতি দিলে
উত্তর : সন্তানদের কোন সম্পদ দান বা হেবা করার সময় সমতা স্থাপন করা ওয়াজিব। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং সন্তানদের মাঝে ইনছাফ কায়েম কর (বুখারী হা/২৫৮৭; মুসলিম হা/১৬২৩; মিশকাত হা/৩০১৯)। তবে কোন সন্তান যদি পিতার সম্পত্তি দেখাশোনা ক
উত্তর : উক্ত মর্মে ছয়টি বর্ণনা পাওয়া যায় যার সবগুলো যঈফ বরং জাল (আলবানী, যঈফাহ হা/৫৭১, ১৬৭৫, ৪১৪৭, ৬১৯৭; যঈফুল জামে‘ হা/৪০৭১)। বরং হূরের মোহর হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কৃত ব্যক্তির সৎকর্ম (কুরতুবী, আত-তাযকেরাহ ৫৫৬ পৃ. ইবনু রজব, লাতাইফুল মা‘আরেফ ১৫৯ পৃ.)।
উত্তর : ঘরে জামা‘আত করলে জামা‘আতের নেকী পাওয়া গেলেও মসজিদে যাওয়ার নেকী থেকে মাহরূম হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) দূরের বাসিন্দা অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূমকেও মসজিদে জামা‘আতে না আসার ব্যাপারে অনুমতি দেননি (মুসলিম হা/৬৫৩; মিশকাত হা/১০৫৪, ১
উত্তর : সিজদায়ে তেলাওয়াতের ন্যায় এখানেও একটি সিজদা হবে এবং এই সিজদাতে ওযূ বা ক্বিবলা শর্ত নয়। অতএব ঋতু অবস্থায় এই সিজদা দেওয়া এবং দো‘আ পাঠ করায় কোন দোষ নেই (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৫৫ পৃ.; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২২৪;)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে
উত্তর : মানবদেহের অবাঞ্ছিত লোম ৪০ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা সুন্নাত (বুখারী হা/৫৮৯০; মিশকাত হা/৩৭৯)। অতএব তা ৪০ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা কর্তব্য (মুসলিম হা/২৫৮; মিশকাত হা/৪৪২২)। তবে কেউ কোন কারণে সময়মত পরিষ্কার করতে না পারলে তা ইবাদত কবুলের জন্য প্রতি
উত্তর : এতে যদি কোম্পানীর অনুমোদন থাকে, তাহলে জায়েয। নইলে প্রতারণার শামিল হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)। প্রশ্নকারী : রাক্বীবুল ইসলাম, বেনাপোল, যশোর।
উত্তর : নির্দিষ্ট কোন দো‘আ নেই। তবে নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করা যেতে পারে।- আল্লা-হুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনী মিনান্ না-র (৩ বার)। ‘হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও’! (তিরমিযী হা/২৫৭২; নাসাঈ হা/৫
উত্তর : যদি উক্ত জমি তার পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস হয় এবং বছর শেষে কোন সঞ্চয় না থাকে, তাহ’লে হজ্জ ফরয হবে না। অর্থাৎ নিয়মিত পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের পর হজ্জ করার মত আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে তার উপর হজ্জ ফরয হবে, নইলে
উত্তর : তেলাওয়াতের সিজদা দেওয়া কর্তব্য। তবে এটি ফরয নয়। যদি কেউ এটা না করে, তবে কোন ক্ষতি নেই (বুখারী হা/১০৭২, ৭৭; তিরমিযী হা/৫৭৬)। এক্ষণে ছালাতে ইমাম সূরা ‘আলাক্ব পাঠ করলে সূরা শেষে তেলাওয়াতের সিজদা দিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। অতঃপর রুকূ করে ছালাত শেষে
উত্তর : ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া উভয়টিই হারাম (তিরমিযী হা/৬১৪; ছহীহুত তারগীব হা/১৭২৮)। সুতরাং যে টাকা সরাসরি ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত হয়, জেনে-শুনে তা থেকে পারিশ্রমিক নেওয়াও হারাম। এতে হারাম উপার্জনে সাহায্য করা হয়। যা নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৫/২)।প্রশ্নকারী : ই
উত্তর : মুসলিম মাইয়েতকে মুসলিম কবরস্থানে দাফন করায় কোন বাধা নেই। কারণ বারযাখী জীবনের সুখ বা দুঃখের বিষয়টি ব্যক্তির আমলের উপর নির্ভরশীল (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১/৩৩৭)। উল্লেখ্য যে, ‘তোমরা সৎ ব্যক্তিদের পাশে মৃতদের দাফন কর। কেননা জীবিত অসৎ
গত ফেব্রুয়ারী’২২ সংখ্যায় (২৭/১৮৭) প্রশ্নোত্তরে ভুলক্রমে ‘দ্বিতীয় মা মৃতের স্ত্রী হিসাবে এবং সন্তান না থাকায় এক-চতুর্থাংশ পাওয়ার পর বাকী সম্পত্তি চার ভাই সমানভাবে পেয়ে যাবে’ বলা হয়েছে। বরং সঠিক উত্তর হ’ল, ‘মৃতের ১ম স্ত্রীর সন্তান থাকায় ২য়
উত্তর : নেকী পাওয়া যাবে। এমনকি চোর, ধনী বা কোন কবীরা গোনাহগার ব্যক্তিকে ছাদাক্বা করলেও নেকী পাওয়া যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮৭৬)।প্রশ্নকারী : শাহীন, আবুধাবী, আরব আমিরাত।
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২০৫৫)। এছাড়া মহিলারা যত সন্তান জন্ম দিবে ততটি কবুল হজ্জের নেকী পাবে মর্মে একটি বক্তব্য সমাজে প্রচলিত আছে, সেটিও বানোয়াট।প্রশ্নকারী : আকবার হোসাইন, রাজশাহী।
উত্তর : এশার ছালাতের সাথে বিতর পড়ে নিলেও তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করতে পারবে। তবে তাহাজ্জুদ শেষে দ্বিতীয়বার বিতর পড়া যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, এক রাতে দু’বার বিতর ছালাত নেই (আবুদাউদ হা/১৪৩৯; ছহীহুল জামে হা/৭৫৬৭)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রাক্বীব,
উত্তর : ওযূ শেষে দো‘আ পাঠকালে আকাশের দিকে তাকাতে হবে মর্মে বর্ণিত অতিরিক্ত অংশটুকু ‘মুনকার’। উক্ত মর্মে বহু ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হ’লেও আকাশের দিকে তাকানোর বিষয়টি নেই (আহমাদ হা/১৭৪০১; ইরওয়া হা/৯৬, সনদ যঈফ)। অতএব ওযূ শেষে যে কোন দিকে ফিরে দো‘আ পাঠ ক
উত্তর : যদি কোন ঘরে সম্মানের জন্য বা সৌন্দর্যের ছবি রাখা হয় বা টাঙানো থাকে, তাহ’লে উক্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করবে না (বুখারী হা/৩২২৬; মুসলিম হা/২১০৬)। তবে অপ্রদর্শিত কিংবা অবহেলিত স্থানে যেমন বইয়ের ভিতরে, বিছানার চাদরে, বালিশের কাভারে বা বসা
উত্তর : পিতার সম্পদ যদি মৌলিকভাবে হারাম না হয়, তাহ’লে তা থেকে মীরাছ গ্রহণে সন্তানদের কোন দোষ নেই। যেমন চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, সূদ, ঘুষ ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদ। যদি পিতার সম্পত্তিতে এই ধরনের সম্পদ থাকে এবং এর পরিমাণ জানা থাকে তাহ’লে সম্ভ
উত্তর : দাদা মেয়েদের বঞ্চিত করে কেবল ছেলেকে জমি লিখে দিয়ে কবীরা গুনাহ করেছেন। উক্ত ছেলের জন্য অত্যাবশ্যক হ’ল তার বোনদের প্রাপ্য হক ফিরিয়ে দেওয়া। অন্যথায় সেও কবীরা গুনাহগার হবে। মীরাছ বণ্টনের নির্দেশ দেওয়ার পর আল্লাহ বলেন, ‘পক্ষান্তরে যে ব্যক্
উত্তর : মৃত সন্তানের ছেলে-মেয়েদের জন্য অছিয়ত করা দাদার জন্য ওয়াজিব নয়, তবে মুস্তাহাব। আর তা সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ সম্পদ (ইবনু আব্দিল বার্র, আত-তামহীদ ১৪/২৯২)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কারু যখন মৃত্যুকাল উপস্থিত হয়, তখন যদি সে কিছু ধন-সম্পদ ছেড়
উত্তর : সাধারণ আমলগত নিফাকীর কারণে ছালাত পরিত্যাগ করে থাকলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ হবে না এবং স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদও হবে না। এমতাবস্থায় সে কবীরা গুনাহগার হবে। আর যদি আক্বীদাগত নিফাকী তথা কুফরীর পর্যায়ের যায় এবং ছালাতের বিধানকে অস্ব
উত্তর : এমতাবস্থায় প্রথমতঃ সম্ভাব্য সকল উপায়ে প্রাপককে খুঁজে বের করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিছদের নিকট তা পৌঁছে দিতে হবে। দ্বিতীয়তঃ কোনভাবেই তাদের খুঁজে না পেলে তাদের নামে উক্ত সম্পদ ছাদাক্বা করে দিল
উত্তর : জিন বা অন্য কোন প্রাণীকে খুশি করার জন্য ভবনের ভিতে সোনা-রূপা বা অন্য কিছু প্রদান করা শিরক। কারণ উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর হাতে (বিন বায, মাজাল্লাতুদ দাওয়াহ সংখ্যা ১৬০২, পৃ. ৩৪; ছালেহ ফাওযান, আস সিহরু ওয়াশ-শাঊযা পৃ. ৮৬-৮
উত্তর : বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্রী দেখা মুস্তাহাব। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, আমি আনছারদের এক মেয়েকে বিবাহ করতে চাই। তিনি বললেন, তুমি তাকে প্রথমে দেখে নাও। কারণ আনছার মহিলাদের চোখে দোষ থাকে (মুসলিম হা/১৪২৪, ম
উত্তর : ভুলবশতঃ এমন ঘটনা ঘটে গেলে কেউ অপরাধী হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, আর তোমরা কোন ভুল করলে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তরে দৃঢ় সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (আহযাব ৩৩/০৫)। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : তিনি যতজনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন, সম্ভব হ’লে ততজনকে সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। নবী করীম (ছাঃ)-কে প্রশ্ন করা হ’ল উত্তম ইসলাম কোনটি? জবাবে তিনি বললেন, অন্যকে খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত অপরিচিত সকলকে সালাম দেওয়া (বুখারী হা/১২; মিশকাত হা/৪৬২৯)। আ
উত্তর : ভালোবাসা, দয়া বা স্নেহ প্রকাশার্থে মাহরাম নারী-পুরুষের জন্য আলিঙ্গন ও কপাল বা গালে চুম্বন করা জায়েয। সে হিসাবে পিতা-মাতা তাদের সন্তানদেরকে কিংবা ভাই-বোন পরস্পরের কপালে বা গালে চুম্বন দিতে পারে এবং কোলাকুলিও করতে পারে। তবে কারো মনে অনৈ
উত্তর : পিতা-মাতার সাথে সর্বাবস্থায় সুসম্পর্ক রাখাই ইসলামের নির্দেশ। আল্লাহর পরই পিতা-মাতার হক আদায় করা যরূরী। এমনকি পিতা-মাতা কাফের হ’লেও তাদের সম্মান ও আনুগত্য করতে হবে; যদি না তারা শিরক, কুফরী বা অন্যায়ের আদেশ দেন (আনকাবূত ২৯/৮)। সুতরাং তা
উত্তর : ইমামের খুৎবা চলাকালীন মুক্তাদী চুপ থেকে খুৎবা শুনবে যদিও সে ভাষা না বুঝে। কারণ খুৎবায় হাযির হওয়া জুম‘আর দিনের বিশেষ ইবাদতের অংশ (জুম‘আ ৬২/০৯)। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, জুম‘আর দিন ইমাম খুৎবারত অবস্থায় যদি তুমি তোমার পাশের মুছল্লীকে ‘চুপ কর’ বল
উত্তর : স্ত্রী তার মৃত স্বামী থেকে প্রাপ্ত মীরাছের সম্পদ বিক্রয় করতে পারবে। তবে সেটি বণ্টননামা চূড়ান্ত হওয়ার পর কার্যকর হবে। অতএব বণ্টননামা প্রস্ত্ততের পূর্বে কোন সম্পত্তি বিক্রয় করে থাকলে তা অবৈধ হিসাবে গণ্য হবে। আর সরকারী আইনেও সেটি অবৈধ। অ
উত্তর : পিতা-মাতাকে বুঝিয়ে ছালাতের জামা‘আতে যেতে হবে। কেননা সন্তান বালেগ বা বয়ঃপ্রাপ্ত হ’লে তার জন্য জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব। কেউ যদি আযান শোনার পরেও ওযর ছাড়া বাড়িতে ছালাত আদায় করে, তাহ’লে সে গুনাহগার হবে (নাসাঈ হা/৮৫০; ছহীহুত তারগ
উত্তর : মসজিদের নীচে সেফটি ট্যাঙ্ক বা টয়লেটের পাইপ দেওয়াতে কোন বাধা নেই। তবে অবশ্যই মসজিদের পবিত্রতা নিশ্চিত করতে হবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো রাখতে হবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৫৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘
উত্তর : সাময়িকভাবে পিতা তার কতিপয় সন্তানকে সমঝোতার ভিত্তিতে কিছু জায়গা চাষাবাদ করার জন্য দিতে পারেন। তবে পিতার মৃত্যুর পর সেগুলো মীরাছ অনুপাতে ভাগ করে নিতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আবুবকর (রাঃ) গাবা নামক স্থানের বাগানের কিছু খেজুর গাছ আম
উত্তর : বিদ্বানগণ হাতিকে হিংস্র প্রাণীর মধ্যে গণ্য করে হাতির গোশত হারাম সাব্যস্ত করেছেন। নববী (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট হাতির গোশত হারাম (আল-মাজমূ‘ ৯/১৭)। ইমাম আহমাদ ও ইবনু কুদামা (রহঃ) বলেন, এটি হারাম। হাতির গোশত মুসলমানদের খাদ্য নয় (মুগনী ৯
উত্তর : এরূপ জঘন্য ও ঘৃণ্য কর্মে লিপ্ত ব্যক্তির উপর বিচারক তার বিবেচনা অনুপাতে শাস্তি প্রদান করবেন। আর পশুটিকে হত্যা করতে হবে (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ১৪/২৪৬; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৯/৬২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পশুর সাথে কুকর্মে লিপ্ত হয়, সে অভ
উত্তর : প্রথমতঃ যদি অজ্ঞতার কারণে হারাম পন্থায় উপার্জন করে থাকে এবং সঠিক বিধান জানার সঙ্গে সঙ্গে হারাম থেকে বিরত হয় তাহ’লে পূর্বের উপার্জিত সম্পদ তার জন্য ভোগ করা জায়েয (বাক্বারাহ ২/২৭৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৪৪৩-৪৪, তাফসীরু আয়াতিন
উত্তর : ছালাতের প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা ওয়াজিব।এক্ষণে কেউ যদি তাশাহহুদ পাঠ করতে ভুলে যায় তাহ’লে শেষ বৈঠকে দু’টি সহো সিজদাহ দিয়ে সালাম ফিরাবে। এজন্য পুরো ছালাত আদায় করতে হবে না (বুখারী হা/৮২৯; মিশকাত হা/১০১৮; ইবনু কুদামাহ, আল-কাফী ১/২৭৩; বিন
উত্তর : উক্ত কাজ করা জায়েয হবে না। কারণ এতে গুনাহের কাজে সহায়তা করা হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ ও অন্যায়ের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। এক্ষণে যদি কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কাজে বাধ্য করে, তবে বিকল্প কর্ম অন্বেষণ করবে। আল্লাহ বলেন,
উত্তর : বিনা ওযরে কফিন বক্সে রেখে দাফন করা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের আমলে এমন পদ্ধতি চালু ছিল না। বরং কবরের সাধারণ মাটিতে রেখে লাশ দাফন করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২/৩১২)। এক্ষণে লাশ যদি পুড়ে যায় বা বন্যায় ভেসে যাওয়ার আ
উত্তর : যেকোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি নিয়োগদাতার সাথে চুক্তি অনুযায়ী যথাযথভাবে দায়িত্বপালন না করে ফাঁকি দিলে গুনাহগার হবে। কারণ চাকুরীরত ব্যক্তি নিয়োগকারীর সাথে নির্দিষ্ট শর্তাধীনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কর্মরত হয়েছেন। যা একটি আমানত। এর খেয়ানত করল
উত্তর : লাশের সাথে এমন অসম্মানজনক আচরণ করা গর্হিত অপরাধ। শারঈ কারণ ব্যতীত কবর খনন করে লাশ উঠানো বা কবর স্থানান্তর করা জায়েয নয়। এতে লাশের প্রতি অসম্মান করা হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, লাশের হাড্ডি ভাঙ্গা জীবিতের হাড্ডি ভাঙ্গার সমান (মুওয়াত্ত্বা, আবুদ
উত্তর : মৃতের ছেলে ও মেয়ে জীবিত থাকায় পৌত্রী কোন সম্পত্তি পাবে না। কারণ মৃতের নিকটতম আত্মীয় ছেলে ও মেয়েরা জীবিত আছেন। তবে দাদা ও চাচাদের উচিৎ ইয়াতীম মেয়েটির জন্য কিছু সম্পত্তি অছিয়ত করা বা পিতা জীবিত থাকলে যে পরিমাণ সম্পত্তি পেত সে পরিমাণ সম্
উত্তর : এ ধরনের অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনা গীবত হিসাবে গণ্য হবে, যা ইসলামে নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) তাঁর উম্মতকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘আমার উম্মতের অধিকাংশ মানুষ তার যবানের কারণে জাহান্নামে যাবে’ (তিরমিযী হা/২০০৪; ছহীহুত তারগীব হা/১৭২৩)
উত্তর : এতে কোন সমস্যা নেই। কারণ এটি মূলতঃ প্রতারণা নয়। বরং রোগীকে সান্ত্বনা দেওয়া। এমতাবস্থায় প্রয়োজনবোধে রোগীকে ঔষধের কার্যকারিতা বিলম্বের সঠিক কারণ জানাবে।প্রশ্নকারী : মুছত্বফা, নওগাঁ।
উত্তর: প্রথমতঃ পিতা মীরাছ বণ্টন যথাযথভাবে না করায় এবং মেয়েদের হক নষ্ট করায় গোনাহগার হয়েছেন। এক্ষণে বোনেরা যদি খুশি হয়ে প্রাপ্য দাবী ত্যাগ করেন বা কম-বেশীতে রাযী থাকেন, তবেই পিতা দায়মুক্ত হবেন। কারণ ভাই-বোনদের পারস্পরিক সন্তুষ্টি ও সমঝোতার মাধ
উত্তর : বিবাহিতা মেয়ে স্বামীর আনুগত্য করবে এবং যথাসম্ভব পিতা-মাতাকে সাহায্য করবে। কারণ ইসলামী শরী‘আতে স্বামীর আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে (আহমাদ হা/১৯০২৫; ছহীহাহ হা/২৬১২)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, বিবাহিতা নারীর জন্য স্বামীই
উত্তর : দো‘আ ইউনুস দ্বারা ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। কারণ দো‘আ দুই প্রকার-প্রশংসা মূলক ও প্রার্থনা মূলক। আর দো‘আ ইউনুসের মধ্যে দু’টোই রয়েছে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/২৪৪)। যেমন আল্লাহ বলেন, অতঃপর সে (মাছের পেটে) ঘন অন্ধকা
উত্তর : আল্লাহর গুণাবলী দু’ভাবে বিভক্ত। (১) সত্তাগত গুণাবলী। যেমন তাঁর চেহারা, হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ- ‘কেবল অবশিষ্ট থাকবে তোমার প্রতিপালকের চেহারা। যিনি মর্যাদা ও সম্
উত্তর: উক্ত মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে শয়তান মানুষের সাথে সর্বক্ষণ অবস্থান করে এবং ওয়াসওয়াসা প্রদান করে (মুসলিম হা/২৮১৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘শয়তান মানুষের রক্তনালীর মধ্যে প্রবেশ করে তাকে বিভ্রান্ত করতে পারে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮ ‘
উত্তর : সর্বাবস্থায় টাখনুর উপর কাপড় পরতে হবে। কারণ টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ। বরং শীত নিবারণের জন্য লম্বা মোযা পরিধান করবে (তিরমিযী হা/২৮২০; মিশকাত হা/৪৪১৮)। অহংকারবশে টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরলে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন
উত্তর : এমন পশুর সমস্যা গোপন রেখে বিক্রয় করা যাবে না। বরং পশুটির অসুস্থতার কথা স্পষ্টভাবে ক্রেতাকে জানাবে। জেনেশুনে ক্রয় করলে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা (একে অপরের সাথে) বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের উভয়ের এখতিয়ার থাকবে
উত্তর: প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি ব্যবসায়িক ইন্স্যুরেন্স-এর অন্তর্ভুক্ত। আর ব্যবসায়িক ইন্স্যুরেন্স ইসলামী শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ- (১) ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে সূদ বিদ্যমান। এতে জমা টাকার বিনিময়ে অধিক টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। (২) ইন্স্যুরেন্স জুয়ার
উত্তর : পেশাব বা পায়খানার চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৫৬০; মিশকাত হা/১০৫৭)। এছাড়া এর ফলে ছালাতে খুশূ-খুযূ থাকে না। অতএব এম
উত্তর : সন্তান প্রসবের সময় ডাক্তার বা ধাত্রী এবং উক্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ সহযোগী মহিলা ব্যতীত অন্য কোন মহিলার সেখানে থাকা আদৌ ঠিক নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন পুরুষ কোন পুরুষের এবং কোন মহিলা কোন মহিলার সতরের দিকে যেন দৃষ্টিপাত না করে’ (মুসল
উত্তর : ওয়ায মাহফিলের জন্য দান ধনী-গরীব সবাই গ্রহণ করতে বা খেতে পারে। সেখানে মসজিদ কমিটির সদস্যসহ আম জনতা উক্ত খাবার গ্রহণ করলে তাতে বাধা নেই। কেননা সেটি হাদিয়ার অন্তর্ভুক্ত (নববী, আল-মাজমূ’ ৬/২৩৬; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/২৭৬; আযীমাবাদী, আওনুল মা
উত্তর : যৌতুক মনে না করে যদি শ্বশুর স্বেচ্ছায় তার জামাইকে হাদিয়া স্বরূপ কিছু প্রদান করেন, সেটি গ্রহণ করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) ফাতেমা (রাঃ)-এর বিয়ের সময় তাঁর সংসারের জন্য দিয়েছিলেন- একটি চাদর, খেজুর গাছের ছালে ভরা একটি বালিশ, একটি চামড়ার গদি, এক
উত্তর : অভাব-অনটন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে একদিকে যেমন পরীক্ষা অন্যদিকে অভাবীদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে দেখলাম যে, এর অধিকাংশ অধিবাসী হ’ল গরীব-মিসকীন’ (বুখারী হা/৩২৪১; মিশকাত হা/৫২৩৪)। তিনি বলেন, ‘দরিদ্ররা
উত্তর : ‘কুনূতে নাযেলাহ’ ফজর ছালাতে অথবা সব ওয়াক্তে ফরয ছালাতের শেষ রাক‘আতে রুকূর পরে দাঁড়িয়ে ‘রববানা লাকাল হাম্দ’ বলার পরে দু’হাত উঠিয়ে সরবে পড়তে হয়। অবস্থা বিবেচনা করে ইমাম আরবীতে দো‘আ পড়বেন ও মুক্তাদীগণ ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলবেন (বুখারী হা
উত্তর : সূরা যিলযালের ফযীলত সংক্রান্ত তিরমিযীর উক্ত হাদীছাংশটি মুনকার ও যঈফ। যেখানে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি সূরা যিলযাল পাঠ করবে, সে অর্ধেক কুরআন পাঠের সমপরিমাণ নেকী পাবে’ (তিরমিযী হা/২৮৯৪; মিশকাত হা/২১৫৬ ; সিলসিলা যঈফাহ হা/১৩৪২)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : নাজায়েয নয়। কেননা হারাম উপার্জনের জন্য উক্ত ব্যক্তি নিজে দায়ী হবে। এতে ব্যবসা হারাম হবে না (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২০১; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৫/৭৮)। শর্ত হ’ল, ব্যবসাটি যেন হারাম না হয়।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ হোসাইন, নওগাঁ।
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে নির্দিষ্ট কোন সুন্নাতে রাতেবা নেই। বরং সময় সাপেক্ষে দুই দুই রাক‘আত করে নফল ছালাত আদায় করতে থাকবে। যেহেতু পূর্বে কোন সুন্নাত নেই, সেজন্য কোন ক্বাযা আদায় করতে হবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৩৮৬)।প্রশ্নকারী : রূহু
উত্তর : প্রশ্নের বিবরণ মোতাবেক এক তালাক হয়েছে এবং রাজ‘আতও হয়েছে। এজন্য বর্তমানে তার সাথে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সংসার করা যাবে (বাক্বারাহ ২/২২৮; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৫২৪)। তবে রাজ‘আতের সময় দু’জন সাক্ষী রাখা ভালো (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দা
উত্তর : ধর্মীয় রেওয়াজ বানিয়ে যদি কেউ এরূপ খাওয়ায়, তবে সেটি নিষিদ্ধ। যেমন বর্তমানে এটিকে বলা হয় অগ্রিম ‘ফয়তা’। আর মৃত্যুর পর যে কোন অছিয়ত শরী‘আতসম্মত হ’লে পালন করা ওয়াজিব। এক্ষণে যদি কেউ বিশেষ কোন দিন নির্দিষ্ট না করে সাধারণভাবে লোকজন বা অসহায়
উত্তর : মিশনারীদের উক্ত দাবী ভিত্তিহীন। কেননা সূরা আলে ইমরানের উক্ত আয়াতদ্বয়ে বলা হয়েছে, কুরআন তার পূর্ববর্তী ইলাহী কিতাব সমূহের সত্যায়নকারী। যা স্ব স্ব যুগের জন্য হেদায়াত গ্রন্থ ছিল। কুরআন আসার পরে পূর্বের গ্রন্থ সমূহের হুকুম রহিত হয়ে গেছে।
উত্তর : ক্রুশ প্রতীক খৃষ্টানদের ধর্মীয় নিদর্শন। এটি ব্যবহার করা মুসলিমদের জন্য জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, যখন তোমরা লোকদের থেকে কুরআনের আয়াত সমূহে অবিশ্বাস ও বিদ্রূপ শুনবে, তখন তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় লিপ্ত হয়। নইলে তোমরাও তা
উত্তর : দ্বিতীয় মা মৃতের স্ত্রী হিসাবে এবং সন্তান না থাকায় এক-চতুর্থাংশ পাওয়ার পর বাকী সম্পত্তি চার ভাই সমানভাবে পেয়ে যাবে। আর দ্বিতীয় মায়ের পূর্বের পক্ষের সন্তানরা এই পিতার ওয়ারিছ না হওয়ায় তারা কোন সম্পত্তি পাবে না (নিসা ৪/১১)।প্রশ্নকারী : ম
উত্তর : শরীর ভেজা অবস্থায় স্মরণ হ’লে শুকনো স্থান ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করবে। আর পরে মনে হ’লে কিছুই করতে হবে না। কারণ এটি শয়তানের ওয়াসওয়াসা হ’তে পারে (ইবনু রজব, আল-কাওয়ায়েদ ৩৪০ পৃ.; ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ২/৫০)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ নাব
উত্তর : যখনই উক্ত নারীর কথা স্মরণ করিয়ে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিবে তখনই বাম দিকে তিনবার থুক মারবে ও ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে (মুসলিম হা/২২০৩; মিশকাত হা/৭৭)। আল্লাহ বলেন, শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহ’লে আল্লাহর
উত্তর : মাংস শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত (মন+স) থেকে। এর অর্থ, ‘জীবদেহের অভ্যন্তরস্থ হাড় এবং চামড়ার মধ্যবর্তী নরম ও কোমল অংশ, গোশত’ (আধুনিক বাংলা অভিধান পৃ. ১০৯৫ পৃ., ব্যবহারিক বাংলা অভিধান পৃ. ৯৬৮)। সুতরাং মাংসকে মাংশ তথা হিন্দুদের মায়ের (গরুর) অংশ মন
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাতে অংশগ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। এর মাধ্যমে তাদের বাতিল ধর্মবিশ্বাসকে সমর্থন করা হয়, যা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, তার নিকট থেকে তা
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের শুরুতে এক বার ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ এবং ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করবে। অতঃপর তেলাওয়াতরত অবস্থায় কিছুক্ষণ বিরতি নিলে কেবল ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করা মুস্তাহাব। আর সূরার প্রথম থেকে শুরু করলে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করবে (নাহল ১৫/৯৮; নববী, আত-তিবইয়ান ১০০
উত্তর : দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম স্বামীর মেয়ের সাথে প্রথমা স্ত্রীর গর্ভজাত ছেলের বিবাহে কোন সমস্যা নেই। কারণ তারা পরস্পর মাহরাম নয়। এ ব্যাপারে বিদ্বানগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/১২৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২০/২৭৩, ২৯০; ছ
উত্তর : গোঁড়ালী ঢাকে এমন যে কোন মোজার উপর মাসাহ করা জায়েয। হাফ মোজার মাধ্যমে গোঁড়ালী ঢেকে গেলে তার উপর মাসাহ করা যাবে। আর গোঁড়ালী খোলা থাকলে মাসাহ করা যাবে না (তিরমিযী হা/৯৯; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১১১,২৯/৬৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৬
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি রাষ্ট্র বা সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত হ’লে তা করা যাবে। দাঊদ ও সুলায়মান (আঃ) বকরী কর্তৃক ফসলের ক্ষতি সাধিত হ’লে জরিমানা করে সমাধান করেন (আম্বিয়া ২১/৭৮; বুখারী ২৩/৩৯৩)।প্রশ্নকারী : আমীনুর রহমানদুপচাঁচিয়া, বগুড়া।
উত্তর : যেকোন উপায়েই হৌক কোন নারীর নিজের বুকের দুধ কোন শিশুকে খাওয়ানো হ’লে এবং দু’টি শর্ত পূরণ হ’লে শিশুটি তার দুধ সন্তান হিসাবে গণ্য হবে। (১) দু’বছরের মধ্যে দুধ পান করতে হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৩; দারাকুৎনী হা/৪৪১৩, ৪৩৬৫)। (২) বিশুদ্ধ মতে, অন্ততঃ প
উত্তর : ছালাতের কাতার ঠিক রেখেই অসুস্থ ব্যক্তিকে চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করতে হবে। চেয়ারে ছালাত আদায়কারীর তিনটি অবস্থা রয়েছে। প্রথমতঃ মসজিদের প্রথম কাতার মুছল্লী দ্বারা পূর্ণ হ’লে চেয়ারে ছালাত আদায়কারীরা কাতারের যেকোন এক পার্শ্বে ছালাত আদায় করবে। ক
উত্তর : সঠিক নয়। আলিফ না টেনে পড়লে ছালাতের কোন ক্ষতি বা গুনাহ হবে না (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৫/২; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/১৭৯)। তবে তাজবীদ, মাখরাজ ও ছিফাতসহ সুন্দরভাবে কুরআন তেলাওয়াত করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সর্বোত্তম ক্বারী সেই,
উত্তর : লটারীর মাধ্যমে বণ্টন করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) সফরে বের হ’লে লটারীর মাধ্যমে সফরসঙ্গী হিসাবে একজন স্ত্রীকে নির্বাচন করতেন (বুখারী হা/২৫৯৩; মুসলিম হা/২৪৪৫; মিশকাত হা/৩২৩২)। তবে মৃত্যুর পরই মীরাছ বণ্টন করা শারঈ বিধান (নিসা ৪/১১)। এক্ষণে কেউ যদি জীব
উত্তর : পাঠ করা যাবে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বাবস্থায়ই আল্লাহর যিকর করতেন (বুখারী ২/৩১; মুসলিম হা/৩৭৩; মিশকাত হা/৪৫৬)।প্রশ্নকারী : সিরাজুল ইসলামনাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম।
উত্তর : তেলাওয়াতে কোন ভুল হ’লে সহো সিজদা যেমন ইমামকে দিতে হবে না, তেমনি মুছল্লীকেও দিতে হবে না। বরং ছালাতের রাক‘আতে কম-বেশী হ’লে বা কোন ফরয-ওয়াজিব-সুন্নাত ছুটে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে। তবে সূরা ফাতিহার বিষয়টি স্বতন্ত্র। কেননা এটি ফরয। কেউ যদি
উত্তর : সুন্নাত হ’ল যেখানে মারা যাবে সেখানেই লাশ দাফন করা। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে এমন সুন্নাতই চালু রয়েছে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৩৮০; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ২/৩১)। এক্ষণে যদি কেউ কোন অমুসলিম দেশে মারা যায় এবং সেখানে মুসলমানদের পৃথক গো
উত্তর : শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা পেতে যেকোন কাজ শুরুর পূর্বে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করা মুস্তাহাব। আল্লাহ বলেন, ‘শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহ’লে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ (আ‘রাফ ৭/২০০)। আর কুরআন
উত্তর : কারো প্রশংসায় এমন বাক্য বলা যাবে না। কারণ আকাশ ও যমীন উভয়ের মালিক আল্লাহ (যুখরুফ ৪৩/৮৪)। আল্লাহ বলেন, ‘বল যা আল্লাহ ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত আমি আমার নিজের কোন কল্যাণ ও অকল্যাণের মালিক নই’ (আ‘রাফ ৭/১৮৮)। এক ব্যক্তি কোন ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-কে ব
উত্তর : মূসা (আঃ) মাদায়েন থেকে মিসরের পথে যাত্রাকালে যে আগুন দেখেছিলেন তা মূলতঃ আল্লাহর নূর ছিল। আল্লাহ বলেন, ‘(স্মরণ কর) যখন মূসা তার পরিবারকে বলল, আমি একটা আগুন দেখেছি। সত্বর আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য (পথের) সন্ধান নিয়ে আসতে পারব। অথবা জ্
উত্তর : প্রয়োজনে একাধিক স্থানে জানাযায় বাধা নেই (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫৮; ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ৫/২৬৬-৬৭; আর-রাহীকুল মাখতুম, পৃ. ৪৭১)। তবে বর্তমানে জনপ্রিয় মানুষদের লাশ জানাযার উদ্দেশ্যে বহু স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, যা ঠিক নয়। কেননা তা রাসূ
উত্তর : কারো জন্য মৃত্যু কামনা করে দো‘আ করা যাবে না। তবে তার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর মনে হ’লে তার জন্য কল্যাণের দো‘আ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার নিকটে বিপদ পৌঁছার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। তবে সে যদি মৃত্যু কামনা করতেই চায়
উত্তর : নবুঅত প্রাপ্তির পর থেকেই ছালাত ফরয হয়। তবে তখন ছালাত ছিল কেবল ফজরে ও আছরে দু’ দু’ রাক‘আত করে (কুরতুবী)। যেমন আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন,وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ- ‘তুমি তোমার প্রভুর প্রশংসা জ্ঞাপন কর আছরে ও ফজর
উত্তর : সাধারণভাবে আইনী সহায়তা কোন নাজায়েয পেশা নয়। তবে সেখানে সর্বদা সত্যকে বিজয়ী করা, যুলুমের প্রতিরোধ করা এবং মানুষকে তার হক ফেরত দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হয় এবং অপরাধী ছাড়া না পায়। আল্লাহ বলে
উত্তর : ছেলের অসুস্থতা কিংবা দরিদ্রতাহেতু প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে অক্ষম হয়ে পড়লে বা ঋণগ্রস্ত হ’লে সামর্থ্যবান পিতা তার ছেলে বা ছেলের স্ত্রীকে যাকাতের অর্থ প্রদান করতে পারে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ১০/০২; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/৩২৬
উত্তর : জনস্বার্থে মসজিদের জায়গায় বসানো মটর থেকে সাধারণ মানুষের পানি গ্রহণ করায় কোন বাধা নেই। তবে মসজিদের পবিত্রতা ও আদব যেন নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে পূর্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে (যাকারিয়া আনছারী, আসনাল মাতালিব ১/১৮৬; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ১৬
উত্তর : কেউ যদি তার অধিকৃত জায়গায় মূল্যবান পাথর বা অন্য কিছু লাভ করে এবং তা উত্তোলন করে নিজের জন্য ব্যবহার করে, তাহ’লে তাতে যাকাত দিতে হবে না। আর যদি উত্তোলন করে বিক্রি করে এবং এর মূল্য নিছাব পরিমাণ হয় ও এক বছর অতিক্রান্ত হয়, তাহ’লে তাতে যাকা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কর্তৃক আত্মহত্যার ইচ্ছা পোষণের বিষয়টি সঠিক নয়। যিনি বিশ্বমানবতার জন্য আদর্শ, তার পক্ষ থেকে এমন ইচ্ছা পোষণ করা অসম্ভব। তাছাড়া নবী-রাসূলগণ জন্মগতভাবে মা‘ছূম বা গুনাহ মুক্ত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৪/৩২০)। অহী বন্
উত্তর : চুল ও দাড়িতে মেহেদী ব্যবহার করা মুস্তাহাব (আওনুল মা‘বুদ ১১/১৭২; তোহফাতুল আহওয়াযী ৫/৩৫৪; নায়লুল আওতার ১/১৫২)। মক্কা বিজয়ের দিন আবুবকরের পিতা আবু কুহাফার মাথার চুল ও দাড়ি কাশফুলের মত সাদা দেখে রাসূল (ছাঃ) বলেছিলেন, এই সাদাকে পরিবর্তন কর এবং
উত্তর : শেষ বৈঠকে ‘আত্তাহিইয়া-তু’ পড়ার পরে দরূদ, দো‘আয়ে মাছূরাহ এবং সম্ভব হ’লে অন্য দো‘আ পড়বে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১২৯; মির‘আত ১/৭০৪; ঐ, পৃ. ৩/২৯৪-৯৫, হা/৯৪৭, ৯৪৯; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘শেষ বৈঠক’ অধ্যায় ১১৬ পৃ.)। আর দরূদ ছুটে গেলে সহো সিজদা দেওয়া যরূরী
উত্তর : সন্তানের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করা সমীচীন নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নিজেদের জন্য বদ দো‘আ করো না, নিজ সন্তানদের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করো না এবং নিজেদের অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে বদ দো‘আ করো না, যাতে তোমরা এমন এক সময়ে না পৌঁছে যাও, যে সময় দো
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় স্বামীর অনুমতি ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে না। কারণ সন্তান গ্রহণ বিবাহের অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য। তবে স্বামীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সম্পর্ক স্থির না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণে কোন দোষ হবে না
উত্তর : বিবাহ করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। মানব বংশ রক্ষার জন্য এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি চিরন্তন ব্যবস্থা। এটি নবীগণের সুন্নাত। বিবাহ করার জন্য পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে অনেক নির্দেশনা এসেছে (নিসা ৪/৩; নূর ২৪/৩২; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩০৮০)
উত্তর : পৃথিবীতে যাদের ভাই বা বোন নেই তাদের পরকালে আপন ভাই বা বোন পাওয়ার ব্যাপারে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে জান্নাতবাসীগণ সেখানে যা চাইবে তাই পাবে। আল্লাহ বলেন, ‘...সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে রয়েছে যা তোমরা দাবী
উত্তর : হাজরে আসওয়াদ একটি পাথর মাত্র। সেটি আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না, যেমনটি ওমর (রাঃ) বলেছেন (বুখারী হা/১৫৯৭; মুসলিম হা/১২৭০)। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, জিজ্ঞেস কর, সবকিছুর কর্তৃত্ব কার হাতে? যিনি আশ্রয় দেন ও যার
উত্তর : এজন্য কোন গুনাহ হবে না বা কাফফারাও দিতে হবে না। কারণ এটা মানব হত্যার শামিল নয়। বরং কেউ ইচ্ছা করে গর্ভপাত ঘটালে তাকে গুনাহগার হতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৪/২৬৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২১/৪০৪-৪০৫)। এক্ষ
উত্তর : আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করলে জীবন ও জীবিকায় বরকত লাভ হয় এবং হায়াত বৃদ্ধি পায় বলে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (তিরমিযী হা/২১৪১; মিশকাত হা/২২৩৩; ছহীহাহ হা/১৫৪)। তবে নির্দিষ্টভাবে ত্রিশ বছর বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়ার বিষয়ে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ
উত্তর : পিতা-মাতা সন্তানের নিকট সমান অধিকার রাখেন। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের অগ্রাধিকার রয়েছে। এক্ষণে মায়ের প্রতি পিতার অসদাচরণের ক্ষেত্রে সন্তানের দায়িত্ব হ’ল নিরপেক্ষভাবে উভয়কে তাদের ভুলের ব্যাপারে সচেতন করা এবং সাধ্যমত মীমাংসার চেষ্ট
উত্তর : প্রথম সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ছালাত সমাপ্ত করায় ছালাত শুদ্ধ হয়েছে (বুখারী হা/৭১৫; জাছছাছ, শারহু মুখতাছারুত ত্বাহাবী ২/১৭)। তবে সহো সিজদার পরে সালাম না ফিরানো ভুল হয়েছে। কারণ সহো সিজদার পর সালাম ফিরানো সুন্নাত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১০১৬, দ্র. ছালাত
উত্তর : সফরকালে কেউ দো‘আ চাইলে ‘ফী আমানিল্লাহ’ বলার স্পষ্ট দলীল নেই। তবে সাধারণভাবে এক্ষেত্রে ফী আমানিল্লাহ, ফী হিফযিল্লাহ, ফী কানাফিল্লাহ, আলা বারাকাতিল্লাহ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারে দোষ নেই। যেমন জনৈক ছাহাবী সফরকালে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে বিদায় চা
উত্তর : রুকূ ও সিজদায় কুরআনের সূরা ও আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! আমাকে রুকূ-সিজদায় কুরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই তোমরা রুকূতে তোমাদের রবের মহিমা বর্ণনা কর। আর সিজদায় অতি মনোযোগের সাথে দো‘আ কর। আশা করা
উত্তর : বেগানা নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা হারাম। অতএব বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে চাইলে প্রথমতঃ পূর্বের পাপের জন্য খালেছ নিয়তে অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করবে। আল্লাহ বলেন, ‘তবে তারা ব্যতীত, যারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎক
উত্তর : ক্রয় করার পর জানতে পারলে মূল মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। আর মালিক মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের দিবে। কাউকে না পাওয়া গেলে মসজিদ, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রভৃতি খাতে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে দান করে দিবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনু
উত্তর : উল্লেখিত মর্মে সরাসরি কোন বর্ণনা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায় না। তবে তারীখু বাগদাদে ইসহাক বিন রাহওয়াইহ-এর সাথে ইমাম আহমাদের অনুরূপ একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে রুটি বিক্রেতার কথা উল্লেখ নেই। উপরন্তু সেটির সনদও গ্রহণযোগ্য নয় (তারীখু
উত্তর : কেউ উপকার করলে তার প্রতিদানে ‘জাযাকাল্লাহ’ বলা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কাউকে অনুগ্রহ করা হ’লে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে, ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ (আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দিন) তবে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল (তিরমিযী হা/
উত্তর : আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই ছালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত (নিসা ৪/১০৩)। অতএব নির্ধারিত সময়েই ছালাত আদায় করতে হবে। কেউ ইচ্ছা করে সময়ের পূর্বে ছালাত আদায় করলে তা বাতিল হয়ে যাবে এবং গুনাহগার হবে (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/৯৬)।
উত্তর : সিজদায় যাওয়ার সময় মাটিতে প্রথমে কপাল রাখবে এরপর নাক রাখবে। আর উঠানোর সময় সুবিধামত উঠাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৩৭০ পৃ.)।প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেয, হড়গ্রাম, রাজশাহী।
উত্তর : প্রাণীর ছবি নেই এমন কক্ষে ছালাত আদায় করার চেষ্টা করবে এবং ছবি অপসারণ করার জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নছীহত করবে। সম্ভব না হ’লে উক্ত কক্ষেই সিজদার স্থানে দৃষ্টি রেখে ছালাত আদায় করবে। এমন বাধ্যগত পরিস্থিতিতে সেখানে ছালাত আদায় হয়ে যাবে
উত্তর : বিদ‘আতীর আমল বিনষ্টের ব্যাপারে বিদ্বানগণ বিশদ আলোচনা করেছেন, যার সারমর্ম হচ্ছে, বিদ‘আতযুক্ত আমল সমূহ সরাসরি বিনষ্ট হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০) এবং ভবিষ্যতের অন্যান্য আমল সমূহের ফরযিয়াত আদায় হ’লেও ইবাদতের বিপরীতে বর্ণিত ফযীলতসমূহ থে
উত্তর : একই ব্যক্তি আযান, ইক্বামত ও ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে আযান ও ইক্বামত আলাদা ব্যক্তি দেওয়াই উত্তম (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৮০; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/৩৩৯)।প্রশ্নকারী : মাহমূদুল হাসান, কাউনিয়া, রংপুর।
উত্তর : বাজার থেকে সদ্য ক্রয়কৃত নতুন-পুরাতন সকল পোষাক ধুয়ে পরিধান করা উত্তম। কারণ নতুন পোষাকেও অনেক মানুষের স্পর্শ থাকে, যার ফলে অপবিত্রতা লেগে যেতে পারে। আর ব্যবহৃত পুরাতন পোষাক ধুয়ে পরিধান করা যরূরী। কারণ উক্ত পোষাকের অপবিত্রতা লেগে থাকার স
উত্তর : সুযোগ থাকলে এগুলি খুলে রেখে ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। আর সহজ না হ’লে বা পর্দার পরিবেশ না থাকলে মাথার উপরে ওড়নাসহ খোপা বা ব্যান্ড রেখে মাথা মাসাহ করবে। রাসূল (ছাঃ) নিজে মোযা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন (মুসলিম হা/২৭৫; তিরমিযী হা/১০১)। তিনি
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু ঘটনা তাফসীর সহ বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, যার সবই যঈফ (তাফসীর ইবনু কাছীর ৭/৪০০; বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : আব্দুস সালাম বিন মুহসিন, দিরাসাতুন নাক্বদিইয়াহ ফিল মারভিইয়াতিল ওয়ারেদাহ ফী শাখছিইয়াতি ওমর ১/৩২৭-৩১ পৃ.)।প্রশ্নকারী
উত্তর : এভাবে খুৎবা শুনে জুম‘আর ছওয়াব অর্জিত হবে না। বরং মসজিদে গিয়ে ইমামের খুৎবা শুনে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। প্রয়োজনে যে মসজিদে খুৎবা উত্তমরূপে দেওয়া হয়, সেখানে গিয়ে খুৎবা শুনে ছালাত আদায় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৩/২২৩
উত্তর : পূর্বের কোন কোন নবীর যুগে সম্মানের উদ্দেশ্যে সিজদা করা জায়েয থাকলেও শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৮৫৩; ছহীহাহ হা/৩৪৯০; আবুদাঊদ হা/২১৪০; মিশকাত হা/৩২৭০; ছহীহুত তারগীব হা/১৯৩৬)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) সিজদা
উত্তর : পবিত্র কুরআন মূলতঃ তিনটি বিষয়ে বিভক্ত। তাওহীদ, আহকাম ও নছীহত। সূরা ইখলাছে ‘তাওহীদ’ পূর্ণভাবে থাকার কারণে তা কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের মর্যাদা পেয়েছে। অর্থাৎ সূরা ইখলাছ একবার পাঠে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠের ছওয়াব অর্জিত হয়, যদিও তা এক-তৃতীয়
উত্তর : যেনা অতীব জঘন্য কর্ম। তওবা ছাড়া আল্লাহ তাকে মাফ করবেন না। আল্লাহ বলেন, ক্বিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায় (ফুরক্বান ২৫/৬৮-৬৯)। হাদীছে এসেছে, তাদেরকে উলঙ্গ অবস্থায় একটি পেটমোটা সরু মুখ সম্পন্ন চুলা
উত্তর : স্ত্রী সহবাসে কেবল গোসল করা ফরয। কাপড় ধোয়া ফরয নয়। পোষাক পরিধান করে সহবাস করলে পোষাক নাপাক হয় না। এমনকি কাপড়ে বীর্য লেগে গেলেও কাপড় নাপাক হয় না। বরং কাপড়ে বীর্য লেগে গেলে উক্ত স্থান ধুয়ে বা ঘষে বীর্য তুলে ফেলবে এবং তাতে ছালাত আদায় করব
উত্তর : মসজিদের কোন অংশেই অধিক সাজ-সজ্জা করা সমীচীন নয়। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, মসজিদ সমূহকে অতিরিক্ত চাকচিক্যময় করে নির্মাণ করার জন্য আমি নির্দেশপ্রাপ্ত হইনি। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, কিন্তু তোমরা উহাকে চাকচিক্যময় করবে যেভাব
উত্তর : ক্বিয়ামতের দিন চন্দ্র ও সূর্যকে ভাঁজ করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে মর্মে বিশুদ্ধ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহাহ হা/১২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৬৪৩)। তবে এটি শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। কারণ এই দু’টো আল্লাহর অনুগত সৃষ্টি। আল্লাহ বলেন, তুমি কি দেখ না যে,
উত্তর : মসজিদের মাইক রাখা হয় আযানের জন্য। এটিকে অন্য কাজে ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাছাড়া মসজিদে ব্যবসা-বাণিজ্য করা বা ব্যক্তিগত সম্পদ, প্রাণী বা বস্ত্ত অনুসন্ধান করা নিষিদ্ধ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৭৩২; তিরমিযী, ইরওয়া হা/১২৯৫)। তবে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক
উত্তর : এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করা যাবে না। বরং কোন ওযূখানায় বা কোন বাড়িতে পর্দার পরিবেশ খুঁজে নিয়ে ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। কোনভাবেই ব্যবস্থা না করা গেলে বাধ্যগত অবস্থায় তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৫/১৩১ পৃ.)।
উত্তর : অমুসলিম নারীদের থেকে ততটুকু পর্দা করবে যতটুকু মাহরাম আত্মীয়দের থেকে করা হয়। যেমন সে তার মুখমন্ডল, মাথা, হাত-পা মাহরামের সামনে প্রকাশ করতে পারে তেমনি অমুসলিম নারীদের সামনেও প্রকাশ করতে পারে (উছায়মীন, ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ১/৪১৭, ২/৫৮
উত্তর : ওযূর পর জরায়ুর রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হ’লে বিশুদ্ধ মতে ওযূ ভেঙ্গে যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৪; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/১২৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, স্পষ্টভাবে বায়ূর শব্দ বা গন্ধ না পেলে ওযূ করতে হবে না (ইবনু মাজাহ হা/৫১৫; মিশকাত হা/৩১০; ছহীহুল জ
উত্তর : ফজরের ফরয ছালাতের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নফল ছালাত নেই (আবুদাউদ হা/১২৭৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৩৫৩; ইরওয়া হা/৪৭৮)। তবে যদি কারো ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাত ছালাত কাযা থাকে তাহ’লে সেটা আদায় করবে (আবুদাউদ হা/১২৭৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৩৫৩; উছায়মীন, আশ-শার
উত্তর : চোখে চশমা থাকাকালীন নাক ও কপাল মাটিতে স্পর্শ করিয়ে সিজদা করা সম্ভব হ’লে চশমা পরে সিজদা দেওয়ায় কোন দোষ নেই। তবে চশমা কপাল ও নাক মাটিতে স্পর্শ করাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে চশমা খুলে ছালাত আদায় করবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১৮৬)। কারণ র
উত্তর : কুরআনের শিক্ষিকা হায়েযা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারবে, তবে সরাসরি কুরআন স্পর্শ করবে না। বরং হাত মোযা বা কোন প্রতিবন্ধকের মাধ্যমে কুরআন স্পর্শ করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ৫/৪৩১ পৃ.)।প্রশ্নকারী : রবীউল ইসলাম, পুঠিয়া,
উত্তর : এ ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা নেই। তবে সর্বাবস্থায় মাইয়েতের জন্য ছাদাক্বা করা যায়। কারণ ছাদাক্বার মাধ্যমে মাইয়েত কবরে উপকৃত হয় (বুখারী হা/১৩৮৮, ২৭৫৬; মুসলিম হা/১০০৪)। আর কেউ খারাপ বা দুশ্চিন্তাযুক্ত স্বপ্ন দেখলে বাম দিকে তিনবার থুক মারবে,
উত্তর : মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিমের জীবন, ধন-সম্পদ ও সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব মুসলিম সরকারের (মুমতাহিনা ৬০/৮)। সেক্ষেত্রে মুসলিম নিরাপত্তারক্ষীরা দায়িত্ব পালন করলে কোন দোষ নেই। এর উদ্দেশ্য তাদের শিরকী কাজে সহযোগিতা নয়, বরং রাষ্ট্রের নাগরিক হ
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি কোন হাদীছ নয়। বরং জনৈক বিদ্বানের উক্তি (মানাভী, আত-তাইসীর ১/৫৩০; মিরক্বাত ১/৩৯৫)। এছাড়া কিছু হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, মেসওয়াক করে ছালাত আদায় করা মেসওয়াকবিহীন সত্তর রাক‘আত ছালাতের সমতুল্য (বাযযার হা/১০৯; বায়হাক্বী, সুনানুছ ছাগীর হ
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু গল্প শী‘আ রাফেযীদের কিতাবে পাওয়া যায়। যাতে বলা হয়েছে, ৯০০ বছর সফর করেও জিব্রীল (আঃ) জান্নাতের সামান্যতম অংশ ঘুরে শেষ করতে পারেননি। এগুলো কোন হাদীছ নয় বা আছারও নয়। আমাদের জানা মতে কোন মুফাসসির বা ঐতিহাসিকও তাদের কিতাবে
উত্তর : নানীর পূর্বে মা মারা গেলে এবং নানীর অন্যান্য ছেলে ও মেয়ে থাকলে মৃত মেয়ের সন্তানেরা ওয়ারিছ হবে না। সুতরাং উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করা ভুল হয়েছে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ১৯১৪৯, ১৬/৪৮৯ পৃ.)। এমতাবস্থায় করণীয় হবে যে, ওয়ারিছদের থেকে সম্ম
উত্তর : প্রাণীর ছবিযুক্ত কোন পানপাত্র বা খাবারের পাত্র ব্যবহার করা অপসন্দনীয়। তবে হারাম নয় (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/২৮০; আবু ইসহাক আশ-শীরাযী, আল-মুহায্যাব ২/৪৭৮)। কারণ আয়েশা (রাঃ)-এর পর্দায় ছবি থাকায় তা কেটে বিছানার কভার বানিয়ে তিনি তা ব্যবহার করেছিলেন
উত্তর : কোন ছালাতের জন্য সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের জন্য ওয়াক্ত নির্ধারণ করেছেন (নিসা ৪/১০৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ছালাতের সময় উপস্থিত হবে তখন একজন আযান দিবে আর তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে’ (বুখারী, মু
উত্তর : তেলাওয়াতের শুরুতে তথা সূরা ফাতিহা পাঠের পূর্বে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করা সুন্নাত। সে হিসাবে প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পূর্বে আঊযুবিল্লাহ পড়তে হয়। আল্লাহ তা‘আলা তেলাওয়াতের শুরুতে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করার নির্দেশনা দিয়েছেন (নাহ্ল ১৬/৯৮)। স
উত্তর : তালাক প্রদানের মূল অধিকার স্বামীর। আল্লাহ বলেন, হে নবী! যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দাও, তখন তাদেরকে ইদ্দত অনুযায়ী তালাক দাও (তালাক ৬৫/১)। কিন্তু স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিলে এবং সে তালাককে বেছে নিলে তা কার্যকর হয়ে যাবে (মুগনী
উত্তর : স্বামী এবং পিতা-মাতা উভয়ের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা ওয়াজিব। তাই সাধ্যমত উভয়কে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করবে। এরপরেও যদি উভয়ের আদেশ-নিষেধের মাঝে চূড়ান্ত বৈপরিত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে সংসার জীবনে বৈষয়িক বিষয় সমূহে স্বামীর আদেশকে অগ্রগণ্য করতে হ
উত্তর : যেকোন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম যতক্ষণ শরী‘আতবিরোধী বা যুলুম না হবে ততক্ষণ মেনে চলতে হবে। যেহেতু হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনে চলার শর্তে অবস্থান গ্রহণ করতে হয়, অতএব তাদের দেয়া বৈধ শর্তাবলী মেনে চলা যরূরী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগ
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। ব্যবসা-বাণিজ্যে মিথ্যা বললে ও কোনরূপ প্রতারণার আশ্রয় নিলে আল্লাহ তা থেকে বরকত উঠিয়ে নেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাধীনতা রয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা পৃথক হয়। যদি তারা সত্য
উত্তর : সামনে কাতারের জায়গা ফাঁকা রেখে পিছনে কাতার করা যাবে না। এটি রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের সুন্নাত বিরোধী। কাতারের সাথে কাতার মিলিয়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা (ছালাতের) কাতারসমূহে মিলে-মিশে দাঁড়াবে। এক কাতা
উত্তর : কেবল ছালাতই নয় যেকোন ইবাদতরত অবস্থায় কারো মৃত্যু তার জন্য পরকালীন কল্যাণের বার্তা বহন করে। যেমন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ কোন ব্যক্তির ভালো চান, তাকে মানুষের প্রিয়পাত্র করেন। কেউ রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! প্
উত্তর : হিন্দুদের দাওয়াত দানের উক্ত তরীকা প্রজ্ঞা সম্পন্ন নয়। কেননা এতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ ও ক্ষুব্ধ হবে। তবে অন্যভাবে তাদের দাওয়াত দেওয়ায় বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান কর প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে এবং ত
উত্তর : স্বামী যদি তালাক একাধিকবার দিয়ে থাকে এবং যদি নিয়মতান্ত্রিকভাবে তিন তালাক সম্পন্ন হয়ে থাকে অর্থাৎ তিন মাসে বা পৃথক পৃথক তিন তোহরে তিন বার তালাক দিয়ে থাকলে তালাক বায়েন হয়ে যাবে। তারপর কোনভাবেই এক সাথে সংসার করা যাবে না, যতক্ষণ না উক্ত স
উত্তর : শিশুকে শাল দুধ পান করানোর পূর্বে তাহনীক করা সুন্নাত (নববী, আল-মাজমূ ৮/৪৪৩)। কারণ হাদীছে তাহনীক সংক্রান্ত যে সকল বর্ণনা এসেছে তার সবগুলোতে শাল দুধ পান করার পূর্বের কথা বলা হয়েছে। আবু তালহার সন্তান উম্মে সুলাইমের গর্ভে জন্মগ্রহণ করার পরেই
উত্তর : ছালাত চলাকালীন কোন মুছল্লী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের মুছল্লীরা ছালাত ছেড়ে দিয়ে তাকে সাহায্য করবে। তবে ইমাম অন্যান্য মুছল্লীদের নিয়ে ছালাত চলমান রাখবেন। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থায় সাপ ও বিচ্ছু মারতে বলেছেন (আবূদাঊদ হা/৯২১ প্রভৃতি; মিশকাত হা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ যঈফ (হাকেম হা/৭৬৩৭; যঈফাহ হা/১১৮৩)। তবে ‘আল্লাহর রহমত ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৩৪৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩৫৯৮)।প্রশ্নকারী : ফরহাদ আলী, পশ্চিমবঙ্গ,&n
উত্তর : দুম্বা, ছাগল, ভেড়া দ্বারা আক্বীক্বা করা সুন্নাত (আবূদাঊদ হা/২৮৩৪; মিশকাত হা/৪১৫২; ছহীহাহ হা/১৬৫৫)। গরু ও উট দিয়ে আক্বীক্বা করার হাদীছটি জাল (ইরওয়া হা/১১৬৮)। আর মহিষের কথা কোন হাদীছে নেই। আয়েশা (রাঃ)-এর ভাতিজা জন্মগ্রহণ করলে তাকে উট দ্বারা
উত্তর : কারোর জন্য দো‘আ করার সময় তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার কোন বিধান নেই। এমন আমল রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের সময়ে প্রচলিত ছিল না। অতএব বিশেষতঃ নেকী বা বরকত মনে করে এরূপ করা কিংবা কারো থেকে হাত বুলিয়ে নেওয়া থেকে বিরত থাকা যরূরী। তবে কারো
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। কেননা মানুষকে খাদ্য দান বা মেহমানদারীর ফযীলতের ব্যাপারে বহু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে অন্যকে খাদ্য খাওয়ায়’ (আহমাদ হা/২৩৯৭১; ছহীহাহ হা/৪৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২/৪৯০)।প্রশ
উত্তর : বীর্য অপবিত্র নয়। তাই গাঢ় বীর্য কোন কাপড়ে লেগে শুকিয়ে গেলে তা ঘষে তুলে ফেললে উক্ত কাপড়ে ছালাত আদায় করা জায়েয। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা
উত্তর : যেদিকে মুখ করে ওযূ করতে সুবিধা হবে সেদিকেই মুখ করে ওযূ করবে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৭/০২)। কোন কোন বিদ্বান ওযূর সময় কেবলামুখী হওয়াকে মুস্তাহাব বলেছেন। তবে এর পক্ষে কোন দলীল নেই। তবে ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলা সমীচীন নয়। বরং ছালাতে
উত্তর : সক্ষম ব্যক্তির জন্য নফল ছালাত দাঁড়িয়ে আদায় করা উত্তম। তবে কেউ বসেও আদায় করতে পারে। সেক্ষেত্রে সে দাঁড়িয়ে আদায়কারীর অর্ধেক ছওয়াব পাবে (বুখারী, মিশকাত হা/১২৪৯, ১২৫২)। উল্লেখ্য, সক্ষম ব্যক্তি ফরয ছালাত দাঁড়িয়েই আদায় করবে। কেননা ক্বিয়াম ছ
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় হারাম প্রাণীর কোন অঙ্গ মানব দেহে প্রতিস্থাপন করা যাবে না; বরং হালাল প্রাণীর কিডনী প্রতিস্থাপন করতে হবে। তবে যদি ব্যক্তির জীবন রক্ষার জন্য শূকর ব্যতীত অন্য কোন প্রাণীর কিডনী পাওয়া না যায়, তাহ’লে বাধ্যগত অবস্থায় তা জায়েয।
উত্তর : সূর্যাস্তের পর থেকে দিন শুরু হয়। আর ৭ম দিনে আক্বীক্বা করার ব্যাপারে হাদীছে নির্দেশনা এসেছে (আবুদাঊদ হা/২৮৩৮)। কিন্তু সেটা দিনে বা রাতে বলে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অতএব সুবিধামত দিনে বা রাতে যেকোন সময় আক্বীক্বা করবে।প্রশ্নকারী : অলিউল্লাহ, জ
উত্তর : উভয় মসজিদেই ছালাত আদায় করা যাবে। তবে ছালাতের যে জামা‘আতে লোক সংখ্যা বেশী হয়, তাতে বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ছালাতের নেকী অর্জনের ব্যাপারে ঐ ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা নেকীর ভাগিদার, যে বেশী দূর থেকে আগমনকারী’ (বুখারী হা/৬৫১;
উত্তর : সাধ্যমত জামা‘আতে ছালাত আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ জামা‘আতে ছালাত আদায় করা পুরুষের জন্য ওয়াজিব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আযান শুনল, অথচ জামা‘আতে এলো না, তার ছালাত হ’ল না। তবে বিশেষ ওযর ব্যতীত’ (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩; ছহীহ ইবনু হিববা
উত্তর : ঋতুর মেয়াদ শেষে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (মুসলিম হা/৩৩৪; বুলূগুল মারাম হা/১৩৯)। কারণ গোসল ও ওযূ করে যে সকল ইবাদত করা যায়, অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করেও সে সকল ইবাদত করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি পানি না পাও, তাহ’লে
উত্তর : প্রথমে লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করতে হবে। সেটি বিভিন্নভাবে হ’তে পারে। যেমন খাৎনা, পোষাকের ধরন, দাড়িতে খেযাব, ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এরূপ কোন চিহ্ন ইত্যাদি। এক্ষণে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হ’লে এলাকার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে হবে
উত্তর : মুক্তাদী হৌক বা একাকী হৌক ছালাতে ক্বিরাআত ও দো‘আ-দরূদ চুপে চুপে পড়াই সুন্নাত। আর চুপে চুপে পড়ার নিম্নতম সীমা হ’ল নিজে শোনা (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/২৯৫)। তবে ছালাতের বাইরে সাধারণ যিকর-আযকার হৃদয়ে এবং মুখে উচ্চারণ উভয় নিয়মে হ’তে পারে। তবে মুখে উ
উত্তর : মসজিদের ক্বিবলার দিকের প্রাচীর ও টয়লেটের প্রাচীর যদি একই হয়, তবে সেখানে ছালাত আদায় করা সমীচীন নয়। কেননা তা সরাসরি টয়লেট অভিমুখে ছালাত আদায়ের নামান্তর। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তোমরা অবশ্যই তিনটি ঘরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করোন
উত্তর : যে ব্যক্তি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এরূপ কাজে পুনরায় জড়িয়ে পড়েছে তাকে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে একনিষ্ঠভাবে তওবা করতে হবে (আবুদাঊদ হা/১৫২১; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৩৮)। বারবার জড়িয়ে পড়লে বারবার তওবা করবে। তবে স্মর্তব্য যে, তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত
উত্তর : যে প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম, সে প্রাণীর শরীরের অন্যান্য অংশও হারাম। শূকরের চর্বি হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। সুতরাং হারাম পশুর প্রক্রিয়াজাতকৃত বস্ত্ত যে খাদ্যে মিশ্রিত করা হবে সেটিও হারাম হয়ে যাবে। অতএব জিলেটিন যদি শূকরের চর্ব
উত্তর : চুরি প্রমাণিত হ’লে এবং দেশের আদালত কর্তৃক রায় ঘোষিত হ’লে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন প্রথমে তার ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে দিবে। এরপর আবার করলে বাম পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত কেটে দিবে। এরপরে আবারো চুরি করলে তার বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত কাটতে হ
উত্তর : এটি অমুসলিমদের রেওয়াজ, যা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। সেবামূলক কর্মের ক্ষেত্রে মোমবাতির মত নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অন্যকে আলোকিত করার শপথ নেওয়ার জন্য অমুসলিমদের অনুকরণে এই রেওয়াজ পালন করা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কোন জাতির
উত্তর : উক্ত দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং মর্যাদার দৃষ্টিকোণ থেকে রাসূল (ছাঃ)-এর পরপর দুই কন্যাকে বিবাহ করায় ওছমান (রাঃ)-কে উক্ত লকবে ডাকা হয় (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২/৪৫১)। উল্লেখ্য যে, اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِى ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম
উত্তর : প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। জেহরী ছালাতে ইমামের পিছনে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। আর যোহর ও আছর তথা সের্রী ছালাতে ইমামের পিছনে ১ম ও ২য় রাক‘আতে সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা এবং শেষ ২ রাক‘আতে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ ক
উত্তর : এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে যঈফ সনদে কিছু কিছু বর্ণনা এসেছে যে, আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতবাসীকে কুরআন শুনাবেন যাতে লোকেরা মনে করবে তারা কখনো এরূপ শুনেনি (আবুল ফযল রাযী, ফাযায়েলুল কুরআন হা/১৩৩; আলবানী, যঈফাহ হা/১২৪৮)। যেহেতু এটি
উত্তর : নিজ বাসার জানালা দিয়ে বা ছাদ থেকে কিছু দেখার সময় কারো প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টি পড়লে গুনাহ হবে না। তবে সাধ্যমত দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে (সূরা নূর ৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ যদি অনুমতি প্রদানের পূর্বেই পর্দা সরিয়ে ঘরের ভেতর দৃষ্টি নিক্ষেপ
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে আলাদা করার কোন অধিকার রাখে না। বরং স্বামী যালেম হ’লে স্ত্রী ‘খোলা’ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় স্বামী সর্বদা স্ত্রীর সাথে সুন্দর আচরণ করবে এবং স্ত্রীও স্বামীর আনুগত্য করে চলবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন
উত্তর : ছাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে বুঝা যায় যে, তারা তাহিইয়াতুল মসজিদ সাধারণতঃ সংক্ষিপ্ত করতেন (মুসলিম হা/২৪৮৪)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ)-এর খুৎবা চলাকালীন জনৈক ছাহাবী মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়াতুল মসজিদ না পড়ে বসে পড়লে রাসূল (ছাঃ) তাকে সংক্ষেপে দু’রাক‘আত
উত্তর : মাছ যেভাবেই জন্মলাভ করুক না কেন, পুকুরের মালিক বা লীজ গ্রহীতার অনুমতি ব্যতীত এসব মাছ শিকার করা যাবে না। শিকার করলে তা চুরি হিসাবে গণ্য হবে। তবে সরকারী বিল অথবা কারো পুকুর বা ডোবায় যদি কোন বিধি-নিষেধ না থাকে, তবে সেখান থেকে মাছ শ
উত্তর : উক্ত বুঝ পুরোপুরি ভুল। কারণ ‘কালিমাতুল্লাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহর আদেশ বাচক শব্দ ‘কুন’ যার অর্থ ‘হও’ আর তাতেই হয়ে যায়। অর্থাৎ ঈসা (আঃ) যেহেতু পিতা বিহীন এই পৃথিবীতে এসেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তাকে সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই ‘কুন’ শব্দ ব্যব
উত্তর : তালাকের নিয়তে প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য সমূহ বললে এক তালাক হবে। তালাকের নিয়তে ইঙ্গিতবহ কোন কথা বললে তাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলা হয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, জাওনের কন্যাকে (ابْنَةُ الْجَوْنِ) যখন রাসূলুল্লাহ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আমলে জুম‘আ মসজিদ ব্যতীত ওয়াক্তিয়া মসজিদ ছিল। যেমন মসজিদে বনূ যুরায়েক্ব (বুখারী, মিশকাত হা/৩৮৭০)। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন (আবুদাঊদ হা/৪৫৫; তিরমিযী হা
উত্তর : আড়াই চাঁদের ছিয়াম বলে শরী‘আতে কিছু নেই। বরং এটি স্পষ্ট বিদ‘আত। সুতরাং এই মানত পূরণ করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহর আনুগত্যের মানত করে, তাহ’লে সে যেন তা পূরণ করে। আর কোন ব্যক্তি যদি নাফরমানীর মানত করে, সে যেন তা
উত্তর : উক্ত মর্মে যতগুলি বর্ণনা এসেছে সবগুলিই যঈফ (তিরমিযী হা/৩২৯৪, ৩২৯৮; আহমাদ হা/১৭৭০, ৮৮২৮; বাযযার হা/৪০৭৫, সনদ যঈফ)। সেজন্য এক আসমান থেকে অপর আসমানের দূরত্বের বিষয়টি একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। এটি অদৃশ্যের বিষয়। যার উপর ঈমান আনা প্রত্যেক মু
উত্তর : স্ত্রীর সন্তান যেখানেই লালিত-পালিত হৌক সে দ্বিতীয় স্বামীর জন্য মাহরাম এবং তাকে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল-... সহবাসকৃত স্ত্রীদের (অন্য স্বামীর) কন্যা, যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি ঐ স্ত্রীদের সাথে সহব
উত্তর : নারী হৌক বা পুরুষ হৌক ক্বাযা ছালাত বা একাকী ছালাত আদায়কালে কেবল ইক্বামত দিবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯১ ‘আযান’ অধ্যায়; মুসলিম হা/৬৮০; মিশকাত হা/৬৮৪)। তবে জামা‘আতের ক্ষেত্রে আযান দিতে পারে। আয়েশা (রাঃ) আযান ও ইক্বামত দিয়ে মহিলাদের জামা‘আতে ইমামতি
উত্তর : মসজিদের দেওয়াল ও কবরস্থানের মধ্যে আলাদা প্রাচীর থাকলে উক্ত মসজিদে ছালাত শুদ্ধ হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১২/৩১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/২৫৪; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৫৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে এবং কবরের
উত্তর : আল্লাহর নামে যবেহ করা ব্যতীত কোন হালাল পশুর গোশত খাওয়া হালাল নয় (বাক্বারাহ ২/১৭৩)। অতএব এ ব্যাপারে স্পষ্ট জানা না থাকলে ঐ গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ যুগে আহলে কিতাব বলে কেউ নেই। যারা ইহূদী-খৃষ্টান বলে দাবী করে, তারা দ্বিত্ববাদী ব
উত্তর : উক্ত চুক্তি শরী‘আত সম্মত হয়নি। কেননা এমন চুক্তিতে ব্যবসায় লোকসান হ’লে চালককে দু’দিক থেকে দায়িত্ব নিতে হয়। প্রথমতঃ সে ব্যবসা পরিচালনা করে, আবার লোকসানেরও ভাগ বহন করে, যা সুস্পষ্ট যুলুম। সুতরাং উভয়ের সম্মতি থাকলেও এরূপ চুক্তি জায়েয হবে
উত্তর : কারু ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কারু জন্য বৈধ নয়। একত্রে বাজার-ঘাটে কেউ কাউকে বাধা দেন না, অথচ মসজিদে একত্রে ছালাত আদায় করতে গেলে হানাফী ভাইয়েরা আহলেহাদীছ ভাইদের বাধা দিবেন, এটি কখনই সঙ্গত নয়। তবুও যদি তারা আহলেহাদীছদের মসজিদ থেক
উত্তর : একাকী বা ইমাম অবস্থায় এমন সন্দেহ হ’লে এক রাক‘আত ছালাত আদায়ের শেষ বৈঠকে সহো সিজদা দিয়ে সালাম ফিরাবে। কারণ সূরা ফাতিহা ছালাতের অন্যতম রুকন। তবে মুক্তাদী অবস্থায় এমন সন্দেহ হ’লে তার কিছুই করতে হবেনা, স্রেফ ইমামের অনুসরণ করবে (বুখারী হা/৭
উত্তর : দাহিয়াতুন অর্থ সেনাপ্রধান (আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব)। ‘কালব’ একটি গোত্রের নাম (আল-ইস্তী‘আব, ক্রমিক ৭০১)। ছাহাবায়ে কেরাম ও সৎকর্মশীল মুমিনদের নামে নাম রাখা যাবে। আশারায়ে মুবাশশারাহর অন্যতম বিখ্যাত ছাহাবী হযরত যুবায়ের ইবনুল ‘আওয়াম (রাঃ) বলেন,
উত্তর : বাম হাত দ্বারা কোন কিছু আদান-প্রদান করা ইসলামী শিষ্টাচারের বিপরীত এবং তা শয়তানের কাজ। সুতরাং শয়তানের কর্ম অনুসরণ করা থেকে প্রত্যেক মুসলিমের বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে,
উত্তর : এভাবে টাঙিয়ে রাখা সমীচীন নয়। কারণ (১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর উদ্দেশ্য থাকে সৌনদর্য বর্ধন। অথচ কুরআন নাযিল হয়েছে মানুষকে হেদায়াতের জন্য, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নয়। (২) এতে অনেক সময় কুরআনের অমর্যাদা ঘটে, যা তার অপব্যবহারের শামিল। (৩) কেউ তা
উত্তর: পরিত্যক্ত সন্তান লালন-পালন করা ইয়াতীম পালন অপেক্ষা অধিক ছওয়াবের কাজ। কিন্তু পালিত সন্তান পালক পিতা-মাতার পরিচয়ে পরিচিত হ’তে পারবে না যদিও তাদের পিতৃপরিচয় জানা না যায় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/২৫৫)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদেরকে তাদের পিত
উত্তর : পুরুষের ন্যায় নারীরাও একাকী জেহরী ছালাতে তথা মাগরিব, এশা ও ফজরে সরবে ক্বিরাআত করবে। কারণ ছালাতের বিধানে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে পাশে গায়ের মাহরাম পুরুষ থাকলে নীরবে পাঠ করবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/১০০; বিন বায, ফাতাওয়া নূর
উত্তর : সন্তানের সহায়তায় ও সম্মতিতে পিতা এরূপ অন্যায় কাজ করেছেন। সেজন্য পিতা ও সন্তান উভয়ে দায়ী হবে। আর সন্তান দায়ী হৌক বা না হৌক তার জন্য আবশ্যক হ’ল যাবতীয় সম্পদ শরী‘আত নির্ধারিত অংশ হিসাবে ৫ ভাই-বোনের মাঝে বণ্টন করে নেওয়া এবং আল্লাহর নিকটে
উত্তর : সূরা ফাতিহায় বিস্মৃতিজনিত ভুল হ’লে তা শুদ্ধ করে পাঠ করতে হবে এবং সহো সিজদা দিতে হবে। কারণ এটা ছালাতের অন্যতম রুকন। আর সূরা ফাতিহার পরে অন্য ক্বিরাআতে ভুল করলে সহো সিজদা দিতে হবে না। বরং ইমাম বা মুক্তাদী ছালাত আদায়কালে সূরা ফাতিহা শেষে
উত্তর : হ্যাঁ পাবে। পিতার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তির মালিক হবে তার জীবিত ওয়ারিছগণ। তারা কে কতটুকু পাবে তা স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তাই এখানে কমবেশী করার কোন সুযোগ নেই (নিসা ৪/৭, ১১-১২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/৪৯৫)। উল্লেখ্য যে, কো
উত্তর : এতে গুনাহগার হ’তে হবে। কারণ পিতা-মাতার সাথে কথা না বলা তাদের অসন্তুষ্টির কারণ। আর আল্লাহ সে ব্যক্তির উপর অসন্তুষ্ট থাকেন যে ব্যক্তির উপর তার পিতা-মাতা অসন্তুষ্ট থাকেন (তিরমিযী হা/১৮৯৯; মিশকাত হা/৪৯২৭; ছহীহাহ হা/৫১৬)। এছাড়া কেবল পিতা-ম
উত্তর : এমন ঘরে ছালাত আদায় করলে তার ছালাত হয়ে যাবে। কারণ এটি ছালাত ভঙ্গের কারণ নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৬/২৫৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২৯৪)। তবে এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না (ব
উত্তর : গুনাহগার হ’তে হবে। বরং কষ্টসাধ্য হ’লে গরম পানি করে গোসল করবে এবং সময়ের মধ্যে ফজরের ছালাত আদায় করবে। আর অসুস্থতার ভয় থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ হা/৩৩৪, ৩৩৬; মিশকাত হা/৫৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৩৬২; ইবনু কুদামা, মুগনী ১/১৮৯-
উত্তর : লোশনে বা সেন্টে ব্যবহৃত এ্যালকোহল খাদ্য বা পানীয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। এতে সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় তা সংরক্ষণের জন্য। অতএব এসব লোশন ব্যবহার করা অপছন্দনীয়, তবে হারাম নয়। এতে ছালাত আদায়ও শুদ্ধ হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়
উত্তর : নিজের মালিকানাধীন জায়গায় নিজের জন্য কবরের জায়গা নির্ধারণ করায় কোন দোষ নেই। যেমন আয়েশা (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে তার কবরের স্থান নির্ধারণ করেছিলেন, যা তিনি পরবর্তীতে ওমর (রাঃ)-কে প্রদান করেন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৭৮)। তবে মৃত্যুক
উত্তর : উক্ত মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) এক রাতে ছালাতে সূরা মায়েদার ১১৮ আয়াতটি বারবার তেলাওয়াত করছিলেন (ইবনু মাজাহ হা/১৩৫০; তিরমিযী হা/৪৪৮; আহমাদ হা/১১৬১১; মিশকাত হা/১২০৫)। আয়াতটির অনুবাদ হ’ল- ‘যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তাহ’লে তা
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে উপরোক্ত ধারণার কোন ভিত্তি নেই। অতএব এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদা থেকে প্রত্যেক মুসলিমের বিরত থাকা আবশ্যক। আর চুল ও নখের কর্তিত অংশ মাটি চাপা দেওয়ার পক্ষে কোন কোন বিদ্বান মত পেশ করেছেন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৩২)। তবে এ মর্মে
উত্তর : মেয়েদেরকে তাদের প্রাপ্য হক থেকে মাহরূম করা নিঃসন্দেহে কাবীরা গুনাহ এবং তা অন্যের হক আত্মসাতের শামিল। তারা ক্ষমা না করলে আল্লাহ তা‘আলা উক্ত পাপ ক্ষমা করবেন না (বুখারী হা/২৪৪৯ ‘অত্যাচার ও আত্মসাত’ অধ্যায় ৪৬, ১০ অনুচ্ছেদ)। এক্ষণে পরকালীন
উত্তর : জয়ফল বহু প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত মশলা জাতীয় খাদ্য। তবে খাদ্য হিসাবে এটি ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে বিদ্বানগণের মধ্যে দু’টি মত লক্ষ্য করা যায়। একদল এটি হারাম বলেছেন। আরেকদল খাদ্য-দ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রিতভাবে স্বল্প পরিমাণ জায়েয বলেছেন। ইবনু দা
উত্তর : পূর্বের ভুল পদ্ধতিতে করা ওযূ ও গোসলের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে এবং সঠিক নিয়মে ওযূ-গোসল করে ইবাদত করবে। এটাই তার জন্য যথেষ্ট হবে। কেননা ছালাতে ভুলকারী ব্যক্তিকে রাসূল (ছাঃ) চলমান ছালাতকে সঠিকভাবে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পূর
উত্তর : একই মসজিদে একাধিক জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। ইসলামের ইতিহাসে এমন পদ্ধতি কোথাও চালু ছিল না। বরং মসজিদ সম্প্রসারণ করবে এবং একটি বড় জামা‘আতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। জুম‘আর জামা‘আত না পেলে পরে যোহরের ছালাত জামা‘আতে বা একাকী আদায় করবে। অতএব এ
উত্তর : তওবাকারীর তওবা যদি খাঁটি হয় এবং তা আল্লাহর কাছে কবুলযোগ্য হয়ে যায়, তবে তার আমলনামা থেকে গুনাহসমূহ মুছে ফেলা হবে (তাহরীম ৬৬/৮)। ফলে ব্যক্তির গুনাহের পাল্লা হালকা হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে (হূদ ১১/১১৪
উত্তর : হাদীছ ব্যতীত কুরআন অনুসরণের দাবী অবাস্তব। আল্লাহ ছালাত আদায় ফরয করেছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুরআনে নেই। তিনি যাকাত ও হজ্জ ফরয করেছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুরআনে নেই। তিনি বিবাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুর
উত্তর : মসজিদের কল্যাণার্থে নীচে বা উপরে মার্কেট, বাসস্থান বা গবেষণা সেন্টার নির্মাণে কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া নাযীরিইয়াহ ৩/৩৬৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২২০)। ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘মসজিদের নীচে দোকানপাট ও পানির হাউয তৈরী করা যায়। তাতে কোন ক্ষত
উত্তর : বিবাহ পিতা-মাতা, বর বা কনের সম্মতি বা পরামর্শ ক্রমে হওয়া আবশ্যক। অন্যথায় পরিবারে অশান্তি বিরাজ করতে পারে। এক্ষণে চাচাতো বোন সচ্চরিত্র ও ধার্মিকা হ’লে মাকে বুঝিয়ে বিবাহ করা সমীচীন। রাসূল (ছাঃ) কুফূ বা সমতার ক্ষেত্রে ‘দ্বীন’কে অগ্রাধিকা
উত্তর : এটি মাসিক বেতন হিসাবে নির্ধারিত। সেজন্য কোন ওযরবশতঃ এক বা একাধিক দিন না পড়িয়েও পুরো মাসের বেতন নেওয়া যাবে। তবে এসব ক্ষেত্রে দাতার পক্ষ থেকে সম্মতি থাকতে হবে। নতুবা কেউ কেউ ওযর ছাড়াই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে (যায়লাঈ, তাবঈনুল হাকায়েক ৫/১৩৪;
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত সর্বনিম্ন ২ রাক‘আত পড়ার কথা রাসূল (ছাঃ) উল্লেখ করেছেন (মুসলিম হা/৭৬৮; আবুদাঊদ হা/১৪২২; মিশকাত হা/১২৬৫)। আর সর্বোচ্চ হ’ল ৮ রাক‘আত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১২৫৬; আবুদাঊদ হা/১৩৬২; মিশকাত হা/১২৬৪)। তিনি কখনো এই ছালাত এত দীর্ঘ করতেন যে,
প্রশ্নকারী : কাদেরুল ইসলাম, রংপুর।উত্তর : পাকা চুল উঠানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল তুলে ফেলো না। কেননা পাকা চুল হ’ল মুসলমানের জ্যোতি। কোন মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখেন, একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
উত্তর : সমালোচনার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করা কর্তব্য। যেমন- (১) নিয়ত বিশুদ্ধ থাকা : অর্থাৎ সমালোচনা হবে স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার জন্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুমিন তাঁর ভাইয়ের জন্য আয়নাস্বরূপ। সে তা
উত্তর : এ বিষয়ে স্পষ্ট দলীল না থাকলেও বিদ্বানগণ একমত যে, পায়ুপথ দিয়ে যা কিছু বের হবে তাতে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/২৩০)। অতএব কৃমি, নুড়ি, চুল, গোশতের টুকরা বা অনুরূপ কিছু সবই অপবিত্র হিসাবে গণ্য হবে। এর উপরেই ফৎওয়া দিয়েছেন সুফিয়ান
উত্তর : উক্ত সম্পদ মীরাছ অনুপাতে সকলে পুনরায় ভাগ করে নিবে। অথবা সকল ওয়ারিছের সম্মতিক্রমে তা মৃতের নামে দানও করা যেতে পারে। তবে কারো আপত্তি থাকলে দান করা যাবে না। কারণ ওয়ারিছগণ সকলেই উক্ত সম্পদের মালিক (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/৪৫৩; আল-মাওসূ‘আতু
উত্তর : আব্দুর রহমান ছাফূরী তাঁর ‘নুযহাতুল মাজালেস’ (২/৮৪-৮৫) গ্রন্থে উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন, যার কোন ভিত্তি নেই; বরং জাল ও বানোয়াট।প্রশ্নকারী : আল-আমীন, ভুগরইল, রাজশাহী।
উত্তর : মাটি কোন খাদ্য নয়। এতে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হ’তে পারে। সেজন্য বিদ্বানগণ মাটি, পাথর ও কয়লা ভক্ষণ করাকে হারাম বলেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৭; রওযাতুত ত্বালেবীন ৩/২৯১; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৯/৪২৯; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৫/১২৫)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : মনের অজান্তে কারো মুখ থেকে কুফরী বা শিরকী কথা বেরিয়ে গেলেই সে কাফির বা মুশরিক হিসাবে গণ্য হবে না। কারণ আল্লাহ নিজেই স্বীয় বান্দাকে দো‘আ শিখিয়ে দিয়েছেন এই মর্মে যে, হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই বা অজ্ঞতাবশে ভুল করি, সেজন্য তু
উত্তর : অলীমা বিষয়ে শরী‘আতের নির্দেশনা হ’ল বাসর রাতের পরের দিন অলীমা করা। রাসূল (ছাঃ) যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ)-এর সাথে বাসর রাত অতিবাহিত করার পর দিন অলীমা করেছিলেন (বুখারী হা/৫১৭০)। রাসূল (ছাঃ) ছাফিয়াহ (রাঃ)-কে বিবাহের পর তিনদিন যাবৎ অলীমা করেছিলে
উত্তর : প্রথমে ওয়ারিছ খুঁজে বের করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করবে। যদি কোনভাবেই না পাওয়া যায় তাহ’লে উক্ত সম্পদ তার নামে বায়তুল মাল বা অন্য কোন জনকল্যাণমূলক কাজে দান করে দিবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৩২১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১০/৩৮৮;
উত্তর : ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে বিবাহ দেওয়া শরী‘আতসম্মত নয়। এজন্য সাবালক ছেলে-মেয়ের সম্মতি আবশ্যক। জনৈকা সাবালিকা মেয়েকে তার পিতা তার অসম্মতিতে বিবাহ দিলে রাসূল (ছাঃ) মেয়ের আপত্তির কারণে উক্ত বিবাহ বাতিল করে দেন (বুখারী হা/৬৯৪৫; মিশকাত হা/৩১২৮, ই
উত্তর : পরিবারের জন্য ব্যয় করাই হ’ল মূল কর্তব্য। এব্যাপারে শরী‘আতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ছাহাবীকে খরচ করার পদ্ধতি বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘এ অর্থ তুমি প্রথমে তোমার নিজের জন্য ব্যয় কর। তারপর যদি কিছু বাকী থাকে তাহ’লে তোমার পরিবার
উত্তর : এগুলির সত্যতা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) এবং তাঁর দুই সাথী আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর লাশ চুরি করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১১/৪৩৫)। কিন্তু প্রতিবারেই আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে তা ব্যর্থ হয়ে গেছে। অ
উত্তর : ভাড়ায় নেওয়া বাড়ি অন্যত্র অধিক ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করা জায়েয। তবে যদি মালিকের সাথে এর বিপরীত কোন চুক্তি থাকে তাহ’লে করা যাবে না। ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনু কুদামাহ, যারকাশী, ইবনু রজব হাম্বলী প্রমুখ বিদ্বানগণ বলেন, ভাড়াটিয়া ভাড়াকৃত বস্ত্ত সমমূল্য
উত্তর : দরিদ্র বা অসহায় ব্যক্তিরা উক্ত শিক্ষাবৃত্তি নিতে পারে। কারণ সূদ মিশ্রিত টাকা উপার্জনকারীর জন্য হারাম হ’লেও গ্রহীতার জন্য হারাম নয়। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, যখন হারাম সম্পদ দরিদ্র বা অসহায়দের প্রদান করা হয়, তখন তা গ্রহণ করা তাদের জন্য হার
উত্তর : মসজিদের প্রাচীরে কোন কিছু লেখা সমীচীন নয়। বিশেষ করে সামনে দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত কোন কিছু লেখা বা টাঙানো মোটেও ঠিক নয়। কারণ এতে মুছল্লীর মনোযোগ বিনষ্ট হ’তে পারে, যা ছালাতের আদবের খেলাফ। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই মুছল্লী ছালাতের মধ্য
উত্তর : দ্বীনদার ও উপযুক্ত পাত্রের পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব আসার পরও অভিভাবক বিবাহ না দিলে এবং সাবালিকা মেয়ের পূর্ণ সম্মতি থাকা সত্ত্বেও অভিভাবক অন্যায় যিদ করলে পরবর্তী অভিভাবক হিসাবে চাচা বা সাবালক ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হব
উত্তর : এ বিষয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সালাম দেওয়াই উত্তম। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন মুসলিম তার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। যদি তাদের উভয়ের মাঝে গাছ, দেওয়াল ও পাথর আড়াল হয়, অতঃপর আবার উভয়ের সাক্ষাৎ হয়, তাহ’লে ত
উত্তর : সক্ষম স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহে বাধা দেওয়া জায়েয নয়। কারণ এটি শরী‘আতে বৈধ। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভাল মনে কর দুই, তিন বা চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পার (নিসা ৪/০৩)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় উছায়মীন বলেন, কোন নারীর জন্য
উত্তর : অশ্রুপাত যদি আল্লাহভীতির কারণে হয়, তবে তা সর্বোত্তম এবং এটি আল্লাহভীরু বান্দাদের অন্যতম নিদর্শন (আবুদাঊদ হা/৯০৪; নাসাঈ হা/১২১৪)। তবে দুনিয়াবী কারণে চিৎকার করে কান্নাকাটি করা যাবে না। এতে বরং ছালাত বাতিল হয়ে যাবে (মুগনী ২/৪০-৪১; আল-মাওসূ‘আতুল
উত্তর : জানাযার ছালাতেও যথারীতি পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলাতে হয়। এক্ষেত্রে জানাযার ছালাত ও সাধারণ ছালাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই (মুগনী ২/১৮৫, ২/৩৬৮; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২২-২৩, ১৭/১০)।প্রশ্নকারী : আফযাল হোসাইন, বিরল,
উত্তর : বিধান জানার পর স্বামী-স্ত্রী হিসাবে আর একসাথে থাকার সুযোগ নেই; বরং এখুনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে। এজন্য কোন তালাকও দেওয়া লাগবে না। কারণ উক্ত বিবাহ বৈধ হয়নি। সৎবোনের নাতনী নিজের বোনের নাতনী সমতুল্য, যে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন,
উত্তর : সূর্যাস্তের সাথে সাথে মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং পশ্চিমাকাশে লাল আভা থাকা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি সাধারণতঃ এক ঘন্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হ’তে পারে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৭/২৭-২৮)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, রা
উত্তর: মৃত মায়ের পক্ষ থেকে ওমরাহ করা যাবে। কারণ মৃতের জন্য সর্বোত্তম হাদিয়া হ’ল তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, ছাদাক্বা করা ও তার পক্ষ থেকে হজ্জ করা (আবুদাঊদ হা/২৮৮৩; মিশকাত হা/৩০৭৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫২৯১)। আর ওমরাহ হ’ল হজ্জের মত। পার্থক্য হ’ল এট
উত্তর : পবিত্র সম্পদ থেকেই দান করা কর্তব্য (বাক্বারাহ ২/২৬৭)। তবে কেউ যদি হারাম উপার্জন থেকে দান করে, তবে তা গ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৭)। হারাম উপার্জনের জন্য দাতা দায়ী হবেন, গ্রহীতা নন। আল্লাহ বলেন, এক
উত্তর : এশার ছালাতে ক্বিরাআত সরবে পাঠ করতে হয় (বুখারী হা/৭৬৯, মিশকাত হা/৮৩৪)। এক্ষণে কেউ যদি ক্বিরাআত নীরবে পাঠ করে তাহ’লে মুক্তাদীরা লোকমা দিবে এবং ইমাম পুনরায় সূরা ফাতিহা থেকে পাঠ করবে। আর যদি এভাবেই এক রাক‘আত শেষ হয়, তাহ’লে তার জন্য সহ
উত্তর : হিন্দুদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া জায়েয। তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে, যেমন- (১) তাদের যবেহকৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না। মূলতঃ মূর্তিপূজক, নাস্তিক প্রমুখ যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে যবেহ করে, তাদের যবেহকৃত পশু খাও
উত্তর : বিদ‘আত হবে না। তবে প্রথমে হাদীছে বর্ণিত মাসনূন দো‘আসমূহ পাঠ করবে অতঃপর আম দো‘আসমূহ পাঠ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ দো‘আ করবে, তখন সে যেন প্রথমে তার প্রতিপালকের প্রশংসা বর্ণনা ও আমার প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করে দো‘আ শুরু কর
উত্তর : সরকারের যে কোন বৈধ কর্মে সহযোগিতা করায় কোন বাধা নেই। ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস পোষণ করলে সেজন্য সরকারই দায়ী থাকবে। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেকেই স্বীয় অপকর্মের জন্য দায়ী হবে এবং কেউ অন্য কারো (পাপের) ভার বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। আর নির্
উত্তর : মৃত্যুর পর সম্পদ বণ্টিত হওয়াই ইসলামী শরী‘আতের বিধান। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক হকদারের জন্য তার হক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন’ (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩০৭৩)। ইমাম আহমাদ বলেন, কুরআনে বর্ণিত বিধি মোতাবেক মৃত্যুর পরেই মীরাছ বণ্টন করাকে আমি পসন্দ
উত্তর : সৎমায়ের মর্যাদা জন্মদাত্রী মায়ের সমান নয়। তবে পিতার স্ত্রী হিসাবে তিনি মাহরাম এবং সদাচরণ পাওয়ার হকদার। বনু সালামা গোত্রের এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার কোন অবকাশ আছে কি? তি
উত্তর : স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক সম্মতিতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। এতে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটবে না। তবে স্বামীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী যদি তাতে কোন কারণ ছাড়াই সাড়া না দেয়, তাহ’লে সে চরম অপরাধী হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি কোন পুর
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মসজিদ তো আল্লাহর যিকর, ছালাত ও কুরআন তেলাওয়াতের জন্য (মুসলিম হা/২৮৫; মিশকাত হা/৪৯২ ‘ত্বাহারৎ’ অধ্যায়)। সুতরাং মসজিদকে দুনিয়াবী গল্প-গুজবের স্থান বানানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা মসজিদে বাজারের ন্যা
উত্তর : মৃতের বাড়িতে এরূপ আনুষ্ঠানিকতার সাথে খাবারের আয়োজন করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ এটি বিলাপের অন্তর্ভুক্ত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২/৩৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৩৬৬; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৪০৪)। জারীর বিন আব্দুল্লাহ বাজালী (রাঃ) বলেন, মৃতের বা
উত্তর : মোহরানা নির্ধারণ হবে ছেলের সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে। মোহরানার মালিক হ’ল স্ত্রী। এক্ষণে স্ত্রী চাইলে মোহরানার কিছু অংশ অথবা পুরোপুরি মাফ করে দিতে পারে। অতএব বিষয়টি স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সমাধান করে নিবে (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলা
উত্তর : ফরয হজ্জ হ’লে সেটাই প্রথমে আদায় করতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা দ্রুত (ফরয) হজ্জ সম্পাদন কর। কেননা কেউ জানে না তার ভাগ্যে কি ঘটবে’ (আহমাদ হা/২৮৬৯)। তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্জের ইচ্ছা পোষণ করে, সে যেন তা দ্রুত সম্পাদন করে’
উত্তর : পাগল হওয়া তালাক কার্যকর হওয়ার কোন কারণ নয়। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ পাগল হয়ে গেলে সুস্থ ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে তালাক দিতে বা নিতে পারে। যদিও মানবিকতার দিকটিই অগ্রাধিকার প্রদান করা কর্তব্য হবে এবং স্ত্রী যদি অসুস্থ হয়, স্বামীর দা
উত্তর : হাদীছটি সুনান আবুদাঊদে বর্ণিত হয়েছে হাসান সূত্রে (হা/৫১০)। হাদীছের ভাষ্য থেকে বুঝা যায় যে, কতিপয় ছাহাবী এক্বামতের পর ওযূ করতেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, সকল ছাহাবী এক্বামতের পর ওযূ করতেন। বরং ইবনু ওমর (রাঃ) এটা এজন্য উল্লেখ করেছেন যেন ম
উত্তর : মৌখিকভাবে মসজিদে দান করলেই দান কার্যকর হয়ে যাবে। তবে লিখিত বা প্রচলিত রেজিস্ট্রি পদ্ধতি গ্রহণ করা যরূরী, যাতে কোন অস্পষ্টতার সুযোগ না থাকে। আর দান করার পর উক্ত জমিদাতা নিজে আবাদ করে উৎপাদিত ফসল দেয়ার পরিবর্তে পুরো মালিকানা মসজিদ কমিটি
উত্তর : বিবাহের উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত হয়নি। কারণ পিতা মেয়ের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিলেও তিনি বিবাহে অলীর ভূমিকা পালন করেননি বা কাউকে অলীর দায়িত্ব প্রদান করেননি। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে, তাহ’লে তার ঐ
উত্তর : ইসলামে দিবস পালনের কোন বিধান নেই। এগুলো বিজাতীয় রীতি হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু হয়েছে। আর যেগুলো ইসলাম সমর্থন করে না, সেগুলোতে অংশগ্রহণ করা ও সহযোগিতা করা যাবে না (মায়েদাহ ৫/২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্
উত্তর : পিতা-মাতার নামে এভাবে কসম খাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করল, সে ব্যক্তি শিরক করল’ (তিরমিযী হা/১২৪১; মিশকাত হা/৩৪১৯)। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করতে
উত্তর : এমন একটি বিষয় নিয়ে সম্পর্ক নষ্ট করার যাবে না। বরং এমতাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সম্পর্ক বজায় রেখে আসল পিতা-মাতার পরিচয় জানার চেষ্টা করবে। কারণ শ্বশুর পরিবার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচয় গোপন রাখেন, তাহ’লে তারা গুনাহগার হবেন। কেননা একার
উত্তর : এটি উক্ত নারীর হায়েযের নিয়মিত সময়সীমার উপর নির্ভর করবে। সাধারণভাবে যে সময় হায়েয হওয়ার কথা, সেসময় রক্তস্রাব শুরু হ’লে সেটি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে। আর যদি রক্তস্রাব অনিয়মিত হয় তাহ’লে তা ইস্তিহাযা হিসাবে গণ্য হবে। সাধারণত নিফাস বন্ধ হওয়ার
উত্তর : উক্ত শর্তটি মসজিদ নির্মাণের জন্য নয় বরং জামা‘আতে উপস্থিতি ওয়াজিব হওয়ার জন্য। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনল এবং তার কোন ওযর না থাকা সত্ত্বেও জামা‘আতে উপস্থিত হ’ল না, তার ছালাত নেই (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩; মিশকাত হা/১০৭৭; ফাৎহুল
উত্তর : সদগুণাবলী সম্পন্ন স্বামী বা স্ত্রী পাওয়ার জন্য বিশেষ কোন দো‘আ কুরআন বা হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তবে সারগর্ভ দো‘আ হিসাবে বেশী বেশী ‘রববানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র’ দো‘আটি পাঠ করা যায়। এই দো‘আ
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় ফজরের ছালাত পর্যন্ত ফরয গোসল বিলম্ব করা যাবে। তবে এসময় ওযূ করে নেওয়া মুস্তাহাব। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন নাপাক থাকতেন তখন কিছু খাওয়া অথবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে ওযূ করে নিতেন (মুসলিম হা/৩০৫; মিশকাত হা/৪৫৩)। ও
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) মধু পান করতে পসন্দ করতেন (বুখারী হা/৫২৬৮)। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) প্রায়ই মধু পান করতেন (মুসলিম হা/২০০৮; মিশকাত হা/৪২৮৬)। তিনি তার স্ত্রীগণের নিকটে গেলে মধু পান করতেন (বুখারী হা/৫২৬৮)। তিনি ছাহাবীগণকে মধু পানের মাধ্যমে চিকিৎস
উত্তর : পিতার সম্পত্তির মত মায়ের সম্পত্তিও ‘ছেলেরা মেয়ের দ্বিগুণ’ ভিত্তিতে বণ্টিত হবে (নিসা ৪/১১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১৯/৪৬৭)। এছাড়া মায়ের জীবিত অন্য কোন ওয়ারিছ থাকলে তারাও উক্ত সম্পত্তিতে অংশ পাবেন।প্রশ্নকারী : আবিদ আহমাদ, কুড়
উত্তর : এরূপ কর্ম সরকারী সম্পদ তথা জনগণের সম্পদ অবৈধভাবে ব্যবহার করা আত্মসাৎ করা বা আমানতের খেয়ানত করার শামিল। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের মাল ভক্ষণ করো না’ (নিসা ৪/২৯)। তবে খাবার হালাল হ’লে তা খাওয়াতে দোষ নেই। কিন্তু
উত্তর : ছালাতুল হাজত আদায় করা মুস্তাহাব। যেকোন বিপদে বা প্রয়োজনে আল্লাহর সাহায্য কামনার উদ্দেশ্যে ওযূ করে নির্দিষ্ট কোন পদ্ধতি কিংবা বিশেষ কোন দো‘আ ব্যতীত সাধারণ পদ্ধতিতে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। আল্লাহ ছবর ও ছালাতের মাধ্যমেই তার সাহায্য প্
উত্তর : ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ খৃ.) সালাফে ছালেহীনের মাসলাক অনুসরণকারী একজন যুগশ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ ছিলেন। মাসআলা ইসতিম্বাতের সময় তিনি ব্যক্তি নির্বিশেষে সকল ইমামের মাসআলা যাচাই করতেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) তার অন্যতম অনুসরণীয় ব্যক্তিত
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কারো মযী বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে তাকে ওযূ করে পুনরায় পুরো ছালাত আদায় করতে হবে। আর ছালাতের পর বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না। আর ধৌত করার পরে মযী বের হ’লেও তাতে ওযূ নষ্ট হবে।
উত্তর : অমুসলিমের রক্ত কোন মুসলমানের দেহে প্রবেশ করানোতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। মুশরিকগণ আক্বীদাগত তথা বিশ্বাসগত দিক দিয়ে অপবিত্র (তওবা ৯/২৮), তবে শারীরিক দিক দিয়ে নয়। এছাড়া অমুসলিমদেরকে রক্ত দান করতেও কোন বাধা নেই। বরং মানুষ হিসাবে মুসলিম-অমুসলিম
উত্তর : শ্বশুরের দেওয়া হাদিয়া জামাইয়ের জন্য গ্রহণ করা জায়েয। বরং হাদিয়া আদান-প্রদান করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া প্রদান কর ও মহববত বৃদ্ধি কর (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)। তিনি আরো বলেন, ...যদি আমা
উত্তর : পরকীয়া একটি জঘন্য কর্ম। এতে কেবল ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না; বরং পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য সংশোধনের স্বার্থে বিষয়টি তাকে জিজ্ঞেস করা বা তার স্বামীর কানে আভাস দেওয়ায় কোন দোষ হবে না। সাক্ষী না থাকলে বিচার করা যাবে না বা হদ কায়েম ক
উত্তর : তাওয়াফ বারবার করা যায়। কারণ নফল তাওয়াফের সময় ও সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তাওয়াফকারীর প্রতি পদক্ষেপে একটি দাস মুক্তির ছওয়াব পাওয়া যায়, দশটি করে গুনাহ ঝরে পড়ে ও দশটি করে নেকী লেখা হয় এবং দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় (আহমাদ
উত্তর : লাশকে ডান কাতে শোয়ানো এবং ক্বিবলামুখী করে রাখা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমাদের মৃত ও জীবিত সবার ক্বিবলা কা‘বা (আবুদাউদ হা/২৮৭৫; ইরওয়া হা/৬৯০)। ইবনু হাযম (রহঃ) বলেন, এই আমল রাসূল (ছাঃ)-এর যুগ থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলে আসছে (মুহাল্লা ৫/১৭১,
উত্তর : ইহূদী-খৃষ্টানদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করা নাজায়েয নয়। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানগুলি মৌলিকভাবে হারাম নয়। বরং তা হারাম কাজে ব্যবহার করাটা হারাম। সেজন্য দ্বীনী কাজে এসব গণমাধ্যম ব্যবহার করাতে কোন দোষ নেই। তবে অবশ্যই এই মাধ্যমগুলির খারাপ দিকগুল
উত্তর : কোন বান্দা কি পাপ করবে এবং তার জন্য কি শাস্তি ভোগ করবে এবং কতদিন শাস্তি ভোগ করবে সবই আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ তিনি তাদের ভবিষ্যৎ শাস্তি অগ্রিম প্রদর্শন করাতেও সক্ষম, যা রাসূল (ছাঃ)-কে মি‘রাজ রজনীতে বা বিভিন্ন সময়ে স্
উত্তর : স্বামী তার স্ত্রীর মোহরানার সমুদয় অর্থ বর্তমান জীবিত ওয়ারিছদের মধ্যে মীরাছের বিধান অনুযায়ী বণ্টন করে দিবেন। তিনি তার স্ত্রীর মোহরানার অর্থ দান করতে পারবেন না। কারণ বর্তমানে তিনি উক্ত অর্থের একক মালিক নন। বরং উক্ত অর্থের মালিক জীবিত ওয়
উত্তর : এ বিষয়ে কোন দলীল পাওয়া যায় না। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তিকে নিজ অবস্থায় (গোঁফ ও নখসহ) রেখে দেওয়াই আমার নিকট পসন্দনীয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১৬৯-৭০)। ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, ‘এগুলি কাটা আমার নিকট অপসন্দনীয়। বরং আমি মনে করি, যারা এটা করে তার
উত্তর : এরূপ শর্তে ব্যবসা জায়েয হবে না। কারণ উক্ত চুক্তিতে যুলুম রয়েছে। ইবনু কুদামা বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী লোকসানের ভাগিদার হয়। অথচ বিনিয়োগকারী হয় না। অথচ লাভের ক্ষেত্রে উভয়ে সমঝোতা মোতাবেক শরীক হবে। এ বিষয়ে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন মতভেদ আছে
উত্তর : ছালাতের সিজদায় কারো তন্দ্রাজনিত কারণে মস্তিস্কের পরিবর্তন দেখা দিলে এবং ইমামের তাকবীরের কারণে তন্দ্রা দূরীভূত হয়ে গেলে ওযূ বা ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। বরং এই অবস্থায় ছালাত সম্পন্ন করবে। আর যদি সিজদায় গভীর ঘুম চলে আসে এবং ইমামের তাকবী
উত্তর : যেকোন পেশায় অসত্য তথ্য প্রদান করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনেশুনে সত্যকে গোপন করো না (বাক্বারাহ ২/৪২)। তবে এজন্য আইনী পেশায় যুক্ত থাকা নিষিদ্ধ নয়; বরং কোনরূপ মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকতে
উত্তর : উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ পিতার অসম্মতিতে মেয়ের বিবাহ বৈধ নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অলী ব্যতীত বিবাহ নেই’ (তিরমিযী হা/১১০১ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩০)। তিনি বলেন ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (ত
উত্তর : কোন বই বা পত্রিকার পাতায় কুরআনের আয়াত থাকলে তা সম্মানের সাথে রাখতে হবে এবং অন্য কাজে ব্যবহার করা থেকে সাধ্যমত বিরত থাকতে হবে। যদিও তা কুরআনের মুছহাফের সমতুল্য নয়। আর অধিক পুরানো হ’লে বা ব্যবহার অনুপযোগী হ’লে তা পবিত্র স্থানে পুঁতে ফেল
উত্তর : কুরবানী ইসলামের অন্যতম প্রধান নিদর্শন। কুরবানীর দিনগুলিতে কুরবানীর পশুও ইসলামের নিদর্শন (হজ্জ ২২/৩৬)। সুতরাং এই দিনগুলিতে কুরবানী ব্যতীত গোশত খাওয়ার নিয়তে অন্য কোন কুরবানীযোগ্য পশু যবেহ করা সমীচীন নয়। কুরবানীর দিনসহ আইয়ামে তাশরীকের দিনগ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর জন্মদিন মনে করে সোমবারে ছিয়াম রাখা যাবে না। কারণ জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালন ইসলামে বৈধ নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম পালন করতেন প্রথমতঃ এই কারণে যে, তিনি সোমবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ও প্রথম অহি প্র
উত্তর : পাত্রে রাখা পানিতে পরিষ্কার হাত বা পা ডুবালে পানি অপবিত্র হয় না। অতএব তাতে ওযূ করা যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ১৪/১০৩; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/২৫)। রাসূল (ছাঃ) সামান্য আটা মিশ্রিত পানি দ্বারাও গোসল করেছেন (নাসাঈ হা/২৪০; মিশকাত হা/৪৮৫; ইরওয়া হা/২৭, সন
উত্তর : চেয়ারে বসে ছালাত আদায়কারীর তিনটি অবস্থা রয়েছে। প্রথমতঃ মসজিদের প্রথম কাতার মুছল্লী দ্বারা পূর্ণ হ’লে চেয়ারে ছালাত আদায়কারীরা কাতারের যেকোন এক পার্শ্বে ছালাত আদায় করবে। কারণ চেয়ারে বসে কাতারের মাঝে ছালাত আদায় করলে কাতারের সৌন্দর্য বিনষ
উত্তর : ইমামের বেতন ঈদের মাঠে দানকৃত বায়তুল মাল তহবিল থেকে দেওয়া যাবে। এতে কোন বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিইয়াহ ১/৪৯২)।প্রশ্নকারী : যহূরুল ইসলাম, বিরামপুর, দিনাজপুর।
উত্তর : জানাযার ছালাতে ক্বিরাআত ও দো‘আ নীরবে বা সরবে অনুচ্চ স্বরে দু’ভাবেই পড়া জায়েয। উভয়টিই রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণিত (দ্র.‘আওনুল মা‘বূদ হা/৩২০২-এর আলোচনা; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২১৬ পৃ.)। যেমন আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) বলেন, জানাযার ছালাতে সুন্নাত হ’ল প্
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে যিহার করতে পারে না, বরং স্বামী স্ত্রীকে যিহার করে থাকে। ফলে এটি যিহারের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং একটি সাধারণ কথা মাত্র। এতে কোন কাফফারা দিতে হবে না। মূলতঃ ‘যিহার’ হ’ল, স্বামী যদি তার স্ত্রীকে অথবা তার কোন অঙ্গকে নিজের ‘মা’
উত্তর : যদি নিফাস বন্ধের পর স্বামী স্ত্রীর সাথে মিলন করে এবং স্ত্রীর হায়েয না হয় তাহ’লে এ অবস্থায় তালাক দেওয়া যাবে না, মেয়াদ যতই দীর্ঘ হোক। কেননা মিলন হয়েছে এমন তুহরে তালাক দেওয়া নিষিদ্ধ (তালাক্ব ১)। অতএব তাকে তালাক দিতে হ’লে পুনরায় হায়েয হওয়
উত্তর : মসজিদের কোন কাজে যাকাতের সম্পদ ব্যয় করা যাবে না। কেননা যাকাতের নির্দিষ্ট আটটি খাত রয়েছে। যাকাত উক্ত খাতগুলোতেই প্রদান করতে হবে (তওবা ৯/৬০)। সুতরাং মসজিদ বা মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদ ও লাইব্রেরী অথবা ইমাম ও মুওয়াযযিনের ব
উত্তর : অজ্ঞতাবশত কেউ সময়ের পরে সাহারী গ্রহণ করে থাকলে সে ছিয়াম পূর্ণ করবে। কারণ অজ্ঞতার কারণে কেউ কোন ভুল করলে তার জন্য আল্লাহ পাকড়াও করেন না (বাক্বারাহ ২/২৮৬)। কতিপয় ছাহাবী সাদা রেখা ও কালো রেখার ব্যাখ্যা বুঝতে না পারায় নির্দিষ্ট সময়ের পরে
উত্তর : কাউকে ‘জাহান্নামী’ বলা বা এই ধরনের ভাষায় গালি দেওয়া জায়েয নয়। কারণ এটা তার উপর কুফরীর অপবাদ দেওয়ার নামান্তর, যা হারাম (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৭৯; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/৩৬৫, ১৩/৪২২)। এই অপবাদের দু’টি ক্ষতিকর দিক রয়েছে- (১) অপবাদটি অপব
উত্তর : এ সময় মাসবূক নিজেকে ইমাম মনে করে বাকী ছালাত সমাপ্ত করবে। সামনে জায়গা থাকলে মাসবূক ইমাম সামনে চলে যাবে এবং দু’জন মুছল্লী পিছনে থাকবে। আর সামনে জায়গা না থাকলে দু’জনকে পিছনে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত করবে। আর জায়গা না থাকলে দু’জনকে পাশে নিয়েই ছা
উত্তর : কুরবানীর নিয়তে নির্দিষ্টভাবে পশু ক্রয়ের পর তা ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এটি ওয়াকফের ন্যায়। অতএব তা দিয়ে আক্বীক্বা করা যাবে না। আর ক্রয়ের পর অসুস্থ হয়ে পড়া পশু দ্বারা কুরবানী করায় বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়
উত্তর : সরকারী শর্ত মেনে কোন দেশে বসবাসের অনুমতি নেওয়ার পর শর্ত ভেঙ্গে এরূপ প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করা জায়েয হবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা ব্যতীত মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, ত
উত্তর : SPC (Super power community) ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস মূলতঃ এম.এল.এম পদ্ধতিতে ব্যবসা করা একটি অনলাইন কোম্পানী। আর এম.এল.এম পদ্ধতির সকল প্রকার ব্যবসা নিষিদ্ধ। কারণ এর মধ্যে চরম প্রতারণা, ধোঁকা, জুয়া ও জনগণের সম্পদের সাথে খেল-তামাশা রয়েছে (ফাত
উত্তর : সাধারণ রোগ-ব্যাধি গোপন রাখায় দোষ নেই। কিন্তু যদি তা বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো কঠিন রোগ হয়। যেমন যৌন অক্ষমতা, বন্ধ্যাত্ব ও সন্তান পালনগত অক্ষমতা বা জন্মগতভাবে বড় ধরনের কোন রোগ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তা গোপন করার জন্য অভিভাবকগণ
উত্তর : মানব চক্ষু দ্বারা দুনিয়ায় আল্লাহকে দর্শন করা অসম্ভব। তবে মুমিনগণ পরকালে জান্নাতে আল্লাহ দেখতে পাবেন। দুনিয়াতেই আল্লাহ্কে দর্শন করা বিদ‘আতী ও বাতিলপন্থীদের ভ্রান্ত দাবী। যার পক্ষে কোন দলীল নেই। এটি আল্লাহর শানের খেলাফ (ফাতাওয়া লাজনা দা
উত্তর : গরীব-মিসকীনদের মধ্যে গোশত বিতরণের জন্য বিশ্বস্ত কোন সংগঠন বা সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া যায়। এতে কোন বাধা নেই। তবে তা সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব; ফাতাওয়া আশ-শাবাকাতুল ইসলামিয়া;
উত্তর : পিতা-মাতার অছিয়ত দু’ধরনের হ’তে পারে। সম্পদ সম্পর্কিত এবং সম্পদ বহির্ভূত। সম্পদ সম্পর্কিত অছিয়ত যদি এক-তৃতীয়াংশের কম হয় তাহ’লে তা পালন করা আবশ্যক (নিসা ৪/১১)। আর সম্পদ বহির্ভুত অছিয়ত যা পালন করা মুস্তাহাব। এক্ষণে ছেলে জানাযার ছালাত পড়া
উত্তর : সরাসরি ফেরত দিতে সমস্যা থাকলে পরিচয় গোপন রেখে কারু মাধ্যমে পণ্যটি কিংবা পণ্যের মূল্য ফেরত দিবে (উছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিইয়াহ ৪/১৬২-৬৫ পৃ.)।প্রশ্নকারী : আবুল কালাম, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। শিশুর বয়স দু’বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর বা প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ কোন নারীর দুধ পান করলে তিনি দুধ মা সাব্যস্ত হবেন না। দুধ মাতা সাব্যস্ত হওয়ার জন্য শর্ত দু’টি। (১) দু’বছরের কম বয়সে দুধ পান করতে হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৩; দারাকু
উত্তর : প্রতিটি সুন্নাত পালনে নেকী রয়েছে। ছোট হোক বা বড় হোক সুন্নাত পালনের মধ্যে রয়েছে দুনিয়াবী কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন লোকদের আমল সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম জিজ্ঞাসা করা হবে তাদের ছালাত সম্পর্কে। যদি তাতে কোন ক্
উত্তর : কবরে যতদিন মুমিনের লাশের কোন অংশ বাকী থাকবে, ততদিন তাকে সম্মান করতে হবে। কোন সাধারণ অজুহাতে কবরের সম্মান হানিকর কোন কিছু করা যাবে না (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১; আলবানী, তালখীছ ৯১ পৃ.; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘কবর ও লাশ বিষয়ে’ জ্ঞাতব্য ২৪৩ পৃ.)।
উত্তর : সৎ দাদী যদি যাকাতের হকদার হয় এবং তার নিজ সন্তানরা তার প্রয়োজনীয় খোরপোষ দানে অক্ষম হয়, তবে তাকে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে। কেননা সৎ পিতা-মাতা ও সৎ দাদা-দাদী আপন পিতা-মাতা ও আপন দাদা-দাদীর মত অপরিহার্য হক রাখেন না (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ
প্রশ্নকারী : রায়হান, সিংহমারা, রাজশাহী।উত্তর : নারীদের জন্য হাই হিল জুতা পরা জায়েয নয়। কেননা তাতে তার গোপন সৌন্দর্য প্রকট হয়ে পড়ে। আল্লাহ বলেন, ‘নারীরা যেন এমনভাবে চলাফেরা না করে, যাতে তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়ে পড়ে’ (নূর ২৪/৩১)। এছাড়া এত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (যঈফাহ হা/৪৫৪৯)। মিউজিক যুক্ত সঙ্গীত ইসলামী হৌক বা অনৈসলামিক হৌক তা শ্রবণ করা হারাম। অনুরূপভাবে অশালীন গান-বাজনা শ্রবণ করা এবং গাওয়াও হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতা বশে বাজে কথা
উত্তর : ব্যাংকে প্রোগ্রামার বা ইলেকট্রিশিয়ান পদেও চাকুরী করা যাবে না। কারণ এটিও পরোক্ষভাবে সূদী কারবারে সহযোগিতারই শামিল (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৫/৪১)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাকবওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা কর
উত্তর : অন্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্য না থাকলে হেবা বা হাদিয়া হিসাবে এরূপ প্রদান করায় কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ৬৭৪৫)। তাছাড়া ভবিষ্যৎ ওয়ারিছ তথা মামা ও খালাদের সম্মতিতে মা তার যে কোন সম্পদ মেয়ের নামে লিখে দিতে পারে। এতে
উত্তর : এসকল ক্ষেত্রে নির্যাতিত ব্যক্তি উক্ত অর্থের হকদার হবে। যেমন দিয়াতের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হকদার হয়ে থাকে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে সামাজিক তহবিলে এই অর্থ জমা করা যেতে পারে। যেমন উভয়ের সম্মতিতে অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকলে সামাজিক শান্তি ও
উত্তর : অতীতে ঘটে যাওয়া কিছু নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে এবং তাক্বদীরের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে ‘যদি’ শব্দ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। কারণ এতে শয়তান খুশী হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি কোন কিছু (বিপদ) তোমার উপর আপতিত হয়, তবে এরূপ বলবে না যে, যদি আমি এরূপ করতা
উত্তর : নারীদেরকে পুরুষের পাঁজরের উপরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে (নিসা ৪/১; বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদের সাথে উত্তম আচরণ কর। কারণ তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে সর্বাপ
উত্তর : কবর যিয়ারতের জন্য জুম‘আর দিনকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া এবং কবরে গিয়ে দলবদ্ধভাবে দু’হাত তুলে মুনাজাত করা শরী‘আত সম্মত নয়। তবে সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকে নিজে নিজে দো‘আ পড়বে। এক্ষণে কারো যদি জুম‘আর দিন ব্যতীত অন্য দিন কবর যিয়ারতের সময় না
উত্তর : বিবাহের ব্যাপারে বর বা কনেকে বিপরীত পক্ষ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করা যাবে। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট ফাতেমা বিনতে ক্বায়েস তার বিবাহের জন্য আগত প্রস্তাবের ব্যাপারে পরামর্শ চেয়ে বলেন, মু‘আবিয়া বিন আবু সুফিয়ান এবং আবু জাহাম আমার বিবাহের পয়গা
উত্তর : এটি সফর হিসাবে গণ্য হবে না এবং ক্বছর ছালাতের বিধানও প্রযোজ্য হবে না। তবে বিশেষ শারঈ ওযর বশতঃ দু’ওয়াক্তের ছালাত ক্বছর ও সুন্নাত ছাড়াই একত্রে জমা করে পড়া যায়। যেমন যোহর ও আছর পৃথক এক্বামতের মাধ্যমে ৪+৪=৮ এবং মাগরিব ও এশা ৩+৪=৭ রাক‘আত। ই
প্রশ্নকারী : ইশরাত জাহান, কোরপাই, বুড়িচং, কুমিল্লা।উত্তর : ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় পঠিতব্য দো‘আ যেকোন সময় ঘুমানোর ক্ষেত্রে পড়া যাবে। কারণ হাদীছে ঘুমের কথা বলা হয়েছে। রাত বা দিনের কথা উল্লেখ নেই। রাসূল (ছাঃ) যখন বিছানায় যেতেন, তখন তিনি এ দো‘আ
উত্তর : এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে আমল পাওয়া যায় না। সুতরাং এ থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য। বরং কারু সুস্থতার জন্য হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহ পাঠ করবে এবং ছাদাক্বা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ছাদাক্বা করার মাধ্যমে তোমাদের রোগীদের
উত্তর : তাসবীহ, তাহলীল, তাকবীর ও এ জাতীয় দো‘আগুলি অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ। এগুলি পাঠে প্রভূত নেকী অর্জিত হয়। তাই মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এগুলি টাঙানো যায়। তবে নিরাপদ জায়গায় টাঙাতে হবে, যেখানে আল্লাহর নামের অবমাননা না হয় (বিন বায, ফাতাওয়া ন
উত্তর : স্ত্রীর উপস্থিতিতে তার ভাগ্নী বা বোনের মেয়েকে বিবাহ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন নারীকে তার ফুফু বা খালার সাথে বিবাহে একত্রিত করা যাবে না’ (বুখারী হা/৫১৯০; মুসলিম হা/১৪০৮; মিশকাত হা/৩১৬০)। অন্যত্র তিনি বলেন, ভাতিজীর সাথে তার
উত্তর : প্রতি আরবী মাসের মধ্যবর্তী ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ, আইয়ামে বীয-এর ৩ দিন ছিয়াম পালন করা মুস্তাহাব (তিরমিযী হা/৭৬১; নাসাঈ হা/২৪২৪; মিশকাত হা/২০৫৭)। তবে কোন সমস্যা থাকলে মাসের অন্য দিনেও রাখা যেতে পারে। এক্ষণে যিলহজ্জ মাসের ১৩ তারিখ আইয়ামে তাশরীক্
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, মযী বের হ’লে তোমার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং ছালাতের ওযূর ন্যায় ওযূ করবে (আবুদাঊদ হা/২১১; নাসাঈ হা/৪৩৫)। তিনি আরও বলেন, ‘কাপড়ের যে স্থানে মযীর নিদর্শন দেখবে, হাতে পানি নিয়ে ঐ স্থানে ছিটিয়ে দিবে, যেন সেখানে পানি পৌঁছে যায় (আব
উত্তর : মাথার চুল স্বাভাবিকভাবে কাটতে হবে। এমনভাবে চুল কাটা যাবে না যাতে অশালীনতা ও উগ্রতা প্রকাশ পায়। একদা নবী করীম (ছাঃ) দেখলেন যে, একটি শিশুর মাথার কিছু অংশ কামানো আর কিছুটা অবশিষ্ট আছে। তিনি তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করে বললেন, হয় সবটুকু কা
উত্তর : নারীদের জন্য হাতে ও পায়ে মোযা পরিধান করা মুস্তাহাব। নববী যুগে নারীদের হাত মোযা পরার প্রচলন ছিল। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হজ্জের সময় মুহরিম মহিলাগণ মুখে নেক্বাব এবং হাতে মোযা পরবে না (বুখারী হা/১৮৩৮; মিশকাত হা/২৬৭৮)। এই হাদীছ প্রমাণ করে যে, তৎক
উত্তর : কুরবানীর জন্য কেমন পশু হ’তে বিরত থাকতে হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চার প্রকার পশু থেকে : স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী ও জীর্ণশীর্ণ (আহমাদ হা/১৮৬৯৭, ১০৪৮, ১০৬১; তিরমিযী হা/১৪৯৭; ইবনু মাজাহ হা/৩১৪৪ প্রভৃতি; মিশকা
উত্তর : পর্দা সহকারেও নারীদের যে কোন ধরনের যানবাহন চালনা করা সমীচীন নয়। কেননা প্রথমতঃ এধরণের কাজ তাদের জন্য স্বভাবসিদ্ধ নয়, বরং পুরুষালী কর্ম এবং এতে প্রকারান্তরে তাদের বেহায়াপনা প্রকাশ পায়। আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় বেহায়াপনাকে নিষিদ্ধ ক
উত্তর : বিবাহ বৈধ করার জন্য মেয়ের পিতার উপস্থিতিতে বা সম্মতিতে দ্বিতীয়বার বিবাহের ঈজাব-কবুলের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ কোন নারী বিবাহের অলী হ’তে পারে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অলী ব্যতীত বিবাহ সিদ্ধ নয়’ (তিরমিযী হা/১১০১; মিশকাত হা/৩১৩০)। নবী করীম
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদের বিশুদ্ধতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইবনু হাজার আসক্বালানী এবং আলবানী হাদীছটিকে ‘যঈফ’ বলেছেন। তবে আলবানী ‘মওকূফ হিসাবে ছহীহ’ বলেছেন (ইবনু হাজার, নাতাইজুল আফকার ১/২৬৩; আলবানী, তিরমিযী হা/৩৫০০; তামামুল মিন্নাহ ৯৫-৯
উত্তর : পিতার পেনশনের টাকা পরিত্যক্ত সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে এবং উক্ত সম্পদ শারঈ বিধান অনুযায়ী ওয়ারিছদের মধ্যে বণ্টিত হবে। সন্তান থাকলে মা মৃতের স্ত্রী হিসাবে এক-অষ্টমাংশ পাবেন। আর সন্তান না থাকলে সিকি পাবেন। বাকী সম্পদ ছেলে-মেয়েরা এক পুত্র সমা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ওহোদের শহীদদের কবরে মাথার দিক থেকে পায়ের দিকে তিনবার মাটি ছড়িয়ে দিয়েছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৫৬৫; ইরওয়া হা/৭৫১, সনদ ছহীহ)। অতঃপর তিন অঞ্জলী বা তিন মুষ্ঠি দু’ধরনের বর্ণনাই এসেছে, যার দু’টিই যঈফ (আলোচনা দ্রষ্টব্য : ইরওয়া হা/৭৫১)। অতএব যা
উত্তর : ইসলাম ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহের শিক্ষা প্রদান করে। তাই অসহায় অমুসলিমদের দান করলেও ছওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, তারা আল্লাহর মহববতে অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীদের আহার্য প্রদান করে (দাহর ৭৬/০৯)। ইবনু কুদামা
উত্তর : বন্ধ্যা নারীকে বিবাহ করা জায়েয। তবে রাসূল (ছাঃ) অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার প্রতিই উৎসাহিত করেছেন। মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বললে, আমি একজন সুন্দরী এবং সদ্
উত্তর : মসজিদ বসবাসের স্থান নয়। বরং ইবাদতের স্থান। তবে যদি মসজিদ কমিটি মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করে ইমামের জন্য মসজিদ সংলগ্ন স্থানে কোন বাসগৃহ নির্ধারণ করে, সেখানে তিনি সপরিবারে বসবাস করতে পারেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ২য় ভাগ, ৫/২২১-২২; ওছায়মীন,
উত্তর : অমুসলিম রাষ্ট্র বেষ্টিত মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের সীমান্তের নিরাপত্তা বিধানে যারা জড়িত, তারা যদি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে একাজে নিযুক্ত থাকেন, তবে তারা হাদীছে বর্ণিত সীমান্ত পাহারা দেওয়ার নেকী লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে তাদের জ
উত্তর : অবৈধ পথে উপার্জিত সম্পদ যা ব্যয় করে ফেলেছে, তার জন্য কোন কাফ্ফারা নেই। আর অবশিষ্ট সম্পদ থেকে তার জীবন ধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রেখে বাকী সম্পদ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে দিবে। সাথে সাথে খালেছ নিয়তে তওবা করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, ম
উত্তর : ইভ্যালী, আলিশা মার্ট প্রভৃতি ই-কমার্স সাইট অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের আধুনিক প্রতিষ্ঠান। যেখানে ৪৫ দিন বা নির্দিষ্ট মেয়াদে পণ্য সরবরাহের চুক্তিতে অগ্রিম টাকা জমা দিতে হয় এবং বিনিময়ে বাযারমূল্য থেকে বিশাল অংকের লোভনীয় ছাড় দেওয়া হয়। আর নির্দ
উত্তর : কোন প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণ করা এবং তাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ (আম্বিয়া ৫২)। এটা বিধর্মীদের অনুকরণ যা শরী‘আতে হারাম (মায়েদাহ ৫১)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে অন্যদের সাথে সাদৃশ্য রাখবে সে আমাদের অন্তর্ভ
উত্তর : চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদা সমূহের অন্তর্ভুক্ত, যা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই একান্ত প্রয়োজন। সেকারণ নারীদের জন্য নারী এবং পুরুষদের জন্য পুরুষ চিকিৎসক ও নার্স থাকা এবং হাসপাতালগুলিতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক বিভাগ থাকা আবশ্যক। এরূপ ব্য
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) নিজে সর্বদা দাজ্জালের ফিৎনা থেকে পানাহ চেয়েছেন। তিনি স্বীয় উম্মতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং তার অনিষ্ট থেকে পানাহ চাওয়ার দো‘আ শিখিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৫৯ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়)। কেবল আমাদের নবীই নন বরং সকল নবীই
উত্তর : ওযূ করার সময় ক্বিবলামুখী হওয়াকে অধিকাংশ বিদ্বান মুস্তাহাব বলেছেন, ওয়াজিব বলেননি (নববী, আল মাজমূ‘ ১/৪৬৫)। কিন্তু মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে কোন হাদীছ বা আছার পাওয়া যায় না। সুতরাং মুছল্লী যে দিকে মুখ করে ওযূ করতে স্বাছন্দ্য বোধ করবে, সেদিকে মুখ
উত্তর : সরকার মসজিদের জমি অধিগ্রহণ করেছে এর ক্ষতি পূরণ মসজিদই পাবে, দাতা নন। কারণ জমিদাতা শর্তহীনভাবে তার জমি মসজিদে ওয়াকফ করেছেন। বর্তমানে উক্ত জমির মালিক মসজিদ। এক্ষণে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদ সংশ্লিষ্ট যেকোন কাজে উক্ত অর্থ ব্যয় করতে পারেন। প্
উত্তর : দাফন শেষে মাইয়েতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। হযরত ওছমান (রাঃ) বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে দাফন শেষে নবী কারীম (ছাঃ) সেখানে দাঁড়াতেন এবং উপস্থিত লোকদেরকে বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং ঈমানের উপর দৃঢ় থাকা
উত্তর : ছয় মাসের ভেড়া কুরবানী করা যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যে ছাহাবীকে অনুমতি দিয়েছিলেন সেটা তার জন্য খাছ ছিল (ইরওয়া ৪/৩৫৭ পৃঃ)।প্রশ্নকারী : আবুবকর ছিদ্দীক, ঢাকা
উত্তর : ছালাতের সালাম শেষে ইমাম ডাইনে অথবা বামে ঘুরে সরাসরি মুক্তাদীগণের দিকে ফিরে বসবেন (বুখারী হা/৮৫২; মুসলিম হা/৭০৭; মিশকাত হা/৯৪৪-৪৬)। আর ইমামের ঘুরে থাকাতে মুছল্লীর বিরক্তির কোন কারণ নেই। তবে ইমামের কোন কথার বলার প্রয়োজন না থাকলে এবং মুছল্লী
উত্তর : জানার পরে চোরাই মাল ক্রয় করা নিষিদ্ধ। তবে অজ্ঞাত অবস্থার কথা ভিন্ন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘পাপ এবং অন্যায়ের কাজে তোমরা একে অপরের সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ২)।প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, সবুজবাগ, ঢাকা।
উত্তর : এককভাবে শুক্রবারে ছিয়াম পালন নিষিদ্ধ। তবে আগে বা পরে মিলালে তাতে কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অবশ্যই কেউ যেন স্রেফ জুম‘আর দিনে ছিয়াম না রাখে। তবে যদি তার একদিন আগে কিংবা পরে রাখে তাহ’লে তাতে ক্ষতি নেই (বুখারী হা/১৯৮৫)। অর্থাৎ শুক্র
উত্তর : দুধ ভাই ও বোন থেকে ততটুকু পর্দা করবে যতটুকু নিজ ভাই ও বোন থেকে করা আবশ্যক। অর্থাৎ দুধ ভাই দুধ বোনের হাত, পা, মাথা, মুখমন্ডল ও চুল দেখতে পারে যেমন অন্যান্য মাহরামরা দেখতে পারে। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে,
উত্তর : একজন নারী থেকে আরেকজন নারীর পর্দা হ’ল মাহরাম পুরুষদের থেকে পর্দার ন্যায় (নূর ২৪/৩১)। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন নারী যেন অপর নারীর লজ্জাস্থানের দিকে না তাকায়। একইভাবে কোন পুরুষ যেন অন্য পুরুষের লজ্জাস্থানের দিকে না তাকায় (ইবনু মাজ
উত্তর : জামা‘আতবদ্ধভাবে হাত তুলে মুনাজাত করা বিদ‘আত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/১৯০)। এর সাথে আবার সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাছ পাঠের বিধান যুক্ত করা আরেক বিদ‘আত। বরং মুনাজাতের সুন্নাতী তরীকা হ’ল একাকী হাত তুলে মুনাজাত করা (আবুদাউদ হা/১৪৮৮; মিশকাত হা/২
উত্তর : ছালাত অবস্থায় ওযূ ভেঙ্গে গেলে ছালাত ছেড়ে দিবে এবং ওযূ করে নতুনভাবে ছালাত শুরু করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাতরত অবস্থায় তোমাদের কেউ যখন নিঃশব্দে বাতাস বের করে, সে যেন ফিরে গিয়ে ওযূ করে এসে পুনরায় ছালাত আদায় করে নেয় (আবুদাউদ হা/২০৫;
উত্তর : নিফাসের সময়সীমা চল্লিশ দিন পূর্ণ করা আবশ্যক নয়। বরং যখনই নিফাস বন্ধ হবে, তখনই পবিত্র হয়ে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করবে। কারণ নিফাসের সর্বোচ্চ সময়সীমা চল্লিশ দিন ও রাত হ’লেও সর্বনিম্ন সময়সীমা নির্ধারিত নেই (আবুদাউদ হা/৩১১; ইরওয়া হা/২১১; নববী,
উত্তর : মসজিদ ও ঈদগাহের মত পবিত্র স্থানের সম্মান ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট হয়, এমন কোন খেলা-ধুলা জায়েয নয়। তবে সাধারণ খেলা-ধূলা বা শরীরচর্চা যা ছালাতের সময় নষ্ট করে না, সেগুলি জায়েয। রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় হাবশী যোদ্ধারা মসজিদে শরীর চর্চা
উত্তর : পিতা-মাতা এমন দু’ব্যক্তি যাদেরকে উহ্ শব্দ দ্বারাও কষ্ট দেয়া যাবে না। এক্ষণে খারাপ আচরণের কারণে ক্ষমা নিতে না পারলে করণীয় হ’ল নিজে তওবা করা, মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা ও তার জন্য দান করা ইত্যাদি। হাদীছে এসেছে, বনু সালিমা গোত্
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (তিরমিযী হা/২৮৪; মিশকাত হা/৯০০)। দুই সিজদার মাঝে প্রচলিত দো‘আটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দে বর্ণিত হয়েছে। যেমন কোন কোন হাদীছে কেবল ‘রবিবগ ফিরলী, রবিবগ ফিরলী’ (আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর) অং
উত্তর : মি‘রাজ রজনীতে নবী-রাসূলগণ স্ব স্ব আকৃতিতে বায়তুল মুক্বাদ্দাসে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর ইমামতিতে দু‘রাক‘আত ছালাত আদায় করেছিলেন। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) তাদের চিনতে পেরেছিলেন। তবে তারা কিভাবে এসেছেলেন সে বিষয়ে কিছু বর্ণিত হয়নি
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি নিতান্তই যঈফ (ইরওয়াউল গালীল হা/১১১, ৪/৩০৮ পৃঃ)। ইমাম নাসাঈ বলেন, হাদীছটি পরিত্যক্ত। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, হাদীছটি ‘মুনকার’ বা অগ্রহণযোগ্য (ইরওয়া, ঐ)। বরং স্পর্শ করত চুম্বন করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী, মি
উত্তর : উক্ত আয়াতের অনুবাদ- ‘আর তুমি তোমার পরিবারকে ছালাতের আদেশ দাও এবং তুমি এর উপর অবিচল থাক। আমরা তোমার নিকট রূযী চাই না। আমরাই তোমাকে রূযী দিয়ে থাকি। আর (জান্নাতের) শুভ পরিণাম তো কেবল মুত্তাক্বীদের জন্যই’ (ত্বোয়াহা ২০/১৩২)। এর তাফসীরে হাফ
উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হ’লে ছেলে-মেয়ে কবীরা গোনাহগার হয়। কিন্তু মীরাছ হ’তে বঞ্চিত হয় না। কারণ মীরাছ হয় বংশীয় কারণে, সদাচরণের জন্য নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/২৮১)। তাই সন্তানকে ত্যাজ্যপুত্র করা বা সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ। বরং পিতা-মাতা
উত্তর : ইফতারের পূর্বে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দো‘আ করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। নির্দিষ্টভাবে ইফতারের সময় দো‘আ কবুল হয় মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/১৭৫৩; মিশকাত হা/২২৪৯; যঈফুল জামে‘ হা/১৯৬৫)। তবে ছিয়াম পালনকারীর দো‘আ কবুল করা
উত্তর : নাজাতপ্রাপ্ত দলটি কেবল শামের অধিবাসী বা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের অধিবাসী হবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফাহ হা/৬৩৯০)। উক্ত বর্ণনাগুলোকে ছহীহ ধরা হ’লেও নাজাতপ্রাপ্ত দলের শামে অবস্থান করাকে আবশ্যক করে না। বরং এই দলটি একেক সময় একেক স্থানে অবস্থ
উত্তর : এটা ঘুষ হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সুফারিশ করার দরুণ যে ব্যক্তি সুফারিশকারীকে উপহার দেয় এবং (তার থেকে) সে ঐ উপহার গ্রহণ করে তাহ’লে সে ব্যক্তি সূদের দ্বারসমূহের মধ্য থেকে একটি বৃহৎ দ্বারে উপনীত হবে (আবুদাউদ হা/৩৫৪৭; ছহীহাহ হা/৩৪৬৫)। তবে কাউক
উত্তর : কাতার সোজা করা, কাতারের শূন্যস্থান পূরণ করা বা ডান বাম থেকে কোন মুছল্লী সরে যাওয়ার কারণে ফাঁকা স্থান পূরণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে ডানে বা বামে সরে যাওয়া মুস্তাহাব (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৫০৩)। ইবনু আববাস (রাঃ) ছালাতে রাসূল (ছাঃ)-এর বা
উত্তর : সাধারণ নকশাদার কাপড় পরিধান করা নারীদের জন্য নাজায়েয নয়। তবে এমন নকশাদার কাপড় পরিধান করা যাবে না, যা পরপুরুষদের নযর কাড়ে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর তারা যে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তবে যেটুকু স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় সেটুকু ব্যতীত (ন
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় ক্বিবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করা সিদ্ধ নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলে ক্বিয়ামতের দিন তার ঐ থুথু দু’চোখের মধ্যখানে পতিত অবস্থায় উপস্থিত হবে’ (আবুদাউদ হা/৩৮২৪; ছহীহাহ হা/২২২)। তিনি আরো বলেন, ক
উত্তর : কাগজের টাকা স্বর্ণ বা রৌপ্যের মূল্যমান যা প্রথমে তাম্র মুদ্রা হিসাবে তাবেঈগণের যুগে চালু হয়ে পরবর্তীতে টাকার রূপ ধারণ করে অদ্যাবধি চলমান। উমাইয়া খলীফা আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ান (৬৫-৮৬ হি.) প্রথমবারের মত মুসলিম বিশ্বে আরবীতে লেখা দীনার
উত্তর : যারা দূরপাল্লার পরিবহনে কাজ করে, তাদের জন্য ছালাত ক্বছর করাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) আযারবাইজান সফরে গেলে পুরো বরফের মৌসুম সেখানে আটকে যান ও ছয় মাস যাবৎ ক্বছর করেন (বায়হাক্বী ৩/১৫২ পৃঃ; ইরওয়া হা/৫৭৭, সনদ ছহীহ)। অ
উত্তর : উপমহাদেশে সম্মানসূচক সম্বোধন হিসাবে ‘মাওলানা’ (আমাদের বন্ধু/অভিভাবক) বলা হয়ে থাকে (ফীরোযুল লুগাত)। ‘মাওলানা’ এমন একটি শব্দ যা আল্লাহ এবং বান্দা উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দাস তার মালিককে যেন আমার মাওলা না বলে। কারণ তোমাদ
উত্তর : ওযূ করার সময় ক্বিবলামুখী হওয়াকে অধিকাংশ বিদ্বান মুস্তাহাব বলেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/৪৬৫; হাশিয়াতু ইবনু আবেদীন ১/১২৫; ইবনুল মুফলেহ, আল-ফুরূ‘ ১/১৫২)। কিন্তু মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে কোন দলীল পাওয়া যায় না। সুতরাং মুছল্লী যে দিকে মুখ করে ওযূ করত
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে বা রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হ’তে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৭৩)। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা এ দিনের বরকতে মুমিন ব্যক্তিদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে
উত্তর : দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথী সাগরে পথ হারিয়ে এক দ্বীপে গিয়ে ওঠেন। সেখানে পানির খোঁজে বের হ’লে একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। যে তার চুল টেনে নিয়ে চলছিল। অতঃপর তিনি দাজ্জালের কাহি
উত্তর : দো‘আ পাঠে অবহেলার কারণে অথবা মানসিক কারণে এমনটি হ’তে পারে। তবে কেউ জাদু-টোনা করে থাকলে তা নষ্ট করে দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ)-কে যাদু করা হ’লে ততক্ষণ তিনি সুস্থ হ’তে পারেননি, যতক্ষণ না জাদুকৃত বস্ত্ত দূর করা হয় (বুখারী হা/৩২৬৮; মুসলিম হা/২১৮
উত্তর : বিবাহের কেউ স্বর্ণ উপহার দিলে তা গ্রহণ করা যাবে। তবে নিজে ব্যবহার না করে স্ত্রীসহ যেকোন মহিলা আত্মীয়কে হাদিয়া প্রদান করবে বা বিক্রয় করে দিবে। রাসূল (ছাঃ)-কে রেশমের পোষাক উপহার দেওয়া হ’লে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং অন্যকে হাদিয়া দিয়ে দেন (
উত্তর : অতিবৃদ্ধ, গর্ভবতী, দুগ্ধদায়িনী মা বা চিররোগী ব্যক্তি ফিদ্ইয়া হিসাবে দৈনিক সিকি ছা‘ (৬২৫ গ্রাম) চাউল বা গম মিসকীনকে প্রদান করবে। অথবা একদিনে ৩০ জন মিসকীনকে খাওয়াবে। চাই সেটা বাড়িতে খাবার বানিয়ে হৌক বা হোটেলে হৌক। আনাস (রাঃ) বার্ধক্যজনি
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় পিলারসহ কাতার করা যাবে না। কুর্রা (রাঃ) বলেন, আমাদেরকে খুঁটি সমূহের মধ্যবর্তী জায়গায় ছালাত পড়তে নিষেধ করা হ’ত। এমনকি সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হ’ত’ (ইবনু মাজাহ হা/১০০২; ছহীহাহ হা/৩৩৫; তামামুল মিন্নাহ ২৯৬ পৃ.)। তবে লোক সমাগম
উত্তর : কাফের বা অমুসলিম দুনিয়াতে কোন সৎকর্ম করলে এর প্রতিদান দুনিয়াতেই পাবে, পরকালে নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা অবিশ্বাসী হয়েছে এবং অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের কারু কাছ থেকে যমীন ভর্তি স্বর্ণও গ্রহণ করা হবে না, যদি তার
উত্তর : জমির মালিকের সাধারণ অনুমতি থাকলে কিংবা এলাকায় প্রচলন থাকলে ঘাস খাওয়ানো বা চরানোয় কোন বাধা নেই। আর জমির নির্দিষ্ট মালিক না থাকলে বা সরকারী খাস জমি যেমন রাস্তার দু’পাশ বা নদীর পাড়সমূহে পশু চরানোতে কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৪১৮)।
উত্তরঃ জুম‘আর খুৎবা সংক্ষিপ্ত হবে আর ছালাত দীর্ঘ হবে-এর অর্থ হ’ল, খুৎবা তার মান অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ হবে। আর ছালাতকে তার সুন্নাত অনুযায়ী দীর্ঘ করতে হবে (বিস্তারিত দেখুন মির‘আত ৪/৪৯৬ পৃঃ)। অত্র হাদীছটির ব্যাখ্যা অন্য হাদীছ দ্বারা সুস্পষ্ট
উত্তরঃ ক্বাযা ছালাতের সুন্নাত আদায় করা ভাল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফজরের ক্বাযা সুন্নাত আদায় করেন। একদা তিনি (ছাঃ) ঘুমিয়ে যান। তিনি সূর্য উঠার পর ফজরের ছালাত আদায় করেন। প্রথমে সুন্নাত পড়েন ও পরে ফরয পড়েন (মুসলিম হা/৪৭৩; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/..)।
উত্তরঃ মুসাফির বাড়ী পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত মুসাফির থাকে। তাই সে যোহর-আছর জমা কছর ও করতে পারে (আবূদাঊদ হা/১২০৮; তিরমিযী ৫৫৩)। তবে বাড়ী পৌঁছে গেলে পূর্ণ ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ সে তখন আর মুসাফির থাকে না।
উত্তরঃ মহিলাদের ফরয ছালাতে ইক্বামত দিতে হবে। কারণ ইক্বামত একটি যিকির। আয়েশা (রাঃ) আযান দিতেন, ইক্বামত দিতেন এবং মহিলাদের ইমামতি করতেন, তিনি তাদের মাঝে দাঁড়াতেন (বায়হাক্বী, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৪)। মহিলাদের আযান ইক্বামত দিতে হবে না মর্মে বর্ণিত
উত্তরঃ এ ঘটনা সত্য নয়। প্রকাশ থাকে যে, মানুষ পাপের কারণে নারীতে পরিণত হয় না। তবে শুকর বানরে পরিণত হ’তে পারে (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/১৬০৪/২৬৯৯; আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৫১৯৯; বুখারী, ইবনু মাজাহ হা/৪০২০)।
উত্তরঃ ছালাতুত তাসবীহ সম্পর্কে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং কেউ এ সম্পর্কিত ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছকে ‘মুরসাল’, কেউ ‘মওকূফ’, কেউ ‘যঈফ’, কেউ ‘মওযূ’ বা জাল বলেছেন। যদিও শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছের যঈফ সূত্র সমূহ পরষ্পরকে শক্তিশালী ক
উত্তরঃ প্রত্যেক অমুসলিম মুসলমানের কাছে পূর্ণ সদাচরণ পাওয়ার হক রাখে। তবে তারা তাদের পূজার কোন সুযোগ-সুবিধা মুসলমানের কাছে পাওয়ার অধিকার রাখে না। কারণ পূজার সবকিছুই শিরকী কাজ, যা সবচেয়ে বড় গোনাহ। আর শিরক হ’ল সবচেয়ে বড় পাপ। আর পাপের সহযোগিতা করত
উত্তরঃ ছালাতে দাঁড়ানোর সময় সীসাঢালা প্রাচীরের মত একে অপরের সাথে মিলে দাঁড়াতে হবে। মধ্যে ফাঁকা রাখলে শয়তান প্রবেশ করে এবং মুছল্লী রহমত হ’তে বঞ্চিত হয়। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কাতার সোজা করবে, বাহু সমূহ সমপর্যায়ে রা
উত্তরঃ নির্দিষ্ট করে কেবল জুম‘আর দিন ছিয়াম পালন করা যাবে না। তার সাথে আগে অথবা পরে একদিন যোগ করে ছিয়াম রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন শুধু জুম‘আর দিন নির্দিষ্ট করে ছিয়াম পালন না করে। তবে ত
উত্তরঃ গর্ভবতী মহিলার জন্য নফল ছিয়াম না রাখাই ভাল। কারণ ফরয ছিয়ামের ব্যাপারে তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুসাফিরকে ছিয়াম পালনের ব্যাপারে ছাড় দিয়েছেন এবং ছালাত অর্ধেক করে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও বাচ
উত্তরঃ আইয়ামে বীয-এর ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তিগণ যিলহজ্জ মাসে ২দিন ছিয়াম পালন করবেন। কারণ প্রতি মাসে দু’টি ছিয়ামও পালন করা যায়। নবী করীম (ছাঃ) এক ব্যক্তিকে বললেন, তুমি প্রতি মাসে একদিন ছিয়াম পালন কর। লোকটি বলল, আমি এর চেয়ে বেশী পারব। রাসূলুল্লাহ
উত্তরঃ এ ব্যাপারে সবচেয়ে উত্তম হ’ল আরাফার দিন সকাল হ’তে মিনায় অবস্থানের শেষ দিন আছর পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা। তবে যিলহজ্জের প্রথম দিন হ’তে কুরবানীর পরের তিন দিন পর্যন্ত তাকবীর বলা যায় (মির‘আত ৫/৯০ পৃঃ)। আলী (রাঃ) আরাফার দিন ফজরের পর থেকে ঈদের পরে
উত্তরঃ যিলহজ্জের প্রথম হ’তে নবম তারিখ পর্যন্ত ছিয়াম পালন করা যায়। হাফছা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) আশুরার ছিয়াম, যিলহজ্জের ১ম দশকের ছিয়াম, প্রতি মাসে তিন দিনের ছিয়াম এবং ফজরের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত ছাড়তেন না (নাসাঈ হা/২৪১৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তরঃ একথা ঠিক নয়। মৃতব্যক্তিকে গোসল করানোর নিয়ম হচ্ছে ওযূ করানো পর গোসল দেয়া (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৩৪)। কাজেই গোসলের পূর্বে ওযূ ছাড়া অন্য কিছুই করা উচিত নয়।
উত্তরঃ মুছল্লীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এমন কিছু মসজিদের দেয়ালে বা মেহরাবে লাগানো যাবে না। ছালাতের সময় এগুলি চোখে পড়লে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এমন একটি চাদরে ছালাত আদায় করেন যাতে বুটা ছিল। তিনি তার বুটার দি
উত্তরঃ মুস্তাহাব ও সাধারণ গোসলের সময় প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে সমস্ত দেহে পানি ঢালবে কিংবা পুকুর, খাল, নদীতে গোসলের ক্ষেত্রে ডুব দিবে। উল্লেখ্য যে, নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দার মধ্যে গোসল করা আবশ্যক (আবূদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৭)।
উত্তরঃ শিরক একটি অমার্জনীয় পাপ (নিসা ৪/৪৮) যাকে আল্লাহ মহা যুলুম বা অন্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন (লোক্বমান ১৩)। তবে সে প্রকৃতপক্ষে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে শিরক থেকে ফিরে আসলে এবং আমলে ছালেহ করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘তবে যারা তওবা
উত্তরঃ রামাযানের ছিয়াম পালন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয (বাক্বারাহ ১৮৩)। সুতরাং স্বামী যদি ছিয়াম পালনকারী স্ত্রীর সাথে জোর পূর্বক সহবাস করে তাহ’লে সে গোনাহগার হবে। এক্ষেত্রে স্ত্রী দায়ী হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ ত
উত্তরঃ রাক‘আত কম হ’লে বা বেশী হ’লে অথবা কত রাক‘আত হয়েছে তা নির্ণয় করতে না পারলে কিংবা তাশাহহুদ ছুটে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে। রাক‘আত কম হ’লে পূর্ণ করার পর তাশাহহুদের বৈঠক শেষ করে দু’টি সিজদা দিতে হবে। রাক‘আত বেশী হ’লে সালাম ফিরানোর পরে হোক অথব
উত্তরঃ এটি কোন হাদীছ নয়।
উত্তরঃ আল্লাহ ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল এবং সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। ব্যবসা-বাণিজ্যের কয়েকটি মূলনীতি হচ্ছে- (১) সূদ না থাকা। কেননা তা হারাম (বাক্বারাহ ২৭৮-৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূদ গ্রহীতা, সূদ দাতা, সূদের লেখক ও তার সাক্ষীদ্বয়কে অভিসম্পাত ক
উত্তরঃ বসার পূর্বে দু’রাক‘আত তাহিয়াতুল মাসজিদ আদায় না করে বসা সুন্নাত বিরোধী কাজ। এরূপ যারা করেন তারা সুন্নাত বিরোধী আমল করেন। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসতে নিষেধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪)।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মেয়ে শিশুর বেলায় এরূপ করতে বলেছেন। এজন্য ধৌত না করলে পবিত্র হয় না। কারণ কি তা জানা যাক বা না যাক রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরূপ করতে বলেছেন তাই করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিমের আক্বীদাহ এরূপই হওয়া উচিত। তবে ইসলাম ধর্মের কোন কিছুই
উত্তরঃ তাহাজ্জুদ ছালাত আলোতে বা অন্ধকারে যে কোন অবস্থায় আদায় করা যায়। তবে কারো যদি অন্ধকারে তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করার মধ্যে আল্লাহ্ভীতি বেশী আসে তাহ’লে তার জন্য অন্ধকারে ছালাত আদায় করাই উত্তম। কিন্তু হাদীছে আলো ও অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্য কর
উত্তরঃ জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য অস্ত্রোপচার করানো গুনাহের কাজ। কিন্তু এ গুনাহের কারণে কেউ অমুসলিম হয় না। অতএব প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যক্তি যেহেতু একজন মুসলিম সেহেতু তার পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি অধিকাংশ মুছল্লী শরী‘আত সম
উত্তরঃ প্রশ্নোল্লেখিত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা রক্ত মানুষের ভাল মন্দ করার কোন ক্ষমতা রাখে না। এটি সম্পূর্ণ আল্লাহর এখতিয়ারে।
উত্তরঃ কোন অমুসলিম যদি সালাম দেয় তাহ’লে তার উত্তরে শুধুমাত্র ‘ওয়া‘আলায়কা’ অথবা ‘ওয়া‘আলায়কুম’ বলতে হবে (বুখারী ‘কিতাবুল ইসতিযান’ হা/৬২৫৭, ‘কিতাবু ইসতিতাবাতুল মুরতাদ্দীন’ হা/৬৯২৮; মুসলিম হা/২১৬৪; ছহীহ আবূদাঊদ হা/৫২০৬; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৬৯৭)।
উত্তরঃ কোন ফরয ছিয়ামের দিন পড়ে না গেলে নফল হিসাবে নির্দিষ্ট করে শুধুমাত্র জুম‘আর দিবসে ছিয়াম রাখা যাবে না (ছহীহ আবূদাঊদ হা/২৪২১; ছহীহ তিরমিযী হা/৭৪৪)। তবে জুম‘আর দিনের আগে অথবা পরে মিলিয়ে যদি রাখা হয় তাহ’লে দোষ নেই (বুখারী ‘কিতাবুছ ছাওম হা/১৯৮৫; মুসল
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির নিকট কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। রোগী যদি এরূপ অবস্থায় থাকেন যে, তিনি কুরআন শুনতে চাচ্ছেন। তাহ’লে তার নিকট কুরআন পাঠ করলে তিনি এর দ্বারা উপকৃত হবেন। আর যদি তা
উত্তরঃ জুম‘আর খুৎবা দু’টি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন এবং মাঝে বসতেন। অতঃপর বসা থেকে উঠে দ্বিতীয় খুৎবা দিতেন (বুখারী ‘কিতাবুল জুম‘আ’ হা/৯২৮; মুসলিম ‘জুম‘আ’ হা/৮৬১; আবূদাঊদ হা/১০৯২)। খুৎবার পূর্বে বয়ান করার সমর্থনে কোন হাদীছ নেই। রাসূলুল্
উত্তরঃ কাদিয়ানীরা যেহেতু নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে সর্বশেষ নবী হিসাবে স্বীকার করে না, সেহেতু তারা মুসলিম নয়, কাফির। কাফিরদের সাথে যেমন সম্পর্ক রাখা যায় না, অনুরূপভাবে তাদের সাথেও সম্পর্ক গড়া যাবে না (নিসা ৪/১৪৪, মায়েদা ৫/৫১, ৫৭)। যে তাদের সাথে বন্
উত্তরঃ বিষয়টি সুস্থ-সবল আর বৃদ্ধ হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত নয়। বিষয়টি শরী‘আতের সাথে সম্পৃক্ত। লাঠি নিয়ে খুৎবা দেয়া সুন্নাত (ছহীহ আবূদাঊদ হা/১০৯৬, হাদীছটিকে ইবনু হাজার ও শায়খ আলবানী হাসান বলেছেন এবং ইবনুস সাকান ও ইবনু খুযায়মাহ ছহীহ বলেছেন)।
উত্তরঃ এ সময় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করার সুযোগ থাকলে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে বসবেন। যদি ছালাত আদায় করার সুযোগ না থাকে তাহ’লে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবেন। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসতে নিষেধ করেছেন (বুখারী, ‘কিতাবুছ ছালাত’ হা/
উত্তরঃ কোন শরী‘আত সম্মত কারণে গোসল করতে অপারগ হ’লে অথবা গোসল করার মত পানি না থাকলে যদি ওযূ করার সমান পানি থাকে তাহ’লে ওযূই করবে। আর যদি মোটেও পানি না থাকে তাহ’লে শুধু তায়াম্মুম করবে। আয়াতের বিধানটি পানি না থাকার ক্ষেত্রে। আর আয়াতে শুধুমাত্র গ
উত্তরঃ আবূ মাহযূরাহ্ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে আযানের নিয়ম শিখিয়ে দিন। ... তিনি তাকে আযানের শব্দগুলো শিখিয়ে দেন এবং বলেন, যদি সকালের ছালাত হয় তাহ’লে তুমি বলবে, ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান্ নাঊম, আছ-ছালাতু খাইরুম মিনান
উত্তরঃ ছহীহ বুখারীতে নাফে‘-এর সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে ঈদের ছালাতের পূর্বে ছাদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে (বুখারী, হা/১৫১১ ‘যাকাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৭৭)। কিন্তু পরবর্তী অনুচ্ছেদে নাফে‘ (রাঃ) ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে ছাদাক্বাতুল ফিতর সং
উত্তরঃ মহিলাদের জন্য পুরুষ থেকে পর্দা করা ফরয (নূর ৩১)। বাড়ী যদি চারিদিকে পর্দাঘেরা হয় এবং সেখানে বেগানা পুরষ না থাকে কিংবা তারা যথেচ্ছ যাতায়াত না করে, তাহ’লে মাথা খোলা থাকলে কোন অসুবিধা নেই এবং এজন্য গোনাহ হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যেন তাদের
উত্তরঃ যিনা বিভিন্ন প্রকার হ’তে পারে। নিজের স্ত্রী বা দাসী ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করাকে যৌনাঙ্গের যিনা বলে। এছাড়া চোখের যেনা হচ্ছে মাহরাম ব্যতীত অন্য মহিলার দিকে কামনার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। মুখের বা জিহবার যেনা হচ্ছে কামভাবে
উত্তরঃ মানুষ একান্ত বাধ্য হয়েই অপারেশন বা অস্ত্রোপচার করিয়ে থাকে। সুতরাং কোন রোগের জন্য কিংবা সন্তান প্রসবকালে জটিলতার কারণে অপারেশন করালে এবং এজন্য মৃত্যুবরণ করলে ঐ মহিলার কাছে যাওয়া বা ধরা-ছোঁয়া যাবে না মর্মে প
উত্তরঃ তিনি নূরের তৈরী ছিলেন না; বরং তিনি মাটির মানুষ ছিলেন। সূরা মায়েদার ১৫নং আয়াতের শেষাংশের অনুবাদ হচ্ছে ‘তোমাদের কাছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’। এ আয়াতে نُوْرٌ (নূর)-এর ব্যাখ্যা স্বরূপ এসেছে وَكِتَابٌ مُبِيْنٌ (
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, প্রথম আঘাতে টিকটিকি মারতে পারলে ১০০ নেকী, দ্বিতীয় আঘাতে তার চেয়ে কম, তৃতীয় আঘাতে মারতে পারলে তার চেয়েও কম নেকী পাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১২১)। এর কারণ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, টিকটিকি ইবর
উত্তরঃ উক্ত দো‘আটি ৪ প্রকার সংকট থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর নিকটে আশ্রয় ভিক্ষার জন্য বলা হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৪৫৭)। তন্মধ্যে একটি হ’ল ‘সূইল ক্বাযায়ে’ যার অর্থ ‘মন্দভাগ্য’। ভাগ্য বিধাতা আল্লাহ ইচ্ছা করলে ভাগ্যে যেকোন পরিবর্তন আনতে পা
উত্তরঃ যে ব্যক্তি অন্য সব দ্বীন থেকে বিমুখ হয়ে সত্য দ্বীনের দিকে অগ্রসর হয় তাকেই হানীফ বলে। আবার একনিষ্ঠ এবং এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে এমন ব্যক্তিকেও হানীফ বলে। এছাড়া আল্লাহর নির্দেশাবলী মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে যে নিজেকে সমর্পণ করে তাকেইও হান
উত্তরঃ এভাবে জমি ওয়াকফ্ হবে না। ওয়াকফকারীর শুধু অভিভাকত্ব চলবে। এছাড়া আর কোন শর্ত চলবে না। বিশেষভাবে মসজিদের নামে যা ওয়াকফ্ করা হয় তা শুধু মসজিদের কাজেই ব্যয় করতে হবে। কোন মসজিদ অনাবাদ হলে বা মসজিদের সম্পদ ব্যয় করার খাত না থাকলে অন্য মস
উত্তরঃ সামাজিক স্বার্থে মসজিদে খাটিয়া রাখা যায়। এর দ্বারা মৃত্যুকে স্মরণ হয়। যেহেতু মসজিদে খাওয়া-দাওয়া, অবস্থান করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সেহেতু খাটিয়া রাখা যেতে পারে (ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৩০০; বুখারী হা/৪৪০)। তবে মসজিদের পবিত্রতা ও মর্যাদা
উত্তরঃ মসজিদের মেহরাব বা দেওয়ালে উক্ত বাক্য কিংবা পবিত্র কুরআনের কোন আয়াত লেখা যাবে না। অনুরূপভাবে কারুকার্য খচিত টাইল্সও বসানো যাবে না। এগুলো ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/’৭৫৭-৫৯)।
উত্তরঃ ইসলামে মুমিন ব্যক্তির মৃত দেহকে অতীব সম্মান দান করা হয়েছে (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৭০৩)। তার মৃত দেহকে সযত্নে সাবান-পানি দিয়ে গোসল করিয়ে সুগন্ধি মাখিয়ে পরিষ্কার কাপড়ে কাফন পরিয়ে তার পরকালীন মুক্তির জন্য সমবেত ভাবে জানাযার ছালাতের মাধ্
উত্তরঃ উক্ত আমল শরী‘আত সম্মত নয়। দৈহিক ইবাদত অন্যকে বখশানো যায় না। যেমন একজনের ছালাত অন্যজনের হয় না। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘একজনের ছওম অন্যজনে বা একজনের ছালাত অন্যজনে আদায় করতে পারে না’ (মুওয়াত্ত্বা, বায়হাক্বী সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২০৩৫ ‘ছওম’ অধ্য
উত্তরঃ জানাযা ব্যতীত অন্য যা কিছু করা হবে, তা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। জাহেলী যুগে মৃতের জন্য শোক প্রকাশ ও বেশী করে কান্নাকাটির জন্য ভাড়াটিয়া লোক পাওয়া যেত। যে মৃতের জন্য যতবেশী লোক কাঁদতো, সে মৃত ব্যক্তি তত বেশী সম্মানিত বলে গণ্য হ’ত। ইসলাম এ
উত্তরঃ উক্ত হাদীছটি যঈফ (যঈফ তিরমিযী হা/৩৬০৪; যঈফাহ হা/১৩৬২)। তবে আল্লাহর কাছে সর্বদা চাইতে হবে অন্যথা তিনি বান্দার উপর রাগান্বিত হন। আর আল্লাহর কাছে চাওয়া অধিক মর্যাদাকর বিষয় (তিরমিযী হা/৩৩৩৬, ৩৩৭০; মিশকাত হা/২২৩২)।
উত্তরঃ মাইয়েতের কপালে সুগন্ধি দ্বারা আল্লাহ ও মুহাম্মাদ লেখার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। এগুলো বিদ‘আত বা কুসংস্কার। মৃতকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অসংখ্য বিদ‘আত সমাজে চালু আছে। এগুলো থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ১২৭-১২
উত্তরঃ দেওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ঘুমানোর সময় চোখে ‘ইছমাদ’ সুরমা লাগাও। এতে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং ভ্রুতে নতুন লোম গজায়’ (ইবনু মাজাহ, হাকেম, আহমাদ, ইবনু হিববান, ছাহীহাহ হা/৭২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০৫৪)।
উত্তরঃ মহিলারা মসজিদের ছাদে থাকলে ছাদে মাইক ব্যবহার করতে পারে। তবে পাড়া-প্রতিবেশী মহিলাদেরকে জুম‘আর খুৎবা শুনানোর জন্য মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ তারা অমনোযোগী থাকে। আর এমন অবস্থায় কাউকে কুরআন-হাদীছ শুনানো ঠিক নয়। ইকরিমা থেকে বর্ণিত, ইবনু
উত্তরঃ কুরআন ভুলে যাওয়া বড়ই মন্দ কাজ। চেষ্টা সত্ত্বেও যদি ভুলে যায়, তবে সে গুনাহগার হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কুরআনের প্রতি যথাযথ দৃষ্টি রাখ। আল্লাহর কসম! উট যেমন বাঁধন হ’তে ছুটে চলে যায়, ‘কুরআন তার চেয়ে বেশী দ্রুত চলে যায়’ (বুখা
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এছাড়া ইমাম ছাহেব এক ওযূতে ফজর পড়েছেন ৪০ বছর যাবৎ (২) তিনি প্রতি রাক‘আতে এক খতম কুরআন পড়তেন (৩) প্রতি রাতে এশার হাযার রাক‘আত ছালাত পড়তেন (৪) যে স্থানে তাঁর মৃত্যু হয়, সে স্থানে তিনি সাত হাযার বার কুরআন খ
উত্তরঃ মা হাওয়া নাকে নাকফুল ব্যবহার করেছেন কিনা তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। রাসূল (ছাঃ) সব কাজ ডান দিক থেকে করতেন বলতে এই অর্থ নয় যে, নাকের ডান দিকে নাকফুল দিতে হবে; বরং সুবিধা অনুযায়ী দিবে। রাসূল (ছাঃ) ডান হাতে আংটি পরতেন। প্রয়োজনে কখনো বাম
উত্তরঃ বদ নযর থেকে রক্ষার জন্য উক্ত টিপ দিলে সেটা শিরকের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। বদ নযর লাগলে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ঝাড়-ফুঁক দিতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫২৬, ৪৫২৮)।
উত্তরঃ উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১০০৪; ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৫৮৮)।
উত্তরঃ ঐ ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ উক্ত ছালাত ওয়াক্তের অনেক পূর্বেই আদায় করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করতে বলেছেন (নিসা ১০৩)। রাসূল (ছাঃ)ও নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন (মুসলিম হা/২৩৯)।
উত্তরঃ বৈধ হবে না। ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয হওয়ার শর্ত হচ্ছে স্থান এক হতে হবে, কাতারগুলোকে মিলিতভাবে হ’তে হবে এবং ইমাম সম্মুখে থাকবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৩৬-৩৮)।
উত্তরঃ হীনকর কোন শব্দে পিতা-মাতাকে ডাকা যাবে না। উক্ত শব্দ দু’টি সাধারণতঃ অসম্মানজনক সম্বোধনে ব্যবহার করা হয়। অতএব এ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। তবে ঐসব সম্বোধনে যদি পিতা-মাতা খুশী হন, তবে বলা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা পিতা-মাতার সাথে সুন্দর কথা ও উত্তম
উত্তরঃ তার ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। কেননা হজ্জের জন্য সক্ষমতা শর্ত (আলে ইমরান ৯৭)। হজ্জের যাবতীয় খরচ সরকারের পক্ষ থেকে তার নামে বরাদ্দ করা হয়। আর তখন তিনি সেই সম্পদের মালিক হয়ে যান। অবশ্য সক্ষম মুসলিম ব্যক্তির জন্য নিজের উপার্জিত পবিত্র সম্পদ দ্ব
উত্তরঃ এ সব দরূদ বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন।
উত্তরঃ ওমর, ইবনু ওমর, আনাস ও অন্যান্য ছাহাবী থেকে ছহীহ মওকূফ সূত্রে হাত উঠানোর প্রমাণ পাওয়া যায় (মির‘আত ৫/৫৩-৫৪; ইরওয়াউল গালীল ৩/১১৩)।
উত্তরঃ যরূরী কারণে এক কবরে একাধিক লাশ রাখা যায়। নবী করীম (ছাঃ) ওহোদ যুদ্ধে শহীদ হওয়া ছাহাবীগণের একাধিক লাশ এক এক কবরে রেখেছিলেন (বুখারী হা/১৬০ ও ১৬৯)।
উত্তরঃ খাসী করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাসী করা ছাগল কুরবানী করেছেন (ছহীহ্ ইবনু মাজাহ্ হা/৩১২২; মিশকাত হা/১৪৬১)। যে হাদীছে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে (বায়হাক্বী, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৬০) সে সম্পর্কে ইমাম নববী বলেন, সেগুলি হারাম পশুর বেলায় প্রযোজ্য (দ্র
উত্তরঃ ইক্বামতের উত্তর দিতে হবে। কারণ আযান ও ইক্বামত দু’টিকেই হাদীছে আযান বলা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৬২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও অনুরূপ বল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭; আলোচনা দ্রঃ আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা)। অতএ
উত্তরঃ মসজিদের জন্য মানত করে থাকলে মসজিদেই দিতে হবে। কারণ মসজিদের জমি মসজিদের স্বার্থে ব্যবহার করাই উত্তম। তবে জমিটি মসজিদের জন্য তেমন কোন কাজে না আসলে উপকারিতার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যদি কবরস্থানের জন্য বেশী উপকার বিবেচিত হয়, তাহ’লে সেখানে দ
উত্তরঃ অন্যান্য ছালাতের ন্যায় জানাযার ছালাতেও উভয় দিকে সালাম ফিরানোর ছহীহ হাদীছ রয়েছে। আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, লোকেরা তিনটি কাজ ছেড়ে দিয়েছে, যেগুলো রাসূল (ছাঃ) করতেন। তার একটি হচ্ছে, জানাযার ছালাতের সালাম অন্যান্য ছালাতের ন্যায় হ
উত্তরঃ সর্বনিম্ন দু’জন অর্থাৎ ইমামের সাথে মাত্র একজন মুছল্লী থাকলে জুম‘আর ছালাত কায়েম করা যাবে (মির‘আত ৪/৪৪৯-৫০)। কারণ জুম‘আর ছালাত অন্যান্য ফরয ছালাতের ন্যায় একটি ফরয ছালাত। আর ইমামের সাথে সর্বনিম্ন একজন থাকলেই জামা‘আতের ছওয়াব অর্জিত হয়। মূলতঃ
উত্তরঃ বর্ণনাটি যঈফ (যঈফুল জামে‘ হা/২৬৪১; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫৯২)।
উত্তরঃ মানুষ মারা যাওয়ার পর কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) মারা গেলে তাঁকে একটি সূতী কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬২০ ‘জানাযা’ অধ্যায়)।
উত্তরঃ ইদ্দতের সময়কাল চার মাস দশ দিন। তবে গর্ভবতী থাকলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২২৯-৩১; সূরা তালাক ৪; ফিক্বহুস সুন্নাহ ‘ইদ্দত’ অনুচ্ছেদ)। এ সময় স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করবে। একান্ত যরূরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবে
উত্তরঃ তার উক্ত বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। সে ব্যভিচারী এবং মহাপাপী। কিন্তু সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়নি। অতএব পিতার সম্পত্তি পেতে তার বাধা নেই। পিতার বাড়িতেও তার অংশ রয়েছে। তবে সে যেহেতু শরী‘আত বিরোধী কর্মের সাথে জড়িত হয়েছে অতএব তওবা ব্যতীত তার গোনা
উত্তরঃ পুরুষ বা মহিলা কারো জন্যই জুম‘আ মসজিদ ছাড়া বাড়ীতে ই‘তিকাফ করা সিদ্ধ নয় (বাক্বারাহ্ ১৮৭; আবুদাউদ, মিশকাত হা/২১০৬ ‘ইতিকাফ’ অনুচ্ছেদ)। মহিলাদের জন্য মসজিদে পৃথক জায়গা থাকলে এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে কোন জুম‘আ মসজিদে গিয়ে ই‘তিকাফ করতে
উত্তরঃ দাতা খেতে পারবে না। কারণ ছাদাক্বা গরীব-মিসকীনদের হক্ব। তাদের মাঝেই তা বণ্টন করে দিতে হবে (তওবা ৬০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৪)।
উত্তরঃ মহিলারা ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য এবং কিশোরী ও যুবতীরা ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের উদ্দেশ্যে টেলিভিশনের পর্দায় উপস্থিত হ’তে পারবে না। কারণ এরূপ অংশগ্রহণের দ্বারা বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়, যা প্রকাশ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ (নূর ৩
উত্তরঃ জানাযা করে দাফন করাই সুন্নাত (আবুদাউদ হা/৩১৮০; মিশকাত হা/১৬৬৭)। কিন্তু বাধ্যগত কারণে জানাযা করতে না পারলে পরে যথাসম্ভব দ্রুত জানাযা করা যায় (ইরওয়া ৩/১৮৬)।
উত্তরঃ জিনদের মধ্যে যারা শয়তান তারা মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা সেই মহিলার কাছে প্রবেশ করো না যার স্বামী অনুপস্থিত রয়েছে। কারণ তোমাদের যে কারো মধ্যে শয়তান প্রবেশ করতে পারে রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার ন্যা
উত্তরঃ কবরস্থানের উপর ঘর-বাড়ি, টয়লেট নির্মাণ করে বসবাস করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তির আগুনের টুকরার উপরে বসা এবং সে টুকরাটা তার কাপড়কে পুড়িয়ে তার চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া তার জন্য বেশী উত্তম হবে কবরের উপর বসা
উত্তরঃ যে রাসূলের উপর উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে, সেই রাসূলই বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি বুনিয়াদের উপর দন্ডায়মান : কলেমা, ছালাত, যাকাত, ছিয়াম ও হজ্জ’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪)। তাছাড়া জিব্রীল নিজে এসে ছাহাবীদের মজলিসে ইসলামের ঐ পাঁচটি ফরযের কথা
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য একটি জাল হাদীছের অংশ বিশেষ (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮০)।
উত্তরঃ শুধু পাপের কারণে মানুষের অসুখ-বিসুখ হয় না, বরং পরীক্ষা স্বরূপও হ’তে পারে (বাক্বারাহ ১৫৫)। শিশুদের অসুখের বিষয়টি পিতা-মাতার পাপ মোচনের জন্যও হ’তে পারে কিংবা তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যও হ’তে পারে। আর এই পরীক্ষা ও উপদেশ পিতা-মাতা, সমাজনেতা,
উত্তরঃ উক্ত কথা সত্য। নাফে‘ (রাঃ) বলেন, একদা ইবনু ওমর বাজনা শুনে দু’কানে আঙ্গুল দিলেন এবং রাস্তা থেকে দূরে সরে গেলেন। অতঃপর আমাকে বললেন, নাফে তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ কি? আমি বললাম না। তখন তিনি আঙ্গুল কান থেকে সরালেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূলুল্লা
উত্তরঃ মানুষ যত দিন খুশী নিজ খোরাকির খাদ্য জমা করে রাখতে পারে। রাসূলুলাহ (ছাঃ)-এর পরিবারে এক বছরের খাদ্য জমা করে রাখা হ’ত। তবে সমাজে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির কপট উদ্দেশ্য হ’লে ঐ ব্যক্তি গোনাহগার হবে (মুসলিম হা/১৬০৫; মিশকাত হা/২৮৯২)।
উত্তরঃ যেসব কারণে ওযূ নষ্ট হয় হাঁটুর উপর কাপড় উঠে যাওয়া তার অন্তর্ভুক্ত নয় (দ্রঃ মিশকাত, ‘যার ফলে ওযূ ওয়াজিব হয়’ অনুচ্ছেদ হা/৩০০-৩৩৩)।
উত্তরঃ খাওয়ার পর পঠিতব্য বেশ কয়েকটি দো‘আ ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি হ’ল, اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা ফীহি ওয়া আত্বইমনা খয়রাম মিনহু (তিরমিযী হা/৩৪৫৫)।
উত্তরঃ কোন কিছুকেই আল্লাহ বাতিল সৃষ্টি করেননি (আলে ইমরান ৩/১৯১)। সমস্ত প্রাণীকেই আল্লাহ তাসবীহ পাঠ করার জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং সব প্রাণীর মধ্যেই মানুষের জন্য উপদেশ রয়েছে। আসমান-যমীনে এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে (ইসরা ৪৪
উত্তরঃ পিতার পাপ ছেলের উপর বর্তাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, মানুষ যা কর্ম করে তার ফল তার উপর বর্তায়। একজনের পাপের বোঝা অন্য জনের উপর বর্তাবে না’ (আন‘আম ১৬৪)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, প্রত্যেক মানুষ তার কর্মের সাথে আবদ্ধ (মুদ্দাছছির ৩৮)। তবে ছেলের উচিত
উত্তরঃ তালবিয়াহ সহ বিশেষ কয়েকটি দো‘আ ব্যতীত হজ্জের সময় বাকী যেসব দো‘আ ও তাসবীহ, তাহলীল পাঠ করা হয় তা বাড়ীতেও পড়া যায়। বিশেষভাবে রুকনে ইয়ামানী থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত যে দো‘আটি পড়া হয় তা সর্বদা পড়া যাবে (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১৮৯২, সনদ হাসান; মিশকাত
উত্তরঃ এ সময় সে পূর্ণ মুমিন থাকে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন কোন মানুষ যেনা করে তখন ঈমান তার থেকে বের হয়ে যায় এবং তার মাথার উপর ছায়ার মত হয়ে থাকে। যখন সে এ কাজ থেকে বিরত হয় তখন ঈমান তার কাছে ফিরে আসে’ (আবুদাঊদ,
উত্তরঃ হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি তাক্বদীরের উপর নির্ভর করে এবং এটি একমাত্র আল্লাহর যিম্মায় রয়েছে। তিনি যাকে চান হেদায়াত দেন (ক্বাছাছ ৫৬)। উক্ত ছাহাবীগণ যালেম ছিলেন না। তাঁদের দ্বন্দ্ব ছিল ধর্ম নিয়ে। তাঁরা নিজেদেরকে সঠিক ধর্মের অধিকারী মনে করতেন।
উত্তরঃ জুম‘আর ছালাতের শেষ রাক‘আতের রুকূ পেলে রাক‘আত হবে। আর রুকূ না পেলে চার রাক‘আত যোহরের ছালাত আদায় করবে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আপনি জুম‘আর এক রাক‘আত পেলে অপর রাক‘আত মিলিয়ে নিন। তবে রুকূ না পেলে চার রাক‘আত পড়ুন (বায়হাক্বী, ইরওয়া হ
উত্তরঃ বৃষ্টির কারণে যোহর ও আছর এক সাথে আদায় করা যায়। ছাহাবীগণ বৃষ্টির কারণে মাগরিব ও এশার ছালাত জমা করতেন (মুওয়াত্ত্বা, বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/৫৮৩, ৩/৪১ পৃঃ)। তাছাড়া মুক্বীম অবস্থাতে বিনা ক্বছরে দু’ ওয়াক্তের ছালাত একত্রে জমা করা যায় (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১২
উত্তরঃ উক্ত অনুবাদটি ভুল হয়েছে। বক্তব্যটি মূলতঃ মূসা (আঃ)-এর। মেরাজের সময় ৬ষ্ঠ আসমানে শেষনবীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি কেঁদে বলেছিলেন, আমার পরে এমন একজন ছেলেকে নবী করে পাঠানো হবে যার উম্মত আমার উম্মত অপেক্ষা অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে .
উত্তরঃ বীমার ধারণাটাই ইসলামী অর্থনীতির বিরোধী এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনুসঙ্গ। ইসলামী শরী‘আতে ব্যবসা-বাণিজ্য মাত্র দু’ধরনেরঃ (১) মুশারাকা- অংশহারে ব্যবসা (আবুদাঊদ, ইরওয়া হা/১৪৬৮)। (২) মুযারাবা- এক জনের অর্থ এবং অপর জনের ব্যবসা। লাভ চুক্তি অনুযা
উত্তরঃ লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে বন্ধক রাখা যাবে না। কারণ কর্যের লাভ ভোগ করা সূদ। ছাহাবীগণ এমন কর্য নিষেধ করতেন যা লাভ বহন করে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। তবে টাকার বিনিময়ে জমি ভাড়া (লীজ) নেয়া জায়েয (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৭৪
উত্তরঃ কোন অমুসলিমকে দাফন করার কেউ না থাকলে মুসলিমগণ তাকে দাফন করতে পারে। আলী (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-কে বলেন, আপনার পথভ্রষ্ট চাচা মারা গেছেন। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি তাকে নিয়ে গিয়ে মাটিতে ঢেকে দাও’ (আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইরওয়া হা/৭১৭)। তবে মুসলিম
উত্তরঃ ৬ ভরি স্বর্ণের যাকাত দিতে হবে না। কারণ স্বর্ণের নিছাব হচ্ছে বিশ মিছক্বাল বা সাড়ে সাত ভরি (দারাকুৎনী, ইরওয়াউল গালীল হা/৮১৫)।
উত্তরঃ ছালাতুত তাসবীহ পড়ার প্রমাণে বর্ণিত হাদীছগুলি জাল। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত নেই। ইমাম আবু হানীফা, মালিক ও শাফেঈ (রহঃ) ছালাতুত তাসবীহ সম্পর্কে জানতেন না (ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, পৃঃ ৩৬৩, মাসআলা নং ২৯৩)।
উত্তরঃ এভাবে শর্তযুক্ত ধার দিয়ে লভ্যাংশ গ্রহণ করা যুলুমের অন্তর্ভুক্ত। এটা ব্যবসার মধ্যে পড়ে না। আর ঋণ গ্রহীতা সন্তুষ্টিতে এরূপ বিনিময় প্রদান করে না, বরং নিরূপায় হয়ে করে থাকে। এরূপ করা শারী‘আত সম্মত নয় (নিসা ২৯)। উবাই ইবনু কা‘ব, আব্দুল্লাহ ইবনু
উত্তরঃ এর কোন দলীল নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যে সময়ে ঈদের ছালাত আদায় করতেন সে সময়ে আদায় করলে সামিয়ানার প্রয়োজন হয় না। কারণ তিনি ঈদুল আযহায় সূর্য এক ‘নেযা’ বা সাড়ে ৬ হাত উপরে উঠার পরে এবং ঈদুল ফিতরে দুই ‘নেযা’ উপরে উঠলে ঈদের ছালাত শুরু করতেন (আবু
উত্তরঃ বর্তমানে আমাদের নিকট যেভাবে কুরআন লিখিত আছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর সময় সেভাবেই বহু ছাহাবীগণের স্মৃতিতে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ ছিল। অনেক ছাহাবীর নিকট কুরআনের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন বস্ত্ততে লিপিবদ্ধ ছিল। প্রথম খলীফা আবুবকর (রাঃ)-এর সম
উত্তরঃ কুরআনে মা হাওয়ার সৃষ্টির বিবরণ দেয়া হয়নি। তবে আদম থেকেই যে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে তা বলে দেয়া হয়েছে (নিসা ১; রূম ২১)। হাদীছে এসেছে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে আদমের পাঁজরের হাড় থেকে (বুখারী হা/৩৩৩১)। এর চেয়ে বেশী কিছু বর্ণিত হয়নি।
উত্তরঃ খাওয়া যাবে। নাপাক অবস্থায় থাকাটা খাদ্য নাপাক হওয়ার প্রমাণ বহন করে না।
উত্তরঃ বিনা কারণে লাগাতার এরূপ করলে ছালাত নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা এর ফলে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হয়। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সেসব ঈমানদার মুক্তি পেয়ে গেছে, যারা নিজেদের ছালাতে একান্তভাবে বিনয়াবনত হয়’ (মু’মিনূন ১-২)। অতএব একান্ত প্রয়োজনে মা
উত্তরঃ শামিল হতে পারবে। তার জন্য দ্বিতীয় ছালাত নফল হিসাবে গণ্য হবে (ছহীহ্ আবুদাঊদ হা/৫৭৪; আলবানী, মিশকাত হা/১১৪৬, সনদ ছহীহ)।
উত্তরঃ সর্বদা এভাবে নির্দিষ্ট করে পড়া সুন্নাতী তরীকা নয়। নবী করীম (ছাঃ) সর্বদা এরূপ করেননি। অন্য এক হাদীছে এসেছে, তিনি একবার ফজরের দু’রাক‘আতেই একই সূরা (সূরা যিলযাল) পাঠ করেছিলেন (ছহীহ্ আবুদাঊদ হ/৮১৬)।
উত্তরঃ উক্ত পাপগুলো আযাব নাযিল হওয়ার কারণ হতে পারে। কিন্তু এলাহী গযব নাযিলের বিধি এটা নয় যে, কেউ অন্যায় করার সাথে সাথে আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন। বরং তিনি তাকে তওবা করার অবকাশ দেন। তওবা না করলে প্রথমে ছোট ছোট আযাব দিয়ে তাকে হুঁশিয়ার করেন। এরপরে
উত্তরঃ ময়লা বলতে যদি অপবিত্র কিছু থাকে তাহলে সেখানে ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ ছালাত আদায় করার জন্য স্থান পবিত্র হওয়া শর্ত। আর অন্য কোন ময়লা বা কষ্টদায়ক কিছু থাকলে যেমন কংকর ইত্যাদি সরানো যাবে মাত্র একবার (বুখারী হা/৩৮৫, ১২০৮; মুসলিম হা/৬২০)।
উত্তরঃ কুরআনের মোট আয়াত সংখ্যা কত সে সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাওয়া যায় না। এ জন্য আয়াত সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে। কেউ হয়ত কোন এক আয়াতকে দু’আয়াত হিসাবে গণনা করেছেন আবার কেউ এক আয়াত হিসাবে গণ্য করেছেন। আয়াতের সংখ্যা যায় হোক
উত্তরঃ যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৬)। তবে কবরের উপরে উঠা যাবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৭)। বরং জানাযার ছালাতের সময় বিনা কারণে জুতা খুলে রাখলে অথবা খুলে তার উপর দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করার বিষয়টি ভিত্তিহীন প্রথা মাত্র।
উত্তরঃ আযান দিয়ে ছালাত আদায় করতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন ছালাতের সময়ে উপস্থিত হবে তখন তোমাদের কেউ যেন আযান দেয় এবং তোমাদের মধ্যের বড় ব্যক্তি যেন ইমামতি করে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮৩)। দুইজন ব্যক্তি সফরে গেলেও তাদের রাসূলুল্লাহ (ছ
উত্তরঃ রামাযান মাসে লাইলাতুল ক্বদরে কুরআন নাযিল শুরু হয়েছে (বাক্বারাহ ১৮৫; ক্বদর ১)। অতঃপর প্রয়োজন মাফিক ২৩ বছরে নাযিল শেষ হয়েছে।
উত্তরঃ পুনরায় বিতর পড়তে হবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক রাতে দু’বিত্র নেই’ (ছহীহ্ তিরমিযী হা/৪৭০; ছহীহ্ আবুদাঊদ হা/১৪৩৯)। তবে যিনি তাহা্জ্জুদের ছালাত নিয়মিত আদায় করেন তিনি প্রথম রাতে বিত্র আদায় না করে তাহাজ্জুদ শেষে বিত্র আদায় করবেন (মুসলি
উত্তরঃ মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে বাম কাতে ফেলে যবহ করবে। তখন যবহকারী ক্বিবলামুখী হবে (সুবুলুস সালাম ৪/১৭৭ পৃঃ; মির‘আত ২/৩৫১)। উল্লেখ্য, এ সময় ক্বিবলামুখী হওয়া ও ক্বিবলামুখী করা যরূরী নয়। তবে ক্বিবলামুখী হয়ে এবং পশুকে ক্বিবলামুখী করে যবেহ্ করা উত্তম।
উত্তরঃ রাসূলের প্রতিটি সুন্নাতই আমলযোগ্য। তাতে নেকী আছে। অবজ্ঞা করলে গোনাহ হবে। এতে সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা বা গায়ের মুওয়াক্কাদা কোন প্রভেদ নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, (একাগ্রতা ও সুন্নাত অনুযায়ী যথাযথভাবে না হওয়ার কারণে) ... খুব নগণ্য সংখ্যক ল
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘বা‘ইদ বায়নী (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮১২) ও ‘সুবহানাকা... দু’টিই পড়েছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৮১৫)। দ্বিতীয়টির সনদে কিছু বিতর্ক রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাতের নফল ছালাতে ‘সুবহা-নাকা...’
উত্তরঃ এরূপ ছাগল কুরবানী করা ও তার গোশ্ত খাওয়া যাবে। কারণ হিজড়া হওয়া না হওয়া হালাল হারামের মাপকাঠি নয়। ইসলামে ছাগলের গোশ্ত খাওয়া হালাল (ছহীহ তিরমিযী হা/১৫০৫)।
উত্তরঃ টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া শর্ত সাপেক্ষে জায়েয হতে পারে। কেবলমাত্র স্বামীর বীর্যই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্ত্রীর রেহেমে দেয়ার নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা থাকলে, ডাক্তার সততার সাথে তা সম্পন্ন করলে, কোন প্রকার প্রতারণার আশ্রয় না নিলে
উত্তরঃ এ মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তাছাড়া সব সত্য কথাই তিতা এমন কথাও সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সত্য কথা বল যদিও তা তিতা হয়’ (আহমাদ, মিশকাত হা/৫২৫৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৬৬)।
উত্তরঃ দাজ্জালকে ঈসা (আঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নিকটবর্তী ‘লুদ্দ’ নামক শহরের প্রধান ফটকে হত্যা করবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫)।
উত্তরঃ মসজিদে জায়গা সংকুলান না হ’লে ঈদের মাঠ সহ যেকোন পবিত্র স্থানে ছালাত আদায় করা যাবে। ঈদের মাঠে ঈদের ছালাত ছাড়া অন্য ছালাত হবে না এই ধারণা সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সমগ্র যমীনকে আমার জন্য পবিত্র স্থান এবং মসজিদ বানিয়ে দেয়া হয়েছে’ (
উত্তরঃ উক্ত কথা দলীলবিহীন।
উত্তরঃ গোনাহ্ হ’তে মুক্তি লাভের আশায় পাপগুলো স্মরণ করে আল্লাহর নিকট একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করবে (তাহরীম ৮)। তবে তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে (১) একমাত্র আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই তওবা হ’তে হবে। (২) কৃত গোনা
উত্তরঃ দাজ্জালকে ঈসা (আঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নিকটবর্তী ‘লুদ্দ’ নামক শহরের প্রধান ফটকে হত্যা করবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭৫)।
উত্তরঃ আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ উদ্বোধন করার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। মসজিদের দায়িত্বশীলগণ আযান দিয়ে নতুন মসজিদে ছালাত আদায় করা শুরু করবেন। তবে মসজিদ ছালাত আদায়ের উপযোগী হয়ে গেলে লোকদেরকে জানানো যেতে পারে এবং ছালাতের প্রতি উৎসাহিত করতে কুরআন ও হাদীছ
উত্তরঃ উক্ত আয়াত শুধু বিবাহের সাথে যুক্ত নয়। অতএব সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে সৎ পাত্র-পাত্রীকে বিবাহ করতে হবে। তাছাড়া এই আয়াত যার উপর নাযিল হয়েছে তিনিও বিবাহ করেছেন, অপরকে বিবাহ করতে বলেছেন। এমনকি বিবাহ থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে তার উম্মত থেকে
উত্তরঃ এক সঙ্গে দু’টিই করা যাবে এবং তাতে ফযীলত ভিন্ন ভিন্ন। সোম ও বৃহস্পতিবারের ছিয়াম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, সোম ও বৃহস্পতি এ দু’দিনে আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মুসলিমকে ক্ষমা করে দেন। তবে সেই দু’ব্যক্তি ছাড়া যা
উত্তরঃ উক্ত আমলের পক্ষে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। শুধু আয়াতুল কুরসী পড়ার দলীল রয়েছে (নাসাঈ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২)।
উত্তরঃ মোবাইলে সংবাদ দেয়া যাবে। তবে মাইকে প্রচার করা যাবে না। কারণ মাইক ও মোবাইলে সংবাদ প্রচার এক নয়। মাইকের মাধ্যমে সকল জনতার কাছে শোক সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এটা ‘নাঈ’ অর্থাৎ বিলাপ হিসাবে গণ্য হবে। হাদীছে শোক সংবাদ প্রচার করতে নিষেধ করা হয়েছে
উত্তরঃ হাদীছে এ ব্যাপারে তিনটি পরিভাষা উল্লেখিত হয়েছে (১) ‘আহফুশ শাওয়ারিবা’ অর্থাৎ তোমরা গোঁফ বেশী করে কাটো (২) ‘ক্বাছছুশ শাওয়ারিবা’ তোমরা গোঁফ ছাঁটো (৩) আনহিকুশ শাওয়ারিবা -তোমরা গোঁফ ছোট করো (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২০ ও ৪৪২১)। অতএব গ
উত্তরঃ স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া রৌপ্যের আংটি ব্যবহার করা বৈধ নয়। তবে ইমিটেশন অলংকার বৈধ (ছহীহ নাসাঈ হা/৫১৪৩)।
উত্তরঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘অবশ্যই আমার নেককার বান্দারাই যমীনের অধিকারী হবে’ (আম্বিয়া ১০৫)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে তাদের সাথে আল্লাহ্ তা‘আলা ওয়াদা করেছেন যে, তিনি যমীনে তাদেরকে খেলাফত দান করবেন (নূর ৫
উত্তরঃ কোন বিদ‘আতী অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করা শরী‘আত সম্মত নয়। জন্মদিন, জন্মবার্ষিকী, মৃত্যু বার্ষিকী, শোক দিবস, শোক সভা ইত্যাদি পালন করা নাজায়েয। যেখানে একজন ইসলামে এগুলোর কোন অস্তিত্বই নেই, সেখানে অমুসলিমের অনুষ্ঠানে কুরআন পাঠ করার প্রশ্ন
উত্তরঃ হাদীছটি জাল (আলবানী, মিশকাত হা/১৭৬৮)। কোন দিন নির্দিষ্ট করে নয় বরং যেকোন সময় পিতা-মাতার কবর যিয়ারত করা যাবে এবং দো‘আ করা যাবে (মুসলিম ১/১১৩)।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অষ্টধাতুর আংটি বা উপকার করতে পারে এমন কোন আংটি পরিধান করেননি। কোন উপকার করবে অথবা অপকার প্রতিরোধ করতে পারবে এই বিশ্বাস করে ধাতুর আংটি, বালা বা অন্য কিছু ব্যবহার করা শিরক (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৫৫৬; ছহীহ তিরমিযী হা/২০৭২)।
উত্তরঃ অমুসলিমের হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে পোষাকটি যেন তাদের কোন ধর্মীয় নিদর্শন বহন না করে এবং অনৈসলামিক প্রভাব সৃষ্টি করবে এরূপ সম্ভাবনা না থাকে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭)। ছালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য কাপড় পবিত্র হওয়া শর্ত। অতএব পবিত
উত্তরঃ মুছল্লী তার সুবিধা মত বসে খুৎবা শুনবে। তবে ঘুম আসলে নড়েচড়ে বসবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৯৪)। জুম‘আর খুৎবা চলা অবস্থায় নিতম্বের উপর ভর দিয়ে দু’হাঁটুকে বুকের সাথে একত্রিত করে বসা যাবে না (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১১১০; ছহীহ তিরমিযী হা/৫১৪)। এছাড়া এমনভাবে ব
উত্তরঃ এমন ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয নয়। কারণ অজ্ঞাত বস্ত্ত বিক্রয় করা বৈধ নয় (বুখারী হা/২১৪৪; মুসলিম হা/১৫১৪)। তাছাড়া বস্ত্ত তো বিক্রেতার অধীনে আসেনি। আর যা নিজের অধীনে আসেনি তা বিক্রয় করা নিষেধ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৫০৩; মিশকাত হা/২৮৬৭)। এটা ধোঁকাবাজিরও শা
উত্তরঃ মাইয়েতকে যেমন তার ডান দিক থেকে ওযূ ও গোসল করানো হয় তেমনি তার ডান দিকের কাপড়ই আগে উত্তোলন করতে হবে (বুখারী হা/১২৫৪; মিশকাত হা/১৬৩৪)। এখানে বিষয়টি যিনি পরিধান করাচ্ছেন তার ডান বা বামের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তবে তিনি তার ডান হাত দিয়ে শুরু করবেন।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটি দ্বারা সৃষ্ট মানুষ ছিলেন, তিনি নূরের সৃষ্ট ফেরেশতা ছিলেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে নবী! আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ। আমার নিকট অহি অবতীর্ণ হয়’ (কাহফ ১১০)। তাদেরকে তাদের নবীগণ বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই আ
উত্তরঃ অমুসলিম প্রতিবেশীর সাথে সামাজিক লেনদেন করা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা তোমাদের সাথে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয় না আল্লাহ তাদের সাথে সদাচরণ করতে এবং তাদের সাথে ইনছাফ করতে নিষেধ করেন না’ (মুমতাহানা ৮)। তবে তাদের ধর্ম
উত্তরঃ জেহরী ছালাতে ‘আমীন’ ব্যতীত ছালাতের ক্বিরাআত, তাসবীহ-তাহলীল, যিকর-আযকার সবকিছুই নীরবে বলতে হবে। সুন্নাত হ’ল মুছল্লী ছালাতের মধ্যে তার প্রতিপালকের সাথে চুপে চুপে কথা বলবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭৪৬; আহমাদ, মিশকাত হা/৮৫৬)। উল্লেখ্য, জ
উত্তরঃ উক্ত মর্মে জাবের (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি বাতিল বা মিথ্যা (শাওকানী, আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ফী আহাদীছিল মাওযূ‘আহ হা/১৩৭৪, ২/৬০৬)।
উত্তরঃ দুই সালামের পরে মাসবূক দাঁড়াবে। কারণ ইমামের দু’সালাম পর্যন্ত মুক্তাদীকে ইমামের অনুসরণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইমাম নির্ধারণ করা হয় তার অনুসরণ করার জন্য’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯; হাইআতু কিবারিল ওলামা ১/২১৮ পৃঃ)।
উত্তরঃ পকেটে টাকা বা পরিচয় পত্র থাকলে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা সেটা চোখে দেখা যায় না। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বললেন, তুমি এ চাদরটি আমার সামনে থেকে সরিয়ে নাও। এর ছবি আমার ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট করে (বুখারী, মিশকাত হা/৭৫
উত্তরঃ কোনরূপ হীন স্বার্থে মিথ্যা বলা যাবে না। কারণ মিথ্যা বলা মহাপাপ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মিথ্যা কথা থেকে বেঁচে থাক’ (হজ্জ ৩০)।
উত্তরঃ ঘুষ দেয়া, নেয়া উভয়ই হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষ দাতা ও গ্রহীতার প্রতি অভিসম্পাত করেছেন (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৫৮০; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। হকদারকে তার প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত করে ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিলে তার উপার্জিত অর্থ বৈধ হবে না। তবে হকদার তার হক রক্ষ
উত্তরঃ আয়েশা (রাঃ) আযান দিতেন, এক্বামত দিতেন এবং মহিলাদের ইমামতি করতেন। এ সময় তিনি কাতারের মাঝে দাঁড়াতেন (বায়হাক্বী হা/৪০৮; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৪)। তবে উচ্চৈঃস্বরে নয়, সরবে আযান দিবে।
উত্তরঃ ক্ষমা চাওয়ার সময় ভিক্ষা শব্দ ব্যবহার করা যায় (বাক্বারাহ ১৮৬)। কারণ আল্লাহর নিকট সবাই ভিক্ষুক। আর হাদীছে চাওয়ার শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কাছে চায় আমি তাকে দিব’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১২২৩)। কাজেই সব মানুষই
উত্তরঃ সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ। কেননা রূযীর মালিক আল্লাহ। আল্লাহ বলেন, ‘দারিদ্রে্যর ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানকে হত্যা কর না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই খাদ্য প্রদান করে থাকি’ (ইসরা ৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা প্র
উত্তরঃ পাঁচটি নয়, বরং তিনটি স্থানে মিথ্যা বলা যায়। (১) মীমাংসার জন্য, (২) যুদ্ধক্ষেত্রে, (৩) স্ত্রী-স্বামী পরষ্পরের নিকট (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪৯২১; মুসলিম, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫০৩১ ও ৫০৩৩)। এছাড়া কল্যাণকর কাজের স্বার্থে সাময়িকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যায়।
উত্তরঃ ডান হাতে আঙ্গুলের মাধ্যমে তাসবীহ গণনা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ডান হাতে তাসবীহ গণনা করতেন (আবুদাঊদ হা/১৫০২; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৩-এর আলোচনা)। তিনি ডান দিক থেকে কাজ করা পসন্দ করতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪০০)। আঙ্গুলকে ক্বিয়ামতের দিন জি
উত্তরঃ উক্ত অর্থের যাকাত দিতে হবে না। কারণ এগুলি কারো ব্যক্তিগত মালিকানায় নেই। আর ব্যক্তিগত মালিকানা ছাড়া যাকাত ফরয হয় না।
উত্তরঃ যত বছর থেকে আপনি নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, তার হিসাব সহ বর্তমান সম্পদের হিসাব করে যাকাত প্রদান করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭৩)। কারণ হকদারদের হক পরিশোধ করা যরূরী (মা‘আরিজ ২৪-২৫)। যদি সঠিক হিসাব করা সম্ভব না হয়, তাহ’লে সাধ্যমত হিসা
উত্তরঃ মালিককে না জানিয়ে নেওয়ার কারণে গোনাহগার হ’তে হবে। এটা খেয়ানত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তোমাদের যাকে কোন দায়িত্ব দিয়েছি সে যদি সুঁচ পরিমাণ বা তার চেয়ে কম কিছু গোপন করে তাহ’লে তা খেয়ানত হবে। সে তা নিয়ে ক্বিয়ামতের মাঠে উপস্থিত হবে’ (ম
উত্তরঃ নিরুপায় অবস্থায় এক সাথে থাকা যাবে। তবে তাদেরকে আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা পালন করার জন্য এবং যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভাল কাজে আদেশ কর এবং মন্দ কাজের নিষেধ কর’ (আলে ইমরান ১১০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তরঃ পারবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৯)। তবে তাদের জন্য বাড়ীতে ছালাত আদায় করা উত্তম (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১০৬২ ও ১০৬৯)। জুম‘আর ছালাতে তাদের জন্য মসজিদে যাওয়া ভাল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ কর না’ (মুসলিম, মিশকাত হা
উত্তরঃ উক্ত মর্মে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে অস্থায়ীভাবে মসজিদ নির্মাণ করে সেখানে জুম‘আ-জামা‘আত কায়েম করা যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, মদীনায় হিজরত করার পর মসজিদ নির্মাণের স্বার্থে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বনু নাজ্জারকে বললেন, তোমরা তোমাদের বাগানটি আমার নিকট
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাস প্রথাকে রহিত করেননি। বরং তিনি দাস-দাসীদেরকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। অমুসলিমদের সাথে জিহাদ সংঘটিত হ’লে এখনও দাস-দাসী সৃষ্টি হ’তে পারে। জানা আবশ্যক যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়ছালাকে কেউ মেনে নিতে দ্বি
উত্তরঃ উক্ত বিবাহে মোহর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তবে বিয়ে বৈধ হয়েছে। ধার্য মোহরানা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। পুনরায় মোহর নির্ধারণের কোন সুযোগ নেই। অবশ্য স্ত্রী স্বেচ্ছায় কিছু অংশ ক্ষমা করতে পারেন (নিসা ৪)। কিন্তু তার কা
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে মুসলমান আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে লড়াই করবে, কেবলমাত্র সেই-ই আল্লাহর পথে লড়াই করল’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৮১৪)। অতএব যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই করে মারা
উত্তরঃ প্রশ্নে বর্ণিত শর্তে বিবাহ করতে পারবে না। এরূপ মেয়াদ ও চুক্তিভিত্তিক শর্তে বিয়ে করা হারাম। একে ‘নেকাহে মুৎ‘আহ’ বা ঠিকা বিবাহ বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একে চিরতরে নিষিদ্ধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৪৭)। রবী‘ ইবনু সাবরাহ আল-জ
উত্তরঃ হাদীছটি ছহীহ (মুসলিম হা/২৮৬৪; মিশকাত হা/৫৫৪০ ‘কিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায় ‘হাশর’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তরঃ ইমামের পিছনে জ্ঞানী ও সম্মানী ব্যক্তিগণ দাঁড়াবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৮৯)। এরপরে সবাই স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াবে। বাচ্চাদের পিছনের কাতারে দাঁড়াতে হবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১১১৫)।
উত্তরঃ পড়া যাবে। যেমনটি বেলাল (রাঃ) পড়তেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩২২; তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১৩২৬)। তবে সময় সংক্ষেপ হ’লে কেবল ফরয ছালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নাত পড়তে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১১৫৯)।
উত্তরঃ শুধু রোগ মুক্তির জন্য নয়, যে কোন উদ্দেশ্যে তাবীয ব্যবহার করা হারাম। তা কুরআনের আয়াত ©র্লখে হোক আর অন্য কিছু দিয়ে তৈরি করা হোক। এর বিনিময়ে হাদিয়া গ্রহণ করাও হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকাল সে শিরক করল (আহমাদ হা/
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম জিনদের সহায়তায় নিজেদের বা অন্যের চিকিৎসা করেছেন মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তাছাড়া দুষ্ট জিনেরা সর্বদা মানুষকে বিপথে প্ররোচিত করে থাকে (আন‘আম ১২৮; জিন ৬)। একদা কিছু লোক রাসূলের কাছে এসে বলে, হে রাসূল
উত্তরঃ গোনাহ্ হবে না। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিয়ে করতে না পেরে পাপে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে ‘ছিয়াম’ পালন করবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)।
উত্তরঃ সুবহা-না রবিবয়াল ‘আযীম ও সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা কম পক্ষে তিনবার বলবে (ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮)। অন্য দো‘আও পাঠ করা যাবে। বেশী বলার নির্ধারিত সংখ্যা নেই। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনো কখনো দীর্ঘ সময় রুকূ ও সিজদাতে থাকতেন এবং দো‘আ সমূহ পাঠ করতেন (আ
উত্তরঃ রুকূর পূর্বে ক্বিরাআত শেষে বুকে হাত বাঁধা অবস্থায় কুনূত পড়ার দলীল পাওয়া যায় না। একইভাবে ‘তাকবীরে তাহরীমা’র ন্যায় দু’হাত উঠিয়ে পুনরায় বুকে বাঁধারও কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে রুকুর আগে বা পরে উভয় অবস্থায় দু’হাত উঠিয়ে দো‘আয়ে কুনূত পড়ার দল
উত্তরঃ সূর্যাস্তের বা মাগরিবের পূর্বে যদি এক রাক‘আাত ছালাত আদায় করার মতও সময় না থাকে তাহ’লে সেটাই ছালাতের জন্য নিষিদ্ধ সময়। কারণ কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে আছরের এক রাক‘আত ছালাত আদায় করতে পারে, তাহ’লেই সে আছরের ছালাত পেয়ে গেছে বলে গণ্য হবে (ব
উত্তরঃ অশ্লীল কোন বস্ত্তকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা বা তার সমর্থক হওয়া যাবে না। বাদ্যযন্ত্র হারাম (লোকমান ৬; বুখারী, মিশকাত হা/৫৩৪৩)। তবে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ইসলামের জন্য উপকার বয়ে আনবে এরূপ গান লিখলে, গাইলে, সুর দিলে এবং এর সাথে সম্পৃক্ত থাকলে এতে কোন
উত্তরঃ এটা ভ্রান্ত দাবী। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাজ্জালের আকৃতি-প্রকৃতি সহ কোথা থেকে সে বের হবে, কারা তার সঙ্গী হবে, সে কী কী ঘটাবে এবং তার মৃত্যু কোথায় হবে, কে তাকে কোন্ সময় হত্যা করবেন, সবই বর্ণনা করে গেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭১-৫৪৮
উত্তরঃ লটারী ও জুয়া ধোঁকাবাজির অন্তর্ভুক্ত এবং তা প্রকাশ্য হারাম (মায়েদাহ ৯০; মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৬০)। অতএব আলেম-ওলামার উদ্ধৃতি দিয়ে তাকে বৈধ করা যাবে না। সউদী আরব সহ মুসলিম বিশ্বের কোন যোগ্য আলেমই প্রচলিত লটারীকে জায়েয বলেননি।
উত্তরঃ পুরানোটির পরিবর্তে নতুন যে মসজিদ নির্মাণ করা হবে তা মুছল্লীদের জন্য অধিক কল্যাণকর হ’লে এবং কোন প্রকার শারঈ বাধা না থাকলে পরিবর্তন করা যাবে এবং পূর্বের মসজিদ নিজের কল্যাণ কর্মে ব্যবহার করা যাবে। যেমন ওমর (রাঃ) কূফার মসজিদ পরিবর্তন করেছি
উত্তরঃ কোর্টের মাধ্যমে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে এক তালাকই গণ্য হবে। সুতরাং তিন মাসের মধ্যে ফেরত নিলে পুনরায় বিবাহ ছাড়াই দু’জন সাক্ষীর মাধ্যমে ফেরত নেওয়া যাবে। আর তিন মাস পার হয়ে গেলে পুনরায় মোহর নির্ধারণ করে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফেরত নিতে পারে
উত্তরঃ এ অবস্থায় ছালাত হবে। তবে ক্বিরাআত শুদ্ধ এমন ব্যক্তিকে ইমাম নিয়োগ করা আবশ্যক (মুসলিম, বুখারী, মিশকাত হা/১১১৭, ১৮, ২৬)। ইমাম ভুল করলেও মুক্তাদীদের ছালাত হয়ে যাবে। কিন্তু ইমামের গোনাহ তার উপরে বর্তাবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১১৩৩)। মুছল্লীরা কোন শারঈ
উত্তরঃ কোন মহল্লায় যদি সারা বছর তাহাজ্জুদ ও নফল ছিয়ামের অভ্যাস জারি থাকে, তবে সারা বছরই তাহাজ্জুদ ও সাহারীর আযান দেওয়া যাবে। যেমন মক্কা-মদীনার দুই হারামে চালু আছে (ফাৎহুল বারী ২/১২৭ পৃঃ, হা/২২১, ২২২, ২২৩)।
উত্তরঃ সালাম ফিরানোর পর যখন মনে পড়বে তখন সহো সিজদা দিতে হবে। কারণ এটাও একটা ভুল। আর ভুলের প্রতিকার হচ্ছে সহো সিজদা দেয়া। সালামের পরেও সহো সিজদা দেয়া যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/১০২১)।
উত্তরঃ আরবী বা আরাবী নাম রাখা যায়। আরাবী শব্দের অর্থ আরবের অধিবাসী বা আরবী ভাষী। তবে বাংলাভাষী বা অনারব কোন ছেলের নাম ‘আরবী’ রাখা ঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সবচেয়ে উত্তম নাম হ’ল আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৫২ ‘শিষ্টাচার’
উত্তরঃ ছিয়াম নষ্ট হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে বর্ণিত কারণ সমূহে ছিয়াম ত্রুটিপূর্ণ হয়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কর্ম ছাড়ল না তার খানাপিনা ত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্
উত্তরঃ আভিধানিক অর্থে ফিক্বহ বা শরী‘আতের বুঝ ছাহাবায়ে কেরাম সহ সকল যুগে ছিল ও থাকবে। তবে প্রশ্নে বর্ণিত উছূলভিত্তিক ফিক্বহ শাস্ত্রের আবির্ভাব ঘটে রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর অনেক পরে। দলীল হিসাবে বর্ণিত হাদীছটি মুনকার (সিলসিলা যাঈফাহ হা/৮৮১; আবুদাঊদ
উত্তরঃ পানির অপচয় না করে ওযূ ও গোসলে পরিমাণ মত পানি খরচ করা সুন্নাত। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) ওযূ করতেন এক মুদ পানি দ্বারা এবং গোসল করতেন এক ‘ছা’ হ’তে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দ্বারা (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৩৯)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তিনি এ
উত্তরঃ উক্ত ঘটনা মিথ্যা। ঘটনাটি নূহ (আঃ)-এর ছেলের সাথে নয়; বরং মূসা (আঃ)-এর যুগের। ফেরাঊনের হাত থেকে নাজাত পাবার পর মূসা (আঃ) যখন ইহুদীদেরকে তাদের পিতৃভূমি ফিলিস্তীন দখলকারী মহাশক্তিধর আমালেক্বাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার হুকুম দেন এবং সেখানে বার
উত্তরঃ কসমের কাফফারা হচ্ছে ১০ জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করা অথবা একজন দাসকে মুক্ত করা কিংবা তিনদিন ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৫/৮৯)। আল্লাহ এখানে পর পর ছিয়াম পালনের কথা বলেননি। কাজেই কসমের কাফফারার ছিয়াম পালন করার সময় বিশেষ কারণে একটি ছুটে গেলে তার জ
উত্তরঃ আযানের শব্দ দু’বার এবং ইক্বামতের শব্দ একবার করে বলতে হবে। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে আযান দু’বার করে এবং ইক্বামত একবার করে দেয়া হ’ত (আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৬৪৩)। বেলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, আযান দিবে জোড়
উত্তরঃ মসজিদের মুছল্লীদেরকে নিয়ে মৃত ব্যক্তির জন্য হাত তুলে দো‘আ করা যাবে না। এটি বিদ‘আত, যা পরিত্যাজ্য। মৃত ব্যক্তির জন্য কেউ দো‘আ চাইলে অথবা নিজে থেকে দো‘আ করলে ব্যক্তিগতভাবে নিম্নের দো‘আটি পড়া যায়। ছাহাবী আবু সালামাহ (রাঃ) মারা গেলে
উত্তরঃ বিষয়টি সত্য। কেননা সম্পদের অংশ বণ্টনের বিষয়টি এরূপ যে, একজনের উপস্থিতিতে অন্যজন অংশ হ’তে বঞ্চিত হয়। যেমন ছেলের উপস্থিতিতে ছেলের ছেলে বঞ্চিত হয় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৪/৩৪৪ পৃঃ)। অনেক সময় একজনের উপস্থিতিতে অন্যজন সম্পদ কম পায়। যেমন- স্ত্রী স
উত্তরঃ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিভিন্নভাবে দো‘আ করা যায়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর খাদেম আনাসের জন্য নিম্নোক্ত ভাবে দো‘আ করেছিলেন, اَللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيْمَا أَعْطَيْتَهُ ‘হে আল্লাহ! আপনি তার মাল ও সন্তান বৃদ
উত্তরঃ ইমাম যে অবস্থায় থাকবেন সে অবস্থায় মুক্তাদী ছালাতে যোগদান করবে । সূরা ফাতিহা পড়ার প্রয়োজন নেই। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ... তোমরা যতটুকু পাবে ততটুকু (ইমামের সাথে) আদায় কর, আর যা ছুটে যাবে তা পূর্ণ কর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৬)
উত্তরঃ উক্ত পদ্ধতি হারাম। বন্ধক এক ধরনের কর্য। আর কর্যের মাধ্যমে লাভ গ্রহণ করা সূদ। ছাহাবীগণ এমন কর্য নিষেধ করতেন যে কর্য লাভ আনয়ন করে (বায়হাক্বী, ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)।
উত্তরঃ হাদীছটি যঈফ (ইবনু হিববান, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৯)। উক্ত হাদীছের দোহাই দিয়ে অনেকে আছরের পরে ঘুমাতে নিষেধ করেন। অথচ শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী মানুষ যেকোন সময় ঘুমাতে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে অন্যতম হ’ল রাত্রিকালে ও দিবসে তোমা
উত্তরঃ উক্ত কথা সত্য নয়। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবী হয়েছিলেন। অতএব তার আগে ‘উম্মাতী’ ‘উম্মাতী’ বলার প্রশ্নই ওঠে না।
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়।
উত্তরঃ ৪র্থ হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসে মদীনার ইহুদী গোত্র বনু নাযীর আত্মসমর্পণ করে (আর-রাহীক্ব ২৯৭)। বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত এই শত্রু সম্পদগুলিকে ‘ফাই’ বলা হয়। যা কেবলমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য নির্দিষ্ট ছিল (হাশর ৫
উত্তরঃ শিশু অবস্থায় কোন ছেলে-মেয়ে মারা গেলে তারা ক্বিয়ামতের দিন তাদের মুসলিম পিতা-মাতাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, মুসলিম শিশু সন্তানেরা জান্নাতের ‘শিশু খাদেম’ হবে। তাদের কেউ পিতা-মাত
উত্তরঃ স্বামী-স্ত্রী উভয়ে জান্নাতী হ’লে আল্লাহ তাদেরকে একত্রে জান্নাতে প্রবেশের নির্দেশ দিবেন’ (যুখরুফ ৪৩/৭০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেন, তুমি কি সন্তুষ্ট নও যে, তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে আমার স্ত্রী হয়ে থাকবে? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। তখন ন
উত্তরঃ মৃত পিতা-মাতার পক্ষ থেকে ছেলে হজ্জ করতে পারে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একজন লোক নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এসে বলল, আমার পিতার পক্ষ থেকে আমি হজ্জ করতে পারি কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ কর’ (ইবনে মাজাহ হা/২৯০৪; তিরমি
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কদরের রাত বুঝতে পারতেন (বুখারী, মিশকাতহা/২০৯৫)। কদরের রাত কোনটি তা অন্যদের জানা যরূরী নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কদর রাতের নির্দিষ্ট তারিখ না জানার মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে (বুখারী, মিশকাত হা/২০৯৫)
উত্তরঃ যে কোন ছালাতের জন্য ওযূ করার পর ওযূ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অন্য ছালাত আদায় করা যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রত্যেক ছালাতের জন্য ওযূ করতেন। আমাদের কারো ওযূ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত একই ওযূতে বার বার ছালাত আদায় করতেন (দারেমী, মিশ
উত্তরঃ প্রয়োজনমত সাধারণভাবে স্টেজ করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কোন সম্প্রদায় যখন কোন স্থানে বসে দ্বীনী আলোচনা করে তখন ফেরেশতা তাদের ঢেকে নেয়, রহমত তাদের ঘিরে ধরে এবং তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রশান্তি অবতীর্ণ হয় (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪
উত্তরঃ মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ কোন মানুষকে হানাফী, মালেকী, শাফেঈ, হাম্বলী (বা অন্য কোন মাযহাবপন্থী) হওয়ার জন্য বাধ্য করেননি; বরং কুরআন ও সুন্নাহ মানতে বাধ্য করেছেন (হাক্বীক্বাতুল খিযক্বহ ৮৫ পৃঃ)। আল্লাহ বলেন, তোমরা তোমাদের
উত্তরঃ অবৈধ সম্পর্ক গড়া মহা পাপ। যার শাস্তি হচ্ছে ১০০ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর (বুখারী, মিশকাত হা/৩৫৫৬)। এ অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে খালেছ তওবা করা আবশ্যক। নইলে গুনাহ মাফ হবে না।
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ইমাম বুখারী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, এটি ‘মানসূখ’ নয়। বরং এর অর্থ হ’ল, যাদের ছিয়াম রাখার ক্ষমতা নেই যেমন অতি বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা, তারা প্রতিদিনের ছিয়ামের বদলে একজন মিসকীন খাওয়াবে
উত্তরঃ একটু থেমে উঠতে হবে। একে ‘জালসায়ে ইস্তিরাহাত’ বলা হয়। মালিক ইবনে হুওয়াইরিছ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ছালাত আদায় করতে দেখেছেন যে, নবী করীম (ছাঃ) তাঁর ছালাতের প্রথম রাক‘আত কিংবা তৃতীয় রাক‘আত হ’তে উঠার সময় কিছুক্ষণ না বসে উঠতেন
উত্তরঃ একটি সূরা পড়ার কারণ হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি সূরা পড়তেন। তিনি ফরয ছালাতের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য দু’টি সূরা পড়তেন। আর শেষ দু’রাক‘আতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৮)। ইবাদত হ’ল তাওক্বীফী। যাতে ক
উত্তরঃ সংসারে ফিরে আসতে না চাইলে মোহরের দাবী ত্যাগ করে ‘খোলা’-র মাধ্যমে স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে (নাসাঈ হা/৩৫১০)। বরং স্বামী পূর্বে মোহরানা পরিশোধ করে থাকলে তা ফেরত দিয়ে ‘খোলা’ করে চলে যেতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৭৪)। অতঃপর
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির নামে জুম‘আর দিন জিলাপি বিতরণ করা এবং সবাই মিলে তার জন্য উক্ত পদ্ধতিতে মুনাজাত করা যাবে না। কবরের পাশে গিয়ে অথবা যেকোন স্থান হ’তে মৃত ব্যক্তির জন্য একাকী হাত তুলে বা না তুলে দো‘আ করা যায় (মুসলিম হা/২২৫৫, ১/৩১৩ পৃঃ; আবুদাঊদ,
উত্তরঃ যেসব মসজিদে বিদ‘আতী আমল চালু আছে সেসব মসজিদের পরিচালনা কমিটিতে সদস্য পদ গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ এতে বিদ‘আতের সহযোগিতা করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘন কাজে সহযোগিতা কর না’
উত্তরঃ ঈমানদারের জন্য যরূরী হ’ল, আল্লাহ অবতরণ করেন একথা বিশ্বাস করা এবং কিভাবে করেন সেকথা বলা থেকে বিরত থাকা। কারণ আল্লাহর কাজ তাঁর মতই হয় মানুষের মত নয়। সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে রাত হয় এটা আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয় এবং তাঁর অবতরণ তাঁর ইচ্ছাতেই হ
উত্তরঃ এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/৪৯০৩)। তবে হিংসা করা একটি জঘন্যতম অপরাধ। এই অভ্যাস শরী‘আতের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫০২৮)। এ বিষয়ে বহু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
উত্তরঃ জান্নাত ও জাহান্নাম সপ্তম আসমানের উপরে সৃষ্ট অবস্থায় রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা আদম ও হাওয়াকে জান্নাত থেকে বের করে দুনিয়াতে নামিয়ে দেন’ (বাক্বারাহ ২/৩৬)। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জান্নাত আসমানের উপরে অবস্থিত। এছাড়া একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা
উত্তরঃ মনগড়াভাবে কুরআনের কোন শব্দ বা আয়াতের অর্থ করা যাবে না। ইমাম রাযীন বলেছেন, যে ব্যক্তি তার নিজ মতামত দ্বারা কুরআনের ব্যাপারে কিছু বলে ভুল করল সে কুফরী করল। একদা আবুবকর (রাঃ)-কে একটি অক্ষরের ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, যদি কিতাবু
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমা চাওয়ার উদ্দেশ্যে কবরস্থানে যাওয়া যরূরী নয়। বরং যেকোন স্থান হ’তে একাকী হাত তুলে (বা না তুলে) দো‘আ করা যায় (আহমাদ হা/২৪৯৭০ হাদীছ ছহীহ)।
উত্তরঃ এটি ভিত্তিহীন কথা মাত্র। জাহান্নামে গিয়ে যদি আগুনের তাপ না লাগে, পশমও যদি না পুড়ে তাহ’লে আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামে দিবেন কেন? এমন কথা বলা থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
উত্তরঃ উৎপাদিত ফসল নেছাব পরিমাণ হ’লে যিনি জমি পত্তন বা লীজ নিয়েছেন তাকেই ওশর দিতে হবে। কেননা লীজ গ্রহীতাই উৎপাদিত শস্যের মালিক। আর শস্যের মালিকের উপরেই ওশর ফরয (আন‘আম ৬/১৪১)। অপর দিকে জমির মালিক যেহেতু টাকা নিয়েছে, তাই তার টাকা যদি সাড়ে সাত ত
উত্তরঃ দাড়ি কেটে ফেলা শারঈ নির্দেশকে অমান্য করার শামিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি পূর্ণভাবে ছেড়ে দাও ও গোঁফ পূর্ণভাবে ছেটে ফেলো’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১ ‘পোষাক’ অধ্যায় ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। দাড়ি
উত্তরঃ উভয় পক্ষের ওয়ালী এবং দু’জন মুমিন ন্যায়নিষ্ঠ বয়স্ক পুরুষ সাক্ষী না থাকায় বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। এজন্য আপনারা উভয়ে ব্যভিচারের দায়ে অভিযুক্ত। অপরপক্ষে আপনার অভিভাবক আপনার মতের বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ায় তারাও অন্যায় করেছেন। অতএব বিয়েই যেখানে হয়নি, সে
উত্তরঃ এধরনের ত্রুটি হ’লে কিছু করণীয় নেই। কোন কোন সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একই দো‘আ রুকূ‘ এবং সিজদাতে পড়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮১৭)। তবে এ ধরনের ভুল যেন না হয় সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং যে দো‘আ যে স্থানে পড়ার নির্দেশ রয়েছে তা সেখানে
উত্তরঃ প্রথমত জানতে হবে যে সেটা সূদমুক্ত ঋণ কি-না। সূদমুক্ত হ’লে এ ঋণ নেয়া যাবে। এই ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারলে সরকার কর্তৃক যে বিশেষ ছাড় দেয়া হবে তাও গ্রহণ করা যাবে। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে তা হবে পুরস্কার স্বরূপ। যার সাথে সূদের কোন সম্পৃক্ত
উত্তরঃ এ অবস্থায় এক তালাক হয়েছে। কারণ এক বৈঠকের শত তালাক দিলেও তা এক তালাক বলেই গণ্য হয় (আবুদাঊদ হা/২১৯৬)। আর তিনটি কাজে হাসি-ঠাট্টা চলে না। তার একটি হচ্ছে তালাক (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩২৮৪)। তিন মাসে তিন তালাক বায়েন প্রাপ্তা মহিলা অন্যত্র বিবাহ
উত্তরঃ সমস্যা হবে না। তবে ইমাম একাকী উপরে দাঁড়াতে পারবেন না। একদা আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) একাকী উপরে দাঁড়িয়ে ইমামতি করছিলেন। হুযায়ফা (রাঃ) তাঁকে পিছন থেকে ধরে টেনে সমতল যমীনে নামিয়ে দেন এবং বলেন, আপনি শুনেননি, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ইমাম যেন মু
উত্তরঃ কুরআন মজীদে হাত দিয়ে শপথ করা শারঈ তরীকা নয় এবং পাপ মুক্ত হওয়ারও পদ্ধতি নয়। বরং ক্ষমা পেতে হ’লে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে। পাপ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হ’তে হবে, পুনরায় না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং
উত্তরঃ মুসাফির ব্যক্তি ছালাত কছর করবে (নিসা ১০১; ছহীহ মুসলিম হা/৬৯১; মিশকাত হা/১৩৩৭)। কিন্তু মুসাফির হয়ে মুক্বীম ইমামের পেছনে ছালাত আদায় করলে পূর্ণই পড়তে হবে (আহমাদ, ইরওয়াউল গালীল হা/৫৭১)। কছর করা ওয়াজিব নয় এবং কছর না করলে গুনাহও হবে না। তবে
উত্তরঃ এসব অনুষ্ঠানের পূর্বে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। কারণ যেখানে কুরআনের মুল্যায়ন থাকে না সেখানে কুরআন তেলাওয়াত করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২)।
উত্তরঃ পবিত্র কুরআন ৩০ পারা। যা আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে নাযিল করেছেন। এর শুরু সূরা ফাতিহা দিয়ে এবং শেষ সূরা নাস দিয়ে। এ কুরআনকেই আল্লাহ হেফাযত করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন (হিজর ৯)। কোন কোন অমুসলিম ও ভ্রান্ত ফ
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং বেসরকারী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এসব সম্পদের বেশী হকদার। ফী সাবীলিল্লাহ খাত থেকে এসব স্থানে এ সম্পদ দেওয়া যাবে (তওবাহ ৬০)।
উত্তরঃ এরূপ বলা উচিত নয়। বরং বলতে হবে ‘আল্লাহর রহমতে অতঃপর আপনাদের দো‘আয় ভাল আছি’। এখানে ‘অতঃপর’ শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ (ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/২১১৭; ছহীহ বুখারী হা/৬৬৫৩, ‘শপথ ও মানত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭; মিশকাত হা/১৮৭৮)। তবে শুধু ‘আল-হামদুলিল্লাহ্’
উত্তরঃ উক্ত নিয়ম শরী‘আত সম্মত নয়। কেননা উপরোক্ত বর্ণনা মতে বিবাহের সকল শর্ত পূরণ করা হয়েছে। কেবল খুৎবা বাকী রয়েছে, যা শর্ত নয়, বরং সুন্নাত। বিবাহের শর্ত হ’ল চারটি। অলি, দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী, মোহরানা ও স্থায়ী উদ্দেশ্যে বিবাহ করা। বিবাহের দু
উত্তরঃ বাইরে পড়াই সুন্নাত। তবে বিশেষ অবস্থায় মসজিদের মধ্যে জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৫৬)।
উত্তরঃ বিশুদ্ধ সুন্নাতের উপর আমল করেই ইমামের অনুসরণ করতে হবে। এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। ছহীহ হাদীছে থাকা সত্ত্বেও যে সমস্ত আমল ইমাম ছেড়ে দিবেন মুক্তাদী হিসাবে সেগুলো আমল করা সম্ভব হ’লে তা পালন করতে হবে (বুখারী হা/৩৭৮, ৬৮৯; মুসলিম হা/৪১১,
উত্তরঃ আল্লাহ্ কারো দো‘আ প্রত্যাখ্যান করেন না। বাহ্যিকভাবে কবুল না হ’লেও হয়ত সে দো‘আর মাধ্যমে আল্লাহ্ দো‘আকারীকে অন্য বিপদ থেকে রক্ষা করেন (ছহীহ তিরমিযী হা/৩৩৮১; মিশকাত হা/২২৩৬, সনদ হাসান)। তাই বাচ্চা না নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সঠিক নয়। এমন
উত্তরঃ যুল কিফল একজন নবী ও একজন সৎকর্মশীল ব্যক্তি ছিলেন। পবিত্র কুরআনে তাকে নবীদের সাথেই উল্লেখ করা হয়েছে (আম্বিয়া ৮৫-৮৬; ছোয়াদ ৪৮)। হাফেয ইবনু কাছীর বলেন, যুল কিফলের নবী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট (তাফসীরে ইবনে কাছীর, আম্বিয়া ৮৫)।যুল কিফল সম
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ... একটি মাত্র দল জান্নাতে যাবে। আর সে দলটির পরিচয় হিসাবে তিনি বলেন, আমি এবং আমার ছাহাবীগণ যার উপর আছি’ (ছহীহ তিরমিযী হা/২৬৪১; মিশকাত হা/১৭১)। অতএব রাসূল ও ছাহাবীদের গুণাবলী সম্পন্ন জান্নাতী দলে অন্তর্ভুক্ত হ’
উত্তরঃ বিতর ব্যতীত তাহাজ্জুদ ছালাতের সর্বনিম্ন রাক‘আত সংখ্যা হচ্ছে দুই (মুসলিম হা/১৩৯, ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়)। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, রাতের (নফল) ছালাত দু’রাক‘আত দু’রাক‘আত’ (বুখারী হা/৪৭২; মুসলিম হা/৭৪৯; মিশকাত হা/১২৫৪)। অতএব সর্ব
উত্তরঃ ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকলেও জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উচিত। কারণ ইসলাম মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০২ ও ১০৫২)। তাছাড়া অন্য হাদীছে এসেছে, আযান শুনার পরেও গ্রহণযোগ্য ওযর ছাড়
উত্তরঃ জোরপূর্বক ২০% বেশী নেয়া যুলুম করার শামিল। অতএব তা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে বাকীতে এক দাম আর নগদে এক দাম এভাবে বিক্রি করা জায়েয আছে (আবুদাঊদ হা/৩৪৬১; আওনুল মা‘বূদ হা/৩৪৫৭-এর আলোচনা ৯/২৩৮)। ক্রেতা এক্ষেত্রে তার সামর্থ্য অনুযায়ী যে মূল্যে
উত্তর : শব্দটি লাবু ঝাবু নয় বরং শব্দটি হচ্ছে লা মাযহাবী- অর্থাৎ যারা নির্দিষ্টভাবে কোন একটি মাযহাবের অন্ধ অনুসরণ করেন না। এটি আহলেহাদীছের বিরুদ্ধবাদীদের আক্রোশমূলক গালি মাত্র। আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) বলেন, বিদ‘আতীদের কিছু নিদর্শন রয়েছে, যা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন সর্বপ্রথম কা‘বা ঘরে প্রবেশ করলেন তখন ভিতরে ঢুকে ছালাত আদায় করেছিলেন কি-না এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উসামা, বেলাল ও ওছমান বিন তালহাকে নিয়ে কা‘বা গৃহে প্রবেশ করেন ও দরজা বন্ধ করে
উত্তরঃ ছালাত ত্যাগকারী মুসলমান প্রকৃত অর্থে কাফির নয়। বরং মহাপাপী। কাজেই প্রশ্নে বর্ণিত হুকুম সমূহ তার উপর বর্তাবে না। এই ধরণের তরককারীগণ কলেমার বরকতে ও শেষনবী (ছাঃ)-এর শাফা‘আতের ফলে শেষ পর্যায়ে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে ফিরে আসবে’ (মুত্তাফাক্ব
উত্তর : আদম (আঃ) ৬০ হাত লম্বা ছিলেন মর্মে হাদীছ ছহীহ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬২৮)। তবে তার শরীরের প্রশস্ততা ৭ ফুট ছিল এ মর্মে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : শব্দটি সোহেল নয় বরং সোহাইল سُهَيْل অর্থ উজ্জ্বল তারকা বিশেষ। রানা শব্দটি রাজপুত হিন্দু রাজাদের উপাধি। এটি ইসলামী নাম নয়। তবে শুধু سُهَيْل নাম রাখা যায়।
উত্তরঃ গিটার ক্রয় করা যাবে না। কারণ বাদ্যযন্ত্র কেনা ও ব্যবহার করা হারাম (আবুদাঊদ হা/৪৯২৪; মিশকাত হা/৪৮১১)।
উত্তরঃ মসজিদ কমিটি বাধ্যতামূলক টাকা নিতে পারে না। তবে স্বেচ্ছায় দিলে নেওয়া যাবে এবং দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। তবে মোহরানাকে হিসাব করে কোন টাকা নেওয়া যাবে না।
উত্তর : এরূপ করা জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা খাও এবং পান কর। তবে অতিরিক্ত খেয়ো না ও পান কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিরিক্ত করা পসন্দ করেন না’ (আ‘রাফ ৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা খাও, পান কর, পরিধান কর এবং দান কর। তবে অতিরিক্ত কর না এবং অহংকা
উত্তর : এটা অবৈধ হয়েছে। এ অবস্থায় জমি ফেরত নিতে হবে এবং অংশ হারে সবাইকে লিখে দিতে হবে। একজন লোক রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমি আমার এই ছেলেকে একটি গোলাম প্রদান করেছি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তুমি কি তোমার সব ছেলেকে অনুরূপ দিয়েছ? লোক
উত্তর : সৎ উদ্দেশ্যের বিষয়টি পিতা-মাতাকে সাধ্যমত বুঝাতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, পিতা-মাতার সন্তুষ্টি হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর পিতা-মাতার অসন্তুষ্টি হচ্ছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৯২৭)। তবে পিতা-মাতা যদি শরী‘আত বিরোধী কোন আদেশ দ
উত্তর : লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় বিনা ওযরে কাঁধ পরিবর্তন করা যাবে না এবং করার সময় ‘আল্লাহ রাববী’ ও ‘মুহাম্মাদ নবী’ বলার কোন শারঈ বিধান নেই। বরং এটা কুসংস্কার মাত্র। ছাহাবী ও তাবেঈগণ এরূপ করতেন না।
উত্তর : নির্দিষ্ট একটি দিনকে দলবদ্ধভাবে ছিয়াম পালনের জন্য নির্ধারণ করা মুসলিম সমাজে অনুপ্রবিষ্ট নতুন একটি বিদ‘আত। এরূপ কোন উদাহরণ রাসূল (ছাঃ) ও সালাফে ছালেহীনের যুগে খুঁজে পাওয়া যায় না। রাসূল (ছাঃ) দ্বীনের মধ্যে যে কোন নতুন প্রথা উদ্ভাবনের বি
উত্তর : এতে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয় না। তবে ছালাত তরককারী ব্যক্তি মহাপাপী। ফেরাউনের বিধি-বিধান আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কুরআনে আল্লাহ আসিয়াকে ফেরাউনের স্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করেছেন (তাহরীম ১৩)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা অমুসলিম অবস্থায় মারা গেছেন। তাই তিনি তাদের ব্যপারে কোন সুফারিশ করতে পারবেন না’ (মুসলিম হা/২৩০৪ ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৩৬)। আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে তার মায়ের কবর যেয়ারতের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার জন্য ক্ষমা প
উত্তর : লাভের কোন নির্ধারিত সীমা নেই। চলতি বাজার দর হচ্ছে সীমা, যা চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। কোন পণ্যের দাম বাজার মূল্যের চেয়ে বেশী নিলে যুলুম করা হবে, যা হারাম। অনেক সময় ক্রয়মূল্যের চেয়ে বিক্রয়মূল্য দ্বিগুণও হ’তে পারে। একদা ওরও
উত্তরঃ পুরুষ বড় চুল রাখতে পারে। তবে চুলের পরিমাপ আছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাথায় তিন ধরনের চুল থাকত। জুম্মা, লিম্মা ও ওয়াফরা। সবচেয়ে বড় হ’ল জুম্মা যা কাঁধের উপর ঝুলে পড়ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৩৫)। তার চেয়ে ছোট লিম্মা যা প্রায় কাঁধের ক
উত্তর : ছালাতে সূরা ফাতিহা পড়া উক্ত আয়াতের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়। উক্ত আয়াতে কুরআন পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সূরা ফাতেহাকে নয়। আল্লাহ তা‘আলা নিজেই সূরা ফাতেহা ও কুরআনকে পৃথকভাবে উল্লেখ করেছেন (হিজর ৮৭) । রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকলের জন্য সূরা ফাতেহা প
উত্তর : উক্ত অবস্থায় সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জামা‘আতে যোগ দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ফরয ছালাতের এক্বামত হ’লে সেই ফরয ছালাত ব্যতীত অন্য কোন ছালাত চলবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৮)।
উত্তর : তারা মসজিদ কমিটির সদস্য হ’তে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহর মসজিদে আবাদকারী (তত্ত্বাবধায়ক ও খাদেম) তো সে লোকেরাই হ’তে পারেন যারা আল্লাহ এবং পরকালকে বিশ্বাস করে, ছালাত আদায় করে, যাকাত প্রদান করে, আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে
উত্তরঃ সচ্ছল হিসাবে বেতন ছাড়াই ইমামতি করা উত্তম। এটি অত্যন্ত সম্মানিত দায়িত্ব। তাই বেতন নিয়ে দর কষাকষি করা মর্যাদাকর নয়। মুছল্লীদের উচিত ইমামের জন্য সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা করা। কারণ ভাতা নির্ধারণ না হ’লে ইমামের মাঝে অলসতা আসতে পারে। বুরায়দা
উত্তরঃ দু’টি যঈফ হাদীছের ভুল ব্যাখ্যা করে উক্ত ফযীলত সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন ‘ছালাত, ছিয়াম ও যিকিরকে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার উপরে ৭০০ গুণ নেকী বৃদ্ধি করা হয় (আবুদাঊদ, ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১৪)। অন্যটি হ’ল, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় টাকা
উত্তরঃ বাহাইয়াহ্ নামে একটি ঈমান বিধ্বংসী ভ্রান্ত বাতেনী মতবাদ রয়েছে। এর প্রবর্তক হচ্ছে মিরযা হুসাইন আলী মাযেনদারানী (১২৩৩-১৩০৯ হিজরী)। সে ইরানে ‘‘নূর’’ নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে। ৭৫ বছর বয়সে সে পাগল হয়ে মারা যায়। সে নিজেকে বাহাউল্লাহ্ হিসাবে
উত্তরঃ উক্ত শব্দগুলো আল্লাহর নামের সাথে যোগ করে বলা যাবে। কারণ এগুলো হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ‘আল্লাহ্ তা‘আলা’ (বুখারী হা/৩৯৪; ছহীহ আবুদাঊদ হা/১০১)। ‘আল্লাহ সুবহানাহু’ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২৫৮)। ‘আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা’ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২১৬৩)। আর
উত্তরঃ বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে এরূপ বর্ণিত হ’লেও এর কোন ছহীহ ভিত্তি নেই। এরূপ ভাবার্থের একটি হাদীছ তিরমিযীতে এসেছে, কিন্তু সেটাও ছহীহ নয় (যঈফ তিরমিযী হা/৩২৯৮; সূরা হাদীদ ২ ও ৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। এ ব্যাপারে আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।
উত্তরঃ উক্ত হাদীছে ঐ রাসূল বা দূতের নাম উল্লেখ করা হয়নি (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৪৩৪)। এ ব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন।
উত্তরঃ ঢেলা-কুলুখ নিয়ে চল্লিশ কদম হাঁটা ও কাশি দেওয়া মর্মে শরী‘আতে কোন বিধান নেই। এগুলো বাড়াবাড়ি মাত্র। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ পানি এবং ঢেলা এক সঙ্গে ব্যবহার করেননি। কারো সন্দেহ হ’লে ওযূ শেষে লজ্জাস্থান বরাবর কাপড়ে পানি ছিটিয়ে দিবে। (আবু
উত্তরঃ বিতর ছালাত এক, তিন, পাঁচ, সাত ও নয় রাক‘আত পর্যন্ত পড়া যায়। তিন রাক‘আত বিতর পড়লে এক তাশাহ্হুদে আদায় করতে হবে। দু’রাক‘আত পড়ার পর বসা যাবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৫৪)। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিতর ছালাতকে মাগরিবের ছালাতের মত করে আদা
উত্তর : আদমকে সৃষ্টি করার আগেই আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে আদমের প্রতি সিজদা করার কথা বলে দিয়েছিলেন (হা-মীম সাজদাহ/ফুছছিলাত ৪১/১১)। তাছাড়া কুরআনের বর্ণনা সমূহ থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, আদমকে সিজদা করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ ব্যক্তি আদম হিসাবে ছিল না, বরং ভব
উত্তরঃ ‘আখেরী চাহারশম্বা’ কথাটি ফার্সী। ইরান, ইরাক, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশে আরবী ছফর মাসের শেষ বা চতুর্থ বুধবারকে ‘আখেরী চাহারশম্বা’ বলা হয়ে থাকে এবং দিবস হিসাবে পালন করা হয়। কথিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) (মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে) এদিনে রোগযন
উত্তরঃ ছালাতের মধ্যে বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে বুকের উপরে বাঁধতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭৯৭-৯৮; আবুদাঊদ হা/৭৫৯)। এছাড়া ডান হাতকে বাম হাতের তালুর পিঠ, কব্জি ও বাহুর উপর রাখা মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (আবুদাঊদ হা/৭২৭; নাসাঈ হা/৮৮৯)। উল্লেখ্য, ন
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে কারা স্বপ্নে দেখতে পারে এব্যাপারে হাদীছে কিছু বলা হয়নি এবং তাঁকে স্বপ্নে দেখার বিশেষ কোন ফযীলতও বলা হয়নি। তবে হাদীছে এভাবে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখেছে সে প্রকৃতই আমাকে দেখেছ
উত্তরঃ নিজ সুবিধার জন্য নয়, ভুল বুঝতে পেরে জমিটি ঈদগাহের নামে ওয়াক্ফ করে দেওয়া উচিত। ওয়াক্ফ করে দিলে অবশ্যই সেখানে ছালাত আদায় করা বৈধ হবে। এজন্য দলাদলি করে দু’স্থানে ছালাত আদায় করা বৈধ হবে না। সরকারী জমিতে ঈদগাহ করা হ’লে মৌখিক নয়; বরং লিখিত অ
উত্তরঃ কুরআন ও হাদীছে নির্ধারিত হিসাব অনুযায়ী ওয়ারিছগণ সম্পত্তি বণ্টন করে নিবেন (নিসা ১১-১২)। ওয়ারিছগণ মৃতব্যক্তির শরী‘আত সম্মত অছিয়ত বাস্তবায়ন না করলে তারাই এর জন্য গুনাহ্গার হবে। এর জন্য মৃতব্যক্তি দায়ী হবে না এবং এজন্য তার কবরে আযাবও হবে না।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতে লাঠি নিয়ে জুম‘আর খুৎবা দিতেন। এটি সুন্নাত। হাকাম বিন হাযন আল-কুলাফী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জুম‘আর দিন হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দিতে দেখেছি (আবুদাঊদ, সনদ হাসান, হা/১০৯৬; ইরওয়াউল গালীল হা/
উত্তরঃ কালো খেযাব বা কলপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা সাদা চুল কালো করা থেকে বেঁচে থাক’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২৪)। তিনি আরো বলেছেন, ‘শেষ যামানায় এমন কিছু লোক হবে যারা কবুতরের বক্ষের ন্যায় কালো
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও ছহীহ হাদীছ সমূহে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে। যেমন আল্লাহর চেহারা (আর-রহমান ২৭), তাঁর দুই হাত (ছোয়াদ ৭৫; মায়েদাহ ৬৪), তাঁর চোখ (তূর ৪৮) আছে বলে কুরআন মজীদে উল্লেখিত হয়েছে। অনুরূপভাবে হাদীছে এসেছে, আল
উত্তরঃ মুক্তাদী পুনরায় সম্পূর্ণ ছালাত আদায় করবে। কারণ সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ছালাত সম্পূর্ণ হয় (আবুদাঊদ হা/৬১; তিরমিযী হা/৩; ইবনু মাজাহ হা/২৭৫)। উল্লেখ্য, শেষ বৈঠকে বসে ওযূ নষ্ট হ’লে ছালাত হয়ে যাবে মর্মে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে যে হাদীছ বর্ণিত
উত্তরঃ মৃতের কোন সন্তান না থাকলে স্ত্রী পাবেন এক-চতুর্থাংশ। আর সন্তান থাকলে আটভাগের একভাগ পাবেন। অবশিষ্ট সম্পদে একজন পুত্র দু’জন কন্যার সমান অংশ পাবে। আর যদি দু’য়ের অধিক শুধু কন্যা সন্তান থাকে তাহ’লে তারা দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। যদি একজন কন্যা সন্
উত্তরঃ কালেমা ত্বাইয়েবা হচ্ছে لا إله إلا الله ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থ: ‘নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত’। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, الكلمة الطيبة لا إله إلا الله ‘কালেমায়ে ত্বাইয়েবাহ’ হ’ল, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে
উত্তরঃ এতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই; বরং উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা জুম‘আ মসজিদের উদ্দেশ্যই হ’ল জামা‘আত বড় হওয়া। জামা‘আত যত বড় হবে, মুছল্লীর নেকী তত বেশী হবে। এর মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য যোরদার হয় এবং পরস্পরে পরিচিতি ও ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। আর এটা
উত্তর : উচ্চৈঃস্বরে (সর্বত্র মাইকে) মৃত ব্যক্তির শোক সংবাদ প্রচার করা জায়েয নয় (তিরমিযী হা/৯৯৫, ইবনু মাজাহ হা/১৪৭৬)। তবে নিকটাত্মীয়, পরিচিত জন ও মুসলিমদের নিকটে সাধারণভাবে (ফোন ও মোবাইলের মাধ্যমে) মৃত্যু সংবাদ জানানো যাবে। হাবশার বাদশাহ নাজ
উত্তর : ইমাম বুখারী (রহঃ) উক্ত হাদীছকে ‘মুনকার’ বলেছেন (তাহকীক সীরাতে ইবনে হিশাম ৩/৪১ পৃঃ)। তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মজীদে রক্তকে হারাম ঘোষণা করেছেন (মায়েদাহ ৩)।
উত্তর : ইফতার যদিও ইবাদত, তবে এমন ইবাদত যেখানে সামাজিকতার ব্যাপার রয়েছে। তাই এখানে কাফেরদেরও দাওয়াত করা যেতে পারে, যদি তাতে কাফেরদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান করা বা আগ্রহী করার উদ্দেশ্য থাকে। আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) ইহুদী-নাছারাদের কাছ থেকে হাদিয়া
উত্তর : কাতার বড় করার উদ্দেশ্যে ক্বিবলা পরিবর্তন করা শরী‘আত সম্মত নয়। ছালাত ক্বিবলামুখী হয়েই আদায় করতে হবে। কারণ ছালাত বিশুদ্ধ হওয়ার একটি শর্ত হচ্ছে ক্বিবলামুখী হওয়া (বাক্বারাহ ১৪৪; বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৭৯০)। ১ম কাতার একটু ছোট হলেও দোষ নে
উত্তর : সহযোগিতা ও উত্তম আচরণ পাওয়ার অধিক হকদার নিকটতম প্রতিবেশী। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়ার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির নিকট তার প্রতিবেশী নিরাপদ নয়, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৬৩)। অন্যত
উত্তর : উক্ত বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে নারী অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করল তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল (তিরমিযী হা/১১০২; আবুদাঊদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১)। যেখানে বিয়েই হয়নি সেখানে মৌখিক বা লিখিত সম্মতিতে বৈধতার কোন প্রশ্নই আসে ন
উত্তর : সাধ্য থাকলে ঐ দেশের সূর্যাস্ত অনুযায়ী ইফতার করবে। অন্যথা ছিয়াম ছেড়ে দিবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৮৫)। কারণ সফর অবস্থায় ছিয়াম তার উপর ফরয নয়। পরে ক্বাযা আদায় করে নিবে (বাক্বারাহ ১৮৪)। তবে কোন দেশে যদি দীর্ঘস্থায়ী দিন বা রাত হয়, তাহলে ন
উত্তর : পৃথিবীর সকল স্থানের চাঁদের উদয়স্থল এক নয়। কাজেই সারা দুনিয়ার ছিয়াম রাখা ও ছিয়াম ছাড়া এক সাথে হতে পারে না। আল্লাহ বলেন, তোমাদের যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন ছিয়াম পালন করে (বাক্বারাহ ১৮৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা চাঁদ দেখে ছিয়াম শ
উত্তর : আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) সকল শুভ কাজ ডাক দিক দিয়ে করা পসন্দ করতেন (মুসলিম হা/৬১৭; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪৮)। আর ডান হাতের ডান পাশ কড়ে আঙ্গুল দিয়েই শুরু হয়। তাছাড়া এই আঙ্গুল দিয়ে গণনা শুরু করাই সহজ ও স্বভাবজাত।
উত্তর : নলকূপের প্রয়োজন না থাকলে মসজিদের বারান্দায় বা অন্য স্থানে কাজে লাগাতে পারবে। এই মসজিদের দরকার না হলে অন্য মসজিদের কাজে লাগানো যায়। তবে মক্তবে লাগানো যাবে না। কারণ মসজিদের সম্পদ মসজিদের কাজেই ব্যবহার করতে হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৪/২৯০)।
উত্তর : ইয়াজূজ মাজূজ সম্প্রদায় আদম (আঃ)-এর বংশধর। তারা ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর সময় পৃথিবীতে উত্থিত হবে। শাসক যুলক্বারনাইন তাদেরকে এখন প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (কাহফ ৯৪-৯৮)। ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা সেদিন বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাব
উত্তর : হাদীছটি অনুরূপ নয়। ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের দু’টি দলকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তার একটি হচ্ছে যারা হিন্দুস্থানবাসীদের সাথে যুদ্ধ করবে। আর একটি হচ্ছে যারা ঈসা (আঃ)-এর সাথে থাকবে (নাসাঈ হা/
উত্তর : হাদীছটির ব্যাখ্যা হল- কোনকিছুর মধ্যে অকল্যাণ নেই। যদি থাকত তবে ঘোড়া, নারী ও বাড়ীর মধ্যে অকল্যাণ থাকত (আহমাদ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৪২ ও ৯৯৩)। মূল ঘটনা হল, জাহেলী যুগে ধারণা করা হত যে সবকিছুর মধ্যে অকল্যাণ রয়েছে। তারই জবাবে রাসূল (ছাঃ) উক্ত কথা ব
উত্তর : ‘জশন’ ফারসী শব্দ। এর অর্থ উৎসব, আনন্দ। আর ‘জুলূস’ আরবী শব্দ। অর্থ- উপবেশন, বৈঠক, অনুষ্ঠান ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনের জন্য বাৎসরিক মীলাদ উপলক্ষে যে মিছিল বের করা হয়, তা ‘জশনে জুলূস’ বলে পরিচিত। ইসলামে এধরনে
উত্তর : অবশ্যই শরীক হতে পারবে এবং তার পূর্ণ নেকী পাবে। পরবর্তী ছালাত তার জন্য নফল হিসাবে গণ্য হবে। আবু যার গিফারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে বলেন, যখন তোমাদের আমীরগণ নির্দিষ্ট সময় হতে ছালাত দেরী করে পড়বে তখন কী করবে
উত্তর : হাদীছে সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে বিবাহ করতে বলা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)। মোহরসহ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও বাসস্থান সবই এর অন্তর্ভুক্ত। তাই সম্ভব হলে পৃথক বসবাসের ব্যবস্থা করবে। অন্যথা একই পরিবারে নারী ও পুরুষ প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে
উত্তর : আযান ও এক্বামতের উত্তর একই রকম হবে। কারণ হাদীছে উভয়কেই আযান বলা হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৬২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাই বল যা মুওয়াযযিন বলে (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় আযান
উত্তর : ওযূ না করে গোসল করলে ঐ গোসলের পর ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ ছালাতের জন্য ওযূ শর্ত। আর ওযূর জন্য নিয়ত শর্ত। সুতরাং এজন্য গোসলের পূর্বে ওযূ করে নিতে হবে (নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৫)।
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কারণ আদম সৃষ্টির ঘটনা থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, মানুষের আগে আল্লাহ জিনকে সৃষ্টি করেছেন। আর জিনের পূর্বে ফেরেশতাকে সৃষ্টি করেছেন। আর ফেরেশতারা যা দাবী করেন তাতে আদম প্রথম মানুষ (বাক্বারাহ ৩০)। আনাস (রাঃ) বলেন, রাস
উত্তর : ফরয বা সুন্নাত ছালাতে সিজদায় গিয়ে কুরআনের আয়াত দ্বারা দো‘আ করা যাবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৭৩)। সিজদায় কুরআন ব্যতীত হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহ পড়া যায়। আর শেষ বৈঠকে বসে ‘আত্তাহিইয়াতু’ ও ‘দরূদ’ পড়ার পর কুরআন এবং হাদীছ থেকে সব ধরনের দো‘আ পড়া
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি আমার প্রতিপালককে স্বপ্নে সুন্দরতম আকৃতিতে দেখেছি। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, শীর্ষস্থানীয় ফেরেশতাগণ কি বিষয়ে বিতর্ক করছে? আমি বললাম, আপনি ভাল জানেন... (তিরমিযী হা/৩২৩৪-৩৫; মিশকাত হা/৭২৫; সিলসিলা ছ
উত্তর : মসজিদে এমন গ্লাস বা টাইলস দেওয়া উচিত নয় যাতে মুছল্লীর ছবি দেখা যায়। এমতাবস্থায় সামনে কাপড় টাঙিয়ে ও নীচে কাপড় বিছিয়ে ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ যেকোন ছবি বা চিত্র ছালাতের জন্য ক্ষতিকর। যেমন প্রাণীর অংকিত চিত্র, তৈলচিত্র ও কাপড়ের চিত্র ক
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। দুনিয়ায়ী আমলের ভাল-মন্দের ফলাফল কবর থেকেই শুরু হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় কবরবাসীকে তার জান্নাত অথবা জাহানণামের ঠিকানা দেখানো হয়। ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই রূপ হতে থাকবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বুখারী হা/
উত্তর: মোহরানা ছাড়া বিবাহ বৈধ নয়। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, ‘আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা খুশীমনে দিয়ে দাও’ (নিসা ৪)। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে মোহরানা বাবদ লোহার আংটি হলেও নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। অতঃপর সেটাও না পাওয়ায় কুরআন শিক্ষা দেওয়ার শ
উত্তর: খাৎনা করা ইসলামের স্বভাবগত সুন্নাত এবং অন্যতম নিদর্শন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২০)। ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর হুকুমে আশি বছর বয়সে নিজের খাৎনা করেছিলেন (বুখারী হা/৩৩৫৬)। কিন্তু খাৎনার অনুষ্ঠান করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর স্বর্ণ যুগে এর কোন
উত্তর: নবী এবং রাসূলের মধ্যে পার্থক্য হ’ল, আল্লাহ তা‘আলা যাকে নতুন শরী‘আত দিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট পাঠান তাঁকে রাসূল বলা হয়। আর যাকে নতুন শরী‘আত না দিয়ে পূর্বের রাসূলের শরী‘আতই প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান তাঁকে নবী বলা হয় (আলোচনা দ্রঃ
উত্তর : ছালাতে ইমাম ভুল করলে মুক্তাদীরা লোকমা দিবে (আবুদাঊদ হা/৯০৭)। যদি ক্বিরাআতে ভুল হয় তাহলে সহো সিজদা দেওয়া লাগবে না (আবুদাঊদ হা/৯০৮; নায়লুল আওত্বার ২/৩৭২)। তবে রাক‘আত গণনায় ভুল হলে ঐ রাক‘আত পুনরায় পড়ে সহো সিজদা দিতে হবে। রাক‘আতের ব্যাপারে সন
উত্তর : মুমিনদের মৃত্যুর পর তাদের রূহ আসমানে চলে যায় এবং শরীর মাটিতে খেয়ে নেয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আদমের সকল সন্তানকে মাটিতে খেয়ে নিবে শুধু তার মেরুদন্ডের সর্বনিম্ন হাড্ডি (عَجْبُ الذَّنَبِ) ব্যতীত। কারণ তা থেকেই তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তা থ
উত্তর : মৃত ব্যক্তির দাফনের পূর্বে ও পরে এ ধরনের সকল অনুষ্ঠান বিদ‘আত, যা অবশ্য বর্জনীয়। ইসলামের সোনালী যুগে এসবের কোন প্রমাণ নেই। বরং জাহেলী যুগে দানশীল ও নেককার ব্যক্তিদের কবরের পাশে গরু-ছাগল-মোরগ ইত্যাদি যবহ করা হ’ত। ইসলাম আসার পরে এগুলি নি
উত্তর : বাড়ীতে অবস্থান করাই মহিলাদের কর্তব্য (আহযাব ৩৩)। বের হলেই শয়তান তাদের পিছু নিবে (ছহীহ তিরমিযী হা/১১৭৩; মিশকাত হা/৩১০৯)। তবে প্রয়োজনে বের হলে নিরাপত্তার সাথে পর্দা সহ বের হবে। অর্থাৎ শর্তসাপেক্ষে বাইরে যেতে পারবে এবং চাকুরীও করতে পারবে। যে
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কুলখানী, চেহলাম, কুরআন খানি, কবরস্থানে গিয়ে বিভিন্ন সূরা পাঠ করা, কুরআন বখশানো সবই কুসংস্কার ও বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এধরনের কোন প্রথা প্রমাণিত নয় (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ১৯৪
উত্তরঃ একাকী ছালাত বাদে সরাসরি নয়, বরং তাসবীহ পাঠ শেষে দো‘আ করবে। তাহাজ্জুদের সময় বা অন্য সময়ে ছিয়ামরত অবস্থায় একাকী হাত তুলে দো‘আ করা যাবে। তবে দো‘আ শেষে মুখে মাসাহ্ করবে না। কেননা মুখে মাসাহ করার হাদীছ যঈফ।
উত্তরঃ জুম‘আর ছালাতে কেবল তাশাহ্হুদ পেলে সালাম শেষে দাঁড়িয়ে যোহরের চার রাক‘আত ফরয ছালাত আদায় করবেন। কারণ তিনি রাক‘আত পাননি (ইবনু মাজাহ হা/১১২৩; দ্রঃ তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৫২৪)।
উত্তরঃ ১ম কারণ হ’ল, আল্লাহ বাক্য না বলে আয়াত বলেছেন। ২য় কারণ হ’ল, কুরআন মানুষের কালাম নয়। এটি আল্লাহর কালাম। যিনি অদৃশ্য। কিন্তু তাঁর কালাম হ’ল তাঁর সত্তার বাহ্যিক নিদর্শন। তাই তাকে আয়াত বা নিদর্শন বলা হয়। বাংলায় উচ্চারিত কুরআন সঠিক তাজবীদ সহ
উত্তরঃ যদি সন্তানের সামর্থ্য থাকে তাহলে পিতার হারাম উপার্জন ভক্ষণ করা এবং হারাম উপার্জনের দ্বারা তৈরি করা বাড়িতে বসবাস করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। সামর্থ্য না থাকলে পিতাকে হারাম পথ ছেড়ে সৎ পথে উপার্জন করতে নছীহত করতে হবে ও সেপথে পিতাকে পূর্ণ স
উত্তরঃ যেতে পারে। কারণ মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা জায়েয, যদি না তারা সেখানে গিয়ে সরবে কান্নাকাটি করেন। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান ইবনু আবী বাক্র-এর কবর যিয়ারত করেছেন। তাকে বলা হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেননি। তিন
উত্তরঃ সুতরা অর্থ আড়াল করার বস্ত্ত। মুছল্লীর দাঁড়ানো অবস্থার পায়ের অগ্রভাগ থেকে সম্মুখ ভাগের দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত সুতরা। এতটুকু দূরত্বের বাহির দিয়ে যাতায়াত করতে কোন বাধা নেই। যদিও সুতরা ব্যবহার না করা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কা বিজয়ের দিন কা‘ব
উত্তরঃ দুই সালামের পর দাঁড়াবেন। এটিই সঠিক।
উত্তর : অবশ্যই দাবা খেলা হারাম। হাদীছে এসেছে, ‘যে লুডু (النَّرد) খেলল, সে যেন শুকরের গোশ্ত ও তার রক্তে তার হাত ডুবাল’ (মুসলিম ২২৬০; ইবনু মাজাহ হা/৩৭৬৩)। অন্য হাদীছে এসেছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে লুডু খেলল, সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল’ (
উত্তরঃ আত-তাহরীক-এর বক্তব্য সঠিক। কারণ হাদীছটি অকাট্যভাবে ছহীহ (বিস্তারিত দ্রঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬৬৮)।
উত্তরঃ ইন্স্যুরেন্স শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ (১) ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে সূদ বিদ্যমান। এতে জমা টাকার বিনিময়ে অধিক টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। (২) ইন্স্যুরেন্স জুয়ার উপরে প্রতিষ্ঠিত। এতে হয় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লাভবান হয়, অথবা জমাকারী লাভবান হয়। তবে
উত্তরঃ কারো উপরে জিন আছর করলে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আয়াত ও দো‘আ পাঠের মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করা যায়। বিছানায় শয়নকালে নিয়মিত ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতার মাধ্যমে তার হেফাযত করেন এবং সকাল হওয়া পর্যন্ত শয়তান তার কোন প্
উত্তরঃ একথা সঠিক। পোষ্যপুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে বিবাহ করা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে মুমিনদের দ্বিধা-সংকোচ দূরীভূত করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যয়নাব বিনতু জাহাশকে বিবাহ করেন (তাফসীর ইবনে কাছীর ৩/৬৪২)। এ মর্মে আল্লাহ বলেন, ‘যাতে মুমিনদের পোষ্য প
উত্তরঃ এ ব্যক্তি অশেষ ছওয়াবের অধিকারী হবে। কেননা আল্লাহ রাববুল আলামীনের রেযামন্দি হাছিলের লক্ষ্যে কোন কাজ করলে ঈমান পরিপূর্ণ হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালবাসল, আল্লাহর জন্যই রাগান্বিত
উত্তরঃ সূদকে আল্লাহ হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। সুতরাং সূদ গ্রহণ করা ও সূদের সাথে সংশ্রব রাখা কবীরা গোনাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূদ গ্রহীতা, সূদ দাতা, সূদের লেখক ও সাক্ষীদেরকে অভিসম্পাত করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বল
উত্তরঃ ঈদের মাঠ খোলা রাখাই ভাল। তবে সংরক্ষণ করার জন্য চতুর্দিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা যেতে পারে। ইমাম দাঁড়ানোর জন্য মেহরাব বা মিম্বর, মুছল্লীদের ছায়ার জন্য প্যান্ডেল, ছাদ বা অনুরূপ কিছুই তৈরী করা যাবে না। নবী করীম (ছাঃ) মসজিদে নববীর মাত্র ৫০০ গজ
উত্তরঃ প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে স্ত্রীর এক তালাকে বায়েন হবে এবং তাকে ফেরৎ না নিলে স্বামী গোনাহগার হবে না।
উত্তরঃ মুছল্লীর জন্য সূরা ফাতিহা পাঠের পর অন্য একটি সূরা বা কুরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করা সুন্নাত (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪২)। ইবনু আববাস (রাঃ) সূরা ফাতেহা পাঠের পর প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা বাক্বারার একটি আয়াত তেলাওয়াত করতেন (দারাকুৎনী হা/১২৬৪, সনদ হাসান)।
উত্তরঃ উল্লেখিত বিষয়ে চরিতকারগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। অতএব এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণের কোন অবকাশ নেই (আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃঃ ৬০-৬১; ১৩৬)।
উত্তরঃ মীলাদ যেহেতু বিদ‘আত, সেহেতু মীলাদের উদ্দেশ্যে তৈরী খাবার হচ্ছে বিদ‘আতী খাবার। এজন্য তা খাওয়া যাবে না। কারণ এতে অন্যায়ের সহযোগিতা করা হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর। গোনাহ ও সীমা লংঘনের কাজে একে
উত্তরঃ ঘটনাগুলো জাল ও বানোয়াট (সিলসিলা যঈফাহ হা/১১২৮, ১১২৯, ১১৮৯; যঈফুল জামে‘ হা/৬৩৭৫)। সিডি মানুষের তৈরী। তাতে ভুল থাকতে পারে।
উত্তরঃ কবরের উপরে বা কবরকে সামনে রেখে ছালাত হয় না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৮)।
উত্তরঃ আযানের উত্তর দেয়া ও আযান শেষের দো‘আ পড়া উত্তম হবে। কারণ এ ইবাদত চলন্ত অবস্থায় রয়েছে যার উত্তর দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আদেশ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)।
উত্তরঃ শরী‘আতের বিধান বজায় রেখে কোন ছেলে কোন মেয়েকে পসন্দ করলে পিতা-মাতার তাতে রাযী হওয়াই ভাল। মেয়ে পসন্দ করার বিষয়টি ব্যক্তির অধিকার। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমাদের পসন্দ মত বিবাহ কর (নিসা ৩)। নবী করীম (ছাঃ) বিবাহের পূর্বে কনে দেখে নেয়ার জন্য বল
উত্তরঃ গরীব-দুস্থ বলে ঘৃণা করা অহংকারের পরিচয়। আল্লাহ অহংকারীকে পসন্দ করে না (লোক্বমান ১৮)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যার অন্তরে সরিষাদানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে যাবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১০৭)।
উত্তরঃ শাক্বীক্ব ইবনু সালামা একজন তাবেঈ। তাঁর থেকে এরূপ দো‘আ সাব্যস্ত হয়েছে এবং আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ ও ওমর (রা) হ’তেও বর্ণিত হয়েছে। সূরা রা‘দের ৩৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে এবং বিভিন্ন আক্বীদা সংক্রান্ত গ্রন্থে তা উল্লেখ কর
উত্তরঃ কালেমা হিসাবে আমরা যেসব নাম অবগত সেগুলো পরবর্তী আলেমদের দেয়া। আল্লাহর সাক্ষ্য যুক্ত বাক্য হ’ল কালেমা ত্বাইয়েবা যেমন- لاإله إلاالله (ইবরাহীম ২৪ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। আর আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাক্ষ্য যুক্ত বাক্য হ’ল কালেমা শাহাদাত যেমন-أش
উত্তরঃ দারিদ্র্যমুক্ত সংসারের আশায় পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা দারিদ্রে্যর ভয়ে সন্তান হত্যা কর না। আমরা তাদের ও তোমাদের রুযী দিয়ে থাকি’ (ইসরা ৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দ্বিতীয় বড় পাপ হ’ল তোমার সাথে খাবে, সেই ভয়ে স
উত্তরঃ আযান শেষে বাড়ি বাড়ি ডাকতে যাওয়ার কোন বিধান নেই। এমনকি ছালাত আরম্ভ হওয়ার পূর্বেও বলা যাবে না। আযানের পরে এভাবে ডাকা বিদ‘আত। ইবনে ওমর (রাঃ) একথা বলেন’ (ইরওয়া ১/২৫৫)।
উত্তরঃ পারেন। কারণ যে কোন বস্ত্ত সুতরা হিসাবে গ্রহণ করা যায়। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি কোন কিছু সামনে রেখে ছালাত আদায় করবে, যা লোকদের থেকে তাকে আড়াল করবে...’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৭৭৭)।
উত্তরঃ নির্জনে বিবস্ত্র হয়ে গোসল করা যায়। মূসা (আঃ) এবং আইয়ূব (আঃ) বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করতেন (বুখারী হা/২৭৮, ২৭৯)। তবে বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় গোসল করা উত্তম। নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহই অধিকতর হকদার’ (বুখারী, তরজ
উত্তরঃ বাড়িতে এসে কছর করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মদীনা থেকে মক্কায় গিয়ে কছর করতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৬)।
উত্তরঃ অপবিত্র অবস্থায় বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো যাবে। এ অবস্থায় দুধ খাওয়ানো যায় না এরূপ ধারণা করা কুসংস্কার। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, ‘সুবহা-নাল্লাহ নিশ্চয়ই মুমিন অপবিত্র হয় না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫১)।
উত্তর : ছিয়াম পালন ও তওবা করার কারণে জাহান্নাম মুখী ব্যক্তিকে আল্লাহ মুক্তি দান করেন। এটা অবশ্যই তাকদীর অনুযায়ী হয়ে থাকে। প্রকৃত মুমিন সৎকর্মশীল ব্যক্তিকে কবরে কোন মাসেই আযাব দেয়া হবে না। এ মাসে কবরের আযাব মাফ করে দেওয়া হয় এ কথা সঠিক নয়। এ মা
উত্তরঃ নির্দিষ্ট দো‘আর প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে নিম্নের দো‘আ পড়া যায় اَللَّهُمَّ اغْفِرْلَهُ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِى الْمَهْدِيِّيْنَ وَاخْلُفْهُ فِيْ عَقَبِهِ فِي الْغَابِرِيْنَ وَاغْفِرْلَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ وَافْسَحْ لَ
উত্তরঃ গান শোনা হারাম। গান শুনলে কাবীরা গুনাহ হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা গান-বাজনা খেল-তামাশা ক্রয় করে... তদের জন্য অপমানজনক শাস্তি রয়েছে’ (লুক্বমান ৬)। নবী করীম (ছাঃ) গান-বাজনা নিষিদ্ধ করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৬৫২)। নবী করীম (ছাঃ) গান-বা
উত্তরঃ যৌথ সংসারের কেউ এমন করলে তা খিয়ানত হবে, যাতে বড় গুনাহ হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি খিয়ানত করল সে আমার শরী‘আতের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (তিরমিযী হা/১৩১৫)।
উত্তরঃ ‘ফাযায়েলে আমল’ ও ‘ফাযায়েলে ছাদাক্বা’ ও এ জাতীয় বইগুলোতে বহু যঈফ ও জাল হাদীছ এবং ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা রয়েছে। উক্ত বইগুলোতে যা রয়েছে তা হেদায়াত থেকে মানুষকে অনেক দূরে সরিয়ে দেয়। এ সমস্ত ফাযায়েল ছেড়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অধ্যয়ন কর
উত্তরঃ ২০ রামাযান দিবাগত সন্ধ্যার পূর্বে ই‘তেকাফের জন্য মসজিদে প্রবেশ করতে হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ)। নবী করীম (ছাঃ) রামাযানের শেষের দশকে ই‘তেকাফ করতেন। আর শেষের দশক শুরু হয় ২০ রামাযান দিনের শেষ থেকে (ঐ)। ছিয়াম অবস্থা
উত্তরঃ পাপের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে পাপ না করার দৃঢ় সংকল্প করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলে ক্ষমা হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৩৩)। ক্ষমা চাওয়ার পদ্ধতি হ’ল, রাতে বা যেকোন সময়ে সুন্দর ভাবে ওযূ করে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে ক্ষমা চাইলে তার পাপ ক্ষমা হবে (তি
উত্তরঃ পিতার অবৈধ সম্পত্তি প্রাপ্তবয়ষ্ক সন্তান জেনেশুনে ভোগ করলে গোনাহগার হবে। কারণ এতে অন্যায়ের সমর্থন করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সতর্ক থাক সেই ফিতনা হ’তে যা বিশেষভাবে তোমাদের সীমা লংঘনকারীদের মাঝেই কেবল সীমাবদ্ধ থাকে না’ (আনফাল ২৫)।
উত্তর : তাদের সংখ্যা ছিল ৭০ হাযার। তখনকার অত্যাচারী শাসক স্রেফ ঈমানের কারণে একই দিনে তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল (ছহীহ তিরমিযী হা/৩৩৪০)।
উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ হল, ‘আর আল্লাহর জন্যই পূর্ব এবং পশ্চিম। সুতরাং যে দিকেই তোমরা মুখ ফিরাও সেই দিকেই আল্লাহর চেহারা রয়েছে’।উল্লেখ্য যে, তাফসীর মাআরেফুল কুরআনের বঙ্গানুবাদে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান’। আল্
উত্তর : এধরনের জঘন্য কর্মের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি খাদ্যের দাম বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাদ্য মজুত করে সে মহাপাপী’ (মুসলিম হা/৪২০৬; মিশকাত হা/২৮৯২)। এরূপ ব্যবসায়ী মহল, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বড় ধরনের প্রতারক ও ধো
উত্তর : মিশকাতে উদ্ধৃত আলী কর্তৃক বর্ণিত বায়হাক্বীর উক্ত হাদীছটি যঈফ, যা মিশকাতেই বলে দেওয়া হয়েছে’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, মিশকাত হা/৯৭৪; সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৭৪)। তবে পৃথক সনদে নাসাঈ কুবরাতে ও ছহীহ ইবনে হিববানে আবু উমামা থেকে ছহীহ সনদে হাদ
উত্তর : আপনার জানাটা ভুল এবং উক্ত মাওলানার দাবীই সঠিক। ‘আবাবীল’ শব্দটি বহুবচন। এর অর্থ ঝাঁকে ঝাঁকে, পাখির দল। উক্ত পাখির কোন নাম উল্লেখ নেই। এই পাখি আল্লাহ প্রেরিত গযবের পাখি, যা আরবরা পূর্বে বা পরে কখনো দেখেনি (তাফসীরে কুরতুবী ২০/১৩৫
উত্তর : ঘটনাটি ভিত্তিহীন। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) মিশকাতের ভাষ্য গ্রন্থ মিরক্বাতুল মাফাতীহে ইবনুল মালেকের উদ্ধৃতি দিয়ে উক্ত ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার কোন সনদ উল্লেখ করেননি (মিরক্বাত ২/৩৩১ পৃঃ ‘তাশাহহুদ’ অধ্যায়)। আল্লাম
উত্তর : যাবে। যদি পরিশোধ করার সামর্থ্য থাকে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম পরস্পরকে ঋণ দিতেন (বুখারী, মিশকাত হা/২৯০৫; ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/১৮৪ পৃঃ)। তাছাড়া কুরবানীর বিষয়টি সামর্থ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। যার সামর্থ্য আছে সেই কুরবানী করবে।
উত্তর : কেবল ক্বদরের রাত্রে এগুলো আল্লাহকে সিজদা করে একথা সঠিক নয়। বরং আসমান-যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহকে সিজদা করে’ (নাহল ৪৯)।
উত্তর : উক্ত ব্যবসা জায়েয। তবে মহিলারা তাদের সামনে যেতে পারবে না এবং তাদের কাছ থেকে চুড়ি পরিয়ে নিতে পারবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মহিলারা হচ্ছে গোপন বস্ত্ত। বাড়ীতে থাকাই হ’ল তাদের জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা (ত্বাবারাণী, সিলসিলা ছ
উত্তর : চিল্লায় যাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম সবচেয়ে বেশী দাওয়াতী কাজ করেছেন কিন্তু তারা চিল্লা নামে ৪০ দিনের কোন সীমা নির্ধারণ করেছেন মর্মে দলীল পাওয়া যায় না। অনুরূপভাবে তিন চিল্লা, বছর চিল্লা, জীবন চিল্লারও কোন অস্ত
উত্তর : বাথরুমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা যাবে না এমনটি নয়। বরং পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় কোন ইবাদত করা যাবে না। এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে কেউ সালাম দিলে তিনি উত্তর দিতেন না। তিনি প্রয়োজন সেরে উঠে পরে উত্তর দিতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকা
উত্তর : এজন্য সর্বাগ্রে শিরক মুক্ত হ’তে হবে এবং শরী‘আত অনুমোদিত নেক আমল করতে হবে (কাহফ ১১০)। কবরের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল নেই। নবী করীম (ছাঃ) কবরের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দো‘আ পড়তেন। আয়েশা (রাঃ
উত্তর : খাৎনার অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং এর দাওয়াতও খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলো কুসংস্কার, যা সমাজ থেকে তুলে দেয়া যরূরী। খাৎনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত এবং ইসলামী নিদর্শন সমূহের অন্যতম। যা সন্তানের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেখানে কোন
উত্তর : তারাবীহর ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট কোন দো‘আ নেই। তাছাড়া প্রচলিত পদ্ধতিতে যে মুনাজাত করা হয় তাও শরী‘আত সম্মত নয় এবং উক্ত দো‘আ পাঠের প্রমাণে কোন দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য রাসূলের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মাত্র।
উত্তর : উক্ত দাবী ভ্রান্ত ও মিথ্যা। এক শ্রেণীর অজ্ঞ ও পথভ্রষ্ট লোকেরা এই দাবী করে থাকে। যারা এদের কথা মেনে নেয় তারা মুসলমান থাকতে পারে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘রাসূল যা দিয়েছেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর তিনি যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন কর’
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভুল। যাকাত প্রদানের সময় নিছাবের প্রয়োজন হয়। ফিৎরা প্রদানের সময় নিছাবের প্রয়োজন নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফেতরার যাকাত ধনী-গরীব সবার উপর ফরয করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫)। কিন্তু যাকাত কেবল ধনীর উপর ফরয। ফ
উত্তর : বক্তব্য সঠিক হ’লে ছেলে সহ প্রশ্নকারীর কঠিন শাস্তি হওয়া আবশ্যক। যা সূরা মায়েদার ৩৩ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। অনুবাদ : ‘যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাথে লড়াই করে এবং পৃথিবীতে বির্পযয় সৃষ্টি করে বেড়ায় তাদের জন্য নির্ধারিত শাস্তি এই যে
উত্তর : وَسِيْلَةٌ শব্দটি একবচন বহু বচনে وَسَائِلُ অর্থ নৈকট্য, নৈকট্যের উপায়। অসীলা এমন ইবাদত যা আল্লাহর নিকট পৌঁছিয়ে দেয়। অর্থাৎ ইবাদতের মাধ্যমে নৈকট্য লাভ করা (লোগাতুল কুরআন)। অসীলা দুই প্রকার (১) সিদ্ধ অসীলা। যেমন- (ক) আ
উত্তর : জুমআর দিন দো‘আ কবুল হওয়ার দু’টি সময়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। (১) ইমাম ছাহেবের মিম্বারে বসা থেকে নিয়ে ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৭-৫৮)। (২) আছরের পর থেকে নিয়ে সূর্য ডোবা পর্যন্ত (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬০)। তবে প্রথমট
উত্তর : শিশু অবস্থায় যারা মারা যায় তারা জান্নাতে যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জান্নাত দেখার সময় অনেক ছেলেমেয়েকে ইবরাহীম (আঃ)-এর সামনে দেখলেন, যারা জনগণের সন্তান (বুখারী, মিশকাত হা/৪৬২১)। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, জিবরীল (আঃ) বলল
উত্তর : لَمَمَ শব্দটি কোন জিনিসের সামান্য পরিমাণ কিংবা সামান্য প্রভাব অথবা স্বল্প সময় থাকা বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন اَلَمَّ بِالْمَكَانِ ‘সে অমুক স্থানে সামান্য সময় অবস্থান করেছে’ اَلَمَّ بِالطَّعَامِ ‘সে সামা
উত্তর : অন্তত একজনকে ই‘তেকাফে বসতে হবে নইলে মহল্লার লোকেরা গোনাহগার হবে একথা ঠিক নয়। কারণ ই‘তেকাফ যেমন কোন ফরয ইবাদত নয়, তেমনি মহল্লার মসজিদে একজনকে বসতেই হবে একথাও ঠিক নয়। ই‘তেকাফ একটি সুন্নাত ইবাদত, যা ছিয়াম অবস্থায় জুম‘আ মসজিদে করতে হ
উত্তর: উক্ত ধারণা সঠিক নয়। কারণ এটা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। রক্ত বের হলে ছিয়াম নষ্ট হয় না এবং দুর্বলও হয় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছিয়াম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০২)।
উত্তর : সকল নেকীর কাজের দ্বারা মানত করা যায়। মানত হচ্ছে যরূরী নয় এমন কিছু কাজকে নিজের উপর যরূরী করে নেয়া। নেকীর কাজের মানত করলে তা পালন করতে হবে। আর পাপের কাজের মানত করলে তা পালন করতে হবে না (বুখারী, মিশকাত হা/৩৪২৭)। শিরক ও বিদ‘আতী কো
উত্তর : কুঁচে, চিংড়ি, কচ্ছপ ও তার ডিম রুচি হ’লে খাওয়া যায়। কারণ এগুলো পানিতে বসবাস করা প্রাণী। আর পানির শিকার (যা হিংস্র নয়) হালাল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য সাগরের শিকার হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৯৬)। তবে ব্যাঙ খাওয়া জায়েয নয়। কার
উত্তর : যে কোন বৈধ বস্ত্ত ব্যবহার করে নারীরা সুন্দরী হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, পুরুষের সুগন্ধি হচ্ছে যার গন্ধ প্রকাশ পায় কিন্তু রং গোপন থাকে। আর নারীদের সৌন্দর্য হচ্ছে যার রং প্রকাশ পায় কিন্তু সুগন্ধি গোপন থাকে 
উত্তর : উক্ত দো‘আ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, এটি মানুষের মুখের প্রচলিত কথা মাত্র। এর কোন ভিত্তি নেই (মিরক্বাতুল মাফাতীহ ৬/৩০৪ পৃঃ)। এছাড়া কোন কোন স্থানে নিম্নোক্ত দো‘আটিও চালু আছে- باسم الله والحمد لله اللهم ل
উত্তর: উক্ত বর্ণনা যঈফ ও মুনকার (আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৪১৬৯)। ছহীহ হাদীছ সমূহে শুধু চুম্বন করার কথা এসেছে (বুখারী হা/১৫৯৭; মিশকাত হা/২৫৮৯)।
উত্তর : আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তোমরা মাগরিবের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় কর। তোমরা মাগরিবের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় কর, তোমরা মাগরিবের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় কর, যে ব্যক্তি ইচ্ছা কর’ (মুত্তা
উত্তর : এটা মানতকারীর নিয়তের উপরে নির্ভরশীল (ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়িমাহ, ২য় খন্ড, নযর অধ্যায়, পৃঃ২৯৩-৯৪; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১)। সুতরাং মসজিদের জন্য মানত করলে তা মসজিদের কাজে লাগাবে।
উত্তর : ‘ওমরী ক্বাযা’ আদায় করার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। কোন ব্যক্তির বিগত দিনের ছেড়ে দেওয়া ছালাত ও ছিয়ামের জন্য অনুতপ্ত হয়ে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় না করার প্রতিজ্ঞা করে খালেছ নিয়তে তওবা করলে তার অতীতের গোনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ
উত্তর : ঘটনাটি জাল বা মিথ্যা (বিস্তারিত দ্র. তাফসীর ইবনে কাছীর, ৭/২৪৪-৪৬ পৃঃ, সূরা তওবা ৭৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যা)।
উত্তর : সাধারণভাবে কোন অমুসলিমকে ঘর ভাড়া দেওয়া যাবে। তবে যদি সেখানে দেব-দেবী, মূর্তি-প্রতিমা রাখা হয় বা পূজা করা হয়, তবে সে ব্যক্তির নিকটে ঘর ভাড়া দেওয়া উচিত নয়। কেননা তখন হারাম কাজে সহযোগিতা করা হবে, যা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ২)।
উত্তর : মসজিদে কারো জন্য কোন জায়গা নির্দিষ্ট করে রাখা ঠিক নয়। বরং যিনি আগে আসবেন, তিনি প্রথম কাতারে দাঁড়াবেন (মুসলিম; মিশকাত হা/১০৯০)। তবে বিচক্ষণ ও দ্বীনি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিগণই ইমামের নিকটবর্তী ও পিছনে দাঁড়াবেন। অতঃপর অন্যরা দাঁড়াবে&nbs
উত্তর : জানাযার ছালাতে ক্বিরাআত ও দো‘আ সরবে ও নীরবে দু’ভাবেই পড়া যায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৫৪-৫৫, নাসাঈ হা/১৯৮৯, ১৯৯১)।
উত্তর : মহিলারা তারাবীহ-এর জামা‘আতে শামিল হ’তে পারবে, যদি মসজিদে গমনের পথ নিরাপদ থাকে। এক্ষেত্রে তাদেরকে সুগন্ধি ব্যবহার ও সৌন্দর্য প্রদর্শনী পরিহার করতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলঅইহ, মিশকাত হা/১০৫৯-৬০)। তবে মহিলাদের জন্য বাড়ীতে ছালাত আদায়
উত্তর : এমতাবস্থায় আপনি যোহর ও আছর একত্রে জমা করতে পারেন। কেননা বিশেষ অবস্থায় যোহরের সাথে আছরের ছালাত ক্বছর ছাড়াই জমা (একত্রিত) করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহর-আছর ও মাগরিব-এশার ছালাত কোন ভয়-ভীতি ও বৃষ্টি-সফর ছাড়াই জমা করেছেন (ম
উত্তর : ইবরাহীম (আঃ) তাঁর প্রথম ও জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে কুরবানী করেছিলেন। এটাই কুরআন ও হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। নিঃসন্তান ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর কাছে সুসন্তান প্রার্থনা করেছিলেন। সেই দো‘আর বদৌলতে যে সন্তানকে তিনি পেয়েছিলেন তাকেই কুরবা
উত্তর : জান্নাত একটি। এর দরজা ৮টি (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৭)। যেমন রাইয়ান, আদন, জান্নাতুল ফেরদাউস ইত্যাদি। জাহান্নাম একটি। যার দরজা ৭টি (হিজর ১৫/৪৩)। যেমন হুত্বামাহ, সাঈর, সাক্বার ইত্যাদি।
উত্তর : কাঁধের সাথে কাঁধ ও কদমের সাথে কদম মিলাবে (বুখারী)। ইমামের সালাম ফিরানোর পরে মাসবূক মুছল্লীগণ পৃথক পৃথকভাবে দাঁড়িয়ে ছালাত পড়তে পারবে।
উত্তর : ইসলামে বিনিয়োগের মাত্র দু’টি পথ রয়েছে। (১) শরিকানা ব্যবসা। যা লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগির ভিত্তিতে হবে। যাকে ‘মুশারাকা’ বলে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ বলেছেন, আমি দুই শরীকের তৃতীয়জন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দু’জনের একজন খিয়ানত না করে’&
উত্তর : সূদ প্রদান করা হলে সেই পরিমাণ সূদ বর্জন করতে হবে। আর যদি গ্রহণ করতেই হয় তাহ’লে সূদের টাকাগুলো সামাজিক কাজে ব্যয় করতে হবে।
উত্তর : মা‘রেফাত’ অর্থ চেনা বা বিশেষভাবে জানা। পারিভাষিক অর্থে আল্লাহকে জানা। অন্য সৃষ্টির সাথে মানুষের পার্থক্য এই যে, তাকে জ্ঞান দান করা হয়েছে এজন্য যে, তার দ্বারা সে তার প্রতিপালককে চিনতে পারবে ও তার লাভ ও ক্ষতির তারতম্য করতে পারবে। ক
উত্তর : এগুলো সবই বিদ‘আতী প্রথা। এতে মৃত ব্যক্তির কোন উপকার হয় না। মীলাদ মাহফিল ও চল্লিশা পালন সম্পূর্ণরূপে শরী‘আত বিরোধী কর্ম। যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : বিষয়টি বুঝতে ভুল হয়েছে। রাসূলের সরাসরি নানার গোত্র ছিল মক্কার বনু যোহরা। যা ছিল কুরায়েশদের একটি সম্ভ্রান্ত গোত্র। আর তারাই উক্ত বৈঠকে হাযির ছিল। পক্ষান্তরে মদীনার বনু নাজ্জার ছিল রাসূলের দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিবের নানার গোত্র। কেন
উত্তর : বিক্রি করা যাবে না; বরং তার সাথে যবহ করবে (মির‘আত ২/৩৬৮-৬৯; মাসায়েলে কুরবানী, পৃঃ ২৬)।
উত্তর : ঈদ ও তারাবীহ্র ছালাতে দু’বার ইমামতি করা সম্পর্কে কোন দলীল পাওয়া যায় না। কারণ রাতের নফল ছালাত রাসূল (ছাঃ) এগারো রাক‘আতের বেশী পড়েননি।
উত্তর : আছারটি ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য (বুখারী হা/১৩২২-এর পূর্বের আলোচনা দ্র: ‘জানাযা’ অধ্যায়অনুচ্ছেদ৫৬)।উল্লেখ্য, আছারটি মওকূফ হিসাবে ছহীহ। আর মারফূ হিসাবে যঈফ। তাই ইমাম বুখারী মওকূফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। শায়খ বিন বায বলেন, وهى مقب
উত্তর : ছালাতের মধ্যে পাঠ করা হ’লে আমীন বলা যাবে না। কারণ হাদীছ দ্বারা তা সাব্যস্ত হয়নি। তবে ছালাত ছাড়া অন্য সময়ে দো‘আ হিসাবে পড়লে আমীন বলা যাবে।
উত্তর :কুরআনকে আল্লাহ ‘কুরআনুল কারীম’ (ওয়াক্বি‘আহ ৪৪) ও ‘কুরআনুম মাজীদ’ (বুরূজ ২১), কুরআনুল হাকীম (ইয়াসীন ২) বলেছেন। সুতরাং এ শব্দগুলিই ব্যবহার করা উচিত। ‘শরীফ’ শব্দটি আরবী, এর অর্থ মর্যাদাপূর্ণ। ভাবার্থের দিক দিয়ে কুরআন,
উত্তর : কেউ দো‘আ চাইলে তার উদ্দেশ্য পূরণ ও বিপদমুক্ত হওয়ার জন্য দো‘আ করতে হবে (বুখারী হা/১৯৮২ ও ৬৩৩৪)। যাদের দো‘আ কবুল হয় তাদের নিকট দো‘আ চাওয়া উচিত। যেমন পিতা-মাতা, ছিয়ামকারী ও মুসাফির প্রমুখ (ছহীহ মুসলিম হা/২৫৪২)।
উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। মহামতি ইমামের নামে এরূপ অন্যায় দাবী করা এবং এরূপ কথা বলা ঠিক নয়।
উত্তর : স্পষ্ট সূদের আওতায় পড়বে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ঋণ গ্রহিতা থেকে উপকার নিতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে’ (ইরওয়া ৫/২৩৪, হা/১৩৯৭)। সুতরাং কর্য দিয়ে তা থেকে লাভ নেওয়া হারাম। এক্ষণে ইমাম সূদ গ্রহণ করলে সে ফাসিক (পাপাচারী) হবে। কেননা সূদকে আ
উত্তর : সাত আসমানের চেয়ে আল্লাহ্র আরশ বড় একথা ঠিক (ইবনু আবী শায়বা, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৯)। কিন্তু আরশের চেয়ে আল্লাহ বহুগুণ বড় এ কথা বলা যাবে না। কারণ এর দ্বারা আল্লাহকে তাঁর সৃষ্টির সাথে তুলনা করা হয়। অথচ তাঁর সাথে তাঁর কোন সৃষ্টিকে ত
উত্তর : কোন পোষাকেই আয়াত লেখা যাবে না। কারণ এর দ্বারা আল্লাহ্র বাণীর অবমাননা হ’তে পারে (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২)। এ নিয়ে পেশাব-পায়খানাতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
উত্তর : মৃত ও অক্ষম জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ওমরাহ আদায় করা যাবে (ছহীহ নাসাঈ হা/২৬৩৭; মিশকাত হা/২৫২৮; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৫২৯)। তবে যিনি পূর্বে ওমরাহ করছেন তিনিই কেবল বদলী ওমরাহ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, শারীরিক এবং আর্থিক উভয় দিক দিয়ে সক্
উত্তর : উক্ত পদ্ধতির পক্ষে শরী‘আতে কোন দলীল পাওয়া যায় না। কারণ রাতের নফল ছালাত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রমাযান এবং রমাযান ছাড়া অন্য সময়ে এগারো রাক‘আতের বেশী পড়েননি (বুখারী, মুসলিম প্রভৃতি)। সুতরাং মসজিদুল হারামে করা হচ্ছে বলে একে দলীল হিসা
উত্তর : কুরবানীর গোশত তিন শ্রেণীর ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তা হ’তে তোমরা খাও, অভাবগ্রস্তকে খাওয়াও এবং ভিক্ষাকারীকে দাও’ (হজ্জ ৩৬)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে একভাগ নিজ পরিবার
উত্তর : ছয় মাসের ভেড়া কুরবানী করা যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যে ছাহাবীকে অনুমতি দিয়েছিলেন সেটা তার জন্য খাছ ছিল (ইরওয়া ৪/৩৫৭ পৃঃ)।
উত্তর : মুক্বীম অবস্থায় ভাগে কুরবানী করার কোন বিধান নেই। বরং একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই যথেষ্ট। তবে সামর্থ্য থাকলে একাধিক পশুও কুরবানী করতে পারবে। সফর অবস্থায় ভাগা কুরবানী করা সম্পর্কে ছহীহ দলীল রয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে আ
উত্তরঃ মসজিদের নীচে বা উপরে মার্কেট করা যায় (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ ৩১/২৫৯)।
উত্তর : ঈদের অতিরিক্ত তাকবীরগুলোতে হাত তোলা যাবে (ফিরইয়াবী, সনদ ছহীহ, মওকূফ, ইরওয়া ৩/১১৩)। ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকবীরের সাথে হাত উঠাতেন (ইরওয়া হা/৬৪১)। মালেক ইবনে আনাস (রাঃ) বলতেন, তোমরা অতিরিক্ত তাকবীর সমূহে
উত্তর : মহিলাদের জন্য জুম‘আর জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা জায়েয। যদি সেখানে পর্দার ব্যবস্থা থাকে এবং মহিলা শারঈ লেবাস পরিহিতা হন ও সুগন্ধি না মাখেন। যদি স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি থাকে। অন্য কোন সমস্যা না থাকলে অভিভাবকদের নিষেধ করা উচিত নয়। কেন
উত্তর : যাবে না। এতে কুরআন মজীদের অবমাননা হয়। কারণ এতে আয়াত ও শব্দের যেকোন স্থানে বন্ধ করা হ’তে পারে। পবিত্র অপবিত্র যেকোন স্থানে এবং আগ্রহী অনাগ্রহী যেকোন ব্যক্তির কাছে তেলাওয়াত হ’তে পারে, যা অসিদ্ধ (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২) এবং
উত্তর : কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের। চৌদ্দশ’ হিজরীর প্রথম দিকে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীর (১৮৩৫-১৯০৮) মাধ্যমে মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইংরেজদের সহযোগিতায় এ সম্প্রদায় জন্মলাভ করে (পৃঃ ১১৮-২২)। গোলাম আহমাদ প্রথমে নিজেকে মুজাদ্দিদ ও ইমা
উত্তর : পিতা-মাতা আছে এমন শিশুর মাথায় হাত বুলালে দশটি ছওয়াব হয় কথাটি সঠিক নয়। আর ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলালে তার মাথার চুলের সমপরিমাণ ছওয়াব পাওয়া যায় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আহমাদ, মিশকাত হা/৪৯৭৪, যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৫১৩)। ত
উত্তর : ছেলেকে তাজ্যপুত্র করা যাবে না। ভাল করার প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ্র ভয় দেখাতে হবে (আহমাদ, মিশকাত হা/৬১)। স্ত্রীকেও ভাল উপদেশ দিতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩২৩৮)। শেষ পরিণতি হিসাবে তাকে তালাক দিতে হবে (মুসলিম,
উত্তর : এ নিয়ম জাহেলী যুগে চালু থাকলেও ইসলাম একে নিষিদ্ধ করেছে (আহযাব ৪ ও ৫ নং আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। যে কেউ নেকীর উদ্দেশ্যে ইয়াতীম বা দরিদ্র সন্তানকে লালন-পালন করতে পারে। তবে সে যখন থেকে বুঝতে শিখবে তখন তাকে জানিয়ে দিতে হবে যে, লালন-পালন
উত্তর : আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন যাকাত বন্টনের যেসব খাত উল্লেখ করেছেন, মসজিদ তার অন্তর্ভুক্ত নয় (তওবা ৬০)। সুতরাং মসজিদ নির্মাণের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না (ফিক্বহুস সুন্নাহ ‘যাকাত বন্টন’ অধ্যায়, ১/৪৭০ পৃঃ)।
উত্তর : ঐ ব্যক্তি জঘন্যতম পাপ করেছে, যার জন্য শরী‘আতে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে এই অবৈধ কর্মের জন্য স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না। কারণ কোন অবৈধ সম্পর্ক কোন বৈধ বিবাহকে হারাম করে না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যেনা বৈবাহিক বন্ধনকে
উত্তর : উক্ত ঘটনা সঠিক নয় (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ২/৫৪)। বিভিন্ন তাফসীর ও ইতিহাস গ্রন্থে এ ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। যা বানোয়াট ইসরাঈলী বর্ণনা মাত্র।
উত্তর : দেয়া যাবে। তবে কবরস্থানে কবর দেওয়াই ভাল (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০০)। পিতা-মাতার পাশে কবর দেওয়ার কোন ফযীলত আছে বলে জানা যায় না। তবে ওমর ফারূক (রাঃ) রাসূলের পাশে কবরস্থ হওয়ার জন্য আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট যে আবেদন করেছিলেন, তার কার
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত ছুটে গেলে দিনে পড়ে নেয়া ভাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, যে কোন কারণে রাতে ছালাত ছুটে গেলে, নবী করীম (ছাঃ) দিনে ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/১৭৩৯, ৪৩ ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়)। তাহাজ্জুদ রাসূলের জন্য ছিল নির্ধারিত
উত্তর : আদম সন্তানের আমল লিপিবদ্ধ করার জন্য দু’জন ফেরেশতা নির্ধারিত থাকেন, যারা মানুষের ডানে ও বামে অবস্থান করেন। আল্লাহ বলেন, ‘যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করে’ (ক্বাফ ১৭)। ডান দিকের ফেরেশতা সৎ আমল ও বাম দিকের ফে
উত্তর : ঐসব প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা যাবে না। এতে পাপের সহযোগিতা করা হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। সূদদাতা, গ্রহীতা, লেখক ও সাক্ষী সবাইকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অভিশাপ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)।
উত্তর : কোন মুসলিম ব্যক্তির জানাযা না হ’লে তার জন্য গায়েবানা জানাযা পড়া যাবে। অনুরূপ অমুসলিম দেশে কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার জানাযা না হ’লে ঐ ব্যক্তির গায়েবানা জানাযা করা যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫২)। কিন্তু যার জানাযা হয়
উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘মাক্বামে মাহমূদ হচ্ছে সুফারিশ’ (আহমাদ, সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৩৬৯; আলোচনা দ্রঃ ইবনু খুযায়মাহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৪৬০; তিরমিযী হা/৩১৩৭)। কা‘ব ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলে
উত্তর : কর্য গ্রহীতা স্বেচ্ছায় বেশী দিলেও তা গ্রহণ করা যাবে না। কারণ কর্যের লাভ গ্রহণ করা সূদ। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছাহাবীগণ কর্যের লাভ অপসন্দ করতেন এবং যে কর্য লাভ নিয়ে আসে তা নিষেধ করতেন (বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/১৩৯৭)। কর্য হবে স্রেফ
উত্তর : উক্ত সন্তান পূর্বের স্বামীর হবে। কারণ পরের বিবাহ বৈধ হয়নি। সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিবাহ জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যার পেটে সন্তান থাকে তার ইদ্দতের সময়সীমা হ’ল সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত’ (তালাক ৪)। সুবাই‘আ বিনতে
উত্তর : নিয়মিত ছালাত আদায় করার ব্যাপারে স্বামী ও পরিবারের সদস্যগণ তাকে বারবার নছীহত করবে। অধিক নছীহতের মাধ্যমে স্ত্রীর মনের বক্রতা দূর করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তম নছীহত কর। কেননা নারী জাতিকে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা
উত্তর : এরূপ ভুলের জন্য ইমাম দায়ী হবেন। তবে তার পিছনে ছালাত হয়ে যাবে। ইমাম সংশোধন না হ’লে মসজিদ কমিটির কর্তব্য হবে, তাকে বাদ দিয়ে অন্য ইমাম নিয়ে আসা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তিন জন ব্যক্তির ছালাত তার মাথার উপরে এক বিঘতও উঠে না (অর্থাৎ তার ছালাত কবুল
উত্তর : বৈধ অনেক খেলা সাধারণভাবে জায়েয হলেও যদি তা অনর্থক সময় নষ্টের কারণ হয় বা ইবাদতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। বর্তমানে মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইসে রক্ষিত গেম সমূহ এর অন্তর্ভুক্ত। যাতে বিনোদনের চাইতে ক্ষতি বেশী রয়েছে। তাছাড়া এতে ইবাদত পা
উত্তর : হায়েযের শেষ সময় দু’ভাবে বোঝা যায়। প্রথমতঃ হয়তবা শ্বেতস্রাব বা সাদা তরল পদার্থ নির্গত হবে, যা জরায়ু থেকে বের হয়। অথবা রক্ত এমনভাবে বন্ধ হবে যে, কাপড় বা টিস্যু ব্যবহার করলে তাতে লাল, হলুদ বা খয়েরী রঙ-এর কোন প্রকার তরল পদার্থ আসবে না। এরপর গোসল
উত্তর : সালাম ফিরানোর সময় মুছল্লী স্বাভাবিকভাবে ডানে ও বামে দৃষ্টিপাত করে সালাম ফিরাবে (মুসলিম হা/৪৩১)। আর যদি একাকী ছালাত আদায় করে, তাহ’লে ডানে ও বামে থাকা ফেরেশতাদেরকে সালাম প্রদানের নিয়ত করবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪৫৬, ৪৬২; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে’
উত্তর : মাসীহ শব্দটি এসেছে ‘মাসাহ’ থেকে। যার অর্থ স্পর্শ করা বা মোছা। ঈসা (আঃ)-কে মাসীহ বলা হয় এজন্য যে, তাঁর হাতের স্পর্শে আল্লাহর হুকুমে অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগী আরোগ্য লাভ করত। এমনকি মৃত ব্যক্তি জীবন লাভ করত (আলে ইমরান ৩/৪৯)।অন্য দিকে দাজ্জালকেও মাসীহ বল
উত্তর : সুখী হওয়ার একমাত্র উপায় হ’ল তাক্বদীর ও তাওয়াক্কুল। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ফয়ছালা তথা তাক্বদীরকে মেনে নিতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহর সিদ্ধান্তের মধ্যে অবশ্যই কল্যাণ রয়েছে। অতঃপর সকল কাজে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ বলেন,
উত্তর : ইসলামী আক্বীদা-আমল ও সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার এবং শারঈ বিধানকে সহজভাবে তুলে ধরার জন্য গল্প, উপন্যাস বা কল্পকাহিনী রচনা করা যায়, যা মূলতঃ মিথ্যার পর্যায়ভুক্ত নয় বরং বাস্তবতা অনুধাবনের জন্য উপমা, উদাহরণ বা সাদৃশ্য হিসাবে পরিগণিত হয়। কারণ রাসূল (
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত্রি পর্যন্ত ছালাত আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করল, সে যেন সারারাত্রি ব্যাপী ছালাত আদায় করল’ (ম
উত্তর : তারাবীহসহ যেকোন নফল ছালাতে কুরআন দেখে পড়া যায়। আয়েশা (রাঃ)-এর গোলাম যাকওয়ান রামাযান মাসে কুরআন দেখে আয়েশা (রাঃ)-এর ইমামতি করেছেন (বুখারী, ‘আযান’ অধ্যায়, ৫৪ অনুচ্ছেদ; বায়হাক্বী হা/৩১৮৩)। তবে ছালাতে কুরআন মুখস্থ পড়াই উত্তম। কেননা এতে ছালাতে খুশ
উত্তর : এরূপ বাড়ীতে বসবাস করা উচিৎ নয়। কারণ জাদু দ্বারা মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাসূল (ছাঃ)-কেও জাদু করে রোগাক্রান্ত করে দেওয়া হয়েছিল। পরে সূরা নাস-ফালাক নাযিল হলে এর মাধ্যমে চিকিৎসা নিলে তিনি সুস্থ হন (সূরা নাস ও ফালাক্বের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। তাছাড়া কো
উত্তর : কুরআনে যেমন ইহুদী-খৃষ্টধর্মের মত একেশ্বরবাদী ইব্রাহীমী ধর্মগুলি বিকৃতি ও অসারতা প্রমাণ করা হয়েছে, তেমনি হিন্দু-বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মের মত পৌত্তলিক ধর্মের অসারতাও প্রমাণ করা হয়েছে, যাদেরকে সাধারণভাবে মুশরিক কিংবা মূর্তিপুজক হিসাবে কুরআনে উল্লেখ ক
উত্তর : ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা নেওয়ার পাশপাশি শারঈ ঝাড়-ফুঁকের চিকিৎসা নেওয়া জায়েয। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) এক সময় ঝাড়-ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিলেন। অতঃপর ‘আমর ইবনু হায্ম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের নিকট একটি ঝাড়-ফুঁক ছিল, যা
উত্তর : সরকারের সিদ্ধান্ত যদি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী না হয় এবং নাগরিকদের প্রতি যুলুম না হয়, তবে তা মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য (নিসা ৪/৫৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানীর নির্দেশ দেওয়া না হয়, ততক্ষণ পসন্দনীয় ও অপসন্দনীয় সব
উত্তর : সরকার কর্তৃক প্রদত্ত উৎসাহমূলক ভাতা গ্রহণে বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) সূদখোর ইহূদী-নাছারা ও মুশরিকদের হাদিয়াও গ্রহণ করতেন (বুখারী ৯/৩৮৪; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/২৪৩)। তবে যে উপলক্ষ্যে হাদিয়া প্রদান করা হয়ে, সে উপলক্ষ্য যদি হারাম হয়, তাতে অংশগ্রহণ করা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার উম্মতের সত্তুর হাযার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের কোন শাস্তি হবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, তারা কারা? তিনি বললেন, যারা শরীরের ক্ষতস্থানে লোহা পুড়িয়ে দাগা দেয় না এবং (জাহেলী যুগের ন্যায়) ঝাড়-ফুঁক বা মন্ত্
উত্তর : চার মাযহাবের বিদ্বানগণের মতে, স্বামীর দুধপিতাও মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। কারণ বংশীয় কারণে যা হারাম হয়, দুধপানের সম্পর্কের কারণেও তা হারাম হয় (বুখারী হা/২৬৪৫)। তাদের মতে, দুধপানের কারণে বংশীয় সম্পর্কের মত বৈবাহিক সম্পর্কেও প্রভাব পড়ে। কেননা
উত্তর : ফরয বা নফল ছালাতের পর একাকী নিয়মিত হাত তুলে দো‘আ করা সমীচীন নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও তার ছাহাবীগণ থেকে এমন নিয়মিত আমল প্রমাণিত নয়। তবে নফল ছালাতের পর বা যেকোন সময়ে ‘আম হাদীছের ভিত্তিতে মাঝে মধ্যে হাত তুলে দো‘আ করা জায়েয বা মুস্তাহাব। কারণ
উত্তর : ঋণগ্রহীতাকে অবহিত না করে উক্ত টাকা যাকাত হিসাবে কেটে রাখা যাবে না। বরং প্রয়োজনে ঋণগ্রহীতাকে আরো সময় দিতে হবে অথবা হকদার হিসাবে তাকে যাকাতের সম্পদ থেকে দান করা যাবে। ঋণগ্রহীতা সেই অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবে। তাতে কোন দোষ নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২
উত্তর : হাদীছ বিরোধী কোন আদেশ মানতে মুসলমান বাধ্য নয়। অতএব সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার্থে জোরালো দাবী রাখতে হবে এবং সাধ্যমত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যদি কর্তৃপক্ষ সম্মত না হয়, তবে ভিন্ন রিযিক অনুসন্ধান করতে হবে (শায়খ বিন বায
উত্তর : যে ব্যক্তি পূর্ব রাতে স্ত্রী সহবাস করেছে তার জন্য কোন নারীকে কবরে নামানো সমীচীন নয়; তবে নিষিদ্ধও নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর কন্যার কবরের পার্শ্বে উপস্থিত হন। তিনি সেখানে বসেন। আমি দেখতে পেলাম, তাঁর চোখ হ’তে অশ্রু ঝরছে। অতঃপর
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ছুরাদ পাখি, ব্যাঙ, পিঁপড়া ও হুদহুদ পাখি মারতে নিষেধ করেছেন (আবুদাউদ হা/৫২৬৭ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৪১৪৫; ছহীহুত তারগীব হা/২৯৯০)। তবে মানুষকে কষ্টদানকারী পিঁপড়া মারা বৈধ (ফাৎহুল বারী ৬/৩৫৮১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব; উছায়মীন, ম
উত্তর : উভয়ে আলাদা ছালাত আদায় করলে পাশাপাশি বা সামনে বা পিছনে যে কোন স্থানে দাঁড়ানোতে কোন দোষ নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/২৫২)। তবে জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে নারী একাকী হ’লেও পিছনের কাতারে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করবে (বুখারী হা/৩৮০; মুসলিম হা/৬৫৮)।প্রশ্ন
উত্তর : সন্তানের জন্য মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করা অধিকতর প্রাধান্যযোগ্য (বুখারী হা/৫৯৭১; মুসলিম হা/২৫৪৮)। কিন্তু মায়ের অন্যত্র বিবাহ হয়ে যাওয়ায় তার অনুপস্থিতিতে পিতা অগ্রাধিকার পাবেন। কেননা মায়ের পরেই পিতার স্থান (ছহীহাহ হা/৩৬৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
উত্তর : উক্ত হাদীছের সারমর্ম হ’ল ফজরের ছালাত অন্ধকারে শুরু করতে হবে এবং দীর্ঘ কেরাআতের মাধ্যমে আকাশ ফর্সা হয়ে এলে ছালাত শেষ করতে হবে, যা অধিক ছওয়াব লাভের কারণ হবে। যেমন অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ফজরের ছালাতের মাধ্যমে ফর্সা করে দাও যাতে লোক
উত্তর : মুনাজাত বা হাত তুলে দো‘আ শেষে মুখমন্ডল মাসাহ করার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। ইমাম আবুদাঊদ (রহঃ) মুখে হাত মাসাহ করা সংক্রান্ত হাদীছ বর্ণনা করে তা যঈফ হিসাবে উল্লেখ করেছেন (আবুদাঊদ হা/১৪৮৫, পৃঃ ২০৯)। শায়খ আলবানী (রহঃ) এ সংক্রান্ত হাদীছগু
উত্তর : নিয়ম হ’ল দাতার নিয়ত মোতাবেক নির্ধারিত স্থানে ব্যয় করা (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফাৎওয়া ক্রমিক ১৩৮৭৪, ১৬/৩২ পৃ.)। তবে শারঈ কল্যাণ থাকলে প্রয়োজনে ওয়াকফকারীর শর্ত পরিবর্তন করা জায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাত ৫০৯ পৃ.; ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুও
উত্তর : অনতিবিলম্বে বিবাহ বিচ্ছেদ করে আলাদা হয়ে যেতে হবে। কারণ দুধ বোন নিজ বোনের সমতুল্য। রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে তার দুধ বোনের বিয়ে দিতে চাইলে তিনি বলেন ‘দুধ পানের সম্পর্ক দ্বারা ঐসব লোক হারাম হয়ে যায় যারা রক্ত সম্পর্ক দ্বারা হারাম হয়’ (বুখারী হা/২৬৪৫;
উত্তর : তার অছিয়ত অনুযায়ী ছাগলের বাচ্চাটি দ্বারা আক্বীক্বা দিতে হবে। কারণ প্রথমতঃ তার আক্বীক্বা হয়নি (ছহীহাহ হা/২৭২৬)। দ্বিতীয়তঃ তার অছিয়ত পূরণ করা ওয়াজিব। আল্লাহ তা‘আলা মীরাছ বণ্টনের পূর্বে অছিয়ত পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন (নিসা ৪/১২)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : প্রচলিত ছূফী মতবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ, যার ব্যাপারে ইমামগণ সতর্ক করে গেছেন। নাছীবী বলেন, আমরা একদিন ইমাম মালেক (রহঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আবু আব্দুল্লাহ! আমাদের এলাকায় ছূফী মতবাদের কিছু লোক রয়েছে, যারা অনেক খায়। এরপর ক্বাছী
উত্তর : প্রয়োজনে নফল ছালাত সংক্ষিপ্ত করে কিংবা ত্যাগ করেই সাড়া দিবে। কেননা যাদের আহবানে নফল ইবাদত পরিত্যাগ করার অনুমতি আছে তারা হ’লেন পিতা-মাতা ও স্বামী (বুখারী হা/৩৪৩৬; মুসলিম হা/২৫৫০; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতি‘ ৬/৪৮৭)। স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি
উত্তর : ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সফরে বাহনের উপরে বিতর ছালাত আদায় করতেন (বুখারী হা/৯৯৯; মুসলিম হা/৭০০)। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সফরে বিতর ছালাত ও ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত পরিত্যাগ করতেন না (যা-দুল মা‘আদ ১/৪৭৩)। অতএব সফরেও
উত্তর : দেহের স্বাভাবিক ভারসাম্য অনুযায়ী নিজের দুই পায়ের মাঝে ফাঁকা রাখবে (বুখারী হা/৭২৫; আবুদাঊদ হা/৬৬২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/৩৫৭)। সমাজে প্রচলিত- ‘দু’পায়ের মাঝে হাতের তালু পরিমাণ স্থান ফাঁকা রাখবে’ কথাটির শরী‘আতে কোন ভিত্তি নেই (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফ
উত্তর : এরূপ অক্ষম ব্যক্তি অন্যের সাহায্য নিয়ে ছিয়াম রাখতে পারলে রাখবে। নইলে চিররোগী হিসাবে প্রতিদিনের বিনিময়ে অর্ধ ছা‘ ফিদিয়া প্রদান করবে। তবে সামর্থ্য না থাকলে ফিদিয়া ওয়াজিব নয় (মির‘আত ৭/৩২)। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কাজে বাধ্
উত্তর : ছালাতে ওয়াজিব তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ সুন্নাত হবে (শাওকানী, আস-সায়লুল জাররা-র (বৈরূত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ১/২৭৪ পৃ.)। বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী সহো সিজদা না দিলেও চলত। তবে দেওয়াতেও কোন ক্ষতি ন
উত্তর : ত্বাওয়াফ মূলতঃ ৩টি। (১) ত্বাওয়াফে কুদূম। যা হজ্জের উদ্দেশ্যে কা‘বায় পৌঁছে করতে হয়। (২) ত্বাওয়াফে ইফাযাহ। যা আরাফার ময়দানে অবস্থানের পর ঈদুল আযহার দিন বা পরের তিন দিনের মধ্যে করতে হয়। যা হজ্জের অন্যতম রুকন। (৩) ত্বাওয়াফে বিদা‘। যা হজ্জ শেষে বি
উত্তর : আসমাউল হুসনা মুখস্থ করা আবশ্যিক নয়, বরং এগুলির মর্ম অনুধাবন করা আবশ্যিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার নিরানববইটি অর্থাৎ এক কম একশ’টি নাম আছে। যে ব্যক্তি এগুলি মুখস্থ করে রাখবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (বুখারী হা/৬৪১০; মুসলিম হা/২৬৭৭)। এর
উত্তর : ফিৎনার আশংকা না থাকলে শারঈ পর্দা রক্ষা করে প্রাপ্ত বয়স্কা সুস্থ নারী রক্তদান করতে পারে (আহযাব ৩৩/৩২-৩৩)।প্রশ্নকারী : রিযওয়ান, বিরল, দিনাজপুর।
উত্তর : চাচা ও মামারা মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মাহরামদের বর্ণনায় বোনের মেয়েকে ও ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনেয়ী (নিসা ৪/২৩)। তাছাড়া চাচা ফু
উত্তর : উক্ত ছালাত নারীদের জন্যও মুস্তাহাব। কারণ ইসলামের কোন বিধান যদি কোন হাদীছ দ্বারা বিশেষ কোন শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট না হয় তাহ’লে উক্ত বিধান সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হয় (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৩/২৭)।প্রশ্নকারী : নাজমুল হুদা
উত্তর : সেক্ষেত্রে প্রশংসিত ব্যক্তি নিম্নের দো‘আটি পাঠ করতে পারেন।-اللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا يَقُولُوْنَ وَاغْفِرْ لِيْ مَا لاَ يَعْلَمُوْنَ (আল্লাহুম্মা লা তুআখিযনী বিমা ইয়াকূলূন, ওয়াগফিরলী মা লা ইয়া‘লামূন)। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তারা যা
উত্তর : গোসল করে পবিত্র হওয়ার পূর্বে হায়েযা স্ত্রীর সাথে সহবাস করা সিদ্ধ নয়। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা ভালভাবে পবিত্র হবে, তখন আল্লাহর নির্দেশ মতে তোমরা তাদের নিকট গমন কর’ (বাক্বারাহ ২/২
উত্তর : দিন ও রাতে ফরয ছালাত সতের রাক‘আত অর্থাৎ যোহরের চার, আছরের চার, এশার চার, মাগরিবের তিন ও ফজরের দুই। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা মুক্বীম অবস্থায় ও সফরে দু’রাক‘আত করে ছালাত ফরয করেছিলেন। পরে সফরের ছালাত আগের মত রাখা হয় আর মুক্বীম অব
উত্তর : চোখে দেখা বা কানে শোনার মাধ্যমে যদি ইমামের ইক্বতিদা করা সম্ভব হয়, তবে কাছাকাছি হ’লে তাঁর ইক্বতিদা করা জায়েয। যদিও সেটা মসজিদের বাইরে হয় কিংবা উভয়ের মধ্যে কোন দেওয়াল, রাস্তা বা অনুরূপ কোন প্রতিবন্ধক থাকে (আবুদাঊদ হা/১১২৬; মিশকাত হা/১১১৪)
উত্তর : কন্যা সন্তান উপার্জনক্ষম হ’লে বা স্বামীর সম্পদ থেকে খরচ করার স্বাধীনতা থাকলে পিতা-মাতার জন্য সাধ্যমত খরচ করবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা তোমাদের সন্তানদের
উত্তর : ছাহাবীগণের নামে সন্তানের নাম রাখা যাবে। বরং নবী-রাসূল ও সৎ বান্দাদের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) নিজ সন্তানের নাম ইবরাহীম (আঃ)-এর নামে রেখেছিলেন (মুসলিম হা.২৩১৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৭১২১)। যেমন হাদীছে এসেছে, মুগীরা বিন শু‘বাহ (রাঃ)
উত্তর : ইমাম ও মুছল্লী একই কাতারে দাঁড়ালে তারা কাতার সোজা করে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়াবে। ইমাম একটু সামনে আর মুক্তাদী একটু পিছনে দাঁড়াবে এমন বিধান নেই। ইবনু আববাস (রাঃ) সহ একাধিক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করেছেন কিন্তু আ
উত্তর : সাধ্যমত বিকল্প পথ অন্বেষণ করতে হবে। যেমন গামবুট পরা। কারণ সাধারণ অবস্থায় অহংকার বশে লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরা নিষিদ্ধ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৩১২)। তবে বাধ্যগত অবস্থায় তা জায়েয। কারণ সেখানে অহংকারের বিষয়টি থাকে না।প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, মা
উত্তর : আক্দ হ’ল দু’জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে অভিভাবকের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বরের কবুল বলা। অতএব আক্দ হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী পরস্পরে মেলামেশা ও সাক্ষাত করা সবই জায়েয। এমনকি স্বামী মারা গেলে স্ত্রী মোহরানাসহ যাবতীয় মীরাছের অংশীদার হবে (আবুদাঊদ হা
উত্তর : এই ধরনের অছিয়ত পালনযোগ্য নয়। কারণ প্রয়োজন ছাড়া একটি কবরে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন জায়েয নয়। তাছাড়া এতে প্রথম লাশের সম্মানহানী হয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২৮৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/৪২০-২১)। কেবল বাধ্যগত কারণে যেমন স্থান সংকুলান না হ’লে
উত্তর : ছেলেদের বুক বা পিঠের স্বাভাবিক লোম তার সৃষ্টিগত সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর ধর্ম, যার উপরে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই’ (রূম ৩০/৩০)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু কাছীর বলেন, তোমরা আল্লাহর
উত্তর : ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য ব্যাধি অতি কষ্টদায়ক হওয়ায় এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদেরকে শহীদ হিসাবে গণ্য করেছেন কোন কোন বিদ্বান। তারা পেটের রোগের উপর ভিত্তি করে এদেরকে শহীদ হিসাবে গণ্য করেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পেটের পী
উত্তর : যবেহের নিয়ম হ’ল- যবেহকারী ক্বিবলামুখী হয়ে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে যবেহ করবে। এসময় পশু-পাখির মাথা দক্ষিণ দিকে থাকবে। ছুরি বা যন্ত্র ধারালো হ’তে হবে। নারী-পুরুষ যে কেউ পশু-পাখি বা গরু-ছাগল সবই যবেহ করতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েম
উত্তর : মৃতের স্ত্রী থাকলে তাকে এক-চতুর্থাংশ প্রদানের পর অবশিষ্ট পুরো সম্পত্তি ভাই ও বোনেরা ছেলের অর্ধেক মেয়ে হিসাবে পেয়ে যাবে। সহোদর ভাই ও বোন থাকায় বৈমাত্রেয় ভাই মীরাছ পাবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২০/১৯৯; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৩/৪৭)।
উত্তর : মাহরাম ব্যতীত কোন নারীর একাকী দূরে সফরে কিংবা বিদেশে গমন করা নিষিদ্ধ। নারীর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও ফেৎনা থেকে প্রতিরক্ষার জন্যই ইসলামের এই নীতি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মেয়েরা মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সাথে সফর করবে না এবং মাহরাম কাছে নেই
উত্তর : অসুস্থ বা মা‘যূর ব্যক্তি চেয়ারে বসে ইশারায় সিজদা করে ইমামতি করতে পারবেন। কারণ রাসূল (ছাঃ) ওযরের কারণে বসে ছালাতে ইমামতি করেছিলেন। আর আবুবকর (রাঃ) তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে এবং অন্যান্য ছাহাবীগণ তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ইকতেদা করেছিলেন (বুখারী হা/৬৮
উত্তর : কবরে মাইয়েতকে শোয়ানোর পূর্বে সালাম দেওয়ার বিধান নেই। রাসূল (ছাঃ) বা পূর্ববর্তী কোন সালাফ থেকে এ ব্যাপারে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। সুতরাং মাইয়েতকে কবরে শোয়ানোর পূর্বে তাকে সালাম নয়, বরং তার জন্য দো‘আ করা মুস্তাহাব। কারণ এসময় মানুষ দো‘আ
উত্তর : জান্নাতে কেবল একশটি নয় বরং অসংখ্য স্তর আছে (নিসা ৪/৯৫-৯৬; আনআম ৬/১৩২; আনফাল ৮/৪; বনী ইসরাঈল ১৭/২১; ত্ব-হা ২০/৭৫)। যার মধ্যে শুধু একশটি স্তর এমন রয়েছে, যা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পথে জিহাদকারীদের জন্য প্রস্ত্তত করে রেখেছেন (বুখারী হা/২৭৯০; মিশকাত হ
উত্তর : এক্ষেত্রে শারঈ বিধান হ’ল, পূর্ণ এক বছর মালিক বা তার ওয়ারিছদের সন্ধানে থাকতে হবে। এরপরে মালিক বা তার ওয়ারিছদের পাওয়া না গেলে ব্যক্তি উক্ত সম্পদ ভোগ করতে পারে কিংবা ছাদাক্বা করতে পারে। তবে কোনদিন যদি পাওনাদারকে খুঁজে পাওয়া যায় বা
উত্তর : ভবিষ্যৎ কোন বিষয়ে এমন জোর প্রতিজ্ঞা করা সমীচীন নয়। কেননা বান্দার তাক্বদীর পূর্বনির্ধারিত। কারো প্রতিজ্ঞায় বা সংকল্পে তা পরিবর্তনশীল নয়; বরং একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছার উপর তা নির্ভরশীল। তবে ইনশাআল্লাহ বলে নিজের বৈধ ইচ্ছা বা কামনা প্রকাশ কর
উত্তর : অবহেলাবশে ছালাত ত্যাগকারীর বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হবে না। বরং কেউ যদি ছালাতের ফরযিয়াতকে অস্বীকার করে, তাহ’লে সে কাফের হয়ে যাবে এবং স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হবে। যেহেতু আপনারা ছালাতকে অস্বীকার কারী ছিলেন না, সেহেতু আপনাদের মধ্যে তাল
উত্তর : এমতাবস্থায় ছালাত সিদ্ধ হবে (ফাতাওয়া আশ-শাবকাতুল ইসলামিয়া ১১/১৫৪৭)।প্রশ্নকারী : আব্দুল বারী, রাজশাহী।
উত্তর : সূদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির খালেছ নিয়তে তওবা করার শর্তে যাকাতের মাল থেকে সূদী ঋণ পরিশোধে সহযোগিতা করা যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৬/৪৮০; উছায়মীন, আশ-শারহুম মুমতে‘ ৬/২৩৫; লিকাউল বাবিল মাফতূহ, লিকা ১৫১; ড. ওমর সুলায়মান আশকার, আবহাছুন নাদও
উত্তর : মহিলাদের চেহারা ও দুই হাতের কব্জি ব্যতীত সর্বাঙ্গ সতর (আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। সে হিসাবে ছালাতে নারীদের জন্য পায়ের পাতা ঢেকে রাখা উত্তম (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৭/৮৬)। তবে পায়ের পাতা প্রকাশ পেলে ছালাতের ক্ষতি হবে না, কেননা এটি স্বভা
উত্তর : শারঈ ওযরের কারণে বাড়িতে একাকী বা জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাকে নেক নিয়তের কারণে পূর্ণ ছওয়াব প্রদান করবেন (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩২৩)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, মানুষ অসুস্থ হ’লে অথবা সফরে থাকলে তার আমালনামায় তাই লেখা
উত্তর : হিজাব পরিহিতা হ’লেও একাকী নির্জনে কোন গায়ের মাহরাম নারীকে পড়ানো যাবে না। কারণ দু’জন বেগানা নারী-পুরুষ একাকী হ’লে তৃতীয়জন থাকে শয়তান (তিরমিযী হা/২১৬৫; মিশকাত হা/৩১১৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৯০৮)। এক্ষণে যদি গায়ের মাহরামকে পড়াতে হয় তাহ’লে নির
উত্তর: ‘বিসমিল্লাহ’ বলে বন্দুকের গুলি ছোড়া হ’লে এবং রক্ত প্রবাহিত হ’লে সে প্রাণীগুলো খাওয়া বৈধ হবে। এছাড়া জীবিত অবস্থায় পেলে যবেহ করে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আর তুমি তীর ছোড়ার সময় আল্লাহর নাম নিয়েই ছুড়বে। অতঃপর শিকার একদিন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ
উত্তর : সাধ্যানুযায়ী দাওয়াত দিয়ে যাওয়াই উত্তম হবে এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার আশংকা কর, তাহ’লে তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং (প্রয়োজনে) প্রহার কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়
উত্তর : উক্ত বিবাহ শিবহে নিকাহ হিসাবে গণ্য হবে এবং সন্তানেরা প্রকৃত সন্তান হিসাবেই গণ্য হবে। তারা ওয়ারিছ হিসাবে গণ্য হবে। কারণ মেয়ের পরিবার বিবাহ মেনে নিয়েছে এবং উক্ত বিবাহ রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে হয়েছে (ইবনু কুদামা, মুগনী ৭/০৮, ১১/১৯৬; ইবনু তা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-কে স্বপ্নে দেখা সম্ভব। ছাহাবী ও তাবেঈদের কেউ কেউ রাসূল (ছাঃ)-কে স্বপ্নে দেখেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে আমাকে স্বপেণ দেখবে, সে অচিরেই জাগ্রত অবস্থাতেও আমাকে দেখবে। আর শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না (বুখারী হা/৬৯৯৩; মুসল
উত্তর : জারজ নারীকে বিবাহ করা জায়েয। কারণ পিতা-মাতার পাপ সন্তানের উপর বর্তাবে না (আন‘আম ৬/১৬৪; ছহীহাহ হা/২১৮৬)। এক্ষণে মেয়ে যদি তাক্বওয়াশীল হয়, তাহ’লে তাকে বিবাহ করায় কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৩/১৬৬)। উল্লেখ্য যে, অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া নারীর অভিভা
উত্তর : সরকারী জমিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত জবর দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। কারণ মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ওয়াক্ফ হওয়া আবশ্যক। তবে মালিকানাহীন পরিত্যক্ত খাস জমিতে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে, যদি তাতে কারো বৈধ আপত্তি না থাকে বা কারো কোন ক
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ) ওহোদ পাহাড়কে ভালোবাসতেন এবং ওহোদ পাহাড়ও রাসূল (ছাঃ)-কে ভালোবাসত। যেমন হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) ওহোদ পাহাড়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এ পাহাড় আমাদেরকে ভালোবাসে এবং আমরাও একে ভালোবাসি (বুখারী হা/২৮৮৯; মিশকাত হা/২৭৪৫)। হাফ
উত্তর : মোহরানা বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর’ (নিসা ৪/৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, বিবাহের সর্বাধিক প্রয়োজনীয় শর্ত হ’ল, তোমরা যা দ্বারা মহিলার লজ্জাস্থান হালাল করবে, তা আদায় করা (আবুদাউদ
উত্তর : জামাতা শ্বশুরের অন্যতম নিকটাত্মীয়। সুতরাং শ্বশুরের সামর্থ্য ও নিমন্ত্রণ সাপেক্ষে জামাতা শ্বশুর বাড়িতে যতদিন খুশি থাকতে বা খেতে পারবে। এতে কোন শারঈ বাধা নেই। উল্লেখ্য যে, একটি হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিন
উত্তর : মুছল্লীদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে যেকোন সময় ছালাত শেষে নিয়মিত দ্বীনী আলোচনার আয়োজন করায় কোন বাধা নেই। তবে মুছল্লীদের মাসনূন যিকর-আযকার শেষ হওয়ার পর আলোচনা শুরু করা উত্তম (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৬/৭৪-৭৫)। শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, ছালাতে
উত্তর : দাড়িতে মেহেদী বা খেযাব ব্যবহার করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করো এবং ইহূদীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করো না’ (তিরমিযী হা/১৭৫২; মিশকাত হা/৪৪৫৫, হাদীছ ছহীহ)। তবে কোন মুসলমান দাড়িতে খেযাব ব্যবহার না করলে
উত্তর : ‘ছয়দিনে’ কথাটি কুরআনে সাত স্থানে এসেছে। যার প্রথম হ’ল সূরা আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াত। অত্র আয়াতে ‘দিন’ অর্থ সময়কাল। যার দৈর্ঘ্য হ’ল আখেরাতের হিসাবে হাযার বছর (সাজদাহ ৩২/৫) অথবা পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান (মা‘আরেজ ৭০/৪)। কেননা তখন সূর্য ছিল না। তা
উত্তর : প্রকাশ্য আয়াত এবং ইবনু আববাস (রাঃ)-এর বক্তব্য অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ছিল সাত জন (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা কাহফ ২২ আয়াত)। তবে অত্র আয়াতে এসব নিয়ে বিতর্ক করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা এগুলি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। অতএব সংখ্যা মুখ্য নয়, বরং
উত্তর : ছিয়ামরত অবস্থায় করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করা যাবে। কেননা ছিয়াম অবস্থায় খাদ্য নয় এরূপ বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করায় কোন বাধা নেই। অতএব যেসব টিকা, ইনস্যুলিন, ইনজেকশন বা ভ্যাকসিন খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় না বা শরীরে বাড়তি পুষ্টি যোগায়
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাত ফরয হওয়াকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হ’তে বহিষ্কৃত। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে ছালাত তরক করে, সে ব্যক্তি কবীরা গোনাহগার। তার জানাযা ব
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘বিতর ছালাত আবশ্যিক (حق)। যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে ৫ রাক‘আত পড়ুক, যে ইচ্ছা করে ৩ রাক‘আত পড়ুক, যে ইচ্ছা করে ১ রাক‘আত পড়ুক’ (ইবনু মাজাহ, দারাকুৎনী হা/১৬২৫, সনদ ছহীহ)। এক্ষণে বিতর কিভাবে পড়বে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হ
উত্তর : পিতা-মাতার নামে কসম খাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেছেন তোমাদের বাপ-দাদাদের নামে কসম করতে। যে ব্যক্তি কসম করতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে, অথবা চুপ থাকে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৪০৭ ‘ক
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। হাস্সান বিন ছাবিত (রাঃ)-এর জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে একটি মিম্বর তৈরি করেছিলেন ইসলামের পক্ষে কবিতা বলার জন্য (বুখারী, মিশকাত হা/৪৮০৫ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায় ৯ অনুচ্ছেদ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৫৯৫)।
উত্তর : তিরমিযী বর্ণিত উক্ত হাদীছটি অন্যান্য সমার্থক হাদীছের কারণে ছহীহ (আলবানী, ছহীহ তিরমিযী হা/২৬৯৯)। আর তা হ’ল যেমন, السَّلاَمُ قَبْلَ السُّؤَالِ، مَنْ بَدَأَ بِالسُّؤَالِ قَبْلَ السَّلامِ فَلا تُجِيْبُوْهُ ‘প্রশ্নের পূর্বেই সালাম। যে ব্যক্তি
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ইবাদত শুরু করাই যরূরী। কারণ নারীদের ঋতু অবস্থায় থাকার সাধারণত সময় হচ্ছে ৬ দিন বা ৭ দিন (বাকীটা প্রদর রোগ)। (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৬১ ‘ইস্তিহাযা’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : পারবেন। কেননা আপনি ঐ সময় মুসাফির (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৬ ‘সফরের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেভাবে এক্বামতের শব্দগুলো শিক্ষা দিয়েছেন সেভাবেই বলতে হবে। উক্ত মতপার্থক্যের প্রশ্নই আসে না। যেমন-اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، حَى
উত্তর : জুম‘আর দিন মাথায় পাগড়ী বাঁধা কোন যরূরী সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিভিন্ন সময়ে মাথায় পাগড়ী বাঁধতেন। আমর ইবনু হুরায়েছ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) জুম‘আর খুৎবা দিলেন, তখন তাঁর উপর কাল পাগড়ী ছিল। যার দু’মাথা কাঁধের মাঝে ঝুলছিল (ম
উত্তর : ছালাতের পর টাকা উঠনো জায়েয। রাসূল (ছাঃ) ছালাতের খুৎবা শেষে দান করার জন্য বলতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫২)। ফী সাবীলিল্লাহ টাকা উঠানোর পর তা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে হবে।
উত্তর : বস্ত্তর মূল ছায়ার একগুণ হওয়ার পর হ’তে আছরের ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং দু’গুণ হ’লে শেষ হয় (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৮৩)।
উত্তর : এখন করণীয় হচ্ছে যরূরী ভিত্তিতে ক্রেতাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়া। যদি বিক্রেতা ঐ জমি ভোগ করে থাকে তাহ’লে ১০ বছর যাবৎ ঐ জমিতে যে শস্য উৎপাদিত হয়েছে, এলাকায় প্রচলিত বর্গার নিয়ম মোতাবেক সেই পরিমাণ ভাগরা ফসল তাকে দিতে হবে অথবা উভয়ের সম্মতি
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাড়ি ছাটতেন এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। ছহীহ বুখারীতে থাকার প্রশ্নই আসে না। বরং উম্মতের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হ’ল, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর’ (মুত্তাফাক্ব আলা
উত্তর : সংসার পরিচালনার জন্য কর্য হয়ে থাকলে প্রথমে কর্য পরিশোধ করতে হবে। কারণ কর্য রেখে সম্পদ সঞ্চিত হয় না। তবে ব্যবসা বা নির্মাণ কাজের জন্য কর্য নিলে প্রথমে যাকাত দিতে হবে তারপর কর্য পরিশোধ করতে হবে।
উত্তর : প্রভিডেন্ড ফান্ডে জমাকৃত টাকা নিজের পূর্ণ অধিকারে থাকলে অর্থাৎ যেকোন সময়ে উঠানো সম্ভব হ’লে সূদের টাকা ব্যতীত বাকী টাকার যাকাত দিতে হবে। কারণ যাকাত দেয়ার জন্য নিছাব পরিমাণ সম্পদের পূর্ণ মালিক হওয়া যরূরী।
উত্তর : ফিদইয়ার পরিমাণ অর্ধ ছা‘। এই ফিদইয়া ফক্বীর-মিসকীনকে দিতে হবে (বুখারী হা/৪৫১৭ ‘তাফসীর’ অধ্যায় ৩২ অনুচ্ছেদ, বাক্বারাহ ১৯৬)।
উত্তর : ‘মাযহাব’ শব্দের আভিধানিক অর্থ চলার পথ। পারিভাষিক অর্থ মতবাদ, মতাদর্শ ইত্যাদি। চারজন প্রসিদ্ধ মুজতাহিদ ইমামের ফিক্বহী মতামতকে ইসলামী পরিভাষায় মাযহাব বলা হয়। উক্ত চার ইমামের মৃত্যুর বহু পরে রাজনৈতিক দলাদলির সুবাদে বিভিন্ন মাযহাবের সূত্র
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। এমন মর্মের কোন আয়াত সূরা বাক্বারায় বা কুরআনের কোথাও নেই।
উত্তর : নবীগণের আত্মগুলোকেই স্ব স্ব আকৃতিতে দেখানো হয়েছে (মিরক্বাত ১১/১৪৩ পৃঃ, ‘মি‘রাজ’ অনুচ্ছেদ ১ম হাদীছের ব্যাখ্যা)।
উত্তর : খাৎনা করা মুস্তাহাব। কেননা এটি ইসলাম ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য স্বরূপ। এটি হ’ল মানুষের ফিৎরত বা স্বভাবজাত পাঁচটি বিষয়ের অন্যতম (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২০ ‘পোষাক’ অধ্যায় ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। এর মধ্যে যে স্বাস্থ্যগত কল্যাণ নিহিত রয়
উত্তর : সিদ্ধ হবে। কারণ তখন সে ঐ অপবিত্র ব্যক্তির মত, যে ছিয়াম রেখেছে কিন্তু ফজরের পূর্বে গোসল করতে পারেনি। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্ত্রীদের সাথে সহবাসের পর অপবিত্র অবস্থায় সকাল করতেন এবং ছিয়াম রাখতেন’ (মুত্তাফাক্ব আল
উত্তর : সালাম দেওয়া যাবে। উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা একটি মজলিসের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, যেখানে মুসলিম, মুশরিক, মূর্তিপূজারী ও ইহুদীরা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদেরকে সালাম দিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৯ ‘শিষ্ট
উত্তর : পাগড়ী ব্যবহার করা কারো জন্যই সুন্নাত নয়। এটি হ’ল দেশ ও অঞ্চল ভিত্তিক আদত বা অভ্যাস। রসূল (ছাঃ) পাগড়ী পরেছিলেন এ কারণে যে, পাগড়ী পরিধান করা ছিল তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের অভ্যাসগত পোষাক। সে সময়ের আরব মুসলিম ও অমুসলিম সকলে পাগড়ী পরত। তিনি
উত্তর : রং, স্বাদ ও গন্ধ বিনষ্ট হ’লে সে পানি নাপাক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘জাল্লালাহ’ অর্থাৎ ময়লা-আবর্জনা ভক্ষণকারী প্রাণীর গোশত খেতে ও তার দুধ পান করতে এবং তার পিঠে আরোহন করতে নিষেধ করেছেন’ (আবুদাঊদ হা/৩৭৮৬; তিরমিযী হা/১৮২৫; নাসাঈ হা/৪৪৬০)। অন্য
উত্তর : উক্ত কথা সঠিক। মুছাফাহা করার পরে বুকে হাত দেয়া কিংবা হাতে চুমু দেয়া বা মাথা ঝুঁকানো ইসলামী রীতি নয়। বরং এগুলি বিদ‘আতী কাজ। ছহীহ হাদীছে মুছাফাহা করার পদ্ধতি বলে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ পরস্পরের ডান হাত মিলানো।
উত্তর : শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)- কে সর্বপ্রথম কবর থেকে উঠানো হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৪১ ‘ফাযায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়)।
উত্তর : মোযার উপরে মাসাহ করা সুন্নাত (বুখারী হা/১০৬; মুসলিম হা/২৭৪; মিশকাত হা/৫১৮)। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, মোযার উপর মাসাহ করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে ৪০টি হাদীছ রয়েছে (শায়খ উছায়মীন, বুহূছুন ওয়া ফাতাওয়া ফিল মাসাহ আলাল খুফফাই
উত্তর : উক্ত ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট। যাদের সম্পর্কে এ ধরনের মিথ্যা কাহিনী বর্ণনা করা হয়, প্রকারান্তরে তাদেরকেই অপমান করা হয়। অতএব এগুলো বর্ণনা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : উক্ত অবস্থায় যখন তাদের পক্ষে সম্ভব তখন আদায় করবে। এক বা দু’বছর পরেও যদি হয়। কেননা তাদের শারঈ ওযর রয়েছে। কিন্তু যদি কোন মহিলা অবজ্ঞা ও অবহেলা করে, তাহ’লে সে গোনাহগার হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমার কিছু ছিয়াম ক্বাযা হয়ে যেত, যা পরবর্তী শা‘
উত্তর : প্রয়োজনে মসজিদ স্থানাস্তর করা যায়। ওমর (রাঃ) কূফাবাসীর জামে‘ মসজিদকে ভেঙ্গে শহরের অন্যত্র বানিয়েছিলেন এবং প্রথম মসজিদের স্থানে খেজুর বিক্রেতাদের জন্য বাজার তৈরি করে দিয়েছিলেন (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ৩১/২১৬)। এমনকি মসজিদের সম্পত্তি কোন উপকারে ন
উত্তর : ইমাম গাযালীর এহইয়াউ উলূমিদ্দীন গ্রন্থে উক্ত বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু বর্ণনাটি যঈফ এবং রাসূল (ছাঃ) থেকে প্রমাণিত নয়’ (তাফসীর রাযী, তাফসীর নিযামুদ্দীন নাইসাপুরী, বাক্বারাহ ১০৯)। উক্ত ছয় প্রকার লোক হ’ল, অত্যাচারী শাসক, জাত্যাভিমানী আরব, অহংকারী নেতা
উত্তর : ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো যাবে না। ইবনু আববাস (রাঃ)-এর গোলাম শো‘বা বলেন, আমি ইবনু আববাসের পাশে ছালাত আদায় করছিলাম। আমি আঙ্গুল ফুটালে তিনি আমাকে ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটাতে নিষেধ করেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, ইরওয়া হা/৩৭৮-এর ব্যাখ্যা
উত্তর : তার উক্ত ছিয়াম শুদ্ধ হবে। কেননা তখনও রক্ত দেখা যায়নি (শায়খ উছায়মীন, সুয়ালান ফিল হায়েয ওয়ান নিফাস, পৃঃ ১০)।
উত্তর : এটি শরী‘আত সম্মত নয়। বরং যেকোন আনন্দে সিজদায়ে শুকর আদায় করা সুন্নাত (আবূদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৪৯৪ ‘সিজদায়ে শুক্র’ অনুচ্ছেদ)। তাছাড়া এজন্য আল্লাহর রাস্তায় ছাদাক্বা করা আবশ্যক। কা‘ব বিন মালিক (রাঃ)-এর তওবা কবুল হওয়ার সুসংবাদ পেয়ে তিনি খ
উত্তর : একই সমাজে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে যে নতুন মসজিদ তৈরি করা হয় এবং যার দ্বারা মুমিন সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, এ মসজিদকেই ‘মসজিদে যিরার’ বলা হয়। এরূপ মসজিদ তৈরির ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য থাকে না এবং তা তাক্বওয়ার উপর প্রত
উত্তর : অনীহা বশতঃ বিবাহ না করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু। আমি ছিয়াম রাখি, ছালাত আদায় করি এবং আমি বিবাহ করেছি। অতএব যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল, সে ব্যক্তি আমার
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি জাল বা মিথ্যা (আলবানী, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/৬০৫৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৮১০, ১১/১৩৭ পৃঃ)।
উত্তর : কান্নার শব্দ, জীবনের প্রমাণ পাওয়া বা হাঁচি না দিলে জানাযা পড়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন ভূমিষ্ট নবজাতক চিৎকার করবে, তখন তার উপর জানাযা পড়া হবে এবং সে ওয়ারিছ হবে’ (তিরমিযী, হা/১০৪; ইবনু মাজাহ হা/১৫০৮; মিশকাত হা/৩০৫০ ‘ফারায়েয
উত্তর : না। কারণ পিতার মৃত্যুর পূর্বে মেয়ে অংশীদার হয় না। একমাত্র মেয়ে (অন্য কোন সন্তান না থাকা সাপেক্ষে) শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত অর্ধেক সম্পত্তির অধিকারী হবে এবং তা পিতার মৃত্যুর পরে। তবে জীবদ্দশায় তাকে হাদিয়া হিসাবে কিছু দিতে পারে। এ ক্ষেত্
উত্তর : কবরগুলি অতি প্রাচীন হ’লে এবং সেগুলিতে মৃত ব্যক্তিদের কোন চিহ্ন না মিললে সেখানে কবর দেওয়া যাবে। কবর খোড়ার পর যদি কোন হাড়-হাড্ডি পাওয়া যায় তাহ’লে সেগুলো কবরের এক পাশে রেখেই নতুন লাশ দাফন করবে (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ১২৬)।
উত্তর: তা‘যিয়া অর্থ বিপদে সান্ত্বনা দেওয়া। যেটা বর্তমানে শাহাদাতে হোসায়েন-এর শোক মিছিলে রূপ নিয়েছে। ইসলামে কারু মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক শোক করা নিষেধ (আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৬৩ ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। কিন্তু বাগদাদের গোঁড়া শী‘আ
উত্তর : আশূরায়ে মুহাররমে ৯-১০ অথবা ১০-১১ দু’দিন নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে দু’টি নফল ছিয়াম রাখতে হবে। ১০ই মুহাররম তারিখে ফেরাঊনের সাগরডুবি হয় এবং মূসা ও তাঁর বনু ইস্রাঈল সম্প্রদায় অত্যাচারী ফেরাঊনের হাত থেকে নাজাত পায়। তার শুকরিয়া হিসাব
উত্তর : উক্ত আলেমের বক্তব্য সঠিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জিব্রীলের পায়ের গোড়ালি বা পাখার আঘাতে যমযম কূপের সৃষ্টি হয়েছে (বুখারী হা/৩৩৬৪-৬৫, ‘নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়, ৯ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, পৃঃ ৩৬; আলবানী, আছ-ছামারুল মুস্তাত্বাব, পৃঃ ৮৩৩)।
উত্তর : খালি গায়ে ওযূ করতে পারে এবং থাকতেও পারে। ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি মাদুরের উপর চিৎ হয়ে শুয়ে ছিলেন, মাদুরের ও তাঁর মাঝে কোন কিছু ছিল না। মাদুর তাঁর শরীরে দাগ করে ফেলেছিল। তিনি খেজুরের ছাল ভর্তি
উত্তর : হবে। রাসূল (ছাঃ) এ ধরনের একজন ব্যক্তিকে শুধু নিম্নের দো‘আ শিক্ষা দিয়েছিলেন- ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৮৩২; সনদ হাসান, মিশকাত হা/৮৫৮ ‘ছালাতে
উত্তর : দশ বছরের শিশু বিছানায় পেশাব করলে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে তার উপর কাপড় বিছিয়ে ছালাত আদায় করা যায় এবং কুরআন তেলাওয়াত করা যায় (বুখারী ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৭)।
উত্তর : বহু দিনের পুরাতন বা প্রাচীন কবরস্থান যেখানে আর কবর দেওয়া হয়নি সে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। তবে অল্প দিনের কবরের উপর মসজিদ তৈরি করা যাবে না। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় কর
উত্তর : বর্ণনাটি যঈফ। মুসনাদে আহমাদ ও ত্বাবারাণী সহ বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এর সনদে রাশেদ ইবনু দাঊদ নামক একজন রাবী আছেন, যিনি দুর্বল। এজন্য মুহাদ্দিছগণ এই বর্ণনাকে যঈফ বলেছেন (তাহক্বীক্ব মুসনাদে আহমাদ হা/১৭১৬২; আলবানী, যঈফ তারগী
উত্তর : নেক আমল ও দো‘আর মাধ্যমে মানুষের তাকদীরের পরিবর্তন হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা মিটিয়ে দেন এবং যা ইচ্ছা করেন তা বহাল রাখেন’ (রা‘দ ৩৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘দো‘আর মাধ্যমে তাকদীর পরিবর্তন হয় এবং সৎ আমলের মাধ্যমে বয়
উত্তর : মৃত পিতা-মাতার জন্য দো‘আ করতে হবে (ইসরা ২৪) এবং তাদের নামে ছাদাক্বা করতে হবে (বুখারী হা/২৭৭০, ‘অছিয়ত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৭)।
উত্তর : ইতেকাফ তাকওয়া অর্জন করার বড় মাধ্যম। আল্লাহ বলেন, আর যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ সমূহে অবস্থান কর ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা কর না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা (বাক্বারাহ ১৮৭)। এতে লায়লাতুল ক্বদর অনুসন্ধানের সুযো
উত্তর : উক্ত তথ্য সঠিক নয়। ১৫১১ নং হাদীছে ওমর বিন আব্দুল আযীয-এর কোন উল্লেখ নেই। বরং ১৫০৮ নং হাদীছে আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন যে, আমরা রাসূলের যামানায় এক ছা‘ খাদ্য-শস্য, খেজুর, যব ইত্যাদি দ্বারা ফিৎরা দিতাম। অতঃপর (হজ বা ওমরায়) মু‘আবিয়া
উত্তর : সন্তান বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করা নিষেধ। কারণ স্বাধীন মানুষকে বিক্রয় করা হারাম (মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/৯০১)। ঋণ পরিশোধের জন্য নিজে প্রাণপণে চেষ্টা করবে। নইলে সমাজ ও সরকারের কাছ থেকে সাহায্য নিবে (আবূদাঊদ, বুলূগুল মারাম হা/৬২৮;
উত্তর : নিতান্ত বাধ্য হ’লে পর্দা বজায় রেখে রাখাল-কিষাণের সহযোগিতা করা যাবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা নারীদেরকে বাড়ীতে থাকার জন্য আদেশ করেছেন (আহযাব ৩৩) এবং বাড়ীর বাহিরে পর্দা করে চলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন (নূর ৩১)।
উত্তর : বিভিন্ন কারণে শেয়ার বেচাকেনা জায়েয নয়। যেমন- (১) ক্রেতার অনেক সময় সম্যক জ্ঞান থাকে না কী বস্ত্তর শেয়ার তিনি ক্রয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন (বুখারী, মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/৭৬৯)। (২) যে ব
উত্তর : গান-বাজনা হারাম (লোকমান ৬)। বিশেষ করে ঈদুল ফিৎর উপলক্ষে আরো কঠিন পাপের কাজ। কারণ ঈদুল ফিৎর একটি পবিত্র ইবাদত অনুষ্ঠানের নাম। এ দিন উপলক্ষে কোন শরী‘আত বিরোধী কাজ করা যাবে না। এ সমস্ত মেলার আয়োজন করা এবং নাচ-গান ও বাজনার ব্যবস্থ
উত্তর : আছে। যেমন (১) আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী আপনি যদি অত্যাচারীদের (কাফির-মুশরিকদের) দেখতেন, যখন তারা মৃত্যু কষ্টে পতিত হয়, ফেরেশতারা তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে বলে, তোমরা তোমাদের আত্মা বের করে দাও। ফেরেশতাগণ এ সময় বলেন, আজ হ’তে তোমাদেরকে প্রতি
উত্তর : উক্ত ঘটনা ভিত্তিহীন। এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : সে কবীরা গোনাহ করেছে। তাকে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে (যুমার ৫৩)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা দারিদ্রে্যর ভয়ে সন্তান হত্যা কর না, আমি তোমাদের ও তাদের রূযী দিয়ে থাকি’ (ইসরা ৩০)।
উত্তর : হাত তুলে দো‘আ করার কথা বলা হয়নি। বরং দো‘আয় শরীক হওয়ার অর্থ হ’ল তারা পুরুষের সাথে তাকবীর পাঠ করবে এবং ইমামের খুৎবা, উপদেশমূলক বাণী ও যিকির-আযকারে শরীক হবে (মির‘আত ৫/৩১ পৃঃ)। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ঋতুবতী নারীরা পুরুষদের সাথে তাকব
উত্তর : তাদের হাতে যবেহকৃত প্রাণী না হলে খায় যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এবং তাঁর ছাহাবীগণ মুশরিক মহিলার পাত্র হ’তে পানি নিয়ে পান করেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, বুলূলুল মারাম হা/২০)। অমুসলিমদের দ্বারা যবহকৃত বলে নিশ্চিত হ’লে তা ‘বিসমিল্লা-হ’ বলে
উত্তর : অনুবাদ: হে জনগণ মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কারো পিতা নন, বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী’ (আহযাব ৪০)। নবী করীম (ছাঃ) পুত্রবধুকে বিবাহ করেছিলেন বলে যে আপত্তি তোলা হয়েছিল অত্র আয়াতে তার সম
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের শুরুতে ‘আঊযুবিল্লাহ’ বলে শুরু করা (নাহল ৮)। সূরা তওবা ব্যতীত অন্য সূরার শুরু থেকে তেলাওয়াত করলে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা। সূরার শুরুতে এটি পড়া সুন্নাত (আবুদাঊদ, ইরওয়া হা/৩৪৩, মিশকাত হা/২১৯৬)। সুন্দর আওয়াযে তেল
উত্তর : ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখছ, সেভাবেই ছালাত আদায় কর’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৮৩)। তিনি নারী ও পুরুষের জন্য দু’বার দু’ভাবে ছালাত আদা
উত্তর : দারিদ্রে্যর ভয়ে সন্তান কম নেওয়ার লক্ষ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হারাম (বনী ইসরাঈল ৩১)। তবে বাচ্চার দুধ খাওয়া পর্যন্ত কিংবা স্ত্রীর কোন শারীরিক কারণে যেকোন অস্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/৩১৮৭)। সন্তান না নেওয়ার উদ্দে
উত্তর : সন্তান জন্মের ৭ম দিনে আক্বীক্বা করা সুন্নাত। এটা পিতা বা অভিভাবকের দায়িত্ব। ৭ম দিনের আগে কিংবা পরে কেউ আক্বীক্বা করলে সেটা সুন্নাত মোতাবেক হবে না। ১৪ ও ২১ দিনে আক্বীক্বা সম্পর্কে ত্বাবারাণী ও বায়হাক্বী বর্ণিত হাদীছটি নিতান্তই যঈফ
উত্তর : পিতা-মাতা কোন ছেলেকে এককভাবে অধিক সম্পদ দিতে পারবেন না। বরং সবাইকে সমানভাবে দিতে হবে (বুখারী হা/২৫৮৬-৮৭ ‘হেবা ও তার ফযীলত’ অধ্যায়)। অতঃপর বর্তমান অবস্থায় খালেছ অন্তরে তওবা করতে হবে এবং কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে (মুসলিম ‘শপথ’
উত্তর : তাদের অসীলায় নয়, বরং তাদের দিয়ে দো‘আ করানো যাবে। নবী করীম (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর ছাহাবায়ে কেরাম তাঁর চাচা আববাস (রাঃ)-কে দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করেছিলেন (বুখারী, মিশকাত হা/১৫০৯ ‘ইস্তিসক্বা’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, কোন মৃত ব্যক্তিকে
উত্তর : এমতাবস্থায় পরীক্ষা শুরুর আগে সুন্নাত ছাড়াই কেবল যোহর ও আছর দু’এক্বামতে ৪+৪ রাক‘আত (ثمانيًا) জমা করবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, নায়লুল আওত্বার ৪/১৩৬; বুখারী হা/৫৪৩, ৫৬২, ১১৭৪ ‘ফরযের পরে সুন্নাত-নফল না পড়া’ অনুচ্ছেদ; মুসলিম হা
উত্তর : এমতাবস্থায় দু’টি সহজ পথ রয়েছে : (১) প্রতি ওয়াক্তের জন্য পৃথক পৃথক ওযূ করে ছালাত আদায় করবেন (২) যোহর-আছর এবং মাগরিব-এশা সুন্নাত ছাড়াই জমা করে পড়বেন। যেভাবে মুস্তাহাযা নারীর ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে (তিরমিযী; আবূদাঊদ; ম
উত্তর : উক্ত বিবরণ সঠিক হ’লে বিক্রেতার উপর ক্রেতা হাজী যুলুম করেছেন। যুলুমের মাধ্যমে অর্জিত টাকা হালাল নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র বস্ত্ত ভিন্ন কবুল করেন না’ (মুসলিম; মিশকাত হা/২৭৬০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্
উত্তর : ছাগল ব্যতীত অন্য কোন পশু যেমন গরু বা উট দ্বারা আক্বীকা দেয়ার কোন ছহীহ হাদীছ নেই। উট, গরু ও ছাগল দিয়ে আক্বীক্বা সম্পর্কে আনাস (রাঃ) হ’তে যে মরফূ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা মওযূ বা জাল (ত্বাবারাণী ছাগীর, ইরওয়া হা/১১৬৮, ৪/৩৯৩ পৃঃ)।
উত্তর : খোসা সহ বা খোসা বিহীন সর্বাবস্থায় গমকে গম এবং যবকে যব বলা হয় এবং তা ছিল সে সময় আরবদের সরাসরি খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত। আর সেজন্য তা দিয়ে ফিৎরা দেওয়া হ’ত। পক্ষান্তরে খোসা বিহীন ধানকে চাউল বলা হয়, যা সরাসরি খাদ্য। সেকারণ চাউল দিয়েই ফিৎর
উত্তর : স্ত্রী যদি মনে করে স্বামী জানতে পারলে মেনে নিবেন না, তাহ’লে দান করতে পারবে না। কারণ স্বামীর অনুমতি ছাড়া দান করা নিষেধ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৯৫১, সনদ হাসান)। সংসার ধ্বংসকর নয় এমন দান করা যাবে। এতে স্ত্রী, স্বামী এবং রক্ষণাবেক্ষণকারীও
উত্তর : প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরের ক্ষেত্রে দু’টি শর্ত রয়েছেঃ (১) যদি কুকুরটি নিজে মৃত পশুর কিছু অংশ না খেয়ে ফেলে (২) শিকার করার সময় অন্য কোন কুকুর যেন প্রশিক্ষিত কুকুরের সাথে শামিল না হয় (ছহীহ তিরমিযী হা/১৪৭০; ছহীহ নাসাঈ হা/৪২৬৫)। ত
উত্তর : মহিলারা মহিলাদের নির্ধারিত স্থানেই ছালাত আদায় করবে। পুরুষদের জায়গা খালি থাকার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এতে ইমামের ইক্তেদা করতে কোন বাধা নেই (বুখারী হা/৭২৯)।
উত্তর : হিসাব হবে। হিসাব হবে না মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে, দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ আবূদাঊদ হা/৩১১১; ছহীহ নাসাঈ হা/১৮৪৬)। বিনা হিসাবে জান্নাতে যা
উত্তর : হাত উঠিয়ে কতক্ষণ রাখতে হবে তা বুখারী কেন কোন হাদীছেই বলা হয়নি; বরং কোন্ পর্যন্ত হাত উঠাতে হবে তা বলা হয়েছে। অতএব ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) বইয়ে যেভাবে বলা হয়েছে সেটিই সঠিক।
উত্তর : এটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। আল্লাহ যা খুশী তাই করতে পারেন। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা হচ্ছে- আল্লাহর সৃষ্টির চিরন্তন নিয়মের কোন পরিবর্তন নেই। এর ব্যতিক্রম কেবল তার হুকুমেই হ’তে পারে। যেমন মারিয়াম ও ঈসার বেলায় হয়েছিল। আরেকটি ব্যাখ্যা হ’ল, ত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফ ইবনে মাজাহ হা/১৬১৩; যঈফ আত-তারগীব হা/১৮২৫)।
উত্তর : উক্ত ভাইয়ের কথাই সঠিক। আল্লাহর নিজস্ব আকার রয়েছে। তবে তাঁর আকার কারো সাথে তুলনীয় নয় (শূরা ১১)। আল্লাহর চেহারা, হাত, চোখ, পা ইত্যাদি অঙ্গের কথা সরাসরি পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে (রহমান ২৭; মায়েদাহ ৬৪; ত্বোয়া-হা ২০; ক্বলম ৪২)। আল্লাহ তা‘আলা বলে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছের সনদ ছহীহ (আহমাদ, বায়হাক্বী, মিশকাত হা/৫০৯৯; ইরওয়াউল গালীল হা/৭৪)। উল্লেখ্য, উক্ত দো‘আর শেষে ‘ওয়া হার্রিম ওয়াজহী আলান না-র’ বলে যে অতিরিক্ত অংশ প্রচলিত আছে সেই অংশটুকু যঈফ (দ্রঃ ইরওয়া হা/৭৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১১৩)।
উত্তর : মোবাইলে গান-বাজনা রাখা ও তা শ্রবণ করা হারাম (লোকমান ৬)। ইসলাম প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার অশ্লীলতাকে হারাম করেছে (আ‘রাফ ৩৩)। সুতরাং এগুলো থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তবে এসব সেট বন্ধ রেখে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে।
উত্তর : ঈদগাহের সামনে দিয়ে যদি প্রাচীর থাকে অথবা কবর যদি দূরে পৃথক জমিতে থাকে, তাহ’লে ছালাত হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কবরের উপর বসো না এবং কবরের দিকে ছালাত আদায় কর না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৮)।
উত্তর : ‘আমি আপনাকে সুসংবাদ দানকারী এবং সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করেছি এবং আপনি জাহান্নামীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না (বাক্বারাহ ১১৯)। অর্থাৎ সুসংবাদ প্রদান এবং সাবধান করার পরে তারা যে কুফরী করেছে এবং তারা যে জাহান্নামী হয়েছে, এ জন্য আপনাকে ধরা হবে
উত্তর : সূরা ফাতিহার পর নির্দিষ্ট করে কত আয়াত পড়তে হবে তা কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে রাসূল (ছাঃ) যতটুকু সম্ভব ততটুকু পড়তে নির্দেশ দান করেছেন (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৮৫৬, সনদ ছহীহ)। তাই কখনও ছোট আবার কখনও বড় সূরা তেলাওয়াত করা যাবে। রাসূল (ছা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কুলুখ ও পানি একত্রে ব্যবহার করেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় না। তিনি কখনো কেবল পানি ব্যবহার করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪২, ৩৬০ ‘টয়লেটের শিষ্টাচার’ অনুচ্ছেদ)। কখনো বেজোড় সংখ্যক কুলুখ ব্যবহার করেছেন (বুখারী হ
উত্তর : ছয় শব্দটি উল্লেখ করে ছহীহ, যঈফ ও জাল সনদে রাসূল (ছাঃ) থেকে একটি হাদীছও দুনিয়ার কোন আলেমের পক্ষে দেখানো সম্ভব নয়। যেহেতু রাসূল (ছাঃ) হ’তে বারো তাকবীরের ছহীহ হাদীছ রয়েছে, সেহেতু তার বিপরীতে কোন আমল গ্রহণযোগ্য নয়’ (ছহীহ আবু দাঊদ হা/১১৪৯; ছ
উত্তর : সবাই মুসলিম বলে নিজের পরিচয় দিলে কোন সমস্যা নেই। দাওয়াতী ক্ষেত্রে এটি বেশ কার্যকরী। কিন্তু যেহেতু মাযহাবী পরিচয় দিয়ে বহু বিদ‘আতকে সমাজে চালু রাখা হয়েছে। সেহেতু ছহীহ্ হাদীছের অনুসারী হিসাবে ‘আহলেহাদীছ’ নামটি বৈশিষ্ট্যগত পরিচিতি হিসাবে
উত্তর : বর্ণনাটি জাল (যঈফ ইবনে মাজাহ হা/১৬৫১; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৬৬১)।
উত্তর : এর দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্রের ও ইসলামী সংগঠনের মুহাদ্দিছ-আমীর, ফক্বীহ ও মুত্তাক্বী আলেমগণকে বুঝানো হয়েছে। যারা আল্লাহর আনুগত্য এবং তাঁর নবীর ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক মানুষকে সৎ পথে চলার আদেশ দেন, তারাই উলুল আমরের অন্তর্ভুক্ত (তাফসীর ইবনু কাছীর
উত্তর : যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এতে নিষেধ করেছেন (ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/১০০২)। তবে লোক সমাগম বেশী হওয়ার কারণে স্থান সংকুলান না হলে বাধ্য হয়ে দাঁড়ানো যেতে পারে (ছহীহ তিরমিযী হা/২২৯, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য, পিলারের মাঝে কেউ একাকী ছালাত আদায় করলে অথবা ইমাম
উত্তর : হাদীছটি ছহীহ (আবুদাঊদ হা/৪২৯১; ঐ, মিশকাত হা/২৪৭ ‘ইল্ম’ অধ্যায়)। বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দিদ কে হবেন বা হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আল্লাহই ভাল জানেন। তবে বিগত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হিসাবে শায়খ আলবানীকে ধরা হয়ে থাকে।
উত্তর : শুধু মাগরিব নয় যেকোন ছালাতে মাসবূক মুছল্লী ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায় ছালাতে শরীক হবে এবং যা ছুটে যাবে তা পূর্ণ করবে (বুখারী হা/ ৬৩৬; মুসলিম হা/৬০২)। দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে তাশাহ্হুদ পড়তে হয়। অতএব শেষ তাশাহ্হুদ পাওয়ার কারণে মাসবূ
উত্তর : বারবার তওবা করেও যদি কেউ একই গুনাহে জড়িত হয় তাহলে মনে করতে হবে যে, তার তওবা শর্ত মাফিক হচ্ছে না। এরপরেও তওবার দরজা আল্লাহ খুলে রেখেছেন। বান্দা যতই গোনাহ করুক অনুতপ্ত হয়ে পুনরায় সেই পাপ করবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে তওবা করলে আল্লাহ তা
উত্তর : মদ পানকারীর চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল হবে না। সে যদি এ অবস্থায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে প্রবেশ করবে (ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/৩৩৭৭)। তওবা ব্যতীত তার গোনাহ মাফ হবে না (যুমার ৫৩)।
উত্তর : উক্ত প্রশ্ন সঠিক হয়নি। বরং একই বেচাকেনার মধ্যে দু’টি শর্ত নিষেধ করা হয়েছে (ছহীহ তিরমিযী হা/১২৩৪; ছহীহ আবীদাঊদ হা/৩৫০৪)। ফলে একই পণ্যে নগদে এক মূল্য আর বাকীতে এক মূল্য পৃথক করা থাকলে তাতে কোন সমস্যা নেই। কারণ এরূপ ক্রয়-বিক্রয় একই বেচাকেনার
উত্তর : এগুলো ব্যবসার নামে স্পষ্ট সূদী কারবার, যা হারাম (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)। এটা এক প্রকার প্রতারণ, যা রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২০)।
উত্তর : এতে কিছু করণীয় নেই। কারণ সে না জেনে দিয়েছে। উভয়ে নেকী পাবে। তবে মসজিদে কোন এক ছালাতের জন্য একবার আযান হওয়াই সুন্নাত।
উত্তর : একই ঈদগাহে একাধিক জামা‘আত করা যাবে না। জায়গা সংকুলান না হ’লে ঈদের মাঠ বড় করে অথবা অন্য কোন খোলা ময়দানে একই স্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করবে। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম একই মাঠে একাধিক বার ঈদের জামা‘আত করেছেন মর্মে কোন প্রমা
উত্তর : ক্রেতাকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য কেউ এমনটি করলে এই ব্যবসা অবশ্যই হারাম হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) প্রতারণার মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫৫)। পক্ষান্তরে খাদ মিশিয়ে গহনা বানালে এবং সে হিসাবে গিনি সোন
উত্তর : পাপের কাজে সাহায্য করা অবশ্যই পাপ। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্মে ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ২)। তবে একাজে তার বিবেকে বাধা দেওয়াটা তার ঈমানের পরিচয়। তাকে দ্রুত এ চাকুরী ছেড়ে
উত্তর : অনুবাদ : ‘আর তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা আল্লাহর নিকট ওয়াদা করে যে, আল্লাহ যদি আমাদের উপর অনুগ্রহ করেন, তবে আমরা দান-খয়রাত করব ও নেককার লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’ (তওবা ৭৫)। ‘অতঃপর যখন আল্লাহ তাদেরকে অনুগ্রহ করলেন, তখন তারা তা
উত্তর : এগুলো মাদকের অন্তর্ভুক্ত এবং হারাম বস্ত্ত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার বেশীতে মাদকতা আনে, তার অল্পটাও হারাম’ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৬৪৫ ‘দন্ডবিধি’ অধ্যায় ‘মদ্যপান’ অনুচ্ছেদ)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, পবিত্র বস্ত্ত তাদের জন্য হাল
উত্তর : উক্ত ফায়ছালা সঠিক হয়নি। কারণ ঋতু অবস্থায় ছালাত আদায় করা ও ত্বাওয়াফ করা যায় না (বুখারী হা/৩০৫-৬)। ইবনে আববাস অপবিত্র ব্যক্তির জন্য কুরআন পাঠ করাকে কোন দোষের কাজ মনে করতেন না। নবী করীম (ছাঃ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করতেন (বুখারী ‘ঋতু’ অধ্যায়,
উত্তর : বৃষ্টির পানি চাওয়ার জন্য ও কুনূতে নাযেলার সময় ইমাম ও মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দো‘আ করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৫০৮; আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন্নবী পৃঃ ১৫৯)।
উত্তর : উক্ত ঘটনা মিথ্যা ও বানাওয়াট।
উত্তর : এসব দরূদ সুন্নাত বিরোধী যা পড়লে নেকীর স্থানে গুনাহ হবে। একদা ছাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আল্লাহ আমাদেরকে আপনার উপর ছালাত ও সালাম দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আপনার উপর কিভাবে ছালাত পড়ব? তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমরা বল
উত্তর : এমতাবস্থায় অন্যের কাছে বিচার না চাওয়াই ভাল। কারণ যারা সঠিক পথে থাকে তাদের পক্ষ থেকে ফেরেশতারা প্রতিবাদ করেন। আর সঠিক পথের ব্যক্তি যদি প্রতিবাদ করতে যায় তাহ’লে ফেরেশতা সরে যান (আহমাদ, মিশকাত হা/৫১০২; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৩১)।অন্
উত্তর : মসজিদে আযান ব্যতীত অন্য কোন ঘোষণা না দেওয়াই উচিত। যেমন হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কেউ মসজিদে হারানো বিজ্ঞপ্তি শুনলে সে যেন বলে আল্লাহ যেন তোমাকে জিনিষটি ফেরত না দেন। কারণ এ কাজের জন্য মসজিদ বানানো হয়ন
উত্তর : এটা শরী‘আতের নামে নতুন আবিস্কার, যা পরিত্যাজ্য। নবী (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি এমন আমল করে যার ব্যপারে আমার কোন নির্দেশনা নেই, তা পরিতাজ্য’ (বুখারী ২/১০৯২ পৃঃ)।
উত্তর : যেকোন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তাহিইয়াতুল মসজিদ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে মসজিদে বসতে নিষেধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪)।
উত্তর : যে ছালাতের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা হয়েছে সেই ছালাতের সুন্নাত থাকলে সেই সুন্নাত পড়তে হবে। আর সেই ছালাতের কোন সুন্নাত না থাকলে দুখূলুল মসজিদ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪; ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, পৃঃ ৩৫৮)
উত্তর : শুধু আমাদের নামই মুসলিম নয়; বরং সকল নবীর উম্মতের নাম ছিল মুসলিম। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর একনিষ্ঠ বান্দাদের নাম রেখেছেন মুসলিম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে করা উচিত; তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্
উত্তর : এটা অলৌকিক কোন ঘটনা নয়; বরং মিথ্যা গুজব মাত্র। কুরআন মাজীদে দাড়ি-চুল পাওয়া যেতেই পারে। কারণ মানুষ কুরআন পড়ে এবং প্রেস থেকে বের হওয়ার পর মানুষই তা বাঁধাই করে।
উত্তর : নারীদের জন্য এসব খেলা সর্বাবস্থায় হারাম। এসব খেলা নারীদের স্বাস্থ্য, স্বভাব ও মর্যাদার বিরোধী। আল্লাহ তাদেরকে বাড়ীতে থাকার নির্দেশ দান করেছেন (আহযাব ৩৩)। তিনি বলেন, মেয়েরা যেন এমনভাবে পা না ফেলে, যা তাদের গোপন সৌন্দর্য অন্যকে জানিয়ে দেয়
উত্তর : কোন ফরয ছালাত ছুটে গেলে যখন স্মরণ হবে তখন আদায় করে নিবে। কারণ ফরয ছালাত আদায়ের ব্যাপারে বিলম্বের কোন সুযোগ নেই। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি যদি ছালাত পড়তে ভুলে যায় অথবা ছালাত রেখে ঘুমিয়ে যায়, তা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৮৯৮; সিলসিলা যঈফাহ হা/৩০০; মিশকাত হা/২১৫৮)। তবে সূরা ইখলাছ পাঠের অনন্য ফযীলত রয়েছে। যেমন- রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূরা ইখলাছ একবার পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পাঠের সমান নেকী পাওয়া যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/২১
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ কেউ কারু জন্য ছালাত আদায় করতে পারে না। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, কেউ কারো পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করতে পারে না এবং কেউ কারো পক্ষ থেকে ছালাত আদায় করতে পারে না (মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/২০৩৫)। তবে মানতের ছিয়াম একজন অন্য জ
উত্তর : তারা জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে একটি উঁচু জায়গায় অবস্থান করবে। তারাই হবে আ‘রাফবাসী (তাফসীরে ইবনে কাছীর ১/২২৫ পৃঃ, সূরা আ‘রাফ ৪৬ ও ৪৭ নং আয়াতের আলোচনা দ্রঃ)।
উত্তর : এধরনের দাওয়াতে অংশ গ্রহণ করা উচিত নয়। আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলেন, ‘ঐসব লোকদের পরিত্যাগ করুন যারা তাদের ধর্মকে ক্রীড়া ও কৌতুকরূপে গ্রহণ করেছে এবং পার্থিব জীবন যাদেরকে ধোঁকায় ফেলেছে (আন‘আম ৭০)।
উত্তর : উক্ত বিষয় সম্পর্কে শারঈ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।
উত্তর : বলার অপেক্ষা রাখে না ঈদে মীলাদুন্নবী একটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত, যা ৬০৫ মতান্তরে ৬২৫ হিজরীতে ইরাকে প্রথম চালু হয়। তাই এ দিনকে উপলক্ষ করে যা কিছুই করা হোক না কেন তা বিদ‘আতী আমল হিসাবে গণ্য হবে (লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ৫৭২৩)। রাসূল (ছাঃ)-এর জী
উত্তর : ঐ সময় জান্নাতীদের বয়স ৩০ অথবা ৩৩ হবে (তিরমিযী হা/২৫৪৫; মিশকাত হা/৫৬৩৯ ‘ক্বিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায় ‘জান্নাত ও জান্নাতবাসীদের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ-৫)। অনুরূপ বয়স হবে জাহান্নামীদের। তবে উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৫৬২; মিশকাত হা/৫৬৪৮)।
উত্তর : প্রসিদ্ধ চার ইমামের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা ছাড়া বাকী তিন ইমাম ছালাতে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) শুধু তাকবীরে তাহরীমার সময় রাফ‘উল ইয়াদাইন করতেন|
উত্তর : নিরাপদ ও সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দৈহিক সক্ষমতা থাকলে এবং আর্থিকভাবে কা‘বা ঘরে যাওয়া ও আসার সমপরিমাণ সম্পদ থাকলে তার ওপর হজ্জ ফরয (আলে ইমরান ৯৭)। অনেকের উপর হজ্জ ফরয হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন অজুহাতে অলসতা করেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলে
উত্তর : হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীছের সনদে হাফছ ইবনু সুলায়মান নামক একজন দুর্বল রাবী আছে (যঈফ তিরমিযী হা/২৯০৫; ‘ফাযায়েলুল কুরআন’ অধ্যায়; মিশকাত হা/২১৪১)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন। এখানে প্রচলিত বিদ‘আতী তাবলীগে যাওয়ার বিষয়টিকে জামা‘আতে ছালাত আদায় ও হজ্জ করার চাইতে উত্তম কাজ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অতএব এইসব বিদ‘আতীদের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। এদের কোন বয়ান শুনবেন
উত্তর : মূলতঃ টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা ও ছালাত আদায় দু’টি দুই বিষয়। টাখনুর নীচে কাপড় পরা নিঃসন্দেহে একটি বড় অপরাধ যা বহু ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/৪৩১১)। সেটা ছালাতের মধ্যে হোক আর ছালাতের বাইরেই হোক। একজন প্রকৃত
উত্তর : যাবে। যদি দেখে বা শুনে ইমামের রকূ, সিজদা, কওমা বুঝা যায় তাহ’লে অন্য মসজিদ বা অন্য স্থান থেকেও জামা‘আতে ছালাত আদায় করা জায়েয। মুক্তাদী ও ইমামের মাঝখানে রাস্তা বা দেয়াল থাকলেও কোন দোষ নেই, যদি মুক্তাদী ইমামের তাকবীরে তাহরীমা সহ সব
উত্তর : ইমামের পিছন থেকে কাতারবন্দি হবে, যাতে ইমাম মাঝখানে হয় এবং তার ডানে ও বামে মুছল্লী সমান হয়। আনাস বিন মালেক বলেন, একদা নবী করীম (ছাঃ) ছালাত আদায় করলেন। তখন আমি ও আমার ছোট ভাই তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম। আমার বৃদ্ধা মা উম্মে সুলায়েম দাঁড়ালেন আম
উত্তর : এখানে জোড়া জোড়া সৃষ্টির অর্থ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের নর ও মাদী সৃষ্টি করা (তাফসীরে ফাৎহুল ক্বাদীর ৫ম খন্ড, পৃঃ ২৬৪)।
উত্তর : মানুষ কসম করতে পারে কেবলমাত্র আল্লাহর নামে (বুখারী হা/৩৮৩৬, মুসলিম হা/৪৩৪৮)। অন্যের নামে কসম করা শিরক (তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৪১৯)। ইবনুল আরাবী বলেন, যদি কোন ব্যক্তি জেনে-শুনে এরূপ শপথ করে, সে ব্যক্তি কাফির। আর যদি কেউ অজ্ঞতার বশে
উত্তর : এরূপ সাংকেতিক সংখ্যায় বিসমিল্লাহ লেখা যাবে না। ‘বিসমিল্লাহ’-এর শব্দগুলোর বিশেষ গাণিতিক মান বের করে ৭৮৬ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারীরা মনে করে, এর দ্বারা ‘বিসমিল্লাহ’-কে যত্রতত্র অমর্যাদাকর ব্যবহার থেকে রক্ষা করা যায়। এটা
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা আমার পক্ষ হ’তে একটি আয়াত জানা থাকলেও তা অন্যকে পৌঁছে দাও’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮, ‘ইলম’ অধ্যায়)।
উত্তর : কাজটি বৈধ হয়নি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক হকদারকে তার হক দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং কোন ওয়ারিছের জন্য কোন অছিয়ত নেই’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৬৫, সনদ ছহীহ)।কোন ব্যক্তি যদি পুত্র ছাড়া কেবল একটি মেয়ে রেখে মারা যায়, তাহ’লে সে মেয়েটি তার
উত্তর : উক্ত হাদীছে তার নিজস্ব আমল বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩)। কিন্তু তার নামে কেউ হজ্জ বা ছাদাক্বা করলে তা তার কাছে পৌঁছবে। কারণ এটা তার করা আমল নয় (মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৫০)।
উত্তরঃ কালোজিরাতে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ রয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৫২০)।
উত্তর : ইমাম ভুল করে ছালাত শেষ করলে তার জন্য আর কিছু করণীয় নেই। কারণ জানাযার ছালাতে কোন লোকমা নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২০৭ পৃঃ)। তাই ইমাম-মুক্তাদী কেউ দায়ী হবেন না।
উত্তর : নীরবে পড়া যাবে না; বরং একাকী হলেও সরবে পড়তে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৪১১ পৃঃ)। তবে মাসবূক ব্যক্তি নিম্নস্বরে ক্বিরাআত পড়বে। যাতে অন্য মুছল্লীর সমস্যা না হয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৪১৫ পৃঃ)।
উত্তর : গণকের নিকট গিয়ে রাশি গণনা করা, তার কথা বিশ্বাস করা, তার দেয়া আংটি ও পাথর ব্যবহার করা হারাম। এতে তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হবে না। আর সে হবে নবী (ছাঃ)-এর আনিত বিধানকে অস্বীকারকারী (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৯৫)।
উত্তর : হাদীছটি জাল (যঈফুল জামে‘ ৫৭৮৭; মওযূ‘আত ১ম খন্ড পৃঃ ২৪৭)।
উত্তর : ডাক্তারগণ রোগী দেখতে যাওয়া ব্যক্তিদের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। তারা তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য রোগীর পার্শ্বে থাকেন। পক্ষান্তরে রোগী দেখতে যাওয়া ব্যক্তিদের দুনিয়ার কোন স্বার্থ জড়িত থাকে না। তবে ডাক্তারগণ যদি মানবিক তাকীদে ও নেকী হা
উত্তর : মুসলমানের পরস্পরের প্রতি যে ৬টি শিষ্টাচারের কথা শরী‘আতে বর্ণিত হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হ’ল, ‘সাক্ষাত হ’লে সালাম করা (নাসাঈ হা/১৯৩৮; মিশকাত হা/৪৬৩০)। এটি খাওয়া ও খাওয়ার বাইরে যেকোন সময়ে হ’তে পারে। এমনকি পেশাবরত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দিলে ত
উত্তর : এভাবে মাপজোক করে নয়, বরং পরিষ্কার নির্দেশ হ’ল দাড়ি ছেড়ে দাও ও গোঁফ ছাটো এবং মুশরিকদের বিপরীত কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। অতএব যতটুকু দাড়ি, ততটুকু ছাড়তে হবে।
উত্তর : দিবস পালন শরী‘আত সম্মত নয়। উপহার দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ছেলে ছোট হোক আর বড় হোক পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৩৫৪)। বিবাহ উপলক্ষে উপহার দেওয়াও বৈধ নয়।
উত্তর : স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর জান্নাত এরূপ হাদীছ নেই। তবে এরূপ হাদীছে এসেছে স্বামীই হচ্ছে জান্নাত, স্বামীই হচ্ছে জাহান্নাম (নাসাঈ কুবরা, সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৬১২, ১৯৩৪)। আর মায়ের পায়ের নীচে জান্নাত এ হাদীছ ‘হাসান ছহীহ’ (নাসাঈ হা/৩১০৪)।
উত্তর : একদিন এরূপ করেছিলেন (বুখারী হা/৪৬২৫, ৪৭৪০; মুসলিম হা/২৮৬০; তিরমিযী ১৪২৩)। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিয়মিত অভ্যাস এরূপ ছিল না।
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ইবনু মাজাহতে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হাদীছটি যঈফ। এর সনদে হাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান নামে একজন রাবী আছেন, যিনি সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ (ইবনে মাজাহ হা/১৫৫৩)।
উত্তর : যেকোন ছালাতের পর তাসবীহ পড়া যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৭)। তবে হাদীছে বিশেষভাবে আয়াতুল কুরসী ফরয ছালাতের পরে পড়ার কথা এসেছে (নাসাঈ আল-কুবরা হা/৯৯২৮; আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২)।
উত্তর : দুই খুৎবার মাঝে দরূদ কিংবা অন্য কিছু পড়ার কোন প্রমাণ নেই। এটি নতুন সৃষ্টি। সুতরাং উক্ত অভ্যাস বর্জন করতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)।
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে নির্দিষ্টভাবে চার রাক‘আত সুন্নাত পড়ার প্রমাণে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে নিম্নে দু’রাক‘আত পড়তে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১)। আর বেশী পড়ার নির্ধারিত কোন সংখ্যা নেই। যত রাক‘আত সম্ভব পড়তে পারে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮২)
উত্তর : ইক্বামতের জবাব দিতে হবে। নবী করীম (ছাঃ) সাধারণভাবে বলেন, মুয়াযযিন যা বলেন তোমরাও তাই বল (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭) । উক্ত হাদীছে থেকে ইক্বামতের উত্তর দেওয়ার কথা প্রমাণিত হয় (আলবানী, মিশকাত হা/৬৭০-এর টীকা দ্রঃ)। তাছাড়া অন্য হাদীছে আযান ও
উত্তর : উক্ত জুম‘আর ছালাত যোহর হিসাবে ক্বছর করে পড়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম ছালাত ক্বছর করার সময় জামা‘আতেও পড়তেন। এ মর্মে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৪ ও ১৩৩৮, ‘সফরের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : আল্লাহর গুণবাচক নাম ৯৯টি মর্মে ছহীহ হাদীছ রয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২২৮৭)। তবে যে হাদীছে নামগুলো উল্লেখ রয়েছে সে হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী, মিশকাত হা/২২৮৮)।
উত্তর : জানাযার ছালাতের তাকবীর সমূহে হাত উঠানো যায়। কারণ মারফূ‘ হাদীছ রাসূল (ছাঃ) থেকে না পাওয়া গেলেও ছহীহ সূত্রে মাওকূফ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন আনাস (রাঃ) জানাযার প্রত্যেক তাকবীরে হাত তুলতেন (যাদুল মা‘আদ ১/৪৯২ পৃঃ)।
উত্তর : হাত তোলা যাবে। ছাহাবায়ে কেরাম হাত তুলতেন (বুখারী, কুর্রাতুল আইনাইন বিরাফইল ইয়াদাইন, হা/৯৩ ও ৯৫; সনদ ছহীহ; ইরওয়াউল গালীল ২/১৮১ পৃঃ; ফাতাওয়া ওছায়মীন ১৪/১৩৬-৩৭ পৃঃ)।
উত্তর : ঈদ ও জুম‘আর ছালাতের এক রাক‘আত ছুটে গেলে পরের রাক‘আত পড়ে নিতে হবে। তবে দুই রাক‘আতই যদি ছুটে যায় তাহলে চার রাক‘আত পড়তে হবে (বায়হাক্বী, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ইরওয়াউল গালীল ৩/৮১ ও ৮২ পৃঃ)। জানাযার তাকবীর ছুটে গেলে আদায় করতে হবে না; বরং ইমামের
উত্তর : ছালাতে ভুলক্রমে কোন ওয়াজিব তরক হয়ে গেলে শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে সালাম ফিরানোর পূর্বে ‘সিজদায়ে সহো’ দিতে হয়। রাক‘আতের গণনায় ভুল হ’লে বা সন্দেহ হ’লে বা কম বেশী হয়ে গেলে বা ১ম বৈঠকে না বসে দাঁড়িয়ে গেলে ইত্যাদি কারণে এবং মুক্তাদীগণের মা
উত্তর : হাদীছটি ছহীহ। কিন্তু ব্যাখ্যাটি ভুল। দ্বিতীয়তঃ ১৪ শো বছর ধরে উক্ত প্রথাটি চলে আসার দাবীটি ভিত্তিহীন। তাঁর এই কল্পিত ব্যাখ্যা ও অনৈতিহাসিক দাবীর সাথে আহলেহাদীছ-হানাফী কোন বিজ্ঞ আলেমই একমত নন। যে হাদীছ তিনি এনেছেন, তার পুরাটি হ’ল, كان ا
উত্তর : ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত ছালাত জামা‘আতের পূর্বে পড়াই সুন্নাত। কিন্তু তা আদায় করার সময় না পেলে ফরয ছালাত পড়ার পরে পড়তে হবে। ক্বায়েস ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একজন লোককে ফজরের ফরয ছালাতের পর দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতে দ
উত্তর : যেকোন হালাল ব্যবসা নারী ও পুরুষ সবার জন্য জায়েয। আল্লাহ বলেন, তিনি ব্যবসাকে হালাল করেছেন ও সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, কোন উপার্জন সবচেয়ে পবিত্র? তিনি বললেন, মানুষের নিজ হাতের উপার্জন এবং প্রত
উত্তর : যার মূল হারাম, তার আয়টাও হারাম। তামাক একটি হারাম বস্ত্ত, যা মাদক দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। তামাক থেকে উৎপাদিত বিড়ি, সিগারেট, জর্দা সবই হারাম। তামাকের চাষ করা ও ব্যবসা করা হারাম। আল্লাহ বলেন, তাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সকল পবিত্র বস্ত্ত এব
উত্তর : শেয়ার বিক্রি করে পুরা টাকা উত্তোলন করুন। অতঃপর আসলটা রেখে দিন ও বাকীটা কোন কল্যাণকর কাজে ব্যয় করুন। কেননা ওটা সূদ। আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে আপনাকে অভাবমুক্ত করবেন এবং এর উত্তম প্রতিদান দিবেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লা
উত্তর : উপরের কথাগুলি কোন হাদীছ নয়। এগুলির রচয়িতা হলেন ‘মাওলিদুন্নবী’ বইয়ের লেখক মদীনার একজন শাফেঈ মুফতী ইমাম জা‘ফর আল-বারযানজী (মৃঃ ১১৭৭ হিঃ/১৭৬৪ খৃঃ)। উক্ত বইয়ে তিনি মা আমেনার প্রসবকালে আসিয়া, মারিয়াম প্রমুখের আগমন ইত্যাদি যেসব কথা লিখেছেন,
উত্তর : পরপুরুষকে দেখানোর জন্য সাবালিকা মেয়ের যেকোন অঙ্গভঙ্গি ইসলামে নিষিদ্ধ (নূর ৩১)। যারা এটা করেন ও যারা এটা সমর্থন করেন উভয়ে আল্লাহর বিধান লংঘনকারী। আর আল্লাহ কোন সীমালংঘনকারীকে ভালবাসেন না (আলে ইমরান ৫৭)। প্রকৃত অর্থে ছালাত-ছিয়াম আদায়কারী ব্যক্ত
উত্তর : ছালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখার ‘আম হাদীছের উপর (বুখারী, মিশকাত হা/৭৯৮) ভিত্তি করেই উক্ত বিষয়টি চালু হয়েছে। তবে রুকু থেকে উঠে ক্বওমায় দাঁড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে হাদীছে খাছভাবে বর্ণিত হয়েছে ‘যতক্ষণ না অস্থি সমূহ স্ব স্ব জোড়ে ফিরে আসে’ (বু
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে অথবা জুম‘আর রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হতে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭)। ইমাম সুয়ূত্বী বলেন, কেননা জুম‘আর দিন জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় না। এর দরজা বন্ধ থাকে।
উত্তর : এটা নিঃসন্দেহে গোনাহের কাজ। কেউ একাজ করলে ফাসেক বা পাপী হবে। তার পিছনে ছালাত আদায় করলে মাকরূহ হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৭৭; আবু দাঊদ, মিশকাত হা/৭৪৭, ‘মসজিদ ও ছালাতের স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। তবে তার পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তর : সালাম ফিরানোর পরে একবার সরবে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলাই হাদীছ সম্মত (মুত্তাফাক্ব আলাই, মিশকাত হা/৯৫৯, ৯৬১ ‘ছালাত পরবর্তী দো‘আ’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : দাড়ি কাটা-ছাটা জায়েয নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা গোঁফ ছোট কর, দাড়িকে ছেড়ে দাও এবং মুশরিকদের বিরোধিতা কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। তিরমিযীর বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাড়ির বর্ধিত অংশ ছাটতেন মর্মে আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর
উত্তর : ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া (২৭-৬৪ হিঃ) তাবেঈ ছিলেন। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ইয়াযীদ দায়ী নন। এজন্য মূলতঃ দায়ী বিশ্বাসঘাতক কূফাবাসী ও নিষ্ঠুর গভর্ণর ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ নিজে। কেননা ইয়াযীদ কেবল হুসায়েন (রাঃ)-এর আনুগত্য চেয়েছিলেন, তাঁর
উত্তর : মহান আল্লাহ যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন, সে কাজে তাকে ব্যবহার করা তার জন্য শাস্তির বিষয় নয়। এছাড়া পাথরের উপরে শরী‘আতের কোন বিধান আরোপিত হয়নি যে, তার কুফরী বা অবাধ্যতার কারণে শাস্তি স্বরূপ তাকে জাহান্নামের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার
উত্তর : বিতর ছালাতে দো‘আয়ে কুনূত রুকূর পূর্বে ও পরে দু’ভাবেই পড়া যায় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৯; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৩-৮৪; মিশকাত হা/১২৯৪; মির‘আত ৪/২৮৬-৮৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭পৃঃ)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কারো বিরুদ্ধে ব
উত্তর : রাস্তা নির্মাণের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা বৈধ নয়। কেননা এটা এলাকার দুস্থ-মিসকীনদের হক। এ অর্থ ঐ সকল খাতেই ব্যয় করতে হবে, যা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন (ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়িমাহ ১০/৪৩-৪৪, ফৎওয়া নং ২৩০৬)। যাকাত বণ্টনের খা
উত্তর : মৃত ব্যক্তি উল্লিখিত কাজগুলি শুনতে বা বুঝতে পারে না। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি কোন মৃতকে শুনাতে পারো না’ (নামল ৮০, ফাতির ১২২)। মৃত্যুর পরে মানুষ বরযাখী জগতে চলে যায়। ‘যার ও দুনিয়ার মাঝে পর্দা পড়ে যায় ক্বিয়ামত পর্যন্ত’ (মুমিনূন ১০০)। অতএব দুনিয়াবী কি
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মি‘রাজে গিয়ে ফেরার পথে মূসা (আঃ)-এর নিকটে আসেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি করে আসলে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমার উপর ৫০ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি মানুষ সম্পর্কে তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞাত। আমি বনী ইসরাঈলকে
উত্তর : সুন্নাতী তরীকায় গোসল করাতে সক্ষম এমন নিকটাত্মীয় মুর্দাকে গোসল করাবেন। নিকটাত্মীয়দের মধ্যে এমন কেউ না থাকলে অন্য কেউ করাবেন। পুরুষ মাইয়েতকে পুরুষ এবং মহিলা মাইয়েতকে মহিলা গোসল করাবেন। তবে শিশুকে মহিলারাও গোসল করাতে পারবেন (ফিক্বহুস সুন
উত্তর : পুরুষ ও মহিলাদের ছালাতের মধ্যে পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১০৯)। মহিলারা পুরুষদের ন্যায় সরবে ইক্বামত দিবে। তবে উচ্চৈঃস্বরে নয়। মহিলারা পুরুষের ইমামতির মতই ইমামতি করবে, তবে তারা জামা‘আতের প্রথম কাতারের মধ্যস্থলে দাড়িয়ে
উত্তর : কেউ যদি একই বিষয়ে একাধিকবার কসম করে এবং তা ভঙ্গ না করে তাহ’লে তা একই কসমের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই উক্ত ব্যক্তি যদি এখন রাসূলের কথা জানতে পারে এবং তওবা করে কসম ভঙ্গ করে, তাহ’লে তাকে একটি কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে। কসম ভঙ্গের কাফফারা হচ
উত্তর : মুছল্লীগণকে খুৎবা শোনানোর উদ্দেশ্যে যন্ত্রের ব্যবহার দোষণীয় নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুকালীন রোগের সময় আবুবকর (রাঃ) ছালাতের ইমামতি করছিলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের জামা‘আতে উপস্থিত হ’লে আবুবকর (রাঃ) ইমামতির স্থান হ’তে
উত্তর : দাঁড়ানো অবস্থায় সাধারণত যেভাবে হাত থাকে সেভাবে রাখাই বাঞ্ছনীয়। অন্যভাবে রাখার কোন বিধান হাদীছে আসেনি।
উত্তর : উক্ত সংখ্যাটি ‘বিসমিল্লা-হির রহমানির রহীম’-এর পরিবর্তে লেখা হয়। সূরা নামল-এর ৩০নং আয়াত ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’-এ ১৯টি হরফ রয়েছে। আবজাদী নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক হরফের মান ধরে সেগুলির সমষ্টিগত রূপ হচ্ছে ৭৮৬। এরূপ লেখা কুরআন-হাদীছ সম
উত্তর : দো‘আ শেষে মুখে হাত বুলানোর বা মুখমন্ডল মাসাহ করার কোন ছহীহ হাদীছ নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭ পৃঃ; যঈফ আবূদাঊদ হা/১৪৮৫; বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২২৫৫-এর টীকা; ইরওয়াউল গালীল হা/৪৩৩-৩৪, ২/১৮১ পৃঃ)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাথার চুল খুব বেশী কোঁকড়ানো ছিল না এবং সোজাও ছিল না। অর্থাৎ মধ্যম মানের ছিল। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাথার চুল উভয় কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত পৌঁছত। অন্য বর্ণনায় আছে, তাঁর কেশরাজি উভয় কান ও কাঁধের
উত্তর : যোহরের চার রাক‘আত সুন্নাত এক সালামে ও দুই সালামে উভয় পদ্ধতিতে পড়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত সুন্নাত যার মাঝে কোন সালাম নেই’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৮৮৫, ছহীহ আবূদাঊদ হা/১১৩১)। তবে দুই সালামে চার রাক‘আত আদায় করাও জায়
উত্তর : উপরোক্ত দু’টি বর্ণনাই সঠিক। এর অর্থ হ’ল : সর্বপ্রথম ছালাতের হিসাব নেওয়া হবে আল্লাহর হক হিসাবে। আর বান্দার হক হিসাবে সর্বপ্রথম খুনের হিসাব নেওয়া হবে (বুলূগুল মারাম হা/১১৫৮-এর ব্যাখ্যা)।
উত্তর : পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর বাণী, যা পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থের চেয়ে মর্যাদামন্ডিত। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে এক গোপন কিতাবে, যারা পাক পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না (ওয়াক্বিয়া ৭৭, ৭৮, ৭৯)। কুরআন কে
উত্তর : পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরায় প্রায় ২০৭৭ বার আল্লাহর নাম উল্লেখিত হয়েছে। তন্মধ্যে সূরা ফাতিহায় ২, বাক্বারায় ২৭৯, আলে ইমরানে ২০৪, নিসায় ২২৫, মায়েদায় ১৪৫, আন‘আমে ৮৪, আ‘রাফে ৫৯, আনফালে ৮৮, তওবায় ১৬৭, ইউনুসে ৬০, হূদে ৩৭, ইউসুফে ৪০, রা‘দে ৩
উত্তর : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড়ে কোন পার্থক্য নেই। উভয়কে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৩৫)। মহিলাদের জন্য প্রচলিত পাঁচ কাপড়ের হাদীছ যঈফ (আলবানী, যঈফ আবূদাঊদ হা/৩১৫৭; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), ১৯০ পৃঃ)।
উত্তর : একজন মৃত ব্যক্তির জানাযার ছালাত একাধিকবার পড়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জানাযার ছালাত একাধিক বার হয়েছিল (আর-রাহীকুল মাখতুম, পৃঃ ৪৭১)। অনুরূপভাবে একই ব্যক্তির জানাযায় একজন একাধিকবারও শরীক হ’তে পারে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫৮, ৫৯; মির‘আ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং ইমামের ক্বিরাআতের সাথে সাথে মুক্তাদীগণও নীরবে সূরা ফাতেহা পাঠ করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩; ছহীহ আবূ দাঊদ হা/৭৩৬-৩৭; ছহীহ তিরমিযী হা/২৫৭; মিশকাত হা/৮৫৪ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ)। ইমামের আমীন বলার পর মুক্তাদীর সূরা ফ
উত্তর : পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা শরী‘আত সম্মত নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি
উত্তর : কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দাঊদ (আঃ)-এর সময় নাফরমান ইহুদী সম্প্রদায়ের যাদের আকৃতি পরিবর্তিত হয়ে বানর-শূকরে পরিণত হয়েছিল (বাক্বারাহ ৬৫) ঐ বানর থেকে কোন বংশ বিস্তার ঘটেনি। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তারা কিছু খেতে পারত না, পান করতে পারত না। তারা
উত্তর : তাফসীর ইবনে কাছীরের সব বর্ণনা ছহীহ নয়। এর মধ্যে কিছু জাল-যঈফ হাদীছও পরিলক্ষিত হয় (দ্রঃ তাহক্বীক্ব ইবনে কাছীর)।
উত্তর : তাসবীহ ডান হাতে গণনা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা তাসবীহ সমূহ আঙ্গুলে গণনা কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩১৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকল শুভ ও পবিত্র কাজ ডান হাত দিয়ে করতেন (মুসলি
উত্তর : জানাযার ছালাতে সূরা ফাতেহার পর অন্য সূরা পড়া হয় না একথা ঠিক নয়। বরং সূরা ফাতেহার পর অন্য সূরা পড়া ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী ১/১৭৮ হা/১৩৩৫; নাসাঈ হা/১৯৮৬, ১৯৮৯; ছালাতুর রাসূল ৩য় সংস্করণ, পৃঃ ১৮০)।
উত্তর : মৌলিক মানবাধিকারের দিক দিয়ে সকল মানুষ সমান। তবে বিধানগত দিক দিয়ে মানুষের মধ্যে তারতম্য রয়েছে। যেমন পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যকার পার্থক্য, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার পার্থক্য, শাসক ও শাসিতের মধ্যকার পার্থক্য ইত্যাদি। নারী ও পুরুষের মধ্যে
উত্তর : উক্ত বস্ত্তগুলি নেশা জাতীয় দ্রব্য। নেশাদার দ্রব্য মাত্রই হারাম। হারাম বস্ত্ত খাওয়া যেমন হারাম, তার ব্যবসাও তেমন হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন সম্প্রদায়ের উপর কোন কিছু খাওয়া হারাম করেন, তখন তিনি তার ব্যবসাও হারাম করেন
উত্তর : আমানতের খেয়ানত করা মুনাফিকের আলামত সমূহের অন্যতম। কারো নিকট কোন কথা আমানত স্বরূপ বললে তা অন্যের নিকট প্রকাশ করে দিলে তা আমানতের খেয়ানত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি। (১) যখন সে কথা বলে, তখন সে মিথ্যা বলে (২) আর যখ
উত্তর : নকশাযুক্ত জায়নামাযে ছালাত আদায় করা ঠিক নয়। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নকশাযুক্ত চাদরে ছালাত আদায় করছিলেন এবং নকশার কারণে তাঁর ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয়। ফলে ছালাত শেষে তিনি বলেন, চাদরটি আব
উত্তর : টিভি ও রেডিওতে কুরআন তেলাওয়াত, কুরআনের বিশুদ্ধ তাফসীর ও ইসলামী অনুষ্ঠান শুনলে ছওয়াব পাওয়া যাবে। কারণ যন্ত্রটি হারাম নয়। অতএব এগুলি থেকে ভালো কিছু শুনলে বা শিখলে অবশ্যই ছওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু অনৈসলামিক কিছু দেখলে বা শুনলে গোনাহ হবে।
উত্তর : প্রথমতঃ কোন ব্যক্তি কারো পক্ষ থেকে ছালাত করতে পারে না। কেননা মানুষ তা-ই পাবে, যা সে নিজে করে (নজম ৩৯)। কোন ব্যক্তি অসুস্থ থাকলে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত তাকে ছালাত নিজেকেই আদায় করতে হবে যদি ইশারার মাধ্যমেও হয়। সময় মত আদায় করতে না পারলে সুস্থ হ’
উত্তর : প্রথমতঃ কোন ব্যক্তি কারো পক্ষ থেকে ছালাত করতে পারে না। কেননা মানুষ তা-ই পাবে, যা সে নিজে করে (নজম ৩৯)। কোন ব্যক্তি অসুস্থ থাকলে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত তাকে ছালাত নিজেকেই আদায় করতে হবে যদি ইশারার মাধ্যমেও হয়। সময় মত আদায় করতে না পারলে সুস্থ হ’
উত্তর : জাতীয় রাজস্ব আয়ের মাধ্যম হিসাবে সরকারীভাবে সীমান্তে যে ট্যাক্স ধার্য করা হয়, তা ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে মালামাল পাচার করে ব্যবসা করা হারাম। কেননা রাষ্ট্রীয় স্বার্থ মানেই জনস্বার্থ। আর জনস্বার্থের ক্ষতি করা ইসলাম অনুমোদন করে না
উত্তর : ছহীহ হাদীছের বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় দাজ্জাল শেষ যামানার কোন আদম সন্তানের ঔরসজাত হবে। সে খোরাসান থেকে বের হবে (ছহীহ তিরমিযী হা/২২৩৭; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৪০৭২)। সে একজন কাফের, তার কোন সন্তান থাকবে না এবং সে মক্কা এবং মদীনায় প্রবেশ করতে সক্ষম হব
উত্তর : যদি জানা যায় যে, তার উপার্জন স্পষ্ট হারাম তাহ’লে তার বাড়ীতে খাওয়া যাবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০)। তবে উপার্জিত সম্পদ হারাম হ’লেও খাদ্যটি হারাম না হ’লে তার বাড়িতে খাওয়া যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) ইহুদীর খাদ্য খেয়েছেন যাদের উপার্জন হারাম পন্থ
উত্তর : অবুঝ বয়সে কোন অন্যায় করে থাকলে তা গোনাহের খাতায় লিপিবদ্ধ হবে না। কারণ তিন শ্রেণীর লোক থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে ... যার মধ্যে একজন হ’ল অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪৪০১, ৪৪০২; ছহীহ তিরমিযী হা/১৪২৩)। তবে যুবকের আলামত পাওয়া না গেল
উত্তর : অকারণে কোন প্রাণী হত্যা বা গাছপালা বিনষ্ট করা ইসলামে নিষিদ্ধ। তবে মানুষের অপকার বা ক্ষতি সাধন করে এমন প্রাণী, গাছপালা নিধনে কোন বাধা নেই। যেমন রাসূল (ছাঃ) সাপ নিধনকে উম্মতের জন্য সিদ্ধ করেছেন। কেননা তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। রাসূল (ছাঃ
উত্তর : পর্দার আড়াল থেকে মহিলারা ইমামের নিকট থেকে কুরআন এবং হাদীছের তা‘লীম নিতে পারবে এবং প্রশ্ন করে উত্তরও জেনে নিতে পারবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)।
উত্তর : ‘জাহদুল বালা’ বাক্যটি হাদীছের অংশ (বুখারী হা/৬৩৪৭; মুসলিম হা/২৭০৭)। রাসূল (ছাঃ) ‘জাহদুল বালা’ হ’তে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেছেন। এর দ্বারা যারা জন্ম নিয়ন্ত্রণের দলীল পেশ করেন তারা বলেন যে, এর অর্থ হ’ল, ‘কম সম্পদের সাথে পরিবা
উত্তর : ক্বিয়ামতের দিন সকল মানুষ বস্ত্রহীন নগ্নদেহে উঠবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৫৩৬)। এদিন ইবরাহীম (আঃ)-কে সর্বপ্রথম কাপড় পরানো হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৫৩৫)।
উত্তর : গোচারণ ভূমিতে ছালাত আদায় করা যাবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৭৩৯, ইরওয়াউল গালীল হা/৭৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যমীন সর্বত্রই মসজিদ, কবরস্থান ও গোসলখানা ব্যতীত’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী ও দারেমী, মিশকাত হা/৭৩৭)।
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যেভাবে পর্দা করার কথা বলা হয়েছে, সেভাবে পর্দা করাই হচ্ছে যথার্থ পর্দা। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্
উত্তর : শয্যা গ্রহণকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে শয়তানের কবল থেকে নিরাপদ থাকা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিছানায় শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হয়। ফলে সকাল পর্যন্ত শয়তান ঐ ব্যক্তির নিকটবর্তী হ’তে পারে না’ (ব
উত্তর : পবিত্র কুরআন মুখস্থকারী হাফেযগণ পরকালে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআনের হাফেযকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক এবং জান্নাতের উপরের দিকে আর
উত্তর : চিল্লা প্রথার প্রমাণে কোন হাদীছ নেই। এগুলি কপোলকল্পিত পদ্ধতি। এর ভিত্তি হচ্ছে মাওলানা ইলিয়াসের স্বপ্নের উপর। যেমন তিনি বলেন, এই তাবলীগের নিয়ম আমার নিকটে স্বপ্নে প্রকাশিত হয় (আব্দুর রহমান উমরী, তাবলীগী জামা‘আত (নয়াদিল্লী : দারুল কিতাব, ১
উত্তর : গীবতের কাফফারা হচ্ছে যার গীবত করা হয়েছে তার নিকটে ক্ষমা চাওয়া। যেমন আবুবকর ও ওমর (রাঃ) তাঁদের খাদেমের গীবত করলে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঐ খাদেমের নিকট ক্ষমা চাইতে বলেন (আমসিক আলায়কা লিসানাকা, পৃঃ ৪৩)। তবে সরাসরি ক্ষমা চাইতে গেলে যদি ফিৎনার
উত্তর : মৃত্যুর পূর্বে কোন সম্পত্তি লিখে দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ তার মৃত্যুর পূর্বে মেয়ের মৃত্যু হ’তে পারে। তখন শরী‘আতের দৃষ্টিতে সে বা তার ছেলে মেয়ে উক্ত সম্পত্তির অধিকারী হবে না। এক্ষেত্রে সে শরী‘আতের হুকুম লংঘন করল।
উত্তর : যমযম কূপের পানি পানের সময় উক্ত দো‘আ পাঠের হাদীছটি যঈফ (ইরওয়াউল গালীল, ৪/৩৩পৃঃ, হা/১১২৬-এর আলোচনা দ্রঃ; যঈফ আত-তারগীব হা/৭৫০)। তাই সাধারণ দো‘আ হিসাবে ‘বিসমিল্লাহ’ বলবে।
উত্তর : ছালাতের জন্য ওযূ করে পবিত্র হয়ে পরিচ্ছন্ন পোষাক ও দেহ-মন নিয়ে কা‘বা গৃহপানে মুখ ফিরিয়ে মনে মনে ছালাতের সংকল্প করে বিনম্রচিত্তে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহ বলেন, قُوْمُوْا لِلّهِ قَانِتِيْنَ ‘তোমরা আল্লাহর জন্য নিবিষ্টচিত্তে দাঁড়িয়ে যাও’ (বাক্
উত্তর : কমিশন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে কোন চিকিৎসক বিশেষ কোন ডায়গনস্টিক সেন্টারে রেফার করলে সেটি ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ হা/৩৫৮০; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। তবে সাধারণভাবে কোন ক্লিনিক যদি স্বেচ্ছায় ল
উত্তর : এই ধরনের ব্যবসা জায়েয, যাকে ইসলামী শরী‘আতে মুযারাবা বলে। অর্থাৎ অন্যের সম্পদে নিজের শ্রম বিনিয়োগ করে ব্যবসা করা। ওছমান (রাঃ)-এর মাল নিয়ে আব্দুর রহমানের দাদা ব্যবসা করতেন। লাভ তাদের মধ্যে চুক্তি মতে ভা
উত্তর : রামাযান বা রামাযানের বাইরে কোন সময়ে নিয়মিত সারা রাত জেগে কিয়ামুল লাইল পালন করা সমীচীন নয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে কখনো ভোর পর্যন্ত সারারাত জেগে ইবাদত করতে এবং রামাযান মাস ছাড়া এক নাগাড়ে পুরো মাস ছিয়াম পালন করতে দেখিনি (মু
উত্তর : তিলক বা টিপ হিন্দুদের একটি ধর্মীয় প্রতীক। তারা তাদের বিভিন্ন দেবতার উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন টিপ বা তিলক ব্যবহার করে থাকে (বাংলাপিডিয়া)। আবার কোন হিন্দু ধর্ম মতে, তিলক হ’ল তৃতীয় চোখ যা শিশুদের বদনযর থেকে হেফাযত করে। অতএব একজন মুসলমানের জন্য
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/১৪৭৪; তিরমিযী হা/২৯১৬; মিশকাত হা/৭২০, ২২০০; যঈফুল জামে‘ হা/৫১৩৬, ৫১৫৩)। তবে কুরআন মুখস্থ করা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক মুসলিমের উচিৎ কুরআন মুখস্থ করা এবং তদনুযায়ী আমল করা। উল্লেখ্য যে, দু
উত্তর : প্রবল ধারণার ভিত্তিতে যদি পেশাব কাপড়ের কোন অংশে লেগেছে তা চিহ্নিত করা যায়, তাহ’লে উক্ত স্থান ধুয়ে নিতে হবে। আর স্থান চিহ্নিত করা সম্ভব না হ’লে অনুমান করে ধুয়ে নিবে বা পানি ছিটিয়ে দিবে। এতেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ (ইবনু মাজাহ হা/৪৬৪; আল-ম
উত্তর : সফরে বের হওয়ার পূর্বে যদি দু’ওয়াক্তের ছালাত প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা হয়ে যায় অতঃপর দ্বিতীয় ওয়াক্তের পূর্বেই সফর বাতিল ঘোষণা করা হয় তাহ’লে ঐ ছালাতই যথেষ্ট হবে। পরের ওয়াক্তের ছালাত আদায় করা যরূরী নয়। তবে যদি কেউ করে তবে তা নফল হয়ে যাবে। (
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছিয়াম ভঙ্গ করলে তিনি কবীরা গোনাহগার হবেন। এজন্য তাকে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে এবং উক্ত ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ছিয়াম অবস্থায় যে ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি করবে, তার জন্য ক্বাযা নেই। আর যে ব
উত্তর : রামাযান মাসে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর (রামাযানে) জিব্রীল (আঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে একবার কুরআন পাঠের পুনরাবৃত্তি করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে বছর তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে দু’বার কুরআন প
উত্তর : রামাযান মাসে বিবাহ করার বিশেষ কোন গুরুত্ব নেই। বরং বছরের যেকোন মাসে ও যেকোন দিনে বিবাহ হ’তে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৪২)।প্রশ্নকারী : আতীকুল ইসলামভাড়ালীপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : মসজিদে বিবাহ পড়ানো সংক্রান্ত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/১৮৫; ইরওয়া হা/১৯৯৩; মিশকাত হা/৩১৫২’ যঈফাহ হা/৯৭৮; যঈফুল জামে‘ ৯৬৬)। তবে এই হাদীছের উপর ভিত্তি করে জমহূর ফক্বীহগণ বরকত এবং বিবাহের প্রচারের স্বার্থে মসজিদে বিবাহ পড়ানোকে মুস্তাহাব বলেছেন
উত্তর : মহিলাকে পুরুষে বা পুরুষকে মহিলায় রূপান্তর করা সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার শামিল যা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর ধর্ম, যার উপরে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই’ (রূম ৩০/৩০)। এটি শয়তানের কাজ। কারণ সে আল্লাহকে ব
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। ইদ্দত প
উত্তর : রামাযান মাসে ইবাদত করা খুবই ফযীলতপূর্ণ। ফরয ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বাধীন। অর্থাৎ রামাযান মাসের ছিয়াম পালনের ক্ষেত্রে স্ত্রীর স্বাধীনতা রয়েছে। আর অন্যান্য ইবাদতের ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতিক্রমে অধিক ইবাদত পালনের সুযোগ রয়েছে। কিন্
উত্তর : রামাযান মাসের ছিয়াম দ্বিতীয় হিজরীর শা‘বান মাসে ফরয হয়েছিল (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২৫০)। ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে রামাযান মাসে দু’টি যুদ্ধ করেছি- বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয়। এ সময় আমরা ছিয়াম রাখিনি (তিরমিযী হা/৭১৪; আ
উত্তর : ইফতারের বিষয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা হ’ল- সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বু. মু. মিশকাত হা/১৯৮৫)। তিনি ইশারা দিয়ে বলেন, যখন এদিক হ’তে রাত্রি আগমন করবে এবং এদিক হ’তে দিন প্রস্থান করবে এবং সূর্য অস্ত যাবে, তখনই ছায়েম ইফতার করবে’
উত্তর : ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের যাবতীয় বিধানাবলী পালন করার চেষ্টা করতে হবে। তবে বাধ্যগত কারণে ইবাদত পালনে কৌশল অবলম্বন করা যাবে। যেমন বাদশাহ নাজাশী ইসলাম গ্রহণ করে তা গোপন রেখেছিলেন। ইউসুফ (আঃ)-কেও রাজপ্রসাদে ইসলাম গোপন রেখে ধর্মীয় কার্যাবলী
উত্তর : একাধিক স্ত্রী থাকাকালীন স্বামীকে লটারীর মাধ্যমে সফর সঙ্গিনী নির্বাচন করতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) কোন সফরে বের হ’লে তাঁর সহধর্মিণীগণের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে (নির্বাচিত করে) যার নাম উঠত তাকে সাথে নিয়ে যেতেন (বুখারী হা/২৫৯৩; ম
উত্তর : উক্ত মর্মে ইতিহাসে একাধিক বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে বর্ণনগুলোর সনদে দুর্বলতা রয়েছে (তারীখু ত্বাবারী ৪/২৬৯; খলীফা বিন খাইয়াত্ব, আত-তারীখ ১৬৫ পৃ.; যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ২/১৮২; তাক্বরীবুত তাহযীব ৪০৫ পৃ.)। দ্বিতীয়তঃ এর সনদকে গ্রহণযোগ্য ধরে নিলেও সে
উত্তর : রামাযান মাসে যাকাত আদায়ের বিশেষ কোন ফযীলত নেই। যাকাত যখন ফরয হবে তখনই আদায় করা ওয়াজিব। তবে রামাযানের নিকটবর্তী মাসে যাকাত ফরয হ’লে ফযীলতের দিকে লক্ষ্য রেখে রামাযান মাসে আদায় করা যেতে পারে (ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, মাসআলা-৩৮৮, পৃঃ ৪৪৪; নবব
উত্তর : সুন্নাত হ’ল মুছাল্লা বা ছালাতের স্থানে বসে যিকর-আযকার করা (বুখারী হা/৪৭৭; মিশকাত হা/৭০২)। এক্ষণে হাদীছে বর্ণিত মুছাল্লা দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল পুরো মসজিদ (ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৪/৫৬)। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, মুছাল্লা অর্থ ব্যক্তি যে স্থানে ছালা
উত্তর : ছিয়ামের জন্য নিয়ত করা পূর্বশর্ত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ফজরের পূর্বে যে ব্যক্তি ছিয়ামের নিয়ত করে না, তার ছিয়াম নেই (আবুদাঊদ হা/২৪৫৪; মিশকাত হা/১৯৮৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫৩৮)। অন্যত্র এসেছে, যে ব্যক্তি রাত্রে ছিয়ামের নিয়ত করে না তার ছিয়াম হবে না (নাস
উত্তর : লজ্জাস্থান দিয়ে পুঁজ বা কোন তরল পদার্থ বের হ’লে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। কারণ এটি ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। তবে তার ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। এক্ষণে যার অনবরত কিছু বের হয় সে প্রতি ছালাতের সময় ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। এর মধ্যে কিছু বের হ’লে তার ছালাতের
উত্তর : সকল নবী-রাসূলের হজ্জের ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন বর্ণনা ও ঐতিহাসিক বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সকল নবী-রাসূল হজ্জ সম্পাদন করেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, রাওহা উপত্যকা দিয়ে সত্তুর জন নবী পশমী কাপড় পরে হজ্জ করতে
উত্তর : বিবাহ পড়ানোর সুন্নাতী পদ্ধতি হ’ল, প্রথমে বিবাহের খুৎবা পড়তে হবে (মুগনী ৭/৬২)। কোন বিয়েতে খুৎবা পূর্বে পাঠ করা না হ’লে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) সে বিবাহ অনুষ্ঠান ত্যাগ করতেন (আবুন নাজা, আল-ইক্বনা‘ ৩/১৬২; বাহূতী, কাশশাফুল কেনা‘ ৫/২১)। কারণ
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ‘খোলা’ কার্যকর হয়েছে। ‘খোলা’ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ যা নারীর পক্ষ থেকে হয় স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৮/১৮১; শাওকানী, নায়লুল আওতার ৬/২৯৫) কারণ ‘খোলা’ তালাক নয় বরং বিবাহ ব
উত্তর : অভিভাবক ও মেয়ের সম্মতিক্রমে বিবাহ সম্পন্ন হওয়াই শরী‘আত সম্মত। এক্ষণে পিতা যদি সম্পদ বা প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে কোন ফাসেক ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে বাধ্য করে, তাহ’লে মেয়ের জন্য উক্ত বিবাহ ভঙ্গ করার অধিকার থাকবে (নাসাঈ হা/৩২৬৯
উত্তর : খুৎবা চলাকালীন ইমামের প্রশ্নের উত্তর মুছল্লীরা দিতে পারবে। এমনকি মুছল্লীরা কোন প্রশ্ন করলে খতীব তার জওয়াব দিতে পারবেন (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/৪১৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/১০৭)। জনৈক মুছল্লী মদীনায় অনাবৃষ্টির অভিযোগ করে বৃষ্টি পার
উত্তর : কোন ছালাতের জন্য সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কেউ সময়ের পূর্বে আযান দিয়ে সময়ের মধ্যে ছালাত আদায় করলে তার ছালাতের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সময়ের পূর্বে আযানদাতা গুনাহগার হবে। এক্ষণে কেউ ভুল করে সময়ের পূর্বে আযান দিয়ে ছ
উত্তর : আ‘উযুবিল্লা-হ বলে বাম দিকে তিনবার থুক মারতে হবে। ওছমান ইবনু আবিল ‘আছ বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার ছালাত এবং ক্বিরাআতের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করে। রাসূল (ছাঃ) উত্তরে বললেন, ‘এটা একটা শয়তান যাকে ‘খিনযাব’ বলা হয়। সুতরাং তুমি যখন এর
উত্তর : সূরা ফাতিহার যে অংশটুকু পাঠ করা হয়েছে সে অংশে থেমে গিয়ে ইমামের অনুসরণে আমীন বলবে। অতঃপর সূরা ফাতিহার বাকী অংশটুকু পাঠ করবে। কারণ সূরা ফাতিহা ছাড়া ছালাত হবে না (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৮২২)। প্রশ্নকারী : আ
উত্তর : সতর ঢেকে ছালাত আদায় করা ফরয। সাধারণভাবে পর্দা হয় না এমন আটসাঁট জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট ছালাতের উপযোগী পোষাক নয়। এতে ছালাত আদায় হয়ে গেলেও ছওয়াবে কমতি হবে এবং গুনাহ হবে। ছালাতের জন্য অবশ্যই তাকওয়াপূর্ণ ঢিলাঢালা ও শালীন পোষাক পরিধান ক
উত্তর : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড় তিনটিই যথেষ্ট (বুখারী হা/১২৬৪; মুসলিম হা/৯৪১; মিশকাত হা/১৬৩৫; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতি‘ ৫/২২৪; দ্র. ছালাতুর রাসূল ২২৭ পৃ.)। মহিলাদের পাঁচ কাপড়ে কাফন দেওয়ার হাদীছ যঈফ (যঈফাহ হা/৫৮৪৪)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অন
উত্তর : ছালাতের মধ্যে ক্বিয়াম বা দাঁড়ানো অন্যতম ফরয রুকন। অতএব সক্ষম ব্যক্তির জন্য বসে ছালাত আদায় জায়েয নয়। এক্ষণে যে ব্যক্তি দাঁড়াতে অক্ষম, সে ব্যক্তি বসে, শুয়ে বা ইশারায় ছালাত আদায় করবে। বসাটা মাটিতেও হ’তে পারে বা যেকোন উঁচু জায়গায় হ’
উত্তর : জুয়া খেলা নিকৃষ্ট হারাম এবং তা থেকে প্রাপ্ত সম্পদও হারাম। অতএব এই ধরনের সম্পদ দ্বারা ব্যবসা করাও হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারক তীর সমূহ শয়তানের নাপাক কর্ম বৈ কিছুই নয়। অতএব এগুলি থেকে
উত্তর : অমুসলিম আত্মীয়-স্বজনের সাথে সুন্দর আচরণ করতে হবে, যদি তারা দ্বীন পালনে বাধা না দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায়বিচার করতে আল
উত্তর : নেকীর কাজে মানুষকে উৎসাহিত ও আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে এরূপ করায় কোন বাধা নেই (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া ক্রমিক : ৫৭৬২৬)। ছাহাবীদের সাথে নিয়ে রাসূল (ছাঃ) মসজিদে ক্বোবা ও মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে কথিত মসজিদে যিরারে গিয়ে শুরুতে ছালাত আদায়ে
উত্তর : ঈদের ছালাত নারী-পুরুষ সবার জন্য ঈদের ময়দানে গিয়ে আদায় করাই সুন্নাত (বুখারী হা/৩৫১; মুসলিম হা/৮৯০; মিশকাত হা/১৪৩১)। তবে প্রয়োজনে একজন পুরুষের ইমামতিতে নারীরা মসজিদে ঈদের ছালাত আদায় করতে পারে। যেমন যাকওয়া
উত্তর : যে সকল গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারিণী মহিলা ছিয়াম পালনে শিশুর ক্ষতির আশংকা করে, তারা রামাযানে ছিয়াম ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছেন অর্ধেক ছাল
উত্তর : শারঈ পর্দা, নিরাপত্তা ও অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে মহিলাদের জন্য নিজের বাড়িতে কিংবা অন্যত্র দ্বীনী শিক্ষা প্রদানে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন কওম কোন গৃহে বসে, অতঃপর কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তা পর্যালোচনা করে, সেখানে তাদের উপ
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হাদীছ দু’টি সহ ‘রাফ‘ঊল ইয়াদায়েন’ না করার পক্ষে যে সকল দলীল পেশ করা হয়, তার সবগুলিই যঈফ। প্রশ্নে বর্ণিত ১ম হাদীছটি ইমাম আবুদাঊদ বর্ণনা করে বলেন, هَذَا مُخْتَصَرٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ وَلَيْسَ هُوَ بِصَحِيحٍ عَلَى هَذَا ا
উত্তর : এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় রয়েছে। (১) সাধারণভাবে কোন স্থানে ছবি-মূর্তি থাকলে সেখানে ছালাত আদায় করা যাবে না। কেননা ছবি-মূর্তি সংরক্ষণ করা হারাম (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৬) এবং যে ঘরে ছবি-মূর্তি বা কুকুর থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না (মু
উত্তর : বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল গান-বাজনা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সত্বর আমার উম্মতের মধ্যেকার কিছু লোক রেশমী কাতান, রেশমী কাপড়, মদ ও গান-বাদ্যকে হালাল মনে করবে (বুখারী তা‘লীক্ব, হা/৫৫৯০; মিশকাত হা/৫৩৪৩)। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লো
উত্তর : নিজের উৎপাদিত বা বাজার থেকে ক্রয়কৃত আলু ব্যবসা বা নিজের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে হিমাগারে দীর্ঘদিন রাখলে তাতে কোন দোষ নেই (ফতহুল বারী, পৃঃ ৯/৫০৪, তুহফাতুল আহওয়াযী, পৃঃ ৪/৪০৪)। রাসূল (ছাঃ) নিজের পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য মজুদ রেখেছেন (বুখারী হা/
উত্তর : জান্নাতের নে‘মতসমূহের মধ্যে নহর অন্যতম। এ নদীগুলো কিসের হবে তা পবিত্র কুরআনে এভাবে এসেছে, ‘মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের অঙ্গীকার দেয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হ’ল, সেখানে থাকবে নির্মল পানির নহরসমূহ, থাকবে দুধের নহরসমূহ যার স্বাদ হবে অপরিবর্ত
উত্তর : আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সম্মুখে পুতুল নিয়ে খেলা করতাম আর আমার কিছু সাথীও আমার সাথে খেলা করত। যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রবেশ করতেন তখন তারা আত্মগোপন করত। কিন্তু তিনি তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন, অতঃপর তারা আমার
উত্তর : কবরের আযাব সত্য (আন‘আম ৯৩, মুমিন ৪৬)। যা অসংখ্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী, মিশকাত হা/১২৬, আহমাদ, মিশকাত হা/১৬৩০, সনদ ছহীহ)। রাসূল (ছাঃ) সবসময় কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে বলেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৪০)। এক্ষণে কবরের আযাব শারীরিকভাবে
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : মুশরিক অবস্থায় মারা যাওয়ার কারণে তারা জাহান্নামী হবে। রাসূল (ছাঃ)-কে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি (তওবাহ ১১৩; মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৬৩)। রাসূল (ছাঃ) তাঁর পিতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হ’লে উত্তরে বলেন, আমার পিতা জাহান্নামী (মুসল
উত্তর : বিধর্মীরা আল্লাহর সাথে শিরক করার কারণে সত্ত্বাগতভাবে অপবিত্র (তওবা ২৮)। তাই বলে তারা শারীরিকভাবে অপবিত্র- এমনটা নয়। তাদের সাথে উঠা-বসা, লেন-দেন সবই জায়েয। তাই তারা ঘরে প্রবেশ করলে সেখানে ছালাত আদায় নাজায়েয হওয়ার কোন কারণ নেই। এমনকি তারা
উত্তর : যারা রাত্রির ছালাতে অভ্যস্ত তারা ফজর উদিত হওয়ার পূর্বে তাহাজ্জুদ ও বিতর ছালাত আদায় করবেন। (তিরমিযী হা/৪৬৬)। তবে ভুলক্রমে বা ঘুমের কারণে উক্ত সময়ে উঠতে না পারলে যখন মনে হবে বা ঘুম থেকে জেগে উঠবেন তখন পড়ে নিবেন। যদিও তা আযানের পর জামা
উত্তর : সূর্য ও চন্দ্র উভয়কে ক্বিয়ামতের দিন আলোহীন করা হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৫৫২৬)। সূর্য মাত্র এক মাইল দূরে থাকবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫৪০)। তারপর জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/১২৪, ১/১২৩ পৃঃ)।উল্লেখ্য, সূর্য ও চন্দ্রকে শাস্তি দেও
উত্তর : মধ্যবর্তী ছালাত বলতে এখানে আছর ছালাতকে বুঝানো হয়েছে। অন্যান্য ফরয ছালাত অপেক্ষা এ ছালাতের গুরুত্ব অনেক বেশী। কারণ নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির আছর ছালাত ছুটে গেল তার এমন ক্ষতি হ’ল যেমন ক্ষতি হয় তার ধন-সম্পদ ও পরিবারবর্গ সবকিছু ধ
উত্তর : উক্ত হাদীছের অর্থ হ’ল, ছালাতের নেকী কম হয়, সম্পূর্ণ ছালাত বাতিল হয় না। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয় (তুহফাতুল আহওয়াযী ২/২৫৯; বলূগুল মারাম হা/২২৮-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
উত্তর : মাথার কাপড় সরিয়ে বা যেভাবে সুবিধা হবে সেভাবে মাথা মাসাহ করবে। তবে পুরুষ ও মহিলার ওযূর পদ্ধতির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই (নাসাঈ হা/১০০, ১ম খন্ড, পৃঃ ৪২)। মেয়েদের মাথার কাপড় পড়ে গেলে বা বেগানা পুরুষ দেখলে ওযূ নষ্ট হয় না। কারণ এগুলো ওযূ ভঙ্গের কারণ
উত্তর : স্বামীর আনুগত্য না করা একটি কঠিন অপরাধ। রাসূল (ছাঃ) জনৈকা মহিলাকে বলেন, স্বামী তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম (নাসাঈ কুবরা, আহমাদ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬১২, সনদ ছহীহ)। অন্য হাদীছে বলা হয়েছে, স্বামীর অবাধ্যতার কারণে মহিলারা বেশী বেশী জাহান্নামে যাবে
উত্তর : পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষের পরীক্ষা নিতে চান যে কে তাদের মাঝে সর্বোত্তম আমল করে (সূরা মুলক ২)। তাই প্রতিটি মানুষই প্রতিনিয়ত পরীক্ষার সম্মুখীন। এ পরীক্ষার ধরন বিভিন্ন হ’তে পারে (বাক্বারাহ ১৫৫)। যেমন কাউকে মন্দ ও কাউকে ভাল দ্বারা (আম্বিয়া ৩৫)। আল্ল
উত্তর : প্রশ্নে উল্লিখিত বক্তব্য বানাওয়াট। উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। সূরা হা-মীম সাজদাহর ফযীলত সম্পর্কে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে সবই যঈফ ও জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫১১২; যঈফ তিরমিযী হা/২৮৭৯, ২৮৮৮, ২৮৮৯; মিশকাত হা/২১৪৪, ৪৯, ৫০)।
উত্তর : জামা‘আতের পরে আসা মুছল্লীরা এক্বামত দিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করতে পারবে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একবার জনৈক মুছল্লীকে একাকী ছালাত আদায় করতে দেখে বলেন, কে আছ এই ব্যক্তিকে ছাদাক্বা দিতে পারে, অর্থাৎ তার সাথে ছ
উত্তর : সমাজে যত কুসংস্কার চালু আছে, এটি তার অন্যতম। এগুলো থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
উত্তর : রোযাদার কে পানি পান করালে আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ মাফ করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন মর্মে হাদীছটি ইমাম বায়হাক্বী বর্ণনা করেছেন। তবে হাদীছটি যঈফ (মিশকাত হা/১৯৬৫; সিলসিলা যঈফা হা/৮৭১)। কিন্ত রোযাদারকে পানি পান করালে হাউয কাওছারের পা
উত্তর : সূরা ক্বদর পড়া সম্পর্কে যে বর্ণনা এসেছে তা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯)। ওযূ করার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ এবং শেষে ‘আশহাদু আল্লা ইলা-হা .. .. ছাড়া আর অন্য কিছু বলা যাবে না (মুসলিম, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৮৯)।
উত্তর : উক্ত ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা পাবেন না। তবে অবশ্যই তিনি উত্তম প্রতিদান পাবেন। কিন্তু তিনি যদি আল্লাহর পথে সংগ্রাম করতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন এবং নির্যাতন করে বা অন্যায় বিচারে তাকে হত্যা করা হয়, তবে তিনি প্রকৃত শহীদের মর্যাদা পাবেন।উল্লেখ্য
উত্তর : ছোট ছেলে মেয়েদের কপালে কোন এক পার্শ্বে কাজলের বা অন্য কোন জিনিষের ফোটা দেয়ার কারণ সাধারণত দু’টো হতে পারে। (ক) বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ যা মুসলমানের জন্য পরিত্যাজ্য (আহমাদ, আবূদাঊদ হা/৪৩৪৭)। (খ) কোন বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ
উত্তর : পিতা বা কোন অভিভাবক সাবালিকা মেয়ের মতামত ছাড়া বিয়ে দিতে পারেন না (বুখারী, মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/৯২২; বুখারী, মিশকাত হা/৩১২৮)।
উত্তর : ছালাতে সালাম ফিরানোর সময় শুধু ডান দিকে ‘ওয়া বারাক্বা-তুহু’ যোগ করা যাবে (তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ১৭১)। উল্লেখ্য যে, বলূগুল মারামে (হা/৩১৬) আবুদাঊদের উদ্ধৃতি দিয়ে দুই দিকেই বলার কথা এসেছে। কিন্তু মূল আবুদাঊদে (হা/৯৯৭) এটা নেই। আরো উল্লে
উত্তর : মসজিদের মেহরাবের উপরে বা অন্য কোন স্থানে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, ‘আল্লাহ’, ‘মুহাম্মাদ’ বা অন্য কোন আয়াত লেখা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মসজিদে এসব কিছু লেখা বা কোনরূপ বাড়তি সাজ-সজ্জা না থাকায় মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী ছাহেবে
উত্তর : হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন যে, كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ ‘আল্লাহ সর্বদা মহান কর্মে ব্যস্ত’ (রহমান ২৯)-এর ব্যাখ্যা এই যে, তিনি সর্বক্ষণ কারু পাপ ক্ষমা করছেন, কারু বিপদ সরিয়ে দিচ্ছেন, কাউকে উচ্চ সম্মা
উত্তর : বিভিন্ন নকশায় সজ্জিত পোষাক, কার্পেট ও কারুকার্য মন্ডিত মসজিদের দেয়াল ছালাতের মধ্যে মুছল্লীদের একাগ্রতা বিনষ্ট করে। এগুলো থেকে বেঁচে থাকা যরূরী। সেগুলো মক্কা-মদীনার হোক বা অন্য কোন স্থানের বা বস্ত্তর হোক তা দেখার বিষয় নয় (মুত্তাফ
উত্তর : জামা‘আতে শরীক হয়ে আগে ইমামের সাথে ‘আমীন’ বলবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা জামা‘আতে এসে ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, সে অবস্থায় ইমামের অনুরূপ করবে’ (আবুদাঊদ হা/৫০৬; তিরমিযী হা/৫৯১; মিশকাত হা/১১৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১)। তাছাড়া হাদীছে
উত্তর : অন্যান্য ছালাতের ন্যায় জানাযার ছালাতেও কাতার হওয়া যরূরী (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫২, ৫৭, ৫৮)। উভয় ছালাতে কাতারের হুকুমে কোন পার্থক্যের উল্লেখ নেই। পরিচ্ছন্ন জুতা বা স্যান্ডেল পরে ফরয ছালাত আদায় করা যেমন জায়েয, তেমনিভাবে জানায
উত্তর : উক্ত দাবী ঠিক নয়। কারণ হাদীছে উক্ত শর্ত উল্লেখ করা হয়নি। এটা শরী‘আতের নির্দেশকে অমান্য করার অপকৌশল মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তিন শ্রেণীর লোকের সাথে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন ন
উত্তর : কবীরা গোনাহ অর্থ মহা পাপ। (১) যার শীর্ষে রয়েছে আল্লাহর সাথে শিরক করা (২) এরপরে ঐসব গোনাহ যার শাস্তি কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা নির্ধারিত। যেমন হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, জুয়া, লটারী, মদ্যপান, মিথ্যা সাক্ষ্য দান ইত্যাদি (৩) যেসব পাপের জন্য আল্
উত্তর : এটি সামাজিক কুসংস্কার মাত্র।
উত্তর : চুরি করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮)। জেনে শুনে চুরিকৃত বস্ত্ত ক্রয় করা পাপ কাজের সহযোগিতা করার শামিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নেকী ও কল্যাণের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযো
উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া কাবীরা গোনাহ সমূহের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৫০)। কোন মেয়ে পিতা বা অভিভাবকের সম্মতি ব্যতীত বিবাহ করলে বিবাহ বাতিল বলে গণ্য হবে (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। তবে সাবালক ছেলে যদি ঐরূপ বিবাহ ক
উত্তর : মসজিদে উক্ত পদ্ধতি চালু করা ঠিক নয়। কারণ কোন ব্যক্তি যদি ছালাত পড়তে থাকে আর জামা‘আতের সময় হয়ে যায় তাহলে সে হাদীছের নির্দেশ মোতাবেক ছালাত ছেড়ে দিয়ে জামা‘আতে শরীক হবে ((মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৮)। এতে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ ছালাতের নেকী পেয়ে যাবে (
উত্তর : ঘটনাটি বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৬/৩৫১ পৃঃ, ১২ হিজরীর বর্ণনা, খালিদ (রাঃ)- কে ইরাক প্রেরণ শীর্ষক আলোচনা দ্রঃ; তারীখে ত্বাবারী ২/৩১৭; তারীখে দেমাশক ৩৭/৩৬৫ প্রভৃতি)। ঘটনাটি খুবই ঈমান বর্ধক এবং তা নিম্নরূপ :
উত্তর : উল্লেখিত বাক্যাংশ দু’টি যথাক্রমে সূরা আলে ইমরান ২ ও বাক্বারাহ ১৬৩নং আয়াতের অংশ। যা নির্দিষ্টভাবে ফজর ছালাতের পর ১০০ বার করে পাঠ করার ব্যাপারে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : এগুলো কুসংস্কার মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং ছফর মাসেও কোন অশুভ নেই। তবে কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন কর যেমন বাঘ হতে পলায়ন কর’। একথা শুনে জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লা
উত্তর : মুসলিম বা অমুসলিম হোই হৌক পাওনাদারকে সাধ্যমত খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য আধুনিক মিডিয়া সমূহ ব্যবহার করতে হবে। ছাহাবী উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) ১০০ স্বর্ণমুদ্রা ভর্তি একটি থলি পেয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে থলির মালিকের সন্ধানের জন্য পরপর
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। কেননা এক কবরে একাধিক ব্যক্তির দাফন হ’তে পারে। তাছাড়া প্রত্যেকের হিসাব পৃথক হবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিই স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে। কেউ কারু বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমরা সবাই তোমাদের প্রতিপালকে
উত্তর : সূরা বাক্বারাহ শেষে ‘আমীন’ বলার পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীন থেকে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে ছাহাবী মু’আয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে মওকূফ সূত্রে একটি বর্ণনা পাওয়া যায় (তাফসীর ইবনে কাছীর, ২৮৬ আয়াত)। এর বর্ণনাকারী আবু ইসহাক্ব ও ছ
উত্তর : এর সমাধান সুরা ফাতিরে ঐ আয়াতের প্রথমাংশে রয়েছে : আল্লাহ তা‘আলা বলেন: إِنَّ اللَّهَ يُسْمِعُ مَنْ يَشَاءُ وَمَا أَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَنْ فِي الْقُبُورِ ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে শ্রবণ করান। কিন্তু তুমি কবরবাসীকে শুনাতে সক্ষম নও (ফাতি
উত্তর : অনুরূপ একটি প্রশ্নের জওয়াবে ইমাম মালেক (রহঃ) প্রশ্নকারীকে জিজ্ঞেস করেন, তাদের কি প্রাণ আছে? প্রশ্নকারী বলেন, আছে। তখন ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, মালাকুল মউত তাদের জান কবয করে। কেননা আল্লাহ বলেন, اللهُ يَتَوَفَّى الْأَنفُسَ حِيْنَ مَوْتِهَ
উত্তর : মুসলিম প্রমাণিত না হ’লে তার জানাযা করা যাবে না। এমন লাশকে বিনা জানাযায় স্বাভাবিকভাবে দাফন করতে হবে। হযরত আলী তাঁর পিতা আবু তালেবকে তার মৃত্যুর পর রাসূল (ছাঃ)-এর হুকুমে এভাবেই দাফন করেছিলেন (আবুদাঊদ হা/৩২১৪)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আঙ্গুলে তাসবীহ গণনার জন্য আদেশ করেছেন। কেননা ক্বিয়ামতের দিন আঙ্গুলগুলো জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা কথা বলবে (আবুদাঊদ হা/১৫০১; তিরমিযী হা/৩৪৮৬, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২৩১৬)। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ডা
উত্তর : সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্তকালে ছালাত শুরু করা সিদ্ধ নয়। অনুরূপভাবে আছরের ছালাতের পর হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এবং ফজরের ছালাতের পর হ’তে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন ছালাত নেই। তবে এ সময় ক্বাযা ছালাত আদায় করা জায়েয আছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশ
উত্তর : পোষাকের জন্য চারটি মূলনীতি রয়েছে। যথা- (১) পোষাক পরিধানের উদ্দেশ্য হবে দেহকে ভালভাবে ঢেকে রাখা, যাতে লজ্জাস্থান সমূহ অন্যের চোখে প্রকট হয়ে না ওঠে (২) ভিতরে-বাইরে তাক্বওয়াশীল হওয়া (৩) অমুসলিমদের সাদৃশ্য না হওয়া (৪) অপচয় ও অহংকার প্রকাশ
উত্তর : মসজিদে প্রবেশ করার সময় ডান পা আগে এবং বের হওয়ার সময় বাম পা আগে দিতে হবে (বায়হাক্বী ২/৪৪২; হাকেম ১/২১৮; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৪৭৮, সনদ হাসান)।
উত্তর : কাতারে দাঁড়িয়ে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য অনুযায়ী পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে যতটুকু ফাঁক রাখার প্রয়োজন হয়, ততটুকু ফাঁক রাখবে (বুখারী হা/৭২৫; আবুদাঊদ হা/৬৬২)। তাছাড়া দুই পায়ের মাঝে জুতা জোড়া রাখা যায় এতটুকু ফাঁকা রাখার কথা হা
উত্তর : উক্ত সময়ে ঋতু শুরু হ’লে ছিয়াম বাতিল হবে এবং পরবর্তীতে তাকে ঐ ছিয়াম পালন করতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ঋতু অবস্থায় আমাদেরকে ছিয়াম ক্বাযা করার এবং ছালাত ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেওয়া হ’ত (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩২, ‘ক্বাযা ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ)। তবে
উত্তর : পরে পড়ে নিতে হবে (মুওয়াত্ত্বা মালেক, সনদ মুরসাল ছহীহ, মিশকাত হা/৬৮৭)। তবে পূর্বের ছালাতের জন্য সে পূর্ণ নেকী পাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৬)। ফজরের সুন্নাত ক্বাযা হ’লে জামা‘আতে ছালাতের পরেই তা পড়া যাবে (আবুদাঊদ হা/১২৬৭; তিরমিয
উত্তর : কুরআনে ১৫ স্থানে সিজদা আছে। সূরা হজ্জে দুই স্থানে সিজদা রয়েছে। ছালাতের সিজদার মত তাকবীর দিয়ে সিজদা করবে এবং দো‘আ পড়ার পর তাকবীর দিয়ে মাথা উঠাবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫৯৩০; বায়হাক্বী ২/৩২৫; সনদ ছহীহ, আলবানী, তামামুল মিন্নাহ পৃঃ ২৬৯
উত্তর : আল্লাহর নামেই কসম করতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৪০৭; আবুদাঊদ হা/৩২৪৭-৫১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম করে সে শিরক করে (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৪১৯)। তবে পবিত্র কুরআনেরও কসম করা যায়। কেননা কু
উত্তর : এ অবস্থায় সালাম ফিরিয়ে ছালাত সমাপ্ত করলে তার ছালাত হয়ে যাবে। কারণ ছালাত থেকে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানো আবশ্যক। আর সালামও যদি না ফিরায় তাহলে তার ছালাত হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ছালাতের তাকবীর বললে সবকিছু হারাম হয়, আর সালাম ফিরা
উত্তর : তাঁদেরকে কোথায় অবতরণ করানো হয়েছিল এ মর্মে কোন স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। প্রচলিত বর্ণনা সমূহের ছহীহ কোন ভিত্তি নেই।
উত্তর : বৈধ কাজে একজন কিংবা প্রতিজন প্রতিযোগীর নিকট থেকে অর্থ নিয়ে তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করায় কোন বাধা নেই। যেমন কোন ইসলামী জ্ঞানের প্রতিযোগিতা (ইবনু ক্বাইয়িম, আল-ফুরুসিয়া ৩১৮ পৃ.; মারদাভী, আল-ইনছাফ ৬/৯১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/১
উত্তর : ফরয ছাদাক্বা বা যাকাতের মাল প্রকাশ্যে দান করা উত্তম। কেননা এতে মানুষের মধ্যে যাকাতদাতার প্রতি সন্দেহ বা কুধারণা দূর হবে। যেমনটি ফরয ছালাত জামাআ‘তে বা প্রকাশ্যে পড়া হয় (নববী, আল-মাজমু‘ ৬/২২৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৬/১১৭)। তবে নফল ছাদ
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায় করা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য ওয়াজিব। কেউ যদি আযান শোনার পরেও ওযর ছাড়া বাড়িতে ছালাত আদায় করে, তাহ’লে সে গুনাহগার হবে। রাসূল (ছাঃ) অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন উম্মে মাকতূমকেও মসজিদে এসে জামা‘আতে ছালাত আদায় করার নির্দ
উত্তর : সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মহিলাদের নাক-কান ফোড়ানো জায়েয। আরবে যে প্রথাগুলো পূর্ব থেকে চলে আসছিল, সেগুলো রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেননি। জাবের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ঈদের ছালাত আদায় করেছি, খুৎবার পূর্বে তিনি বিনা আযান ও ইক্বামতে ছাল
উত্তর : শরী‘আতে নির্ধারিত যাকাত রয়েছে কেবল সাএমা বা চারণভূমিতে বিচরণশীল পশুর জন্য। গৃহপালিত পশুর কোন যাকাত নেই (বুখারী হা/১৪৫৪; তিরমিযী হা/৬২২; ইবনু মাজাহ হা/১৮০৪; নাসাঈ হা/২৪৪৪; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/৩২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/২০৫)। ত
উত্তর : যেকোন হালাল প্রাণীর প্রবহমান রক্ত ব্যতীত দেহের সকল অংশ খাওয়া হালাল (আত-তাজ ওয়াল ইকলীল ১/১২৪)। সেটি গোশত, চামড়া, হাড়, নাড়ি বা গিলা হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলে দাও, আমার নিকট যেসব বিধান অহি করা হয়েছে, সেখানে ভক্ষণকারীর জন্য আমি
উত্তর : কাপড়ের নীচেও নারীদের জন্য চুল এমন উঁচু করে বেণী করা সমীচীন নয়, যা বাইরে থেকে প্রকাশ পায়। কারণ এতে শারঈ পর্দা বিনষ্ট হয়। বেপর্দা নারীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, জাহান্নামবাসী দু’ধরনের লোক এমন আছে যাদের আমি (এখনো) দ
উত্তর : জিনদের ইবাদতের ধরণ মানুষের ইবাদতের মতোই। এ ব্যাপারে কুরআনে বহু আয়াত রয়েছে। তারা খায়, কিন্তু কিভাবে, কোথায় বা কখন খায় তা আমাদের জানানো হয়নি। অনুরূপ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রেও আমাদের মতোই তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আমি জিন ও ই
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ)-এর প্রতি আল্লাহ তা‘আলা ছালাত ও সালাম উভয়টি প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেজন্য নবী (ছাঃ)-এর নামের শেষে ‘ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলতে হয় (আহযাব ৩৩/৫৬)। অন্যদিকে আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে কেবল
উত্তর : বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, দাজ্জালের আবির্ভাবের তিন বছর পূর্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, তখন মানুষ চরমভাবে অন্নকষ্ট ভোগ করবে। প্রথম বছর আল্লাহ তা‘আলা আসমানকে তিন ভাগের এক ভাগ বৃষ্টি আটকে রাখার নির্দেশ দিবেন এবং যমীনকে নির্দেশ দিল
উত্তর : তিন বা চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম তাশাহহুদ ছুটে গেলে সালামের পূর্বে সহো সিজদা দিলেই যথেষ্ট হবে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/২; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯/৩৭৪)। আব্দুল্লাহ বিন বুহায়না (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন র
উত্তর : দাদীর দুধ পান করায় চাচা দুধ ভাই হিসাবে গণ্য হবে। ফলে দুধ ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা হারাম (নিসা ৪/২৩)। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর চাচা হামযাহ (রাঃ) একই মায়ের দুধপান করেছিলেন। সেকারণ হামযার মেয়ের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হ’লে তিনি বলে
উত্তর : স্বামীর চাচা বা মামা তথা চাচা শ্বশুর বা মামা শ্বশুর স্ত্রীর মাহরাম নয়। সেজন্য স্ত্রীকে তাদের থেকে যথাযথভাবে শারঈ পর্দা করতে হবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৫৫০/০৩)। কারণ কুরআনে যে মাহরামদের কথা বলা হয়েছে এরা তাদের মধ্যে নয় (নিসা ৪/২৪)
উত্তর : নারীরা বাড়িতে স্বামীর খেদমতের সাথে গৃহস্থালীর কাজগুলো করলে সে জিহাদের সমপরিমাণ ছওয়াব পাবে বলে ‘হাসান’ পর্যায়ের একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ইবনু আবীদ-দুনিয়া, আন-নাফাকাতু আলাল ইয়াল হা/৫২৮; মেদারাতুন নাস হা/১৭৩; আমালী ইবনু বুশরান হা/১১, সনদ
উত্তর : পুকুরে চাষকৃত মাছের ওশর বা যাকাত দিতে হবে না। কারণ মাছের কোন ওশর বা যাকাত নেই (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/৫৬; ইবনু হাযম, মারাতিবুল ইজমা‘ ১/৩৯; কাসেম বিন সাল্লাম, আল-আমওয়াল ১/৪৩৪)। তবে মাছের চাষ যদি ব্যবসায় পরিণত হয়, তাহ’লে বছর শেষে মূলধন ও লভ্যা
উত্তর : নামের অর্থ খারাপ বা অর্থ বিকৃতির কারণে নাম পরিবর্তন করা জায়েয। এটি কোন কোন সময় মুস্তাহাব। আবার কোন কোন সময় ওয়াজিব হয়ে যায় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৮/২৩৯)। যেমন জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল আব্দুল হাজার (পাথরের দাস)। রাসূল (ছাঃ) তার ন
উত্তর : মোহর হিসাবে প্রদানকৃত গহনা শাশুড়ী ফেরত পাবে না। কারণ এটি ছেলেকে দান করা হয়নি বরং ছেলের স্ত্রীকে মোহর হিসাবে দেওয়া হয়েছে, যা তার অধিকার। তাছাড়া পিতা-মাতার পক্ষ থেকে সন্তানকে দানকৃত বস্ত্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি শর্ত প্রযোজ্য। (১) দান
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কারো হাঁচি হ’লে সে নীরবে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করবে। তবে এর জওয়াব কারো দিতে হবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/৩৪৮)। জনৈক ছাহাবী ছালাতে হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলেন। রাসূল (ছাঃ) তাকে কিছু না বলে যে জওয়াব দিয়েছিল তাকে জওয়াব দিতে
উত্তর : আযানের জওয়াব দেওয়া মুস্তাহাব (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৩০৯; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/১৯৬; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ৩৪০ পৃ.)। এ সময়ে মাইক বাজানো বা বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থেকে আযানের জওয়াব দেওয়া উত্তম (সামারকান্দী, তোহফাতুল ফুকাহা ১/১১৭)। তবে
উত্তর : মসজিদে ছালাত শেষে মুছল্লীদের জন্য মিষ্টি মুখ করা বা খাবারের ব্যবস্থা করা জায়েয। তবে নিয়মিত করা সমীচীন নয়। কারণ এতে মানুষ মসজিদকে খাবারের স্থান মনে করতে পারে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/২, টেপ নম্বর ৩৪৮)। সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) ব
উত্তর : দ্বিতীয় স্বামীর পক্ষ থেকে উক্ত নারীর অন্যত্র বিবাহের ব্যাপারে কোন আপত্তি না থাকাটা তালাকের শামিল। তালাকের নিয়তসহ এরূপ ইঙ্গিতবহ বাক্য উল্লেখ করে তালাক প্রদান করাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। আর যেহেতু প
উত্তর : মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে এদেরকে বিশেষভাবে কিংবা পারিশ্রমিক হিসাবে খাওয়ানো সমীচীন নয়। কারণ যারা উপরোক্ত কাজগুলো করে তারা ছওয়াবের আশায় করে। তবে প্রতিবেশীরা খাওয়াতে পারে (তিরমিযী হা/৯৯৮; ছহীহুল জামে‘ হা/১০১৫; মিশকাত হা/১৭৩৯)। উল্লেখ্য যে
উত্তর : দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করা ছালাতের অন্যতম ফরয রুকন। কেউ তা পরিত্যাগ করলে ছালাত হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। ইমরান বিন হুছাইন (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ছালাত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ
উত্তর : একজন আদর্শ স্ত্রীর কর্তব্য হ’ল স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং তার আনুগত্য করা। জনৈক মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে কথা বলা সম্পন্ন করলে তিনি তাকে বললেন, হে অমুক! তোমার স্বামী আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ আছে। তিনি বললেন, তুমি তার জন্য কেমন? সে
উত্তর : খানাপিনার দাওয়াতে মুমিন ও মুত্তাকীরা অগ্রাধিকার পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে বন্ধু বানাবে না এবং তোমার খাদ্য আল্লাহ্ভীরু লোক ছাড়া যেন অন্য কেউ না খায় (আবুদাঊদ হা/৪৮৩২; মিশকাত হা/৫০১৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩০৩৬)। অত্র হা
উত্তর : আলুর ওশর দিতে হবে না। কেননা শাক-সব্জির উপর যাকাত নেই (ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪১১)। তবে এগুলির বিক্রয়লব্ধ টাকা যদি এক বছর সঞ্চিত থাকে এবং নিছাব পরিমাণ হয়, তাহ’লে শতকরা ২.৫ টাকা বা ৪০ ভাগের ১ ভাগ হিসাবে তার যাকাত দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮
উত্তর : সূরা ইয়াসীন সম্পর্কে উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বা আছার বর্ণিত হয়নি। বরং একজন তাবেঈ থেকে এমন একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যার সনদ ছহীহ নয় (মুহাম্মাদ বিন আমর, আহাদীছুন ওয়া মারবিয়াতুন ফিল মীযান ৪/১১৩, ৭৫ পৃ.)। আর সূরা ওয়াক্বি‘আহ সম্পর্কেও অনুরূপ কিছু বর্ণন
উত্তর : প্রাণী ব্যতীত যেকোন জড়বস্ত্তর ভাস্কর্য নির্মাণ করা যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ) কেবল প্রাণীর ছবি নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। তবে পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী হওয়ায় তা সর্বাধিক সম্মানজনক। একে ভাস্কর্য হিসাবে নির্মাণ করলে এর অবমাননা হ’তে পারে। সেজ
উত্তর : এই ধরনের বাধ্যবাধকতা ইসলামী শরী‘আতে নেই। বরং যে বিবাহে খরচ কম হয়, সে বিবাহকে হাদীছে বরকতপূর্ণ বলা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে বিবাহ সহজে সম্পন্ন হয়, তা-ই উত্তম বিবাহ (আবুদাউদ হা/২১১৭; ছহীহাহ হা/১৮৪২)। যে নারীর বিবাহের মোহর কম, সে বিবাহ
উত্তর : একাধিক স্ত্রীর মাঝে মোহরানায় প্রয়োজনে কম-বেশী হ’তে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৯/২১১)। তবে রাত্রিযাপন, বাসস্থান ও ভরণ-পোষণের ক্ষেত্রে সাধ্যমত ইনছাফ করতে হবে (নিসা ৪/৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/২৬৯; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/১৫১)
উত্তর : প্রত্যেক মানুষের হেফাযত ও আমলনামা সংরক্ষণের জন্য আল্লাহ ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দু’জন ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমলনামা লিপিবদ্ধ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্ত্তত প্রহরী রয়েছ
উত্তর : শর্তসাপেক্ষে বিক্রয় জায়েয। সেক্ষেত্রে ক্রয় করা বা না করা ক্রেতার ইচ্ছাধীন। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, উছায়মীনসহ অনেক বিদ্বান এধরনের শর্তে পণ্য বিক্রয়কে জায়েয বলেছেন (আশ-শারহুল মুমতে‘ ৮/২৩৯; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৬/২)। রাস
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে নসবনামা বা বংশ তালিকা সংরক্ষণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে (তিরমিযী হা/১৯৭৯; মিশকাত হা/৪৯৩৪; ছহীহুত তারগীব হা/২৫২০)। সেকারণ নামের শেষে পিতার নাম যুক্ত করা যায়। ইসলামপূর্ব যুগ থেকেই আরব দেশগুলিতে এর প্রচলন ছিল। তবে ভারত উপমহাদেশসহ
উত্তর : কালো ব্যতীত অন্য যে কোন রঙ চুলে ব্যবহার করা জায়েয। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তা বিজাতীয়দের অনুকরণে না হয় এবং কাফির-মুশরিকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয় (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/১৬৮)। প্রশ্নকারী : ছাকিবুর রহমান, নিউ ট
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সালাম ফিরানোর পরে প্রথমে আস্তাগফিরুল্লাহ তিন বার বলতেন। ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের সালাম ফিরানোর পর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহু বলতেন, তারপর দো‘আ পড়তেন, আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস সালা-ম, তাবারাকতা ই
উত্তর : এটি জায়েয নয় (ইবনু হাজার, ফৎহুল বারী হা/৫৮৯৯-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদিন এক হিজড়াকে নবী (ছাঃ)-এর নিকট আনা হ’ল। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিল। রাসূল (ছাঃ) বললেন, এর এ অবস্থা কেন? বলা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূ
উত্তর : কবর পাকা করা ও সুসজ্জিত করা নিষেধ। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ করেছেন, কবরে চুনকাম করতে, এর উপর লিখতে এবং একে পায়ে পদদলিত করতে (তিরমিযী হা/১০৫২ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৭০৯)। আর এই নির্দেশের কারণে রাসূল (ছাঃ)-এর মূল কবর পাকা কর
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিম বা কাফির-মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে না, তাদের সাথে সদাচরণ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না’ (মুমতাহ
উত্তর : এই ধরনের ব্যবসায় কোন দোষ নেই। পশু কিনে পোষাণী দেওয়া এবং উভয়পক্ষের সন্তুষ্টিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এরূপ চুক্তি করা জায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩০/২২৯; আল-ইখতিয়ারাত ১/৪৮৬)। পোষাণী দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি হ’ল চুক্তির সময় উভয়ের সম্মতিক্রম
উত্তর : নারী-পুরুষ মাথায় মেহেদী দেওয়া অবস্থায় ছালাত আদায় করতে পারবে। কারণ মেহেদী অপবিত্র নয়। তবে ওযূ করার সময় মাথা মাসাহ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ চুল বা দাড়িতে মোটা অবস্থায় মেহেদী দেওয়া থাকলে মাসাহ সম্পন্ন হবে না। আর মাসাহ সম্পন্ন
উত্তর : পিতা যদি তার সকল ছেলে-মেয়েকে অনুরূপ জমি দান করে থাকেন, তাহ’লে সৎ মা বা অন্যদের বাধা প্রদান করা ঠিক হবে না। কিন্তু পিতা যদি শুধু এক ছেলেকেই উক্ত জায়গা দিয়ে থাকেন, তাহ’লে কুরআন-হাদীছের আলোকে অংশ মোতাবেক ওয়ারিছদের মাঝে তা বণ্টন করতে হবে।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক (মুসনাদে বাযযার, সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৬২১; মুসলিম হা/৬১০৭; দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী হা/৬৫৩)। তবে সেটা বারযাখী জীবন, যা মানুষের জ্ঞানের বাইরে। ঐ ছালাত দুনিয়াবী ছালাতের সাথে তুলনীয় নয়।
উত্তর : মিম্বর তিন স্তর বিশিষ্ট হওয়ার বিশেষ কোন তাৎপর্য পাওয়া যায় না। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিন স্তর বিশিষ্ট মিম্বর ব্যবহার করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৪১৪; আওনুল মাবুদ হা/১০৭৬ -এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। মু‘আবিয়া (আঃ)-এর খেলাফত কালে মদীনার গবর্নর মারওয়ান আর
উত্তর : জান্নাতীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর পর জান্নাত ফাঁকা থাকবে। তখন আল্লাহ তা‘আলা এক ধরনের সৃষ্টি দিয়ে জান্নাত পূর্ণ করবেন (মুসলিম হা/২৮৪৮ ‘জান্নাত’ অধ্যায় ১৩ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : প্রজেক্টরের মাধ্যমে মহিলারা বক্তার বক্তব্য দেখতে ও শ্রবণ করতে পারে। ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পুরুষদের নিকট ঈদের খুৎবা প্রদান করার পর মহিলাদের নিকট গমন করেন এবং তাদেরকে ওয়ায-নছীহত করেন ও ছাদাক্বা দিতে বলেন।
উত্তর : অনেক পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি প্রদত্ত হ’ল : (১) আরাফা ময়দানে অবস্থানকালে তারা যোহর ও আছর জমা করেন না। বরং পৃথকভাবে প্রথম ওয়াক্তে পড়েন। যা ছহীহ হাদীছের বিরোধী (২) তারা তারতীব ওয়াজিব বলেন। অর্থাৎ তাদের মতে ১০ তারিখে মিনায় ফিরে কংকর
উত্তর : উক্ত মসজিদ স্থানান্তর করা যাবে। কুফার মসজিদে রক্ষিত বায়তুল মাল চুরি হওয়ার কারণে আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকট একটি পত্র লিখেন। তখন ওমর (রাঃ) মসজিদ অন্যত্র স্থানান্তর করা
উত্তর : মাথায় হাত রেখে দো‘আ পড়ার যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা নিতান্তই দুর্বল (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত, পৃঃ ৪৫১) । শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, উক্ত বর্ণনার সনদে কাছীর নামে একজন রাবী রয়েছে, সে নিতান্ত দুর্বল। ইমাম বুখারী, আবু হাতিম, নাসা
উত্তর : মসজিদের সম্পদ উদ্বৃত্ত থাকলে ঐ ধরনের অন্য কোন মসজিদের কাজে অথবা মুসাফির দুস্থদের সাহাযার্থে ব্যবহার করা যায় (দ্রঃ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ ৩১/২১৩)।
উত্তর : গোল হয়ে বসে যিকর করাকে হালক্বায়ে যিকর বলা হয়। রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর কিছুদিন পর একশ্রেণীর বিদ‘আতী এই পদ্ধতি চালু করে। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে ইবাদতের যে সকল পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, হালক্বায়ে যিকর তার অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং দলবদ্ধভাবে
উত্তর : যদি খৃষ্টান ধর্মের আক্বীদা-বিশ্বাস কচিকাচাদের শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে সে স্কুলে সন্তানদেরকে পড়তে দেয়া যাবে না। আর কোন গোপন উদ্দেশ্য ছাড়াই তারা ফ্রি পড়াবে, এরূপ কথা বিশ্বাস করা যায় না। অতএব এসব স্কুল থেকে মুসলিম সন্তানদের দূ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, সৃষ্টিকর্তার নাফরমানী করে সৃষ্টির আনুগত্য করা যাবে না (শারহুস সুন্নাহ, মিশকাত হা/৩৬৯৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫২০)। অতএব সন্তান আল্লাহর আনুগত্য করলে পিতা-মাতা তাতে অসন্তুষ্ট হ’লেও কোন সমস্যা নেই। এজন্য সন্তান গুনাহ্গার হবে ন
উত্তর : মেয়ের কোন দোষ না থাকলে সে তার স্বামীকে জানিয়ে তার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করবে। যদি সে সমাধান করতে ব্যর্থ হয় এবং তার পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা সম্ভব না হয় তাহলে সমাধানের লক্ষ্যে তার অভিভাবককে জানাতে পারবে এবং এর জন্য বিচার প্রার্থী হতে
উত্তর : এসবের ওশর দিতে হবে না। কেননা যমীন থেকে উৎপাদিত যে সব খাদ্য-শস্য স্বাভাবিকভাবে এক বছর পর্যন্ত থাকে না বরং তার আগেই পচন দেখা দেয়, সেগুলোর ওশর নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৩৪-৩৬)। তবে এগুলির বিক্রয় লব্ধ টাকা যদি এক বছর সঞ্চিত থাকে এবং নিছাব পর
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ফেরাউন আসিয়া (রাঃ)-এর দুই হাত ও দুই পায়ে শক্ত পেরেক পুঁতে রাখত। যখন তার লোকেরা চলে যেত ফেরেশতারা তাকে ছায়া করত। আসিয়া (রাঃ) বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার নিকটে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করুন
উত্তর : উক্ত ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায় না। তবে ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ৩জন শিশু সন্তান মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় কথা বলেছেন। (১) ঈসা (আঃ) (২) জুরায়েজকে অপবাদ প্রদানকারী মহিলার ব্যভিচারের সন্তান (বুখারী হা/৩৪৩৬)। (৩) আছহাবুল উখদূদ
উত্তর : যেকোন মুসলিম আহলে ক্বিবলার জানাযা পড়তে হবে (ইবনু মাজাহ ‘আহলে ক্বিবলার জানাযা পড়া’ অনুচ্ছেদ)। আত্মহত্যাকারীর জানাযা রাসূল (ছাঃ) পড়েননি (মুসলিম হা/৯৭৮, পৃঃ ৩০)। অতএব মসজিদের ইমাম বা বুযর্গ আলেম তার জানাযায় শরীক হবেন না। অন্যেরা ছালাত পড়াবেন (না
উত্তর : কুরআনের সূরা ও আয়াত সমূহের বিন্যাস আল্লাহর হুকুমে জিবরীলের নির্দেশনায় রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক সম্পন্ন হয়েছে। এটি তাওক্বীফী অর্থাৎ অপরিবর্তনীয় বিষয় সমূহের অন্তর্ভুক্ত। এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর ইজমা রয়েছে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর র
উত্তর : ইসলাম গ্রহণের নিয়তে শুধু কালেমা শাহাদাত পাঠ করলে মুসলিম হয়ে যাবে। অর্থাৎ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ পাঠ করবে। কালেমা শাহাদাত পাঠের পূর্বে কিছু করার নেই। তবে ইয়ামামাহর নেতা ছুমামাহ্ ইবনু আছাল
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে অনেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন মক্কা হ’তে মদীনায় আগমন করেন, তখন আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ) তার বাড়ী রাসূল (ছাঃ)-কে অবস্থান করার জন্য দিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার বাড়িতে প্রায় ৭/৮ মাস ছিল
উত্তর : মি‘রাজের ঘটনা শোনামাত্র সত্য বলে মেনে নেওয়ায় আবুবকর (রাঃ) ছিদ্দীক্ব উপাধিতে ভূষিত হন (হাকেম, বায়হাক্বী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৬)।
উত্তর : উক্ত বিবরণটি মিথ্যা ও বানাওয়াট। ইমাম কুরতুবী ইবনে আরাবীর বরাত দিয়ে এটাকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন (কুরতুবী ১৫/১৬৭ পৃঃ, সূরা ছোয়াদ ২১নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ; নবীদের কাহিনী ২/১৩৬)।
উত্তর : উভয় পক্ষ পরস্পরে জানাশোনা ও বিশ্বস্ত হ’লে মেয়ের অভিভাবকের উপস্থিতিতে দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষীর সামনে মোবাইলের মাধ্যমে ছেলে সম্মতি প্রকাশ করলে বিবাহ সিদ্ধ হবে (আবুদাউদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩১৩০; ইরওয়াউল গালীল ৬/২৪০)। কারণ বিবাহের রুকন হ’ল&
উত্তর : ফল খাওয়ার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত ফলদার গাছের ফল ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৮৩৯)। কারণ এতে ধোঁকায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি সম্পদের মালিকানা অর্জনের পূর্বেই তা বিক্রি করার আওতাভুক্ত। পাতা কেনা বা মুকুল কেনা
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ ঋণের বিনিময়ে মুনাফা অর্জন করা সূদের অন্তর্ভুক্ত। যদিও সেটা উভয়ের সম্মতিক্রমে হয়। সেখান থেকে কিছু টাকা ছেড়ে দিলে ‘হালাল’ হবে বলে যে কথা সমাজে চালু আছে সেটিও হীলা বা অপকৌশল মাত্র। কেবলমাত্র টাকা ফেরত পা
উত্তর : কোন ব্যক্তির আমল যদি ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক না হয়, তাহ’লে তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না। ‘সেটাকে সুন্দর আমল মনে করলেও ঐব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (কাহফ ১০৩-৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কেউ যদি এমন কোন আমল করে, যার নির্
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। তবে কোন মুসলিম ব্যক্তি শুক্রবারে মারা গেলে সে কবরের ফিৎনা হ’তে বেঁচে যাবে মর্মে ছহীহ দলীল রয়েছে (আহমাদ, তিরমিযী হা/১০৯৫, সনদ হাসান; মিশকাত হা/১৩৬৭, ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ)। এখানে ‘ফিৎনা’ বলতে সওয়াল-জওয়াব
উত্তর : ১৪টি স্থানে আল্লাহ কুরআনকে ‘হাদীছ’ বলেছেন। যেমন নিসা ৭৮ ও ৮৭, আ‘রাফ ১৮৫, ইউসুফ ১১১, কাহফ ৬, ত্বোয়া-হা ৯, যুমার ২৩, জাছিয়াহ ৬, তূর ৩৪, নাজম ৫৯, ওয়াক্বি‘আহ ৮১, ক্বলম ৪৪, মুরসালাত ৫০ ও গাশিয়াহ ১ (দ্রঃ থিসিস পৃঃ ৩৬)।
উত্তর : আগে পিতার অছিয়ত পালন করবে, তারপর সম্পদ বণ্টন করবে। আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে অছিয়ত বাস্তবায়ন ও কর্য পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন (নিসা ১১-১২)।
উত্তর : পরিচিত বা অপরিচিত যেকোন জারজ সন্তান পালন করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যভিচারিণী গামেদী মহিলার জারজ সন্তানকে জনৈক ছাহাবীর হাতে দিয়ে তাকে লালন-পালনের জন্য আদেশ করেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৬২)। কারণ জারজ হওয়ার জন্য সন্তান দায়ী নয়। অতএব তা
উত্তর : সেখানে রাসূল (ছাঃ)-কে দেখানো হবে বলে কোন প্রমাণ নেই। বরং রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে তার ধারণা ও আক্বীদা কি, প্রশ্নের মাধ্যমে সেটাই যাচাই করা হবে (মির‘আতুল মাফাতীহ হা/১৩১-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে তাহিইয়াতুল মসজিদ দু’রাক‘আত ব্যতীত নির্ধারিত কোন রাক‘আত সংখ্যা নেই। খুৎবার আগ পর্যন্ত যত রাক‘আত সম্ভব দুই দুই রাক‘আত করে পড়বে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮২)। খুৎবা শুরুর আগে বা পরে মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাক‘আত তাহিইয়াতুল
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত হবে না। মসজিদ স্থানান্তর করতে হবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কবরের দিকে মুখ করে ছালাত আদায় কর না এবং কবরের উপর ছালাত আদায় কর না (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০১৬)। তবে কবরস্থানের জন্য পৃথক প্রাচীর দিয়ে
উত্তর : যার ক্ষতি করা হয়, সে ক্ষতিকারীর অনুরূপ ক্ষতি করতে পারে (বাক্বারাহ ১৯৪)। তবে ক্ষতি না করে ক্ষমা করে দিয়ে ভাল আচরণ করাই উত্তম (হামীম সাজদাহ ৩৪)। এমনি এক প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তুমি ফিৎনা কালে আদমের উত্তম পুত্রের ন্যায় (হাবী
উত্তর : আত্মহত্যাকারীর জানাযা করা যায়। তবে বুযর্গ আলেম ও মসজিদের ইমাম অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না (যাদুল মা‘আদ ১/৪৯৬)। কারণ এমন ব্যক্তির জানাযা নবী করীম (ছাঃ) নিজে পড়েননি। অন্যকে পড়তে বলেছেন (আবুদাঊদ হা/৩১৮৭; তিরমিযী হা/১০৬৮)।
উত্তর : যাবে না। কেননা এরূপ মৃতের আমল রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ থেকে প্রমাণিত নয়। তবে মৃতের জন্য দো‘আ করা এবং ছাদাক্বা করা যাবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৫০; ফিকহুস সুন্নাহ ১/৩৯০)। উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তির নামে দেশে প্রচলিত কুলখানী, চেহলা
উত্তর : (১) আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়নায় মুখ দেখতেন তখন বলতেন, اللهم كَمَاَحَسَّنْتَ خَلْقِى فَحَسِّنْ خُلُقِى ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে যেমন সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন, তেমনি আমার চরিত্রকেও সুন্দর করুন’ (ইরওয়াউল গালীল হা/৭৪)।উল্লেখ
উত্তর : কোন বিধর্মী লোক সালাম দিলে উত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকা’ (وَعَلَيْكَ) অথবা ‘ওয়া আলাইকুম’ (وَعَلَيْكُمْ) বলবে (বুখারী, মিশকাত হা/৪৬৩৬-৩৭)।
উত্তর : ঈদের ছালাতের আগে ফিৎরা বণ্টন করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং পরে বণ্টনের প্রমাণ পাওয়া যায় (বুখারী, মিশকাত হা/২১২৩)। তবে ঈদের ছালাতের পূর্বে দায়িত্বশীলের কাছে ফিৎরা জমা করা ওয়াজিব (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮১৫)। উল্লেখ্য যে, অনেকে হাদীছ
উত্তর : অনুবাদ : ‘আপনি কি দেখেননি আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়ে থাকেন? পবিত্র বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষের মত, যার মূল সুদৃঢ় ও শাখা-প্রশাখা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত’ (ইবরাহীম ২৪)।অত্র আয়াতে বর্ণিত كَلِمَةً طَيِّبَةً অর্থ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘লা ইলা-হা ইল্
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এভাবে ফাতেহা পাঠের কোন দলীল নেই (আলবানী, তালখীছু আহকামিল জানায়েয ৮২ পৃঃ)। সুতরাং এটি নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। যা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যার ব্যাপারে আমার কোন নির্
উত্তর : উপার্জন হালাল হ’লে তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অমুসলিমদের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে ‘হাদিয়া’ গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৫-১৮ ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)। কিন্তু ঈমান না থাকার কারণে তারা আখেরাতে কোন প
উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি সঠিক নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, ভূ-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংসশীল এবং অবশিষ্ট থাকবে শুধু আপনার প্রতিপালকের মুখমন্ডল যিনি মহিমাময়, মহানুভব (রাহমান ২৭)। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন, আল্লাহর মুখমন্ডল ব্যতীত সবকিছু ধ্বংসশীল
উত্তর : যে সকল প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সেগুলোর পেশাব-পায়খানা নাপাক নয়। সুতরাং কাপড়ে এ সব প্রাণীর মলমূত্র লাগলেও তা পরিধান করে ছালাত আদায় করা বৈধ। আনাস (রাঃ) বলেন, উরায়না গোত্রের কিছু নওমুসলিম মদীনায় অবস্থানকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূল (ছাঃ) তা
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায়ের সুন্নাতী তরীকা হল, ইমাম আগে ও মুক্তাদী পিছনে দাঁড়াবে। জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি একদিন রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ডান পার্শ্বে দাঁড়িয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করছিলাম। পরবর্তীতে জাবের বিন সাখার এসে বাম পার্শ্বে দা
উত্তর : সুলায়মান (আঃ)-এর রাজত্বকালে বেঈমান জিনেরা লোকদের ধোঁকা দিত এই বলে যে, সুলায়মান জাদুর জোরে সবকিছু করেন। তিনি কোন নবী নন। শয়তানদের ভেল্কিবাজিতে বহু লোক বিভ্রান্ত হচ্ছিল। এমনকি শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সময়েও যখন তিনি সুলায়মান (আঃ)-এর প্
উত্তর : মদ পানকারীর ৪০ দিনের ছালাত কবুল হয় না-এমনটি নয়। বরং তার ছালাত ত্রুটিযুক্ত হয় (بُخِسَتْ صَلاَتُهُ) (আবুদাঊদ হা/৩৬৮০)। প্রশ্নে উল্লেখিত সব বস্ত্তই মাদক দ্রব্য এবং তা অপবিত্র বস্ত্ত (الخَبَائِث) হিসাবে হারামের অন্তর্ভুক্ত
উত্তর : উক্ত তিনটি বস্ত্ত সর্বদা সাথে রাখা সুন্নাত, এ কথার কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে এগুলি অত্যন্ত তাকীদকৃত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। যেমন (১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অতি প্রিয় বস্ত্ত সমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল ‘আতর’ (আহমাদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৫২৬১ ‘রিক্
উত্তর : চাকুরী থেকে অবসরকালীন প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকে জমা রেখে, তা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার পর সেই টাকা দিয়ে হজ্জ বা অন্যান্য ইবাদত বৈধ হবে না। কারণ তা সূদের অন্তর্ভুক্ত। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, পণ্য বা অর্থের বিনিময়ে প্রদেয় অতিরিক্ত পণ্য ব
উত্তর : সাধারণ নিয়ম হ’ল- মুছল্লী যোহর ও আছরের ছালাতে ইমাম-মুক্তাদী সকলে সূরায়ে ফাতিহাসহ অন্য সূরা পড়বে এবং ৩য় ও ৪র্থ রাক‘আতে কেবল সূরায়ে ফাতিহা পড়বে। আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরায়ে ফাত
উত্তর : বর্ণিত নিয়মের কোন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। বরং ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই হাদীছ সম্মত। কারণ হাদীছে এসেছে, যদি মুছল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত যে, এটা তার জন্য কত বড় অপরাধ, তাহ’লে সে অতিক্রম করার চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকাকে উত্তম
উত্তর : বিতর ছালাতের কুনূত হিসাবে ‘আল্লা-হুম্মাহ্দিনী ফীমা হাদায়তা...’ মর্মে বর্ণিত ছহীহ দো‘আটি পড়তে হবে (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১২৭৩)। ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা ওয়া নাস্তাগফিরুকা...’ দো‘আটি কুনূতে নাযেলায় পড়ার ব্যাপারে এসেছে (বায়হাক্বী ২/২
উত্তর : ছালাতের ওয়াক্ত সমূহ নিম্নরূপ : (১) ফজর : ‘ছুবহে ছাদিক হতে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বদা গালাস বা ফজরের অন্ধকারে ফজরের ছালাত আদায় করতেন এবং জীবনে একবার মাত্র ইসফার বা চারদিক ফর্সা হওয়ার সময়ে ফজরের ছালাত আদায় করেছেন।
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে ছালাত তরক করে, ‘এমন মুসলমানরা কর্মগত কাফির হলেও বিশ্বাসগত কাফির নয়। বরং খাল
উত্তর : সরকারী আবহাওয়া অধিদপ্তরের সময়সূচীতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তা বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেই প্রদান করা হয়। তাই উক্ত সময়সূচীই ধর্তব্য এবং সে মোতাবেকই সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : জেহরী-সের্রী সকল ছালাতে সর্বাবস্থায় ইমাম-মুক্তাদী উভয়কেই সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) মুক্তাদীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা উহা চুপে চুপে পড়। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি, সূরা ফাতিহা আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে
উত্তর : বর্তমান মুসলিম সমাজে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক গ্রহণের রীতি মূলতঃ হিন্দুয়ানী রীতির অনুকরণ মাত্র। কেননা হিন্দু উত্তরাধিকার নীতিতে কন্যা সন্তান পিতা-মাতার সম্পত্তির অংশ পায় না। তাই বিয়ের সময় মেয়েকে সাধ্যমত সবকিছু দিয়ে দেয়। যা যৌতুক নামে পর
উত্তর : শরী‘আতের যেকোন আমল কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মোতাবেক হওয়া আবশ্যক, কোন ইমাম বা মাযহাবের রায় অনুসারে নয়। তবে স্মর্তব্য যে, কুরআন-হাদীছের খুঁটিনাটি বিষয় বুঝা সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। এ জন্য বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের সহযোগিতা গ্রহণ করতেই হবে’ (নাহল
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ছাঃ) শিরকী কথার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা, মাদুলী ঝুলানো এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা তৈরীর জন্য কোন মাধ্যম অবলম্বন করা শিরক বলেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৩০; আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩)। তবে চিকিৎসা হিসাবে
উত্তর : আল্লাহ, ছালাত ও ছিয়াম ইত্যাদি আরবী নাম। যা বিশেষ ইসলামী পরিভাষা। কাজেই এ নামগুলি অনুবাদ ছাড়াই স্ব স্ব নামে ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া অন্য ভাষায় এ নামসমূহের যথার্থ অনুবাদ সম্ভব নয়। ফার্সীভাষীরাও মূল আরবী নাম বলবে।
উত্তর : আল্লাহ রাববুল আলামীন সৃষ্টিজগতের প্রতিটি সৃষ্টির মাঝেই সমাজবদ্ধ জীবনের সহজাত প্রবণতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আর পবিত্র কুরআনেও তিনি মুসলিম উম্মাহকে হাবলুল্লাহর মূলে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন (আলে ইমরান ১০৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বল
উত্তর : উক্ত দাবী তার অজ্ঞতার পরিচায়ক মাত্র। কেননা ছহীহ বুখারী ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর কোন ব্যক্তিগত মতামতের সংকলন নয় বরং তা হ’ল ছহীহ হাদীছের সংকলন। আর ইমাম আবু হানীফার ফিক্বহ হ’ল তাঁর ব্যক্তিগত রায় এবং তা সনদবিহীন, যা অনেক পরে তাঁর নামে সংকলিত
উত্তর : হাদীছের বর্ণনামতে, মুসলমানরাই ৭৩ দলে বিভক্ত হবে (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ হা/৩৯৯২)। যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ما أنا عليه اليوم وأصحابي ‘আজকের দিনে আমি ও আমার ছাহাবীগণ যে নীতির উপরে আছি, তার অনুসারী দল (হাক
উত্তর : বিবাহের জন্য নবী করীম (ছাঃ) যে সামর্থ্যের কথা বলেছেন, সেটা মূলতঃ মোহর ও ভরণ-পোষণের সামর্থ্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০; মিরক্বাত ৬/১৮৬)। আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যা পূরণ করা আবশ্যক (বুখারী, মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/৯৮৯)। সুতরাং
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারে না। তবে স্ত্রী যেকোন সময়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবার অধিকার রাখে। যাকে শরী‘আতে ‘খোলা’ বলে। এ সময় স্ত্রী তার মোহরানা স্বামীকে ফেরৎ দিবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছাবেত ইবনু ক্বায়েস
উত্তর : বাচ্চা প্রসবের পর রক্তস্রাব চালু থাকে, ততদিন মিলন বৈধ নয়। কারণ রক্তস্রাবকালীন সময়কে আল্লাহ অপবিত্র বলেছেন (বাক্বারাহ ২/২২২)। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে মহিলারা সন্তান প্রসবের পর ৪০ দিন বা ৪০ রাত ইবাদত হ’তে বিরত থাক
উত্তর : এ বিষয়ে কোন দলীল নেই (মির‘আত ৪/২৯৯ পৃঃ ‘কুনূত’ অনুচ্ছেদ; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৪১ পৃঃ)।
উত্তর : বিদ‘আতকে ভাগ করার কোন অবকাশ নেই। সব বিদ‘আতের পরিণতি জাহান্নাম। জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় সবচেয়ে সত্য বাণী হচ্ছে আল্লাহর বাণী। আর সবচেয়ে উত্তম আদর্শ হচ্ছে রাসূল (ছাঃ)-এর আদর্শ। আমল সমূহের নিকৃষ্ট আমল হচ্ছে শরী‘আতে নব
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ মুছাফাহা এক হাতে করার বিষয়টি একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) কারো সাক্ষাতে মুছাফাহার করার পর নিজের হাতটি আগে সরাতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি নিজের হাত না সরাতো (ফাৎহুল
উত্তর : মৃত্যুর পরে তার রূহ যেখানে থাকবে সেখানেই প্রশ্নোত্তর হবে। সেখানেই সে আযাব অথবা শান্তি পাবে। সেটি মাটির কবরে হ’তে পারে কিংবা অন্যত্র, যা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর এখতিয়ারে। এটি ঈমান বিল গায়েবের অন্তর্ভুক্ত। যে জগতের খবরাখবর ইহজগতে কোনভাবে অ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বানাওয়াট।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, আবুল ফযল আল-মাক্বদেসী, ৩৯ পৃঃ, হা/৪০)। তবে মসজিদে দুনিয়াবী বাজে কথা বলা যাবে না। কেননা ওমর (রাঃ) মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে দুনিয়াবী অযথা আলোচনায় ব্যস্ত দু’জন ব্যক্তিকে বললেন তোমরা বাইরের লোক
উত্তর : পূর্বের মাসগুলোতে নির্দিষ্ট যে কয়দিন মাসিক হয়েছে সেই কয়দিন মাসিক বলে গণ্য হবে। তার অতিরিক্ত দিনগুলো অসুখ বা ‘মুস্তাহাযা’ বলে গণ্য হবে। সুতরাং নির্ধারিত মাসিকের পরের দিনগুলোতে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করতে পারবে। প্রকাশ থাকে যে, রক্তের রং হয়
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে বসা নিয়ে মুহাদ্দিছগণের মধ্যে দুই ধরনের মত দেখা যায়। ছহীহ বুখারীতে উল্লেখিত جلس في الركعة الآخرة (হা/৮২৮) এবং ছহীহ ইবনু হিববানে উল্লেখিত التي تكون خاتمة الصلاة (হা/১৮৭৬, ৫/১৯৬ পৃঃ)- বাক্যদ্বয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইমাম শাফেঈ
উত্তর : সুস্থিরভাবে বসে মাটিতে ভর দিয়ে উঠতে হবে। মালেক বিন হুওয়াইরিছ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলু্ল্লাহ (ছাঃ)-কে এভাবে ছালাত আদায় করতে দেখেছেন যে, তিনি ছালাতের মধ্যে যখন বেজোড় রাক‘আতে পৌঁছতেন, তখন সিজদা থেকে উঠে সুস্থিরভাবে না বসে দাঁড়াতেন না (বুখ
উত্তর : ওযরের কারণে বন্দী জীবনে জুম‘আর ছালাত ওয়াজিব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা শোনো ও আনুগত্য কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। তবে যদি লকআপে জুম‘আর ছালাত আদায় করা সম্ভব হয় এবং জেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা না থাকে, তবে খুৎবা প্রদানের
উত্তর : শুধু পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করলেই পবিত্রতা অর্জিত হবে। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন পায়খানায় প্রবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করতেন, তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানি ভর্তি পাত্র এবং একটা বর্শা নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। আর কোন আমল ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত না হ’লে তা বিদ‘আত হবে। যার পরিণাম জাহান্নাম (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১; নাসাঈ হা/১৫৭৮)।
উত্তর : মাহে রামাযানের সম্মানার্থে জান্নাতের দরজা খোলা হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়। উক্ত হাদীছ সম্পর্কে ক্বাযী ইয়ায বলেন, এর অর্থ হল: যেসব আমলের মাধ্যমে জান্নাত অর্জিত হয় আল্লাহ রামাযান মাসে সেসব আমলের পথ আরো বেশী উন্মুক্ত করে দেন এব
উত্তর : দো‘আ কুনূত পড়তে ভুলে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে না। কারণ সহো সিজদা কেবল ছালাতের কোন ওয়াজিব হুকুম ছাড়া পড়লে দিতে হয় (মির‘আত ৩/৩৯৩ পৃঃ; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ নং-১১০৭১ ৭/১২৬০ পৃঃ)। আর বিতর ছালাতে দো‘আ কুনূত পড়া মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয় (মির‘আত ৪/২৮৩ পৃ
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং দুই শ্রেণীর মানুষ তাঁর শাফা‘আত লাভ করতে সক্ষম হবে না মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। অত্যাচারী শাসক এবং খিয়ানতকারী ব্যক্তি (ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৯৮)।
উত্তর : মানুষ সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবীতে জিন জাতির বসবাস ছিল (হিজ্র ২৭)। তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল (বাক্বারাহ ৩০)। শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে (আ‘রাফ ১২) এবং তারা হ’ল জিন জাতির অন্তর্ভুক্ত (কাহফ ৫০)। আর জিন জাতি আগুন দ্বারা সৃষ্ট (রহমান
উত্তর : উক্ত ব্যাখ্যা সঠিক নয়। কারণ এখানে ‘নূর’ দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন শিরকের অন্ধকার হতে মানুষকে তাওহীদের আলোর পথে বের করে আনে। এখানে ‘কিতাবুল মুবীন’ (كتابٌ مبينٌ)‘নূর’ (نُوْرٌ)-এর উপর عطف بيان হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ ব
উত্তর : কোন তারতম্য নেই। কুরআন দেখে পড়া হোক বা মুখস্থ পড়া হোক প্রতি হরফে দশটি করে নেকী হবে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। উল্লেখ্য, আমার উম্মতের সর্বোত্তম আমল হল কুরআন দেখে পড়া মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (যঈফুল জামে‘ হা/১০৪৮ ও ৩৯৮০)
উত্তর : ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রচার করার লক্ষ্যে যেকোন মাহফিল বা ইজতেমার আয়োজন করা ও সেখানে যোগদান করা যায়। কিন্তু যদি ইসলামের নামে জাল, যঈফ ও বানোয়াট হাদীছের এবং ভিত্তিহীন ফাযায়েল ও কেচ্ছা-কাহিনী শোনার দাওয়াত দেয়া হয়, বিদ‘আতী আক্বী
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে সূরা ইখলাছ একবার পড়লে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান ছওয়াব হবে মর্মে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৫০১৩; মিশকাত হা/২১২৭)। এছাড়া যে ব্যক্তি দশবার সূরা ইখলাছ পাঠ করবে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত
উত্তর : সুন্নাতী পোষাক কোনটি তা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। কারণ সবদেশের আবহাওয়া ও পোষাক এক হওয়ার কথা নয়। তবে ইসলাম পোষাকের যে মূলনীতির কথা বলেছে লম্বা জামা ও টুপি সেই মূলনীতির মধ্যে পড়ে যায়। তাছাড়া মাথা ঢাকা বা টুপি পরা বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য (বুখ
উত্তর : ক্বিবলার দিকে পা রেখে ঘুমানোতে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কিবলাকে সামনে রেখে কিংবা পেছনে রেখে টয়লেটের বাইরে খোলা স্থানে পেশাব-পায়খানা করতে নিষেধ করা হয়েছে (বুখারী হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৩৩৪-৩৫)।
উত্তর : সরকারের গত মার্চ ’১১-তে প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতিমালা শরী‘আতের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। নারী অধিকার সংরক্ষণের নামে উক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও এর দ্বারা নারীদেরকে আরো হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের ‘নারী নির্যাত
উত্তর : এরূপ অবস্থায় সহো সিজদা দেওয়ার ব্যাপারে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি।
উত্তর : এরূপ মহিলাগণের প্রতি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর লা‘নত বর্ষিত হবে (বুখারী ২/হা/৫৬৯৮)।
উত্তর : সাধারণভাবে বললে দোষ নেই। হিন্দুরা যে উদ্দেশ্যে পশ্চিমকে পাশ্চাত্য বা পাশ্চাত্য জগত বলে সে উদ্দেশ্যে কোন মুসলমান তা বলতে পারে না। বললে তাদেরই দলের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে (আহমাদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭)।
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাতকে বিতর নামে অভিহিত করা হয়েছে। অতএব যেখানে ৯ রাক‘আত বিতর বলা হয়েছে সেখানে তার অর্থ বিতর সহ তাহাজ্জুদ ছালাত (তিরমিযী ১/৪৫৭ পৃঃ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৩/৪৪৭ পৃঃ)।
উত্তর : যখন থেকে সাবালক হয়, তখন থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং তার পাপ লিপিবদ্ধ হয় (তিরমিযী ১/২৫২ পৃঃ)।
উত্তর : আল্লাহ ছাড়া যা কিছু আছে সবই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। প্রকৃতিও আললাহ সৃষ্টি করেছেন। কাজেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সাগর, নদী, পাহাড়, পর্বত, খনিজ সম্পদ ইত্যাদিকে প্রকৃতির সৃষ্টি বললে শিরকের পাপ হবে, যা ক্ষমার অযোগ্য।
উত্তর : কদরের রাত্রি রামাযানের কোন রাত্রিতে হবে সে বিষয়ে নবী করীম (ছাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছের ভাষা এই- اِلْتَمِسُوْهَا فِى الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ فِىْ كُلِّ وِتْرٍ অর্থাৎ ‘তোমরা রামাযানের শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোড় রাত্রিতে কদর-এর রাত্রি তা
উত্তর : আল্লাহর নিকট সন্তান চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দো‘আ হ’ল হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর দো‘আটি ‘রবিব হাব্লী মিনাছ ছলেহীন’ (ছাফফাত ১০০)। যে মহিলার সন্তান হবে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না কথাটি ভিত্তিহীন। মা আয়েশা (রাঃ)-এর কোন সন্তান হয়নি, তাই বলে কি তিনি
উত্তর : হাদীছটি ছহীহ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০২৪০; ছহীহুল জামে‘ হা/২২৩৪)।
উত্তর : এক সাথে ৩ তালাক প্রদান করলে এক তালাকে রাজ‘ঈ বলে গণ্য হবে। ইদ্দতের মধ্যে স্বামী তাকে ফেরত নিতে পারবে। আর ইদ্দত পার হয়ে গেলে নতুন বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীকে গ্রহণ করতে পারবে। যেহেতু এক সাথে প্রদত্ত তিন তালাক এক তালাক বলে গণ্য, সেহেতু অন্য
উত্তর : ফিৎরার মাল দু’একদিন পূর্বে সরদারের নিকট জমা করার বিধান রয়েছে (বুখারী ১/১৫১১)। অনুরূপভাবে যাকাতের মাল ইসলামী আমীরের নিকট জমা করার বিধান আছে (তওবাহ ১০৩; বুখারী, মুসলিম, আবূদাঊদ, তিরমিযী প্রভৃতি হাদীছ গ্রন্থের যাকাত অধ্যায় দ্রষ্টব্য)। সু
উত্তর : প্রশ্নোল্লেখিত খুৎবাটি সরাসরি এরূপ পদ্ধতিতে কোন হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে বিভিন্ন হাদীছের শব্দের সমন্বয়ে তা গঠিত যা আল-মু‘জামুল আওসাত্ব প্রণেতা তাঁর ২য় খন্ডের শুরুতে খুৎবা হিসাবে উল্লেখ করেছেন (ত্বারাবাণী, আওসাত্ব ২য় খন্ড)।
উত্তর : এগুলি শরীআ‘তসম্মত নয়। এতে মৃত ব্যক্তির কোন উপকার হয় না। মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতাই বিদ‘আত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ মাত্র। রাসূল (ছাঃ) বিজাতীয় রীতি-নীতির অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; তিরমিযী, ম
উত্তর : জুম‘আতুল বিদা‘ বলতে রামাযানের শেষ বা বিদায়ী জুম‘আকে বুঝানো হয়ে থাকে। জুম‘আতুল বিদা‘র বিশেষ কোন ফযীলত নেই। একটি ‘জাল’ হাদীছে এসেছে, যে ব্যক্তি রামাযানের শেষ জুম‘আর দিনে এবং রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয ছালাত আদায় করবে, তা তার পুরা বছরের ছালাতে
উত্তর : ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) চল্লিশ হাযার মাসআলা লিখেছেন এরূপ কথার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। পাঁচটি কিতাবকে ইমাম আবূ হানীফা (রাঃ)-এর কিতাব হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। সেগুলো হচ্ছে (১) হাম্মাদ ইবনু আবী হানীফার বর্ণনায় ‘আল-ফিক্বহুল আকবার’ (২) আ
উত্তর : ইসলাম ধর্ম মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এমন কোন বিষয় নেই যার সমাধান দেয়নি। রসূল (ছাঃ) ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার রাজধানী ছিল মদীনা। একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য যত ধরনের রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতির প্রয়োজন তার সব কিছুই কুরআ
উত্তর : ভারতে আর সঊদী আরবের ছহীহ বুখারীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কোন অমিল আছে বলেও আমাদের জানা নেই। কোন যুগেই কেউ নিত্যনতুন হাদীছ তৈরি করে গোপন রাখতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সেটা প্রকাশ করে দিবেন। কেননা আল্লাহ নিজেই তাঁর
উত্তর : পাঁচটি নয় কোন ব্যক্তি ইসলামের কোন একটি রুকনকে অস্বীকার করলে সে আর মুসলিম থাকে না। আর অমুসলিম ব্যক্তি কাফের এবং সে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে। কাফের, মুশরিক বা মুনাফিকদের জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। অব্যাহতভাবে তারা জাহান
উত্তর : সংসার ও সমাজের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়ে কাফনের কাপড় সাথে নিয়ে কমপক্ষে ছয় মাসের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বিগত দিনে আমাদের দেশের যেসব প্রবীণ ব্যক্তি হজ্জ করে ফিরে আসতেন এবং সকল অন্যায় ও অসামাজিক কাজ-কর্ম হ’তে দূরে থেকে দ্বীনী কাজে নিজেকে লিপ্ত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ ও মুনকার (ইবনু আবী হাতিম, ইলালুল হাদীছ ১/২৪৯; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৭১; মিশকাত হা/১৯৬৫)। এর সনদে আলী ইবনু যায়েদ ইবনে জুদ‘আন নামে একজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী আছে (বুগইয়াতুল বাহেছ ১/৪১২)।
উত্তর : মৃত্যু এবং যে কোন বিপদাপদের জন্য ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন’ পাঠ করবে (বাক্বারাহ ১৫৬; ছহীহ্ মুসলিম হা/২১৬৫, ২১৬৬)। কবরে মৃত ব্যক্তির নাম বা এপিটাফ ঝুলিয়ে রাখা শরী‘আত সম্মত নয় (তিরমিযী হা/১০৫২)।
উত্তর : আল্লাহর নির্দেশেই রাসূল (ছাঃ) সন্ধিতে সম্মত হয়েছিলেন। এটা বাতিলের সাথে আপোষ নয়; বরং রক্তক্ষয় এড়ানোর জন্য শত্রুদের সাথে সাময়িক চুক্তি ছিল। এর ফলে মক্কার কাফিররা মুসলিমদেরকে একটি শক্তি হিসাবে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। শর্তসাপেক্ষ এই সন্ধি
উত্তর : জীব-জন্তুর ভাষা বুঝা সুলায়মান (আঃ)-এর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি মু‘জেযা ছিল (নামল ১৬-২৩)। অন্য নবীর মু‘জেযা আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এরও থাকতে হবে বিষয়টি এরূপ নয়। ঈসা (আঃ) আল্লাহর ইঙ্গিতে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেছেন (আলে ইমরান ৪৯)। এ
উত্তর : মসজিদকে বিশেষ কোন ব্যক্তি, গোত্র, স্থান বা বৈশিষ্ট্যগত নামে নামকরণ করা জায়েয রয়েছে। রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে ‘মসজিদে বনী যুরায়েক্ব’ নামে মসজিদ ছিল (বুখারী হা/৪২০)। এছাড়া মসজিদুল আক্বছা, মসজিদুল হারাম নামদ্বয় পবিত্র কুরআনে এসেছে। সুতরাং পরি
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামী শরী‘আতের আলোকে রচিত নয়। এতে ইসলামবিরোধী বহু ধারা রয়েছে। ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা’-যে বাক্যটি সংবিধানে ছিল তা দেশের সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে আকৃষ্ট করার জন্য নামকাওয়াস্তে তৎকালীন সরকার যুক্ত করেছ
উত্তর : এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন বা হাদীছ থেকে কিছু জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক ও মুফাসসিরগণ বিচ্ছিন্ন সনদে উল্লেখ করেছেন যে, যুলায়খার স্বামী ক্বিৎফীরের মৃত্যুর পর এবং সে তওবাহ করার পর ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে তার বিয়ে হয়েছিল এবং দু’টি ছেলে সন্তান হয়েছিল
উত্তর : তাঁরা সকলেই তৎকালীন সময়ের সর্বাপেক্ষা শরী‘আত অভিজ্ঞ, জ্ঞানী এবং উচ্চ মর্যাদার অধিকারী তাবেঈ ছিলেন। তারা হ’লেন (১) উরওয়া ইবনুয যুবায়ের (২২-৯৩ হিঃ) (২) সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (১৫-৯৪ হিঃ) (৩) কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবুবকর (মৃঃ ১০৭ হিঃ)
উত্তর : এসব চেইন কোন ঔষধ নয়। রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে এসব চেইনের উপর নির্ভর করা তাবীয-কবজের অন্তর্ভুক্ত, যাকে রাসূল (ছাঃ) শিরক হিসাবে ঘোষণা করেছেন (হাকেম, আহমাদ হা/১৭৪৫৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি (রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে) কিছু ঝুলিয়ে রাখল, তাকে তার
উত্তর : ছিয়াম পালনে অক্ষম ব্যক্তির ফিদইয়া মিসকীনগণকে দেয়ার কথাই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন (বাক্বারাহ ১৮৪)। বর্তমানে অনেক মাদরাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং ইয়াতীমখানা রয়েছে। সেখানে দরিদ্র, সহায়সম্বলহীন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ফিদইয়ার অর্থ দেয়া যেতে পারে। যদি নাকি
উত্তর : মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলার উপর হজ্জ ফরয নয়। মহিলার সঙ্গে তার স্বামী বা কোন মাহরাম না থাকলে তার হজ্জ বৈধ হবে না (বুখারী হা/১০৮৮)।
উত্তর : যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং ছওয়াবের আশায় রামাযানের ছিয়াম পালন করবে এবং তারাবীহর ছালাত আদায় করবে, তার আগের ও পিছনের পাপ ক্ষমা করা হবে (বুখারী হা/১৯০১), এ পর্যন্ত ছহীহ হাদীছের অংশ। প্রশ্নের শেষ অংশটুকু ত্বাবারাণীতে এসেছে, তবে তা জাল (সিলসিলা
উত্তর : এ বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা তারাবীহ এবং তাহাজ্জুদ উভয়টি রাত্রিকালীন নফল ছালাত। পরবর্তীতে রামাযান মাসে রাত্রিকালীন এ নফল ছালাতের নামকরণ হয়েছে তারাবীহ। সুতরাং তারাবীহ, ক্বিয়ামে রামাযান, ছালাতুল লায়েল ও ছালাতুত তাহাজ্জুদ সব একই ছালাতের নাম
উত্তর : নিম্নোক্ত কারণে ছিয়াম ভঙ্গ হয়- ১. স্ত্রী সহবাসে ২. ইচ্ছাকৃতভাবে খেলে ৩. ইচ্ছাকৃতভাবে পান করলে ৪. ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত ঘটালে ৫. এমন জিনিস ব্যবহার করা যাতে আর পানাহারের প্রয়োজন থাকে না ৬. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে ৭. হায়েয বা নিফাস শুরু হ’লে।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বদা ‘গালাস’ বা ভোরের অন্ধকারে ফজরের ছালাত আদায় করতেন। মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর এই অভ্যাস ছিল (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় সংস্করণ ৪৩ পৃঃ)। আর সেটি ছিল স্বাভাবিক অন্ধকার। এক্ষণে উক্ত সুন্নাতী আমলের ফযীলত হাছিলের জন্য মসজিদে
উত্তর : না। এ ধরনের কর্মকান্ড নিঃসন্দেহে শিরক। এরূপ কাজ যারা করে তাদেরকে বলা হয় মাজূস বা অগ্নিপূজক। তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে তারা স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে। কেননা আল্লাহ শিরক কারীকে ক্ষমা করবেন না (নিসা ৪৮, ১১৬)।
উত্তর : মৃত লাশ বহনের জন্য খাটিয়া মসজিদে রাখার পিছনে কোন রহস্য নেই। সংরক্ষণের সুবিধার জন্য এমনটি করা হ’তে পারে। তবে লাশ ঢাকার কাপড়ে আল্লাহ, মুহাম্মাদ, সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত, ত্বোয়াহা ৫৫ আয়াত, আয়াতুল কুরসী ইত্যাদি লেখা কোন হাদীছ দ্বারা প্রমাণ
উত্তর : একমাত্র আল্লাহর জন্য ইবাদত খালেছ হওয়ার শর্ত হ’ল দু’টি : (ক) রিয়া মুক্ত হওয়া। অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহকে রাযী-খুশী করার উদ্দেশ্যে ইবাদত করা। (খ) রাসূল (ছাঃ)-এর তরীকায় সম্পাদিত হওয়া (কাহফ ১১০)।
উত্তর : কথাটি সঠিক। শুধু তাই নয়, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেগানা নারীর দিকে কুদৃষ্টি দেয়া বা তার কথা শ্রবণ করা এবং যে কোন প্রকারে তার প্রতি কুচিন্তা নিয়ে অগ্রসর হওয়া-সবই যেনার পাপের অংশ হিসাবে গণ্য হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৮৬)। তাই এই পাপ থেকে
উত্তর : এসবের অধিকাংশ অনৈসলামী সংস্কৃতির অনুকরণ। তাই এসব আচার ও প্রথা সাধ্যপক্ষে এড়িয়ে চলাই মুমিনের কর্তব্য। কেননা এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই শিরক, বিদ‘আত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাব থাকে। আর যে কোন বিদ‘আতী প্রথা সর্বক্ষেত্রেই পরিত্যাজ্য (বুখারী, ম
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) চুলে কালো কলপ লাগাতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২৪)। যারা এটা করে তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (আবুদাউদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৫২)। কেননা এতে মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয়। তাই উপরোল্লেখিত ক্ষেত্রেও কালো খিযাব ল
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর ছায়া ছিল ছিল না- এই আক্বীদা পোষণ করে পথভ্রষ্ট কিছু লোক। তারা কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট কথাকে হাদীছ বলে চালিয়ে দিয়ে বলে যে, রাসূল (ছাঃ) ছিলেন নূরের তৈরী। আর নূরের কোন ছায়া থাকে না। অথচ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন
উত্তর : মসজিদে মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সালাম দেয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থাতেও কেউ সালাম দিলে আঙ্গুলের ইশারায় তার জবাব দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৯১; মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১০১৩)। তাছাড়া খালি মসজিদে প্রবেশকালেও সালাম দেওয়া যাবে। যেমন কোন মুসলমানে
উত্তর : এ মর্মে হাদীছে বিশেষ কোন দো‘আ বর্ণিত হয়নি। তবে এজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে দো‘আ কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়গুলিতে যেমন রাতের শেষাংশ, সিজদার সময় বা আযান ও ইক্বামতের মধ্যবর্তী সময়ে বিভিন্ন দো‘আ পাঠ করা যায়। যেমন কুরআনে বর্ণিত দো‘আ ربنا هب لن
উত্তর : ‘মুক্বীম’ অবস্থায় ৭ ভাগে কুরবানী করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। তাই একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই যথেষ্ট। তবে সামর্থ্য থাকলে একাধিক পশুও কুরবানী করতে পারবে। ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজ হাত দ্বারা দু’টি শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী
উত্তর : খোলা অর্থ বিচ্ছেদ। এটি তালাক নয়। তাই খোলার মাধ্যমে যতবারই বিচ্ছেদ হোক না কেন স্ত্রী পুনরায় স্বামীর কাছে ফিরে আসতে পারে। তবে এজন্য নতুনভাবে বিবাহ ও মোহর নির্ধারণ করতে হবে। কেননা খোলার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় (বাক্বারা ২২৯)। আর খোলা
উত্তর : উক্ত বর্ণনায় কয়েকজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী আছে। নাহশাল ইবনু সাঈদ নামক ব্যক্তি একজন সুপরিচিত মিথ্যুক। মানছূর ইবনু জা‘ফর ও হাসান ইবনু হারূণ নামেও দুই জন অপরিচিত রাবী আছে (বিস্তারিত দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৬২৭৩; মিশকাত হা/৪৯৪৪)। তবে মনে রাখতে হবে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) আরবী ভাষায় খুৎবা দিতেন এমনটি নয়; বরং তিনি মাতৃভাষায় খুৎবা দিতেন। আর তাঁর মাতৃভাষা ছিল আরবী। শ্রোতারাও যেহেতু আরবীভাষী ছিলেন, তাই তিনি মাতৃভাষা আরবীতে খুৎবা দিতেন। যেমন অন্যান্য নবীগণ দিতেন। কারণ আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাসূ
উত্তর : শরী‘আত যাকে হারাম করেছে, তার দ্বারা ব্যবসা করাও হারাম (আবুদাঊদ হা/৩৪৮৮)। জেনে বুঝে জাল ও যঈফ হাদীছ ভিত্তিক বক্তব্য প্রচার করা এবং এসব বই বিক্রি করা অবৈধ। ‘এর দ্বারা যত লোক অজ্ঞতা বশে পথভ্রষ্ট হবে, তত লোকের পাপের বোঝা ঐ ব্যক্তিকে বহন করত
উত্তর : পীর ধরা এবং মুরীদ হওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয কাজ। এটি না ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে, না ছিল ছাহাবী, তাবেঈ ও তাবে তাবেঈদের যুগে। পরবর্তীকালে কিছু লোক অমুসলিমদের অনুকরণে নিজেরা পীর সেজে মূর্খ লোকদের মুরীদ বানিয়ে বিনা পুঁজির ব্যবসা করছে। যদিও তা
উত্তর : উক্ত কথা বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন ।
উত্তর : উক্ত কাজ সঠিক হয়নি। কেননা কন্যার সংখ্যা যত বেশীই হৌক না কেন, তারা দুই তৃতীয়াংশের বেশী পাবে না। আর স্ত্রী পাবেন দু’আনা। বাকী অংশ আছাবাহ সূত্রে অন্যেরা পাবেন। দ্বিতীয়তঃ মৃত্যুর পূর্বে সম্পত্তি বণ্টন করা বৈধ নয়। কারণ ওয়ারিছরা মালিকের মৃত
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। এ ধরনের আকীদা রাখা শিরক। এ থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। আগুন, ম্যাচ বা লোহা কারো উপকার বা ক্ষতি করা করার ক্ষমতা রাখে না। জিন ভূতের আছর হতে রক্ষা পাওয়ার শারঈ পন্থা হল, দৈনন্দিন সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব, নাস,
উত্তর : যে কোন ক্ষতিকর জন্তুকে হত্যা করা বৈধ। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) পাঁচ ধরনের জন্তুকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৯৮)। ক্ষতিকর প্রাণীকে যেকোন পন্থায় মেরে ফেলা যেতে পারে। তবে আগুন দিয়ে পোড়ানো যাবে ন
উত্তর : পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে পূর্বের সমস্ত আসমানী কিতাব রহিত হয়ে গেছে। তাই তা এখন পড়া যাবে না। একদা ওমর (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে তাওরাত পড়তে লাগলে তিনি অত্যন্ত রেগে যান এবং বলেন, তোমরা কি বিভ্রান্ত হবে, যেভাবে ইহুদী-নাছারারা ব
উত্তর : বর্তমান নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ নেতা নির্বাচন করা জ্ঞানী-গুণী মানুষের কাজ। প্রচলিত নির্বাচনের নিয়ম বিধর্মীদের দেয়া উপহার। আর এটা অবৈধ হওয়ার অন্যতম কারণ হল, এতে একজন সর্বোচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি আর একজন অশিক্ষিত মূর্খ
উত্তর : বক্তব্যটি মিথ্যা ও বানাওয়াট ।
উত্তর : উক্ত বিবাহ শরী‘আত সম্মত নয়। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ওলী বা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ বৈধ নয় (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। অন্যত্র বলেন, যে মহিলা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করে, সে বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল (আহমাদ, তিরমিযী ও আবুদা
উত্তর : এরূপ কথা বলা অজ্ঞতার পরিচায়ক। কারণ যারা হাদীছ সংকলন করে গেছেন তারাই ছহীহ, যঈফ বা জাল ইত্যাদি উল্লেখ করেছেন এবং এর কারণ চিহৃিত করেছেন। আর এ বিষয়ে শত শত গ্রন্থও রচিত হয়েছে। তাছাড়া একশ্রেণীর মানুষ রাসূল (ছাঃ)-এর নামে যে নতুন হাদীছ তৈরি ক
উত্তর : আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করাকে শিরক বলা হয়। সেটা একক স্রষ্টার মর্যাদার সাথে হোক, তাঁর গুণাবলী ও তাঁর ইবাদত সমূহের সাথে হোক। এমনটিা মনে করা যে আল্লাহ ছাড়া অন্যরাও আহারদাতা, জীবন ও মৃত্যর মালিক, ধনদৌলত, সন্তানাদী, উপকার অপকারের ক্ষম
উত্তর : অন্য মসজিদের চেয়ে জুম‘আ মসজিদে ছালাত আদায় করলে পাঁচশত ছালাত আদায়ের ছওয়াব পাওয়া যাবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/১৪১৩; মিশকাত হা/৭৫২)। সুতরাং মসজিদ ছোট হোক আর বড় হোক একটির উপর অপরটির কোন প্রাধান্য নেই মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী ও ম
উত্তর : মসজিদের ছাদের উপর ধান, গম, কাপড় ইত্যাদি শুকানো মসজিদের আদবের খেলাফ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয় মসজিদ সমূহ আল্লাহর ইবাদত সম্পাদনের জন্য ... (জিন ১৮)। দুনিয়াবী কাজে বা ব্যক্তি স্বার্থে মসজিদকে ব্যবহার করা ঠিক নয়।
উত্তর : প্রশ্নে বুঝা যাচ্ছে যে আলবানী (রহঃ)-এর গ্রন্থগুলো সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই। এমনকি অন্যান্য হাদীছগ্রন্থ সম্পর্কেও ধারণা নেই। কেননা শায়খ আলবানীর হাযার বছর পূর্বে জাল ও যঈফ হাদীছের বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। বর্ণনাকারীদের মধ্যে কারা নির্ভর
উত্তর : ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) ৮০ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। সে সময় চারজন কনিষ্ঠ ছাহাবী জীবিত ছিলেন: বছরায় আনাস ইবনু মালেক, কূফায় আব্দুল্লাহ্ ইবনু আবী আওফা, মদীনায় সাহ্ল ইবনু সা‘দ সা‘য়েদী আর মক্কায় আবুত তবফাইল আমের ইবনু অয়েলা। আবু হানীফা (রহঃ) ত
উত্তর : উক্ত কথা ঠিক নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত বিভিন্ন রকমের ছিল না। সমাজে যঈফ ও জাল হাদীছ ভিত্তিক ছালাত চালু থাকার কারণে এই ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। যেমন পুরুষের নাভির নিচে হাত বাঁধা আর মহিলাদের বুকে হাত বাঁধা, রাফউল ইয়াদাইন না করা, ইমামের পিছনে স
উত্তর : কোর্ট বা সালিশের মাধ্যমে স্ত্রী স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারে। যাকে শরী‘আতে ‘খোলা’ বলা হয়। মিলমিশ না হলে উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করা উচিত (নিসা ৩৫)। তবে কোন কারণ ছাড়াই যদি কেউ স্বামীর কাছে তালাক চায়, তাহলে সে জান্নাতের
উত্তর : মাদুলী হচ্ছে তাবীয। আর যেকোন ধরনের তাবীয ব্যবহার করা শিরক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল (আহমাদ হা/১৬৯৬৯, সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২; তিরমিযী হা/২০৭২, সনদ হাসান)।
উত্তর : মুহাম্মাদ (ছাঃ) প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের সংবিধান ছিল কেবলমাত্র আল্লাহর অহী (আন‘আম ৫০)। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ। এ অহী ভিত্তিক সংবিধান দ্বারাই তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। এর প্রথম বাক্য হচ্ছে, পড়ুন আপনার প্রভুর নামে যিনি আপনাকে
উত্তর : সূরা ফাতিহা পাঠ করে ইমামের ক্বিরাআত শুনবে। কারণ সূরা ফাতিহা পাঠ ছাড়া ছালাত হবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২)।
উত্তর : আত-তাহরীকের উক্ত বক্তব্যই সঠিক। কারণ চলমান বাজার মূল্যের চেয়ে কেউ যদি বেশী নেয় তাহ’লে যুলুম হবে। তবে বাকীতে ক্রয়ের সময় বাজার দরের চেয়ে কম-বেশী করা যায়, যদি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের সম্মতিতে নগদ ও বাকী মূল্য স্পষ্টভাবে নির্ধারিত হয়। আর যদ
উত্তর : শারী‘আতের উৎস হিসাবে কুরআন এবং ছহীহ হাদীছ উভয়টিই আল্লাহর অহী (&নাজম ৩-৪)। তাই উভয়টি দ্বারা উভয়টিকে আল্লাহ তা‘আলা রহিত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি যখন কোন আয়াত রহিত করে দেই বা তা ভুলিয়ে দেই, তখন তার জায়গায় তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিংবা
উত্তর : মা‘রেফতী আক্বীদা বলতে শরী‘আতে ভিন্ন কোন আক্বীদা নেই। যারা ইসলামকে শরী‘আত, মা‘রেফত, তরীকত, হাকীকত ইত্যাদি বলে ভাগ করেছে তারা মনগড়া দ্বীনের তাবেদারী করে। অথচ আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন শুধু ইসলাম (আলে ইমরান ১৯)। মাযার ও কবরপূজা বড়
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : শরী‘আতে চুরি নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৩৮)। তাছাড়া ঘুষ একটি জঘন্য অপরাধ। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ যেকোন কাজ করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। চোরাচালানীর মাধ্যমে দেশের
উত্তর : প্রতিটি পরিবারের জন্য পৃথক পৃথক কুরবানী দেওয়াই ছহীহ হাদীছ সম্মত। বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, হে জনগণ! নিশ্চয় প্রত্যেক পরিবারের উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানী’ (তিরমিযী, আবুদাঊদ,
উত্তর : কারো নামে নামকরণের শর্তে মসজিদ তৈরি করা জায়েয নয়। তবে তার মৃত্যুর পরে যদি মুছল্লীরা নামকরণ করে তবে জায়েয আছে। কোন গোত্র বা ব্যক্তির নামে মসজিদের নামকরণ করা যায়। যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (আল মু‘জামুল মুফাহাররাস লি আলফাযিল হাদীছ ২য় খ
উত্তর : বিবাহ করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। মানব বংশ রক্ষার জন্য এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি চিরন্তন ব্যবস্থা। এটি নবীগণের সুন্নাত। বিবাহ করার জন্য পবিত্র কুরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন (নিসা ৩; নূর ৩২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদ
উত্তর : মাহরাম ছাড়া কোন মহিলার উপর হজ্জ ফরয নয়। যদি কোন মহিলার সঙ্গে মাহরাম না যায় তাহ’লে তার উপর হজ্জ বা সফর বৈধ নয় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১৩, ১৫ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)।
উত্তর : এটা শরী‘আত সম্মত নয়। বংশবৃদ্ধির উদ্দেশ্য থাকলে অন্যত্র বিয়ে করবে।
উত্তর : মাটির নীচে ঢালাই দিয়ে কবর ঢেকে দিতে হবে। উপরে দেওয়াল দিয়ে উঁচু করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) কবর উঁচু করতে, পাকা করতে, তার উপর সৌধ নির্মাণ করতে ও বসতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৬-৯৭)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সন্তানাদির মধ্যে ইবরাহীম ছাড়া বাকী ছয় সন্তান খাদীজা (রাঃ)-এর গর্ভে জন্মলাভ করেন। তিন পুত্রের কেউ জীবিত ছিলেন না। তবে চার কন্যার সকলেই জীবিত ছিলেন। তাঁদের নাম হ’ল যথাক্রমে- যয়নব, রোক্বাইয়া, উম্মে কুলছূম এবং ফাতেমা
উত্তর : যে ব্যক্তি জান্নাতী হবে সেই আল্লাহর দর্শন লাভ করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জান্নাতীগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন, তোমরা কি আরো কিছু চাও, যা আমি তোমাদেরকে অতিরিক্ত প্রদান করব? তারা বলবে, আপনি ক
উত্তর : যখনই নিফাস বন্ধ হবে, তখন থেকেই ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ নিফাসের সর্বনিম্ন কোন সীমা নেই। আর নিফাসের সর্বোচ্চ সীমা হ’ল চল্লিশ দিন (আবু দাঊদ হা/৩১১)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক সন্তানই ফিতরাতের (ইসলাম) উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদী বা খৃষ্টান কিংবা অগ্নিপূজক বানায়’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশ
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমদের ধন-সম্পদ গ্রাস করে, নিশ্চয়ই তারা স্বীয় উদরে অগ্নি ব্যতীত কিছুই ভক্ষণ করে না এবং তারা সত্বর জাহান্নামে প্রবেশ করবে’ (নিসা ১০)। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিধবা ও মিসক
উত্তর : ঘটনাটি ত্বাবারাণী ও হিলইয়াতে বর্ণিত হয়েছে (ত্ববারাণী কাবীর হা/২০৭৪০; হিলইয়াতুল আউলিয়া ২/৬৭; হাকেম হা/৬৯১২)। হাদীছটি যঈফ। কারণ এর সনদে আব্দুল মালেক ইবনু হুসাইন আবূ মালেক নাখঈ নামে একজন নিতান্ত দুর্বল রাবী আছেন। মুহাদ্দিছগণ সকলেই এব্যাপারে
উত্তর : ইসলামে এ ধরনের কোন দিবস পালনের বিধান নেই। এগুলো বিজাতীয় রীতি হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু হয়েছে। আর যেগুলো ইসলাম সমর্থন করে না সেগুলোতে অংশগ্রহণ করা ও সহযোগিতা করা যাবে না (মায়েদাহ ৩)।
উত্তর : ওশর হচ্ছে ফসলের যাকাত। অতএব ফসল যদি নিছাব পরিমাণ হয়, তাহ’লে ওশর বের করতে হবে। (আন‘আম ১৪১; তিরমিযী হা/৬২৬)। ওশর আদায় করে বাকী টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যাবে। তবে উক্ত ধান বা গম উৎপাদন বাবদ যদি ঋণ হয়ে থাকে, তাহ’লে আগে ঋণ পরিশোধ করে নিছাব পরিম
উত্তর : মাযার কেন্দ্রিক কোন মসজিদেই ছালাত আদায় করা যাবে না। অনুরূপ মসজিদের জমিতে কবর হ’লে সেখানেও ছালাত হবে না। সুতরাং মাযার বা কবর আগের হ’লে সেখান থেকে মাসজিদ দূরে সরাতে হবে। আর মসজিদ আগে থেকে নির্মিত হয়ে থাকলে, কবর স্থানান্তর করতে হবে। কারণ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। পূর্বে হজ্জ করা থাকলে যে কোন ব্যক্তি অন্যের জন্য বদলী হজ্জ করতে পারবেন, তিন প্রকার হজ্জের যেটিই হোক না কেন (আবুদাঊদ হা/১৮১১)।
উত্তর : বাংলাদেশী হাজীরা ক্বছর ও জমা না করে ভুল করেন। অথচ সফর অবস্থায় ছালাত ক্বছর ও জমা করাই সুন্নাত। তারা অবজ্ঞা করে সুন্নাতকে প্রত্যাখ্যান করেন (আবুদাঊদ হা/১৯২৬; ছহীহ নাসাঈ হা/১৪৩৩; তিরমিযী হা/৫৫৩)। তবে মুক্বীম ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করলে পূর্
উত্তর : নিম্নের আয়াত পাঠ করবে-رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ ‘রববানাগফিরলী ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়া লিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকূমুল হিসাব’ (ইবরাহীম ৪১)। অনুরূপভাবে নিম্নের আয়াতাংশও পড়া যাবে- &n
উত্তর : যদি রোগীর নিকট হ’তে অতিরিক্ত অর্থ নেয়া না হয় এবং এ কারণে রোগীর কোন ক্ষতি না হয়, তাহ’লে পারিশ্রমিক হিসাবে কমিশন নেওয়া যেতে পারে। তবে কোন প্রকার ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হ’লে পারিশ্রমিক হারাম হবে (মুসলিম হা/২৯৪; মিশকাত হা/৩৫২০)।
উত্তর : সরকারের উক্ত আইন শরী‘আত পরিপন্থী। অভিভাবক তার সুবিধা অনুযায়ী মেয়ের বিবাহ দিতে পারে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে ৬/৭ বছর বয়সে বিবাহ করেছিলেন এবং নয় বছর বয়সে সংসার শুরু করেছিলেন (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪৯৩৩)। উল্লেখ্য যে, সরকারের শ
উত্তর : এ দায়িত্ব ইমামের। ইমাম বলার পরেও যদি মুছল্লীরা কাতার সোজা না করে তাহ’লে মুক্তাদীরাই দায়ী হবে। রাসূল (ছাঃ) কাতার সোজা করার নির্দেশ প্রদান করতেন, এমনকি কাঁধ ধরেও সোজা করে দিতেন (নাসাঈ হা/৮১২, ৮১৩; তিরমিযী হা/২২৭)।
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের দিকেই আহবান করতে হবে এবং এর মাধ্যমেই যাবতীয় সমাধান সম্ভব। ‘আছছালাতু খায়রুম মিনান্নাউম’ বলার হাদীছটি ছহীহ। শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছকে ছহীহ বলেছেন (আবুদাঊদ হা/৫০০, ৫০১, ৫০৪; নাসাঈ
উত্তর : মসজিদের উপর ইয়াতীমখানা ও মাদ্রাসা তৈরি করা যাবে। তবে মাদ্রাসা এবং ইয়াতীমখানার জন্য যেমন যাকাতের টাকা ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু মসজিদের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা বৈধ নয়। অতএব উভয়ের ফান্ড পৃথক রাখতে হবে।
উত্তর : কিভাবে তারা জন্ম গ্রহণ করে, কিভাবে মৃত্যু বরণ করে, কি কর্ম করে, কি ধরনের পোষাক পরে এগুলো সম্পর্কে কোন তথ্যই কুরআন-হাদীছে পাওয়া যায় না। তবে যেহেতু রাসূল (ছাঃ)-কে জিন জাতির জন্যও প্রেরণ করা হয়েছে। অতএব তারাও কবর দেয়ার ইসলামী রীতি অবশ্যই
উত্তর : প্রথমতঃ কবরের উপর মসজিদ বানানো হয়নি। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ)-কে মসজিদে কবর দেয়া হয়নি। তাঁকে আয়েশা (রাঃ)-এর ঘরে দাফন করা হয়েছিল (ছহীহ তিরমিযী হা/১০১৮)। তৃতীয়তঃ মসজিদে নববীতে কবরস্থান নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর কবর পাকা করাও নেই। বুঝতে এবং দেখ
উত্তর : না। কেননা রাসূল (ছাঃ) কিংবা ছাহাবীদের থেকে এরূপ বলার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে ছালাতের বাইরে শুনলে পড়তে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৯২১)।
উত্তর : এটি বাংলা ভাষার একটি বাগধারা। এটা বলা যাবে না। এটা উক্ত পবিত্র বাক্য নিয়ে ব্যঙ্গ করার শামিল। তবে এর পরিবর্তে গোড়ায় গলদ বা শুরুতেই ভুল এমনটি বলা যেতে পারে।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আরাফার ময়দানের সকল স্থানই হাজীগণের অবস্থানস্থল (মুসলিম, মিশকাত হা/২৫৯৩)। অতএব আরাফার যেকোন স্থান হ’তে ক্বিবলামুখী হয়ে দো‘আ করতে হবে। এক্ষেত্রে জাবালে রহমতকে ক্বিবলার দিকে রাখা শর্ত নয় এবং তা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ
উত্তর : অসৎ কাজ করতে থাকলে সর্বদা নছীহত করতে হবে এবং তার হেদায়াতের জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করতে হবে। তবে নরম ভাষায় তাকে উপদেশ দিতে হবে। কারণ আল্লাহ্ হেদায়াত না করলে যবরদস্তি করে কাউকে হেদায়াত করা সম্ভব নয় (বাক্বারাহ্ ২৭২; ক্বাছাছ ৫৬)। এছাড়া তার
উত্তর : কবরস্থানের জমি মসজিদ বানানোর জন্য নেয়া ঠিক নয়। এছাড়া মসজিদ সম্প্রসারণের প্রয়োজন পড়লে সমস্যা হ’তে পারে। আবার কবর কেন্দ্রিক বিদ‘আতও চালু হয়ে যেতে পারে। অতএব কবরস্থানের জমি মসজিদ বানানোর জন্য বদল করে নেয়া যাবে না।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ- মারইয়াম বিনতে ইমরান, খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতেমা বিনতে মুহাম্মাদ ও ফেরাঊনের স্ত্রী আসিয়া (তিরমিযী হা/৩৮৭৮; ঐ, মিশকাত হা/৬১৮১)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, উক্ত চারজন হ’লেন জান্নাতী মহি
উত্তর : উক্ত মর্মে ছহীহ কোন দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : হাদীছে আযান ও ইক্বামত উভয়কে আযান বলা হয়েছে। সেকারণ মুওয়াযযিন যা বলবে, মুক্তাদীও তাই বলবে। অতএব ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’-এর বক্তব্য সঠিক।
উত্তর : উক্ত কাজ শরী‘আত সম্মত নয়। ইমামকে সম্মানী দেওয়া যাবে। তবে তাকে দেওয়ার জন্য অর্থ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। তাছাড়া ঈদগাহের উন্নয়ন ও ইসলামী দাওয়াতী কাজে সহযোগিতা করার জন্য দান করবে।
উত্তর : উক্ত পানীয়গুলোর মধ্যে যদি কোন হারাম বস্ত্ত মিশ্রিত থাকে তাহ’লে তা হারাম, নইলে নয়। মহানবী (ছাঃ) বলেছেন, যে বস্ত্তর বেশীতে মাদকতা আসে, তার অল্পটাও হারাম (আবূদাউদ হা/৩৬৮২)।
উত্তর : আছর ছালাতের পর কারণ বিশিষ্ট ছালাত সমূহ পড়া যায়। যেমন জানাযা, সূর্য গ্রহণের ছালাত, তাহিইয়াতুল ওযূ, তাহিইয়াতুল মাসজিদসহ যেকোন কারণ বিশিষ্ট ছালাত (ছালাতুর রাসূল পৃঃ ৪৫)।
উত্তর : উক্ত ঘটনা ভিত্তিহীন, বানোয়াট।
উত্তর : কারণ এগুলি ওয়াজিব তরক হওয়ার বিষয় নয় (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল পৃঃ ১২৮)।
উত্তর : প্রসিদ্ধ কিতাব ৪ খানা। তওরাত, যবূর, ইনজীল ও কুরআন। এছাড়া ইবরাহীম (আঃ) ও অন্যান্য কতিপয় নবীর উপরও ছহীফাহসমূহ অবতীর্ণ হয়েছে (আ‘লা ১৯)। কিন্তু সেগুলির বিষয়ে কিছু জানা যায় না।
উত্তর : মাইল ও দিন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং সফরের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর থেকে ছালাত জমা ও ক্বছর করা যাবে। যতদিন পুনরায় বাড়ীতে ফিরে না আসবে। রাসূল (ছাঃ) সফরে বের হওয়ার পর থেকে ফেরা পর্যন্ত ছালাত ক্বছর ও জমা ক
উত্তর : খেলা-ধুলা মানুষের জন্মগত স্বভাব। এর উদ্দেশ্য সাময়িক শরীর চর্চা। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বয়স ভেদে মানুষের শরীর চর্চার ধরনের পরিবর্তন হয়। কিন্তু সাময়িক শরীর চর্চার বদলে যদি তা কেবল সময়ের অপচয় হয়, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়, যদি ঐ ব
উত্তর : ছালাত আদায়ের সময় উক্ত অঙ্গগুলো খোলা রাখলে তাদের ছালাত শুদ্ধ হবে না (আবূদাঊদ, বুলুগুল মারাম হা/২০৭)। কেননা ‘মহিলাদের সর্বাঙ্গ সতরের অন্তর্ভুক্ত, চেহারা ও দুই হস্ততালু ব্যতীত’ (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ৩৮)।
উত্তর : উক্ত বাক্য বললে শিরক হবে না। বাক্যটি কালেমায়ে শাহাদাতের প্রচলিত মূল অংশ। তবে উক্ত বাক্যসহ আল্লাহ, মুহাম্মাদ শব্দ মসজিদের মেহরাবের উপর লেখা যাবে না। এছাড়া কোন আয়াত ও দো‘আও লেখা ঠিক নয়। এগুলো বাড়াবাড়ি মাত্র। আল্লাহ মুহাম্মাদ লিখলে অর্থ
উত্তর : এ বিষয়ে সঊদী আরবের সাবেক প্রধান মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘কিছু সংখ্যক লোক হজ্জের পর অধিক সংখ্যক উমরাহ করার আগ্রহে ‘তানঈম’ বা জি‘ইর্রানাহ নামক স্থানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসেন। শরী‘আতে এর কোনই প্রমাণ নেই’ (দলীলুল হাজ্জ ওয়
উত্তর : জীবিত ব্যক্তির ওপর শরী‘আতের বিধি-বিধান প্রযোজ্য, মৃত ব্যক্তির ওপর নয়। অতএব তার পক্ষ থেকে কোন ছিয়ামও পালন করা লাগবে না এবং ফিদইয়াও প্রদান করতে হবে না। তবে তার অছিয়ত বা মানত থাকলে তার বদলে ছিয়াম অথবা ফিদইয়া দেওয়া যাবে (আলবানী, তালখীছ আহ
উত্তর : প্রত্যেক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য উচিত মৃত্যু আসার পূর্বে ঋণ পরিশোধ করা এবং উপায় না থাকলে ওয়ারিছগণকে সে ব্যাপারে অছিয়ত করে যাওয়া। অন্যথায় তার আত্মা ঝুলন্ত থাকবে। এসব ব্যক্তির জানাযার ছালাত রাসূল (ছাঃ) পড়াননি (আহমাদ, তিরমিযী, বুলূগুল মারাম
উত্তর : সর্বপ্রথম জানাযার ছালাত শুরু করেন ফেরেশতাগণ। মৃত ব্যক্তি ছিলেন আদম (আঃ) (ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ১/৯১; মুসনাদ আহমাদ হা/২১২৭০৮, সনদ ছহীহ, আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৭২-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
উত্তর : ইমাম প্রত্যেক ছালাতে মুক্তাদীদের দিকে ফিরে বসবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৯৪৪)। মাত্র দুই বা তিন ওয়াক্তে মুছল্লীদের দিকে ফিরে বসার পক্ষে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। এটা সুন্নাতের বরখেলাফ।
উত্তর : আল্লাহর কালাম দ্বারা অমুসলিমকে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে (বুখারী হা/৫৭৩৬)।
উত্তর : রোগ মুক্তির জন্য আযান দেওয়া কিংবা উল্লেখিত নিয়ম অবলম্বন করা কোনটাই শরী‘আত সম্মত নয়। বরং বিদ‘আত ও প্রত্যাখ্যাত (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)।
উত্তর : যাবে। কারণ ওযূর এই অবস্থার ব্যাপারে হাদীছে কোন নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়নি।
উত্তর : এটা সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। তবে গোফ লম্বা রাখা সুন্নাত বিরোধী কাজ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
উত্তর : সদ্যপ্রসূত সন্তানের জন্য ইসলামে কোন অনুষ্ঠান নেই। অতএব উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করার প্রশ্নই উঠে না।
উত্তর : ক্বাযা ছালাত আদায় করার সময় সুন্নাত আদায় করতে পারে। কারণ হাদীছে ফজরের ছুটে যাওয়া সুন্নাত পড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (ছহীহ তিরমিযী হা/৪২৩)। রাসূল (ছাঃ) যোহরের পূর্বের ছুটে যাওয়া চার রাক‘আতও পরে আদায় করেছেন (ছহীহ তিরমিযী হা/৪২৬)। আর ফরয ছালাতের পরে
উত্তর : করতে পারে (ছহীহ নাসাঈ হা/২৬৩৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৪৭)। তবে বদলী হজ্জকারীকে তার নিজের হজ্জ আগে করতে হবে (আবুদাঊদ হা/১৮১১)।
উত্তর : কুরবানীর পশু ক্রয়ের কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যার যখন ইচ্ছা কুরবানীর পশু ক্রয় করতে পারবে।
উত্তর : মৃত ব্যক্তির নামে ইফতার মাহফিল করা যাবে না, যেখানে সকল শ্রেণীর মানুষ অন্তর্ভুক্ত থাকবে (মুসলিম হা/৪৩০৬)। কারণ মৃত ব্যক্তির নামে যা করা হয় তা মূলতঃ ছাদাক্বাহ, যা ধনীরা খেতে পারে না (তিরমিযী হা/৬৫২; তওবাহ ৬০)। তবে কোন নির্দিষ্ট দিন-তারিখ ও অনুষ
উত্তর : যখন যেখানে রাত হয় তখন সেখানে তিনি প্রথম আসমানে নেমে আসেন। কিভাবে তিনি আসেন সেটা আল্লাহই ভাল জানেন। আল্লাহর পক্ষে সবই সম্ভব। লায়লাতুল ক্বদরকে নির্ধারণ করেন আল্লাহ, সময়ের পার্থক্যও করেন তিনিই। কিছু এলাকা আছে যেখানে ছয় মাস সূর্য ডুবে না,
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) রাতের ছালাত দু‘রাক‘আত দু‘রাক‘আত করে আদায় করে এক রাক‘আত দ্বারা বিতর করতেন (তিরমিযী হা/৪৬১)। অতএব ২+২ করে দশ রাক‘আত, অতঃপর এক রাক‘আত বিত্র। সঊদীদের আমলকে এ হাদীছের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। হাসান বাছরীকে জিজ্ঞেস করা হ’ল যে, ইবনু ওমর
উত্তর : দো‘আটি হাদীছে নিম্নোক্তভাবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি ছালাতের মধ্যে অথবা দো‘আর মধ্যে কিংবা ফজরের ছালাতের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় বলতেন- হে আল্লাহ্! আমার অন্তরে নূর দাও, যবানে, শ্রবণে, দৃষ্টিতে, ডানে, বামে, উপরে, নিচে, সামনে, পিছনে ... নূর দাও
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর সম্মতি লাভ করা কথাটি সঠিক নয়। অনুরূপ ‘রাসূল (ছাঃ)-এর পবিত্র রওযা’ একথা বলা মারাত্মক অন্যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর মিম্বার এবং তাঁর বাড়ির মাঝের স্থানকে ‘জান্নাতের রওযা’ বলা হয়েছে (বুখারী হা/১১৯৫; মিশকাত হা/৬৯৪)।প্রশ্নে উল্
উত্তর : দ্বিতীয় কথাটি মূলতঃ হাদীছ لاَ تَتَّخِذُوا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوا فِى الدُّنْيَا ‘তোমরা ভূ-সম্পত্তি অর্জনে মগ্ন হয়ো না। কেননা তা তোমাদেরকে দুনিয়ার পিছনে লিপ্ত করে ফেলবে (তিরমিযী হা/২৩২৮; ঐ, মিশকাত হা/৫১৭৮ ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়)। এখান
উত্তর : তাবলীগ জামা‘আত একটি বিদ‘আতী দল। এ দলের সাথে বের হওয়া এবং তাদের কোন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করা যাবে না। তাদেরকে প্রশ্রয়ও দেয়া যাবে না। কারণ বিদ‘আতীদেরকে প্রশ্রয় দিতে রাসূল (ছাঃ) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/৩১৮০)। তারা বানোয়াট কিচ্ছা-
উত্তর : বাংলাদেশে সরকারীভাবে সূদী অর্থনীতি অনুসরণ করা হয়। এখানকার ব্যাংক ব্যবস্থা পুরাপুরি সূদ ভিত্তিক। ইসলামী ব্যাংক ও বীমাগুলি সূদমুক্ত বলে দাবী করা হয়। ‘কিন্তু সেগুলি পুরাপুরি শারী‘আহ ভিত্তিক করা সম্ভব নয় বলে অভিজ্ঞমহলের বিশ্বাস। কেননা রাষ
উত্তর : স্পষ্ট সূদী কোন বস্ত্ত কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এটি একটি জঘন্য হারাম প্রথা। পবিত্র কুরআনের ৭টি আয়াতে ও ৪০টি হাদীছে সূদকে হারাম করা হয়েছে। অতএব সূদখোরের হাদিয়া গ্রহণ না করে ফেরত দিতে হবে।
উত্তর : ‘ওয়াসওয়াসা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ গোপন শব্দ ও মনের খটকা (লিসানুল আরব)। আর শারী‘আতের পরিভাষায় মনের মধ্যে ওয়াসওয়াসা দ্বারা কুমন্ত্রণা এবং মনের মধ্যে খারাপ ধারণা এবং খারাপ কর্ম করার মানসিকতা সৃষ্টি হওয়াকে বুঝানো হয়। এটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়
উত্তর : প্রাইজ বন্ড কেনা যাবে না। ‘যদি লাইগা যায়’ এই রঙিন আশায় এটা ক্রয় করা হয়। অতএব এটা স্পষ্ট জুয়া। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তির বেদী ও শুভ-অশুভ নির্ণয়ের তীর গর্হিত বস্ত্ত ও শয়তানী কাজ। অতএব তোমরা এসব থেকে বিরত থাক। যা
উত্তর : ফেতনায় পড়ার আশঙ্কা আছে, এমন স্থানে কাজ করা যাবে না, যদিও সে কাজ বৈধ হয়। রাসূল (ছাঃ) পুরুষদের জন্য নারীদেরকে সবচেয়ে ক্ষতিকর ফিৎনা হিসাবে উল্লেখ করেছেন (বুখারী হা/৫০৯৬; মিশকাত হা/৩০৮৫)। আপনার কর্মটি যদি হারাম উৎপাদন বা হারাম বস্ত্তর সা
উত্তর : যে দো‘আ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সে দো‘আকেই দো‘আয়ে মাছূরাহ্ বলা হয়। তাশাহ্হুদ ও দরূদ পাঠের পর থেকে সালাম ফেরানোর আগ পর্যন্ত কুরআন ও ছহীহ হাদীছ হতে ইচ্ছামত যে কোন দো‘আ পড়া যায় (বুখারী হা/৮৩৫; মিশকাত হা/৯০৯)।
উত্তর : ‘সূদ’ ফারসী শব্দ। যার অর্থ ঋণ দিয়ে সেই টাকার উপর আদায়কৃত লভ্যাংশ। আরবীতে একে রিবা (الربا) বলা হয়। যার অর্থ হ’ল, বৃদ্ধি। শারঈ পরিভাষায় كل قرض جر نفعا فهو ربوا ‘প্রত্যেক ঋণ যা লাভ আনয়ন করে, সেটাই রিবা’। এটি জাহেলী আরবে চালু ছিল। ইসলাম এ
উত্তর : ‘কোয়ান্টাম মেথড’ পদ্ধতির মাধ্যমে হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের রীতি ও আদর্শকে সর্বদলীয় ধর্মীয় নীতি হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। এটা সম্রাট আকবরের বানানো জগাখিচড়ী ‘দ্বীনে এলাহী’র মত। অথচ অন্য ধর্মের সাদৃশ্য অবলম্বন করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষ
উত্তর : مِلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَذَا অনুবাদ : ‘তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাত (অনুসরণ কর)। (আল্লাহ) তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বের কিতাবসমূহে এবং এই কিতাবে (কুরআনে) (হাজ্জ ২২/৭৮)। আ
উত্তর : বর্তমান বিশ্বে কোন ব্যক্তি তার দেশের কোন আইনের বিরোধিতা করলে রাষ্ট্রদ্রোহী সাব্যস্ত হয় এবং তার জেল বা ফাঁসি হয়। নিজেদের তৈরি করা আইনের বিরোধিতা করলে যদি এধরনের শাস্তি হয়, তাহ’লে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইনের বিরোধিতা করলে কেমন শাস্তি হওয়া
উত্তর : সর্বপ্রথম আবুবকর (রাঃ) কুরআন একত্রিত করেন। অতঃপর ওছমান (রাঃ)-এর যুগে উক্ত কুরআনের কয়েকটি কপি করে বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। এতে কোন পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়নি। তিনি কেবল একত্রিত করেছেন মাত্র (বুখারী, মিশকাত হা/২২২০ ও ২২২১)। অনুরূপভাবে তা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না।
উত্তর : এগুলো ধর্মের নামে চালু হওয়া সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। এ প্রথা পরিত্যাজ্য।
উত্তর : সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কে আল্লাহই সর্বাধিক অবগত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ছিলেন। তাঁর পূর্বে কিছুই ছিল না। পানির ওপরে তার আরশ ছিল। অতঃপর তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেন। প্রতিটি বস্ত্তই লাওহে মাহফূযে লিপিবদ্ধ ছিল (বুখারী, মিশক
উত্তর : ‘মুরশিদ’ শব্দের অর্থ পথ প্রদর্শনকারী। উক্ত আয়াতে মুরশিদ বলতে আল্লাহকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ মানুষের পথ প্রদর্শনকারী। তিনি যাকে পথ দেখান সেই কেবল পথ প্রাপ্ত হয়। পক্ষান্তরে তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ পথ প্রদর্শন করতে পারে না। পীর-ফ
উত্তর : যেসব আক্বীদার কারণে মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়, সেসব আক্বীদাধারী মানুষের পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয নয়। প্রশ্নে উল্লেখিত দলগুলোর প্রত্যেকেই এমন আক্বীদা পোষণ করে, যা তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দেয়।মু‘তাযিলা একটি ভ্রান্ত দল, যারা আল্লাহর ছিফা
উত্তর : সংগঠন বলতে জামা‘আতকে বুঝায়। একদল ঈমানদার মানুষ যখন আল্লাহর বিধান সমূহকে নিজ নিজ জীবনে ও সমাজে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একজন আমীরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন ঐ দলটিকে ‘ইসলামী জামা‘আত’ বা সংগঠন বলা হয়। পক্ষান্তরে ইসলাম বিরোধী আদর্শের কিংবা কোন
উত্তর : অধিক ছওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্য না থাকলে উক্ত তিন মসজিদ ছাড়াও অন্যত্র সফর করা বৈধ (আনকাবূত ২০)।
উত্তর : টমেটো সবজির অন্তর্ভুক্ত। আর শাক-সবজির কোন ওশর নেই। কাজেই এ ধরনের শস্যের ওশর দেওয়ার প্রয়োজন নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১ম খন্ড, পৃঃ ৪২০)। তবে এ ধরনের শস্যের বিক্রয়লব্ধ অর্থ যদি নেছাব পরিমাণ হয় এবং তাতে এক বছর অতিবাহিত হয়, তাহ’লে তার যাকাত দিতে হবে
উত্তর : বক্তব্যটি বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন।
উত্তর : ঘটনাটি আব্দুল্লাহ ইবনু আবী আওফা (রাঃ)-এর নামে বর্ণিত হয়েছে। ঘটনাটি জাল বা মওযূ‘ (আলবানী, যঈফুল জামে‘ হা/৩১৮৩)।
উত্তর : দান করে ফেরত নেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, দান করে ফেরত নেওয়া বমি করে বমি খাওয়ার ন্যায় (আবুদাঊদ, হা/৩৫৩৯)। তবে ওয়াকফকারী তার চেয়ে উত্তম কিছু দিতে ইচ্ছা পোষণ করলে তিনি তা পরিবর্তন করতে পারেন। অন্যথা তিনি পরিবর্তন ও ফেরত
উত্তর : উক্ত পদ্ধতিতে ছালাত আদায় করলে সুন্নাত মোতাবেক হবে না। সিজদা হ’ল ছালাতের অন্যতম প্রধান ‘রুকন’। সিজদা নষ্ট হ’লে ছালাত নষ্ট হবে। অতএব এই অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সিজদা এমন লম্বা হবে, যেন বুকের নীচ দিয়ে বকরীর বাচ্চা যেতে পারে (ম
উত্তর : চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণের সময় বিভিন্ন কাজে নিষেধ করা সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, চন্দ্র, সূর্য গ্রহণ আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন, এগুলি কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণগ্রস্ত হয় না। যখন তোমরা গ্রহণ দ
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে। কারণ দাতা মসজিদের নিয়তেই জমি দান করেছেন। মসজিদটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে, ঐ স্থানটি ইবতেদায়ী মাদরাসা হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। অথবা যেকোন ভাল কাজে ব্যবহার করা যাবে। কূফার মসজিদ অন্যত্র স্থানান্তর করে
উত্তর : ব্যবসায়ী যদি কাউকে কোন পণ্য ক্রয় করার দায়িত্ব দেন, তাহলে ব্যবসায়ী ইচ্ছা করলে তাকে মজুরী হিসাবে কিছু দিতে পারেন, লাভের অংশ হিসাবে নয়। সে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নির্ধারিত কোন লাভ নিতে পারবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৪/২৭৩ পৃঃ)।
উত্তর : মেয়ের সম্মতিক্রমে যদি হয় তাহলে উক্ত পদ্ধতিতে বিবাহ হয়ে যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১২৬)। মক্কার নেতা আবু সুফিয়ানের মেয়ে উম্মে হাবীবাকে বিবাহ করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মদীনা থেকে বাদশা নাজাশীকে ওকালতির দায়িত্ব প্রদান করেন। আবু
উত্তর : ইমাম আবু হানীফা (৮০-১৫০ হিঃ), জন্মস্থান- কূফা, মৃত্যু- বাগদাদ। ইমাম মালেক (৯৩-১৭৯ হিঃ), জন্মস্থান- মদীনার উত্তরে ‘যুলমারওয়া’ নামক স্থানে, মৃত্যু- মদীনা। ইমাম শাফেঈ (১৫০-২০৪ হিঃ), জন্মস্থান- সিরিয়ার গাযা এলাকায়, মৃত্যু- মিসর। ইমাম আহমা
উত্তর : আল্লাহ জিন জাতির মধ্যে কোন নবী-রাসূল প্রেরণ করেননি। জিনেরা যখন অন্যায় কাজে লিপ্ত হত, তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের মধ্য থেকে একদল সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করতেন। তারা তাদেরকে শায়েস্তা করতেন। প্রয়োজনে দ্বীপে নির্বাসন দিতেন (তাফসীর ইবনে কাছীর; সূরা বা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ এখানে প্রশ্ন গোবর দিয়ে রান্না নয়। বরং গোবর পোড়ানো আগুন দিয়ে রান্না। এতে কোন দোষ নেই। চাই সে আগুন গোবরের হৌক, কেরোসিনের হৌক বা অন্যকিছুর হৌক। তাছাড়া যে সকল প্রাণীর গোশত হালাল, তাদের মল-মূত্র অপবিত্র নয় &
উত্তর : আক্বীক্বা করা সুন্নাত। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই করতে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৪৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের ছেলের পক্ষ থেকে দুইটি পশু এবং মেয়ের পক্ষ থেকে একটি পশু সপ্তম দিনে যবেহ কর (আবুদাঊদ হা/২৮৩৬; মিশকাত হা/৪১৫২)। উল্লেখ্য যে, ৭, ১৪, ২১, ত
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের নিয়ম এক রকমই ছিল। তিনি বলেন, ‘তোমরা সেভাবেই ছালাত আদায় কর যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’ (বুখারী হা/৬৩১; মিশকাত হা/৬৮৩)। চার ইমামও চার রকম ছালাত তৈরী করেননি। তাদের নামে যা কিছু বলা হচ্ছে সবই ভক্তদের বাড়াবা
উত্তর : উক্ত কথা সঠিক নয় । বরং রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত ক্বিয়াম করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করল সে যেন পুরো রাত ক্বিয়াম করল (মুসলিম হা/১৫২৩)।দিনে রাতে সর্বমোট সুন
উত্তর : উক্ত কথা ভিত্তিহীন। তবে কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমনটি ঘটতেও পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম এবং মৃত্যু একই দিন সোমবারে হয়েছে (মুসলিম হা/২৮০৪; বুখারী হা/৪১৮৪)।
উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্যতা করা তিনটি বড় গুনাহের অন্যতম (বুখারী, মিশকাত হা/৫০)। পিতা-মাতা সন্তানদের জন্য দো‘আ অথবা বদ দো‘আ করলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয় (আবুদাউদ হা/১৫৩৬; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৫৯৬)। কিন্তু তাদের কাঁদালে পূর্বের আমল বিনষ্ট হবে মর্মে কো
উত্তর : উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেন, আহলে কিতাবগণের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং যা তোমাদের প্রতি ও তাদের প্রতি নাযিল হয়েছে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়ে এবং যারা আল্লাহর আয়াত সমূহ স্বল্প
উত্তর : ক্বিয়ামতের পূর্বে প্রকাশিত নিদর্শন সমূহের মধ্যে কিছু ছোট আছে কিছু বড় আছে। ছোট নিদর্শনের সংখ্যা অনেক। কিছু ঘটে গেছে এবং ঘটছে। যেমন- শেষ নবী (ছাঃ)-এর আগমন, বায়তুল মুক্বাদ্দাস বিজয়, ভন্ড নবীদের আবির্ভাব, আমানতের খেয়ানত, ধর্মীয় জ্ঞানের অভ
উত্তর : যেনা অতীব জঘন্য কর্ম। তওবা ছাড়া আল্লাহ তাকে মাফ করবেন না। আল্লাহ বলেন, ক্বিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায় (ফুরক্বান ৬৯)। হাদীছে এসেছে, তাদেরকে উলঙ্গ অবস্থায় একটি পেটমোটা সরু মুখ সম্পন্ন চুলায় জ্বল
উত্তর : যদি শেষ রাক‘আতে রুকূ পায় তাহ’লে জুম‘আর জামা‘আত পেল। ইমাম সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে বাকি ছালাত পড়ে নিবে। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, কেউ যদি জুম‘আর ছালাত এক রাক‘আত পায় তাহলে সে যেন ছালাত পেল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪১২)। আর যদি রুকূ
উত্তর : উক্ত কথার কোন ভিত্তি নেই।
উত্তর : যেখানে ঈমান ও আমল হারানোর ঝুঁকি থাকবে সেখান থেকে অনুকূল পরিবেশে চলে যেতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না? তোমরা হিজরত করতে পারতে (নিসা ৯৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অদূর ভবিষ্যতে মুসলমানের উৎকৃষ্ট মালরূপ
উত্তর : সূর্য ঢলার পর হতে যোহরের ছালাতের সময় শুরু হয়। কাঠির গোড়া থেকে মেপে মূল ছায়ার একগুণ হওয়া পর্যন্ত যোহরের সময় থাকবে। এরপর থেকেই আছরের ছালাতের সময় শুরু হবে (মুসলিম হা/১৪১৯)। এটা শীতকালে হোক বা গরম কাল হোক। তবে গরমের সময় একটু দেরী করে যোহরের
উত্তর : বাজারের প্রচলিত নীতির উপর ভিত্তি করে লেনদেন করা দরকার। আলাদা নিয়ম চালু করলে সেটা উভয়ের সম্মতিক্রমে হ’তে হবে। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, তোমরা ওযন করবে সঠিক মাপে। লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্ত্ত কম দিবে না এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাবে না (শ
উত্তর : মানুষের শরীরে পা লাগলে সালাম করা ও চুম্বন করার কোন বিধান নেই। তবে এটি একটি অপসন্দনীয় কাজ। তাই সৌজন্য দেখানো উচিত। পশ্চিম দিকে পা রেখে ঘুমানো যাবে। শরী‘আতে এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনা নেই। তবে খোলা স্থানে পশ্চিম ও পূর্ব দিকে ফিরে পেশাব-পা
উত্তর : শুধু কুরবানীর পশু নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে যে কোন পশু দ্বারা কারো ফসলের ক্ষতি করা অন্যায় (বুখারী, মিশকাত হা/৫১২৬)। কিন্ত কুরবানীর ছওয়াব তার নিয়ত অনুযায়ী আল্লাহ তাকে দিবেন (হজ্জ ৩৭)।
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখলে কোন করণীয় নেই। তবে সর্বাবস্থায় তাদের জন্য দো‘আ ও ছাদাক্বা করা উচিত। মানুষের স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে (ক) ভাল স্বপ্ন- যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ বহন করে (খ) শয়তানের পক্ষ থেকে- যা মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে
উত্তর : ওযূ করার পর স্ত্রীকে স্পর্শ করলে ‘মযী’ নির্গত হলে ওযূ ভঙ্গ হবে। তবে ছিয়াম ভঙ্গ হয় না। আর ‘মযী’ নির্গত না হলে ওযূ ভঙ্গ হবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) কখনো কোন স্ত্রীকে চুম্বন করতেন এবং ওযূ না করেই ছালাতে বের হতেন (আবুদাঊদ হা/১৭৯
উত্তর : বিবাহ পড়ানোর সুন্নাতী পদ্ধতি হল, প্রথমে বিবাহের খুৎবা হবে। অতঃপর মেয়ের সম্মতিক্রমে দুই জন সাক্ষীর সামনে মেয়ের পিতা বা অভিভাবক বলবে, আমি আমার মেয়েকে তোমার সাথে বিবাহ দিলাম। আর ছেলে বলবে, আমি কবুল করলাম। এভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এর
উত্তর : ওযূ অবস্থায় শরীরে কোন নাপাকী লাগলে ওযূ ভঙ্গ হয় না। যে অংশে নাপাকী লাগবে ঐ অংশটুকু ধুয়ে নিলেই চলবে (আবুদাঊদ হা/৩৭৬; মিশকাত হা/৫০২)।
উত্তর : ১৩ বিঘা সম্পদকে ২৪ ভাগ করে স্ত্রী ৩ ভাগ, ৩ কন্যা ১৬ ভাগ, মা ৪ ভাগ ও ভাই-বোনরা ১ ভাগ দুই জন মেয়ে সমান একজন ছেলে অনুপাতে ভাগ করে নিবে। উল্লেখ্য যে, ভাই-বোন আসাবা সূত্রে ওয়ারিছ, বাকী অন্যরা সকলে যাবিল ফুরূয হিসাবে ওয়ারিছ বিধায় পৃথকভাবে ম
উত্তর : কাফেররা পার্থিব জীবনে চতুষ্পদ জন্তুর মত। তারা শুধু পেট ও যৌন চাহিদা পূরণে ব্যস্ত থাকে। তারা পরজীবনের কোন চিন্তা করে না বলে পশুর মত আচরণ করে এবং নেক আমল করে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুমিন এক পেটে ও কাফির সাত পেটে খায়’ (তাফসীরে ইবনে কা
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা অনেক বান্দাকে ক্বিয়ামতের দিন সুফারিশের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার অনুমতি দিবেন (বুখারী হা/৬৫৬৫)। কিন্তু সে সুফারিশ তাদের জন্য হবে, যারা শিরক থেকে মুক্ত। সুতরাং মুশরিক, বিদ‘আতী, ছালাত আদায় করে না এমন পিতা-মাতার জন্য শিশু সন্তানে
উত্তর : বর্ণনাটি বিশুদ্ধ (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৪৪৮ -এর আলোচনা দ্রঃ)। উক্ত দো‘আ সিজদা ও তাশাহহুদে পড়া যাবে। দো‘আটি নিম্নরূপ:اَللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ كَتَبْتَ عَلَىَّ شَقْوَةً أَوْ ذَنْباً فَامْحُهُ فَإِنَّكَ تَمْحُو مَا تَشَاءُ وَتُثْبِتُ وَعِنْدَكَ أ
উত্তর : ছালাতের সময় আযান দিলে শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালিয়ে যায় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৫৫)। কিন্তু শয়তান কর্তৃক আক্রান্ত হলে আযান শুনলে সে পালিয়ে যায় এমনটি প্রমাণিত নয়। তবে সূরা ফালাক্ব ও নাস পড়লে শয়তান দূরে সরে যায় (আবুদাঊদ হা/১৪৭৩; মি
উত্তর : ওশর ৮ শ্রেণীর মানুষের হক। জালসা তার অন্তর্ভুক্ত নয় (তওবা ৬০)। জালসা বা অনুরূপ নেকীর কাজ সমূহ নিজেদের টাকা দিয়ে করা উত্তম।
উত্তর : যেহেতু খুৎবা চলাকালীন সময়ে মুছল্লীদের কাজ খুৎবা শ্রবণ করা, সেহেতু সালাম দেওয়া যাবে না। তবে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে বসতে হবে (বুখারী হা/৯৩১; মুসলিম হা/২০৫৭)।
উত্তর : এক বৈঠকে একই সাথে তিন বা ততোধিক তালাক দিলে এক তালাক বায়েনাহ গণ্য হবে (মুসলিম হা/৩৬৫৭)। ইদ্দতের মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। আর ইদ্দত পার হয়ে গেলে নতুন বিয়ের মাধ্যমে আবার তাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করা যাবে (ফিক্বহুস
উত্তর : মসজিদ দেখার কোন দো‘আ পাওয়া যায় না। তবে উক্ত দো‘আটি ছহীহ (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৬৬২; আহমাদ হা/১৬৩১৩)।
উত্তর : সময় মত ছালাত আদায় করতে হবে এটাই আল্লাহর নির্দেশ (নিসা ১০৩)। তাই ছালাত আদায়ের জন্য প্রধান বা শ্রেণী শিক্ষকের নিকট থেকে ছুটি নিতে হবে। ছুটি না পেলে উক্ত প্রতিষ্ঠান বর্জন করতে হবে এবং যেখানে ক্লাস রুটিনের মাঝে সঠিক সময়ে ছালাত আদায় করার সুয
উত্তর : মহান বিশেষণটি সর্বাপেক্ষা বড় বুঝায়। তাই মহান সত্তা হিসাবে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা ঠিক হবে না। তবে বাংলায় এটি উদার ও বড় অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যেমন মহান হৃদয়। সে হিসাবে মহান নেতা বলায় শিরক হবে না। মে দিবস বা স্বাধীনতা
উত্তর : সাপে দংশন করলে সূরা ফাতেহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করা যায় (বুখারী হা/৫০০৭)। কিন্তু কুরআন-সুন্নাহর দো‘আ ছাড়া মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুঁক করলে শিরক হবে (আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩; মিশকাত হা/৪৫৫২)। এইরূপ ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না।
উত্তর : মানুষ নিহত হওয়ার কারণ ৩টি- ভুলক্রমে, ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা ও ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করার ন্যায় হত্যা করা। গাড়ী দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেলে উক্ত ৩টি কারণের যেকোন একটির মধ্যে পড়ে যায়। প্রথম ও তৃতীয় কারণে হত্যাকান্ড সংঘটিত হলে ১০০টি উট বা তার
উত্তর : হজ্জের নিয়তের সাথে সেখানে মৃত্যুবরণ করারও নিয়ত করা যায়। এতে কল্যাণ আছে। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, যারা মদীনায় মৃত্যুবরণ করবে তাদের জন্য আমি সুফারিশ করব (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৭৫০)। ওমর (রাঃ) নিম্নরূপ দো‘আ করতেন, اللَّهُمَّ ارْزُقْنِىْ ش
উত্তর : দাড়ি রাখা অবশ্য পালনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। উক্ত মর্মে বিভিন্ন আদেশ সূচক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২১)।
উত্তর : ভাড়া দেয়া যাবে। তবে কোন হারাম বস্ত্তর ব্যবসা করার জন্য দেয়া যাবে না (মায়েদাহ ২)।
উত্তর : উক্ত কথা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
উত্তর : সর্বপ্রথম তিন ব্যক্তির ব্যাপারে ফায়ছালা করা হবে। তারা হচ্ছে- শহীদ, আলেম ও ধনী। তাদের সৎকর্ম সমূহ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে না হওয়ার কারণে তাদের দ্বারাই সর্বপ্রথম জাহান্নামকে প্রজ্জ্বলিত করা হবে (তিরমিযী হা/২৩৮২)। তারা সর্বপ্রথ
উত্তর : বৈধ হবে না। এটা সূদের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী হা/৩৮১৪)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) শিংওয়ালা পশু কুরবানী দিয়েছেন (বুখারী হা/১৭১২; মিশকাত হা/১৪৫৩। সুতরাং শিংওয়ালা পশু কুরবানী করাই উত্তম। একান্তই যদি না পাওয়া যায় তাহলে শিং বিহীন ছাগল কুরবানী করা যায়।
উত্তর : মিষ্টি অথবা নিজ গাছের ফলমূল হাদিয়া হিসাবে ছওয়াব লাভের আশায় খাওয়ালে খাওয়া যাবে। এর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে (ইবনু মাজাহ হা/৩২৫১)। তবে খাওয়ার বিনিময়ে দো‘আ করতে হবে এই নিয়তে খাওয়া বৈধ হবে না। দু’হাত তুলে সম্মিলিতভাবে দো‘আ করাও যাবে না। কেউ দ
উত্তর : পশুর গোশত খাওয়া হালাল হওয়ার শর্ত হচ্ছে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে এমন বস্ত্ত দ্বারা যবহ করা যেন রক্ত প্রবাহিত হয়। রক্ত যদি প্রবাহিত না হয়, তাহলে তা খাওয়া যাবে না (তিরমিযী হা/১৪৯১; নাসাঈ হা/৪৪০৪)। রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পর নাড়ীভুঁড়িসহ গরম পানিতে ছেড়ে দ
উত্তর : উক্ত বিষয়ে কুরআন এবং হাদীছে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতেও কোন তথ্য মিলে না। তবে তিনি একজন মিসরীয় নারী ছিলেন।
উত্তর : বিবাহের আক্বদের বিষয়টি সুন্নাত। তবে তা লিখা আর না লিখার বিষয়টি বর-কনের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। বর্তমানে বহুমুখী প্রয়োজনের তাকীদেই বিবাহ রেজিষ্ট্রী করা হয়। অফিস, আদালত, হজ্জ, চাকুরী ইত্যাদিতে কেউ যেন প্রতারিত না হয় সে ক্ষেত্রে এটি
উত্তর : এসব অর্থহীন নাম রাখা উচিত নয়। রাসূল (ছাঃ) মন্দ নামকে পরিবর্তন করে অর্থপূর্ণ ভাল নাম রাখতেন (তিরমিযী হা/২৮৩৮, ২৮৩৯)। অতএব এমন কোন নাম রাখা উচিত নয় যার কোন অর্থ নেই। যেমন হামীম ও ইয়াসীন শব্দগুলোর অর্থ আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। এমন গুণ সম্বল
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। অন্যের সম্পদ বাতিল পন্থায় গ্রহণ করা হারাম (নিসা ২৯)। এধরনের বন্ধকী প্রথা যুলুম এবং সূদের অন্তর্ভুক্ত। এভাবে হারাম পন্থায় অর্থ উপার্জন করলে এবং তা থেকে পানাহার এবং পরিধান করলে তার ইবাদত কবুল হবে না (মুসলিম, ম
উত্তর : সালাম ফিরানোর পূর্বে তাশাহহুদে বসে কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত যেকোন দো‘আ ইচ্ছামত পড়তে পারবে (বুখারী হা/৯২৪; মিশকাত হা/৯০৯)। এছাড়া সিজদাতেও হাদীছে বর্ণিত দো‘আগুলো বেশী বেশী পড়া যাবে (মুসলিম হা/১১০২)। কারো দো‘আ মুখস্থ না থাকলে ছালাতের বাইরে য
উত্তর : হাঁ উক্ত পাপের ভাগ মরণের পরেও তার আমলনামায় জারি থাকবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ কাজ চালু করল, তার পাপ এবং যারা ঐ মন্দ কাজ করল, তাদের সমপরিমাণ পাপ ঐ ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/২১০; তিরম
উত্তর : ছালাত অবস্থায় টাখনুর নীচে কাপড় থাকলে ছালাত ত্রুটিপূর্ণ হবে (আবুদাঊদ হা/৬৩৭)। ছালাত বা যে কোন অবস্থায় টাখনুর নীচে কাপড় গেলে তা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৪৩১৪)। অতএব সর্বাবস্থায় এ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
উত্তর : আহলেহাদীছগণ ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-কে সর্বাপেক্ষা বেশী অনুসরণ করে থাকেন। কারণ হাদীছ ছহীহ হলেই সেটি ইমাম আবূ হানীফার মাযহাব (হাশিয়াহ ইবনু আবেদীন ১/৬৩)। আর আহলেহাদীছগণ ছহীহ হাদীছের অনুসরণ করে থাকেন। দলীল ছাড়া কোন কিছুর অনুসরণ করাকে তাকলীদ বল
উত্তর : শারী‘আত অনুমোদিত যে কোন নেকীর কাজ করার মানত করলে তা বৈধ হবে। যেমন প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ যদি আল্লাহর আনুগত্য করার ক্ষেত্রে কোন মানত হয় এবং তা কোন শরী‘আত বিরোধী কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট না হয় তাহলে তা করা যাবে এবং তা অবশ্যই পূর্ণ
উত্তর : একাধিক মেয়ে থাকলে তারা সবাই মিলে দু’তৃতীয়াংশ পাবে। বাকী এক তৃতীয়াংশ মৃত ব্যক্তির পিতা না থাকলে ভাইয়েরা ‘আছাবা’ হিসাবে পাবে। ভাইয়েরা না থাকলে ভাইয়ের ছেলেরা শরী‘আতের বিধি মোতাবেক ‘আছাবা’ হিসাবে পাবে।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি বাতিল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৯০, ১৬৮৫, ১৬৮৬)। তবে ত্রিশ জনের সমান তাঁর শক্তি ছিল মর্মে হাদীছটি ছহীহ (বুখারী হা/২৬৮)।
উত্তর : উক্ত কথাগুলো বানোয়াট। বরং সরকারের নির্দেশে পাথরগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।
উত্তর : কুরআন-হাদীছে এর কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে কেউ কেউ এর বিভিন্ন কারণ বের করার চেষ্টা করে থাকেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা আমাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখছ সেভাবে ছালাত আদায় কর’ (বুখারী হা/৬৩১; মিশকাত হা/৬৮৩)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনে অসচ্ছলতা ও সচ্ছলতা দু’টিই ছিল। তবে তিনি দো‘আ করতেন, হে আল্লাহ্! আপনি আমাকে জীবিত রাখুন মিসকীন অবস্থায়, আমাকে মৃত্যু দিন মিসকীন অবস্থায় এবং ক্বিয়ামত দিবসে আমাকে মিসকীনদের দলভুক্ত করুন! এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি স্ত
উত্তর : যে যেখানেই অবস্থান করুক খাদ্য বা পানীয় হালাল কি-না তা জেনেই খেতে হবে। এমনকি সন্দেহ হলেও খাওয়া যাবে না। কারণ সন্দেহযুক্ত বস্ত্তর সাথে যে জড়িত হবে সে হারামের সাথে জড়িত হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)। সুতরাং চোরাই পথে আনীত এসব পণ্য জ
উত্তর : একই আলোচনা সূরা আলে ইমরান ১২৯, মায়েদাহ্ ১৮ ও ৪০ এবং ফাত্হ ১৪ আয়াতেও এসেছে। আল্লাহ তা‘আলা শিরক ছাড়া অন্য পাপের সাথে জড়িতদের যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন আর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবেন (নিসা ৪৮, ১১৬)। বান্দা হয়তো পাপ করার সাথে সাথে এমন কিছু সৎকর্
উত্তর : ক্বাযা ছিয়াম আগে আদায় করবে। কারণ ক্বাযা ছিয়াম আদায় করার অনেক সময় থাকে। কিন্তু নফল ছিয়াম নির্দিষ্ট সময়ে করতে হয়। যেমন শাওয়ালের ৬টি নফল ছিয়াম শাওয়ালের মধ্যেই আদায় করতে হয়। কিন্তু রামাযানের ক্বাযা ছিয়াম আগামী রামাযানের আগ পর্যন্ত আদায় কর
উত্তর : কাফের ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় মুসলিমদেরকে সহযোগিতা করলে অথবা হাদিয়া দিলে গ্রহণ করা যাবে। যদি এর মাধ্যমে তাদের কোন দূরভিসন্ধি না থাকে। কারণ ইমাম বুখারী অধ্যায় রচনা করেছেন, ‘মুশরিকদের থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা’ এবং তিনি কয়েকটি হাদীছ উল্লেখ করেছে
উত্তর : জানাযার ছালাতে ছানা পড়ার প্রমাণে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। তালহা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু আববাস (রাঃ)-এর পিছনে জানাযার ছালাত আদায় করেছি। তিনি তাতে (তাকবীরের পর) সূরা ফাতিহা পড়েছেন (বুখারী, মিশকাত হা/১৬৫৪)। অন্য হাদীছে এ
উত্তর : পশ্চিম পার্শ্বের দেওয়ালের সাথে বুক ও মুখ লাগাতে হবে এমনটি নয়; বরং মোর্দার শরীরের ডান পার্শ্ব এবং মুখমন্ডল ক্বিবলামুখী করে রাখতে হবে। এভাবেই রাসূল (ছাঃ)-এর যুগ থেকে আমল চলে আসছে (আলবানী, তালখীছু আহকামিল জানায়েয, পৃঃ ৬৩)।
উত্তর : সূদ হচ্ছে প্রদানকৃত বা গ্রহণকৃত বস্ত্ত বা টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে বর্ধিত আকারে তা প্রদান বা গ্রহণ করা। আর ঘুষ হচ্ছে কিছু লাভ বা পাওয়ার উদ্দেশ্যে কাউকে হাদিয়া হিসাবে কিছু প্রদান করা। এমনকি কখনও সূদের উপর ঋণ নেয়ার জন্যও ঘুষ দেয়া
উত্তর : পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকে আল্লাহ তা‘আলা রূযী দান করে থাকেন (হূদ ৬)। তাকে আল্লাহর উপর ভরসা করে ও তাঁর সাহায্য চেয়ে জীবন-জীবিকার জন্য অন্য কোন হালাল পন্থা অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য সূদের ওপর ঋণ নেওয়া যাবে না (মুসলিম হা/২৩৯৩
উত্তর : যোহর পড়বে। কেননা মহিলাদের উপর জুম‘আ ফরয নয়’ (আবুদাঊদ হা/১০৬৭; মিশকাত হা/১৩৭৭)।
উত্তর : ইক্বামত দিতে হবে (বায়হাক্বী হা/১৯৯৯, সনদ হাসান; তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ১৫৩)।
উত্তর : উক্ত ওয়াসওয়াসার জন্য আল্লাহ বান্দাকে পাকড়াও করবেন না। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের অন্তরে যে খটকার উদয় হয় আল্লাহ তা‘আলা তা মাফ করে দিবেন- যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে প্রকাশ করে
উত্তর : ছেলে ব্যতীত উল্লেখিত কোন ব্যক্তিই বউ দেখতে পারবে না। তবে পরিবেশ বা আনুসঙ্গিক বিষয় সমূহ দেখার জন্য অভিভাবকগণ খোঁজ-খবর নিতে পারবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, আমি আনছারদের এক মেয়েকে বিবাহ করতে ইচ্ছুক।
উত্তর : ঈদুল আযহার ছালাতের পূর্বে কুরবানী করলে তা কবুল হবে না (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/১৪৭২)। ছালাত ও খুৎবা দু’টিই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঈদের খুৎবা শুনার জন্য ঋতুবতী মহিলাদেরকেও ঈদগাহে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে (বুখারী হা/৩২৪)। তবে কোন যরূরী কারণে ছালাত শ
উত্তর : অনুবাদটা ভুল হয়েছে। ওয়াসওয়াসাকে ঈমান বলা হয়নি; বরং ওয়াসওয়াসার ভীতিকে ঈমান বলা হয়েছে। ছাহাবীগণের একটি দল এসে বললেন, আমাদের মনে এমন কিছু উদয় হয় যা আমরা খুব খারাপ মনে করি। কিন্তু তা মুখে প্রকাশ করাকে আমরা গুরুতর অপরাধ মনে করি। তখন রাসূলু
উত্তর : স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বামী যদি তাকে তালাক দেয় এবং স্ত্রীকে জানিয়ে দেয় তাহলে তালাক হয়ে যাবে। আমর ইবনু হাফছ তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ফাতিমা বিনতে ক্বায়েসকে তালাক দেন এবং কিছু যবসহ তার নিকট একজন প্রতিনিধি পাঠান। কিন্তু তার স্ত্রী তা নিত
উত্তর : শূকরের চর্বি মিশানো প্রমাণিত হলে তা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) হারাম করে দিয়েছেন, মদ, মৃতজীব, শূকর ও মূর্তি বিক্রি করা। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, মৃত জীবের চর্বি নৌকা ও বিভিন্ন বস্ত্তত
উত্তর : পুরুষের সতর নাভী হতে হাটু পর্যন্ত। তবে ছালাত আদায়কালীন সময়ে দুই কাঁধ ও নাভী হতে হাটু পর্যন্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭৫৫; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), ৪৫ পৃঃ)। অবশ্য গোসলের সময় পুরুষরা উল্লেখিত অঙ্গ খোলা রাখতে পারে (বুখারী হা/২৭৮)। তবে পর্দার
উত্তর : সূরা জিনের ১৪নং আয়াতের মাধ্যমে জানা যায় জিনদের মধ্যে মুমিন জিনও আছে। তাদের মাধ্যমে কবিরাজগণ কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সম্মত যেসব কথা বলে থাকেন তা বিশ্বাস করা যায়। কারণ এটা গণকের কাল্পনিক ভাগ্য নির্ণয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। গণক তারাই যারা মানুষের
উত্তর : শরী‘আতে এর কোন অনুমোদন নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শেষ যামানায় একশ্রেণীর লোক চুল-দাড়িতে কালো রং দ্বারা খেযাব দিবে। দেখতে কবুতরের বুকের মত সুন্দর লাগবে। তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (আবুদাউদ হা/৪২১২)। বরং মেহেদী লাগাবে (তিরমিযী, আবুদাঊদ, ম
উত্তর : ইমামের ছালাত সঠিক হয়েছে। আর যারা বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে এবং পুনরায় ছালাত আদায় করেছে তারা ভুল করেছে। কারণ শিশু সন্তানকে পার্শ্বে নিয়ে কিংবা কাঁধে ও কোলে নিয়ে ছালাত আদায় করা যায়। স্বয়ং রাসূল (ছাঃ) এমনটি করেছেন। আবু ক্বাতাদা (রাঃ) বলেন, আমি
উত্তর : হাদীছের নির্দেশ অনুযায়ী এটা বলতে হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কৃপণ সেই ব্যক্তি যার নিকট আমার নাম উল্লেখ করা হয়, অথচ সে আমার উপর দরূদ পাঠ করে না (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৩৩)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তার উপর দ
উত্তর : সরাসরি এ্যালকোহল পান নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৯০)। কিন্তু তা যদি পরিশুদ্ধ করে ঔষধ বানানো হয় ও মাদকতা না আসে এবং ছালাত ও যিকর হতে বিরত না রাখে, তবে তা জায়েয হবে (ফাতাওয়া উছায়মীন ১১তম খন্ড, পৃঃ ২৫৬-২৫৯)। যেমন- সাপ খাওয়া হারাম কিন্তু সেই সাপের বিষ দ্বার
উত্তর : উক্ত আলেমের দাবী সঠিক। এর সনদে আম্মার ইবনু সাইফ ও উবাইদ ইবনু ইসহাক্ব আল-আত্ত্বার নামে দু’জন যঈফ রাবী আছেন। ইমাম দারাকুৎনী, ইমাম যাহাবী প্রমুখ মুহাদ্দিছ তাকে যঈফ বলেছেন (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৯০৪; মিশকাত হা/৫১৫২)।
উত্তর : যাবে। মাইয়েত পুরুষ ও নারী মিশ্রিত হ’লে পুরুষের লাশ ইমামের কাছাকাছি সম্মুখে রাখবে। অতঃপর মহিলার লাশ রাখবে। যদি শিশু ও মহিলা হয় তাহ’লে শিশুর লাশ প্রথমে ও পরে মহিলার লাশ রাখবে (বুখারী হা/১৩৪৭, ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ২১৪; ফাতাওয়া উছায়মীন
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ইমাম যদি বসে থাকেন, তবে যারা সুন্নাত শুরু করেনি তাদের নিয়ে তাকবীর দিয়ে দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ করে সালাম ফিরাবেন (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৬)। যারা সুন্নাত শুরু করেছেন তাদের সহো সিজদা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উত্তর : উক্ত মর্মে দারাকুৎনীতে দু’টি ‘আছার’ বর্ণিত হয়েছে (দারাকুৎনী হা/১১৯৯ ও ১২০০) যা যঈফ। ইবনু মাঈন, নাসাঈ, আলী ইবনুল মাদীনী প্রমুখ মুহাদ্দিছ যঈফ বলেছেন (নাছবুর রাইয়াহ ১/৩৫৩ পৃঃ)। উল্লেখ্য যে, ‘বিসমিল্লাহ’ সরবে বলার পক্ষে যতগুলো বর্ণনা রয়েছে সবই দু
উত্তর : সূর্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে উক্ত ছালাতের সময় শুরু হয়। প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে তাকে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’ বলে এবং কিছু পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে ছালাতুয যোহা বা চাশতের ছালাত বলা হয় (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ২৫৪)। এই ছালা
উত্তর : উক্ত ব্যাখ্যা সঠিক নয়। বরং প্রশ্নে বর্ণিত দু’টি সময়ই আনন্দের সময় (ফাৎহুল বারী ৪/১১৮ পৃঃ)।
উত্তর : পারবে না। কারণ হিন্দুরা মুশরিক। তারা অপবিত্র (তওবা ২৮; ওয়াক্বি‘আহ ৭৯)। এটা পবিত্র কুরআনের জন্য অবমাননাকর।
উত্তর : যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হল ছালাত (ছহীহ মুসলিম হা/১৩৪, ঈমান অধ্যায়; ফাতাওয়া উছায়মীন, ১২ খন্ড, পৃঃ ১০০)। তবে সে যদি তওবা করে এবং নিয়মিত ছালাত আদায় করে তাহলে তার সাথে বিয়ে দেওয়া যাবে।
উত্তর : সরবে ক্বিরাআত পড়বে। তবে উচ্চৈঃস্বরে নয় (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১২০৪, সনদ ছহীহ)।
উত্তর : উক্ত ব্যক্তি স্ত্রীকে তিন তোহরে তিন তালাক দেওয়ার পরও যদি স্ত্রীকে হালাল মনে করে ব্যবহার করে, তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ বলে গণ্য হবে (ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ ৭ম খন্ড, পৃঃ ৩৭৮; ফাতাওয়া উছায়মীন, ১৫তম খন্ড, পৃঃ ১৩৪)। উক্ত অন্যায় কর্মকান্ডের জন
উত্তর : স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদের জন্য শরী‘আত কর্তৃক দু’টি পন্থা রয়েছে। একটি হচ্ছে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে শরী‘আতের পদ্ধতি অনুযায়ী তালাক প্রদান করা। অন্যটি হচ্ছে- স্বামীর দেওয়া মোহরানা সরকারি কর্তৃপক্ষের নিকটে ফেরত দিয়ে স্ত্রীর ‘খোলা’ করে
উত্তর : দোকান বা নব নির্মিত বাড়ীতে ওঠা ও তার জন্য কুরআন পাঠ, মীলাদ পড়ানো, অনুষ্ঠান করা, মুনাজাত করা সবই বিদ‘আতী প্রথা। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীদের যুগে এ ধরনের কোন প্রথার অস্তিত্ব ছিল না। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে (মুসলিম হা/৪৫৯০)। বাড়ীওয়ালা নিজে ‘
উত্তর : বিদ‘আতীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। যেমন- আল্লাহ বলেন, ‘আপনি বলে দিন, আমি কি তোমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের সম্পর্কে জানিয়ে দিব? (দুনিয়াবী জীবনে) যাদের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে গেছে। অথচ তারা ভাবে যে, তারা সুন্দর আমলই করে যাচ্ছে’ (কাহফ
উত্তর : উক্ত মর্মে যে সমস্ত বর্ণনা পাওয়া যায় সেগুলো সবই জাল বা বানোয়াট।
উত্তর : চুরি করা কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই কেউ চুরি করার পর তওবা না করে মারা গেলে সে চুরির অপরাধে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করবে। তবে সে যদি আন্তরিক বিশ্বাস নিয়ে কালেমা পড়ে থাকে, তাহ’লে কালেমায়ে শাহাদাতের বরকতে এবং শেষনবী মুহম্মাদ (ছাঃ)-এ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্মদিনের স্মরণে কোন প্রাণী যবেহ করা জায়েয নয়। আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কোন কিছু উৎসর্গ করা শিরক। সুতরাং উক্ত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না (মায়েদাহ ৩)। উল্লেখ্য যে, রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম দিন উপলক্ষে ঈদে মীলাদুন্নবী কিং
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনে উক্ত শব্দদ্বয় বহুবচনেও এসেছে। যেমন ‘রাববুল মাশারিক্ব’ অনেক পূর্বের রব (ছাফফাত ৫; মা‘আরিজ ৪০)। তাতে বুঝানো হয়েছে যে, সূর্য বছরের ৩৬০ দিনে নির্ধারিত একটি মাত্র স্থান হ’তে উদিত হয় না। এর দ্বারা সূর্যের গতিশীলতার প্রতি ইঙ্গিত করা
উত্তর : হিজড়া পুরুষের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী হা/৫৮৮৬)। মুসলিম হ’লে পুরুষের নিয়মেই তার জানাযার ছালাত পড়তে হবে। ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নারী ও পুরুষের কাফন তিন কাপড় দিয়ে করতে হবে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে তিনটি সাদা সূতী
উত্তর : উক্ত আমলের প্রমাণে কোন দলীল পাওয়া যায় না। অনেক সূরা ক্বাফ-এর ২২নং আয়াত ‘লাক্বাদ কুনতা... পাঠ করে স্বীয় চোখ মাসাহ করেন। উক্ত মর্মেও কোন হাদীছ পাওয়া যায় না।
উত্তর : বাসের হেলপার হলেও ছালাত ত্যাগ করা যাবে না। ছালাত আদায়ের সময় বের করে নিতে হবে। উক্ত অবস্থায় যোহর ও আছর একত্রে দুই দুই রাক‘আত করে পৃথক এক্বামতে জমা ও ক্বছর করবেন। অনুরূপভাবে মাগরিব তিন রাক‘আত ও এশা দুই রাক‘আত পৃথক এক্বামতে জমা ও ক্বছর ক
উত্তর : বায়হাক্বী (৭/২৩৩ পৃঃ) বর্ণিত উক্ত হাদীছটি মুনক্বাতি‘ অর্থাৎ যঈফ। তবে একই হাদীছ যা আবুদাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহতে বর্ণিত হয়েছে, সেটি ‘হাসান’। তবে সেখানে মহিলার আপত্তির কথা বর্ণিত হয়নি। উল্লেখ্য যে, মোহরানা বেশী করায় কোন নিষেধাজ্
উত্তর : বিভিন্ন কারণে শেয়ার বেচাকেনা জায়েয নয়। যেমন- (১) ক্রেতার অনেক সময় সম্যক জ্ঞান থাকে না কী বস্ত্তর শেয়ার তিনি ক্রয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন (আবুদাঊদ হা/৩৪৮৮)। (২) যে বস্ত্তর শেয়ার কেনা-বেচা হয়, তা দ
উত্তর : উক্ত ব্যক্তির পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ করা যাবে এবং মাইয়েত তার নেকীও পাবেন (মুসলিম হা/২৭৫৩; মিশকাত হা/১৯৫৫)। তবে বদলী হজ্জ সম্পাদনকারীকে আগে নিজের হজ্জ করতে হবে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৫২৯)।
উত্তর : ক্বিয়ামতের মাঠে সকল মানুষকে নগ্নাবস্থায় একত্রিত করা হবে (বুখারী হা/৬৫২৭)। তবে পরবর্তীতে অনেককে কাপড় পরানো হবে। আর যাদেরকে কাপড় পরানো হবে ইবরাহীম (আঃ) হবেন তাদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি (বুখারী হা/৪৫৫৪)। এতে প্রমাণিত হয় যে, অন্য কোন ব্যক্তিকেও ক
উত্তর : মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। এ সমস্ত বই ক্রয় করা যাবে না, পড়াও যাবে না। কারণ নিয়ামুল কুরআনে এমন কিছু কল্পিত দরূদ আছে যেগুলো পড়লে শিরক হবে। অনুরূপভাবে মকছুদুল মুমিনীন বইটি জাল, যঈফ, মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনীতে ভরপুর।
উত্তর : বর্ণনাটি জাল বা বানোয়াট (যঈফ তিরমিযী হা/৩৭২৩; মিশকাত হা/৬০৮৭; যঈফুল জামে‘ হা/১৩১৩)।
উত্তর : মানুষকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। সূরা ফুরক্বানে যেখানে মানুষকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে তার অর্থ বীর্য (ইবনু কাছীর)। প্রকৃতপক্ষে তা তৈরী হয়েছে মাটি হ’তে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের নির্যাস হ’তে।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। হাদীছটি ছহীহ মুসলিমে (হা/১৭২ ‘ঈমান’ অধ্যায় ৭৫ অনুচ্ছেদ) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে। হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, এটিই সম্ভাবনাযুক্ত যে, এটি ছিল ফজরের ছালাত এবং এটি স্পষ্ট যে, এটি ছিল মি‘রাজ থেকে ফেরার পথ
উত্তর : করা যাবে। উক্ত পদ্ধতিতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতেই দো‘আ করা যাবে। একে কুনূতে নাযেলাহ বলা হয় (আবূদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/১২৯৮)।
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ছালাত ছেড়ে দিবে এবং ওযূ করে জামা‘আতে শরীক হবে (মুস্তাদরাক হাকেম হা/৬৫৫, হাদীছ ছহীহ)। সালামের পর বাকী ছালাত পূর্ণ করবে। পূর্বে আদায়কৃত ছালাত ধরবে না। উল্লেখ্য, পূর্বের ছালাত ঠিক থাকবে মর্মে ইবনু মাজাহতে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে
উত্তর : উক্ত প্রথা শরী‘আত সম্মত নয়। মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ সম্পর্কে ইমাম কথা বলতে পারেন (বুখারী, মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৯০৯, ২৯১৩)। জানাযার আগে-পরে ‘সকলে ব্যক্তিগতভাবে মাইয়েতের গুণাবলী বর্ণনা করবে। এতে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। কেননা মু
উত্তর : ইমাম তিরমিযী, আবুদাঊদ প্রমুখ মুহাদ্দিছগণ স্ব স্ব গ্রন্থে যে সমস্ত যঈফ হাদীছ উল্লেখ করেছেন এবং যঈফ বলে অভিহিত করেছেন সেগুলো মূলতঃ জনসাধারণকে যঈফ হাদীছ হতে সতর্ক করার জন্য। এরপরও যারা সেগুলোর প্রতি আমল করবে তারাই দায়ী হবে। তবে কিছু হাদীছ
উত্তর : যতটুকু গভীর করা প্রয়োজন ততটুকু গভীর করতে হবে। কারণ হাদীছে কবর গভীর করার কথা বলা হয়েছে (বুখারী, মিশকাত হা/১৬৯৫)। কিন্তু কতটুকু করতে হবে তা বলা হয়নি। এতে নারী-পুরুষের কোন পার্থক্য নেই (মুগনী ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৯৭; মির‘আত হা/১৭১৭)।
উত্তর : জানাযা হ’ল মুসলিম মাইয়েতের জন্য একমাত্র দো‘আর অনুষ্ঠান। এর বাইরে সবকিছু বিদ‘আত। প্রশ্নে বর্ণিত উভয়টিই বিদ‘আতী প্রথা। বিশেষ করে জানাযার ছালাত আদায়ের পর হাত তুলে দো‘আ করার নিয়মটি সম্প্রতি চালু হয়েছে। উক্ত প্রথার প্রমাণে কোন দলীল নেই। তব
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মাগরিবের ছালাতের ন্যায় (মাঝখানে বৈঠক করে) বিতর আদায় করো না’ (দারাকুৎনী হা/১৬৩৪-৩৫; ছহীহ ইবনে হিববান হা/২৪২০; তুহফাতুল আহওয়াযী ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৫৩)। পক্ষান্তরে মাগরিবের ছালাতের ন্যায় বিত
উত্তরঃ মৌলিকভাবে দু’টি পদ্ধতিতে যৌথ ব্যবসা করা শরী‘আত সম্মত। একটির নাম ‘মুশারাকাহ’ (مشاركة) অর্থাৎ শরীকানা ব্যবসা। এতে যার যেমন অর্থ থাকবে, সে তেমন লভ্যাংশ পাবে (আবুদাঊদ হা/৪৮৩৬; সনদ ছহীহ, বুলূগুল মারাম হা/৮৭০; নায়ল হা/২৩৩৪-৩৫)। অপরটির নাম ‘ম
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্ম তারিখ ৯ রবীউল আউয়াল সোমবার এটাই সঠিক। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যু যে সোমবারে হয়েছে তা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু তাঁর জন্মের নির্ধারিত তারিখ হাদীছে উল্লেখ নেই। আধুনিক জ্যোর্তিবিজ্ঞানের হিস
উত্তরঃ মুমিন ব্যক্তি স্বপ্নে নবী-রাসূলগণকে দেখতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে সত্যি আমাকেই দেখল। কারণ শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত ‘স্বপ্ন’ অধ্যায়, হা/৪৬০৯-১০)। তবে যে ব্যক্ত
উত্তর : অনলাইনে অনেক ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানী রয়েছে যেমন ওডেক্স, এলান্স, ল্যান্সটেক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি। এ কোম্পানীগুলিতে কোনরূপ ফি ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন করে স্বীয় যোগ্যতা অনুযায়ী ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স, ডাটাএন্ট্রি ইত্যাদি কাজ পাওয়ার জন্য আবেদ
উত্তর : দাস প্রথা শরী‘আতের পরিপন্থী নয় এবং এর হুকুমও রহিত হয়নি। তবে দাস মুক্ত করণের অত্যধিক ফযীলতের কারণে ছাহাবা, তাবেঈন ও পরবর্তী যুগের মুসলমানগণ ছওয়াবের উদ্দেশ্যে দাস মুক্ত করতে থাকলে সমাজ থেকে এ প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কেননা রাসূলুলাহ (ছাঃ
উত্তর : দুনিয়ার কথা তাদের মনে থাকবে (আ‘রাফ ৩৮; আহযাব ৬৬-৬৮)। জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টাবস্থায় রয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৩২২)। ক্বিয়ামতের দিন সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেলেও আল্লাহর চেহারা, জান্নাত ও জাহান্নাম ধ্বংস হবে না (রহমান ২৬-২৭; ফাতাওয়া ইবনে তা
উত্তর : আল্লাহ বান্দার কর্ম দেখে হাসেন (বায়হাক্বী, আসমা ওয়া ছিফাত, ‘আল্লাহর হাসি’ অনুচ্ছেদ ২/২১৬-২৪)। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ ঐ দুই ব্যক্তিকে দেখে হাসবেন যারা একে অপরকে হত্যা করেছে, অতঃপর দু’জনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছে। একজন আল্লাহর
উত্তর : পিতা মুসলিম হলে তার গোনাহ মাফের জন্য সন্তান কবরের পাশে বা যেকোন স্থানে থেকে দো‘আ করতে পারবে (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩)। আল্লাহ চাইলে তার দো‘আর ফলে কবরের আযাব মাফ হতে পারে।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ ছাহাবীদের অনেকের বাবরি চুল ছিল না। তাই মাথার চুলকে সমানভাবে কেটে ছোট করেও রাখা যায়। প্রয়োজনে পুরা মাথা মুন্ডানো যায় (মুগনী ১/৭৩-৭৪)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন যে, আমি আমার মহান প্রভুকে সর্বোত্তম আকৃতিতে স্বপ্নে দেখি।... এমতাবস্থায় তিনি তাঁর হস্ততালু আমার দুই কাঁধের মাঝে রাখেন, যার শীতলতা আমি আমার বুকের মাঝে অনুভব করি’ (তিরমিযী হা/৩২৩৩; মিশক
উত্তর : পান, সুপারী, চুন এগুলো হারামের অন্তর্ভুক্ত নয়। টেলিভিশন, কম্পিউটার, সিডি-ভিসিডি ইত্যাদি পণ্যের ব্যবসা করা যাবে। এগুলোর দ্বারা মানুষের দৈনন্দিন অনেক উপকার ও প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়। তবে ব্যবহারকারী যদি তা হারাম কাজে ব্যবহার করে তবে সে
উত্তর : আরাফার মাঠে হোক বা তাঁবুতে হোক বা অন্য কোথাও হোক হাজীদের যোহর ও আছর এক আযান ও দুই ইক্বামতে জমা এবং ক্বছর করতে হবে। অনুরূপ মাগরিব ও এশা এক আযানে ও দুই ইক্বামতে জমা করবেন। এ সময় কেবল এশার ছালাত কছর করবেন। একাকী হোক বা জামা‘আতে হোক, এটাই
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি মিথ্যা বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৪৬)। বর্ণনাটি ‘তাবলীগী নিছাবে’র ‘ফাযায়েলে যিকর’ অংশে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেখানেও এটিকে মিথ্যা বলা হয়েছে। কিন্তু মূল উর্দূতে থাকলেও বাংলায় উক্ত অংশের অনুবাদ করা হয়নি (বঙ্গানুবাদ ফাযায়েল
উত্তর : উক্ত আলেমের বক্তব্য সঠিক (আহমাদ হা/২১২৬৯, সনদ হাসান; সূরা নিসা ১১৭; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ২৩৭)।
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এ দেশে যত বিদ‘আত চালু আছে, উক্ত প্রথা তার অন্যতম। এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ (নাসাঈ হা/১৫৭৮)। রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈদের স্বর্ণযুগে এসব প্রথার অস্তিত্ব ছিল না (এ বিষয়ে ৯০টি বিদ‘আতের তালিকা দেখুন: ছালাতুর রাস
উত্তর : চিল্লায় যাওয়া ও স্ত্রীকে সঙ্গে নেওয়া দু’টিই নাজায়েয। কারণ প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত স্বপ্নে পাওয়া ইলিয়াসী তরীকা মাত্র। রাসূল (ছাঃ)-এর তরীকার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। উক্ত নবোদ্ভূত তরীকা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাবলীগের নামে দলবদ্ধভাবে ৪০ দি
উত্তর : মসজিদের কাজ আগে সমাপ্ত করা আবশ্যক। আর মসজিদের টাকা ব্যাংকে জমা রেখে মুনাফা নেয়া সূদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে পবিত্র মাল খরচ করতে হবে (বাক্বারাহ ২৬৭)। মসজিদের উনণতি কল্পে আদায় করা টাকা জনসাধারণের আমানত। সেটা মসজ
উত্তর : গৃহ পালিত গাধার গোশত খাওয়া হারাম। তবে বন্য গাধার গোশত খাওয়া হালাল। ঘোড়ার গোশত খাওয়া হালাল। জাবের (রাঃ) বলেন, খায়বারের যুদ্ধে রাসূল (ছাঃ) গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন (বুখারী হা/৫৫২০; মিশকাত হা/৪১০৭)।
উত্তর : উক্ত খাতে ফিৎরা অথবা কুরবানীর চামড়ার টাকা ব্যয় করা যাবে না। এগুলো মূলত: ফকীর-মিসকীনের হক (আবুদাঊদ হা/১৬০৯; মিশকাত হা/১৮১৮)। প্রয়োজনে যাকাতের যেকোন খাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিমুত খাত ব্যতীত অন্যত্র ব্যয় করা বৈধ নয় (তওবা ৬০)।
উত্তর : ঈদগাহ হ’ল ছালাতের স্থান। যাতে তা উক্ত কাজেই ব্যবহৃত হয়, তার নিশ্চয়তার জন্য ওয়াফক করা আবশ্যক। মসজিদে নববীর জন্য মাটি ক্রয় করতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মাতুল গোষ্ঠী বনু নাজ্জার সেটা বিনা পয়সায় আল্লাহর ওয়াস্তে দিয়ে দেন। ওমর (রাঃ) যখন
উত্তর : মসজিদে ডান পা দিয়ে উঠা ও বাম দিয়ে নামার দলীল রয়েছে (মুস্তাদরাক হাকেম হা/৭৯১; সনদ হাসান, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৪৭৮)। কিন্তু পায়খানায় প্রবেশের সময় কোন্ পা আগে দিতে হবে সে সম্পর্কে কোন দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : তাদের মধ্যে পরস্পরে সাক্ষাৎ হবে (হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম, আর-রূহ, পৃঃ ১৭)। সৎ বান্দাদের রূহ ইল্লিয়ীনে এবং পাপীদের রূহ সিজ্জীনে অবস্থান করে। তাদের আমল অনুযায়ী আরাম ও শাস্তি ভোগ করে (ফাত্বির ৭-৯, ১৮-২১; আবুদাঊদ হা/৪৭৫৫; মিশকাত হা/১৩১)। শহীদদের রূহ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ কুরবানী দেওয়া সুন্নাত, ওয়াজিব নয় (ফাৎহুল বারী ১৬/৩; তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৭৯)। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই কুরবানী দিবে। নিছাবের মালিক হওয়া শর্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) নিজেও নিছাবের মালিক ছিলেন না। অথচ তিনি একাধিক কুরবানী করতেন
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/৭৫৮; ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৪৭১)। উল্লেখ্য যে, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকে নয় দিন ছিয়াম পালন করা বা অন্যান্য নেক আমল করার অশেষ নেকীর পক্ষে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (বুখারী, মিশকাত হা/১৪৬০; নাসাঈ হা/২৪১৭)।
উত্তর : কথাটি সত্য (আবুদাঊদ হা/৩৭৩; মিশকাত হা/১৩৮৮)।
উত্তর : উক্ত হাদীছ দ্বারা বিশেষ কোন বাড়ি বা গাড়ী বুঝানো হয়নি; বরং মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতি অনুযায়ী যে গাড়ি বা বাড়িতে থাকা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাকে বুঝানো হয়েছে। আর সংকীর্ণ বাড়ি ও বিপদজনক যানবাহন বলতে যাকে মানুষ কষ্ট ও সংকীর্ণ মনে করে তাকে বু
উত্তর : উক্ত অর্থ সঠিক নয়। বরং সঠিক অর্থ হল- দাড়ি লম্বা করার জন্য ছেড়ে দাও (ফাৎহুল বারী ১০/৩৫১, হা/৫৮৯৩-এর আলোচনা দ্রঃ)। এ সম্পর্কে হাদীছে আরো অনেকগুলো শব্দ এসেছে। যেমন-( وأوفروا وَأَوْفُوا وَأَرْخُوا ,وَوَفِّرُوا) আওফিরু, আওফু, আরখু, ওয়াফ্ফিরু।
উত্তর : জেনেশুনে চোরাই মাল খরিদ করা নিষিদ্ধ। তবে অজ্ঞাত অবস্থার কথা ভিন্ন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘পাপ এবং অন্যায়ের কাজে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ২)।
উত্তর : আইয়ামে বীযের ছিয়াম, মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রাখতে হবে (ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৩৮)। কিন্তু উক্ত তারিখে রাখা সম্ভব না হলে মাসের যেকোন তারিখে রাখবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) মাসের যে কোন দিনে তিনটি ছিয়াম রাখতেন (মুসলিম হা/২৮০১
উত্তর : উক্ত মর্মে দায়লামী তার মুসনাদুল ফিরদাউসে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। যা মওযূ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯)।
উত্তর : যে আয়ের মাধ্যম হারাম সে আয়ও হারাম (বুখারী হা/২৫৯৭)। অতএব উক্ত টাকায় হজ্জ করলে তা কবুল হবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০)।
উত্তর : বিয়ের পর স্বামীর দায়িত্ব হ’ল তার উপর অর্পিত স্ত্রীর হক আদায় করা (নিসা ১২৯; বুখারী হা/১৯৭৫)। স্ত্রীর প্রতি অসদাচরণকে আল্লাহ তা‘আলা নিষিদ্ধ করেছেন (বাক্বারাহ ২৩১)। এধরনের ব্যক্তি যালেম। আল্লাহ যালেমদের ভালবাসেন না (আলে ইমরান ৫৭)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) দ্বীন প্রচারের জন্য প্রথম দাওয়াত দিতেন তাওহীদের প্রতি। অতঃপর ছালাতের, অতঃপর যাকাতের (বুখারী হা/৭৩৭২; মিশকাত হা/১৭৭২)। উক্ত দাওয়াত তিনি পেশ করতেন নম্র বাক্য, বাস্তব আমল ও সুন্দর চরিত্রের মাধ্যমে।
উত্তর : উক্ত মর্মে শরী‘আতে বিশেষ কোন নিয়ম বা বিধান নেই। সাধারণভাবেই ‘বিসমিল্লাহ’ বলে উঠে যাবে। তবে জিনের উৎপাত থাকার আশঙ্কা করলে বেশী বেশী সূরা বাক্বারাহ তেলাওয়াত করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/২১১৯)।
উত্তর : ঈদের মাঠে কোলাকুলি করার বিষয়ে কোন দলীল পাওয়া যায় না। কোলাকুলি কোন দিকে কয়বার করতে হবে তারও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : (১) উক্ত দলের নীতি সমূহ স্বপ্নে পাওয়া (মাওলানা মুহাম্মাদ মানযূর নু‘মানী, মালফূযাতে হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস, পৃঃ ৫১, ৫০ নং বয়ান)। (২) আক্বীদা হল- মুর্জিয়া, অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী। তারা বলেন, রাসূল (ছাঃ) নূরের তৈরি, তিনি কবরে জীবি
উত্তর : এমতাবস্থায় উক্ত মহিলা সমাজের দায়িত্বশীল বা আদালতের মাধ্যমে স্বামীকে মোহর ফেরত দিয়ে ‘খোলা’ করতে পারে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৭৪)। অতঃপর ইদ্দত পালন ছাড়াই অন্যত্র বিয়ে করতে পারবে। কারণ উক্ত স্বামীর সাথে তার কোন স্পর্শ বা সহবাস হয়নি (আহযা
উত্তর : ভাল কাজে মানত করে তা পুরা না করে ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবে। এর কাফফারা হল, (১) ১০ জন মিসকীনকে মাঝারি মানের খাদ্য দেওয়া (২) অথবা তাদেরকে পোষাক দেওয়া (৩) অথবা গোলাম আযাদ করা। (৪) এগুলো করতে অক্ষম হলে ৩টি ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৮৯)। আর
উত্তর : স্থান নিরাপদ হলে এবং তাদের আলোচনা বাইরের পুরুষ শুনতে না পেলে তারা সমাবেশ করতে পারে। কারণ (১) তাদের জন্য পর্দা ফরয (আহযাব ৫৯)। (২) তাদের কণ্ঠ পর পুরুষকে শুনানো যাবে না (আহযাব ৩২)। উক্ত শর্ত মেনে তারা দাওয়াতের কাজ করবে। তবে মহিলাদের নিরাপদ দা
উত্তর : প্রথমা স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া শর্ত নয়। সামর্থ্য থাকলে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করার অধিকার রাখে (নিসা ৩; বুখারী হা/৪৮৭৮)। তবে সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ইনছাফ করতে হবে এবং কারো অধিকার আদায়ে কোনরূপ ত্রুটি করা যাবে না। কারণ আখেরাতে এর পরিণাম হবে অত্
উত্তর : ক্রয়কারীর উপর মালিকানা সাব্যস্ত হওয়ায় উক্ত জায়গার উপর যেকোন কাজ করতে পারে (দ্রঃ ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা খন্ড ১৬, পৃঃ ৩৮)। ওমর (রাঃ)-এর নির্দেশে কূফার একটি মসজিদ স্থানান্তর হয়। অতঃপর সেই স্থানটি খেজুর বিক্রির বাজারে পরিণত হয় (ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়া
উত্তর : পৃথিবী ও সূর্য উভয়ই ঘোরে। শুধু তা-ই নয়, আসমানে যত গ্রহ-উপগ্রহ ও নক্ষত্ররাজি আছে সবই নিজ নিজ কক্ষ পথে পরিভ্রমণ করে। আল্লাহ বলেন, বস্ত্ততঃ প্রত্যেকটিই স্ব স্ব নিরক্ষবৃত্তে সাঁতার কাটছে (ইয়াসীন ৩৬/৪০)। শায়খ আলবানী উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায়
উত্তর : এসবের অধিকাংশ অনৈসলামী সংস্কৃতির অনুকরণ। তাই এসব আচার ও প্রথা সাধ্যপক্ষে এড়িয়ে চলাই মুমিনের কর্তব্য। কেননা এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই শিরক, বিদ‘আত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাব থাকে। আর যে কোন বিদ‘আতী প্রথা সর্বক্ষেত্রেই পরিত্যাজ্য (ব
উত্তর : সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে তাকবীর শুরু করবে এবং দাঁড়ানোর পূর্বে শেষ করবে। অর্থাৎ রুকূ, সিজদা বা অন্য কোন অবস্থায় যাওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাকবীর পাঠ করবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, ...রাসূল (ছাঃ) রুকূতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন।
উত্তর : ছালাতসহ যেকোন ভালো কাজে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কার দেওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) যুদ্ধের ময়দানের শত্রু পক্ষের সৈন্যদের পরাস্ত করার লক্ষ্যে তিনি পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন শত্রুকে হত্যা করবে সে তার সাথে থাকা সম্পদ লাভ করবে’ (ব
উত্তর : দাড়ি মুন্ডনকারী ব্যক্তি ছালাত আদায় করলে তা কবুল হয়ে যাবে। কেননা ছালাত কবুলের শর্ত হ’ল, (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ শিরক মুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া (কাহফ ১৮/১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর ছহীহ সুন্ন
উত্তর : ব্যাংকের লভ্যাংশ সূদের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ তা দিয়ে মসজিদের ইমাম বা মুওয়াযযিনের বেতন দেওয়া জায়েয হবে না। বরং বাধ্যগত অবস্থায় ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে হ’লে তার লভ্যাংশ ছওয়াবের আশা ছাড়া ছাদাক্বা করে দিতে হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনু
উত্তর : বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক ভাতা ঐসব লোকদের জন্য প্রদান করে যারা অসহায় এবং যাদের কোন অবলম্বন নেই। এক্ষণে কোন সম্পদশালী ব্যক্তি যদি সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে এ ভাতা তার পিতা-মাতার জন্য গ্রহণ করে তা তার জন্য বৈধ হবে না। বরং সন্তান স্বয়ং পিতা-মাতার ভরণ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘রাতের ছালাত দুই দুই। অতঃপর যখন তুমি ফজর হয়ে যাবার আশংকা করবে, তখন এক রাক‘আত পড়ে নাও, যা তোমার পিছনের সব ছালাতকে বিতরে পরিণত করবে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১২৫৪)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি চায় একটানা ৫ রাক‘আত বিতর পড়ুক, যে চ
উত্তর : এমতাবস্থায় জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ছওয়াব পেয়ে যাবে (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩২৩; লিকাউল বাবিল মাফতুহ ১০/৪৪)। কারণ সে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে এসেছিল। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করল তৎপর মসজিদের উদ্
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআনে বা হাদীছে কোন বর্ণনা নেই। তবে একদল বিদ্বানের মতে, যেমন ভাবে শহীদগণ কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না (নাসাঈ হা/২০৫৩), তেমনি নবীগণও কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না (ইবনুল ক্বাইয়িম, কিতাবুর রূহ ১/৮১-৮২; আদ-দুর্রুল ম
উত্তর : পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আসমান ও যমীনে যত প্রাণী আছে, সবই আল্লাহকে সিজদা করে এবং ফেরেশতাগণ। আর তারা অহংকার করে না’ (নাহল ১৪/৪৯)। তিনি বলেন, সাত আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সবকিছ
উত্তর : এরূপ করা উচিত হবে না। কারণ এতে মুছল্লীদের খুশূ-খুযূ বিনষ্ট হয় এবং খুৎবা ও ছালাতের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয়। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সফলকাম হবে মুমিনগণ, যারা তাদের ছালাতে তন্ময়-তদ্গত (মুমিনুন ২৩/১-২)। অতএব জুম‘আর খুৎবায় প্রজেক্টরের বদলে সাউন
উত্তর : ছিদ্দীক অর্থ মহাসত্যবাদী। এতে তাযকিয়া তথা অধিক প্রশংসাসূচক অর্থ রয়েছে। এই ধরনের অতি প্রশংসাসূচক নাম রাখা অপসন্দনীয়। তবে যদি কেউ তাযকিয়া উদ্দেশ্য ছাড়াই এরূপ নাম রাখে, তাতে কোন দোষ নেই (নববী, শরহ মুসলিম ১৪/১১৯; তুহফা ৮/১০১; মিরক্বাত ৭
উত্তর : অবৈধ প্রেমে লিপ্ত হওয়া নিঃসন্দেহে কবীরা গোনাহ, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ’ (ইসরা ১৭/৩২)। এজন্য তাকে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা
উত্তর : স্বামীর জন্য ফরয কর্তব্য হ’ল স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মোহরানা পরিশোধ করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের ফরয মোহরানা পরিশোধ কর’ (নিসা ৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বিবাহের সবচেয়ে বড় শর্ত হ’ল মোহর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত
উত্তর : ক্বাযা ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে সুন্নাতের ক্বাযা আদায় করাও সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) ক্বাযা সুন্নাত পরে আদায় করেছেন। একবার ব্যস্ততার কারণে রাসূল (ছাঃ) যোহরের পূর্বের সুন্নাত আছরের পরে আদায় করেছিলেন (বুখারী হা/১২৩৩; মিশকাত হা/১০৪৩)। আয়েশা (র
উত্তর : নারীরা জেহরী ছালাতে সরবে কুরআন তেলাওয়াত করবে। তবে যদি আশপাশে গায়ের মাহরাম পুরুষ থাকলে এবং ফেৎনার আশংকা থাকলে অনুচ্চস্বরে তেলাওয়াত করবে (ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ১/১৯১; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৮)।প্রশ্নকারী : তাহেরা, গ
উত্তর : মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সালাম দেওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থাতেও কেউ সালাম দিলে আঙ্গুলের ইশারায় তার জবাব দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৯১; মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১০১৩)। তবে জামা‘আত চলা অবস্থায় তথা মুছল্লীরা ছালাতরত অবস্থায়
উত্তর : এতে বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি তোমার লজ্জাস্থান ঢেকে রাখ। তবে তোমার স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত (ইবনু মাজাহ হা/২৭৯৪; মিশকাত হা/৩১১৭)। উল্লেখ্য আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর গোপন স্থান কখনো দেখিনি’ মর্মের হাদীছটি য
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ ও তার আয়োজনে কোনরূপ সহযোগিতা করা জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা ইহূদী-নাছারাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তারা তাদের মধ্যে গণ্য হ
উত্তর : সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে পিতা ও মাতা উভয়ে পরামর্শ করবে। যদি সন্তানের নাম রাখার ব্যাপারে পিতা ও মাতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, তাহ’লে পরিবার প্রধান হিসাবে পিতার মতই অগ্রাধিকার পাবে (বুখারী হা/২৫৫৪)। মনে রাখতে হবে যে, পিতা হৌক বা ম
উত্তর : এসব কর্মক্ষেত্র মহিলাদের জন্য নয়। বরং গৃহই মহিলাদের প্রধান কর্মস্থল (আহযাব ৩৩/৩৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নারী হ’ল গোপন বস্ত্ত। যখন সে বের হয়, শয়তান তার পিছু নেয়’ (তিরমিযী হা/১১৭৩; মিশকাত হা/৩১০৯)। তবে প্রয়োজনে অভিভাবকের
উত্তর : মৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না। কারণ এটি হারাম (মায়েদাহ ৫/৩)। তবে দুর্ঘটনার পর জীবিত থাকলে তাকে যবেহ করে খাওয়া যাবে। হালাল প্রাণীর বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ বলেন, হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু, তবে যা তোমরা যবেহ দ্বারা হালাল করেছ, তা ব্যতীত&nbs
প্রশ্নকারী : আযীযুল ইসলাম, পিরুজালী, গাযীপুর।উত্তর : জমি ক্রয় বা বিক্রয় করে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা না থাকলে বা অন্যের হক বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য না থাকলে এরূপ চুক্তি জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে
উত্তর : সাদা চুল কালো করার উদ্দেশ্য না থাকলে দুলহান তেল কালো চুলে ব্যবহার করা যাবে। তবে সাদা চুলকে কোন তেল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে কালো করা নারী-পুরুষ সবার জন্যই নিষিদ্ধ (মুসলিম হা/২১০২; মিশকাত হা/৪৪২৩-২৪)। আর নারীরা সৌন্দয্যবর্ধন, স
উত্তর : কোন নারী অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে না। রাসূল (ছাঃ) এরূপ বিবাহকে বাতিল (৩ বার) বলেছেন (তিরমিযী হা/১১০১; আবুদাঊদ হা/২০৮৫; মিশকাত হা/৩১৩০-৩১)। তিনি বলেন, ‘কোন মহিলা নিজেকে বা অপর মহিলাকে বিবাহ দিতে পারবে না’
উত্তর : ওযূর পরে যে দো‘আগুলো পাঠ করা হয়, তায়াম্মুমের পরেও সে দো‘আগুলো পাঠ করতে হয়। কারণ তায়াম্মুম হ’ল ওযূর স্থলাভিষিক্ত (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/২৩৪)।প্রশ্নকারী : আব্দুল হালীম, ভূগরইল, রাজশাহী।
উত্তর : জিন দ্বারা আক্রান্ত হ’লে শরী‘আতসম্মত দো‘আগুলো দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করবে। যেমন সূরা নাস, ফালাক্ব, ইখলাছ, আয়াতুল কুরসী, সূরা ফাতিহা ইত্যাদি পাঠ করে ফুঁক দিবে (বুখারী হা/৪৪৩৯; মুসলিম হা/২১৯২; মিশকাত হা/১৫৩২)। কোন অবস্থায় হারাম বস্ত্ত দ্বারা
উত্তর : ইয়া রাসূল বা ইয়া নবী কেবল রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যাবে। চাওয়া, প্রার্থনা বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে এই আহবান করা যাবে না। কারণ তিনি এখন মৃত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১/১২৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব)। আর আ
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে খুৎবা দেওয়া সুন্নাত। কারণ রাসূল (ছাঃ) সারা জীবন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন (জুম‘আ ১১; মুসলিম হা/৮৬২; মিশকাত হা/১৪১৫; ফিকহুস সুন্নাহ ১/৩১১)। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে সুস্থ ব্যক্তিও বসে খুৎবা দিতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বিদা
উত্তর : দানকৃত সম্পদ হস্তান্তর করার পূর্বে নিয়ত পরিবর্তন করা যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৮৭; বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ২/২৯৮)। তবে হস্তান্তর হয়ে গেলে নিয়ত পরিবর্তন করা যাবে না (ফাৎহুল বারী ৫/২৩৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, দান করে
উত্তর : বোনের নাতনী বোনের মতই মাহরাম। তথা বোনের নাতনী নিজের নাতনীর সমতুল্য। সুতরাং বোনের নাতনীকে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনেয়ী’ (নিসা ৪/২৩)। উক্ত আয়াতের তাফসীরে মুফা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর আরশের চেয়ার ধরে কান্নাকাটি করবেন মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। বরং ক্বিয়ামতের দিন যখন লোকেরা শাফা‘আতের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট আবেদন করবে তখন তিনি আল্লাহর আরশের নীচে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদায় পড়ে যাবেন (বুখারী হ
উত্তর : তিনি বদলী হজ্জ করাবেন। ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, বিদায় হজ্জের বছর খাছ‘আম গোত্রের জনৈকা মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ...আমার বৃদ্ধ পিতার উপর এমন সময় হজ্জ ফরয হয়েছে, যখন তিনি সওয়ারীর উপর ঠিকভাবে বসতেও সক্ষম নন। আমি তার পক্ষ থেকে
উত্তর : তিনি প্রথমে হজ্জ করবেন। অতঃপর যা সম্পদ থাকে তা থেকে তিনি সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি দান করে দিতে পারেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩০৭১)। এর বেশী জায়েয নয়। তবে যদি ওয়ারিছগণ ধনবান হয় এবং তারা সম্মত থাকে, তবে সব জমি দান করতে বাধা নে
উত্তর : এ ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা আক্বীদা বা তাওয়াক্কুল বিরোধী নয়। কেননা রোগ হওয়ার পূর্বে তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা অবলম্বন করাও এক ধরনের চিকিৎসা। আর চিকিৎসা গ্রহণ করা শরী‘আতেরই নির্দেশ। তবে ঔষধ বা ডাক্তারকে আরোগ্যদানকারী মনে করলে শিরক হবে। রাসূল (
উত্তর : ইমামতি বা কুরআন শিক্ষাদান সহ যেকোন বৈধ কাজের জন্য কাউকে নিয়োগ করা হ’লে, তার কাজের বিনিময়ে সম্মানজনক হাদিয়ার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রূযীর ব্যবস্থা করে থাকি’ (
উত্তর : সফরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাড়িতে প্রবেশ করার সময় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। কারণ তা তোমাকে বাইরের অনিষ্ট থেকে হেফাযত করবে। আর বাড়িতে প্র
উত্তর : কারো স্ত্রী থাকা অবস্থায় তাকে বিবাহ করলে সেটি বিবাহ হিসাবে গণ্য হবে না। বরং সহবাস করলে তা ব্যভিচার হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ...সকল সধবা নারী তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ (নিসা ৪/২৪)। আর ব্যভিচার কবীরা গুনাহ (ইসরা ১৭/৩২)। এক্
উত্তর : এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে না। কারণ ব্যবসায় মিথ্যা বলা, টাল-বাহানা করা, প্রতারণা করা ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবসা করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মিথ্যা কসম পণ্যের কাটতি বাড়ায়, কিন্তু বরকত শেষ করে দেয় (বুখারী হা/২০৮৭; মুসলিম হা/১৬
উত্তর : উক্ত আলেম ঠিকই বলেছেন। এতে চোরকে এবং তার অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে যা নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ২)। আর হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০)। অতএব এ কাজ পরিহার করে তওবা করতে হবে।
উত্তর : বিষয়টি একটি প্রসিদ্ধ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে। কথিত আছে যে, মক্কায় ইমাম আওযাঈর সাথে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর সাক্ষাত হয়। তখন আওযাঈ (রহঃ) তাঁকে বলেন, আপনারা রুকুতে যাওয়ার সময় ও রুকূ থেকে ওঠার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করেন না কেন? জবাবে আবু হান
উত্তর : প্রশ্নটি ভুল হয়েছে। কুরআনের প্রথম সূরা ফাতেহা। আর কুরআনের সূরা আগে-পরে হওয়া কোন কিছুর উত্তম আর অনুত্তম হওয়ার দলীল নয়। মনে রাখা আবশ্যক যে, কুরআনের সূরা ও আয়াত সমূহের বিন্যাস সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়, যা তাওক্বীফী অর্থাৎ অপরিব
উত্তর : বর্ণনাটি ইমাম ত্বাবারাণী (রহঃ) স্বীয় ‘আল-মু‘জামুল আওসাত্ব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন (হা/১০২৮)। তবে বর্ণনাটি যঈফ। এর উপর আমল করা যাবে না (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৩৪৯)।
উত্তর : এ বিষয়ে ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ বলেন, যদি কেউ বলে ঈমান মাখলূক না গায়ের মাখলূক? তাহ’লে তাকে বলা হবে, ঈমান দ্বারা তুমি কি বুঝ? তুমি কি এর দ্বারা আল্লাহর গুণাবলী ও তাঁর কালাম বুঝ? যেমন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, যাকে মু
উত্তর : যাকে কুরআন পড়তে বলা হবে তিনি পড়তে সক্ষম হবেন। ভুলে যাবেন না ।
উত্তর : এগুলো বিজাতীয় রীতি। মুসলিম সমাজে যার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আর বিজাতীয় রীতির অনুসরণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৯৪)।
উত্তর : শিরকের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না (নিসা ৪৮)। তবে মৃত্যুর পূর্বে শর্ত মাফিক তওবা করে মরার সুযোগ পেলে আল্লাহ্ শিরকের গুনাহ্ও ক্ষমা করে দিবেন (তওবা ৫; যুমার ৫৩)।জাহান্নামের একটি উপত্যকাকে জুববুল হুযন (جب الخرن) বলা হয়েছে। যা থেকে বাঁচার জন্য
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। এতে জমি দিয়ে ঋণ গ্রহণকারী অত্যাচারিত হয়। আর ঋণ প্রদানকারী লাভবান হয় এবং সে বাতিল পন্থায় অন্যের সম্পদ ভোগ করে। যা করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন (বাক্বারাহ ১৮৮; নিসা ২৯)। তবে চুক্তিতে জমি লীজ নেওয়া জায়েয (বুখারী হা
উত্তর : আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি মন্দ কাজে সুফারিশ করবে, সে ব্যক্তি তার অংশ পাবে (নিসা ৪/৮৫)। অতএব এখানে হকদারকে বঞ্চিত করার জন্য সুফারিশকারী এবং ঘুষ গ্রহণকারী উভয়েই পাপ করেছে। অতএব তারা উভয়েই গুনাহ্গার এবং যুলুমকারী হিসাবে গণ্য হবে। যে স্থানের
উত্তর : শয়তান (ইবলীস) জিনদের অন্তর্ভুক্ত। পুরুষ-নারী উভয় প্রকার জিন আছে (নিসা ১১৭; আহমাদ হা/২১২৬৯)। আর তাদের সন্তানও রয়েছে (কাহফ ৫০)। সন্তান থাকলে অবশ্যই তার স্ত্রীও আছে। অতএব তারাও বিয়ে করে থাকে, সন্তান হয়, বংশও বৃদ্ধি হয়। তবে সঠিক বিষয় আল্লাহ জানেন
উত্তর : জান্নাত একটি আর জাহান্নামও একটি। তবে জান্নাত এবং জাহান্নামের অনেকগুলি স্তর রয়েছে। জান্নাত শব্দটি কুরআনে এবং হাদীছে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে ঐসব স্তরগুলির দৃষ্টিকোণ থেকে। যেমন বলা হয়েছে, জান্নাতের ১০০টি স্তর রয়েছে। প্
উত্তর : আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম‘আতের আক্বীদা হ’ল- আল্লাহর কথার শব্দ এবং বর্ণ আছে। শব্দ না থাকলে মূসা (আঃ) কিভাবে শুনলেন? (ত্বোয়াহা ১৩-১৪)। আর শব্দের জন্য বর্ণ অপরিহার্য, যা আমাদের সামনে বিদ্যমান রয়েছে। বর্ণ না থাকলে কুরআন আসত কিভাবে? ইবনু তায়মিয়াহ
উত্তর : মিসওয়াকের অর্থ হলো এমন নরম ডাল, যা দ্বারা মিসওয়াক করা হয়। খেজুর গাছের কাঁচা ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা সুন্নাত মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে আরাক গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করা ভাল (আহমাদ হা/৩৯৯১, সনদ হাসান; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭৫০)।
উত্তর : মহিলাদের জন্য হাতে-পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা জায়েয (আবুদাঊদ হা/৪১৬৫)। মেহেদীর রং ওযূর কোন ক্ষতি করে না। পুরুষের জন্য হাতে-পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা নিষিদ্ধ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/২১৮)।
উত্তর : ‘হিজাব’ (حجاب) অর্থ পর্দা। যা পরপুরুষের দৃষ্টি থেকে নারীকে নিরাপদ রাখে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী নারীর সর্বাঙ্গ সতরের অন্তর্ভুক্ত। কেবল তার চেহারা ও দুই হস্ততালু ব্যতীত (আবুদাঊদ হা/৪১০৫, মিশকাত হা/৪৩৭২)। তবে এটি হ’ল বাড়ীতে স্বাভাবিক অবস্থ
উত্তর : ফাসিক ও বিদ‘আতীর পিছনে ছালাত আদায় করা মাকরূহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইমামগণ ছালাতে ভুল করলে তোমাদের রয়েছে নেকী ও তাদের জন্য রয়েছে গোনাহ’ (বুখারী, মিশকাত হা/১১৩৩)। এমতাবস্থায় মুক্তাদীর ছালাত কবুল হবে। যুহরী বলেন, বাধ্যগত অবস্থায় ব্যতীত আমরা এমন
উত্তর : সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোন প্রাণীর ছবি তোলা এবং তা টাঙানো বা স্থাপন করা হারাম। কারণ এগুলি মূর্তিপূজার শামিল। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক ছবি নির্মাতা জাহান্নামী (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪৯৮, ‘ছবিসমূহ’ অনুচ্ছেদ)। তবে
উত্তর : মুসলিমদের যেকোন চুক্তি বৈধ শর্তের উপর লিখিত হওয়া আবশ্যক এবং সে চুক্তি উভয়েই ভঙ্গ করবে না মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া উচিত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৮৭৭)। বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়াকে অবশ্যই তাদের চুক্তিতে আরোপিত বৈধ শর্ত মেনে চলতে হবে। এ ক্
উত্তর : মসজিদে যাতায়াতের জন্য মসজিদ কমিটি বিভিন্ন পথ করে রেখেছে বলেই বিভিন্ন পথ দিয়ে মসজিদে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য জান্নাতের মালিক আল্লাহ তা‘আলা মাত্র একটি পথ খোলা রেখেছেন। উক্ত পথ ছাড়া অন্য কোন পথ দিয়ে জান্নাতে যাও
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৩৪৫; যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/১৫৭৩)।
উত্তর : হস্তমৈথুন বা যেকোন উপায়ে বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। এটি কবীরা গোনাহ। আল্লাহ বলেন, যারা নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারা সীমালংঘনকারী (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)। এটি হ’ল আত্মঘাতি পাপ। যা মানুষের জীবন-যৌবন ধ্বংস করে।
উত্তর : প্রথম কারণ হল, উক্ত বাক্যগুলি দরূদ নয়। ২য় কারণ হ’ল এটি শিরক মিশ্রিত। এখানে বলা হয়েছে, ‘উচ্চতা তার পূর্ণতায় পৌঁছে গেছে’। অথচ এটি কেবল আল্লাহর জন্য খাছ। ৩য় কারণ, এখানে রাসূল (ছাঃ)-কে নূরের তৈরী কল্পনা করা হয়েছে, যাঁর দেহের আলোকচ্ছটায় অন
উত্তর : নাপাক অবস্থা দু’প্রকারের (ক) পেশাব-পায়খানা করার কারণে নাপাক হওয়া (খ) স্ত্রী সহবাসে বা অন্য কোন উপায়ে বীর্যপাত হওয়ার কারণে নাপাক হওয়া। প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় অবস্থায় কুরআন মাজীদ স্পর্শ ছাড়া পড়া যায় (তিরমিযী ১/১৪৬; আহমাদ হা/৬৩৯, ৮৭২; বুখারী,
উত্তর : আঘাত করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বললে বা যবহ করার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বললে খাওয়া যাবে। নিয়ম হল, বিসমিল্লাহ বলে তীর নিক্ষেপ করা এবং এমন অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা যদ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয় (মায়েদাহ ২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে অস্ত্র রক্ত প্রবাহি
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সালামের পরে মুছাফাহা করা সালামের পূর্ণতা (আদাবুল মুদরাদ হা/৯৬৮, সনদ ছহীহ)। অতএব বিদায়ের সময়েও মুছাফাহা করা সালামের পূর্ণতা হিসাবে গণ্য হবে। রাসূল (ছাঃ) যখন কাউকে বিদায় দিতেন তখন ঐ ব্যক্তি হাত না ছাড়া পর্যন্ত আল্লাহ
উত্তর : কোন ব্যক্তি তার কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট খালেছ অন্তরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন (মুসলিম ২য় খন্ড, পৃঃ ৩৫৫)। তবে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক নষ্ট করে থাকলে তাকে অবশ্যই তা ফেরত দিতে হবে। কারণ এই
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/৬৩৮)। তবে আবুদাঊদে বর্ণিত তার পূর্বের হাদীছটি ছহীহ। যেখানে রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে ছালাত আদায় করবে সে হালালের মধ্যে আছে না হারামের মধ্যে আছে তা আল্লাহ্র যায় আসে না (আবু
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা ধীরে ও শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত কর (মুযযাম্মিল ৪)। কুরআন তেলাওয়াত শুদ্ধ না হলে শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে গুনাহের সম্ভাবনা থাকে, তবে ছালাত হয়ে যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৭ম খন্ড, পৃঃ ৩৪৮)।বিশুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত
উত্তর : বিষয়টি সঠিক নয়।
উত্তর : কবর ও গোসলখানা ব্যতীত পৃথিবীর সর্বত্রই ছালাতের স্থান (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৭৩৭)। সুতরাং উক্ত অফিসের যে কোন স্থানে ছালাত আদায় করে নিতে হবে। এতেও যদি বাধা সৃষ্টি হয়, তাহলে উক্ত চাকুরী ছেড়ে দিবে এবং প্রয়োজনে অন্যত্র হালাল রূযী তালাশ
উত্তর : দ্বীন শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে মুছল্লীদের পরামর্শক্রমে উক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সুতরাং কারো ব্যস্ততা থাকলে তিনি মসজিদের বারান্দায় সুন্নাত পড়তে পারেন অথবা বাড়ীতে গিয়ে পড়তে পারেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৬০; মুসলিম, ম
উত্তর : সঠিক (মুসনাদে আহমাদ হা/৪৪১৪, আহমাদ শাকির ‘ছহীহ’ বলেছেন এবং আরনাঊত্ব ‘ছহীহ লিগায়রিহী’ বলেছেন। ইবনু কাছীর বলেন, সনদে ‘দুর্বলতা’ আছে। আলবানী একই মত পোষণ করেন। সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃঃ ১/৯১; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৪/৪২)।
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কারণ শরী‘আতের উৎস হল, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ (মুস্তাদরাক হাকেম হা/৩১৮, সনদ ছহীহ)। এছাড়া উদ্ভূত কোন সমস্যার সমাধান কুরআন-সুন্নাহ্র মাঝে না পেলে আহলেহাদীছগণ ইজমায়ে ছাহাবা অতঃপর ইজতিহাদের শরণাপন্ন হন।শাশুড়ী স্বামীর জন্য হ
উত্তর : যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কেউ যদি ছালাত আদায় করতে ভুলে যায় তাহলে স্মরণ হওয়া মাত্রই যেন তা আদায় করে নেয়। কারণ ছালাত আদায় করাই তার কাফফারা (বুখারী হা/৫৯৭)। নিষিদ্ধ সময়ে ছালাত আদায় করা যাবে না এই নির্দেশের মধ্যে ক্বাযা ছালাত অন্তর্ভুক্ত
উত্তর : গর্হিত কোন অন্যায়ের কারণে যদি স্রেফ আল্লাহ্র জন্য সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে থাকে, তাহলে তার ইবাদতের উপর গোনাহের কোন প্রভাব পড়বে না (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩০; বায়হাক্বী শু‘আব, মিশকাত হা/৫০১৪)। আর যদি অন্য কারণে বা বিদ্বেষমূলক হয়ে থাকে, তাহলে পরিণাম অত্যন
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহ্র পথ হতে (মানুষকে) বিচ্যুত করার জন্য গান ক্রয় করে এবং আল্লাহ্র পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে; তাদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি (লোকমান ৬)। আবু মালেক আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে, ত
উত্তর : নযর লাগা সত্য। এর প্রতিকার সম্পর্কে প্রশ্নোল্লেখিত আলোচনা সঠিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নযর লাগা সত্য। অতঃপর যদি কোন বস্ত্ত তাক্বদীর পরিবর্তনে সক্ষম হ’ত, তাহ’লে বদ-নযরই তা করতে পারত। আর যদি তোমাদের গোসল করাতে চাওয়া হয়, তাহ’লে তোমরা গো
উত্তর : স্ত্রী-সন্তানের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা স্বামী বা পিতার অবশ্য কর্তব্য। সে হিসাবে কৃপণ পিতার সম্পদ থেকে ন্যায়সঙ্গতভাবে কিছু গ্রহণ করা সন্তানের জন্য জায়েয (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/৩১২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২১/১৬৬; শাওকানী, নায়লুল আও
উত্তর : সুৎরাবিহীন অবস্থায় সিজদার স্থানের ভিতর দিয়ে বিড়াল, ছাগল বা কোন প্রাণী অতিক্রম করলে ছালাতের কোন ক্ষতি হয় না, কেবল কালো কুকুর ব্যতীত। কেননা হাদীছে এসেছে, কালো কুকুর সামনে দিয়ে গেলে ছালাত হবে না (মুসলিম হা/৫১১)। এর অর্থ হ’ল, ছালাতের নেকী ক
উত্তর : উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ইবনু আসাকির, তবে বর্ণনাটি জাল (তারীখু দিমাশক্ব ৩/৩১০; যাহাবী, মীযানুল ই‘তিদাল ৪/৯৮)। অনুরূপভাবে বায়হাক্বীতেও একটি বর্ণনা এসেছে, যাকে শায়খ আলবানী মিথ্যা ও জাল বলেছেন (সিলসিলা যঈফাহ হা/৪১৪৪)।প্রশ্নকারী :&nbs
উত্তর : আদম (আঃ) জান্নাতে নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খাওয়ার পরে তাদেরকে পৃথিবীতে কোথায় নামানো হয়েছিল তা প্রমাণিত নয়। তবে বিভিন্ন যঈফ ও জাল বর্ণনার ভিত্তিতে বিদ্বানগণ বিভিন্ন স্থানের কথা বলেছেন যেগুলি তাদের ইজতিহাদ মাত্র। শরী‘আতের কোন দলীল নয়। একদল বি
উত্তর : মূর্তি ও ভাষ্কর্যের মধ্যে অর্থগত পার্থক্য থাকলেও উদ্দেশ্য একই। মূর্তি হ’ল অবয়ব বা প্রতিকৃতি। আর প্রস্তরাদি খোদাই করে যে মূর্তি তৈরী হয় তা-ই ভাষ্কর্য। ইসলামী শরী‘আতে মূর্তি ও ভাষ্কর্য দু’টির মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয়নি। কোনটি পূজনীয়, আ
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিমদের মন্দির বা পূজা পরিদর্শন করা বা উদ্বোধন করা কোন মুসলিমের জন্য হারাম। কেননা এতে তাদের শিরকী কর্মকান্ডের প্রতি স্বীকৃতি ও ভালোবাসার প্রকাশ পায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা গোনাহ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করোনা’ (মায়েদাহ ৫/২)
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি প্রসিদ্ধ হ’লেও সূত্রবিহীন। অতএব তা অগ্রহণযোগ্য।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
উত্তর : অর্থ ইচ্ছামত খরচ করা বা অপচয় করা যাবে না। বরং আয়-ব্যয় দু’টিই হালাল পথে ও ইসলামের নির্দেশিত পথে খরচ করতে হবে। কেননা ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর দেওয়া প্রতিটি নে‘মত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হ’তে হবে (তাকাছুর ৪; তিরমিযী হা/২৪১৭; মিশকাত হা/৫১৯৭)।ইসলাম
উত্তর : অপমৃত্যু বা অকাল মৃত্যু বলে অভিহিত করা যাবে না। কেননা প্রকৃত প্রস্তাবে অকাল মৃত্যু বলে কিছু নেই। বরং জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর পূর্বনির্ধারিত এবং ভাগ্যের অবধারিত লিখন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৮/৫১৭)। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি একটি নি
উত্তর : বর্ণনাটি যঈফ (আলবানী, যঈফুত তারগীব হা/৮৯১)।প্রশ্নকারী : খাদেমুল ইসলাম, নলডাঙ্গা, নাটোর।
উত্তর : মিথ্যা বলা বা মিথ্যা কসম করা হারাম। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক রক্ষা বা জীবন রক্ষার মত কঠিন পরিস্থিতি এলে মিথ্যা কসম করা জায়েয (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১/৫৪)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিনটি ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা যায়। সেগুলি হ’ল : (১)
উত্তর : কোন অপরিচিত নারী রাস্তায় মারা গেলে তার কপালে তিলক বা হাতে শঙ্খ কিংবা পোষাকে আলামত খুঁজতে হবে। যদি তাতে কিছু বুঝা না যায়, তাহ’লে এলাকার ভিত্তিতে তার পরিচয় নির্ণীত হবে। যদি মুসলিম এলাকায় মারা যায় তাহ’লে মুসলিম হিসাবে কাফন-দাফন হবে। আর ক
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। তিনি আরও বলেন, ‘আর তুমি আমার স্মরণে ছালাতে দাঁড়িয়ে যাও’ (ত্বোয়া-হা ২০/১৪)। অতএব ছালাতের মূল বিষয়টি হ’ল আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়ানো। এক্ষণে শক্তি থ
উত্তর : সাধ্যমত পর্দা বজায় রেখে মহিলা রোগীর চিকিৎসা করা জায়েয। তবে মহিলা একাকী আসলে আবদ্ধ কক্ষে কোন সহযোগী রাখতে হবে। আর সহযোগী না থাকলে ঘরের দরজা-জানালা খোলা রেখে চিকিৎসা দিতে হবে, যাতে মনের মধ্যে শয়তানী প্রবৃত্তি জাগ্রত না হয়। রাসূল (ছাঃ) ব
উত্তর : উক্ত আয় বৈধ হবে, যদি দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সেই সমিতি অনুমোদিত হয়। আর যদি তা গোপনীয় হয় এবং অন্যায়ভাবে চাঁদা আরোপ করা হয়, তবে তা হারাম হবে। আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা একে অপরের মাল অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করোনা, পারস্পরিক সম্মতিতে
উত্তর : অবশ্যই হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তোমরা তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল তাদেরও। যদি তারা নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। আল্লাহ প্রাচুর
প্রশ্নকারী : শাকিল আহমাদ, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। তবে কবর সংরক্ষণের জন্য দেওয়া প্রাচীর যতদিন কবর হেফাযতের জন্য স্থায়ী থাকবে ততদিন সেগুলি ব্যবহার করা সমীচীন নয়। আর তা ভেঙ্গে গেলে পরিত্যক্ত বস্ত্ত ব্যবহারে কোন বাধা
উত্তর : কাহিনীটি প্রসিদ্ধ, কিন্তু বিশুদ্ধ নয় (দ্র. সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৪৯১ পৃ. টীকা-৬৭৮)।প্রশ্নকারী : মামূনুল হক, মহাদেবপুর, নওগাঁ।
উত্তর : মসজিদ নির্মাণে অমুসলিম মিস্ত্রির সহযোগিতা নেওয়া যাবে। এমনকি তাদের আর্থিক সহায়তাও নেওয়া যাবে। এতে কোন বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৭/৪৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৫৬)।প্রশ্নকারী : ইকবাল আখতার, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
উত্তর : নারী বা পুরুষের জন্য অপারেশনের মাধ্যমে স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব গ্রহণ করা হারাম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৯/৩১১; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৩/২০০; ওয়াহবাতুয যুহায়লী, আল-ফিক্বহুল ইসলামী ৪/১৯৮)। কেবল যদি নারীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাহ’লে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্
উত্তর : কুরআনের অনুবাদ বা তাফসীর পাঠকালেও সিজদা করা উত্তম। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আদম সন্তানরা যখন সিজদার আয়াত পড়ে ও সিজদা করে, শয়তান তখন কাঁদতে কাঁদতে একদিকে চলে যায় ও বলে হায় আমার কপাল মন্দ। আদম সন্তান সিজদার আদেশ পেয়ে সিজদা করল, তাই তার জ
উত্তর : মোবাইলে বিবাহের পর অলীমা করা যায়, যদিও বাসর না হয়। কেননা বিবাহ সংঘটিত হয়েছে (ফাৎহুল বারী হা/৫১৬৬-এর পূর্বের আলোচনা ‘অলীমা’ অনুচ্ছেদ, ৯/২৩১ পৃ.)। তবে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের অলীমা বাসরের পরে ছিল (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩২১২; ইবনু তায়মিয়াহ, আ
উত্তর : এক্ষেত্রে স্ত্রী মোহরানাসহ স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে। কারণ সে শরী‘আত সম্মতভাবে স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেছে (তিরমিযী হা/১১৪৫; আবুদাউদ হা/২১১৪ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩২০৭)। একদিন জনৈক ব্যক্তি ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, এক ব্যক্তি
উত্তর : উক্ত হাদীছটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ায় শায়খ আলবানী (রহঃ)-এর সনদকে ছহীহ লিগায়রিহী বা হাসান পর্যায়ের হাদীছ বলেছেন (ছহীহাহ হা/২৬৬৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অনুরূপভাবে ইবনু কাছীর ও হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) হাদীছটিকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন (আল-বিদায়াহ ১/৯
উত্তর : মসজিদে প্রবেশের দো‘আ নিম্নস্বরে পড়বে। তবে মসজিদে প্রবেশকালে মুছল্লী থাকলে সালাম দেওয়া সম্পর্কে ওলামায়ে কেরাম মতভেদ করেছেন। জমহূর বিদ্বানগণ ছালাতরত মুছল্লীদের উপর সালাম দেওয়াকে মাকরূহ বলেছেন। তবে হাম্বলীরা জায়েয বলেছেন। কেননা ইবনু ওমর
উত্তর : অন্যূন সাত বছর জেল খাটার পর বাদশাহর এক স্বপ্নের ব্যাখ্যা দানের পুরস্কার স্বরূপ তাঁর মুক্তি হয়। পরে তিনি বাদশাহর অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং বাদশাহর আনুকূল্যে তিনিই হন সমগ্র মিসরের একচ্ছত্র শাসক। ইতিমধ্যে ‘আযীযে মিছর’ ক্বিৎফীর
উত্তর : না, নির্ধারিত ৯৯টি নাম নয়; বরং বিদ্বানগণ পবিত্র কুরআন ও হাদীছ সমূহ থেকে আল্লাহর দুই শতাধিক গুণবাচক বা ‘ছিফাতী’ নাম সাব্যস্ত করেছেন (তাফসীর কুরতুবী)। এগুলিকে ‘আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। তন্মধ্যে যেকোন ৯৯টি নাম যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমান ও আনুগত্
উত্তর : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত আদায়ের পূর্বে তার ঋণ পরিশোধ করবে। যেমন ওছমান (রাঃ) বলেন, এটি (রামাযান) যাকাতের মাস। অতএব যদি কারো উপর ঋণ থাকে তাহ’লে সে যেন প্রথমে ঋণ পরিশোধ করে। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে সে তার যাকাত আদায় করবে (মুওয়
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অধিকাংশ সময় দীর্ঘ জামা তথা প্রচলিত জুববার মত পোষাক পরিধান করতেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৩০৫)। তবে ক্বামীছ ও পায়জামাও রাসূল (ছাঃ) মাঝে-মধ্যে পরিধান করেছেন (সাফারেনী, গেযাউল আলবাব ২/২৪১)। বরং ক্বামীছ রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যতম প্রিয় পো
উত্তর : ইয়াতীমের জন্য আদায়কৃত সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট দায়িত্বশীলগণ প্রাপ্য বেতন গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণ করতে পারবেন। যদিও সে সম্পদ যাকাতের হয়। কেননা যাকাতের একটি খাত রয়েছে, যা আমেল তথা দায়িত্বশীলগণের জন্য নির্দিষ্ট (তওবা ৯/৬০)। তবে কর
উত্তর : মসজিদের আন্ডারগ্রাউন্ড মসজিদেরই অংশ হওয়ায় মহিলারা সেখানে জামা‘আতে ছালাত আদায় করতে পারবে। তবে ইমামের অনুসরণের জন্য তাকবীর শুনতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২১৩; ফাতাওয়া ইসলামিয়া ২/৮)।প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
উত্তর : কুকুরে কামড়ানো প্রাণী বেঁচে থাকলে যবেহ করে খাওয়া যাবে (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৯/৩২২; তাফসীরে ইবনু কাছীর, মায়েদাহ ৩ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। আল্লাহ হালাল প্রাণীর বর্ণনা দিয়ে বলেন, হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু, তবে যা তোমরা যবেহ দ্বারা হালাল করে
উত্তর : কেবল অপসন্দের দোহাই দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ঘৃণিত কাজ। বরং স্ত্রীর কোন কিছু অপসন্দ হ’লে মনে করতে হবে আল্লাহ হয়ত এর মধ্যে কল্যাণ রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। যদি তোমরা তাদের অপসন্দ কর, (তবে হ’তে পারে)
উত্তর : তাদের প্রথম বিবাহটি শরী‘আতসম্মত হয়নি। কারণ তাতে পিতা বা অভিভাবকের সম্মতি ছিল না। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে নারী তার অলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ করবে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (তিরমিযী হা/১১০২; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। অত
উত্তর : এটি সুস্পষ্ট প্রতারণা ও মিথ্যার শামিল, যা থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে প্রতারণার আশ্রয় নেয়, সে আমার দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০২; মিশকাত হা/২৮৬০)। এক্ষণে করণীয় হ’ল, যে কয় বছরে অতিরিক্ত টাকা ন
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ (ইবনু মাজাহ হা/৭৩৮; ইবনু হিববান হা/১৬১৮; ছহীহুত তারগীব হা/২৭১)। কোন বর্ণনায় এসেছে যে, ‘যে ব্যক্তি পাখির ডিম দেওয়ার বাসার ন্যায় একটি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন’ (আহমাদ হ
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। কারণ কোন সূত্র দ্বারা প্রমাণিত নয় যে, তিনি কোন হাদীছের কিতাব সংকলন করেছেন। মূলতঃ তিনি মুহাদ্দিছ ছিলেন না বরং ফক্বীহ ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) ফিক্বহের ক্ষেত্রে আবু হানীফা (রহঃ)-এর দক্ষতার ভূয়স
উত্তর : উক্ত সংখ্যাটি বলা হয়েছে শহীদদের মর্যাদায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) শহীদদের ৬টি মর্যাদার অন্যতম হিসাবে বলেন, ... তাদের প্রত্যেকের পক্ষ থেকে ৭০ জন নিকটাত্মীয়ের জন্য সুফারিশ কবুল করা হবে (তিরমিযী হা/১৬৬৩; ইবনু মাজাহ হা/২৭৯৯; মিশকাত হা/৩৮৩৪)।
উত্তর : যেহেতু ব্যক্তির অন্য কোন পুরুষ ওয়ারিছ নেই। সেজন্য নাতির মেয়ে ও ছেলেরা ওয়ারিছ হবে। তবে নাতির স্ত্রী এই সম্পত্তির কোন ওয়ারিছ হবে না। কারণ তার স্বামী উক্ত সম্পত্তির মালিক হওয়ার পূর্বে মারা গেছে। এক্ষণে নাতির দুই ছেলেকে ছেলে ও দুই মেয়ে ও
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে কন্যা পক্ষের কোন দায়িত্ব নেই মেহমানদারী ব্যতীত। আর ছেলে পক্ষের উপর অলীমা করা ওয়াজিব। এক্ষণে প্রশ্নমতে নেকীর কাজে যে কেউ যে কাউকে সাহায্য করতে পারে (মায়েদাহ ৫/২)। বরং এরূপ ভালো কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা উত্তম। ৫ম হিজর
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সন্তানের সাথে আক্বীক্বা জড়িত। অতএব তোমরা তার পক্ষ হতে রক্ত প্রবাহিত কর এবং তার থেকে কষ্ট দূর করে দাও (অর্থাৎ তার জন্য একটি পশু যবহ কর এবং তার মাথার চুল ফেলে দাও)’ (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৪৯ ‘আক্বীক্বা’ অনু
উত্তর : সম্মানিত লেখক হয়তবা ইবনু ওমর (রাঃ) বর্ণিত উক্ত হাদীছটি সঠিকভাবে বুঝতে সক্ষম হননি। কেননা হাদীছের শেষে বলা হয়েছে, ইবনু ওমর (রাঃ) বলছেন যে, আমি তখন ছোট ছিলাম’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৮১১ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায় ‘বক্তৃতা ও কবিতা’ অ
উত্তর: বরযখ শব্দের অর্থ অন্তরায় ও পৃথককারী। শরী‘আতের পরিভাষায় মৃত্যর পর হতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সময়কালকে বরযখ বলা হয়। এটা দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনের মধ্যেকার প্রাচীর। আল্লাহ বলেন, তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত (ম’ুমিনূন ১০০)। ক্ব
উত্তর : উক্ত মর্মে সমাজে যে বর্ণনা প্রচলিত আছে তা ভিত্তিহীন (সিলসিলা যঈফাহ হ/৫১০৩)। এবিষয়ে সঠিক আক্বীদা হল, আল্লাহ তা‘আলা আরশের উপরে সমুন্নীত। এ সম্পর্কে কুরআনে সাতটি আয়াত বয়েছে (সূরা ইউনুস ৩; আ‘রাফ ৫৪; ত্বোয়াহা ৫; ফুরক্বান ৫৯; সাজদাহ ৪; হাদীদ ৪)। এক
উত্তর : যবহকৃত হালাল পশুর প্রবাহিত রক্ত ব্যতীত সবই হালাল (আন‘আম ১৪৫)। হানাফী কিতাব সমূহে আরো ছয়টি বস্ত্ত হারাম বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু সেগুলি সব ক্বিয়াসী বা অনুমান নির্ভর। সুতরাং হালাল পশুর চামড়া যদি কেউ খেতে চায়, খেতে পারে। তবে স্বাস্থ্যের জন্য
উত্তর: যে দো‘আর সাথে অন্যরা ‘আমীন’ বলে যেমন ক্বুনূতে নাযেলা, এস্তেস্কার দো‘আ ইত্যাদি ব্যতীত বাকী সকল দো‘আ নীরবে পড়া উচিত। কেননা আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, ‘তোমরা প্রতিপালককে মনে মনে বিনয় ও ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে ডাক’ (আ‘রাফ ২০৫)। প্রশ্নে উল্লেখ
উত্তর : কবরের মাটির চাপ থেকে সৎ অসৎ, মুসলিম অমুসলিম কেউ রক্ষা পাবে না (আহমাদ হা/২৪৩২৮; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৬৯৫)। তবে সবার চাপ একই ধরনের হবে না। মুমিন ব্যক্তি এই চাপে শান্তি অনুভব করবে।
উত্তর : কুরআন শিক্ষা দিয়ে, ইমামতি করে, আযান দিয়ে, দ্বীনী তা‘লীম দিয়ে বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয আছে। তবে অর্থ গ্রহণ যেন উদ্দেশ্য না হয়। উদ্দেশ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে বস্ত্তর উপর তোমরা পারিশ্রমিক গ্রহণ করবে সেগুলো
উত্তর : শিরক ও বিদ‘আত দুইটিই জঘন্য অপরাধ। যদি উক্ত পাপ হতে তওবা না করে কেউ মারা যায়, তাহলে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দিবেন। যেমন শিরক সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় যে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম কর
উত্তর : চুল ক্রয়-বিক্রয় করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ যা সংযুক্ত থাকা অবস্থায় বিক্রি করা নাজায়েয়, তা পৃথক হওয়ার পরও নাজায়েয। মানুষের চুল তার অন্যতম। এর দ্বারা মানুষের মর্যাদার হানি হয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/২৫৪ পৃঃ)।
উত্তর : এ ধরনের মসজিদে ছালাত আদায় করার কারণে ছালাতে একাগ্রতা নষ্ট হলে ইমাম পাপী হবে। তবে মুক্তাদীর ছালাত হয়ে যাবে (বুখারী হা/৬৯৪; মিশকাত হা/১১৩৩ ‘ইমামের কর্তব্য’ অনুচ্ছেদ)। আর ছালাতের সময় হয়ে গেলে একাকী আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করে নিতে হবে।
উত্তর: উক্ত অবস্থায় শুধু সূরা ফাতেহা পড়বে (বুখারী হা/৭৫৭; মুসলিম হা/৫০৭)। আর ইমাম সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে এক রাক‘আত পড়ে বৈঠক করবে। অতঃপর আরেক রাক‘আত পড়ে বৈঠক শেষে সালাম ফিরাবে। পিছনে আসা ব্যক্তি ইমামের সাথে যে রাক‘আত পাবে সেটাই তার প্রথম রাক‘আ
উত্তর: ওয়ারিছগণ কে কতটুকু পাবে তা স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারন করে দিয়েছেন (নিসা ৭, ১১)। কিন্তু সেটা পাবে মৃত্যুর পরে, আগে নয়। তবে কেউ যদি জীবিত অবস্থায় বন্টন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই সব ওয়ারিছকে অংশ মত দিতে হবে। তবে এটা হ’তে হবে সাময়িক ভিত্তিতে কেবল মৌ
উত্তর : স্বামী-স্ত্রীর মিলনের মাধ্যমে সন্তান আসে। কিন্তু মিলন হলেই সন্তান হবে এমনটি নয়। কারণ এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ্র হাতে (শূরা ৪৯-৫০)। তাছাড়া অন্যত্র বিবাহ হলে সন্তান হবেই মর্মে কোন নিশ্চয়তা নেই। কাজেই ধৈর্যধারণ করে স্বামীর সাথে জীবন-যাপন করাই ভাল
উত্তর : সোনা-চাঁদীর নিছাব অনুযায়ী টাকার যাকাত নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ বর্তমান ওযন অনুযায়ী ৮৫ গ্রাম সোনা এবং ৫৯৫ গ্রাম চাঁদী। প্রয়োজনীয় খরচ বাদে যা অবশিষ্ট থাকবে এবং এক বছর তার উপর অতিবাহিত হলে সঞ্চিত টাকার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। শতকরা আড়াই ভাগ হ
উত্তর : এজন্য তাদেরকে তওবা করতে হবে এবং এক দীনার বা অর্ধ দীনার ছাদাক্বা করতে হবে (আবুদাঊদ হা/২৬৪; মিশকাত হা/৫৫৩)। এটি ছিল নবী যুগের স্বর্ণমুদ্রার নাম। এখন সেখানে তা নেই। অতএব স্ব স্ব দেশের মুদ্রায় কিছু ছাদাক্বা করা উত্তম। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, ন
উত্তর : অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শের আলোকে যদি মায়ের জীবনের হুমকি থাকে তাহলে গর্ভস্থিত ভ্রূণ ফেলে দেয়া জায়েয। অন্যথায় শরী‘আতের দৃষ্টিতে গর্ভপাত করা হারাম (বাক্বারাহ ২০৫)। আর দারিদ্রে্যর ভয়ে সন্তান হত্যা করা হলে তা হবে আরো বড় পাপ (বনু ইসরাঈল ৩১)।
উত্তর : ওটা নারী জিন ছিল। উযযা মূর্তির রূপ ধরে মহিলা জিন মূর্তিপূজা করার জন্য উৎসাহ দিত। এজন্য রাসূল (ছাঃ) উক্ত নগ্ন নারী জিনকে প্রকৃত উযযা বলেছেন (নাসাঈ কুবরা হা/১১৫৪৭)। উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক মূর্তির সাথে একজন করে নারী জিন থাকে’ (আ
উত্তর : যদি প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্রে বিভিন্ন মেয়াদে পৃথক পৃথক শিক্ষক থাকার বিষয়টি আবশ্যিক থাকে, তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী হবেন। আর তা না থাকলে কমিটির পরামর্শে প্রধান শিক্ষক যাকে যোগ্য মনে করবেন তার নাম প্রস্তাব করতে পারেন। এতে একই শিক্ষক একাধ
উত্তর : উক্ত ফৎওয়া সঠিক নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ), আবুবকর (রাঃ) এবং ওমর (রাঃ) মিনাতে ছালাত ক্বছর করে করতেন। মক্কার স্থানীয় ব্যক্তিরাও তাঁদের সাথে ক্বছর করতেন। তবে ওছমান (রাঃ) তাঁর খেলাফতের প্রথমদিকে ক্বছর করতেন এবং পরবর্তীতে পুরা পড়তেন (বুখারী হা/
উত্তর : বিয়ে অনুষ্ঠান ভিডিও করা যাবে না। কারণ এটি স্রেফ সখ মাত্র। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ভিডিও করা যায় সেখান থেকে ধর্মীয় উপদেশ লাভের জন্য।বর্তমান টিভি চ্যানেলগুলিতে পাপের অংশই বেশী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের একটি অংশ নির্ধারিত আছে। চ
উত্তর : ওযূর শুরুতে যে ‘বিসমিল্লাহ’ বলবে না তার ওযূ হবে না (আবুদাঊদ হা/১০১; ইবনু মাজাহ হা/৩৯৮, সনদ হাসান ছহীহ)।
উত্তর : মসজিদের জমি যদি কেউ ক্রয় করতে না চায়, তবে মসজিদ সংস্কারের স্বার্থে জমি দাতা নিজে তা ক্রয় করে নিতে পারেন (ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়াহ, ৩১/২১৬)।
উত্তর : প্রতারণাকারী ব্যক্তিই দায়ী হবে। কারণ সে দু’টি অন্যায় করেছে। একটি হচ্ছে অন্যের সম্পদ নিজ নামে করে নেওয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে জমি ফেরত না দেওয়া। উক্ত দু’টি অন্যায়ই বান্দার হকের সাথে জড়িত, যা বান্দা ক্ষমা না করা পর্যন্ত আল্লাহ ক্ষমা করেন না (ব
উত্তর : যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন ছবি পেলে তাকে ধুলিসাৎ করে দাও’ (মুসলিম হা/৯৬৯)। তাছাড়া এতে কোন কল্যাণ নেই। বরং মায়ের অদৃশ্য স্মৃতি বুকে ধারণ করে তার জন্য প্রাণভরে দো‘আ ও ছাদাক্বা করার মধ্যেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত রয়েছে (মুসলিম, মিশকাত
উত্তর : (১) অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার জন্য (২) সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা এবং পাপীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য (৩) হাদীছের সনদ যাচাই ও ফৎওয়া জানার জন্য (৪) মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করা ও তাদের মঙ্গল কামনার ক্ষেত্র
উত্তর : মাদানী জীবনে প্রথম জানাযার বিধান জারি হয়। ১লা হিজরীর শাওয়াল মাসে বদর যুদ্ধের পূর্বে খ্যাতনামা আনছার ছাহাবী আস‘আদ বিন যুরারাহ (রাঃ) অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং ১ম ছাহাবী হিসাবে বাক্বী‘ গোরস্থানে কবরস্থ হন। তিনিই ছিলেন ১ম মাইয়েত, আল্লা
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে চার রাক‘আত ছালাত আদায় করা সম্পর্কে ইবনু মাজাহতে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফ ইবনে মাজাহ হা/১১২৯)। তবে খত্বীব মিম্বরে বসার আগ পর্যন্ত যত রাক‘আত খুশী নফল ছালাত আদায় করা যাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৮, ১৩৮৪, ৮৭)।
উত্তর : বার বার হজ্জ ও ওমরাহ না করে দরিদ্র ও অসহায় পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও ইয়াতীমদের প্রতি লক্ষ্য রাখা এবং তাদের মাঝে অর্থ দান করা উত্তম (ফাতাওয়া ওছায়মীন, ২১/২৮ পৃঃ)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ঐ ব্যক্তি মুমিন নয় যে পেট ভরে খায়। অথচ তার তার প
উত্তর : মাদরাসায় দান করার কথা বলার কারণে উক্ত জমি যে কোন মাদরাসায় দিতে হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ‘হেবা’ অনুচ্ছেদ)। মাদরাসা বলতে কেবল ঐগুলিকে বলা হয়, যেখানে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আক্বীদা ও আমল শিক্ষা দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে দ্বীনী ইলমের নামে
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। মহিলারা গহনা ও অলংকার পরিধান করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদের ছালাত ও খুৎবা প্রদানের পর মহিলাদের নিকট গিয়ে নছীহত করলেন ও তাদের ছাদাক্বা করার উপদেশ দিলেন। ফলে তারা কান ও গলার গহনা খুলে বেলালের নিকট দিতে লাগলেন (মুত্
উত্তর : এটা কুফরী আক্বীদা। ইসলামে পীরের কোন অস্তিত্ব নেই। কারণ আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ) কোন পীরের অনুসরণ করার নির্দেশ দেননি। আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তোমাদের আমীরের আনুগত্য কর’ (নিসা ৫৯)। যিনি আল্লাহ্র কিতাব অনুযায়ী তোম
উত্তর : স্বামীর সংসারের ক্ষতি না হলে এবং এরূপ দানে স্বামী সন্তুষ্ট থাকবে বলে মনে করলে উক্ত দান শরী‘আত সম্মত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, স্ত্রী তার স্বামীর খাদ্য সামগ্রী হতে ছাদাক্বা করলে এবং তাতে বিপর্যয়ের উদ্দেশ্য না থাকলে সে ছওয়াব পাবে। উপ
উত্তর : প্রতারণা ও মিথ্যা কৌশল থেকে মুক্ত হলে এ ধরনের ব্যবসা বৈধ হবে (মুসলিম হা/২৯৪; মিশকাত হা/৩৫২০)।
উত্তর : অঙ্গীকার ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত সমূহের অন্যতম (বুখারী হা/৩৩; মিশকাত হা/৫৫)। আর ক্বিয়ামতের দিন সফলকাম মুমিন তারাই, যারা অঙ্গীকার পূর্ণ করে (মুমিনূন ৮)। অতএব যদি কেউ কোন ব্যক্তির দেনার দায় গ্রহণ করে তাহ’লে এ দায়িত্ব হতে সে মুক্ত হতে পারবে না
উত্তর : ছালাত, ছিয়াম আদায় করা সত্ত্বেও যদি কেউ টাখনুর নীচে পোশাক পরিধান করে, তাহলে অবশ্যই তার ঈমানে দুর্বলতা আছে। এরা তওবা না করলে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করবেন না। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, যারা টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করে, ক্বিয়ামতের দিন আল
উত্তর : পারবে (বুখারী, মিশকাত হা/১১৩৯)। হুমায়দী বলেন,إِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوْا جُلُوْسًا، هُوَ فِى مَرَضِهِ الْقَدِيْمِ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامًا لَمْ يَأْ
উত্তর : হুসাইন বিন মানছূর বিন মাহমা আল-হাল্লাজ (২৪৪-৩০৯ হিঃ/৮৪৮-৯২২ খৃঃ) ইরানের বায়যা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। ওয়াসিত্বে বড় হন। পরে বাগদাদে চলে আসেন। তিনি ভারতে যান ও সেখানে জাদু বিদ্যা শিখেন। বাগদাদে ফিরে তিনি প্রথমে ‘নবী’ দাবী করেন। অতঃপর সৃষ
উত্তর : প্রতিষ্ঠানের নিয়ম না মানলে অবশ্যই দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। আর (ক্বিয়ামতের দিন) তোমরা প্রত্যেকে স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে
উত্তর : মাহরাম ব্যতীত মহিলাদের একাকী বের হওয়া শরী‘আতে নিষিদ্ধ (বুখারী হা/৩০০৬; মিশকাত হা/২৫১৩)। তবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকলে একান্ত বাধ্যগত প্রয়োজনে মুখমন্ডলসহ সমস্ত শরীর আবৃত করে সাবধানতার সাথে বাজারে যেতে পারে (ফাৎহুল ক্বাদীর ৪/৩০৪, আহযাব ৫৯ আয়াতে
উত্তর : প্রকৃত আহলেহাদীছ যারা, তাদের মধ্যে কোন দলাদলি নেই। কারণ আক্বীদাগতভাবে সকল আহলেহাদীছই এক। শরী‘আতের ব্যাখ্যাগত বুঝের পার্থক্যের কারণে কিছু প্রশাখাগত বিষয়ে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক। মতভেদ থাকলেও জামা‘আতগতভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ এসেছে হাদ
উত্তর : উক্ত দাবী পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। আল্লাহ নবীকে সৃষ্টি না করলে পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮২)। ময়ূররূপে গাছে রাখা হয় এবং শরীরের ৭ ফোটা ঘাম হতে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয় এগুলো সব বানোয়াট কথা। পৃথিবীকে
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কার। বরং উক্ত বর্ণনা ছহীহ হাদীছের বিরোধী। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫২০)।
উত্তর : ইবলীস ফেরেশতাদের সরদার ছিল একথা ঠিক নয়। তবে ইবলীস কাজে-কর্মে ফেরেশতাদের সাথে মিশে গিয়েছিল এবং ইবাদতে তাদের সদৃশ হয়েছিল। একারণে তাকে ফেরেশতাদের সাথে সম্বোধন করা হয়েছে (তাফসীরে ইবনে কাছীর, সূরা কাহাফ ৫০ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। এতে সে অহংকা
উত্তর: উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। আল্লাহ তা‘আলা আগেই স্বপ্নযোগে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে আয়েশা (রাঃ)-এর বিবাহের সুসংবাদ দিয়েছিলেন (বুখারী হা/৩৮৯৫; মুসলিম হা/৬৪৩৬)। বিবাহের উক্ত প্রস্তাব আয়েশা (রাঃ) ক্ষেত্রে নয়, বরং ওমর (রাঃ) তাঁর মেয়ে হাফছা (রাঃ)-এর
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা আরশে থাকলেও তিনি জ্ঞান ও দৃষ্টির দিক দিয়ে বান্দার গ্রীবাদেশের রগ অপেক্ষাও নিকটে থাকেন (ক্বাফ ১৬)। আর ঈমানের উচ্চ স্তর হল, ইবাদত সমূহ এই বিশ্বাস নিয়ে করা যে, যেন বান্দা তাঁকে সামনে দেখছে। তা না হলে আল্লাহ যেন বান্দাকে দ
উত্তর : সরকার বয়স্ক ভাতা ঐসব লোকদের জন্যই প্রদান করে যারা অসহায় এবং যাদের কোন অবলম্বন নেই। এক্ষণে কোন সম্পদশালী ব্যক্তি যদি সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে এ ভাতা তার পিতা-মাতার জন্য গ্রহণ করে তা তার জন্য কখনোই বৈধ হতে পারে না। বরং সন্তান স্বয়ং পিতা-মাত
উত্তর : নবী (ছাঃ) জীবিত নন বরং তিনি মারা গেছেন। আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক প্রাণীকে মরণের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে (আম্বিয়া ৩৪)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, নিশ্চয়ই আপনি মরণশীল ও তারাও মরণশীল (যুমার ৩০)। আমাদের নবী (ছাঃ)-কে মরণের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে (বুখারী, মুসল
উত্তর : ইসলামী শারী‘আতে আযানের সময় মাথায় কাপড় দেয়ার কোন বিধান নেই। ইসলাম পরপুরুষের সামনে মাথা ঢাকাসহ সম্পূর্ণ শরীর আবৃত করে পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছে (নূর ৩১)। অতএব শুধুমাত্র আযানের সময় এরূপ করাটা কুসংস্কার মাত্র।
উত্তর : যে পণ্য আনতে সরকারী অনুমতির প্রয়োজন হয়, সে পণ্য সরকারী ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসলে সে পণ্যের ব্যবসা অবৈধ হিসাবে গণ্য হবে।
উত্তর : উক্ত কথা সঠিক নয়। কারণ অতি বৃষ্টি কোন কোন সময়ে গযব হিসাবে দেখা দিতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে পানি পান করা বা ব্যবহার করা নিষেধ নয়। অনুরূপভাবে শিলাবৃষ্টিও ধরতে এবং খাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কারণ আল্লাহ্ তা‘আলা সব কিছুকেই মানুষের উপকার
উত্তর : উক্ত আচরণ যুলুমের অন্তর্ভুক্ত। এই যুলুম ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য ঘন অন্ধকার হিসাবে দেখা দিবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫১২৩)। তবে ইসলাম পরস্পরকে হাদিয়া দিতে উৎসাহিত করেছে। পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টিতে তা সহায়ক ভূমিকা রাখে (ছহীহ আল-আদাবু
উত্তর : এমতাবস্থায় স্ত্রীর উচিত হবে স্বামীকে বাধা প্রদান করা। কারণ এটি একটি অন্যায় কাজ আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানী দায়িতব (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৩৭)।
উত্তর : ছালাতে প্রবেশের আগেই মোবাইল বন্ধ করতে হবে। যদি ভুলে যায় এবং ছালাতের মধ্যে মোবাইল ফোন বেজে ওঠে, তবে তা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে।
উত্তর : প্রথমে যৌতুক পরিশোধ করে নিজেকে দায়মুক্ত করতে হবে। মোহরানা পরিশোধ করতে দেরী হলেও তাতে কোন ক্ষতি নেই।
উত্তর : জন্মনিরোধক কিছু ব্যবহার করা মৃত্যু বা স্বাস্থ্যগত ক্ষতির আশংকা ব্যতীত ইসলামে নিষিদ্ধ। কিন্তু বর্তমান সমাজে জন্মনিরোধ একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় এরূপ ঔষধ বিক্রয় করা গুনাহের কাজে সহযোগিতার অন্তর্ভুক্ত হবে। আর গুনাহের ক
উত্তর : সাহারীর সময়সূচীর ১ মিনিট বাকী থাকলেও সে সময় এক লোকমা খাদ্য বা এক ঢোক পানি পান করলে সাহারী আদায় হয়ে যাবে এবং সাহারী খাওয়ার ফযীলত পাওয়া যাবে। তাছাড়া সাহারী খেতে না পারলেও ছিয়ামের নিয়ত করলে ছিয়াম আদায় হয়ে যাবে (বুখারী, ফাৎহুল বারী ৪/১৭৫ হা
উত্তর : উক্ত কবর যদি পুরাতন হয় এবং মৃত ব্যক্তির হাড়সহ কোন চিহ্নই যদি না থাকে, তাহলে সে স্থানকে চাষাবাদসহ প্রয়োজনে যে কোন উপকার গ্রহণের জন্য ব্যবহার করা যাবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪৭২ পৃঃ; আলবানী, তালখীছু আহকামিল জানায়েয, পৃঃ ৯১)। তাছাড়া সমস্যা
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মাধ্যমে দ্বীন পরিপূর্ণ হয়েছে (মুস্তাদরাকে হাকেম হা/৩১৮)। ছহীহ এবং হাসান উভয় হাদীছই গ্রহণযোগ্য। অন্যান্য হাদীছ বলতে যঈফ, জাল ও বানোয়াট হাদীছ কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এধরনের হাদীছের উপর কোন অবস্থাতেই আমল
উত্তর : ইবাদত হিসাবে মুছল্লী ব্যক্তি দ্বারা খবর খনন করাই উচিত (ছহীহ তারগীব হা/৩৪৯২)। তবে প্রয়োজনের তাকীদে কবর খনন এবং লাশ বহনের কাজে ছালাত পড়ে না এমন ব্যক্তির সহযোগিতা নেয়া যাবে। কিন্তু কাফন পরানো, কবরে নামানো এবং দাফনের কাজগুলো তাদের দ্বারা কর
উত্তর : এরূপ ছবি সম্বলিত পণ্য বিক্রি করা যাবে। মূলতঃ ছবিকে সম্মান দেখানো ও যত্ন করা উদ্দেশ্য হলে তা হারাম হবে। এরপরেও ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কে চেষ্টা করতে হবে প্রাণীর ছবি থেকে দূরে থাকা আল্লাহ বলেন, তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর (তাগাবুন ১৬)।
উত্তর : ছালাত ব্যতীত অন্য যে কোন সময়ে নবী (ছাঃ)-এর নাম নিজে পড়লে অথবা অন্য কারো কাছে শুনলে অবশ্যই সংক্ষিপ্ত দুরূদ ‘ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পাঠ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) নিজের উপর দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করতেন এবং তা ছাহাবীগণকে শিখিয়ে দিয়েছেন
উত্তর : পিতা-মাতার মাথায় হাত রেখে অথবা সন্তানের মাথায় হাত রেখে কসম করা শিরক। রাসূল (ছাঃ) এভাবে কসম করতে নিষেধ করেছেন এবং আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন কিছুর দ্বারা কসম করাকে শিরক অথবা কুফরী আখ্যা দিয়েছেন (আবুদাঊদ হা/৩২৪৮, ৩২৫১)।
উত্তর : সন্তান হত্যা করা মহাপাপ (ইসরা ১৭/৩১)। বাসূল (ছাঃ) একে বড় গুনাহ্ সমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছেন (মুসলিম হা/৮৬)। সুতরাং তওবা না করে মারা গেলে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে (তাকভীর ৮১/৮-৯)।
উত্তর : মশা সহ ক্ষতিকর বা কষ্টদায়ক কীটপতঙ্গ মারা যাবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৬৯৮)। তবে তা যেন বেশী করা না হয়। কারণ তা ছালাত বিনষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া ছালাতের মধ্যে এদিক-ওদিক তাকানো খুবই অপসন্দনীয় কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ছালাতের
উত্তর : ছালাতের বাইরে উক্ত সময়ে কুরআনে ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহ ছাড়াও নিজ নিজ ভাষায়ও মনে মনে দো‘আ পড়া যাবে (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৪র্থ সংস্করণ পৃঃ ১৩৩)।
উত্তর : উক্ত ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। একজন নবীর স্ত্রী সম্পর্কে এধরনের কথা রটনা করা মহা অন্যায়। বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে ও ইসরাঈলী বর্ণনায় এগুলো পাওয়া যায়। ‘শয়তান এসে তাকে বলল, আপনার স্ত্রী যেনা করে ধরা পড়ায় তার মাথার চুল কেটে নিয়েছে’ উক
উত্তর : যাবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, ইরওয়া হা/৭৩৪, ৩/১৮১)।
উত্তর : উক্ত আয়াত থেকে অনেকে বুঝেছেন যে, জাহান্নামে কাফেরদের শাস্তি স্থায়ী হবে না। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শাস্তি হবে। অর্থাৎ যতদিন আসমান ও যমীন বিদ্যমান থাকবে ততদিন তাদের শাস্তি হবে। উক্ত ধারণা সঠিক নয়। কারণ আরবদের রীতি ছিল, কোন জিনিসের স
উত্তর : পবিত্র কুরআনে মায়ের পেটের কথা বলা হয়নি। বরং রেহেমের কথা বলা হয়েছে (লোকমান ৩৪)। আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে তার মায়ের গর্ভে তিনটি অন্ধকারের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন (যুমার ৬)। তিনটি অন্ধকার বলতে প্রথমটি রেহেম, দ্বিতীয়টি মাশীমা (المشيمة) বা গর্ভফুল আর তৃত
উত্তর : পুরুষ ও মহিলার মাঝে পার্থক্য করার জন্য দো‘আর সর্বনাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। কারণ এখানে উদ্দেশ্য হল ‘মাইয়েত’। আর ‘মাইয়েত’ (ميت) শব্দটি স্ত্রী ও পুরুষ উভয় লিঙ্গে ব্যবহৃত হয় (আওনুল মা‘বূদ হা/৩১৮৪-এর ভাষ্য ৮/৪৯৬; নায়ল ৫/৭২, ৭৪; ছালাতুর
উত্তর : যারা ছিয়াম পালন করে না, তাদেরও ফিৎরা আদায় করতে হবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফিৎরা ফরয করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫, ‘ছাদাক্বাতুল ফিৎর’ অনুচ্ছেদ)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ফিৎরা হচ্ছে ফক্বীর-মিসকীনদের খাদ্য
উত্তর : কোন বিষয়ে আদেশ ও নিষেধকারীর জন্য দু’টি বিষয় ওয়াজিব। এক : নিজে সৎ কাজ করা। দুই : অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা। এক্ষেত্রে প্রথমটির ত্রুটির কারণে দ্বিতীয়টির ফারযিয়াত বাতিল হবে না। কেননা তার জন্য শরী‘আতের বিধি-বিধান পরিপূর্ণরূপে পালন করা শর্ত ন
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জানাযার ছালাতের পূর্বে উক্ত ভাষণ দেননি। বরং কবর খনন করলে তিনি অনতিদূরে বসে কবরের বর্ণনা দিচ্ছিলেন (আহমাদ হা/১৮৫৫৭; ছহীহুল জামে‘ হা/১৬৭৬)। বর্তমানে জানাযার পূর্বে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক ভাষণ দেওয়ার
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ কর এবং কুরআন থেকে যা সহজ মনে কর’ (আবুদাঊদ হা/৮১৮, ৮২০)। তবে ধারাবাহিক পড়া উত্তম।
উত্তর : কুরআনের কোথাও সাত দিনের কথা নেই। আল্লাহ তা‘আলা সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, যা কুরআনের সাত জায়গায় এসেছে (আ‘রাফ ৫৪; ইউনুস ৩; হূদ ৭; ফুরক্বান ৫৯; সাজদাহ ৪; ক্বাফ ৩৮; হাদীদ ৪; দ্রঃ মু‘জামুল মুফাহরাস লি আলফাযিল কুরআনিল কারীম, পৃঃ ৪২২)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং সর্বাবস্থায় মিসওয়াক করা সুন্নাত। চাই তা দিনের প্রথম ভাগে হোক কিংবা দ্বিপ্রহরের পরে হোক। আমির বিন রাবী‘আ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ছিয়াম অবস্থায় অসংখ্যবার মিসওয়াক করতে দেখেছি। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আ
উত্তর : মূলতঃ মৃতব্যক্তির তার রূহে শাস্তি হয়। তবে কেউ কেউ বলেন, দেহের উপর শাস্তি হয়। একথার জবাবে বলা যায়, দেহে আত্মা স্থাপনের পর রূহ ও দেহ উভয়েরই আযাব হয়। কেননা মানুষের শরীরের চালিকা শক্তিই হল রূহ। রূহবিহীন দেহ মূল্যহীন। তাছাড়া মালাকুল মউত মৃ
উত্তর : ছালাতে সূরা ফাতিহার পর তিনবার আমীন বলা সম্পর্কে ত্বাবারাণীতে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/১৭৫০৭)। উক্ত বর্ণনার সনদে আবু ইসহাক্ব ও সা‘দ ইবনু ছালত নামে দুইজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী আছেন। মুহাদ্দিছগণ তাদেরকে যঈফ বলেছেন (তানক্বীহুল
উত্তর : ১১ বা ১৩ রাক‘আত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসে বিতর সহ ১১ রাক‘আতের বেশী রাতের ছালাত (তারাবীহ) আদায় করেননি (বুখারী ১/১৫৪ পৃঃ; মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ; আবুদাঊদ ১/১৮৯পৃঃ; নাসাঈ ১/১৯১ পঃ:; তিরমিযী ১-৯৯ পৃঃ; ইবনু মাজাহ ১/৯৬-৯৭ পৃঃ; মুওয়াত্ত্বা মালেক ১/৭
উত্তর : ইসলামের মূল দর্শন হল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠাদান। মানব সমাজে আল্লাহর দ্বীনের বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কুরআন ও হাদীছে মুসলিম উম্মাহ্কে বহু বার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি যদি একটি আয়াতও কেউ জানে, তা প্রচার করার জন্য রাসূল (ছাঃ) ন
উত্তর : হাদীছটির সকল সূত্র যঈফ মিশকাতে (হা/১৩০৬ ‘রামাযানে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ) শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। অতঃপর বলেন, তবে হাদীছটি আমার নিকটে ‘শক্তিশালী’ (قوى) এ কারণে যে, এর সমার্থক (শাওয়াহেদ) কিছু হাদীছ রয়েছে। উক্ত সমার্থক বর্ণ
উত্তর : যদি কোন পাপী মুসলমান শিরক ও কুফর থেকে বিরত থেকে ঈমানের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে (বাক্বারাহ ২১৭, মায়েদা ৭২) এবং বান্দার হক্ব নষ্ট না করে (বুখারী, মিশকাত হা/৫১২৬)। সাথে সাথে সে পাপ থেকে খালেছ নিয়তে তওবা করে, তবে আল্লাহর অনুগ্রহে সে নিষ্পাপ অবস্থায়
উত্তর : সূদের ক্ষেত্রে এর হার কম হোক বেশী হোক সবই সমান। সূদ প্রসঙ্গে ইসলামের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সূদের যে অংশ বাকী আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা প্রকৃত মুমিন হও। যদি তোমরা ত
উত্তর : এ্যালকোহল তথা মাদকদ্রব্য মিশ্রিত খাদ্য-পানীয় নিঃসন্দেহে হারাম (মায়েদা ৫/৯০-৯১)। তবে আহার্য ব্যতিরেকে বাহ্যিক ব্যবহার্য বস্ত্ততে মাদকের সংস্পর্শ থাকলে তা হারাম হবে কি না এ নিয়ে ওলামায়ে কেরামের মতদ্বৈততা রয়েছে। যেহেতু সেন্টে বা চিকিৎসার ক
উত্তর : কত বছর বয়স থেকে মেয়েরা মাথার চুল রাখবে এ ব্যাপারে কোন ধরা-বাঁধা নিয়ম নেই। মহিলাদের মাথায় চুল লম্বা থাকাই শরী‘আত সম্মত। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় মহিলাদের মাথায় লম্বা চুল থাকত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, ম
উত্তর : আল্লাহর যিক্র করতে হবে নীরবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আপনি আপনার প্রভুকে সকাল-সন্ধ্যায় আপন মনে অত্যন্ত বিনীত ও ভীত সন্ত্রস্তভাবে স্মরণ করুন, উচ্চ শব্দে নয়’ (আ‘রাফ ২০৫)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের প্রভুকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে এবং সংগোপনে ডাক’ (
উত্তর : শরী‘আতের দৃষ্টিতে ইবাদত দু’প্রকার : ফরয ও নফল (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬)। অর্থাৎ আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক। সুন্নাত-নফল ঐচ্ছিতের অন্তর্ভুক্ত। নিম্নে প্রশ্নে বর্ণিত পরিভাষাগুলি আলোচিত হ’ল।-১. ফরয : শরী‘আতের যেসব হুকুম অপরিহার্য এবং অকাট্য দলীল
উত্তর : ঐ ইমাম ফাসিক। কিন্তু কাফির নয়। অতএব তার পিছনে ছালাত হবে। তবে সেটা অপসন্দনীয় হবে। আল্লাহ বলেন, তোমার রুকূকারীর পিছনে রুকূ কর (বাক্বারাহ ৪৩)। হাসান বাছরী বলেন, তুমি তার পিছনে ছালাত আদায় কর। বিদ‘আতের গোনাহ বিদ‘আতীর উপর বর্তাবে। মূলতঃ এই ধরনে
উত্তর : সন্তানের সৎকর্ম বা অসৎকর্মের জন্য পিতা-মাতার আমলনামায় নেকী বা গোনাহ যুক্ত হবে এমনটি পাওয়া যায় না। কেননা আল্লাহ বলেন, একের বোঝা অন্যে বইবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)। বরং সৎ সন্তান পিতা-মাতার জন্য দো‘আ করলে তা তাদের আমলনামায় যুক্ত হয় (মুসলিম, মিশকাত
উত্তর : পুরুষেরা মাথার মাঝখানে সিঁথি করতে পারে (বুখারী হা/৫৯১৭; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২৫)। আর মাথার চুল লম্বা রাখা বা ছোট করে রাখা উভয়টিই জায়েয। এটি ‘সুনানুয যাওয়ায়েদ’ বা অভ্যাসগত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের সুন্নাতকে প্রতিষ্ঠা করা
উত্তর : মৃতব্যক্তি জীবিতদের কর্মকান্ড দেখতে বা তাদের কথাবার্তা শুনতে পায় না। আল্লাহ স্বীয় রাসূল (ছাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি মৃতদেরকে শুনাতে পারেন না’ (নামল ৮০, রূম ৫২)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আপনি কবরবাসীদেরকে শুনাতে সক্ষম নন’ (ফাত্ব
উত্তর : ‘হূর’ (حُوْرٌ) শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। এটি জান্নাতী পুরুষদের জন্য নির্ধারিত। তবে জান্নাতী মহিলাদের জন্য অবশ্যই জান্নাতী স্বামী হবেন। যদিও তাদেরকে হূর বলা হবে না। নারীদের প্রতি পুরুষদের অধিক আসক্তির কারণে কুরআনে পুরুষদের জন্য হূরের কথা বলা
উত্তর : বন্ধক গ্রহীতা বন্ধকী জমি ভোগ করতে পারবে না। এটা পরিষ্কার সূদ। এভাবে জমি নিলে চাষের খরচ ব্যতীত বাকী শস্য মালিকের কাছে ফেরত দিতে হবে। কারণ এটা একটা কর্য। আর কর্যের লাভ ভোগ করা যায় না। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, যে কর্ম লাভ বহন করে সে কর্য গ
উত্তর : উক্ত নিয়মে কর্য নেয়া যাবে না। কারণ এটা সূদের অন্তর্ভুক্ত। তবে এ টাকার লাভ চুক্তি হারে গ্রহণ করলে জায়েয হবে। আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াকুব বর্ণনা করেন, তিনি ওছমান (রাঃ)-এর সম্পদ নিয়ে ব্যবসা করতেন। আর লাভ উভয়ের মাঝে চুক্তি হারে বণ্টন করা হত
উত্তর : এ সময় জামা‘আতে শরীক হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, ছালাতের জন্য ইক্বামত দেয়া হলে উক্ত ফরয ছালাত ব্যতীত আর কোন ছালাত নেই (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৮)। পরে সুন্নাত পড়ে নিতে হবে (আবুদাঊদ হা/১২৬৭; মিশকাত হা/১০৪৪)। এজন্য সূর্য ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে
উত্তর : পরবর্তীতে বিবাহ হোক আর না হোক এ কাজ কবীরা গোনাহ। যা তওবা ব্যতীত মাফ হবে না। এমন মানুষ অবিবাহিত হলে তার শাস্তি হচ্ছে একশ’ বেত্রাঘাত (নূর ২)। আর বিবাহিত হলে শারঈ ফায়ছালা অনুযায়ী তাকে রজম করতে হবে (বুখারী হা/৬৮৩১; মিশকাত হা/৩৫৫৬ ও ৩৫৫৭ ‘দন্ড
উত্তর : বাজারের স্বাভাবিক যোগান ও সরবরাহ নীতির মধ্যে থেকে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। এর বাইরে অস্বাভাবিক কিছু করা এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা নাজায়েয। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে মওজুদ করল, সে পাপী’ (মুসলিম হা/৪২০৬; মিশকাত হা/২৮৯২)। বা
উত্তর : প্রাপ্ত বয়স্কা হলে তাদের উপর পর্দা ফরয হয় (নূর ৫৯; ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, পৃঃ ২৬৫)।
উত্তর : উক্ত মর্মে যত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে সবই জাল ও যঈফ। তবে মুস্তাদরাকে হাকেমে (হা/৬৩৪৩) ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের কর্তৃক রাসূল (ছাঃ)-এর শিঙ্গা লাগানোর রক্ত গোপনে পান করার একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরে এজন্য রাসূল (ছাঃ) তাক
উত্তর : দরূদের সাথে সাইয়িদিনা শব্দ বলার কোন প্রমাণ নেই। দরূদে ইবরাহীমী এবং সংক্ষিপ্তভাবে ‘ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৯১৯, ৯২১)।
উত্তর : যাবে। যাকাত বণ্টনের খাতগুলোর মধ্যে একটি খাত আছে ‘ফী সাবীলিল্লাহ’ বা আল্লাহর রাস্তা (তওবা ৬০)। আর আল্লাহর দ্বীন টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে দ্বীনী প্রতিষ্ঠান। যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রকৃত দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআন ও
উত্তর : কতবার পড়েছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে আল্লাহ বলেন, অন্ধকার সমূহের ভিতর হতে ইউনুস ডাক দিয়ে বললেন, لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ- ‘আপনি ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই। আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করি।
উত্তর : এক বিঘা জমির অর্ধেক মা পাবে। বাকী অর্ধেকের তিন ভাগের দুই ভাগ দুই বোনের মাঝে বণ্টন হবে। বাকী এক ভাগ মৃত খালার পিতা-মাতা বা ভাই-বোন কিংবা ভাই-বোনের ছেলে মেয়েদের মাঝে আছাবা সূত্রে অংশহারে বণ্টন হবে।
উত্তর : ডাহা মিথ্যা। এতে নবী-রাসূলগণের চেয়ে আলেমের সম্মান ২৫ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে প্রকৃত আলেমগণ নবীগণের ওয়ারিছ। তাঁরা অন্যদের চেয়ে অনেক গুণে সম্মানী (তিরমিযী হা/২৬৮২; মিশকাত হা/২১২, সনদ হাসান)।
উত্তর : উভয়ের সম্মতি থাকলে এধরনের ব্যবসা জায়েয (তিরমিযী হা/১২৩১; মিশকাত হা/২৮৬৮)।
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। মূলতঃ কন্যাদ্বয়ের মর্যাদার দিকে লক্ষ্য করে এই উপনাম ব্যবহার করা হয়েছে। এর দ্বারা প্রকৃত ‘নূর’ উদ্দেশ্য নয়। যেমন আদর করে সন্তানকে বলা হয় কলিজার টুকরা, নয়নের মণি ইত্যাদি। এমনকি রাসূল (ছাঃ) তার কন্যা ফাতিমাকে ‘নিজের অং
উত্তর : জামা‘আতের সাথে পড়াই উত্তম হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত জামা‘আতের সাথে রাত্রির ছালাত আদায় করবে, তার জন্য সারা রাত্রি ছালাত আদায়ের নেকী লেখা হবে (তিরমিযী হা/৮০৬; নাসাঈ হা/১৩৬৪. সনদ ছহীহ; ফাতাওয়া উছায়মীন, ২০/২১৩)।
উত্তর : যাবে। রাফে‘ ইবনে খাদীজ (রাঃ) বলেন, আমার দুই চাচা নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগে জমি বর্গা দিতেন এভাবে যে, নালার পাশে যে শস্য হবে তা তাদের অথবা জমির মালিক শস্য নেয়ার জন্য কিছু কিছু জমি নির্দিষ্ট করে দিতেন। অতঃপর নবী করীম (ছাঃ) এরূপ করতে নিষেধ
উত্তর : ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। এর সনদে শারীক নামক একজন রাবী রয়েছেন, যিনি যঈফ। তিনি এককভাবে বর্ণনা করার কারণে হাদীছটি যঈফ (ইরওয়া হা/৩৫৭; সিলসিলা যঈফাহ হা/৯২৯)।
উত্তর : সকাল-সন্ধ্যা বা যেকোন সময় যতবার ইচ্ছা ততবার পড়তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উক্ত দো‘আ বলবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে (আবুদাঊদ হা/১৫২৯)। উল্লেখ্য যে, উক্ত দো‘আ সন্ধ্যায় পড়বে মর্মে যে হাদীছ তিরমিযীতে এসেছে তা যঈফ (যঈফ তিরমিযী হা/৩৩৮৯)
উত্তর : উম্মে সালামাহ (রাঃ)-এর অনুরূপ এক প্রশ্নের জবাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যতটুকুতে পা ঢাকবে ততটুকু নীচে নামাবে (আবুদাঊদ, নাসঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪৩৩৪-৩৫)।
উত্তর : ইফতার ছিয়াম পালনকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। যার ছিয়াম নেই, তার ইফতারও নেই (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৫৯)।
উত্তর : মৃত্যুর পরে মৃতের প্রতিবেশী ও নিকটাত্মীয়দের কর্তব্য হ’ল, মৃতের পরিবারের লোকদেরকে কমপক্ষে এক দিন ও এক রাত পেট ভরে খাওয়ানো। জাফর বিন আবু তালিব (রাঃ) শহীদ হলে রাসূল (ছাঃ) তার প্রতিবেশীদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন (তিরমিযী হা/৯৯৮; মিশকাত হা/১৭৩
উত্তর : আঙ্গুলগুলো খোলা থাকবে এবং হাতের তালু ক্বিবলার দিকে সোজা থাকবে (যাদুল মা‘আদ ১/৫১ পৃঃ)।
উত্তর : আবু সাঈদ খুদরী হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমার সাথে ই‘তিকাফ করতে চায়, সে যেন রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করে’ (বুখারী হা/২০২৭)। ইসলামে রাত থেকেই দিন গণনা শুরু হয়। সে হিসাবে ২১ রামাযানের মাগরিবের পূর্বে মসজিদে ই‘তিকা
উত্তর : উক্ত দাবী বিভ্রান্তিমূলক। কেননা দাড়ি লম্বা করা সম্পর্কে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে أعفوا، أوفروا، وفروا، أوفوا ارخوا، ارجوا، ইত্যাদি শব্দ এসেছে। যার অর্থ দাড়িকে (কোন প্রকার কাটছাট ছাড়াই) স্বীয় অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া (মুত্তাফাক্ব
উত্তর : বেপর্দা অবস্থায় এটা করলে গোনাহ হবে। মহিলারা পর্দার মধ্যে থাকা অবস্থায় শিক্ষা দান করলে গোনাহ হবে না। রাসূল (ছাঃ) একটি বাড়ী নির্ধারণ করে সেখানে মহিলাদেরকে শিক্ষা দিতেন (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)। এমন আলেমের পিছনে ছালাত আদায় করতে বাধা নেই।
উত্তর : খলীফা নির্বাচনে দেরী হওয়ায় কাফন-দাফনে প্রায় ৩২ ঘণ্টা দেরী হয়েছিল’ (মানছুরপুরী, রহমাতুললিল আলামীন, ১/২৫৩)।
উত্তর : ইয়াজূজ, মাজূজ এবং দাজ্জাল পৃথক কোন সম্প্রদায় নয় তারাও মানুষের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী, মিশকাত হা/৫৪৭৫; মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৮২)। মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার জন্য এদের সৃষ্টি করা হয়েছে। আর দাজ্জাল জান্নাত ও জাহান্নামের মত (مِثْلَ الجَنَّةِ وَالنّ
উত্তর : অত্র হাদীছটি আল্লাহর গুণাবলী সম্পর্কিত হাদীছ সমূহের (أحاديث الصفات) অন্তর্ভুক্ত। এ হাদীছে আল্লাহর আঙ্গুলসমূহের বর্ণনা এসেছে। এখানে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, সেভাবে বিশ্বাস করাটাই হ’ল ছাহাবায়ে কেরাম ও আহলেসুন্নাত ওয়াল জামা‘আত আহলেহাদীছের আক
উত্তর : এই উপনামের কারণ দু’টো- (ক) নবী করীম (ছাঃ) বড় ছেলের নাম ছিলো ক্বাসেম। তাই তাঁকে আবুল ক্বাসেম বলা হতো (তাবাক্বাত ১ম খন্ড, পৃঃ ১৭)। (খ) রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ইলম মানুষের মধ্যে বিতরণ করতেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/২০০) এজন্য তা
উত্তরঃ শী‘আরা একটি ভ্রান্ত দল। ইমাম ইবনু হাযম আন্দালুসী (রহঃ) বলেন, ‘রাফেযী শী‘আরা মুসলিম নয়, তাদের কথা দীনের ব্যাপারে দলীল হিসাবে গণ্য নয়, এটি একটি নতুন দল, যা রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পঁচিশ বছর পর সৃষ্টি হয়েছে। এ দলটি ইহুদী ও খৃষ্টানদের মত মি
উত্তর : যিনি আপনাকে এ পাপ কর্মে বাধ্য করছেন, তিনিই মূল অপরাধী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যদি কেউ এতে আনন্দবোধ করে যে, লোকেরা তাকে দেখে স্থিরভাবে দন্ডায়মান থাকুক, তাহ’লে সে জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নিল (তিরমিযী, আবুদাঊদ, সনদ ছহীহ, মিশকা
উত্তর : উক্ত ব্যবসা হালাল নয়। কারণ উক্ত ব্যবসা রিবা আন-নাসিআহ বা বাকীতে ঋণের সূদ-এর উপর প্রতিষ্ঠিত। কেননা প্রতিষ্ঠানটি মূলতঃ বাকীতে ঋণ প্রদানের উপর অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি কেবল অর্থলগ্নিকারী, পণ্যের বিক্রেতা নয় এবং ঋণগ্রহ
উত্তর : হাদীছটি মওযূ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৫২)।
উত্তর : স্বপ্ন ভাল মন্দ দু’টিই হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন. ‘উত্তম স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি ভাল স্বপ্ন দেখে তাহ’লে সে যেন ঐ ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করে, যাকে সে ভালবাসে। আর যদি কেউ
উত্তর : কেবল সারাদিন পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকার নাম ছিয়াম নয়। বরং ছিয়াম সাধনা হচ্ছে পানাহার থেকে বিরত থাকার সাথে সাথে সকল প্রকার মিথ্যা থেকে বিরত থাকা। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকে না, সে ব্যক্তির
উত্তর : কোন খাদ্য ও পানীয়তে কম-বেশী যা-ই থাক না কেন, অ্যালকোহল অর্থাৎ নেশাদার দ্রব্য মিশ্রিত থাকলে তা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মাদকতা আনয়নকারী প্রত্যেক বস্ত্তই মদ এবং প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮
উত্তর : অর্থগত দৃষ্টিকোণ থেকে ত্রুটিপূর্ণ নামকে পরিবর্তন করে একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখাই শরী‘আতের বিধান। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৭৭৪; ছহীহাহ হা/২০৭)। অতএব একজন ভালো আলেমের নিকট থেকে জেনে নিয়ে একটি উত্তম
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কেউ সালাম দিলে কথা না বলে শুধু হাত বা আঙ্গুলের ইশারায় সালামের উত্তর দিতে হবে (তিরমিযী, নাসাঈ সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৯৯১)। উল্লেখ্য যে, ছালাতরত অবস্থায় গলার আওয়াজ দেওয়ার হাদীছটি যঈফ (নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৬৭৫; তামামুল মিন্নাহ পৃঃ ৩১২)
উত্তর : সম্পদ বা অর্থ যা দিয়ে পরিশোধ করা হোক না কেন, তা ধার্যকৃত মোহরের সমপরিমাণ হতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীদের কাছ থেকে যে স্বাদ গ্রহণ করেছ, তার বিনিময়ে তাদের জন্য নির্ধারিত মোহরানা আদায় কর’ (নিসা ২৪)।
উত্তর : ‘অধিকার’ বিষয়টি ব্যাপক। সেকারণ এ বিষয়ে ইসলামী শরী‘আতে মৌলিকভাবে বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, যেকোন স্ত্রী (১) নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে (২) রামাযানের ছিয়াম পালন করে (৩) লজ্জাস্থানের হেফাযত করে এবং (৪) স্বামীর আনুগত্য ক
উত্তর : সরকার অমুসলিমদের জন্য নির্ধারিত খাত থেকে হিন্দুদের পূজার জন্য সহযোগিতা করতে পারে। তবে কোন মুসলিম ব্যক্তি কোন প্রকার সহযোগিতা করতে পারবে না। কারণ এটা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। আর কোন প্রকার পাপের কাজে সহযোগিতা করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন (মা
উত্তর : হালাল হবে না। কারণ এটা স্রেফ প্রতারণা মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৬০, ৩৫২০)।
উত্তর : সূরার প্রথম থেকে পড়া আরম্ভ করলে প্রতিবার বিসমিল্লাহ বলতে হবে। এমনকি কিছু বিরতির পর পড়লেও। কারণ একটি সূরা থেকে তার একটি সূরা পৃথক করার মাধ্যম হচ্ছে বিসমিল্লাহ (আবুদাঊদ হা/৭৮৮)। যেকোন সময়ে যে কোন স্থান হতে কুরআন পড়লে আঊযুবিল্লাহ পড়বে। আ
উত্তর : আলেম ইমামতি করবেন। যদি তিনি শুদ্ধ করে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সবচেয়ে ভাল ক্বারীকে ইমাম হওয়ার জন্য বলেছেন। উভয়ে যদি ক্বিরাআতের দিক থেকে সমান হন, তাহ’লে যিনি সুন্নাহ সম্পর্কে অধিক অবগত, তিনি ইমামতি করবেন (মুসলিম, মি
উত্তর : পেটে বাচ্চা ওয়ালী গাভী অসুস্থ হলে যবেহ করে খাওয়াতে কোন দোষ নেই। জাবির (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, পেটের বাচ্চাকে যবেহ করা হচ্ছে তার মাকে যবেহ করা (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪০৯১)। অত্র হাদীছে গাভীর পেটের বাচ্চাকে হালাল বলা হয়েছে। মানু
উত্তর : অছিয়ত স্বরূপ সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তি দান করা যায়। এর বেশী অছিয়ত করা বৈধ নয় (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩০৭১)। অতএব উক্ত অছিয়ত পূরণ করা আবশ্যক নয়।
উত্তর : মোট সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ পাবে (নিসা ১২)। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে অনুরূপই দেওয়া হয়।
উত্তর : যাকাতের টাকা ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এগুলো ফী সাবীলিল্লাহর অন্তর্ভুক্ত হবে (মাজমু‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ১৮/২৫২)।
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ধার্মিকতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা মুশরিক মেয়েদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিশ্চয়ই একজন ঈমানদার মেয়ে মুশরিক মেয়ের চেয়ে উত্তম। যদিও সে তোমাদেরকে মোহিত করে। ত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৬০৯)। বরং ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ হ’ল জান্নাতের চাবি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যার শেষ কালেমা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (আবুদাঊদ হা/৩১১৬; মিশকাত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ বা জাল (যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৬০৯, সিলসিলা যঈফাহ হা/ ১২৩৪)। তবে এ মর্মে ছহীহ হাদীছটি হ’ল- ‘একটি দিন ও রাত্রি আল্লাহ রাস্তায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা, এক মাস ছিয়াম ও রাত্রিতে ছালাতে দন্ডায়মান থাকার চাইতে উত্তম। আর উ
উত্তর : যাবে। কেননা পিতা-মাতার অন্যায়ের দায় জারজ সন্তানের উপর পড়ে না (বাক্বারাহ ২৮৬; আন‘আম ১৬৪)। উল্লেখ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, وَلَدُ الزِّنَا شَرُّ الثَّلاَثَةِ ‘জারজ সন্তান হ’ল তিনজন নিকৃষ্ট ব্যক্তির একজন’ (আবুদাঊদ হা/৩৯৬৩)। এ বিষয়ে ইমাম
উত্তর : টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরা সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। শুধু ছালাতের সময় পায়জামা টাখনুর উপরে তুলে নিতে হবে এমনটি নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِى النَّارِ ‘টাখনুর নীচে যতটুকু যাবে, ততটুকু জাহান
উত্তর : এজন্য পিতা-মাতার নিকটে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। কেননা পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত (তিরমিযী; মিশকাত হা/৪৯২৭; নাসাঈ হা/৩১০৪)।
উত্তর : কারণ হল, তৎকালীন সময়ে ইমাম আহমাদ (রহঃ) সবচেয়ে বড় বিদ্বান ছিলেন এবং তার কথা সকল হক্বপন্থী জনগণ এক বাক্যে মেনে নিত। তাই তিনি যদি বিষয়টির ব্যাপারে স্বীকৃতি দেন, তাহলে সবাই এক বাক্যে তা মেনে নেবে। উল্লেখ্য যে, ‘কুরআন সৃষ্ট’ মতবাদটি কুফরী
উত্তর : সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত বেতনের যে অংশ প্রতি মাসে কেটে নেওয়া হয়, চাকুরী শেষে শুধু সেই অর্থই গ্রহণ করা জায়েয হবে। আর বেতন থেকে সূদের অংশটি আলাদা করে সমাজ কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। তবে তাতে নেকীর আশা করা যাবে না। যে কোন মূল্যে সূদ থেকে
উত্তর : কুরাইশ বংশীয় হিসাবে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে আবু জাহ্লের দূরবর্তী সম্পর্ক রয়েছে, নিকটবর্তী কোন সম্পর্ক নেই। রাসূল (ছাঃ) আবদু মানাফ গোত্রীয় আর আবু জাহ্ল বানু মাখযূম গোত্রীয়। রাসূল (ছাঃ) এবং আবূ জাহ্ল উভয়ের বংশ ‘মুর্রা ইবনু কা‘বে’ গিয়ে মিলিত
উত্তর : সাক্ষী থাক আর না থাক, ভুলের জন্য হোক বা অন্য কোন কারণে হোক, তালাক দিলে অবশ্যই তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। এমনকি তামাশা বা মজা করে তালাক দিলেও তালাক হয়ে যাবে (আবুদাউদ হা/২১৯৪; মিশকাত হা/৩২৮৪)। মুখে প্রকাশ করা পর্যন্ত মনে মনে বলে তালাক হবে
উত্তর : চুরির সম্পদ পরবর্তীতে পাওয়া না গেলে মালিক ছাদাক্বা করার সমান নেকী পাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৯০১ ‘ছাদাক্বার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ)। চোরের উচিত চুরি করা সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া এবং তওবা করা। চোরের শারঈ দন্ড দুনিয়াতে যদি না হয় এবং মালিককে যদি ফিরি
উত্তর : পশুর ক্ষেত্রে প্রজনন বৃদ্ধি পায়, এমন কোন পদ্ধতি গ্রহণ করা শরী‘আত সম্মত। কারণ শরী‘আতের বিধান মেনে চলার হুকুম পশুর উপরে নয়। তা কেবল জিন ও ইনসানের উপর অর্পিত হয়েছে (যারিয়াত ৫৬)। বৃক্ষের ক্ষেত্রে যেকোন পদ্ধতি গ্রহণ করার বৈধতা রয়েছে (মুসলিম
উত্তর : উক্ত দাবী ঠিক নয়। দুই সিজদার মাঝে দো‘আ পড়া সুন্নাত (আবুদাঊদ, তিরমিযী হা/২৮৪; মিশকাত হা/৯০০)।
উত্তর : এটি সম্পূর্ণরূপে শিরকী আক্বীদা। সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তাকে যারা এক করে দেখাতে চায়, তারা সর্বেশ্বরবাদী শিরকী দর্শনের অনুসারী। উক্ত বানোয়াট দর্শনের পক্ষে দলীল হিসাবে যা পেশ করা হয়েছে তা স্রেফ ধোঁকা ও প্রতারণা মাত্র। পৃথিবীর কোন সৃষ্টিই সৃষ্
উত্তর : একাকী হাত তুলে দো‘আ করা যাবে (ছহীহ সীরাহ নববী, পৃঃ ১৪৭)। তাছাড়া অন্য হাদীছে এসেছে, হাত তুলে দো‘আ করলে আল্লাহ্ শূন্য হাত ফিরিয়ে দেন না (আবুদাঊদ হা/১৪৮৮; তিরমিযী হা/৩৫৫৬)। তবে দো‘আ শেষে হাত মুখে মাসাহ না করে ছেড়ে দিবেন। কারণ মুখে হাত মাসাহ করা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং সূরা ফাতিহা পাঠের পূর্বে আঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়তে হবে, যা রাসূল (ছাঃ) পড়েছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী; মিশকাত হা/১২১৭; আবুদাঊদ হা/৪০০১)।
উত্তর : মূলতঃ কালেমার কোন প্রকার নেই। একই কালেমা বিভিন্ন শব্দে হাদীছের গ্রন্থগুলোতে বর্ণিত হয়েছে। ভারত বর্ষের বিদ্বানগণ ঐ শব্দগুলোর প্রতি লক্ষ্য করে কালেমার বিভিন্ন নামকরণ করেছেন। যেমন- কালেমা তাইয়েবাহ, শাহাদাত, তাওহীদ, তামজীদ ইত্যাদি। এটি ইজ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক (তিরমিযী হা/৫৮৬, সনদ হাসান)।
উত্তর : ব্যাপক ভিত্তিক হাদীছের (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭০৪) কারণে সঠিক হচ্ছে এই যে, যে কোন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসবে না। এ কারণে উক্ত কথা সঠিক নয়। বরং সর্বাবস্থায় ফরয ছালাতের পূর্বে সময় থাকলে ওযূ করে মসজিদে প্র
উত্তর : এমতাবস্থায় কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকটে ইখলাছের সাথে তওবা করবে ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে। কারণ অভিভাবকের অনুমতিবিহীন বিবাহ বাতিল (আবুদাঊদ হা/২০৮৩)। পরবর্তীতে অভিভাবক বিয়ে মেনে নিয়ে থাকলে তখনই শরী‘আত সম্মতভাবে পুনরায় বিয়ে হও
উত্তর : সূরা বাক্বারার এ আয়াত দ্বারা মদীনার ইহুদীদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। যাতে তারা দুনিয়াবী স্বার্থের বিনিময়ে তাওরাত ও ইঞ্জীলে রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী সহ অন্যান্য বিধানাবলী গোপন না করে এবং হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম না করে।
উত্তর : অমুসলিম-কাফের-মুশরিকদের বাড়িতে খাওয়া যাবে। শর্ত হ’ল খাদ্যটি হালাল ও পবিত্র হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) ইহুদীর দাওয়াত খেয়েছেন, যাদের অধিকাংশ উপার্জন হারাম পন্থায় হয়ে থাকে (বুখারী হা/২৬১৭, আবুদাঊদ হা/৪৫০৮)। তাদেরকে মানবিক সাহায্য-সহযোগিতা ক
উত্তর : ভূপৃষ্ঠে এমন কোন স্থান থাকবে না যেখানে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছবে না (আহমাদ হা/২৩৮৬৫, মিশকাত হা/৪২)। এরপরও কারু নিকটে যদি ইসলামের দাওয়াত না পৌঁছে, তবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তাদের আনুগত্যের পরীক্ষা নিবেন। এতেই তারা জান্নাতী বা জাহা
উত্তর : এগুলি আল্লাহ প্রেরিত ছহীফা হবার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এ বিষয়ে কুরআন ও হাদীছে কিছুই বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন ধর্মের সুন্দর বাণী সমূহ বিগত নবীগণের শিক্ষার ফসল হওয়াটা মোটেই বিচিত্র নয়। এ বিষয়ে আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা ছালাত আদায় কর সেভাবে, যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ (বুখারী হা/৬০০৮; মিশকাত হা/৬৮৩)। তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং যে আমার অবাধ্যতা করল, সেই-ই জান্নাতে যে
উত্তর: বিষয়টি সঠিক এবং এটি ফরয নয় বরং মুস্তাহাব। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) জুম‘আর পরে বাড়িতে গিয়ে দু’রাক‘আত সুন্নাত পড়তেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৬১)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, তোমাদের ম
উত্তর: বন্ধক এবং ঋণের হুকুম একই। ঋণের বিপরীতে লাভ নেওয়া যেমন সূদ, ঠিক তেমনি বন্ধক নেওয়া জিনিস থেকেও কোনরূপ লাভ গ্রহণ করা সূদের অন্তর্ভুক্ত। বন্ধক মূলত ঋণের বিপরীতে যামানত স্বরূপ। সেটার সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঋণগ্রহীতার উপর। শর্তানুযায়ী ত
উত্তর: স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়ে থাকে। আর যা কিছু ঘটে সবই আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে তাক্বদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/৭৯)। তাক্বদীরে কি আছে মানুষ তা জানে না। তাই তাকে সাধ্যমত দ্বীনদার ছেলে-ম
উত্তর: কথাটি ভিত্তিহীন। ছেলে-মেয়ে দেয়ার মালিক কেবল মাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন (শূরা ৪৯)।
উত্তর: কথাটি ভিত্তিহীন।
উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী পালিত সন্তান পালক পিতা-মাতার ওয়ারিছ হবে না। তবে এরূপ ক্ষেত্রে তারা অছিয়ত করতে পারেন। যা এক-তৃতীয়াংশের বেশী হবে না (বুখারী হা/৬২৭৩)। সন্তান সর্বদা জন্মদাতা পিতা-মাতারই ওয়ারিছ হয় (নিসা ১১)। অতএব পালকপুত্র পালক পিতা
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা সূরা মুমতাহিনার ১২ নম্বর আয়াতে মহিলাদের বায়‘আত সম্পর্কে এরশাদ করেন, ‘হে নবী! যখন ঈমানদার নারীগণ আপনার নিকট এসে আনুগত্যের বায়‘আত নেয় এই মর্মে যে, তারা শিরক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, সন্তানদের হত্যা করবে না, মি
উত্তর: উল্লেখিত পদ্ধতিতে লিজ নেওয়া যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) একাধিক বছরের জন্য ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৪১)। কারণ এতে ক্রেতা অথবা বিক্রেতা ধোঁকায় পড়তে পারে। পাতা ক্রয়, মুকুল ক্রয়, ফল ক্রয় সবই এই নিষেধের অন্তর্ভুক্ত।
উত্তর : মহিলারা পর্দার মধ্যে থাকলে ছালাত শুদ্ধ হবে। কোন সমস্যা নেই।
উত্তর: যাবে। কেননা আযান চলাকালীন সময়ে সালাম দেয়া বা সালামের জবাব দেয়া যাবে না মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। অথচ সাক্ষাত হ’লে পরস্পরে সালাম দেয়া মুসলমানের জন্য পারস্পরিক হক-এর অন্তর্ভুক্ত (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/১৫২৪)। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত
উত্তর: অভিভাবক ছাড়া বিবাহ বৈধ হয় না। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ ‘অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সিদ্ধ নয়’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘কোন নারী অভিভাবক ছাড়া বিবাহ করলে তা বাতিল, বাতিল, বা
উত্তর: ইমাম আহমাদ, বায়হাক্বী, নববী, বাযযার প্রমুখ বিদ্বানগণ হাদীছটি যঈফ বলেছেন। পক্ষান্তরে শায়খ আলবানীসহ অনেক বিদ্বান ‘ছহীহ’ বলেছেন। সেকারণ তাদের নিকটে বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। অন্য বিদ্বানগণের নিকটে ‘মুস্তাহাব’। কেননা কুরআনে বর্ণিত ওযূর নিয়মে বিস
উত্তরঃ সিজদায় যাওয়ার সময় মাটিতে আগে হাত রাখতে হবে এবং পরে হাঁটু রাখতে হবে। এটাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ সিজদা করে, তখন সে যেন উটের মত না বসে। বরং সে যেন তার
উত্তরঃ কুরবানীর সাথে আকীকা করার কোন দলীল নেই। অতএব তা জায়েয নয়। কারণ কুরবানী ও আকীকা দু’টো ভিন্ন বিষয়। কেউ দিলে তা শরী‘আত সম্মত হবে না (বিস্তারিত দ্রঃ মাসায়েলে কুরবানী ও আকীকা পৃঃ ২০)।
উত্তর : বিবরণ অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি ১ কন্যা, ২ ভাতিজা এবং ৬ ভাতিজী রেখে গেছেন। তার সম্পদের ওয়ারিছ কেবলমাত্র তার কন্যা। সে পিতার সম্পত্তির অর্ধাংশ পাবে। আর ২ ভাতিজা আছাবা হিসাবে বাকী অর্ধাংশ পাবে। কিন্তু ভাতিজীগণ ভাইদের সাথে ‘আছাবা’ হ’তে না পারায় ত
উত্তর : হজ্জের ‘সামর্থ্য’ বলতে পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য আবশ্যিকভাবে প্রয়োজনীয় সম্পদের অতিরিক্ত সম্পদকে বুঝায়। যা দিয়ে হজ্জে যাওয়া-আসার খরচ সংকুলান হয়। তা সঞ্চিত অর্থ হোক বা সম্পদের বিক্রয় মূল্য হোক। কাজেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমির মালিকদের ক্ষেত্র
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ (তিরমিযী হা/২৯২২; মিশকাত হা/২১৫৭)।
উত্তর : স্পষ্ট ও শুধুমাত্র হারাম উপার্জনকারী আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। তবে রাসূল (ছাঃ) ইহুদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১)। সে হিসাবে আত্মীয়তার হক আদায়ের উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে যাওয়া ও খাওয়া
উত্তর : এগুলি ভিত্তিহীন কাহিনী মাত্র। তবে কিছু যঈফ বর্ণনা এ বিষয়ে এসেছে। যেমন, আমেনা বলেন, যখন তিনি রাসূলকে প্রসব করেন, তখন যেন সেখান থেকে একটা জ্যোতি বের হ’ল, যা সিরিয়ার প্রাসাদ সমূহ আলোকিত করে ফেলল’ (বায়হাক্বী দালায়েলুন নবুঅত ১/৮০; আর-রাহ
উত্তর : ইতেকাফরত অবস্থায় জানাযার ছালাতে অংশগ্রহণ করা যাবে না (আবুদাউদ, মিশকাত হা/২১০৬)। অর্থাৎ মসজিদের বাইরে যাওয়া যাবে না (মিরক্বাত, ঐ)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখছ, সেভাবেই ছালাত আদায় কর’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৮৩)। তবে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র
উত্তর : দেশের পরিচিতি হিসাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যায় (হুজুরাত ১৩)। কিন্তু তাকে সালাম করার বিধান নেই। বিশেষ বিশেষ সময়ে এটা করা যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যুদ্ধের সময় পতাকা উত্তোলন করতেন (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৮৮৭-৮৯; সনদ হাসান)।
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক। রাসূল (ছাঃ) একদা ওমর (রাঃ)-কে বলেন, যার হাতে আমার জীবন তার কসম করে বলছি, হে ওমর! শয়তান যদি তোমাকে কোন গলিতে চলতে দেখে, তবে সে অন্য গলিতে পথ চলে (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৬০২৭ ‘ওমরের মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : উক্ত দ্রব্যাদি যদি পাকা চুল কালো করার জন্য হয়, তাহ’লে তা ব্যবহার করা যাবে না। জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা সাদা চুল কালো করা থেকে বিরত থাক (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২৪)। তিনি বলেন, আখেরী যামানায় কিছু লোক হবে, য
উত্তর : বলা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বিতর ছালাতান্তে এ দো‘আটি পাঠ করতেন এবং শেষের দিকে টেনে বলতেন (আবূদাঊদ, নাসাঈ; মিশকাত হা/১২৭৪)।
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় রামাযানের রাত্রিতে ইবাদত করে (তারাবীহ পড়ে), তার পূর্বের (ছগীরা) গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়’ (বুখারী, মুসলিম;
উত্তর : নাপাকীর দিনগুলিতে ছিয়াম ছেড়ে দিয়ে অন্য দিনে তা পালন করাই সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ঋতু অবস্থায় আমাদেরকে ছিয়াম ক্বাযা করার এবং ছালাত ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেওয়া হ’ত (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩২, ‘ক্বাযা ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ)। তবে বিশেষ অবস্থার প্রে
উত্তর : শারঈ কারণ ব্যতিরেকে এই দুই ব্যক্তির এভাবে হিংসা-বিদ্বেষ নিয়ে চলাফেরা করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন দিনের বেশী কোন মুসলমানের জন্য অপর মুসলিম ভাই হ’তে সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। তাদে
উত্তর : দাফনের পরে একজনের নেতৃত্বে সকলে সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে দো‘আ করা ও সকলের সমস্বরে ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলার প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। সম্মিলিতভাবে মৃত ব্যক্তির জন্য দো‘আ করার সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে, যাকে ‘জানাযা’ বলা হয়। সেখানে মৃত ব্যক্তির জ
উত্তর : আল্লাহ ও মুহাম্মাদ পাশাপাশি প্রদর্শন করা শরী‘আত বিরোধী। এতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আল্লাহর সমতুল্য বুঝায়। যা মুসলমানের তাওহীদী আক্বীদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাছাড়া ছূফীরা স্রেফ ‘আল্লাহ’ বলে যিকর করে। যা শরী‘আত বিরোধী। অতএব এগুলি দেওয়ালে বা ক
উত্তর : জুম‘আর পূর্বে নির্দিষ্ট কোন সুন্নাত ছালাত নেই। সময় পেলে খুৎবার আগ পর্যন্ত যত খুশী নফল ছালাত আদায় করবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৩৮১)। অন্যথা মুছল্লী কেবল ‘তাহিইয়াতুল মসজিদ’ দু’রাক‘আত পড়ে বসবে। জুম‘আর ছালাতের পরে মসজিদে চার রাক‘আত অথবা বাড়
উত্তর : উক্ত ব্যক্তির বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা উক্ত চার-এর ব্যাখ্যা রাবী আয়েশা (রাঃ)-এর অপর বর্ণনায় এসেছে যে, রাসূল (ছাঃ) প্রতি দু’রাক‘আত পর পর সালাম ফিরাতেন... (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৮৮, ‘রাত্রিকালীন ছালাত’ অনুচ্ছেদ)। ইবনু ওমর
উত্তর : যাকে যে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সে কাজ আন্তরিকতার সাথে যথাসাধ্য পালন করার জন্য তাকে সচেষ্ট হ’তে হবে। অন্যথা ক্বিয়ামতের দিন তাকে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। তোমরা প্রত্য
উত্তর : ঈদায়নের ছালাতে অতিরিক্ত তাকবীর ১২টি। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহাতে প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন রুকূর দুই তাকবীর ব্যতীত’ এবং ‘তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত’ (আবুদাঊদ হা/১১৫০; ই
উত্তর : কোন প্রাণী যদি কষ্টদায়ক এবং ক্ষতিকর হয় তাহ’লে সেগুলোকে হত্যা করা যাবে। কিন্তু আগুনে পুড়িয়ে মারা যাবে না (বুখারী হা/৩০১৬, আবুদাঊদ হা/২৬৭৫)। আর ইলেকট্রিক নেট এবং কয়েলের দ্বারা মশা মারলে তাকে আগুনে পুড়ানো বুঝায় না। অতএব এভাবে মারতে কোন বাধা নেই
উত্তর : কেউ যদি অগ্নিশিখাকে অনির্বাণ এবং চিরন্তন মনে করে, তাহলে তার এরূপ আক্বীদা পোষণ করাই হবে বড় শিরক। যার ফলে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। কেননা সৃষ্টিজগতে সবই ধ্বংস হবে। কেবলমাত্র আল্লাহ ব্যতীত। রাজত্ব কেবল তাঁরই এবং তাঁর কাছেই সবাইকে ফির
উত্তর : আযাবুল ইসলাম, গোলামুন্নবী নাম পরিবর্তন করতে হবে ইমাম ছাহেবের এ কথাটি সঠিক। কেননা যেসব নামে বড়ত্ব, অহংকার কিংবা নিজের পবিত্রতা কিংবা ভাল হওয়া কিংবা শিরক প্রমাণিত হয় নবী করীম (ছাঃ) সে নামগুলো পরিবর্তন করে তার থেকে ভাল নাম রাখতে বলেছেন (
উত্তর : স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য হলে জাহান্নামে যাবে, এ কথা ঠিক নয়। কারণ স্বামী শরী‘আত বিরোধী কোন নির্দেশ দিলে স্ত্রী তা মানতে বাধ্য নয় (আহমাদ, মিশকাত হা/৩৬৯৬)।স্বামীর উপর স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করা ফরয। যদি সে তার দায়িত্ব পালন না
উত্তর : কোন মহিলার শারীরিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝের মানবীয় চাহিদাকে অস্বীকার করা এবং একে ইবাদত-বন্দেগীর জন্য ক্ষতিকর গণ্য করা ইসলামী নীতির চরম লঙ্ঘন। কারণ স্বামী ও স্ত্রীর মিলিত হওয়াও একটি ইবাদত (মুসলিম; মিশকাত হা/১৮৯৮)।
উত্তর : অমুসলিমদের বানানো মিষ্টি, মুড়ি ইত্যাদি খাওয়া যাবে এবং তাদের রান্না করা খাদ্যও খাওয়া যাবে, যদি সে খাদ্যটি হারাম না হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে। রাসূল (ছাঃ) ইয়াহূদী মহিলার হাদিয়া দেওয়া খাদ্য খেয়েছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত
উত্তর : তাবীয কোন ঔষুধ নয়, বরং আক্বীদাগত কারণে তাবীয ব্যবহার করা শিরক। কখনও কখনও শিরকী কর্ম করার দ্বারা মানুষের ধারণা মতে সাময়িক উপকার হতে পারে। কিন্তু তা স্থায়ীভাবে ক্ষতি করে। তাবীয থাকার কারণে রাসূল (ছাঃ) এক ছাহাবীর বায়‘আত নেননি। সে তা কেটে
উত্তর : অলঙ্কারে যাকাত দেওয়া সম্পর্কিত হাদীছগুলি ছহীহ (আবুদাঊদ হা/১৫৬৩; নাসাঈ হা/২৪৭৯; তিরমিযী হা/৬৩৫; মিশকাত হা/১৮০৮-১০ ‘যাকাত’ অধ্যায় ১ অনুচ্ছেদ)। পক্ষান্তরে অলঙ্কারের যাকাত নেই মর্মে জাবের (রাঃ) বর্ণিত মওকূফ হাদীছটি ভিত্তিহীন (باطل لا أصل له) (ইরও
উত্তর : সেখানে মাহরাম সাথে থাকলে জায়েয হবে, নইলে নয়।
উত্তর : স্বর্ণের ছাদ নয়। বরং সিদরাতুল মুনতাহা নামক বৃক্ষটি আচ্ছাদিত ছিল ‘স্বর্ণের পতঙ্গ সমূহ’ দ্বারা। এ ব্যাখ্যাটি রাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)-এর (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৬৫ মি‘রাজ অনুচ্ছেদ)। ‘স্বর্ণের পতঙ্গসমূহে’র ব্যাখ্যায় কোন বিদ্বান
উত্তর : নিয়তের শাব্দিক অর্থ মনের সংকল্প। পারিভাষিক অর্থ শারঈ বিধান অনুযায়ী আল্লাহর ইবাদত করার জন্য হৃদয়ে সংকল্প করা। যেহেতু ইমাম ও মুছল্লীগণ এই সংকল্প করেই মসজিদে আসেন, ইমাম ছাহেব বিতর ছালাত এক রাক‘আত না কি তিন রাক‘আত পড়াবেন তারও নিয়ত বা সংকল
উত্তর : স্ত্রীর পরিত্যক্ত মোট মোহরানার টাকা বা সম্পদ নিম্ন বর্ণিত তাফসীল অনুযায়ী বণ্টিত হবে- (১) উক্ত মাল থেকে তার কাফন-দাফন ও তৎসম্পর্কীয় যাবতীয় কাজ সমাধা করতে হবে। (২) অতঃপর অবশিষ্ট মাল থেকে তার কর্য পরিশোধ করতে হবে। (৩) অতঃপর অবশিষ্ট মাল থ
উত্তর : সময় থাকলে নিখুঁত পশু কুরবানী দেয়াই উত্তম। যেহেতু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন শর্ত ছাড়াই নিম্নোক্ত দোষগুলি দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন- স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী ও জীর্ণ-শীর্ণ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৪৬৫)। আলী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছা
উত্তর : ছালাতের মধ্যে হাঁচি আসলে আলহামদুল্লাহ বলা যাবে (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত ৯৯২)। কিন্তু হাঁচির জওয়াব দেওয়া যাবে না। মু‘আবিয়া ইবনে হাকাম (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাত আদায় করছিলাম এ সময় একজন লোক হাঁচি দিল। তখন আমি يرحمك الله ব
উত্তর : ছালাত অবস্থায় টুপি পড়ে গেলে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা টুপী ছালাতের আবশ্যিক পোষাক নয়। তবে তা তুলে নেওয়ায় দোষ নেই। কেননা ছালাত অবস্থায় খুশু-খুযূ বিনষ্ট না করে ছোটখাট কাজ করা যায় (বুখারী, মিশকাত হা/৯৮৪)।
উত্তর : প্রচলিত সকল পীরবাদী তরীকাই বাতিল। কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সাথে এ সবের কোন সম্পর্ক নেই। কেবল ঘুঘু মুন্সি নয়, বহু মানুষের লাশ এরূপ পাওয়া যায় মাঝে-মধ্যে বহু বছর পরে অক্ষত অবস্থায়। এগুলি আল্লাহর কুদরত। এতে কারু মর্যাদার কমবেশী হয় না।
উত্তর : কুরআন ও হাদীছের ছেঁড়া পাতা ও বই-পুস্তক পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কুরআন ও হাদীছ অতীব পবিত্র ও সম্মানের বস্ত্ত। এগুলির ছিন্ন পাতা বা কিতাব কোনভাবে যাতে অসম্মানিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্ভবতঃ ছাহাবায়ে কেরাম এগুলি পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্
উত্তর : এর অর্থ মেয়ে তার মায়ের উপর খবরদারী করবে এবং তারা চরম অবাধ্য হবে। অন্য বর্ণনায় ربها পুংলিঙ্গ এসেছে। ফলে এর ব্যাখ্যায় অনেকগুলি মত এসেছে। ছাহেবে মির‘আত বলেন, আমাদের নিকট সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মত হ’ল, সন্তানেরা পিতা-মাতার চরম অবাধ্য হবে। সন
উত্তর : অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদি জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাহ’লে স্থায়ী পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। কারণ আল্লাহ হারাম জিনিসকে কখনো কখনো হালাল করেছেন। যেমন নিরুপায় অবস্থায় মৃত প্রাণীর গোশত হালাল (বাক্বারাহ ১৭৩, নাহল ১১৫)।
উত্তর : হাদীছটি বিভিন্ন গ্রন্থে এসেছে (বুখারী হা/১৮৭৬, মুসলিম হা/১৪৭, আহমাদ হা/৯৪৫২; মিশকাত হা/১৬০)। এর তাৎপর্য হ’ল, শেষ যামানায় যখন ফেতনা বৃদ্ধি পাবে তখন মানুষ তার ঈমান রক্ষার জন্য মদীনায় চলে যাবে দ্রুত বেগে, যে ভাবে সাপ দ্রুত তার গর্তে ঢুকে প
উত্তর : যদি প্রতিমাসে প্রদেয় ১৫০০/=টাকা বছর শেষে বিক্রয় মূল্যের হিসাবে লভ্যাংশ থেকে কাটা যায়, আর লোকসান হলে যদি ১ম পক্ষকে মাসে মাসে প্রদত্ত টাকা মূল টাকা হতে কাটার শর্ত থাকে, তাহ’লে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ লাভ হ’লে মাসে মাসে প্রদত্ত টাকা লভ্য
উত্তর : ইতিকাফ অবস্থায় অতি প্রয়োজনীয় কোন কথা মোবাইল যোগে কিংবা কোন আগন্তুক ব্যক্তির সাথে বলা যায়। রাসূল (ছাঃ) ইতিকাফ অবস্থায় দু’জন আগন্তুক ব্যক্তির সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলেছিলেন (বুখারী হা/২০৩৫; মুসলিম হা/২১৭৫)। ইতিকাফের পবিত্রতা বিরোধী কোন কথা ব
উত্তর : এটি বলা যাবে এবং এটি শিরক নয়। কেননা ‘মাওলা’ অর্থ কেবল ‘প্রভু’ বা ‘উপাস্য’ নয়। বরং মাওলা অর্থ বন্ধু, সুহৃদ, অভিভাবক, নেতা, গোলাম ইত্যাদি হয়ে থাকে। যা আরবী ভাষায় বহুল প্রচলিত। ‘মাওলানা’ শব্দটির মাদ্দাহ ولي পবিত্র কুরআনে প্রায় ১০টি অর্থে
উত্তর : অসুস্থতার কারণে বসে হৌক, শুয়ে হৌক, চেয়ারে বসে হৌক সাধ্যমতে ক্বেবলার দিকে চেহারা করে ছালাত আদায় করবে। ‘পা সামনে রেখে ছালাত আদায় করলে তাতে পাশের মুছল্লীদের ছালাত হয়না’ কথাটি ভিত্তিহীন।
উত্তর : শ্বশুর-শাশুড়ীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে আববা-আম্মা বলা যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইবনু আববাস ও আনাস (রাঃ)-কে আদর করে ‘ইয়া বুনাইয়া’ বা ‘হে আমার ছেলে’ বলতেন (আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ; মিশকাত হা/২৬১৩, ৪৬৫২)। বড়দেরকে শ্রদ্ধা করে ‘চাচাজী’ ও বলা
উত্তর : শক্তি থাকলে দিবে। এতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। ডাক্তারগণের সিদ্ধান্ত যদি এটাই হয় যে, রোগীর জন্য এখুনি রক্তের প্রয়োজন, তাহলে ছিয়াম অবস্থায় রক্তদান করবে এবং দুর্বলতা অনুভব করলে ছিয়াম ছেড়ে দিয়ে অন্যদিন ক্বাযা করে নিবে (ঊছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানু
উত্তর : তাকে পুনরায় হজ্জ করতে হবে না। কেননা হজ্জ জীবনে একবারই ফরয এবং তা তিনি আদায় করেছেন।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং কুরআনের সকল সূরা ও আয়াত সমূহ ‘মুতাওয়াতির’। এবিষয়ে কোন ছাহাবীর কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। ইবনে মাসঊদ (রাঃ) সম্পর্কে যে কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে বিদ্বানগণের বক্তব্য এই যে, তিনি এ সূরা দু’টিকে প্রথমে কুরআনের অংশ হিস
উত্তর : কবরকে বাঁধানো বা তার উপর কিছু লেখা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। জাবের (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কবর পাকা ও চুনকাম করতে, তার উপর লিখতে এবং পায়ে দলিত করতে নিষেধ করেছেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৭০৯ হাদীছ ছহীহ)।
উত্তর : শ্যামুয়েল নামে কোন নবীর নাম কুরআন বা হাদীছে পাওয়া যায় না। তবে অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে উক্ত নামে একজন নবী এসেছিলেন হারূণ (আঃ)-এর বংশে। মূসা (আঃ)-এর ভাগিনা নবী ইউশা‘ বিন নূনের ৪৬০ বছর পরে। সুদ্দী স্বীয় সনদে ইবনে আববাস, ইবনে মাসঊদ ও একদল
উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মতের জন্য প্রতি শতাব্দীর মাথায় একজন যুগসংস্কারক (মুজাদ্দিদ) পাঠাবেন, যিনি দ্বীনের সংস্কার সাধন করবেন’ (আবুদাঊদ হা/৪২৯১, মিশকাত হা/২৪৭; ছহীহাহ হা/৫৯১)। অত্র হা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নারীকে বিবাহ করা হয় চারটি কারণে : (১) তার সম্পদের কারণে (২) তার বংশ মর্যাদার কারণে (৩) তার সৌন্দর্যের কারণে এবং (৪) তার দ্বীনদারীর কারণে। এর মধ্যে তোমরা দ্বীনদার নারীকে অগ্রাধিকার দাও। নইলে ধ্বংস হও’ (বুখারী, ম
উত্তর : ঈদগাহের জন্য মেঝে পাকা করা, ছায়ার জন্য সামিয়ানা টাঙানো বা ছাদ করা কোনটাই আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বা খুলাফায়ে রাশেদীনের আমল থেকে প্রমাণিত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার মৃত্যুর পরে তোমরা অনেক ইখতেলাফ দেখতে পাবে। তখন তোমাদের উপর আবশ্যিক হবে আমা
উত্তর : ছাহাবায়ে কেরাম সর্বদা নিজের রায়কে বাদ দিয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছকে বিনা বাক্য ব্যয়ে গ্রহণ করতেন এবং সর্বাবস্থায় হাদীছকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতেন। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রাঃ) হযরত ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে এধরনের ১৫টি ঘটনা উদ্ধৃত ক
উত্তর : মূল টাকা ফেরত দেওয়া তার জন্য অপরিহার্য। লাভের টাকা ফেরত দেওয়াটা অধিক তাক্বওয়ার পরিচয় হবে।
উত্তর : এরূপ এক প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন, إِعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‘তোমরা আমল করতে থাক। কেননা প্রত্যেকের জন্য ঐ কাজ সহজ হয়, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ; মিশকাত হা/৮৫)। অনুরূপ আরেক
উত্তর : যে কোন মুসলিম নর-নারী পরস্পরের মধ্যে বিয়ে-শাদী করতে পারে। এক্ষণে (১) কোন মাযহাবী ব্যক্তি যদি ছহীহ হাদীছ পাওয়ার পরেও তা মানতে অস্বীকার করে ও নিজ মাযহাবী ভুলের উপর দৃঢ় থাকে (২) ওই ব্যক্তি যদি শিরক ও বিদ‘আতে অভ্যস্ত হয় এবং তা ছাড়তে রাযী
উত্তর : পুরুষ ও মহিলার ছালাতের স্থানের মাঝে দূরত্ব বজায় রেখে ছালাত আদায় করা যাবে। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঘরের মধ্যে ছালাত আদায় করতেন এবং লোকেরা তাঁর ঘরের পিছন থেকে ছালাতের ইক্তেদা করত (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১১১৪ ‘ছালাতে দাঁড়ানো’ অনুচ্ছেদ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট উম্মতের দরূদ ও সালাম পৌঁছানো হয় (নাসাঈ; মিশকাত হা/৯২৪)। এখানে সালাম অর্থ দো‘আ। চাই তা কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হৌক বা দূর থেকে হৌক। দ্বিতীয়তঃ বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বারযাখী জীবনের অন্তর্ভুক্ত। যেখানে মানুষের হায়াত বা মঊ
উত্তর : কুনূতে রাতেবা হ’ল যা বিতরের ছালাতে পড়া হয়। ফরয ছালাতে কুনূতে রাতেবা পড়া ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। ফজরের ছালাতে রাসূল (ছাঃ) কুনূতে রাতেবা পড়েছেন মর্মে যে হাদীছটি এসেছে তা যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১২৩৮)। আর কুনূতে নাযেলা যা যুদ্ধ, শ
উত্তর : সূদী ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং শাখা স্রেফ প্রতারণা মাত্র। আর ইসলামী ব্যাংকগুলির ব্যাংকিং কার্যক্রম ১০০% সূদমুক্ত নয়। তাই সকল ব্যাংকেই ডি.পি.এস খোলা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
উত্তর : এখানে হাদীছ দ্বারা কুরআনের আয়াতকে রহিত করা হয়নি। বরং বিবাহিত যেনাকারদের জন্য খাছ করা হয়েছে মাত্র। কুরআনের আয়াতে উল্লেখিত শাস্তির বিধান অবিবাহিত যেনাকারী এবং যেনাকারীনীর জন্য প্রযোজ্য এবং বিবাহিত নারী ও পুরুষ উক্ত অপকর্ম করলে তার জন্য শাস
উত্তর : প্রথমত : ইসলামী আক্বীদা ও আমল প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দু’টি ভিন্ন বিষয়। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে যারা দ্বীনের মৌলিক উদ্দেশ্য বলে ধারণা করে থাকেন, বা ধর্মই রাজনীতি বলে প্রচারণা চালান, তারা দ্বীনকে সম্পূর্ণ ভুল অর্থে গ্রহণ ক
উত্তর : স্পষ্ট সূদী বা সন্দেহযুক্ত সূদী ব্যাংকে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করা বৈধ হবে না। সূদী কারবারে যে চার শ্রেণীর লোক সমানভাবে জড়িত, তারা হ’ল (ক) সূদ দাতা (খ) সূদ গ্রহীতা (গ) সাক্ষী (ঘ) লেখক (বুখারী হা/৫৯৬২, মুসলিম হা/১৫৯৮, বু
উত্তর : সন্তান নষ্ট করা অর্থ সন্তান হত্যা করা। যা শরী‘আতে হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহ যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন তাকে তোমরা হত্যা করো না শরী‘আতসম্মত কারণ ব্যতীত’ (আন‘আম ১৫১)। ডাক্তার হিসাবে এ কাজে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। আল্
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। খুৎবা মাতৃভাষায় এবং অধিকাংশ মুছল্লীদের বোধগম্য ভাষায় হওয়া যরূরী। কেননা খুৎবা অর্থ ভাষণ, যা শ্রোতাদের বোধগম্য ভাষায় হওয়াই স্বাভাবিক। আল্লাহ বলেন, وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُوْلٍ إِلاَّ بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّن
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বরং আয়েশা (রাঃ)-এর ছয় বছর বয়সে রাসূল (ছাঃ) তাঁকে বিবাহ করেছিলেন এবং নয় বছর বয়সে বাসর করেছিলেন। (বুখারী, ‘বিবাহ’ অধ্যায়, হা/৫১৫৮)। সূ
উত্তর : মানি চেঞ্জিং-এর মাধ্যমে ব্যবসা করা অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে রিয়াল অথবা ডলার কিংবা ডলারের বিনিময়ে টাকা ক্রয় করা শরী‘আত সম্মত যদি তা নগদ বা হাতে হাতে হয়। কেননা টাকা, ডলার ও রিয়াল, মানের দিক থেকে এক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যদি একটি অপরটি
উত্তর: পারবে। তবে এমনভাবে যা কেবল অপর মহিলা মুছল্লীরা শুনতে পায়। যেন পরপুরুষেরা তাদের কণ্ঠ শুনতে না পায় (আহযাব ৩২)।
উত্তর : এ জন্য অনুতপ্ত হতে হবে এবং এভাবে যেন না পড়ে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কুরআন সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন পবিত্র গ্রন্থ (বুরূজ ২২)। তবে কুরআনের ওযনে চাউল দিতে হবে এ কথা সঠিক নয়।
উত্তর : কেউ ইমামের সাথে ছালাতের কিছু অংশ পেলে তাকে ‘মাসবূক্ব’ বলে। মুছল্লী ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, সে অবস্থায় ছালাতে যোগদান করবে (তিরমিযী হা/৫৯১; মিশকাত হা/১১৪২)। অতঃপর ইমাম সালাম ফিরানোর পরে মাসবূক্ব ছালাতের যে অংশটুকু বাদ পড়বে, সেটুক
উত্তর: কোন পার্থক্য নেই। তবে অন্যের ছালাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হ’তে পারে এমনভাবে তেলাওয়াত করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা একে অপরের চেয়ে উঁচু কণ্ঠে তেলাওয়াত কর না’ (আহমাদ; মিশকাত হা/৮৫৬, সনদ ছহীহ)।
উত্তর : উক্ত অনুষ্ঠান শরী‘আত সম্মত নয়। এগুলো সব কুসংস্কার ও বিজাতীয় সংস্কৃতি। এগুলো বর্জন করা আবশ্যক (আবুদাঊদ হা/৪০৩১)। তবে বর-কনে চাইলে নিজেরা হলুদ মাখতে পারে (বুখারী হা/২০৪৮, মুসলিম হা/১৪২৭, মিশকাত হা/৩২১০ ‘ওয়ালীমা’&nb
উত্তর : তারাবীহ ছালাতই নফল ছালাত। কাজেই সেই ছালাতের কিছু অংশকে সুন্নাত আর কিছু অংশকে নফল বলার অবকাশ নেই। ৩০ পারা তেলাওয়াত শোনার আশায় এরূপ করারও প্রয়োজন নেই। কেননা তারাবীহ ছালাত ৮ রাক‘আত যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/২০১৬)। ২০ রাক
উত্তর : ইউনুস (আঃ)-এর মাছের পেটে অবস্থান কালের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। যেমন- এক ঘণ্টা, ৩, ৭, ২০, ৪০ দিন। অথবা সকাল বেলা পেটে নিয়ে বিকেল বেলা উগরে দিল (তাফসীর কুরতুবী, ইবনে কাছীর)। সেখানে আল্লাহ তা‘আলা একটি লাউ জাতীয় গাছ সৃষ্টি করে দিলেন
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বানাওয়াট।
উত্তর : এক্ষেত্রে সালাম দেয়ার কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে এ জন্য অনুতপ্ত হওয়া ও দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। কারণ ঐ ব্যক্তি একে তাচ্ছিল্য ভাবতে পারে। আর কাউকে অসম্মান করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৫৯)।
উত্তর : ছুটে যাওয়া সুন্নাত ফরয ছালাতের পরপরই পড়া যাবে (তিরমিযী হা/৪২২,; ইবনু মাজাহ হা/১১৫১ সনদ ছহীহ; বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০৪৩)। তবে সূর্য ওঠার পরেও পড়া যাবে (তিরমিযী হা/৪২৩, ছহীহাহ হা/২৩৬১)।
উত্তর : জুম‘আর খুৎবার ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশনা হ’ল- ছালাত ও খুৎবা উভয়ই মধ্যম হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫)। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী খুৎবা দীর্ঘ করাতেও কোন বাধা নেই। উম্মে হিশাম বলেন, আমি সূরা ক্বাফ মুখস্ত করেছি রাসূল (ছাঃ)-এর মুখ থেকে শুনে, য
উত্তর : উক্ত হাদীছ যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৬৫২)। মূলতঃ ছালাতের পদ্ধতিগত ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ১১৩, ১৪৩)।
উত্তর : মৃত ব্যক্তির নামে পৃথকভাবে কুরবানী দেওয়ার কোন ছহীহ দলীল নেই। আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অছিয়ত হিসাবে তাঁর জন্য পৃথক একটি দুম্বা কুরবানী দিয়েছেন বলে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা অত্যন্ত যঈফ (আবুদাঊদ হা/২৭৯; মিশকাত হা/১৪৬২)।
উত্তর : সুস্থিরভাবে বসে মাটিতে ভর দিয়ে উঠতে হবে। মালেক বিন হুওয়াইরিছ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলু্ল্লাহ (ছাঃ)-কে এভাবে ছালাত আদায় করতে দেখেছেন যে, তিনি ছালাতের মধ্যে যখন বেজোড় রাক‘আতে পৌঁছতেন, তখন সিজদা থেকে উঠে সুস্থিরভাবে না বসে দাঁড়াতেন না (ব
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতি যেমন শর্ত, তেমনি সাবালিকা মেয়ের সম্মতিও অপরিহার্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘স্বামীহীন মহিলাকে তার পরামর্শ ছাড়া বিবাহ দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকেও তার অনুমতি ছাড়া বিবাহ দেয়া যাবে না। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন,
উত্তর : শারঈ কারণবশতঃ মসজিদ স্থানান্তর করলে পূর্বের জায়গা বিক্রি করা যাবে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ নতুন মসজিদে ব্যয় করা যাবে। ওমর (রাঃ)-এর যুগে কূফার দায়িত্বশীল ছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ)। একদা মসজিদ হ’তে বায়তুল মাল চুরি হ’লে সে ঘটনা হযরত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৪৯, আহমাদ হা/২১২১২)। তবে পবিত্র কুরআনের যেকোন অংশ পড়ে ফুঁক দেওয়া যাবে। কেননা কুরআনকে আল্লাহ ‘শিফা’ বা ‘আরোগ্য’ বলেছেন (বনু ইসরাঈল ১৭/৮২)।
উত্তর : সমাজের অংশ মূলতঃ তাদের জন্যই নির্ধারিত, যারা কুরবানী করেননি। সামর্থ্যবান হওয়া না হওয়া শর্ত নয়। কুরবানীদাতা লিল্লাহ্র গোশত থেকে পুনরায় নিতে পারেন না। কেননা হাদিয়া ফিরিয়ে নেয়া যায় না (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৫৩৮, ৩৫৪০; ইবনু মাজাহ হা/২৩৯১)।
উত্তর : সরকারের কোন আইন ইসলামী আইন বিরোধী না হ’লে এবং জনকল্যাণকর হ’লে সে আইন মেনে চলা ওয়াজিব (আবুদাঊদ হা/২৬২৬; তিরমিযী হা/৩৭০৭)। অতএব উক্ত ধোঁকাবাজির ব্যবসা ও তার উপার্জিত অর্থ বৈধ হবে না।
উত্তর : উক্ত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। মূলতঃ কবরের গভীরতার কোন মাপজোক নেই। কোন জীব-জন্তু যাতে লাশের কোন ক্ষতি করতে না পারে, সে পরিমাণ কবর গভীর করাই স্বাভাবিক নিয়ম। এজন্য মধ্যম উচ্চতার পুরুষের কোমর পরিমাণ খনন করা উত্তম (ফাতাওয়া ইবনে বায ১৩/১৮৯
উত্তর : ছহীহ বুখারীতে আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক জনৈক গোত্রপতিকে সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করা এবং তার বিনিময় গ্রহণ করা সম্পর্কে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/২২৭৬, ৫৭৩৬)। তাবীয ব্যবহার করা যাবে মর্মে শুধু বুখারী নয় বরং কোন হাদীছ গ্রন্থেই কো
উত্তর : দো‘আ ইউনুস পড়ার এরূপ রীতি হাদীছ সম্মত নয়। ইসলামের নামে এগুলো বিদ‘আতী রসম মাত্র। এ সমস্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করা ও সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ২)। তবে যেকোন বিপদে দো‘আয়ে ইউনুস পড়লে আল্লাহ তাকে তা থেকে উদ্ধার করবেন এবং তার দো‘আ কবুল কর
উত্তর : জন্ম ও মৃত্যুদিবস পালন করা, কবরে ফুল দিয়ে সম্মান জানানো, দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা সবই অমুসলিমদের অনুকরণ। ইসলামে এসবের কোনই অনুমোদন নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মুনকার বা যঈফ (যঈফ তারগীব হা/৬৮৯; সিলসিলা যঈফাহ হা/৫০৯১)।
উত্তর : ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম (লোকমান ৬; বুখারী হা/৫৫৯০, মিশকাত হা/৫৩৪৩)। যারা আল্লাহর সুন্দর নাম বাজনার সাথে উচ্চারণ করছে, ক্বিয়ামতের দিন তারা আরো কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।
উত্তর : ফিৎরার কোন নিছাব নেই। কারণ গোলামের উপরও ফিৎরা ফরয করা হয়েছে (বুখারী হা/১৫১১; মিশকাত হা/১৮১৫)। পাগলের অভিভাবক তার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করবে। আর অভিভাবকহীন পাগলের ক্ষেত্রে তার সম্পদ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। আর সম্পদ না থাকলে আদায় করা
উত্তর : যাবে। কারণ কোন বস্ত্তর ক্ষেত্রে মূলনীতি হ’ল বস্ত্তটি হালাল, যে পর্যন্ত না তাতে হারামের দলীল পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইহুদী ও পৌত্তলিকদের সাথে বৈষয়িক লেনদেন করেছেন। তবে অমুসলিমদের মেলায় ও পূজায় যাওয়া যাবে না। কারণ তাতে শিরককে উৎসাহিত
উত্তর : উক্ত ঘটনা ভিত্তিহীন।
উত্তর : উক্ত কাহিনী ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বিভ্রান্ত ছূফীরা এসব কল্প কাহিনী রচনা করেছে।
উত্তর : সঊদী আলেমগণ বিশেষ প্রেক্ষিত বিবেচনায় যে ফৎওয়া দিয়েছেন তা সঠিক (ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৪/৩০২)। তবে শর্ত হ’ল তা যুলুম প্রতিরোধের জন্য হবে এবং প্রার্থী সর্বাধিক যোগ্যতা সম্পন্ন হবে। নইলে উক্ত চাকুরী তার জন্য হারাম হবে। কেননা তা হবে অন
উত্তর : আবু জাহল তার গুপ্তাঙ্গে বর্শা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছিল, এটা প্রমাণিত (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/৩৪৫৭০; বায়হাক্বী, দালায়েলুন নবুঅত ২/২৮২; আল-বিদায়াহ ৩/৫৯)। তবে তাকে উলঙ্গ করে হত্য করেছিল, এমনটি পাওয়া যায় না। অন্যায় কাজে বাধা দেওয়
উত্তর : মুহুরীর পেশা গ্রহণ করা যায়। তবে তা হ’তে হবে সম্পূর্ণরূপে প্রতারণামুক্ত এবং থাকতে হবে মানুষকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদ
উত্তর : কাটা যাবে না। কেননা বৃদ্ধাবস্থাতেও রাসূল (ছাঃ)-এর ঠোটের নিম্নভাগে উক্ত লোম ছিল। যার কিছু অংশ সাদা ছিল (বুখারী হা/৩৫৪৫-৪৬)।প্রশ্নকারী : আবূবকর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
উত্তর : ইন্স্যুরেন্স বা বীমা কোম্পানীতে চাকুরী করা যাবেনা। কেননা ইন্স্যুরেন্স বা বীমা কোম্পানী প্রচলিত পদ্ধতি শরী‘আতের কয়েকটি মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক। যেমন- (১) ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে সরাসরি সূদ জড়িত, যা হারাম। (২) ইন্স্যুরেন্স পরোক্ষভাবে জুয়ার উপ
উত্তর : ছালাতসহ যেকোন সময়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নাম শুনলে তার প্রতি দরূদ পাঠ করা জায়েয (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৬০৪১-৪২; হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ২/৬৬; আল-মুনতাক্বা শারহুল মুয়াত্তা ১/১৫৪; বিন বায, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব)। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আদেশ দিয়ে
উত্তর : এটি একটি ফিক্বহী পরিভাষা। অর্থ অধিকাংশ। সাধারণ অর্থে, যখন কোন ফিক্বহী মাসআলায় অধিকাংশ ইমাম বা ফক্বীহ একমত পোষণ করেন, তখন সে মতটিকে ‘জমহূর’-এর মত বলা হয়। বিশেষ অর্থে, জমহূর বলতে বুঝানো হয়, এক ইমামের বিপরীতে তিন ইমামের মতামত। অর্থাৎ যখন কো
উত্তর : শরী‘আতের দৃষ্টিতে রাসূল (ছাঃ) কে গালিদাতা ব্যক্তি হত্যাযোগ্য অপরাধী। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর ইজমা‘ রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেছেন (কুরতুবী, তাফসীর সূরা তওবা ১২ আয়াত ৮/৮২; বিস্তারিত দ্র. ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ), আছ-ছারেম
উত্তর : মুছল্লীদের তা‘লীমের উদ্দেশ্যে ছালাতের পর আলোচনা করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও, একটি আয়াত হ’লেও (বুখারী হা/৩৪৬১; মিশকাত হা/১৯৮)। রাসূল (ছাঃ) বিশেষ করে ফজর ছালাত শেষে আলোচনা করতেন (আবুদাঊদ হা/৪৬০৭ প্
উত্তর : একজন আলেমের মধ্যে ন্যূনতম নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকলে তার নিকট থেকে ইলম অর্জন করা বা ফৎওয়া নেওয়া যাবে। (১) আল্লাহভীরু হওয়া (২) দলীল সহকারে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান ও বুঝ অর্জন করা (৩) কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত সিদ্ধান্তের কাছে নিরংকুশভাবে আ
উত্তর : কবরের পাশে মসজিদ নির্মাণ করা কোন সৌভাগ্যের বিষয় নয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ ব্যক্তি হ’লে এটি শিরকের কেন্দ্র হয়ে যেতে পারে, যা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সাবধান! তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের নবীগণ ও নেক ব্
উত্তর : বাসর রাতের পর দিন অথবা তিন দিন পর্যন্ত অলীমা করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ)-এর সাথে বাসর রাত যাপন করার পর দিন অলীমা করেছিলেন (বুখারী হা/৫১৭০) এবং তিনি ছাফিয়াহ (রাঃ)-কে বিবাহের পর তিনদিন যাবৎ অলীমা খাইয়েছিলেন&nbs
উত্তর : যে ব্যক্তি আয়না চালক অথবা অনুরূপ কোন গণকের নিকট যাবে এবং তার কার্যকলাপকে বিশ্বাস করবে সে কাফের হয়ে যাবে। জাদুর বাস্তবতা আছে। কিন্তু তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা কাফের হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন গায়েব সম্পর্
উত্তর : নববী যুগে এমন প্রথা ছিল না। তবে এভাবে অর্থ সংগ্রহে বাধা নেই। কারণ এটিকে ইবাদত হিসাবে গণ্য করা হয় না। বরং এর মাধ্যমে মুছল্লীদের মধ্যে নিয়মিত দানের উত্তম অভ্যাস তৈরী হয়। এতে দোষের কিছু নেই।প্রশ্নকারী : ইব্রাহীম, শ্রীপুর, গাযীপুর।
উত্তর : বিভিন্ন কারণে প্রচলিত শেয়ার বেচাকেনার ব্যবসা জায়েয নয়। যেমন- (১) ক্রেতার অনেক সময় সম্যক জ্ঞান থাকে না যে কী বস্ত্তর শেয়ার তিনি ক্রয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন (আবুদাঊদ হা/৩৪৮৮)। (২) যে বস্ত্তর শ
উত্তর : এটি একটি অনৈসলামী সংস্কৃতি, যা পরিত্যাজ্য (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৬/৩০৩; তুর্কমানী, আল-লুমা‘ ১/২৮২-২৮৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ইহূদী-নাছারাদের অনুকরণে সালাম দিয়ো না। কেননা তারা হস্ততালু, মাথা ও ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাক
উত্তর : ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শ্রেষ্ঠ দো‘আ হ’ল ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (তিরমিযী হা/৩৩৮৩; মিশকাত হা/২৩০৬)। এরপর নবাগত সন্তান ও তার ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন দো‘আ করা যায়। যেমন মু‘আবিয়া বিন কুররা (রাঃ) বলেন, ‘আমার সন্তান ইয়াস জন্মগ্র
উত্তর : ইস্তিগফারের জন্য ছালাত ব্যতীত কেবল সিজদার বিধান হাদীছে বর্ণিত হয়নি (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৫৬৫; ইবনু তায়মিয়া, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/৯৪)। সুতরাং কেউ পাপ করলে দু’রাক‘আত ছালাত অর্থাৎ ‘ছালাতুত তওবাহ’ আদায় করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। অর্থাৎ সিজদা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে সাধারণভাবে আলেমগণের মর্যাদায় বহু ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, সাধারণ আবেদ ব্যক্তির উপর আলেমের মর্যাদা যেমন নক্ষত্ররাজির উপর পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা। আর নিশ্চয়ই আলেমগণ হ’লেন নবীদে
উত্তর : গায়ের মাহরাম নারীর সাথে প্রয়োজনে কথা বলা যাবে। কথা বলার সময় উভয়ে দৃষ্টি অবনত রাখবে (নূর ২৪/৩০-৩১)। নারী তার কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক রাখবে (আহযাব ৩৩/৩২-৩৩)। পর্দার আড়াল থেকে কথা বলা বিধেয় (আহযাব ৩৩/৫৩)। নির্জনে কথা বলা যাবে না&n
উত্তর: উক্ত নারী পর্দার আড়াল থেকে প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারে। তবে এভাবে ছেলের মত সম্পর্ক স্থাপন করে বিশেষ যোগাযোগ রাখা সমীচীন নয়। কারণ ইমাম ছাহেব গায়ের মাহরাম হওয়ায় তা অবৈধ সম্পর্কের দিকে ধাবিত করতে পারে। সেজন্য সর্বাবস্থায় নারী-পুরুষের শারঈ পর্দা
উত্তর : ওযূ করার সময় অঙ্গগুলো তিনবারের বেশী ধৌত করা হাদীছের ভাষ্যমতে যুলুম, সীমালংঘন ও অবাধ্যতা। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, একজন বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট এসে তাকে ওযূ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে ওযূর অঙ্গ
উত্তর : চার আলিফ বা তিন আলিফ মাদ্দের স্থানে এক আলিফ দীর্ঘস্বরে টানলে অর্থ পরিবর্তন হয় না। সেজন্য এতে গুনাহ হবে না, যদিও তাতে তেলাওয়াতের সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়। তবে মাখরাজের ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। কেননা এতে অর্থ পরিবর্তনের আশংকা থাকে (ই
উত্তর : আযান মসজিদের ছাদে, মিনারে বা মসজিদের বাইরে উঁচু স্থান থেকে দেওয়াই সুন্নাত (আবুদাউদ হা/৫১৯; বায়হাকী, সুনানুল কুবরা হা/১৯৯৫; আহমাদ হা/২২০৮০; মুত্তাফাকুন আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮০)। অবশ্য মাইক ব্যবহারে আযানের শারঈ উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাওয়ায় ম
উত্তর : এমতাবস্থায় দাদী বা নানী কিছু সম্পদ লিখিতভাবে হেবা করতে পারে। সম্পদের উত্তরাধিকারী না হ’লে তাদের নামে অছিয়াতও করা যাবে। তবে এক্ষেত্রেও সমতা স্থাপন যরূরী বলে অধিকাংশ বিদ্বান অভিমত ব্যক্ত করেছেন (নববী, রওযাতুত-তালেবীন ৫/৩৭৯; হায়তামী, ত
উত্তর : জানাযার ছালাত সরবে ও নীরবে দু’ভাবেই পড়া যায় (বুখারী ১/১৭৮, হা/১৩৩৫; মুসলিম হা/৯৬৩ (৮৬); মিশকাত হা/১৬৫৪)। ইমাম সরবে পড়লে মুক্তাদীগণ আ‘ঊযুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ সহ কেবল সূরা ফাতিহা চুপে চুপে পড়বে এবং পরে দরূদ ও অন্যান্য দো‘আ সমূহ পড়বে। তব
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (বায়হাক্বী শো‘আব হা/৬১৪৬; মিশকাত হা/৩০৯৭; যঈফাহ হা/১১১৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে যে নারীর বিবাহের মোহর কম, সে বিবাহ বরকতপূর্ণ মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (আহমাদ হা/২৪৫২২; ইরওয়া হা/১৯২৮, সনদ হাসান)। ত
উত্তর : ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে চাকুরী করা যাবে। যেহেতু স্বাস্থ্যসেবা সূদী কর্মকান্ডের অংশ নয়। তবুও যেহেতু তাতে প্রতিষ্ঠানটির প্রচার-প্রচারণার বিষয়টি যুক্ত থাকে, তাই সাধ্যমত সূদবিহীন প্রতিষ্ঠানে চাকরী অন্বেষণ করতে হবে&nb
উত্তর : কোন পুরুষ কোন গায়ের মাহরাম নারীকে নির্জনে পড়াতে পারবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন বেগানা পুরুষ কোন বেগানা নারীর সাথে নির্জনে অবস্থান করলে সেখানে তৃতীয় জন থাকে শয়তান’ (তিরমিযী হা/১১৭১, মিশকাত হা/৩১১৮)। তবে যদি একত্রিতভাবে শরঈ পর্দা
উত্তর : কোন সন্তান সম্পদ অর্জনে পিতাকে সহায়তা করলে তার পুরস্কার হিসাবে নিজের জীবদ্দশায় তাকে কিছু সম্পদ বেশী দেওয়া যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই হৃদয়ের দুর্বলতা দূর করে ইনছাফের ভিত্তিতে দিতে হবে। কাউকে বঞ্চিত করা বা কারো প্রতি অসন্তুষ্টির ভিত্তিতে নয়&
উত্তর : জান্নাতী নারী-পুরুষ সেখানে যা কামনা করবে তাই পাবে। তাই সন্তান চাইলে সন্তানও পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুমিন লোক যদি জান্নাতে সন্তানের আকাঙ্খা করে তাহ’লে সঙ্গে সঙ্গে তার স্ত্রী গর্ভধারণ করবে ও সন্তান প্রসব করবে এবং সন্তানটি হবে বয়সে যু
উত্তর: অন্যায় আক্রমণের শিকার হ’লে প্রতিহত করতে হবে। তবে প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ধৈর্য্যধারণ করলে উক্ত ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে উত্তম প্রতিদান লাভ করবে (শূরা ৪২/৩৯-৪৩, ফুছছিলাত ৪১/৩৪)। জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে বলল, কেউ এসে আমার মাল জোর করে নিত
উত্তর : যারা ইবাদতরত অবস্থায় মারা যায় তারা সৌভাগ্যবান বলে বিভিন্ন হাদীছ প্রমাণ করে। যেমন হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যখন আল্লাহ কোন ব্যক্তির ভালো চান, তাকে মানুষের প্রিয়পাত্র করেন। কেউ রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! প্
উত্তর : কসম ভঙ্গের কাফফারা একবার দিলেই যথেষ্ট হবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১৬০৬১; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়া ৩৫/৪৮-৪৮)। তবে কসম ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে হ’লে প্রত্যেক কসমের জন্য আলাদা আলাদা কাফফারা দিতে হবে বলে একদল বিদ্বান মত প্রকাশ করেছেন। যদিও
উত্তর : ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য জনকল্যাণমূলক হ’লে পিতা ছওয়াবের অংশীদার হবেন। সেক্ষেত্রে যদি ক্লাবের সদস্যরা কোন অন্যায় কাজ করে, তাতে তিনি দায়ী হবেন না। কারণ কেউ কারু পাপের বোঝা বহন করবে না (আনআম ৬/১৬৪)। কিন্তু ক্লাবটি ইসলাম বিরোধী ক
উত্তর : জালালুদ্দীন রূমী (৬০৪-৬৭২ হি.) ভ্রান্ত ছূফী মতবাদে বিশ্বাসী আধ্যাত্মিক সাধক ও কবি ছিলেন। ‘মসনবী’ তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। বর্তমান আফগানিস্তানের বল্খ শহরে জন্মগ্রহণকারী এই ফার্সী কবি আক্বীদাগতভাবে ইবনু আরাবীর ন্যায় হুলূল ও ইত্তেহাদের আক্ব
উত্তর : প্রত্যেকবার সিজদা দেওয়া যরূরী নয়। বরং শেষে একবার সিজদা দিলেই যথেষ্ট। তবে একবার পাঠ করলে যখনই পাঠ করবে বা শ্রবণ করবে তখনই সিজদা দেওয়া সুন্নাত। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করতেন এবং আমরা তাঁর নিকট থাকতাম, ত
উত্তর : বেনামাযী ও বেপর্দা মহিলার রান্না করা খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ নয়। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের রান্না করা খাবার খেয়েছেন (বুখারী হা/২৬১৭; মুসলিম হা/২১৯০; আহমাদ হা/১৩২২৪; ইরওয়া হা/৩৫)। তবে বেনামাযী ও বেপর্দা নারীকে সাধ্যমত উপদেশ দিতে হবে এবং আল্
উত্তর : প্রত্যেক মুমিন নারীর জন্য অপরিহার্য হ’ল পিতা বা অভিভাবকের অনুমতিক্রমে বিবাহ করা (আবুদাঊদ হা/২০৮৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩০-৩১)। তবে যেহেতু উক্ত বিবাহ কাযী অফিসের মাধ্যমে হয়েছে এবং পরিবার মেনে নিয়েছে সেহেতু এটি ‘শিবহে নিকাহ’ হিসাবে বৈধ
উত্তর : ধর্ষণের শাস্তি ও যেনা বা ব্যভিচারের শাস্তির মধ্যে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। যেনা বা ব্যভিচারে লিপ্ত হ’লে তার শাস্তি বিবাহিত পুরুষ ও নারীর জন্য প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদন্ড ও অবিবাহিতদের জন্য একশ’ বেত্রাঘাত ও এক বছর নির্বাসন (নূর ২৪/০২; বুখার
উত্তর : তাবীয বেচা-কেনা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোন বস্ত্ত হারাম করেন, তখন তা বিক্রি করাও হারাম’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪৯৩৮)। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ হা/১৬৯৬৯; ছহীহুল জামে‘
উত্তর : উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সালিসী বৈঠকের সিদ্ধান্ত শরী‘আত সম্মত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে খোলা‘ কার্যকর হয়েছে। খোলা‘ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নারীর পক্ষ থেকে, যা স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কার্যকর হয়। এটি তালাক নয় (ইবনু
উত্তর : অধিকাংশ মুফাসসির ছয় দিনের তাফসীরে ছয় দিনই বলেছেন। কেননা উক্ত দিনগুলি কত সময়ের হবে সে বিষয়ে কিছু বর্ণিত হয়নি। যেমন ক্বিয়ামতের ১ দিনের সময়কাল হবে দুনিয়ার ৫০ হাযার বছরের সমান (মা‘আরেজ ৭০/৪, মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭৩)। ইবনে আববাস বলেন, ‘সেদিন
উত্তর : সরকারী প্রায় সকল অর্থেই সূদের মিশ্রণ রয়েছে। চাকুরীর ক্ষেত্রে ইসলামে মূলনীতি হ’ল, (১) অন্যায়কাজে সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘন কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদা ২)। (২)
উত্তর : ছেলেমেয়েদের প্রতিপালন করা পিতার দায়িত্ব, তাই বিশেষ প্রয়োজনে যদি কোন ছেলে বা মেয়ের ক্ষেত্রে খরচাদি কম-বেশী হয়, তাতে কোন দোষ নেই। ইমাম আহমাদ বলেন, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এরূপ করাতে কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামা ৬/২৭২)। তবে স্বাভাবিক অবস্থায়
উত্তর : এ বিভক্তি আল্লাহর পরীক্ষা মাত্র। এর কারণ দু’টি। (১) দুনিয়া (২) আখেরাত। যেসব দলের উদ্দেশ্য দুনিয়া, তাদের নিকট দুনিয়া অর্জনের পথ যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন, সে কারণ তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দুনিয়া অর্জন করছে। এ কারণে তারা তাদের দলের শিরোনামে
উত্তর : হকপন্থী মুসলমান কেবলমাত্র ‘আহলেহাদীছ’ নামেই অভিহিত হবেন। ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনে এযাম নিজেদেরকে ‘আহলুল হাদীছ’ বলতেন। ইমাম আহমাদ সহ অধিকাংশ মুহাদ্দিছ বিদ্বান কিয়ামত পর্যন্ত হকের উপর প্রতিষ্ঠিত নাজী ফেরকা হিসাবে কেবলমাত্র আহলেহাদীছ জাম
উত্তর: একই ইমাম একাধিক বার একই ছালাত পড়িয়েছেন মর্মে রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণের কোন আমল পাওয়া যায় না। তবে একই ছালাত একাধিকবার পড়ার বিষয়টি প্রমাণিত। মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিছনে এশার ছালাত পড়তেন এবং নিজ সম্প্রদায়ে গিয়ে আব
উত্তর : ঈদের ময়দানে মুছল্লীদের জন্য শামিয়ানার মাধ্যমে ছায়ার ব্যবস্থা করার কোন বিধান নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এবং তাঁর ছাহাবীগণ মসজিদে নববী থেকে ৫০০ গজ পূর্বে বাত্বহান প্রান্তরে খোলা ময়দানে ঈদায়নের ছালাত আদায় করতেন (মির‘আত ৫/২২)। সেখানে কোন ছায়া
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। পেশাব-পায়খানা করার পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। পানি না থাকলে ঢেলা বা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। সূরা তওবার ১০৯ আয়াতে পবিত্রতা অর্জনের কারণে আল্লাহ যাদের প্রশংসা করেছেন, তারা পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের উপরে ভালো ও মন্দ দু’ধরনের শাসক আসবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে সে দায়িত্বমুক্ত হবে। যে ব্যক্তি তাকে অপসন্দ করবে, সে নিরাপত্তা লাভ করবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তার উপর রাযী থাকবে ও তার অনুসারী হবে। তখ
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাতের ফরযিয়াতকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হ’তে বহিষ্কৃত (আহমাদ, ইবনু মাজাহ; মিশকাত হা/৬১, ৫৮০; ছহীহাহ হা/৯১৪, ইরওয়া হা/২০২৬ ৭/৯১)। তবে সাধারণভাবে ছালাত তরক করাকে হাদীছে ‘কুফরী’
উত্তর : অনুবাদ : ‘যখন তিনি তাদের উভয়কে একটি সুঠামদেহী সন্তান দান করেন, তখন তাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তাতে তারা অন্যদেরকে আল্লাহর শরীক বানিয়ে নেয়। অথচ যাদেরকে তারা শরীক বানায়, তাদের থেকে আল্লাহ অনেক ঊর্ধ্বে’। এখানে ‘উভয়কে’ অর্থ মুশরিক দম্পতি।
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখনই ছালাত আদায় করতেন তখনই তিনি ডান কিংবা বাম দিক হয়ে ছাহাবীদের দিকে ফিরে বসতেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৯৪৪, ৯৪৭)। অতএব সব ছালাতেই ঘুরে বসতে হবে। শুধু ফজর ও আছর ছালাতে নয়। ‘তাবারাকতা... ওয়াল ইকরাম’
উত্তর : যে কোন বয়সে বিবাহ দিতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। বিয়ের পরে পড়াশুনা করতেও কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নারীকে বিবাহ করা হয় চারটি কারণে : (১) তার সম্পদ (২) বংশ মর্যাদা (৩) সৌন্দর্য এবং (৪) তার দ্বীনদারীর কারণে। এর মধ্যে তোমরা দ্বীন
উত্তর : শাদ্দাদ সম্পর্কে যত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে সবই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এগুলো ইহুদীদের বানানো গালগল্প মাত্র (তাফসীরে ইবনে কাছীর সূরা ফজর ৭ আয়াত; তারীখে ইবনে খালদূন ১/১৩-১৫)।
উত্তর : ওযূ করে হাত-পা মোছা যাবে (ইবনু মাজাহ হা/৪৬৮, দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ৬১)।
উত্তর : শরী‘আতের বিধান অনুযায়ী সন্তান তার পিতা-মাতার নামেই পরিচিত হবে। জেনেশুনে নিজ পিতা-মাতাকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে পিতা-মাতা হিসাবে ডাকা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে অন্যকে পিতা-মাতা বলে, তার জন্য জান্নাত হারাম’ (বুখারী হা/
উত্তর : ইয়াহূদী-নাছারাদের অধীনে চাকুরী করা যাবে, যদি কর্মটি হারামের সাথে সম্পৃক্ত না হয় এবং ইবাদতে কোন প্রকার বিঘ্ন না ঘটে। কারণ আলী (রাঃ), কা‘ব বিন ঊজরা (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবীগণ খেজুরের বিনিময়ে ইয়াহূদীদের অধীনে পানি উত্তোলনের কাজ করেছেন (ছহীহ আ
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে কোন সময়কাল পাওয়া যায় না। তবে ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮হিঃ) এই প্রথাকে বিদ‘আত বলেছেন (মাজমূউ ফাতাওয়া ২২/৫১৯ পৃঃ)। তাতে বুঝা যায় ৭ম শতাব্দী হিজরীর দিকে এটির অস্তিত্ব ছিল । কারণ তার পূর্বের বিদ্বানগণ এ সম্পর্কে পক্ষে বা বিপ
উত্তর : সাধারণতঃ সকল নবীই ৪০ বছর বয়সে নবুঅত লাভ করেছেন। তবে ঈসা (আঃ) সম্ভবতঃ তার কিছু পূর্বেই নবুঅত ও কিতাব প্রাপ্ত হন। কেননা বিভিন্ন রেওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, আকাশে তুলে নেবার সময় তাঁর বয়স ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে ছিল (নবীদের কাহিন
উত্তর : কবরস্থানের যে অংশে কবর রয়েছে সেখানে ফসলাদী আবাদ করা ও গাছ লাগানো ঠিক নয়। কারণ তা কবরের অবমাননার মধ্যে পড়ে যায় (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া শাইখ বিন বায ১৩ খঃ, পৃঃ ৩৬১ ‘জানাজা’ অধ্যায়)। তবে যে স্থানে কবর হয়নি বা বহু পুরাতন হওয়ায় যদি কোন চিহ্ন না থাকে তবে
উত্তর : রুকূ থেকে উঠে কওমার দো‘আ শেষ হওয়া পর্যন্ত হাত উঠিয়ে রাখা মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। ধীরস্থিরভাবে হাত উঠানো ও নামানোই সুন্নাত (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৭৯৫)।
উত্তর: শয়তান মানুষকে শয়তানী কাজে সহযোগিতা করে। আল্লাহ বলেন, কতক জিন এবং মানুষ এমন আছে যারা একে অন্যকে মনোমুগ্ধকর ও চাকচিক্যময় কথা দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে। যেন তারা ধোঁকায় পতিত হয়। তোমার প্রতিপালকের ইচ্ছা হলে তারা এমন কাজ করতে পারত না। কিন্তু
উত্তর : ফেরেশতামন্ডলী নূরের তৈরী আল্লাহর একটি বিশেষ সৃষ্টি (মুসলিম হা/২৯৯৬)। তাঁদের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের অন্যতম রুকন (বাক্বারা ২/২৮৫; বুখারী হা/৫০)। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর আনুগত্যের জন্য তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবী পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদেরকে বি
উত্তর : যদি সে ঘৃণাবশতঃ এবং ইচ্ছাকৃতভাবে পুড়িয়ে ফেলে, তাহলে সে কুফরী ও মুরতাদ হওয়ার পর্যায়ভুক্ত পাপী হবে। (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ইবনে বায ২৪/৩৯৫)। তওবা না করলে ইসলামী রাষ্ট্র অবশ্যই তার শাস্তি বিধান করবে।
উত্তর : বরকত মনে করে মক্কা-মদীনার ছবি ঘরে ঝুলিয়ে রাখা নাজায়েয। আর মাযারের ছবি বরকতের উদ্দেশ্যে ঝুলিয়ে রাখা এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা শিরকের পর্যায়ভুক্ত মহাপাপ। এছাড়া ছালাতের স্থান যাবতীয় জাঁকজমকমুক্ত রাখাই সুন্নাত। সে হিসাবে মুছল্লীর
উত্তর : পাঁচটি পদ্ধতিতে সন্তান প্রজনন হারাম। (১) স্ত্রীর ডিম্বানু সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে তার স্বামীর শুক্রানু ও অন্য এক মহিলার ডিম্বানু পরাগায়ন করে স্ত্রীর রেহেমে পুশ করা। (২) স্বামীর শুক্রানু সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে স্ত্রীর ডিম্বানু এবং অ
উত্তর : আটরশী পীর ছাহেবের মৌলিক বিভ্রান্তিগুলির অন্যতম হ’ল- (১) পরকালে মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আবশ্যকতা নেই। যেমন পীর ছাহেব বলেছেন, ‘হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানগণ নিজ নিজ ধর্মের আলোকেই সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করতে পারে
উত্তর : এভাবে নিয়মিত আমল করা যাবে না। তবে যদি কেউ শেষ রাতে উঠার ব্যাপারে আশংকা করে এবং উঠতে না পারে, তাহ’লে উক্ত ছালাতই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে (মির‘আত ৪/২৯৮ পৃঃ)। এছাড়া ঘটনাটি সফরের হ’তে পারে। কেননা অন্য হাদীছে السهر বা ‘রাত’-এর স্থলে السفر বা সফর
উত্তর : সূদ কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। তাই এ থেকে যেকোন মূল্যে বেঁচে থাকতে হবে। আপনার জমাকৃত অর্থ দিয়ে শরী‘আত অনুমোদিত মুযারাবা ও মুশারাকা সিস্টেমে (মুযারাবা-একজনের অর্থে অপর জন ব্যবসা করবে। লভ্যাংশ চুক্তি অনুপাতে উভয়ের মধ্যে বণ্টিত হবে (আবুদাঊদ
উত্তর : আংটি বা চেইন বিনিময় করার বিষয়টি প্রচলিত রীতি মাত্র। বিবাহের পূর্বে এরূপ কোন লেনদেনের প্রমাণ শরী‘আতে পাওয়া যায় না। অতএব এগুলি থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : এগুলি কুসংস্কার মাত্র। যা বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)।
উত্তর : মূল অংশীদারগণের নিজ নিজ অংশ নেয়ার পর যারা অবশিষ্টাংশ পাওয়ার হকদার, তাদেরকে ‘আছাবা বলে। প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির সম্পদ থেকে মেয়েরা পাবে দুই তৃতীয়াংশ এবং বাকী এক তৃতীয়াংশ পাবে চাচাতো ভাইয়েরা।
উত্তর : উক্ত কাহিনী সঠিক নয়। এ মর্মে ওয়াহাব বিন মুনাবেবহ থেকে যে বর্ণনা এসেছে তা যঈফ (তাফসীরে দুর্রে মানছূর, ইবনে হাজার আসক্বালানী, মাত্বালিবুল ‘আলিয়াহ হা/৩৮৬১)। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে যে, আরশ বহনকারী ফেরেশতার সংখ্যা ৮ জন (হা-ক্কাহ ৬৯/১৭)।
উত্তর : বিয়েতে উপহার কামনার বিষয়টি শরী‘আতসম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ প্রথার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাছাড়া এতে গরীব আত্মীয়-স্বজনকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিকৃষ্ট খানা হ’ল ওয়ালীমার ঐ খানা, যা
উত্তর : পাপিষ্ঠ জ্বিন অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে (আ‘রাফ ৭/১২-১৮, হিজর ১৫/৩২-৪৪, ছোয়াদ ৩৮/৮৪-৮৫, জিন ৭২/১৪-১৫)। এক্ষেত্রে তারা আগুনের সৃষ্টি বলে আগুনে পুড়বেনা কথাটি ঠিক নয়। যেমন মানুষ মাটি থেকে সৃষ্টি হলেও মাটির ঢেলা দিয়ে আঘাত করলে সে ব্যাথা পা
উত্তর : ক্বিয়ামতের দিন যারা শাফা‘আত করার সুযোগ লাভ করবেন, তারা হলেন (১) নবী-রাসূলগণ (২) ফেরেশতাগণ (৩) মুমিনগণ (মুসলিম হা/১৮৩; মিশকাত হা/৫৫৭৯)। (৪) ছিয়াম (৫) কুরআন (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/১৯৬৩, সনদ ছহীহ)। এছাড়া (৬) শহীদগণ নিজ পরিবারের ৭০ জনের জন্য শাফা‘
উত্তর : মজলিস শেষে এবং কুরআন তেলাওয়াত শেষে রাসূল (ছাঃ) নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়তেন سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ (তিরমিযী হা/৩৪৩৩, নাসাঈ কুবরা হা/১০১৪০; সিলসিলা ছহীহাহ হ
উত্তর : জন্ম বা মৃত্যু দিবস পালন করা এবং সে উপলক্ষে অনুষ্ঠানাদি করা বিধর্মীয় সংস্কৃতি। এগুলোর সাথে ইসলামের কোনরূপ সম্পর্ক নেই। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম কখনো এসব পালন করেননি। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বিধর্মীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদের
উত্তর : গুল তামাক থেকে তৈরি। আর নেশা জাতীয় দ্রব্য হিসাবে তামাক হারাম। এর দ্বারা চিকিৎসা নেয়া জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তার মধ্যে আরোগ্য রাখেননি, যা তিনি তোমাদের জন্য হারাম করেছেন (ছহীহ ইবনে হিববান হা/১৩৯১; সিলসিলা ছহীহাহ
উত্তর : শরী‘আত সম্মত নয়। এধরনের ব্যক্তির উপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ হা/৪১৬৮-৭০; মিশকাত হা/৪৪৬৮)। এতে সৃষ্টির পরিবর্তন ঘটে, যা নিষিদ্ধ (বুখারী হা/৪৮৮৬; মিশকাত হা/৪৪৩১, ‘পোষাক’ অধ্যায়, ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। শায়খ উছায়মীন (রহঃ) বলে
উত্তর : ভুয়া নাম ও ঠিকানা সম্বলিত সুদৃশ্য মলাটে মোড়ানো ২২৪ পৃষ্ঠার উক্ত বইটি সম্প্রতি আমাদের কাছে এসেছে। পুরো বইটিতে যে প্রচন্ড হিংসা ও বিদ্বেষের বিষ ছড়ানো হয়েছে, তাতে পরিচয়হীন এই লেখকের অসৎ উদ্দেশ্য পরিষ্কার। যদিও তার লেখনীর মধ্যেই তার দাবীর
উত্তর : বর্তমানে প্রচলিত কোন ব্যাংকই ১০০% সূদমুক্ত নয়। তাই এরূপ না করে বরং মূল অর্থ থেকে স্কলারশীপ প্রদান করতে হবে। কারণ সূদী কর্মকান্ডে সাহায্য করার মাধ্যমে উদ্দিষ্ট নেকীর বদলে গুনাহ অর্জিত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা প
উত্তর : কেবল সম্পদ বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং যে কোন বৈধ হাজত পূরণের জন্য দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করা মুস্তাহাব (ইবনু মাজাহ হা/১৩৮৫)। এক্ষেত্রে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর সালাম ফিরানোর পূর্বে প্রয়োজনীয় বিষয়টির কথা নিয়তের মধ্যে এনে নিম্নোক্ত সারগর্ভ
উত্তর : স্বাভাবিক অবস্থায় হাত উঁচু করে ইশারায় সালাম দেয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ইহুদী-নাছারাদের ন্যায় সালাম বিনিময় করো না। তারা হাত, মাথা এবং ইশারার মাধ্যমে সালাম বিনিময় করে থাকে (নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, ছহীহাহ হা/১৭৮৩)। তবে দূর
উত্তর : উক্ত স্ত্রীকে শোক পালনের জন্য শরী‘আত নির্ধারিত সময় ৪ মাস ১০ দিন ইদ্দত পালন করতে হবে (বাক্বারাহ ২৩৪)। তা সহবাসের পূর্বে বা পরে হউক তাতে কোন পার্থক্য নেই (বুখারী ৮০৩ পৃঃ)। উক্ত স্ত্রী তার মোহর পাবে এবং স্বামীর সম্পদের ওয়ারিছ হবে। কারণ স্বাম
উত্তর : শরী‘আত নির্ধারিত সময়ের পূর্বে আযান দিলে তা ছালাতের আযান বলে গৃহীত হবে না; বরং ছালাতের সময় হ’লে পুনরায় আযান দিতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই ছালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফরয করা হয়েছে’ (নিসা ১০৩)। তবে পুনরায় আযান না দিয়ে ছালা
উত্তর : জেহরী ছালাতের ক্বাযা আদায়ের সময় জামা‘আতবদ্ধ ভাবে হ’লে সরবে এবং একাকী হলে নিরবে পড়াই উত্তম। এ সময় ইক্বামত দিতে হবে (মুসলিম হা/৬৮০, আবুদাউদ হা/৪৩৫)।
উত্তর : সন্তানদের সুন্দর নাম রাখার ব্যাপারে শরী‘আতে দিক নির্দেশনা আছে। নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম হলো আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান (বুখারী হা/৪৯৪৯)। রাসূল (ছাঃ) মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৭৭৪; ছহ
উত্তর : ওয়াযকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আলেমগণ নবীদের ওয়ারিছ (আবুদাঊদ হা/৩৬৪১, ইবনু মাজাহ হা/২২৩)। ওয়াযের উদ্দেশ্য হবে দ্বীনের দাওয়াত মানুষের নিকট পৌঁছে দেওয়া। কোন নবীই এলাহী দাওয়াতের বিপরীতে মানুষের নিকট থেকে কোন
উত্তর : আল্লাহর একত্ব সম্পর্কে জানার জন্য যে তিন প্রকার তাওহীদ সম্পর্কে জানা আবশ্যক তার মধ্যে তাওহীদে আসমা ওয়াছ ছিফাত অন্যতম। এর অর্থ আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। যার মাধ্যমে মানুষ বিবিধ কল্যাণ লাভ করতে পারে। যেমন- ১-মানু
উত্তর : উক্ত ছিয়াম কাযা আদায় করতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে। তা হ’ল, ১- একজন দাস মুক্ত করবে। এতে তার সামর্থ্য না থাকলে ২- দু’মাস একটানা ছিয়াম পালন করবে। তাতেও সক্ষম না হলে ৩- ষাটজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য দান করবে (বুখারী হা/১৯৩৬; মুসলিম হা/১
উত্তর : ৪৪ পৃষ্ঠার উক্ত বইটি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। গালি-গালাজের বিষয়টি আমরা এড়িয়ে যাচ্ছি এবং আল্লাহর উপর ছেড়ে দিচ্ছি। বইয়ে বর্ণিত প্রমাণগুলি অতীব ভ্রমাত্মক। কেননা প্রচলিত মীলাদের আবিষ্কারই হয়েছে ৬০৫ মতান্তরে ৬২৫ হিজরীতে। যা বিদ‘আত হওয়ার ব্যাপা
উত্তর : ছালাতের সময় সিজদার দিকে তাকিয়ে থাকাই সুন্নাত (হাকেম হা/১৭৬১, আলবানী, ছিফাতু ছালা-তিন্নবী পৃঃ ৬৯)। তবে ছালাতের খুশু-খুযূ বিনষ্টকারী কোন বস্ত্ত কিবলার দিকে থাকলে কিংবা কোন কারণবশতঃ সাময়িকভাবে চোখ বন্ধ রাখা যেতে পারে। কেননা ছালাতে খুশু-খুযূ
উত্তর : গল্প-গুজব নয়; বরং পর্দার মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় কথা বলতে পারবে এবং খাদ্য পরিবেশনও করতে পারবে। কিন্তু তা যেন নির্জনে না হয়। ফেতনায় পড়ার সম্ভাবনা থাকলে এগুলো থেকেও বিরত থাকা আবশ্যক। আর মাহরাম ছাড়া অন্য কারো সাথে ভ্রমণ বা সফর করা কঠোরভাবে
উত্তর : স্বাভাবিক ও সুস্থ মানুষের জন্য এসব সেবন করা হারাম। তাছাড়া এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। রাসূল (ছাঃ) জৈবিক চাহিদাকে অবদমিত রাখতে যুবকদের নফল ছিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)। অতএব এই চাহিদা বৃদ্ধির জন
উত্তর : বৈমাত্রেয় বোনের নাতনীকে বিবাহ করা হারাম। কারণ সে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত (নিসা ৪/২৩)। এছাড়া সহোদরা, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন, তাদের কন্যা এবং এ ধারাগুলি যত নিম্নের হউক না কেন তাদের বিয়ে করা হারাম (তাফসীর ফৎহুল ক্বাদীর ১/৪৪৫; কুরতুবী ৫-৬/৭১; ফৎহ
উত্তর : এভাবে ক্রয়-বিক্রয় বৈধ। ইসলামী শরী‘আতের ভাষায় এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয়কে বাইয়ে সালাম বা বাইয়ে সালাফ বলা হয় (আবুদাউদ হা/৩৪৬৪, তিরমিযী হা/১৩১১)। যার পদ্ধতি হ’ল, পণ্যের অনুপস্থিতিতে মূল্য গ্রহণ করে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়ে কোন প্রকার অস্পষ্টতা ছাড়
উত্তর : ছালাত ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ওযূ করে শুরু থেকে পূর্ণ ছালাত আদায় করতে হবে (মুসলিম হা/৩৬২; মিশকাত হা/৩০৬)।
উত্তর : অনুবাদ : ‘তারা (মক্কার মুশরিকরা) আল্লাহ্কে ছেড়ে শুধু কতকগুলো দেবীরই পূজা করে, তারা কেবল আল্লাহদ্রোহী শয়তানের পূজা করে (নিসা ১১৭)। এ আয়াতে বর্ণিত ‘ইনাছা’ শব্দের ব্যাখ্যায় ছাহাবী উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, مَعَ كُلِّ صَنَمٍ جِنِّيَّةٌ প্রত্
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর বংশধারাকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। ১ম ভাগে মুহাম্মাদ (ছাঃ) হ’তে ঊর্ধ্বতন পুরুষ আদনান পর্যন্ত ২২টি স্তর। যে ব্যাপারে কারু কোন মতভেদ নেই। এর উপরে ২য় ভাগে আদনান থেকে ইবরাহীম (আঃ) পর্যন্ত ৪১টি স্তর এবং তার উপরে তৃতীয় ভাগে ইবরাহ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীগণকে সঠিক ইসলামী তা‘লীম দিয়ে ইসলাম প্রচারের জন্য প্রেরণ করতেন। পক্ষান্তরে প্রচলিত তাবলীগে স্বপ্নে পাওয়া মিথ্যা কল্প-কাহিনী দিয়ে লোকদের প্রেরণ করা হয়। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণের দাওয়াতে তিন দিন বা চল্লিশ দিনকে ফরয
উত্তর : রাত-দিন হিসাবে ২৪ ঘণ্টার সময় ভাগ করে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের সাথে মিলিয়ে ছালাত ও ছিয়াম পালন করবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা দিনে ও রাতে মোট ৫ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। এছাড়া দাজ্জালের আবির্ভাবের সময়ে তার প্রথম দিন বর্তমানের এক বছরের সমান,
উত্তর : হয়নি। কেননা স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারে না। বরং স্বামীর নিকট থেকে ‘খোলা’ করে নিতে পারে। বৈধ অভিভাবকের মাধ্যমে স্বামীকে জানিয়ে ‘খোলা’ করে একমাসের ইদ্দত গণনা শেষে অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে (বুখারী হা/৫২৭৩, মিশকাত হা/৩২৭৪, আবুদাঊদ হা/২২
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফাহ হা/১৯০০, মিশকাত হা/৪৯৯৯)। এখানে عِيَالُ اللهِ ‘আল্লাহর পরিবার’ বলতে সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর প্রতিপালন বুঝানো হয়েছে। যেভাবে পিতা-মাতা তার সন্তানদের প্রতিপালন করে থাকেন। ‘আল্লাহর পরিবার’ কথাটি এখানে গৌণ
উত্তর : মুরতাদের জন্য একমাত্র শাস্তি হ’ল মৃত্যুদন্ড। রাসূল (ছাঃ)-এর বলেন, مَنْ بَدَّلَ دِينَهُ فَاقْتُلُوهُ ‘যে ব্যক্তি স্বীয় দ্বীনকে পরিবর্তন করল, তাকে হত্যা কর (বুখারী হা/৩০১৭, মুসলিম হা/১৭৭৬; মিশকাত হা/৩৫৩৩)। তবে অবশ্যই তা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ইস
উত্তর : প্রথমতঃ টাকা ব্যাংকে রেখে লভ্যাংশ ভোগ করা যাবে না। কারণ উক্ত লভ্যাংশ সূদের অন্তর্ভুক্ত। ব্যবসায় যুক্ত মূল টাকার সাথে লভ্যাংশ যদি একত্রিত হয়, আর একবছর গচ্ছিত থাকে, তাহ’লে লভ্যাংশসহ যাকাত দিতে হবে। অথবা খরচ করার পর লভ্যাংশের যে পরিমাণ অ
উত্তর : তারা সবাই অমুসলিম হ’লে কেউ ওয়ারিছ হবে না (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩০৪৩)। আর যদি মুসলিম হয়, তাহ’লে আপনার মোট সম্পদকে ২৪ দিয়ে ভাগ করে ৬ ভাগ পাবে স্ত্রী, মা ৪ ভাগ এবং বাকী ১৪ থেকে ভাই পাবে ৭ ভাগ আর দু’বোন সাড়ে তিন করে ৭ ভাগ পাবে।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ইবনু কাছীর বলেন, মুসলিমরা প্রতি সপ্তাহে এই দিনে মসজিদে একত্রিত হয়ে থাকে বলে জুম‘আ নামকরণ করা হয়েছে (ইবনু কাছীর ৮/১১৯)। কেননা ইতিপূর্বে আরবরা এদিনটিকে ‘আরূবা’ (العروبة) বলত।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য বানাওয়াট। যেমন গর্ভধারণের ফযীলত হিসাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘গর্ভধারিণী নারী ছিয়াম পালন কারিনী ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কারীর সমান নেকী অর্জন করে’। উক্ত হাদীছ জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২০৫৫)।
উত্তর : মহিলারা কুরবানী সহ যেকোন পশু যবেহ করতে পারে (বুখারী হা/৫৫০৫ ‘মহিলা ও দাসী কর্তৃক যবেহ করা’ অধ্যায়)।
উত্তর : ‘পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি’ (তিরমিযী হা/১৮৯৯)। বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য ছেলের জন্য পিতা-মাতার সম্মতি শর্ত নয়। যদিও তাঁদের সন্তুষ্টি যরূরী (আহমাদ হা/২২১২৮; মিশকাত হা/৬১)। মেয়ে তার পিতা বা বৈধ অভিভা
উত্তর : হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি ডেকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করা জায়েয নয়। কারণ এতে মানুষের চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটে, তেমন দেশও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি রাস্তায় পতিত একটি গাছের ডালের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় বলল, অবশ্যই
উত্তর : মহিলারা মহিলাদের জামা‘আতে আযান ও ইক্বামত দিতে পারে। আয়েশা (রাঃ) আযান ও ইক্বামত দিয়ে মহিলাদের জামা‘আতে ইমামতি করেছেন (বায়হাক্বী কুবরা হা/১৭৮১. তামামুল মিন্নাহ পৃঃ ১৫৩, সনদ ছহীহ)। ইবনে ওমর (রাঃ)-কে একদা জিজ্ঞেস করা হল যে, ‘মহিলাদের উপর
উত্তর : হাঁটুর উপর কাপড় ওঠা অযূ ভঙ্গের কারণ সমূহের অন্তুর্ভুক্ত নয়। বরং প্রয়োজন বোধে হাঁটুর উপর কাপড় উঠানো যায় (বুখারী হা/৩৭১, মুসলিম হা/২৪০১)। তবে সতরের অংশ হিসাবে সর্বাবস্থায় তা ঢেকে রাখা কর্তব্য (তিরমিযী হা/২৭৯৬, আহমাদ হা/২২৫৪৮, ইরওয়াউল গালী
উত্তর: আমানতের খেয়ানত করা এবং কারো গোপন কথা প্রকাশ করা কবীরা গুনাহ এবং তা মুনাফিকের আলামত। আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা জেনে-শুনে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে এবং নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত করোনা (আনফাল ২৭)। যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে সত
উত্তর : দ্বীনের মৌলিক বিশ্বাস, বিধি-বিধান, হালাল-হারাম ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা সকল মুসলিম ব্যক্তির উপর ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৯১৩, ৩৯১৪)। তাই সন্তানকে ঐ প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি করাতে হবে, যেখানে সে ইসলামী আদর্শে গড়ে উঠতে পারে
উত্তর: উক্ত হাদীছটি কোন দ্বীনী কারণ ব্যতীত পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু দ্বীনের ত্রুটির কারণে শিক্ষা দেয়ার স্বার্থে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাবুকের যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে থাকা তিন ব্যক্তির সাথে পঞ্চাশ দি
উত্তর : মাহরাম ব্যক্তিদের সামনে নারীগণ স্বীয় সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবে (নূর ৩১)। এখানে সৌন্দর্যের অর্থ হ’ল, মাথা, গলা, হাত, পা এবং যেসব অঙ্গে সাজ-সজ্জার জন্য অলংকার ইত্যাদি পরিধান করা হয় সেগুলিকে বুঝায় (ইবনু কাছীর)। এই অঙ্গগুলি মাহরামের সামনে প্রক
উত্তর : গ্রহণ করা যাবে। কারণ হারাম উপার্জনের জন্য দাতা দায়ী হবে; গ্রহীতা নয়। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী ২/১৯৫ পৃঃ, ‘মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা’ অনুচ্ছেদ)। এছাড়া পবিত্র কা‘বা ঘরও মুশরিকদের দান দ্বারা নির্মিত হয়েছিল (আর-রাহীকুল
উত্তর: যদি সে তালাকে রাজঈ অর্থাৎ এক তালাক অথবা দুই তালাক দিয়ে থাকে, তবে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে পারবে। যদি এক সঙ্গে তিন তালাক দেয় তবুও। কারণ এক সঙ্গে হাযার তালাক দিলেও এক তালাকই গণ্য হয় (আবুদাঊদ হা/২১৯৬; মুসলিম হা/১৪৭২)। তবে যদি তিন
উত্তর : কেবল শায়খ আলবানী নন প্রথম যুগের বেশ কিছু মুহাদ্দিছ এ বিষয়ে ছহীহ বুখারীর কতিপয় হাদীছ সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ইমাম দারাকুৎনী (৩০৬-৩৮৫ হিঃ) ছহীহ বুখারীর ৭৮টি এবং বুখারী ও মুসলিমের মিলিতভাবে ৩২টি হাদীছের উপর সমালোচ
উত্তর : মুসলিম পিতার মৃত শিশুসন্তান জান্নাতী হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক মানব সন্তান ফিৎরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৯০; রূম ৩০)। এছাড়া বালেগ হওয়ার পূর্বে শরী‘আতের কোন বিধান তার উপর প্রযোজ্য হয় না (আবুদাঊদ, মিশকা
উত্তর : নিকটাত্মীয় বলতে নিজের স্বামীও যদি অভাবী হন, তবে তাকে আগে দিতে হবে। তারপর তার ভাই-বোন, মামু-চাচা প্রমুখ। নিকটাত্মীয়কে প্রদানের মাধ্যমে দ্বিগুণ নেকী হয়। ছাদাক্বার নেকী ও আত্মীয়তাসম্পর্ক বজায় রাখার নেকী’ (বুখারী হা/১৪৬৬, মুসলিম হা/১০০০; মি
উত্তর : ‘আমেলীন’-এর পারিভাষিক অর্থ ইসলামী সরকার কর্তৃক যাকাত ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ। যারা যাকাত আদায়, বণ্টন ইত্যাদি বিষয় তদারকি করেন। গ্রামের মসজিদের মুতাওয়াল্লী উক্ত স্তরের ব্যক্তি নন। তিনি গ্রামের মুসলমানদের ও যাকাতদাতাদের প্রতিনি
উত্তর : উক্ত আলেমের বক্তব্য সঠিক নয়। একবছর যাবৎ খোঁজ করতে হবে। মালিক না পাওয়া গেলে হিসাব রেখে ভোগ করা যাবে। অতঃপর কখনো মালিক পাওয়া গেলে সেটি বা সমমূল্যের বস্ত্ত তাকে ফেরত দিবে (বুখারী হা/৯১, মুসলিম হা/১৭২২, মিশকাত হা/৩০৩৩)।
উত্তর : জিনের আছর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন (১) আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম’ পাঠ করা (আ‘রাফ ৭/২০০, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪১৮)। (২) নাস ও ফালাক সুরাদ্বয় পাঠ করা (তিরমিযী হা/২০৫৮)। (৩) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘শাক-সবজিতে কোন যাকাত (ওশর) নেই’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪১১; মিশকাত হা/১৮১৩)। তবে এসবের ব্যবসার অর্থ যদি নিছাব পরিমাণ হয়, তবে উক্ত অর্থের যাকাত দিবে।
উত্তর : বরকতের আশায় করলে এটা বিদ‘আত হবে। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। আল্লাহ তা‘আলা সকল মুমিন পুরুষ ও নারীকে স্ব স্ব দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন (নুর ৩০-৩১)।
উত্তর : এগুলো ভিত্তিহীন কথা। আল্লাহ বলেন, তিনি স্বীয় ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের গর্ভে তোমাদের আকৃতি গঠন করেন (আলে ইমরান ৬)।
উত্তর : যে ব্যক্তি দাঁড়াতে সক্ষম, কিন্তু রুকূ-সিজদায় অক্ষম, সে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছালাত শুরু করবে এবং ইশারায় রুকূ করবে। অতঃপর বসে সিজদা করবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর জন্য বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় কর (বাক্বারাহ ২৩৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাত
উত্তর : বীমার ধারণাটাই ইসলামী অর্থনীতির বিরোধী এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনুসঙ্গ। তাছাড়া কোন বীমা কোম্পানীই সূদমুক্ত নয়। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।
উত্তর : ‘আশেকে রাসূল’ ‘ঢাকা’র পথভ্রষ্ট দেওয়ানবাগী ছূফীদের আবিষ্কৃত একটি বিদ‘আতী পরিভাষা। যা দ্বারা তারা রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি তাদের অধিক ভালবাসা যাহির করে থাকে। ‘ইশক্ব’ আরবী শব্দ। এর দ্বারা নারী ও পুরুষের মধ্যকার অবৈধ প্রেম বুঝানো হয়। বস্ত্ততঃ
উত্তর : এগুলি শরী‘আত পরিপন্থী কাজ এবং বিদ‘আতপন্থীদের আবিষ্কৃত রসম-রেওয়াজ মাত্র, যা অবশ্যই বর্জনীয়। কোন উদ্দেশ্য পূরণের জন্য একমাত্র আল্লাহর নিকটেই চাইতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কিছু চাইলে স্রেফ আল্লাহর নিকটেই চাও (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৩০২)। আর ভা
উত্তর : মুসলমান পুরুষের নামের আগে মুহাম্মাদ এবং মেয়েদের নামের আগে মুসাম্মাৎ লেখা বা বলার নিয়ম নবী করীম (ছাঃ), ছাহাবা ও তাবেঈনের যুগে ছিল না। এমনকি আরব দেশগুলোতে এখনও নেই। এই নিয়মটি ভারত উপমহাদেশেই বেশী প্রচলিত। তবে এরূপ করাতে কোন আপত্তি নেই।
উত্তর : কুরআনের উপর হাত রেখে হলফ করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ এর দ্বারা শপথকারীর মনে আল্লাহর চাইতে কিতাব বেশী গুরুত্ব পায়। তাছাড়া এ মর্মে কোন ছহীহ বা যঈফ হাদীছ পাওয়া যায় না। মুলতঃ শপথ কেবল আল্লাহর নামেই করতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে
উত্তর : হাঁচি দাতা আল-হামদুলিল্লাহ পড়বে। কিন্তু পাশের মুক্তাদী তার উত্তর দিবেনা। কেননা উত্তর প্রদানের ব্যাপারে কোন দলীল পাওয়া যায় না (আবুদাউদ হা/৭৪৭, তিরমিযী হা/৪০৪, মিশকাত হা/ ৯৯২)।
উত্তর : মাসবূক দুই স্থানেই রাফ‘উল ইয়াদায়েন করবে। প্রথমটি হবে ইমামের অনুসরণ, আর পরেরটি তার নিজ হিসাব অনুযায়ী ৩য় রাক‘আতের জন্য (বুখারী হা/৮৬৬, মুসলিম হা/৬০২)। মূলতঃ ছালাতের মধ্যে কয়বার রাফঊল ইয়াদায়েন করতে হবে তা ধর্তব্য নয়। বরং যে যে স্থানে করার নি
উত্তর : সকল নবী এবং রাসূলগণ মর্যাদাবান এবং আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা। নবী ও রাসূলগণের মধ্যে কাউকে আমরা পার্থক্য করি না (বাক্বারাহ ২৮৫)। তবে বৈশিষ্ট্য এবং মর্যাদার দিক থেকে আল্লাহ তাদের একে অপরের উপর মর্যাদা দান করেছেন (বাক্বারাহ ২৫৩)। যেমন মূসা (আঃ) আ
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : আল্লাহ বলেন, আমরা অবশ্যই প্রত্যেক জনপদে রাসূল পাঠিয়েছি এই দাওয়াত দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগুত থেকে বিরত হও (নাহল ৩৬)। তিনি বলেন, অতঃপর তাদের পরবর্তী বংশধররা আসে, যারা ছালাত বিনষ্ট করে এবং প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে যায়। ফলে তারা দ্
উত্তর : এশার জামা‘আত চলা অবস্থায় উপস্থিত হলে আগে এশা পড়ে নিবে। তারপর মাগরিব আদায় করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হয়, তখন ঐ ফরয ছালাত ব্যতীত অন্য কোন ছালাত নেই (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৮, মির‘আত হা/১০৬৫-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। শায়খুল
উত্তর : পবিত্র কুরআনে সূরা কাহফের ৮৩ থেকে ১০১ নং আয়াতে বর্ণিত যুলক্বারনাইন-এর সংক্ষিপ্ত পরিচয় হ’ল : তিনি একজন সৎ ও ন্যায়পারায়ণ বাদশাহ ছিলেন এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দেশ সমূহ জয় করেছিলেন। এসব বিজিত দেশে তিনি ন্যায়বিচার কায়েম করেছিলেন। আল্লাহ পা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা চারটি বস্ত্ত তাঁর নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, (১) আরশ (২) কলম (৩) আদম (৪) জান্নাতু ‘আদন। অতঃপর যাবতীয় সৃষ্টিকে লক্ষ্য করে বলেন, হয়ে যাও, ফলে তা হয়ে গেছে। (হাকেম হা/৩২৪৪, মুখতাছারুল ‘উলূ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ কুরআন ও হাদীছে সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করতে মুসলমানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আলে ইমরান ১১০, তাওবাহ ৭১, লোকমান ১৭, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৪০)। বরং নিষেধ না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ (মায়েদাহ হা/৭৮-৭৯)। এর
উত্তর : এটি রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ নয়। বরং আমর ইবনু মায়মূন আবু আব্দুল্লাহ কূফী (মৃ : ৭৪ হিঃ) নামক একজন জ্যেষ্ঠ তাবেঈ কর্তৃক বর্ণিত ‘আছার’। ইমাম বুখারী ‘আনছারগণের মর্যাদা’ অধ্যায়ের ২৭ নং অনুচ্ছেদে নবুঅতপূর্ব যুগের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনার মধ্যে এ ঘটনা
উত্তর : উক্ত লভ্যাংশ সূদের অন্তর্ভুক্ত নয়; বরং তা পারিশ্রমিকের অন্তর্ভুক্ত। এটি টাকার বিনিময়ে টাকা গ্রহণ করা নয়। সুতরাং তা গ্রহণে বাধা নেই।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। তবে বেঁচে যাবে এ কথা নেই বরং উক্ত গাছটি তার পিছনে ইয়াহূদী লুকিয়ে থাকার বিষয়টি গোপন রাখবে (বুখারী হা/২৯২৫, মুসলিম হা/২৯২২; মিশকাত হা/৫৪১৪)। কাঁটাদার এই বৃক্ষটির নাম গারক্বাদ, যা সাধারণতঃ ফিলিস্তীনে হয়ে থাকে। ক্বিয়ামতের প
উত্তর : যে কোন কথা, কর্ম ও ইবাদত ইসলামী আক্বীদা-বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তার বিরোধিতা করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। প্রচলিত গণতন্ত্র সেরূপ একটি বিষয়।
উত্তর : সাময়িকভাবে অবস্থান করলে পারবে। কেননা মুক্বীম হওয়ার জন্য সর্বদা নিজের বর্তমান আবাসস্থলটিই ধর্তব্য, পূর্বের আবাসস্থল বা পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজনের আবাসস্থল নয়। রাসূল (ছাঃ) মদীনা থেকে মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে যেয়ে কছর করেছিলেন, যদিও তিনি
উত্তর : হ্যাঁ গোসল আবশ্যক হবে (বাক্বারাহ ২/২২২, দ্রঃ তাফসীর কুরতুবী)। তার পূর্বে সহবাস করা জায়েয নয়।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ছালাত সিদ্ধ নয় সূরা ফাতিহা ব্যতীত। অতঃপর অন্য একটি সূরা’ (মুসলিম হা/৩৯৪, মিশকাত হা/৮২২)। যেকোন ছালাতে ক্বিরাআতের এটাই হ’ল সাধারণ নিয়ম। তবে ফরয ছালাতগুলির শেষ দু’রাক‘আতে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। যেম
উত্তর : পরিবহনে ক্বিবলামুখী না হ’লেও চলবে (বাক্বারাহ ২/২৩৮; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, ইরওয়া হা/৫৮৮; ইবনু মাজাহ হা/১০২০)। অবশ্য ক্বিবলামুখী হয়ে ছালাত শুরু করা বাঞ্ছনীয় (আবুদাঊদ হা/১২২৪-২৮; নায়ল ২/২৯১ পৃঃ)। ছালাতের সময় অবশিষ্ট থাকতেই গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব হল
উত্তর : উক্ত মর্মে যে সমস্ত বর্ণনা পাওয়া যায়, তার সবগুলোই যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৫৬২; তিরমিযী হা/৩৬১৭; মিশকাত হা/৫৭৭২, ‘ফাযায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়)।
উত্তর : সামাজিক কারণে অমুসলিমদের দাওয়াত গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু তাদের যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া যাবে না (বাক্বারাহ ১৭৩)। তবে যেহেতু তাদের অনুষ্ঠানে অনৈসলামিক কার্যকলাপ হয়ে থাকে তাই এরূপ অনুষ্ঠানে যাওয়া বিরত থাকাই উচিত। উল্লেখ্য যে, তাদের সঙ্গে আন্তর
উত্তর : ইসলামী আদালত কর্তৃক উক্ত দন্ড কার্যকর হ’লে পরকালীন শাস্তির জন্য তা কাফফারা হয়ে যাবে (বুখারী হা/১৮; মুসলিম হা/১৭০৯; মিশকাত হা/১৮)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করবেন (বুখারী হা/৪৫০; মুসলিম হা/৫৩৩)। সুতরাং এ উদ্দেশ্যে দান করে থাকলে তা নেকীর কাজ হিসাবে গণ্য হবে। কিন্তু মীলাদ-ক্বিয়ামসহ বিদ‘আতী কর্মকান্ডকে উদ্
উত্তর : পুর্ণরূপে পর্দা করে মাহরাম সহ অথবা কয়েকজনকে এক সঙ্গে পড়ালে শরী‘আত সম্মত হবে। কিন্তু কোন যুবতী মেয়ে পর্দা করলেও তাকে মাহরাম ব্যতীত একাকী পড়ানো যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন পরপুরুষ যদি কোন পরনারীর সঙ্গে নির্জনে মিলিত হয়, তাহ’
উত্তর : হাফেয শামসুদ্দীন যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হিঃ) তাঁর বিখ্যাত জীবনীগ্রন্থে ৫৩ পৃষ্ঠার দীর্ঘ আলোচনায় বলেন, তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত জ্ঞানী ও দূরদর্শী ছাহাবীগণের অন্যতম। তিনি ৬০টি হাদীছ বর্ণনা করেন। যার মধ্যে ৪টি ছহীহ বুখারী ও ৩টি মুসলিমে এসেছে। তা
উত্তর : হারাম বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা হারাম বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎসা করো না (ছহীহুল জামে‘ হা/১৭৬২; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৬৩৩)। তবে নিরুপায় অবস্থায় জীবন রক্ষার্থে হারাম বস্ত্ত দ্বারা তৈরীকৃত ঔষধ সেবন করা যেতে পারে (সূর
উত্তর: দুনিয়াতে পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড় ফেতনা হ’ল (দুষ্টু) নারী (বুখারী হা/৫০৯৬, মুসলিম হা/২৭৪১; মিশকাত হা/৩০৮৫)।
উত্তর : দাড়ি কাটা রাসূল (ছাঃ)-এর সুস্পষ্ট নির্দেশকে অমান্য করার শামিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি পূর্ণভাবে ছেড়ে দাও ও গোঁফ পূর্ণভাবে ছেটে ফেলো’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। তবে ‘মুখে দাড়ি না রেখে ছালাত
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করেনা, (হে নবী) তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের আগুনে ঐগুলোকে উত্তপ্ত করে তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ এবং পৃষ্ঠদেশে দাগানো
উত্তর : কুরআন আল্লাহ তা‘আলার বাণী। একে সম্মান করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব। মাটিতে রাখলে কুরআনকে অসম্মান করা হয়। তাকে অবশ্যই কোন উঁচু স্থানে রাখবে। এক দল ইয়াহুদী রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে একজন ব্যভিচারীনী মহিলার শাস্তির দাবী করল। তখন তিনি
উত্তর : অনুবাদ : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা দরিদ্রতার ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করোনা। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমরাই খাদ্য প্রদান করে থাকি। নিশ্চয়ই তাদের হত্যা করা মহাপাপ’ (ইসরা ৩১)। জাহেলী যুগে কিছু লোক সন্তানদেরকে বিশেষ করে কন্যা সন্তানদেরক
উত্তর : অন্য সময়ের ন্যায় ছালাত আদায়কালেও মেয়েরা পর্দা রক্ষার সুবিধার্থে তাদের চুল পিছনে বেণী বা খোঁপাবদ্ধ রাখতে পারে। এটা মেয়েদের পর্দা রক্ষা এবং ছালাতে খুশূ-খুযূ বজায় রাখার সহায়ক। তবে তাদের খোঁপা উটের কুঁজোর মত (كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ) করে ম
উত্তর : মুছাফাহা অর্থ পরস্পরের হাতের তালু মিলানো (إلصاق صفح الكف بالكف)। মুছাফাহার সময় একে অপরের ডান হাতের তালু মিলিয়ে করমর্দন করতে হয়। এটা রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীগণের যুগ হ’তে চলে আসা একটি সামাজিক আদর্শগত সুন্নাত (বুখারী হা/৬২৬৩, মিশকাত হা/৪৬৭৭)।
উত্তর : সফরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সুন্নাত সমূহ পড়তেন না (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৮)। অবশ্য বিতর, তাহাজ্জুদ ও ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত ছাড়তেন না (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৩/৪৫৭ পৃঃ)। তবে ঘুম না ভাঙ্গার আশংকা থাকলে আগ রাতে বিতর ছালাতের পর দু’রা
উত্তর : সন্তানকে দুধ পান করানোর সময়কাল হ’ল দু’বছর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘মায়েরা তাদের সন্তানকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে’ (বাক্বারাহ ২৩৩, লোকমান ১৪ ও আহক্বাফ ১৫)। তবে দু’বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও দুধ পান করালে কোন দোষ নেই। মূলতঃ আয়াত সমূহে দু’বছর
উত্তর : সে ধর্মত্যাগী কাফের হিসাবে গণ্য হবে (তাওবাহ ৬৫-৬৬)। ছাহাবীগণসহ সর্বযুগের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে ঐ ব্যক্তি কাফের, মুরতাদ এবং তাকে হত্যা করা ওয়াজিব (ইবনু তায়মিয়াহ, আছ-ছারেমুল মাসলূল ২/১৩-১৬)। তবে তা প্রমাণ সাপেক্ষে আদালতের মাধ্য
উত্তর : হস্তমৈথুন বা যেকোন উপায়ে বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, যারা নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারা সীমালংঘনকারী (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)। এটি হারাম এবং আত্মঘাতী পাপ। যা মানুষের জীবন-যৌবন ধ্বংস করে। রাসূলুল্লাহ
উত্তর : টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে ইসলামী দাওয়াত পরিচালনা করা দাওয়াতের বহু মাধ্যমের অন্যতম মাধ্যম মাত্র। কিন্তু তা যদি হারাম পন্থায় উপার্জিত পয়সা দ্বারা হয়, তাহ’লে আল্লাহ তা কবূল করবেন না। অনৈসলামিক ও অশালীন বিজ্ঞাপন হতে উপার্জিত পয়সা দিয়ে ইসলামী
উত্তর : নাপাক অবস্থায় মূল আরবী কুরআন স্পর্শ ব্যতীত পাঠ করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার যিকির-আযকার করতেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৬)। অতএব কম্পিউটার বা মোবাইলের পর্দায় কুরআন দেখে পাঠ করতে বাধা নেই। তবে নাপাকী থেকে গোসল সেরে
উত্তর : শরী‘আতের বিধান হ’ল, সব কিছু ত্যাগ করে ছালাত আদায় করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর কসম করে বলছি, আমার মন চায় আযান হওয়ার পরেও যারা জামা‘আতে আসে না, ইমামতির দায়িত্ব কাউকে দিয়ে আমি নিজে গিয়ে তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে জ্বা
উত্তর : থার্টিফার্স্ট নাইট, ভালোবাসা দিবস, নববর্ষ ইত্যাদি পালন করা নিষিদ্ধ। কারণ প্রথমতঃ সব ধরনের দিবস পালন বিজাতীয় অপসংস্কৃতির অনুকরণ মাত্র। যা নিষিদ্ধ (আবূদাঊদ হা/৪০৩১, তিরমিযী হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৯৪)। দ্বিতীয়তঃ এসব কিছুর আয়োজনের দ্ব
উত্তর : জিনরাও শয়তান দ্বারা পথভ্রষ্ট হয়। কারণ তাদের মধ্যেও মুমিন ও ফাসেক রয়েছে (জিন ১৪-১৫)। আর ইবলীস আল্লাহর সব বান্দাকেই পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে (নিসা ১১৮)।
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধানকে অগ্রাহ্য করলে অবশ্যই সে জাহান্নামী হবে। অনেক বিদ‘আতী আমল ও আক্বীদা আছে যেগুলো বড় শিরক এবং বড় কুফরীর পর্যায়ে পড়ে, ফলে কারো নিকট হক পৌঁছার পরেও সে ধরনের আক্বীদায় বিশ্বাসী হলে তার আমল বরবাদ হবে (
উত্তর : ওয়ারিছদের উক্ত ইচ্ছা পূরণ করা উচিৎ, তবে আবশ্যক নয় (নাসাঈ হা/৩৬৪৯)। কেননা তা অছিয়তের অন্তর্ভুক্ত নয়। তার ছেড়ে যাওয়া সম্পদ থেকে তা দান করে বাকী সম্পদ বন্টন করতে পারে অথবা ওয়ারিছগণ নিজেদের পক্ষ থেকেও উক্ত ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন।
উত্তর : গোসল করে ছালাত আদায় করতে হবে (মায়েদাহ ৬)। স্বাস্থ্যগত ক্ষতির আশংকা থাকলে তায়াম্মুম দ্বারা পবিত্র হ’তে হবে (আবূদাঊদ হা/৩৩৪ সনদ ছহীহ)।
উত্তর : শূকরের চর্বি হারাম। তাই তা সাবানে ব্যবহার করা হারাম। ছাহাবীগণ শূকরের চর্বি দুনিয়াবী প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমতি চাইলে রাসূল (ছাঃ) তা ব্যবহার করা হারাম ঘোষণা করে বলেন, قَاتَلَ اللهُ الْيَهُودَ ، إِنَّ اللهَ لَمَّا حَرَّمَ شُحُومَهَا جَمَ
উত্তর : শিরক ও বিদ‘আত আল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট পাপ। শর্তানুযায়ী তওবা করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন (যুমার ৫৩)। তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে (মুহাম্মাদ ৩২)। তার তওবা স্পষ্ট করে দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রচার কর
উত্তর : ইবাদত কবুল হয় না মর্মে কথাটি ভিত্তিহীন। তবে চল্লিশ দিনের মধ্যে ছাফ করা রাসূল (ছাঃ) নির্দেশিত সুন্নাত (মুসলিম, মিশকাত হ/৪৪২২)। নির্ধারিত সময়সীমা হওয়ায় এটা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ করা জায়েয নয় (নায়লুল আওত্বার ১/১৪৩)।
উত্তর : অহংকারবশত মসজিদ নির্মিত হয়ে থাকলে সে মসজিদ তাক্বওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ কারণে সেখানে ছালাত আদায় করা যাবে না এবং ঐ মসজিদ যিরার মসজিদ হিসাবে গণ্য হবে (তওবা ১০৭-১০৮)।
উত্তর : কুরবানীর নিয়তে ক্রয়কৃত পশুর চেয়ে আরো ভালো পশু কুরবানী করার উদ্দেশ্যে অথবা দারিদ্রে্যর কারণে পরিবারের খাবার জুটছে না কিংবা অন্য কোন বাধ্যগত কারণে বিক্রি করা যাবে। তবে পরবর্তীতে সামর্থ্যবান হলে কুরবানী করবে (উছায়মীন, আহকামুল উযহিয়া ওয়ায য
উত্তর : সাধারণ ছাদাক্বার চেয়ে ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ অধিক গুরুত্ব বহন করে। কেননা মৃতব্যক্তি যে তিনটি মাধ্যমে নেকী পেতে থাকে, তার মধ্যে ছাদাক্বায়ে জারিয়া অন্যতম। প্রশ্নে উল্লেখিত তিনটি ক্ষেত্রের প্রত্যেকটিই ছাদাক্বায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত (মুসলিম;
উত্তর : এটি শরী‘আতসম্মত নয়। বরং তাদের জন্য দো‘আ ও ছাদাক্বা করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩)।
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা স্ত্রীদেরকে খুশীমনে (অফেরতযোগ্য) মোহরানা প্রদান কর’ (নিসা ৪)। এটি ফরয (নিসা ২৪-২৫)। এর সরাসরি বিপরীত হ’ল স্ত্রীর নিকট হ’তে যৌতুক নেওয়া। যা আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। প্রকৃত মুসলমান ছেলেদের এ বিষয়ে সাবধ
উত্তর : মৃতব্যক্তির সন্তান থাকলে পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তার স্ত্রী পাবে আটভাগের একভাগ এবং একাধিক মেয়ে থাকলে তারা পাবে দুই-তৃতীয়াংশ। আর এক মেয়ে থাকলে সে অর্ধেক সম্পত্তি পাবে। অবশিষ্ট সম্পদ ভাইয়েরা পাবে এবং ভাইয়েরা মারা গেলে তাদের ছেলেরা পাবে (নি
উত্তর : হিন্দু, পারসিক ও গ্রীক দর্শনের কু-প্রভাবে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীতে মা‘রেফাতের নামে ছূফীবাদের সূচনা হয়। ছূফী আরবী ‘ছুফ’ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ পশম। ছূফীরা তাদের বৈরাগ্যের নিদর্শনস্বরূপ পশমের কাপড় পরতো বলেই সম্ভবতঃ এ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এছাড়া মুমূর্ষ ব্যক্তির শিয়রে বসে সূরা ইয়াসীন পাঠ করা সম্পর্কিত হাদীছটিও ‘যঈফ’ (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৬২২)।
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ইমাম ছালাত ছেড়ে দিবেন এবং মুছল্লীদের মধ্যে কাউকে ইমামতির জন্য এগিয়ে দিবেন। অতঃপর তার নেতৃত্বে বাকী মুছল্লীরা ছালাত শেষ করবে। ওমর (রাঃ) ছালাতরত অবস্থায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে এমনটিই করেছিলেন (বুখারী হা/৩৭০০)। আর শেষ তাশাহহুদে এরূপ
উত্তর : বসে পেশাব করাই শরী‘আতের বিধান। একান্ত অসুবিধায় দাঁড়িয়ে পেশাব করা যায়। তবে যেন পেশাবের ছিটা দেহে না লাগে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩৮) এবং নির্লজ্জতা প্রকাশ না পায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫)। হুযায়ফা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
উত্তর : এ স্থানে সাকতা করার বিধান সম্বলিত হাদীছটি যঈফ (দ্রঃ ইরওয়াউল গালীল হা/৫০৫ যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৭৭-৭৮০)। সুতরাং তা আমলযোগ্য নয়। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ বলেন, والجمهور لا يستحبون ان يسكت الامام ليقرأ الماموم- ‘জমহূর বিদ্বানগণ এটা মুস্তাহা
উত্তর : এ ব্যাপারে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যা যঈফ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/৮০৬২, ইবনু জারীর হা/৬৫৪১, ইবনু কাছীর ১/৭৩৮)। যে সকল আয়াতের জবাব দানের বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত, সেসব আয়াতের জবাব ইমাম-মুক্তাদী উভয়ে
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূরা মুল্ককে কবরের আযাব প্রতিরোধকারী বলে অভিহিত করেছেন (হাকেম হা/৩৮৩৯, ছহীহুল জামে হা/৩৬৪৩; ছহীহাহ হা/১১৪০)। তিনি বলেন, উক্ত সূরা তার তেলাওয়াতকারীর জন্য কিয়ামতের দিন শাফা‘আত করবে এবং তাকে ক্ষমা করা হবে (ইবনু মাজাহ হা/৩৭৮৬; ম
উত্তর : সূদ গ্রহণ না করে মূল টাকা গ্রহণ করায় কোন বাধা নেই। বরং সমুদয় অর্থ উত্তোলন করে সূদের অংশটুকু নেকীর আশা ব্যতীত দান করে দেওয়া যেতে পারে।
উত্তর : শর্তসাপেক্ষে স্ত্রীদেরকে চাকুরীর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। যেমন, (১) জীবিকার জন্য কাজ করতে বাধ্য হলে (২) কাজটি পুরুষদের সাথে মিলিতভাবে না হলে (৩) বাড়ির মধ্যেই করা যায় এরূপ কোন কাজ না পাওয়া গেলে (৪) সার্বক্ষণিক পর্দার মধ্যে থাকা সম
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মাগরিবের ছালাতের ন্যায় (মাঝখানে বৈঠক করে) বিতর আদায় করো না’ (দারাকুৎনী হা/১৬৩৪-৩৫, সনদ ছহীহ)। চার খলীফাসহ অধিকাংশ ছাহাবী, তাবেঈ ও মুজতাহিদ ইমামগণ এক রাক‘আত বিতরে অভ্যস্ত ছিলেন (মির‘আত ৪/২৫৯)। তিন রাক‘আত বিতর একট
উত্তর : মানত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা মানত করো না। মানত আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারেনা। এটি কৃপণের সম্পদ থেকে কিছু অংশ বের করে আনে মাত্র’ (বুখারী হা/৬৬০৮, মুসলিম হা/১৮৩৯; মিশকাত হা/৩৪২৬)। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নাফর
উত্তর : আপন ভাতিজীকে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আপন ভাইয়ের মেয়ে (আপন ভাতিজী)-কে বিবাহ করা হারাম করেছেন (নিসা ২৩)। তবে চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্বীয় কন্যা ফাতেমা (রাঃ)-কে
উত্তর: খাদীজা (রাঃ)-এর জানাযা পড়া হয়নি কথাটি সঠিক। কারণ তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন হিজরতের তিন বৎসর পূর্বে। আর জানাযার বিধান নাযিল হয়েছিল মদীনায় প্রথম হিজরীতে। ফাতিমা (রাঃ)-এর জানাযা পড়া হয়নি মর্মে কথাটি সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ইন্তেকালের ৬
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে চারটি স্থানে রাফউল ইয়াদাইন বা হাত উত্তোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাকবীরে তাহরীমা, রুকূতে যাওয়া, রুকু হ’তে ওঠা এবং দ্বিতীয় রাক‘আতের পর তৃতীয় রাক‘আতে ওঠার সময়। তিনি সিজদার আগে ও পরে হাত উত্তোলন করতেন না (ব
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে এনে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। আগুনে তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যাবে। তখন সে ঐ নাড়িভুঁড়ির চতুষ্পার্শ্বে ঘুরতে থাকবে। যেমনভাবে গাধা ঘানির চতুষ্পার্শ্বে ঘুরে থাকে।
উত্তর : একাধিক অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মতে যদি মায়ের জীবনের জন্য হুমকি থাকে, তাহ’লে গর্ভস্থিত ভ্রূণ ফেলে দেয়া জায়েয। অন্যথায় শরী‘আতের দৃষ্টিতে গর্ভপাত করা হারাম (বাক্বারাহ ২০৫)। তবে চার মাস অতিক্রান্ত হ’লে আল্লাহর উপর ভরসা করে ধৈর্য্যধারণ করাই
উত্তর : মুসলিম ব্যক্তি চতুর্মুখী ফেতনার মধ্য থেকে তার ঈমান ও দ্বীনকে রক্ষা করতে সক্ষম না হলে এবং নিরুপায় হয়ে মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করে ইবাদাত-বন্দেগীতে সময় কাটিয়ে মারা গেলে রাসূল (ছাঃ)-এর ঘোষণা অনুযায়ী অবশ্যই তিনি জান্নাত লাভে ধন্য হবেন। কিন্তু
উত্তর : প্রথমতঃ এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৫)। অতএব এরূপ কোন নির্দেশের ক্ষেত্রে মুমিন নারী-পুরুষের প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই (আহযাব ৩৬)। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, উট শয়তান থেকে সৃষ্টি হয়েছে (ইবনু মাজা
উত্তর : ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত ৩টি : (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ শিরকবিমুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাসী হওয়া (কাহফ ১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর ছহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়া (মুসলিম হা/১৭১৮)। (৩) ইখলাছপূর্ণ হওয়া (যুমার ১১)। এছাড়া
উত্তর : প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের একসাথে পড়াশুনা করা সম্পূর্ণরূপে শরী‘আতবিরোধী কাজ। এছাড়াও এটি মানুষের স্বভাব ধর্মের বিরোধী এবং পারস্পরিক নীতিবোধের জন্য চরম ক্ষতিকর। আধুনিক বংশধরগণের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হ’ল প্রচলিত সহ
উত্তর : নিরাপদ ও ইসলামী জীবন যাপনের জন্য বিধবা মহিলাদের দ্বিতীয় বিবাহ করাই উত্তম। উপরন্তু কেউ জানে না কে জান্নাতী বা জাহান্নামী হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল (মুসলিম হা/২৮১৬, মিশকাত হা/২৩৭২)। ‘স্ত্রী তার শেষ স্বামীর সাথে
উত্তর : তালাক শুদ্ধ হয়েছে। তবে তা এক তালাক রাজঈ হিসাবে গণ্য হবে (মুসলিম হা/১৪৭২, আবুদাঊদ হা/২১৯৬)। অর্থাৎ ইচ্ছা করলে ইদ্দতের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে নিতে পারবে। আর ইদ্দত অতিক্রান্ত হলে নতুনভাবে বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিবে (দ্রঃ ‘তালাক ও তাহলীল’ বই পৃঃ ৪৯-৫
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক (বুখারী হা/৩০১৭, ৬৯২২ তিরমিযী হা/১৪৫৮)। তারা ছিল ইহুদী থেকে আগত রাফেযী শী‘আ সাবাঈ গোষ্ঠীভুক্ত। তারা গোপনে মূর্তিপূজা করত। আলী (রাঃ) তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, আপনি আমাদের রব, খালেক ও রাযেক (পালনকর্তা, সৃষ্টিকর
উত্তর : মানুষ মূলতঃ পরকালে মুক্তির অসীলা হিসাবে পীর ধরে থাকে এ বিশ্বাসে যে, তারা তাদের জন্য আল্লাহর নিকটে সুফারিশ করবে (যুমার ৩)। যে ব্যক্তি এরূপ বিশ্বাস করবে, সে বড় শিরকে লিপ্ত হবে, যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয় ও তার সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে য
উত্তর : আল্লাহ্ তা‘আলা শেষ যামানায় ঈসা (আঃ)-কে নবী হিসাবে নন, বরং ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে প্রেরণ করবেন (বুখারী হা/২২২২, মুসলিম হা/১৫৫)। মুহাম্মাদ (ছাঃ) আগমনের মধ্যদিয়ে পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূলের আনীত শরী‘আত রহিত হয়ে গেছে (তওবা ৯/৩৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : বেগানা নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা হারাম। তবে পারস্পরিক অবৈধ সম্পর্কের কারণে বিবাহ সাব্যস্ত হয় না। সুতরাং এখন তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলি যঈফ এবং জাল (যঈফুল জামে‘ হা/৩১২৭, ৩১২৮, ৩৫১৯)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। তবে জুম‘আর দিনে ক্বিয়ামত হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ রয়েছে (আবুদাঊদ হা/১০৪৬, নাসাঈ হা/১৪৩০)।
উত্তর : বিনা সূদে কর্যে হাসানা হিসাবে অন্যের নিকট থেকে যেকোন অর্থ ঋণ নেওয়া যাবে। হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ কেবল উপার্জনকারীর জন্য হারাম। উপার্জনকারীর নিকট থেকে বৈধ পন্থায় গ্রহণকারী এর জন্য দায়ী হবে না। যেমন রাসূল (ছাঃ) ইহূদীদের সাথে লেনদেন করত
উত্তর : এক্ষেত্রে তাকে নছীহত করা ওয়াজিব (ত্বো-য়াহা ১৩২, তাহরীম ৬)। নছীহত করার পর অবাধ্য হলে স্বামী গোনাহগার হবেন না। স্ত্রীকে বারবার উপদেশ দিবে। প্রয়োজনে বিছানা পৃথক করবে। এরপরেও না মানলে তালাক দিবে (তালাক ১)।
উত্তর : এগুলি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) এবং তাঁর দু’সাথী আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর লাশ চুরি করার জন্য পাঁচবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারেই আল্লাহ তা‘আলার অসীম রহমতে তা ব্যর্থ হয়ে গেছে। প্রথম এবং দ্বিতীয়বার চেষ্টা চালিয়েছিল মিসরের
উত্তর : রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে দেওয়াই সুন্নাতসম্মত। কেননা রুকুর পরে পুনরায় বুকে হাত বাঁধার স্পষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না। বিখ্যাত ছাহাবী আবু হুমায়েদ সা‘এদী (রাঃ) যিনি ১০ জন ছাহাবীর সম্মুখে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের নমুনা প্র
উত্তর : ঋণ প্রদানের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, দানের নেকী ১০ গুণ। আর ঋণদানের নেকী ১৮ গুণ (বায়হাক্বী, ছহীহাহ হা/৩৪০৭)। এর দ্বারা ছওয়াবের আধিক্য বুঝানো হয়েছে। ঋণ প্রদানের প্রতিদানস্বরূপ গ্রহীতার নিকট থেকে কিছু খাওয়া যাবে না (বুখারী, তারীখ; মিশকাত
উত্তর : দুগ্ধদানকারিনী মহিলা পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করবে (আবুদাঊদ, নাসাঈ; মিশকাত হা/২০২৫)। আর ক্বাযা করতে পারবে না এমন ভয় থাকলে প্রত্যেক ছিয়ামের বিনিময়ে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। তবে ইবনে আববাস (রাঃ) গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনী মহিল
উত্তর : ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ভ্রান্ত আক্বীদাসম্পন্ন শী‘আ সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাদের খাত্ত্বাবিয়াহ উপদলের মতে শী‘আদের ইমামগণ সবাই নবী। অতঃপর ইলাহ (শাহরস্তানী, আল-মিলাল ১/১৭৯)। শী‘আদের নিকট আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর অছি। তাই তারা
উত্তর : জুতা বসে পরা সুন্নাত। কেননা রাসূল (ছাঃ) দাঁড়িয়ে জুতা পায়ে দিতে নিষেধ করেছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৪১৪)। এর ব্যাখ্যায় ছাহেবে ‘আওন বলেন, এর কারণ এই যে, জুতা পরা ও ফিতা আটকানোর প্রয়োজনে মাথা নীচু করতে হয়। তাই উক্ত কষ্টের পরিবর্তে বসে
উত্তর : মহিলারা পৃথকভাবে পর্দা বজায় রেখে জানাযার ছালাত পড়তে পারেন। আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য উম্মাহাতুল মুমিনীন মসজিদে নববীর মধ্যে সা‘দ বিন আবি ওয়াক্কাছ (রাঃ)-এর লাশ আনিয়ে নিজেরা জানাযা পড়েছিলেন (মুসলিম হা/৯৭৩, মিশকাত হা/১৬৫৬)। মহিলারা একাকী বা জা
উত্তর: অন্যায় আক্রমণের শিকার হ’লে প্রতিহত করতে হবে। তবে প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ধৈর্য্যধারণ করলে উক্ত ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে উত্তম প্রতিদান লাভ করবে (শূরা ৪২/৩৯-৪৩, ফুছছিলাত ৪১/৩৪)। জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে বলল, কেউ এসে আমার মাল জোর করে নিতে চা
উত্তর : মসজিদকে সৌন্দর্যমন্ডিত করা জায়েয। ওছমান (রাঃ) মসজিদে নববীর সৌন্দর্য বর্ধন করেছিলেন (বুখারী ফাৎহসহ হা/৪৪৬, ১/৬৪৩)। কিন্তু অতিরঞ্জিতভাবে জাঁকজমকপূর্ণ করা যাবে না। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মসজিদ সমূহকে
উত্তর : নিরুপায় অবস্থায় পর্দার মধ্যে থেকে পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই যদি এরূপ কাজ করা সম্ভব হয়, তাহলে করতে বাধা নেই (বুখারী হা/৫২২৪, মুসলিম হা/২১৮২)।
উত্তর : সন্তানের উপর কর্তব্য হ’ল, সে পিতা-মাতার ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। আর সন্তানের সম্পদ মূলত পিতা-মাতারই সম্পদ। হাদীছে এসেছে ‘তুমি ও তোমার সম্পদ তোমার পিতা-মাতার। নিশ্চয় তোমাদের সম্পদ তোমাদের পবিত্র উপার্জন। কাজেই তোমাদের সন্তানদের উপার্জন
উত্তর : সৌন্দর্যবর্ধন বা বরকত হাছিলের উদ্দেশ্যে টাঙিয়ে রাখা বিদ‘আত। কেননা এর পক্ষে শরী‘আতে কোন দলীল নেই। বিপদাপদ বা জিনদের অনিষ্টকারিতা হ’তে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর বন্ধ করার জন্য টাঙানো শিরক। কেননা ইষ্টানিষ্টের মালিক কেবলমাত্র আল্লাহ। এছাড়
উত্তর : উক্ত বিবাহ বাতিল হবে না। স্ত্রীর এই অন্যায় কর্মের জন্য হালাল বিবাহ হারাম হতে পারে না। কেননা কোন হারাম কাজ কোন হালাল বস্ত্তকে হারাম করতে পারে না (ইরওয়া হা/১৮৮১ আলোচনা দ্রঃ ৬/২৮৮)। আর মেলামেশার বিষয়টি স্ত্রীর স্বীকারোক্তির উপরেই নির্ভরশ
উত্তর : ঘটনাটি সঠিক (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৭১৩)। এভাবে আঘাত করার কারণ ব্যাখ্যা করে ইমাম আবু হাতেম ইবনু হিববান (রহঃ) বলেন, অপরিচিত চেহারায় বিনা অনুমতিতে মালাকুল মউত হযরত মূসা (আঃ)-এর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেছিল। মূসা (আঃ) ছিলেন অত্যন্ত আত্ম
উত্তর : ইসলামে জালালী খতম বলে কিছু নেই। এর জন্য আলেমদেরকে ডাকা ও অনুষ্ঠান করা বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু আবিষ্কার করল যা তার মধ্যে নেই তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০, ‘কুরআন-সুন্নাহকে অাঁকড়ে ধরা’ অনুচ্
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ‘হাসান’ (তিরমিযী, আলবানী, মিশকাত হা/৪১৫৪)। রূপার পরিবর্তে তার মূল্য দান করলেই যথেষ্ট হবে (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৭/৪৯৫)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) কখনো আল্লাহকে দেখেননি। বরং তাঁর ‘নূর’ দেখেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৫৯)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ...যে ব্যক্তি বলে যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) স্বীয় পালনকর্তাকে দেখেছেন সে মিথ্যা বলে। অতঃপর তিনি দেখতে না পারার প্রমাণে দলীল পেশ করে বলেন, ‘ক
উত্তর : যরূরী প্রয়োজনে যে কোন নারী পরিপূর্ণ পর্দা বজায় রেখে বাইরের সকল কাজ করতে পারে (বুখারী হা/৫২২৪, মুসলিম হা/২১৮২)।
উত্তর : ভাবার্থে হ’লেও ‘শাহজাহান’ (পৃথিবীর বাদশাহ) ইত্যাদি নামে অহংকার প্রকাশ পায়। অতএব এসব নাম পরিত্যাজ্য। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে অপসন্দনীয় নাম হ’ল বাদশাহর বাদশাহ (বুখারী, মিশকাত হা/৪৭৫
উত্তর : এমতাবস্থায় তার কোন ফরয ও নফল ইবাদত কবুল হবে না। আলী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বিদ‘আত সৃষ্টি করে অথবা কোন বিদ‘আতীকে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা এবং সকল মানুষের অভিশাপ। তার ফরয ও নফল কোন ইবাদত কবুল করা
উত্তর : ফিৎনার আশঙ্কা না থাকলে যেকোন পুরুষ যেকোন মহিলাকে সালাম দিতে পারে এবং মহিলাগণও অনুরূপ সালাম বিনিময় করতে পারে। আবু হাশেম থেকে বর্ণিত সাহল ইবনে সা‘দ (রাঃ) বলেছেন, জুম‘আর দিন আমরা খুশী হ’তাম। (আবু হাশেম বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেন? তিনি
উত্তর : এক্ষেত্রে কর্তব্য হ’ল (১) বিভিন্ন উপায়ে সরকারকে নছীহত করা (আহমাদ হা/৮৭৮৫; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৪৪২) (২) সকল প্রকার বৈধ পন্থায় প্রতিবাদ জানানো। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের উপরে ভালো ও মন্দ দু’ধরনের শাসক আসবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়ের প্রতিবা
উত্তর : ঐতিহাসিক ও জীবনীকারগণ বলেন, মারিয়ামের মা ছিলেন ‘হান্নাহ’ (حنة) এবং ইয়াহইয়ার মা ছিলেন ঈশা‘ (إيشاع)। এক্ষণে ঈশা‘ কে ছিলেন, সেবিষয়ে দু’টি মত পরিলক্ষিত হয়। (১) তিনি মারিয়ামের বোন ছিলেন। ইবনু কাছীর বলেন, এটাই জমহূর বিদ্বানগণের মত (আল-বিদায়
উত্তর : ছালাত ছহীহ হওয়ার জন্য আযান শর্ত নয়। বরং ছালাতের সময় হলে আযান না দিয়ে ছালাত আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যাবে। অতএব ইসলামী সম্মেলনের আযান শোনা গেলে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আযান দেওয়ার বিষয়টি ইচ্ছাধীন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ফৎওয়া নং ৯৮৯৫)। তবে আযান
উত্তর: হাদীছটি মওযূ বা জাল। হাদীছটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-এর নামে মুহাদ্দিছ হাসান বিন মুহাম্মাদ ছাগানী (মৃঃ ৬৫০ হিঃ) স্বীয় ‘মওযূ‘আত’ গ্রন্থে (হা/৭৮) উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ফেরদৌস দায়লামী (হা/৮০৯৫) ও ইবনুল জাওযী স্বীয় মওযূ‘আত গ্রন্থে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) সকল শুভ কাজ ডান দিক দিয়ে করা পসন্দ করতেন (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪০০)। অতএব রাস্তায় চলার সময় যথাসম্ভব ডান দিক দিয়ে চলাই উত্তম। তবে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে ডান দিক দিয়ে চলায় ক্ষতির আশংকা থাকলে বাম দিক দিয়ে চলতে বাধা নে
উত্তর : আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, যারা এসব ছবি তৈরী করে, তারা ক্বিয়ামতের দিন কঠিন আযাবপ্রাপ্ত হবে। তাদেরকে বলা হবে তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে তা জীবিত কর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৯২ ‘পোষাক’ অধ্যায়, ‘
উত্তর : জান্নাতবাসীদের সকল ইচ্ছা পূরণ করা হবে। আল্লাহ বলেন, সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা কিছু তোমরা দাবী করবে’ (হা-মীম সাজদাহ ৪১/৩১; যুখরুফ ৪৩/৭১, শূরা ২২)। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এ
উত্তর : শুধুমাত্র গরমের কারণে মসজিদ বাদ দিয়ে মাঠে ছালাত আদায় করলে মসজিদে ছালাত আদায়ের নেকী অর্জিত হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়তর স্থান হ’ল মসজিদ (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৯৬)। তিনি বলেন, যখন মুছল্লী মসজিদে প্রবেশ করে ছালাতে র
উত্তর : বক্তব্যটি ভিত্তিহীন এবং বানাওয়াট। এ মর্মে সূত্র বিহীন একটি গল্প বর্ণিত হয়েছে জামালুদ্দীন বাগদাদী লিখিত ‘বুসতানুল ওয়ায়েযীন’ বইয়ের ২৯৭ পৃষ্ঠায়। এছাড়া আরো আছে তাবলীগী নেছাবের ‘ফাযায়েলে দরূদ শরীফ’ গল্প নং ১৪ পৃঃ ৮৫-তে (দ্রঃ হাদীছের প্রামাণি
উত্তর : বিবাহের শর্ত হ’ল চারটি। (১) পরস্পর বিবাহ বৈধ এমন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন (২) উভয়ের সম্মতি (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩১২৬)। (৩) মেয়ের ওলী থাকা (আহমাদ, তিরমিযী; মিশকাত হা/৩১৩০), (৪) দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা (ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৫৮)
উত্তর : পবিত্র কুরআনে সিজদার আয়াত সমূহ ১৫টি। যথা : আ‘রাফ ২০৬, রা‘দ ১৫, নাহ্ল ৫০, ইস্রা/বনু ইস্রাঈল ১০৯, মারিয়াম ৫৮, হজ্জ ১৮, ৭৭, ফুরক্বান ৬০, নমল ২৬, সাজদাহ ১৫, ছোয়াদ ২৪, ফুছছিলাত/হামীম সাজদাহ ৩৮, নাজম ৬২, ইনশিক্বাক্ব ২১, ‘আলাক্ব ১৯ (দারাকুৎন
উত্তর : অবশ্যই গুনাহগার হবে। কেননা পিতা-মাতার হক সন্তানের উপর অপরিসীম, যা কখনো পূরণীয় নয়। তাঁরা খেদমত স্বীকার করুন বা না করুন, তাদের সেবা করা সন্তানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। এমনকি তারা শিরক করতে চাপ দিলেও তা থেকে বিরত থেকে তাদের সাথে সদাচরণের নি
উত্তর : ছহীহ হাদীছসমূহে বিভিন্ন সূরা পাঠের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন (১) রাতে সূরা বাক্বারাহ পড়লে তার ঘর থেকে শয়তান পালিয়ে যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/২১১৯)। অন্য হাদীছে এসেছে, যে ব্যক্তি রাত্রিতে সূরা বাক্বারাহর শেষ দুই আয়াত পাঠ করে, এটাই তার (রাত্রি জাগর
উত্তর : পর্দা করে হ’লেও মেয়েদের যেকোন ধরনের ড্রাইভ করা ঠিক নয়। কারণ এগুলি পুরুষালী কাজ এবং এতে তার বেহায়াপনা প্রকাশ পায়। আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় বেহায়াপনাকে নিষিদ্ধ করেছেন (আ‘রাফ ৩৩)। এমনকি এরূপ কাজের নিকটবর্তী হ’তেও নিষেধ করেছেন (আ
উত্তর : কোন সম্মানী ব্যক্তির আগমনে তাকবীর, শ্লোগান বা অন্য কোন ধ্বনি দেওয়া শরী‘আত পরিপন্থী নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হিজরতকালে মদীনায় পৌঁছলে এবং বদর যুদ্ধ ও তাবুক সফর থেকে বিজয়ী বেশে মদীনায় ফিরলে মুসলিমগণ উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানা
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা ট্যাটু বা উল্কি অংকনকারীর উপর লা‘নত করেছেন (বুখারী হা/৫৯৩৭, মিশকাত হা/৪৪৩১)। আল্লাহর এই লা‘নত শুধুমাত্র মহিলাদের উপরে নয়, বরং তা পুরুষদের উপরেও বর্তাবে। হাদীছে মহিলাদের প্রতি ইঙ্গিত করার কারণ হ’ল কাজটি মহিলারাই অধিকহারে কর
উত্তর : এই বাক্য দ্বারা ইবাদতের সর্বোচ্চ খুশূ-খুযূ‘ অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আয়নী বলেন, ‘ইহসান’ বলতে তোমার ঐ ইবাদতকে বুঝায়, যে ইবাদতরত অবস্থায় তুমি যেন তোমার প্রভুকে দেখতে পাচ্ছ’। যদি এতটা উঁচু স্তরে না উঠতে পার, তবে এ বিশ্বাস রাখ যে, আ
উত্তর : উত্তরাধিকার সম্পদ মৃত্যুর পরে বণ্টন হওয়াই ইসলামী শরী‘আতের বিধান, যা সকলের জন্য কল্যাণকর। মৃত্যুর পূর্বে পিতা-মাতা সন্তানদের মাঝে বণ্টন করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে সকলকে শরী‘আত অনুযায়ী সমানভাবে প্রদান করতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হ
উত্তর : মানুষ সৃষ্টির মৌলিক উদ্দেশ্য আল্লাহর দাসত্ব করা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমি জিন ও ইনসানকে কেবলমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’ (যারিয়াত ৫১/৫৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য অবসর হও। তাহ’ল
উত্তর : সফর অবস্থায় জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব নয় (ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪০৫, আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/৫৯৪ আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে সফরে কোথাও অবস্থানরত অবস্থায় সম্ভবমত জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা উচিত। আর ছালাত জমা করার পরও পুনরায় উক্ত ছালাত জামা
উত্তর : ‘হারূণ মূসা-এর জন্য যেরূপ ছিলেন, আবূবকর ও ওমর (রাঃ) আমার জন্য সেরূপ’ মর্মের রেওয়ায়াতটি মিথ্যা (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৭৩৪)। কাছাকাছি মর্মে বর্ণিত হয়েছে, ‘তারা দু’জন ইসলামের জন্য মানুষের চোখ ও কানের ন্যায়’। এ বর্ণনাটিও জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩২৬৯)।
উত্তর : সুন্নাত বলা হয় এমন কাজকে, যা করলে ছওয়াব হয়, না করলে গুনাহ হয় না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৬)। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের আগে-পিছে সুন্নাত ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে না। কিন্তু প্রভূত নেকী থেকে বঞ্চিত হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্
উত্তর : এসব কারণে ওযূ নষ্ট হবে না। কারণ ওযূ ভঙ্গের যেসব কারণ হাদীছে রয়েছে এগুলি তার অন্তর্ভুক্ত নয়।
উত্তর: জুম‘আর দিনে মূল আযানের পূর্বে আরো একটি আযান দেয়ার নিয়ম ওছমান (রাঃ) চালু করেছিলেন। মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদে নববীর অদূরে ‘যাওরা’ নামক বাজারে তিনি এ আযান দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, যাতে উক্ত আযান শুনে লোকেরা যথাসময়ে মসজিদে উপস্
উত্তর: উক্ত বক্তব্যটি বানোয়াট। তবে কাছাকাছি মর্মে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যা যঈফ। এ বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ)-এর আযাদকৃত দাসী উম্মে আয়মন বলেন, রাসূল (ছাঃ) একদিন রাতে গৃহকোণে রাখা একটি মাটির পাত্রে পেশাব করেছিলেন। পিপাসার কারণে আমি অজান্তে
উত্তর: রাসূল (ছাঃ) চেহারায় আঘাত করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/২৫৫৯, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২৫)। ইবনু হাজার বলেন, সব ধরনের শাস্তি বা হদ উক্ত নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত (ফাৎহুল বারী ৫/১৮৩)। এক্ষণে স্কুল শিক্ষকগণ এরূপ করলে ছাত্ররা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকটে অভ
উত্তর : যে কোন প্রাণীর ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করতে হবে। আ‘ঊযু বি কালিমা-তিল্লাহিত তা-ম্মা-তি মিন শার্রি মা খালাক্বা’ ‘আমি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে সেই সবের ক্ষতি থেকে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেগুলি তিনি স
উত্তর : যারা সম্মানার্থে দাঁড়ানোর পক্ষে মতামত পেশ করেন, তারা সা‘দ ইবনু মু‘আযের উক্ত হাদীছটি দলীল হিসাবে পেশ করে থাকেন। তারা উক্ত হাদীছের শেষ অংশ قُوْمُوْا إِلَى سَيِّدِكُمْ -এর অর্থ করেন, ‘তোমরা তোমাদের নেতার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাও’। উ
উত্তর : ছালাতে নারী ও পুরুষ সকলকেই স্ব স্ব কাতারে পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন আমাদেরকে কাতার সোজা করে নেওয়ার জন্য বলতেন, তখন আমরা পরস্পরে কাঁধের সাথে কাঁধ পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়াতাম
উত্তর : হারিয়ে যাওয়া স্ত্রী ফিরে না আসার নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়ার পূর্বে তার আপন বোনকে বিবাহ করা শরী‘আত সম্মত হয়নি। বরং উচিত ছিল অন্য কোন মেয়েকে বিবাহ করা। যাতে পূর্বের স্ত্রী ফিরে আসলে উভয়কেই স্ত্রী হিসাবে রাখতে পারে। যেহেতু দুই বোনকে এক
উত্তর : নিজের দোকানে হোক বা অন্যের দোকানে হোক কোন হারাম বস্ত্ত বিক্রি করা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ তা‘আলা কোন জিনিস হারাম করেন তখন তা বিক্রি করাও হারাম’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪৯৩৮)। এছাড়াও তা পাপের কাজে সহযো
উত্তর : আদম (আঃ) আল্লাহকে দেখেছেন মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। আল্লাহর উপরোক্ত বাণী অনুযায়ী দুনিয়াতে কেউই আল্লাহকে দেখতে পাবে না। তিনি নবী হৌন বা অন্য কেউ হোক। কোন নবী-রাসূল থেকেই এটা প্রমাণিত হয়নি যে, তারা আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখেছেন। রাসূল (ছ
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা সাত আসমান ও সাত যমীন সৃষ্টি করেছেন (তালাক ১২), তা বিদ্যমান রয়েছে এবং ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা সাতটি যমীন চাপিয়ে দিয়ে জমি জবর দখলকারীদেরকে শাস্তি দিবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৯৩৮)। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, এর দ্বারা য
উত্তর : ব্যবসার উদ্দেশ্যে মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয নয়। আমর ইবনু শু‘আইব (রাঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হ’তে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৭৩২)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল
উত্তর : যে অংশে প্রস্রাব লাগবে শুধুমাত্র সে অংশটুকু ধুয়ে ছালাত আদায় করতে হবে। জামা পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। আর যদি ধোয়া সম্ভব না হয়, তাহ’লে উক্ত ছালাতের ওয়াক্তের মধ্যেই পোষাক পরিবর্তন করতে হবে। সম্ভব না হ’লে উক্ত পোষাকেই ছালাত আদায় করতে হবে
উত্তর : এ বক্তব্য ভিত্তিহীন। এ মর্মে যেসব বক্তব্য সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে, তা বিভ্রান্ত ছূফীদের কল্পিত বক্তব্য। কুরআন ও হাদীছে এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না।
উত্তর : আযরূকী তার ‘আখবারু মাক্কাহ’ গ্রন্থে (১/১৩০) এ মর্মে চারটি ‘আছার’ বর্ণনা করেছেন, যার সবগুলিই মুনকার, যঈফ এবং ছহীহ হাদীছের বিরোধী। ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) যখন বায়তুল্লাহর মধ্যে ছবি দেখলেন তখন তিনি সেগুলো মুছে ফেলার নির্দে
উত্তর : সুন্নাত ছালাতের ক্বাযা আদায় করাও সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) সুন্নাত ছালাতের ক্বাযা আদায় করেছেন এবং অন্যকে সম্মতিও দিয়েছেন (আবূদাঊদ হা/১২৬৭, বুখারী, ‘ছালাতের ওয়াক্তসমূহ’ অধ্যায়, ৩৩ অনুচ্ছেদ)। তবে অবজ্ঞা না করে অলসতা বা কোন কারণ বশতঃ সুন্নাত ছেড়ে দিল
উত্তর : অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে বিক্রেতা গুনাহগার হবে। চুক্তি ক্রেতার সাথে সম্পন্ন হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে ক্রেতার অসম্মতিতে তার সন্তানদের কোন পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই বিক্রেতার জন্য কর্তব্য হবে, ক্রেতাকে অঙ্গীকার অনুযায়ী জমি প্রদান করা। তব
উত্তর : নিজে সৎকাজ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা যেমন ওয়াজিব, তেমনি অপরকে সৎকাজের উপদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করাও ওয়াজিব। প্রকৃত মুসলিমের জন্য উভয়টিই পরিপূর্ণ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। একটি ওয়াজিব পালন করতে না পারলে আরেকটি ওয়াজিব ত্য
উত্তর : উপরোক্ত শ্লোগানটি যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ যে দাওয়াত নিয়ে আগমন করেছিলেন, তারই প্রতিধ্বনি। সকল নবী-রাসূলই দুনিয়াতে এসেছিলেন এই দাওয়াত নিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূত থেকে বেঁচে থাকো (নাহল ১৬/৩৬)। নূহ (আঃ) ৯৫০ বছর যাবৎ দাওয়াত দ
ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা ওমর ফারূক (রাঃ) জীবনের শেষ হজ্জ সমাপনের পর মসজিদে নববীতে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ।-ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুহাজিরদের কতক লোককে পড়াতাম। তাদের মধ্যে আব্দুর রহমান ইবনু আ
উত্তর : সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ বিবেচনায় এবং স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী পর্দা সহকারে মহিলাগণ দ্বীনের কাজে বাড়ীর বাইরে যেতে পারেন। আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘বল, এটাই আমার পথ। আহবান করি আল্লাহর দিকে আমি এবং আমার অনুসারীগণ জাগ্র
উত্তর : পারবেন। দেশে টাকা পাঠিয়ে বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তি বা ইসলামী সংগঠনের মাধ্যমে ফিৎরার চাউল হকদারগণের মধ্যে বিতরণ করবেন। এতে কোন বাধা নেই (আলোচনা দ্রঃ মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ১৮/৩১৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/৩৬৯-৭০)।
উত্তর : জিহাদের জন্য ছাহাবায়ে কেরামের এরূপ দান (তিরমিযী; মিশকাত হা/৬০২১) তাদের অসামান্য ত্যাগ ও ছবরের দৃষ্টান্ত বহন করে। বর্তমানেও যদি কোন ব্যক্তি ও তার পরিবার পরকালীন স্বার্থে এরূপ তাক্বওয়া ও ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিতে পারেন, তবে ছাহাবায়ে কেরামের
উত্তর : রুকূতে যাওয়া ও রুকূ হ’তে ওঠার সময় ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করা সম্পর্কে চার খলীফা সহ প্রায় ২৫ জন ছাহাবী থেকে বর্ণিত ছহীহ হাদীছ সমূহ রয়েছে। একটি হিসাব মতে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’-এর হাদীছের রাবী সংখ্যা ‘আশারায়ে মুবাশ্শারাহ’ সহ অন্যূন ৫০ জন ছাহাবী (
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-কে আয়েশা (রাঃ)-এর গৃহে দাফন করা হয়েছিল তা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (তিরমিযী হা/১০১৪; মিশকাত হা/৫৯৬২)। তবে তাঁর গৃহে দুটি অংশ ছিল। একটিতে তিনি বসবাস করতেন। অপরটিতে কবর ছিল। উভয়ের মাঝে দেওয়াল ছিল (ইবনে সা‘দ, তাবাকাতুল কুবরা ২/২২৪;
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-কে আয়েশা (রাঃ)-এর গৃহে দাফন করা হয়েছিল তা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (তিরমিযী হা/১০১৪; মিশকাত হা/৫৯৬২)। তবে তাঁর গৃহে দুটি অংশ ছিল। একটিতে তিনি বসবাস করতেন। অপরটিতে কবর ছিল। উভয়ের মাঝে দেওয়াল ছিল (ইবনে সা‘দ, তাবাকাতুল কুবরা ২/২২৪;
উত্তর : এগুলো ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। তবে রাসূল (রাঃ) ছিয়াম অবস্থায় নাকে এমনভাবে পানি নিতে নিষেধ করেছেন, যাতে ভিতরে পানি প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪০৫)। অনিচ্ছাকৃত প্রবেশে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০৩)।
উত্তর : উক্ত অর্থ করায়ত্ত হওয়ার পর এক বছর অতিক্রান্ত হলে যাকাত দিবে (মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছাইমীন, শারহুল মুমতে‘ ৬/২৭ পৃঃ)।
উত্তর : নূহ (আঃ)-এর সময়ে যে মহাপ্লাবন সংঘটিত হয়েছিল সেটি ছিল সারা বিশ্বব্যাপী। প্লাবনের পর তাঁর সাথে নৌকারোহী মুমিন নর-নারীদের মাধ্যমে পৃথিবীতে নতুনভাবে আবাদ শুরু হয়। এ কারণে তাঁকে ‘মানব জাতির দ্বিতীয় পিতা’ বলা হয়। তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে সাড়ে
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায়ের জন্য স্থানিক ঐক্য থাকা যরূরী। পৃথক পৃথক স্থানে অবস্থানকারী মুছল্লীগণ একজন ইমামের নেতৃত্বে ছালাত আদায় করেছেন, এরূপ কোন প্রমাণ রাসূল (ছাঃ) থেকে পাওয়া যায় না। সুতরাং মোবাইলে প্রবাস থেকে এরূপ অংশগ্রহণ শরী‘আতসম্মত হবে
উত্তর : মহিলাদের সর্বাঙ্গ সতরের অন্তর্ভুক্ত দুই হাতের তালু ও চেহারা ব্যতীত (আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। গৃহকক্ষ নিজেই পর্দা। তবুও সেখানে সাধ্যমত সর্বাঙ্গ ঢেকে ছালাত আদায় করবে। অনিচ্ছাকৃত অসাবধানতা ক্ষমার্হ। আল্লাহ বলেন, তোমরা সাধ্যমত আল্লাহ
উত্তর : দু’বার রাসূল (ছাঃ)-এর বক্ষবিদারণের ঘটনা ঘটে। (১) দুধমা হালীমার নিকটে ৪ বা ৫ বছর বয়সে (মুসলিম হা/১৬২, আনাস (রাঃ) হ’তে; মিশকাত হা/৫৮৫২)। (২) হিজরতের পূর্বে মেরাজে গমনকালে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৬৪)। এছাড়া আরো কিছু বর্ণনা রয়েছে, যেগুলির সূ
উত্তর : ছালাতের সময় সিজদার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখাই সুন্নাত (হাকেম হা/১৭৬১, আলবানী, ছিফাতু ছালা-তিন্নবী পৃঃ ৬৯)। তবে তাশাহহুদের সময় দৃষ্টি থাকবে ইশারার দিকে (আবুদাঊদ হা/৯৯০, মিশকাত হা/৯১২)। ইচ্ছাকৃতভাবে ও বিনা কারণে আশেপাশে দৃষ্টি দিলে ছালাত বাতিল
উত্তর : বিশেষ কোন ফযীলত ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বরং উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (ইবনু মাজাহ হা/১৭৮২; যঈফাহ হা/৫২১, ৫১৬৩)।
উত্তর : ইনসুলিন গ্রহণ করা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। কেননা এটা কোন খাদ্য নয়। তবে রাতে তা গ্রহণ করলে যদি কোন দৈহিক ক্ষতির আশংকা না থাকে, তবে সেটা করাই উত্তম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১০/২৫২; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৬/২৫২-৫৪)।
উত্তর : এমতাবস্থায় ওযূ করে পুনরায় তাওয়াফ করা উত্তম। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ছালাতের মতই। কিন্তু তাতে তোমরা কথা বলতে পারো (তিরমিযী হা/৯৬০; মিশকাত হা/২৫৭৬)। তবে ওযূ অবস্থায় ত্বাওয়াফ শুরু করে মাঝখানে ওযূ টুটে গেলে এবং ভিড়ের কা
উত্তর : রামাযান মাসে ওমরাহ করলে হজ্জের সমান নেকী পাওয়া যায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫০৯)। প্রতি বছর ওমরা করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, এক ওমরাহ থেকে পরবর্তী ওমরা-এর মধ্যবর্তী সকল (ছগীরা) গোনাহের জন্য কাফফারা স্বরূপ হয় (বুখারী; মুসলিম; মিশকাত হা
উত্তর : ছাহাবায়ে কেরামের মাঝে আক্বীদাগত কোন মতভেদ নেই। বরং সামান্য কিছু ব্যাখ্যাগত মতভেদ দেখা যায়। এক্ষেত্রে একটাই পথ হ’ল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরে যাওয়া (নিসা ৪/৫৯) এবং রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে হাতে-দাঁতে কামড়ে ধরা (আহম
উত্তর : ওলামায়ে কেরাম জনগণের মাঝে ধর্মীয় দিক-নির্দেশনা দানের ক্ষেত্রে মৌলিক ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই তাঁদের পক্ষ থেকে কোন শিরক ও বিদ‘আতী আমল জনগণের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তা চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরূপ আলেমদের সংশোধন করা এবং তাদের থেকে জনগণকে
উত্তর : উক্ত তাঁবুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সম্পর্কে বুখারী ও মুসলিমে ৬০ ও ৩০ উভয় বর্ণনা এসেছে। এর ব্যাখ্যায় মানাবী বলেন, জান্নাতে মুমিনগণের মর্যাদার কমবেশীর কারণে তাদের তাঁবুর প্রশস্ততা ও উচ্চতা কমবেশী করা হবে (ছহীহুল জামে‘ হা/২১৮২-এর ব্যাখ্য
উত্তর : তারজী‘ অর্থ ‘পুনরুক্তি’। আযানের মধ্যে দুই শাহাদাত কালেমাকে প্রথমে দু’বার করে মোট চারবার নিম্নস্বরে, পরে দু’বার করে মোট চারবার উচ্চৈঃস্বরে বলাকে তারজী‘ বা পুনরুক্তির আযান বলা হয় (আবুদাঊদ হা/৫০০, ৫০৩; মিশকাত হা/৬৪৫)। তারজী‘ সহ ও তারজী‘ বি
উত্তর : স্ত্রীর দুধপান করলে উক্ত স্ত্রী হারাম হবে না। কেননা হারাম হওয়ার জন্য দু’বছর বয়সের মধ্যে দুধপান করা শর্ত (তিরমিযী হা/১১৫২)। তবে উক্ত দুধের প্রকৃত হকদার হ’ল সন্তান। সুতরাং স্বামী তা পান থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে।
উত্তর : যরূরী নয়। কিন্তু এটি রাসূল (ছাঃ)-এর অভ্যাসগত সুন্নাত (যাদুল মা‘আদ ১/১৩০)। আর তা না করাটা উক্ত সুন্নাতের বরখেলাফ। মস্তকাবরণ ব্যবহার করা উত্তম পোষাকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, তোমরা ছালাতের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর’ (আ‘রাফ ৭/৩১)। উল্লে
উত্তর : এ বর্ণনার কোন ভিত্তি নেই। ইমাম কুরতুবী স্বীয় কিতাবে কোন সনদ ছাড়াই আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে এর কাছাকাছি একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন (কুরতুবী, আত-তাযকেরাহ পৃঃ ৯৮৫)। তাছাড়া ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে এরূপ আরেকটি বর্ণনা বিভিন্ন হাদীছ গ্রন্থে এসেছে, যা মওয
উত্তর : সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা মুসলিম উম্মাহর উপর ফরয। আত্মীয়-স্বজন বিরূপ মন্তব্য করলেও ধৈর্যধারণ করতে হবে এবং বাহ্যিক সম্পর্ক রেখে দাওয়াত দিয়ে যেতে হবে। তাদের বিপদে সাহায্য করতে হবে। সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না। কারণ তাতে দাওয়াত
উত্তর : স্বামী থাকতে অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। যে নারী এরূপ করবে সে ব্যভিচারিণী হিসেবে গণ্য হবে। আর বিবাহিত ব্যভিচারী নারী বা পুরুষের বিধান হ’ল, পাথর মেরে তাকে হত্যা করা (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৫৫৭ ‘দন
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছানা হিসাবে তাকবীরে তাহরীমার পর পড়া যাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৮১৩)।[‘নূর হুসাইন’ অর্থ ‘হুসাইনের জ্যোতি’। এরূপ নাম রাখা ঠিক নয়। অতএব নাম পাল্টিয়ে ‘আব্দুন নূর’ রাখা উচিত (স.স.)]
উত্তর : মানুষ চিকিৎসার্থে বা কোন দোষ-ক্রটি দূরীকরণার্থে এরূপ করে থাকলে তাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আরফাজা বিন আস‘আদ (রাঃ) (জাহেলী যুগে) কুলাব যুদ্ধে নাক হারালে তিনি সেখানে রূপার তৈরী একটি নাক লাগান। কিন্তু তাতে দুর্গন্ধ দেখা দিলে রাসূল (ছাঃ) ত
উত্তর : প্রশ্নে উল্লিখিত বক্তব্য ভিত্তিহীন। তবে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন যেখানে যার মৃত্যু নির্ধারিত আছে, আল্লাহ্ তার জন্য সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন সৃষ্টি করে দেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/১১০)।
উত্তর : রাজা যদি আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করেন এবং ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী রাজ্যশাসন করেন, তাহ’লে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তার অনুকূলে। উক্ত নীতির অনুসরণ করলে বংশপরম্পরায় রাজা হওয়ায় কোন আপত্তি নেই। তার পরিবার থেকে রাজা হ’তে পারবে না, এরূপ কোন ন
উত্তর : প্রথমতঃ ৪টির অধিক বিবাহের অনুমতি কেবল রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খাছ। এ অনুমতি আল্লাহ পাক স্রেফ তাঁর রাসূলকে দিয়েছিলেন। অন্য কোন মুসলিমের জন্য নয় (আহযাব ৩৩/৫০)। উম্মতের জন্য কোনরূপ প্রশ্ন ছাড়াই আল্লাহর বিধান অনুসরণ করা অবশ্যক।দ্বিতীয়তঃ জানা আব
উত্তর : প্রথমতঃ ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) সম্পর্কে এরূপ ভিত্তিহীন ঘটনা উল্লেখ করে তাঁকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। কেননা তাঁর থেকে এরূপ কোন কিছুই বিশ্বস্ত সূত্রে প্রমাণিত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কাউকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন (ইবনু মা
উত্তর : মানত মানুষের নিয়তের উপর নির্ভর করে। মসজিদের মুছল্লীগণকে খাওয়ানোর মানত করলে সকলেই খেতে পারে। আর যদি কেবল ফকীর-মিসকীনকে খাওয়ানোর নিয়ত থাকে, তবে কেবল তারাই খাবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কসম মানুষের নিয়তের উপর নির্ভর করে’ (মুসলিম, ম
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার উপর লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। অতএব কষ্টকর হলেও ঘুষ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে ঘুষ দেওয়া ছাড়া নিজের বৈধ হক আদায়ে একান্ত নিরুপায় হলে দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঘুষগ্রহীতাই পাপের বোঝা বহন
উত্তর : মোহর বাকী রাখা যায়। তবে সেটা ঋণের অন্তর্ভুক্ত। তাই তা যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করা কর্তব্য। মোহর বাকী থাকলে সন্তান অবৈধ হবে একথা ঠিক নয়। কেননা বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য মোহর পরিশোধ করা শর্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) একজন ব্যক্তিকে বললেন, অমুক মহিলার
উত্তর : পবিত্র কুরআনের শুরুতেই আল্লাহকে না দেখে গায়েবে বিশ্বাসকে মুত্তাক্বীদের অন্যতম গুণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/৩)। তিনি অন্যত্র বলেন, নিশ্চয়ই যারা তাদের প্রতিপালককে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় পুরস্কার (মুলক ৬৭/১২)।
উত্তর : মসজিদ ছাড়া যে কোন নির্ধারিত স্থানে ঈদের ছালাত আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে নববীর পূর্ব দরজার বাইরে ৫০০ গজ দূরে ‘বাত্বহান’ প্রান্তরে ঈদায়নের ছালাত আদায় করতেন (মির‘আত ২/৩২৭; ঐ, ৫/২২; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৭)। মানুষ চলাচলের রাস
উত্তর : মি‘রাজের সফরে রাসূল (ছাঃ) পিপাসিত হন। ফলে তাঁকে দু’বার পানীয় পেশ করা হয়। একবার বায়তুল মুক্বাদ্দাসে মি‘রাজের প্রাক্কালে। দ্বিতীয়বার সিদরাতুল মুনতাহায় গিয়ে। প্রথমটিতে মদ ও দুধ এবং দ্বিতীয়টিতে মদ, মধু ও দুধের কথা এসেছে। দু’টিতেই তি
উত্তর : মানুষের কোন কাজ দেখে খুশী হয়ে তাকে কিছু প্রদান করার নাম বখশিশ। এটা শরী‘আতে জায়েয। রাবী‘আ বিন কা‘ব আসলামী (রাঃ)-এর কাজের উপর খুশী হয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেছিলেন, তুমি আমার কাছে চাও (মুসলিম হা/৪৮৯)। আমর ইবনে সালামা বিন ক্বায়েস (রাঃ) বলেন, আমা
উত্তর : প্রথমতঃ এটা মুসলমানদের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল (শূরা ৪২/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। (১) যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে,
উত্তর : বেপর্দা নারীর পরিণাম জাহান্নাম (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২৪ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়)। তবে ছিয়াম বাতিল হবে না। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ হবে ও নেকী হ্রাস পাবে (বুখারী; মিশকাত হা/১৯৯৯; ছহীহ তারগীব হা/১০৮২)। তাই গোনাহগার হওয়া সত্ত্বেও তাকে ফরয ছিয়াম থেকে নিষেধ ক
উক্তর : অলসতার কারণে মসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে ছালাত আদায় করা গ©র্র্হত কাজ। কারণ রাসূল (ছাঃ) এই অভ্যাসের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনল অথচ কোন ওযর ছাড়াই মসজিদে আসল না তার ছালাত হবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩
উত্তর : আয়াতটির অনুবাদ হ’ল, ‘হে আহলে কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমাদের রাসূল এসেছেন, যিনি বহু বিষয় তোমাদের সামনে বিবৃত করেন, যেসব বিষয় তোমরা তোমাদের কিতাব থেকে গোপন কর। আরও বহু বিষয় তিনি এড়িয়ে যান (অর্থাৎ প্রকাশ করেন না)। বস্ত্ততঃ তোমাদের নিকট আল্
উত্তর : ‘হ্যালো’ (Hallo) শব্দটি ইংরেজী Interjection বা সম্বোধন ও বিস্ময় সূচক অব্যয়, যা ‘আহবান’ অথবা সম্বোধনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। চালু পরিভাষা হিসাবে এটি বলায় কোন দোষ নেই। কারণ এটি কোন শিরকী কালাম নয়। তবে আহুত ব্যক্তি মুসলমান হলে তাকে ‘সালা
উত্তর : (বাজারে বা মাইকে উচ্চৈঃস্বরে) মৃতব্যক্তির শোক সংবাদ প্রচার করা জায়েয নয় (তিরমিযী হা/৯৯৫, ইবনু মাজাহ হা/১৪৭৬)। তবে নিকটাত্মীয়, পরিচিত জন ও মুসলিমদের নিকটে সাধারণভাবে মৃত্যুসংবাদ জানানো যাবে। হাবশার বাদশাহ নাজাশী মৃত্যুবরণ করলে রাসূলুল্লাহ
উত্তর : হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে উক্ত মর্মে বায়হাক্বী বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আলবানী, মিশকাত হা/১৯৬৫ ‘ছিয়াম’ অধ্যায়)। বরং অনেক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পুরা রামাযান মাসই রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসে জান্নাত ও রহমতের দরজা সমূহ খু
উত্তর : সালাম ফিরানোর সময় প্রথমে ডান দিকে ও পরে বাম দিকে সালাম ফিরাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৪৩)। মাঝখানে বিরতি দেওয়ার কোন বিধান নেই। তবে প্রথমে ডাইনে সালাম ফিরিয়ে অবশ্যই দম ছাড়বে। অতঃপর বামে সালাম ফিরাবে। এমনটি নয় যে, এক দমে দুই সালাম শেষ করবে কো
উত্তর : যে কোন বিনিময়েই হৌক না কেন উভয়ের সম্মতিতে যদি উক্ত বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে থাকে, তাহ’লে তা নিজের নামে লিখে নিয়ে ভোগ করায় কোন বাধা নেই (নিসা ৪/২৯)। তবে এক্ষেত্রে কোন কূট-কৌশল অবলম্বন করা হ’লে কঠিন গুনাহের ভাগিদার হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
উত্তর : এটা কুফুরী পদ্ধতি। কারণ এটা এক ধরনের গায়েবী খবর প্রকাশ করা। আর গায়েবী খবর কেবলমাত্র আল্লাহই জানেন (নামল ৬৫)। এটা গণকরা করে থাকে। তাদের কাছে যেতে শরী‘আতে নিষেধ করা হয়েছে (আবুদাঊদ হা/৩৯০৪; মিশকাত হা/৪৫৯৯)। এমনকি যদি কেউ গণককে এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞ
উত্তর : কাঁচা পেঁয়াজ বা রসুন খাওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। বরং এগুলো খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এর দুর্গন্ধে মুছল্লী এবং ফেরেশতা উভয়েই কষ্ট পায় (মুসলিম হা/৫৬৪)। তবে রান্না করে খেলে অথবা মুখ পরিষ্কার করে দুর্গন্ধ দূর করে মসজিদে গেলে কোন দো
উত্তর : চিংড়ি মাছ খাওয়া জায়েয। কারণ এটি মৎস প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নদীর শিকার তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদা ৯৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং উহার মৃত হালাল (আবুদাউদ হা/৮৩; তিরমিযী হা/৬৯)। ‘দাঊদ (আঃ)-
উত্তর : কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের পূর্বের লোকেরা তাদের নবী ও সৎ লোকদের কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করত। সাবধান! তোমরা কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করো না। আমি তোমাদেরকে এথেকে কঠোরভাবে নিষেধ করছি’ (বুখারী, মুসল
উত্তর: উক্ত কথা ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার। বরং অপবিত্র অবস্থায় প্রয়োজনীয় সকল কাজই করা যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৫১)।
উত্তর : ডাকা যাবে (বুখারী হা/৫৩০৯, ‘তালাক’ অধ্যায়, ৩০ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : জায়েয হবে না। কারণ কারু কোন লক্ষ্য বাস্তবায়ন আল্লাহর রহমত ব্যতীত সম্ভব নয়। বরং অধিক সন্তানই ইসলামী সমাজে কাম্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা প্রেমময়ী ও অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ কর। কারণ কিয়ামতের দিন আমি আমার উম্মতের সংখ্যাধিক্
উত্তর : দাড়ির ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট নির্দেশ হ’ল, তোমরা দাড়ি ছেড়ে দাও ও গোঁফ ছাটো এবং মুশরিকদের বিপরীত কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট নির্দেশ জানার পর অন্য কারো মত অনুসরণের কোন সুযোগ নেই (আহযাব ৩৩/৩৬)।উল্
উত্তর : পারস্পরিক সম্মতিতে এরূপ চুক্তিকে ইজারা বলা হয়, যা ইসলামী শরী‘আতে অনুমোদিত (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৭৪)। এটি এক ধরনের ব্যবসা। আর ব্যবসায় লাভ-লোকসান হ’তেই পারে।
উত্তর : পেশা হিসাবে বই বিক্রয়ের পেশা নিঃসন্দেহে হালাল এবং উত্তম। এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ দ্বীন প্রচারে বড় ভূমিকা রাখা যায়। যা সর্বাধিক নেকী হাছিলের মাধ্যম। তবে শিরক ও বিদ‘আতের দিকে আহবানকারী বই-পুস্তক বিক্রি করলে কঠিন গুনাহের ভাগিদার হ’তে হবে। এটা
উত্তর : জান্নাত ৮টি এবং জাহান্নাম ৭টি বলে সমাজে যে কথা প্রচলিত রয়েছে, তার কোন দলীল পাওয়া যায় না। ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী জান্নাতের দরজা আটটি আর জাহান্নামের দরজা সাতটি (আহমাদ, ছহীহাহ হা/১৮১২, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৫৭)। এছাড়া জান্নাত ও জাহান্নাম
উত্তর : চিকিৎসা হিসাবে ঝাড়ফুঁক বা পানিপড়া দেওয়া যাবে, যদি তাতে শিরকী কালেমা না থাকে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৫২৭, ২৮; ফাতাওয়া উছায়মীন ১/১০৮ পৃঃ)।
উত্তর : এটাকে ভুল হিসাবেই গণ্য করতে হবে এবং উক্ত অর্থ অনুমান করে বের করে যাকাতের নির্ধারিত খাতে ব্যয় করতে হবে (তওবা ৬০)। সাথে সাথে এরূপ ভুল যেন না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তবে এরূপ ভুলের জন্য উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করতে কোন বাধা নেই।
উত্তর : মায়ের দুধ ছাড়া অন্য খাদ্য খাওয়া শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত পানি ছিটিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৭)। অর্থাৎ মায়ের দুধ ব্যতীত অন্য খাদ্য ভক্ষণ দ্বারাই যখন সন্তানের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে, সে পর্যন্ত পানি ছিটিয়ে পবিত্র
উত্তর : এরূপ চুক্তি শরী‘আত সম্মত নয়। বরং সূদের অন্তর্ভুক্ত। বন্ধক এক ধরনের কর্য। আর কর্যের মাধ্যমে লাভ গ্রহণ করা সূদ। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, যে কর্য লাভ বহন করে সে কর্য গ্রহণ করা নিষিদ্ধ (ইরওয়া হা/১৩৯৭)।
উত্তর : যাবে না (তওবা ১৭)। তবে এজন্য যাকাতের একটি খাত থেকে তাদেরকে সাহায্য করা যেতে পারে (তওবা ৬০)।
উত্তর : স্ত্রীর মোহর আর মায়ের স্বর্ণের যাকাত আদায় করা তাদের উপরই ফরয। স্বামী বা সন্তানের উপর নয়। তবে স্বামী বা সন্তান স্বেচছায় তাদের যাকাত আদায় করতে পারে। আর স্ত্রী এবং কন্যার সম্পদ পৃথক হ’লে এবং নিছাব পরিমাণ হ’লে তারা পৃথকভাবেই যাকাত দিবে। এ
উত্তর : মসজিদে সাময়িকভাবে ঘুমানো ও খাওয়া-দাওয়া করা জায়েয। আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমর (রাঃ) অবিবাহিত যুবক ছিলেন, যিনি রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে মসজিদে ঘুমাতেন (নাসাঈ হা/৭২২)। তিনি বলেন, আমরা যুবকরা রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে মসজিদে ঘুমাতাম (তিরমিযী হা/৩২১; ইবনু মাজা
উত্তর : পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে ওযূ করে সর্বাঙ্গ ধৌত করাই গোসলের সুন্নাতী নিয়ম। এভাবে গোসল করলে পুনরায় ওযূ করার প্রয়োজন নেই (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৩৫; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪১)। তবে ওযূ ছাড়াই গোসল করলে পরে ওযূ না করলে ছালাত হবে না।
উত্তর : ক্বাযা ছালাত ঘুম ভাঙ্গা বা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথেই আদায় করতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬০১, ৬০৪)। এর জন্য কোন নিষিদ্ধ সময় নেই।
উত্তর : উক্ত পেশা মৌলিকভাবে হারাম নয়। তবে এর মাধ্যমে যদি অন্যায় কর্মে সহযোগিতা করা হয়, তাহ’লে গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা হবে। আর আল্লাহ তা‘আলা গুনাহের কাজে সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (মায়েদাহ ২)। উপ মহাদেশে প্রচলিত আইন সমূহের অধিকাংশ কুরআন ও হ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) সোমবারে মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর মঙ্গলবার সারাদিন তাঁর জানাযা চলে দশ জন করে ঘরের ভিতরে গিয়ে। ফলে দিন শেষে বুধবার দিবাগত রাতে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন হয় (আর-রাহীক্ব ৪৭১-৭২)। বিলম্বের কারণ হ’ল, খলীফা নির্বাচনে মতপার্থক্য হওয়া। তবে
উত্তর : স্থায়ীভাবে মাথা ন্যাড়া করা যাবে না। এটা খারেজীদের একটি বৈশিষ্ট্য (বুখারী হা/৭৫৬২; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৫৪৩)। তবে সাময়িক কারণে মাথা ন্যাড়া করা যায় (নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৬৩)। ওমরা ও হজ্জ করার পর মাথা ন্যাড়া করার অথবা চুল খাটো করার বিধান রয়েছে (ফাৎ
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থা না হ’লে পত্র-পত্রিকায় প্রাণীর ছবি ছাপানো উচিৎ নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আল্লাহ যা তোমাদের উপর হারাম করেছেন তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। তবে তোমাদেরকে বাধ্য করা হ’লে তোমরা হারাম বস্ত্তও আহার করতে পার’ (আন‘আম ১১৯)। অবশ্যই প্র
উত্তর : উক্ত ব্যক্তির জন্য শরী‘আতে কোন করণীয় বিধান নেই। সমাজে স্বপ্ন দেখে দান-খয়রাত করার যে প্রথা চালু আছে তা বিদ‘আত। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। সাধারণভাবে মৃত ব্যক্তির মাগফেরাতের জন্য দো‘আ করবে এবং ছাদাক্বা করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬১৯; বুখারী
উত্তর : উক্ত মর্মে রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে কোন দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : কোন ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে তার ছিয়ামের কাফফারা যে কোন ব্যক্তি আদায় করতে পারে। একজনের যিম্মাদারী অন্যজন নিতে পারে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৮৩৭; বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০৭)। রাসূল (ছাঃ) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা পড়াতেন না। তবে অন্য কেউ যিম্মাদা
উত্তর : জিনদের নিকটে কোন নবী এসেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় না। মুমিন জিনেরা আমাদের নবীর অনুসরণ করে। আল্লাহ বলেন, ‘জিনেরা বলল, আমরা যখন পথ নির্দেশক বাণী শুনলাম তখন তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম’ (জিন ১৩)। একটি বড় হাদীছে বলা হয়েছে, জিনেরা
উত্তর : কুরবানীর পশু ক্রয়-এর ব্যাপারে যেসব বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে টিউমার তার অন্তর্ভুক্ত নয়। (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৪৬৩)। তাই টিউমারসহ কুরবানী করা যায়।
উত্তর : সূরা ক্বদর-এর ফযীলতের প্রমাণে অনেক ছহীহ হাদীছ রয়েছে। কিন্তু ওযূ করার পর পাঠের ফযীলত সম্পর্কে যে বর্ণনা এসেছে তা ভিত্তিহীন (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৮; আজলূনী, কাশফুল খাফা হা/২৫৬৬)।
উত্তর : লায়লাতুল ক্বদরের বাহ্যিক কোন নিদর্শন নেই। হযরত উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমাদের খবর দিয়েছেন যে, ‘ঐদিন সূর্য উঠবে, কিন্তু আলোকচ্ছটা থাকবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৮৮)। এর উপরে ভিত্তি করে অনেক বিদ্বান লায়লাতুল ক্বদর নির্দিষ
উত্তর : প্রথমতঃ দলীল-প্রমাণসহ ফৎওয়া জেনে নিবে। আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ হ’ল, যারা জানে না তারা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে অভিজ্ঞ আলেমদের নিকট থেকে জেনে নিবে (নাহল ৪৩-৪৪)। ছাহাবীগণ একটি বিষয় একাধিক ছাহাবীর কাছে জানতেন (আহমাদ, আবুদাঊদ, ইবনে মাজাহ,
উত্তর : হযরত আবু আওফা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, الْخَوَارِجُ كِلاَبُ النَّارِ ‘খারেজীরা জাহান্নামের কুকুর’ (ইবনু মাজাহ হা/১৭৩, সনদ ছহীহ)।হাদীছটির ব্যাখ্যায় ফায়যুল ক্বাদীর শরহ ছহীহুল জামে‘-এর প্রণেতা আল্লামা মানাভী বলেন, খারেজীদের ‘জাহ
উত্তর : হাদীছটি ছহীহ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৭৩২)। হাদীছটি ইসলামী আদালতের বিচারপতিদের ক্ষেত্রে বর্ণিত হ’লেও এটি বিজ্ঞ আলেম ও ফকীহগণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যারা ছহীহ দলীল ভিত্তিক ফৎওয়া দিয়ে থাকেন। তবে ইজতিহাদকারীর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যেমন (
উত্তর : এমতাবস্থায় তার শরীরে সুগন্ধি লাগানো যাবে না। জনৈক ছাহাবী আরাফার মায়দানে এহরাম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে রাসূল (ছাঃ) তার শরীরে সুগন্ধি লাগাতে ও মাথা ঢাকতে নিষেধ করেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৩৭)।
উত্তর : এ পদ্ধতিতে সন্তান গ্রহণ করা হারাম। কারণ এ পদ্ধতিতে স্বামী-স্ত্রীর শুক্রাণু ও ডিম্বাণু টেস্টটিউবে পরাগায়ণ করে তৃতীয় একজন মহিলার গর্ভে স্থাপন করে তার মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। এভাবে একজন গায়ের মাহরাম মহিলার গর্ভে অপরিচিত নারী-পুরুষ
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৪০০ আলোচনা দ্রঃ)। তবে বিবাহের মাধ্যমে অভাব দূর হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন আছে, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও ... তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহ
উত্তর : অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ইহূদী ও নাছারাদেরকে প্রথমে সালাম দিবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৫)। তবে যদি তারা সালাম দেয় তবে শুধু ‘ওয়াআলাইকুম’ বলে উত্তর দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৩৭)।সাধারণভাব
উত্তর : আবশ্যক নয়। তবে ফজরের ছালাতের জন্য অবশ্যই ফরয গোসল করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) নাপাক অবস্থায় সকাল করেছেন এবং ছিয়াম পালন করেছেন (মুসলিম হা/১১১০)।
উত্তর : ফিদইয়া প্রদানের পর সক্ষমতা লাভ করলেও উক্ত ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে হবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা এর জন্য কেবল ফিদইয়া আদায়েরই নির্দেশ দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/১৮৪), ক্বাযা আদায়ের নয়।
উত্তর: এটি অমুসলিমদের অনুকরণে একটি সামাজিক কুপ্রথা মাত্র। মক্কার কাফেররা শিস দেওয়া ও তালি বাজানোর মাধ্যমে কা‘বাগৃহের পাশে তাদের উপাসনা করত (আনফাল ৩৫)। অতএব হাততালি বা বাঁশি বাজানো জাহেলী আরবদের রীতি, যা বর্জনীয়। খুশী বা আনন্দঘন মুহূর্তে আলহাম
উত্তর : কুনূতে নাযেলাহ যে কোন ওয়াক্তেই পাঠ করা যায় (মুসলিম হা/৬৭৮, নাসাঈ হা/১০৭৬)। তবে জুম‘আর ছালাতকে এজন্য নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়। রাসূল (ছাঃ) দীর্ঘ এক মাস যাবৎ বিশেষ কারণে এ দো‘আ পাঠ করেছিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবু দাঊদ, মিশকাত হা/১২৮৯-৯০)। কিন্তু
উত্তর: ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হ’লে এবং তা এক বছর পূর্ণ হ’লে তার উপর যাকাত আদায় করা ফরয (তিরমিযী হা/৬৩১, মিশকাত হা/১৭৮৭)। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত আদায়ের পূর্বে তার ঋণ পরিশোধ করবে। হযরত ওছমান (রাঃ) বলেন, এটি (রামাযান) যাকাতের মা
উত্তর: কথাটি সঠিক নয়। ই‘তেকাফ অবস্থায় গোসল করা জায়েয। গোসল মানুষের শারীরিক সুস্থতার জন্য একান্ত প্রয়োজন। আর রাসূল (ছাঃ) ই‘তেকাফ অবস্থায় প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১০০)।
উত্তর: উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন।
উত্তর : কোন মুসলিমকে কাফের বলে অভিহিত করা কবীরা গোনাহ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হ’লে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (তিরমিযী হা/২৬৩৭; বুখারী হা/৬১০৩)। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইক
উত্তর : উক্ত হাদীছ দ্বারা রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যের কবরে উপস্থিত হওয়া প্রমাণিত হয় না। বরং সেখানে ফেরেশতাগণ রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কবরবাসীকে জিজ্ঞেস করবেন সেটা বুঝানো হয়েছে। এছাড়া এর ভিত্তিতে রাসূল (ছাঃ)-এর মীলাদের মজলিসে আগমন করার দলীল গ্রহণ করা হা
উত্তর : পরচুলা ব্যবহার করা জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে পরচুলা লাগিয়ে নিল এবং যে লাগিয়ে দিল উভয়ের উপর আল্লাহ তা‘আলার অভিশাপ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৩০)।
উত্তর : গর্ভচ্যুত মৃত সন্তানের জানাযা করার প্রয়োজন নেই। কেননা হাদীছে বাচ্চার ‘চীৎকার করার’ কথা এসেছে (ইবনু মাজাহ, দারেমী, মিশকাত হা/৩০৫০, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৫৩)। গর্ভচ্যুত সন্তানের জানাযা করতে হবে মর্মের ‘আম ছহীহ হাদীছের (আবুদাউদ হা/৩১৮০; মিশকাত হা/১
উত্তর : কুরআন ও হাদীছে নমরূদ কিভাবে মারা গেছে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে তাফসীর ও ইতিহাসের গ্রন্থসমূহে পাওয়া যায় যে, মশা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল (কুরতুবী, ইবনু কাছীর, বাক্বারাহ ২৫৯-এর তাফসীর দ্রঃ)। তবে এ সবই ইসরাঈলী বর্ণন
উত্তর : স্বাধীন কোন মানুষকে ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম এবং বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী হা/২২২৭, মিশকাত হা/২৯৮৪)। নিঃসন্তান দম্পতি অন্যের সন্তান তার পিতামাতার সম্মতিতে লালন-পালনের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে অর্থের বিনিময় বা সন্তানের আসল
উত্তর : হাদীছটি মারফূ‘ হিসাবে যঈফ, তবে মওকূফ হিসাবে ছহীহ। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে মওকূফ সূত্রে এর সনদ ছহীহ (ইমাম আহমাদ, আয-যুহুদ ১/১৫; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৩৪৩, ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩০৩৮)। তবে তিনি বলেন যে, আমার মনে হ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভ্রান্ত ছূফীদের বক্তব্য। যার কোন ভিত্তি নেই। তবে হাদীছে রাসূল (ছাঃ)-এর বাসগৃহ এবং তাঁর মিম্বারের মাঝের স্থানটি জানণাতের বাগিচাসমূহের একটি বাগিচা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৯৪)। অন্য হাদীছে এসেছে, মসজ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক (বুখারী হা/৩১০৬)।
উত্তর : যে কোন অপরাধ রাষ্ট্রীয় ইসলামী আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ার পূর্বে কারো জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া জায়েয নয়। এরূপ করলে উক্ত ব্যক্তি অপরাধী হিসাবে গণ্য হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যাকারী ব্যক্তি জান্নাতের সুগন্ধ
উত্তর : পিতা-মাতা ইচ্ছা করলে সন্তানের অর্থ নিয়ে নিজে হজ্জ করতে পারবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত’ (আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৭৭০)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্র
উত্তর : নিখোঁজ স্বামীর জন্য স্ত্রী চার বৎসর অপেক্ষা করার পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারে। ওমর ফারূক (রাঃ) বলেন, নিখোঁজ স্বামী জন্য স্ত্রী চার বৎসর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বায়হাক্বী হা/১৫৩৪৫, মুহাল্লা ৯/৩১৬ পৃঃ)। অত্র হাদীছটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছ
উত্তর : তামাক আবাদ করা হারাম। তামাক একদিকে যেমন নেশাকর বস্ত্ত অন্যদিকে তেমনি শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকর। এতে নিকোটিন বিষ থাকে। সেকারণ ধূমপানকে বিষপান বলা হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না ও অন্যের ক্ষতি করো না’ (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০;
উত্তর : ছালাত শেষে পঠিতব্য দো‘আ সমূহ ছালাতের স্থানে বসে পাঠ করাই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সবচেয়ে বেশী দো‘আ কবুল হয় শেষ রাতে এবং প্রত্যেক ফরয ছালাতের শেষে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৬৮)। তবে সাধারণ দো‘আসমূহ যেকোন সময় পাঠ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) সর্বাবস্থ
উত্তর : জায়েয। তবে কুরআন সঠিকভাবে তেলাওয়াতের জন্য তাজবীদ শিক্ষা করা একান্ত যরূরী। কেননা আল্লাহ বলেন, তুমি কুরআন পাঠ কর ধীরে ধীরে (মুযযাম্মিল ৭৩/৪)। ‘তারতীল’ অর্থ সুশৃংখলভাবে যথানিয়মে পাঠ করা (কুরতুবী)। অতএব সঠিক উচ্চারণে কুরআন তেলাওয়াতের চেষ্টা করা অ
উত্তর : আছে। মুওয়াযযিনের মর্যাদা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুওয়ায্যিনের আযানের ধ্বনি জিন ও ইনসান সহ যত প্রাণী শুনবে, ক্বিয়ামতের দিন সকলে তার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৫৬)। তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন মুওয়ায্যিনের গর্দান
উত্তর : এটি সাধারণ হুকুম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের সন্তানরা যখন সাত বছরে পদার্পণ করে তখন তাকে ছালাতের নির্দেশ দাও এবং দশ বছর হ’লে তাদের প্রহার কর। আর তাদের বিছানা পৃথক করে দাও’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৭২)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমাদের সন্তান সা
উত্তর : এটি একটি রোগ। যার জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন রোগ নাযিল করেননি, যার জন্য আরোগ্য নাযিল করেননি (বুখারী হা/৫৬৭৮, মিশকাত হা/৪৫১৪)। এছাড়া এ চিকিৎসার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনা হয় না বা অ
উত্তর : এক্ষেত্রে করণীয় হ’ল ছালাতের জন্য আগেই প্রস্ত্ততি নেওয়া। পেশাব পূর্ণভাবে হওয়ার সময় দিতে হবে। কারণ পেশাব থেকে পবিত্রতা হাছিল না করার কারণে কবরে বিশেষভাবে শাস্তি হয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩৮)।
উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হ’লে ছেলে-মেয়ে কবীরা গোনাহগার হয়। কিন্তু তাদের সম্পদ হ’তে বঞ্চিত হয় না। সন্তানকে ত্যাজ্যপুত্র করা বা সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ। বরং পিতা-মাতা একাজ করলে সন্তানের হক নষ্ট করা হবে, যা পরকালে নিজের নেকী থেকে তাকে পরি
উত্তর : উত্তম যিকির হিসাবে কালেমায়ে ত্বাইয়েবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দিনে যতবার খুশী পড়া যাবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩০৬)। এছাড়া কালেমায়ে তাওহীদ দিনে একশত বার পড়ার কথা হাদীছে এসেছে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩০২)। আর কালেমা তামজীদ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্র
উত্তর : সন্তানের মালিক মূলতঃ পিতা। আল্লাহ বলেন, তোমাদের স্ত্রীরা গর্ভবতী থাকলে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত তাদের ভরণ-পোষণের জন্য তোমরা ব্যয় কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের সন্তানদের স্তন্যদান করে, তবে তাদেরকে পারিশ্রমিক দাও এবং সন্তানের কল্যাণ বিষয়ে
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কায় কা‘বা গৃহের দিকে ফিরেই ছালাত আদায় করতেন। মদীনায় হিজরতের পর আল্লাহর নির্দেশে ১৬/১৭ মাস বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করেন। পরে আল্লাহর হুকুমে পুনরায় কা‘বার দিকে ফিরে ছালাত আদায় শুরু করেন (বুখারী হা/৩৯
উত্তর : শরী‘আতে এরূপ অনুষ্ঠানের কোন ভিত্তি নেই। বরং এগুলি কুসংস্কার মাত্র। খাৎনা ইসলামের একটি নিদর্শনমূলক সুন্নাত, যাকে হাদীছে ফিৎরাত সমূহের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে (বুখারী হা/৫৮৮৯)। আর প্রত্যেক শিশুই ফিৎরাতের উপর তথা ইসলামের উপরে জন্মগ্রহণ করে (বুখ
উত্তর : এ সময় খাওয়া ও পান করা নিষিদ্ধ নয়। বরং নিষিদ্ধ মনে করাটা কুসংস্কার মাত্র। এ সময় সব ছেড়ে ছালাতে রত হ’তে হবে, যাকে ছালাতুল কুসূফ ও খুসূফ বলা হয়। অতঃপর বেশী বেশী দো‘আ করতে হবে, তাকবীর দিতে হবে এবং ছাদাক্বা করতে হবে (বুখারী হা/১০৪৪)। এছাড়া
উত্তর : সূরা আহযাবের ৬ আয়াতে বলা হয়েছে যে, নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক ঘনিষ্ঠতর এবং তাঁর স্ত্রীগণ মুমিনগণের মাতা’। এখানে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণকে মা বলার কারণে রাসূল (ছাঃ) যে তাদের পিতা এটা বুঝায় না। বরং এখানে মুমিনগণের নিকটে
উত্তর : ইফতারের পূর্বে সবাই মিলে হাত তুলে দো‘আ করার কোন প্রমাণ নেই; বরং এটা শরী‘আতে একটি নতুন সৃষ্টি, যা পরিতাজ্য। ইফতারের সময় দো‘আ কবুল হয় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/১৭৫৩, সনদ যঈফ)। এ সময় দো‘আ করলে অধিক নেকী হয় বলে কোন প্রমাণ নে
উত্তর : অবৈধ পথে ব্যয়কারী ব্যক্তি যদি সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয়ে এরূপ কাজ থেকে খালেছ অন্তরে তওবা করে, তবে তাকে ঋণ পরিশোধের জন্য যাকাতের টাকা দেওয়া যেতে পারে। নইলে তাকে হারাম পথে ব্যয়ে উৎসাহিত করা হবে, যা সিদ্ধ নয় (মায়েদাহ ২)। আবু সাঈদ খুদরী (রা
উত্তর: আক্বীক্বার দু’টি পশু দুই স্থানে যবেহ করা জায়েয। এতে কোন দোষ নেই (হায়তামী, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৪/২৫৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৫/২২৮; ছালেহ আল-ফাওযান, আল-মুনতাক্বা ১০/৫০)।প্রশ্নকারী : রায়হান আলী, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও।
উত্তর : বর্ণনাটি যঈফ (যঈফুল জামে‘ হা/২৬৪১; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫৯২)।প্রশ্নকারী : আব্দুল আলীম, রিয়াদ, সঊদী আরব।
উত্তর : স্ত্রীর চুল যদি কালো হয়, তবে সেখানে লাল রংয়ের হেয়ার কালার ব্যবহার করা যাবেনা। কেননা কালো চুলই প্রকৃতি সম্মত। যা পরিবর্তন করা নিষিদ্ধ (রূম ৩০)। পক্ষান্তরে যাদের চুল সাদা বা সাদা-কালো মিশ্রিত, তাদের জন্য কালো ব্যতীত যেকোন রং দ্বারা হে
উত্তর : প্রচলিত নিয়মে জমি বন্ধক নেওয়া ও দেওয়া ইসলামী শরী‘আতে হারাম। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত উভয় পদ্ধতির লেনদেন করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; আল-মুদাওয়ান্নাহ ৪/১৪৯; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফা
উত্তর : শিশুদের খেলার জন্য অস্থায়ী ভাবে ব্যবহার্য খেলনা পুতুল ব্যবহার করা নাজায়েয নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৪১৫; ইবনু হাযম, মুহাল্লা মাসআলা নং ১৯১০; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১২/১২১)। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সম্মুখে
উত্তর : ‘খোলা’ বা বিবাহ বিচ্ছেদ চাওয়ার জন্য পবিত্র থাকা শর্ত নয়। ঋতুকালে, গর্ভকালে বা এমন তুহরেও ‘খোলা’ করা যাবে যে তুহরে সহবাস করা হয়েছে। কারণ ‘খোলা’ মূলতঃ তালাক নয়; বরং বিচ্ছেদ। স্বামী বা তার পরিবারের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে স্ত্রী ‘খোলা’ কর
উত্তর : তাকে অন্ততঃ আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বা আল্লাহুম্মাগফিরলী বলতে হবে। আব্দুল্লাহ বিন ‘আওফা (রাঃ) বলেন, একজন ব্যক্তি এসে রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি কুরআন জানি না। অতএব আমাকে এর স্থলে কিছু শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, ত
উত্তর : ঈদে মীলাদুন্নবী একটি সুস্পষ্ট বিদ‘আত। তাই এ বিদ‘আত উপলক্ষ্যে যা কিছুই করা হবে, সবই বিদ‘আতী আমল হিসাবে গণ্য হবে (লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া ক্রমিক ৫৭২৩)। রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনী ও তাঁর নির্দেশিত পথ সম্পর্কে জানার জন্য বছরের নির্দিষ্ট কোন দিন নয়, বরং
উত্তর : স্ত্রীকে তিন মাসে তিন তালাক ও তার ইদ্দত শেষে অন্যকে বিয়ে করতে পারে (বাক্বারাহ ২/২২৮)। স্মর্তব্য যে, সমাজে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো সাধারণতঃ পর্দাহীনতার কারণেই ঘটে থাকে। সুতরাং যত কাছের আত্মীয় হৌক না কেন, মাহরাম নয় এমন প্রত্যেক পুরু
উত্তর : সুৎরা মসজিদে ও বাইরে সকল স্থানের জন্য প্রযোজ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ ছালাত আদায় করলে যেন সুৎরার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করে’ (আবূদাউদ হা/৫৯৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪১)। সেজন্য নবী করীম (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম সুন্নাত ছালাত আদায়ের
উত্তর : উক্ত কথার কোন ভিত্তি নেই। তবে ছালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর জন্য ফরয। এমনকি অসুস্থ ব্যক্তির জন্যও ছালাত আদায় ফরয যতক্ষণ ব্যক্তির হিতাহিত জ্ঞান থাকে (বুখারী হা/১১১৭; মিশকাত হা/১২৪৮; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/১২৬, ১৫/২২৯)। আল
উত্তর: এগুলি সুন্নাত বিরোধী কাজ। বিনা প্রয়োজনে বহনকারী পরিবর্তনের কোন বিধান নেই। তবে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’টি কবরের উপরে যে খেজুরের দু’টি কাঁচা চেরা ডাল পুঁতেছিলেন, সেটা ছিল তাঁর জন্য ‘খাছ’। তাঁর বা কোন ছাহ
উত্তর : ওযূ করার জন্য সতর ঢাকা শর্ত নয়। অতএব সতরবিহীন ওযূ করলে ওযূ হয়ে যাবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১০১; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৩/১৭৯)। তবে উত্তম হচ্ছে সর্বাবস্থায় সতর ঢেকে রাখা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, স্বীয় স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া সকল মানুষ হ’তে
উত্তর : মায়ের জীবননাশের আশংকা বা শারঈ ওযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তান নষ্ট করা হারাম ও কবীরা গুনাহের কাজ। এক্ষণে সন্তানের বয়স ১২০ দিন হওয়ার পূর্বে যেহেতু প্রাণের সঞ্চার হয় না, সেহেতু ভ্রূণের বয়স ১২০ দিন হওয়ার পূর্বে গর্ভপাত ঘটিয়ে থাকলে কোন দিয়
উত্তর : বিতরের ক্বাযা জোড় সংখ্যায় আদায় করা যায়। কারণ আয়েশা (রাঃ) বলেন, যদি কখনো নবী করীম (ছাঃ) নিদ্রা বা প্রবল ঘুমের চাপের কারণে তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করতে না পারতেন, তাহ’লে তিনি দিনে (চাশতের সময়) ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/৭৪৬; মিশকা
উত্তর : ভিডিও ফুটেজ থাকলেও যেনা সাব্যস্ত করার জন্য চারজন পুরুষের সাক্ষ্য আবশ্যক (নিসা ৪/১৫)। কারণ ভিডিও ফুটেজে সহজেই সংযোজন ও বিয়োজন সম্ভব। ফলে একজন নিরপরাধ মানুষ দোষী সাব্যস্ত হয়ে যেতে পারে। সেজন্য হয় চারজন সাক্ষী থাকতে হবে অথবা নারীকে গর্ভবতী
উত্তর : লিখিতভাবে ওয়াকফকৃত না হ’লেও মৌখিকভাবে জায়গাটি ওয়াকফকৃত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে, যেহেতু সুদীর্ঘকাল যাবৎ সেটি মসজিদের জায়গা হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দাতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে দান বা ওয়াকফ না করলে এটি মসজিদের জায়গা হিসাবে ব্যবহৃত হ’ত না। সুত
উত্তর : শো‘আয়েব (আঃ) একজন নবী ছিলেন। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত পঁচিশ জন নবীর তিনি অন্যতম ছিলেন। হযরত শো‘আয়েব (আঃ) হযরত মূসা (আঃ)-এর শ্বশুর ছিলেন। কওমে লূত-এর ধ্বংসের অনতিকাল পরে কওমে মাদইয়ানের প্রতি তিনি প্রেরিত হন (আ‘রাফ ৭/৮৫; হূদ ১১/৮৪)। চমৎকার বা
উত্তর : যে হাদীছের রাবী নিজের উস্তাদের নাম উল্লেখ না করে তদূর্ধ্ব কোন শায়খের নামে এরূপভাবে হাদীছ বর্ণনা করেন যেন মনে হয় যে, তিনি সরাসরি হাদীছটি উক্ত শায়খের নিকট থেকে শুনেছেন। অথচ তিনি নিজে তাঁর নিকট থেকে শুনেননি। এইরূপ কর্মকে উছূলে হাদীছের পর
উত্তর : বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে নারীরা সৌন্দর্য চর্চা করতে পারে। তবে এজন্য প্রচলিত বিউটি পার্লারে যাওয়া সমীচীন নয়। কারণ বিউটি পার্লারে কৃত্রিমভাবে অসুন্দরকে সুন্দর করার মাধ্যমে প্রতারণা করা হয় এবং ভ্রু চিকন করাসহ নানা শরী‘আত বিরোধী কাজ ক
উত্তর : শাড়ীর ব্যবসা করা জায়েয। কারণ এটি কোন ধর্মের নিদর্শন মূলক পোষাক হিসাবে গণ্য নয়। আর যখন কোন পোষাক মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তখন সেটা আর ধর্মীয় পোষাক থাকে না (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১০/৩০৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৪৭
উত্তর : প্রথমতঃ ঋণ পরিশোধ করে ব্যাংকের সাথে লেনদেন বন্ধ করতে হবে (ছালেহ ফাওযান, আল-মুনতাক্বা ৫/২১০)। কারণ সূদ সর্বাবস্থায় হারাম (বাক্বারাহ ২/২৭৫-২৭৮)। দ্বিতীয়তঃ খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে। আর তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে- (১) একমাত্র&
উত্তর: ফিদইয়ার টাকা কেবল ফকীর ও মিসকীনদের হক। এক্ষণে মসজিদের ইমাম যদি ফকীর বা মিসকীনদের অন্তর্ভুক্ত হন, তাহ’লে তিনি ফিদইয়ার টাকা দিয়ে কিতাব ক্রয় করতে পারেন, নতুবা তার জন্য এটি জায়েয নয় (বাক্বারাহ ২/১৮৪; ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ৭/৬৮)।প্রশ্নকারী
উত্তর : ইস্রাঈলী বর্ণনা সম্পর্কে তিনটি বিষয় লক্ষণীয়। ১. কিছু বর্ণনা আছে যেগুলোকে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমর্থন করে, সেগুলো বিশ্বাস করা ওয়াজিব। ২. যেসব বর্ণনা ইসলামী আক্বীদা বিরোধী বা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়, সেগুলো মিথ্যা হিসাবে জান
উত্তর : মালিক পক্ষের নিকট এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এটা এড়িয়ে যেতে হবে। আর প্রাপ্ত অতিরিক্ত চার শতাংশ অর্থ নেকীর আশা ব্যতীত জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে দিতে হবে। কারণ সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। আর হারাম সম্পদ ভোগ করা বা ছওয়াবের আশায় দ
উত্তর : অমুসলিমের মৃত্যুতেও ‘ইন্নালিল্লাহ’ বলা যাবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৩৭৫ পৃ:, ১৪/৩৬৪-৬৫)। কারণ প্রতিটি মানুষই আল্লাহর নিকট ফিরে যাবে। তবে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা যাবে না (তওবা ১১৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৫/১১৯; আল-মাওস
উত্তর : ‘আল্লামা’ শব্দটি আরবী। যেটি আলেম শব্দের ইসমে মুবালাগা। অর্থাৎ বড় জ্ঞানী। যখন কোন আলেমের মাধ্যমে জাতি উপকৃত হয় এবং তার ইলম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তখন তাকে আল্লামা বলা হয়। বিদ্বানদের মধ্যে এর প্রচলন রয়েছে। সুতরাং শব্দটি কোন বিশিষ্ট আলেমে
উত্তর : যেকোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য জান্নাতের উঁচু মাকাম কামনা করা যায়। আর জান্নাতের উঁচু মাকাম হ’ল জান্নাতুল ফেরদাউস। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা যখন আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করবে, তখন জান্নাতুল ফিরদাউস প্রার্থনা করবে। কারণ তা জান্নাতের মধ্
উত্তর : জুম‘আর দিনে কোন মুছল্লী আযানের পর আসলে সে প্রভূত ছওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। তবে তার জুম‘আ বাতিল হবে না। কারণ জুম‘আর খুৎবা শ্রবণ করা ওয়াজিব হ’লেও এটি ছালাতের জন্য শর্ত নয় (জুম‘আ ৬২/০৯; ইবনুল ‘আরাবী, আহকামুল কুরআন ৪/২৪৯; ফাৎহুল বারী ২/৪১৪)। র
উত্তর : কোন বাড়ি থেকে মসজিদের ইমামের অনুসরণ করা জায়েয নয়। কারণ সেটা জামা‘আত হিসাবে গণ্য হবে না। জামা‘আতের জন্য একই মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, কাতার মিলে থাকা এবং ইমামের তাকবীর শুনতে পাওয়া ইত্যাদি শর্তগুলো থাকা আবশ্যক (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাত
উত্তর : উভয়কে উক্ত ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে হবে। স্বামী জোর করে মিলন করায় তাকে ক্বাযা ও কাফ্ফারা দু’টিই আদায় করতে হবে (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৫; মিশকাত হা/৬২৮৪; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/৪০৪)। আর কাফ্ফারা হ’ল, একজন দাস মুক্ত করা অথবা একটানা দু’মাস ছিয়াম
উত্তর : স্ত্রীর নিকট স্বামী হ’লেন সম্মানের পাত্র। অতএব যেভাবে ডাকলে স্বামী খুশী হবেন সেভাবে ডাকা উচিৎ। তবে স্বামী অসন্তুষ্ট না হ’লে স্ত্রী স্বামীর নাম ধরে ডাকতে পারে। মূলতঃ এগুলো সামাজিক প্রচলনের বিষয়। আরবীয় সমাজে নাম ধরে ডাকাকে অপমানজনক মনে
উত্তর : ঈদের ছালাতে অতিরিক্ত তাকবীরের সময় রাফঊল ইয়াদায়েন করা মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে সকল মাযহাবের বিদ্বানদের ঐক্যমত রয়েছে (আইনী, আল-বেনায়া শারহুল হেদায়া ৩/১১৫; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২১; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/২৮৩)। হানাফী বিদ্বান কা‘সানী এ ব্যাপারে ইজমার দা
উত্তর : প্রচলিত নিয়মে টিকিট কেটে মাছ শিকার শরী‘আতসম্মত নয়। কেননা এতে ধোঁকার সম্ভাবনা থাকে। যা নিষিদ্ধ বাই‘য়ে গারারের অন্তর্ভুক্ত। আর বাই‘য়ে গারার হ’ল এমন পরিমাণ বা এমন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যা বিক্রেতা বা ক্রেতা কেউ জানে না (নববী, শারহু মুসলিম
উত্তর : মায়ের চাচাতো বোন মাহরাম নয়। সেজন্য তাকে বিবাহ করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আল্লাহ তা‘আলা যে সকল নারীকে মাহরাম হিসাবে বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে মায়ের চাচাতো বোন নেই (নিসা ৪/২৩)। এর পরই আল্লাহ বলেন, এদের ব্যতীত তোমাদের জন্য সকল নারী হালাল
উত্তর : খুৎবা চলাকালে খতীবের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে উপরোক্ত দো‘আ সমূহ পাঠ করায় কোন বাধা নেই। যেমন খুৎবার সময় ইমাম দো‘আ করলে, রাসূল (ছাঃ)-এর নাম নিলে, আল্লাহ প্রদত্ত বড় কোন নে‘মত অথবা কোন আমলে প্রভূত ফযীলত ইত্যাদি বর্ণনা করলে প্রত্যুত্তরে এমন স
উত্তর : ইফতার করানো অধিক ছওয়াবের কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছায়েমকে ইফতার করাবে, তার জন্য ঐ ছায়েমদের অনুরূপ ছওয়াব রয়েছে। অথচ তাদের ছওয়াবে কোন কমতি করা হবে না’ (তিরমিযী হা/৮০৭; ইবনু মাজাহ হা/১৭৪৬; মিশকাত হা/১৯৯২)। সেজন্য উক্ত ব্যক্তির নিয়ত ম
উত্তর : হিজড়া সন্তান তিন ভাগে বিভক্ত। কেউ পুরুষাঙ্গ বিশিষ্ট। এরূপ সন্তানের জন্য দু’টি ছাগল আক্বীক্বা দিবে। কেউ নারী অঙ্গ বিশিষ্ট। এরূপ সন্তানের জন্য একটি ছাগল আক্বীক্বা দিবে (বায়হাক্বী হা/১২৫১৪; শানক্বীত্বী, শারহু যাদিল মুসতাক্বনে‘ ১৯/১৩৩)। ক
উত্তর : সন্তানের ঋণ পরিশোধের জন্য পিতা বাধ্য নন। প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান ঋণ করে থাকলে সে নিজেই এর দায়-দায়িত্ব বহন করবে। সন্তান যদি পিতার সংসারেও থাকে, তবুও এর দায়ভার পিতার উপর বর্তাবে না। তবে পিতা ইহসান স্বরূপ অন্য সন্তানদের সম্মতিক্রমে তাকে ঋণ
উত্তর : ইসলামে ঈদ মাত্র দু’টি। ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহা (আবূদাঊদ হা/১১৩৪)। ঈদে মীলাদ বলে কোন কিছুই নেই। এটি খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলমানদের ক্রুসেড যুদ্ধের সময় তাদের ‘বড় দিন’ পালনের অনুকরণে ৬২৫ হিজরীতে ইরাকের ‘এরবল’ প্রদেশের গবর্ণর আবু সাঈদ মুযাফফর
উত্তর : যাবে। তবে পবিত্র অবস্থায় আযান দেওয়াই উত্তম (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯৯, ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৬৭)। ‘ওযূ ব্যতীত কেউ আযান দিবে না’ বলে যে হাদীছটি তিরমিযীতে বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (তিরমিযী হা/২০০)।
উত্তর : ছহীহ দলীলের দৃষ্টিকোণ থেকে এর কোন ভিত্তি নেই। তবে মক্কার না‘মান উপত্যকায় (বর্তমান আরাফা ময়দানে) আল্লাহ আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে কিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল আদম সন্তানের রূহ ও পিপীলিকাসদৃশ দেহ হাযির করে তাদের কাছ থেকে ‘আহদে আলাস্ত্ত’ অর্থাৎ আল্ল
উত্তর : কুরবানী ও আকীকা দু’টি পৃথক সুন্নাত। সুতরাং তা একই দিনে হ’লে সাধ্যমতে দু’টিই আদায় করবে। নইলে কেবল আকীকা করবে। কেননা আকীকা জীবনে একবার হয় এবং তা সপ্তম দিনেই করতে হয় (আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪১৫৩; ইরওয়া হা/১১৬৫)। ক
উত্তর : এরূপ কাজ শরী‘আত পরিপন্থী। নেকীর উদ্দেশ্যে মৃতব্যক্তির নামে এসব জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হিন্দুদের ‘শ্রাদ্ধ’ অনুষ্ঠানের অনুকরণে মুসলিম সমাজে চালু হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। বরং মৃত ব্যক্তির নামে কোন স্থায়ী ছাদাক্বা করা উচিত, যা ক্বিয়ামত
উত্তর: ভুলক্রমে হ’লে কাযা করার প্রয়োজন নেই। কারণ অনিচ্ছাকৃত ভুল মার্জনীয় (আহযাব ৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আমার উম্মতের অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ও ভুল সমূহকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৩, মিশকাত হা/৬২৮৪)। বুখারীর ১৯৫৯ নম্বর
উত্তর : দরূদ হিসাবে এটা পাঠ করা যাবে না। কারণ এটি ছহীহ বা যঈফ কোন বর্ণনা দ্বারাই প্রমাণিত নয়। বরং একাধিক গ্রন্থে এটি জনৈক ব্যক্তির স্বপ্নে দৃষ্ট দরূদ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে (নুযহাতুল মাজালেস ওয়া মুনতাখাবুন নাফায়েস ২৮৪ পৃঃ)। সুতরাং এসব দরূদ পরি
উত্তর : উভয়ের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে এরূপ চুক্তি জায়েয (বুখারী হা/২২৪০)। একে ‘বায়‘উস সালাম’ বলা হয়। তবে এক্ষেত্রে যেন কেউ যুলুমের শিকার না হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা অত্যাচার করো না এবং অত্যাচারিত হয়ো না’ (বাক্বারাহ ২/২৭
উত্তর : উক্ত মর্মে সরাসরি কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা খাদ্যের পাত্র ঢেকে রাখ এবং পানির পাত্র বন্ধ কর। কেননা বছরে এমন একটি রাত্রি আছে, যেদিন মহামারি নাযিল হয়। সেদিন খাদ্য বা পানীয়ের ঢাকনাবিহীন খোলা পাত্রে উক্ত মহা
উত্তর : এটি শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ এতে পানি অপবিত্র হয়। রাসূল (ছাঃ) বদ্ধ পানিতে মলমুত্র ত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৪)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) নবুঅতপ্রাপ্তির পূর্বে রামাযান মাসে হেরাগুহায় বেশী বেশী ইবাদত করতেন। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কাছে একাকিত্বকে পসন্দনীয় করে দিয়েছিলেন। রাতের বেলা একাকী তিনি হেরাগুহায় ইবাদতে মগ্ন থাকতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৪১)। কিন্তু তিন
উত্তর : এগুলি সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। কেননা যেকোন মেয়ের স্বামীর বাড়ীতে যেমন অধিকার আছে, পিতার বাড়ীতেও তেমনি অধিকার রয়েছে। এই অধিকার ভোগের কোন সময়সীমা নেই। যতদিন খুশী মেয়ে তার বাপের বাড়ী থাকবে। সেখানে সে মেহমান নয়, বরং সে তার পিতার রক্তের উত্
উত্তর : উপরোক্ত কথাটি ভিত্তিহীন। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা নিজে পড়াতেন না। তবে ছাহাবায়ে কেরামকে পড়ার নির্দেশ দিতেন। অবশ্য মৃতের পরিশোধযোগ্য সম্পদ থাকলে বা কেউ তা পরিশোধের দায়িত্ব নিলে তিনি ছালাত আ
উত্তর : মহিলারা জানাযার ছালাতে অংশগ্রহণ করতে পারে। সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)-এর জানাযায় আয়েশা (রাঃ) সহ রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যান্য স্ত্রীগণ অংশগ্রহণ করেছিলেন (মুসলিম হা/৯৭৩)। মহিলারা স্বামী বা যেকোন মহিলার গোসল করানোর ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে
উত্তর : অসুস্থতার মাত্রা অনুযায়ী মুছল্লী স্বীয় বিবেচনায় যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সহ্য ক্ষমতার বাইরে গেলে ছালাত ভঙ্গ করতে কোন বাধা নেই। অনুরূপভাবে বিপদের সংবাদের ক্ষেত্রেও অবস্থা অনুযায়ী ছালাত সংক্ষেপ করতে পারে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩০)
উত্তর : কবর বহু পুরাতন হ’লে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ করা যায় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১)। আর ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জমির মালিকের কথাই অগ্রাধিকার যোগ্য (তিরমিযী হা/১২৭০, মিশকাত হা/২৮৮০, সনদ ছহীহ)।
উত্তর : এটি কুরবানীর গোশতের ন্যায়। যা যতদিন খুশী রেখে খাওয়া যায় (আহমাদ হা/২৬৪৫৮, মুসলিম হা/১৯৭৩)। ইমাম মালেক (রহঃ)-কে আকীকার গোশত জমা রেখে খাওয়া যাবে কি-না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এতে কোন দোষ নেই (মাওয়াহেবুল জালীল ফী শারহে মুখতাছার খালীল ৩/২৫৮)।
উত্তর : একান্ত বাধ্যগত অবস্থা ব্যতীত সাধারণভাবে দরিদ্রতার কারণে ফিৎরা আদায় করতে না পারলে গুনাহগার হবে। কারণ ফিৎরা আদায় করা ধনী-গরীব সকল মুসলমানের উপর ফরয। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যাকাতুল ফিৎর ফরয করেছেন মাথা প্র
উত্তর : শিশু সন্তান পিতা-মাতার সাথে হজ্জ পালন করলে সে এবং তার পিতা-মাতা নেকী পাবে। জনৈক মহিলা স্বীয় শিশু সন্তানের হজ্জ কবুল হবে কি না জিজ্ঞেস করলে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তার হজ্জ হয়ে যাবে এবং এজন্য তুমিও নেকী পাবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৫১০)।
উত্তর : যাবে না। কারণ কুরআনে আল্লাহ যাকাতের যে ৮টি খাত উল্লেখ করেছেন মসজিদ তার অন্তর্ভুক্ত নয় (ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ৪৩১ পৃঃ)। আর যাকাত যেসব স্থানে ব্যয় হয় ফিৎরাও সেখানে ব্যয় হয় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪৭৩)।
উত্তর : এসবে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হয় না। উল্লেখ্য যে, দাড়ি শেভ করা সর্বদাই গুনাহের কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা গোঁফ ছাটো এবং দাড়ি ছেড়ে দাও’ (বুখারী হা/৫৮৯৩)।
উত্তর : মানুষকে অপমান করার জন্য তার নাম বিকৃত করা কবীরা গুনাহ এবং তা গীবতের শামিল। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কোন সম্প্রদায় যেন অপর কোন সম্প্রদায়কে নিন্দা না করে। হ’তে পারে তারা তাদের চাইতে উত্তম। নারীরা যেন অন্য কোন নারীকে ঠাট্টা না
উত্তর : পিতা-মাতার মাথায় হাত রেখে কসম করা যাবে না। কেননা এর দ্বারা পিতা-মাতার নামে কসম করা বুঝায়। যা নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করল, সে ব্যক্তি শিরক করল’ (তিরমিযী হা/১২৪১; মিশকাত হা/৩৪১৯)। রাসূলু
উত্তর : ডান হাত বাম হাতের উপর রাখবে (বুখারী হা/৭৪০) এবং তা বুকের উপর রাখবে (ছহীহ ইবনে খুযায়মা হা/৪৭৯)। নাভির নীচে হাত বাঁধার হাদীছ সমূহ যঈফ। যার একটিও মুহাদ্দেছীনের নিকট দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় (মির‘আত ৩/৬৩; তুহফাতুল আহওয়াযী ১/৮৯)। অতএব নাভির নীচে
উত্তর : যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহই সর্বাধিক অবগত কে আল্লাহর রাস্তায় আহত হয়েছে’ (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৮০২)। ওমর ফারূক (রাঃ) একদা খুৎবায় বলেন, তোমরা বলে থাক যে, অমুক ব্যক্তি শহীদ, অমুক ব্যক্তি শহীদ। তোমরা এরূপ বলো না। বরং ঐরূপ ব
উত্তর : মুসলিম হৌক অমুসলিম হৌক প্রতিষ্ঠিত কোন সরকারের বিরুদ্ধে একক বা বিচ্ছিন্নভাবে সশস্ত্র জিহাদের প্রস্ত্ততি গ্রহণ করা ইসলামের নীতি নয়। বরং সশস্ত্র জিহাদের দায়-দায়িত্ব এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্ত্ততি গ্রহণের দায়িত্ব কেবল মুসলিম শাসক বা রা
উত্তর : এজন্য স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। ওয়ারিছগণ এটা আদায় না করলে তারা কঠিন গোনাহের ভাগিদার হবেন। এমনকি কিয়ামতের দিন এ পাপের বোঝা তাদের নিজস্ব নেকী দ্বারা পরিশোধ করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৭)। কেননা কাফন-দাফনের পর ওয়ারিছগণের সর্বপ্
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মাটির জন্য নবীগণের লাশ সমূহকে হারাম করেছেন’। অর্থাৎ মাটি তাদের দেহকে বিনষ্ট করতে পারে না (আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩৬১)। আমাদের নবী (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কোন নবীর কবরের সঠিক অবস্থান জানা
উত্তর : বাংলাদেশের কোন ব্যাংক ও বীমা কোম্পানী পরিপূর্ণরূপে সূদমুক্ত নয়। সুতরাং এসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা, বিনিয়োগ করা ও ঋণ গ্রহণ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৮-
উত্তর : কাদিয়ানীরা অমুসলিম। কিন্তু তারা নিজেদেরকে ‘মুসলিম জামাত’ বলে দাবী করে এবং মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে তাদের দলে ভিড়ায়। এভাবে শী‘আ ও কাদিয়ানীদের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পিছনে ব্যয় হয়। সুতরাং এদের প্রতিষ্
উত্তর : শরী‘আত নির্ধারিত কারণ (সফর ও অসুখ) ব্যতীত অন্য কোন কারণে ছিয়াম ত্যাগ করা যাবে না। কঠিন পরিশ্রমের কারণে ছিয়াম রাখা অসম্ভব হয়ে পড়লে উক্ত কাজ পরিত্যাগ করে অল্প পারিশ্রমিকে হ’লেও সহজ কাজ করতে হবে। কোনক্রমেই জীবিকা উপার্জনের জন্য ফরয ইবাদত
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। তবে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কোন (মুসলিম) ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন (নফল) ছিয়াম পালন করলে এবং এটিই তার জীবনের শেষ আমল হ’লে (অর্থাৎ এ আমলের পর মৃত্যুবরণ করলে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (আহমাদ হা/২
উত্তর : এক্ষেত্রে করণীয় হ’ল, (ক) সর্বদা মৃত্যুর চিন্তা হৃদয়ে জারি রাখা (খ) অহি-র বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করা (গ) মন্দকাজের শাস্তি সম্পর্কে পূর্ণরূপে জানা এবং সেগুলি সর্বদা স্মরণ করা (ঘ) কবর ও জাহান্নামের আযাব সম্পর্কে জানা এবং তা স্মরণ করা। (ঙ
উত্তর : উপরের তলায় ইমামের কাতার বরাবর মুছল্লীদের দাঁড়ানো জায়েয। কেননা প্রয়োজনবোধে ইমামের দু’পাশে দু’জন মুছল্লী সমান্তরালভাবে দাঁড়াতে পারেন (নাসাঈ হা/১০২৯)। অতএব উপর তলায় ইমামের মাথার উপরে সমান্তরালভাবে দাঁড়ানোয় কোন বাধা নেই।
উত্তর : কুরআন আল্লাহর কালাম। এর আয়াতসমূহের বিন্যাস ও সূরা সমূহের নামকরণ সবই আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, হযরত ওছমান (রাঃ) বলেছেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর কোন আয়াত নাযিল হ’ত, তখন তিনি অহী-লেখক কাউকে
উত্তর : জায়গার সংকীর্ণতার কারণে মসজিদ স্থানান্তর করার প্রয়োজন হ’লে ওয়াকফকারীর উত্তরসূরীরা অন্য কোন জমির সাথে ওয়াকফকৃত জমি এওয়ায-এর মাধ্যমে ফিরে পেলে সেখানে তারা যেকোন কাজ করতে পারে (দ্রঃ ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৬/৩৮ পৃঃ)। ওমর (রাঃ)-এর নির্দেশে কূ
উত্তর : পিতার নির্দেশে স্বীয় অসম্মতিতে বিবাহ করে থাকলেও পিতা-মাতার অনুগত হয়ে স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করা উচিত। তা না হ’লে স্ত্রীর সাথে অবিচার করার কারণে তাকে আল্লাহর নিকটে জবাবদিহী করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর
উত্তর : এসব কর্মক্ষেত্র মহিলাদের জন্য বৈধ নয়। মূলতঃ বাড়ীতে অবস্থান করাই মহিলাদের কর্তব্য (আহযাব ৩৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নারী হ’ল গোপন বস্ত্ত। যখন সে বের হয়, শয়তান তার পিছু নেয়’ (তিরমিযী হা/১১৭৩; মিশকাত হা/৩১০৯)। তবে প্রয়োজনে বের হ’লে পূর্ণ নির
উত্তর : ভিওআইপি ব্যবসা মূলত হারাম নয়। তবে সরকারী অনুমোদন ব্যতীত অবৈধভাবে এ ব্যবসা করলে অবশ্যই গোনাহগার হ’তে হবে। এক্ষণে গ্রাহক সাধ্যমত সরকার অনুমোদিত কোম্পানী থেকে কল করার চেষ্টা করবেন। জেনে-শুনে অবৈধ ব্যবসায় সাহায্য করলে গোনাহের ভাগিদার হ’তে
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। সুতরাং এমন অবস্থাতেও ইমামের অনুসরণ করতে হবে। মূলতঃ ইমামের অনুসরণ হবে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যাওয়ার জন্য। যেমন তাকবীর, রুকূ, ক্বিয়াম,
উত্তর : (ক) হাদীছের ব্যাপারে এরূপ বক্তব্য স্পষ্ট কুফরী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের। যদি তারা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহ’লে (তারা জেনে রাখুক যে,) আল্লাহ কখনোই কাফেরদের ভালবাসেন না’ (আলে ইমরান ৩/৩২)। তিনি বলেন, ‘তোমার প্রতি
উত্তর : এটা শরী‘আতসম্মত নয়। স্ত্রী তার স্বামীর বাড়ীতেই থাকবে এবং স্বামী স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণ করার ব্যাপারে দায়িত্বশীল। এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে স্বামীকে কিয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যা খাও
উত্তর : যার স্ত্রীর নিকট পরপুরুষ প্রবেশ করে, অথচ সে কিছুই মনে করে না বরং চুপ থাকে, সে ব্যক্তিকে দাইয়ূছ বলা হয়। ইমাম যাহাবী (রহঃ) বলেন, ‘দাইয়ূছ’ সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর ফাহেশা কাজ সম্পর্কে অবগত। কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসার কারণে উক্ত ব্যাপার
উত্তর : চোরাইপথে ব্যবসা-বাণিজ্য করা নিষিদ্ধ। কেননা শরী‘আতবিরোধী না হলে যে কোন রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুসরণ করা জনগণের উপর অবশ্য কর্তব্য (নিসা ৫৯)। অতএব রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা ভঙ্গ করে ব্যবসা-বানিজ্য করা জায়েয হবে না।
উত্তর : মক্কায় অবস্থানকারীগণ হজ্জের ইহরাম স্ব স্ব অবস্থান থেকে বাঁধবেন। কিন্তু ওমরাহর ইহরাম বাঁধার জন্য তাঁরা হারাম এলাকার বাইরে যাবেন ও সেখান থেকে ওমরাহর ইহরাম বেঁধে আসবেন। এজন্য সবচেয়ে নিকটবর্তী হ’ল ৬ কিঃমিঃ উত্তরে ‘তান‘ঈম’ এলাকা। বিদায় হজ্
উত্তর : যেকোন দিন কবর যিয়ারত করা জায়েয (মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৬৩)। কোন নির্দিষ্ট দিনে কবর যিয়ারতের কোন বিশেষ ফযীলত ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব ঈদের দিন বা অন্য কোন একটি বিশেষ দিনকে কবর যিয়ারতের জন্য নির্দিষ্ট করা বা এর বিশেষ নেকী রয়েছে বল
উত্তর : এটা এক প্রকার রোগ। এর চিকিৎসা করতে হবে। তবে এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। আল্লাহপাক মানুষের উপর সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু চাপিয়ে দেননি (বাক্বারাহ ২৮৬)। একদা এক ব্যক্তি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি মযী (বীর্য বের হওয়ার পূর
উত্তর : অত্র আয়াতে ‘ওয়াজহু’ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার ‘চেহারা’ বুঝানো হয়েছে (ইবনু কাছীর, আয়াতদ্বয়ের তাফসীর দ্রঃ)। উল্লেখ্য যে, অত্র আয়াতের তাফসীরে ইমাম বুখারী (রহঃ) দু’টি কওল উদ্ধৃত করেছেন। একটি হ’ল ملكه ‘তাঁর রাজত্ব’ যা মা‘মার থেকে বর্ণিত হয়েছে। এটা
উত্তর : ঈদের তাকবীরের জন্য একাধিক দো‘আ সালাফে ছালেহীন থেকে প্রচলিত রয়েছে। ইমাম মালেক ও আহমাদ (রহঃ) বলেন, তাকবীরের শব্দ ও সংখ্যার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। হযরত ওমর, আলী, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ, ইবনে আববাস (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবীগণ তাকবীর দিতেন ‘আল্লা-
উত্তর : সক্ষম হলে দু’টিই করা যাবে।
উত্তর : সাধারণভাবে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে এটা পাঠ করার বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/১৮৩, মিশকাত হা/১১৯৫, ১২০৯)। তবে ‘শেষ রাতে সূরা আলে ইমরানের শেষাংশ পাঠ করলে তাহাজ্জুদ ছালাতের নেকী অর্জিত হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (দারেমী, মিশকাত
উত্তর : নববী যুগে মহিলাদের জন্য পৃথক কোন মসজিদ ছিল না। তারা পুরুষের পিছনে পৃথক কাতারে ছালাত আদায় করতেন। সুতরাং মহিলাদের জন্য পুরুষদের সাথে একই মসজিদে পর্দার মধ্যে ছালাত আদায় করাই শরী‘আতসম্মত। তবে যেখানে কেবল মহিলারাই অবস্থান করেন যেমন মহিলা ম
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলে সালাম প্রদান করা জায়েয। এক্ষেত্রে মুছল্লীগণ ইশারার মাধ্যমে উক্ত সালামের জবাব দিবেন (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৯৯১, ইবনু মাজাহ হা/১০১৮; আলোচনা দ্রঃ মির‘আত ৩/৩৬০-৬১)। মুখে উত্তর প্রদান করলে ছালাত বিনষ্ট হয়ে যা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) স্বীয় জীবদ্দশায় ১ বার হজ্জ এবং ৪ বার ওমরাহ পালন করেন (তিরমিযী হা/৮১৫; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১৮; দ্রঃ ‘হজ্জ ও ওমরাহ’ বই ৪র্থ সংস্করণ পৃঃ ১০)।
উত্তর : বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/২৯৯৩; মিশকাত হা/২৪৫৩)।
উত্তর : খাৎনা ইসলামের নিদর্শনমূলক সুন্নাতসমুহের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২০)। অতএব অন্যান্য শারঈ বিধানের মতই এ বিধানটিকে শরী‘আত মোতাবেক পালন করা আবশ্যক। নচেৎ সুন্নাত আমলটিও গোনাহে পরিণত হয়ে যাবে। নবী করীম (ছাঃ
উত্তর : এটি ভিত্তিহীন ও মনগড়া দাবী মাত্র। আল্লাহ তা‘আলা উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য সমস্ত যমীনকে ছালাতের স্থান ও পবিত্র বানিয়েছেন (বুখারী হা/৪৩৮; মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৪৭)। অতএব ভূ-পৃষ্ঠের যেকোন পবিত্র মাটি দ্বারাই তায়াম্মুম করা জায়েয। লক্ষ্য রাখতে হবে সেখ
উত্তর : প্রত্যেক ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত রয়েছে (নিসা ৪/১০৩)। অতএব ওয়াক্তের মধ্যে হ’লে পড়তে পারবে। কারণ ফরয ছালাতের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আযান হওয়া শর্ত নয়। অতএব ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে সুন্নাত ছালাত পড়তে পারবে। আযান হৌক বা না
উত্তর : কুরবানী করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি ওয়াজিব নয় যে, যেকোন মূল্যে প্রত্যেককে কুরবানী করতেই হবে। লোকেরা যাতে এটাকে ওয়াজিব মনে না করে, সেজন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হযরত আবুবকর ছিদ্দীক্ব, ওমর ফারূক্ব, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর, আব্দুল্লাহ ইবন
উত্তর : প্রথম হাদীছের অর্থ ‘খালেছ অন্তরে কালেমা পাঠকারী’ এবং দ্বিতীয় হাদীছের অর্থ ‘মুখে পাঠকারী অন্তরে নয়’। কপটতার কারণে এরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুনাফিক ও কাফেরদের জাহান্নামে একত্রিত করবেন’ (নিসা ৪/১৪০)। অতএব
উত্তর : ছালাতের রুকন, ফরয, ওয়াজিবসমূহ সঠিকভাবে পালন করার পর সুন্নাতসমূহের ব্যাপারে ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে গেলে উক্ত ছালাত বাতিল হবে না বরং ত্রুটিপূর্ণ হবে। অর্থাৎ পূর্ণ নেকী অর্জিত হবে না। তবে ছহীহ হাদীছ জানার পরেও মাযহাবের দোহাই দিয়ে এবং বারবা
উত্তর : প্রথমতঃ রাগান্বিত অবস্থায় প্রদত্ত তালাকের ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়। (১) রাগান্বিত অবস্থায় বুঝশক্তি লোপ না পাওয়া, জ্ঞানহারা না হওয়া এবং নিজেকে কিছু বলা ও করা হতে বাধা প্রদান করতে সক্ষম থাকা। অর্থাৎ যদি সে সবকিছু জেনে-বুঝে বলে, এমতাব
উত্তর : মাযহাবী ইমাম যদি প্রকাশ্যে কোন শিরকী কাজে লিপ্ত না থাকে, তাহ’লে তার পিছনে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। কারণ ইমাম কোন ত্রুটি করলে তার গোনাহ তার উপরই বর্তাবে (বুখারী হা/৬৯৪, মিশকাত হা/১১৩৩)। জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্
উত্তর : বর্ণনাটি দায়লামী তার মুসনাদে ফেরদাঊসে উল্লেখ করেছেন। বর্ণনাটি মওযূ বা জাল (বিস্তারিত দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯, ১৫২৭)।
উত্তর : এরূপ করার কোন দলীল নেই। বরং নেকীর কাজ যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করতে হবে। কেননা বিপদাপদ ও প্রতিবন্ধকতা যে কোন সময় আপতিত হতে পারে। তাছাড়া মৃত্যু থেকে কেউ নিরাপদ নয় এবং বিলম্ব কখনোই প্রশংসিত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ফিৎনাসমূহ উপস্থিত হওয়ার পূ
উত্তর : যথাসম্ভব মুসলিম কারিগরদের নিকট থেকে মিষ্টি ক্রয় করাই উত্তম। তবে প্রয়োজনে অমুসলিমদের বানানো মিষ্টি খেতে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের রান্না করা খাবার খেয়েছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১)। শরী‘আতে কেবল অমুসলিমদের যবহকৃত পশুর গোশত খেত
উত্তর : বিয়ের পরে নফল ইবাদতের জন্য স্বামীর অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি কেবল তখন প্রযোজ্য, যখন স্বামী গৃহে অবস্থান করেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/২০৩১)। বিয়ের পূর্বে পিতা-মাতার নিকট হতে সম্মতি নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
উত্তর : পালকপুত্রকে রক্তসম্পর্কীয় পুত্র হিসাবে গণ্য করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (আহযাব ৩৭, ৪০, তাফসীর ইবনে কাছীর)। অতএব পালকপুত্রের নামে সমুদয় সম্পত্তি লিখে দেওয়া নিষিদ্ধ। বরং মৃত্যুর পরে শরী‘আতের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ওয়ারিছ শরী‘আত নির্ধারিত অংশের উত
উত্তর : কাফফারা সংক্রান্ত উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং এর জন্য অনুতপ্ত হয়ে উক্ত কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞা করে আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করাই যথেষ্ট হবে।
উত্তর : ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যারা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, জীবন এবং মৃত্যুদাতা বলে বিশ্বাস করে, কিন্তু ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্যকে শরীক করে, উক্ত আয়াতে তাদেরকে মুশরিক বলা হয়েছে (ইবনু কাছীর উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ; বুখারী, ‘তাওহীদ’ অধ্যা
উত্তর : কর্মচারীকে ছালাত আদায় করার নির্দেশ প্রদান করা মালিকের উপর একান্ত যরূরী। তবে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার পরও যদি সে ছালাত আদায় না করে তবে মালিক এর জন্য দায়ী হবে না’ (বনী ইসরাঈল ১৫)। এরূপ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়াই কর্তব্য। তবে মালিক কর্মচারীকে
উত্তর : উপরোক্ত দু’জন আনছার মহিলা পরস্পরে দু’বোন ছিলেন। তারা রাসূল (ছাঃ)-এর ‘মাহরাম’ ছিলেন (বুখারী হা/২৭৮৯; মুসলিম হা/২৩৩১)। ইমাম নববী বলেন, রাসূল (ছাঃ) যে তাদের উভয়ের মাহরাম ছিলেন, সে ব্যাপারে সকল বিদ্বান একমত। কিন্তু কি সম্পর্কের কারণে মাহরাম ছ
উত্তর : আরবরা কোথাও যাত্রার প্রাক্কালে বা কোন কাজের পূর্বে পাখি উড়িয়ে তার শুভাশুভ লক্ষণ নির্ণয় করত। পাখি ডান দিকে গেলে শুভ মনে করে সে কাজে নেমে পড়ত। আর বামে গেলে অশুভ মনে করে তা হ’তে বিরত থাকত। একেই ‘শুভলক্ষণ’ বা ‘কুলক্ষণ’ বলা হয়। এ সম্পর্কে
উত্তর : ৪র্থ হিজরীতে সংঘটিত যাতুর রিক্বা‘ যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে এক স্থানে রাতে বিশ্রামকালে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশে পাহারারত আনছার ছাহাবী ‘আববাদ বিন বিশ্র (রাঃ) গভীর মনোযোগে ছালাত আদায়কালে শত্রু কর্তৃক পরপর তিনটি তীর দ্বারা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্ব
উত্তর : কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের ক্ষেত্রে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, সেগুলিকে সহজে বুঝানোর স্বার্থে তাওহীদকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যার কোন একটির প্রতি অবিশ্বাস করলে ঈমানশূন্য হ’তে হবে। যেমন (১) তাওহীদে রুবূবিয়াত বা আ
উত্তর : বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এভাবে গযব কামনা করা দাওয়াতী কাজের শরী‘আত সম্মত পদ্ধতি নয়। বরং দাওয়াতী ময়দানে সর্বদা সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বন করা যরূরী। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি হিকমত (কুরআন ও সুন্নাহ) ও উত্তম নছীহতের সাথে আল্লাহর পথে দাওয়াত দাও
উত্তর : হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘এক রাত্রিতে আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বিছানায় না পেয়ে আমার হাত দিয়ে খুঁজতে থাকলাম। অতঃপর আমার হাত তাঁর দু’পায়ের উপর পতিত হয়। তখন তিনি সিজদারত ছিলেন এবং তাঁর পা দু’টি খাঁড়া ছিল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৩,
উত্তর : সেটি ছিল একটি সুন্দর শিংওয়ালা ও চোখওয়ালা সাদা দুম্বা। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, এজন্য আমরা কুরবানীর সময় অনুরূপ ছাগল-দুম্বা খুঁজে থাকি। তিনি বলেন, ঐ দুম্বাটি ছিল হাবীলের কুরবানী, যা জান্নাতে ছিল, যাকে আল্লাহ ইসমাঈলের ফিদ্ইয়া হিসাবে পাঠিয়ে
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায়কালে মুছল্লীদের পরস্পরে পায়ে পা মিলানো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। আনাস (রাঃ) বলেন, আমাদের মধ্য থেকে একজন একে অপরের কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলিয়ে দিতেন। আজকের দিনে তোমরা এরূপ করতে গেলে, তোমাদের কেউ কেউ অবশ্যই খরতাপে উদ
উত্তর : এর অর্থ হ’ল আল্লাহ স্বীয় জ্ঞান ও ক্ষমতায় বান্দার সাথে আছেন। কেননা বান্দার প্রত্যেকটি বিষয় আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞান ও ক্ষমতা দ্বারা পরিবেষ্টিত (তালাক্ব ৬৫/১২)। মূলতঃ এ মর্মে বর্ণিত আয়াতসমূহ দ্বারা কেউ কেউ ‘আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান’ প্রমাণ ক
উত্তর : ঈদুল আযহায় সূর্য এক ‘নেযা’ পরিমাণ ও ঈদুল ফিৎরে দুই ‘নেযা’ পরিমাণ উঠার পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদের ছালাত আদায় করতেন। এক ‘নেযা’ বা বর্শার দৈর্ঘ্য হ’ল তিন মিটার বা সাড়ে ছয় হাত (আওনুল মা‘বূদ শরহ সুনানে আবুদাঊদ ৩/৪৮৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা খেজুর ও যব ছাড়াও অন্যান্য হালাল খাদ্যদ্রব্য অথবা মানুষের প্রধান খাদ্য দ্বারা ফিৎরা আদায়ের কথা হাদীছে স্পষ্টভাবে এসেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, أَدُّوْا صَاعًا مِنْ طَعَامٍ فِي الْفِطْرِ ‘তোমরা ছাদাক্
উত্তর : আল্লাহ বলেন, আমার রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত হও’ (হাশর ৫৯/৭)। আর তিনি কোন কথাই বলেন না আল্লাহর ‘অহী’ ব্যতীত (নাজম ৫৩/৩-৪)। অতএব তাঁর আনীত ইসলামের ছোট-বড় সকল বিধানই মর্যাদার দিক
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর অসীলায় প্রার্থনা করা বা কোন বিপদে তার নিকটে সাহায্য কামনা করা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) তুমি বলে দাও যে, আমি তোমাদের কোনরূপ ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতা রাখি না’ (জিন ৭২/২১)। রাসূল (ছাঃ) নিজ কন্যা ফাত
উত্তর : বিদ‘আতীর বিদ‘আত যদি শিরক বা কুফরীর পর্যায়ভুক্ত হয়, তাহ’লে তাকে সালাম প্রদান করা যাবে না। যেমন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট কিছু প্রার্থনা করা বা তাকে অসীলা ধরা, অথবা আওলিয়াগণ মরেন না, তারা অপরকে সাহায্য করতে পারেন এরূপ আক্বীদা পোষণ করা। শির
উত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে সকল মানুষের অধিকার সমান। প্রত্যেকেই এক আদমের সন্তান। কারু উপর কারু কোন প্রাধান্য নেই তাক্বওয়া ব্যতীত (আহমাদ হা/২৩৫৩৬; ছহীহাহ হা/২৭০০)। যিনি যতবেশী আল্লাহভীরু, তিনি ততবেশী সম্মানিত (হুজুরাত ৪৯/১৩)। আল্লাহ মানুষে মানুষে কর্মবিভ
উত্তর : আলেমগণের মাঝে মতভেদের কারণগুলো হচ্ছে : (১) কুরআন এবং ছহীহ হাদীছ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও ফৎওয়া প্রদান করা। (২) নিজ নিজ মাযহাবের অন্ধ অনুসরণ করা। (৩) ছহীহ দলীল পাওয়া সত্ত্বেও রেওয়াজ বা বাপ-দাদার দোহাই দিয়ে অথবা যিদ ও হঠকারি
উত্তর : কুরআন ও হাদীছে জিন, মানুষ আর ফেরেশতা ছাড়া অন্য কোন উন্নত বুদ্ধি সম্পন্ন সৃষ্টি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় না। যদি থেকেও থাকে তাহ’লে তা গায়েবী বিষয়। সে সম্পর্কে আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।
উত্তর : লওহে মাহফূয হচ্ছে এক কিতাব। যার মধ্যে সকল সৃষ্টির তাক্বদীর সহ অতীত এবং ভবিষ্যতের যাবতীয় বিষয় লিখিত আছে (তিরমিযী হা/২১৫৫; মিশকাত হা/৯৪)। কুরআনও তার মধ্যে লিখিত রয়েছে (বুরূজ ২২)।
উত্তর : ঐ ব্যক্তির ছালাত মুনাফিকের ছালাত হিসাবে গণ্য হবে (নিসা ৪/১৪২)। ছালাতের ফারয়িযাতকে প্রকাশ্যে অস্বীকার না করা পর্যন্ত সে প্রকৃত কাফের নয়। অতএব তার সঙ্গে বসবাস করা যাবে। তবে তার উপর কঠোরতা আরোপ করতে হবে (তওবা ৯/৭৩)। তাকে সাধ্যমত হেদায়াতের চে
উত্তর : কোন বাধা নেই। তবে এর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। (১) নিজের ঈমান-আক্বীদা সংরক্ষণ করা সম্ভব হ’লে। (২) নিজেকে সকল প্রকার পাপের কর্ম থেকে হেফাযত করতে সক্ষম হ’লে। যদি এ দু’টি শর্ত পূরণ করা সম্ভব হবে না বলে নিশ্চিত ধারণা হয়, তবে সেখানে যাওয়া থেকে
উত্তর : এধরনের এনজিওতে চাকুরী করা শরী‘আতসম্মত হবে না। কেননা এরা সমাজে কিছু কিছু ভাল কাজের আড়ালে ক্ষুদ্র ঋণের নামে সূদী কার্যক্রমে মানুষকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে। এছাড়াও তারা ধর্মান্তরকরণ, নারীর পর্দাহীনতা, একসন্তান নীতি প্রভৃতি ইসলাম বিরোধী ক
উত্তর : সম্পদের অধিকারী ব্যক্তি উত্তরাধিকারীদের অনুমতি নিয়ে স্বেচ্ছায় যাকে খুশী দান করতে পারেন। তাবূকের যুদ্ধের সময় রাসূল (ছাঃ) ছাহাবায়ে কেরামকে দান করা জন্য উদ্বুদ্ধ করলে আবুবকর (রাঃ) পরিবার-পরিজন থাকা সত্ত্বেও তাঁর সম্পূর্ণ সম্পদ দান করে দে
উত্তর : আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমরা কুরবানীর বিধান দিয়েছি (হজ্জ ২২/৩৪)। সুতরাং ইবরাহীম (আঃ)-এর উপরেও উক্ত বিধান জারী ছিল তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে তার পদ্ধতি ও বিধান সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি।
উত্তর : সাধারণভাবে প্রাণীর ছবি তোলা নিষিদ্ধ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪৯৮, ‘ছবিসমূহ’ অনুচ্ছেদ)। ছবি সম্পর্কিত হাদীছসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সম্মানের উদ্দেশ্যে অর্ধদেহী বা পূর্ণদেহী সকল প্রকার প্রাণীর ছবি টাঙানো বা স্থাপন করা নিষিদ
উত্তর : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ একটি খাঁটি ও পূর্ণাঙ্গ ইসলামী আন্দোলনের নাম। যে আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ ইসলামী শরী‘আত বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়। দুনিয়াবাসীর প্রতি এ আন্দোলনের এক
উত্তর : পদ্ধতিগত সামান্য পার্থক্য থাকলেও প্রত্যেকেই উম্মতের শ্রেষ্ঠ মানুষদের মাধ্যমেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার সার-সংক্ষেপ নিম্নে বর্ণিত হ’ল।-১ম খলীফা হযরত আবুবকর (রাঃ) : রাসূলে করীম (ছাঃ) স্বীয় অনুপস্থিতিতে আবুবকর (রাঃ)-কে দায়িত্ব প্রদানের মা
উত্তর : ইসলামী শরী‘আত অনুযায়ী আমীর বা ইমাম যতদিন স্বীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবেন, ততদিন পালন করে যাবেন। তবে রাষ্ট্রের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মজলিসে শূরা যখন তাকে এ দায়িত্বের জন্য অক্ষম মনে করবে, তখন তাকে অব্যাহতি দিবে। রাসূল
উত্তর : উক্ত দেনমোহর স্ত্রীর সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হবে। অতএব সন্তান থাকলে চার ভাগের একভাগ স্বামী ওয়ারিছ হিসাবে গ্রহণ করবে। বাকী সম্পদ ছেলে-মেয়ে সহ অন্যান্য ওয়ারিছদের মাঝে বণ্টন করে দিবে। আর যদি সন্তান না থাকে তাহ’লে স্বামী অর্ধেক নিবে। বাকী সম
উত্তর : কেবল টিভি-ইন্টারনেটই নয় বরং বর্তমান সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি মানুষকে সর্বদা পাপের দিকে প্ররোচিত করছে। মূলতঃ এগুলো সবই কিয়ামতের আলামত মাত্র (মুসনাদে বাযযার, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৩৮)। তবুও এগুলির মধ্যেই সৎভাবে জীবনযাপন করতে হবে এবং সাধ্যমত
উত্তর : ই‘তিকাফ স্থলে সূর্যাস্তের পূর্বে প্রবেশ করবে এবং ঈদের আগের দিন বাদ মাগরিব বের হবে। রাসূল (ছাঃ) রামাযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন (বুখারী হা/২০২৫, মুসলিম; মিশকাত হা/২০৯৭)। আর শেষ দশক বলতে শেষ দশ রাত্রিকে বুঝানো হয় (সূরা ফজর ২)। আর ২০ তারিখ সুর
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখনই কোন ছালাত আরম্ভ করতেন, তখনই তাকবীরে তাহরীমের পর দো‘আয়ে ইস্তেফতাহ পড়তেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৮১৩, ‘তাকবীরে তাহরীমার পরে পঠনীয়’ অনুচ্ছেদ)। ঈদের ছালাতেও অনুরূপভাবে প্রথম তাকবীরের পর ছানা পাঠ করতে হবে (ইবনু কুদামা, মুগনী মাসআ
উত্তর : শরী‘আতে এরূপ নির্দেশনা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) যখন কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তেন, তখন তিনি নফল ছালাতে দন্ডায়মান হ’তেন (আবুদাঊদ হা/১৩১৯, মিশকাত হা/১৩২৫, সনদ হাসান)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) যখন কোন দুঃখ বা সংকটের সম্মুখীন হ’তেন, তখন এই দো‘আটি পড়তেন 
উত্তর : হাদীছটি ছহীহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন ভালভাবে গোসল করে। অতঃপর সকাল সকাল মসজিদে যায় পায়ে হেঁটে, গাড়ীতে নয় এবং আগে ভাগে নফল ছালাত শেষে ইমামের কাছাকাছি বসে ও মনোযোগ দিয়ে খুৎবার শুরু থেকে শুনে এবং অনর্থক কিছু করে না, তার
উত্তর : শী‘আদের ইছনা ‘আশারিয়া ফেরকা থেকে বের হওয়া এই গোষ্ঠীটির আক্বীদা কুফরীর পর্যায়ভুক্ত। তাদের প্রধান আক্বীদাগুলি হ’ল : (১) এরা বিশ্বাস করে যে, আলী (রাঃ) তাদের প্রভু। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তাকে কেউ জন্ম দেয়নি। তিনি মারা যাননি, তিনি পানাহার
উত্তর : হাদীছটি যঈফ (আলবানী, যিলালুল জান্নাহ হা/৫৭৯, শু‘আইব আরনাঊত্ব, আহমাদ হা/২৩১৪)।
উত্তর : তাকে অন্ততঃ আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বা আল্লাহুম্মাগফিরলী বলতে হবে। আব্দুল্লাহ বিন আওফা (রাঃ) বলেন, একজন ব্যক্তি এসে রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি কুরআন জানি না। অতএব আমাকে এর স্থলে কিছু শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, তু
উত্তর: কথাটি ভিত্তিহীন। সঠিক বক্তব্য হ’ল, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি যদি কাউকে কারু জন্য সিজদা করার হুকুম দিতাম’ তাহ’লে স্ত্রীকে বলতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য’ (আবুদাউদ হা/২১৪২, তিরমিযী হা/১১৫৯; মিশকাত হা/৩২৫৫)।
উত্তর : বাসর রাতের পরের দিন ওয়ালীমা করাই সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ)-এর সাথে বাসর রাত অতিবাহিত করার পর ওয়ালীমা করেছিলেন (বুখারী হা/৫১৭০)। তবে তিনদিন পর্যন্তও বিলম্বিত করা যায়। রাসূল (ছাঃ) ছাফিয়াহ (রাঃ)-কে বিবাহের পর তিনদিন যাবৎ ওয়ালীমা
উত্তর : কোন মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১৩)। তবে নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হ’লে অভিভাবক নিজ দায়িত্বে যে কোন ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারেন (বুখারী হা/৩৫৯৫; মিশকাত হা/৫৮৫৭, ‘নবুঅতের আলামত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : মসজিদে কোন স্থানকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরী‘আতসম্মত নয়। আব্দুর রহমান বিন শিবল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিনটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। সিজদায় কাকের ন্যায় ঠোকর মারতে, হিংস্র প্রাণীর ন্যায় হাত বিছিয়ে দিতে এবং মসজিদের কোন স্থানকে নিজের
উত্তর : শুধু বৃষ্টি, বন্যা বা নালার পানিতে ফসল উৎপন্ন হ’লে ১০ ভাগের এক ভাগ ওশর দিতে হবে এবং শুধু সেচের পানিতে উৎপাদন হ’লে ২০ ভাগের এক ভাগ ওশর দিতে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৯৭)। ওশর ও নিছফে ওশর সম্পর্কিত হাদীছের মর্ম অনুযায়ী ইমাম শাওকানী (রহঃ) ব
উত্তর : টিভি, প্রজেক্টর উভয়টিই আধুনিক প্রচার মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যা ভাল-মন্দ উভয় কাজেই ব্যবহার করা সম্ভব। সুতরাং মসজিদ সহ যে কোন স্থানে ইসলামী অনুষ্ঠান প্রচারে এগুলি ব্যবহার করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই।
উত্তর : এরূপ পশু কুরবানী করা জায়েয। তবে যেহেতু রাসূল (ছাঃ) শিংওয়ালা পশু কুরবানী দিয়েছেন (বুখারী হা/১৭১২; মিশকাত হা/১৪৫৩) সেহেতু শিংওয়ালা পশু কুরবানী করাই উত্তম।
উত্তর : মুমিনের পরিচয় হ’ল মেনে নেওয়া (হাশর ৫৯/৭)। কারণ অনুসন্ধান করা নয়। বিশ্বাস রাখতে হবে যে, শরী‘আতের প্রতিটি বিধানই মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অনেক কিছু প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন মৃত মাছ ভক্ষণ জায়েয হওয়ার পিছনে কারণ হ’
উত্তর : এরূপ করা শরী‘আতসম্মত নয়। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) হজ্জব্রত পালনকালে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিকে তার ইহরামের পোষাকেই দাফন করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ তিনি এ পোষাকেই ক্বিয়ামতের দিন তালবিয়াহ পাঠ করতে করতে উঠবেন’ (বুখারী হা/১৮৫১, মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৩৭
উত্তর : হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল। এটি বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমান, মুসনাদে হারেছ ও ইবনু ‘আদী সহ কয়েকটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। হাদীছটি হযরত জাবের ও আয়েশা (রাঃ) হ’তে মরফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম সূত্রে ইসহাক বিন বিশ্র আল-কাহেলী নামে একজন রাবী আছেন, য
উত্তর : উক্ত গ্রন্থদ্বয়ের লেখক হ’লেন, হাফেয জালালুদ্দীন আব্দুর রহমান বিন আবুবকর সৈয়ূতী (রহঃ) (৮৪৯-৯১১ হিঃ)। তিনি তাফসীর, ফিক্বহ, হাদীছ, উছূল, ইতিহাস, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে প্রায় ছয়শ’ গ্রন্থ রচনা করেছেন। অধিক গ্রন্থ রচনার জন্য তাঁকে ‘ইবনুল কুত
উত্তর : পারবেন, যদি তিনি উভয়ক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন ও ক্বিরাআতে পারদর্শী হন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/১১১৭-১৮)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর’ (বাক্বারাহ ২/৪৩)।
উত্তর : জুম‘আর ছালাতকে এজন্য খাছ করার ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর কোন আমল পাওয়া যায় না। উপরন্তু কোন কোন তাবেঈ এরূপ নির্দিষ্টকরণকে বিদ‘আত বলেছেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৪৫৫-৫৭)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বিপদাপদের ক্ষেত্রে সাময়িক
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘ছালাতের যে অংশটুকু তোমরা পাও সেটুকু আদায় কর এবং যেটুকু বাদ পড়ে, সেটুকু পূর্ণ কর’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮৬)। অর্থাৎ সালাম ফিরানো পর্যন্ত ইমামের অনুসরণ করবে। অতঃপর বাকী অংশ আদায় করার জন্য দাঁড়িয়ে যাব
উত্তর : যেহেতু কুরআনে বর্ণিত ছাদাক্বার খাত ৮টি এবং রাসূল (ছাঃ) কুরবানীর চামড়া ছাদাক্বা করার নির্দেশ দিয়েছেন, সেহেতু এর বাইরে তা দান করা বৈধ হবে না (তওবা ৬০, বুখারী, মুসলিম হা/১৩১৭; মিশকাত হা/২৬৩৮)। এছাড়া দান না করে তার মূল্য ভক্ষণ করাও নিষিদ্ধ।
উত্তর : ঈদের ছালাতের পূর্বে গযল গাওয়া বা বক্তব্য দেয়া যাবে না। কারণ এটা শরী‘আতে নতুন কাজ, যা পরিত্যাজ্য (মুসলিম হা/২০৮৬; মিশকাত হা/১৪০)। ঈদের মাঠে এসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বপ্রথম ছালাত আদায় করতেন। তারপর ছাহাবীগণের মুখোমুখী হয়ে খুৎবা দিতেন (বুখারী, মু
উত্তর : শরী‘আতে এধরনের কোন বিধান নেই। এমন মনে করাটা কুসংস্কার।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৮০০; মিশকাত হা/৩১১৫; সিলসিলা যঈফাহ হা/৬০০৬)। তবে পেশাব-পায়খানার বিষয়টি যরূরী। স্ত্রী মিলনের বিষয়টিও অনুরূপ। যা অন্য ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমার গোনাহ ঢেকে রাখ। তবে তোমার
উত্তর : আগে খুৎবা হবে, পরে ঈজাব কবুল। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে ছালাতের তাশাহহুদ যেভাবে শিখাতেন, হাজতের তাশাহহুদ সেভাবে শিখাতেন। তারপর তিনটি আয়াত পড়তেন। অতঃপর প্রয়োজনীয় বিষয়ে কথা বলতেন (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩
উত্তর : নফল ছালাতে কুরআন দেখে পড়া যায়। আয়েশা (রাঃ)-এর গোলাম যাকওয়ান রামাযান মাসে কুরআন দেখে আয়েশা (রাঃ)-এর ইমামতি করেছেন (বুখারী, ‘আযান’ অধ্যায়, ৫৪ অনুচ্ছেদ; বায়হাক্বী হা/৩১৮৩; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৯৯)। তবে ছালাতে কুরআন মুখস্থ পড়াই উত্তম। কেননা এতে ছা
উত্তর : প্রথমতঃ মসজিদে কবর দেয়া হয়নি। বরং তাঁকে মসজিদে নববীর পাশে অবস্থিত তাঁর বাসঘরে দাফন করা হয়েছে (তিরমিযী হা/১০১৮)। কেননা নবীগণ যেখানে মৃত্যুবরণ করেন সেখানেই কবরস্থ হন (ইবনু মাজাহ হা/১৬২৮, ছহীহুল জামে‘ হা/৫৬৭০)। ৯৪ হিজরীতে মসজিদ সম্প্রসারণের সম
উত্তর : সকল আমলই পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুমোদনের মুখাপেক্ষী। যা সুনির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট। তাই রাসূল (ছাঃ) যতটুকু আমল করেছেন, করতে বলেছেন বা সমর্থন করেছেন, তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। একদা তিন ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর ইবাদতকে কম মনে করে
উত্তর : (১) এশা ও ফজর ছালাতের মাঝে দীর্ঘ কিরাআত, দীর্ঘ রুকূ ও সিজদার মাধ্যমে বিতরসহ ১১ রাক‘আত ছালাত আদায় করা (বুখারী হা/১১৪৭; মুসলিম হা/৭৩৮)। (২) একই সূরা, তাসবীহ, দো‘আ বারবার পড়ে ছালাত দীর্ঘ করা (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১২০৫, সনদ হাসান; আবুদাঊদ হা/৮১৬
উত্তর : ‘হুযূরে ক্বলব’ ভাষাটি ছূফী নামধারী মা‘রেফাতীদের তৈরী। এর অর্থ ‘পীরের ধ্যান’ বলে যে দাবী করা হয়েছে তা মূলতঃ শয়তানী কুমন্ত্রণা। কারণ ‘হুযুরে ক্বলব’-এর অর্থ হ’ল- অন্তরের উপস্থিতি। উল্লেখ্য, ছালাতে খুশূ-খুযূ বা একাগ্রতা আবশ্যক (মুমিনূন ১-
উত্তর : যাবে। সামুদ্রিক প্রাণী যা পানিতে থাকে, তা কাঁকড়া হোক বা অন্য প্রাণী হোক তা হালাল (আল-মুকনে‘ ২৭/২৮২ মাসআলা নং ৪৬২৬)। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী হালাল’ (আবুদাঊদ, বুলূগুল মারাম,
উত্তর : ফরয ছালাতে এরূপ করার হাদীছ রয়েছে। যেমন মু‘আয (রাঃ) করতেন (বুখারী হা/৭০১)। নফল ছালাতের ক্ষেত্রে এরূপ কোন দলীল পাওয়া যায় না। ইমাম অন্যত্র পুনরায় তারাবীহ পড়ালে তার রাক‘আতের সংখ্যাসীমা থাকবে না। অতএব তারাবীহর ইমামতি পৃথক ব্যক্তি করবেন, যদিও
উত্তর : উক্ত বর্ণনার প্রথমাংশ বায়হাক্বীর শু‘আবুল ঈমানে আর দ্বিতীয়াংশ দায়লামীর মুসনাদুল ফেরদাউসে বর্ণিত হয়েছে। উভয় বর্ণনাই যঈফ (যঈফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হা/৮৯১; মিশকাত হা/২১৮৪; যঈফুল জামে‘ হা/৪০৩৮)।
উত্তর : একাকী পৃথকভাবে তাকবীর দেওয়া যাবে না। কেননা হাদীছে বর্ণিত ইমামের অনুসরণ দ্বারা তার ছালাতের তাকবীরসমূহ অনুসরণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। একদা রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থায় ময়লা থাকার কারণে জুতা খুলে ফেললে ছাহাবায়ে কেরামও জুতা খুলে ফেলেন। প
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাটি জাল (ছাগানী, কিতাবুল মাওযূ‘আত হা/৭০; আবুল ফযল মাকদেসী, তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত হা/৭০)।
উত্তর : নতুন করে বিবাহ পড়ানোর প্রয়োজন হবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর মেয়ে যয়নাব (রাঃ) ইসলাম কবুল করে মদীনায় হিজরতের তিন বছর পর তার স্বামী ‘আছ বিন ওয়ায়েল মুসলমান হয়ে মদীনায় আসেন। রাসূল (ছাঃ) উভয়ের পূর্ব বিবাহ বহাল রাখেন। নতুনভাবে তাদের বিবাহ পড়াননি (আ
উত্তর : নিখোঁজ স্বামীর জন্য স্ত্রী চার বৎসর অপেক্ষা করার পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারে (বায়হাক্বী হা/১৫৩৪৫; মুহাল্লা ৯/৩১৬ পৃঃ)। এক্ষণে যদি সময়ের পূর্বেই বিবাহ করে থাকে, তবে উক্ত স্ত্রী পূর্বের স্বামীর নিকটে ফিরে যাবে। আর যদি নির্ধারিত সময় অতি
উত্তর : করতে হবে। কারণ ইদ্দত তালাকের সাথে সম্পর্কিত, মিলনের সাথে নয়। অতএব উক্ত স্ত্রীর ইদ্দতকাল তালাক প্রদানের পর থেকে ধর্তব্য হবে (বাক্বারাহ ২/২২৮)। তবে বিবাহের পর মিলনের পূর্বে তালাক প্রদান করলে সেক্ষেত্রে এক তালাক বায়েন হিসাবে গণ্য হবে। এক্ষেত
উত্তর : আল্লাহর হস্তদ্বয় মানুষের হাতের মত নয়। বরং তাঁর উভয় হাতই ডান, যা বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। মুসলিমের একটিমাত্র বর্ণনায় (মুসলিম হা/২৭৮৮) তাঁর বাম হাতের কথা এসেছে, যা অন্য বর্ণনায় ‘বাম হাতে’র বদলে ‘অন্য হাত’ বলা হয়েছে (আবুদাঊদ হা/৪৭৩২)। এটি
উত্তর : (১) আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন (মুসলিম হা/২৫৮৮; মিশকাত হা/১৮৮৯; ছহীহ তারগীব হা/৮১৪)। (২) রাগ প্রয়োগ না করে ধৈর্যধারণ করলে ক্বিয়ামতের দিন তাকে পসন্দমত হূর গ্রহণের স্বাধীনতা প্রদান করা হবে (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা
উত্তর : যেকোন ধরনের পানাহার বসে করাই সুন্নাত (মুসলিম হা/২০২৪, মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)। তবে কোন কারণ বশতঃ কখনো দাঁড়িয়েও পানাহার করা যায় (ইবনু মাজাহ হা/৩৩০১, মিশকাত হা/৪২৭৫)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) মসজিদে নববীর বাইরে ৫০০ গজ পূর্বে ‘বাত্বহান’ সমতলভূমিতে খোলা ময়দানে ঈদের ছালাত আদায় করতেন (ইবনু মাজাহ হা/১৩০৪; যাদুল মা‘আদ ১/৪২৫ পৃঃ; মির‘আত ৫/২২ পৃঃ)। মসজিদে ঈদের ছালাত আদায়ের প্রমাণে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। বৃষ্টির কারণে একবার রা
উত্তর : মসজিদে প্রবেশ থেকে বের হওয়া পর্যন্ত যে সকল আদব রক্ষা করা যরূরী তা হ’ল, (১) রাক‘আত ছুটে যাওয়ার অশংকা থাকলেও ধীরে-সুস্থে মসজিদে গমন করা (বুখারী হা/৯০৮; মুসলিম হা/৬০২; মিশকাত হা/৬৮৬)। (২) মসজিদে যাওয়ার সময় স্বাভাবিকভাবে যাওয়া এবং উভয় হাতের আ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) সিজদার আয়াত পাঠ করার সাথে সাথেই সিজদায় যেতেন (বুখারী হা/১০৭৭)। অতএব সিজদায়ে তেলাওয়াত আদায় করে দাঁড়ানোর পর কিছু তেলাওয়াত করে রুকূতে যেতে হবে। যেমন সূরা ‘আলাক্ব শেষে সিজদা করার পর উঠে সূরা ক্বদর পাঠ করে রুকূতে যাওয়া। যাতে তেলা
উত্তর : হারামের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে বা দোকানে বা অনুরূপ স্থানে সকলে একত্রিত হয় না এবং কাতারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও সম্ভব হয় না। ফলে এভাবে ছালাত শুদ্ধ হবে না (দ্রঃ ফাতাওয়া ওছায়মীন, ফৎওয়া নং ৪১১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ১৭৫৯)।
উত্তর : যেকোন কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ করা শরী‘আত বিরোধী কাজ (মুসলিম হা/২২৮৭ ও ২২৮৯)। গম্বুজটি ১২৭৯ খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম নির্মাণ করেন মামলূক সুলতান কালাউন। অতঃপর ১৪৮১ খ্রীষ্টাব্দে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর সুলতান আশরাফ কায়েতবায়ী পুনরায়
উত্তর : ইমাম আবু হানীফা (৮০-১৫০হিঃ) কোন গ্রন্থ রচনা করে যাননি। যদি ‘ফিক্বহে আকবর’ ও ‘মুসনাদে আবু হানীফা’-কে তাঁর কিতাব হিসাবে গণ্য করা হয়, তাহ’লে বলা হবে যে, প্রথমোক্ত ছোট পুস্তকটি ছিল আক্বায়েদের উপর লিখিত এবং শেষোক্তটি ছিল হাদীছের সংক্ষিপ্ত
উত্তর : জামা‘আতবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করার সময় দুই পিলারের মাঝে কাতার করা যাবে না। এতে কাতারে বিছিন্নতা আসে। মু‘আবিয়া বিন কুর্রা তার পিতা হ’তে বর্ণনা করেন, রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে আমাদেরকে দুই পিলারের মাঝে কাতার করতে নিষেধ করা হ’ত এবং পিলার থেকে দূর
উত্তর : খরগোশের গোশত খাওয়া জায়েয। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘মাররূয যাহরান’ নামক স্থানে আমরা একটি খরগোশ ধাওয়া করলাম। সাথের লোকজন অনেক চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। অবশেষে আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং আবু ত্বালহার নিকট নিয়ে গেলাম। তিনি সেটিকে যবহ করলেন ও তা
উত্তর : সূরা হজ্জের ৩৪ ও ৩৬ নং আয়াতে البدن ও الأنعام শব্দদ্বয় উল্লিখিত হয়েছে, যা উট, গরু বা গরু জাতীয় পশুকে বুঝায়। আর মহিষ ও গরু যে একই জাতীয় পশু এ ব্যাপারে সকল বিদ্বান একমত। হাসান বাছরী বলেন, ‘মহিষ গরুর স্থলাভিষিক্ত’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ছালাত ক্বছর করা যাবে (ফাতাওয়া ওছায়মীন ১৫/২৪৬)। আল্লাহ বলেন, ‘সফর অবস্থায় ছালাতে ‘ক্বছর’ করলে তোমাদের জন্য কোন গোনাহ নেই’ (নিসা ৪/১০১)। আর কুরআন ও ছহীহ হাদীছে কোথাও সফরের দূরত্ব নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ইবনু তায়মিয়াহ
উত্তর : গোনাহ হ’তে মুক্তি লাভের আশায় কৃত পাপগুলো স্মরণ করে আল্লাহর নিকট একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করবে (তাহরীম ৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বান্দা কোন পাপ করে ফেললে যদি সুন্দরভাবে ওযূ করে দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করে আল্লাহর নিকট বিনীতভাবে ক্ষমা প্
উত্তর : মুসলিম হৌক আর অমুসলিম হৌক, অসুস্থ ব্যক্তির সুস্থতার জন্য যমযম পানি খাওয়ানো সহ যে কোন চিকিৎসা করাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। ইসলাম ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহের শিক্ষা প্রদান করে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, প্রত্যে
উত্তর : সাদা দাড়ি বা চুল রং করা সুন্নাত। তবে কালো রং করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই ইহূদী, নাছারারা (চুল-দাড়ি) রং করে না। সুতরাং তোমরা তাদের বিপরীত কর’ (বুখারী হা/৫৮৯৯; মুসলিম হা/২১০৩; মিশকাত হা/৪৪২৩)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘তোমরা সাদা
উত্তর : উক্ত অবস্থায় যরূরী প্রয়োজনে মুছল্লীর সিজদার স্থানের বাহির দিয়ে অতিক্রম করা যাবে (বুখারী হা/৫০৯, মুসলিম হা/৫০৫)। উক্ত হাদীছে بين يدي المصلي দ্বারা মুছল্লীর সিজদার স্থান পর্যন্ত বুঝানো হয়েছে (ইবনু হাজার, ফৎহুলবারী ঐ হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রঃ; ফাতাও
উত্তর : সালামের পরে মুছাফাহা করা সম্পর্কে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু দো‘আ পড়া সম্পর্কে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, দু’জন মুসলিম ব্যক্তি সাক্ষাতে মুছাফাহা করলে তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বেই তা
উত্তর : সম্পদ পিতার হৌক আর মাতার হৌক, তা পুত্র সন্তান কন্যা সন্তানের দ্বিগুণ পাবে (নিসা ১১)।
উত্তর : বক্তব্যটি অমূলক ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়েদের গর্ভ হ’তে বের করেছেন, এমন অবস্থায় যে, তোমরা কিছুই জানতে না’ (নাহল ৭৮)। উল্লেখ্য যে, আব্দুল ক্বাদের জিলানী (রহঃ)-এর নামে এ ধরনের অসংখ্য মিথ্যা ক
উত্তর : গ্রন্থ দু’টি বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯ইং) কর্তৃক সংকলিত ছহীহ ও যঈফ হাদীছের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন। সিলসিলা ছহীহার মধ্যে ৪০৩৫টি হাদীছ স্থান পেয়েছে। যা তিনি বিভিন্ন হাদীছগ্রন্থ হ’তে সংকলন করে সনদ
উত্তর : ১৮৮০ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলীতে ব্রেলভী মতবাদের জন্ম হয়। হানাফী মাযহাবের অনুসারী এবং ছূফীবাদে বিশ্বাসী আহমাদ রেযা খান (১৮৫৬-১৯২১ খৃঃ) এই মতবাদের উদ্ভাবক। ব্রিটিশ আমলে ‘আশেকে রাসূল’ নামে এই মতবাদটি সমধিক পরিচিত ছিল। এদের বর
উত্তর : বিপজ্জনক কিছু মনে করলে ফরয ছালাত ত্যাগ করে হলেও সাড়া দিতে হবে। কেননা চোর ধরার জন্য ফরয ছালাত ছেড়ে দেয়ার অনুমতি রয়েছে (বুখারী হা/১২১১, ২১ অধ্যায়, ১১ অনুচ্ছেদ)। ছালাত যদি নফল হয়, তবে তা ছেড়ে দিয়ে পিতামাতার ডাকে সাড়া দিতে হবে (বুখারী হা/১২০৬, মু
উত্তর : এ ব্যাপারে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত পাঠ করলে বা মুখস্থ করলে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকা যায় (মুসলিম, ইবনু হিববান হা/৭৮৬; মিশকাত হা/২১২৬)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফ পাঠ করবে, ত
উত্তর : ‘জিহাদ’ অর্থ, সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো’। পারিভাষিক অর্থে, আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। এর দ্বারা নিজেকে এবং অপরকে প্রবৃত্তির চাহিদা থেকে দূরে রাখা এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত রাখা
উত্তর : বাড়িতে জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে জামা‘আতের নেকী পাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, একাকী ছালাত আদায়কারীর চেয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায়কারী ২৭ গুণ বেশী নেকী পাবে’ (বুখারী, মুসরিম, মিশকাত হা/১০৫২)। তবে মসজিদে আদায়ের নেকী পাওয়া যাবে না। মসজিদে ছালা
উত্তর : এটি প্রতারণা, যা নিঃসন্দেহে হারাম ও কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয় (মুসলিম হা/১০১, মিশকাত হা/৩৫২০)।
উত্তর : এর ব্যাখ্যা হ’ল, কবীরা গোনাহগার মুমিন কাফির-মুশরিকদের ন্যায় চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না। বরং খালেছ তওবার কারণে আল্লাহ তাকে প্রথমেই ক্ষমা করবেন অথবা গুনাহের শাস্তি স্বরূপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর সে জান্নাত ল
উত্তর : যে কোন বৈধ প্রয়োজন পূরণের জন্য দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করা মুস্তাহাব। একে ‘ছালাতুল হাজত’ বলা হয়। এক্ষেত্রে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর সালাম ফিরানোর পূর্বে প্রয়োজনীয় বিষয়টির কথা নিয়তের মধ্যে এনে নিম্নোক্ত সারগর্ভ দো‘আটি পাঠ করবেন-اَللَّه
উত্তর : মোজার উপর মাসাহ করা বৈধ হওয়ার জন্য হাদীছে কোন প্রকার বিশেষ মোজাকে শর্ত করা হয়নি। আরবী ভাষায় চামড়ার তৈরী মোজাকে ‘খুফ’ এবং সূতা বা কাপড়ের তৈরী মোজাকে ‘জাওরাব’ বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) চামড়ার তৈরী মোজার উপরে মাসাহ করেছেন (বুখারী হা/২০২;
উত্তর : উক্ত হাদীছের উদ্দেশ্য এটা নয় যে, বিজয়ী দলটি সর্বদা কেবল সশস্ত্র যুদ্ধেই লিপ্ত থাকবে। বরং এর উদ্দেশ্য হ’ল বিজয়ী দল কখনোই জিহাদকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করবে না। বরং তারা তাদের স্বীয় বিজয়ী বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী হকের উপর আপোষহীন থাকবে এবং প্র
উত্তর : সিজদা থেকে উঠে সামান্য সময়ের জন্য স্থির হয়ে বসা সুন্নাত। একে জালসায়ে ইস্তেরাহাত বা স্বস্তির বৈঠক বলা হয়। ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন বেজোড় রাক‘আত গুলিতে পৌঁছতেন, তখন দাঁড়াতেন না যতক্ষণ না সুস্থির হয়ে বসতেন (বুখারী, মিশকাত হা/৭৯৬)। অন্য বর্ণন
উত্তর : কোন মহিলা তার দেবর বা ভাসুরের সাথে হজ্জে যেতে পারবে না। কেননা তারা মাহরামের অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, একটি দিন ও রাতের সফর মাহরাম পুরুষ ব্যতীত কোন নারী সফরে বের হবে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১৩, ২৫১৫ ‘মানাস
উত্তর : গীবত শ্রবণকারীর গীবতকারীর সমপরিমাণ গুনাহ হবে কথাটি সঠিক নয়। তবে গীবত করা যেমন নিষেধ তেমনি তা শ্রবণ করাও নিষেধ (হুজুরাত ৪৯/১২)। আর গীবতকারীর প্রতিবাদ করে কোন ভাইয়ের সম্মান রক্ষা করলে আল্লাহ্ প্রতিবাদকারীর চেহারাকে কিয়ামত দিবসে জাহান্নামের
উত্তর : ৪০ হিজরীর ১৭ই রামাযান হযরত আলী (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর ইরাক, মক্কা, মদীনা ও ইয়ামনবাসী হাসান ইবনু আলী (রাঃ)-এর হাতে খেলাফতের বায়‘আত গ্রহণ করলে, তার নেতৃত্বেই পঞ্চম খলীফার অগ্রযাত্রা শুরু হয় এবং তিনি ছয় মাস খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন। এর দ্
উত্তর : মাসবূক ছালাতে শরীক হ’লে তাকে তাকবীরে তাহরীমা বলেই ইমামের অনুসরণ শুরু করতে হবে। কেননা তাকবীরে তাহরীমা হ’ল ছালাতের রুকন। আর রুকন ব্যতীত ছালাত সঠিক হবে না। হযরত আলী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ছালাতে সবকিছু হারাম হয়
উত্তর : অমুসলিমদের মধ্যে ইহূদী-খৃষ্টানরা আল্লাহর নামেই পশু যবেহ করে থাকে। তাই প্রবল ধারণার ভিত্তিতে আল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে বলে মনে হলে তা বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া জায়েয। একদা মদীনার গ্রাম অঞ্চলের নও মুসলিমরা মদীনা শহরে গোশত বিক্রি করতে আসলে
উত্তর : প্রত্যেক প্রাণীর মৃত্যু নির্দিষ্ট সময়ে হবে (নূহ ৪) আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন, ‘তিনি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত মানুষকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন সেই মেয়াদকাল এসে যায়, তখন তারা তা মুহূর্তকাল দেরী বা এগিয়ে আসতে পারে না (নাহল ১৬/৬১)।
উত্তর : (১) শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম নফল পালন করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন করতঃ শাওয়াল মাসের ৬টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৭)। (২) প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ছিয়াম পা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী- ‘যে ব্যক্তির ঘরে এসব (চাষাবাদের যন্ত্রপাতি) প্রবেশ করে আল্লাহ সেখানে লাঞ্ছনাও প্রবেশ করান’ (বুখারী হা/২৩২১), এর দ্বারা সেই ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে যে ব্যক্তি জিহাদ ত্যাগ করে শুধুমাত্র কৃষিকর্মকেই বেছে নিয়েছে। যেমন- রাস
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছেন ‘কলম’। অতঃপর তাকে বলেন, লিখ। সে বলল, কি লিখব? আল্লাহ বললেন, তাক্বদীর লিখ। অতঃপর সে লিখল, যা কিছু ঘটেছে এবং যা কিছু ঘটবে ভবিষ্যতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত (আবুদাউদ হা/৪৭০০; তিরমিযী হা/২১৫৫; ছহীহ
উত্তর : কুরআনে ‘ইরাম’ বলে سِبْط إرم অর্থাৎ ইরামের নিকটতম অধঃস্তন পুরুষদের বুঝানো হয়েছে। সূরা ফজর ৭-এর عاد إرم-কে অন্য সূরায় عاد الأولى অর্থাৎ প্রথম ‘আদ সম্প্রদায় বলা হয়েছে (নাজম ৫৩/৫০)। যারা পরবর্তী ‘আদ সম্প্রদায় থেকে আলাদা।আল্লাহর গযবে ধ্বংস
উত্তর : দ্বীনের স্তর হচ্ছে তিনটি : (১) ইসলাম, যা পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। কালেমায়ে শাহাদাত, ছালাত, যাকাত, ছিয়াম ও হজ্জ। (২) ঈমান, যা ছয়টি রুকনের উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, আসমানী কিতাবসমূহ, নবী ও রাসূলগণ, ক্বিয়ামত দিবস এবং তাক্
উত্তর : বাতিল প্রতিরোধের জন্য ছোট হৌক, বড় হৌক শরী‘আত বিরোধী কোন মাধ্যম গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। ইসলামের দৃষ্টিতে পরকালীন বিজয়ই মুমিনের প্রকৃত বিজয়। দুনিয়াতে শত যুলুমের শিকার হলেও এর জন্য কারু আখেরাত বিনষ্ট হবে না। কিন্তু অন্যায় পথ বেছে নিলে আখেরাত
উত্তর : পীরের মাযারে গিয়ে মানুষ যে উপকার লাভের ধারণা করে, তা মূলতঃ শয়তানী ওয়াসওয়াসায় হয়ে থাকে। যেমনভাবে জাহেলী যুগে মানুষ যেসব প্রতিমার উপাসনা করত সেগুলির মধ্যে নারী জিন শয়তান থাকত (আহমাদ হা/২১২৬৯, সনদ হাসান)। যারা মানুষকে এরূপ শিরকের ওয়াসওয়া
উত্তর : এমতাবস্থায় স্ত্রীকে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে পারে।
উত্তর : স্ত্রীর নিকট স্বামী হ’লেন সবচেয়ে সম্মানের পাত্র। অতএব যেভাবে ডাকলে স্বামী খুশি হবেন সেভাবে ডাকা উচিৎ। তবে স্বামী অসন্তুষ্ট না হলে স্ত্রী স্বামীর নাম ধরে ডাকতে পারে। যেমন যয়নব রাসূল (ছাঃ)-এর সামনে তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)
উত্তর : এমর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। (নাসাঈ হা/৯৪৭; মিশকাত হা/২৯৫; যঈফুল জামে‘ হা/৫০৩৬)।
উত্তর : ছালাত বাতিল হবেনা। তবে সালাম ফিরানোর পর যখন মনে পড়বে তখন সহো সিজদা দিতে হবে। কারণ এটাও একটা ভুল। আর ভুলের প্রতিকার হচ্ছে সহো সিজদা দেয়া। সালামের পরেও সহো সিজদা দেয়া যায় (বুখারী হা/৭১৫, মুসলিম হা/৫৭৪, মিশকাত হা/১০২১)। যদি তখনও সহো সিজদা
উত্তর : হয়ে যাবে। কেননা বিতরের জন্য দোআ কুনূত শর্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) হাসান ইবনু আলী (রাঃ)-কে বিতরের দো‘আ কুনূত শিক্ষা দিয়েছিলেন (আবুদাউদ হা/১৪২৫; তিরমিযী হা/৪৬৪; মিশকাত হা/১২৭৩)। বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা দো‘আয়ে কুনূত প্রমাণিত। কিন্তু এটি সর্বদা পড়া আবশ্যিক
উত্তর : এর দ্বারা সরকারকে ফাঁকি দেওয়া হয় এবং এটা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত; ইসলামী শরী‘আত যাকে হারাম করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৫৩ সনদ ছহীহ ‘শাসন ও বিচার’ অধ্যায়)।
উত্তর : মারফূ‘ সূত্রে হাদীছটির কোন ভিত্তি না থাকায় দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়াও তা রাসূল (ছাঃ)-এর অকাট্য বাণী- فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ ‘নিশ্চয়ই সকল প্রকার বিদ‘আত ভ্রষ্টতা’ (মুসলিম হা/৮৬৭; মিশকাত হা/১৪১)-এর স্পষ্ট বিরোধী।ইবন
উত্তর: আয়াতটির অর্থ হ’ল - ‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তে ও রাত্রির প্রথম অংশে। নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে। আর এটি (অর্থাৎ কুরআন) হ’ল উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য (সর্বোত্তম) উপদেশ’। অত্র আয়াতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের ফয
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমন বাড়াবাড়ি করেছে খ্রিষ্টানরা মারিয়ামপুত্র ঈসাকে নিয়ে। আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। অতএব তোমরা আমাকে আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল বল’ (বুখারী হা/৩৪৪৫; মিশকাত হা/৪৮৯৭)। রাসূল (ছ
উত্তর : এরূপ অবস্থায় পেশাব-পায়খানা শেষ না করে ছালাত আদায় করা ঠিক হবে না। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হলে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৭)। তবে এমতাবস্থায় ছালাত আদায় করলে তা বাতিল হবে
উত্তর : সরাসরি উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে শাব্দিকভাবে এর কাছাকাছি মর্মে দু’একটি হাদীছ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৮০ বার দরূদ পাঠ করলে ৮০ বছরের গোনাহ মাফের কথা এসেছে। তবে হাদীছগুলি জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২১৫)।
উত্তর : কোন অবস্থায় সূদের উপর ঋণ নেওয়া যাবে না। কারণ সূদ হারাম। তবে ক্ষুধার কারণে মৃত্যুর মুখোমুখি হলে এরূপ নিরুপায় অবস্থায় কেবল হারাম খাওয়ার অনুমতি রয়েছে (মায়েদাহ ৩)।
উত্তর : কোন ব্যক্তির জানাযা না হয়ে থাকলে তার গায়েবানা জানাযা পড়া জায়েয। অমুসলিম দেশে জানাযা ছাড়াই দাফন হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাদশাহ নাজাশীর গায়েবানা জানাযা পড়েছিলেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫২)। কারণ তিনি মুসলমান হয়েছিলেন। কিন্
উত্তর : উচ্চৈঃস্বরে দলবদ্ধভাবে যিকর করা বিদ‘আত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা প্রতিপালককে স্মরণ কর আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং স্বর উঁচু না করে (আ‘রাফ ২০৫)। রাসূল (ছাঃ)ও সশব্দে যিকর করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/২৭০৪, মিশকাত হা/২৩০৩)।
উত্তর : রোগগ্রস্ত মৃতপ্রায় হালাল প্রাণী যবেহ করে খাওয়া জায়েয (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/৩০৩)। ইমাম আহমাদ এতে কোন দোষ নেই বলে মন্তব্য করেছেন (ইবনু কুদামা, মুগনী ৯/৪০৫) তবে রুচি না হলে বা উক্ত প্রাণীর রোগ মানুষের দেহে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে না খেয়ে যবে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
উত্তর : সহোদর ভাই-বোন যাকাতের হকদার হ’লে তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে। বরং এতে দ্বিগুণ নেকী রয়েছে। যয়নব (রাঃ) স্বীয় স্বামীকে যাকাতের অর্থ দিতে চাইলে রাসূল (ছাঃ) তাকে অনুমতি দিয়ে বলেন, এতে দ্বিগুণ নেকী রয়েছে। (১) ছাদাক্বার নেকী (২) আত্মীয়তা সম্প
উত্তর : স্ত্রী সর্বদা স্বামীর অনুগত থাকবে। স্বামীর বৈধ আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল। এ জন্য যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন। আর এ জন্য যে, তারা তাদের (ভরণ-পোষণের জন্য) অর্
উত্তর : করাই সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে সে যেন দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে না বসে’ (বুখারী হা/৪৪৪; মুসলিম হা/৭১৪; মিশকাত হা/৭০৪)। উক্ত ছালাত মসজিদে প্রবেশের সাথে সম্পর্কিত, ছালাতের সময়ের সাথে নয়। এটি আদায়ে নেকী আছে
উত্তর : গোসলের নিয়তে পুকুরের পানিতে ডুব দিলে পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে। তবে সুন্নাতী নিয়ম হল, গোসলের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে ছালাতের ওযূর ন্যায় ওযূ করে, ফরয গোসলের নিয়ত করে মাথায় তিনবার পানি ঢালার পর শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ধুয়ে গোসল করা (বুখারী হা/
উত্তর : একাধিক আযানের মধ্যে একটির উত্তর দিলেই যথেষ্ট হবে। তবে যেহেতু আযানের উত্তর দেওয়া একটি ফযীলতপূর্ণ সুন্নাত, সেহেতু একাধিক আযানের উত্তর দিলে সে তার ছওয়াব পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যখন আযান শুনবে তখন মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও তা বল’ (বু
উত্তর : অপ্রাপ্ত বয়স্কা মেয়ে শিশুদের কণ্ঠে উত্তম কথা সম্বলিত ইসলামী গান শোনা যাবে (বুখারী হা/৯৮৭, ৩৫২৯; মিশকাত হা/১৪৩২)। তবে প্রাপ্তবয়স্কা মহিলাদের কণ্ঠে ইসলামী গান শোনা বৈধ নয়। মহিলাদের সুন্দর কণ্ঠস্বর পরপুরুষকে শুনাতে নিষেধ করা হয়েছে (আহযাব ৩৩/৩২)।
উত্তর : জমির মূল মালিকের সম্মতিক্রমে প্রশ্নে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ব্যবসা করা শরী‘আত সম্মত। তবে মালিকের সম্মতি না থাকলে অথবা গোপনে এরূপ ব্যবসা করা জায়েয নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) ক্রয়কৃত বস্ত্ত মালিকানায় আসার পূর্বে অন্যের নিকট বিক্রয় করতে নিষেধ করেছ
উত্তর : উক্ত আলেমের বক্তব্য সঠিক নয়; বরং তা কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সঠিক বুঝ থেকে মানুষকে দূরে রাখার অপকৌশল মাত্র। কারণ কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমূহ সঠিকভাবে বুঝার জন্য তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ পড়তে হবে। আর কুরআনের ব্যাখ্যাগ্রন্থ হচ্ছে তাফসীরগ্রন্থ সমূহ; য
উত্তর : এটি ৩০ জনের মধ্যে সীমায়িত নয়। কেননা ভন্ডনবীর সংখ্যা বিভিন্ন হাদীছে বিভিন্ন রকম এসেছে। যেমন- কোন হাদীছে ২৭ জন যাদের মধ্যে ৪ জন হবে নারী (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৪২৫৮)। কোন হাদীছে ৩০ জন (আবুদাউদ হা/৪৩৩৩)। আবার কোন হাদীছে ৩০ জনের কাছাকাছি বলা
উত্তর : এর মাধ্যমে আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব বুঝানো হয়েছে মাত্র। এটা আরবী ভাষার অলংকারের অন্তর্ভুক্ত। অতএব একজন অনুবাদকের কর্তব্য হল, কুরআনের প্রতিটি আয়াত যেভাবে এসেছে ঠিক সেভাবেই অনুবাদ করা। নইলে তাতে কুরআনের ভাব ও ভাষাগত অলংকারের বিপরীত মর্ম
উত্তর : এর সাথে প্রচলিত ‘চিল্লা’ প্রথার কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তোমরা দেশে চার মাসকাল পরিভ্রমণ কর ও জেনে রেখ যে, তোমরা আল্লাহকে হীনবল করতে পারবে না এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের লাঞ্ছিত করে থাকেন’ (তওবা ৯/২)। ৯ম হিজরীতে যখন রাসূল (
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী- ‘মক্কা বিজয়ের পরে আর হিজরত নেই। কিন্তু জিহাদ ও হিজরতের নিয়ত অবশিষ্ট থাকবে’ (বুখারী হা/১৮৩৪; মুসলিম হা/১৩৫৩; মিশকাত হা/২৭১৫)। এর অর্থ হ’ল, মক্কা থেকে কোন হিজরত নেই। তবে যে সকল দেশ ও অঞ্চলে ঈমান ও দ্বীন রক্ষা করা কঠিন স
উত্তর : দিবস পালন শিরক নয়। তবে নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। যেমন- ঈদে মীলাদুন্নবী, শবেবরাত, শবেমি‘রাজ ইত্যাদি। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যামানায় এসব দিবসের কোন অস্তিত্ব ছিল না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু নতুন সৃষ্ট
উত্তর : চুরি করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮)। যা তওবা ব্যতীত মাফ হবে না (নিসা ৪/৩১)। যথাসাধ্য চেষ্টার পরেও যদি মালিককে খুঁজে পাওয়া না যায়, তখন উক্ত টাকা তার নামে ছাদাক্বা করে দিতে হবে। তাহ’লে আশা করা যায় আল্লাহ ক্ষ
উত্তর : হারাম রুযীর উদ্দেশ্যে হারাম কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা বৈধ নয়। অনুরূপভাবে যে জ্ঞান হারাম উপার্জনে বাধ্য করে সে জ্ঞান অর্জন করাও বৈধ নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্ত্ত ভিন্ন কবুল করেন না’ (মুসলিম হা/১০১৫; মিশকাত হা
উত্তর : لحية বা দাড়ি বলা হয় ঐ সমস্ত লোমকে, যা পুরুষের দুই গাল ও থুতনীর নীচে হয়ে থাকে। অতএব গালের উপর ও থুতনীর নীচে যে সমস্ত লোম ওঠে, তা কাটা ও ছাটা যাবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর পরিষ্কার নির্দেশ হ’ল, তোমরা দাড়ি ছেড়ে দাও ও গোঁফ ছাটো এবং মুশরিকদের বি
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে এর কোন অস্তিত্ব নেই। অতএব এরূপ অনুষ্ঠান অবশ্যই বর্জনীয়।
উত্তর : মৃত্যুর পূর্বে কাফনের কাপড় কিনে রাখায় শারঈ কোন বাধা নেই। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হ’ল তখন তিনি নতুন কাপড় আনালেন এবং পরিধান করে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘মৃত ব্যক্তিকে ক্বিয়ামতের দিন
উত্তর : এটি তাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ মি‘রাজের ঘটনা যদি স্বাপ্নিক বা আত্মিক হ’ত, তাহলে মক্কার কাফির-মুশরিকদের তা অবিশ্বাস করার কোন কারণ থাকত না। কেননা তারা এটা শুনেই একে মিথ্যা বলেছিল এবং বায়তুল মুক্বাদ্দাসের বিবরণ দাবী করেছিল (মুত্তাফাক্ব আ
উত্তর : যদি বিচারক হিসাবে হককে হক হিসেবে আর বাতিলকে বাতিল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার, হককে তার প্রাপকের নিকটে পৌঁছে দেয়ার এবং মযলূমকে সাহায্য করার সুযোগ থাকে এবং তা বাস্তবায়ন করা যায় তাহ’লে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে শরী‘আতে বাধা নেই। কারণ তা
উত্তর : ‘মুসলিম’ বলা যাবে, তবে প্রকৃত মুসলিম নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি তারা জাহেলিয়াতের বিধানসমূহ কামনা করে? বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহর চাইতে সুন্দর বিধানদাতা আর কে আছে’? (মায়েদাহ ৫/৫০)। অতএব ইসলামের বাইরে উপরোক্ত মতবাদসমূহ সবই জাহেলিয়াত।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ঘুমানোর সময় চোখে ‘ইছমাদ’ সুরমা লাগাও। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয় এবং ভ্রুতে নতুন লোম গজায়’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৪৯৬, ছহীহাহ হা/৭২৪)। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, এটা চোখের ময়লা দূর করে এবং চক্ষু পরিষ্কার করে (ত্বাবার
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর উপর ২১শে রামাযানের ক্বদর রাতে প্রথম অহি নাযিলের পর থেকে কয়েকদিনের বিরতিকালকে فَتْرَةُ الْوَحْىِ বা অহি-র বিরতিকাল বলা হয়। এটি ৪০ দিন বা আড়াই বা তিন বছরের জন্য ছিল না, যা প্রসিদ্ধ আছে (আলোচনা দ্রষ্টব্য : আর-রাহীক্ব পৃঃ ৬৯;
উত্তর: ইমাম মিম্বারে উঠার পূর্বে জুম‘আর আযান দেওয়া সুন্নাত পরিপন্থী কাজ। বরং খতীব মিম্বরে বসার পরে আযান দেওয়া সুন্নাত। সায়েব বিন ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে জুম‘আর দিনে আযান দেয়া হ’ত যখন খতীব মিম্বারে বসতেন (বুখারী হা/৯১৩)।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/৩৩৭১, মিশকাত হা/২২৩১)। তবে অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, দো‘আই হ’ল ইবাদত (আবুদাউদ হা/১৪৮১, তিরমিযী হা/৩৩৭২, মিশকাত হা/২২৩০, সনদ ছহীহ)। অর্থাৎ দো‘আ হ’ল শ্রেষ্ঠ ইবাদত।
উত্তর : এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বাড়িতে ওযূ করে মসজিদে ক্বোবায় এসে ছালাত আদায় করল, তার জন্য একটি ওমরাহ করার সমপরিমাণ নেকী রয়েছে (নাসাঈ হা/৬৯৯, ইবনু মাজাহ হা/১৪১২)।
উত্তর : যেসব প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সে সব প্রাণীর পেশাব-পায়খানা পবিত্র। সেটা কাপড়ে লাগলে উক্ত কাপড়ে ছালাত আদায় করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) নিজে ছাগলের গোয়ালে ছালাত পড়েছেন এবং পড়তে অনুমতি দিয়েছেন (বুখারী হা/২৩৪, মুসলিম হা/৩৬০, ৫২৪)।
উত্তর: এটা সমাজে প্রচলিত একটি কুসংস্কার মাত্র।
উত্তর: এতে শরী‘আতের কোন বাধা নেই।
উত্তর: আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্কে ভয় করে, আল্লাহ তার (কাংখিত) পথ খুলে দেন’। ‘এবং তাকে রূযী দান করেন এমন উৎস হ’তে যে বিষয়ে তার কোনরূপ পূর্ব ধারণা ছিল না’ (তালাক ৬৫/২-৩)। বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করলে রুযী ও সম্পদ বৃদ্ধি হয় (নুহ ১০-১২)।
উত্তর : মুহুরীর পেশা গ্রহণ করা যায়। তবে তা হতে হবে সম্পূর্ণরূপে প্রতারণামুক্ত এবং থাকতে হবে মানুষকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। একজন মৃত ব্যক্তির জানাযার ছালাত একাধিকবার পড়া যায়। অনুরূপভাবে একই ব্যক্তির জানাযায় একজন ব্যক্তি একাধিকবার শরীক হ’তে পারেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৫৮, ৫৯; মির‘আত ৫/৩৯০পৃঃ; তিরমিযী হা/১০৩৭; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪
উত্তর : পিতা-মাতাকে ছালাত আদায়ের জন্য নম্র ভাষায় নছীহত করতে হবে। ভাল কাজের আদেশ করা ও মন্দ কাজে নিষেধ করা মুমিনের প্রধান কর্তব্য (আলে-ইমরান ১০৪, ১১০)। তবে পিতা-মাতার সাথে মন্দ আচরণ করা যাবে না (লোকমান ৩১/১৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অমুসলিম মাতার সাথে ভাল
উত্তর : এরূপ বলা ঠিক নয়; বরং বলতে হবে ‘আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন’। কারণ মানুষ নিজে নিজে ভাল থাকতে পারে না। বরং বিদায়কালে সালাম দিয়ে বিদায় নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা কোন মজলিসে প্রবেশকালে ও বসার সময় এবং উঠে যাওয়ার সময় সালাম দিবে (তিরমিযী, আবু
উত্তর : মাইকে ছালাত আদায় করা যাবে। এতে তাকবীরে তাহরীমা ভঙ্গ হওয়ার কোন কারণ নেই। বরং এতে সকল মুছল্লী এক সঙ্গে তাকবীর শুনতে পায় এবং ইমামের সাথে সুষ্ঠুভাবে ছালাত আদায় করতে সুবিধা হয়। এছাড়াও মাইক নিজে কোন ইবাদত নয় বরং ইবাদতের সহায়ক।বরং এটাই বিধান
উত্তর : মানুষের নাম বিকৃত করে ডাকা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী হতে উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী যেন অপর নারীকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উ
উত্তর : কোন বাধা নেই। তবে আছরের ছালাতের পূর্বে সময় থাকলে প্রথমে যোহর পড়বেন। আর আছরের জামা‘আত শুরু হয়ে গেলে জামা‘আতে শরীক হয়ে পরে যোহরের ক্বাযা আদায় করবেন। কেননা ক্বাযা ছালাতের কোন নিষিদ্ধ সময় নেই। বরং স্মরণ হওয়া মাত্রই আদায় করতে হবে’ (মুসলিম,
উত্তর : এক-তৃতীয়াংশ বিলম্ব করে একা ছালাত আদায় করার চেয়ে সময়ের মধ্যে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করাই উত্তম। ওমর (রাঃ) বলেন, রাত জেগে ছালাত আদায় করার চেয়ে জামা‘আতবদ্ধ ছালাত আদায় করা উত্তম (মালিক, মিশকাত হা/১০৮০)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্
উত্তর : বর্ণিত উক্তিটির প্রমাণে কোন হাদীছ নেই। এটি প্রচলিত কথা মাত্র। حُقُبٌ অর্থ যুগ বা দীর্ঘ সময়কাল। আল্লাহ বলেন, ‘অবিশ্বাসীরা জাহান্নামে থাকবে যুগ যুগ ধরে’ (নাবা ৭৮/২৩)। অত্র আয়াতে বর্ণিত أَحْقَابًا অর্থ دُهُوْرٌ مُتَتَابَعَةٌ ‘পরপর যুগসমূ
উত্তর : এটি একটি অনৈসলামিক কালচার। যা পরিত্যাজ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ইহূদী-নাছারাদের অনুকরণে সালাম দিয়ো না। কেননা তারা হস্ততালু, মাথা ও ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাকে (দায়লামী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৭৮৩)। তিনি আরো বলেন, তোমরা সালাম প্
উত্তর : জানাযার বিধান কত হিজরীতে জারি হয়েছে তার স্পষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে তা মদীনায় ছালাতের বিধান জারি হওয়ার পর চালু হয়। ইবনু হাজার হাইতামী বলেন, খাদীজা (রাঃ)-এর মৃত্যুর সময় জানাযার ছালাতের বিধান জারি ছিল না। কেননা এর বিধান মদীনায় হিজ
উত্তর : উক্ত কথা সঠিক নয়। যেকোন দিন কবর যিয়ারত করা যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৬৩)। জুম‘আর দিন কবর যিয়ারতের ফযীলত সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৯-৫০; বায়হাক্বী, শো‘আবুল ঈমান মিশকাত হা/১৭৬৮ ‘কবর যিয়ারত’ অনুচ্ছেদ)।প্রশ্নকারী :&n
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য এরূপ কোন শর্তারোপ শরী‘আতে করা হয়নি। তবে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মারা গেল, অথচ জিহাদ করল না। এমনকি জিহাদের কথা মনেও আনলো না, সে ব্যক্তি মুনাফেকীর একটি শাখার উপর মৃত্যুবরণ করল’ (মুসল
উত্তর ওছমানীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ওছমান গাযীর পিতা আরতুগ্রুল গাযী (মৃত্যু ১২৮০খৃ.)-এর উত্থানের কাহিনী সম্বলিত যে কাল্পনিক তুর্কী চিত্রনাট্য বর্তমানে টিভি সিরিয়াল হিসাবে চলছে, তা ইতিহাসের বিভিন্ন প্রামাণ্য গ্রন্থে বর্ণিত ঘটনাবলীর মধ্যে বিচ্ছি
উত্তর : এককভাবে কোন কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সফর করা যাবে না। কেননা মাইয়েতের জন্য যেকোন স্থান থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। এজন্য কবর যিয়ারত শর্ত নয়। তবে অন্য উদ্দেশ্যে সে স্থানে গমনের পর কবর যিয়ারত করলে তাতে কোন দোষ নেই (উছায়মীন, ফাতাওয়া ন
উত্তর : যদি মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী মিলনের সক্ষমতা নেই, তাহ’লে স্ত্রী স্বামীর নিকট তালাক চাইতে পারে বা ‘খোলা’ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে (ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তিযকার ৬/১৯৩; মুগনী ৭/৩২৩; উছায়মীন, আ
উত্তর : বিয়েতে এগুলি পরা জায়েয। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যেন সাজ-সজ্জায় অন্য ধর্মের সংস্কৃতির প্রকাশ না ঘটে এবং অপচয় না হয়। মনে রাখতে হবে যে, ‘আল্লাহভীতির পোশাকই সর্বোত্তম’ (আ‘রাফ ৭/২৬)। প্রশ্নকারী : রেযওয়ানুল ইসলাম, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর
উত্তর : কোন ওযরের কারণে দ্বিতীয় জামা‘আত করলে বা মসজিদে এসে একাকী ছালাত আদায় করলেও জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ছওয়াব পেয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করে মসজিদে গিয়ে দেখতে পেল লোকেরা ছালাত আদায় করে ফেলেছে। এমতাবস্থায় মহান
উত্তর : কুলি করার সময় গড়গড়া করার ব্যাপারে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি (ইবনু হাজার, তালখীছুল হাবীর ১/২৬৫)। তবে কুলির সময় গড়গড়া করা ওযূর পূর্ণতাকারী হওয়ায় বিদ্বানগণ তা মুস্তাহাব বলেছেন (মুসলিম হা/২৪০; মিশকাত হা/৪০৫; নববী, আল-মাজমূ‘ ১/৩৫৫; ঊছায়মীন, আশ-শারহুল
উত্তর : যে ব্যক্তির কেবল তিন কন্যা রয়েছে সে সমুদয় সম্পত্তি মেয়েদের নামে লিখে দিতে পারবে না। কারণ একাধিক কন্যা থাকলে তারা সমুদয় সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ পাবে। আর বাকী সম্পত্তি পিতা-মাতা, স্ত্রী বা ভাই ও তাদের অনুপস্থিতিতে ভাতিজারা পাবে (নিসা ৪/১
উত্তর : ট্যাক্স হ’ল সরকারী কর। এর সাথে সূদের কোন সম্পর্ক নেই। সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। সুতরাং সূদের টাকা দিয়ে ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া যাবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৩/৩৬৬)। বরং সূদের টাকা ছওয়াবের প্রত্যাশা না করে যেকোন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করবে (ফাতাওয়া
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ‘খোলা’ হয়েছে। যার ইদ্দত মাত্র এক ঋতু। কিন্তু স্ত্রী যেহেতু গর্ভবতী ছিল, সেজন্য তার ইদ্দত হ’ল সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত। অতঃপর উভয়ে চাইলে নতুন বিবাহের মাধ্যমে সংসার করতে পারবে (তালাক ৬৫/৪)। তাছাড়া স্ত্রীকে গর্ভকালীন
উত্তর : জায়েয হবে। বরং নিজে ভোগ না করে জনকল্যাণমূলক কাজে দান করে দেওয়াই নিরাপদ। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোম্পানীর ঔষধ রোগীদেরকে লিখে দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেই উক্ত হাদিয়া প্রদান করা হয়ে থাকে, যা একপ্রকার ঘুষ (ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ ২৩/
উত্তর : গৃহই মহিলাদের মূল কর্মক্ষেত্র (আহযাব ৩৩)। তবে বিশেষ প্রয়োজনে নারীরা বাইরে চাকুরী করতে পারে। সেজন্য পৃথক কর্মস্থল থাকা যরূরী। সুতরাং নিরাপদ পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতিক্রমে নারীদের চাকুরী করাতে শরী‘আতে বাধা নেই। সেই সাথ
উত্তর : لا تنكحوا القرابة القريبة... ‘আত্মীয়রা আত্মীয়দের বিবাহ করো না...’- মর্মে বর্ণিত কথাটি হাদীছ নয়। সম্ভবতঃ গাযালী তাঁর এহইয়াউল উলূম-এর মধ্যে (২/৪১) এটিকে হাদীছ সমষ্টির মধ্যে উল্লেখ করায় অনেকে ধোঁকা খেয়েছেন। আসলে হাদীছ হিসাবে এর কোন ভিত্ত
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে বন্ধক রাখা হারাম। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদের অন্তর্ভুক্ত (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; আল-মুদাওয়ানাহ ৪/১৪৯; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণদান নিষেধ করতেন
উত্তর : অন্যায়ভাবে কৃত এরূপ বদদো‘আ কবুল হবে না। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি আল্লাহ মানুষের প্রতি দ্রুত অনিষ্ট করতেন, যেমন তারা দ্রুত কল্যাণ চায়, তাহ’লে তাদের আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যেত’ (ইউনুস ১০/১১)। এর তাফসীরে ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, রাগান্বিত অবস্
উত্তর : কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক দল জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকে, তবে তাদেরকে বৈধ কাজে আর্থিক সহযোগিতা করা যাবে। তবে গণতন্ত্র বা কোন বাতিল মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাতে অর্থ দান করা যাবে না। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা
উত্তর : স্বামীর শারঈ কোন দোষের কারণে স্বামী থেকে স্ত্রীর বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকার রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রথমতঃ স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে তা সংঘটিত হবে। আর যদি স্বামী গ্রহণ না করে তবে সামাজিকভাবে বা আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি কার্যকর হবে
উত্তর : প্রথমতঃ নারীরা ঘরের বাইরে কোন ধরনের পারফিউম বা সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতে পারবে না। বরং এরূপ নারীকে যেনাকার বলা হয়েছে (নাসাঈ হা/৫১২৬; মিশকাত হা/১০৬৫)। তবে বাড়িতে স্বামীর সামনে ব্যবহার করতে পারবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পুরুষের জন্য সুগন্ধি যা
উত্তর : বৈধ পন্থায় তার বিরুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ইসলামী আইন অনুযায়ী কেউ শরীককে ফাঁকি দিয়ে থাকলে অবশ্যই তা ফেরৎ দিতে বাধ্য। সুতরাং প্রথমতঃ আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা নিয়ে প্রাপ্য অংশ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি স্থানীয়ভাবে সমাধান না হয়,
উত্তর : উক্ত কারণে পিতা বা ভাইয়ের নিকট থেকে টাকা দাবী করার শারঈ কোন অধিকার নেই। কারণ শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর এটা পূরণ করতে সন্তানদের মাঝে তারতম্য হওয়া স্বাভাবিক। তবে উক্ত চাকুরীজীবী ভাইয়ের উচিৎ হবে, অন্যান্য ভাই-বোনের প্রতি ইহসান করা।
উত্তর : ছালাতের মধ্যে কোন ফরয রুকন যেমন রুকূ, সিজদা বা রাক‘আত কমে গেলে এবং ওয়াক্তের মধ্যে স্মরণ হ’লে বাকী অংশ আদায় করে সহো সিজদা দিতে হবে। পরে স্মরণ হ’লে পুরো ছালাত আদায় করতে হবে (নববী, আল মাজমূ‘ ৪/৭৭, ৪/১২৫; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৩/১১৪, ১/৬৯
উত্তর :ما مات رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى قرأ وكتب ‘রাসূল (ছাঃ) পড়া-লেখা না শিখে মারা যাননি’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (যঈফাহ হা/৩৪৩)। তাছাড়া পবিত্র কুরআনেই আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে উম্মী বা নিরক্ষর হিসাবে অভিহিত করেছেন (আ‘রাফ ৭/১৫৭)। আল্লাহ
উত্তর : এ মর্মে কুরআন বা হাদীছে কোনরূপ বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে সূরা আহযাব ৩৩ আয়াত ‘প্রাচীন জাহেলী যুগের ন্যায় সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না’-এর ব্যাখ্যায় মুফাসি্সরগণ বলেন, এটি আদম ও নূহ (আঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়ের। কেউ বলেন, নূহ ও ইদরীস (আঃ)-এ
উত্তর : মালিকের অজ্ঞাতসারে বা তাকে না জানিয়ে উক্ত টাকা গ্রহণ করা হালাল হবে না। কারণ মালিক এ ব্যাপারে তাকে অনুমতিও দেননি। অতএব যত টাকা বাঁচবে মালিকের হাতে তুলে দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে তোমার কাছে আমানত রেখেছে, তার আমানত তাকে ফেরৎ দাও এবং
উত্তর : শ্যালিকা অবশ্যই দুলাভাই থেকে শারঈ পর্দা করবে। অন্যথায় গুনাহগার হবে। কেননা মাহরাম প্রথমত দুই প্রকার। স্থায়ী ও অস্থায়ী। অস্থায়ী মাহরাম আবার দুই প্রকার। ১. যাদের সাথে বিবাহ চির দিনের জন্য হারাম যেমন শাশুড়ী। ২. যাদের সাথে স্ত্রীর কারণে অস
উত্তর : শরীরের কোন স্থানে ব্যথা হ’লে সেখানে হাত রেখে তিনবার বিসমিল্লাহ বলে নিম্নের দো‘আটি সাতবার পাঠ করবেন- আ‘ঊযু বি‘ইযযাতিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহি মিন শার্রি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু’ (আমি যে ব্যথা ভোগ করছি ও যে ভয়ের আশংকা করছি, তার অনিষ্ট হ’তে আমি
উত্তর : এসব পোষাক গৃহাভ্যন্তরে কেবল স্বামীর সামনে পরা জায়েয। সন্তান ও অন্যান্য মাহরামের সামনে নয়। কেননা নারীর আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য প্রকাশকারী পোষাক কেবল স্বামী ব্যতীত অন্যের সামনে পরিধান করা নিষিদ্ধ (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৮২৫, ১২/২১৭; ছালেহ
উত্তর : অশ্লীলতা প্রকাশ করে এমন পোশাক বানানো থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে অন্যায় কাজে সহায়তা করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। শালীন পোষাক যেম
উত্তর : ছালাতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হাত বুকে রাখতে হবে। কারণ এটিই ছালাতের মৌলিক অবস্থান। সাহ্ল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, ‘লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হ’ত যেন তারা ছালাতের সময় ডান হাত বাম হাতের উপরে রাখে। আবু হাযেম বলেন যে, ছাহাবী সাহ্ল বিন সা‘দ এই আদেশ
উত্তর : রুকূ না পাওয়ার কারণে সে রাক‘আত পায়নি। এক্ষণে ঐ ব্যক্তিকে উক্ত ওয়াক্তের ফরয ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ সে ওয়াক্তের মধ্যে সেই ছালাতের বাকী অংশ আদায় করেনি। কারো যদি এক রাক‘আত ছালাত ছুটে যায় এবং সালাম ফিরিয়ে নেয় আর ওয়াক্তের মধ্যে মন
উত্তর : কুরবানীর গোশতের ন্যায় আক্বীক্বার গোশতও তিনভাগ করা উত্তম। তবে কেউ যদি মনে করে পুরো গোশত রান্না করে নিজে ও আত্মীয়-স্বজন মিলে খাবে, তাতেও কোন দোষ নেই। ইবনু জুরাইজ বলেন, আক্বীক্বার গোশত রান্না করে নিজে খাবে, প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের খা
উত্তর : তাহাজ্জুদ সহ যেকোন নফল ছালাত স্ত্রীর সাথে জামা‘আতের সাথে আদায় করা যাবে। তবে স্ত্রী পিছনে দাঁড়াবে। আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, একবার আমাদের ঘরে আমি ও একটি ইয়াতীম ছেলে (অর্থাৎ আমার ভাই) নবী করীম (ছাঃ)-এর পিছনে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করলাম।
উত্তর : বিবাহের ঘোষণা দেওয়া ও প্রচার করা যরূরী (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/১০২; ঊছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা বিবাহের সংবাদ প্রচার কর, তোমরা বিবাহের সংবাদ প্রচার কর। কেননা এটি এমন সম্বন্ধ, যা ব্যভিচার নয় (ত্বাবা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে স্ত্রীর নিকট স্বামী অনেক মর্যাদাশীল। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাঃ) সর্বদা স্বামীর আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। জনৈক মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে কথা বলা সম্পন্ন করলে তিনি তাকে বললেন, ‘হে অমুক মহিলা! তোম
উত্তর : মালাকুল মউত মূসা (আঃ)-এর নিকট আগমন করলে তিনি তাকে থাপ্পড় মেরে চোখ নষ্ট করে দেন মর্মে ঘটনাটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। হাদীছটি নিম্নরূপ :আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, মালাকুল মউত মূসা (আঃ)-এর নিকট আসেন তাঁর জা
উত্তর : একই পাপ একাধিক বার করা জঘন্য অন্যায়। এতে এক সময় ব্যক্তি পাপের অনুভূতিশূন্য হয়ে যায় এবং তওবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য পাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকবে এবং প্রতিমুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করবে ও তওবা-ইস্তিগফার করবে। য
উত্তর : ডাক বিভাগ কোন সূদী প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় এতে চাকুরী করা হালাল। তবে যে বিভাগটি সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত কাজ করে সেখানে কাজ করা নিষিদ্ধ। কেননা সরাসরি সূদী লেনদেন বা হিসাবাদির সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে এমন কোন কর্মে নিযুক্ত হওয়া হারাম (আলে ইমরান ১৩০
উত্তর : উক্ত আয়াত নাযিলের পর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন বিবাহ করেননি (ইবনু কাছীর ৬/৩৯৬; তাফসীর ঐ আয়াত দ্রঃ)। তবে ইবনু আববাস (রাঃ)-সহ বিশিষ্ট মুফাস্সিরগণের মতে, উক্ত আয়াতটির হুকুম মানসূখ হয়ে গেছে পূর্ববর্তী ৫১ আয়াত দ্বারা। কেননা উম্মে সালামাহ ও আয়েশা
উত্তর : ছালাতে কাতার সোজা করা ওয়াজিব (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/৩, ৭/৩-১৩)। রাসূল (ছাঃ) একাধিক হাদীছে কাতার সোজা করার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী হা/৭২৩; মুসলিম হা/৪৩৩; মিশকাত হা/১০৮৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার নিকটে তোমাদের সবচাইতে অপসন্দনীয় বিষয় হ’ল কা
উত্তর : গোসলখানা ও টয়লেট একত্রে থাকলেও যদি ওযূ করার স্থানে অপবিত্র বস্ত্ত ছড়িয়ে না থাকে, তাহ’লে সেখানে ওযূ করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই (ফাতওয়া লাজনা-দায়েমাহ ৫/৮৫; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ১২/৩৬৯)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, বিরল, দিনাজপুর।
উত্তর : যে মসজিদের ক্বিবলা ভুল প্রমাণিত হ’লে সেদিকে ফিরে ছালাত আদায় করা যাবেনা। এমতাবস্থায় মসজিদের মধ্যে কাতার ক্বিবলামুখী করে ঠিক করে নিতে হবে। অথবা সম্ভব হ’লে মসজিদ পুনঃসংস্কারের মাধ্যমে ক্বিবলা ঠিক করতে হবে (বাক্বারাহ ২/১৪৪; উছায়মীন, মাজমূ‘উ
উত্তর : ছালাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ঐ ব্যক্তির ছালাত সিদ্ধ নয়, যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করে না’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২)। আর সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা পড়া সুন্নাতে মু্ওয়াক্কাদাহ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত
উত্তর : অধিক ফযীলতপূর্ণ মনে করে মক্কা থেকে কাফনের কাপড় ক্রয় করে রাখা শরী‘আতসম্মত নয়। এটি দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে আহলে কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না’ (নিসা ১৭১)। তবে সাধারণভাবে ইহরামের কাপড় বা যে কোন ক
উত্তর : নমরূদ কিভাবে মারা গেছে সে সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছে কিছু বলা হয়নি। তবে তাফসীর ও ইতিহাসের গ্রন্থ সমূহে পাওয়া যায় যে, মশা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল (কুরতুবী, ইবনু কাছীর, বাক্বারাহ ২৫৯-এর তাফসীর দ্র., আল-বিদায়াহ ১/১৭২)। তব
উত্তর : মৃত ব্যক্তির নামে সকল শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে খাওয়ানোর অনুষ্ঠান করা যাবে না। কারণ মৃত ব্যক্তির নামে যা করা হয় তা হ’ল ছাদাক্বাহ, যা ধনীরা খেতে পারে না (তওবাহ ৯/৬০; তিরমিযী হা/৬৫২)।প্রশ্নকারী : ইকরামুল ইসলাম, দিনাজপুর।
উত্তর : হাদীছটি জাল ও বানোয়াট (আছ-ছাগানী, আল-মাওযূ‘আত ১/৬৪; ফাত্তানী, তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত ১/১৭৪)। তবে অর্থগতভাবে সঠিক। কেননা আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি পরকালের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য পরকালের ফসল বাড়িয়ে দেই (আশ-শূরা ২০)।প্রশ্নকারী : মা‘রূফ রায়হ
উত্তর : ওমরা করার পরে চুল ছাটা বা মাথা মুন্ডন করা ওয়াজিব। তার পূর্বে হালাল হওয়া যাবে না। অতএব কেউ যদি ওয়াজিব তরক করে, তাহ’লে তাকে কাফফারা হিসাবে একটি কুরবানী দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৩৪২)। আর মক্কায় মাথা মুন্ডন করাই সুন্নাত। তবে দূর
উত্তর : বলতে হবে না। রাসূল (ছাঃ) কিংবা ছাহাবীদের থেকে এরূপ বলার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে ছালাতের বাইরে শুনলে বলতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৯২১)।প্রশ্নকারী : আমীনুর রহমান, ঝিনাইদহ।
উত্তর : হাদীছটি জাল (মুসনাদে আবী ইয়া‘লা হা/৬২২৪, যঈফুল জামে‘ হা/৫৭৮৭; মওযূ‘আত ১/২৪৭)।প্রশ্নকারী : মুশতাক, তালা, সাতক্ষীরা।
উত্তর : বকেয়া মোহর স্ত্রীর জন্য স্বামীর ঋণস্বরূপ। তাই স্ত্রী মারা গেলেও তাকে মোহরানা প্রদান করতে হবে। আর প্রাপ্ত অর্থ ওয়ারিছরা মীরাছের বিধান অনুপাতে পাবেন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/১৬; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/৮৬)। এক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত মোহর
উত্তর : এভাবে মৃত্যু সংবাদ জানানো জায়েয। হাবশার সম্রাট নাজাশী মৃত্যুবরণ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার মৃত্যু সংবাদ মুসলমানদের জানিয়ে দেন এবং মুসলিম হওয়ার কারণে তার জানাযার ছালাত আদায় করেন’ (বুখারী হা/১৩২৭)। উল্লেখ্য যে, মসজিদের মাইকে বা বাযারে ক
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না। কেননা ছালাতে একাগ্রতা আনার নামে চোখ বন্ধ রাখা মাকরূহ (ছালেহ আল-ফাওযান, আল-মুনতাক্বা ৪৯/৩২; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৭/১০৪ -০৫)। বরং ছালাতের মধ্যে সিজদার স্থানের দিকে এবং তাশাহহুদের সময় আঙগুলের ইশারার দিকে দৃষ্
উত্তর : সাবালিকা মেয়ের সম্মতি ব্যতীত পিতা তাকে এককভাবে বিবাহ দিতে পারেন না। খানসা বিনতে খিযামের আপত্তির কারণে রাসূল (ছাঃ) তার পিতার দেওয়া বিবাহ বাতিল করে দেন এবং পরে তিনি আবু লুবাবাহ ইবনুল মুনযিরের সাথে বিবাহিতা হন (বুখারী হা/৬৯৪৫; মিশকাত হা/৩১
উত্তর : সূর্যোদয়ের পরপরই প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে একে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’ বলা হয় এবং কিছু পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে ‘ছালাতুয যোহা’ বা চাশতের ছালাত বলা হয়। ইশরাক, যোহা, আউয়াবীন সবই একই ছালাত। এই ছালাত বাড়ীতে পড়া ‘মুস্তাহাব’। এটি সর্বদা প
উত্তর : অবাধ্য স্ত্রীর ছালাত কবুল হবে না মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’জন ব্যক্তির ছালাত তার মাথা অতিক্রম করবে না (কবুল হবে না)। (১) যে দাস তার মালিক হ’তে পলায়ন করেছে যতক্ষণ না সে ফিরে আসে। (২) অবাধ্য স্ত্রী যতক্ষণ না সে আনুগ
উত্তর : প্রথমতঃ সম্পদ স্বামী ও ছেলের মাঝে বণ্টিত হবে। অর্থাৎ স্বামী এক-চতুর্থাংশ পাবেন এবং ছেলে আছাবা হিসাবে পুরো সম্পদ পেয়ে যাবে (নিসা ৪/১২)। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অংশীদারদের নির্ধারিত প্রাপ্য অংশ দিয়ে দাও। অতঃপর যা অবশিষ্ট থাকে তা (আছাবা হিস
উত্তর : দাড়ি রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং দাড়িকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দাও। আর গোঁফ ছোট কর (বুখারী হা/৫৮৯২; মুসলিম হা২৫৯; মিশকাত হা/৪৪২১)। আর দাড়ি কাটা বা ছাঁটার পক্ষে কোন দলীল নেই; বরং এট
উত্তর : তাবীয ঝুলানো শিরক। তাবীয থাকার কারণে রাসূল (ছাঃ) এক ছাহাবীর বায়‘আত নেননি। সে তা কেটে ফেলে দিলে তিনি তার বায়‘আত গ্রহণ করেন এবং বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ হা/১৬৯৬৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৯৪; ছহীহাহ হা/৪৯২)। অন্য হাদীছে
উত্তর : এশার ছালাতের পরই তাহাজ্জুদের ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায় এবং ফজর উদয় হ’লে শেষ হয়ে যায় (মুসলিম হা/৭৩৬; মিশকাত হা/১১৮৮; ইবনুল মুনযির, আল-ইজমা‘ ৫০ পৃ.; আলবানী, ক্বিয়ামু রামাযান ২৬ পৃ.; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৩৪/১১৯)। তবে তাহাজ্জুদের ছালাতের মূল
উত্তর : দুই সিজদার মাঝে প্রচলিত দো‘আটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দে বর্ণিত হয়েছে। যেমন কোন কোন হাদীছে কেবল ‘রাবিবগ ফিরলী, রাবিবগ ফিরলী’ (আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দাও, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দাও) অংশটুকু এসেছে (আবুদাউদ হা/৮৫০, ৮৭৪; ইবনু মাজাহ হা/৮৯৭, ৮৯৮ ; ম
উত্তর : উক্ত আয়াতে ‘ভারী কিছু বিষয়’-এর অর্থ পূর্ণ কুরআন ও ইসলাম (কুরতুবী)। ক্বাতাদাহ বলেন, ‘আল্লাহর কসম! ভারী হ’ল এর ফরয সমূহ এবং দন্ডবিধি সমূহ’। মুজাহিদ বলেন, ‘এর হালাল ও হারাম সমূহ’। মুহাম্মাদ বিন কা‘ব আল-কুরাযী বলেন, ‘মুনাফিক ও কাফিরদের জন্য
উত্তর : শিশু জন্মের সপ্তম দিনে আক্বীক্বা দেওয়াই সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাউদ হা/২৮৩৯; ইবনু মাজা
উত্তর : মহিলারা কুরবানীর পশু সহ যেকোন পশু যবেহ করতে পারে। কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, তার একটি ছাগল ‘সালআ’ নামক চারণক্ষেত্রে ছিল। তাঁর এক দাসী ছাগলটিকে মরণাপন্ন দেখে পাথর দ্বারা যবেহ করে দেয়। বিষয়টি তিনি রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি
উত্তরঃ এ মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তাছাড়া সব সত্য কথাই তিতা এমন কথাও সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সত্য কথা বল যদিও তা তিতা হয়’ (আহমাদ, মিশকাত হা/৫২৫৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৬৬)।প্রশ্নকারী : অহীদুযযামান, পাঁচদোনা, নরসিংদী।
উত্তর : ইবনু জারীর ত্বাবারী (মৃ. ৩১০হি.), ইবনু বাত্ত্বা (মৃ. ৩৮৭হি.) ও ইবনু মানদাহ (মৃ. ৩৯৫হি.) প্রমুখ বিদ্বান সর্বপ্রথম অধিকতর বোধগম্যতার জন্য ইলমী দৃষ্টিকোণ থেকে তাওহীদকে একাধিক ভাগে বিভক্ত করেন। অতঃপর ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) ও ইবনুল ক্বাই
উত্তর : কোন মুসলিম ব্যক্তি পশু যবেহ করলে সুধারণা রাখতে হবে এবং অযথা সন্দেহ পরিহার করতে হবে। আর বিসমিল্লাহ বলে খাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৩৬৫)। কারণ একদা মদীনার গ্রামাঞ্চলের নওমুসলিমরা মদীনা শহরে গোশত বিক্রি করতে আসলে এব
উত্তর : পিতা-মাতা যে অবস্থানেই থাকুক সন্তানের দায়িত্ব হ’ল তার খোঁজ-খবর নেওয়া ও সামর্থ্য থাকলে আর্থিক সহায়তা করা। এমনকি তারা অমুসলিম হলেও দুনিয়াতে তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। আল্লাহ বলেন, পার্থিব জীবনে তাদের সাথে সদ্ভাব রেখে বসবাস করবে’
উত্তর : এগুলো হালাল প্রাণী। মানুষের যা রুচি হবে তা খাবে এতে কোন দোষ নেই (মায়েদাহ ৫/৮৮)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ নাসিম, রহনপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : হযরত শীছ (আঃ) আদম (আঃ)-এর তৃতীয় পুত্র সন্তান। হাবীলের মৃত্যুর পর আল্লাহ তা‘আলা শীছ (আঃ)-কে (যমজের বদলে) একক সন্তান হিসাবে দান করেন। সেজন্য তার নাম রাখা হয় শীছ। অর্থ আল্লাহর দান। তাঁর বংশধারায় আজকের পৃথিবীর সকল মানুষ বলে একদল বিদ্বান ম
উত্তর : মৃতকে গোসল দেওয়া ওয়াজিব। এক্ষণে গোসল দেওয়ার সময় হাত দ্বারা স্পর্শ করার কারণে শরীর ঝলসানো চামড়া খসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে কেবল মাইয়েতের দেহে পানি ঢেলে দেবে। এতেও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে তায়াম্মুম করাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/১৭৮; হায়তামী, তোহফ
উত্তর : হাদীছটি হ’ল, আব্দুল্লাহ বিন জা‘ফর (রাঃ) বলেন, নবী (ছাঃ) জা‘ফরের সন্তানদেরকে (জা‘ফর -এর শাহাদাতের জন্য) শোক প্রকাশের জন্য তিনদিন সময় দিলেন। অতঃপর তিনি তাদের কাছে এলেন এবং বললেন, আজকের পর থেকে তোমরা আর আমার ভাইয়ের জন্য কান্নাকাটি করবে ন
উত্তর : ব্যাঙের পেশাব নাপাক। কারণ যেসব প্রাণীর গোশত হারাম তার পেশাবও হারাম। অতএব ব্যাঙের পেশাব কাপড়ে লাগলে তা ধুয়ে ছাফ করতে হবে (ইবনু হাজার হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ১/৩১৭)।প্রশ্নকারী : ডা. আলফায আলী, নওগাঁ।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) কনস্টান্টিনোপল তথা বর্তমান ইস্তাম্বুল বিজয়ের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে বসে লিখতাম। একদিন তাকে প্রশ্ন করা হ’ল দুই নগরীর মধ্যে কোনটি প্রথম বিজিত হবে, কনস্টানটিনোপল
উত্তর : হিজড়া গরু বা ছাগল দ্বারা কুরবানী করা যাবে, যদি তার দ্বারা গোশত দূষিত বা দুর্গন্ধযুক্ত না হয়। রাসূল (ছাঃ) কুরবানীর প্রাণীর যে সকল দোষ বর্ণনা করেছেন তার মধ্যে হিজড়া অন্তর্ভুক্ত নয়। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, হিজড়া পশু দ্বারা কুরবানী হবে (হাত
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত বুঝে করুক বা না বুঝে করুক প্রতিটি হরফের বিনিময়ে দশটি নেকী রয়েছে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। তবে বুঝে পাঠ করলে অতিরিক্ত ছওয়াব পাওয়া যাবে। কেননা কুরআন তেলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য হ’ল উপদেশ গ্রহণ করা, যার জন্য কুরআন বুঝা আব
উত্তর : আব্দুল্লাহ ইবনুস সায়িব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূর্য ঢলার পর হ’তে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন এবং বলতেন, এ সময় আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়। আমার একান্ত ইচ্ছা, এ সময় আমার কোন সৎকর্ম আল্লাহর দরবারে পৌছুক (তিরমিযী হ
উত্তর : ফরয এবং ওয়াজিব অর্থ ও হুকুমের দিক থেকে কাছাকাছি পরিভাষা। শরীআ‘তের দৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য বিধানগুলিকে ফরয ও ওয়াজিব দ্বারা নির্দেশ করা হয়। অর্থাৎ এমন বিধান যা পালনে ছওয়াব পাওয়া যায় এবং পরিত্যাগে শাস্তি পেতে হয়। তবে উ
উত্তর : বাড়িতে জামা‘আতে ছালাত আদায় অপেক্ষা ওয়াক্তিয়া মসজিদে ছালাত আদায়ে অধিক ছওয়াব রয়েছে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ২/১৩৫; মিরকাত ২/৫৯৪)। কেননা প্রথমতঃ রাসূল (ছাঃ) মসজিদেই জামাআ‘তে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, যা ওয়াজিব (বুখারী হা/৬৪৪; মুসলিম হা/৬৫৩;
উত্তর : বাগদাদের আববাসীয় খলীফা মুত্বী‘ বিন মুক্বতাদিরের শাসনামলে (৩৩৪-৩৬৩ হি./৯৪৬-৯৭৪ খৃ.) তাঁর শক্তিশালী শী‘আ আমীর আহমাদ বিন বূইয়া দায়লামী ওরফে মু‘ইযযুদ্দৌলা হযরত হুসায়েন (রাঃ)-এর শাহাদত বার্ষিকী স্মরণে ৩৫২ হিজরীর ১০ই মুহাররমকে ‘শোক দিবস’ ঘো
উত্তর : এগুলি জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় ও গরীব মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করা যায়। যদিও এতে পরকালে কোন নেকী পাওয়ার আশা করা যাবে না। কেননা আল্লাহ পাক হারাম মালের ছাদাক্বা কবুল করেন না (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০১; আহমাদ, মিশকাত হা/২৭৭১)। (বিঃদ্রঃ ফাতাওয়া লাজনা
উত্তর : পাকা চুল ও দাড়ি উঠানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল তুলে ফেলো না। কেননা পাকা চুল হ’ল মুসলমানের জ্যোতি। কোন মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখেন, একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি পাপ মোচন করে
উত্তর : এটি তাঁদের যুক্তি মাত্র। যেখানে বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত, সেখানে যুক্তির কোন স্থান নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর বক্ষবিদারণের ঘটনা দু’বার ঘটেছিল। (১) দুধ মা হালীমার নিকটে ৪ বা ৫ বছর বয়সে (মুসলিম হা/১৬২, আনাস (রাঃ) হ’তে; মিশকাত হা/৫৮৫২)।
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে ‘খোলা’ করে থাকলে স্বামীকে তাতে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। স্ত্রীকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কুমতলব থাকলে কোনরূপ মালের বিনিময় ছাড়াই আদালত উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে। ছাবিত বিন ক্বায়েস-এর স্ত্রীকে ‘খোলা’-র মাধ্যমে রাসূলুল
উত্তর : এমর্মে বর্ণিত হাদীছটি মুনকার ও যঈফ। বর্ণনাটি হ’ল- রাসূল (ছাঃ) একদা একটি যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ছাহাবায়ে কেরামকে বললেন, আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে ফিরে আসলাম। অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হল বড় জিহাদ কি? তিনি বললেন, স্বীয় প্রবৃত্তির ব
উত্তর : মাইয়েতের জন্য জানাযার ছালাত ব্যতীত অন্য কোন সম্মিলিত দো‘আর অনুষ্ঠান নেই। অতএব জানাযার পরে পুনরায় মসজিদে বা বাইরে তার জন্য সম্মিলিতভাবে দো‘আ করা বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) কোন মাইয়েতকে কবরস্থ করার পর ছাহাবায়ে কেরামকে বলতেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাই
উত্তর : কথাটি ভিত্তিহীন। আহলেহাদীছ হওয়ার জন্য হাদীছ মুখস্ত করা শর্ত নয়, বরং সার্বিক জীবনে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের যথাযথ অনুসরণ করা আবশ্যক ।
উত্তর : পারস্পরিক সাক্ষাতে সালাম করা সুন্নাত (আবুদাঊদ হা/৫২০০, মিশকাত হা/৪৬৫০)। আর সালামের পর মুছাফাহা করতে হবে। একদা আনাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ যখন তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন সে কি তার জন্য মাথা
উত্তর : ছালাতের ১ম রাক‘আতের শুরুতে ‘আঊযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ অতঃপর প্রতি রাক‘আতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরার পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) যেকোন সূরা তেলাওয়াতের পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন (মুসলিম হা/৪০০)। এছাড়া বিসমিল্লাহ সূরা
উত্তর : মসজিদের প্রয়োজন না থাকলে মসজিদ কমিটির সম্মতিতে উক্ত জমিতে ঈদগাহ অথবা মাদরাসার মাঠ করাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ‘ওয়াকফ’ অধ্যায় ৩/৩১২)।
উত্তর : এতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) আযারবাইজান সফরে গেলে পুরো বরফের মৌসুম সেখানে আটকে যান ও ছয় মাস যাবৎ ক্বছর করেন (বায়হাক্বী ৩/১৫২ পৃঃ; ইরওয়া হা/৫৭৭ সনদ ছহীহ)। অনুরূপভাবে হযরত আনাস (রাঃ) শাম বা সিরিয়া সফরে গিয়ে দু’বছর সেখ
উত্তর : করা যাবে। আত্মহত্যা করা জঘন্য অপরাধ হ’লেও এর কারণে সে কাফের হয়ে যায় না, বরং মুসলমানই থাকে। আর যেকোন মুসলমানের জন্য দান-খয়রাত ও দো‘আ করা যায়। জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন মদীনায় হিজরত করেন, তখন তুফায়েল বিন আমরের সঙ্গে
উত্তর : নির্দিষ্টভাবে কেবল জুম‘আর দিন ছিয়াম পালন করা যাবে না। তার আগে বা পরে একদিন যোগ করে ছিয়াম রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন কেবল জুম‘আর দিন নির্দিষ্ট করে ছিয়াম পালন না করে তার একদিন আগে বা পরে
উত্তর : অন্যান্য ছালাতের ন্যায় জানাযার ছালাতেও উভয় দিকে সালাম ফিরাতে হয়। আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, লোকেরা তিনটি কাজ ছেড়ে দিয়েছে, যেগুলো রাসূল (ছাঃ) করতেন। তার একটি হ’ল, জানাযার ছালাতের সালাম অন্যান্য ছালাতের ন্যায় হওয়া (বায়হাক্বী ক
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত বক্তব্যটি সঠিক। অন্ধ ব্যক্তি যদি পরহেযগার হয় এবং অন্ধত্বকে আল্লাহর দেওয়া মনে করে ধৈর্য করলে আল্লাহ তাকে ছবরের বিনিময়ে জান্নাত দান করবেন। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি
উত্তর : পিতা সন্তানের কোন দেখাশুনা বা ভরণ-পোষণ না দিলে তার জবাবদিহিতা আল্লাহর দরবারে তিনিই করবেন। এ কারণে সন্তান তার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবে না। পিতা পাপ করলে এর জন্য সন্তান দায়ী নয়; আবার সন্তান পাপ করলে তার জন্য পিতা দায়ী নন। আল্লাহ তা‘
উত্তর : পণ্যের ঘাটতির সুযোগে অধিক মুনাফার লোভে কৃত্রিমভাবে মূল্য বৃদ্ধি করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২০ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়)। তবে যদি পণ্যের ঘাটতির কারণে সাধ
উত্তর : কেবল সূরা ফাতিহাতেই ছালাত শুদ্ধ হবে। তবে প্রত্যেক ছালাতের প্রথম দুই রাক‘আতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা পাঠ করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা। রাসূল (ছাঃ) কখনো তা পরিত্যাগ করেননি। অতএব ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ তা ত্যাগ করবে না। তবে ভুলবশতঃ প্রথম দুই র
উত্তর : হজ্জ ও ওমরাহ দু’টি পৃথক ইবাদত। হজ্জের সফরে একাধিক ওমরাহ করে থাকলে উক্ত ওমরাহ কবুল হবে না। কিন্তু এর কারণে তার হজ্জ কবুল হবে না এমনটি নয়। তাছাড়া তিনি এটি অজ্ঞতা বশে করেছেন। উল্লেখ্য যে, বিদ‘আতীর কোন নেক আমল কবুল হবে না’ মর্মে বর্ণিত হা
উত্তর : দুপুরে বিশ্রাম নেওয়া উত্তম। বিভিন্ন হাদীছে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক এর প্রমাণ পাওয়া যায় (বুখারী হা/২৯১০, ৯৪১, আবুদাঊদ হা/২৪৯০)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা দুপুরে বিশ্রাম নাও। কেননা শয়তান দুপুরে বিশ্রাম নেয় না’ (ছহীহাহ হা/১৬৪৭; ছ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৬)। একটি দেশে মুমিন-কাফির সবধরনের মানুষ বসবাস করে। আর নিজের দেশকে সবাই ভালবাসে। তাই বলে কি তাতে কোন কাফির মুমিন হ’তে পারবে? এগুলি আদৌ কোন হাদীছ নয়; বরং বানোয়াট বক্তব্য। যা হাদীছের নামে সম
উত্তর : বীর্য পবিত্র। জ্যেষ্ঠ তাবেঈ হুমাম বিন হারেছ একদিন আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হন। এমতাবস্থায় সকালে তিনি কাপড় ধুতে থাকলে আয়েশা (রাঃ)-এর দাসী সেটা দেখেন এবং তাঁকে সেটা অবহিত করেন। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, তার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, স
উত্তর : ‘উলুল আমর’ অর্থ শাসন ও কর্তৃত্বের অধিকারী। হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, ‘উলুল আমর’ যেকোন শাসক ও আলেম হতে পারেন; যখন তাঁরা আল্লাহকে মানার নির্দেশ দেন এবং তাঁর অবাধ্যতায় নিষেধ করেন’ (তাফসীর ইবনে কাছীর, সূরা নিসা ৫৯ আয়াতের ব্যাখ্যা)।আল্ল
উত্তর : সতর ও লেবাস সম্পর্কে চারটি শারঈ মূলনীতি অনুসরণীয় : (১) পোষাক পরিধানের উদ্দেশ্য হবে দেহকে ভালভাবে আবৃত করা। যাতে দেহের গোপনীয় স্থান সমূহ অন্যের চোখে প্রকট হয়ে না ওঠে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২৪ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়-১৬, অনুচ্ছেদ-২)। (২) ভিতরে-বাই
উত্তর : পাপ থেকে হেফাযত এবং পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকার শর্তে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে দীর্ঘ সময় দূরে থাকায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে পাপের সাথে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে অল্প দিনের জন্য হলেও দূরে থাকা বৈধ নয়। ওমর (রাঃ) নিজ কন্য
উত্তর : আলেম হৌক বা জাহিল হৌক, কোন মুসলিম ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কোন এক ব্যক্তির তাক্বলীদ করা, অর্থাৎ শারঈ বিষয়ে বিনা দলীলে তার থেকে সকল মাসআলা গ্রহণ করা জায়েয নয়। কেননা ‘তাক্বলীদ’ হল নবী ব্যতীত অন্যের কোন শারঈ বক্তব্যকে বিনা দলীলে কবুল করার
উত্তর : ইসলাম কবুল করুক বা না করুক শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আগমনের পর থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষ তাঁর উম্মত। যারা তাঁর দাওয়াত কবুল করে, তারা মুসলিম (أمة الإجابة)। আর যারা ইসলাম কবুল করেনি, তারাও তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত (أمة الدعوة)। যা
উত্তর : যে কোন নেককার মৃত মুসলিম ব্যক্তির নামের শেষে ‘রহেমাহুল্লাহ’ (আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন) এবং জীবিত ব্যক্তির নামের পরে ‘হাফিযাহুল্লাহ’ (আল্লাহ তাকে হেফাযত করুন) যোগ করতে কোন বাধা নেই। এটি বান্দার জন্য অপর বান্দার দো‘আ। রাসূল (ছাঃ) বিভিন
উত্তর : গোরস্থানের সীমানা প্রাচীর থাকলে ব্যক্তিবিশেষের কবরকে কেন্দ্র করে চারপার্শ্বে প্রাচীর দেওয়া যাবে না (আলবানী, তাহযীরুস সাজেদ ৮৯ পৃ.)। তবে কবরস্থানে সীমানা প্রাচীর না থাকলে কিংবা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কবরের চারপাশে বাঁশ দিয়ে ঘেরা যাবে বা প্রাচীর দ
উত্তর : খুৎবাতুল হাজত রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদেরকে নির্দিষ্ট কিছু শব্দে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের দু’টি তাশাহহুদ শিখাতেন একটি ছালাতে পড়ার জন্য, অপরটি খুৎবাতুল হাজতের জন্য (তিরমিযী হা/১১০৫; মিশকাত
উত্তর : হিন্দুদের তুলসী গাছ পূজার কারণে তা মুসলমানদের জন্য ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা এবং ঔষধের প্রয়োজনে বাড়ীতে লাগানো শরী‘আত পরীপন্থী নয়। কেননা আল্লাহ পাক বলেন, ‘আল্লাহ পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন তোমাদের কল্যাণের জন্য’ (বাক্বারাহ ২/২৯)। তবে কারো
উত্তর : সমকামিতা জিনগত বা মানসিক কোন সমস্যা নয়। বরং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলো সর্বশেষ গবেষণায় সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে, সমকামিতার পিছনে জিনগত কোন প্রভাব নেই (দ্র. উইকলি ন্যাচার সাইন্টিফিক জার্নাল, লন্ডন, ২৯শে আগস্ট ২০১৯)। বরং এটি চা
উত্তর : পাবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করেছেন (বুখারী হা/৬৫৩; মুসলিম হা/১৯১৫; মিশকাত হা/১৫৪৬)। তবে নিঃসন্দেহে এই মর্যাদা পেতে গেলে তাঁকে শিরক-বিদ‘আতমুক্ত ও বিশুদ্ধ আক্বীদা সম্পন্ন মুসলিম হ’তে হবে (মিরক্বাত
উত্তর : আয়া সোফিয়া ৫৩৭ খৃষ্টাব্দে বাইজান্টাইন সম্রাট কর্তৃক নির্মিত গির্জা, যেটি সে সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৪৫৩ সালে ওছমানীয় সুলতান মুহাম্মাদ আল-ফাতেহ ইস্তাম্বুল বিজয়কালে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। এটি কোন অন্যায় ব
উত্তর : এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণকারীই এককভাবে গুনাহগার হবে, আত্মীয়রা নয়। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বইবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। আর আত্মীয়-স্বজনদের কর্তব্য হবে ভবিষ্যতে উক্ত ব্যক্তি যেন সূদের সাথে জড়িত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা। কারণ সূদ প
উত্তর : শারঈ প্রয়োজন ব্যতীত কবর স্থানান্তর করা জায়েয নয় (বুখারী হা/১৩৫১-৪২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২৪/৩০৩; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২৭৩)। প্রশ্নানুযায়ী কবর স্থানান্তরের পেছনে শারঈ কোন ওযর আছে বলে মনে হয় না। এক্ষণে যদি এতে দুনিয়াবী উদ্দেশ্য থাকে,
উত্তর : যদি সাধারণভাবে নিয়মমাফিক (এনিমি/ভেস্টেড প্রোপার্টি এ্যাক্ট মোতাবেক) মুসলমানদের নামে রেকর্ড করা হয়ে থাকে তাহ’লে যাদের নামে রেকর্ড হয়েছে তারা ভোগ করবে। তবে যদি কোন হিন্দুর প্রতি অন্যায় করে নিজেদের নামে রেকর্ড করা হয়ে থাকে তাহ’লে অবশ্যই
উত্তর : মন্দ স্বপ্ন দেখলে করণীয় হ’ল; ১. ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে বাম দিকে ৩ বার থুক মারা, ২. তিন বার আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম বলা ৩. পার্শ্ব পরিবর্তন করা এবং এই খারাপ স্বপ্নের কথা কারো নিকটে প্রকাশ না করা (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত
উত্তর : পিতাই সন্তানের আক্বীক্বার জন্য মূল দায়িত্বশীল। তবে সামর্থ্য না থাকলে বা কষ্টকর হ’লে পিতার সম্মতিক্রমে আত্মীয়-স্বজন বা অন্যেরাও শিশুর আক্বীক্বা দিতে পারে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৯/৫৯৫; তোহফাতুল আহওয়াযী ৫/৯৫)। রাসূল (ছাঃ) তাঁর নাতি হাসান
উত্তর : ব্যক্তির আপন ভাই ও বোন না থাকায় বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা ফারায়েয বণ্টনের পর আছাবা হিসাবে সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে। বৈমাত্রেয় ভাইয়ের বর্তমানে আপন ভাতিজারা ওয়ারিছ হবে না। কারণ বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা ভাতিজাদের তুলনায় নিকটতম। তবে ব্যক্তি চাইলে ভাতিজাদের
উত্তর : সদ্যজাত শিশুর শরীরে লেগে থাকা পানি পবিত্র। অতএব তার দেহে ও মাথায় থাকা পানি কাপড়ে লেগে গেলে কাপড় অপবিত্র হবে না। তবে সতর্কতাস্বরূপ ধুয়ে নেয়াই উত্তম (ঊছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২১৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ৪২/১১৫)।প্রশ্নকারী : ফারহান
উত্তর : হজ্জ হয়ে যাবে। তবে নেকীতে ঘাটতি হবে (আহমাদ হা/১৮৯১৪, ছহীহুল জামে‘ হা/১৬২৬)। সেকারণ হজ্জে গমনের পূর্বে প্রয়োজনীয় দো‘আগুলো গুরুত্বের সাথে মুখস্থ করা যরূরী।প্রশ্নকারী : আব্দুল করীম, বাগমারা, রাজশাহী।
উত্তর : মুকুল আসার পূর্বে ফল বিক্রি করা জায়েয হবে না। কারণ জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এবং কয়েক বছরের মেয়াদে কোন গাছের বা বাগানের ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/২১৯৪-৯৬; মুসলিম হা/১৫৩৬; মিশকাত হা/২৮৪১; ছ
উত্তর : বিষয়টি পরিস্থিতি ও অপরাধের উপর নির্ভর করবে। তবে সাধারণভাবে কৃত অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতার কারণে কাউকে প্রদত্ত সুবিধা কেড়ে নেওয়া উচিৎ নয়। যেমনভাবে আয়েশা (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে যেনার অপবাদ দেওয়া হ’লে তাতে মিসত্বাহ বিন আছাছাহ যোগ দেন। এতে আবুবকর
উত্তর : মানত ও কুরবানী দু’টি পৃথক ইবাদত। মানত ওয়াজিব, কুরবানী সুন্নাত। এছাড়া মানতের পশু ছাদাক্বার জন্য নির্ধারিত এবং সেই পশুর পুরোটাই ছাদাক্বা করতে হয়। সুতরাং উক্ত পশু কুরবানীর জন্য নির্ধারণ করা যাবে না। অতএব যদি সামর্থ্য থাকে তবে ভিন্ন পশু দ
উত্তর : পরিস্থিতির কারণে যারা এ বছর হজ্জে যেতে পারছেন না, তাদের জন্য আগামী বছরই হজ্জে যাওয়ার নিয়ত করা যরূরী। কেননা হজ্জ ফরয হওয়ার পর তা যতদ্রুত সম্ভব আদায় করাই কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্জের সংকল্প করে, সে যেন তা দ্রুত
উত্তর : যাকাতের অর্থ যাকাতের নির্দিষ্ট খাতেই বণ্টন করতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা এর জন্য নির্দিষ্ট খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন (তওবাহ ৯/৬০)। আল্লাহ তা‘আলা যাকাতকে গরীবের হক বা অধিকার হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এটি ঋণ হিসাবে উল্লেখ করেননি (যারিয়াত ৫১/১৯; মুজাদ
উত্তর : এমন শর্তে দান করায় কোন বাধা নেই। এক্ষেত্রে বসবাসের জন্য অংশটুকু বা তার মূল্য বাদে অবশিষ্ট অংশ দান হিসাবে গণ্য হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৫/১২০-২২)।প্রশ্নকারী : কামরুল ইসলাম, ভোলা।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত আছারটি ছহীহ (ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৯; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২১১৯)। তবে এটি ছিল তাঁর ব্যক্তিগত ইজতিহাদ। যা কোন কারণবশতঃ হয়ে থাকবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিয়ো না। আর যখন তারা ব
উত্তর : মোবাইল বা যেকোন মাধ্যমে সিজদার আয়াত শ্রবণ করলে সিজদা দেওয়া উত্তম। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন এবং আমরা তাঁর নিকট থাকতাম, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম। এতে কখনও এত ভিড় হ’ত
উত্তর : সুন্নাত হ’ল সপ্তম দিনে শিশুর জন্য আক্বীক্বা দেওয়ার পরে তার মাথা মুন্ডন করা। সপ্তম দিনে শিশুর নাম রাখবে, এরপর আক্বীক্বা করবে, এরপর মাথা ন্যাড়া করবে এবং চুল পরিমাণ রৌপ্য ছাদাক্বা করবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৬/১০৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ
উত্তর : এরূপ চুক্তি শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ হাদীছ মোতাবেক ‘মুযারাবা’ পদ্ধতিতে ব্যবসা করা যায়। যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে ব্যবসার জন্য অর্থ প্রদান করবে। আর লাভ-ক্ষতি নির্দিষ্ট হারে উভয়ের মাঝে বণ্টিত হবে। উভয়ের সম্মতিতে এরূপ ব্যবসা বৈধ
উত্তর : কোন বিবাহিতা নারীকে আগাম বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হারাম। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যে সকল নারীকে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে বিবাহিতা নারী (নিসা ৪/২৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৯/১৯১)। এমনকি বিবাহিতা কোন নারীর সংসার ভেঙ্গে যায়, এমন
উত্তর : গানের কথা শিরক-বিদ‘আত ও অশ্লীলতা মুক্ত এবং সুন্দর অর্থবোধক হ’লে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গাওয়া যাবে। নবী করীম (ছাঃ) কবি হাস্সান বিন ছাবিত (রাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘হে হাস্সান! তুমি আমার পক্ষ থেকে কাফেরদের প্রতি ছন্দাকারে জবাব দাও’। তিনি আরো বলেছিলে
উত্তর : ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দু’টিই হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। তাই ঘুষ দিয়ে চাকরী নেওয়া জায়েয নয়। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয়, অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হ’
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর সবশেষ আমল ছিল তিনি চার তাকবীরে নাজাশীর জানাযার ছালাত আদায় করেছিলেন। আর এর উপরই প্রসিদ্ধ ইমামগণের অভিমত (আল-মাওসূআতুল ফিক্বহিয়া ১৩/২১১)। ইবনু কুদামা বলেন, জানাযার ছালাতের ক্ষেত্রে সুন্নাত হ’ল তা চার তাকবীরে আদায় করা, কম বা বেশী
উত্তর : লিখিত আকারে একে অপরের জন্য দো‘আ করা যায়। তবে লেখার সময় দো‘আ করার নিয়ত থাকতে হবে। আর অনুপস্থিত কারো জন্য দো‘আ করা নেকীর কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুসলিম তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দো‘আ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকটে একজন ফের
উত্তর : পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (নিসা ৪/৩৪)। সেকারণ পরিবারের যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িত্ব পিতার। এ দায়িত্ব পালন না করলে তিনি পাপী হবেন এবং তওবা না করলে যুলুমের জন্য পরকালে কঠিন শাস্তির ভাগিদার হবেন (নিসা ৪/৩৪, বুখারী হা/৭১৩৮; মুসলিম হা/
উত্তর : কোন বান্দা কি পাপ করবে এবং তার জন্য কি শাস্তি ভোগ করবে সবই আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ তিনি তাদের ভোগকৃত শাস্তি অগ্রিম প্রদর্শন করতেও সক্ষম, যা রাসূল (ছাঃ)-কে মি‘রাজে বা বিভিন্ন সময়ে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। তবে সাধারণ মান
উত্তর : উক্ত অর্থ কোম্পানীর পলিসি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ হিসাবে গ্রহণ করা জায়েয। তবে সাবধান থাকতে হবে যে, সাধারণভাবে কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক থাকলে তাদের হাদিয়া গ্রহণ করা সূদ হিসাবে গণ্য। আবূ বুরদাহ (রহঃ) বলেন, আমি মদীনায় গেলা
উত্তর : জুতা পায়ে দিয়ে কবরস্থানে যাওয়া নাজায়েয নয় (বুখারী হা/১৩৭৪, মুসলিম হা/২৮৭০, মিশকাত হা/১২৬)। তবে জমহূর বিদ্বানগণ বিনা প্রয়োজনে কবরস্থানে জুতা পরিধান করাকে সুন্নাতের খেলাফ বলেছেন এবং ময়লা-আবর্জনা না থাকলে পারতপক্ষে জুতা খুলে প্রবেশ করাই উত
উত্তর : বিশেষ ফযীলত মনে করে উক্ত দিবসে বিবাহের দিন ধার্য করা যাবে না। কেননা ১০ই মুহাররমে নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে দু’টি নফল ছিয়াম পালন ব্যতীত এ মাসে অন্য কিছুই করণীয় নেই। যার দ্বারা বিগত এক বছরের (ছগীরা) গোনাহ সমূহ মাফ করা হয় (মুসলিম, মিশক
উত্তর : আয়না দেখার বিশেষ দো‘আ সম্পর্কিত বর্ণনাগুলির কোনটি জাল এবং কোনটি খুবই দুর্বল (ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াউম ওয়াল লাইল হা/১৬৩-১৬৪; ইরওয়া ১/১১৫)। তবে (আয়না দেখা সহ) সাধারণভাবে যেকোন সময় নিজের সুন্দর অবয়বের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
উত্তর : এশার ছালাতের পরে দু’রাক‘আত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা আদায় করবে (বুখারী হা/১১৬৫; মুসলিম হা/৭২৮; মিশকাত হা/১১৫৯)। এরপরে বাড়িতে গিয়ে কেউ চাইলে চার রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতে পারে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৯৬)। উল্লেখ্য যে, এই চার রাক‘আত ছালাত বিশেষ কো
উত্তর : বিশেষ প্রয়োজনে একই ইমাম একাধিক স্থানে ঈদের ছালাতে ইমামতি করতে পারেন। ত্বালক বিন আলী (রাঃ) এক রাতে দুই জায়গায় তারাবীহর ছালাতে ইমামতি করেছিলেন (আবূদাঊদ হা/১৪৩৯; বায়হাক্বী সুনানুল কুবরা, হা/৪৬২২; আইনী, শরহ আবূদাঊদ ৫/৩৫০)।প্রশ্নকারী : মী
উত্তর : ডিএক্সএন মূলতঃ অসাধু এমএলএম ব্যবসা চালাচ্ছে। নানা আকর্ষণীয় প্যাকেজ দেখিয়ে তারা সদস্য ভর্তি করে এবং প্রায় বিনা পরিশ্রমে মোটা অংক লাভের প্রতিশ্রুতি দেয়। এদের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া মোটেই বৈধ হবে না। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের জিজিএন, ডেসটিনি,
উত্তর : জায়গার সংকীর্ণতার কারণে ইমামের পার্শ্বে তার ডানে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে এটা মুছল্লীর জন্য প্রথম কাতার হবে না। কেননা ইমামের পিছনের কাতার হ’ল ছালাতের প্রথম কাতার (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৪৬)।প্রশ্নকারী : রবীঊল ইসলাম, নওদ
উত্তর : ‘বিটকয়েন’ হ’ল ক্রিপ্টোকারেন্সি বা একধরনের সাংকেতিক মুদ্রা। এর নিজস্ব কোন মূল্যমান নেই। বাস্তব কোন রূপ নেই। এর অস্তিত্ব কেবল ইন্টারনেটে। এজন্য একে ডিজিটাল, ভার্চুয়াল বা অনলাইন কারেন্সিও বলা হয়। বর্তমানে বিটকয়েনের অনুরূপ প্রশ্নোল্লেখিত
উত্তর : ইমাম আবু হামেদ মুহাম্মাদ আল-গাযালী তূসী (৪৫০-৫০৫ হিঃ) প্রণীত গ্রন্থসমূহে বিশেষ করে তাঁর ‘এহইয়াউ ‘উলূমিদ্দীন’ ‘কিমিয়ায়ে সা‘আদাত’ প্রভৃতি গ্রন্থে অনেক শিক্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ সমূহ রয়েছে। কিন্তু সেগুলি এবং তাঁর অধিকাংশ গ্রন্থ
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। ইবনে ওমর (রাঃ) একদা রাসূল (ছাঃ)-কে নৌকাতে ছালাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ডুবে যাওয়ার ভয় না থাকলে তুমি নৌকায় দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় কর (হাকেম হা/১০১৯, দারাকুৎনী, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৭৭)। আব্দুল্লাহ ই
উত্তর : স্ত্রীর নিজস্ব আয় থেকে যেকোন নেকীর কাজে তার ব্যয় করার স্বাধীনতা রয়েছে। উম্মুল মুমিনীন সওদা ও যয়নব (রাঃ) নিজ হাতে কাজ করতেন ও ছাদাক্বা করতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮৭৫, ‘যাকাত’ অধ্যায়)। ছাহাবী ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর স্ত্রী স্বীয় উপার্জন
উত্তর : গাছ-পালা বা তার ছবি ঘরে রাখা যাবে। গাছ-পালা মানুষ বা পশু-পাখির অনুরূপ প্রাণ ও বোধশক্তি সম্পন্ন নয়। জনৈক ব্যক্তি ইবনু আববাস (রাঃ)-কে বললেন, আমি ছবি-মূর্তি অংকন করি। এটা আমার জীবিকা নির্বাহের পথ। তখন ইবনু আববাস (রাঃ) বললেন, তুমি গাছ-পাল
উত্তর : উক্ত আছারটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, যার সবগুলিই দুর্বল (দুর্রে মানছূর, ইবনু কাছীর, সূরা নিসা ৬৫ আয়াতের আলোচনা দ্রঃ)।
উত্তর : বিক্রেতা সরাসরি গোনাহগার হবে না বটে, কিন্তু এতে পাপের সহযোগিতা হবে। অতএব এরূপ ব্যবসা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। কারণ এগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাপের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা নেকী এবং তাকওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং
উত্তর : সন্তান উক্ত পিতার দিকে সম্পর্কিত হবে না এবং সে পিতার সম্পদের ওয়ারিছ হবে না; বরং তার মায়ের দিকে সম্পর্কিত হবে এবং সে কেবল মায়ের সম্পদের ওয়ারিছ হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লি‘আনের ফায়ছালায় সন্তানকে তার মায়ের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন (বুখারী হা
উত্তর : সাত দিনের কোন সত্যতা নেই। বরং কোন শিশুকে পাঁচবার দুধ পান করালে শিশু দুধ সন্তান হিসাবে গণ্য হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, প্রথমে দশ বার দুধ পান করার কথা কুরআনে বলা হয়। তার পর পাঁচ বারের কথা অবতীর্ণ হলে দশবারের বিধান রহিত হয়ে যায়। এ সময় রাসূলু
উত্তর : হ্যাঁ জায়েয। ঈদায়নের ছালাতের খুৎবার পর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মহিলাদের কাতারে চলে যেতেন ও তাদেরকে উপদেশ দিতেন ও ছাদাক্বা করার নির্দেশ দিতেন। তারা তাদের কানের দুল ও গলার হার খুলে বেলালের হাতে তুলে দিতেন (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪২৯)।
উত্তর : সন্তান যতদিন উপার্জনক্ষম না হয়, ততদিন পিতার অর্থ গ্রহণ করবে। কারণ সাধ্যের বাইরে আল্লাহ মানুষের উপর কোন কাজ চাপিয়ে দেন না (বাক্বারাহ ২/১৮৬)। তবে কর্মক্ষম হলে তাকে নিজে হালাল রূযীর চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, হে মানুষ পৃথিবীর মধ্যে যা হাল
উত্তর : পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমার গোপনস্থান ঢেকে রাখ। তবে তোমার স্ত্রী ও তোমার দাসী এর অন্তর্ভুক্ত নয় (ইবনু মাজাহ হা/২৭৯৪; মিশকাত হা/৩১১৭)। উল্লেখ্য আয়েশা (রাঃ) থেকে ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর গোপন স্থান কখনো দেখিনি’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু
উত্তর : ওমরাহর ইহরাম বাঁধার জন্য মক্কাবাসী হারাম এলাকার বাইরে যাবেন ও সেখান থেকে ওমরাহর ইহরাম বেঁধে আসবেন। এজন্য সবচেয়ে নিকটবর্তী হ’ল ৬ কিঃমিঃ উত্তরে ‘তান‘ঈম’ এলাকা। বিদায় হজ্জের সময় ওমরাহর ইহরাম বাঁধার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্ত্রী আয়েশা (রা
উত্তর : ইমাম সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন এবং তার সাথে কুরআনের কিছু অংশ পড়েছেন। অতএব তাঁর ছালাত শুদ্ধ হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَبِمَا شَآءَ اللهُ أَنْ تَقْرَأَ ‘অতঃপর তুমি ‘উম্মুল কুরআন’ অর্থাৎ সূরায়ে ফ
উত্তর : পড়া যাবে। তাহাজ্জুদ বা বিতর ক্বাযা হয়ে গেলে ‘উবাদাহ বিন ছামিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ, আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবীগণ ফজর ছালাতের আগে তা আদায় করে নিতেন (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৮৩)। এছাড়া বিতর পড়ে শুয়ে গেলে এবং ঘুম অথবা ব্যথার
উত্তর : ‘বৈশাখ’ উদযাপন একটি অনৈসলামী প্রথা। যা থেকে মুসলিমকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। হযরত আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন মদীনাবাসীদের দু’টি উৎসব পালন করতে দেখে তিনি তাদের বলেন, তোমাদের এ দু’টি দিন কেমন? তারা ব
উত্তর : জানাযার যে কয়টি তাকবীর ছুটে যাবে মুছল্লী তা ইমামের সালাম ফিরানোর পর আদায় করে নিবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘ছালাতের যে অংশটুকু তোমরা পাও সেটুকু আদায় কর এবং যেটুকু বাদ পড়ে, সেটুকু পূর্ণ কর’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮৬)। তবে
উত্তর : ইস্তিখারাহ ঐ ছালাতকে বলা হয়, যার মাধ্যমে দোদুল্যমান বিষয়ে আল্লাহর নিকটে ফয়ছালা কামনা করা হয়। যে বিষয়ের পরিণতি সম্পর্কে বান্দা অজ্ঞাত, এর মাধ্যমে সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল
উত্তর : অত্র আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর আল্লাহর জন্যই পূর্ব ও পশ্চিম। অতএব যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন সেদিকেই রয়েছে আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যাপী ও সর্বজ্ঞ।কোন কোন বিদ্বান বলেছেন যে, ১৬/১৭ মাস বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে ছালাত আ
উত্তর : একথা ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে ছহীহ হাদীছে এসেছে, রাসূল (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয ছালাতের পর ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে তার কোনই বাধা থাকে না (নাসাঈ কুবরা হা/৯৯২৮, মিশকাত হা/৯৭৪; ছহীহাহ হা/৯৭২)। এছাড়
উত্তর : ঘটনাটির কোন সত্যতা নেই। আর এটি নিঃসন্দেহে রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত বিরোধী। কারণ তিনি বলেন, তিনদিনের কমে কুরআন খতমকারী তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় না (তিরমিযী হা/২৯৪৯, মিশকাত হা/২২০১)। তাছাড়া এটি অসম্ভব বিষয়। এ ধরনের ঘটনা বরং ইমাম আবু হানীফা (র
উত্তর : হজ্জ বা যেকোন নেক আমলের নিয়ত করে কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে সে উক্ত আমলের নেকী পাবে বলে আশা করা যায়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা নেকী ও পাপ লিখেন। অতএব যে ব্যক্তি কোন নেকী করার সংকল্প করে তা বাস্তবায়ন করতে পার
উত্তর : সৌন্দর্যের জন্য পুরুষদের হাতে-পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা জায়েয নয় (ইবনু হাজার, ফৎহুল বারী হা/৫৮৯৯-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। কারণ মেহেদী এক ধরনের রঙ। আর পুরুষদের জন্য রঙ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জেনে রাখো যে, পুরুষদের খোশবূ এমন,
উত্তর : অমুসলিমের জন্য আরবী মূল কুরআন স্পর্শ করা জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পবিত্র ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না (ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৭৭৮০)। এটা ছোট ও বড় উভয় পবিত্রতাকে শামিল করে। আর অমুসলিমরা উভয় দিক দিয়েই অপবিত্র। তবে অমুসলিমদের জন্য
উত্তর : এর জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। শারীরিক গঠনে পরিবর্তন দেখা দিলে এবং সাবালিকা হ’লে তার উপর পর্দা ফরয হয়ে যায়। তবে সাবালিকা হওয়ার পূর্ব থেকেই পর্দার অভ্যাস গড়ে তোলা যরূরী (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৭/২১৯)। ছাহাবায়ে কেরাম তাদের শিশুদের ছালাত ও
উত্তর : ডিম যদি পূর্ণরূপ ধারণ করে এবং তাযা থাকে, তবে তা খেতে বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, তোমাদের উপর পবিত্র বস্ত্ত হালাল করা হয়েছে এবং সকল খবীছ বস্ত্ত হারাম করা হয়েছে (আ‘রাফ ১৫৭)। এখানে মৃত্যুর কারণে মুরগী হারাম হলেও তার তাযা ডিম হারাম নয়।
উত্তর : এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন আমল বা নির্দেশনা পাওয়া যায়না। তবে আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ, আবু যর, হুযাইফা (রাঃ) সহ একদল ছাহাবা হতে মওকূফ সূত্রে এরূপ নির্দেশনা পাওয়া যায় (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/১৭৪৩৮, ১৭৪৪১; আলবানী, আদাবুয যিফাফ পৃঃ
উত্তর : কথাটি ভিত্তিহীন। ছালাত ফরয হোক বা নফল হোক, সকল ছালাতেই ছানা পাঠ করা সুন্নাত। কেবল জানাযা ছালাতে নয়। কারণ জানাযা ছালাতে ছানা পড়ার কোন দলীল নেই (শারহুল মুনতাহা ৩/৬০)।
উত্তর : হক প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন কিছুতেই বাধা নেই। তবে সর্বাবস্থায় বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আবশ্যক। হক কথা বলার সময়ও সর্বোচ্চ সম্মান বজায় রাখতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের মর্যাদা বুঝে না, সে আমাদের
উত্তর : হক পাওয়ার পর দাওয়াত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এভাবে জাহান্নামের পথ অবলম্বন করা নিতান্তই গোমরাহী। আল্লাহ বলেন, হে নবী! তুমি বলে দাও যে, হক আসে তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে। অতঃপর যে চায় তাতে বিশ্বাস স্থাপন করুক, আর যে চায় তা প্রত্যাখ্যান করুক। আম
উত্তর : এভাবে বিবাহ প্রদান শরী‘আতসম্মত নয়। বিবাহ দেওয়ার জন্য সাবালক ছেলে-মেয়ের অনুমতি গ্রহণ করা আবশ্যক। জনৈক সাবালিকা মেয়েকে তার পিতা তার অসম্মতিতে বিবাহ দিলে রাসূল (ছাঃ) মেয়ের আপত্তির কারণে উক্ত বিবাহ বাতিল করে দেন (বুখারী, মিশকাত হা/৩১২৮, ইবন
উত্তর : যেকোন কাজ শুরু করার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নাত। কিন্তু কাপড় ধৌত করার পরে পুরোপুরি পবিত্র করার লক্ষ্যে বিসমিল্লাহ বলে পুনরায় তিনবার পৃথকভাবে পানিতে ডুবানোর প্রথাটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বরং পানি দ্বারা কাপড়ের নাপাক অংশটুকু একবার ধুয়ে
উত্তর : শরী‘আতে এরূপ অনুষ্ঠানের কোন ভিত্তি নেই। বরং এরূপ অনুষ্ঠানের নামে যা কিছু হয়ে থাকে সবই স্পষ্ট বিদ‘আত। অতএব এখানে অংশগ্রহণ করা, সহযোগিতা করা বা বক্তব্য প্রদান করা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক। ‘ঈছালে ছওয়াব’ অর্থ ছওয়াব পৌঁছানো। অথচ প্রত্যেক নেক
উত্তর : মুসলিম ব্যক্তি শরী‘আতের যথাযথ অনুসারী হয়ে সার্বিক জীবন পরিচালনা করলে কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে নিয়মিতভাবে ‘সূরা মুলক’ প্রতিদিন তেলাওয়াত করলেও কবরের আযাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশা করা যায় (হাকেম, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১
উত্তর : না। বরং ছালাতরত অবস্থায় ইমামের ভুল হ’লে পুরুষ মুক্তাদী ‘সুবহা-নাল্লাহ’ বলবে, আর মহিলা মুক্তাদী হাত দ্বারা হাতের পিঠে হাত মেরে শব্দের মাধ্যমে লোকমা দিবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৯৮৮, ‘ছালাত অবস্থায় অসিদ্ধ ও সিদ্ধ আমলসমূহ’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : মাহরাম হিসাবে গণ্য হবে না। পালকপুত্রকে রক্তসম্পর্কীয় পুত্র হিসাবে গণ্য করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (আহযাব ৩৭, ৪০, তাফসীর ইবনে কাছীর)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পালকপুত্র যায়েদ বিন হারেছার তালাক দেওয়া স্ত্রী যয়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করেছিলেন (বুখারী, মু
উত্তর : কারো আপত্তি না থাকলে ছালাত শুদ্ধ হবে। তবে মসজিদের নামে স্থানটি ওয়াক্ফ করা যরূরী (বুখারী হা/২৭৭৪)।
উত্তর : ছাহাবায়ে কেরামের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে ছহীহ সূত্রে কিছু বর্ণিত হয়নি। তবে ইমাম মুসলিম (রহঃ)-এর উস্তাদ আবূ যুর‘আহ্ রাযী এর সংখ্যা এক লক্ষ চৌদ্দ হাযার বলে উল্লেখ করেছেন (খতীব বাগদাদী, আল-জামে‘ ২/২৯৩)। কারো মতে, এর সংখ্যা এক লক্ষ চবিবশ হাযার
উত্তর : তিনি স্বহস্তে গাছ লাগিয়েছেন একথা ঠিক। রাসূল (ছাঃ) সালমান ফারেসী (রাঃ)-এর দাসত্বমুক্তির জন্য চুক্তিকৃত জমিতে বরকতের উদ্দেশ্যে নিজ হাতে খেজুর গাছের চারা রোপণ করেছিলেন (আহমাদ হা/২৩৭৮৮; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮৯৪)। এটি কোন বাধ্যগত বিষয় নয়। বরং
উত্তর : উক্ত গোপন ইলম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রাঃ) স্বয়ং কিছু বলেননি। তবে মুহাদ্দিছগণ এ হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি যা গোপন করেছিলেন, সেগুলি খুলাফায়ে রাশেদীন পরবর্তী মন্দ আমীর-ওমারাদের নাম, পরিচয়, সময়কাল, অবস্থা ইত্যাদি সংক্রান্ত ছিল। আবু হুরা
উত্তর : ঘটনা সঠিক। আববাসীয় খলীফা মামূন (১৯৮-২১৮ হিঃ), মু‘তাছিম বিল্লাহ (২১৮-২২৭ হিঃ) এবং ওয়াছিক বিল্লাহ (২২৭-২৩২ হিঃ)-এর শাসনামলে ‘কুরআন সৃষ্ট কি-না?’ এ বিষয়ে বিতর্কের উপর ভিত্তি করে মু‘তাযেলী আলেমদের চক্রান্তে খলীফাত্রয় তাঁর উপর এ নির্মম নির
উত্তর : বর্ণনাটি মওযূ বা জাল। কারণ এর একাধিক বর্ণনা সূত্রে অধিকাংশই যঈফ ও অপরিচিত রাবী রয়েছেন (বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩২৯৮)। তবে পিতা-মাতার প্রতি অনুগ্রহ করার জন্য কুরআন ও হাদীছে অসংখ্য নির্দেশ রয়েছে। যেমন ইসরা ২৩-২৪; তিরমিযী হা/
উত্তর : শরী‘আত নির্দেশিত দিনগুলি ব্যতীত মাসের কোন দিনকে ছিয়ামের জন্য নির্দিষ্ট করা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। শরী‘আত নির্ধারিত ছিয়াম যেমন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার (আহমাদ হা/৮৩৪৩, ছহীহুল জামে‘ হা/৪৮০৪), আরবী মাসের ১৩,১৪,১৫ (বুখারী হা/১৯৮১, নাসাঈ হা/
উত্তর : হায়েয এবং নিফাসের অবস্থায় ই‘তিকাফ করা যাবে না। যদি ই‘তিকাফ অবস্থায় হায়েয শুরু হয়ে যায় অথবা সন্তান প্রসব হয়ে যায়, তবে ই‘তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) ঈদের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ঋতুবতী নারীদেরকে নির্দেশ দিলেও তাদেরকে ছালাত
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গুনাহ ও অন্যায়ের কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। সুতরাং যে যে অবস্থানে থাকুক না কেন, আল্লাহর বিধান মেনে অকল্যাণকর কাজ থেকে বিরত থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। দেশের সা
উত্তর : উক্ত চিঠির ঘটনাটি বহু বিশ্বস্ত ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ৭/১০০; ইবনু আসাকির, তারীখু দিমাশক্ব ৪৪/৩৩৭; সুবকী, তাবাক্বাতুশ শাফেঈয়াহ কুবরা ২/৩২৬; সৈয়ূতী, তারীখুল খুলাফা ১/১১৩ প্রভৃতি। তবে দু’টি কারণে বর্ণনাট
উত্তর : সূরা যুমার ৫, ক্বাফ ৯, লোকমান ২৯, নাযি‘আত ৩০ প্রভৃতি আয়াত সমূহ পৃথিবী গোলাকার হওয়ার প্রমাণ বহন করে। উক্ত আয়াত সমূহে আল্লাহ বলেন, يُكَوِّرُ اللَّيْلَ عَلَى النَّهَارِ وَيُكَوِّرُ النَّهَارَ عَلَى اللَّيْلِ ‘তিনিই দিবসের উপর রাত্রিকে এব
উত্তর : ঐ ব্যক্তি পুনরায় তওবা করবে (যুমার ৫৩, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৬)। পুনরায় লিপ্ত না হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করবে এবং এ ব্যাপারে আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন বান্দা অপরাধ করল এবং বলল,
উত্তর : ট্রাকের ক্রয় মূল্যের উপর যাকাত লাগবে না। বরং ট্রাক থেকে উপার্জিত অর্থ যদি নিছাব পরিমাণ হয় এবং তা একবছর সঞ্চিত থাকে, তাহলে ২.৫% হিসেবে যাকাত দিতে হবে। তবে নিছাব পরিমাণ সম্পদ সঞ্চিত না রেখে যদি ঋণ পরিশোধ করে সেক্ষেত্রে যাকাত প্রদানের প্
উত্তর : তাক্বদীর শব্দটির অর্থ নির্ধারণ করা বা অনুমান করা। শারঈ পরিভাষায় তাক্বদীর হ’ল, আল্লাহ কর্তৃক বান্দার ভবিষ্যত নির্ধারণ করা। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্
উত্তর : লাশ না মিললেও মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হ’লে তার গায়েবানা জানাযা আদায় করতে হবে। কেননা জানাযার ছালাত মৃতের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার মাধ্যম। আর লাশ না পাওয়া গেলে দাফন-কাফনের বিষয়টি বিবেচ্য নয়।
উত্তর : ক্বিয়ামতের আলামত হিসাবে উক্ত মর্মে নিম্নোক্ত ভাষায় ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের দু’টি দলকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। একটি দল হিন্দুস্থানে যুদ্ধ করবে আর দ্বিতীয় দল ঈসা ইবনু মারিয়ামের
উত্তর : প্রথমতঃ পেশাব করার পরে ইস্তিঞ্জা না করা গুরুতর অপরাধ এবং কবরের শাস্তির অন্যতম কারণ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩৮)। দ্বিতীয়তঃ ছালাত কবূলের পূর্বশর্ত হল, পবিত্রতা অর্জন করা (বুখারী হা/১৩৫, মুসলিম হা/২২৪)। সুতরাং ওযূ বা পানি না পাওয়ার শর্তে ত
উত্তর : ইলহাম অর্থ প্রেরণা সৃষ্টি করা। এটি হ’ল এক ধরনের অনুপ্রেরণা, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোন প্রকার বাহ্যিক উৎসের যোগসূত্রতা ছাড়াই অন্তরে অনুভব করেন।আর ইলক্বা অর্থ নিক্ষেপ করা। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অন্তরে কোন কিছু এমনভাবে প্রতীয়মান হওয়া
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ আমাকে সালাম দিলে আল্লাহ তা আমার রূহের উপর ফিরিয়ে দেন। অতঃপর আমি উক্ত সালামের উত্তর দেই (আবুদাউদ হা/২০৪১; মিশকাত হা/৯২৫)। এজন্য একদল ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছে (নাসাঈ, দারেমী, মিশকাত হা/৯২৪)। অর্থাৎ ফেরেশতা মারফত তাঁর নিকট স
উত্তর : সূরা তওবার প্রথমে বিসমিল্লাহ রাখার জন্য জিবরীল (আঃ) কোন বিধান নিয়ে অবতীর্ণ হননি। ঐ অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যু হয়ে যায়। ফলে সূরা আনফাল ও তওবাহর বিষয়বস্ত্ত কাছাকাছি হওয়ায় হযরত ওছমান (রাঃ) উভয়ের মাঝে বিসমিল্লাহ লেখেননি (ইবনু কাছ
উত্তর : এসব কাজ মসজিদে করা যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে শরী‘আতের বিভিন্ন কাজ মসজিদে করা হ’ত। যেমন মসজিদে কোন কিছু বণ্টন করা (বুখারী হা/৪২১)। মসজিদে খাওয়া (বুখারী হা/৪২২)। মসজিদে বিচার করা (বুখারী হা/৪২৩)। মসজিদে ঘুমানো (বুখারী হা/৪৩৯)। মসজিদে কবিতা
উত্তর : ফিৎরা আদায় করা ধনী-গরীব সকল মুসলমানের উপর ফরয। এজন্য ছাহেবে নিছাব হওয়া শর্ত নয়। কারণ এটা মালের ছাদাক্বা নয়, বরং জানের ছাদাক্বা। সেকারণ ঈদের দিন সকালেও যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তার জন্য ফিৎরা আদায় করা ফরয নয়। আবার ঈদের দিন সকালে কোন বাচ
উত্তর : এরূপ বৃত্তি বা ঋণ গ্রহণ করা যাবে না। কারণ এটা ব্যাংক সূদ গ্রহণের মাধ্যমেই উপার্জন করে। এরূপ বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে উক্ত ব্যাংকগুলি মূলতঃ মানুষকে তাদের সূদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে প্রলুব্ধ করে। অতএব এসব ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি বা ঋণ গ
উত্তর : হবে না। কেননা স্ত্রী উক্ত মেয়েটির খালা হচ্ছেন। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘কোন নারীকে তার ফুফুর সথে (বিবাহ বন্ধনে) একত্র করা যাবে না। আর না কোন নারীকে তার খালার সাথে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৬০;
উত্তর : নিম্নোক্ত কারণে এগুলি থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। (১) সময় ও অর্থের অপচয়। বিনোদনের নামে এসব খেলা মানুষের সময় নষ্ট করে। তাছাড়া এগুলি মানুষের পকেট ছাফ করে পুঁজিপতিদের পকেট ভর্তি করার একটা ফাঁদ মাত্র। আল্লাহ বলেন, ‘(সেই মুমিনগণ সফলকাম) যারা অন
উত্তর : এ মর্মে তিনটি জাল ও যঈফ হাদীছ পাওয়া যায় (বায়হাক্বী হা/৩৩২৪, ৩৩২৫, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৬৫২, ত্বাবারাণী কাবীর হা/১৭৮৭৯, যঈফাহ হা/৫৫০০)। অতএব এভাবে সিজদা করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : মুসাফির ব্যক্তি মুক্বীমের ইমামতি করতে পারেন। হযরত ওমর (রাঃ) মক্কায় আসলে তাদেরকে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করাতেন এবং বলতেন, ‘হে মক্কাবাসী! তোমরা তোমাদের ছালাত পূর্ণ কর, আমরা মুসাফির’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৫০৪, ১৫০৬, মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ
উত্তর : করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ঘুম ভাঙলে গোসল করে ছালাত (ফজর) আদায় করে মনে মনে ছিয়ামের নিয়ত করবে। কোন কিছু খাবে না। হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্ত্রীদের সাথে সহবাসের পর অপবিত্র অবস্থায় সকাল করতেন এবং ছিয়াম রাখতেন’ (মুত
উত্তর : অমুসলিমদের বৈধ উপার্জন থেকে মুসলমানগণ খেতে পারে। সে হিসাবে তাদের বৈধ উপার্জন দ্বারা রামাযানের ইফতারীর ব্যবস্থাও করা যায়। তবে গায়রুল্লাহর নামে তাদের যবেহকৃত পশুর গোশত ভক্ষণ থেকে বিরত থাকতে হবে (মায়েদাহ ৩)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যেসব মুশ
উত্তর : ই‘তেকাফ অবস্থায় মসজিদে কুরআন শিক্ষা দেওয়া যায় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪৩৭ পৃঃ ‘ই‘তেকাফকারীর জন্য যা করা পসন্দনীয়’ অনুচ্ছেদ)। তবে অর্থোপার্জনের স্বার্থে ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদে ছাত্র পড়ানো বা প্রাইভেট টিউশনী হিসাবে কুরআন-হাদীছ পড়ানো যাবে না। কার
উত্তর : মানত মানুষের নিয়তের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে সকল মানুষকে খাওয়ানোর নিয়ত করলে সকলেই তা খেতে পারবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৪১৬)। আর ছাদাক্বা মূলত গরীব-মিসকীনদের জন্য। তবে এযুগে বেসরকারী মাদরাসা ও ইয়াতীমখানাগুলি, যাদের পর্যাপ্ত আয়-রোজগার নেই, স
উত্তর : এরূপ আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করা থেকে বিরত থাকা যরূরী। কারণ এতে এটি রিয়া বা লোক দেখানো আমল হিসাবে গণ্য হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। রাসূল (ছাঃ) ‘রিয়া’-কে ‘ছোট শিরক’ বলে সবচেয়ে বড় পাপ হিসাবে বেশী ভয় করেছেন (আহমাদ হা/২৩৬৮০, মিশকাত হা/৫
উত্তর : সূদী ব্যাংকের বিষয়টি স্পষ্ট। ইসলামী ব্যাংকগুলিও সূদমুক্ত নয়। তাই উভয়টি থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন এবং সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, সূদগ্রহীতা, সূদ দা
উত্তর : মুসাফিরের জন্য জুম‘আর ছালাত আদায় করা যরূরী নয়। সে চাইলে জুম‘আ পড়তে পারে, চাইলে যোহরের ক্বছর করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে হজ্জ-এর সফর করেন, কিন্তু তাদের কেউ জুম‘আর ছালাত আদায় করেননি (ইরওয়া হা/৫৯৪)। অন্য হাদীছে এসেছে গো
উত্তর : এমতাবস্থায় সে তার খাওয়া সম্পন্ন করবে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ খাবার পাত্র অথবা পানির পাত্র হাতে নেয়, আর এমতাবস্থায় আযান শুনে, তখন সে যেন তা রেখে না দেয়; বরং খাওয়া শেষ করে’ (আ
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। বরং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় একশ’বার ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী’ পড়বে ক্বিয়ামতের দিন এর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আমল নিয়ে কেউ উপস্থিত হ’তে পারবে না। তবে ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে তা
উত্তর : খতম তারাবীহ বলে কোন কিছু শরী‘আতে নেই। বরং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি ইমামতি করলে সে যেন ছালাত সংক্ষিপ্ত করে। কারণ জামা‘আতে অনেক অসুস্থ, দুর্বল ও বৃদ্ধ মানুষ থাকেন। তবে কোন ব্যক্তি একা ছালাত আদায় করলে ইচ্ছামত ছালাত
উত্তর: উক্ত বাক্যটি রাসূল (ছাঃ) কেবল অমুসলিম শাসক ও নেতাদের নিকট পত্র লেখার সময় ব্যবহার করতেন (বুখারী হা/৭, মিশকাত হা/৩৯২৬)।
উত্তর: শিরকের পরে বিদ‘আত শরী‘আতের দৃষ্টিতে সর্বাধিক নিন্দনীয় আমল (মুসলিম হা/৮৬৭, নাসাঈ হা/১৫৭৮)। জেনেশুনে বিদ‘আতকারীর কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না সে তওবা করে ফিরে আসে’ (বুখারী হা/৩১৭২; মুসলিম হা/১৩১৭; মিশকাত হা/২৭২৮, ত্বাবারাণী, ছহীহ আত-তারগী
উত্তর : রামাযানের ছিয়াম ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। যা অবহেলাবশতঃ পরিত্যাগ করার মাধ্যমে ব্যক্তি কবীরা গোনাহে পতিত হয়। অতএব উক্ত তিন বছর ছিয়াম ত্যাগের জন্য অনুতপ্ত চিত্তে তওবা করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কোন দিন তা পরিত্যাগ করব না বলে প্রতিজ্ঞা করে
উত্তর: এমতাবস্থায় ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, সাধারণভাবে বমি হ’লে ছিয়াম ক্বাযা করতে হবে না। তবে ইচছাকৃতভাবে বমি করলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে এবং তদস্থলে একটি ছিয়াম ক্বাযা করতে হবে (তিরমিযী হা/৭২০, মিশকাত
উত্তর : এ ব্যাপারে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। ঈদের রাত্রি জাগরণকারীর অন্তর কখনো মারা যাবে না মর্মের বর্ণনাটি মওযূ‘ বা জাল (ইবনু মাজাহ হা/১৭৮২; সিলসিলা যঈফাহ হা/৫২০)। এ মর্মে আরো একটি জাল বর্ণনা এসেছে, যে ব্যক্তি চারটি রাত তথা- তারবিয়াহ, আর
উত্তর: ছিয়ামরত অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহারে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কেননা এটি খাওয়া বা পান করার অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এতে খাদ্যের চাহিদাও পুরণ হয় না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ২৬৯১, ১০/২৭১)।
উত্তর : আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে কেবল আলেমগণই আল্লাহকে ভয় করেন (ফাতির ২৮)। এর ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আলেম যিনি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেন না। আল্লাহ্কৃত হালালকে হালাল মনে করেন এবং হারামকে হারাম মনে করেন। তার আদেশ যথা
উত্তর : এরূপ মসজিদে ছালাত আদায় করা শরী‘আতসম্মত হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি (টাঙানো) থাকে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ (বুখারী হা/৩২২৫, মুসলিম হা/২১০৬, মিশকাত হা/৪৪৮৯)। এছাড়া মুছল্লীকে অমনোযোগী করতে পারে,
উত্তর: উল্লেখিত বক্তব্যটি ভিত্তিহীন। যেকোন ধরনের পানাহার বসে করাই সুন্নাত (মুসলিম হা/২০২৪, মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)। রাসূল (ছাঃ) একাধিক হাদীছে দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/২০২৫-২৬, তিরমিযী হা/১৮৮০) তবে প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পান করাও জায়েয (আহমাদ হা
উত্তর : অবশ্যই গুরুত্ব আছে। কেননা আগে-পরে সুন্নাত আদায়কারীর জন্য হাদীছে বিশেষ ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গোসল করে জুম‘আ মসজিদে আসে, অতঃপর সাধ্যমত ছালাত আদায় করে। অতঃপর খুৎবা শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকে এবং ইমামের সা
উত্তর : ফরয ছালাত সর্বাবস্থায় মসজিদে আদায় করাই উত্তম। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, যদি তোমরা তোমাদের বাড়ীতে ছালাত আদায় কর যেমন এই পিছনে পড়া ব্যক্তি তার বাড়ীতে আদায় করে থাকে, তাহ’লে তোমরা অবশ্যই তোমাদের নবীর সুন্নাত থেকে বিচ্যুত হবে। আর যদি তোমরা তো
উত্তর : প্রথম তাশাহহুদ ছুটে গেলে সালামের পূর্বে সহো সিজদা দিলেই যথেষ্ট হবে। আব্দুল্লাহ বিন বুহায়না (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহরের ছালাতে দু’রাক‘আত পর না বসেই দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর সালামের পূর্বে দু’টি সহো সিজদা দিলে
উত্তর : এসব ধর্মের নামে কুসংস্কার মাত্র। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন আমল প্রমাণিত নয়। অতএব এগুলি অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
উত্তর : ইনসুলিন গ্রহণ করা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। কেননা এটা কোন খাদ্য নয়। তবে রাতে তা গ্রহণ করলে যদি কোন দৈহিক ক্ষতির আশংকা না থাকে, তবে সেটা করাই উত্তম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১০/২৫২; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৬/২৫২-৫৪)।
উত্তর : মুছাফাহা করার পরে বুকে হাত দেয়া, হাতে চুমু দেয়া বা মাথা ঝুঁকানো কোনটিই ইসলামী রীতি নয়। বরং এগুলি বিদ‘আতী আমল। ছহীহ হাদীছে পরস্পরের ডান হাত মিলানোর মাধ্যমে মুছাফাহা করার পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। এর অতিরিক্ত সবকিছুই পরিত্যাজ্য (বিঃদ্রঃ ছালা
উত্তর : হাদীছটি একাধিক দুর্বল সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যার কোনটি জাল, কোনটি যঈফ (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৮৩২-এর আলোচনা দ্রঃ)।
উত্তর : এ দো‘আটি বিতর ছালাতের কুনূতে পাঠ করা মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ‘মুরসাল’ বা যঈফ (বায়হাক্বী ২/২১০; মিরক্বাত ৩/১৭৩-৭৪; মির‘আত ৪/২৮৫)। উপরন্তু এটি কুনূতে নাযেলাহ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে, কুনূতে রাতেবাহ হিসাবে নয়। আলবানী বলেন যে, এ দো‘আটি ওমর (রাঃ) ফজর
উত্তর : মুখস্ত না থাকলে যে কোন দো‘আ দেখে পড়তে বাধা নেই। এতে নেকীরও কোন ঘাটতি হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় কর সাধ্যমত’ (তাগাবুন ১৬)। তবে মুখস্ত করার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করে যেতে হবে।
উত্তর : এরূপ করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। পিপাসা এবং গরমের কারণে নবী করীম (ছাঃ)-এর উপর একবার পানি ঢালা হয়েছিল (আবুদাঊদ হা/২৩৬৫)। তবে কোন অবস্থায় যেন পানি পেটের মধ্যে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ১৯/২১১)।
উত্তর : ইফতারের জন্য একত্রিত হওয়া শরী‘আতসম্মত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ছায়েমকে ইফতার করালো, সে ব্যক্তি ঐ ছায়েম-এর ন্যায় ছওয়াব পেল। অথচ উক্ত ছায়েম-এর নিজের নেকী থেকে কিছুই কম করা হবে না’ (তিরমিযী হা/৮০৭, ইবনু মাজাহ হা/১৭৪৬)। এতে বুঝা যায়
উত্তর : কুরবানীর পশু নিজ হাতে যবেহ করা সুন্নাত (ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/২৫৭১)। তবে অন্যের মাধ্যমেও যবেহ করা যায়। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কিছু উট নিজ হাতে যবেহ করলেন এবং কিছু উট অন্যের মাধ্যমে যবেহ করালেন (ছহীহ নাসাঈ হা/৪৪
উত্তর : পশুর চলাফেরা যদি কষ্ট মনে হয়, তবে পায়ের বর্ধিত ক্ষুর কাটা দোষণীয় নয়। তাছাড়া নিখুঁত পশু ক্রয়ের পর যদি নতুন করে খুঁৎ হয় বা পুরনো কোন দোষ বেরিয়ে আসে, তবে ঐ পশু দ্বারাই কুরবানী জায়েয হবে (মির‘আত ২/৩৬৩; ফিকহুস সুন্নাহ ১/৭৩৮ পৃঃ; বিস্তারিত দে
উত্তর : ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে বস্ত্রহীন অবস্থাতেই পুনরুত্থিত করা হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫৩৬)। কোন হাদীছে বলা হয়নি যে, কাফন পরা অবস্থায় উঠবে। কেবল একটি হাদীছে এসেছে, প্রত্যেক বান্দা যে অবস্থায় মারা যাবে তাকে সে অবস্থায় উঠানো হবে (মুসলিম,
উত্তর : তামাক বা তামাকজাত যে কোন দ্রব্য, যা দেহের মধ্যে খাদ্যের ন্যায় তৃপ্তি যোগায়, তা খাদ্য হিসাবে গণ্য হবে। যেমন গুল, জর্দা, বিড়ি-সিগারেট সহ সকল প্রকার নেশাদার দ্রব্য। এছাড়া গুল মাদকদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত, যা খাওয়া বা ব্যবহার করা সর্বাবস্থায়
উত্তর : হ্যাঁ। সন্তান প্রসবকালীন সময়ে কোন মুমিন মহিলা মারা গেলে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন (আহমাদ হা/২২৭৩৭; মিশকাত হা/১৫৬১)।
উত্তর : চোরাইপথে উপার্জন করা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা নিষিদ্ধ। কেননা শরী‘আতবিরোধী না হ’লে যে কোন রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুসরণ করা জনগণের উপর অবশ্য কর্তব্য (নিসা ৫৯)। অতএব রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা ভঙ্গ করে চোরাইপথে মালয়েশিয়া গিয়ে অর্থ উপার্জন করা জায়েয হবে না
উত্তর : কবর খনন করা নিঃসন্দেহে নেকীর কাজ। এজন্য ঐ ব্যক্তি অশেষ ছওয়াবের অধিকারী হবেন। কেননা মহান আল্লাহ বলেন, ‘নেকীর কাজে তোমরা পরস্পরে সহযোগিতা কর...’ (মায়েদাহ ২)।কবর প্রশস্ত, গভীর ও সুন্দর হ’তে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কবর খনন ক
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় মসজিদের বাইরে কোন উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে আযান দেওয়া হ’ত। উদ্দেশ্য ছিল, দূরে আযানের আওয়াজ পৌঁছানো। উরওয়া ইবনুয যুবায়ের (রাঃ) বানু নাজ্জারের এক মহিলা হ’তে বর্ণনা করেন, মসজিদের নিকটে আমার বাড়িই সর্বাপেক্ষা উঁচু ছিল। ব
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ইকামতের পূর্বে নয়; বরং পরে পায়ে পা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাতার সোজা করে দাঁড়াতে বলতেন। কিন্তু এ সময় ইকামতের জবাব দিতে বলতেন মর্মে দলীল পাওয়া যায় না। তবে আযান ও ইক্বামত দু’টিকেই যেহেতু হাদীছে আযান বলে অভিহিত করা হয়েছে, সেহেতু
উত্তর : এমতাবস্থায় সিজদা দেওয়া উত্তম। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত পড়তেন এবং আমরা তাঁর নিকটে থাকতাম তখন তিনিও সিজদা করতেন আমরাও সিজদা করতাম’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০২৫, ‘তেলাওয়াতে সাজদাহ’ অনুচ্ছেদ)
উত্তর : কোনরূপ বিনিময় ছাড়াই ইমামতি বা অনুরূপ কোন ধর্মীয় কার্য সম্পাদন করা উত্তম। কেননা নবীগণ স্ব স্ব দ্বীনী দাওয়াতের বিনিময়ে কোনরূপ মজুরী গ্রহণ করেননি (ফুরক্বান ৫৭)। ইমামতি বা অনুরূপ কোন ধর্মীয় কাজের দায়িত্বশীল নিয়োগ করা হ’লে তার দায়িত্বের বি
উত্তর : উচ্চারণ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বা সহজে বুঝার জন্য এরূপ লেখায় কোন বাধা নেই। তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি আয়াতের উচ্চারণ ও মাখরাজের বিশুদ্ধতার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং উস্তাদের নিকট মাশক্ব করতে হবে। নতুবা ভুল উচ্চারণে অর্থের পর
উত্তর : মাইয়েতকে গোসল দেয়ার সময় পর্দার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং পূর্ণ শালীনতা ও পরহেযগারীর সাথে কুলপাতা দেওয়া পানি অথবা সুগন্ধি সাবান দিয়ে গোসল করাবে। সুন্নাতী তরীকা মোতাবেক গোসল করাতে সক্ষম এমন নিকটাত্মীয় বা অন্য কেউ মাইয়েতকে গোসল করাবে। পুরুষ
উত্তর : আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জন্তু এবং ধারালো নখ বিশিষ্ট পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১০৫)। অতএব হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি,
উত্তর : যরূরী অবস্থায় অমুসলিমের রক্ত কোন মুসলমানের দেহে প্রবেশ করানোতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। মুশরিকগণ আক্বীদাগত তথা বিশ্বাসগত দিক দিয়ে অপবিত্র (তওবা ৯/২৮), কিন্তু শারীরিক দিক দিয়ে নয়। এছাড়া অমুসলিমদের রক্ত দান করতেও কোন বাধা নেই। বরং মানুষ হি
উত্তর : বিতর ছালাতের পূর্বে সকল নফল ছালাত শেষ করাই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা রাতের শেষ ছালাত হিসাবে বিতর আদায় কর’ (বুখারী হা/৯৯৮, মুসলিম হা/৭৫১, মিশকাত হা/১২৫৮)। তিনি বলেন, ‘রাতের নফল ছালাত দুই দুই। অতঃপর যখন তোমাদের কেউ ফজর হয়ে যাবার আশংকা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ নেই। তবে রামাযান মাসে একটি ফরয আদায় করলে অন্য মাসে ৭০টি ফরয আদায়ের নেকী পাওয়া যায় মর্মে একটি হাদীছ এসেছে, যা যঈফ বা মুনকার (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/১৯৬৫, সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৭১)।
উত্তর : হারাম এলাকার অন্য মসজিদে উক্ত নেকী পাওয়া যাবে না। কারণ হাদীছে মসজিদুল হারাম বলতে মসজিদুল কা‘বাকে বুঝানো হয়েছে (মুসলিম হা/১৩৯৬, নাসাঈ হা/৬৯১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ব্যতীত (ছওয়াবের উদ্দেশ্যে) সফর করা যায় না। সেগুলো হ’ল. মসজিদুল কা
উত্তর : যদি কোন স্থানে সূর্য একেবারেই না ডুবে বা দিন-রাত্রির পার্থক্য সুস্পষ্ট না করা যায়, সেক্ষেত্রে সর্বনিকটবর্তী দেশ বা শহর যেখানে দিন-রাত্রির পার্থক্য স্পষ্ট করা যায় সেখানকার হিসাবে দিন-রাত্রি ভাগ করে ছিয়াম পালন করতে হবে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ই
উত্তর : কুরআনের আয়াত হৌক বা গাছ-গাছড়া হৌক সকল প্রকার তাবীয ব্যবহার করাই শিরক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলালো সে শিরক করল’ (আহমাদ হা/১৬৯৬৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৯৪)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদের স্ত্রী যয়নব (রাঃ)
উত্তর : যে ব্যক্তি আয়না চালক অথবা অনুরূপ কোন গণৎকারের নিকট যাবে এবং তার কার্যকলাপকে বিশ্বাস করবে সে কাফের হয়ে যাবে। জাদুর বাস্তবতা আছে। কিন্তু তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমান হারানোর এবং কাফির হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব
উত্তর : ইসলামের মূল দর্শন হ’ল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা দান। মানব সমাজে আল্লাহর দ্বীনের বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কুরআন ও হাদীছে মুসলিম উম্মাহকে জোরালো নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি যদি একটি আয়াতও কেউ জানে, তা প্রচার করার জন্য রাসূল (ছাঃ) ন
উত্তর : উক্ত বক্তব্য বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন।
উত্তর : প্রয়োজন ছাড়া এভাবে দৈনিক পোষাক পরিবর্তন করা অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত, যা থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন (ইসরা ২১১)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যা খুশী খাও এবং যা খুশী পরিধান কর। তবে এ বিষয়ে তোমাকে দু’টি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাহ’ল অপচয় ও অহংকার (বুখ
উত্তর : কেবল ফুলহাতা কামীজ ও মাথায় স্কার্ফ দেওয়ার মাধ্যমে পরিপূর্ণ পর্দা হয় না। বরং এতে শরীরের গড়ন প্রকাশ পায়। অতএব ঢিলাঢালা বোরক্বা পরে মাথায় বড় স্কার্ফ দিয়ে চলাফেরা করাই কর্তব্য (বুখারী হা/৪৭৫৮, ফাৎহুল বারী ৮/৪৯০)।
উত্তর : গৃহাভ্যন্তরে নারী যেকোন সৌন্দর্য প্রদর্শন করতে পারে। তাই বলে চুল কেটে সাইজ করা নয়। কেননা চুল লম্বা রাখাই মহিলাদের জন্য সৌন্দর্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘পুরুষের সাথে মহিলার এবং মহিলার সাথে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারীকে আল্লাহ অভিসম
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে চুম্বন করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আবুবকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ওফাতের পর তাঁকে চুম্বন করেছিলেন (বুখারী হা/১২৪১, ৪৪৫৫-৫৭, মিশকাত হা/১৬২৪)। ওছমান বিন মায‘ঊন (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে রাসূল (ছাঃ) কাঁদতে কাঁদতে তাকে চুম্বন করেছিলেন
উত্তর : এটি অমুলিম কালচার থেকে আগত একটি অসভ্য প্রথা। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় পূর্ণ এরূপ অনুষ্ঠানে যোগদান করা বা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও সীমালংঘনের ক
উত্তর : সকল আসমানী কিতাব আরবী ভাষায় নাযিল হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাসূলকে তার স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন, তাদেরকে আল্লাহর বিধান সমূহ ব্যাখ্যা করে বুঝাবার জন্য’ (ইবরাহীম ৪; আহমাদ হা/২১৪৪৮, ছহীহাহ হা/৩৫৬১)। সুতরাং তাদের নিকটে প্রেরিত কিত
উত্তর : হযরত ইবরাহীম (আঃ) সর্বপ্রথম ৮০ বছর বয়সে আল্লাহর হুকুমে এই সুন্নাত পালন করেছিলেন (বুখারী হা/৬২৯৮, মুসলিম হা/২৩৭০, মিশকাত হা/৫৭০৩ ‘সৃষ্টির সূচনা’ অনুচ্ছেদ)। আমাদের নবী (ছাঃ)ও এটি জারী রাখেন। খাৎনা দেওয়া সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি সকল নবীর স
উত্তর : এরূপ কোন বিধান নেই। এর দ্বারা যদি কোন মহিলা বিশেষ ছওয়াব কামনা করে কিংবা ফেরেশতা দেখবে বলে মনে করে, তাহ’লে তা নিঃসন্দেহে বিদ‘আত হবে। এসময় আযানের জওয়াব প্রদান করা ও শেষে আযানের দো‘আ পাঠ করাই সুন্নাত।
উত্তর : সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে ফরয ছালাতে যোগ দিবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছালাতের জন্য ইক্বামত দেয়া হ’লে উক্ত ফরয ছালাত ব্যতীত আর কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৭১০, মিশকাত হা/১০৫৮)।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, আবুল ফযল আল-মাক্বদেসী, ৩৯ পৃঃ, হা/৪০)। তবে মসজিদে অপ্রয়োজনীয় দুনিয়ারী কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। ওমর ফারূক (রাঃ) দুনিয়াবী কথা-বার্তা থেকে বিরত থাকার জন্য মসজিদে নববীর পার্শ্
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত করলে অক্ষর প্রতি ১০ নেকী হয় (তিরমিযী, মিশকাত হা/২১৩৭)। তবে আল্লাহ কুরআন মনোযোগ সহকারে শুনার জন্য আদেশ করেছেন। অতএব ছওয়াবের আশায় শুনলে ছওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ
উত্তর : যাবে। কেননা ওটা দেখা যায় না এবং সামনে বা পাশে টাঙানো থাকে না। (বিস্তারিত দেখুন : ‘ছবি ও মূর্তি’ বই)।
উত্তর : মাগরিবের ছালাত আছরের সাথে হবে না। তবে কোন সমস্যার কারণে অথবা সফরে মাগরিব-এশা একসাথে এবং যোহর-আছর একসাথে পড়া যাবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৩৩৯)।ছালাত জমা করার নিয়ম হ’ল, যোহর ও আছর এবং মাগরিব ও এশা একত্রে জমা তাক্বদীম অথবা জমা তাখীর করা। অর্থাৎ
উত্তর : পাবে। কেননা জ্ঞানী ও সম্মানী ব্যক্তিদের সামনের কাতারে ধারাবাহিকভাবে দাঁড়ানোর কথা হাদীছে এসেছে (মুসলিম, মিশকাত হা/১১০৮)। অতএব উক্ত হাদীছের প্রতি আমলের জন্য যদি কেউ কোন জ্ঞানী ও বয়স্ক ব্যক্তিকে সামনের কাতার ছেড়ে দিয়ে পেছনের কাতারে চলে আসে,
উত্তর : নিজস্ব সুরে ইসলামী গান গাওয়াই বাঞ্ছনীয়। এছাড়া পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ধর্মীয় কথা বা অশ্লীলতামুক্ত যে কোন কথা ছন্দাকারে গাওয়া জায়েয। এতে যদি কারু সুরের সাদৃশ্য হয়ে যায়, তাতে কোন দোষ নেই। দেখার বিষয় হ’ল গানের কথা ও মর্ম। রাসূল
উত্তর : উচ্চৈঃস্বরে নয়, অনুচ্চ শব্দে অথবা মধ্যম স্বরে কাঁদবে (আ‘রাফ ৭/২০৫; ইসরা ১৭/১১০)। আর ছালাতে ক্রন্দন করা অধিক আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল লোকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরও বৃদ্ধি পা
উত্তর : হালখাতায় যদি গান-বাজনা বা কোন শরী‘আত বিরোধী কাজ না করা হয়, কোন প্রকার প্রতারণা বা যুলুম না থাকে একমাত্র পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে হয়, তাহ’লে তা বৈধ হবে। পরিশোধের লক্ষ্যে কর্য বা বাকী নিলে আল্লাহ তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেন। রাসূলুল্ল
উত্তর : ত্বাওয়াফ যত খুশী করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কা‘বাগৃহে ত্বাওয়াফ করা ছালাতের ন্যায় (তিরমিযী হা/৯৭৭, নাসাঈ হা/২৯২২)। আর বায়তুল্লাহর ছালাতে অন্য স্থানের চাইতে এক লক্ষ গুণ বেশী নেকী রয়েছে (আহমাদ, ইবনু মাজাহ হা/১৪০৬; সনদ ছহীহ)। অন্যত্র তিনি বলেন,
উত্তর : এগুলি ভিত্তিহীন ও বানাওয়াট বক্তব্য মাত্র। স্মর্তব্য যে, শূকর আল্লাহর সৃষ্টি। আল্লাহ মুসলমানদের জন্য এর গোশত খাওয়া হারাম করায় তা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে মাত্র।
উত্তর : অজ্ঞতার কারণে ফিতরা আদায় না করলে তার জন্য তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। এর জন্য কোন কাফফারা নেই।
উত্তর : শরী‘আতে লাভের নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ নির্ধারিত নেই। বরং তা সাধারণ বাজারদরের উপর নির্ভরশীল। মূলতঃ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় বিষয় হ’ল, তাতে যুলুম না থাকা। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যুলুম থেকে বেঁচে থাক। কেননা যুলুম
উত্তর : যৌথ পরিবারে মাতা-পিতার বর্তমানে তাদের সম্পত্তি ও সম্পদ দ্বারা কেউ উপার্জন করে ভরণ-পোষণ বাদে জমি ক্রয় করলে তাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ভাগ পাবে। তবে মাতা-পিতার সম্পত্তি ও সম্পদ ব্যতিরেকে কেউ নিজে পৃথকভাবে উপার্জন করে তা দ্বারা পরিব
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উক্ত নিষেধাজ্ঞাটি নিলামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, বরং সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের সময় একজনের উপরে অন্য জনের দর-দাম করা নিষিদ্ধ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৫০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)। কিন্তু ন
উত্তর : খারেজীদের বৈশিষ্ট্য হ’ল, (১) তারা কবীরা গোনাহগার শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ওয়াজিব মনে করে এবং কবীরা গোনাহগার মুমিনকে ঈমানশূন্য কাফের, হত্যাযোগ্য অপরাধী এবং তওবা না করে মারা গেলে তাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হিসাবে গণ্য করে (শাহরস্ত
উত্তর : বালিকাদের এভাবে উপস্থাপন করা ইসলামী পর্দার খেলাফ। এতে ফেতনা সৃষ্টির আশংকা থাকে। বস্ত্ততঃ নৃত্য ও অভিনয় কখনোই তাক্বওয়াপূর্ণ কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং এসব কাজে অংশগ্রহণ করা বা দেখা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) কবর উঁচু করতে, পাকা করতে, তার উপর সৌধ নির্মাণ করতে ও বসতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৬-৯৭)। সুতরাং এক্ষেত্রে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যেমন মাটির নীচে ঢালাই দিয়ে কবর ঢেকে দেওয়া এবং উঁচু না করা।
উত্তর : গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীগুলোতে নারী-পুরুষ একত্রে মিলে-মিশে কাজ করে থাকে। যা নিতান্তই গর্হিত কাজ। কারণ তা সর্বদা পাপের দিকেই আহবান জানায়। নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা চোখের যেনা, হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের য
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘অলী ছাড়া বিবাহ সিদ্ধ নয়’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। তিনি বলেন, ‘কোন নারী অলী ছাড়া বিবাহ করলে তা বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘কোন নারী অপর নারীকে বিবাহ দিতে পারে না এবং কোন নারী ন
উত্তর : সন্দেহ হ’লে পুনরায় ওযূ করতে হবে। তাছাড়া ওযূ ভেঙ্গে যাওয়ার উপর দৃঢ় বিশ্বাসী হ’লে অলসতাবশতঃ ঐ ওযূতে ছালাত আদায় করা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পবিত্রতা ব্যতীত ছালাত কবুল হয় না’ (মুসলিম হা/২২৪, ‘ছালাতের জন্য পবিত্রতা ওয়াজিব’ অনুচ্ছ
উত্তর : ঈদায়নের খুৎবা ১টি। দুই খুৎবার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই, বরং যা আছে তা যঈফ ও মুনকার (ইবনু মাজাহ হা/১২৮৯, মাজমূ‘ যাওয়ায়েদ হা/৩২৩৯, বিঃদ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৭৮৯)। এ সম্পর্কে ছহীহ বর্ণনা হ’ল, ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্ল
উত্তর : দাজ্জাল শেষ যামানার কোন আদম সন্তানের ঔরসজাত হবে। সে খোরাসান থেকে বের হবে (তিরমিযী হা/২২৩৭; ইবনু মাজাহ হা/৪০৭২)। ‘দাজ্জাল মানুষের মত কথা বলবে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৪৭৯)। দাজ্জালের আকৃতি মানুষের মতই হবে। তবে তা হবে বৃহদাকৃতির (মুসলিম,
উত্তর : কুরবানীদাতার জন্য ঈদের দিন কুরবানীর গোশত খাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত না খেয়ে থাকা সুন্নাত। এটাকে ছিয়াম বলা হবে না। বুরায়দা (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর-এর দিন না খেয়ে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হ’তেন না। আর ঈদুল আযহার দিন ছালাত শেষ না
উত্তর : উপরোক্ত শর্তানুযায়ী বিবাহ করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ এটি যৌতুক হিসাবে গণ্য হবে। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে ফরয মোহরানা প্রদান কর’ (নিসা ৪/৪, ২৪-২৫)। এর সরাসরি বিপরীত হ’ল স্ত্রীর নিকট হ’তে যৌতুক নেওয়া। যা আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে য
উত্তর : জমি ইজারা বা ভাড়া দেওয়ার শরী‘আত সম্মত পন্থা হ’ল, (১) পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে জমি লিজ বা ভাড়া দেওয়া। রাফে‘ বিন খাদীজ (রাঃ) বলেন, আমার দুই চাচা নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগে জমি বর্গা দিতেন এভাবে যে, নালার পাশে যে শস্য হবে তা তাদের অথবা জমি
উত্তর : পুরুষ-মহিলা পরস্পরকে সালাম দেওয়া যরূরী নয়। তবে ফিৎনার আশংকা না থাকলে সালাম দেওয়া যাবে। আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, ‘নবী করীম (ছাঃ) আমাদের পাশ দিয়ে যেতেন এবং আমাদেরকে সালাম দিতেন’ (আহমাদ, ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩০০১; মিশকাত হা/৪৬৪৭ হাদীছ ছ
উত্তর: ইমাম সম্পূর্ণ দাঁড়িয়ে গেলে বসবেন না। বরং মুক্তাদীগণ ইমামের অনুসরণে দাঁড়িয়ে যাবে। কেননা ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্য (বুখারী হা/৩৭৮; মিশকাত হা/৮৫৭)। ভুলের জন্য ইমাম সালাম ফিরানোর পূর্বে সহো সিজদা করবেন। আর সম্পূর্ণ না দাঁড়া
উত্তর : হযরত নূহ (আঃ) সম্পর্কে বর্ণিত এ হাদীছটি দুর্বল (ইবনু মাজাহ হা/১৭২৪)। হাদীছটির বর্ণনাসূত্রে প্রসিদ্ধ দুর্বল রাবী ইবনু লেহিয়াহ রয়েছেন (বিঃদ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৫৯)। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, এ হাদীছটি যদি ছহীহও হয়, তবুও তা পূর্ববর্তী শরী‘আতে
উত্তর : প্রত্যেক মুসলিমের উপর দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; মিশকাত হা/২১৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৯১৩)। অতএব পিতা-মাতার অবশ্য কর্তব্য হ’ল, সন্তানের দ্বীনী জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা করা। পিতা-মাতা ব্যবস্থা না করলে সন্তান নিজ ইচ্ছায় তা অর্
উত্তর : এ ব্যাপারে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যার দ্বীনদারী এবং উত্তম আচরণে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে বিবাহ দাও’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)। কারণ সে এজন্য দোষী নয়; বরং দোষী তার পিতা-মাতা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈকা গামেদী মহিলার অব
উত্তর : ঝড়-তুফান বা কোন বালা-মুছীবতের সময় আযান দেওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। ঝড়-তুফানের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মুখের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যেত এবং তিনি বিভিন্ন দো‘আ পড়তেন। যেমন,اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَي
উত্তর : অত্র আয়াতে স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের জন্য পোষাক দ্বারা একে অপরের ইয্যতের হেফাযতকারী, পরস্পরের আশ্রয়স্থল এবং পরস্পরের হৃদয়ের প্রশান্তি বুঝানো হয়েছে। যেমন পোষাক পরিধানে দেহে স্বস্তি ও প্রশান্তি আসে। ‘পোষাক’ শব্দ ব্যবহারে এ বিষয়ে ইঙ্গিত
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শিরক মিশ্রিত। যা মুখে বলা ও হৃদয়ে বিশ্বাস করা অমার্জনীয় গোনাহের কাজ। নিষ্পাপ বাচ্চাদের হৃদয়ে যারা এই বিশ্বাস প্রোথিত করে দিচ্ছেন, তারা আরও বেশি গোনাহগার হচ্ছেন। এমতাবস্থায় সম্মিলিতভাবে তা পাঠ করানো হ’লে সেক্ষেত্
উত্তর : উল্লিখিত বক্তব্য সঠিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করল, তখন সে দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল, বাকী অর্ধাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে’ (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/৩০৯৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৩০, ৬১৪৮, সনদ হাসান)। মানুষ দ্বীনের ক্ষেত্রে ফিৎনায়
উত্তর : অসুখ ব্যতীত কেবল সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভ্রূ উপড়িয়ে ফেলা বা কেটে ফেলা যাবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার উপর লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৬৮)। তবে ভ্রূ লম্বা হওয়ায় দেখতে সমস্যা হ’লে বর্ধিত অংশটুকু কেটে ফেলা জায়েয। হাদীছে যে লা‘নত ক
উত্তর: অমুসলিমের প্রদত্ত হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক মুশরিক ইহূদী মহিলার প্রদত্ত হাদিয়া ভক্ষণ করেছিলেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১ ‘রাসূলুল্লাহর চরিত্র ও গুণাবলী’ অধ্যায়, ‘মু‘জেযা’ অনুচ্ছেদ)। তিনি একজন মুশরিক ব্যক্তির নিকট একটি ছাগল হাদ
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। কেননা মোবাইলের মধ্যে তা নির্দিষ্ট মেমোরিতে সংরক্ষিত থাকে। এটা মানুষের মস্তিষ্কের ন্যায়। মানুষের মস্তিষ্ক যেমন কুরআন ধারণ করে থাকে। মোবাইলের মেমোরী তেমনি কুরআন ধারণ করে থাকে। তবে টয়লেটে কুরআন পাঠ করা হ’তে বিরত থাকা আব
উত্তর : হজ্জ ও ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে মাথা মুন্ডন করা অথবা সমস্ত চুল খাটো করা ওয়াজিব (বুখারী হা/১৭২৯; মুসলিম হা/১৩০১; মিশকাত হা/২৬৩৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জের দিন হালাল হওয়ার সময় মাথা মুন্ডনকারীদের জন্য দু’বার, অন্য বর্ণনায় তিনবার এবং চুল খ
উত্তর : উক্ত ব্যবসা হালাল নয়। কারণ উক্ত ব্যবসা রিবা আন-নাসিআহ বা বাকীতে ঋণের সূদ-এর উপর প্রতিষ্ঠিত। কেননা প্রতিষ্ঠানটি স্ক্র্যাচ কার্ড কিস্তিতে বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলতঃ বাকীতে ঋণ প্রদানের উপর অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি কেবল অর
উত্তর : ছাহাবী মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) তাঁর পরিবারের জন্য মহামারীকে রহমত হিসাবে কামনা করেছিলেন। আর এতে তাঁর দুই স্ত্রী ও পুত্রসহ তিনি নিজে মারা যান। হাদীছে এসেছে, সেনাপতি আবু ওবায়দাহ (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর সেনাপতি হন রাসূল (ছাঃ)-এর আরেক প্রিয় ছাহা
উত্তর : কোন অমুসলিমের মৃত্যুতে প্রয়োজনে তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের নিকট শোক প্রকাশ করা যাবে বা তাদেরকে ধৈর্যের উপদেশ দেয়া যাবে। তাদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে ‘ইন্নালিল্লাহ..’ বলাতেও কোন বাধা নেই। কেননা এগুলি স্বাভাবিক মানবীয় সদাচরণের মধ্যে অন্
উত্তর : ইমাম মাহদীর আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সহজসাধ্য নয়। তবে বিভিন্ন আলামত দেখে প্রকৃত মুমিনরা অনুধাবন করতে পারবেন। যেমন তাঁর আগমনের অন্যতম আলামত হ’ল, তিনি এমন এক সময়ে দুনিয়ায় আগমন করবেন যখন সমগ্র দুনিয়া অন্যায় ও অত্যাচারে ভরে যাবে।
উত্তর : এমতাবস্থায় ছালাত কছর করা যাবে। তবে ছালাত জমা‘ তাকদীম বা তাখীর তখনই করা উত্তম হবে যখন যথা সময়ে ছালাত আদায়ের সুযোগ পাবে না। কারণ আল্লাহ ছালাতের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন (নিসা ৪/১০৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩৭০; বিন বায, মাজমূ‘ ফা
উত্তর : সালাম ফিরানোর সময় মুছল্লী স্বাভাবিক ভাবে ডানে বা বামে দৃষ্টিপাত করে সালাম ফিরাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ছালাত আদায়কারী তার ডানে এবং বামে থাকা ভাইদেরকে সালাম প্রদান করবে (মুসলিম হা/৪৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০১৯)। অতএব সালাম ফিরানোর সময়
উত্তর : ভ্যানিলা এসেন্সযুক্ত খাবার খাওয়া হালাল। তবে বাজারে প্রাপ্ত ভ্যানিলায় যদি অধিক পরিমাণে এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে তা হারাম’ (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৮/৩৩৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৩/৫৪, ২২/১৪৪)। সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যদি এমন
উত্তর : মিথ্যা বলে পিতা-মাতার নিকট থেকে টাকা নিয়ে দান করা জায়েয নয়। এ অবস্থায় ঐ ব্যক্তি মিথ্যুক বলেই গণ্য হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮২৪)। তবে পিতা-মাতাকে না বলে বৈধ উদ্দেশ্যে তাদের সম্পদ হ’তে সামান্য কিছু দান করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : উক্ত প্রশ্নগুলো অত্যন্ত জঘন্য ও অজ্ঞতাপ্রসূত। যারা এমন বিশ্বাস রাখবে তারা কাফের হয়ে যাবে (ইবনুল ‘আরাবী, ‘আরেযাতুল আহওয়াযী ১১/৫২)। রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-এর প্রতি সন্দেহের বশে নয়, বরং মুনাফিকদের অপপ্রচার দেখে এবং কিছু ছাহাবীর পরামর্শে অনি
উত্তর : ঋণ করে কুরবানী করা জায়েয। যদি উক্ত ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা থাকে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২৬/৩০৫; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১/৩৭)।প্রশ্নকারী : আব্দুল হাই আব্দুল হাদী, কুষ্টিয়া।
উত্তর : এভাবে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। কেননা এতে টাকার বিনিময়ে অধিক টাকা নেওয়া হচ্ছে। বরং এর পরিবর্তে যদি কোম্পানীটি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে লভ্যাংশ প্রদান করে তবে তা জায়েয হবে, যা ‘মুযারাবাহ’ হিসাবে গণ্য হবে বলে (দারাকুৎনী হা/৩
উত্তর : যদি মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, পুরুষের সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা নেই, তাহ’লে স্ত্রী স্বামীর নিকট তালাক চাইতে পারে বা খোলা করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। কারণ বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হ’ল সন্তান লাভ করা। আর সন্তান
উত্তর : বিসমিল্লাহ বলেই শুরু করতে হবে। আর ‘বিসমিল্লাহ’র পরিবর্তে ৭৮৬ সংখ্যা লেখা যাবে না। কেননা আরবী হরফসমূহের আবজাদী তথা সংখ্যাতাত্ত্বিক গণনা পদ্ধতিতে ‘বিসমিল্লাহ্’-এর ১৯টি হরফের মান যোগ করে ৭৮৬ বানানো হয়েছে, যা নিছক কপোলকল্পিত। আর তা কখনোই
উত্তর : দূরত্ব নির্ধারণ নয়, বরং প্রবল ধারণার ভিত্তিতে যদি দেখা যায় যে, এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী মসজিদে আগত মুছল্লীদের মধ্যে কোন ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে ছালাত আদায় করা যাবে। আর তদ্রূপ না হ’লে মসজিদ
উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-কে হত্যা করা হয়নি; বরং তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর ছয় মাস পরে মারা যান (বুখারী হা/৩০৯৩; মুসলিম হা/১৭৫৯)। ১১ হিজরীর ৩রা রামাযান মঙ্গলবার রাতে ৩০ অথবা ৩৫ বছর বয়সে ফাতেমা (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন (আল-ব
উত্তর : ঋণের টাকা হিসাব করে যাকাত দিতে হবে। কারণ সে তা দ্বারা লাভবান হচ্ছে। অতএব মোট সম্পদ হিসাব করেই যাকাত দিতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/৫১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/২৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৯/১৮৯)। এক্ষণে যাদের ঋণ আছে তাদের কর্তব্য হ’ল
উত্তর : ইমাম ও মুক্তাদী উভয়েই ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ ও ‘আল্লা-হুম্মা রববানা লাকাল হামদ...’ বলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ছালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমাম নির্ধারণ করা
উত্তর : একাকী হোক বা একাধিক ব্যক্তি হোক জুম‘আর ছালাত ছুটে গেলে তারা যোহরের চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (তিরমিযী হা/৫২৪; নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫৫৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর এক রাক‘আত পেয়ে যাবে, সে জুম‘আ পেয়ে গেল। সে যেন আরেক রাক‘আত মিলিয়ে
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কোন রাক‘আতে যদি একটি সিজদা হয়েছে বলে প্রবল ধারণা হয়, তবে সালামের পূর্বে আরেকটি সিজদা দিবে এবং সহো সিজদা দিবে। আর ছালাতের পর এমন সন্দেহ হ’লে মসজিদে থাকা অবস্থায় সিজদাটি ক্বাযা আদায় করে নিবে। আর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হ’লে
উত্তর : এভাবে ঋণগ্রহীতাকে না জানিয়ে তার নামে যাকাত বাবদ অর্থ কর্তন করা যাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/২১০; আল মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/৩০০)। বরং এক্ষেত্রে দু’টি করণীয় হ’তে পারে। ১. ঋণগ্রহীতা যাকাতের হকদার হ’লে তাকে যাকাতের সম্পদ থেকে অর্থ প্রদান করবে,
উত্তর : মুসলিম হওয়ার জন্য চার কালেমা মুখস্থ করা শর্ত নয়; বরং চার কালেমার বিষয়বস্ত্তর উপর ঈমান আনা ও তার উপর আমল করা শর্ত। উল্লেখ্য যে, চার কালেমা হ’ল, আল্লাহর তাওহীদের সাক্ষ্য যুক্ত কিছু বাক্য, যেগুলোকে পরবর্তী বিদ্বানগণ কুরআন ও হাদীছ থেকে গ্
উত্তর : মেয়ে সৎ, ধার্মিক ও তাক্বওয়াশীল হ’লে বিবাহে কোন বাধা নেই। কেননা একের পাপ অন্যে বহন করে না। তাছাড়া বর্তমানে উক্ত ব্যক্তি সূদের সাথে জড়িতও নয় (আন‘আম ৬/১৬৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৪৫)। সুতরাং ঐ পরিবারে বিবাহ করায় কোন বাধা নেই।প্রশ্নকারী :&n
উত্তর : গোসলের পূর্বে ওযূ করলে এবং এর মধ্যে ওযূ নষ্ট না হ’লে উক্ত ওযূতে ছালাত আদায় জায়েয হবে। আর এটাই ফরয গোসলের সঠিক পদ্ধতি (বুখারী হা/২৪৮, মিশকাত হা/৪৩৫, ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৬৪ পৃ.)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, সিরাজগঞ্জ।
উত্তর : ইহরাম অবস্থায় মুখমন্ডল আবৃত করা সিদ্ধ নয় (বুখারী হা/১৫৪২; মুসলিম হা/১১৭৭; মিশকাত হা/২৬৭৮; ইরওয়া হা/১০২২)। তবে সাময়িকভাবে বিশেষ শারঈ ওযর বশত বা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে ইহরাম অবস্থাতেও মাস্ক পরিধান করা যাবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১৩০-৩১)।প্
উত্তর : যেহেতু চেক প্রদান করা হয়ে গেছে সেহেতু দাতাকে যাকাত দিতে হবে না। বরং যে হাদিয়াপ্রাপ্ত হয়েছে যদি তার সম্পদ নেছাব পরিমাণ হয় এবং তার উপর এক বছর অতিক্রান্ত হয়, তাহ’লে সে-ই যাকাত প্রদান করবে (তিরমিযী হা/৬৩১; মিশকাত হা/১৭৮৭; ইরওয়া হা/৭৮৭; বিন
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে বন্ধক রাখা যাবে না। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; আল-মুদাওয়ান্নাহ ৪/১৪৯; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে
উত্তর : তাবীযের সাথে মাস্কের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ তাবীয ঝুলিয়ে তার উপরই ভরসা করা হয়। আর মাস্ক পরে ভাইরাসকে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়। কারণ ভাইরাস সাধারণত মুখ ও নাক দিয়ে প্রবেশ করে। এদের ঠেকাতেই মাস্ক ব্যবহার করা। আর শরী‘আতে সতর্কতা ও প্রতির
উত্তর : হাদীছে বিভিন্ন শব্দে ছহীহ সনদে ৭টি দরূদ বর্ণিত হয়েছে (আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন্নবী, ১৬৫-১৬৮ পৃ.)। তাশাহ্হুদে এর যেকোন একটি পাঠ করলে ছালাত আদায় হয়ে যাবে। তবে এর মধ্যে দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করাই সর্বোত্তম (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/৪৫৪-৪৫৮;
উত্তর : হালাল প্রাণী অমুসলিমদের থেকে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। আর কুরবানী হিসাবে কবুল হ’তেও কোন সমস্যা নেই। কারণ আল্লাহ যে সকল প্রাণী হালাল করেছেন তা খাওয়া হালাল সেটি যেখানেই লালিত-পালিত হোক না কেন (মায়েদাহ ৫/৫)।প্রশ্নকারী : কায়ছার রহমান, শি
উত্তর : ছহীহ ও হাসান সনদে বর্ণিত হাদীছদ্বয় পরস্পর বিরোধী হ’লে সমন্বয় সাধন করতে হবে। যদি সমন্বয় করা সম্ভব না হয় তাহ’লে ছহীহ সনদে বর্ণিত হাদীছকে প্রাধান্য দিতে হবে (নববী, আত-তাকরীব ওয়াত-তায়সীর ২৯ পৃ., হাফেয ইবনু হাজার, নুযহাতুন নযর ৭৮, ২১০ পৃ.)।
উত্তর : মসজিদের জন্য দানকৃত জমি মসজিদকে দিয়ে দিতে হবে। কারণ দানকৃত জিনিস ফেরৎ নেয়া যায় না (বুখারী হা/২৬২১; মিশকাত হা/৩০১৮)। তবে লিখিত দলীল করার সময় শিরক ও বিদ‘আত পরিত্যাগের কঠোর শর্ত উল্লেখ পূর্বক দান করা যেতে পারে, যা পরবর্তীতে অন্যান্য বিদ‘আত দ
উত্তর : উক্ত পেশা হালাল। কারণ এই পণ্যগুলো মৌলিকভাবে হালাল। এগুলোর ভালো-মন্দ নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতির উপর। এক্ষণে ব্যবহারকারীগণ যদি অন্যায় কাজে ব্যবহার করেন তবে পাপ তাদের উপরেই বর্তাবে, বিক্রেতার উপর নয়। মহান আল্লাহ বলেন
উত্তর : নিজেকে সংশোধন করা, দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া এবং দ্বীনকে শক্তিশালী করার জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা কোনটির গুরুত্বই কম নয়। তবে প্রত্যেক আদম সন্তানের প্রাথমিক ও মৌলিক দায়িত্ব হ’ল নিজের আমল সংশোধন করাই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয়ই সফল হয় সেই ব
উত্তর : পুরুষেরা নারীদের মত এবং নারীরা পুরুষদের মত পোষাক পরবে না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা পুরুষের সাথে মহিলার এবং মহিলার সাথে পুরুষের সাদৃশ্য পোষণকারীকে অভিসম্পাত করেছেন’ (বুখারী, মিশকাত হা/৪৪২৯)। তবে স
উত্তর : উক্ত বোন পিতার সম্পদে ওয়ারিছ হবে না। কারণ সে এখন অমুসলিম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিম কোন কাফেরের ওয়ারেছ হবে না এবং কাফের কোন মুসলিমের ওয়ারেছ হবে না’ (বুখারী হা/৬৭৬৮; মুসলিম হা/১৬১৪; মিশকাত হা/৩০৪৩)। তবে যেহেতু উক্ত বোন নাবালক অবস্থায় হি
উত্তর : সালাম ফিরানোর পর ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য মুছাল্লায় বসে দো‘আ ও যিকির করা সুন্নাত। কারণ এ সময়ে ফেরেশতাগণ দো‘আ পাঠরত মুছল্লীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুছল্লী ছালাত শেষে যতক্ষণ স্বীয় স্থানে বসে তাসবীহ-তাহলীল পাঠ
উত্তর : মৃতব্যক্তির দাফনের পর কবরস্থানে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দো‘আ করার কোন দলীল নেই। অতএব এরূপ আমল বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত (বিন বায, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব ১৪/১৩৯; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২০৪, ১৩/৩৪০; উছায়মীন, ফাতাওয়াল জানায়েয ২৬৬ পৃ.)। সম্মিলিতভা
উত্তর : পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে পুরো দেহ পানি দ্বারা ধৌত করলেও গোসলের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে (ঊছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২২৫; আশ-শারহুল মুমতে‘ ১/৩৬২)। আল্লাহ বলেন, আর যদি তোমরা নাপাক হয়ে যাও, তাহ’লে গোসল কর (মায়েদাহ ৫/৬)। তবে সেক্ষেত্রে নিয়ত করা ফরয। ক
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। আর তা হ’ল- জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একজন কুষ্ঠ রোগীর হাত ধরে তাকে নিজের সাথে একই পাত্রে খাওয়াতে বসান। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর নামে এবং (সব ব্যাপারে) তাঁর উপর আস্থা ও ভরসা সহকারে খাও (তিরমিযী
উত্তর : বিশেষ কারণবশতঃ বাড়িতে একাকী বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অতিরিক্ত ১২ তাকবীরসহ ঈদের ছালাত আদায় করা যাবে (বুখারী ‘ঈদায়নের ছালাত’ অধ্যায়-১৩, ২৫ অনুচ্ছেদ)। তবে একাকী ছালাতে খুৎবা দিবে না। আর জামা‘আতের সাথে আদায় করলে এবং খুৎবা দেওয়ার উপযুক্ত কেউ
উত্তর : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাতের হকদার (তওবা ৯/৬০)। আর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি হ’ল ঐ ব্যক্তি, যার জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে। তবে এমন অতিরিক্ত সম্পদ নেই যা দ্বারা সে ঋণ পরিশোধ করতে পারে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৯২; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ২৩/৩২১)।
উত্তর : কাঁধ খোলা থাকে এমন পোষাক পরিধান করে ছালাত আদায় করা যাবে না। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন এক কাপড়ে এমনভাবে ছালাত আদায় না করে যাতে তার দুই কাঁধে ঐ কাপড়ের কোন অংশ থাকে না’ (বুখারী হা/৩৫৯;
উত্তর : নিষিদ্ধ সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলেও উক্ত নফল ছালাত আদায় করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে তখন সে যেন বসার পূর্বেই দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭০৪)। অত্র হাদীছ দ্বারা নিষিদ্ধ সম
উত্তর : তারাবীহ ছালাতের কোন রাক‘আত ছুটে গেলে ইমামের সালাম ফিরানোর পরে তা পূর্ণ করবে। জামা‘আতবদ্ধ ছালাতের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমরা ছালাত আদায় করতে আস, তখন ধীরস্থিরভাবে এসো। অতঃপর যে অংশটুকু পাও তা পড়। আর যে অংশ ছুটে যায় তা প
উত্তর : নির্ধারিত সময়ে জামা‘আতের পরে ঐ মসজিদে একাধিক জামা‘আত করা যাবে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি (মসজিদে) আগমন করল এমতাবস্থায় যে, রাসূল (ছাঃ) ছালাত শেষ করেছেন। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘কেউ এই লোকটিকে ছাদাক্বা করবে কি?’ অর্থাৎ তার স
উত্তর : মোবাইল বন্ধ করেই ছালাতে আসবে। ভুলবশতঃ মোবাইল বন্ধ না করে ছালাত শুরু করলে এবং ছালাতরত অবস্থায় মোবাইল বেজে উঠলে তা বন্ধ করা যাবে। কেননা ছালাতে বিঘ্ন ঘটায় এমন কাজ ছালাত অবস্থায় প্রতিহত করা যায়। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দর
উত্তর : যেসব মসজিদে শিরক ও বিদ‘আত লালন করা হয়, সেসব মসজিদে দান করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। কেননা এতে অন্যায়ের সহযোগিতা করা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাকবওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ২
উত্তর : ফসলের যাকাত ফসল দিয়ে, পশুর যাকাত পশু দিয়ে, ব্যবসায়রত সম্পদের যাকাত মূল্য দিয়ে, স্বর্ণ-রৌপ্যের যাকাত মূল্য দিয়ে এবং ফিৎরার যাকাত খাদ্যবস্ত্ত দিয়ে আদায় করবে। তবে দূরবর্তী কোন স্থানে যাকাত প্রেরণ করতে চাইলে ঐ বস্ত্তই প্রেরণ করা সবসময় সম্
উত্তর : যরূরী প্রয়োজন ব্যতীত কুরআনের আরবী শব্দাবলী বাংলায় উচ্চারণ করে না লেখাই উচিৎ। কেননা বাংলায় উচ্চারিত কুরআনের শব্দাবলী মাখরাজ সহকারে পড়া সম্ভব হয় না। এর ফলে অর্থও পরিবর্তন হয়ে যায়। অতএব যোগ্য শিক্ষকের মাধ্যমে বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখার পর কুর
উত্তর : পিতা-মাতা জীবিত হৌন অথবা মৃত হৌন সর্বাবস্থায় উক্ত দো‘আ করা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা এ দো‘আটি জীবিত অথবা মৃত কোন অবস্থার জন্য খাছ করেননি।
উত্তর : এক্ষেত্রে উক্ত নারী অত্যাচারিতা ও নিরপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে জনৈকা মহিলা মসজিদে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হন। একজন লোক তাকে একা পেয়ে কাপড়ে ঢেকে নেয় এবং তাকে ধর্ষণ করে। মহিলা চিৎকার
উত্তর : হাসান (রাঃ) কিভাবে মারা গেছেন এর সঠিক তথ্য কোন ছহীহ সূত্রে পাওয়া যায় না। তবে হাফেয ইবনু হাজার বলেন, বলা হয়ে থাকে যে, তিনি বিষপানে মারা গেছেন। উমায়ের ইবনু ইসহাক বলেন, আমি এক সাথীকে নিয়ে হাসান (রাঃ)-এর নিকটে গেলাম। তখন তিনি বললেন, আমি এ
উত্তর : উট যবেহ করার সাধারণ নিয়ম হ’ল, উট দাঁড়ানো অবস্থায় তার কণ্ঠনালীতে ধারালো ছুরি চালিয়ে রক্ত প্রবাহিত করা। আর গরু-ছাগল যবেহ করার নিয়ম হ’ল, মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে বাম কাতে ফেলে গলায় ছুরি চালানো। তবে বাধ্যগত অবস্থায় উটকে গরু-ছাগলের মত মাটিতে
উত্তর : মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুল আক্বছার প্রথম নির্মাতা সম্বন্ধে কুরআন ও ছহীহ হাদীছে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে পৃথিবীর বুকে নির্মিত প্রথম মসজিদ হ’ল বায়তুল্লাহ (আলে-ইমরান ৩/৯৬)। আবু যার গেফারী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস ক
উত্তর : আল্লামা জালালুদ্দীন সৈয়ূতী তার আল-হাবী নামক কিতাবে (২/২৪৯-২৫৬) কিছু জাল ও যঈফ হাদীছ এবং ইস্রাঈলী কিছু ভিত্তিহীন বর্ণনা উপস্থাপন করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, পৃথিবীর বয়স সাত হাযার বছর। আর মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আগমন ঘটেছে ৬ হাযার বছরে
উত্তর : উক্ত বিষয়ে আল্লাহ বলেন, আর বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখেনা যদি তারা সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের বহির্বাস খুলে রাখে, তবে তাতে তাদের কোন দোষ নেই। অবশ্য এথেকে বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম। আর আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন’ (নূর ৬০)।
উত্তর : এটি আল্লাহর গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন যখন আমার পাশে জনৈকা মহিলা বসা ছিল। তিনি বললেন ইনি কে? আমি বললাম, ইনি হাওলা বিনতে তুওয়াইত যিনি রাতে ঘুমান না (অর্থা
উত্তর : ইমামতির জন্য খোঁড়া হওয়া অন্তরায় নয়। যথাযথভাবে রুকু-সিজদা করতে পারেন না, এমন ইমামের পিছনেও ছালাত আদায় করা যায়। ওযরের কারণে ইমাম বা কোন মুক্তাদী বসে পড়তে পারেন। কিন্তু অন্যেরা দাঁড়িয়ে পড়বেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনো অসুস্থতার কারণে বসে বস
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে আমার উম্মতের সংখ্যা হবে সর্বাধিক এবং আমিই প্রথম জান্নাতের দরজা খুলব’ (মুসলিম হা/১৯৬, মিশকাত হা/৫৭৪২)। অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ
উত্তর : লাশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে ও তা মাটি হয়ে গেলে সেখানে সাধারণ মাটির ন্যায় সব কিছু করা যায় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ১২৬)। অতএব কবরের বাঁশ বা যে কোন বৃক্ষ কেটে বিক্রি করা যাবে এবং তা বিক্রয় করে কবরস্থানের উন্নয়নে লাগানো
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কন্যা শিশুর বেলায় এরূপ করতে বলেছেন (ইবনু মাজাহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫০১-২)। এজন্য ধৌত না করলে পবিত্র হয় না। শরী‘আতের কোন বিধানই আল্লাহ তা‘আলা বান্দার কল্যাণ ব্যতীত জারি করেননি, এ বিশ্বাস রেখেই আমল করতে হবে।
উত্তর : পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় জবাব দিবে না। বরং তা শেষ করার পর জবাব দিবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩৫)। সাধারণভাবে বাথরুমে দো‘আ পড়া যাবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৬)।
উত্তর : এমন ব্যক্তি প্রথমে ইমামের আমীনের সাথে আমীন বলবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন ইমাম আমীন বলবে, তখন তোমরা আমীন বল’ (তিরমিযী হা/২৫০)। তারপর সূরা ফাতেহা নীরবে পাঠ করবে। কেননা সূরা ফাতেহা ব্যতীত ছালাত সিদ্ধ হয় না’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুসলিম, মি
উত্তর : উভয় ঈদের দিন ছিয়াম পালন করা নিষিদ্ধ। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহার দিন ছিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/১৯৯১, মুসলিম হা/১১৩৭, মিশকাত হা/২০৪৮)। এছাড়া আইয়ামে তাশরীক্ব তথা ঈদুল আযহার পরবর্তী তিনদি
উত্তর : জীবিত বা মৃত যেকোন মাছ খাওয়ার ব্যাপারে শরী‘আত অনুমতি দিয়েছে। পদ্ধতিগতভাবে কেউ রান্না করে খায়, কেউ শুটকি বানিয়ে খায় তাতে কোন বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘সমুদ্রের শিকার তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদা ৯৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সমুদ্র
উত্তর : ‘মুহাম্মাদ আবুল কাসেম’ একত্রে রাখা যাবে না (তিরমিযী হা/২৮৪১, মিশকাত হা/৪৭৬৯)। উক্ত নাম রাখা যাবে বিষয়ে হযরত আলী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছটি ছিল তাঁর জন্য ‘খাছ’ (তিরমিযী হা/২৮৪৩)। শুধু ‘মুহাম্মাদ’ রাখা যাবে। কিন্তু শুধু ‘আবুল কাসেম’ রাখা যাব
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগেই হাদীছ লেখা শুরু হয়। মক্কা বিজয়ের পর তাঁর ভাষণের কিছু অংশ তিনি জনৈক আবু শাহকে লিখে দিতে বলেন (বুখারী হা/২৪৩৪)। এছাড়া অন্যান্য প্রমাণও রয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে হাদীছের সংকলনকার্য শুরু হয় খলীফা ওমর ইবনু আব্দিল আযীয
উত্তর : হাদীছে বর্ণিত ছহীহ দো‘আ সমূহ ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় সালামের পূর্বে দো‘আ করা যাবে না। কেননা নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমাদের এ ছালাতে মানুষের কথাবার্তা সিদ্ধ নয়। এটা হ’ল তাসবীহ, তাকবীর এবং তেলাওয়াতে কুরআন (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৭৮)। তবে কুনূতে
উত্তর : এ কালেমার প্রচলন কখন থেকে হয়েছে, তা জানা যায় না। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস বলেন, কালেমা ত্বাইয়েবাহ হ’ল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (لا اله الا الله) (তাফসীর ইবনে আববাস, কুরতুবী, ইবনু কাছীর, সূরা ইবরাহীম ২৪ আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। দুই অংশ বিশিষ্
উত্তর : এ সময় ইমামের সালাম ফেরানো পর্যন্ত দো‘আ-দরূদ পড়া যায়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)।
উত্তর : উক্ত বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও’ (হজ্জ ২৮)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা নিজেরা খাও, যারা চায় না তাদের খাওয়াও এবং যারা নিজেদের প্রয়োজন পেশ করে তাদের খাওয়াও’ (হজ্জ ৩৬)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) কুরবানীর গোশত তি
উত্তর : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আদম সন্তানকে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ দু’টি উপত্যকাও যদি দেওয়া হয়, সে তৃতীয়টির আকাংখা করবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ব্যতীত অন্য কিছু পূর্ণ করতে পারবে না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা
উত্তর : এটা খুব বড় পাপ। এটা মানুষের হক বিনষ্টকারী পাপ। এর জন্য প্রত্যেক ক্রেতার নিকটেই ফাঁকি দেওয়া অংশ পৌঁছাতে হবে। সম্ভব না হলে তাদের উত্তরাধিকারীদের নিকট পৌঁছাতে হবে। তাদের কাউকে না পেলে তাদের নামে পরিমাণমত টাকা আল্লাহর রাস্তায় দান করতে হবে
উত্তর : তাবীয থাকায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বায়‘আত গ্রহণ করেননি মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ। উক্ববা বিন ‘আমের (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খিদমতে একদল লোক আসল। অতঃপর দলটির ৯ জনের বায়‘আত নিলেন এবং একজনকে বাকী রাখলেন। তারা বলল, হে আল্লাহর রাস
উত্তর : সফরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ৬ কিঃমিঃ নয়, বরং রাসূল (ছাঃ) ৬ মাইল দূরত্বে গিয়ে ছালাত ক্বছর করেছেন। যেমন আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে মদীনায় যোহরের ছালাত চার রাক‘আত পড়েছি। অতঃপর (৬ মাইল দূরে) যুলহুলায়ফা গিয়ে আছরের ছালাত দুই রাক‘আত
উত্তর : এ মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে মিথ্যা কথা বলা নিঃসন্দেহে কবীরা গুনাহ (হজ্জ ৩০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫০, ‘মুনাফিকের আলামত ও কবীরা গোনাহ সমূহ’ অনুচ্ছেদ; মুসলিম, মিশকাত হা/৫০৩১, ৪৮২৪)। আল্লাহ মিথ্যুকের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারণ কর
উত্তর : সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় তাকে কুরআনের হাফেয বানানোর নিয়ত করার জন্য উক্ত মা পূর্ণ নেকী পেয়ে যাবেন। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা নেকী ও পাপ লিখেন। অতএব যে ব্যক্তি কোন নেকী করার সংকল্প করে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে পারে না, আল্ল
উত্তর : অত্র আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ বলেন, সেখানে (জাহান্নামে) তারা চিরকাল থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রতিপালক যদি অন্য কিছু চান। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যা চান তা করে থাকেন। পক্ষান্তরে যারা ভাগ্যবান, তারা চিরকাল জান্নাতে থা
উত্তর : সাধারণভাবে এগুলি গ্রহণ করা জায়েয। কেননা রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের নিকট থেকে উপহার গ্রহণ করেছেন। আবু হুমায়েদ বর্ণনা করেন যে, আয়লার শাসক নবী করীম (ছাঃ)-কে একটি সাদা খচ্চর উপহার দিয়েছিলেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন (বুখারী ২/১৯৫ পৃঃ, ‘মুশরিকদ
উত্তর : গোপন শিরক হ’ল যা বাহ্যিকভাবে দেখা যায় না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যা অন্ধকার রাতে কালো পাথরের উপর কালো পিঁপড়ার বিচরণের চেয়েও গোপন’ (ইবনু কাছীর)। উক্ত শিরক সাধারণতঃ নিয়ত বা সংকল্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর তা হ’ল, রিয়া বা লোক দেখানো আমল কর
উত্তর : এটাতে কোন দোষ নেই। স্রেফ স্বাস্থ্যরক্ষা ও বিনোদনের জন্য জুয়া ও অপচয়মুক্ত খেলাধূলার আয়োজনে ও তাতে অংশগ্রহণে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কিন্তু কোন খেলা যদি সাময়িক শরীর চর্চার বদলে কেবল সময়ের অপচয়, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ঐ ব্যক্তি যদি দ
উত্তর : ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া ৬৪ হিজরীর ১৪ই রবীঊল আউয়াল ৩৫ বা ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন (ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/২৪৭)। মৃত্যুকালে ইয়াযীদের শেষ কথা ছিল, ‘হে আল্লাহ! আমাকে পাকড়াও করো না ঐ বিষয়ে যা আমি চাইনি এবং আমি প্রতিরোধও করিনি এবং
উত্তর : এ ঘটনা বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ইবনু জারীর ত্বাবারী, তারীখুর রুসুল ওয়াল মুলূক ৪/২০৫; আহমাদ দীনাওয়ারী, আল-মুজালাসাহ ২/৮; খাত্ত্বাবী, গারীবুল হাদীছ ২/৫২; ইবনু আসাকির, তারীখু দিমাশক ৪৪/৩৫২-৩৫৩ ইত্যাদি। ত্ব
উত্তর : এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা একটি ব্যবসার নাম, যা ঘরে বসে করা যায়। অনলাইনে এরূপ অনেক ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানী রয়েছে যেমন ওডেক্স, এলান্স, ল্যান্সটেক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি। এ কোম্পানীগুলিতে কোনরূপ ফি ছাড়াই রেজিস্ট্রেশন করে স্বীয় যোগ্যতা অ
উত্তর : আল্লাহ আরশে সমুন্নীত এবং তিনি অবশ্যই অবতরণ করেন, যেভাবে অবতরণ করা তাঁর মর্যাদার উপযোগী হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে নিম্ন আকাশে অবতরণ করেন এবং ফজর পর্যন্ত বান্দাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, কে আছ আমাকে আ
উত্তর : নিম্নোক্ত শর্তাবলী মেনে চললে ঠিকাদারী পেশা শরী‘আতসম্মত হবে। (১) মালিকের সাথে কৃত শর্তমাফিক কাজ শেষ করতে হবে (মায়েদাহ ৫/১)। (২) কোনরূপ অন্যায় ও ধোঁকার আশ্রয় নেওয়া যাবে না (মুসলিম হা/১০২, ২৯৪; মিশকাত হা/২৮৬০, ৩৫২০)। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ
উত্তর : জ্যোতিষশাস্ত্র হ’ল কিছু পদ্ধতি, প্রথা এবং বিশ্বাসের সমষ্টি, যাতে মহাকাশে নক্ষত্রসমূহের আপেক্ষিক অবস্থান এবং তৎসংশ্লিষ্ট তথ্যাদির মাধ্যমে মানব জীবন, মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং মানবীয় ও বহির্জাগতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। এখান
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। রাসূল (ছাঃ) সূরা ফাতিহাকে পবিত্র কুরআনের সর্বাপেক্ষা মর্যাদা সম্পন্ন সূরা হিসাবে উল্লেখ করেছেন (বুখারী হা/৪৪৭৪, মিশকাত হা/২১১৮)।
উত্তর : অমুসলিম পিতা-মাতা, কিংবা ভাই ও চাচারা অভিভাবক হওয়ার যোগ্য নয়। এমতাবস্থায় স্থানীয় মুসলিম নেতা বা মসজিদের ইমাম তার অভিভাবক হবেন। শরী‘আতে মুসলিম অভিভাবকের অবর্তমানে মুসলিম শাসকের কথা এসেছে (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮০, মিশকাত হা/৩১৩১)। এর মধ্যে স
উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, মানুষের স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে (ক) ভাল স্বপ্ন, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ বহন করে (খ) দুঃখদানকারী স্বপ্ন, যা শয়তানের পক্ষ থেকে হয় (গ) মনের মধ্যে উদ্ভূত কল্পনা, যা স্বপ্নে দেখা যায়
উত্তর : পুরা সম্পত্তিকে ২৪ ভাগ করে ৪ অংশ পাবে স্ত্রী, ৩ অংশ পাবে মা, ১৬ অংশ পাবে চার মেয়ে এবং বাকি ১ অংশ পাবে দুই ভাতিজা।
উত্তর : সকল নবীই ছিলেন নিষ্পাপ। অতএব ইউসুফ (আঃ) সম্পর্কে কোনরূপ মন্দ ধারণা করা নিষিদ্ধ। সে সময় সূদী কারবার ছিল কি-না তা জানা যায় না এবং তিনি অমুসলিম কালচারের সঙ্গে আপোষ করেছেন এরূপ চিন্তা করাও গোনাহ। তাঁর দোহাই দিয়ে এযুগে সূদী কারবারে যুক্ত হ
উত্তর : এগুলির ব্যবসা ও মেরামত করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এর ক্ষতিকর বিষয়টির জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানী ও সরকার দায়ী এবং এটি অনৈতিক কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারী দায়ী হবে। আল্লাহ বলেন, একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)।
উত্তর : ওমরাহ করার নিয়ত না থাকলে হজ্জ পালনকালে মীক্বাতের বাইরে গেলে মীক্বাত থেকে পুনরায় ইহরাম বাঁধার প্রয়োজন নেই। কেননা রাসূল (ছাঃ) মীক্বাত সমূহ নির্ধারণ করে বলেছেন, এগুলি ঐসব অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য এবং তা অতিক্রমকারী অন্য অঞ্চলের লোকদের জন্
উত্তর : কুরআন-হাদীছ দ্বারা যারা ঝাড়-ফুঁক করে তাদের চিকিৎসা নেওয়া যাবে (বুখারী হা/৫৭৩৬, ‘চিকিৎসা’ অধ্যায়)। এছাড়া আরো কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। যেমন (১) আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম’ পাঠ করা (আ‘রাফ ৭/২০০, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪১৮)। (২)
উত্তর : মসজিদের ওয়াকফকৃত জমি কাউকে দান করা যাবে না। তবে প্রয়োজনে বিক্রয় করা যায় অথবা এওয়ায করা যায়। ওমর ফারূক (রাঃ) কূফার পুরাতন মসজিদের স্থানটি বিক্রয় করেন এবং অন্য স্থানে মসজিদ নির্মাণ করেন। অতঃপর পুরাতন মসজিদের জায়গাটি খেজুর বিক্রয়ের বাজার
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত সর্বনিম্ন বিতর সহ ৫ রাক‘আত পড়া যায় (আবুদাঊদ হা/১৪২২, নাসাঈ হা/১৭১২; মিশকাত হা/১২৬৫)। তবে সর্বোচ্চ ১১ অথবা ১৩ রাক‘আত পড়বে (বুখারী. মুসলিম, মিশকাত হা/১২৫৬; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১২৬৪)।
উত্তর : বৃষ্টি, অসুস্থতা বা কোন ভয়ের কারণে যোহর-আছর এবং মাগরিব-এশার ছালাত একত্রে জমা করে আদায় করা যায় (বুখারী হা/১১৭৪; মুসলিম হা/১৬৩৩-৩৪)।
উত্তর : স্বামী ছহীহ হাদীছের উপর আমল করতে বাধা দিলে স্বামী গোনাহগার হবে। এমতাবস্থায় স্ত্রীর করণীয় হ’ল স্বামীকে সদুপদেশ দেয়া এবং ছহীহ হাদীছের উপর আমল করতে উৎসাহিত করা। আর এক্ষেত্রে রাগান্বিত না হয়ে সাধ্যমত সদাচরণের মাধ্যমে তাকে বুঝানো এবং তার হ
উত্তর : এককভাবে চলবে না। কেননা নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, কোন বেগানা পুরুষ কোন বেগানা মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান করলে তাদের তৃতীয় জন হয় শয়তান (তিরমিযী হা/১১৭১, মিশকাত হা/৩১১৮)। তবে যদি কয়েকজনকে একত্রে পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থাসহ পড়ানো হয় এবং তাতে কোন ফে
উত্তর : অত্র আয়াতে সূরা ফাতিহাকেই মহান কুরআন বলা হয়েছে (ইবনু কাছীর, কুরতূবী উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। এর মাধ্যমে সূরা ফাতিহার উচ্চ মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। কারণ আস-সাবউল মাছানী সূরা ফাতিহার একটি নাম (তিরমিযী হা/৩১২৪; আবুদাঊদ হা/১৩১)। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (
উত্তর : ঈদের ছালাতে মসজিদে আদায় করা হলে ছালাতের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতে হবে। কেননা এটা মসজিদের সাথে সম্পর্কিত সুন্নাত, ছালাতের সাথে নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে যেন সে না
উত্তর : এর কোন শারঈ ভিত্তি নেই। ইহূদীরা বলত, স্ত্রীর পিছন থেকে বা সামনে থেকে সঙ্গম করলে সন্তান বিকলাঙ্গ হয়। এর প্রতিবাদে আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন ‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরূপ। সুতরাং তোমরা তোমাদের ক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর’ (ব
উত্তর : এ কথা সঠিক নয়। তবে মুমিনের কোন বিপদ-আপদ, দুঃখ-বেদনা বা কোন রোগ-ব্যাধি এমনকি পায়ে কাঁটা বিদ্ধ হয়ে কষ্ট পেলেও এগুলি দ্বারা তার গুনাহ মাফ করা হয় এবং আল্লাহ তার মর্যাদা উঁচূ (বুখারী হা/৫৬৪১; মুসলিম হা/২৫৭২; মিশকাত হা/১৫৩৭)। যদি সে ছবর করে এ
উত্তর : বারা বিন ‘আযেব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ঈদুল আযহার দিন আমরা প্রথম ছালাত দিয়ে শুরু করি। অতঃপর ফিরে আসি এবং কুরবানী করি। এক্ষণে যে ব্যক্তি এটা করল, সে আমাদের সুন্নাতের অনুসরণ করল। আর যে ব্যক্তি তার পূর্বে করল, সে তার নি
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) কুরবানীর চামড়া ছাদাক্বা করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং এর বাইরে তা দান করা বৈধ হবে না (তওবা ৬০, বুখারী, মুসলিম হা/১৩১৭; মিশকাত হা/২৬৩৮)। ঈদগাহ নির্মাণ ছাদাক্বা বণ্টনের খাত সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয় (তওবা ৯/৬০)। সুতরাং এ কাজে ছাদাক্বার অ
উত্তর : হাদীছকে এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে শেষনবী হিসাবে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফের। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল’ (নিসা ৪/৮০)। তিনি বলেন, রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে নিষেধ করেন, তা থেকে ব
উত্তর : প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের একসাথে পড়াশুনা করা সম্পূর্ণরূপে শরী‘আতবিরোধী এবং এটি মানুষের স্বভাব ধর্মের বিরোধী ও পারস্পরিক নীতিবোধের জন্য চরম ক্ষতিকর। আধুনিক বংশধরগণের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসারের অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল বেগানা নারী-পুরুষের এই
উত্তর : মসজিদের মান অক্ষুণ্ণ রেখে মসজিদের কল্যাণার্থে তার জায়গায় বা নীচতলায় দোকানপাট তৈরী করা শরী‘আতসম্মত। ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, মসজিদের নীচে দোকানপাট তৈরী করা যায়। তাতে কোন দোষ নেই (ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ, ৩১/২১৮)। মিয়াঁ নাযীর হুসাইন দ
উত্তর : পোষা বা ক্রয় করা কোন পশুকে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করলে ও সেই মর্মে ঘোষণা দিলে তা আর বদল করা যাবে না। এটি ওয়াকফের মত। তবে যদি নির্দিষ্ট না করে থাকে, তাহ’লে তার বদলে উত্তম পশু কুরবানী দেওয়া যাবে। কোন কোন বিদ্বান উত্তম পশু ক্রয় করার লক্
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ..এবং শিংগায় ফুঁক দেওয়া হবে। ফলে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়বে যাদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা করেন তারা ব্যতীত। অতঃপর দ্বিতীয়বার শিংগায় ফুঁক দেওয়া হবে, তখন সকলে দন্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে (যুমার ৬৮)। অত্র আয়াতের ব্যাখ্য
উত্তর : ঈদগাহে মেহরাব ও মিম্বর করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং রাসূল (ছাঃ) ফাঁকা ময়দানে ছালাত আদায় করতেন। আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) যখন ঈদের দিন বের হ’তেন তখন একটি বর্শা নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিতেন। অতঃপর সেটিকে তাঁ
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে এরূপ কোন বয়সসীমা নেই। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন আছে, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও ... তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন’ (নূর ২৪/৩২)। ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হ’লে বি
উত্তর : বিদ‘আতী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা, তাকে মেনে নেওয়া বা সহযোগিতা করার শামিল। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর, অন্যায় ও পাপের কাজে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ২)। সুতরাং এথেকে দূরে থাকা আবশ্যক। বাধ্যগত কারণে অ
উত্তর: ইবাদতের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদনের প্রধান উপায় হ’ল হৃদয়ে খুশূ-খুযূ সৃষ্টি করা। অর্থাৎ ইবাদত সমূহ এই বিশ্বাস নিয়ে করা যে, বান্দা যেন আল্লাহকে দেখছে। অথবা আল্লাহ বান্দাকে দেখছেন (বুখারী হা/৫০; মুসলিম হা/১০২; মিশকাত হা/২)। এছাড়া আরো কিছু পন্থ
উত্তর: বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে ডাক্তারের পরামর্শে শারীরিক কোন ক্ষতি না হ’লে এবং সন্তান ধারণ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত না হ’লে ঔষধ ব্যবহার করে সাময়িকভাবে ‘হায়েয’ প্রতিরোধ করা যায় (ফাতাওয়া বিন বায ‘ছিয়াম’ অধ্যায় ফৎওয়া নং ৫৭; ১৫/২০০ পৃঃ)। তবে এথেকে বি
উত্তর : এ বিষয়ে সূরা নূর ৩১ আয়াতে ১০ জন পুরুষের কথা বলা হয়েছে, যাদের সাথে নারী পর্দাবিহীন সাক্ষাৎ করতে পারে। যেমন স্বামী, পিতা (দাদা-নানা, চাচা-মামা), শ্বশুর (জামাতা), পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা (বৈপিত্রেয় বা বৈমাত্রেয়), ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগিন
উত্তর : এক্ষেত্রে ইজতিহাদই অগ্রগণ্য হবে। কেননা ইজতিহাদ হ’ল, কোন বিষয়ে কুরআন, ছহীহ সুন্নাহ ও ইজমায়ে ছাহাবার মধ্যে স্পষ্ট সমাধান না পাওয়া গেলে উক্ত মূলনীতিগুলির আলোকে সমাধান দানের সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো। অন্যদিকে যঈফ হাদীছ কোন ক্ষেত্রেই গ্রহণ
উত্তর : বর্ণনাটি মওযূ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৩৩৩, তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত ১/১৯)।
উত্তর : খরগোশের গোশত যেহেতু খাওয়া জায়েয (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৪১০৯), সেহেতু এরূপ স্তন্যপায়ী হ’লে এবং তীক্ষ্ণ দন্তবিশিষ্ট হিংস্র প্রাণী না হলে এটি খাওয়া ও এর ব্যবসা করায় কোন দোষ নেই।
উত্তর : ‘ব্যবসার ক্ষেত্রে সামান্য মিথ্যা বলা যায়’ এ নীতি মনগড়া ও ভিত্তিহীন। বরং যে তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না এবং তাদের প্রতি দৃষ্টিপাতও করবেন না তাদের একজন সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে মিথ্যা কসমের মাধ
উত্তর : ব্যভিচার কাবীরা গুনাহ। আল্লাহ বলেন, তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (ইসরা ১৭/ ৩২)। উক্ত অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে (নিসা ৪/১৯-২০)। আর যদি স্ত্রী তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে খালেছ অন্তরে ত
উত্তর: শুক্রবারে হজ্জ হ’লে তার জন্য বিশেষ কোন ফযীলত নেই। বরং যে বর্ণনার আলোকে এ কথা বলা হয়, সেটি জাল ও ভিত্তিহীন। সেখানে বলা হয়েছে, আরাফার দিন জুম‘আর দিনের সাথে মিলে গেলে তা ৭০টি হজ্জের চেয়েও উত্তম (সিলসিলা যঈফাহ হা/১১৯৩)।ছাহেবে তুহফা হুঁশিয়ার
উত্তর : শারীরিক এবং আর্থিকভাবে সক্ষম জীবিত ব্যক্তির পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ করা জায়েয হবে না। কেননা আল্লাহ বলেন, আল্লাহর জন্য লোকদের উপর বায়তুল্লাহর হজ্জ ফরয করা হ’ল, যারা সে পর্যন্ত যাবার সামর্থ্য রাখে’ (আলে ইমরান ৩/৯৭)। অতএব যারা সামর্থ্যবান তা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। তবে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মারা গেল, অথচ জিহাদ করল না। এমনকি জিহাদের কথা মনেও আনলো না, সে ব্যক্তি মুনাফেকীর একটি শাখার উপর মৃত্যুবরণ করল’ (মুসলিম হা/১৯১০, মিশকাত হা/৩৮১৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মক্ক
উত্তর : ফজরসহ যেকোন ফরয ছালাত শেষে মুছল্লী যতক্ষণ স্বীয় স্থানে বসে তাসবীহ-তাহলীল করে, ততক্ষণ ফেরেশতামন্ডলী তার জন্য দো‘আ করতে থাকে এই মর্মে যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর ও তার উপর রহম কর (বুখারী হা/৪৪৫, মুসলিম হা/৬৪৯; মিশকাত হা/৭০২)।তবে ফ
উত্তর : না। বরং জুম‘আর ছালাত ইমামের সাথে এক রাক‘আত পেলে বাকী আরেক রাক‘আত যোগ করবে’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪১২)। কিন্তু রুকূ না পেলে (যোহরের) চার রাক‘আত পড়বে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, বায়হাক্বী ৩/২০৪; সনদ ছহীহ; ইরওয়া ৩/৮২ হা/৬২১-২২)।
উত্তর : মহিলাদের চেহারা ও দুই হস্ততালু ব্যতীত সর্বাঙ্গ সতর (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৭২ সনদ হাসান ‘পোশাক’ অধ্যায়)। অতএব ছালাত আদায়কালে মহিলাদের জন্য চুল ঢেকে রাখা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ওড়না ব্যতীত কোন বালেগা নারীর ছালাত কবূল
উত্তর : যে কোন ভাল সংবাদ শ্রবণে বা কোন নে‘মত প্রাপ্ত হ’লে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে সিজদা করা উত্তম। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট কোন আনন্দের সংবাদ আসলে অথবা তাঁকে কোন সুসংবাদ প্রদান করা হ’লে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য সিজদা করতেন (আবুদাউদ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার সঙ্গে তার একজন জিন সহচর ও একজন ফেরেশতা সহচর নিযুক্ত করা হয়নি’। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপন
উত্তর : ইয়াকূবী শরী‘আতে সম্মানের সিজদা করা জায়েয ছিল (ইবনু কাছীর, ঐ আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। কিন্তু মুহাম্মাদী শরী‘আতে এটি হারাম করা হয়েছে এবং এভাবে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের প্রতি সিজদা করার দূরতম সম্ভাবনাকেও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মু‘আয (রাঃ) শাম থেকে ফে
উত্তর : এরূপ ক্ষেত্রে তার সাথে মুছাফাহা ও মু‘আনাক্বা করা যাবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, আহকামু আহলিয যিম্মাহ ১/৪২৫)। আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন তোমরা সম্ভাষণ প্রাপ্ত হও, তখন তার চেয়ে উত্তম সম্ভাষণ প্রদান কর অথবা ওটাই প্রত্যুত্তর কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল বিষয়ে হ
উত্তর : বান্দাকে পুরস্কার বা শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রমাণ উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে এটা করা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কি ভেবেছ জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ আল্লাহ এখনো জেনে নেননি কারা তোমাদের মধ্যে জিহাদ করেছে এবং কারা তোমাদের মধ্যে ধৈর্যশীল’? (আলে ইমরান
উত্তর : ওযর ব্যতীত ছালাত তরক করা মুছল্লীর জন্য হারাম। তবে যরূরী কারণে ছালাত তরক করা যায়। যেমন, বিপদগ্রস্ত বা ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা বা অনুরূপ কোন অবস্থায় ছালাত পরিত্যাগ করা ওয়াজিব। এছাড়া সন্তানের ক্রন্দন, হাড়ি উথলে ওঠা, বাহন চলে যাওয়া, ম
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি ভিত্তিহীন (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮২২)। এ বর্ণনা সম্পর্কে ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘এইরূপ শব্দে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন বর্ণনা কোন হাদীছ গ্রন্থে এসেছে বলে জানা যায় না এবং কোন বিদ্বানের নিকট এটি পরিচিত নয়। বরং তাদের
উত্তর : খিযির বা ইলিয়াস (আঃ) কেউ-ই এখন বেঁচে নেই। আল্লাহপাক স্বীয় রাসূল (ছাঃ)-কে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মৃত্যুবরণ করবে, যেমন (তোমার পূর্বের) নবীগণ মৃত্যুবরণ করেছেন’ (যুমার ৩৯/৩০)। তিনি বলেন, তোমার পূর্বে কোন মানুষকে আমি স্থায়ী জীবন দান করিনি (আম্ব
উত্তর : আক্বীদাগতভাবে সকল আহলেহাদীছই এক। শরী‘আতের ব্যাখ্যাগত পার্থক্যের কারণে কিছু প্রশাখাগত বিষয়ে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক। এছাড়া অন্যান্য যেসব বিভেদ দেখা যায়, তা অনেক সময় দুনিয়াবী স্বার্থদ্বন্দ্ব ও মনের রোগ থেকে সৃষ্টি হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্
উত্তর : হাদীছটি নিম্নরূপ : তোমরা ইহূদী-নাছারাদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না। যখন তোমরা তাদের কাউকে রাস্তায় পাবে, তখন তাকে রাস্তার সংকীর্ণ স্থানের দিকে যেতে বাধ্য করো (মুসলিম হা/২১৬৭, মিশকাত হা/৪৬৩৫)।যেসব অমুসলিম মুসলমানদের সাথে ধর্মের কারণে বিদ্ব
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)। তিনি স্বীয় রাসূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মৃত্যুবরণ করবে। যেমন তারা (বিগত নবীরা) মৃত্যুবরণ করেছে’ (যুমার ৩৯/৩০)। ৬৩ বছর বয়সে
উত্তর : আছারটি বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। যেমন মালেকুদ্দার বলেন, ওমর (রাঃ)-এর যুগে লোকেরা দুর্ভিক্ষে পতিত হ’ল। তখন জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর কবরের নিকটে এলো এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উম্মতের জন্য পানি প্রার্থনা করুন। কারণ তারা ধ্ব
উত্তর : হৃদয়ে সংকল্পই যথেষ্ট হবে। মুখে পাঠ করা বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম কখনো মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত পাঠ করেননি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কাজ করল, যেখানে আমাদের নির্দেশ নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী হা/১০৯২)। বিশিষ্ট
উত্তর : মসজিদের ভিতরে গিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে। কিন্তু যদি কেউ উক্ত ছবির বরকত লাভের উদ্দেশ্যে উক্ত মসজিদে গিয়ে ছালাত আদায় করে, তবে তা শিরক হবে। আর ঐ ছবি অবশ্যই সরিয়ে ফেলতে হবে। কেননা ইসলামে ছবি-মূর্তি হারাম। আর মসজিদের গেটে বা দেওয়ালে লাগানো
উত্তর : সন্তানের আগ্রহ, স্বাস্থ্য, মেধা ও যোগ্যতার মান ভেদে তাকে উৎসাহিত করা ও তার জন্য সাধ্যমত ব্যয় নির্বাহ করা পিতা-মাতার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এতে কমবেশী হওয়ায় কোন দোষ নেই। তবে কারো প্রতি ইচ্ছাকৃত অবহেলা চরম নিন্দনীয় বিষয়। আর ভরণ-পোষণ ও স
উত্তর : বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে বা ট্যাবলেট খাইয়ে পশু মোটাতাজাকরণ অত্যন্ত গর্হিত কাজ। যা আদৌ শরী‘আতসম্মত নয়। কেননা এর মাধ্যমে ক্রেতার সাথে প্রতারণা করাই লক্ষ্য থাকে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। প্রতারণা ক
উত্তর : মেয়ের বিবাহের ক্ষেত্রে অলী বা অভিভাবকের অনুমতি আবশ্যক (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। তবে স্রেফ আক্বীদাগত কারণেই যদি পিতা বাধা হয়ে দাঁড়ান, সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্য বা সমাজের মুসলিম ধর্মীয় নেতা অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে বিবাহ দিবেন। কেননা
উত্তর : (১) ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশতঃ ছালাতের কোন শর্ত বা রুকন ছুটে যাওয়া। যেমন ওযূ নষ্ট হওয়া (মায়েদাহ ৩/০৬), ক্বিয়াম, রুকূ বা সিজদা না করা (বাক্বারাহ ২/২৩৮, হজ্জ ২২/৭৭), প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা না পড়া (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪) ইত্যাদি। (২)
উত্তর : ঔষধ খাওয়ার পূর্বে নির্দিষ্ট কোন দো‘আ নেই। অতএব ‘বিসমিল্লাহ’ বলাই যথেষ্ট হবে। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ কিছু খাবে তখন সে যেন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে। বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে সে যেন বলে, ‘বিসমিল্লাহি আ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির মানুষ ছিলেন; নূরের তৈরী নন। আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) ‘তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ মাত্র। (পার্থক্য হ’ল) আমার নিকট ‘অহি’ করা হয় ...’ (কাহ্ফ ১৮/১১০)। এটা কেবল আমাদের নবীই নন, বরং বিগত সকল নবীই স্
উত্তর : বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য প্রশ্নে উল্লিখিত পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কুসংস্কার মাত্র। তাফসীর ইবনে কাছীরে উক্ত বর্ণনার কোন অস্তিত্ব নেই। বরং আরোগ্য লাভের জন্য শরীরে কোন কিছু ঝুলালে তা শিরক হবে। চাই তা তাবীয হোক বা অন্য কিছু হোক। রাস
উত্তর : মানুষের সাথে জিনের বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের পসন্দমত দুই, তিন বা চারজন নারীকে বিবাহ কর’ (নিসা ৪/৩)। তিনি বলেন, আর আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হ’তেই জোড়া (স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জোড়া (স্ত
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখছ সেভাবে তোমরা ছালাত আদায় কর’ (বুখারী হা/৬৩১; মিশকাত হা/৬৮৩)। তিনি মাগরিব, এশা ও ফজরের ছালাতে সশব্দে এবং যোহর ও আছর ছালাতে নিম্নস্বরে কিরাআত পাঠ করেছেন (বুখারী হা/৭১৩, ৭৩৫, ৭৩৯,
উত্তর : সামর্থ্য থাকলে একাধিক কুরবানী করায় কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজ পরিবার ও উম্মতের পক্ষ হ’তে দু’টি ‘খাসি’ কুরবানী করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪৫৩)। এছাড়া বিদায় হজ্জের দিন তিনি একশত উট কুরবানী করেছিলেন (ইবনু মাজাহ হা/৩০৭৬)। তবে
উত্তর : স্ত্রী যদি বৈধ কারণে ডিভোর্স দিতে চায় এবং স্বামী তাতে অসম্মত হয়, তবে স্ত্রীকে আদালতের অথবা ধর্মীয় নেতাদের সাহায্য নিতে হবে। তারা স্ত্রীকে প্রদত্ত স্বামীর দেনমোহর ফেরত প্রদানের মাধ্যমে উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিবেন। ছাবিত বিন ক্বায়েস-এর স্
উত্তর : মহিলা ডাক্তার না পাওয়া গেলে বাধ্যগত অবস্থায় পুরুষ ডাক্তারের নিকটে যাওয়া যাবে। বদর, ওহোদ প্রভৃতি যুদ্ধে মহিলা ছাহাবীগণ আহত মুসলিম সৈন্যদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন (বুখারী হা/৫৬৭৯, মুসলিম হা/১৮১০, মিশকাত হা/৩৯৪০)। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী মহিলাদ
উত্তর : এ সমস্ত পাপের জন্য ছালাত কবুল হ’তে বাধা নেই। কেননা ছালাত কবূলের শর্ত হ’ল, (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ শিরক মুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া (কাহফ ১৮/১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক হওয়া (মুসলি
উত্তর : উক্ত নামে অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে কোনরূপ আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ঈদের সময় পারস্পরিক সাক্ষাৎ ও একত্রে খানাপিনায় কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমার ভালবাসা তাদের জন্য ওয়াজিব হয়ে যায় যারা আমার জন্য পরস্পরকে ভালবাসে, এক
উত্তর : ইয়াযীদী একটি পথভ্রষ্ট দল। যাদের বৃহদাংশ ইরাকে এবং কিছু অংশ তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া, জর্জিয়া প্রভৃতি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ১৩২ হিজরীতে উমাইয়া শাসনের অবসানের পর এদের উৎপত্তি হয়। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইবরাহীম বিন হারব বিন খালেদ বিন ইয়াযীদ। এরা অভিশপ
উত্তর : পাঠা ছাগল কুরবানী দেওয়া যায়। তবে খাসী ছাগল কুরবানী দেওয়া উত্তম। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাসী কুরবানী দিয়েছিলেন। জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট দু’টি মোটা-তাযা সাদা-কালো শিংওয়ালা খাসী ছাগল নিয়ে আসা হ’ল। তিনি
উত্তর : অন্যের দেহে পায়ের স্পর্শ লাগার বিষয়টি অসতর্কতাবশতঃ ঘটে থাকে। অতএব এজন্য তার নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়াই যথেষ্ট হবে। তবে এথেকে সাধ্যমত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) ঐসব কর্ম থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন, যার জন্য পরক্ষণে ওযর প
উত্তর : স্রেফ উপদেশ হাছিলের জন্য এসব স্থানে গমন করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ মিথ্যারোপকারীদের পরিণতি কেমন হয়েছে’? (আন‘আম ৬/১১)।
উত্তর : নফল ছালাত সুস্থ অবস্থায় বসে আদায় করা জায়েয। তবে এতে অর্ধেক নেকী হবে। আর ওযরবশতঃ হ’লে দাঁড়িয়ে ছালাতের ন্যায় পূর্ণ নেকী পাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করা উত্তম। যে ব্যক্তি বসে ছালাত আদায় করে, সে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ছালাত আদায়কা
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৬১৩, ৬৩১৩)।
উত্তর : পানির গুরুত্ব বুঝাতে এটা বলা হয়, জীবনদাতা হিসাবে নয়। কেননা পানি দ্বারাই সকল প্রাণীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা পানি দ্বারা সকল প্রাণবান বস্ত্তকে সৃষ্টি করেছি’ (আম্বিয়া ২১/৩০)। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই ... বৃষ্টির মধ্যে, যা আসমান
উত্তর : আল্লাহ ও মুহাম্মাদ পাশাপাশি প্রদর্শন করা শরী‘আত বিরোধী। এতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আল্লাহর সমতুল্য বুঝায়। যা বিশুদ্ধ আক্বীদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী শিরকী আক্বীদা। তবে এরূপ মসজিদে ছালাত আদায় করা যায়। এরূপ লেখার কারণে মসজিদের মুতাওয়াল্লীসহ দা
উত্তর : ছালাত বা ছালাতের বাইরে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে তাঁর গুণবাচক নাম সমূহ দ্বারা আহবান করা যাবে। যেমন হে রূযীর মালিক! আমাকে রূযী দাও! হে আরোগ্য দানকারী! আমাকে আরোগ্য দান কর। হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর দৃ
উত্তর : কেবল উক্ত আমলের কারণে তাদের খারেজী বলা যাবে না। বরং খারেজীদের অন্যান্য চরমপন্থী আক্বীদা ও আমল কারু মধ্যে পাওয়া গেলে, তাকে খারেজী বলা যায়। কিন্তু এসব মন্দ লকবে কাউকে ডাকা উচিত নয়। তাতে তার মধ্যে যিদ সৃষ্টি হবে এবং হেদায়াত লাভের পথ বন্ধ
উত্তর : এটি জায়েয হবে না। কারণ তা মসজিদের মুছল্লীদের জন্যই ওয়াকফ করা হয়েছে। অতএব তা মসজিদে গিয়েই পাঠ করতে হবে। তবে মসজিদের প্রয়োজনাতিরিক্ত কুরআন অন্য মসজিদে স্থানান্তর করায় কোন বাধা নেই (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ্দারব ২১/২৫০; আব্দুল্লাহ বিন
উত্তর : যৌথ পরিবারের সকল সম্পদের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ যদি একজনের হাতে থাকে, তবে তিনিই পুরো সম্পদের উপর যাকাত আদায় করবেন। আর যদি পৃথক থাকে, সেক্ষেত্রে প্রত্যেকে পৃথকভাবে তা আদায় করবে। কেননা যাকাতের পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পৃথক মালিকানাধীন সম্
উত্তর : জান্নাতবাসী হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর সাথে অন্য কাউকে শরীক না করা। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর চাচা আবু ত্বালেব এর মৃত্যু মুশরিক অবস্থায় হয়েছিল। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর কারণে জাহান্নামীদের মধ্যে তার শাস্তি সর্বা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ‘মওযূ‘ বা জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫; হাকেম হা/৪২২, তাহকীক যাহাবী, সনদ জাল)।
উত্তর : নিরুপায় অবস্থায় হেফাযতের উদ্দেশ্য ব্যাংকে টাকা রাখা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আল্লাহ যা তোমাদের উপর হারাম করেছেন, তা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। তবে তোমরা নিরূপায় হয়ে পড়লে তা স্বতন্ত্র কথা... (আন‘আম ১১৯)। তবে অন্য কোন নিরাপদ ব্যবস্থা থাকল
উত্তর : মসজিদে প্রবেশ করে যদি কেউ দেখেন যে, মুছল্লীগণ ছালাত আদায় করে নিয়েছেন ও মাসবূক তার বাকী ছালাত আদায় করছেন। এমতাবস্থায় তিনি জামা‘আতের নেকীর আশায় মাসবূককে ইমাম করতে পারেন মর্মে বহু বিদ্বান মত প্রকাশ করেছেন। তবে এ ব্যাপারে ছাহাবায়ে কেরাম থ
উত্তর : এরূপ করা শরী‘আতসম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এ ব্যাপারে কোন আমল পাওয়া যায় না। যিনি ইমামতি করবেন, তিনি উপস্থিত জনসাধরণের উদ্দেশ্যে ঈমান বর্ধক সংক্ষিপ্তভাবে কিছু নছীহত করতে পারবেন। যাতে উপস্থিতগণ নিজেদেরকে মৃত্যুর জন্য প
উত্তর : ‘তাহরীক’ (تحريك) অর্থ আন্দোলন। ‘আত-তাহরীক’ অর্থ বিশেষ আন্দোলন। ইংরেজীতে যাকে বলা যাবে The Movement অথবা That very Movement। অতএব ‘আত-তাহরীক’ বিশেষ একটি আন্দোলনের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে। সে আন্দোলন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক জ
উত্তর : মানবজাতির ন্যায় জিন জাতিকে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আমি জিন ও মানব জাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’ (যারিয়াত ৫১/৫৬)। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি জিন ও মানুষ দিয়ে জাহান্নামকে পূর্ণ করব’ (সাজদাহ ৩২/১৩)। তিনি আরো বলেন, ‘হ
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ)-এর খাতমে নবুঅতের চিহ্ন তাঁর উভয় কাঁধের মধ্যস্থলে ছিল। আর তা ছিল কবুতরের ডিমের মত (মুসলিম হা/২৩৪৪; তিরমিযী হা/৩৬৪৪; মিশকাত হা/৫৭৭৯; ছহীহাহ হা/৩০০৫)। ছাহাবী সালমান ফারেসী (রাঃ) সেটা দেখেই তাকে আখেরী নবী ও সত্যনবী হিসাবে চিনেছিলেন
উত্তর : ধর্মত্যাগ ও হত্যাকারী ব্যতীত সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার কোন বিধান শরী‘আতে নেই (বুখারী, মুসলিম, আবুদাঊদ মিশকাত হা/৩০৪৩, ৩৫০০)। পিতা-মাতা একাজ করলে সন্তানের হক নষ্ট করা হবে, যা পরকালে নিজের নেকী থেকে তাকে পরিশোধ করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা
উত্তর : এরূপ মেয়েদের বিবাহ করায় কোন দোষ নেই। বরং ধার্মিক মনে করলে তাদেরকেই বিবাহ করতে হবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)। অবৈধ সম্পদ উপার্জনের জন্য পিতা দায়ী হবেন, সন্তানরা নয় (আন‘আম ৬/১৬৪)।
উত্তর : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এগুলি মানুষের মৌলিক চাহিদা। এক্ষণে যদি পরিবারের জন্য থাকার উপযোগী নিজস্ব কোন বাসস্থান না থাকে, তাহ’লে প্রথমে বাসস্থান নির্মাণ করবে। অতঃপর সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, একজন
উত্তর : মানতকৃত বস্ত্ত মানতকারীর নিয়ত অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে। এতে ইমাম ছাহেবের হক থাকার প্রশ্নই আসে না।
উত্তর : তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি রাখতে হবে আঙ্গুলের ইশারার দিকে। রাসূল (ছাঃ) যখন তাশাহহুদে বসতেন, তখন ...তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন এবং তাঁর দৃষ্টি আঙ্গুলের ইশারা বরাবর থাকত তার বাইরে যেত না। (আবুদাউদ হা/৯৮৮, ৯৯০; নাসাঈ হা/১২৭৫; মিশকা
উত্তর : ছালাতে ইমাম ভুল করলে মুক্তাদীদের কর্তব্য হ’ল লোকমা দিয়ে ভুলটি শুধরিয়ে দেওয়া (আবুদাঊদ হা/৯০৭, সনদ হাসান)। আর শুধরানো সম্ভব না হ’লে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ছালাত বাতিল হবে না। আর ইমাম উদাসীনতার কারণে বার বার ভুল করলে এর গুনাহ তার উপরে বর্তাবে
উত্তর : বিশুদ্ধভাবে কুরআন পাঠকারী ক্বারীদের মাঝে ‘ওয়ালাযযাল্লীন’ পাঠের ক্ষেত্রে কোন মতভেদ নেই। প্রতিটি আরবী অক্ষরের মাখরাজ বা নির্দিষ্ট উচ্চারণস্থল রয়েছে। আরবী অক্ষর মাখরাজ অনুযায়ী উচ্চারণ করতে হবে। ‘যোয়াদ’-কে অন্য অক্ষরের ন্যায় উচ্চারণ
উত্তর : এটা এক প্রকার রোগ। এর জন্য চিকিৎসা নিতে হবে। এক্ষত্রে সর্বশেষ ফোঁটা বের হয়ে আসা পর্যন্ত বসে থেকে পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর উঠবে। আর পানি না থাকলে ঢিলা অথবা টিস্যু ব্যবহার করবে (তিরমিযী হা/১৬, ইবনু মাজাহ হা/৩১৬, সনদ ছহীহ)। এরপরেও দু’এক ফোঁট ন
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ছালাত আদায়কারী তার ডানে এবং বামে থাকা ভাইদেরকে সালাম প্রদান করবে (মুসলিম হা/৪৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০১৯)। অতএব সালাম ফিরানোর সময় ডানে এবং বামে থাকা ভাইদেরকে সালাম প্রদানের নিয়ত করবে। আর যদি একাকী ছালাত আদায় করে, তাহ’লে ড
উত্তর : উল্লিখিত মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ ইসলামী শরী‘আতে যাকাত ‘ফরয’। যে পাঁচটি স্তম্ভের উপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে, তার অন্যতম হচ্ছে যাকাত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ছালাত কায়েম কর, যাকাত আদায় কর ও রাসূলের আনুগত্য কর। অবশ্যই তোমরা রহমত প্র
উত্তর : এ তাফসীরে কিছু ভ্রান্ত আক্বীদা ও আমল এবং বহু স্থানে ভুল তাফসীরের সমাবেশ ঘটেছে। ফলে একে বিশুদ্ধ তাফসীর বলা যায় না। এর মধ্যে উল্লেখিত ভুলগুলোর কিছু দৃষ্টান্ত পেশ করা হ’ল : (১) ‘নবী’ বা ‘ওলী’র বরাত দিয়েও আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য প্রার্থনা
উত্তর : বার্ধক্যের কোন চিকিৎসা বা ঔষধ নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা ঔষধ ব্যবহার কর কেননা আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন রোগ দেননি, যার আরোগ্যের কোন ব্যবস্থা দেননি। তবে একটি রোগ ব্যতীত। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, সে রোগটি ক
উত্তর : এরূপ পোষাক ব্যবহার করা যাবে না। মিক্বদাম (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) হিংস্র জন্তুর চামড়া পরতে এবং তার উপর বসতে নিষেধ করেছেন (আবুদাঊদ হা/৪১৩১, মিশকাত হা/৫০৫)। তিনি বলেন ‘তোমরা রেশমী কাপড় এবং বাঘের চামড়ার তৈরী গদির উপর সওয়ার হয়ো না (আবুদাঊদ হ
উত্তর : সম্পদ রক্ষার উপকরণ ব্যবহার করাতে ক্ষতিকারক যে কোন কীট-পতঙ্গ বা পশু-পাখী মারা গেলে তাতে তারা দায়ী হবে না। কেননা প্রত্যেকেরই নিজের সম্পদ রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে ডাকাত বা ছিনতাইকারীকে হত্যা করা হ’লে নিহত ব্যক্তি জা
উত্তর : মৃত ব্যক্তির বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজনের আপ্যায়নের জন্য রান্না-বান্না করা যাবে না। বরং প্রতিবেশীরা বা আত্মীয়-স্বজন উক্ত পরিবারের জন্য রান্না করে খাওয়াবে। মুতার যুদ্ধে জা‘ফর বিন আবু তালেব (রাঃ)-এর মৃত্যু খবর আসলে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা জা‘
উত্তর : নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে বিধর্মী কোন ব্যক্তির সাথে হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে না, তাদের সাথে সদাচরণ করতে আল
উত্তর : একটির উত্তর দিলেই যথেষ্ট হবে। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমরা আযান শুনবে, তখন মুওয়াযযিন যা বলে তদ্রূপ বল’... (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। অন্যত্র তিনি এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মুওয়ায্যিনের পিছে পিছে আযানের বাক্যগুলি অন্তর থেকে পা
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ, যা বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে (শু‘আবুল ঈমান হা/৭১৮৯; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১২১৫৬; মিশকাত হা/৫১৫২)। এর সনদে উবায়েদ বিন ইসহাক্ব ও আম্মার বিন সাইফ নামক দু’জন দুর্বল রাবী রয়েছেন (বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা
উত্তর : আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন যাকাত বণ্টনের যেসব খাত উল্লেখ করেছেন, মসজিদ তার অন্তর্ভুক্ত নয় (তওবা ৯/৬০)। অতএব যাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদ সম্প্রসারণ করা যাবে না (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৭৬, ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, মাসআলা নং ৩৬৮)। ইমাম বা মুওয়াযযিন অভাবগ্রস
উত্তর : ছালাত কবুল হওয়ার জন্য ওযূ শর্ত (মায়েদাহ ৫/৬)। অতএব গোসল ওযূর বিকল্প হবে না। ওযূ না করে গোসল করলে ছালাতের জন্য পুনরায় ওযূ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, বায়ু নিঃসরণের পর ওযূ না করা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদের ছালাত কবুল করবেন না (বুখারী হা৬৯৫৪/,
উত্তর : উদ্দেশ্য পূরণ না হ’লে মানত আদায় করতে হবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ৭৬৪২)। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই সমস্ত আমল নিয়তের উপরে নির্ভরশীল এবং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই হবে, যার সে নিয়ত করবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১)। দ্বিতীয়তঃ
উত্তর: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সমস্ত আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেবল তিনটি আমল ব্যতীত। (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ। (যেমন মসজিদ, মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ, অনাবাদী জমিকে আবাদকরণ, সুপেয় পানির ব্যব
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভুল। কোন মুসলিম মহিলাই স্বামীর মঙ্গলের জন্য নাকফুল পরে না। বরং এটি নারীদের অলংকার বিশেষ। যা তারা তাদের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য পরিধান করে থাকে। অতএব নাকফুল ব্যবহারে শরী‘আতে কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২৪/৩৬)। আব
উত্তর : যেহেতু প্রতিষ্ঠাতা মারা যাওয়ার পর এসব কার্যকলাপ শুরু হয়েছে, সেহেতু তিনি এর জন্য দায়ী হবেন না। বরং বর্তমান পরিচালকগণ এর জন্য গুনাহগার হবে। আল্লাহ বলেন, ‘একজনের পাপের বোঝা আরেকজন বইবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। তবে যদি এগুলির পিছনে প্রতিষ্ঠাতার স
উত্তর : এইরূপ শব্দে হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে নেকীর উদ্দেশ্যে পূর্ণ ইখলাছের সাথে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক কোন আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করলে অসংখ্য নেকী পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা নেকী ও পাপ লিখেন। অতএব যে ব্যক্ত
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন দিনের বেশী কোন মুসলমানের জন্য অপর মুসলিম হ’তে সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হালাল নয়। তাদের উভয়ের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে প্রথমে সালাম করে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫০২৭ ‘সালাম’ অনুচ্ছেদ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে
উত্তর : পর্দার মধ্যে মহিলা পরিবেশে প্রয়োজন নেই। অন্য সময়ে যথাসাধ্য ঢেকে রাখবে। কেননা দু’হাতের তালু ও চেহারা ব্যতীত মহিলাদের সর্বাঙ্গ সতরের অন্তর্ভুক্ত (আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহ্কে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)
উত্তর : বক্তব্যটি ভিত্তিহীন। আলো ছালাতের কবুল হওয়ার কোন শর্ত নয়। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় গৃহে অনেক সময় অন্ধকারে ছালাত আদায় করেছেন (বুখারী হা/৩৮২; মুসলিম হা/৫১২, মিশকাত হা/৭৮৬, ‘সুৎরা’ অনুচ্ছেদ)। তবে মসজিদে আলোর ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। যাতে
উত্তর : ইমাম যদি জুম‘আ ব্যতীত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত তরককারী হয়, তবে তার পিছনে ছালাত সিদ্ধ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘মুমিন ও কাফির-মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য হ’ল ছালাত’ (মুসলিম হা/১৩৪, মিশকাত হা/৫৬৯)। প্রশ্নে উল্লিখিত অবস্থায় ইমামকে নছ
উত্তর : মুমিনের কাফন-দাফন সম্পন্ন করা অত্যন্ত নেকীর কাজ। মুসলমানগণ নেকীর আশায় উক্ত কাজে শরীক হয়ে থাকে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম মাইয়েতকে গোসল করাল। অতঃপর তার গোপনীয়তাসমূহ গোপন রাখল, আল্লাহ তাকে চল্লিশ বার ক্ষমা করবেন। যে
উত্তর : সালাম সর্বাবস্থায় আদান-প্রদান করা যায়। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থাতেও হাতের ইশারায় সালামের উত্তর দিতেন (আবুদাউদ হা/৯২৬, তিরমিযী হা/৩৬৭, মিশকাত হা/৯৯১)। কেবল পেশাব-পায়খানার সময় তিনি সালামের উত্তর দিতেন না, বরং বের হয়ে উত্তর দিতেন (যদি সেই ব্যক্
উত্তর : হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কুরআনের আয়াত সমূহে কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেননি এবং কারো পক্ষে তা করাও সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমরাই কুরআন নাযিল করেছি এবং আমরাই এর হেফাযতকারী’ (হিজর ১৫/ ৯)। প্রকৃতপক্ষে খলীফা আব্দুল মালেক ইবনু মারওয়ানের নির্দে
উত্তর : ওয়াইস বিন আমের আল-ক্বারনী (৫৯৪-৬৫৮ খ্রিঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর যুগের লোক। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে তার সাক্ষাৎ হয়নি। যে কারণে তিনি ছাহাবী নন, বরং তাবেঈ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তাবেঈদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি হ’ল ওয়াইস’ (মুসলিম হা/২৫৪২, মিশকাত হ
উত্তর : ওযূতে ঘাড় মাসাহ করার কোন প্রমাণ নেই। আবূদাঊদে এ সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (আবূদাঊদ হা/১৩২, সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৯-এর আলোচনা দ্রঃ)। ইমাম নববী একে বিদ‘আত বলেছেন (নায়লুল আওত্বার ১/২৪৫-৪৭)। হেদায়ার ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবনুল হুমামের ভাষ্
উত্তর : রূহ ও নফসের মধ্যে প্রকৃত অর্থে কোন পার্থক্য নেই। যদিও পারিভাষিক অর্থে পার্থক্য আছে। যেমন প্রাণীকে ‘নফস’ বলা হয়। কিন্তু ‘রূহ’ বা আত্মা বলা হয় না। আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে (আলে ইমরান ১৮৫)। এতে বুঝা যায় যে, দ
উত্তর : পরিচিত বা অপরিচিত যেকোন জারজ সন্তান পালন করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ব্যভিচারিণী গামেদী মহিলার জারজ সন্তানকে জনৈক ছাহাবীর হাতে দিয়ে তাকে লালন-পালনের জন্য আদেশ করেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫৬২)। কারণ জারজ হওয়ার জন্য সন্তান দায়ী নয়। অতএব তা
উত্তর : গাছের নতুন ফল মসজিদে বা গরীব-মিসকীনদের মধ্যে দান করার ফযীলত সম্পর্কে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে বরকতের দো‘আ নেওয়ার জন্য পরহেযগার ব্যক্তির নিকটে নিয়ে যাওয়া সুন্নাত। ছাহাবীগণ নতুন ফল রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট নিয়ে যেতেন। তখন তিনি আল্লাহর দেওয়
উত্তর : ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো শরী‘আতসম্মত নয়। ইবনু আববাস (রাঃ)-এর গোলাম শো‘বা বলেন, আমি ইবনু আববাসের পাশে ছালাত আদায় করছিলাম। আমি আঙ্গুল ফুটালে তিনি আমাকে ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটাতে নিষেধ করেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৭৩৫৮, ইরওয়া হা
উত্তর : উপরোক্ত সবগুলি নামই সুন্দর অর্থ বহন করে। সুতরাং তা রাখায় কোন দোষ নেই। তবে শী‘আদের আক্বীদা অনুযায়ী রোগমুক্তি ও বিশেষ ফযীলতের আশায় এগুলি রাখা হ’লে তা শিরক হবে। শী‘আরা বলে থাকে, আমার জন্য পাঁচজন রয়েছেন যাদের মাধ্যমে আমি সকল দুরারোগ্য ব্য
উত্তর : পীরগণ তাদের মুরীদদের নেক আমলের দিকে আহবানের পাশাপাশি শিরক ও বিদ‘আতের দিকে আহবান করেন। আর শিরক-বিদ‘আত মানুষের সকল নেক আমলকে নিষ্ফল করে দেয় (যুমার ৩৯/৬৫)। পীরবাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি এই যে, তারা মানুষকে কুরআন-হাদীছ থেকে মুখ ফিরিয়ে পীরের ধ্
উত্তর : ছালাতে প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর বিশেষ ফযীলত আছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রথম কাতারের (মুছল্লীদের) উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতাগণ দো‘আ করেন’ (ইবনু মাজাহ হা/৯৯৭)। তিনি বলেন, ‘পুরুষদের জন্য সর্বোত্তম কাতার হ’ল প্রথম কাতার’ (মুসলিম হা/৪
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের মত মানুষ ছিলেন। অতএব তাঁর ছায়া থাকাই স্বাভাবিক। ছায়াহীন হওয়ার জন্য তাঁকে নূরের সৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন ছিল। অথচ আল্লাহ বলেন, হে নবী তুমি বলে দাও যে, ‘আমি তোমাদের মত একজন মানুষ মাত্র’ (কাহ্ফ ১৮/১১০)। অন্যত্র আল্লা
উত্তর : এগুলি বাজে কথার অন্তর্ভুক্ত। যা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। আল্লাহ বলেন, সফলকাম মুমিন তারাই, যারা ছালাতে খুশূ-খুযূ অবলম্বন করে’ ‘এবং যারা অনর্থক কাজ এড়িয়ে চলে’ (মুমিনূন ২৩/১-৩)। উল্লেখ্য, স্ত্রীর পক্ষ থেকে যিহার হয় না (ফাতাওয়া মারআতুল মুসলিমা
উত্তর : এসব স্থানে ছালাত আদায় করার পৃথক কোন ফযীলত নেই। মসজিদে নববীর যে কোন স্থানে ছালাত আদায় করলে (মসজিদে হারাম ছাড়া) সে ছালাত অন্য স্থানের এক হাযার ছালাত অপেক্ষা উত্তম হবে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯২ ‘মসজিদ সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য য
উত্তর : এরূপ বাধ্যগত অবস্থায় বোনের দুধ পান করানোয় কোন বাধা নেই। সেক্ষেত্রে উক্ত সন্তান ও বড় বোনের সন্তানদের মধ্যে বিবাহের কোন সুযোগ থাকবে না। এছাড়া শিশুটি মেয়ে হ’লে এবং বড় বোন মারা গেলে বা তার সাথে তার স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে উক্ত স্বামী দ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/৯৭২; নাসাঈ হা/৭৬০; ছহীহাহ হা/১০১৬)। তবে মসজিদের দেয়াল ও কবরস্থানের মাঝে যদি রাস্তা থাকে কিংবা কবরস্থানের পৃথক প্রাচীর থাকে, তাহ’লে সে মসজিদে ছালাত আদায় করতে কোন বাধ
উত্তর : নিজের ও পরিবারের সকল মৌলিক চাহিদা পূরণের পর যদি অবশিষ্ট সম্পদ দ্বারা হজ্জের খরচ নির্বাহ করা যায়, তবে সেক্ষেত্রেই কেবল তা ফরয হবে। এরূপ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যদি ইসলামের এ রুকন আদায় না করে কেউ মারা যায়, তাহ’লে অবশ্যই তাকে ফরয ত্যাগ কর
উত্তর : নখ বড় রাখা যাবে না। কারণ রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) নখ ছোট করাকে মানুষের পাঁচটি স্বভাবধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলেছেন (বুখারী, মুসলিম হা/২৫৮, মিশকাত হা/৪৪২০ ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টিকারী কোন বস্ত্ত ব্যবহার
উত্তর : দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথীর সাথে অজ্ঞাত এক দ্বীপে বন্দী অবস্থায় তার সাক্ষাৎ ঘটেছিল। সেখানে দাজ্জাল তাদের নিকট থেকে রাসূল (ছাঃ)-এর আগমন সম্পর্কে জেনে অচিরেই বন্দীদশা থেক
উত্তর : পিতার জীবদ্দশায় তার মেয়ে মৃত্যুবরণ করায় এবং মেয়ের ভাই-বোন জীবিত থাকায় ঐ মেয়ের সন্তানেরা তাদের নানার সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ১৯১৪৯, ১৬/৪৮৯ পৃঃ)। এমতাবস্থায় নানা তার নাতী-নাতনীদের জন্য অছিয়ত করে যাবেন। আ
উত্তর : বাড়ীতে অবস্থান করাই মহিলাদের কর্তব্য (আহযাব ৩৩)। এক্ষণে চিকিৎসা মানুষের মৌলিক চাহিদা সমূহের অন্তর্ভুক্ত। যা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই একান্ত প্রয়োজন। সেকারণ নারীদের জন্য নারী এবং পুরুষদের জন্য পুরুষ চিকিৎসক ও সেবক থাকা এবং হাসপাতালগুলিতে প
উত্তর : জুম‘আ ও যোহরের ছালাতের সময় একই। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, সূর্য যখন (পশ্চিম আকাশে) ঢলে যেত তখন নবী করীম (ছাঃ) জুম‘আর ছালাত আদায় করতেন (বুখারী হা/৯০৪; মিশকাত হা/১৪০১)। তবে এর অর্থ এই নয় যে, যোহরের ছালাত যেমন ১৫ মিনিটে শেষ হয়, খুৎবা সহ জু
উত্তর : মসজিদের মেহরাবের উপরে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ লেখা যাবে না। কেননা মসজিদে এরূপ লেখার নিয়ম রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিল না। আর মেহরাবের এক পার্শ্বে ‘আল্লাহ’ অপর পাশে^র্ ‘মুহাম্মাদ’ লিখা শিরক। এতে আল্লাহ
উত্তর : এরূপ লেন-দেন জায়েয নয়। এখানে বিনিয়োগের মোট টাকার অতিরিক্ত পঞ্চাশ হাযার টাকা স্পষ্ট সূদ। যা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ) হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। শরী‘আতে যৌথ ব্যবসা পদ্ধতি দু’টি- (১) মুশারাকা : দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বিনিয়োগ করবে
উত্তর : নগ্নতা প্রকাশক ও যৌন উদ্দীপক যেকোন পোষাক পরিধান করা হারাম (মুসলিম হা/২১২৮, মিশকাত হা/৩৫২৪)। নারী-পুরুষের পোষাক এমন হবে যাতে (১) দেহের গোপনীয় স্থান সমূহ অন্যের চোখে প্রকট হয়ে না ওঠে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২৪)। (২) ঢিলাঢালা, ভদ্র ও মার্জিত হওয়া (
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না (বাক্বারাহ ২/২৮৬)। তবে তাকে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টায় ঘাটতি হ’লে গুনাহগার হবে (তাগাবুন ৬৪/১৬)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি স্ত্রীকে তা
উত্তর : প্রবল শীতের কারণে শারীরিক অসুস্থতা, রোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে ওযূ নয়, বরং তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৩১)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থ
উত্তর : পিতা-মাতাকে প্রহার করা কবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী হা/৬১৭১, মিশকাত হা/৩৭৭৭)। এ গোনাহটি হাক্কুল ইবাদের সাথে সম্পর্কিত গোনাহ। সুতরাং এর জন্য কেবল আল্লাহর নিকটে তওবা করলেই যথেষ্ট হবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/১৮৭; নববী, শরহ মুসল
উত্তর : এ অবস্থায় পুনরায় ওযূ করতে হবে না। কারণ সতর অনাবৃত অবস্থায় ওযূ করা ওযূ ভঙ্গের কারণ সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। ওযূ ভঙ্গের প্রধান কারণ হ’ল, পেশাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে কিছু বের হওয়া (নিসা ৪/৪৩, বুখারী হা/১৩৫)।
উত্তর : সাময়িকভাবে অবস্থান করলে পারবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) মদীনা থেকে মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে ক্বছর করেছিলেন, যদিও তিনি পূর্বে মক্কার অধিবাসী ছিলেন। তাঁর সাথে বহুসংখ্যক ছাহাবী ছিলেন, মক্কায় যাদের বাড়ি-ঘর ও নিকটাত্মীয় ছিল। কিন্তু রাসূল (ছ
উত্তর : অসুস্থ ব্যক্তির প্রয়োজনে রক্ত দান করায় কোন বাধা নেই। বরং মানুষের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে এরূপ সাহায্য করা নিঃসন্দেহে নেকীর কাজ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। যে ব্যক্তি তার কোন ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ
উত্তর : এতে কোন ঔষধি গুণ নেই। এসম্পর্কে যা কিছু ধারণা করা হয়, তা কুসংস্কার মাত্র। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) অসুস্থতা দূর করার জন্য শরীরে কোন কিছু ঝুলাতে নিষেধ করেছেন (তিরমিযী হা/২০৭২; মিশকাত হা/৪৫৫৬)। অতএব রোগ প্রতিরোধ, চোখ লাগা ইত্যাদি যে উদ্দেশ্যেই
উত্তর : ‘আযল’ হ’ল, স্ত্রীমিলনের সময় বাইরে বীর্যপাত করা। যার উদ্দেশ্য স্ত্রীকে গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা। শারীরিক অসুস্থতা অথবা দুই সন্তানের মাঝে প্রয়োজনীয় ব্যবধান রাখার ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে আযল করা শরী‘আতে বৈধ। জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি কৌ
উত্তর : কথাটি ভিত্তিহীন। তবে প্রত্যেক মানুষের সাথেই সর্বদা ফেরেশতা থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জন্য তার সামনে ও পিছনে পরপর আগত পাহারাদার ফেরেশতাগণ রয়েছে। যারা তাকে হেফাযত করে আল্লাহর হুকুমে’ (রা‘দ ১৩/১১)। সে হিসাবে শিশুদের সাথেও ফেরেশত
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠক দো‘আ কবূল হওয়ার অন্যতম প্রধান স্থান। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সবচেয়ে বেশী দো‘আ কবুল হয় শেষ রাতে এবং প্রত্যেক ফরয ছালাতের শেষে (তিরমিযী হা/৩৪৯৯, মিশকাত হা/৯৬৮)। উক্ত হাদীছে ‘ছালাতের শেষ ভাগ’ অর্থ সালামের পূর্বে শেষ বৈঠক (ইবনুল ক্
উত্তর : উক্ত মানত গ্রহণ করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অমুসলিমদের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে ‘হাদিয়া’ গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৫-১৮ ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : পশুর ক্ষেত্রে প্রজনন বৃদ্ধির জন্য যে কোন পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়। কারণ শরী‘আতের বিধান পশুর উপরে প্রযোজ্য নয়। তা কেবল জিন ও ইনসানের প্রতি প্রযোজ্য (যারিয়াত ৫৬; মায়েদাহ ৫/৩)। অতএব কৃত্রিমভাবে প্রজনন করা জায়েয। আর এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ ব্যক্তি হিসা
উত্তর : জন্মদিবস, মৃত্যুদিবস, শোক দিবস সহ যত দিবস পালিত হয়, তার সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। এগুলি স্রেফ জাহেলিয়াত এবং বিজাতীয় অপসংস্কৃতি মাত্র। অতএব এগুলি পালন করা, এর জন্য শুভেচ্ছা জানানো, কার্ড পাঠানো ইত্যাদি সবই নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছা
উত্তর : খাঁচায় আটকে রেখে পাখি পালনে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে অবশ্যই পাখির আহার প্রদানসহ যথাযথ যত্ন নিতে হবে। আনাস (রাঃ)-এর ছোট ভাই আবু উমায়ের বুলবুলি পাখি পুষতেন এবং তার সাথে খেলা করতেন। একদা পাখিটি মারা গেলে রাসূল (ছাঃ) মজা করে বলেছিলেন, হে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন সূর্যকে সৃষ্টিকুলের অতি নিকটে করে দেওয়া হবে। এমনকি সূর্য প্রায় এক বা দুই মাইলের ব্যবধানে হয়ে যাবে (মুসলিম হা/২৮৬৪, আহমাদ হা/২৩৮৬৪, মিশকাত হা/৫৫৪০)। অতএব প্রশ্নে বর্ণিত ‘সোয়া হাত নীচে নেমে আসবে’ কথাটি সঠি
উত্তর: আকীকা দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাউদ হা/২৮৩৯; ইবনু মাজাহ হা/৩১৬৫; মিশকাত
উত্তর : মহিলাদের যেরূপ পর পুরুষ হ’তে পর্দা করা ফরয, তেমনি পুরুষদেরও বেগানা মহিলা হ’তে পর্দা করা অপরিহার্য। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। আর এটাই ত
উত্তর : জায়নামাযের চেয়ে মাটির উপর সিজদা করা অধিক উত্তম মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায়না। সম্ভবতঃ এটা ভ্রান্ত ফিরক্বা শী‘আদের অনুকরণ। কেননা তাদের নিকট মাটির উপর সিজদা করা ফরয। বিশেষতঃ কারবালার মাটিতে সিজদা করা অধিক ফযীলতপূর্ণ। রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক জায়
উত্তর : সোনার বা চাঁদির পাত্রে পানাহার করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা সোনা বা রূপার পাত্রে পানাহার করো না। কেননা দুনিয়াতে এগুলি কাফেরদের জন্য এবং আখেরাতে এগুলি তোমাদের জন্য (বুখারী হা/৫৬৩২, মুসলিম হা/২০৬৭, মিশকাত হা/৪২৭২)। তিনি বলেন, যে ব্য
উত্তর: ওযু অবস্থায় মোযা পরে মুক্বীমের জন্য একদিন একরাত এবং মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মাসাহ করা জায়েয (মুসলিম হা/২৭৬; মিশকাত হা/৫১৭)। ছাফওয়ান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমাদের আদেশ দিতেন, মুসাফির অবস্থায় আমরা যেন তিন দিন তিন রাত নাপাকীর
উত্তর: মূসা (আঃ)-এর পরামর্শক্রমে রাসূল (ছাঃ) বারবার গিয়েছিলেন (বুখারী হা/৩৮৮৭, মুসলিম হা/৪২৯)। তবে নিঃসন্দেহে এটা ছিল পূর্বনির্ধারিত তাক্বদীর।-জসীমুদ্দীন, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
উত্তর : মুসলিম হৌক অমুসলিম হৌক প্রতিষ্ঠিত কোন সরকারের বিধি-বিধান শরী‘আত বিরোধী না হলে তা মেনে চলা সেদেশের নাগরিকদের জন্য আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা তাদের (শাসকদের) হক আদায় কর এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও (বুখারী হা/৭০৫২; মিশকাত হা/৩৬৭২)
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাটি ভিত্তিহীন (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৭৩, ২/৪৪ পৃঃ)।-ইউসুফ আকরামহালিশহর, চট্টগ্রাম।
উত্তর : পুকুরে ফরয গোসল করায় কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই পানি হ’ল পবিত্র। তাকে কোন বস্ত্ত অপবিত্র করতে পারে না (আবুদাঊদ হা/৬৭; মিশকাত হা/৪৭৮)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, যতক্ষণ না তা নাপাকী বহন করে (আবুদাঊদ হা/৬৩; মিশকাত হা/৪৭৭)। উক্ত হাদীছের
উত্তর : শরী‘আতে সময়ের মূল্য সম্পর্কে অপরিসীম গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ক্বিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আমরা কেউ এক পাও নড়াতে পারব না। তন্মধ্যে অন্যতম দু’টি হচ্ছে- ‘আমাদের জীবনের সময়কাল আমরা কিভাবে ব্যয় করেছি এবং আমাদের যৌবনকে আমরা ক
উত্তর : অবশ্যই হবে। কেননা আল্লাহ মানুষের হৃদয়ের খবর রাখেন। অতএব হৃদয় ঢেলে দিয়ে দো‘আ করলে আল্লাহ অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দিবেন। তিনি বলেন, তোমরা আমাকে ডাক। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব’ (মুমিন ৬০)। তবে অর্থ জেনে ও মর্ম বুঝে দো‘আ করলে তাতে একাগ্রতা ও
উত্তর : এভাবে খাওয়ানোর মাধ্যমে আল্লাহ বর-কনের মধ্যে অধিক ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিবেন বলে যদি কোন আক্বীদা থাকে, তবে তা জায়েয নয়। বরং কুসংস্কার মাত্র। তবে সাধারণভাবে এরূপ খাওয়ায় কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) একই পাত্রের একই স্থানে মুখ র
উত্তর : যে সব ব্যবসা মানুষকে মন্দের দিকে নিয়ে যায় তা থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম। এ ব্যবসার নেতিবাচক দিক হ’ল এর মাধ্যমে অন্যায়-অশ্লীলতা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এটি দ্বীন প্রচারেও সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে। তবে মন্দটি পরিত্যাগ করে এ ব্যবস
উত্তর : এরূপ অবস্থায় কোন গুনাহ হবে না বা কোন কাফফারাও ওয়াজিব হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের ভুলবশতঃ ও বাধ্যগত অবস্থায় কৃত অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন’ (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৫, মিশকাত হা/৬২৮৪)। তবে নিজেকে সংযত রাখতে না পের
উত্তর : শুক্রবার ফজরের ফরয ছালাতে সূরা দু’টি পাঠ করা সুন্নাত। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) এ দু’টি সূরা জুম‘আর দিন ফজরে নিয়মিত তেলাওয়াত করতেন (বুখারী হা/৮৯১, মুসলিম হা/৮৮০, মিশকাত হা/৮৩৮)। তবে অন্য সূরা পড়াও জায়েয আছে (মির‘আত ৩/১৪৫)। এছাড়া
উত্তর : দেশে হৌক আর বিদেশে হৌক অমুসলিমদের যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল নয়। কেননা তা হালাল হওয়ার শর্ত হল, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবেহ করা (আন‘আম ৬/১২১)। তবে আহলে কিতাবদের (ইহূদী এবং খৃষ্টানদের) যবেহ করা পশু খাওয়া জায়েয (মায়েদাহ ৫/৫)। শর্ত হ’ল যদি তারা আল্ল
উত্তর : নাপিতের পেশা বৈধ। নববী যুগে এর প্রচলন ছিল (বুখারী হা/৪১৯০, মিশকাত হা/৪৪৬২)। তবে এ পেশায় থেকে দাড়ি কেটে বা ছেটে দেওয়ার ন্যায় গর্হিত কাজ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কেননা এতে অন্যায় কাজে সহায়তা করার পাপ হবে। যা থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন (ম
উত্তর : অজান্তে কবরযুক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করে ফেললে তা পুনরায় আদায় করতে হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘যা তোমাদের ভুলবশতঃ ঘটে সে বিষয়ে আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন না (আহযাব ৩৩/৫)।তবে এর জন্য তওবা ও ইস্তেগফার করবে। যেন পুনরায় এরূপ ভুল না হয়। রাসূল (ছা
উত্তর : একই রাক‘আতে একাধিক সূরা পাঠ করায় কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) একই রাক‘আতে পরপর দু’টি বা ততোধিক সূরা পাঠ করেছেন (মুসলিম হা/৭৭২, নাসাঈ হা/১৬৬৪)। এছাড়া একই রাক‘আতে একাধিক সূরা পাঠের বিষয়টি বিভিন্ন ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/৭৪২, আবুদাঊদ
উত্তর : স্ত্রীর সম্পদের উপর স্বামীর কোন হক নেই। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বামী তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হবেন। স্বামী স্ত্রীর অর্থের হিসাব রাখতে পারেন, কেবল দ্বীনী দায়িত্ব হিসাবে। স্ত্রী তার স্বামীকে না বলে তার পিতার বাড়ীতে খরচ করতে পারে। তবে স
উত্তর : রাতে ঘুমানোর সময় ওযূ করা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ কাজ। বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে বলেন, যখন তুমি শুতে যাবে, তখন ছালাতের মত ওযূ কর এবং ডান কাতে শয়ন করো। অতঃপর তাকে একটি দো‘আ শিখিয়ে বললেন, ‘যদি তুমি এ অবস্থায়
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য পবিত্রতা অর্জনের প্রধান মাধ্যম হ’ল পানি। পানি না থাকলে ঢেলা বা ক্ষতিকর নয় এরূপ টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। সূরা তওবার ১০৯ আয়াতে পবিত্রতা অর্জনের কারণে আল্লাহ যাদের প্রশংসা করেছেন, তারা পানি
উত্তর : নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ নাবালকদের সাথে মহিলারা বিনা পর্দায় সাক্ষাৎ করতে পারে (নূর ২৪/৩১)। আবহাওয়াগত ভিন্নতার কারণে সাবালক হওয়ার বয়সে ভিন্নতা দেখা দেয়। অতএব শিশুর মধ্যে সাবালক হওয়ার আলামত পাওয়া গেলে তার থেকে পর্দা করতে হবে।-মুবাশশি
উত্তর : তাবীয দিয়ে কোন চিকিৎসা গ্রহণ করা যাবেনা। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো, সে শিরক করল (আহমাদ হা/১৭৪৫৮; ছহীহাহ হা/৪৯২)। আর শিরকের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করেন না (নিসা ৪/৪৮)। তবে সূরা ফাতিহা পাঠ করে ফুঁক দিয়ে সাপের বিষ নামানো শরী‘আ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং দাড়িকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দাও। আর গোঁফ ছোট কর (বুখারী হা/৫৮৯২; মুসলিম হা২৫৯; মিশকাত হা/৪৪২১)। দাড়ি ছাড়ার ব্যাপারে হাদীছে পাঁচ ধরনের শব্দ এসেছে। যেমন- (أَوْفِرُوا وَأَوْفُوا وَأَرْخ
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে এরূপ চিকিৎসার কোন ভিত্তি নেই। বরং রাগ কমানোর চিকিৎসা হিসাবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা যখন রেগে যাবে তখন আ‘ঊযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম পাঠ করবে (বুখারী হা/৬০৪৮; মুসলিম হা/২৬১০;, মিশকাত হা/২৪১৮)। অন্যত্র তিনি বলে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) আব্দুল্লাহ বিন যায়েদের স্বপ্নে পাওয়া আযানের বাক্যগুলো শুনে বললেন, তোমার স্বপ্ন সত্য, তুমি বেলালকে আযানের বাক্যগুলি শিখিয়ে দাও এবং তাকে আযান দিতে বল। কেননা বেলালের কণ্ঠস্বর তোমাদের সবার চেয়ে উঁচু (আবুদাউদ হা/৪৯৯; ইবনু মাজাহ হ
উত্তর : এমতাবস্থায় যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, ছালাতরত অবস্থাতেই মযী বের হয়েছে, তাহ’লে তাকে কাপড় ও শরীর উভয় স্থান থেকে মযী ধৌত করার পর ওযূ করে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে। আর যদি কেবল সন্দেহ হয়, তবে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে না। কারণ সন্দেহের দ্
উত্তর : এসবের কোন যাকাত দিতে হবে না। তবে জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের যাকাত দিতে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৯৭)। শাক-সবজিতে কোন যাকাত নেই (তিরমিযী হা/৬৩৮; মিশকাত হা/১৮১৩)। বসবাসের জন্য নির্মিত বাড়িতে কোন যাকাত নেই। তবে বাড়ী বা দোকান থেকে প্রাপ্ত ভাড়া অথব
উত্তর : গল্প-উপন্যাস যদি ইসলামী আকবীদা বিরোধী না হয় এবং চরিত্র গঠন ও শিক্ষামূলক হয়, তবে তা লেখা যাবে। যেমন প্রয়োজনে শিক্ষামূলক কবিতা পড়া যায়। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা কবিতা সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, ‘এগুলি কিছু বাক্
উত্তর : পরিবার প্রধান হিসাবে পিতা পরিবারের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীল (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৬৮৫)। পরিবারকে প্রকৃত দ্বীন শিক্ষা দানের সাথে সাথে সকল প্রকার অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখা তাঁর মৌলিক দায়িত্ব। এক্ষণে উপরোক্ত অবস্থায় টেলিভিশন-ইন্টারনেট
উত্তর : সন্তান মূলতঃ পিতার। তবে শৈশবে তার লালন-পালনের অধিকারী হ’লেন মা। কিন্তু মা অন্যত্র বিবাহ করলে তার এ অধিকার আর থাকে না। তখন সন্তান পিতার পূর্ণ দায়িত্বে থাকবে। আমর তাঁর পিতা শু‘আইব হ’তে, তিনি তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ এবং তিনি তার পিতা আমর ইব
উত্তর : খাদ্য গ্রহণের আদবসমূহ হ’ল : (১) হালাল ও পবিত্র রূযী খাবে (বাক্বারাহ ২/১৬৮)। (২) অতঃপর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিবে (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৪৮৫)। (৩) বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া শুরু করবে (আবুদাউদ হা/৩৭৬৭; ইরওয়া হা/১৯৬৫)। (৪) অতঃপর ডান হাত দিয়ে খাবে এবং পান কর
উত্তর : যথাযোগ্য শারঈ কারণ ব্যতীত স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাক চাওয়া হারাম। কোন স্ত্রী এরূপ করলে তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে (আবুদাউদ হা/২২২৬; ইবনু মাজাহ হা/২০৫৫; তিরমিযী হা/১১৮৭; মিশকাত হা/৩২৭৯)। এক্ষণে কোন শরী‘আতসম্মত কারণ থাকলে উক্ত মহি
উত্তর : মহিলাদের জন্য জুম‘আর ছালাত ফরয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, জুম‘আর ছালাত প্রত্যেক মুসলমানের উপর জামা‘আতে আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু গোলাম, মহিলা, শিশু ও রোগী ব্যতীত (আবুদাঊদ হা/১০৬৭, মিশকাত হা/১৩৭৭; ইরওয়া হা/৫৯২)। এছাড়া সকল ছালাত বাড়িতে আদায় করাই
উত্তর : প্রথমতঃ এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা সনদ বিহীনভাবে বর্ণিত হয়েছে। আর ঐতিহাসিক ও সনদ বিহীন কোন বক্তব্যকে শরী‘আতের দলীল হিসাবে গ্রহণ করা যায় না (সৈয়ূত্বী, আল-ইতক্বান ফী উলূমিল কুরআন ২/২২৭-২২৮ পৃঃ)। সনদ থাকার পরেও তা যঈফ হওয়ার কারণে যেখানে
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা ওমরের যবানে ও হৃদয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন (তিরমিযী হা/৩৬৮২, হাদীছ ছহীহ)। এক্ষণে ৬টি বিষয়ে ওমর (রাঃ)-এর প্রস্তাবের সমর্থনে কুরআনে আয়াত নাযিল হয়েছে, যা ছহীহ হাদীছহসমূহ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন (১) বদ
উত্তর : যে হাদীছ কোন তাবেঈ মধ্যবর্তী রাবীর নাম না করে সরাসরি রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তাকে ‘মুরসাল’ হাদীছ বলে। ‘মুরসাল’ হাদীছ যঈফ হাদীছের শ্রেণীভূক্ত। এ জন্য জমহূর মুহাদ্দেছীনের নিকটে মুরসাল হাদীছ সাধারণভাবে দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয় (তা
উত্তর : তাবূকের ময়দানে সমবেত সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য রাসূল (ছাঃ) যে সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ ভাষণ প্রদান করেছিলেন তা বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৩/৪৭৩-৭৪; ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ৫/১৩-১৪; মুবারকপুরী, আর-রাহীক্ব ৪৩৫ পৃঃ
উত্তর : নগ্নতা প্রকাশক ও যৌন উদ্দীপক যেকোন পোষাক পরিধান করা হারাম (মুসলিম হা/২১২৮; মিশকাত হা/৩৫২৪)। একইভাবে তা তৈরী করাও হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা সৎ ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর আর গুনাহ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করো না (মায়েদাহ
উত্তর: বক্তব্যটি ভিত্তিহীন ও ছহীহ হাদীছের বিরোধী। রাসূল ( ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করবে সে যেন বসার পূর্বে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে’ (বুখারী হা/৪৪৪; মুসলিম হা/৭১৪; মিশকাত হা/৭০৪)। একদা রাসূল (ছাঃ)-এর জুম‘আর খুৎবা দিচ্ছিলেন। এমন সম
উত্তর : কোন মসজিদে ছহীহ তরীকায় ছালাত আদায়ে বাধাপ্রাপ্ত হ’লে পৃথক মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। তবে সাধ্যপক্ষে একত্রে ছালাত আদায় করাই উত্তম হবে। কারণ ইমামের সুন্নাত বিরোধী আমলের জন্য তিনিই দায়ী হবেন, মুছল্লীরা নয়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল
উত্তর : স্বামীর জন্য ফরয কর্তব্য হ’ল মোহর পরিশোধ করা (নিসা ৪, মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৪৩)। জীবিত অবস্থায় মোহর পরিশোধ না করলে মৃত্যুর পর তার পরিত্যক্ত সম্পদ হতে মোহর পরিশোধ করে তারপর বাকী অংশ ওয়ারিছদের মাঝে বণ্টন করতে হবে। আর সম্পদ না থাক
উত্তর : পোতা যাবে না। যারা এরূপ করে থাকেন তারা একটি হাদীছের অনুসরণে এরূপ করে থাকেন। যেমন নবী করীম (ছাঃ) একদিন দু‘টি কবরের শাস্তি জানতে পেরে একখানা খেজুরের ডাল দুই টুকরা করে দু’টি কবরে গেড়ে দেন। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, আপনি এরূপ করলেন কেন? তিন
উত্তর : জীবিত অবস্থায় যাদের দেখা জায়েয মৃত্যুর পরেও তাদের দেখা জাযেয। মূলত মানুষ মারা গেলে একজন মুসলমানের জন্য যরূরী হ’ল তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা, তাকে দেখা নয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৪৩০)। প্রচলিত আছে যে, স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামী-স্ত্রীর
উত্তর : এগুলি কুসংস্কার মাত্র। ইদ্দত কালে তথা চার মাস দশ দিন স্ত্রী স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করবে। একান্ত যরূরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবে না। রঙ্গিন বা অধিক সৌন্দর্য প্রকাশক কোন পোষাক পরিধান করবে না। অলঙ্কার ব্যবহার করবে না। বিশেষ কারণ ব্যতীত
উত্তর : এ বিষয়ে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মারা গেল এমতাবস্থায় যে, তার উপর রামাযান মাসের ছিয়ামের ক্বাযা রয়েছে, তার পক্ষ থেকে প্রতি ছিয়ামের বদলে প্রতিদিন একজন করে মিসকীন খাওয়াবে’ (তিরমিযী হা/৭১৮; মিশকাত হা/২০৩৪; মারফূ হিসাবে
উত্তর : মূসা (আঃ)-এর লাঠি তাঁর নিজস্ব ব্যবহৃত লাঠি ছিল। মহান রাববুল আলামীন উক্ত লাঠির মাধ্যমেই তাঁর ‘মু‘জিযা’ প্রকাশ করান (শাওকানী, ফাৎহুল ক্বাদীর ৩/৩৬১)। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে মূসা! তোমার ডান হাতে ওটা কি?’ ‘মূসা বললেন, এটা আমার লাঠি। এর উপরে আমি
উত্তর : কা‘বাগৃহের কসম খাওয়া নিষিদ্ধ। ইবনু ওমর (রাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে কা‘বার কসম খেতে শুনে বললেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করল সে শিরক করল (আবুদাঊদ হা/৩২৫১ সনদ ছহীহ)। বরং কা‘বার রবের তথা আল্লাহর
উত্তর : এখানে আদান-প্রদানের সার্ভিস চার্জ হিসাবে অতিরিক্ত কিছু অর্থ দিতে হয়। অতএব লেনদেনের উদ্দেশ্যে এসব মাধ্যম ব্যবহারে কোন বাধা নেই।-মুস্তানতাছির বিল্লাহহোসেনীগঞ্জ, রাজশাহী।
উত্তর : এধরনের দাওয়াতে অংশ গ্রহণ না করাই উত্তম। আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলেন, ‘ঐসব লোকদের পরিত্যাগ কর যারা তাদের ধর্মকে খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে এবং পার্থিব জীবন যাদেরকে ধোঁকায় ফেলেছে (আন‘আম ৬/৭০)। তবে এতে যেন পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট না হয় সেদ
উত্তর : পারবে। কেননা মামী বা চাচী ভাগ্নে বা ভাতিজার জন্য মুহাররামাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ যে ১৪ জন মহিলাকে বিবাহ করা হারাম, তাদের অন্তর্ভুক্ত নয় (নিসা ৪/২৩)। -রেযওয়ানজামগড়া, বাইপাইল, ঢাকা।
উত্তর : কথাটি ভিত্তিহীন। রাসূল (ছাঃ)-এর শরীরের ঘামের মাধ্যমে নাজাত নয় বরং নাজাতের জন্য প্রয়োজন তাঁর আনুগত্য এবং সেমতে তাঁর আদেশ ও নিষেধ সমূহ মেনে চলা। রাসূল (ছাঃ)-এর শরীর থেকে যে ঘাম নির্গত হ’ত তা ছিল সবচেয়ে সুগন্ধিময়’ (মুসলিম হা/২৩৩১)। সেকার
উত্তর: ইসলামী নীতির বিরোধী নয় এরূপ দেশী-বিদেশী যেকোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে পারেন। ব্যাংক, বীমা এবং যেসব এনজিও সমাজ সেবার আড়ালে ক্ষুদ্র ঋণের নামে সূদী কারবার, ধর্মান্তরকরণ, নারীর পর্দাহীনতা, একসন্তান নীতি প্রভৃতি ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে ভুমি
উত্তর : কোন মুসলিমের মধ্যে এরূপ দেখতে পেলে তাকে মুশরিক বা কাফের বলে ডাকা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা কাউকে মন্দ লকবে ডেকো না’... (হুজুরাত ৪৯/১১)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ক্বাতাদাহ বলেন, এর অর্থ হ’ল, কাউকে হে মুনাফিক, হে ফাসেক ইত্যাদি বলে ডাকা যাব
উত্তর : উক্ত কথা সঠিক নয়। বরং সালাম ফিরানোর পরে একবার সরবে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলাই ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী ফাৎহসহ হা/৮৪১-৪২; মুসলিম হা/৫৮৩; মিশকাত হা/৯৫৯)।-রায়হানখয়রাবাদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : মানুষের ত্বক আল্লাহর সৃষ্টি এবং প্রকৃতিগত বিষয়, যা ফর্সা বা কালো করার ক্ষমতা মানুষের নেই। এ বিষয়ে যেসব প্রচারণা চালানো হয় সেগুলো পুঁজিবাদী ব্যবসায়ীদের অপপ্রচার মাত্র। এগুলো করতে গিয়ে অনেকে ত্বকের নানা রোগের শিকার হয়। এমনকি এর ফল
উত্তর : কুরআনের অনূদিত কপি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে অমুসলিমদের উপহার দেওয়া যাবে। অমুসলিমদের জন্য কুরআন শ্রবণ, কুরআনের তাফসীর বা অনুবাদ সহ কুরআন স্পর্শ করে পড়ায় কোন বাধা নেই (মাজমূ‘ ফাতাওয়া বিন বায ২৪/৩৪০)। রাসূল (ছাঃ) কুরআনের আয়াত সম্বলিত পত্র
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। বর্ণনাটি হ’ল- আত্বা ইবনু ইয়াসির (রাঃ) জনৈক ছাহাবী হ’তে বর্ণনা করেন যে, একদা এক ব্যক্তি টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে ছালাত আদায় করছিল। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বললেন, যাও ওযূ কর। তাই সে গেল এবং ওযূ করে আ
উত্তর : গোসলখানা ও টয়লেট একত্রে থাকলেও যদি ওযূ করার স্থানে অপবিত্র বস্ত্ত ছড়িয়ে না থাকে, তাহ’লে সেখানে ওযূ করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই (ফাতওয়া লাজনা-দায়েমাহ ৫/৮৫; মাজমূ‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ১২/৩৬৯)।-আশরাফুল ইসলামজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাযীপুর।
উত্তরঃ অনুমতি নিয়ে খাওয়া যাবে। অনুমতি দেওয়ার মতো কাউকে না পেলে, ক্ষুধা নিবৃত্ত হওয়া পর্যন্ত উক্ত ফল খাওয়া যাবে। কিন্তু বহন করে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন কোন ছাগপালের
উত্তর : حضرة ‘হযরত’ আরবী শব্দ, পুংলিঙ্গ। অর্থ নৈকট্য, নেতা, জনাব, সম্মানসূচক উপাধি। جناب ‘জনাব’ আরবী শব্দ, উভয় লিঙ্গ। অর্থ সম্মানিত ব্যক্তি, আশ্রয়স্থল ইত্যাদি (ফীরোযুল লুগাত (উর্দূ)। সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য তাঁদের নাম
উত্তর : বাসার কাজের জন্য কাজের মেয়ে রাখতে শরী‘আতে বাধা নেই। তবে শর্ত হচ্ছে বালেগা হ’লে বাড়ীর পুরুষ সদস্যদের তার সামনে পূর্ণরূপে পর্দা করতে হবে এবং মনিবের সাথে তার স্ত্রী কিংবা মা-বোন কাউকে থাকতে হবে। কারণ পর-পুরুষের সাথে গায়ের মাহরাম নারীর এক
উত্তর : এতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এগুলোর সাথে সাথে আল্লাহর কাছে তাওফীক কামনা করে দো‘আ করবে। নেক আমল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে (তিরমিযী হা/২১; মিশকাত হা/২২৩৩; ছহীহাহ হা/১৫৪)। ছাদাক্বাকে চিকিৎসার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যায় (ছহীহুল জাম
উত্তর : ঋণ গ্রহণকারী ঋণ পরিশোধের সময় কোন পূর্বশর্ত ছাড়াই স্বেচ্ছায় যদি কিছু বেশী প্রদান করে, তবে তা দেওয়া এবং গ্রহণ করা জায়েয। জাবের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আগমন করলাম। এমতাবস্থায় তিনি মসজিদে ছিলেন....। তিনি আমাকে আমার পাওনা পরিশ
উত্তর : এর দ্বারা গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে পৃথক দু’টি করে উদয়াচল ও অস্তাচল বুঝানো হয়েছে। অন্য আয়াতে ‘বহু পূর্বের ও পশ্চিমের রব’ (মা‘আরেজ ৭০/৪০) বলা হয়েছে। এর দ্বারা সূর্যের সদা পরিবর্তনশীল উদয়াচল ও অস্তাচলের কথা বলা হয়েছে। কেননা সূর্য নিজের কক্ষপথে সদা স
উত্তর : মাসবূকের ছালাত শেষ হওয়ার পর হাদীছ শুনানোই উত্তম। কোন কারণে বিশেষভাবে ব্যস্ত না হ’লে ঈমানদার শ্রোতা কখনোই হাদীছ না শুনে উঠে যাবে না।আব্দুল আলীম, মান্দা, নওগাঁ।
উত্তর : এমতাবস্থায় পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করবেন। সামনের কাতার থেকে টেনে নেওয়া মর্মে বর্ণিত হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ (ত্বাবরাণী আওসাত্ব হা/৭৭৬৪; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২৫৩৭; যঈফাহ হা/ ৯২১-৯২২;)। আর সামনের কাতার থেকে টেনে নিলে সে ব্যক্তি কাতারকে বিচ্ছ
উত্তর : বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমলের দাওয়াত মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ায় জন্য এরূপ পন্থা অবলম্বন করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তা তাবলীগ জামা‘আতের সাথে বা অন্য কোন বাতিল দলের ভাল কাজের সাথে মিলে গেলেও তাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে দাঈকে স্থান-কাল-পাত্র বু
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কোন সভা-সম্মেলন শুরু করায় কোন বাধা নেই। তবে সর্বপ্রথম হামদ ও ছানা পাঠ করতে হবে (আহমাদ হা/১৫২৬, ছহীহাহ হা/১৬৯)।আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, أصحاب النبي صلى الله عليه و سلم إذا جلسوا كان حديثهم يعني الفقه إلا أن يقرأ
উত্তর : এ বিষয়ে কেবল এতটুকু জানা যায় যে, ওযায়ের এবং তুববা‘ উভয়েই সৎ ব্যক্তি ছিলেন এবং তুববা দ্বীনে ইবরাহীমের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমি জানি না তুববা‘ মাল‘উন (অভিশপ্ত কাফের) ছিল কি না? আমি আরো জানি না যে, ওযায়ের নবী ছিলেন ক
উত্তর : নির্দোষ বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য এসবের ব্যবহার ও ক্রয়-বিক্রয়ে কোন বাধা নেই। যদিও ব্যবহারকারীর মন্দ ব্যবহারের জন্য কখনো কখনো এসব খেলা হারামের পর্যায়ে চলে যায়। তবে তার জন্য ব্যবহারকারী দায়ী হবে, উক্ত সামগ্রী নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্
উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি যথার্থ। কারণ একজন আহলেহাদীছ ফাসেক যত বড় গুনাহেই লিপ্ত হৌক না কেন সাধারণতঃ সে শিরক-বিদ‘আতে লিপ্ত হয় না। আর শিরক একটি অমার্জনীয় পাপ। যা থাকলে তার জন্য আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করে দেন (মায়েদাহ ৫/৭২)। আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পর দুই, চার বা ছয় রাক‘আত সুন্নাত ছালাত আদায় করা যায়। রাসূল (ছাঃ) জুম‘আর ছালাতের পরে তাঁর বাড়িতে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন (আবুদাউদ হা/১১৩২)। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন জুম‘আর ছালাত আদায় করবে তখন সে যেন তার পরে চার রাক‘আত ছ
উত্তর : এটা শরী‘আতসম্মত নয়। মসজিদে কোনরূপ সাজ-সজ্জা ও জাঁকজমক না করা এবং মুছল্লীর দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারে এরূপ যাবতীয় বস্ত্ত মসজিদ থেকে সরিয়ে ফেলা আবশ্যক (বুখারী হা/৫৯৫৯; মিশকাত হা/৭৫৮, ৭৫৭; আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৭১৮-১৯)।অনেকে কেবল ভক্তি-ভা
উত্তর : সদ্য ভুমিষ্ট সন্তানের ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বামত শুনানোর হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (মুসনাদে আবী ইয়া‘লা, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩২১)। এক্ষণে ‘কেবল আযান দেওয়া’ সম্পর্কিত হাদীছটি শায়খ আলবানী (রহঃ) ইতিপূর্বে ‘হাসান’ (আবুদাঊদ হা/৫১০৫, ইরওয়া হা/১১৭৩)
উত্তর : ছাহাবী আবু ত্বালহা আনছারী (রাঃ)-এর নেতৃত্বে একদল ছাহাবী তাঁর জন্য ‘লাহাদ’ কবর খনন করেন (আহমাদ হা/৩৯, ১২৪৩৮; ইবনু মাজাহ হা/১৫৫৭, আল-বিদায়াহ ৫/২৬৭)।রায়হান ইউসুফ ছিয়াম,বগুড়া।
উত্তর : খাৎনা করা মুস্তাহাব। জনৈক ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বলেন, তুমি কুফরীর চুল ফেলে দাও এবং খাৎনা কর (আবুদাঊদ হা/৩৫৬, সনদ হাসান, ইরওয়া হা/৭৯)। খাৎনা করা মানুষের ফিৎরাত বা স্বভাবজাত পাঁচটি বিষয়ের অন্যতম (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশ
উত্তর : ঐ মহিলার চুলের জট আগে কাটতে হবে এবং এর মাধ্যমে তার কুসংস্কারপূর্ণ আক্বীদার জট ছাড়াতে হবে। ‘জট কারু উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না আল্লাহর হুকুম ব্যতীত’ এই আক্বীদা তার হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অতঃপর তার চুলের যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজনে চিক
উত্তর : এরূপ অবস্থায় ‘খোলা’ করে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কারণ যথাযোগ্য কারণে স্বামী থেকে ‘খোলা’ করা অর্থাৎ মোহর ফিরিয়ে দিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়া শরী‘আতসম্মত (বুখারী হা/৫২৭৩; মিশকাত হা/৩২৭৪)। মাযহাবী ভাইদের অনেকের মধ্যে গুরুতর সমস্
উত্তর : টাকার বিনিময়ে জমি কট নিয়ে সেই জমি থেকে ফায়দা গ্রহণ করা সূদের অন্তর্ভুক্ত। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, যে ঋণের বিনিময় লাভ করা হয়, তা সূদ (ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। এই প্রকার সূদকে জায়েয করার জন্য এক শ্রেণীর মানুষ মাসে মাসে কিছু টাকা কর্তনের চ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ত্বাবারাণী কাবীর, সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৯৪৮)। বিষয়টি এই যে, ওয়াছেলা বিন আসক্বা‘ (রাঃ) মদীনায় হিজরতে করে আসলে রাসূল (ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি বা-ত্তাহ অর্থাৎ এখানে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এসেছ? নাকি বাদিয়া
উত্তর : কবরপূজা সহ শিরকে আকবর বা বড় শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্যকে শরীক করে, আল্লাহ অবশ্যই তার উপরে জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হ’ল জাহান্না
উত্তর : লাশের খাটে আয়াতুল কুরসী লিখলে এতে মৃতব্যক্তির কোন উপকারে আসার প্রশ্নই আসে না। এগুলি মনগড়া ও বিদ‘আতী প্রথা মাত্র। যা অবশ্য পরিত্যাজ্য। -আব্দুর রশীদ, সাঘাটা, গাইবান্ধা।
উত্তর : এরূপ ইচ্ছা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কারণ যারা দ্বীনের জ্ঞানার্জন করে, তারা আল্লাহর নিকট উচ্চ মর্যাদা লাভ করে (মুজাদালাহ ৫৮/১১)। যে ব্যক্তি দ্বীনী ইলম শিক্ষা করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন’ (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২৫৫, হাদীছ ছহীহ
উত্তর : এগুলি সবই বানাওয়াট কথা এবং ভ্রান্ত ফিরক্বা শী‘আদের অনুকরণ মাত্র। ঘটনা হ’ল এই যে, বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পথে বুরাইদা আসলামী (রাঃ) রাসূলে করীম (ছাঃ)-এর নিকটে আলী (রাঃ) সম্পর্কে কিছু অভিযোগ পেশ করেন। যা ইয়ামনে গণীমত বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে
উত্তর : বায়তুল্লাহ পর্যন্ত যাতায়াতের সামর্থ্য থাকলে প্রত্যেক মুমিন নারী ও পুরুষের উপর হজ্জ ফরয হবে (আলে-ইমরান ৩/৯৭)। সেই হিসাবে স্বামী ও স্ত্রীর উপর পৃথকভাবে হজ্জ ফরয হবে। আল্লাহ বলেন, আমরা তোমাদের কোন পুরুষ বা নারীর কোন আমল বিনষ্ট করি না’ (আল
উত্তর : এটি শরী‘আত সম্মত নয়। পিতার উপস্থিতিতে অন্য কেউ উকীল হ’তে পারে না। পিতার অনুপস্থিতিতে দাদা, অতঃপর তুলনামূলক নিকটবর্তী আত্মীয়রা উকীল হবে (মুগনী ৯/৩৫৫)। যেমন মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) তার বোনকে বিবাহ দিয়েছিলেন (বুখারী হা/৫১৩০)।-মনীরুল ইসলাম,
উত্তর : মিথ্যা অপবাদ হ’ল কারো ব্যাপারে অন্যের নিকটে এমন কথা বলা যা তার মাঝে নেই (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮২৮)। কারো উপর মিথ্যা অপবাদ লাগিয়ে প্রচার করা কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। আর মিথ্যা অপবাদকারীর শাস্তি হচ্ছে ৮০ বেত্রাঘাত (নূর ২৪/৪-৫)। ইবনু হাজার (র
উত্তর : পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় ছেলে মারা গেলে তার অর্জিত সম্পদে পিতা-মাতা ওয়ারিছ হবেন। প্রথমতঃ মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও সন্তান থাকা অবস্থায় পিতা-মাতা এক-ষষ্ঠাংশ করে পাবেন (নিসা ৪/১১)। এছাড়া আরো কয়েকটি অবস্থা রয়েছে। সেসব ক্ষেত্রে অবস্থাভেদে নির্ধা
উত্তর : ইহরাম অবস্থায় মেহেদী ব্যবহার করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) ইহরাম অবস্থায় রঙিন ও যাফরানযুক্ত কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/৫৮৪৭; মিশকাত হা/২৬৭৮)। এ হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী বলেন, মেহেদী যাফরানের ন্যায় (আল-মাজমূ‘ ১/২৯৫)। অতএব ইহরামের প
উত্তর : কথা ও কাজের মধ্যে মিল থাকা মুমিনের অন্যতম গুণ। যার কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই, তার পরিণতি সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছে কঠোর সাবধান বাণী উচ্চারিত হয়েছে (ছফ ২; বুখারী হা/৩২৬৭, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৩৯; ‘সৎ কাজের নির্দেশ’ অনুচ্ছেদ)। নিজে সৎকাজ ক
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক নয়। ইবরাহীম (আঃ) কেবল মুসলিম জাতির পিতা নন বরং তিনি ছিলেন ইহূদী-খৃষ্টান-মুসলমান সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পিতা। কারণ আদম (আঃ) হ’তে ইবরাহীম (আঃ) পর্যন্ত সকল নবী ও রাসূল বাদে পরবর্তী সকল নবী ও রাসূল তার বংশধর’ (হাদীদ ৫৭/২৬;
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ছালাত ছেড়ে দিয়ে কিছু মুছল্লী অজ্ঞান ব্যক্তির সেবা করবে এবং অন্যরা অন্য কাউকে ইমামতির দায়িত্ব দিয়ে বাকী ছালাত আদায় করবে। কারণ এতে অজ্ঞান ব্যক্তির জীবনাবসানের আশংকা রয়েছে। যেমন এরূপ আশংকা থাকায় রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থায় স
উত্তর : চিকিৎসক হিসাবে কুকুর, বিড়াল ইত্যাদির চিকিৎসা করা এবং তার বিনিময় গ্রহণ করায় বাধা নেই। এটি পশুদের প্রতি দয়ার নিদর্শন, যাতে প্রভূত নেকী রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, এক লোক এক পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ছ
উত্তর : পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় পশু কুরবাণী করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এছাড়া উক্ত পশুর গোশত খাওয়া যাবে। এমনকি রুচি হ’লে পেটের বাচ্চাও খেতে পারে। আবু সাঈদ খুদরী বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমরা উটনী, গাভী ও ছাগী যবেহ করি এবং কখনো কখনো আ
উত্তর : ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ভ্রান্ত ধর্ম-বিশ্বাসের মৌলিক জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। এরূপ কাজ উক্ত ধর্মের প্রচার-প্রসারে সহযোগিতার শামিল। আর আল্লাহ অন্যায় কর্মে সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (মায়েদাহ ৫/২)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) খৃষ্টানদের ক্র
উত্তর : কেউ খালেছ নিয়তে তওবা করলে আল্লাহ তার পূর্বে কৃত সকল গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহ বলেন, যারা তওবা করে ও সংশোধিত হয় এবং সত্য প্রকাশ করে, বস্ত্ততঃ আমি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (বাক্বারাহ ২/১৬০)। অতএব তাদের কৃত গোনাহ আপনার
উত্তর : স্বামী-স্ত্রী জামা‘আত করে ছালাত আদায় করতে পারে। তবে স্ত্রীকে স্বামীর পিছনে দাঁড়াতে হবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/১৭৪৪১, মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৭৫৪৭, সনদ ছহীহ)। এতদ্ব্যতীত পুরুষ ও নারী একত্রে জামা‘আত করার সময় নারী পিছনে দাঁড়াবে। যেমন আনাস
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মুনকার ও যঈফ। এর সনদে নাবীত্ব ইবনু ওমর নামে একজন অপরিচিত রাবী আছেন (আহমাদ হা/১২৬০৫; সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৬৪, সনদ যঈফ- আলবানী, আরনাঊত্ব)। অতএব উক্ত আমল অবশ্যই পরিত্যাজ্য।-ইউসুফ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : ছালাতের শিশুদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া অন্যায় নয় এবং শিশুরা ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে এটাও ঠিক নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শিশুর ক্রন্দন শ্রবণের কারণে ছালাত সংক্ষিপ্ত করেছেন (বুখারী হা/৭০৯, মুসলিম হা/৪৭০। কিন্তু শিশুকে সাথে আনতে নিষেধ
উত্তর : এরূপ কাজ শরী‘আত সম্মত হবে না। কারণ এটি প্রতারণা এবং মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত, যা নিঃসন্দেহে হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয় (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)। এক্ষণে এরূপ কাজ করে থাকলে এবং তা পরিবর্তন করা স
উত্তর : বৈধ জিনিস উৎপাদনকারী, বৈধ কোন কাজে প্রতিষ্ঠিত যেকোন কোম্পানীতে চাকুরী করা যাবে। যদিও তার মজুরী সূদযুক্ত অর্থ দিয়ে প্রদান করা হয়। আর এজন্য দায়ী হবে উক্ত সূদের গ্রহীতা কোম্পানীর মালিক (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১৫/৫৯)। তবে সরাসরি সূদী
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদিন ছালাতরত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-কে বিচ্ছু দংশন করলে ছালাত শেষে তিনি বললেন, বিচ্ছুর উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হৌক! সে কাউকে ছাড়ে না এমনকি মুছল্লীকেও নয়। অতঃপর তিনি পানি এবং লবন নিয়ে ক্ষতস্থানের উ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ২৩, ২৫ ও ২৭ যে তিনদিন জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন সেই তিনদিন প্রথম রাতেই শুরু করেছেন। যা কখনো রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধাংশ এবং শেষদিন সাহারীর আগ-পর্যন্ত ছালাত আদায় করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইমা
উত্তর : সরকারী এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় এসব অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। বরং এযুগে বেসরকারী মাদরাসা সমূহের মধ্যে যারা ছহীহ আক্বীদা ও আমল প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে এবং একদল দাঈ ইলাল্লাহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাদের পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতা
উত্তর : কেবল ভোটদাতা বা সমর্থন দাতারাই এ হাদীছের অন্তর্ভুক্ত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের উপর অনেক শাসক নিযুক্ত হবে। যাদের কোন কাজ তোমরা পসন্দ করবে এবং কোন কাজ অপসন্দ করবে। এক্ষণে যে ব্যক্তি উক্ত অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করবে, সে দায়িত্
উত্তর : তাদের উপর আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হয়ে সর্বাবস্থায় দাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাধ্য করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার পরিবারকে ছালাতের আদেশ দাও এবং তুমি এর উপর অবিচল থাক’ (ত্বোয়াহা ২০/১৩২)। পরিবারে কেউ ছালাতকে ইসলামের ফরয ব
উত্তর : সূরা ফাতিহা পড়বে এবং মুখের থুথু রোগীর ক্ষতস্থানে দিবে। এভাবে বার বার পড়তে থাকলে ও দিতে থাকলে বিষ নেমে যাবে ইনশাআল্লাহ (মুসলিম হা/২২০১ (৬৫), বুখারী হা/৫৭৩৭)।-মারূফ আহমাদ, সরিষাবাড়ী, জামালপুর।
উত্তর : জামা‘আত চলাকালে এথেকে বিরত থাকা কর্তব্য। কারণ এতে মুছল্লীদের খুশূ-খুযূ বিনষ্ট হয়। ইবনু আববাস (রাঃ)-এর গোলাম শো‘বা বলেন, আমি ইবনু আববাসের পাশে ছালাতরত অবস্থায় আঙ্গুল ফুটালে তিনি ছালাত শেষে আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, তোমার ধ্বংস হোক তুমি ছালা
উত্তর : কাফফারা দিতে হবে (মুসলিম হা/১৬৫০, মিশকাত হা/৩৪১৩)। কসম ভঙ্গের কাফফারা হ’ল দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য খাওয়ানো। অথবা তাদের কাপড় দান করা কিংবা একটি দাস মুক্ত করা। এতে অসমর্থ হ’লে তিন দিন ছিয়াম পালন করা (মায়েদাহ ৫/৮৯)।-বাবু*, বাঘা, রাজ
উত্তর : এগুলি নিতান্তই নীতি-বহির্ভূত কাজ। শরী‘আতের বিষয়বস্ত্তসমূহ নিয়ে এরূপ করা খেল-তামাশার শামিল। যা আখেরাতে চরম শাস্তিযোগ্য অপরাধ (লোকমান ৩১/৬)। বরং এভাবে টাকার চ্যালেঞ্জ দেওয়া জুয়ার পর্যায়ভুক্ত কাজ, যা হারাম (মায়েদাহ ৫/৯০)। অতএব এসব থেকে দূরে থা
উত্তর : সন্তানকে সার্বিক প্রতিপালনই পিতা-মাতার মৌলিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন না করলে তাদেরকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতার সম্মুখীন হ’তে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মহিলা ও তার স্বামী তার সন্তানের দায়িত্বশীল। অতএব তাদেরকে স্বীয় দায়িত্ব সম্পর্কে জ
উত্তর : সাধারণভাবে এটা জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, ‘পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে তোমরা এমনভাবে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয়’ (আহযাব ৩৩/৩২)। তবে প্রয়োজনের তাকীদে যেমন শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিরূপায় অবস্থায় সাধারণ তেলাওয়াত পরপুরু
উত্তর : মদীনার সনদ মূলতঃ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে বসবাসের জন্য রাসূল (ছাঃ) ও মদীনার ইহূদীদের মধ্যেকার একটি চুক্তি পত্র। ৩য় হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসে কা‘ব বিন আশরাফের হত্যাকান্ডের পরে যা সম্পাদিত হয়েছিল।মদীনার সংখ্যাগুরু আউস ও খাযরাজ নেতাগণ আগেই
উত্তর : কন্যা সন্তান প্রোথিতকারিণী মাতা জাহান্নামে যাবে তার উক্ত অপরাধ ও কুফরীর কারণে। কিন্তু উপরোক্ত হাদীছ অনুযায়ী প্রোথিত সন্তান জাহান্নামে কেন যাবে তার ব্যাখ্যায় বিদ্বানগণ বলেন, হাদীছটি একটি নির্দিষ্ট ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। আর তা হ’ল মুলায়কা
উত্তর : তিন বা চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম বৈঠকে কেবল তাশাহহুদ পড়াই যথেষ্ট। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমাদের উপর তাশাহহুদ ফরয হওয়ার পূর্বে আমরা বলতাম, ‘আসসালামু ‘আলাল্লাহি মিন ইবাদিহী’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা এটা না বলে বরং
উত্তর : করোনা ভাইরাসের সাথে ইমাম মাহদীর কোন সম্পর্ক শরী‘আত দ্বারা প্রমাণিত নয়। বরং এটাই সঠিক যে, আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির আমল সংশোধনের জন্য মাঝে-মধ্যেই মহামারী পাঠিয়ে থাকেন (ছহীহুত তারগীব হা/১৪০৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৩৮৬৯)। উল্লেখ্য যে,
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-কে খাওয়ানোর অর্থ তিনটি হ’তে পারে। প্রথমতঃ রাসূল (ছাঃ)-এর পাকস্থলীতে খাদ্য ও পানীয়ের যোগান দেওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছাঃ)-এর পাকস্থলীতে খাদ্য ও পানীয়ের যোগান দিতেন, যার কারণে তিনি ক্ষুধার্ত হ’তেন না। দ্বিতীয়তঃ বাস্
উত্তর : জানাযার ছালাত চার তাকবীরে আদায় করা সুন্নাত। এছাড়া পাঁচ থেকে নয় তাকবীর পর্যন্তও আদায় করা যায় (বুখারী হা/১৩৩৩; আবুদাউদ হা/৩১৯৭; তালখীছু আহ্কামিল জানায়েয ১/৫৪, ৭৫)। কিন্তু ইমাম ভুলবশতঃ তিন তাকবীরে সালাম ফিরালে মুছল্লীরা ইমামকে লোকমা দিবে। আর
উত্তর : রাতে প্রাণী শিকারে কোন বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু’ (বাক্বারাহ ২/২৯)। তবে অনেক ক্ষেত্রে শিকারীর জন্য রাতে শিকার বিপদজনক হ’তে পারে। সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আর ‘তোমরা র
উত্তর : প্রত্যেকে নিজ নিজ অপকর্মের কারণে শাস্তি পাবে। কেউ আত্মহত্যা করলে তাকে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করতে হবে। কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী করে সৃষ্টি করার ব্যাখ্যা আলাদা। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কা
উত্তর : এমন কথা বলা তাক্বদীরের প্রতি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। কোন মানুষের বা সৃষ্টজীবের অধিকার নেই আল্লাহর কর্মের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করা। আল্লাহ বলেন, তিনি যা করেন, সে বিষয়ে তিনি জিজ্ঞাসিত হবেন না। বরং তারাই জিজ্ঞাসিত হবে (আম্বিয়া ২১/২৩)। ই
উত্তর : সাধারণভাবে গর্ভবতী ও ছোট বাচ্চাওয়ালা প্রাণী শিকার করা জায়েয। তবে যদি কোন প্রাণী সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানা যায় যে, প্রাণীটি এখন গর্ভবতী বা এমন ছোট বাচ্চা রয়েছে মায়েদের শিকার করলে বাচ্চার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হবে তাহ’লে উক্ত প্রাণীকে শিকার কর
উত্তর : নিজের অজান্তে কেউ শিরক করে ফেললে এবং তওবা না করলে আল্লাহ তাকে মাফ করতেও পারেন, নাও করতে পারেন। আল্লাহ বলেন, অতএব তোমরা জেনে-শুনে কাউকে আল্লাহর সাথে সমকক্ষ নির্ধারণ করো না (বাক্বারাহ ২/২২)। সুতরাং যখনই সে শিরকের বিষয় জানবে তখনই সে তওবা ক
উত্তর : আয়াতের অর্থ- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত সমূহকে তার যথার্থ হকদারদের নিকট পৌঁছে দাও। আর যখন তোমরা লোকদের মধ্যে বিচার করবে, তখন ন্যায়বিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে সর্বোত্তম উপদেশ দান করছেন। নিঃসন্দেহে আ
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। পানিতে প্রকাশ্য কোন অপবিত্রতা না থাকলে কোন সমস্যা নেই। তবে টয়লেট একটি অপবিত্র স্থান, যেখানে জিন-শয়তানেরা অবস্থান করে। সেজন্য বালতিতে পানি রাখলে ঢেকে রাখা উচিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘এই সকল স্থানে সাধার
উত্তর : হাদীছে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞার অর্থ হ’ল যারা শা‘বান মাসের শুরু থেকে ছিয়াম রাখেন, তারা যেন ১৫ই শা‘বানের পর আর না রাখেন। কেননা এতে শারিরীক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। তবে সামর্থ্যবান হ’লে ১৫ই শা‘বানের পরও ছিয়াম পালন করা যাবে। এছাড়া যারা সাপ্তাহ
উত্তর : স্ত্রী ১/৪ অংশ পাবে। যেহেতু তার সন্তান বা পুত্রের সন্তান নেই। আর সহোদর ভাইয়ের পুত্ররা একমাত্র অবশিষ্টভোগী ‘আছাবাহ’ হিসাবে অবশিষ্ট সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, সম্পদ অংশীদারদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বণ্টন কর
উত্তর : কর্মচারী তার পরিশ্রমের বিনিময়ে বেতন পাওয়ার হক্বদার। সুতরাং কোন অবস্থাতেই যাকাতদাতার জন্য যাকাতের অর্থ থেকে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সিদ্ধ নয় (হাশিয়াতুল জামাল আলা শারহিল মানহাজ ২/২৪৮, ৭/৩৭৭, ৪/১৫৮)। তবে যদি কর্মচারীরা যাকাতের হক্বদার হয় তাহ’
উত্তর : ছুরাইয়া তারকা উদিত হ’লে মহামারী দূরীভূত হয় এমন কোন প্রমাণ নেই। কারণ যে সকল হাদীছে ছুরাইয়া উদিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে সেখানে মূলত ফসলের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ছুরাইয়া তারকা উদিত হ’লে খেজুরসহ অন্যান্য ফসলের উপর থেকে বিপদ উঠে যাবে। এতে ছুরা
উত্তর : যাকাতের মাল থেকে ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবে না। কারণ যাকাত হ’ল ইবাদত, যা নির্দিষ্ট নিয়মে ও নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করতে হয়। আর ট্যাক্স সরকারী কর, যা মুসলিম-অমুসলিম সবার জন্য প্রযোজ্য। এটিই জমহুর ওলামায়ে কেরামের মত (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৫৪২-৫৫০;
উত্তর : খালাতো বোন মাহরামদের অন্তর্ভুক্ত নয় (নিসা ৪/২৪)। সুতরাং বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সাথে একাকী নিভৃতে যাওয়া যাবে না। তবে পর্দার মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় কথা বলা বা খোঁজ-খবর নেওয়ায় দোষ নেই (বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ২/১৫৫; বিন বায, ফাতাওয়া
উত্তর : যেকোন মুসলিম কর্তৃক বিসমিল্লাহ বলে যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া জায়েয। গাফলতির কারণে কেউ ছালাত পরিত্যাগ করলে তাকে ছালাত আদায়ের উপদেশ দিতে হবে। কারণ ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত পরিত্যাগ করা কুফরীর পর্যায়ভুক্ত মহাপাপ (মুসলিম হা/৮২; মিশকাত হা/৫৬৯)। তবে
উত্তর : সামর্থ্যহীন ব্যক্তির জন্য একটি পশু দ্বারাও পুত্র সন্তানের আক্বীক্বা দেয়া জায়েয। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘রাসূল (ছাঃ) হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-এর পক্ষ থেকে একটি করে দুম্বা আক্বীক্বা করেছেন’ (আবূদাঊদ হা/২৮৪১; মিশকাত হা/৪১৫৫; ইরওয়া হা/১১৬৭
উত্তর : লাইভে প্রচারিত জামা‘আতের ইক্তিদা করে ছালাত আদায় করা জায়েয নয়। এভাবে কেউ ছালাত আদায় করলে তার ছালাত বাতিল হবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২৬; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/২৯-৩১)। কারণ হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম হিসাবে আগামী কাল আল্লাহর সাথে
উত্তর : মহামারী পরিস্থিতিতে সম্মিলিত মুনাজাত বা তওবার আয়োজন করা যাবে না। কারণ ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনদের যুগে বহু মহামারী আঘাত হেনেছে। কিন্তু তাঁদের কেউ সম্মিলিত মুনাজাত ও তওবার আয়োজন করেননি। বরং এই বিদ‘আতী পন্থায় ৮৩৩ হিজরী সনে মিসরে সম্মিলিত
উত্তর : নিয়ম হ’ল আযানের পূর্বেই খানা সম্পন্ন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা (রামাযানের রাতে) খানাপিনা কর, যতক্ষণ না (রাত্রির) কালো রেখা হ’তে ভোরের শুভ্ররেখা স্পষ্ট হয় (বাক্বারাহ ২/১৮৭)। কোন কারণে পাত্রে খাবার অবশিষ্ট থাকলে তা দ্রুত খেয়ে নিবে
উত্তর : যাকাতের অর্থ থেকে কোন অমুসলিমকে দেওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামনে প্রেরণের সময় বলেছিলেন, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে এই মর্মে যে, আল্লাহ তাদের উপরে ছাদাক্বা ফরয করেছেন। যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে নেওয়া হবে ও তাদের
উত্তর : যার সামর্থ্য ও সুযোগ রয়েছে মাটিতে নেমে সিজদা করার সে মাটিতে সিজদা দিবে। আর যে চেয়ারে বসেই ছালাত আদায় করে সে মাথা নীচু করে ইশারায় সিজদা দিবে। আবার কেউ গাড়িতে থাকলে এবং তেলাওয়াত করলে বা শুনলে ইশারাতেই সিজদা দিবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৭৩; ফাত
উত্তর : চুরিকৃত স্বর্ণালংকার মজুদ থাকলে তাকে সেটাই ফেরত দিতে হবে। আর মজুদ না থাকলে অনুরূপ স্বর্ণালংকার বা সমমূল্য দিলেই দায় মুক্ত হবে। তবে বোনকে অবহিত করে অনুতপ্ত হয়ে স্বর্ণালংকার বা সমমূল্য ফেরত দেয়াই উত্তম হবে (উছায়মীন, আল-লিক্বাউশ শাহরী ৩১;
উত্তর : উক্ত শব্দগুলো যোগ করে পাঠ করার ব্যাপারে যে বর্ণনা রয়েছে তা যঈফ (নাসাঈ হা/১৭৪৬; ইরওয়া ২/১৭৬; বুলুগুল মারাম হা/৩০৮; মিরকাত ৩/৯৫০)। তবে অধিকাংশ বিদ্বান মনে করেন, দো‘আ কুনূতের শেষে এধরনের অর্থবোধক শব্দ যোগ করাতে কোন দোষ নেই। বরং শরী‘আত
উত্তর : এটি শর্ত নয়। বরং অনুমতি শর্ত। তবে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে মসজিদের নামে স্থানটি ওয়াকফ করা যরূরী (বুখারী হা/২৭৭৪; মুসলিম হা/৫২৪)। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সরকারী জমিতে স্থায়ীভাবে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। তবে অনুমতি না থাকলে স্থায়ীভাবে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি হাসান, যার উপর আমল করা যায়। শায়খ আলবানী ও শু‘আইব আরনাউত উভয়ে হাদীছের সনদকে হাসান বলেছেন (আবূদাউদ হা/২৩৫৭; ইরওয়া হা/৯২০; মিশকাত হা/১৯৯৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৬৭৮)। এছাড়াও দারাকুৎনী, ইবনু হাজার, হাকেম, ইবনু হিববানসহ বহু মু
উত্তর : মানুষের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ছালাত, তাওয়াফ এমনকি হজ্জ বন্ধ রাখা জায়েয। কেননা মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা রক্ষা করা ইসলামী শরীআ‘তের অন্যতম মূলনীতি (বাক্বারাহ ২/১৯৫; নিসা ৪/২৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অন্যকে
উত্তর : এক্ষেত্রে সুন্নাত হ’ল- (১) আঙ্গুলের মাধ্যমে গণনা করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাসবীহ সমূহ আঙ্গুলে গণনা কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা কথা বলবে’ (আবূদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩১৬)। (২) ডান হাতে গণনা করা। রাস
উত্তর : মূলতঃ বিষয়টি ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। যখন আল্লাহর হুকুম হয়, তখনই এর কার্যকারিতা প্রকাশ পায়, নতুবা নয়। উল্লেখ্য যে, কালোজিরার সঠিক ব্যবহারের নিয়ম জানা না থাকার কারণেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। তাছাড়া কারো যদি কোন রোগে মৃত্যু নির্ধারিত
উত্তর : যাদের কুরআনের আয়াত তেমন মুখস্থ নেই তারা নফল ছালাতে দেখে দেখে কুরআন পাঠ করতে পারে। আয়েশা (রাঃ)-এর গোলাম যাকওয়ান রামাযান মাসে কুরআন দেখে আয়েশা (রাঃ)-এর ইমামতি করেছেন (বুখারী, ‘আযান’ অধ্যায়, ৫৪ অনুচ্ছেদ ১/১৪০; বায়হাক্বী হা/৩১৮৩; ফিক্বহুস স
উত্তর : সর্বপ্রথম জান্নাতী হবেন শেষ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতের দরজায় এসে দরজা খুলতে বলব। তখন দায়িত্বরত ফেরেশতা বলবে, আপনি কে? আমি বলব, মুহাম্মাদ! তখন সে বলবে, আমি এই মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে, আপনার পূর্বে
উত্তর : পুরুষের উপস্থিতিতে কোন নারী ছালাতে ইক্বামত দিতে পারবে না। বরং পুরুষ একা হ’লেও নিজেই ইক্বামত দিয়ে ছালাত শুরু করবে। আর কোন অবস্থাতেই নারীর জন্য পুরুষের ইমামতি করা সিদ্ধ নয়। যদি কোন পুরুষ নারীর ইমামতিতে ছালাত আদায় করে তাহ’লে তাকে ছ
উত্তর : এরূপ দান সুস্পষ্ট রিয়ার শামিল, যা আল্লাহর নিকট কবুলযোগ্য নয়। সুতরাং দাতা যদি ব্যক্তিস্বার্থে বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দান করে থাকে, তবে সে ছওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! খোটা দিয়ে ও কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানগুলিক
উত্তর : বিসমিল্লাহ নীরবে পাঠ করাই রাসূল (ছাঃ), আবুবকর, ওমর ও ওছমান (রাঃ)-এর সুন্নাত (আহমাদ হা/১২৮৬৮)। তবে কেউ যদি বিসমিল্লাহ সরবে পাঠ করে তাহ’লে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২২/২৬৮-৬৯, ৪৩৬-৩৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১০
উত্তর : আত্মহত্যা মহাপাপ। তবে আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়া যাবে। কেননা এই পাপের কারণে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায় না। কিন্তু তার জানাযায় মসজিদের ইমাম বা কোন বুযুর্গ আলেম শরীক হবেন না। বরং অন্যেরা ছালাত পড়াবেন। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট জনৈক আত্মহত্যাক
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত ঘটনাটি ভিত্তিহীন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৭/৬-৭; মির‘আত ৩/২৩৩)। কিছু তাফসীর, হাদীছের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ও ছূফীদের কিছু গ্রন্থে সূরা ইয়াসীনের ৫৮ আয়াতের তাফসীরে এ ধরনের ঘটনা সনদবিহীনভাবে বর্ণনা করা হয়েছে (তাফসীর রূহুল মা‘
উত্তর : বিবাহপূর্ব বেগানা নারী-পুরুষের মধ্যকার যেকোন সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে হারাম (ইসরা ১৭/৩২)। অনুরূপভাবে গর্ভাবস্থায় নারীকে বিবাহ করা নাজায়েয, যতক্ষণ না সে সন্তান জন্ম দেয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সন্তান প্রসবের আগে গর্ভবতীর সাথে মিলিত হওয়া যাবে না’
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের পক্ষে কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং দাজ্জাল হবে একজন এবং ইমাম মাহদীও হবেন একজন (ফাৎহুল বারী ১৩/৯১; মানাভী, ফায়যুল ক্বাদীর ৩/৫৩৯)। তবে দাজ্জালের মত বহু মহামিথ্যুক আসতে পারে, যারা নবুঅতের দাবী করবে। তাদেরকে হাদীছে শাব্দিক অর্থে দাজ্
উত্তর : স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী মূলতঃ স্বামীর গৃহে অবস্থান করেই ইদ্দত পালন করবে। বাধ্যগত কারণ ব্যতীত এসময় বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না (তালাক ৬৫/১; আবুদাউদ হা/২৩০০; মিশকাত হা/৩৩৩২)। তবে নিরাপত্তার আশংকা থাকলে অন্য কোন নিরাপদ স্থানে ইদ্দত পালন করতে প
উত্তর : ঈসা (আঃ) দ্বিতীয় আসমানে জীবিত আছেন (আলে ইমরান ৩/৫৫, নিসা ৪/১৫৭; বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৬২)। তিনি দামেশকের পূর্বপ্রান্তের শ্বেত মিনার হ’তে হলুদ বর্ণের দু’টি পোষাক পরিহিত অবস্থায় দু’জন ফেরেশতার পাখায় ভর করে অবতরণ করবেন।... অতঃপর তিনি
উত্তর : পানির ব্যাপারে সাধারণ নির্দেশ এই যে, বদ্ধ পানিতে পেশাব করা যাবে না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৪)। এমনকি বদ্ধ পানিতে ফরয গোসলও করা যাবে না (মুসলিম হা/২৮৩)। তবে এই নিষেধাজ্ঞা হারামের পর্যায়ে যাবে, যখন পানি কম হবে। আর বেশী হলে তা মাকরূহ হব
উত্তর : নিঃসন্দেহে জায়েয হবে। কারণ এর মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাদিয়া গ্রহণ করতেন ও অন্যকে প্রদান করতেন’ (বুখারী হা/১৭৩৪)। তিনি বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া দাও ও মহববত বৃদ্ধি কর’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)
উত্তর : উক্ত দো‘আগুলি অনুচ্চস্বরে পাঠ করা উত্তম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর মনে মনে কাকুতি-মিনতি ও ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে সকালে ও সন্ধ্যায়। আর তুমি উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’ (আ‘রাফ ৭/২০৫, ৫৫; ইসরা ১৭/১১০)।
উত্তর : উভয়ের সম্মতিতে নতুন বিবাহের মাধ্যমে স্বামী তার স্ত্রীকে ফেরত নিতে পারবে। কেননা এক মজলিসে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে। আবদু ইয়াযীদ তার স্ত্রী উম্মে রুকানাকে তালাক দেন। পরবর্তীতে তিনি দারুণভাবে মর্মাহত হন। তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে জি
উত্তর : ধর্মের ব্যাপারে ক্ষতি বা ফিৎনার আশংকা না থাকলে স্বাভাবিক বন্ধুত্বে কোন দোষ নেই। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ ত
উত্তর: কাজটি অত্যন্ত গর্হিত হলেও উক্ত নারীকে বিবাহ করতে বাধা নেই। কারণ কোন হারাম সম্পর্ক কোন হালাল সম্পর্ক স্থাপনে বাধা হতে পারে না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যেনা বৈবাহিক বন্ধনকে হারাম করে না’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/১৮৮১,
উত্তর : এরূপ অবস্থায় যে কোন বৈধ চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে কালো খেযাব ব্যবহার করা যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) কালো খেযাব ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/২১০২, নাসাঈ হা/৫০৭৫, মিশকাত হা/২৪৭০, ৪৪২৪, ৪৪৫২)। আর অকালপক্কতা ও বার্ধক্য লু
উত্তর : সমকামিতা একটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং কবীরা গুনাহ। এই পাপের কারণেই বর্তমান পৃথিবী এইডস-এর মত মরণ ব্যধিতে ভরে গেছে। এটাই আল্লাহর গযব। এ অপরাধের কারণে বিগত যুগে আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন (আ‘রাফ ৭/৮০-৮৪; হিজর ১৫/৭২-৭৬)। এর শাস
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাটি জাল। ইমাম যাহাবী, ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনু হাজার, আলবানী সকলেই এ ব্যাপারে একমত (হাকেম হা/৪২২৮, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৫)।
উত্তর : ‘হাদিয়া’ হ’ল কোন কিছুর বিনিময় ছাড়াই কাউকে কোন কিছু প্রদান করা। এটি শরী‘আতে বৈধ (বুখারী হা/২৫৭৬)। রাসূল (ছাঃ) ভালোবাসা বৃদ্ধির মাধ্যম হিসাবে পরস্পরকে হাদিয়া দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন (আদাবুল মুফরাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)। আর অন্যায়ভাবে কিছু পাওয়ার
উত্তর : মাথার সম্মুখ থেকে পিছনে নিয়ে সেখান থেকে পুনরায় সামনে এনে একবার মাসাহ করাই রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের নিয়মিত সুন্নাত। আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ (রাঃ) রাসূল (ছাঃ) থেকে মাথা মাসাহের পদ্ধতি বর্ণনা করে বলেন, পানি নিয়ে দু’হাতের ভিজা আংগুলগু
উত্তর : নারী-পুরুষ প্রত্যেকে তার আল্লাহ প্রদত্ত সৌন্দর্য নিজেই বৃদ্ধি করতে পারে। এর জন্য আলাদাভাবে কোন ব্যবসায়িক দোকান খোলার প্রয়োজন নেই। বিউটি পার্লারে অসুন্দরকে সুন্দর করার মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়। তাছাড়া বহু অনৈতিক কাজের পথ খুলে যায়। এর মধ
উত্তর : খালেছ তওবা দ্বারা কবীরা গুনাহ মাফ হবে ইনশাআল্লাহ। কেননা আল্লাহ শিরক ব্যতীত বান্দার সকল গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন (নিসা ৪/৪৮, ১১৬)। আল্লাহ বলেন, অন্যত্র আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট খালেছ অন্তরে তওবা কর। অবশ্যই তোমাদের প্রতিপ
উত্তর : মুক্তাদীদেরকে তার জবাব দিতে হবে না। বরং মুক্তাদীরা তাই বলবে, ইমাম যা বলেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয় তার অনুসরণের জন্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। উল্লেখ্য যে, ইমামের সালামের জবাব প্রদা
উত্তর : গানের সূরে বক্তব্য দেয়া ঠিক নয়। বক্তব্যের উদ্দেশ্য হবে মানুষকে জান্নাতের পথ প্রদর্শন করা ও জাহান্নাম থেকে ভয় দেখানো। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মানুষকে ডাক তোমাদের প্রভুর রাস্তায় প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে’... (নাহল ১৬/১২৫)। রাসূল (ছাঃ
উত্তর : ভুমিকম্প, বন্যা প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বেশী বেশী আল্লাহর যিকির, দো‘আ এবং তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। একদা সূর্যগ্রহণ শুরু হলে রাসূল (ছাঃ) ক্বিয়ামত শুরু হয়েছে মনে করে ভীত হয়ে দাঁড়িয়ে যান। অতঃপর সূর্যগ্রহণের দীর্ঘ ছালাত আদায়
উত্তর : আযানের পূর্বে দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করার ব্যাপারে শরী‘আতের কোন নির্দেশনা নেই। সুতরাং তা বিদ‘আত। রাসূল (ছা) বলেন, যে ব্যক্তি এমন আমল করল, ‘যার প্রতি আমার নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত’ (মুসলিম হা/১৭১৮; মিশকাত হা/১৪০)। এছাড়া আযানের পূর্বে ও পরে আরো
উত্তর : যাবে না। এটা একদিকে আল্লাহর বাণীর প্রতি অসম্মান। অন্যদিকে ইহূদী-খৃষ্টানদের অনুসরণ। যারা ক্রুস বা অনুরূপ কিছু ঝুলিয়ে রেখে সম্মান প্রদর্শন করে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কওমের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হ
উত্তর : এমতাবস্থায় বিষয়টি স্ত্রীর নিকটে পেশ করবে। স্ত্রী যদি সন্তুষ্ট চিত্তে তাকে কিছু ছাড় দেয়, সেক্ষেত্রে স্বামীর জন্য তা গ্রহণ করা বৈধ হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তো
উত্তর : সরকারী খাস জমি অবহেলায় অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকলে তাতে গাছ বা ফসল লাগিয়ে উপকৃত হওয়ায় কোন বাধা নেই। এক্ষেত্রে প্রথমে যিনি শুরু করবেন, তিনিই এর হকদার হবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এমন কোন জমি আবাদ করে, যার কোন মালিকানা নেই। তবে সে
উত্তরঃ ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু ওমর ফখরুদ্দীন রাযী (রহঃ) ৫৪৪ হিজরী সনে ইরানের রায় শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬০৬ হিজরী সনে আফগানিস্তানে মারা যান। তিনি আশ‘আরী আক্বীদায় বিশ্বাসী একজন উঁচুদরের আলেম, মুফাসসির ও দার্শনিক ছিলেন। তি
উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ হ’ল- ‘তারা আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের আলেম-ওলামা ও পোপ-পাদ্রীদের এবং মারিয়াম পুত্র মসীহ ঈসাকে ‘রব’ হিসাবে গ্রহণ করেছে। অথচ তাদের প্রতি কেবল এই আদেশ করা হয়েছিল যে, তারা শুধুমাত্র এক উপাস্যের ইবাদত করবে। তিনি ব্যতীত কোন উপাস
উত্তরঃ বিদ‘আতী দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য যেকোন প্রতিষ্ঠানে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদা ৫/২)।
উত্তর : অন্যের হক নষ্ট করে নিজে তা নেওয়ার জন্য ঘুষ দিলে সেটা হবে মহাপাপ। সেক্ষেত্রে ঘুষ দাতা এবং ঘুষ গ্রহীতা উভয়েই কঠিন গুনাহের ভাগিদার হবে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার উপর লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)।পক্ষান্তরে মযলূম ব্যক্তি
উত্তর : বর্ণনা অনুযায়ী নিশ্চিতভাবে বুঝা যায়, উভয়ের সম্মতিতে এ কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হ’ল উভয়কে পাথর মেরে হত্যা করা। এক্ষণে রাষ্ট্রে ইসলামী আইন জারি না থাকায় তা সম্ভব নয়। অতএব এক্ষেত্রে স্ত্রীকে তালাক দিতে হবে। নইলে স্বামী ‘দাইয়ূছ’
উত্তর : ইসলামী পরিভাষায় ‘জিহাদ’ অর্থ- আল্লাহ্র পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো’ এবং ‘ক্বিতাল’ অর্থ- আল্লাহ্র পথে কুফরী শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করা’। দু’টি শব্দ অনেক সময় একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে ক্বিতাল শব্দটি নির্দিষ্ট অর্থবোধক এবং জিহা
উত্তর : উক্ত বক্তার বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ মাক্কী যুগেও ‘হে ঈমানদারগণ’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে (হজ্জ ২২/৭৭)। উক্ত বক্তার রাজনৈতিক দর্শন সঠিক নয়। তিনি ইক্বামতে দ্বীনের অর্থ ইক্বামতে হুকূমত বা রাষ্ট্র ক্ষমতার অধিকারী হওয়াকে বুঝেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী
উত্তর : সালাম প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ‘আসসালামু ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ এবং সর্বনিম্ন ‘আসসালামু ‘আলাইকুম’ বলবে। সর্বোচ্চটি বললে ত্রিশ নেকী এবং সর্বনিম্নটি বললে দশ নেকী হবে (আবুদাঊদ হা/৫১৯৫; তিরমিযী হা/২৬৮৯)। আর সালাম প্রদান
উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে প্রমাণিত নয়। তবে উক্ত মর্মে দো‘আ হিসাবে হাদীছ পাওয়া যায়। যেমন জনৈক ছাহাবী সফরকালে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে বিদায় চাইলে তিনি তার হাত ধরে বলেন, ‘ফী হিফযিল্লাহ ওয়া ফী কানাফিল্লাহ’... (আল
উত্তর : কোন ব্যক্তি কিছু ওয়াকফ করে তা পুনরায় দাবী করতে পারে না। কেননা ওয়াকফকৃত বস্ত্ত তার থাকে না। সুতরাং এরূপ দাবী করা সম্পদ ফিরিয়ে নেওয়ার শামিল। যাকে বমি করে পুনরায় খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে (বুখারী হা/১৪৯০, মুসলিম হা/১৬২২, মিশকাত হা/১৯৫৪)।
উত্তর : এটি কোন দো‘আ নয়, বরং কবিতা। বাক্যটি পারস্য কবি শেখ সা‘দী (৫৮৫ অথবা ৬০৬-৬৯১ হিঃ) স্বীয় গুলিস্তাঁ গ্রন্থে আরবীতে লিখিত তার অল্প সংখ্যক কবিতা সমূহের মধ্যে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রশংসায় লিখিত কবিতার একটি অংশ। এটি দরূদ হিসাবে পাঠ করা যাবে না। কা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) নিজে সর্বদা দাজ্জালের ফিৎনা থেকে পানাহ চেয়েছেন। তিনি স্বীয় উম্মতকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং তার অনিষ্ট থেকে পানাহ চাওয়ার দো‘আ শিখিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৫৯)। কেবল আমাদের নবীই নন বরং সকল নবীই স্ব স্ব উম্মতকে দা
উত্তর : কবরস্থান ভরে গেলে এবং প্রশস্ত করা সম্ভব না হলে, এমতাবস্থায় পুরাতন কবরগুলোর লাশ মাটির সাথে মিশে গেছে বলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ একমত হলে সেখানে নতুনভাবে কবর দেওয়ায় কোন বাধা নেই। কবর খুঁড়তে গিয়ে যদি প্রথম দিকেই মৃত ব্যক্তির হাড়-হাড্ডি পাওয়া য
উত্তর : চুল ও দাড়ি সাদা হয়ে গেলে মেহেদী বা অন্য কোন রং দিয়ে তা পরিবর্তন করা যাবে। তবে কালো রং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শেষ যামানায় কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা কবুতরের বুকের পশমের ন্যায় কালো কলপ দিয়ে চুল-দ
উত্তর : জিনদের এসব কর্মকান্ডের সত্যতা রয়েছে। যেমন জনৈক জিন সুলায়মান (আঃ)-এর নির্দেশে সাবা-র রাণী বিলক্বীসের সিংহাসন চোখের পলকে তাঁর দরবারে এনে হাযির করেছিল (নামল ২৭/৩৯-৪২)। রাসূল (ছাঃ) এক শিশুর মধ্য থেকে জিনকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছি
উত্তর : এগুলির ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে। মুহাক্কিক ইবরাহীম যায়বাক্ব বলেন, ইলমী নীতিমালা অনুযায়ী এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় না। ঘটনাটি সর্বপ্রথম মসজিদুল হারামের মুওয়াযযিন মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-মাতরী স্বীয় ‘আত-তা‘রীফ’ গ্রন্থে বর্
উত্তর : তাবীয কোন ঔষধ নয়। বরং তা রোগমুক্তির জন্য গৃহীত অসীলা মাত্র। মানুষ যখন তাবীয নেয়, তখন সে তার উপরেই ভরসা করে। ফলে এই বিশ্বাসটি শিরকে পরিণত হয়। অতএব আক্বীদাগত কারণে তাবীয ব্যবহার করা শিরক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শি
উত্তর : উক্ত অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে ‘ইন্নালিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন’ পড়া যায় (বাক্বারাহ ১৫৬)। সেই সাথে সতর্ক থাকতে হবে যেন এমনটি পুনরায় আর না ঘটে। উল্লেখ্য যে, পড়ে গেলে তুলে চুমো দেওয়া বা চাল বিতরণ করা ভিত্তিহীন প্রথা মাত্র।
উত্তর : এতে কোন দোষ নেই (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩৯৭৫, সনদ ছহীহ)। তবে অবশ্যই তা শিরক মুক্ত হতে হবে (মুসলিম হা/২২০০; মিশকাত হা/৪৫৩০)। অতএব নষ্ট আক্বীদার লোকদের কাছ থেকে ঝাড়ফুঁক নেওয়া থেকে দুরে থাকতে হবে।
উত্তর : দো‘আ করার ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত (আর-রাহীক্ব পৃঃ ১২৬; ইবনু হিশাম ১/৪২০)। তবে এর সনদ যঈফ (ত্বাবারাণী, যঈফুল জামে‘ হা/১১৮২; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৯৩৩; দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘তায়েফ সফর’ অধ্যায়)।
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক না দেয় এবং স্ত্রীও যদি ‘খোলা’ না করে, তাহ’লে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। এমনকি উভয়ের সম্মতিক্রমে ৩ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হ’লেও তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না’ (হাইআতু কিবারি
উত্তর : প্রচলিত গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই। প্রথমতঃ গণতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অথচ ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ একটি নিরেট কুফরী মতবাদ। ইসলামের সাথে এর আপোষের কোন সুযোগ নেই। দ্বিতীয়তঃ গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি হ’ল-
উত্তর : গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনী মহিলা পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করবে (আবুদাঊদ, নাসাঈ; মিশকাত হা/২০২৫)। আর ক্বাযা করতে পারবে না এমন ভয় থাকলে প্রতি ছিয়ামের বদলে একজন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করবে (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। তবে ইবনে আববাস (রাঃ) গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারি
উত্তরঃ বীমার ধারণাটাই ইসলামী অর্থনীতির বিরোধী এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনুসঙ্গ। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। বীমার মধ্যে কয়েকটি ইসলাম বিরোধী নীতি রয়েছে যথা (১) বীমা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। যেমন- কেউ জীবনবীমা করল এ মর্মে যে, সে মারা গেলে
উত্তর : ইমাম কুরতুবী (রহঃ) স্বীয় তাফসীরে সূরা ইবরাহীম ৪৬ আয়াতের ব্যাখ্যায় উক্ত ঘটনাটি সূত্রবিহীনভাবে উল্লেখ করেছেন। যা ইস্রাঈলী বর্ণনা বলেই অনুমিত হয়। তবে ফেরাঊন আল্লাহকে দেখার জন্য স্বীয় মন্ত্রী হামানকে উঁচু একটি টাওয়ার নির্মাণের নির্দেশ দিয়
উত্তর : কাটা যাবে না। কেননা বৃদ্ধাবস্থাতেও রাসূল (ছাঃ)-এর ঠোটের নিম্নভাগে উক্ত লোম ছিল। যার কিছু অংশ সাদা ছিল (বুখারী হা/৩৫৪৫-৪৬)।
উত্তর : বিবাহের দু’টি রুকন হ’ল ঈজাব ও কবুল (নিসা ১৯)। আর শর্ত হ’ল মেয়ের ওলী থাকা (তিরমিযী; মিশকাত হা/৩১৩০) এবং দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী থাকা (ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৫৮)। উক্ত শর্তাদি পূরণের পর রেজিষ্ট্রি হয়ে থাকলে সহবাস বৈধ হবে।
উত্তর : মহিলা হোস্টেলে যদি পূর্ণ নিরাপত্তা থাকে, সেক্ষেত্রে কোন বাধা নেই (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৮০/২৩)।
উত্তর : এরূপ কোম্পানী থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ তারা রাসূল (ছাঃ)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত বিরোধী নির্দেশ দিচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা গোঁফ ছাটো ও দাড়ি ছেড়ে দাও এবং এ ব্যাপারে মুশরিকদের বিরোধিতা কর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪
উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি আল্লাহর বাণী দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন, তোমার যে কল্যাণ হয়, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর যে অকল্যাণ হয়, তা তোমার (আমলের) কারণে হয় (নিসা ৪/৭৯)। অর্থাৎ আল্লাহ সব সময় বান্দার মঙ্গল করেন। কিন্তু বান্দা ভুলক্রমে বা ইচ্ছাকৃ
উত্তর : আদায় করতে পারে। ছাহাবীগণের কারু কারু আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত। উসাইদের দাস আবু সাঈদ বলেন, আমি বিয়ে করলে আবু যার গিফারী, ইবনু মাসউদ ও হুযায়ফা (রাঃ) আমাকে বললেন, তোমার ঘরে যখন তোমার স্ত্রী প্রবেশ করবে, তখন তুমি দু’রাক‘আত ছালাত আদায়
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বসম’ বা মানত ব্যক্তির নিয়তের উপর নির্ভরশীল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৪১৬)। ইমাম শাওকানী বলেন, ‘মানতকারী ব্যক্তি গুনাহের কাজ ব্যতীত সব ধরনের বৈধ মানত বাস্তবায়নে স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী’ (নায়লুল আওত্বার ১০/২৩১ ‘নযর’ অধ্যায়)
উত্তর : পিতা-মাতার প্রতি সন্তানদের অবশ্য কর্তব্য সমূহ রয়েছে। যেমন (১) তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা (নিসা ৩৬)। তথা কথা-কর্ম, শারীরিক-মানসিক, আর্থিক সকল বিষয়ে অনুগ্রহ ও নম্রতা পাওয়ার সর্বোচ্চ হকদার হ’লেন পিতা-মাতা। আল্লাহ বলেন, তোমরা তাদের সঙ্গে এমন কথা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন শেষে শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৭)। অন্য হাদীছে এক বছরের হিসাব রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এভাবে দিয়েছেন যে, ‘রামাযানের একমাস ছিয়া
উত্তর : সফর অবস্থায় কষ্টকর হ’লে ছিয়াম ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। আর তা না হ’লে পালন করাই উত্তম হবে। হামযা আসলামী (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে সফরে ছিয়াম রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সফরে ছিয়াম না রাখা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি অনুগ্রহ। যে তা গ্রহণ করব
উত্তর : রামাযানের ছিয়াম পালন ইসলামের পাঁচটি ন্তম্ভের অন্যতম (বুখারী হা/৮, মুসলিম হা/১৬)। ইচ্ছাকৃতভাবে যা পরিত্যাগ করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৫/২২৫)। এক্ষণে যেসব কারণে ফরয ছিয়াম ক্বাযা করা যায়, পরীক্ষা তার অন্তর্ভুক্
উত্তর : ই‘তিকাফ তাকওয়া অর্জন করার বড় মাধ্যম। আল্লাহ বলেন, যতক্ষণ তোমরা ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ সমূহে অবস্থান কর ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা কর না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা (বাক্বারাহ ২/১৮৭)। এতে লায়লাতুল ক্বদর অনুসন্ধানের সুযোগ হয়। রাসূ
উত্তর : (১) দীর্ঘ রুকূ ও সিজদার মাধ্যমে বিতরসহ ১১ রাক‘আত তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করা (বুখারী হা/১১৪৭; মুসলিম হা/৭৩৮)। (২) একই সূরা, তাসবীহ, দো‘আ বারবার পড়ে ছালাত দীর্ঘ করা (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১২০৫, সনদ হাসান; আবুদাঊদ হা/৮১৬; মিশকাত হা/৮৬২)
উত্তর : জামা‘আতের উপর আল্লাহর হাত রয়েছে (ছহীহুল জামে‘ হা/১৮৪৮, ৮০৬৫)। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। তন্মধ্যে ৭২টি দল জাহান্নামে যাবে। মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে। সেটি হ’ল জামা‘আত’ (আহমাদ হা/১৬৯৭৯; আবুদ
উত্তর : শরী‘আতের দৃষ্টিতে এটি সঠিক হবে না। কেননা আল্লাহ পাক বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি (রামাযানের) এ মাস পাবে, সে যেন ছিয়াম রাখে’ (রাক্বারাহ ১৮৫)। ‘এ মাস পাবে’ অর্থ এ মাসের চাঁদ দেখতে পাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে ছিয়াম রাখ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইহূদী হৌক, নাছারা হৌক যে ব্যক্তি ইসলাম কবুল না করে মৃত্যুবরণ করে, সে ব্যক্তি জাহান্নামবাসী হবে’ (মুসলিম হা/১৫৩; মিশকাত হা/১০)। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে কটূক্তিকারী ব্যক্তি তওবা না করলে সে অবশ্যই ধর্মত্যাগী ও কাফের (তাওবাহ
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছূফীদের আবিষ্কৃত বানোয়াট দো‘আ মাত্র। মূলতঃ তারাবীহর ছালাতে চার রাক‘আত পরপর পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন দো‘আ নেই। তবে রাসূল (ছাঃ) বিতর ছালাতে সালাম ফিরানোর পর سُبْحانَ المَلِكِ القُدُّوسِ (সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস) দো‘আট
উত্তর : এমতাবস্থায় ইমামের তাকবীর শুনতে পাচ্ছেন এমন কেউ ইমামের পিছে পিছে সশব্দে তাকবীর সমূহ বলবেন। যাতে বাইরের মুছল্লীরা শুনতে পান। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহ’লে তাদের মধ্যে কেউ এগিয়ে গিয়ে ইমামতি করবেন অথবা মাসবূকের ন্যায় প্রত্যেকে একাকী ছালাত আদ
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। বরং যেকোন ফরয ছালাত শেষে তাসবীহ ও দো‘আ সমূহ সংক্ষিপ্ত বা দীর্ঘ করা দু’টিই জায়েয। মুছল্লী সম্ভবপর সকল দো‘আ পাঠ করবে। আর ব্যস্ততা বা গৃহাভ্যন্তরে গিয়ে যিকর-আযকার করতে চাইলে সংক্ষিপ্ত করবে। তবে কমপক্ষে তিনি
উত্তর : হাদীছটির প্রথমাংশ সনদে ও মতনে ছহীহ এবং শেষাংশের খবর ছহীহ। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) যখন কোন যুবককে, অন্য বর্ণনায় কোন ইলমে হাদীছ অন্বেষণকারীকে দেখতেন, তখন তাকে বলতেন, রাসূল (ছাঃ)-এর অছিয়ত অনুযায়ী আমি তোমাকে মারহাবা জানাচ্ছি। রাসূল (ছাঃ) তোম
উত্তর : ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল’-অংশটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। ইবরাহীম (আঃ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হ’লে এবং রাসূল (ছাঃ) (মুশরিকদের হামলা হবে এমন খবর শুনে হামরাউল আসাদে) উক্ত দো‘আটি পাঠ করেন (বুখারী হা/৪৫৬৩; আলে ইমরান ৩/১৭৩)। অন্যত্র
উত্তর : সেক্ষেত্রে প্রশংসিত ব্যক্তি নিম্নের দো‘আটি পাঠ করতে পারেন।- اللَّهُمَّ لَا تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا يَقُولُوْنَ وَاغْفِرْ لِيْ مَا لاَ يَعْلَمُوْنَ (আল্লাহুম্মা লা তুআখিযনী বিমা ইয়াকূলূন, ওয়াগফিরলী মা লা ইয়া‘লামূন)। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তারা য
উত্তর : এতে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। কারণ এটি মানুষের নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয় নয়। আর যা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তা করার জন্য মানুষকে বাধ্য করা হয়নি। ব্যাপারটি অনিচ্ছায় বমন করার মত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কারো অনিচ্ছায় বমি হ’লে ছিয়াম নষ্ট হবে ন
উত্তর : ব্যাংক বা বীমা প্রতিষ্ঠানকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। এগুলি সরাসরি সূদী কারবারের সাথে জড়িত। আল্লাহ তা‘আলা অন্যায় ও পাপ কাজের সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (মায়েদাহ ৫/২)।
উত্তর : বৈধ হবে না। কারণ রাষ্ট্রীয় স্বার্থ মানেই জনস্বার্থ। আর ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার মাধ্যমে জনস্বার্থের ক্ষতি করা ইসলাম অনুমোদন করে না। ইসলামী রাষ্ট্রে এ ধরনের অপরাধকে চুরির অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হবে। অন্যদিকে একজন ঈমানদার ব্যক্তি কখনো অন্যের
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। যঈফ হাদীছ কোন ক্ষেত্রেই আমলযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী, মুসলিম, ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন, ইবনুল ‘আরাবী, ইবনু হাযম, ইবনু তায়মিয়াহ প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিছগণ সকল ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছ বর্জনযোগ্য বলেছেন (দ্রঃ জামালুদ্দীন ক্বাস
উত্তর : এগুলি করা যাবে না। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বাণীকে এরূপ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে ব্যবহার করা অবমাননার শামিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের আমলে কোন মসজিদে এগুলি লেখা হ’ত না। মসজিদ জাঁকজমকপূর্ণ করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন’ (
উত্তর : উক্ত অর্থ শাওয়াল মাসের নফল ছায়েমদের ইফতারের জন্য রাখা যায়। অথবা ফকীর-মিসকীন বা ইয়াতীমদের মাঝে ব্যয় করা যায়।
উত্তর : নাম পরিবর্তন করলে আকীকা দিতে হবে না। রাসূল (ছাঃ) বহু মানুষের নাম পরিবর্তন করে দিয়েছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৫৬ ‘শিষ্টাচারসমূহ’ অধ্যায়, ‘নামসমূহ’ অনুচ্ছেদ)। যেমন ওমর (রাঃ)-এর বোন ‘আছিয়ার নাম পরিবর্তন করে তিনি ‘জামীলা’ রেখেছিলেন। কিন্তু আক
উত্তর : তাক্বওয়াপূর্ণ পোশাক হিসাবে পাজামা-পাঞ্জাবী ও টুপী পরা উত্তম। কারণ অমুসলিমদের পোষাকের বিপরীতে এগুলি উপমহাদেশে দ্বীনদার মুসলমানদের পোষাক হিসাবে গৃহীত। বরের গলায় মালা দেওয়া, তার হাতে ফুল দেওয়া ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় সামাজিক প্রথা মাত্র। যা থ
উত্তর : লোমনাশক প্রসাধনী ব্যবহার করায় কোন দোষ নেই। হাদীছে উভয়স্থানের লোম ছাফ করতে বলা হয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫০)। হাদীছে নাৎফ ও হালাক্ব দু’টি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে কষ্টদায়ক নয়, এমন যেকোন পদ্ধতি অবলম্বন করা জায়েয (মির‘আত হা/৩৮২-এর আলোচনা ২/
উত্তর : সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না করাই শরী‘আত সম্মত। এতে অনৈতিক সম্পর্কের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এরপরেও যদি চাকুরী করতে হয়, তাহ’লে উভয়কে কথায় ও কর্মে কঠোরভাবে পর্দা মেনে চলতে হবে। পুরুষ ও নারী সর্বদা পরস্পরে দৃষ্টি নত করে চলবে। নারীকে অবশ্যই ত
উত্তর : ইসলাম গ্রহণের সময় কেবল কালেমা শাহাদাত ‘আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু’ পাঠ করাই যথেষ্ট। ছুমামা বিন উছাল, যিমাদ আযদী প্রমুখ ইসলাম গ্রহণকালে এই কালেমাই পাঠ করেছিলেন (মুসলিম হা/১৭৬৪, ৮৬৮; মিশকা
উত্তর : শেষ তাশাহহুদে যতটুকু সম্ভব ততটুকু পড়বে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইমাম নির্ধারিত হন, তাকে অনুসরণ করার জন্য’ (বুখারী হা/৩৭৮; মিশকাত হা/১১৩৯)। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ ছালাতে উপস্থিত হবে, তখন ইমাম যে অবস্থায় যা করতে থাকবে, সেও যেন তাই
উত্তর : আয়াতের জওয়াব নীরবে দিতে হবে। কারণ ছালাতের শুরু হ’তে শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র ‘আমীন’ সরবে বলার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় (আবুদাঊদ, তিরমিযী, দারাকুৎনী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৮৪৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুছল্লী তার প্রতিপালকের সাথে চুপে চুপে কথা ব
উত্তর : কুরআন ভুলে যাওয়া বড়ই মন্দ কাজ। বিশেষতঃ অলসতা বশতঃ এরূপ হলে তা আরো নিন্দনীয়। আবুল ‘আলিয়া (রহঃ) থেকে মওকূফ সূত্রে বর্ণিত আছারে এসেছে, তিনি বলেন, আমরা কোন ব্যক্তির কুরআন শিক্ষার পর তা থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখার কারণে ভুলে যাওয়াকে বড় পাপ হিসাব
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত চল্লিশটি উত্তম স্বভাব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অবগত ছিলেন। কিন্তু তিনি সেগুলির বর্ণনা দেননি। কারণ তাতে উম্মতে মুহাম্মাদী কেবল ঐগুলিই আমল করবে এবং অন্যান্য উত্তম স্বভাবগুলির প্রতি উদাসীন হবে। তবে উক্ত চল্লিশটি উত্তম
উত্তর : এ্যালকোহল তথা মাদক মিশ্রিত খাদ্য ও পানীয় হারাম (মায়েদাহ ৫/৯০-৯১)। সেন্টে ব্যবহৃত এ্যালকোহল খাদ্য বা পানীয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। এতে সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় কেবল তা সংরক্ষণের জন্য। এছাড়া সেন্ট শরীরে বা মস্তিষ্কে কোন
উত্তর : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য স্ত্রীর মধ্যে প্রধানতঃ যে গুণগুলি থাকা আবশ্যক তা হ’ল (১) স্বামীর সাথে সর্বদা হাসি মুখে কথা বলা (২) স্বামীর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। যদি তা শরী‘আতের পরিপন্থী না হয় (৩) নিজের ইয্যত রক্ষা করা (৪
উত্তর : জেনে-শুনে ওয়াহদাতুল উজূদে বিশ্বাসী কোন ইমামের পিছনে ছালাত বৈধ নয়। কেননা এটি সম্পূর্ণ কুফরী আক্বীদা। ওয়াহদাতুল উজূদ বলতে অদ্বৈতবাদী দর্শন বুঝায়, যা বান্দার সত্তাকে আল্লাহর সত্তায় বিলীন করে দেয়। এই আক্বীদার অনুসারী ছূফীরা স্রষ্টা ও সৃষ্
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে সাহারী না করে ঘুমিয়ে থাকা সুন্নাতের বরখেলাফ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা সাহারী খাও। কেননা তাতে বরকত রয়েছে’ (বুখারী হা/১৯২৩, মুসলিম হা/১০৯৫)। তিনি বলেন, ‘আমাদের ও আহলে কিতাবদের ছিয়ামের পার্থক্য হ’ল সাহারী করা’ (মুসলিম হা/১০৯৬)। অর
উত্তর : ছেলের উক্ত উপার্জন হারাম। অতএব তা পিতার জন্য ভক্ষণ করাও হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত’ (আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৭৭০)। এক্ষণে পিতা-মাতা যদি নিঃস্ব, অচল ও নিরুপায় হয়, তখন বাধ্যগ
উত্তর : মসজিদের মান অক্ষুণ্ণ রেখে এরূপ করা জায়েয (ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ, ৩১/২১৮ পৃঃ; মুগনী ৬/১৬৮)। স্মর্তব্য যে, উক্ত মসজিদের জমি ওয়াকফকৃত হলে এসব থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ মসজিদের আয় হিসাবেই গণ্য হবে। ওয়াকফকারী সেখান থেকে কোন উপকার ভোগ করতে পারবেন
উত্তর : জুম‘আর দ্বিতীয় খুৎবায় খতীব ছাহেব হাম্দ ও দরূদ সহ সকল মুসলমানের জন্য দো‘আ করবেন (জুম‘আ ৬২/১১; মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫, ১৫, ১৬; নাসাঈ হা/১৪১৮, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩৪; মির‘আত ২/৩০৮)। প্রয়োজনে এই সময় কিছু নছীহতও করা যায় (নাসাঈ হা/১৪১৭-১৮, তিরমিযী
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আলবানী, আহকামুল জানায়েয ২৪৬ পৃঃ; ইবনু রজব, আহওয়ালুল কুবূর ১/১০৫)। স্মর্তব্য যে, ‘রামাযান মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৫৬) মর্মে বর্ণি
উত্তর : শ্রোতাদের চাহিদার ভিত্তিতে জালসার সময় ও সময়সীমা নির্ধারিত হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হে জনগণ! তোমরা তোমাদের সাধ্যমত আমল করে যাও। কেননা আল্লাহ বিরক্ত হন না, যতক্ষণ না তোমরা বিরক্ত হও (বুখারী হা/৫৮৬১; মিশকাত হা/১২৪৩)। ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) প্রত
উত্তর : বিতর ছালাতের কুনূত হিসাবে উপরোক্ত দো‘আটি না পড়ে ‘আল্লা-হুম্মাহ্দিনী ফীমা হাদাইতা...’ মর্মে বর্ণিত ছহীহ দো‘আটি পড়তে হবে (আবুদাঊদ হা/১৪২৫; তিরমিযী হা/৪৬৪; মিশকাত হা/১২৭৩)। ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা...’ দো‘আটি কুনূতে নাযেলায় পড়ার ব্যাপারে এ
উত্তর : নিরূপায় অবস্থায় স্বামী মোহর পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়লে এবং স্ত্রী স্বেচ্ছায় কিছু ছাড় দিলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে ফরয মোহরানা প্রদান কর। তবে যদি তারা সেখান থেকে স্বেচ্ছায় তোমাদের কিছু প্রদান করে, তাহ’লে
উত্তর : আযানের পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করার পর যদি দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করার মত সময় থাকে, তবে তা আদায় করে বসবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন দু’রাক‘আত ছালাত আদায় ব্যতীত না বসে’ (বুখারী হা/৪৪৪; মুসলিম হা/৭১৪; মি
উত্তর : যাকাত বণ্টনের যে নির্ধারিত খাত সমূহ রয়েছে, তা ব্যতীত অন্য খাতে যাকাত বণ্টন করা যাবে না (তাওবাহ ৯/৬০)। মসজিদের ইমাম-মুওয়াযযিন উক্ত খাতগুলির অন্তর্ভুক্ত নন। অতএব তাদেরকে তা দেওয়া যাবে না। তবে তারা নিতান্ত গরীব হ’লে কিছু দেওয়া যাবে (আবুদাঊদ
উত্তর : মোবাইল টাওয়ার গাছ-পালা ও জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই অর্থের প্রয়োজনে এরূপ ক্ষতিকর বস্ত্ত স্থাপন করা হ’তে বিরত থাকা আবশ্যক (দ্রঃ ‘সম্পাদকীয়’ জুন ২০১৪)।-আসাদুল্লাহ, জামালপুর।
উত্তর : তাঁর নাম আবু মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের বিন মূসা বিন আব্দুল্লাহ। তিনি ৪৭০ হিঃ মোতাবেক ১০৭৭ খৃষ্টাব্দে বর্তমান ইরানের অন্তুর্ভুক্ত তাবারিস্তানের জীলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ৪৮৮ হিজরীতে বাগদাদ গম
উত্তর : জামা‘আত অর্থ দল। আর হাদীছে বর্ণিত জামা‘আত বলতে ছাহাবায়ে কেরাম এবং তাঁদের আক্বীদা, আমল ও রীতি-পদ্ধতির সনিষ্ঠ অনুসারীদের বুঝায় (মির‘আত ১/২৭৮, মিশকাত হা/১৭১-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। খ্যাতনামা ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ)-এর কাছে রাসূল (ছা
উত্তর : উক্ত কাজে মজুরী গ্রহণ করা জায়েয (আবুদাঊদ হা/২৯৪৩, মিশকাত হা/৩৭৪৮)। কারণ এটা একাউণ্ট খোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার বিনিময় স্বরূপ প্রদান করা হয় মাত্র। আর ইসলামী বা সাধারণ সকল ব্যাংক একাউণ্টেই সূদ জমা হয়। সুতরাং তাতে জমা হওয়া সূদ নেকীর উদ্দ
উত্তর : ওয়ারিছগণ কে কতটুকু পাবে তা স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন (নিসা ৭, ১১)। সুতরাং বণ্টনের ক্ষেত্রে উক্ত নীতির ভিত্তিতেই ভাগ করতে হবে। এক্ষেত্রে মেয়েদেরকে অংশ না দেওয়া এবং ছেলেদের মধ্যে কমবেশী করা নিঃসন্দেহে কাবীরা গুনাহ এবং তা হক বিনষ্ট
উত্তর : বিড়ি-তামাক ইত্যাদি নেশাকর দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। এগুলির উৎপাদন ও ব্যবসা দু’টিই হারাম। আর হারাম উপার্জন থেকে দান করলে তাতে দাতার কোন নেকী হবে না। কারণ আল্লাহ হারাম বস্ত্ত কবুল করেন না (মুসলিম হা/১০১৫; মিশকাত হা/২৭৬০)। তবে উক্ত অর্থ অন্যের
উত্তর : কথাটি মনগড়া ও ভিত্তিহীন। মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরী করা এবং তা দ্বারা নির্মাণ কাজ করা এসব দুনিয়াবী প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুই মানুষের ব্যবহারের জন্য সৃষ্টি করেছেন (হজ্জ ২২/৬৫)। এছাড়া শরী‘আতে প্রাণীকে প
উত্তর : খোলা ও নির্জন স্থানে একাকী মুছল্লীর জন্য আযান দেওয়া মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি সমতল স্থানে থাকা অবস্থায় ওযূ বা তায়াম্মুম করে যদি কেবল ইক্বামত দিয়ে ছালাত আদায় করে, তবে তার সাথে দু’জন ফেরেশতা ছালাত আদায় করে। আর যদি আযান ও
উত্তর : অমুসলিমদের প্রদত্ত ইফতার খাওয়া জায়েয। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের দাওয়াত খেয়েছেন এবং তাদের উপহার গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৫-১৮, ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১)। তবে তাদের যবহ কৃত পশুর গোশত খাওয়া যাবে না (বাক
উত্তর : ছেলেপক্ষ বিয়ে করতে যায় এবং মোহরানা দিয়ে বিয়ে করে। সেখানে মেয়েপক্ষের কোনরূপ খরচ করার কথা নয়। এরপরেও যেটা করা হয় সেটা স্রেফ সৌজন্যমূলক আপ্যায়ন মাত্র। যা শরী‘আতসম্মত (বুখারী হা/৬০১৮)। বিয়ের পর বাসর যাপন শেষে ছেলের পক্ষ থেকে ওয়ালীমা করা গ
উত্তর : ঈদায়নের ছালাতে ১২ তাকবীরের হাদীছগুলি ছহীহ (আবুদাঊদ হা/১১৫০; ইবনু মাজাহ হা/১২৮০, দারাকুৎনী হা/১৭০৪, ১৭১০, সনদ ছহীহ)। সেকারণ ১২ তাকবীরে ঈদের ছালাত হয়, এমন জামা‘আতে শরীক হওয়া যরূরী। তবে সম্ভব না হ’লে ৬ তাকবীরের জামা‘আতেই শরীক হবে। কেননা এতে
উত্তর : পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে আংটি পরিধান করা অপসন্দনীয় কাজ। ৬ষ্ঠ হিজরীর যুলক্বা‘দাহ মাসে হোদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদনের পর ৭ম হিজরীর মুহাররম মাসে বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানের নিকটে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে রাসূল (ছাঃ) পত্র প্রেরণ করেন। তখন সেযুগের ন
উত্তর : দিতে হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘শাক-সবজিতে কোন যাকাত (ওশর) নেই’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪১১; মিশকাত হা/১৮১৩)। তবে এসবের ব্যবসার অর্থ যদি নিছাব পরিমাণ হয় এবং এক বছর সঞ্চিত থাকে, তাহ’লে উক্ত অর্থের ১/৪০ ভাগ যাকাত দিবে (আবুদ
উত্তর : এরূপ কোন বিধান শরী‘আতে নেই। আল্লাহ বলেন, ‘(কুরবানীর গোশত) তোমরা নিজেরা খাও, যারা চায় না তাদের খাওয়াও এবং যারা নিজেদের প্রয়োজন পেশ করে তাদের খাওয়াও’ (হজ্জ ৩৬)। অতএব কুরবানী দাতাগণ স্ব স্ব কুরবানীর গোশতের এক-তৃতীয়াংশ একস্থানে জমা করে মহ
উত্তর : বক্তব্যটি কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।
উত্তর : এরূপ বিনিয়োগ পদ্ধতিতে একই জিনিসের বিনিময়ে অতিরিক্ত গ্রহণ করা হয়, যা সূদ এবং সম্পূর্ণরূপে হারাম (বাক্বারাহ ২/২৭৫; মুসলিম হা/১৫৯৮, ইরওয়া হা/১৩৯৭)।
উত্তর : স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখতে কোন বাধা নেই। কারণ হারাম সম্পর্ক কোন হালালকে হারাম করতে পারে না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যেনা বৈবাহিক বন্ধনকে হারাম করে না‘ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/১৮৮১, ৬/২৮৭ পৃঃ)। অতএব আপনি নিজের কৃ
উত্তর : নিজ বোনের নাতনীকে বিবাহ করা হারাম (নিসা ২৩)। তাছাড়া এ সম্পর্ক যত নীচেই যাক, সবই হারাম (ফাৎহুলবারী ৯/১৫৪-৫৫, হা/৫১০৪-এর পরে ‘যে সকল মহিলা হালাল ও হারাম’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : নাম, উপনাম ও লকব একত্রে রাখা যায় । যেমন আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নাম আব্দুর রহমান হওয়া সত্ত্বেও তার লকব ছিল আবু হুরায়রা’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, তুহফাতুল মাওলূদ ১৩৪-১৪৪ পৃঃ)।-নূরুন্নবী, কাশিমপুর, গাযীপুর।[নাম পরিবর্তন করে ‘আব্দুন নূর’ রাখুন (স.স)]
উত্তর : ক্লাসের সময় পরিবর্তনের আবেদন করতে হবে এবং সাধ্যমত ছালাত আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিতভাবে এরূপ দেরী করানো হলে ক্লাস বাদ দিয়ে ছালাত আদায় করতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘দুর্ভোগ ঐসব মুছল্লীর জন্য, যারা তাদের ছালাত থেকে উদাসীন’ (মাঊন ১০৭/
উত্তর : মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাত ফরয হওয়াকে অস্বীকারকারী এবং শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি কাফির ও চিরস্থায়ী জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হ’তে বহিষ্কৃত। তাদের জানাযা পড়া যাবে না (তওবা ৮৪, ১১৩)। মুসলিম কবরস্থানে তাদের দাফনও
উত্তর : বার্ধক্য জনিত কারণে কষ্ট হলে তা থেকে মুক্তি লাভের ব্যাপারে আল্লাহর নবী (ছাঃ) কিছু দো‘আ শিক্ষা দিয়েছেন। তন্মধ্যে একটি হ’ল ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল জুব্নে ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্লে ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন আরযালিল ‘উমুরে; ওয়া আ‘ঊযুবিকা
উত্তর : যাবতীয় কল্যাণ বা অকল্যাণ সংঘটিত হয় আল্লাহর হুকুমে। এরূপ আক্বীদা পোষণ করে যাবতীয় হালাল চিকিৎসা বা প্রতিষেধক গ্রহণে শরী‘আতে কোন বাধা নেই (মাজমূ‘ ফাতাওয়া বিন বায ৪/৪২৭)। উপরোক্ত টিকাগুলি যদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষতিকর হিসা
উত্তর : বিপদের সময় দো‘আ ইউনুস পাঠ করা যাবে। আল্লাহ বলেন, অতঃপর সে (মাছের পেটে) ঘন অন্ধকারের মধ্যে আহবান করল, لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ ‘(হে আল্লাহ!) তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি পবিত্র। আমি সীমা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ঈদের খুৎবায় মিম্বার ব্যবহার করতেন না। উমাইয়া খলীফা মারওয়ান বিন হাকাম (৬৪-৬৫ হিঃ) সর্বপ্রথম ঈদগাহে মিম্বার ব্যবহার করেন।আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিনে ঈদগাহে পৌঁছে প্রথমে ছালাত আদায় করতেন
উত্তর : হারাম পন্থায় উপার্জিত অর্থ দ্বারা হজ্জ করলে তা আল্লাহর নিকট কবুল হবে না (মুসলিম হা/১০১৫, মিশকাত হা/২৭৬০)। অর্থাৎ এর মাধ্যমে কোন নেকী অর্জিত হবে না। তবে এর দ্বারা হজ্জ-এর ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে মর্মে জমহূর বিদ্বানগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন (নববী
উত্তর : ঘর হ’তে বের হওয়ার সময় পড়বে ‘বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লা-হি’। অর্থাৎ ‘আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি), তাঁর উপরে ভরসা করছি। নেই কোন ক্ষমতা, নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৪৪৩)।অতঃ
উত্তর : হজ্জ করতে গিয়ে সেখান থেকে বৈধ পন্থায় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে মালামাল নিয়ে আসাতে কোন বাধা নেই। কারণ হজ্জ পালনকালেও মালামাল ক্রয়-বিক্রয় বৈধ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের উপর কোন গোনাহ নেই স্বীয় প্রতিপালকের অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে’ (বাক্বারাহ ২/১৯৮)।
উত্তর : যায়েদ বিন ছাবিত (রাঃ) ছিলেন অহি লেখকগণের মধ্যে সর্বাগ্রগণ্য। সেকারণ কুরআন জমা করার সময় ওছমান (রাঃ) তাঁকেই এ গুরুদায়িত্ব প্রদান করেন (বুখারী হা/৪৬৭৯, ৪৯৭৯)। তিনি ব্যতীত আরো অনেক ছাহাবী বিভিন্ন সময়ে এ মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন। যাদের
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মোহর ও ভরণ-পোষণের সামর্থ্য থাকার শর্তে বিবাহের নির্দেশ দিয়েছেন। আর সামর্থ্য না থাকলে ছিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০, মিরক্বাত ৬/১৮৬)। যেখানে প্রথম বিবাহের জন্যই সামর্থ্যের শর্তারোপ করা হয়
উত্তর : এসব গোনাহ হ’তে মুক্তি লাভের আশায় অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে ক্ষমা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ (তাহরীম ৬৬/৮)। তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে- (১) একমাত্র আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই তওবা করতে হবে। (২)
উত্তর : যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মুশরিক নারীদেরকে বিবাহ করো না যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে’ (বাক্বারাহ ২২১)। তবে তার অভিভাবক অমুসলিম হওয়ার কারণে যেহেতু অলী হ’তে পারবে না, তাই সরকারের মুসলিম প্রতিনিধি বা সমাজ নেতা উক্ত মেয়ের অলীর দায়িত্ব পালন করবেন
উত্তর : একথা ভিত্তিহীন। উক্ত আলেম হাদীছে বর্ণিত দিরহাম ও দীনারের মান বুঝতে ভুল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘বিশ দীনারের কম স্বর্ণে যাকাত ফরয নয়’ (আবূদাউদ হা/১৫৭৩) এবং ‘পাঁচ উক্বিয়ার কম পরিমাণ রৌপ্যে যাকাত নেই’ (বুখারী হা/১৪৮৪)। হাদীছে বর্
উত্তর: উভয় কাঁধ পূর্ণরূপে ঢেকে থাকলে এরূপ কাপড় গায়ে দিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭৫৪)। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও তাক্বওয়াপূর্ণ সুন্দর পোষাক পরে আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হওয়া যরূরী। আল্লাহ বলেন, তোমরা ছালাতের সময় সুন্দর পোষ
উত্তর : কালেমা পাঠকারী প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান থাকা পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করা ফরয। এছাড়া বাকি সকল ছালাতই নফল (বুখারী হা/২৬৭৮; মুসলিম হা/১১; মিশকাত হা/১৬৯)। যেকোন ফরয ছালাত পরিত্যাগকারী ব্যক্তি গোনাহগার হবে। কেননা অবহেলাবশতঃ ফর
উত্তর : এমতাবস্থায় মহিলাগণ ক্বিরাআতের সংশোধনী দিবেন না। কেননা রাক‘আত বা অনুরূপ কোন বড় ভুলে ‘হাতের উপর হাত’ মারা (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৯৮৮) ব্যতীত তাদের জন্য সকণ্ঠে সংশোধনী দেওয়ার কোন বিধান নেই।
উত্তর : এরূপ ক্রয়-বিক্রয় দোষণীয় নয়। কারণ অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় জায়েয আছে, যদি সেখানে পরিমাপ, পরিমাণ ও মেয়াদ নির্ধারিত থাকে (বুখারী হা/২২৪০, মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৮৩)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে সাত পরিবারের পক্ষ থেকে সাত ভাগে কুরবানী করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘হে জনগণ! নিশ্চয়ই প্রতিটি পরিবারের উপরে প্রতি বছর এক
উত্তর : হোমিও ঔষধ সেবনে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কেননা হোমিও সহ বিভিন্ন ঔষধে কেবল সংরক্ষণের জন্য সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। যাতে মাদকতা আসে না এবং তা ছালাত ও যিকর হ’তে বিরতও রাখে না (ফাতাওয়া উছায়মীন ১১/২৫৬-২৫৯, ১৭/৩১)।
উত্তর : ইহরাম বাঁধা হয় হজ্জ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে। এ সময় বলতে হয় ‘লাববাইক ওমরাতান’ অথবা ‘হাজ্জান’ (হে আল্লাহ! আমি ওমরাহ অথবা হজ্জের উদ্দেশ্যে তোমার দরবারে হাযির) (মুসলিম হা/১২৩২)। সেকারণ ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ ব্যতীত অন্যত্র যাওয়ার কোন সুয
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার পক্ষ থেকে ‘খোলা’ প্রার্থনা এবং স্বামী কর্তৃক জীবন বাঁচানোর স্বার্থে এভাবে তালাক প্রদান শরী‘আতের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, তিন ব্যক্তির উপর হ’তে শরী‘
উত্তর : হজ্জপালনকারীকে হজ্জের ওয়াজিব হিসাবে সেখানে নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করতে হয়। যা অনাদায়ে ফিদইয়া দিতে হয় (বাক্বারাহ ২/১৯৬)। এর সাথে পরিবারের কুরবানীর কোন সম্পর্ক নেই। সেকারণ সামর্থ্য থাকলে বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করবে (ইবনু মা
উত্তর : মসজিদে অধিক সাজ-সজ্জা ও জাঁকজমক করা নিষেধ। মুছল্লীর দৃষ্টি কেড়ে নেয় এরূপ বস্ত্ত সেখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে (বুখারী হা/৫৯৫৯; মিশকাত হা/৭৫৮, ৭৫৭; আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৭১৮-১৯)। সুতরাং মিম্বার এমনভাবে তৈরী করা যাবে না, যা মুছল্লীর দৃষ্টি ক
উত্তর : আদালতে ঘোষণাপত্র দলীল সম্পাদনের মাধ্যমে উক্ত রেজিস্ট্রি পরিবর্তন করে নতুনভাবে রেজিস্ট্রি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। অন্যথায় সুযোগ সন্ধানীরা পুনরায় মসজিদটি দখলের অপচেষ্টা চালাবে। এখুনি নাম পরিবর্তন করা না গেলেও উক্ত মসজিদে বিশুদ্ধ আক্ব
উত্তর : শরী‘আতে যাকাতের মাল হকদারদের মাঝে বণ্টন করার নির্দেশ এসেছে (তওবা ৯/৬০)। এজন্য তাদেরকে জানানোর কোন আবশ্যকতা নেই। কাউকে জানানো হ’লে বরং তাকে ছোট করা হয়, যা খোটা দানের শামিল। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা খোটা দিয়ে তোমাদের ছাদাক্বাগুলিকে বি
উত্তর : হজ্জ করতে গিয়ে মীক্বাতের বাইরে গেলেও ওমরাহ করতে হবে না। কারণ এক সফরে একটি ওমরাহ হয়ে থাকে। আয়েশা (রাঃ) ঋতুবতী হওয়ায় প্রথমে হজ্জে ক্বিরান-এর ওমরাহ করতে না পারায় হজ্জের পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ওমরার জন্য তাঁর ভাই আব্দুর রহমানকে তার সাথে মী
উত্তর : রাখা যাবে (নববী, মাজমূ‘ শারহুল মুহাযযাব ৮/৪৩৬)। ফেরেশতাগণের নামে নাম রাখা যাবে না মর্মে বর্ণিত হাদীছটি খুবই দুর্বল (আলবানী, যঈফুল জামে‘ হা/৩২৮৩)। এছাড়া নবীগণের নামেও নাম রাখায় কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ (বুখারী, ম
উত্তর : মুক্তাদী ইমামের পিছে পিছে নীরবে সূরা ফাতিহা পড়বে। জেহরী ছালাতে মুক্তাদী কিভাবে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, এরূপ এক প্রশ্নের জবাবে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, ‘তুমি এটা মনে মনে পড়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩ ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১২)।
উত্তর : উক্ত খাবার খাওয়া যাবে। তবে রুচি না হলে খাবে না। তাবেঈ বিদ্বান দাঊদ ইবনু ছালেহ তাঁর মাতা হতে বর্ণনা করেন যে, তাঁর মাতার মুক্তিদানকারিণী মনিব একবার তাঁকে কিছু হারীসা নিয়ে আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট পাঠালে তিনি তাঁকে ছালাতরত অবস্থায় পেলেন
উত্তর : মাদকতা না আসা পর্যন্ত তাল গাছের রস পানে বাধা নেই। যা মাদকতা সৃষ্টি করে কেবল সেটি হারাম (মুসলিম হা/২০২০৩; মিশকাত হা/৩৬৩৮; ছহীহাহ হা/২০৩৯)। সাধারণতঃ তাযা রসে মাদকতা থাকেনা। কিন্তু তা রোদ্রের তাপ পেলে তাতে মাদকতা আসতে পারে। যখন মাদকতা আসবে ত
উত্তর : আয়াতটির অর্থ হ’ল- আর ‘শপথ দশ রাত্রির’। ইবনু আববাস, ইবনু যুবায়ের, মুজাহিদ, সুদ্দী, কালবী প্রমুখ বিগত ও পরবর্তী যুগের অধিকাংশ বিদ্বান এর দ্বারা যুলহিজ্জাহর প্রথম দশদিন অর্থ নিয়েছেন। তবে কেউ কেউ রামাযানের শেষ দশকের কথাও বলেছেন। রাসূলুল্ল
উত্তর : মাছ বা কলার শরী‘আত নির্ধারিত কোন যাকাত নেই। তবে উভয়টিই যদি ব্যবসার উদ্দেশ্যে করা হয় তবে বছর শেষে মূলধন ও লভ্যাংশ হিসাব করে নিছাব পরিমাণ হলে তা থেকে শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত আদায় করতে হবে।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমরা প্রত্যেকেই ক্বিয়ামতের দিন স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮৫, ‘নেতৃত্ব ও পদ মর্যাদা’ অধ্যায়)। সুতরাং কৌশলে বা অবাধ্য হয়ে এরূ
উত্তর : যাবে না। কারণ উভয়ের বিধান পৃথক। শরী‘আতে মোযা পরিধান সিদ্ধ (তিরমিযী হা/২৮২০; মিশকাত হা/৪৪১৮)। কিন্তু টাখনুর নীচে কাপড় পরা হারাম। টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরলে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না, তার সাথে কথা বলবেন না এবং তাকে (গোনা
উত্তর : যাবে। এতে পূর্ণ নেকীও অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব হ’তে একটি হরফ পাঠ করবে তার জন্য দশটি নেকী রয়েছে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। অতএব মুখস্ত হৌক, মুছহাফ দেখে হৌক আর কম্পিউটারে দেখে হৌক, সবক্ষেত্
উত্তর : টয়লেটের ভিতরে উক্ত দো‘আ পাঠে বাধা নেই। কেবল পেশাব-পায়খানারত অবস্থায় দো‘আ সহ সকল প্রকার যিকির থেকে বিরত থাকবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩৫)। সাধারণভাবে বাথরুমে দো‘আ পড়া যাবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন’ (মুস
উত্তর: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মোট চার ধরণের পশু কুরবানী করতে নিষেধ করেছেন। যথা স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী ও জীর্ণ-শীর্ণ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৪৬৫)। হাতমা (الْهَتْمَاءُ) অর্থাৎ কিছু দাঁত পড়ে যাওয়া পশু এর অন্তর্ভুক্ত নয়। অতএব এরূপ পশু ক
উত্তর : ফেরেশতাগণের নামগুলি কুরআন এবং ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। জিবরীল এবং মীকাঈলের নাম কুরআনে বর্ণিত হয়েছে (বাক্বারাহ ৯৮)। কুরআনে মীকাল আসলেও হাদীছে মীকাঈল শব্দে এসেছে (বুখারী হা/৩২৩৬)। এছাড়া ইসরাফীলের নাম হাদীছে পাওয়া যায় (মুসলিম হা/৭৭০, মিশকাত হ
উত্তর : উত্তরাধিকার সম্পদ মৃত্যুর পরে বণ্টন হওয়াই শরী‘আত নির্দেশিত বিধান, যা সকলের জন্য কল্যাণকর। তবে মৃত্যুর পূর্বে পিতা সন্তানদের মাঝে কিছু বণ্টন করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে সকলকে সমানভাবে প্রদান করতে হবে। একদা নু‘মান বিন বাশীর (রাঃ) তার
উত্তর : জীববিজ্ঞানের পড়াশুনার জন্য ব্যাঙ কেটে পরীক্ষা করা জায়েয নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেছেন এমনকি ঔষধের প্রয়োজনেও তিনি তা নিষেধ করেছেন। আব্দুর রহমান বিন ওছমান (রাঃ) বলেন, একদা জনৈক ডাক্তার ঔষধ হিসাবে ব্যাঙের ব্যবহার সম্পর্কে
উত্তর : ফৎওয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে সকল স্তরের মানুষের জন্য যরূরী হ’ল, দলীল জেনে নেওয়া। ছাহাবীগণ একটি বিষয়ে একাধিক ছাহাবীর কাছে জানতেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১১৫) এবং পরস্পরের নিকট দলীলও চাইতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৫৫৪)। তবে দলীল বুঝার ক্ষমতা না থাকলে যিনি
উত্তর : খাতসমূহের মধ্যে হকদার গরীব আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও বণ্টন করবে। এতে কোন দোষ নেই। এছাড়া সেখান থেকে সারা বছরের জন্য স্থানীয় বায়তুল মাল ফান্ডে যেটা রাখা হবে, তা থেকেও প্রয়োজনে অন্যান্য হকদারগণের ন্যায় তারাও পাবেন। উল্লেখ্য যে, আত্মীয়-স্বজন
উত্তর : মাযার কেন্দ্রিক মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ এর উদ্দেশ্যই হ’ল শিরকের প্রতি মুছল্লীদের প্রলুব্ধ করা ও তাদেরকে মাযারমুখী করা। জানা-অজানা কবর ও ভুয়া কবর নিয়েই বহু স্থানে মাযার নাম দিয়ে নযর-নেয়ায ও ওরসের জমজমাট ব্যবসা চলছে। আর এইসব
উত্তর : ইট খাদ্যদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং এতে ইহতিকার হয় না। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করাই হ’ল ‘ইহতেকার’, যা হারাম। মা‘মার (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বেশী দামের আ
উত্তর : কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে গাছ লাগানো তার উপর যুলুমের শামিল। রাসূল (ছাঃ) যুলুম থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১২৩ ‘অত্যাচার’ অনুচ্ছেদ)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : মহিলা সমাবেশে পুরুষ বক্তার সালামের জবাব মহিলারা নীরবে দিবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ২৫/১৬৬)। ফিৎনার আশংকা না থাকলে পুরুষের কোন প্রশ্নের জবাব মহিলারা সরবে দিতে পারে। আয়েশা (রাঃ) বহু ছাহাবীর প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন (তিরমিযী হা/৩৮৮৩; মিশকাত হা/৬
উত্তর : পুরো সম্পত্তির মালিক হবেন দাদা। আবুবকর (রাঃ) বলেন, দাদা পিতার ন্যায়। হযরত ওছমান, ইবনু আববাস, ইবনু যুবায়ের (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবীগণ একই কথা বলেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, আবুবকর (রাঃ)-এর জীবদ্দশায় কোন ছাহাবী এই মাসআলার বিরোধিতা করেননি (বুখ
উত্তর : আত্মীয় দু’রকমের। পিতৃ বংশগত ও শ্বশুর বংশগত। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই মানুষকে পানি হ’তে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বিবাহগত সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন’ (ফুরক্বান ২৫/৫৪)। এছাড়া দুগ্ধসম্পর্কীয় আত্মীয়ও রয়েছে। যারা বংশগত আত্মীয়ের ন্যা
উত্তর : জুতা পায়ে দিয়ে কবরে মাটি দেওয়া ও কবরস্থানে যাওয়া যাবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১২৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জুতা পায়ে দিয়ে ছালাত আদায় করেছেন (আবুদাঊদ, দারেমী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৭৬৬)। তবে বিলাসী জুতা পরে গর্ব সহকারে কবরস্থানে যাওয়া ঠিক নয়। কে
উত্তর : উক্ত আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল, কোন সৎকর্মশীল পুরুষের জন্য কোন ব্যভিচারিণী নারীকে বিবাহ করা বৈধ নয়, যতক্ষণ না সে তওবা করে। অনুরূপ এর বিপরীত। অর্থাৎ তওবা করলে বিবাহ করা জায়েয। ইমাম আহমাদ বলেছেন, কোন সৎকর্মশীল পুরুষের সাথে কোন ব্যভিচারিণ
উত্তর : যা দেখলে বুঝা যায় যে এটি প্রাণীর অঙ্গ, এরূপ ছবিযুক্ত পোশাক ব্যবহার করা যাবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রাণীর ছবিযুক্ত কোন কিছু বাড়ীতে দেখলে তা বিনষ্ট করে দিতেন (বুখারী, মিশকাত হা/৪৪৯১ ‘ছবিসমূহ’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : এ মর্মে ছহীহ বা যঈফ কোন বর্ণনা নেই। তবে মসজিদে দুনিয়াবী কথা বললে চল্লিশ বছরের আমল বাতিল হয়ে যায় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (আলবানী, আছ-ছামারুল মুসতাত্বাব ১/৮৩৩; ‘আজলূনী, কাশফুল খাফা হা/২৪৪০; ছাগানী, আল-মাওযু‘আত হা/৪০)। বরং মুছল্লীদের অসুবিধা
উত্তর : পুরুষের জন্য সর্বাবস্থায় স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম। একদা রাসূল ডান হাতে রেশম এবং বাম হাতে স্বর্ণ নিয়ে বললেন, এ দু’টি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম এবং নারীদের জন্য হালাল’ (আবুদাউদ হা/৪০৫৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৫৯৫; মিশকাত হা/৪৩৯৪)। তিনি আরো
উত্তর : না। এতে কোন বাধা নেই এবং এটাকে বেআদবী গণ্য করাও ঠিক নয়। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘আমি হাফছার বাড়ীর ছাদে কোন কারণে উঠেছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ক্বিবলাকে পিঠ করে হাজত সারতে দেখলাম’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৩৫)। জাবের (রাঃ) থেকেও
উত্তর : এরূপ কাজ আত্মসাতের নামান্তর। আর আত্মসাৎকারীর পরিণাম জাহান্নাম’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৯৯৭)। এক্ষণে টাকা ফেরত দিলে এ গোনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ (বুখারী, মিশকাত হা/৫১২৬)। তাছাড়া স্ত্রী স্বামীকে ডিভোর্স নয়, বরং তার থেকে
উত্তর : সকল ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সুন্নাত। খন্দক যুদ্ধের দিন ব্যস্ততার কারণে আছরের ছালাত ছুটে গেলে রাসূল (ছাঃ) মাগরিবের আযানের পর প্রথমে আছর তারপর মাগরিবের ছালাত আদায় করেছিলেন (বুখারী হা/৯৪৫; মুসলিম হা/৬২৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৮৮৭)। অন্
উত্তর : অনেক বছরের ক্বাযা ছালাত ও ছিয়ামের জন্য অসুস্থ ব্যক্তি নিজে আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। আর মৃত ব্যক্তির সন্তানেরা অনুতপ্ত হৃদয়ে তার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে (যুমার ৩৯/৫৩)। কেননা ‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য দু’টিই ছহীহ আক্বীদা বিরোধী ও ভিত্তিহীন।
উত্তর : বিদায় বেলায় মুছাফাহা করা যাবে। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন কোন ব্যক্তিকে বিদায় দিতেন, তখন তার হাত ধরতেন এবং বিদায় হওয়া ব্যক্তি তাঁর হাত না ছাড়া পর্যন্ত রাসূল (ছাঃ) তার হাত ছাড়তেন না। অতঃপর তিনি দো‘আ করে দিতেন...’ (তিরমিযী
উত্তর : (১) ছুরি ভালোভাবে ধার দেওয়া এবং দ্রুত যবহের কাজ সমাধা করা। যেন পশুর কষ্ট কম হয় (মুসলিম হা/১৯৫৫; মিশকাত হা/৪০৭৩)। (২) ক্বিবলামুখী হয়ে যবেহ করা (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৮৫৮৫; আলবানী, মানাসিকুল হাজ্জ, সনদ ছহীহ)। (৩) যবহকালীন সময়ে দো‘আ পাঠ ক
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাতে অংশগ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। এর মাধ্যমে তাদের বাতিল ধর্মবিশ্বাসকে সমর্থন করা হয়, যা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, তার নিকট থেকে তা
উত্তর : হজব্রত পালনরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। একদা আরাফার মাঠে জনৈক ছাহাবী মুহরিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা তাকে বরই পাতা ও পানি দিয়ে গোসল করাও, তাকে দু’টি কাপড়ে কাফন পরাও, তাকে সুগন্ধি লাগিয়ো না
উত্তর : উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ এক্ষেত্রে দাদী দুধ মা হওয়ায় উক্ত মেয়েটি আপনার দুধ বোনের মেয়ে তথা আপন ভাগ্নী হিসাবে গণ্য হবে। যাকে বিবাহ করা হারাম (নিসা ৪/২৩)। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর চাচা হামযা (রাঃ) একই মায়ের দুধপান করেছিলেন। সেকারণ হাময
উত্তর : উক্ত অবস্থায় যরূরী প্রয়োজনে মুছল্লীর সিজদার স্থানের বাহির দিয়ে অতিক্রম করা যাবে (বুখারী হা/৫০৯, মুসলিম হা/৫০৫)। উক্ত হাদীছে بين يدي المصلي দ্বারা মুছল্লীর সিজদার স্থান পর্যন্ত বুঝানো হয়েছে (ইবনু হাজার, ফৎহুলবারী ঐ হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রঃ; ফাতাও
উত্তর : জাওনিয়ার (الجونية) সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিবাহ ও তালাকের ব্যাপারে আয়েশা (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীছটিই যথেষ্ট। যেখানে তিনি বলেন, জাওনের কন্যাকে যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট (একটি ঘরে) পাঠানো হ’ল। আর তিনি তার নিকটবর্তী হ’লেন, তখন সে বলল, আমি
উত্তর : এরূপ কাজ শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ এটি প্রতারণা এবং মিথ্যার অন্তর্ভুক্ত, যা নিঃসন্দেহে হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তিু প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয় (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)। এক্ষণে এরূপ কাজ করে থাকলে এবং তা পরিবর্তন করা সম্ভ
উত্তর : মুসলিম নারী যেকোন মুসলিম পুরুষের পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারে। বিদায় হজ্জের সময় খাছ‘আম গোত্রের জনৈক মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে তার অতি বৃদ্ধ পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫১১)। তবে ঐ মহিল
উত্তর : ছিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ফিৎরা যে কাফফারা তা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন (আবুদাঊদ মিশকাত হা/১৮১৭)। আর ছোট-বড় সকল মুসলিমকে ফিৎরা দিতে হবে এ কথাও রাসূল (ছাঃ) বলেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫)। আলী (রাঃ) বলেন, ‘যদি দ্বীন মানুষের রায় অনুযায়ী হ’
উত্তর : ইয়াজূজ-মাজূজ পৃথক কোন সম্প্রদায় নয়, বরং তারা আদম (আঃ)-এর বংশধর (বুখারী হা/৪৭৪১ মুসলিম হা/২২২)। মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার জন্য এদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা পৃথিবীতে কখন ও কিভাবে আগমন করেছে, এ বিষয়ে বিদ্বানদের মাঝে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
উত্তর : জন্মগত হিজড়ারা যদি বিবেকসম্পন্ন হয়, তাহ’লে তাদের উপরে ইসলামের বিধি-বিধান অপরিহার্য। তা পালন করলে তারাও জান্নাতে যাবে ইনশাআল্লাহ। তাই সমাজের একজন সদস্য হিসাবে তাদেরকে ইসলামী জীবন যাপন করতে হবে। লজ্জাস্থান ও শারীরিক গঠন বিবেচনায় তার উপর
উত্তর : উক্ত তালাক ও বিবাহ দু’টিই শরী‘আতের দৃষ্টিতে অবৈধ হয়েছে। প্রথমতঃ একসাথে তিন তালাক দিলে সেটি এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে (মুসলিম হা/১৪৭২-৭৩; আবুদাঊদ হা/২১৯৬, সনদ হাসান)। কেননা তালাকের সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে পৃথক পৃথকভাবে তিন তুহুরে তিনবার তালাক দেওয়া (
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যখন আযান শুনবে, তখন মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও তা বল’ (বুখারী হা/৬১১; মুসলিম হা/৩৮৩)। অতএব আযানের জবাব দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে সংক্ষেপে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করার পর বসে খুৎবা শ্রবণ করাই উত্তম হবে (ইবনু কুদামা, মুগনী ১/
উত্তর : স্বামীর জন্য ফরয কর্তব্য হ’ল স্ত্রীর জীবদ্দশায় মোহরানা পরিশোধ করা (নিসা ৪, মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৪৩)। জীবদ্দশায় তা পরিশোধ করা না হ’লে মৃত্যুর পর স্ত্রীর ওয়ারিছদের মধ্যে মোহরানার অর্থ বণ্টন করে দিতে হবে। অতঃপর স্বামী অনুতপ্ত হৃদয়ে
উত্তর : এটি মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত কথা মাত্র। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, ঘটনাটির কোন ভিত্তি নেই (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৭/১০২)। ‘আজলূনীও তাই বলেছেন (কাশফুল খাফা ‘আম্মাশতাহারা মিনাল আহাদীছ ফী আলসিনাতিন নাস হা/১৫২০)। এছাড়া মোল্লা আলী ক্বারী, ‘আমেরী,
উত্তর : জিপি ফান্ডে জমাকৃত টাকার অতিরিক্ত অংশটি সূদ হিসাবে গণ্য হবে। কেননা সরকার বাৎসরিক জমাকৃত টাকার উপরে চক্রবৃদ্ধিহারে সূদ হিসাবে প্রদান করে থাকে। অতএব সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত বেতনের যে অংশ প্রতি মাসে কেটে নেওয়া হয়, চাকুরী শেষে স
উত্তর : ছালাতের পূর্বে এরূপ আয়োজন করা যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) জুম‘আর দিন ছালাতের পূর্বে মসজিদে খুৎবা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে একত্রিত হ’তে নিষেধ করেছেন (আবুদাঊদ হা/১০৭৯, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৮৮৫, সনদ হাসান)। তবে ছালাতের পরে কোন বাধা নেই।
উত্তর : মাখলূক্বাতের কোন পরিসংখ্যান কুরআন ও হাদীছে নেই। তবে সালাফে ছালেহীন এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পেশ করেছেন। যেমন মুক্বাতিল বলেন, মাখলূক্বাতের সংখ্যা ৮০ হাযার। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর মতে ৪০ হাযার, ওয়াহাব বিন মুনাবিবহ (রহঃ)-এর মতে ১৮ হাযার প্
উত্তর : এভাবে বলা ঠিক হয়নি। তবে যেসব প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল, সেসব প্রাণীর পেশাব-পায়খানা পবিত্র। সেটা কাপড়ে লাগলে উক্ত কাপড়ে ছালাত আদায় করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) নিজে ছাগল বাঁধার স্থানে ছালাত আদায় করেছেন এবং অন্যদের অনুমতি দিয়েছেন (বুখারী হা/২৩
উত্তর : স্বামীর জন্য জোর করে জমি ফেরত নেওয়া যাবে না এবং ফেরত না দিলে স্ত্রী গোনাহগার হবে না। কারণ এটা স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীর জন্য হাদিয়া স্বরূপ। আর হাদিয়া ফেরত নেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পিতা তার সন্তানকে প্রদত্ত দান ফেরত নিত
উত্তর : শারঈ ওযরবশতঃ বিলম্ব করলে গোনাহ হবে না এবং এর জন্য কোন কাফফারাও দিতে হবে না। তবে যাদের উপর হজ্জ ফরয হয়েছে, তাদের বিলম্ব করা মোটেই ঠিক নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ্জের সংকল্প করে, সে যেন তা দ্রুত সম্পন্ন করে’ (আবুদ
উত্তর : ছানা পড়তে হবে এবং তা তাকবীরে তাহরীমার পর ও অতিরিক্ত তাকবীরের পূর্বে পাঠ করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কোন ছালাত আরম্ভ করতেন, তখন তাকবীরে তাহরীমার পর দো‘আয়ে ইস্তিফতাহ বা ছানা পড়তেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৮১৩, ‘তাকবীরে তাহরীমার পরে পাঠ্য’ অনুচ্
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৩৭০)। তবে বড় ভাই অবশ্যই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের মর্যাদা বুঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (আবুদাঊদ হা/৪৯৩৯, তিরমিযী হা/১৯২০)।
উত্তর : সফরের জন্য মহিলাদের সাথে মাহরাম পুরুষ থাকা শর্ত (বুখারী হা/১৮৬২)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, মাহরাম ব্যতীত কোন নারী হজ্জ করবে না (বাযযার, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৬৫)। বোনের স্বামী মাহরাম নয়। অতএব বোন থাকা সত্ত্বেও বোনের স্বামীর তত্ত্বাবধানে হজ্জে গম
উত্তর : ওযূর সময় প্রয়োজনীয় কথা বলায় কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) ওযূর সময় প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন (বুখারী হা/৫৭৯৯, মুসলিম হা/২৭৪)। ওছমান (রাঃ) হ’তে মারফূ‘ সূত্রে ‘ওযূ করার সময় কথা বলা থেকে বিরত থাকলে, উভয় ওযূর মাঝে সংঘটিত ছগীরা গোনাহ সমূহ ক্ষমা কর
উত্তর : ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও ব্যবহার না জেনে নিজের স্বল্প জ্ঞানের উপর গোঁড়ামী করাকে ধর্মান্ধতা বলে। ‘ধর্মান্ধ’ শব্দটি প্রকৃত মুসলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা ‘ইসলাম’ হ’ল মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম (আলে ইমরান ৩/১৯)। আর ইস
-আব্দুল্লাহ আল-মামূন, রাজশাহী।উত্তর : যিকর অর্থ স্মরণ করা। আর আল্লাহকে স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠান হ’ল ছালাত আদায় করা। যেমন আল্লাহ বলেন, তুমি ছালাত কায়েম কর আমাকে স্মরণ করার জন্য’ (ত্বোয়াহা হা/২০/১৪)। ছালাতের বাইরে সর্বোত্তম যিকর হ’ল ‘লা ইলাহা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত কথাটি মিথ্যা (সিলসিলা যঈফাহ হা/৮১২)।
উত্তর : এতে ওযূ নষ্ট হবে না (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩২০)। যে হাদীছে লজ্জাস্থান স্পর্শে ওযূ নষ্ট হবে বলা হয়েছে (আহমাদ, ইরওয়া হা/১১৬, ১১৭; মিশকাত হা/৩৯০), তার ব্যাখ্য হ’ল, উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করা (টীকা দ্রঃ মিশকাত হা/৩২০)।
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে গোসল ও কাফন-দাফনের ফযীলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম মাইয়েতকে গোসল করাবে, অতঃপর তার গোপনীয়তা সমূহ গোপন রাখবে, আল্লাহ তাকে চল্লিশ বার ক্ষমা করবেন। যে ব্যক্তি মাইয়েতকে কাফন পরাবে, আল্লাহ ত
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি নিতান্তই যঈফ (তাফসীর ত্বাবারী ২৩/৮৫; হাকেম হা/৪০৩৬; যঈফাহ হা/৩৩১, ১৬৭৭)।
উত্তর : উত্তরাধিকার সম্পদ মৃত্যুর পরে বণ্টন হওয়াই ইসলামী শরী‘আতের বিধান। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক হকদারের জন্য তার হক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন’ (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩০৭৩)। তবে অন্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্য না থাকলে সুস্থ অবস্থায় হা
উত্তর : দলবদ্ধভাবে কোরাস গাওয়ার ন্যায় কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম এভাবে কুরআন তেলাওয়াত করেননি। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন যে, যে ব্যক্তি সুর দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করে না, সে আমার দলভুক্ত নয় (বুখারী হা/৭৫২৭, মিশকাত হা/২১৯৪)।
উত্তর : মসজিদে ডাষ্টবিন রাখা যাবে না। বরং তা মসজিদের বাইরে কোন স্থানে রাখতে হবে। আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মসজিদ পেশাব করা বা আবর্জনা ফেলার স্থান নয়। মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর যিকির, ছালাত ও কুরআন তেলাও
উত্তর : দানিয়াল সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছে কিছু পাওয়া যায় না। অতএব তিনি যে নবী ছিলেন, এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে বলার কোন উপায় নেই। তবে ঐতিহাসিকভাবে যা জানা যায় তা নিম্নরূপ : আবুল ‘আলিয়ার বর্ণনা অনুযায়ী, ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে (১৩-২৩ হিঃ) আবু মূসা আশ‘
উত্তর : কথাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্লেখ্য যে, মাথা ঢাকা বা টুপী পরা শিষ্টাচারমূলক পোষাকের অন্তর্ভুক্ত। এটাকে তাক্বওয়ার পোশাক হিসাবে গণ্য করা হয় (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ৪৭)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এখানে নারীর ফিৎরাতের কথা বলেছেন, তার কর্মকে দায়ী করেন নি। যেমন অন্য হাদীছে আদম তার আয়ুষ্কালকে অস্বীকার করেছিলেন বলে মানুষ অস্বীকার করে বলা হয়েছে (তিরমিযী হা/৩০৭৬, মিশকাত হা/১১৮)। এর অর্থ এটা নয় যে, বনু আদমের অস্বীকারের
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কবর ব্যতীত সকল নবীর কবরের অবস্থান অজ্ঞাত। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘রাসূল (ছাঃ)-এর কবর ব্যতীত কোন নবীর কবরের অবস্থানের ব্যাপারে পৃথিবীর মানুষ একমত নয়’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৭/১১৬)। শায়খ বিন বায বলেন, নবী (ছাঃ)-এর কবর
উত্তর : বাম হাতের উপরে ডান হাত বুকের উপরে রাখাই ছালাতে হাত বাঁধার সঠিক নিয়ম। ওয়ায়েল বিন হুজ্র (রাঃ) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে ছালাত আদায় করলাম। এমতাবস্থায় দেখলাম যে, তিনি বাম হাতের উপরে ডান হাত স্বীয় বুকের উপরে রাখলেন’ (ছহীহ ইবনু খ
উত্তর : উক্ত শিশুটি মুসলিম হিসাবে গণ্য হবে। কারণ ‘জারজ’ সন্তান মাতার সাথে সম্পর্কিত হয় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৩১২, ৩৩২০)। এছাড়া প্রত্যেক শিশুই ফিৎরাত তথা ইসলামের উপরে জন্মগ্রহণ করে (বুখারী হা/১৩৮৫, মুসলিম, মিশকাত হা/৯০; রূম ৩০)।
উত্তর : কেবল সিরিয়ায় নয় বরং শামে হাশরের ময়দান হবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আর তৎকালীন শাম বর্তমানে সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ফিলিস্তীন ও ইসরাঈলের পুরো ভূখন্ড এবং ইরাক, তুরস্ক, মিসর ও সঊদী আরবের কিছু অংশকে শামিল করে (উইকিপিডিয়া)। আবু যর গেফা
উত্তর : উক্ত দাবীটি সঠিক নয়। ইমাম যখন সশব্দে সূরা ফাতিহা শেষ করবেন, তখন মুক্তাদীগণও সাথে সাথে সশব্দে আমীন বলবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন ‘যখনই ইমাম ওয়া লাযযা-ল্লীন’ বলবে অন্য বর্ণনায় যখন ‘আমীন’ বলবেন, তখন তোমরাও আমীন বল’। কেননা যার
উত্তর : যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত কিংবা দুই রাক‘আত উভয় আমল করা যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৫৯-৬০)। আর চার রাক‘আত সুন্নাত এক সালামে বা দুই সালামে উভয়ভাবেই পড়া যাবে (নাসাঈ হা/৮৭৫; ইবনু মাজাহ হা/১৩২২)।উল্লেখ্য, ‘যোহরের পূর্বে সালামবিহীন চার রাক‘
উত্তর : শারীরিক, অর্থনৈতিক ও ইনছাফ রক্ষার ব্যাপারে ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য একাধিক বিবাহ করা উত্তম। কেননা একজন স্ত্রীর প্রতি ইহসান, শিক্ষাদান ও ভরণ-পোষণের ফলে যে নেকী অর্জিত হয়, একাধিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে সে অনুপাতে নেকী বেশী হয় (উছায়মীন, ফাত
উত্তর : ঘটনাটি ভিত্তিহীন। কারণ জাবের (রাঃ) ৭৮ হিজরীতে ৯৪ বছর বয়সে মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। তিনি মদীনায় মৃত্যুবরণকারী সর্বশেষ ছাহাবী ছিলেন। মদীনার আমীর আবান বিন ওছমান তাঁর জানাযায় ইমামতি করেন (ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ১
উত্তর : এটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এ মর্মে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে সবই যঈফ। যেমন আয়েশা (রাঃ) হ’তে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত, কা‘বাগৃহের দিকে তাকিয়ে থাকা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত (দায়লামী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৭০১)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, পাঁচটি জিনিসের
উত্তর : এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন আল্লাহভীতি এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তি। যে আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি দুনিয়ায় এসেছেন এবং যার ইচ্ছায় আপনি দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবেন, তার হুকুম পালন না করে মৃত্যুবরণ করলে পরিণামে জাহান্নামের কঠিন শাস্তির কথা বারবার স্মরণ করুন। জীব
উত্তর : ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, ইয়াযীদের সকল সৈন্য এমনকি ইয়াযীদ নিজেও এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে রাযী ছিলেন না। ...তবে ধারণা করা যায় যে, তিনি যদি তাকে হত্যা করার পূর্বে পেতেন, তাহ’লে ক্ষমা করে দিতেন। যেমনটি তার পিতা তাকে নছীহত করেছিলেন এবং তিনিও
উত্তর : ইসলামে সন্তানকে ত্যাজ্য করার কোন বিধান নেই। এরূপ করলে পিতা-মাতা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কবীরা গোনাহগার হিসাবে গণ্য হবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুখারী হা/৫৯৮৪; মুসলিম হা/ ২
উত্তর : কা‘বাগৃহের রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ এবং হাজারে আসওয়াদ চুমা দেওয়া বা ইশারা করার বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী, মিশকাত হা/২৫৬৮, ২৫৮৯)। অন্যান্য স্থানে স্পর্শ করার ব্যাপারে কোন স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। একবার হযরত মু‘আবিয়া ও ইবনু আববাস (
উত্তর : আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ভাগ্যকে অস্বীকারকারীরা এ উম্মতের অগ্নি উপাসকদের ন্যায়। তারা অসুস্থ হ’লে তোমরা তাদেরকে দেখতে যাবে না। আর মারা গেলে তাদের জানাযায় অংশ নিবে না (আবুদাঊদ হা/৪৬৯১, সনদ হাসান)। এর ব্যাখ্
উত্তর : শারঈ দৃষ্টিতে পূর্ব স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই। আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম পুরুষকে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছেন (নিসা ৩)। তবে বিবাহ করার চেয়ে স্ত্রীদের মাঝে ইনছাফ করার বিষয়টি বেশী যরূরী ও কঠিন। এজন্য একাধিক বিবাহের ক্ষেত্রে ইনছাফে
উত্তর : এরূপ কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমরা সফর কর, তখন ছালাতে ক্বছর করায় তোমাদের কোন দোষ নেই’ (নিসা ৪/১০১)। সফর অবস্থায় ছালাতে ‘ক্বছর’ করা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাদের প্রতি একটি উপহার স্বরূপ। আর উপহার যে গ্রহণ করাই উত্তম, তা বলার অ
উত্তর : ইসলাম পরস্পরকে হাদিয়া দিতে উৎসাহিত করেছে। পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টিতে তা সহায়ক হয় (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা দাওয়াত কবুল কর এবং হাদিয়া ফেরৎ দিয়ো না ...’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১৫৭; আহমাদ হা/৩৮৩৮, সনদ ছহীহ)। তিনি বল
উত্তর : পূজা উপলক্ষে তাদের দেয়া টিফিন খাওয়া যাবে না। কারণ এতে শিরকের সমর্থন ও সহযোগিতা করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (মায়েদাহ ৫/২; লাজনা দায়েমা, ফৎওয়া নং ২৮৮২)।
উত্তর : অবহেলাবশতঃ ছালাত পরিত্যাগ করে থাকলে তার সম্পদ তার সন্তানরা গ্রহণ করতে পারবে। কারণ এরূপ ছালাত পরিত্যাগকারী ব্যক্তি কবীরা গোনাহগার। পক্ষান্তরে যদি তিনি ছালাতের ফরযিয়াতকে ‘অস্বীকার’ করে ছালাত পরিত্যাগ করে থাকেন, তবে তিনি ‘কাফের’ হিসাবে গ
উত্তর : এ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ বাধ্যগত অবস্থায় ব্যাংকে টাকা রাখার কারণে প্রাপ্ত সূদ থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যেই প্রাপ্ত লভ্যাংশ সমাজকল্যাণ খাতে ব্যয় করার অনুমতি রয়েছে। যার মাধ্যমে নেকী অর্জনের কোন সুযোগ নেই। এক্ষণে ইচ্ছাকৃতভাবে সমাজক
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, কুরআন থেকে তোমার যা সহজ তা পাঠ কর’ (মুয্যাম্মিল ৭৩/২০)। একদা রাসূল (ছাঃ) ফজরের দু’রাক‘আত ছালাতেই সূরা যিলযাল পাঠ করেন’ (আবুদাউদ হা/৮১৬, সনদ হাসান)। অন্য একদিন তিনি মাগরিবের দু’রাক‘আতেই সূরা আ‘রাফ (অর্থাৎ তার কিছ
উত্তর : ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য সেলাইযুক্ত কোন কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ (বুখারী হা/১৫৩৬, ৫৮৪৭; মিশকাত হা/২৬৭৮)। তবে মহিলাগণ এসব ব্যবহার করতে পারবেন। কেননা তাদের জন্য ইহরামের পৃথক কোন কাপড় নেই।
উত্তর : বাড়িতে বা মসজিদে, একাকী হৌক বা জামা‘আতে হৌক, যে ওয়াক্তের ছালাত রাসূল (ছাঃ) যেভাবে আদায় করেছেন, তা সেভাবেই আদায় করা আবশ্যক (বুখারী হা/৬৩১)। তবে মসজিদে বা জনবহুল স্থানে যেখানে অপর মুছল্লীর অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেসব স্থানে নীরবে বা ন
উত্তর : এটি গোলামী যুগে এদেশে ইংরেজদের চালুকৃত একটি আদালতী পরিভাষা। এটি ইংল্যান্ডে সম্মানসূচক সম্বোধনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন Oxford ডিকশনারীতে বলা হয়েছে, My Lord : (in Britain) a title of respect used when speaking to a judge,
উত্তর : মান্নান (অধিক দাতা) আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে অন্যতম, যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (আবুদাউদ হা/১৪৯৫; তিরমিযী হা/৩৫৪৪; মিশকাত হা/২২৯০, সনদ ছহীহ)। তবে হান্নান (অধিক স্নেহশীল) আল্লাহর ছিফাতী নাম মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ (আহমাদ
উত্তর : এভাবে ছালাত আদায়ে বাধা নেই। কারণ দেওয়াল বেষ্টিত মসজিদের দেওয়াল অথবা মসজিদের ক্বিবলার দিকের খাম্বা বা খুঁটিই মুছল্লীর জন্য সুৎরা। নতুন করে ইমামের সামনে সুৎরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উত্তর : পুনরায় বিতর পড়তে হবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক রাতে দুই বিতর নেই’ (তিরমিযী হা/৪৭০; আবুদাঊদ হা/১৪৩৯)। আর তাহাজ্জুদ ফউত হওয়ার আশংকা থাকলে রাতের প্রথম ভাগে বিতর ছালাতের পর দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করলে সেটাই তার রাত্রির নফল ছালা
উত্তর : আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আসমান সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু। অতঃপর তিনি মনঃসংযোগ করেন আকাশের দিকে। অতঃপর তাকে সপ্ত আকাশে বিন্যস্ত করেন। আর তি
উত্তর : ‘ইজতেমা’ অর্থ সম্মেলন, সমাবেশ, বৈঠক, একত্রিত হওয়া ইত্যাদি। ‘তাবলীগী ইজতেমা’ অর্থ দা‘ওয়াতী সমাবেশ। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ প্রতিবছর রাজশাহীর নওদাপাড়ায় ‘তাবলীগী ইজতেমা’র আয়োজন করে থাকে। সর্বস্তরের জনগণের নিকট অহিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ
উত্তর : মাসবূক হৌক বা সাধারণ ছালাত আদায়কারী হৌক, তাশাহহুদ থেকে উঠে দাঁড়ালে প্রথমে রাফঊল ইয়াদায়েন করবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) দ্বিতীয় রাক‘আত থেকে উঠে দাঁড়াবার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন (বুখারী হা/৭৩৯, মিশকাত হা/৭৯৪; উছায়মীন.)।
উত্তর : এ বিধানের কোন ভিত্তি নেই। বরং মাইয়েতকে কবরে রাখার সময় উপস্থিত সকলে ‘বিসমিল্লা-হি ওয়া ‘আলা মিল্লাতে রাসূলিল্লাহ’ অথবা ‘ওয়া ‘আলা সুন্নাতে রাসূলিল্লাহ’ দো‘আটি পাঠ করবে (ইবনু মাজাহ হা/১৫৫০; আহমাদ হা/৪৯৯০)।
উত্তর : ওযর বশতঃ ফরয ছালাতের আগের সুন্নাতগুলো পরে আদায় করা যায়। ব্যস্ততার কারণে রাসূল (ছাঃ) একদা যোহরের পূর্বের সুন্নাত আছরের পরে আদায় করেছিলেন (বুখারী হা/১২৩৩; মিশকাত হা/১০৪৩)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত সুন্নাত আদায়
উত্তর : এ জাতীয় শরী‘আতবিরোধী অনুষ্ঠানে যোগদান করা বা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ২)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে স্বরূপে দেখেছেন দু’বার (মুসলিম হা/১৭৭)। প্রথমবার দেখেন মি‘রাজের পূর্বে মক্কার বাত্বহা উপত্যকায় ৬০০ ডানা বিশিষ্ট বিশাল অবয়বে। যাতে আসমান-যমীনের মধ্যবর্তী দিগন্ত বেষ্টিত হয়ে পড়ে (নাজম ৫৩/৫-১০, তাকভীর ৮১/২৩; তিরমিয
উত্তর : এরূপ কোন নির্দেশনা নেই। এগুলি কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। বরং স্বামী মারা গেলে কেবল স্ত্রী স্বামীর বাড়ীতে ৪ মাস ১০ দিন শোক পালন করবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৩৩০-৩২, ৩৩৩৪)। এসময় একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ীর বাইরে যাবে না এবং কোন সাজ-সজ্
উত্তর : পর্দা এবং পিতা-মাতার আনুগত্য উভয়টিই অতি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে যে তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না, তাদের মধ্যে অন্যতম হ’ল পিতা-মাতার অবাধ্য ব্যক্তি ও দাইয়ূছ তথা স্ত্রীর বেহায়াপনার ব্যাপারে উদাসীন পুরুষ (নাসাঈ হা/২৫৬২, ছহীহাহ হা/
উত্তর : হাদীছটির ব্যাখ্যা হাদীছের মধ্যেই রয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন ডাক দিয়ে বলবেন হে আদম! নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে আদেশ করেন যে, আপনি আপনার সন্তানদের মধ্য হ’তে জাহান্নামীদের বের করে দেন
উত্তর : একজন সরকারী চাকুরীজীবি সরকারী বিধি মেনে নেওয়ার অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েই চাকুরী গ্রহণ করে। আর সরকারী বিধি মতে তার মৃত্যুর পরে পেনশনের মালিক হবে তার স্ত্রী। তাই সে তার জীবদ্দশাতেই তার স্ত্রীকে পেনশনের টাকার মালিক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অতএব
উত্তর : ইসলামী বিধান মতে কসাইয়ের কাজ জায়েয। রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে অনেক ছাহাবী কসাইয়ের কাজ করতেন (বুখারী হা/১৭১৭)। আর গোশতের ছিটেফোঁটা বা রক্ত কাপড়ে লাগলে তাতে ছালাত জায়েয হবে। আল্লাহ তা’আলা রক্ত খাওয়া হারাম করেছেন; কিন্তু রক্তকে অপবিত্র বলেননি। সে
উত্তর : উক্ত অবস্থায় সে ক্বাযা আদায় করবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছিয়াম অবস্থায় যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে, সে যেন তার ক্বাযা আদায় করে’ (তিরমিযী হা/৭২০, মিশকাত হা/২০০৭, সনদ ছহীহ; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪২৬-২৭)।
উত্তর : এব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি ‘শায’ (আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ১/২১৪; ছহীহাহ হা/২২৪৭-এর আলোচনা দ্রঃ)। অতএব তা আমলযোগ্য নয়।
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত আলক্বামা নামটি কপোলকল্পিত। এ মর্মে প্রচলিত ঘটনাটিও জাল। এক্ষণে কথিত ঘটনাটি হ’ল- জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এসে বলল, এখানে একটি ক্রীতদাস আছে, যার মৃত্যু আসন্ন। তাকে কালেমা পড়তে বলা হলে সে বলল, আমি পড়তে সক্ষম হচ্
উত্তর : ইবরাহীম বিন আদহাম একজন প্রখ্যাত তাবেঈ ছিলেন। তিনি হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষের দিকে খোরাসানের বালখ নগরীতে মতান্তরে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা খোরাসানের অন্যতম শাসক ও সম্পদশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি জ্ঞান অন্বেষণ ও হালাল রিযিকের সন্ধ
উত্তর : সঊদী রাজতন্ত্র শরী‘আতসম্মত। ইসলামে রাজতন্ত্র আদৌ নিষিদ্ধ নয়, যদি না তা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সঊদী রাজতন্ত্রে আল্লাহ সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা হয় এবং তা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। যেমন সঊদী সংবিধানের ৭নং ধারায়
উত্তর : টিকটিকি একটি কষ্টদানকারী ও বিষাক্ত প্রাণী। রাসূল (ছাঃ) একে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১১৯)। এটি খাওয়া হারাম। কেননা আল্লাহ বলেন, তিনি তাদের জন্য পবিত্র বিষয় সমূহ হালাল করেছেন ও অপবিত্র বিষয় সমূহ নিষিদ্ধ করেছেন’ (আ‘র
উত্তর : আয়াতটির অর্থ হ’ল, তাদের অধিকাংশ আল্লাহকে বিশ্বাস করে। অথচ সেই সাথে শিরক করে’ (ইউসুফ ১২/১০৬)। এর ব্যাখ্যা হ’ল, পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষই সৃষ্টিকর্তা হিসাবে আল্লাহকে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই সাথে অন্যকে শরীক করে। যেমন মক্কার মুশরিকরা আল্লাহক
উত্তর : ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে তাসবীহ গণনা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ডান হাতে তাসবীহ গণনা করতেন (আবুদাঊদ হা/১৫০২; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৩-এর আলোচনা)। তিনি সকল কাজ ডান দিক থেকে শুরু করতে পসন্দ করতেন (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪০০)। ঝুলন্ত হা
উত্তর : মসজিদের জন্য ক্ষতিকর কোন কারণ না থাকলে এর জন্য মসজিদের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ গুনাহগার হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। আর (ক্বিয়ামতের দিন) তোমরা প্রত্যেকে স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত
উত্তর : এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন গোসল করে সুগন্ধি মেখে মসজিদে এল ও সাধ্যমত নফল ছালাত আদায় করল। অতঃপর চুপচাপ ইমামের খুৎবা শ্রবণ করল ও জামা‘আতে ছালাত আদায় করল, তার পরবর্তী জুম‘আ পর্যন্ত এবং আরও তিনদিনের গোনাহ মা
উত্তর : কোন মানুষের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করা মুমিনের স্বভাব নয়। আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিন ব্যক্তি ঠাট্টা-বিদ্রূপকারী, ভৎর্সনাকারী, লা‘নতকারী, অশ্লীলভাষী ও বদ-স্বভাবের হ’তে পারে না’ (তিরমিযী হা/১৯৭৭, মি
উত্তর : বিবাহের উদ্দেশ্যে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতিক্রমে কেবলমাত্র পাত্র তার প্রস্তাবিত পাত্রীকে দেখতে পারে। পাত্র ব্যতীত কোন গায়ের মাহরাম পুরুষ পাত্রী দেখতে পারবে না। তবে পরিবেশ বা আনুসঙ্গিক বিষয় সমূহ দেখার জন্য অভিভাবকগণ খোঁজ-খবর নিতে পারবেন।
উত্তর : মক্কা ও মদীনায় ছিয়াম পালনের বিশেষ কোন ফযীলত নেই। এ মর্মে যা বর্ণিত আছে, তার সবগুলোই যঈফ ও জাল’ (ইবনু মাজাহ হা/৩১১৭; যঈফুল জামে‘ হা/৩৫২২, ৫৩৫৫, ৩১৩৯; যঈফাহ হা/৮৩১, ৮৩২; যঈফ তারগীব হা/৫৮৫)।
উত্তর : কোন জিন বা মানুষের পক্ষে অতীত বা ভবিষ্যতের খবর জানা সম্ভব নয়। এসব খবর সম্পর্কে অবহিত দাবীকারী মিথ্যাবাদী বৈ কিছুই নয়। কেননা তা গায়েবের খবর। যা কেবলমাত্র আল্লাহই জানেন (নামল ১৭/৬৫, আন‘আম ৬/৫৯)। কোন ঈমানদার জিন বা মানুষ এসব জানার দাবী করত
উত্তর : বোরকা পরে হ’লেও মেয়েদের কোন ধরনের ড্রাইভ করা ঠিক নয়। প্রথমতঃ এগুলি পুরুষালী কাজ এবং এতে তার বেহায়াপনা প্রকাশ পায়। আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় বেহায়াপনাকে নিষিদ্ধ করেছেন (আ‘রাফ ৭/৩৩)। এমনকি এরূপ কাজের নিকটবর্তী হ’তেও নিষেধ করেছেন (আন‘আ
উত্তর : মসজিদের বারান্দা মসজিদের অন্তর্ভুক্ত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/২৩৪)। মসজিদের ভিতর এবং বারান্দা এগুলি মসজিদ নির্মাণের নিয়ম মাত্র এবং সব স্থানে একই নেকী অর্জিত হবে। তাই মসজিদের বারান্দায় ডান পা রাখার সময়েই দো‘আ পাঠ করতে হবে এবং বারান্দায় ছা
উত্তর : কম্পিউটার-টিভি-মোবাইল কোনটিই প্রকৃতিগতভাবে হারাম নয়। এর প্রত্যেকটিরই ভালো-মন্দ দিক আছে। মুমিন ভালোটি গ্রহণ করবে ও খারাপটি পরিত্যাগ করবে। তবে বর্তমান সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি মানুষকে সর্বদা পাপের দিকে প্ররোচিত করছে। ফলে এসব ইলেক্ট্রিক
উত্তর : কুকুর পালনের জন্য শর্ত হ’ল, (১) পশু চরানো, শিকার করা এবং ক্ষেত-খামার ও বাড়িঘর পাহারা দেওয়া এই তিন প্রকার উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই কেবল কুকুর পালন করা যাবে। এ ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে কোন কুকুর বাড়িতে রাখলে এক ক্বীরাত সমপরিমাণ নেকী কমে যাবে
উত্তর : হিন্দু শ্বশুর-শাশুড়ীর বাড়ীতে পিতা-মাতার হক আদায়ের উদ্দেশ্যে গমন করায় বাধা নেই। তবে তা যেন তাদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে না হয়। কেননা ইসলামী শরী‘আতে অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করা হারাম (ফুরকান ৭২; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭)। সেখানে তাদে
উত্তর : হোটেলের বেঁচে যাওয়া খাবার গরীব মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেওয়াই উত্তম। তবে তা সম্ভব না হ’লে পশু-পাখিকে দেওয়ায় কোন বাধা নেই। বরং এতে প্রভূত নেকী অর্জিত হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক তাযা প্রাণ রক্ষায় ছওয়াব রয়েছে। এক লোক এক পিপাসার্ত কুকুরক
উত্তর : মাহরাম হওয়ার জন্য বালেগ ও জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া শর্ত (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৭/৪০-৪১)। ইমাম আহমাদ (রহঃ) -কে শিশু কারো মাহরাম হিসাবে গণ্য হবে কি-না সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হ’লে তিনি বলেন, না। যতক্ষণ না তার স্বপ্নদোষ হয়।... মাহরাম থাকার উদ্দেশ
উত্তর : কুর্দীরা পশ্চিম এশিয়ার একটি নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী। জনসংখ্যা প্রায় পৌনে তিন কোটি। তুরস্ক, ইরাক, ইরান ও আর্মেনিয়ায় এদের আবাসস্থল। কুর্দি এদের প্রধান ভাষা। এদের অধিকাংশই (প্রায় ৯০%) সুন্নী মুসলিম এবং শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী। কিছু সংখ্যক
উত্তর : মুছাফাহা (المصافحة) শব্দটি বাবে مفاعلة-এর ক্রিয়ামূল। এর আভিধানিক অর্থ, الإفضاء بصفحة اليد إلي صفحة اليد অর্থাৎ এক হাতের তালুর সাথে অন্য হাতের তালুকে অাঁকড়িয়ে ধরা (ইবনু হাজার, ফৎহুলবারী ১১/৫৪)। আরবী ভাষার কোন অভিধানে চার হাতের সংযোগকে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের চরিত্র নকল করে নাটক-সিনেমা তৈরী করা হারাম। এটা তাঁদের উপর মিথ্যারোপের শামিল। কারণ তাঁদের চরিত্রের প্রকৃত চিত্রায়ন কখনোই সম্ভব নয়। বিশেষত রাসূল (ছাঃ)-এর চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ইবলী
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক নয়। কেননা আল্লাহ পক্ষ হ’তে দরূদ অর্থ তাঁর রহমত নাযিল করা। ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে দরূদ অর্থ রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য আল্লাহ নিকটে রহমত প্রার্থনা করা। আর মুমিনদের পক্ষ থেকে দরূদ অর্থ রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য দো‘আ করা। যেরূপ তিনি শিক্
উত্তর : নবী-রাসূলগণ ‘আলামে বারযাখে তথা রূহানী জগতে জীবিত আছেন (মুসলিম হা/২৩৭৫) এবং মি‘রাজ রজনীতে তাদেরকে সাথে নিয়ে রাসূল (ছাঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসে ছালাত আদায় করেছেন (মুসলিম হা/১৭২; মিশকাত হা/৫৮৬৬)। নবীগণের দেহ দুনিয়ার কবরে থাকা সত্ত্বেও মি‘রাজ রজনী
উত্তর : উল্লিখিত তিনটি ছালাতই মূলতঃ একই ছালাত। সময়ের ব্যবধানের কারণে নামের ভিন্নতা হয়ে থাকে। যেমন ‘শুরূক্ব’ অর্থ সূর্য উদিত হওয়া। ‘ইশরাক্ব’ অর্থ চমকিত হওয়া। ‘যোহা’ অর্থ সূর্য গরম হওয়া। এই ছালাত সূর্যোদয়
উত্তর : এ ধরণের হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে না। উক্ত অর্থ একদিকে ঘুষ গ্রহণ অন্যদিকে খেয়ানতের অন্তর্ভুক্ত হবে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষ দাতা ও ঘুষ গ্রহীতার প্রতি লা‘নত করেছেন (আবুদাউদ হা/৩৫৮০; ইবনু মাজাহ হা/২৩১৩; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্
উত্তর : অমুসলিম পিতা-মাতা, ভাই-বোনের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা পিতা-মাতার সাথে সর্বাবস্থায় সদাচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন (লোকমান ৩১/১৫)। রাসূল (ছাঃ) আসমা (রাঃ)-কে তার অমুসলিম মায়ের সাথে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন (বুখারী হা/৩১৮৩, মুসলিম, মি
উত্তর : শারঈ ওযরের কারণে জুম‘আর পরিবর্তে বাড়িতে জামা‘আতে যোহরের ছালাত আদায় করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনেছে এবং কোন ওযর বা অসুবিধা তাকে তার অনুসরণ করতে বাধা দেয়নি, তার আদায়কৃত ছালাত আল্লাহ কবুল করবেন না (আবূদাঊদ হা
উত্তর : কবরে মাটি দেওয়ার সময়ে পঠিতব্য কোন দো‘আ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। সুতরাং কেবল বিসমিল্লাহ বলাই যথেষ্ট (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৮/৯২)। এ সময় ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম ওয়া ফীহা নু‘ঈদুকুম ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তা-রাতান উখরা’ (ত্বোয়াহা ২০/৫৫) পড়ার ব্যাপারে বর
উত্তর : মসজিদে মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে স্বাভাবিক স্বরে সালাম দেয়া যাবে (বুখারী হা/৭৫৭; মুসলিম হা/৩৯৭; মিশকাত হা/৭৯০)। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থাতেও কেউ সালাম দিলে আঙ্গুলের ইশারায় তার জবাব দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৯১; মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১০১৩)। তবে
উত্তর : ভাড়ায় ব্যবহৃত ব্যবসায়িক পণ্যে যাকাত নেই (বুখারী হা/১৪৬৪; মুসলিম হা/৯৮২; ইবনুল উছায়মীন, মাজমু‘ ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েল ১৮/২০৮)। যেহেতু ডেকোরেটরের পণ্য ভাড়ায় ব্যবহৃত হয়, অতএব এতে যাকাত নেই। তবে ভাড়া থেকে প্রাপ্ত সম্পদের উপর যাকাত ধার্য হবে, যদি
উত্তর : এ অবস্থায় কেউ কারো ওয়ারিছ হবে না। বরং জীবিত আত্মীয়রা উত্তরাধিকারী হবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তি অপর মৃত ব্যক্তির ওয়ারিছ হবে না যতক্ষণ না জানা যাবে যে, কে আগে মারা গেছে (হাকেম হা/৮০১০; ইমাম মালিক, আল-মুদাউওয়ানাহ ২/৫৯৩৩)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/৭৬)। কেবল সূরা ইনশিরাহ নয়, বরং যেকোন সূরা পাঠ করে ঝাড়-ফূঁক করা যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর আমরা কুরআন নাযিল করি, যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমত স্বরূপ’ (ইসরা ১৭/৮২)।
উত্তর : যেহেতু বিপদ-আপদ থেকে আশ্রয় চেয়ে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা হয়, সেহেতু মহামারীর মত বিপদ থেকে রক্ষা পেতেও তা পাঠ করা যায় (হাশিয়াতু ইবনে আবেদীন ২/১১; মিরআ‘তুল মাফাতীহ ৪/৩০৩)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ বক্তব্য হ’ল, মুসলমানদের উপর শত
উত্তর : মুছল্লীদের পায়ের সাথে পা ও কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে কাতার সোজা করে দাঁড়ানো ছালাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ (বুখারী হা/৭২৩; মুসলিম হা/৪৩৩; মিশকাত হা/১০৮৭)। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে মহামারীর বিস্তৃতি রোধে ও নিজেকে হেফাযতের লক্ষ্যে জামা‘আতে
উত্তর : ঈদগাহকে সজ্জিত করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ ঈদগাহ হ’ল ইবাদতের স্থান। আর ইবাদতের স্থানকে সাজ-সজ্জায় সুশোভিত করা সিদ্ধ নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলূল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মসজিদ সমূহকে চাকচিক্যময় করে নির্মাণ করার জন্য আমি আদিষ্ট
উত্তর : যাবে। কারণ ফিৎরা ধনী-গরীব সকলের উপর ফরয। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫)। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম পরস্পরের ঋণ পরিশোধ করে দিতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০৬; ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/১৮৪)। যেহেতু জানের ছাদাক্বা হিসাবে ফিৎরা সকলের
উত্তর : দুর্গন্ধনাশক স্প্রে বা জীবাণুনাশক স্যানিটাইজারে অত্যধিক মাত্রায় এ্যালকোহল থাকলে তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ যা মাদকতা আনে তা খাওয়া, পান করা, ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রয় সবই হারাম (তিরমিযী হা/১২৯৫; মিশকাত হা/২৭৭৬, সনদ ছহীহ; ইবনু তায়ম
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে মুখ ঢেকে রাখতে নিষেধ করেছেন (আবূদাউদ হা/৯৬৬; তিরমিযী হা/৩৭৮; সনদ হাসান)। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে মুখ ঢেকে বা মাস্ক ব্যবহার করে ছালাত আদায় করা যাবে (বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ১/২৬৮; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১১/১১৪; আ
উত্তর : করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির জানাযার ছালাত আদায় করতে হবে। ওমর (রাঃ)-এর আমলে ভাইরাসে বহু মানুষ মারা যায়, যাদের জানাযার ছালাত আদায় করা হয়েছিল (বুখারী হা/২৬৪৩; আহমাদ হা/১৩৯; ইবনু হিববান হা/৩০২৮)। ইবনু কুদামা বলেন, যে সকল লোক হত্যা ব্যতীত শহী
উত্তর : এমতাবস্থায় কর্মস্থলকে মূল আবাসস্থল ধরতে হবে। সেই মোতাবেক নিজের গৃহ যদি সফরের দূরত্বে হয়, তবে পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনও থাকলেও সেখানে ছালাত ক্বছর করা যাবে (শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ১/২১৭; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ২/২১৪; উছায়মীন, লিকাউল বাবিল
উত্তর : মহামারীর বিস্তৃতি রোধে মসজিদের জামা‘আত বন্ধ থাকাবস্থায় জুম‘আর ছালাতের পরিবর্তে বাড়িতে যোহরের ছালাত আদায় করা জায়েয। কারণ এমতাবস্থায় মসজিদে একত্রিত হ’লে একে অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে পারে। আর ইসলামের মূলনীতি হ’ল, নিজে ক্ষতিগ্রস্ত ন
উত্তর : বিদ্বানদের মাঝে প্রচলন হ’ল- ‘রাযিয়াল্লাহ আনহু’কে ছাহাবীদের সাথে খাছ করা হয় এবং অন্যদের ক্ষেত্রে ‘রহমাতুল্লাহ’কে। ইমাম যায়লাঈ বলেন, ছাহাবীগণের ক্ষেত্রে রাযিয়াল্লাহ আনহু, তাবেঈ ও সালাফদের ক্ষেত্রে রাহিমাহুল্লাহ ও সাধারণ আলেমদের ক্ষেত্রে
উত্তর : গৃহই নারীর মূল কর্মস্থল (আহযাব ৩৩/৩৩)। বিশেষ প্রয়োজনে নারীকে বাইরে যেতে হ’লে পূর্ণ পর্দা রক্ষা করতে হবে। আর চিকিৎসা যেহেতু মানুষের মৌলিক অধিকার, সেহেতু প্রয়োজনে নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর চাকুরী করা নারীদের জন্য শরী‘আতসম্মত। সেক্ষেত্রে
উত্তর : এক্ষেত্রে মোট সম্পদের ৩৩.৩৩ শতাংশ পাবে সহোদর ভাই। আর ৪ সহোদর বোন প্রত্যেকে ১৬.৬৭ শতাংশ করে পাবে। আর পালক পুত্র বা পালক মেয়ে উত্তরাধিকারী না হওয়ায় নির্ধারিত কোন সম্পত্তি পাবে না। তবে সম্পত্তির মালিক চাইলে তাদের জন্য কিছু অছিয়ত করে যেতে
উত্তর : জেহরী ছালাতে মুক্তাদীরা ইমামের সাথেই চুপে চুপে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে (আহমাদ হা/২২৭৯৭-৮০২; বিন বায মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২২১; ঊছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ৩২২ পৃ.)। আর ইমামের সূরা ফাতিহা সম্পন্ন হওয়ার পরে জামা‘আতে যোগদান করলে নিজে নিজে নিরব
উত্তর : বারো ইমামের অনুসারী শী‘আ ও রাফেযী নারীদের বিবাহ করা যাবে না। কারণ তাদের আক্বীদা মুশরিকদের ন্যায়। আল্লাহ বলেন, আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে (বাক্বারাহ ২/২২১)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, রাফেযা
উত্তর : অবস্থানের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্বাদাহ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাক‘আত ছালাত (তাহিয়াতুল মসজিদ) আদায় করার পূর্বে যেন না বসে (বুখারী হা/১১৬৩; মুসলিম হা/৭১৪; মিশকাত
উত্তর : মসজিদের বাইরে যদি কবর থেকে পৃথককারী প্রাচীর থাকে, তবে সেই মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে, অন্যথায় নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩১/১২; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৫৭; আলবানী, তাহযীরুস সাজেদ, পৃঃ ১২৭)। কারণ রাসূল (ছাঃ) কবরের দিকে ফিরে ছা
উত্তর : হাই উঠার সময় মুখে হাত দিয়ে বাধা দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হাই তোলা শয়তানের পক্ষ হ’তে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কারো যখন হাই আসবে তখন তা সাধ্যমত রোধ করবে। হাই তোলার সময় যেন ‘হা’ না বলে, কেননা শয়তান তাতে হাসে (বুখারী হা/৩২৮৯; মিশকাত হা/৯৮
উত্তর : এমতাবস্থায় অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। বরং ঘুম ভাঙ্গা মাত্রই ছালাত আদায় করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি কোন ছালাত ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে গেলে যখন স্মরণ হবে তখনই যেন ছালাত আদায় করে’ (বুখারী হা/৫৯৭; মুসলিম হা/৬৮৪; মিশকাত হা/৬০৪)।
উত্তর : এমন অবস্থায় উক্ত নারীকে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা মুমিন নারীদের বিবাহ করবে, অতঃপর তাকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিবে, তখন তোমাদের জন্য তাদের উপর কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গণনা করবে’ (আহযাব ৩৩/৪৯)।
উত্তর : ফরয ব্যতীত নফল ছালাতে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা যাবে না। কারণ এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের কোন আমল দ্বারা প্রমাণিত নয় (হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ৬/৩৮)।
উত্তর : যে কোন মহামারী মূলতঃ আল্লাহর গযব। তবে ধৈর্যশীল মুমিনদের জন্য এটা রহমতে পরিণত হতে পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, এটি একটি আযাব। আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা করেন তার উপর এটি প্রেরণ করেন। তিনি তাঁর মুমিন বান্দাগণের জন্য এট
উত্তর : কর্মস্থলের এলাকাটি মহামারী আক্রান্ত হয়ে পড়লে সেখান থেকে বের হ’তে পারবে না। কেননা এতে তার দ্বারা অপর মানুষও আক্রান্ত হতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন তোমরা কোন এলাকায় মহামারী বিস্তারের সংবাদ শোন, তখন সেই এলাকায় প্রবেশ করো না। আর তোমরা য
উত্তর : ত্বাউন বা প্লেগ রোগ হ’ল একটি বিশেষ ঘা, যা দেহের প্রতিটি অঙ্গ তথা হাত, পা, বগল পেট, পিঠসহ পুরো দেহে দেখা যায়, যাতে শরীর ফুলে যায় এবং এতে প্রচন্ড ব্যথাও হ’তে পারে (নববী, শরহ মুসলিম ১৪/২০৪; শারহুস সুয়ূতী আলা মুসলিম ৫/২৩১)। আর মহামারী (ওয়
উত্তর : মানব হত্যা মহাপাপ। সে সন্তান হোক বা অন্য কেউ হোক (আন‘আম ১০১; নিসা ৪/৯৩)। তবে পিতা কর্তৃক সন্তান নিহত হ’লে তার উপরে শরী‘আত নির্ধারিত হদ কার্যকর হবে না। আদালত তার জন্য ভিন্ন শাস্তি নির্ধারণ করবে এবং সে মীরাছ থেকে বঞ্চিত হবে। এ মর্মে রাসূল
উত্তর : হ্যাঁ পারে। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ)-এর সামনে এক ব্যক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হ’ল, যে সকাল বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটিয়েছে, ফজরের ছালাতের জন্য জাগ্রত হয়নি। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, শয়তান তার কানে পেশাব করে দিয়েছে (বুখা
উত্তর : বছরে পাঁচ দিন ছিয়াম পালন করা নিষিদ্ধ। সেগুলো হ’ল- দুই ঈদের দিন। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহার দিন ছিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/১৯৯১, মুসলিম হা/১১৩৭, মিশকাত হা/২০৪৮)। এছাড়া আইয়ামে তাশরীক্ব তথা ঈ
উত্তর : আল্লাহকে তাঁর গুণবাচক নামে ডাকতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর আল্লাহর জন্য সুন্দর নাম সমূহ রয়েছে। সেসব নামেই তোমরা তাঁকে ডাক (আ‘রাফ ৭/১৮০)। তবে কেউ নিজ ভাষায় কুরআন বা হাদীছে বর্ণিত ছিফাতী নামের সঠিক অর্থবোধক শব্দ যেমন প্রভু, প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্
উত্তর : এমতাবস্থায় পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করবে। সামনের কাতার থেকে টেনে নেওয়া মর্মে বর্ণিত হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ (ত্বাবরাণী আওসাত্ব হা/৭৭৬৪; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২৫৩৭; যঈফাহ হা/৯২১-৯২২)। তাছাড়া সামনের কাতার থেকে মুছল্লীকে পিছনে টেনে আনলে কাতারে
উত্তর : পঙ্গপাল এক প্রকারের বড় জাতের ফড়িংসদৃশ প্রাণী, যা ভক্ষণ করা হালাল। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমাদের জন্য দু’টি মৃত জীব হালাল করা হয়েছে, মাছ ও জারাদ (পঙ্গপাল) (ইবনু মাজাহ হা/৩৩১৪; ছহীহাহ হা/১১১৮)। ছাহাবীগণ বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে
উত্তর : সিজদার আয়াত যখনই পাঠ করবে বা শ্রবণ করবে তখনই সিজদা দেওয়া সুন্নাত। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন এবং আমরা তাঁর নিকট থাকতাম, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম। এতে এত ভিড় হ’ত যে,
উত্তর : কোন মুমিন অপর মুমিনকে অভিশাপ দিতে পারে না (আহমাদ হা/৩৯৪৮, তিরমিযী হা/১৯৭৭, মিশকাত হা/৪৮৪৭; ছহীহুত তারগীব হা/২৭৮৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন মুমিনকে অভিশাপ দেয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য’ (বুখারী হা/৬৬৫২; মুসলিম হা/১৭৬; মিশকাত হা/৩৪১০)। বিশেষত স্
উত্তর : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য যদি ছিয়াম পালন ক্ষতির কারণ হয়, তবে ছিয়াম ছেড়ে দেবে এবং তা গণনা করে পরবর্তীতে সুস্থ হ’লে আদায় করবে (বাক্বারাহ ২/১৮৬)। আর এ অবস্থায় মারা গেলে তার উপর কিছুই ওয়াজিব হবে না, কেননা সে অপারগ ছিল (নববী, আল মাজ
উত্তর : বাউল একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়। তাদের নিজস্ব তত্ত্ব- দর্শন ও সাধন-পদ্ধতি রয়েছে। এই লোকধর্মের সাধকদের তত্ত্ব ও দর্শন সম্বলিত গানকে ‘বাউল গান’ বলে। বাউলরা সঙ্গীতাশ্রয়ী, মৈথুন ও দেহভিত্তিক গুপ্ত সাধনার অনুসারী। এই সাধনায় সহজিয়া ও ছূফী ভাবধার
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, মদীনার দরজা সমূহে ফেরেশতাগণ পাহারায় রয়েছেন। তাই এতে প্লেগ ও দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না (বুখারী হা/১৮৮০; মুসলিম হা/১৩৭৯; মিশকাত হা/২৭৪১)। অপর বর্ণনায় মক্কা ও মদীনা উভয়ের কথা বলা হয়েছে (আহমাদ হা/১০২৭০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/৫৮
উত্তর : কেবল সারাদিন পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকার নাম ছিয়াম নয়। বরং ছিয়াম সাধনা হচ্ছে পানাহার থেকে বিরত থাকার সাথে সাথে সকল প্রকার মিথ্যা থেকে বিরত থাকা। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকে না, সে ব্যক্তির
উত্তর : জান্নাতে রাত্রি-দিন নেই। ইমাম কুরতুবীসহ কতিপয় মুফাস্সির বর্ণনা করেছেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! জান্নাতে কি রাত বা দিন হবে? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার মধ্যে কে এ ধরনের প্রশ্ন উঠাল? সে বলল, আল্লাহ তা‘আলা
উত্তর : উপার্জিত সম্পদ উপার্জনকারীর জন্য হারাম। তবে উপার্জনকারীর ওয়ারিছ হিসাবে বৈধ পন্থায় গ্রহণকারী উত্তরাধীকারীরা এ জন্য দায়ী হবে না (উছায়মীন, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ৫৭ আয়াত ১/১৯৮)। সুতরাং সাধারণভাবে পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিছরা তার সম্পদের উত্তরাধিকা
উত্তর : ঝড়-তুফান বা বৃষ্টির সময় আযান দেওয়ার বিধান ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে বৃষ্টির সময় দো‘আ কবূল হয় (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৫৭৫৬; ছহীহাহ হা/১৪৬৯; মিশকাত হা/৬৭২)। এজন্য এ সময় যেকোন কল্যাণকর দো‘আ করা যেতে পারে। রাসূল (ছাঃ) এমন সময় বলতেন, আল্লাহু
উত্তর : গোনাহ হবে না। বরং এরূপ পরিস্থিতিতে মুছাফাহা ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকাই কর্তব্য। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘এবং তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না’ (বাক্বারাহ ২/১৯৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অন্যের ক্ষতি করো না এবং নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না (ইবনু মাজা
উত্তর : ফজর ছালাতের পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠের ফযীলত সংক্রান্ত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৯২২; মিশকাত হা/২১৫৭; যঈফুল জামে‘ হা/৫৭৩২)। অতএব একাকী হৌক বা সম্মিলিতভাবে হৌক এটি পড়া থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
উত্তর : কোন বাধা নেই। তবে ছহীহ দ্বীন পালনে প্রতিবন্ধকতার আশংকা থাকলে বিরত থাকাই সমীচীন। কারণ বিবাহে সার্বিক ক্ষেত্রে কুফূ থাকা যরূরী। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং সমতা (কুফূ) ব
উত্তর : জুমআ‘র দিন রাসূল (ছাঃ) মসজিদে গিয়েই খুৎবার জন্য মিম্বারে বসতেন। এসময় তিনি ‘তাহিইয়াতুল মসজিদ’ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৪০১; উছায়মীন, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ৮/২; বিন বায, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দার
উত্তর : মা পাবে ১৬.৭%, স্ত্রী পাবে ২৫%, ভাই-১ পাবে ২৯.১৫%, ভাই-২ পাবে ২৯.১৫%। এক্ষেত্রে স্ত্রী ১/৪ অংশ পাবে যখন সন্তান না থাকে। মাতা ১/৬ অংশ পাবে যখন পুত্র ও পুত্রের পুত্র এবং দুই বা ততোধিক ভাই-বোন এবং পিতা থাকে। সহোদর ভাই একমাত্র অবশিষ্ট ভোগ
উত্তর : ফজরের আযানের সাথে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাউম’ কথাটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (আহমাদ হা/১৫৪১৬; ছহীহাহ হা/২৬০৫-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। আবু মাহযূরাহ (রাঃ) বর্ণিত আযান শিক্ষা দান বিষয়ক হাদীছে এসেছে ‘অতঃপর যদি এটা ফজরের ছালাত হয়, তাহ’লে তুমি
উত্তর : যাবে। কেননা ভিনেগার বা সিরকায় ব্যবহৃত উপাদান মদের পর্যায়ভুক্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) সিরকাকে উত্তম তরকারী হিসাবে অভিহিত করেছেন (মুসলিম হা/২০৫১-৫২; মিশকাত হা/৪১৮৩)। সুতরাং আপেল বা যে কোন ফলমূল থেকে প্রস্ত্ততকৃত ভিনেগার খাওয়া বা খাদ্যে ব্যবহারে কো
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) থেকে এ বিষয়ে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে অলীদ বলেন, আমার নিকট খবর পৌঁছেছে যে, কা‘ব বলেছেন, মাহদী আবির্ভাবের পূর্বে পূর্বাকাশে একটি নক্ষত্র উদিত হবে। যার লেজ সমূহ থাকবে (নাঈম বিন হাম্মাদ, আল-ফিতান হা/৬৪২-৪৩)। বর্ণনাটির সনদ যঈফ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) কখনও ছালাতে কুরআন তেলাওয়াতের সময় তাসবীহ রয়েছে এমন আয়াতে তাসবীহ পাঠ করতেন, আবার প্রার্থনার আয়াতে প্রার্থনা করতেন এবং শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আয়াতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন (মুসলিম হা/৭৭২)। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কি পড়তেন তা ব
উত্তর : এক্ষেত্রে দু’টি সুন্নাতের উপর সমন্বয় করে আমল করা উত্তম। অর্থাৎ প্রথমে আযানের জওয়াব দিবে। অতঃপর তাহিইয়াতুল মসজিদ দু’রাক‘আত আদায় করে ইমামের খুৎবা শ্রবণের জন্য বসে যাবে। এতে সে দু’টি সুন্নাতই আদায়ের নেকী পেয়ে যাবে (মুসলিম হা/৩৮৪; মিশকাত
উত্তর : ইমাম মিম্বরে উঠে মুক্তাদীদের উদ্দেশ্যে সালাম প্রদান করবেন (ইবনু মাজাহ হা/১১০৯; ছহীহাহ হা/২০৭৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭৪৫)। তবে এই সালাম খুৎবার সূচনা নয়। বরং ইমাম দাঁড়িয়ে খুৎবা শুরু করলে সূচনা হয়। কারণ এ সময়কে খুৎবার সূচনা ধরা হ’লে আযানের জওয়াব
উত্তর : গুল ও জর্দা এবং এ জাতীয় দ্রব্য মাদকতা আনয়ন করে বিধায় এগুলি হারাম। আর মাদক সেবনের শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মদপান করে এবং মাতাল হয়, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার ছালাত কবুল হয় না। সে মারা গেলে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং ছফর মাসেও কোন অশুভ নেই। একথা শুনে জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তাহ’লে পালের মধ্যে একটা চর্মরোগী উট আসলে বাকীগুলি চর্মরোগী হয়
উত্তর : এগুলি হিন্দুয়ানী বা বিজাতীয় প্রথার অনুকরণ হ’লে তা অবশ্যই বর্জনীয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর (বুখারী হা/৫৮৯২; মিশকাত হা/৪৪২১)। অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতির অন্তর্
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফুল জামে‘ হা/৩৯৫১)। তবে সূরা ফাতিহায় যে বিবিধ রোগের চিকিৎসা রয়েছে, তা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/২২৭৬; মিশকাত হা/২৯৩৫)।
উত্তর : কোন প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের উপর ইহসান (যথাসাধ্য সুন্দর রূপে সম্পাদন করা) অত্যাবশ্যক করেছেন। সুতরাং তোমরা যখন (কোন প্রাণীকে) হত্যা করবে, তখন উত্তম পন্থায় হত্যা করবে;
উত্তর : উক্ত দু’রাক‘আতে তিনি কোন সূরা পাঠ করতেন তা বর্ণিত হয়নি (মুসলিম হা/৭৬৭)। নববী বলেন, প্রস্ত্ততিমূলকভাবে তিনি প্রথম দু’রাক‘আতকে সংক্ষিপ্ত করতেন যাতে পরবর্তী রাক‘আতগুলিতে ক্লান্তি না আসে (শরহ মুসলিম ৬/৫৪)।
উত্তর : হ্যাঁ, ওযূর শেষে বৈঠক ভঙ্গের দো‘আটি পাঠ করা মুস্তাহাব। দো‘আটি হ’ল- ‘সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা’ (মহা পবিত্র হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্
উত্তর : এক্ষেত্রে কবরটি নিজ অবস্থায় রেখে দিতে পারে। অথবা মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়ে অন্যান্য কবরের মত সমতল করে দিবে। তবে সেখানে কোনরকম নির্মাণ কাজ করা যাবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৪৪৫)।
উত্তর : যে কোন মহামারীতে আক্রান্ত ব্যক্তি ঈমানের সাথে মারা গেলে সে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। যেমন হাফছা বিনতু সীরীন (রাঃ) বলেন, আমাকে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়াহইয়া কি রোগে মারা গেছে? আমি বললাম, প্লেগ বা মহামারী রোগে। তিনি বললেন
উত্তর : পতিতা মুসলিম হ’লে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা যাবে। তবে সে কবীরা গুনাহগার বলে মুত্তাক্বীগণ অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন, যাতে জীবিত পাপীরা শিক্ষা গ্রহণ করে যে, তাদের জানাযায় কোন মুত্তাক্বী মুসলিম অংশগ্রহণ করবেন না (ইবনু কুদামা, মুগনী ২/৪১৭; ই
উত্তর : হায়েয ও নিফাস ব্যতীত সর্বাবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করা জায়েয। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত স্বরূপ। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা আগমন কর’ (বাক্বারাহ ২/২২৩)। তবে যে সকল নারীর জরায়ু দুর্বল বলে চি
উত্তর : বিবাহের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বিশেষ উপহার ফেরত চাওয়া যেতে পারে। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি বিবাহের পূর্বে বিবাহের ওয়াদার প্রেক্ষিতে হাদিয়া প্রদান করা হয় আর বিবাহ দেওয়া না হয়, তাহ’লে হাদিয়া ফেরত দিবে (আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৪৭২)। একইরূপ বলেছ
উত্তর : বৈধ পন্থায় মালিকের নিকট প্রাপ্যের ব্যাপারে আবেদন করবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের আশ্রয় নিয়ে স্বীয় অধিকার আদায়ের চেষ্টা করবে। যদি কোনভাবেই তা আদায় করা সম্ভব না হয়, তবে পরকালে তা প্রাপ্তির জন্য কামনা করতে হবে। কেননা ক্বিয়ামতের দিন সমস্ত যালেমে
উত্তর : একই জাতীয় মুদ্রা যেমন আমেরিকান ডলারের বিনিময়ে আমেরিকান ডলারের ব্যবসা করা যাবেনা। তবে ডলারের বিনিময়ে রিয়াল বা অন্য দেশের মুদ্রা কেনা-বেচার ব্যবসা করা যাবে। সেক্ষেত্রে নগদে কমবেশী করা যাবে; কিন্তু বাকীতে কমবেশী করে করা যাবে না (বুখারী হ
উত্তর : স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন অস্থায়ী বা সাময়িক ব্যবস্থা পুরুষেরা গ্রহণ করতে পারে। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে ছাহাবায়ে কেরাম আযলের মত সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন (বুখারী হা/৫২০৮; মুসলিম হা/১৪৪০; মিশকাত হা/৩১৮৪)। এর দ্বারা উদ্দেশ্যে ছিল
উত্তর : এটি উম্মতে মুহাম্মাদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যা অন্য কোন নবীর উম্মতের ব্যাপারে বর্ণিত হয়নি। পূর্ববর্তী নবীগণ কিভাবে তাদের উম্মতকে চিনবেন সে ব্যাপারে কিছুই বর্ণিত হয়নি। তবে পূর্ববর্তী উম্মতদের উপরও ওযূর বিধান ছিল। কারণ যখন ইব্রাহীম (আঃ)-এর
উত্তর : যদি পৃথক প্রাচীর থাকে, তবে ছালাত আদায়ে দোষ নেই। কিন্তু মসজিদের প্রাচীর ও টয়লেটের প্রাচীর যদি একই হয়। তাহ’লে উক্ত মসজিদে ছালাত থেকে বিরত থাকাই উত্তম। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ), ইবনু আববাস (রাঃ), ইমাম নাখঈ, ইমাম আহমাদসহ বহু বিদ্বান বলতে
উত্তর : কুকুরের লালা নাপাক। কিন্তু শরীর নাপাক নয়। সুতরাং কুকুর যদি কারো শরীর অথবা কাপড় ছুঁয়ে দেয় বা শুঁকে দেয় তাহ’লে তা নাপাক হবে না, যদিও কুকুরের শরীর পানি দ্বারা ভেজা থাকে। তবে পা বা শরীর চেটে দিলে কুকুরের লালা কাপড়ের যে অংশে লেগেছে তা অবশ্
উত্তর : জান্নাতী নারী হৌক বা পুরুষ হৌক সকলের পোষাক সবুজ হবে। আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতীদের পোষাক হবে মিহি সবুজ ও মোটা রেশমী কাপড়’ (দাহার ৭৬/২১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘তারা ঠেস দিয়ে বসবে সবুজ বালিশে ও নকশাদার গালিচার উপরে’ (আর-রহমান ৫৫/৭৬)। অন্যত্র তিনি ব
উত্তর : মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করলে তাতে ছওয়াব পাবে না। কেননা উচ্চ বা অনুচ্চ স্বরে মৌখিক উচ্চারণ ব্যতীত তা তেলাওয়াত হিসাবে গণ্য হবে না। তবে গবেষণা ও মুখস্থের উদ্দেশ্যে মনে মনে কুরআন পাঠ করায় কোন দোষ নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/৩৬৩; মাওয়াহিবু
উত্তর : এরূপ ক্ষেত্রে তাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। তার সাথে সহবাস নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন গর্ভবতী বন্দিনীর সাথে তার সন্তান প্রসবের আগে এবং কোন নারীর সাথে তার হায়েয হ’তে পবিত্র হওয়ার পূর্বে সহবাস করবে না (আবূদাউদ হা/২১৫৭; মিশকাত হা/৩৩৩৮)।
উত্তর : লাশ দাফনের পূর্বে বা পরে আযান দেওয়া বিদ‘আত। একদল শাফেঈ বিদ্বান শিশু জন্মের পর আযান দেওয়ার উপর ক্বিয়াস করে দাফন শেষে আযান দেওয়া জায়েয বলেছেন, যা বাতিল ক্বিয়াস। অতএব এধরনের বিধান ইসলামী শরী‘আতে নেই (ইবনু হাজার হায়তামী, আল ফাতাওয়াল কুবরা আ
উত্তর : লুঙ্গি ও পায়জামা দু’টোই পরা জায়েয। তবে শর্ত হ’ল তা ঢিলাঢালা ও সতর আবৃতকারী হ’তে হবে (ফাৎহুল বারী ১০/২৭২)। আর রাসূল (ছাঃ) নিজের জন্য পায়জামা ক্রয় করেছেন এবং ছাহাবীদের ক্রয়-বিক্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন (নাসাঈ হা/৪৫৯২; ইবনু মাজাহ হা/২২২০)। একবার
উত্তর : তাকবীর ধ্বনি আগুন নেভাতে সহায়তা করে মর্মে কিছু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তবে সেগুলো সবই যঈফ (যঈফাহ হা/২৬০৩, ৬৪২০; যঈফুল জামে‘ হা/৫০৪)। অবশ্য ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘ছালাত, আযান ও ঈদের নিদর্শন হ’ল তাকবীর ধ্বনি। উঁচু স্থানে উঠার সময় তাকবী
উত্তর : এটি শরী‘আতসম্মত। ঝড়-তুফান বা মহামারীর সময় আযানে ‘হাইয়া ‘আলাছ-ছালাহ’-এর পরিবর্তে ‘ছাল্লূ ফী বুয়ূতিকুম’ বা ‘ফী রেহালিকুম’ (তোমরা বাড়িতে বা স্ব স্ব আবাসস্থলে ছালাত আদায় কর) বলা যাবে (বুখারী হা/৯০১, ৬৩২; মুসলিম হা/৬৯৯, ৬৯৭; মিশকাত হা/১০৫৫)।
উত্তর : উক্ত মর্মে ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে একটি বর্ণনা এসেছে, যার সনদকে হাকেম ও বায়হাক্বী ছাড়া অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ যঈফ ও জাল বলেছেন। বায়হাক্বী এর সনদ ছহীহ বললেও একেবারেই ‘শায’ বলে উল্লেখ করেছেন (হাকেম হা/৩৮২২; বায়হাক্বী, আল-আসমাউস ছিফাত হা/৮৩১
উত্তর : দাওয়াতের ব্যাপারটি মুসলমানদের পারস্পরিক হক-এর অন্তর্ভুক্ত (নাসাঈ হা/১৯৩৮; মিশকাত হা/৪৬৩০)। কিন্তু প্রকাশ্যে শরী‘আত বিরোধী কর্মকান্ড হয় এমন ক্ষেত্রে দাওয়াতদাতাকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। নতুবা এমন অনুষ্ঠানকে সাধ্যমত এড়িয়ে চলবে (আবূদাঊদ হা
উত্তর : জামা-কাপড় পরিষ্কার করার জন্য তিনবার হওয়া শর্ত নয় বরং অপবিত্রতা বা দুর্গন্ধ দূর হওয়া শর্ত (বুখারী হা/২২৭; মুসলিম হা/২৯১)। আর সেটা একবারও হ’তে পারে আবার অধিক বারও হ’তে পারে (বুখারী হা/১২৫৪; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১/৪২১-২৩)। আর যদি ভালভাবে
উত্তর : জেনে-শুনে চোরাই পথে আনীত এসব পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘পাপ ও অন্যায়ের কাজে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)।
উত্তর : এমতাবস্থায় মাকে সাধ্যমত বুঝিয়ে উক্ত ঢাকনা খুলে ফেলতে হবে। কারণ এ ধরনের বিশ্বাস স্পষ্ট শিরক। আর শিরকের গুনাহ কখনও ক্ষমা হয় না (নিসা ৪/৪৮, ১১৬)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার চল্লিশ দিনের ছ
উত্তর : কবরের দিকে মুখ করে দো‘আ করা যায়। এজন্য ক্বিবলামুখী হওয়া শর্ত নয় (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৩৮)। রাসূল (ছাঃ) মৃতের দাফন শেষ করে কবরে দাঁড়িয়ে বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং সে যেন প্রতিষ্ঠিত থাকে সেজন্য দো‘আ কর।
উত্তর : নাবালেগ শিশুর বিবাহের ক্ষেত্রে পিতার সম্মতিই যথেষ্ট। কারণ আবুবকর (রাঃ) তার নাবালেগ মেয়ে আয়েশা (রাঃ)-এর বিবাহ দিয়েছিলেন রাসূলের সাথে অথচ তিনি আয়েশার অনুমতি নেননি। কারণ পিতাই ভালো জানেন সন্তানের কল্যাণ কোথায় হবে। তবে পিতা ছাড়া অন্য কেউ
উত্তর : তারাবীহ বা তাহাজ্জুদের শেষে এক রাক‘আত বিতর যোগ করলে সমস্ত ছালাতই বিতর হয়ে যায়। তবে সাধারণতঃ শেষের এক, তিন বা পাঁচ রাক‘আতকে বিতর বলা হয়। এগুলির মধ্যে চার খলীফাসহ অধিকাংশ ছাহাবী, তাবেঈ ও মুজতাহিদ ইমামগণ এক রাক‘আত বিতরে অভ্যস্ত ছিলেন (না
উত্তর : বিদ‘আত যদি এমন বিদ‘আত হয় যা মানুষকে দ্বীন থেকে বের করে দেয়, তাহ’লে তাকে সালাম দেওয়া যাবে না। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, জমহূর বিদ্বানগণের মতে, বিদ‘আতী ও ফাসেক তথা পাপাচারীদের সালাম দেওয়া যাবে না। ইমাম নববী বলেন, বিদ‘আতী যারা বড় পাপের সাথে
উত্তর : মহিলারা পর্দার মধ্যে জানাযার ছালাত পড়তে পারে এবং পুরুষদের পিছনেও অংশ গ্রহণ করতে পারে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১৩৪-৩৬)। আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য উম্মাহাতুল মুমিনীন মসজিদে নববীর মধ্যে সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ)-এর লাশ আনিয়ে নিজেরা জানাযা পড়েছ
উত্তর : পারস্পরিক সাক্ষাতের ক্ষেত্রে সালাম করাই সুন্নাত (আবুদাঊদ হা/৫২০০, মিশকাত হা/৪৬৫০)। আর সালামের পর মুছাফাহা করতে হবে। একদা আনাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ যখন তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন সে কি তা
উত্তর : ওযূর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করার ফযীলতের ব্যাপারে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। কোন কোন বিদ্বান মুস্তাহাব বললেও এ ব্যাপারে কোন দলীল নেই (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ৪৩/৩৭৮)। তবে এটা জাযেয। যেমন একদা আলী (রাঃ)-এর নিকটে ওযূর পানি আনা হ’লে তিনি
উত্তর : এক্ষেত্রে অনুচ্চস্বরে তেলাওয়াত করাই উত্তম। কারণ এক মুছল্লীর সশব্দে তেলাওয়াতের কারণে অন্যের ইবাদতে বিঘ্ন ঘটতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন মুছল্লী ছালাতরত অবস্থায় থাকলে অন্যদেরকে কুরআন পর্যন্ত নিম্নস্বরে তেলাওয়াত করার নির্দেশ দিয়েছেন (আ
উত্তর : উক্ত ঘটনা সত্য। ছহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, ওয়াহশী তায়েফবাসী একদল প্রতিনিধির সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে দেখে তিনি বলেন, তুমি কি ওয়াহ্শী? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমিই কি হামযাকে হত্যা করেছিলে? ওয়াহশী
উত্তর : হাক্কুল ইবাদ নষ্ট করায় তিনি যে অপরাধ করেছেন তা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ক্ষমা না করলে ক্ষমা হওয়ার নয় (বুখারী হা/২৪৪৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,...যে যুলুমের ব্যাপারে আল্লাহ ছাড় দেন না, তা হ’ল বান্দার উপর কৃত যুলুম, যার বদলা তিনি বান্দাদের একে অপর থ
উত্তর : হ্যাঁ, রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যোহরের আগে চার রাক‘আত এবং পরে চার রাক‘আত আদায় করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন (নাসাঈ হা/১৮১৭; তিরমিযী হা/৪২৮; মিশকাত হা/১১৬৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৬১৯৫)। এছাড়া রাসূল
উত্তর : সুপারী হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট কোন দলীল নেই। তবে সুপারীকে জাগ দিয়ে পচানোর পর যদি তাতে মাদকতা আসে, তাহ’লে মাদকতার কারণে তা খাওয়া হারাম হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক নেশাদার বস্ত্তই মাদক এবং প্রত্যেক মাদকই হারাম’ (মুসলিম হা
উত্তর : মেয়ের মূল অভিভাবক বা ওলী হ’লেন তার পিতা। পিতার অমতে বা অনুমতি ছাড়া বড় ভাই তার বোনকে বিয়ে দিতে পারবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৫/৪৫২)। উল্লেখ্য যে, পিতার অবর্তমানে দাদা, পুত্র, পৌত্র, আপন ভাই, সৎভাই, অতঃপর উত্তরাধিকারী হিসাবে ধা
উত্তর : এই ধরণের অনিচ্ছাকৃত হত্যার ক্ষেত্রে ইসলামের শাস্তিবিধান হ’ল দিয়াত বা রক্তমূল্য প্রদান করা। আল্লাহ বলেন, ‘যদি কোন মুমিন কোন মুমিনকে ভুলক্রমে হত্যা করে, তবে সে একজন মুমিন ক্রীতদাসকে মুক্ত করবে এবং তার পরিবারকে রক্তমূল্য প্রদান করবে। তবে
উত্তর : কাতারবন্দী হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় বর্ণিত হয়নি। সুতরাং ইক্বামতের শুরুতে, মাঝে বা শেষে যে কোন সময় দাঁড়ানো যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যখন ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হবে, তখন আমাকে বের হয়ে আসতে না দেখা পর্যন্ত তোমরা দাঁড়াব
উত্তর : ক্যাশ ব্যাক অর্থ মূল্য ফেরত। এটি সূদের পর্যায়ে পড়ে না। কারণ এখানে কোথাও টাকার বিনিময়ে টাকার লেনদেন করা হচ্ছে না। বরং এটি কোম্পানীর পক্ষ থেকে উৎসাহমূলক হাদিয়া হিসাবে গণ্য হবে। এমন হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয। কেননা মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূ
উত্তর : ফরয ছালাতের পর পঠিতব্য দো‘আ সমূহ ফরয ছালাতের পর পাঠ করাই সুন্নাত। কারণ এ ব্যাপারে যে সকল হাদীছ এসেছে তাতে ফরয ছালাতের পরের কথা বলা হয়েছে (মুসলিম হা/৫৯১-৫৯৬; মিশকাত হা/৯৬১-৯৬৬; আলবানী, ছহীহাহ হা/১০২-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে দো‘আ হিসাবে
উত্তর : নারীরা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য মাথার চুল উটের কুঁজের মত (كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ) উঁচু করে বাঁধতে পারবে না। প্রাচীন যুগে মিসরীয় নারীরা এভাবে বাঁধত। পরপুরুষকে আকৃষ্টকারী এইসব মহিলারা জাহান্নামী এবং তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (মুস
উত্তর : পবিত্র জুতা পায়ে দিয়ে জানাযার ছালাত আদায় করা এবং কবরে মাটি দেওয়া ও কবরস্থানে যাওয়া যাবে (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/১২৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জুতা পায়ে দিয়ে ছালাত আদায় করেছেন (আবুদাঊদ, দারেমী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৭৬৬)। উল্লেখ্য, যে হাদীছে জুত
উত্তর : সাধারণ দান বা উপহার হিসাবে দেওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া দাও ও মহববত বৃদ্ধি কর’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)। তবে কাউকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে বা একাধিক স্ত্রী কিংবা একাধিক সন্তান থাকলে কাউকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে দান ক
উত্তর : এমতাবস্থায় মসজিদ কমিটির সাথে সমঝোতা করে উক্ত জমির মূল্য প্রদান বা অন্য পার্শ্বে পরিমাণমত জমি দেওয়ায় কোন বাধা নেই। কারণ প্রয়োজন সাপেক্ষে মসজিদের জমি ক্রয়-বিক্রয় করা বা মসজিদ স্থানান্তর করা জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/৩৮, ৬০)। ইমাম আহ
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমাদের মুক্বীম ও মুসাফিরদের জন্য ভোগ্যবস্ত্ত হিসাবে সমুদ্রের শিকার ও সামুদ্রিক খাদ্য হালাল করা হ’ল’ (মায়েদাহ ৫/৯৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সমুদ্রে্র পানি পবিত্র আর এর মৃত জীব হালাল (আবুদাউদ হা/৮৩; মিশকাত হা/৪৭৯; ছহীহাহ হা/৪৮০)
উত্তর : এটি দোষণীয় নয়। রাসূল (ছাঃ) ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী বিধবা খাদীজা (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন। অন্যদিকে ৬ বছরের আয়েশার সাথে ৫৪ বছরের রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ে হয়েছিল (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৭৬৩-৬৪ পৃ.)। অতএব ছেলে বা মেয়ে পরস্পরের বয়সে কম-বেশ
উত্তর : উক্ত মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প বা ডিপিএস অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ নেকীর আশা ব্যতীত জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি হারাম উপার্জন করল, অতঃপর তা থেকে ছাদাক্বা করল, সে তার ছওয়াব পাবে না এবং হ
উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া কাবীরা গোনাহ সমূহের অন্তর্ভুক্ত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৫০)। কোন মেয়ে পিতা বা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করলে বিবাহ বাতিল বলে গণ্য হবে (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে যদি ঐরূপ বিবাহ করে তাহ
উত্তর : ছাত্র-ছাত্রীদের উপদেশ ও পথনির্দেশনা দেওয়া এবং মন্দ কর্ম হ’তে সতর্ক করার জন্য বিদায় অনুষ্ঠান করায় কোন বাধা নেই। তবে অনুষ্ঠানটি কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক হ’তে হবে এবং শরী‘আত বহির্ভূত সকল কাজ হ’তে মুক্ত রাখতে হবে। রাসূল (ছাঃ) কোন সৈন্যদল অথব
উত্তর : উপরে বর্ণিত অধিকাংশ কার্যক্রমই শরী‘আত বিরোধী। এসব কাজে সহায়তার অর্থ শরী‘আত বিরোধী কাজে সহায়তা করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর। গোনাহ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। এর
উত্তর : রজব মাসের বিশেষ মর্যাদা বা বিশেষ কোন ইবাদত যেমন ছালাত-ছিয়াম ও যিকির-আযকারের ব্যাপারে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, সবই যঈফ ও জাল। যেমন ‘যে ব্যক্তি রজব মাসে তিনটি ছিয়াম পালন করবে, তার জন্য আল্লাহ এক মাসের ছিয়াম লিখে দিবেন’। হাদীছটি জাল (আল-লা‘
উত্তর : উক্ত মর্মে মুসনাদে বাযযার ও ত্বাবারাণী কাবীরসহ কিছু গ্রন্থে একটি বর্ণনা এসেছে যার সনদ অত্যন্ত যঈফ এবং মতন মুযতারিব (আলবানী, তাহযীরুস সাজেদ মিন ইত্তিখাযিল কুবূরি মাসাজিদ ৬৮ পৃ.)। কারণ মসজিদে খায়েফে সত্তর জন নবীর কবর নেই। বরং সত্তর জন নবী মসজ
উত্তর : ছালাতে শিশুদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া উত্তম। এতে শিশুকাল থেকেই মসজিদে ছালাত আদায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেকারণ নববী যুগে শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়ার প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শিশুর ক্রন্দন শ্রবণের কারণে ছালাত সংক্ষিপ্ত করেছেন (বুখারী হা/৭০
উত্তর : কেবল শিশু নয় বরং প্রত্যেক মানুষের হেফাযতের জন্য আল্লাহ ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জন্য তার সামনে ও পিছনে পরপর আগত পাহারাদার ফেরেশতারা রয়েছে, যারা তাকে হেফাযত করে আল্লাহর হুকুমে’ (রা‘দ ১৩/১১)। আবু মিজলা
উত্তর : উক্ত ঘটনা আলী (রাঃ)-এর সম্পর্কে নয়, বরং ছাফওয়ান বিন মু‘আত্ত্বাল (রাঃ)-এর ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) তাকে বিশেষ কারণে ফজরের ছালাত সূর্যোদয়ের পর আদায়ের অনুমতি দেন। ছাফওয়ানের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ করেছিল। যার মধ্যে একট
উত্তর : দাওয়াত গ্রহণে দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) ইহূদীর বাড়ীতে দাওয়াত খেয়েছেন ও তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৫-১৮, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায়
উত্তর : এমতাবস্থায় শিশু নানীর দুধ পান করতে পারে। তবে এ কারণে তার মামা-খালারা তার দুধ ভাই বা দুধ বোন সাব্যস্ত হবে। ফলে সে তার মামাতো ও খালাতো ভাই বা বোনকে বিয়ে করতে পারবে না। যেমন রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর চাচা হামযাহ (রাঃ) পরস্পর দুধ ভাই ছিলেন। এজন্
উত্তর : অবহেলাবশতঃ এরূপ ভুল হয়ে থাকলে উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ ছালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হ’ল ক্বিবলা সঠিক হওয়া (বাক্বারাহ ২/১৫০; ইবনু হাযম, মুহাল্লা ২/২৫৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৯৫, ফৎওয়া নং ১৭২৭৯)। তবে চেষ্টার পরেও যদি ক্ব
*[আল-আমীন বলুন (স.স.)]উত্তর : গীবতের কাফফারা হচ্ছে যার গীবত করা হয়েছে তার নিকটে ক্ষমা চাওয়া এবং যাদের নিকট গীবত করা হয়েছে, তাদের নিকট গীবতের বদলে প্রশংসা করা। যেমন আবুবকর ও ওমর (রাঃ) একবার নিজেদের মধ্যে তাদের এক খাদেমের অনুপস্থিতিতে তার অধিক
উত্তরঃ পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় হাঁচি আসলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা যাবে না। কারণ এ সময় যিকর করা হ’তে নবী করীম (ছাঃ) বিরত থাকতেন। সেকারণ হাজত সম্পন্ন করার পর তিনি ‘গুফরা-নাকা’ বলে আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চাইতেন (তিরমিযী হা/৭, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৩৫৯)।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যদি কেউ এতে আনন্দবোধ করে যে, লোকেরা তাকে দেখে স্থিরভাবে দন্ডায়মান থাকুক, তাহ’লে সে জাহান্নামে তার ঠিকানা করে নিল (তিরমিযী, আবুদাঊদ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৪৬৯৯)। অতএব এই মন্দ প্রথা বন্ধের জন্য সাধ্যমত চেষ্ট
উত্তর : ছওয়াবের আশা নিয়ে পরিবারের জন্য ব্যয় করলে তাতে ছাদাক্বার নেকী অর্জিত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন কোন মুসলমান নিজ পরিবারের জন্য খরচ করে এবং তাতে ছওয়াবের আশা রাখে, তখন তার পক্ষে এটি ছাদাক্বা হিসাবে গণ্য হবে’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশক
উত্তর : কোন তারতম্য নেই। কুরআন দেখে পড়া হোক বা মুখস্থ পড়া হোক প্রতি হরফে দশটি করে নেকী হবে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। উল্লেখ্য, কুরআন মূল মুছহাফ দেখে পাঠ করার পৃথক ফযীলত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছের কোনটি যঈফ, কোনটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৫৬, ১৫৮৬
উত্তর : সমকামিতা অত্যন্ত ঘৃণ্য পাপ এবং কবীরা গুনাহ। এই পাপের কারণেই বর্তমান পৃথিবীতে এইড্স-এর মত মরণ ব্যধি ছড়িয়ে পড়েছে। এ অপরাধের কারণে বিগত যুগে আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন (আ‘রাফ ৭/৮০-৮৪; হিজর ১৫/৭২-৭৬)। এর শাস্তি হ’ল সমকাম
উত্তর : আযানের জওয়াব দেওয়া সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যখন আযান শুনবে তখন মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও তাই বল’ (বুখারী হা/৬১১; মুসলিম হা/৩৮৩)। যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে আযানের উত্তর দিবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (মুসলিম হা/৩৮৫; মিশকাত হা/৬৫৮)। অতএব য
উত্তর : ‘আল্লাহর নিকট যখন কিছু চাইবে, তখন দু’হাত প্রসারিত কর এবং দো‘আর শেষে উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল মাসাহ কর’ মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/১১৮১; বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২২৫৫; ইরওয়া হা/৪৩৩-৩৪; উছায়মীন, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৪/১৫৭; ইবনু ত
উত্তর : কবর দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় মাইয়েত যেমন তার স্বজনদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায় (বুখারী হা/১৩৩৮; মুসলিম হা/২৮৭০; মিশকাত হা/১২৬), তেমনি কবরবাসীর উদ্দেশ্যে সালাম দিলে ফেরেশতাগণ তাদের রূহে সালাম পৌঁছে দেন এবং তারাও সালামের জবাব দেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আত ছাড়া বিচার কার্যই শুরু হবে না (বুখারী হা/১৯৪; মুসলিম হা/১৯৩)। তাই তাঁর শাফা‘আত ব্যতীত জান্নাতেও যাওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি প্রথম ব্যক্তি যে লোকদের জান্নাতে প্রবেশ সম্পর্কে আল্লাহর নিকট শাফা‘আত করব (মুসলি
উত্তর : হালকা প্রহার করা যাবে। তবে তার পূর্বে উপদেশ দেওয়া, বিছানা পৃথক করা ইত্যাদি পদক্ষেপ নিতে হবে। আল্লাহ বলেন, সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা হয় অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাযত করেছেন, আড়ালেও (সেই গুপ্তাঙ্গের) হেফাযত করে। আর যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার আশংক
উত্তর : এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি হ’ল- জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তবে আমি কি করব? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি তাকে তোমার সম্পদ নিতে দিবে না। লোকটি বলল, যদি সে আমার স
উত্তর : খাটলীতে আল্লাহ ও মুহাম্মাদ নাম বা কুরআনের কোন আয়াত লেখা যাবে না (ইবনুল হুমাম হানাফী, ফাৎহুল ক্বাদীর ১/১৬৯; উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৩/১৯৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৪/৫৮)। অতএব এরূপ খাটলী ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। এর পরিবর্তে এসব নামহীন খাটল
উত্তর : ইমামের পিছে পিছে সালাম ফিরাবে। রাসূলুললাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। তিনি বলেন, হে লোকসকল! আমি তোমাদের ইমাম। সুতরাং তোমরা রুকূ, সিজদা, ক্বিয়াম ও সালাম কোন কিছুই আমার পূর্বে করবে না
উত্তর : ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়নি। আর এসময় রিযিক বণ্টনের বিষয়ে যে ক’টি হাদীছ ও আছার বর্ণিত হয়েছে, তার সবগুলো যঈফ (যঈফাহ হা/৫১৭০, ৬৯৯১; যঈফুত তারগীব হা/১০৪৫-১০৪৮; যঈফুল জামে‘ হা/৮১৮)। তবে বিভিন্ন দলীলের মাধ্যমে বুঝা যা
উত্তর : যোহর ও আছরের ছালাত কোন বিরতিস্থলে বা যানবাহনে জমা ও ক্বছর করবে (আবুদাঊদ হা/১২০৮; মিশকাত হা/১৩৪৪; মুসলিম হা/৬৮৬; মিশকাত হা/১৩৩৫)। সুযোগ না মিললে পরবর্তী ওয়াক্তের সাথে ক্বাযা আদায় করে নিবে। কিন্তু পথিমধ্যে ছালাত ছুটে যাওয়ার আশংকায় নির্ধারিত
*[ শুধু ‘হোসাইন’ নাম রাখুন (স.স.)]উত্তর : ইয়াজূজ-মাজূজ সম্প্রদায় আদম (আঃ)-এর বংশধর (বুখারী হা/৪৭৪১, মুসলিম হা/২২২)। কুরআনের বর্ণনামতে, যুলক্বারনাইন নামক একজন প্রতাপশালী শাসক তাদেরকে পৃথিবীর অজ্ঞাত কোন স্থানে প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (কাহফ ১৮/৯৪-৯৮
উত্তর : স্ত্রীর পক্ষ থেকে যিহার হয় না। জমহূর বিদ্বানগণ এব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৮/৪১; ইবনু রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ৪/৪৩৭, ফাতাওয়া মারআতুল মুসলিমাহ ২/৮০৩)। কেউ করলে তা অবান্তর ও বাজে কথার অন্তর্ভুক্ত হবে, যা মুমিনের বৈশিষ্ট্য
উত্তর : উক্ত ঘটনা নাজমুদ্দীন গীত্বী (মৃ. ৯৮১ হিঃ) নামক জনৈক ছূফী সনদবিহীনভাবে উল্লেখ করেছেন, যার কোন ভিত্তি নেই (ইবনু আবেদীন, রাদ্দুল মুহতার ১/৫১)। উল্লেখ্য যে, স্বপ্নে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। স্বপ্নে যদি কেউ আল্লাহকে দেখেছে বলে কল্পনা করে, তা কখ
উত্তর : এ বিষয়ে বিদ্বানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ মতে, জমির মালিকই এই সম্পদের মালিক হবে, কেননা সে জমির অন্তুর্ভুক্ত সবকিছুরই মালিক (ইবনু কুদামা, মুগনী ৩/৫৬; উছায়মীন, তা‘লীকাতু ‘আলাল কাফী ৩/২১)। এই সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে মালিককে যাকাত দ
উত্তর : ‘রওযা’ ও ‘মাযার’ উভয়টি আরবী শব্দ। প্রথমটির অর্থ বাগান এবং দ্বিতীয়টির অর্থ যিয়ারত বা পরিদর্শনের স্থান। উক্ত শব্দদ্বয়কে মূলতঃ পথভ্রষ্ট ও ভ্রান্ত আক্বীদাসম্পন্ন একদল মানুষ তাদের পীর-আউলিয়াদের কবরস্থানের বিশেষ গুরুত্ব বুঝানোর জন্য ব্যবহার
উত্তর : তাঁর পুরো নাম জামালুদ্দীন আবুল ফারাজ আব্দুর রহমান বিন আলী ইবনুল জাওযী। তিনি ৫১০ হিজরীতে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৫৯৭ হিজরীতে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিন বছর বয়সে তিনি পিতৃহারা হন এবং ইয়াতীম অবস্থায় চাচার নিকট লালিত-পালিত হন। তিনি তা
উত্তর : যেনায় লিপ্ত হওয়া মহাপাপ। কোন মাহরামের সাথে যেনায় লিপ্ত হওয়া ততোধিক বড় মহাপাপ। আদালতের মাধ্যমে এই ধরনের যেনাকারকে রজম (পাথর মেরে হত্যা) করা আবশ্যক। আর এক্ষেত্রে অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া সন্তানটি মায়ের দিকে সম্পৃক্ত হবে এবং মায়ের পরিচয়ে পরিচ
উত্তর : উভয়ের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে এরূপ চুক্তি জায়েয (বুখারী হা/২২৪০)। তবে সবকিছু সুনির্দিষ্ট হতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেলেন, ‘যদি কেউ অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয় করে তবে সে যেন নির্ধারিত পরিমাপে, নির্ধারিত পরিমাণে এবং নির্ধারিত মেয়াদে তা করে’ (বুখারী
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা ‘তোমাদের আমলসমূহ আমার নিকটে পেশ করা হয়’ মর্মে যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (বাযযার, সিলসিলা যঈফাহ হা/৯৭৫)। এ মর্মে কেবল এতটুকুই পাওয়া যায় যে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার সামনে আমার উম্মতের ভাল-মন্দ সব আমল পেশ করা
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা পাঁচটি জিনিস নিজের হাতে রেখেছেন, যা অন্যকে অবহিত করেননি। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকটেই রয়েছে (১) ক্বিয়ামতের জ্ঞান। (২) আর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং (৩) তিনিই জানেন মায়ের গর্ভাশয়ে কি আছে। (৪) কেউ জানে না আগামীকাল
উত্তর : প্রথমতঃ নিজে শিরক-বিদ‘আতসহ দ্বীনের মৌলিক বিধি-বিধান সম্পর্কে বিশুদ্ধ জ্ঞানার্জন করতে হবে। অতঃপর শিরক-বিদ‘আতের পরিচয় ও ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সাধ্যমত অবহিত করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হ’তে হবে। তাই ব
উত্তর : এটি জায়েয হবে না। কারণ এতে হারাম সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে কে কার দুধ পান করবে সেটি জানা যাবে না। তাই অজ্ঞাতসারে দুধ ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহ হতে পারে। আর ইসলামে দুধসম্পর্কীয়দের সাথে বিবাহ হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কেনন
উত্তর : গরুটির মালিক যদি পিতা হন, তবে তার জন্য উক্ত মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। আর যদি তিনি মালিক না হন, তাহ’লে উক্ত মানত কার্যকর হবে না। কারণ যে সম্পদে ব্যক্তির মালিকানা নেই সেই সম্পদের উপর মানত করা যায় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যে বস্ত্তর মাল
উত্তর : রুকূ-সিজদা ছালাতের রুকন। আর রুকন তরক করলে ছালাত বাতিল হয়। তাই এরূপ অবস্থায় এক রাক‘আত অতিরিক্ত আদায় করতে হবে এবং সহো সিজদা দিতে হবে (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৩/৩৭১-৭২; আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২৭৭)।
উত্তর : স্ত্রী ও সন্তানের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় কয়েক বছর নয়, সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩১৮৪)। কিন্তু সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে তথা দারিদ্রে্যর ভয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ। কেননা রূযীর মালিক আল্লাহ। আল
উত্তর : এমতাবস্থায় টয়লেটের কাজ সম্পন্ন করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৭)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘ছালাত শুরুর প্রাক্কালে তোমাদের কারো যদি পেশাব-পায়খা
উত্তর : অমুসলিমদের সাথে স্বাভাবিক উঠাবসায় দোষ নেই। তবে ঘনিষ্ট কোন সম্পর্ক রাখা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মুশরিকদের সাথে বসবাস করো না এবং তাদের সংসর্গে থেকো না। কেননা যে তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে, সে তাদের সমত
উত্তর : যুনায়রাহ-এর মূল উচ্চারণ যুন্নায়রাহ। যা আরবী শব্দ। এর অর্থ দীর্ঘ ও বিশালদেহী নারী, ছোট মাছি, ছোট পাথর ইত্যাদি (তাহযীবুল লুগাত ১৩/১৩১ প্রভৃতি)। যিন্নীরাহ নামে একজন মহিলা ছাহাবী ছিলেন যাকে আবুবকর (রাঃ) দাসত্ব থেকে মুক্ত করেন (ইবনু হাজার, আল-ইছাব
উত্তর : যদি জনগণের ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি না হয় এবং লোক চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটে, তবে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসাবে এতে অংশগ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অন্যায় কিছু দেখলে তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে, নইলে যবান দিয়ে, নইলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে। আর
উত্তর : ওযূর ক্ষেত্রে টুপির উপর মাসাহ করা জায়েয নয়। কেননা পাগড়ী পুরো মাথা আবৃত করে, যা খুলে মাসাহ করা মুছল্লীর জন্য কষ্টদায়ক। অপরদিকে টুপি মাথার একটি অংশ আবৃত করে এবং তা খুলে মাসাহ করা সহজ। সেকারণ টুপি খুলে মাথা মাসাহ করার ব্যাপারেই প্রাচীন ও
উত্তর : যতজন মাইয়েত থাকবে তত ক্বীরাত ছওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় কোন জানাযায় শরীক হ’ল এবং দাফন শেষে ফিরে এলো, সে ব্যক্তি দুই ‘ক্বীরাত’ সমপরিমাণ নেকী পেল। প্রতি ‘ক্বীরাত’ ওহোদ পাহা
উত্তর : আল্লাহর নামসমূহ সর্বদা পুংলিঙ্গ। স্ত্রীলিঙ্গে আল্লাহর কোন নাম নেই। সুতরাং এসব নাম রাখায় কোন বাধা নেই। উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তা‘আলার গুণবাচক নাম সমূহ দু’ভাগে বিভক্ত। (১) যেগুলো কেবল আল্লাহর সাথে প্রযোজ্য যেমন কুদ্দূস (মহাপবিত্র), আ
উত্তর : ঈদায়নের মুছাল্লা উন্মুক্ত ময়দানে হওয়া সুন্নাত। কারণ উত্তম স্থান হওয়া সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদায়নের ছালাত আদায়ের জন্য মসজিদে নববীর পূর্বদিকে ৫০০ গজ দূরে খোলা ময়দানে ‘বুত্বহান’ সমতলভূমিতে ছালাত আদায় করেন (মুত্তাফাক ‘আলাইহ, মিশকাত হা/
উত্তর : কোন অবস্থাতেই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। বরং সর্বদা ন্যায়পন্থা অবলম্বনের সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, যার আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, আমরা তাদেরকে অবশ্যই আমার পথসমূহে পরিচালিত করব। আর আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৮৪৬; যঈফুল জামে‘ হা/২২০৪; মিশকাত হা/৪৮৭৪)। তবে গীবত করা বড় পাপ। আল্লাহ তা‘আলা একে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার সাথে তুলনা করেছেন (হুজুরাত ১২; মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮২৮)।
*আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন অথবা শুধু মুহাম্মাদ নাম রাখুন (স.স.)উত্তর : যেকোন মোযার উপর মাসাহ করা বৈধ। হাদীছে বিশেষ কোন মোযাকে শর্ত করা হয়নি। আরবী ভাষায় চামড়ার তৈরী মোযাকে ‘খুফ’ এবং সূতা বা কাপড়ের তৈরী মোযাকে ‘জাওরাব’ বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেম
উত্তর : উক্ত মর্মে ত্বাবারাণী আওসাত্বে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যার সনদ যঈফ (তাবারাণী আওসাত্ব হা/৩০৩৩; মিশকাত হা/২৩০৮; যঈফাহ হা/৬৩২)। তবে সুখে-দুখে আল্লাহর প্রশংসাকারী ব্যক্তিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট
উত্তর : ইবলীস শয়তান একাই নয় বরং তার গোত্র মিলে সম্মিলিতভাবে মানুষ ও জিন জাতিকে পথভ্রষ্ট করে। আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে তাকে ও তার বংশধরগণকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছ?’ (কাহফ ১৭/৫০)। এই আয়াত প্রমাণ করে যে, তার বংশধর রয়েছে। রাসূল (ছাঃ
উত্তর : বেহেশতী জেওরে বর্ণিত মাসাআলাটি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। সঠিক কথা এই যে, ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় এধরনের অনাকাংখিত আচরণ হয়ে গেলে স্ত্রী তার উপর হারাম হবে না। কেননা একটি হারাম কাজ অপর একটি হালালকে হারাম করতে পারে না। এরূপ
উত্তর : গার্মেন্টসে চাকুরী করা বৈধ এবং এর উপার্জনও বৈধ, যদি উৎপাদিত পণ্যটি বৈধ হয়। তবে গার্মেন্টসে নারী-পুরুষ একত্রিতভাবে থাকলে এবং ফেতনায় পড়ার আশঙ্কা থাকলে সেখানে কাজ করা ঠিক নয়। রাসূল (ছাঃ) পুরুষদের জন্য নারীদেরকে সবচেয়ে ক্ষতিকর ফিৎনা হিসাব
উত্তর : খারেজীদের বৈশিষ্ট্য হ’ল, (১) তারা কবীরা গোনাহগার শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ওয়াজিব মনে করে এবং কবীরা গোনাহগার মুমিনকে ঈমানশূন্য কাফের, হত্যাযোগ্য অপরাধী এবং তওবা না করে মারা গেলে তাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হিসাবে গণ্য করে (শাহরস্ত
উত্তর : কবরে রাসূল ছাঃ)-এর ছবি প্রদর্শন করা হবে মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং বলা হবে, তোমাদের মাঝে যে লোকটিকে পাঠানো হয়েছিল তিনি কে? (আবুদাউদ হা/৪৭৫৩; আহমাদ হা/১৮৬৩৭; মিশকাত হা/১৩১, ১৬৩০; ছহীহাহ হা/২৬২৮)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) হেরা গুহায় অহি লাভের পর সেখানে আর গমন করেননি। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘নবুঅতের প্রাক্কালে রাসূল (ছাঃ) হেরা গুহাতে গিয়ে ইবাদত করতেন এবং তাতেই সর্বপ্রথম ওহী অবতীর্ণ হয়। কিন্তু ওহী নাযিলের পর কখনও তিনি সেখানে উঠেননি, এমনকি
উত্তর : যোহর ও আছরের ছালাতে ইমাম-মুক্তাদী সকলে সূরা ফাতিহা সহ অন্য সূরা পড়বে এবং ৩য় ও ৪র্থ রাক‘আতে কেবল সূরা ফাতিহা পড়বে। যেমন আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরা ফাতিহা ও অন্য দু’টি সূরা পড়ত
উত্তর : কুরবানী করা ফরয নয়। বরং সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। যা ‘সুন্নাতে ইবরাহীমী’ হিসাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে মদীনায় প্রতি বছর আদায় করেছেন এবং ছাহাবীগণও নিয়মিতভাবে কুরবানী করেছেন। তাই সামর্থ্যবানদের জন্য এটা পালন করা যরূরী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বল
উত্তর : আদালত ব্যবস্থাপনা সমাজের আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। সেকারণ আদালতের যেকোন চাকুরী বৈধ। তবে সেখানে সর্বদা সত্যকে বিজয়ী করা, যুলুমের প্রতিরোধ করা এবং মানুষকে তার হক ফেরত দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হয় এব
উত্তর : আল্লাহর দু’হাত রয়েছে এবং ডান ও বাম হাতও রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা আকাশমন্ডলী পেঁচিয়ে নিবেন। তারপর তিনি আকাশমন্ডলীকে ডান হাতে ধরে বলবেন, আমিই বাদশাহ। কোথায় শক্তিশালী লোকেরা! কোথায় অহংকারীরা? এরপর তিনি বাম হ
উত্তর : মিথ্যা অপবাদ হ’ল কারো ব্যাপারে অন্যের নিকটে এমন কথা বলা যা তার মাঝে নেই (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮২৮)। কারো উপর যেনার অপবাদ দিয়ে প্রচার করা কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। আর মিথ্যা অপবাদ দানকারীর শাস্তি হ’ল ৮০ বেত্রাঘাত। আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা স
উত্তর : বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য গুদামজাত করা হারাম। মা‘মার (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি বেশী দামের আশায় সম্পদ জমা রাখে সে পাপী (মুসলিম হা/১৬০৫; আবূদাঊদ হা/৩৪৪৭)। অন্য বর্ণনায় এসেছে
উত্তর : সম্পদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরিয়ে নিতে হবে। আবার আত্মীয়তার বন্ধনও রক্ষা করতে হবে। আর এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে সহনশীল হতে হবে। নইলে হঠকারী পক্ষ দায়ী হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কারু এক বিঘত জমি অন্যায়ভাবে দখল করবে, ক্বিয়ামতের দিন তার গল
উত্তর : প্রথম কাতারে ছালাত আদায়ের গুরুত্ব অত্যধিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যদি জানত আযানে এবং প্রথম কাতারে কি নেকী রয়েছে। তাহ’লে লটারীর মাধ্যমে হ’লেও আযান দেওয়ায় ও প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর জন্য অংশগ্রহণ করত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮ ‘ছালাতে
উত্তর : নতুন বাড়ী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা শরী‘আত সম্মত নয়। কেবল বিসমিল্লাহ বলে উঠবে। আর শয়তানের ক্ষতি হ’তে বাঁচার জন্য যেকোন সময় সূরা বাক্বারাহ বা তার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা যাবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ত
উত্তর : মহিলারা নিরাপদ পরিবেশে পর্দার মধ্যে থাকা অবস্থায় পুরুষের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) মহিলাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দিয়েছেন (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)। তবে নারী একাকী থাকলে সাথে মাহরাম থাকা অথবা একাধিক মহিলা থাকা যরূরী। কারণ
উত্তর : বাধা নেই। ওলীর অনুমতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে। আবুবকর (রাঃ)-এর আমলে দু’জন নারী-পুরুষ যেনায় লিপ্ত হ’লে তাদের একশ’ বেত্রাঘাত করে বিবাহ দিয়ে দেওয়া হয়। ইবনু আববাস (রাঃ)-কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, প্রথমটি ছিল ব্যভিচ
উত্তর : কেবলমাত্র খরচের ভয়ে রোগীর স্বজনগণ এরূপ করলে তারা গুনাহগার হবেন। কারণ যতক্ষণ তার জীবন থাকবে, ততক্ষণ সে জীবিত বলে ধর্তব্য হবে। তবে চিকিৎসক যদি তার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হন অথবা স্বজনগণ সবদিক থেকে একেবারে নিরুপায় হয়ে যান, সেক্ষেত্রে আ
উত্তর : একসাথে একাধিক জানাযা উপস্থিত হ’লে একবারে জানাযা পড়া সুন্নাত। পৃথক জানাযা করতে হবে না। ওহোদ যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দশজন দশজন শহীদের জানাযা একত্রে পড়েছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৫১৩; আলবানী, আহকামুল জানায়েয ১/১০৩)। উম্মে কুলছূম ও তার ছেলের
উত্তর : আদম (আঃ)-এর ভাষা কি ছিল বা জান্নাতের ভাষা কি হবে সে ব্যাপারে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে স্পষ্ট কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহ আদম (আঃ)-কে জান্নাতে সকল প্রকার নাম ও ভাষা শিখিয়েছিলেন (বাক্বারাহ ২/৩১)। সেমতে তার সন্তানগণ পৃথ
উত্তর : এধরনের প্রণোদনা গ্রহণ করায় কোন দোষ নেই। কারণ ব্যাংক এটি সূদ হিসাবে দিচ্ছে না। বরং হুন্ডি বা অনিয়মিত লেনদেন বন্ধ করার জন্য এবং সরকারী নিয়ম অনুসরণে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পুরস্কার হিসাবে প্রদান করছে। সেজন্য এমন হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয হবে ইনশ
উত্তর : সরাসরি সম্মতিসূচক শব্দ ব্যবহার করাই উত্তম। তবে নিয়তের সাথে ইঙ্গিতবহ বাক্য যেমন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললেও বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/৩৬)।
উত্তর : অন্যের খরচে হজ্জ পালনে বাধা নেই। এতে হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ৬৫৯৩)। কেননা হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ কেবল উপার্জনকারীর জন্য হারাম। উপার্জনকারীর নিকট থেকে বৈধ পন্থায় গ্রহণকারী এর জন্য দায়ী হবে না। যেমন
উত্তর : এমতাবস্থায় মুছল্লী নফল ছালাতের নিয়ত করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৬০০)।
উত্তর : হিসাব বিজ্ঞান শেখা ও শেখানোয় কোন দোষ নেই। কারণ উক্ত শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদান করা মৌলিকভাবে জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/২৩২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২৩১)। তবে শিক্ষার্থীদেরকে সূদী কারবার হারাম হওয়ার বিষয়টি যথার্থরূপে শিক্ষা দিতে হ
উত্তর : টিউব মেহেদী ব্যবহার করা জায়েয। শরী‘আতের দৃষ্টিতে এতে কোন দোষ নেই। এটা ওযূ-গোসলে কোন ক্ষতি করবে না। তবে বাযারে কিছু টিউব মেহেদী রয়েছে, যাতে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল রয়েছে বলে জানা যায়। সেগুলি পরিহার করা যরূরী।
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদেরর সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা তোমাদের সন্তানদের উপার্জন থেকে ভক্ষণ কর’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৩০; নাসাঈ হা/৪৪৫০; মিশকাত হা/৩৩৫৪)। এতে বুঝা যায় যে, পিতা-মাতার দায়িত্ব পুত্র ব
উত্তর : এগুলো ধর্মের নামে চালু হওয়া সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন আমল পাওয়া যায় না। ছালাত দৈহিক ইবাদত। যা জীবদ্দশায় যেমন কাউকে দেওয়া যায় না, মৃত্যুর পরেও তেমনি কাউকে দেওয়া যায় না। বরং আমল যার, ফলাফল তার।
উত্তর : সুন্নাত হ’ল, ইমাম উভয় সালাম ফিরানোর পর মাসবূক মুছল্লী অবশিষ্ট ছালাত শেষ করার জন্য দন্ডায়মান হবে। কারণ ইমামের দু’সালাম পর্যন্ত মুক্তাদীকে ইমামের অনুসরণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইমাম নির্ধারণ করা হয় তার অনুসরণ করার জন্
উত্তর : মুসলিম মাইয়েত জীবিত ব্যক্তির ন্যায় সম্মানিত। সুতরাং আইনতঃ বাধ্যগত অবস্থা ছাড়া ময়না তদন্তের নামে মুসলিম মৃতদেহ কাঁটাছেড়া করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা জীবিত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গার ন্যায় (আবুদাঊদ হা/৩২০৭; মিশকাত হা/
উত্তর : স্বামীর শরী‘আতসম্মত যেকোন নির্দেশ মেনে চলা স্ত্রীর জন্য আবশ্যক (নিসা ৪/৩৩, তিরমিযী হা/১১৫৯; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৪৬, ৩২৫৭)। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্ত্রী যদি সত্যিই প্রয়োজন বোধ করে এবং মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও পূ
উত্তর : কা‘বাগৃহকে সর্বপ্রথম স্বর্ণ-রৌপ্য দ্বারা কারুকার্যখচিত করেন উমাইয়া খলীফা ওয়ালীদ বিন আব্দুল মালিক (৮৬-৯৬ হি.)। সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে কা‘বা ঘরের দরজা ২৮২ কেজি স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে সুসজ্জিত করেন সঊদী বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আযীয আলে সঊদ (১৯৭
উত্তর : সাধারণভাবে জীবিকার জন্য অমুসলিম রাষ্ট্রে যাওয়া উচিৎ নয়। কেননা এতে তাদের দ্বারা দ্বীন প্রভাবিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে যে সকল মুসলমান বসবাস করে আমি তাদের দায়িত্ব হ’তে মুক্ত...’ (আবুদাঊদ হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩৫৪৭; ছহীহা
উত্তর : যেকোন দো‘আ যেকোন মাধ্যমে শ্রবণ করলে তার সমর্থনে আমীন বলা যায়। কিন্তু কোন রেকর্ডকৃত দো‘আর বিপরীতে আমীন আমীন বলা যরূরী নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/২৫৬)। উল্লেখ্য যে, সাধারণভাবে হাত তুলে দলবদ্ধ মুনাজাতের কোন দলীল নেই। বরং একাকী বিনীত হৃদয়ে
উত্তর : উক্ত আছারটির সনদ হাসান (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৪১৫; ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৫৬২৭; ইবনু হাজার, আল-মাত্বালিবুল ‘আলিয়া হা/৩৮৮৮, সনদ হাসান লিগাইরিহী।)
উত্তর : আল্লামা নাছেরুদ্দীন আলবানী ইবনু ওমর (রাঃ)-এর হজ্জকালীন একটি আমলের উপর ভিত্তি করে এমন ফৎওয়া দিয়েছেন (সিলসিলা যঈফাহ ৫/৩৭৮; সিলসিলাতুন নূর ওয়াল হুদা টেপ নং ৮৭৬)। তবে তার এই ফৎওয়া শায তথা বিচ্ছিন্ন। অতীতের কোন বিদ্বান এরূপ ফৎওয়া দেননি। বরং দা
উত্তর : ওছমান (রাঃ) মুছল্লীদের সময়মত জুম‘আর ছালাতে উপস্থিতির জন্য সাময়িক পদক্ষেপ হিসাবে অতিরিক্ত আযান চালু করেছিলেন। ওমর (রাঃ)-এর তিন তালাকের ফৎওয়ার ন্যায় এটিও ওছমান (রাঃ)-এর একটি ইজতিহাদী ফৎওয়া ছিল। এটি তাঁর সামগ্রিক কোন নির্দেশনা ছিল না। সে
উত্তর : এক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতি রয়েছে। (১) যদি স্বামী তালাক দেওয়ার পর ইদ্দতের মধ্যে রাজ‘আত করে, তাহ’লে সে তত তালাকের অধিকারী থাকবে যত তালাক সে দেয়নি। অর্থাৎ এক তালাক দিয়ে থাকলে দুই তালাকের অধিকারী থাকবে। আর দুই তালাক দিয়ে থাকলে এক তালাকের অধিক
উত্তর : ইবনুল জাওযী সূরা রহমানের ৫৬ আয়াত ‘সেখানে রয়েছে আনতনয়না রমণীগণ, যাদেরকে তাদের পূর্বে কোন মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি’-এর ব্যাখ্যায় বলেন, এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, জিনের সাথে মানুষের এবং মানুষের সাথে জিনের শারীরিক মিলন সম্ভব (যাদুল মাসীর ৪/২১
উত্তর : সূদী ব্যাংকের সাথে কোন কার্যক্রমে জড়ানো যাবে না এবং তাদেরকে সূদের কর্মে কোনরূপ সহযোগিতাও করা যাবে না। কারণ তাদের কর্মকান্ডে সাহায্য করাও কবীরা গুনাহ। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজ
উত্তর : ওশর ৮ শ্রেণীর মানুষের হক (তওবা ৬০)। জালসা তার অন্তর্ভুক্ত নয়। জালসা বা অনুরূপ নেকীর কাজ সমূহ নিজেদের টাকা দিয়ে করা উত্তম।
উত্তর : এভাবে ঈদগাহে মোরগ ছেড়ে খেল-তামাশা করা জাহেলী যুগে কা‘বায় মূর্তিদের নামে বিভিন্ন প্রাণী ছেড়ে দেওয়ার ন্যায়। এ ধরনের মানত থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানতও এক প্রকারের ইবাদত, যা শারঈ বিধান মতে করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ (বায়হাক্বী; ছহীহাহ হা/১৮০৫)।
উত্তর : এধরনের বর্ণনা মনগড়া এবং ভিত্তিহীন। এগুলোর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব, অডিও টেপ নং ৪৭৩)।
উত্তর : হস্তমৈথুন বা যেকোন উপায়ে বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। এটি কবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারা সীমালংঘনকারী’ (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)। এটি এমন এক আত্মঘাতি পাপ, যা মানুষের জী
উত্তর : ইমাম যাহাবী (রহঃ) উক্ত ঘটনা তাঁর ‘সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন (সিয়ার ১২/৪৭৯)। তবে বিষয়টি ইসলামী শরী‘আতের সাথে সাংঘর্ষিক ও শিরকের শামিল। কারণ প্রথমতঃ কোন মৃত ব্যক্তির অসীলায় কিছু প্রার্থনা করা শিরক (ইউনুস ১০/১৮; যুমার ৩৯/৪৩-৪৪
উত্তর : এটা সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। তবে গোফ লম্বা রাখা সুন্নাত বিরোধী কাজ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
উত্তর : ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ফিৎনা প্রকাশের পূর্বে দাজ্জাল মক্কা ও মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে এবং হজ্জও করবে যেমনটি রাসূল (ছাঃ) স্বপ্নে দেখেছেন (বুখারী হা/৩৪৪০; মুসলিম হা/১৭১; ছহীহাহ হা/৩৯৮৩)। তবে ফিৎনার আবির্ভাবের পর দাজ্জাল কোনভাবেই মক্কা-মদীনায়
উত্তর : উক্ত বইদ্বয় মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। এ সমস্ত বই ক্রয় করা যাবে না, পড়াও যাবে না। নিয়ামুল কুরআনে এমন কিছু কল্পিত দরূদ আছে যেগুলো পড়লে শিরক হবে। অনুরূপভাবে মকছুদুল মুমিনীন বইটি জাল, যঈফ, মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনীতে ভরপুর।
উত্তর : নারীদের পর্দার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা আবশ্যক। যথা- (১) তাকওয়াপূর্ণ পোষাক পরিধান করা (আ‘রাফ ৭/২৬)। (২) এমন পোষাক পরা, যা পুরো দেহ আবৃত করে (নূর ২৪/৩১, আহযাব ৩৩/৫৯, আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। (৩) পাতলা কাপড় না পরা, যাতে গো
উত্তর : কুরআনে আল্লাহ মানব জীবন পরিচালনার মূলনীতিসমূহ বর্ণনা করেছেন। সুতরাং এটা যরূরী নয় যে, প্রতিটি জিনিসের নাম কুরআনে পৃথক পৃথকভাবে উল্লেখ করা হবে। যদিও এর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রসঙ্গে প্রচলিত অনেক ফলমূল ও সবজির কথা এতে উল্লেখ করা হয়েছে
উত্তর : মামার মৃত্যুর পরে মামীকে বিবাহ করা শরী‘আত সম্মত। কারণ আল্লাহ যে চৌদ্দজন মহিলাকে বিবাহ করা হারাম করেছেন, মামী তার অন্তর্ভুক্ত নয় (নিসা ২৩)। বরং তিনি যদি সত্যিকার অর্থে সহমর্মী হয়ে এরূপ বিধবা নারীকে বিবাহ করে থাকেন, তবে তিনি বরং প্রভূত
উত্তর : ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে ধোঁকায় ফেলার উদ্দেশ্য না রেখে উভয়ের সন্তুষ্টিতে বাযার দর অনুযায়ী যেকোন মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। এটা শরী‘আত সম্মত। উরওয়া আল-বারেকী হ’তে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী করীম (ছাঃ) একটি কুরবানীর পশু বা ছাগল কেনার জন্য তাক
উত্তর : যথাযোগ্য শারঈ কারণ ব্যতীত স্ত্রীর পক্ষ থেকে তালাক চাওয়া হারাম। কোন স্ত্রী এরূপ করলে তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে (আবুদাউদ হা/২২২৬ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩২৭৯)। অন্য বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) বলেন, যারা স্বামী থেকে পৃথক হ’তে চায় এবং যারা খো
উত্তর : এটা বিদ‘আত নয়। উক্ত বাক্যটি ফজরের সাথে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বেলাল (রাঃ)-এর মাধ্যমে হ’লেও পরবর্তীতে তা রাসূল (ছাঃ)-এর নিয়মিত সুন্নাত হিসাবে গৃহীত হয়। যেমন বেলাল (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা তিনি ফজরের আযান দেওয়ার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আসল
উত্তর : হিসাবের দিন এক দিনই হবে। তবে সেই দিনটি পৃথিবীর হিসাবে পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান হবে (মা‘আরেজ ৭০/৩-৪; মুসলিম হা/৯৮৭; মিশকাত হা/১৭৭৩)। উল্লেখ্য যে, আরবীতে ৭০, ৭০০, ১০০০, ৫০০০০ সংখ্যাগুলি সাধারণতঃ আধিক্য বুঝানোর অর্থে বলা হয়। সুতরাং উক্ত আয়াত
উত্তর : হাদীছটি ‘খুবই যঈফ’ (যঈফুল জামে‘ হা/৩৪৭১)। তবে কাছাকাছি অর্থের বেশ কিছু ছহীহ হাদীছ রয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘গোপন ছাদাক্বা রবের ক্রোধকে মিটিয়ে দেয়’ (ছহীহাহ হা/১৯০৮)। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় ছাদাক্বা কবরের উত্তাপ নিভিয়ে দেয় এবং ক্বিয়ামতের দিন ম
উত্তর : হাদীছে দু’প্রকারের কবরের বর্ণনা এসেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘লাহাদ’ (পাশখুলি কবর) আমাদের জন্য এবং ‘শাক্ব’ (বাক্স কবর) আমাদের ব্যতীত অন্যদের জন্য’ (আবূদাঊদ হা/৩২০৮; মিশকাত হা/১৭০১; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪৮৯)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা কবর খনন কর এবং ক
উত্তর : উক্ত মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে উত্তমরূপে ওযূ করে ফরয ছালাতে আদায়ের উদ্দেশ্যে গমন করে, সে ইহরাম বেঁধে হজ্জে গমনকারীর ন্যায় ছওয়াব লাভ করে’ (আবূদাঊদ হা/৫৫৮; মিশকাত হা/৭২৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩২
উত্তর : ‘ইহতিসাব’ (اَلْإحْتِسَابُ) অর্থ আল্লাহর নিকটে ছওয়াব কামনা করা। মুমিনগণ তাদের সকল সৎকর্মে স্রেফ আল্লাহর নিকটে ছওয়াব ও পুরস্কার আশা করে। আর ছওয়াব কামনা ব্যতীত আল্লাহর নিকটে বান্দার কোন আমলই কবুল হয় না। সংগঠনে ‘ইহতিসাব’ রাখার উদ্দেশ্য হ’
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৭/০৯, ২৭/১৬০-৬১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৬/২৭৮-৭৯)। আলবানী বলেন, এটি মুনকার (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৭১৪২; নাসাঈ হা/৪৫০; আল-ইসরা ওয়াল মে‘রাজ ৬৯ পৃ.)। সুতরাং বরকত হাছিলের জন্য
উত্তর : বৈধ হবে। কেননা এটা কাজের বিনিময়ে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক। তাছাড়া শ্রমিকদের অগ্রিম মজুরী দিতেও কোন বাধা নেই (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৫/৩২৯; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৩৩৫)।
উত্তর : ভোগ করা বৈধ নয়। কারণ এতে সূদী কারবারে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)। শায়খ বিন বায বলেন, আয়াত এবং হাদীছসমূহ প্রমাণ করে
উত্তর : পিতার বর্তমানে অন্য কাউকে অলী হিসাবে গ্রহণ করে বিবাহ জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) এরূপ বিবাহকে বাতিল (৩ বার) বলেছেন (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০-৩১)। তিনি বলেন, ‘কোন মহিলা নিজে অপর কোন মহিলাকে বিয়ে দিতে পারবে না এবং কোন মহিলা নিজেকে বিবাহ দিতে
উত্তর : আযান চলাকালে মসজিদে উপস্থিত হ’লে প্রথমে আযানের জওয়াব দিতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমরা আযান শুনবে, তখন মুওয়ায্যিন যা বলে তদ্রূপ বল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। অন্যত্র তিনি এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মুওয়ায্যিনের পিছে পিছে আযানের বা
উত্তর : জমির মালিকের কোন আপত্তি না থাকলে ছালাত জায়েয হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সমগ্র যমীনকে আমাদের জন্য মসজিদ এবং মাটিকে পবিত্র করা হয়েছে, যখন পানি না পাওয়া যায়’ (মুসলিম হা/৫২২; মিশকাত হা/৫২৬)। তবে মসজিদের নামে স্থানটি ওয়াকফ করা যরূরী (বুখারী হ
উত্তর : কেবল পিতা নন, বরং পিতা-মাতা উভয়কেই আল্লাহ কবর থেকে জীবিত উঠান এবং তারা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট ইসলাম কবুল করেন, মর্মে সুয়ূতীর আল-হাভী গ্রন্থে বর্ণিত হাদীছটি জাল। উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন, নিঃসন্দেহে এটি
উত্তর : তাঁদের যুগে এগুলি পাকা করার প্রশ্নই ওঠে না। পরবর্তীকালে কোন বিদ‘আতী বা কবর ব্যবসায়ীরা এগুলি করে থাকতে পারে। কেননা ইমাম ইবনু তায়মিয়াসহ কোন সালাফী বিদ্বানই নিজের কবর পাকা করার ব্যাপারে কোনরূপ অছিয়ত করে যাননি। বরং এসবের বিরুদ্ধে তাঁরা সা
উত্তর : এগুলো সবই ভ্রষ্টতার যুগে সৃষ্ট। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় এসবের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আর এটাই বাস্তব কথা, যেমন ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যমানায় যা দ্বীন হিসাবে গণ্য ছিল না, আজকের দিনেও তা দ্বীন হ
উত্তর : হ্যাঁ। অন্যান্য ফরয ও নফল ছিয়ামের মত কাফফারার ছিয়াম পালনকারীও রাতের বেলা স্ত্রী মিলন করতে পারবে। তবে যিহারের কাফফারা প্রদানের পূর্বে স্ত্রী মিলন করতে পারবে না (মুজাদালাহ ৫৮/২-৪; ইবনু মাজাহ হা/২০৬৫)।
উত্তর : তালাকের ব্যাপারে ওমর (রাঃ)-এর ফয়ছালা প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে গৃহীত তাঁর সাময়িক সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু এতে তাঁর উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সেকারণ মৃত্যুর পূর্বে তিনি অনুতপ্ত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন (ইবনুল ক্বাইয়িম, ইগাছাতুল লাহফান, ১/২৭৬)। কেবল তি
উত্তর : কবুলযোগ্য হবে ইনশাআল্লাহ্। একই পাপ একাধিক বার করা বড় অন্যায়। তবে তা তওবা কবুলের জন্য প্রতিবন্ধক নয়। যেমন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘এক বান্দা গুনাহ করল। তারপর সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো গুনাহ করে ফেলেছি। তাই আমার গুনাহ মাফ করে দা
উত্তর : আল্লাহ যা করেন তা বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন (মুসলিম হা/৭৭১)। তিনি কারও উপর বিন্দু পরিমাণ যুলুম করেন না (নিসা ৪/৪০)। এক্ষণে বহু শিশু বিকলাঙ্গ বা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মায়। এরা স্বাস্থ্যবান লোকদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ। তারা নিজেদের
উত্তর : উক্ত মসজিদেই ছালাত আদায় করবে। খুব অল্প হ’লে উক্ত কাতারেই ছালাত আদায় করবে। আর একটু বেশী হ’লে কাতার করার সময় যত ডিগ্রী বাঁকা হয়েছে বলে মনে হয় তত ডিগ্রী এঙ্গেলে কাতার হয়ে জামা‘আত শুরু করবে। ইনশাআল্লাহ নিয়তের বিশুদ্ধতার কারণে এতে ছালাতের
উত্তর : প্রথমতঃ সশস্ত্র বাহিনীর চাকুরী নারীদের জন্য নয়। কারণ নারীদের উপর জিহাদ ফরয নয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মহিলাদের জন্য কি জিহাদ বাধ্যতামূলক? তিনি বলেন, হ্যাঁ, তাদের উপরও জিহাদ ফরয, তবে তাতে কোন যুদ্ধ নেই। বরং তা হ
উত্তর : সাধারণভাবে খাবারে ফুঁক দেওয়া নিষিদ্ধ। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁক দিতে নিষেধ করেছেন (তিরমিযী হা/১৮৮৮; মিশকাত হা/৪২৭৭, সনদ ছহীহ)। খাবারে ফুঁক দিলে তাতে নিঃশ্বাস থেকে নিঃসৃত জীবাণ
উত্তর : ইমোজি শব্দটির উৎপত্তি জাপানী শব্দ ইমোডজি থেকে, যার অর্থ স্মাইলি অর্থাৎ হাসিমুখ। এটি এক ধরনের আইকন, যা মানুষের বিভিন্ন আবেগ-অনুভূতি প্রকাশার্থে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসমূহে ব্যবহৃত হয়। ইমোজি বা ইমোকটিন প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করে ২০১২ সাল
উত্তর : মৃত ব্যক্তিদের রূহের সাথে জীবিত ব্যক্তিদের কথোপকথনের কোন বর্ণনা কুরআন বা হাদীছে নেই। তবে স্বপ্নে মৃতদের রূহের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার বিষয়টি হাদীছ ও সালাফদের বক্তব্যে পাওয়া যায়। যেমন একটি হাদীছে এসেছে, দাউস গোত্রের তুফাইল বিন আমর (রাঃ) হিজ
উত্তর : সাধ্যপক্ষে ঋণ নেওয়া থেকে বিরত থাকাই সমীচীন। কারণ ঋণ নিলে এক অন্যায় থেকে বাঁচতে আরেকটি অন্যায় করা হবে। অতএব সরকারী আইন বৈষম্য ও নিপীড়নমূলক হলেও পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বাধ্যগত অবস্থায় তা অনুসরণ করাই বাঞ্ছনীয় (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৫
উত্তর : পরিবার থেকে অশান্তি দূর করতে হলে পরিবারে ইসলামী বিধান কায়েম করতে হবে এবং অশান্তি সৃষ্টি করে এমন কর্ম যেমন গীবত, চোগলখুরী, হিংসা, অহংকার, বেপর্দা, অশ্লীলতা, যুলুম প্রভৃতি বন্ধ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শুধুমাত্র হৃদয়হীন, নিষ্ঠুর ও দু
উত্তর : বর্তমানে দেশের কোন ব্যাংকই শতভাগ সূদমুক্ত নয়। তাই এরূপ না করে বরং সূদমুক্ত একাউন্ট খুলে তাতে টাকা জমা করতে হবে। কারণ সূদী কর্মকান্ডে সাহায্য করার মাধ্যমে উদ্দিষ্ট নেকীর বদলে গুনাহ অর্জিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা
উত্তর : সৌন্দর্যের জন্য পুরুষদের হাতে-পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা জায়েয নয় (ইবনু হাজার, ফৎহুল বারী হা/৫৮৯৯-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। কারণ মেহেদী এক ধরনের রঙ। আর পুরুষদের জন্য রঙ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, পুরুষদের খোশবূ এমন, যাতে সুগন্ধি আ
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ (মুসলিম হা/২৮৭৮; মিশকাত হা/৫৩৪৫)। তবে ব্যাখ্যা সঠিক হয়নি। সঠিক ব্যাখ্যা হ’ল, দুনিয়াতে ভালো কর্ম করে মারা গেলে ভালো অবস্থায় আর মন্দ কর্ম করে মারা গেলে মন্দ অবস্থায় উঠবে (মানাবী, ফায়যুল ক্বাদীর ২/৪৪০)। যেমন বলা হ
উত্তর : ইসলামী রাষ্ট্রে যাকাত প্রদান করা আবশ্যক, কিন্তু আয়করের কোন বিধান নেই। তবে বর্তমানে দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা যেহেতু ইসলামী নয় সেজন্য দেশীয় আইন মানার স্বার্থে আয়কর দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, শাসকের কথা শোন এবং তার আনুগত্য কর। যদিও তারা তো
উত্তর : এক্ষেত্রে স্ত্রীকে চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করতে হবে এবং স্ত্রী মোহরানাসহ স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে। কারণ সে শরী‘আত সম্মতভাবে স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেছে (তিরমিযী হা/১১৪৫; আবুদাউদ হা/২১১৪ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩২০৭)। ঐ স্ত্র
উত্তর : এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদে যাকাত ফরয হবে না। কারণ এগুলি ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়। বরং এইসব তহবিলে বিভিন্ন দান-ছাদাক্বার মাল জমা হয়’ (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/৩৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/২৯৫-৯৬, ফাৎওয়া নং ৫১৬১)।
উত্তর : যে মুমিন আসমাউল হুসনার ৯৯টি নাম অর্থ অনুধাবন সহ পূর্ণ ঈমান ও আনুগত্যের সাথে এবং আল্লাহর উপর অটুট নির্ভরতার সাথে মুখস্ত করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (বুখারী হা/৭৩৯২; মুসলিম হা/২৬৭৭; ফাৎহুল বারী ১১/২২৬-২২৭)। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, প
উত্তর : সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ, আমলদার ও আল্লাহভীরু হাদীছপন্থী আলেমদের জিজ্ঞেস করে সঠিক বিষয়টি জেনে নিবে। আল্লাহ বলেন, যদি তোমরা না জানো, তাহ’লে জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস কর (নাহল ৪৩)। তিনি বলেন, ‘সুসংবাদ দাও আমার বান্দাদেরকে’। ‘য
উত্তর : কোন মুসলমানের জন্য কোন অবস্থাতেই ছালাত থেকে বিরত থাকার সুযোগ নেই (নিসা ১০৩)। প্রশ্নোল্লেখিত ব্যক্তির ছালাত আদায়ে তার ছালাতের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। তবে হারাম খাদ্য খাওয়ার কারণে সে গুনাহগার হবে (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব)। রাসূল
উত্তর : বিষয়টি কেবল মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা অধিকাংশ হাদীছে মুসলিম বা মুমিন শব্দের উল্লেখ রয়েছে। যা প্রমাণ করে যে, এটি মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কাফের বা অমুসলিমদের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য নয় (মিরক্বাত ৮/৩১৫৩; আওনুল মা‘বুদ ১৩/১
উত্তর : উক্ত কথাটি সমাজে প্রচলিত থাকলেও এর কোন ভিত্তি নেই (সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৬-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
উত্তর : উক্ত ম©র্ম বর্ণিত হাদীছটি মারফূ‘ হিসাবে যঈফ, তবে মওকূফ হিসাবে ছহীহ (যঈফাহ হা/৫৮২৯-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয়েছে এটি ইস্রাঈলী বর্ণনা। তিনি বলেন, সালমান ফারেসী যখন অমুসলিম ছিলেন, তখন তিনি তাদের কোন সরদার থেকে
উত্তর : অধ্যয়নে মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য নিম্নের দো‘আসমূহ পাঠ করা যায়। (ক) رَبِّ زِدْنِىْ عِلْمًا- (রবিব ঝিদনী ‘ইল্মা)। ‘হে প্রভু! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর’ (ত্বোয়াহা ২০/১১৪)। এছাড়াও পড়া যায় (খ)َاللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَ
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে কুরআনী দো‘আ পাঠ করলে সে সময় আঊযুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পাঠ করতে হবে না। কারণ এটি দো‘আর উদ্দেশ্যে পাঠ করা হয়, তেলাওয়াতের জন্য নয়। আর ‘আঊযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করার বিধান কেবল তেলাওয়াতের সূচনাতে (নাহল ১৬/৯৮)।
উত্তর : এটি শী‘আদের আক্বীদা। তারা মনে করে, যে রামাযান মাসের প্রথম রাতে চন্দ্র গ্রহণ এবং ১৫তম দিন সকালে সূর্য গ্রহণ হবে সেই মাসেই ইমাম মাহদী আগমন করবেন। উক্ত মর্মে দারাকুৎনীতে মুহাম্মাদ বিন আলী থেকে বর্ণিত হাদীছটি জাল (দারাকুৎনী হা/১৮১৬; আল-মাওস
উত্তর : মানতের টাকা মসজিদ নির্মাণের কাজে দান করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর আনুগত্যের উদ্দেশ্যে কেউ মানত করলে সে যেন তা পূর্ণ করে। আর কেউ আল্লাহর অবাধ্যতার মানত করলে সে যেন তা পূর্ণ না করে (বুখারী হা/৬৬৯৬; মিশকাত হা/৩৪২৭)। উল্লেখ্য যে, মসজ
উত্তর : সন্তানের নিকট পিতা-মাতা উভয়ের মর্যাদা সমান। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের অগ্রাধিকার রয়েছে। আর পিতা-মাতার মধ্যে মনোমালিন্য হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ শয়তান স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারলে খুশী হয় (মুসলিম হা/২৮১৩; মিশকাত
উত্তর : স্বামীর যেকোন ইসলামী আদেশ পালন করা অপরিহার্য। অন্যকে দাওয়াত দেওয়া ফরযে কেফায়া। আর স্বামীর আনুগত্য করা ফরযে আইন। অতএব স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে পর্দার বিধান মেনে দাওয়াতী কাজ করা উত্তম কাজ। মনে রাখতে হবে যে, ফেসবুক-টুইটারে কেবল মেয়েরাই দা
উত্তর : পালকপুত্র নিজের পুত্র নয়। অতএব সে ওয়ারিছ হবে না (আনফাল ৭৫)। তবে পালক পিতা চাইলে সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত যে কাউকে অছিয়ত করতে পারেন (বুখারী হা/১২৯৫; মুসলিম হা/১৬২৮; মিশকাত হা/৩০৭১)।
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাতের ফরযিয়াতকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হ’তে বহিষ্কৃত। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে ছালাত তরক করে কিংবা উদাসীনভাবে ছালাত আদায় করে ও তার প
উত্তর : ক্বাযা আদায় করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ছালাতের কথা ভুলে যায় অথবা ছালাত না পড়ে ঘুমিয়ে যায়, তার কাফফারা হ’ল স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে সে যেন সেটি আদায় করে নেয়’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, এটি ব্যতীত তার কোন কাফফারা নেই’ (বুখারী হা/৫৯৭; ম
উত্তর : যারা দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করতে সক্ষম তারা দাঁড়িয়েই ছালাত আদায় করবে (ত্বোয়াহা ১৪)। বাধ্যগত অবস্থায় বসে বা শুয়ে ইশারায় ছালাত আদায় করবে (আলে ইমরান ১৯১; বুখারী হা/১১১৭; মিশকাত হা/১২৪৮; ছহীহাহ হা/৩২৩)। এক্ষেত্রে প্রথমত তারা কাতারের কোন প্রান্তে বা
উত্তর : এমতাবস্থায় তার সিজদার স্থানের বাহির দিয়ে অতিক্রম করা যাবে (বুখারী হা/৪৯৬; মুসলিম হা/৫০৮; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘সুৎরার বিবরণ’ অনুচ্ছেদ)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ কোন বস্ত্তকে সম্মুখে রেখে ছালাত আদায় করবে যা তাকে লোকদের থেকে
উত্তর : যদি সকল সন্তানের সম্মতি থাকে, তবে কোন সন্তানকে পিতা অধিক সম্পদ লিখে দিতে পারেন। এতে পিতা গুনাহগার হবেন না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২০/৫০-৫৩)। তবে স্মর্তব্য যে, সম্পদ বণ্টনের বিধান হ’ল পিতার মৃত্যুর পর শরী‘আত মোতাবেক বণ্টন করা (নিসা ১১)। কেউ
উত্তর : শনিবারসহ সপ্তাহের প্রতিদিন মাছ ধরা বা শিকার করা জায়েয। এ ব্যাপারে ইসলামী শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে দাঊদ (আঃ)-এর যুগে বনু ইস্রাঈলদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ শনিবারে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল (আ‘রাফ ১৬৩)। তারা তা অমান্য করায় আল্লাহর হুকু
উত্তর : অন্যান্য সৃষ্টির ন্যায় জিনদেরও মৃত্যু হয় (আহক্বাফ ১৮; ক্বাছাছ ৮৮) এবং তাদেরকেও কবর থেকে পুনরুত্থান ঘটানো হবে (আন‘আম ১৩০; হূদ ১১৯)। তবে তারা কত বছর বাঁচে বা কিভাবে তাদের কাফন-দাফন করা হয় অথবা ইবলীসের মত তারাও ক্বিয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবে ক
উত্তর : এরূপ কোন হাদীছ নেই। বরং যত দ্রুত সম্ভব মাইয়েতের সম্পত্তি বণ্টন করে নেওয়া ওয়াজিব। কেননা দেরী করলেই নানা ফিৎনা সৃষ্টি হ’তে পারে। তবে মাইয়েতের ঋণ ও অছিয়ত পূরণের জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে। তাছাড়া ওয়ারিছদের সম্মতি থাকলেও বণ্টনে অপেক্ষা কর
উত্তর : এক্ষেত্রে মা, ছোট বোন ও সহযোগিতাকারী ভাই দায়ী হবে। অন্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত করে যুলুম করার কারণে ক্বিয়ামতের দিন তারা কঠিন জবাবদিহিতার মুখোমুখি হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কারো এক বিঘত যমীন জোর করে দখল করে, ক্বিয়ামতের দিন তার গলায়
উত্তর : যদি পুড়িয়ে ফেলার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে তা মানুষের পথচলার স্থান থেকে দূরে কোন পবিত্র স্থানে পুঁতে ফেলতে হবে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১২/৫৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা
উত্তর : হাজীগণ তখনই পূর্ণ হালাল হবেন যখন তাওয়াফে ইফাযাহ সম্পন্ন করবেন ও যাদের সাঈ বাকী রয়েছে তা সম্পন্ন করবেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৩৪৯; দ্র. ‘হজ্জ ও ওমরাহ’ বই ‘বিদায়ী ত্বাওয়াফ’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, জামরায়ে আক্বাবায় পাথর নিক্ষেপ, মাথা মুন্ডন
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় কেবল ‘খোলা’ হয়েছে। আর ‘খোলা’-র ইদ্দত হ’ল এক ঋতু (নাসাঈ হা/৩৪৯৭)। এক্ষণে উক্ত নারীর সাথে সংসার করতে চাইলে একমাস ইদ্দত পালন শেষে নতুন বিবাহের মাধ্যমে সংসার করবে। ‘খোলা’ অর্থ মালের বিনিময়ে স্বামীর নিকট থেকে স্ত্রীর প
উত্তর : জায়েয আছে। তবে বিনা কারণে এটা করা সমীচীন নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা মদীনায় যোহর ও আছরের ছালাত এবং মাগরিব ও এশার ছালাত একত্রে জমা করে পড়লেন, কোন ভয়-ভীতি কিংবা সফরের ওযর ছাড়াই। জিজ্ঞেস করা হ’ল, কেন তিন
উত্তর : নির্ধারিত মেয়াদ ভিত্তিক কিস্তিতে পণ্যমূল্য পরিশোধ করা জায়েয। যদি সেখানে নগদে এক মূল্য এবং বাকীতে অধিক মূল্য না হয়। বাকীতে অধিক মূল্য নিলে সেটি সূদ হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক ব্যবসায়ে নগদে এক বিক্রি ও বাকীতে আরেক বিক্রি নিষেধ করেছেন। আর
উত্তর : যারা কবরে শান্তিতে থাকবেন, তারা ক্বিয়ামতের দিন হিসাবের পরেও জান্নাতে প্রবেশ করবেন ইনশাআল্লাহ। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আখেরাতের মনযিলসমূহের মধ্যে প্রথম মনযিল হ’ল কবর। যদি কেউ এখানে মুক্তি পায়, তবে তার জন্য পরবর্তী মনযিল সমূহে মুক্তি প
উত্তর : আযান দেওয়ার জন্য মসজিদে উঁচু মিনার তৈরি করা যাবে। কারণ এতে দূরবর্তী লোকদের আযান শোনানো সহজ হয়। আর আযানের স্বর যত উচ্চ হয়, ততই উত্তম (আবুদাঊদ হা/৪৯৯, সনদ ছহীহ; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ১/৩০৮)। আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব বলেন, সুন্নাত হ’ল আযান
উত্তর : খালাগণ (সদাচরণের ক্ষেত্রে) মায়ের স্থলাভিষিক্ত (বুখারী হা/২৬৯৯; মিশকাত হা/৩৩৭৭)। ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো মহাপাপ করে ফেলেছি। আমার জন্য কি ক্ষমার দরজা খোলা আছ
উত্তর : যাকাতের টাকা বন্যার্ত অসহায়দের মাঝে ত্রাণ হিসাবে বিতরণ করা যাবে। কারণ যাকাতের সম্পদ যে সকল খাতে বণ্টন করতে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে মিসকীন বা সহায়সম্বলহীনগণ অন্যতম (তওবা ৯/৬০)। এমনকি বন্যার্ত অসহায় ব্যক্তি স্বাভাবিক অবস্থায় ধনী হ’লেও তাক
উত্তর : প্রথমতঃ উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৪৯, আহমাদ হা/২১২১২)। তবে পবিত্র কুরআনের যেকোন অংশ পড়ে ফুঁক দেওয়া যাবে। কেননা কুরআনকে আল্লাহ ‘শিফা’ বা ‘আরোগ্য’ বলেছেন (বনু ইসরাঈল ১৭/৮২)। দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর কালাম দ্বারা অমুসলিমকে ঝাড়-ফুঁক
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিন জন ব্যক্তির উপর আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করেছেন। (১) নিয়মিত মদ্যপায়ী (২) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (৩) দাইয়ূছ। যে তার পরিবারে ফাহেশা কাজ স্থায়ী রাখে’ (নাসাঈ হা/২৫৬২; আহমাদ হা/৫৩৭২; মিশকাত হা/৩৬৫৫; ছহীহাহ হা/৬৭৪)। উক্ত হাদী
উত্তর : জুম‘আর খুৎবায় দরূদ পাঠ করা সুন্নাত। সেটি প্রথম বা দ্বিতীয় খুৎবায় হ’তে পারে। তবে এটি পাঠ করা আবশ্যিক নয়। উছায়মীন বলেন, এমন কোন দলীল পাওয়া যায় না, যার মাধ্যমে খুৎবায় দরূদ পাঠ করাকে ওয়াজিব বলা যায় (আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/৫৩)। তবে শায়খুল ইসলাম
উত্তর : শর্তসাপেক্ষে তালাক প্রদানকালে যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে থাকে তবে দুই বারে দু’টি তালাক হয়েছে এবং একটি তালাক অবশিষ্ট আছে। এক্ষণে যেহেতু শারঈ পন্থায় ইদ্দতের মধ্যে রাজ‘আত করা হয়নি সেহেতু নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে পারবে (ফাতাওয়া ল
উত্তর : নারীরা তাদের মাহরামদের সামনে তাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবে (নূর ২৪/৩১)। ইবনু কুদামা (রহঃ) বলেন, মাহরাম পুরুষদের জন্য নারীর ঐ সকল অঙ্গ দেখা জায়েয, যা সাধারণত প্রকাশ পেয়ে যায়। যেমন মাথা, হাঁটু, পা, হাত এবং অনুরূপ অঙ্গগুলো। আর
উত্তর : যাবে না। কারণ প্রথমতঃ অমুসলিমদের অনুকরণে এসব দিবস পালিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন) তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আবূদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)।দ্বি
উত্তর : কুরবানীর নিয়তকারী নখ ও চুল কাটা থেকে বিরত থাকবে। কেউ যদি ভুলে নখ ও চুল কেটে থাকে তাহ’লে সেটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে না। আর কুরবানীর নিয়তকারী যদি ইচ্ছা করে এই সময়ের মধ্যে নখ ও চুল কর্তন করে তাহ’লে তাকে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে। তবে সে
উত্তর: পশু চরানো, শিকার করা এবং ক্ষেত-খামার ও বাড়ি-ঘর পাহারা দেওয়া এই তিন উদ্দেশ্যে কেবল কুকুর পালন করা যাবে। এতদ্ব্যতীত শুধু প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে বা শখের বশে কুকুর পোষা যাবে না। কেননা অন্য উদ্দেশ্যে কোন কুকুর বাড়িতে রাখলে এক ক্বীরাত তথা ওহোদ
উত্তর : সূরা ফাতিহা পাঠ করে ইমামের ক্বিরাআত শুনবে। কারণ সূরা ফাতিহা পাঠ ছাড়া ছালাত হবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮২২)।
উত্তর : (১) ‘মুসনাদে বায্যার’ ১৮ খন্ডে সমাপ্ত একটি হাদীছ গ্রন্থ। গ্রন্থটির প্রকৃত নাম البحر الزخَّار বা ‘কানায় কানায় পূর্ণ সাগর’। পরবর্তীতে মুসনাদ বায্যার নামে খ্যাতি লাভ করে। গ্রন্থটির সংকলক হ’লেন ইরাকের বছরায় জন্মগ্রহণকারী খ্যাতনামা মুহাদ্দ
উত্তর : উপরোক্ত সবগুলি নামই সুন্দর অর্থ বহন করে। সুতরাং তা রাখায় কোন দোষ নেই। তবে শী‘আদের আক্বীদা অনুযায়ী রোগমুক্তি ও বিশেষ ফযীলতের আশায় এগুলি রাখা হ’লে তা শিরক হবে। শী‘আরা বলে থাকে, আমার জন্য পাঁচজন রয়েছেন যাদের মাধ্যমে আমি সকল দুরারোগ্য ব্য
উত্তর : সন্তান পিতা-মাতার পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তাদের ঋণ পরিশোধ করবে। আল্লাহ তা‘আলা মীরাছের আলোচনা শেষে বলেন, মৃতের অছিয়ত পূরণ করার পর এবং তার ঋণ পরিশোধের পর (নিসা ৪/১১)। তবে নিজ সম্পত্তি থেকে পিতা-মাতার ঋণ পরিশোধ করা সন্তানের জন্য বাধ্যতামূলক ন
উত্তর : ছালাতের ভাষা আরবী। তাই দো‘আও আরবীতেই পাঠ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমাদের এ ছালাতে মানুষের কথাবার্তা সিদ্ধ নয়। এটা হ’ল তাসবীহ, তাকবীর এবং তেলাওয়াতে কুরআন’ (মুসলিম হা/৫৩৭; মিশকাত হা/৯৭৮)। ছালাতের মধ্যে অন্য ভাষায় দো‘আ করার ব্যাপারে
উত্তর : ‘মাক্বামে মাহমূদ’ বা প্রশংসিত স্থান হ’ল এমন একটি স্থান যেখানে দাঁড়িয়ে রাসূল (ছাঃ) তাঁর উম্মতের জন্য সুফারিশ করবেন (বুখারী হা/৭৪৪০; মুশকিলুল আছার হা/৮৫০; ছহীহাহ হা/২৩৬৯)। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করবে। এটি
উত্তর : মুহাররম মাসে বিবাহ-শাদীতে কোন ক্ষতি বা অশুভ লক্ষণ নেই। বরং শী‘আ রাফেযীরা এই মাসে হুসাইন (রাঃ)-এর শাহাদত উপলক্ষে শোক প্রকাশার্থে বিবাহ-শাদী হারাম বা অপসন্দনীয় ঘোষণা করেছে। এটা সুস্পষ্ট অপসংস্কৃতি এবং সুন্নাহ বিরোধী ধারণা। যেমন জাহেলী য
উত্তর : মৃত প্রাণীর চামড়াকে যদি প্রক্রিয়াজাত করা হয় তাহ’লে তা দ্বারা উপকার গ্রহণ করা জায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২১/৯৪; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১/৭৪-৭৫; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৯/৬৫৯)। যেমন হাদীছে এসেছে, ‘চামড়া যখন পাকা (দাবাগাত) করা হয়,
উত্তর : জিন জাতি বিবাহ করে এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তবে তারা কিভাবে বিবাহ করে ও সন্তান-সন্ততি হয় তা অজ্ঞাত। আল্লাহ বলেন, ‘তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে তাকে (শয়তান) ও তার বংশধরগণকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু (কাহফ ১৬/৫০
উত্তর : কুরআনে বর্ণিত আটটি খাত আল্লাহ ধারাবাহিকতার জন্য উল্লেখ করেননি। অতএব কেউ যদি প্রথমে ঋণগ্রস্তকে দিয়ে সূচনা করে তাতে কোন দোষ হবে না। বণ্টনকারী যেখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রদান করতে চাইবে, সেখানেই প্রদান করবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/
উত্তর : ঋতুবতী মহিলা কোন মহিলা মাইয়েতকে গোসল দেওয়াতে পারবে। এ ব্যাপারে শরী‘আতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৩৬৯)।
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থায় ঔষধ হিসাবে এধরনের মাদকদ্রব্য রোগীর জন্য ব্যবহার করা জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২৫/৭৭-৭৮)। তবে ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। যেমন (১) যতটুকু প্রয়োজন কেবল ততটুকু ব্যবহার করবে (২) দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক কর্ত
উত্তর : জিন অদৃশ্য জাতি, যাদের দেখা যায় না। তারা যেকোন সময় একটি সত্যের সাথে বহু মিথ্যা মিলিয়ে মানুষকে শিরকে লিপ্ত করতে পারে। এছাড়া তাদের মিথ্যার ফলে মানব সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হ’তে পারে। অতএব উক্ত বিষয়সমূহে জিনের সহযোগিতা নেওয়া জায়েয হবে না। ই
উত্তর : পিছন থেকে মানুষের প্রতিকৃতি অঙ্কনে যদি চোখ, মুখ ও নাকের আকৃতি বোঝা না যায় তবে তা জায়েয হবে। কেননা মাথা না থাকলে তা ছবি হিসাবে গণ্য হয় না (ইবনু কুদামাহ. মুগনী ৮/১১১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২৭৮-৭৯)। জিব্রীল (আঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে নির্দেশন
উত্তর : সরকারী নিয়ম-কানূনের কারণে কিংবা ব্যক্তির মূল বয়স সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ইতিপূর্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হ’ত। অতএব সরকার নির্ধারিত নিয়মেই উক্ত অতিরিক্ত পাঁচ বছর চাকুরী করা বৈধ হবে এবং এর বেতন নেওয়াও বৈধ হবে ইনশাআল
উত্তর : সরকারের বাধা না থাকলে উক্ত ভূমি চাষাবাদ করে তার ফসল ভোগ করা জায়েয। কারণ এধরনের জমি হাদীছে ঘোষিত মৃত জমির মত। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন অনাবাদী জমি আবাদ করবে সেটি তার (আবূদাঊদ হা/৩০৭৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৯৭৫)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
উত্তর : কোন হালাল জিনিস অপচয় করা সিদ্ধ নয় (বনু ইসরাঈল ১৭/২৬-২৭)। অতএব কুরবানীর চামড়া এভাবে নষ্ট করা মোটেও ঠিক হবে না। বরং অল্প দামে হ’লেও বিক্রয় করা বা সরাসরি ফকীর ও মিসকীনকে দান করতে হবে। নতুবা কমপক্ষে নিজে ব্যবহার করে উপকৃত হ’তে হবে (নববী, আল
উত্তর : কুরবানী চামড়া দ্বারা কুরবানী দাতা উপকৃত হ’তে পারবেন অথবা ফকীর-মিসকীনকে ছাদাক্বা করে দিতে পারবেন। কিন্তু এর মূল্য ভক্ষণ করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রয় করল (অর্থাৎ বিক্রয়লব্ধ মূল্য ভোগ করল) তার কুরবানী হ
উত্তর : পুরুষদের ঈদের জামা‘আত সম্পন্ন হ’লেই কুরবানী করা যাবে। উক্ত স্থানে মহিলাদের ঈদের জামা‘আত অতিরিক্ত। অতএব সেজন্য অপেক্ষার প্রয়োজন নেই।
উত্তর : এসকল অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াতের অডিও চালু রাখা জায়েয। যেকোন অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ করলে ছওয়াবপ্রাপ্ত হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাতে অমনোযোগিতা না আসে এবং কুরআনের প্রতি অবমাননা না হয় (আ‘রাফ ৭/২০৪; ছালেহ ফাওযান, আল-মুনতাক্বা ৩/৪৩৭
উত্তর : বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন কুরবানীর দিন। কারণ কুরবানীর দিনই হজ্জে আকবরের দিন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অবশ্যই কুরবানীর দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে মহান দিন (আহমাদ হা/১৯০৯৮; হাকেম হা/৭৫২২; মিশকাত হা/২৬৪৩; ছহীহুল জামে‘ হা/১০৬৪)। তিনি আরো বলেন, ‘কুরবানীর দি
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আলবানী, যঈফাহ হা/১৪৫৬)। তবে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বহু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করলে জীবন ও জীবিকায় বরকত হয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯১৮)। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষ
উত্তর : পালক পুত্র পরিবারের সদস্য নয় এবং সে মাহরামও নয়। সেজন্য সে সামর্থ্যবান হ’লে আলাদাভাবে কুরবানী করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২০/৩৬০)। আর একান্নবর্তী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সদস্যরা যদি আলাদাভাবে আয় করে এবং সামর্থ্যবান হয়, তবে প্রত্যেকে আলাদাভাবে
উত্তর : বিসমিল্লাহ বলেই নতুন বাড়িতে প্রবেশ করবে। তাছাড়া বাড়ি উদ্বোধনকালে বিশেষ কোন দো‘আ বর্ণিত হয়নি। তবে আল্লাহর নে‘মতের শুকরিয়াস্বরূপ নিম্নের দো‘আসমূহ পাঠ করা যায়। যেমন مَا شَاءَ اللهُ لَا قُوَّةَ إِلا بِاللهِ ‘মা-শা’আল্লাহ লা-কুওয়াতা ইল্লা-বি
উত্তর : জমিদাতার নাম মসজিদে না লেখাই উত্তম। কারণ এতে রিয়া বা লোক দেখানো আমল হয়ে থাকে। ফলে দাতা ছওয়াব থেকে বঞ্চিত হ’তে পারেন। তবে রিয়া অথবা আত্মপ্রচার ব্যতীত কেবল মানুষের অবগতি বা পরিচিতির উদ্দেশ্যে নাম লেখা যেতে পারে। যেমনভাবে মসজিদের পরিচয়সূ
উত্তর : একদল বিদ্বানের মতে, ছাদাক্বাতুল ফিতরের হকদার কেবল ফকীর ও মিসকীনরা। কারণ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যাকাতুল ফিতর ফরয করেছেন ছায়েমকে অনর্থক কথা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকীনদের জন্য খাদ্যস্বরূপ (আবূদাঊদ হা/১৬০৯
উত্তর : দেহের কোন অঙ্গের পরিবর্তন না ঘটিয়ে রূপচর্চায় কোন দোষ নেই। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য ভালবাসেন (মুসলিম হা/৯১; মিশকাত হা/৫১০৮)। রং ফর্সাকারী ক্রীম প্রভৃতি সৃষ্টির স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায় না। অতএব এতে বাধা নেই। তবে প্লা
-রবীউল ইসলাম, পুঠিয়া, রাজশাহী।উত্তর : প্রথমতঃ সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা থেকে বিরত থাকা যরূরী। কারণ এইসব প্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা তাদের পর্দা রক্ষা করতে পারে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১২/১৫৬)। দ্বিতীয়তঃ কুরআন তেলাওয়াত যেহেতু কোমল কণ
উত্তর : আশূরার ছিয়াম নফল। আর সাধারণভাবে কোন নফল ইবাদতের কাযা আদায় করার বিধান নেই। অতএব হায়েযা মহিলা যদি পূর্ব থেকে অভ্যস্ত থাকে এবং নেক নিয়ত রাখে, তবে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাকে নেক নিয়তের কারণে পূর্ণ ছওয়াব প্রদান করবেন (নিসা ৪/১০০; হাফেয ইবনু হাজা
উত্তর : রাক‘আত সংখ্যা কম হ’লে বা বেশী হ’লে অথবা কত রাক‘আত হয়েছে তা নির্ণয় করতে না পারলে কিংবা তাশাহহুদ ছুটে গেলে সহো সিজদা দেয়া ওয়াজিব (মুসলিম হা/৫৭১; ইবনু তায়মিয়া, মাজমূ‘ঊল ফাতাওয়া ২৮/২৩)। শাওকানী বলেন, ওয়াজিব ছাড়া পড়লে সহো সিজদা ওয়াজিব হবে, সুন্নাত
উত্তর : বোরক্বার জন্য নির্ধারিত কোন রঙ নেই। সেটা কালো বা সাদা বা যে কোন রঙের হ’তে পারে। তবে শর্ত হ’ল তা যেন সাদাসিধে ও ঢিলেঢালা হয় এবং পরপুরুষের জন্য আকর্ষণ সৃষ্টিকারী না হয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৭/১০৮-১০৯)। সুতরাং বোরক্বা বা হিজাব এমন নকশাদ
উত্তর : নিজের জন্য কবরের স্থান ক্রয় করে রাখা যায় এবং সেখানে দাফন করার অছিয়তও করা যায়। ওছমান, আয়েশা ও ওমর বিন আব্দুল আযীয এ বিষয়ে অছিয়ত করেছিলেন (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৩/৪৪৩; ড. আব্দুল্লাহ সাহীবানী, আহকামুল মাক্বাবেরাহ ফিশ শারী‘আহ ২৭-২৮ পৃ:)।
উত্তর : ‘হেযবুত তওহীদ’ বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি ভয়ংকর পথভ্রষ্ট ধর্মীয় সংগঠন। ২০০৮ সালে সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ সরকার (উইকিপিডিয়া)। ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলের করটিয়ার গ্রামের পন্নী পরিবারের সন্তান মোহাম্মাদ বায়াজিদ খান পন্নী (১৯২৫-২০১২ খ্রি
উত্তর : হাদীছটি হ’ল- আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি একদিন উপস্থিত লোকদের বললেন, ‘আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের ন্যায় ছালাত পড়ব? অতঃপর তিনি ছালাত পড়লেন এবং তাতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত অন্য সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করলেন ন
উত্তর : জামা‘আতের সাথে ছালাত পড়বেন এবং সাধ্যমত ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক ছালাত আদায় করবেন। কারণ জামা‘আতে ছালাত আদায়ে সাতাশ গুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১০৫২)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। যদি তারা বাধা
উত্তর : ছালাতের মধ্যে মুছল্লীর দৃষ্টি আকর্ষণকারী যেকোন ছবি মসজিদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাতের মধ্যে (আল্লাহর প্রতি) নিবিষ্টতা থাকে’ (বুখারী হা/১২১৬; মুসলিম হা/৫৩৮)। এক্ষণে যে সব মসজিদ মিনারের ছবিসহ নির্মিত হয়েছে, সেগুলি থেকে এ
উত্তর : মা সন্তানের জন্য অমূল্য নে‘মত। তাই তার পক্ষ থেকে কষ্ট পেলেও তা ছোট করে দেখতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সাধ্যমত মাকে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। কোন অবস্থায় তাকে পরিত্যাগ করা যাবে না। কারণ পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি’ (বায়
উত্তর : এর জন্য নির্দিষ্টভাবে কোন দো‘আ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তবে যে কোন কাজ শুরুর পূর্বে বিসমিল্লাহ পাঠ করবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৮/৯২)। আর পরীক্ষা যেহেতু একটি মনের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী বিষয় সেজন্য নিম্নোক্ত দো‘আগুলো পাঠ করতে পারে-‘রবিব যিদ্
উত্তর : উক্ত টাকা যাকাত হিসাবে বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ যাকাতের বিধান হ’ল ধনীদের নিকট থেকে নিয়ে তা গরীবদের মাঝে বিতরণ করা (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৭৭২)। এখানে সেটি নেই। তাছাড়া ঋণগ্রহীতা এক্ষেত্রে যাকাতের হকদার নাও হ’তে পারে। আর যদি হকদার হয়ও তবুও এ কাজ
উত্তর : এক্ষেত্রে প্রথমে তাকে উপদেশ দিতে হবে (বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮; মিশকাত হা/৩২৩৮)। এতে সমাধান না হলে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের মাধ্যমে মীমাংসা করতে হবে (নিসা ৪/৩৫; আহমাদ হা/৬৫৬)। তাতে সমাধান না হ’লে বিছানা পৃথক করতে হবে (নিসা ৪/৩৪)। এতেও সম
উত্তর : সন্তানের সকল সৎকর্মের ছওয়াব পিতা-মাতা সমানভাবে পাবেন মর্মে সুস্পষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং যে সকল সৎকর্ম পিতা-মাতার মাধ্যমে বা প্রচেষ্টায় সন্তান শিখেছে তার ছওয়াব পিতা-মাতা পাবেন (ইবনু তায়মিয়াহ, জামেঊল মাসাইল, ৪/২৬৬-২৭৫)। রাসূল (ছা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/২৮৯৮; সিলসিলা যঈফাহ হা/৩০০; মিশকাত হা/২১৫৮)। তবে সূরা ইখলাছ পাঠের অনন্য ফযীলত রয়েছে। যেমন- রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূরা ইখলাছ একবার পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পাঠের সমান নেকী পাওয়া যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/২১
উত্তর : সন্তান পিতা-মাতার পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তাদের ঋণ পরিশোধ করবে। মীরাছের আলোচনা শেষে আল্লাহ বলেন, মৃতের অছিয়ত পূরণ করার পর এবং তার ঋণ পরিশোধের পর.. (নিসা ৪/১১)। তবে নিজ সম্পত্তি থেকে পিতা-মাতার ঋণ পরিশোধ করা সন্তানের জন্য বাধ্যতামূলক নয় (ইব
উত্তর : প্রথমতঃ উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৪৯, আহমাদ হা/২১২১২)। তবে পবিত্র কুরআনের যেকোন অংশ পড়ে ফুঁক দেওয়া যাবে। কেননা কুরআনকে আল্লাহ ‘শিফা’ বা ‘আরোগ্য’ বলেছেন (বনু ইসরাঈল ১৭/৮২)। দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর কালাম দ্বারা অমুসলিমকে ঝাড়-ফুঁক
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন চার ব্যক্তি ঝগড়া করবে। (১) বধির (الأصم) (২) নির্বোধ (الأحمق) (৩) অতিবৃদ্ধ (الهرم) এবং (৪) যে ইসলামের দাওয়াত পায়নি (من ماة في الفةرة)। বধির বলবে, হে আমার প্রতিপালক! ইসলাম এসেছে, অথচ আমি কিছুই শুনতে পাইন
উত্তর : না, এজন্য সহো সিজদা দিতে হবে না।
উত্তর : ভুলক্রমে বা অজ্ঞতাবশতঃ কেটে ফেললে কোন পাপ নেই। আর ইচ্ছাকৃতভাবে কাটলে তাকে তওবা করতে হবে, তবে তাতে কাফ্ফারা নেই।
উত্তর : মায়ের জন্য এরূপ করা ঠিক নয়। কারণ তিনি স্বামীর সংসার ও সন্তানদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল (বুখারী হা/৫২০০, মিশকাত হা/৩৬৮৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সর্বোত্তম দীনার সেইগুলো যা পরিবারের জন্য খরচ করা হয় (তিরমিযী হা/১৯৬৬; ছহীহুল জামে‘ হা/১১০৩)। অতএব নিজ স
উত্তর : যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিনে খাৎনা করা ও পশু যবেহ করায় কোন বাধা নেই। কেবলমাত্র যারা কুরবানী করার নিয়ত করেছে তাদের জন্য বিধান হ’ল তারা এই দশদিনে নখ ও যাবতীয় চুল কাটা থেকে বিরত থাকবে (মুসলিম হা/১৯৭৭)। তবে যাদের কুরবানী নেই অথচ উক্ত আমল কর
উত্তর : সরকারী খরচে হজ্জ করা জায়েয। কেননা অন্যের খরচে হজ্জ করা যায় এবং এতে হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ৬৫৯৩)।
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি জাল (দায়লামী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৯৭৮)। অনুরূপ ‘এক ঘণ্টা ইলম অন্বেষণ করা এক ঘণ্টা ইবাদত করার চেয়ে উত্তম’ এই বর্ণনাটিও যঈফ (দারেমী, মিশকাত হা/২৫৬)। তবে এ বিষয়ে ছহীহ হাদীছ হ’ল এই যে, ‘আবেদের উপরে আলেমের মর্যাদা নক্ষত্র সমূহের উপ
উত্তর : হজ্জ পালনকারীর জন্য উক্ত বিধান প্রযোজ্য নয়। তবে হাদঈ ব্যতীত আলাদাভাবে কুরবানী করার নিয়ত থাকলে বিধানটি তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৯০; উছায়মীন, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ২৫/২২৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে য
উত্তর : পারতপক্ষে অছিয়ত পূরণ করাটাই কর্তব্য। যেমন আবুবকর (রাঃ) তার স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইসকে, ফাতেমা (রাঃ) তার স্বামী আলী (রাঃ)-কে এবং আনাস (রাঃ) তার ছাত্র ইবনু সীরীনকে তাঁর গোসল দেওয়ানোর অছিয়ত করে যান এবং তারা তা পালন করেন (দারাকুৎনী, বুলুগুল
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবক পিতাই হবেন। যদিও স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হন। পালক পিতা নিজ পিতার স্থলাভিষিক্ত হ’তে পারবেন না, যদিও তিনি লালন-পালন করে থাকেন। এক্ষণে মূল পিতা যদি মেয়ের অলী হ’তে ইচ্ছুক হন, তবে তিনিই অভিভাবক হবেন। আর যদি ইচ্ছ
উত্তর: মিথ্যা বলা সর্বাবস্থায় হারাম। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক’ (তওবাহ ৯/১১৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দুর্ভোগ সেই ব্যক্তির, যে মিথ্যা বলে লোকদেরকে হাসায়। দুর্ভোগ তার জন্য, দুর্ভোগ তার জন্য’ (আবুদাউদ হা/৪৯৯০; আ
উত্তর : কানীয শব্দটি ফার্সী (كنيز)। যার অর্থ বাঁদী, দাসী প্রভৃতি। সুতরাং আল্লাহর বান্দী অর্থে কানীয নাম রাখা যায়। তবে সম্বন্ধবাচক অর্থে কানীয ফাতেমা নাম থেকে যদি ফাতেমা (রাঃ)-এর বাঁদী উদ্দেশ্য নেওয়া হয়, তাহ’লে এই নাম রাখা বৈধ নয়। উল্লেখ্য যে,
উত্তর : স্বাভাবিকভাবে একটি কবরে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন অনুচিৎ। তবে স্থান সংকুলান না হ’লে বা মহামারির কারণে একাধিক কবর খনন করার মত লোক পাওয়া না গেলে কেবল তখনই এক কবরে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন করা যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২৪৭; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে
উত্তর : এসময় হাজীগণ কেবল যোহর, মাগরিব ও এশার সুন্নাতগুলি বাদ দিবেন। তাছাড়া অন্য সকল প্রকার নফল ছালাত আদায় করবেন। যেমন তাহাজ্জুদ, ছালাতুয যোহা, ছালাতুল ইস্তেখারাহ, ছালাতুল হাজত, ছালাতুত তওবা ও অন্যান্য নফল ছালাত (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪
উত্তর : যে কোন অবস্থায় গুজবে কান দিয়ে বা স্রেফ ধারণার ভিত্তিতে কোন অপপ্রচার বা অনাকাঙ্ক্ষিত কর্ম করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শোনে তা-ই প্রচার করে (মুসলিম হা/৫; মিশকাত হা/১৫৬)। আল্লাহ
উত্তর : আদালত কর্তৃক বিচার শেষে ক্বিছাছ ব্যতীত সর্বাবস্থায় মানুষ হত্যা করা হারাম। এমনকি কোন স্পষ্ট অপরাধীকেও বিচারহীনভাবে মারা যাবে না। এক্ষণে কাউকে গণপিটুনী দিয়ে হত্যা করা হ’লে সংশ্লিষ্ট সকলেই অপরাধী সাব্যস্ত হবে এবং নিহতের উত্তরাধিকারীরা ক্
উত্তর : ইহরাম অবস্থায় মহিলারা নেক্বাব ও হাতমোজা পরবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুহরিম মহিলাগণ নেক্বাব এবং হাতমোজা লাগাবে না’ (বুখারী হা/১৮৩৮; মিশকাত হা/২৬৭৮)। তবে ফেৎনার আশংকা থাকলে তারা ভিন্ন কাপড় দ্বারা মুখ ও হাত ঢাকতে পারবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা
উত্তর : আল্লাহর প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস থাকলে সে তওবা করার সুযোগ না পেলেও মুশরিক হবে না। বরং সে ঈমানের অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করবে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১২/৩১২; ইবনু আব্দিল বার্র, আত-তামহীদ ১/১২০)। আল্লাহ বলেন, ‘যার উপরে (কুফরীর জন্য) যবরদস্তি করা হয়,
উত্তর : এমতাবস্থায় সুন্নাত সহই ফজরের দু’রাক‘আত ফরয ছালাত আদায় করবে। সূর্যোদয় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। কেননা ঘুম ভাঙ্গার উপর বান্দার কোন এখতিয়ার নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ ছালাত ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে গেলে তার কাফফারা হ’ল, ঘুম ভাঙ্গলে অথবা
উত্তর : মহিলাগণ পুরুষদের পিছনে দাঁড়িয়ে জামা‘আতে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের ছালাত আদায় করতে পারেন। হযরত আয়েশা, আসমা ও আনছার মহিলাগণ পুরুষের জামা‘আতের পিছনে এই ছালাত আদায় করেছিলেন (বুখারী হা/৯২২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূর্য গ্রহণের দীর্ঘ ছালাত শে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিন জন ব্যক্তির উপর আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করেছেন। (১) নিয়মিত মদ্যপায়ী (২) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান (৩) দাইয়ূছ। যে তার পরিবারে ফাহেশা কাজ স্থায়ী রাখে’ (নাসাঈ হা/২৫৬২; আহমাদ হা/৫৩৭২; মিশকাত হা/৩৬৫৫; ছহীহাহ হা/৬৭৪)। উক্ত হাদী
উত্তর : চুল বিক্রয়যোগ্য বস্ত্ত নয়। কারণ চুল দেহেরই একটি অংশ। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা আদম সন্তানকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি’ (ইসরা ১৭/৭০)। তাই এটি জায়েয হবে না যে, এভাবে মানব দেহের কোন অংশ অপদস্থ ও অপমানিত হৌক’ (আল-ইনাইয়া শারহুল হেদায়া ৬/৪২৫; আল-মাওসূ‘আতুল ফ
উত্তর : আবশ্যিক নয়, তবে উত্তম। কারণ পিতা-মাতার অছিয়ত পূর্ণ করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করা সন্তানের একান্ত দায়িত্ব। তবে এক দেশ থেকে আরেক দেশে লাশ নিয়ে যাওয়ার কোন বিধান নেই। বরং কাছাকাছি এলাকার কোন মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করতে হবে (আবূদাউদ হা/৫১
উত্তর : সন্তানের দায়িত্ব হ’ল পিতা-মাতার ভরণপোষণ করা। এজন্য বিদ্বানগণ এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, পিতা-মাতা বা সন্তান-সন্ততিকে যাকাত প্রদান করা যাবে না। কেননা তা প্রকারান্তরে নিজেকেই যাকাত প্রদানের শামিল (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ২/২৬৯)। তবে
উত্তর : চারজন। তন্মধ্যে মদীনায় ছিলেন দু’জন- (১) বেলাল বিন রাবাহ ও (২) আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ), তাঁকে আমরও বলা হয়। ক্বোবায় ছিলেন- (৩) ‘আম্মার বিন ইয়াসিরের মুক্তদাস সা‘দ আল-ক্বারয এবং মক্কায় ছিলেন (৪) আবু মাহযূরাহ আউস বিন মুগীরাহ আল-
উত্তর : স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেনার অপবাদ দিলেই তা লে‘আন হিসাবে গণ্য হবে না এবং এতে বিবাহ বিচ্ছেদও হবে না। বরং এরূপ ক্ষেত্রে করণীয় হ’ল স্বামী প্রথমতঃ স্ত্রীর যেনার পক্ষে চারজন সাক্ষী উপস্থাপন করবে। তা সম্ভব না হ’লে আদালতে বিচারকের উপস্থিতিতে লে‘আন
উত্তর : উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হানাফী আলেম আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌভী (১২৬৪-১৩০৪ হি./১৮৪৮-১৮৮৭ খৃ.) একত্রিত তিন তালাক সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই অবস্থায় হানাফী মাযহাব অনুযায়ী তিন তালাক পতিত হবে এবং ‘তাহলীল’ ব্যতীত তার সাথে পূর্ব স্বাম
উত্তর : যাদের আমলনামা সমান হবে তাদেরকে কুরআনের ভাষায় বলা হয়েছে ‘আরাফ বাসী’। ‘আরাফ’ জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী একটি উঁচু স্থানের নাম। যা প্রাচীর স্বরূপ। যাদের নেকী সেই পরিমাণ হবে না যার ফলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং গোনাহও সেই পরিমাণ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-কে গালিদাতা ধর্মত্যাগী কাফের হিসাবে গণ্য হবে (তাওবাহ ৬৫-৬৬)। ছাহাবীগণসহ সর্বযুগের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে ঐ ব্যক্তি কাফের, মুরতাদ এবং তাকে হত্যা করা ওয়াজিব (ইবনু তায়মিয়াহ, আছ-ছারেমুল মাসলূল ২/১৩-১৬)। তবে তা প্রমাণ সাপেক্ষ
উত্তর : উক্ত ব্যক্তি যেহেতু তওবা করে ছালাত আদায় করা শুরু করেছিল, কিন্তু ছিয়াম পালন করার সুযোগ পায়নি। সেহেতু তার উত্তরাধিকারীরা তার ছুটে যাওয়া ছিয়ামের সংখ্যা অনুমান করে ভাগাভাগি করে ক্বাযা আদায় করে দিতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মৃত্
উত্তর : উক্ত কবরস্থানের জন্য আলাদা প্রাচীর থাকা আবশ্যক। এছাড়া যদি মসজিদের দেয়াল ও কবরস্থানের মাঝে রাস্তা থাকে, তাহ’লে সে মসজিদে ছালাত আদায় করতে কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/৯৭২; নাসাঈ হ
উত্তর : ওমরাহ পালনকারী নির্দিষ্ট মীকাতে পৌঁছে পবিত্রাবস্থায় ইহরাম বাঁধবে। অতঃপর তালবিয়া পাঠ শুরু করবে এবং হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ বা ইশারা করা তথা ত্বাওয়াফ শুরু করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রাখবে (তিরমিযী হা/৯১৯; ইবনু খুযায়মাহ হা/২৬৯৬; ইরওয়া ইর
উত্তর: খুৎবা আখেরাতমুখী, সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ হওয়া বাঞ্ছনীয় (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫-০৬)। তবে প্রয়োজনমাফিক খুৎবা দীর্ঘ হওয়াতে বাধা নেই। যেমন জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে এসেছে যে, খুৎবার সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দু’চোখ উত্তেজনায় লাল হয়ে
উত্তর : খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিৎরা দেওয়াই সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম এক ছা‘ খাদ্যদ্রব্য দিয়ে ফিৎরা আদায় করেছেন (বুখারী হা/১৫০৬; মিশকাত হা/১৮১৬)। যদি কোন স্থানে ফিৎরা বণ্টন সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা সংগঠনের মাধ্যমে অন্যত্র
উত্তর : ফেরেশতা নূরের তৈরী অত্যন্ত শক্তিশালী আল্লাহর এক মহা সৃষ্টির নাম। যা মানুষ স্থূল দৃষ্টিতে দেখতে পায় না। তবে মানুষ তার অস্তিত্বের সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি অনুভব করে। আল্লাহর হুকুমে তারা সর্বক্ষণ সৃষ্টজীবের সেবায় নিয়োজিত। কা‘ব আল
উত্তর : পশুর প্রবাহিত রক্ত অপবিত্র (আন‘আম ৬/১৪৫)। সুতরাং কারো কাপড়ে কুরবানী করার সময় পশুর প্রবাহিত রক্ত লাগলে তা পরিষ্কার করে ছালাত আদায় করতে হবে। কেউ জেনেশুনে উক্ত রক্ত মাখা কাপড়ে ছালাত আদায় করলে তাকে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে (নববী, আল-মাজমূ
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ) মদীনায় দশ বছর অবস্থান করেছেন এবং প্রতি বছর কুরবানী করেছেন (তিরমিযী হা/১৫০৭; মিশকাত হা/১৪৭৫, সনদ যঈফ হলেও মর্ম ছহীহ)। সে হিসাবে রাসূল (ছাঃ) দশবার কুরবানী করেছেন। কারণ তিনি সফরে থাকা অবস্থাতেও কুরবানী পরিত্যাগ করেননি (মুসলিম হা/১
উত্তর : কুরবানী করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি ওয়াজিব নয় যে, যেকোন মূল্যে প্রত্যেককে কুরবানী করতেই হবে। লোকেরা যাতে এটাকে ওয়াজিব মনে না করে, সেজন্য সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হযরত আবুবকর ছিদ্দীক্ব, ওমর ফারূক্ব, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর, আব্দুল্লাহ ইবন
উত্তর : কুরবানীর গোশত মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করা উত্তম। তবে অমুসলিম প্রতিবেশী দুস্থ-অভাবীদের কিছু দেওয়ায় দোষ নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৪২৪)। কেননা এটি যাকাত বহির্ভূত নফল ছাদাক্বার অন্তর্ভুক্ত (আল-মুগনী ৩/৫৮৩, ৯/৪৫০)। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল ‘আছ
উত্তর : কুরবানীতে আক্বীক্বার নিয়ত করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ দু’টি পৃথক ইবাদত। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ ধরনের আমলের অস্তিত্ব ছিল না (আলোচনা দ্রঃ নায়লুল আওত্বার ৬/২৬৮, ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায়; মির‘আত ২/৩৫১ ও ৫/৭৫)।তবে কুরবানীর গোশত দ্বারা
উত্তর : খাসীকৃত প্রাণী ত্রুটিপূর্ণ নয়। কারণ এটি ছাগলের কোন রোগ নয়। বরং খাসীর গোশত তুলনামূলক পবিত্র, দুর্গন্ধমুক্ত ও সুস্বাদু হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে সর্বদা দু’টি করে ‘খাসী’ (خَصِيَّيْنِ- مَوْجُوْئَيْنِ) কুরবানী দিতেন (হাকেম হা/৭৫৪৭; আহ
উত্তর : কুরবানীর জন্য গরুর বয়স হ’ল দু’বছর পূর্ণ হওয়া। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা দুধের দাঁত ভেঙ্গে নতুন দাঁত ওঠা (মুসিন্নাহ) পশু ব্যতীত যবেহ কর না। তবে কষ্টকর হ’লে এক বছর পূর্ণকারী ভেড়া (দুম্বা বা ছাগল) কুরবানী করতে পার’ (মুসলিম, মি
উত্তর : সুন্নাত হ’ল যেখানে অবস্থান করবে সেখানে কুরবানী করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তখন তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আহার করাও যারা চায় না তাদেরকে ও যারা চায় তাদেরকে’ (হজ্জ ২২/৩৬)। অত্র আয়াতে নিজে ভক্ষণ করা ও অপরকে দান করার নির্দেশনা এসেছে। তবে অবস
উত্তর : বান্দার হক বিনষ্টকারীগণ ক্বিয়ামতের দিন সর্বাধিক অসহায় ও নিঃস্ব হিসাবে গণ্য হবে। তাদের ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ ও অন্যান্য ইবাদত কবুল হবে। তবে তার ইবাদতগুলোর ছওয়াব যেসব মানুষের অধিকার নষ্ট করেছে তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হবে। রাসূলুল্লাহ (ছা
উত্তর : বিতর ছালাতকে রাতের শেষ ছালাত হিসাবে আদায় করা উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা রাতের শেষ ছালাত হিসাবে বিতর আদায় কর’ (বুখারী হা/৯৯৮; মুসলিম হা/৭৫১; মিশকাত হা/১২৫৮)। তবে বিতর ছালাত আদায়ের পরেও নফল ছালাত আদায় করা যায়। সেক্ষেত্রে তার প্রথম বিতর
উত্তর : সরকারের কোন সিদ্ধান্ত যদি শরী‘আত বিরোধী না হয় এবং নাগরিকদের প্রতি যুলুম না হয়, তবে তা মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য (নিসা ৪/৫৯)। অতএব সরকারের উক্ত সিদ্ধান্ত মেনে চলা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করব
উত্তর : নিখোঁজ স্বামীর জন্য স্ত্রী চার বৎসর অপেক্ষা করার পর অন্যত্র বিবাহ করতে পারে। ওমর (রাঃ) এরূপ ফায়ছালা দিয়েছিলেন (বায়হাক্বী হা/১৫৩৪৫; মুহাল্লা ৯/৩১৬ পৃ.)। প্রশ্ন অনুযায়ী স্বামী হারিয়ে যাওয়ার পর ৮-১০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। অতএব উক্ত স্ত্রী আদা
উত্তর : মৃত ব্যক্তির নামে পৃথকভাবে কুরবানী দেওয়ার কোন ছহীহ দলীল নেই। আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অছিয়ত হিসাবে তাঁর জন্য পৃথক একটি দুম্বা কুরবানী দিয়েছেন বলে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা অত্যন্ত যঈফ (আহমাদ হা/১২৭৮; আবূদাঊদ হা/২৭৯; মিশকাত হা/১৪৬২)
উত্তর : আক্বীক্বা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। সন্তানদের জন্য মৃত পিতা-মাতার পক্ষে আক্বীক্বা করার কোন দলীল নেই। সুতরাং এভাবে আক্বীকা করার আবশ্যকতা নেই।
উত্তর : খোলা‘ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ যা নারীর পক্ষ থেকে হয় স্বামী থেকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে, এটি তালাক নয়। সেজন্য এখানে রাজ‘আতের কোন ব্যবস্থা নেই। তবে এক তুহুর ইদ্দত পালন শেষে উভয়ে নতুনভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে (ই
উত্তর : আশূরা তথা মুহাররম মাসের দশম দিন আল্লাহর উদ্দেশ্যে যেকোন সৎকর্ম করা যায়। ছিয়াম পালন করা, তাকবীর, তাহলীল, তাসবীহ ও তাহমীদ পাঠ করা ইত্যাদি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘রামাযানের ছিয়ামের পর মুহাররমের ছিয়ামই হ’ল শ্রেষ্ঠ ছিয়াম’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩৯
উত্তর : বর্তমানে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে অপ্রাপ্ত বয়সেও চুল পেকে যাচ্ছে। এর জন্য চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কালো রং দ্বারা কলপ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেন, ‘শেষ যামানায় একদল লোকের আবির্ভাব হবে যারা কবুতরের বক্ষের ন্য
উত্তর : ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ‘অন্যান্য ছালাতের ন্যায় তাকবীরে তাহরীমার পরে দো‘আয়ে ইস্তেফতাহ (‘ছানা’) পাঠের পর তাকবীরে তাহরীমা ও তাকবীরে রুকূ ব্যতিরেকে সাত তাকবীর দিবে এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে ক্বওমার তাকবীর বাদে পাঁচ তাকবীর দিবে’ (নববী, রওযাতুত ত্বা
উত্তর : উক্ত বিবাহ অলীর অনুমতি সাপেক্ষেই হয়েছে। কারণ পিতা অসন্তুষ্ট থাকলেও অনুমতি দিয়েছেন। যেকোন মাধ্যমে অনুমতি দিলে তা রাযী থাকারই লক্ষণ।
উত্তর : উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। কারণ পিতার উপস্থিতিতে অন্য কেউ অলী হ’তে পারে না। আর অলী ছাড়া বিবাহ বাতিল হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাউদ, সনদ ছহী
উত্তর : এই কাহিনীর কোন ভিত্তি নেই। কুরআন, হাদীছ এমনকি কোন ইতিহাস গ্রন্থেও এমন ঘটনা পাওয়া যায় না। হাদীছে এসেছে যে, পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন আমাদের প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) (মুসলিম হা/১৯৭; আহমাদ হা/১২৪৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/
উত্তর : ওযনে কুরবানীর পশু ক্রয়ে বাধা নেই। তবে ওযন বৃদ্ধির জন্য কোন প্রতারণার আশ্রয় নেয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করল, সে আমাদের দলভুক্ত নয় (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৩৯; ফাতাওয়া ল
উত্তর : কুরবানীর গোশত ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তাঁর কুরবানীর উটগুলোর নিকট দাঁড়াতে এবং এগুলোর গোশত, চামড়া, ভূঁড়ি ইত্যাদি ছাদাক্বা করে দিতে আদেশ করলেন। তিনি গোশত দ্বারা কসাইয়ের মজুরী দিতে নিষেধ করলেন এবং
উত্তর : কুরবানী ও আক্বীক্বা দু’টি পৃথক ইবাদত। কুরবানীর পশুতে আক্বীক্বার নিয়ত করা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ ধরনের আমল ছিল না। তাছাড়া দু’টি ইবাদত পৃথক উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়েছে (আলোচনা দ্রঃ নায়লুল আওত্বার ৬/২৬৮, ‘আক্
উত্তর : জমি ভাড়া নিয়ে যেকোন ফল বা ফসল আবাদ করা যায়। কারণ জমি ভাড়া নেওয়া হয় চাষ করার জন্য। সুতরাং লীজগ্রহীতা যেকোন ফসল বা ফলদ বৃক্ষ রোপন করে উপকৃত হ’তে পারে। ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, ইবনু আক্বীল, উছায়মীনসহ একদল বিদ্বান কয়েক বছরের জন্য ফল
উত্তর : মালের যাকাত অর্থমূল্য দিয়েই প্রদান করতে হবে। খাদ্যবস্ত্ত বা অনুরূপ কিছু দিয়ে জায়েয নয় (উছায়মীন, মাজমু‘ ফাতাওয়া ১৮/৩০৩ পৃ.)। অতএব উক্ত ধান বা চাউল দিয়ে যাকাত প্রদান করা যাবে না। বরং তা থেকে বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে যাকাত দিতে হবে। তবে বিশেষ কা
উত্তর : পূর্বের পাপ যদি আল্লাহর হক বিষয়ে হয়, যেমন ছালাত-ছিয়াম ইত্যাদি আদায় না করা, তাহলে আল্লাহর নিকট খালেছ তওবা করলে আল্লাহ মাফ করবেন। শর্ত হল অনুতপ্ত হওয়া, ঐকাজ পরিত্যাগ করা এবং পুনরায় ঐ কাজ না করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকা। আর যদি সেটি ব
উত্তর : সম্পত্তি বণ্টন ইসলামী বিধান মোতাবেক হতে হবে। যেহেতু ইসলামে মীরাছ বণ্টনের বিধান মৃত্যুর পর, অতএব প্রশ্নোল্লেখিত ক্ষেত্রে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর প্রাপ্য স্থাবর সম্পত্তি তার মেয়েদের নামে লিখে দেয়া বৈধ হয়নি; যদিও তা স্ত্রীর সম্মতিতে হয়েছে।
উত্তর : কুরবানী হ’ল ইব্রাহীমী সুন্নাত। যেখানে একটি পশুই নির্ধারিত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম মুক্বীম অবস্থায় সর্বদা পরিবারের পক্ষ হ’তে একটি পশু কুরবানী করেছেন। তবে কেবল সফর অবস্থায় কুরবানীতে শরীক হওয়া যাবে। যেমন (ক) আব্দুল্লাহ ইবনু আ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে কুরআন খতম শেষে বিশেষ কোন দো‘আ পাঠ করা বা দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করার বিশুদ্ধ দলীল পাওয়া যায় না। কেবল আনাস (রাঃ) থেকে একটি আছার পাওয়া যায় যে, তিনি যখন কুরআন খতম করতেন, তখন তাঁর সন্তানাদি এবং পরিবারের লোকজ
উত্তর : সাধারণতঃ পিতা-মাতার বদ নযর লাগে না। কেননা বদ নযর মানুষের খারাপ ইচ্ছা থেকে হয়ে থাকে। আর পিতা-মাতা কখনো সন্তানের অকল্যাণ বা খারাপ কিছু চান না। সুতরাং পিতা-মাতাকে অভিযুক্ত করা অন্যায় হবে। তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সৎ মানুষের ক্ষেত্রে অনেক সময়
উত্তর : ছূফী মতবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ। এটি রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈদের যুগে পরিচিত ছিল না। এমনকি হিজরী তৃতীয় শতক পর্যন্ত ছূফীবাদ বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেনি (ইবনু তায়মিয়াহহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ১১/০৫)। হিন্দু, পারসিক ও গ্রীক দর্শনের কু-প
উত্তর : পিতা-মাতা উক্ত দুই কন্যা সন্তানকে সম্পদ প্রদান করতে পারে। বাড়ি-ঘর নির্মাণও করে দিতে পারে। তবে সমতা রক্ষা করা যরূরী। কারণ রাসূল (ছাঃ) কোন এক সন্তানকে বিশেষভাবে দান করতে নিষেধ করেছেন। তবে যদি কেউ তার সকল সন্তানকে দান করতে চায় তাহ’লে তাত
উত্তর : জুমআ‘র দিন খুৎবার আগে বা পরে ইমাম ব্যতীত অন্য কারো আলোচনা করা সমীচীন নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এই ধরনের কোন আমল ছিল না। তাছাড়া খুৎবার পরিসমাপ্তি ও ছালাতের শুরুর মধ্যে বেশী ব্যবধান হ’লে ছালাত বাতিল হয়ে যাবে (শাফেঈ,
উত্তর : ভুলক্রমে হ’লে ক্বাযা করার প্রয়োজন নেই। কারণ অনিচ্ছাকৃত ভুল মার্জনীয় (আহযাব ৩৩/৫)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আমার উম্মতের অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ও ভুল সমূহকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৩; মিশকাত হা/৬২৮৪)।ছহীহ বুখারীতে (হ
উত্তর : ইমাম সালাম ফিরানোর পর ডাইনে অথবা বামে ঘুরে সরাসরি মুক্তাদীগণের দিকে ফিরে বসতে পারবে এবং এটিই ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর নিয়মিত সুন্নাত (বুখারী হা/৮৫২; মুসলিম হা/৭০৭; মিশকাত হা/৯৪৪-৪৬; ফাৎহুল বারী ২/৩৩৪)। ডান দিক দিয়ে ফেরার সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
উত্তর : টার্কী বা যে কোন জাতের মুরগীর গোশত হালাল। কেননা এটি দন্ত ও নখর বিশিষ্ট কোন হিংস্র প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর সামনে মুরগীর গোশত পেশ করা হ’লে তিনি তা ভক্ষণ করেছেন (বুখারী হা/৫৫১৮; মুসলিম হা/১৬৪৯)।
উত্তর : নিষেধাজ্ঞা না থাকলে সরকারী জমিতে জুম‘আ বা ঈদের ছালাত আদায়ে কোন দোষ নেই। আনাস (রাঃ) বলেন, মদীনায় হিজরত করার পর মসজিদ নির্মাণের স্বার্থে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বনু নাজ্জারকে বললেন, তোমরা তোমাদের বাগানটি আমার নিকটে বিক্রয় করে দাও। জবাবে তারা
উত্তর : হজ্জের নিয়ত করে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি, অতিবৃদ্ধ, চিররোগী, মুহরিম বিহীন মহিলা প্রমুখের জন্য মূলতঃ বদলী হজ্জের বিধান (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৫১১-১২, ১৩ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)। তবে বদলী হজ্জ আদায়কারীকে অবশ্যই ইতিপূর্বে হাজী হ’তে হবে (আবুদাউদ, ইবনু ম
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ এবং সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্যের মূল্য সমান ছিল। কিন্তু বর্তমানে উভয়ের মাঝে ব্যবধান কয়েকগুণ। অর্থাৎ রৌপ্যের মূল্যে ব্যাপক অবনমন ঘটেছে। ফলে আধুনিক যুগে বিদ্বানগণ স্বর্ণের মূল্যমান রৌপ্য অপেক্ষা স্থিত
উত্তর : কোন হাজী ৪০০ জন ব্যক্তিকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবেন মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। এটি মিথ্যা ও বানাওয়াট কথা মাত্র।
উত্তর : না। বরং যখন উক্ত মোহরের টাকা হাতে আসবে এবং তা এক বছর সঞ্চিত থাকবে, তখন শতকরা আড়াই টাকা হিসাবে যাকাত দিতে হবে। কারণ যা মালিকানায় নেই তার উপর যাকাত ফরয হয় না (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/১১, ২৫)।
উত্তর : মালিকানাধীন সমস্ত স্বর্ণের উপর যাকাত দিতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিশ দীনারের কম স্বর্ণে যাকাত ফরয নয়। যদি কোন ব্যক্তির নিকট ২০ দীনার পরিমাণ স্বর্ণ এক বছর যাবৎ থাকে তবে এর জন্য অর্ধ দীনার যাকাত দিতে হবে। এরপরে যা বৃদ্ধি পাবে তার
উত্তর : পণ্যটির বর্তমান বাজারমূল্যের উপর যাকাত হিসাব করতে হবে। যদি তা নিছাব পরিমাণ হয় (ইবনু কুদামাহ, আল মুগনী ৪/২৪৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৯/৩২৪; আল মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ১৩/১৭১; আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/১৪৬)।
উত্তর : বিনিয়োগকৃত মূলধন এবং লভ্যাংশ যোগ করে বছর শেষে যে পমিমাণ সম্পদ হবে তা থেকে যাকাত দিতে হবে। মোট সম্পত্তির ৪০ ভাগের ১ ভাগ যাকাত দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিশ দীনারের কম স্বর্ণে যাকাত ফরয নয়। যদি কোন ব্যক্তির নিকট বিশ দীনার পরিমাণ স্বর
উত্তর : অবিমিশ্র উজ্জ্বল লাল ও হলুদ উভয় রংয়ের কাপড় পরা পুরুষদের জন্য অবৈধ। তবে লাল ও হলুদের সাথে অন্য রং মিশ্রিত থাকলে উক্ত পোষাক পরিধানে কোন বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৩৩৭; আল-মাওসূআতুল ফিক্বহিয়াহ ৬/১৩২-৩৬; ওছায়মীন, আশ-শরহুল মুমতে‘)। আব্দুল্ল
উত্তর : ছিয়াম একটি ফরয ইবাদত। এটি পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। ধান কাটার মৌসুমেও তা পালন করবে। সর্বাবস্থায় ছিয়াম পালনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং সুদৃঢ় ইচ্ছা রাখবে। যতক্ষণ সাধ্য থাকবে ছিয়াম পালন করে যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব
উত্তর : নিয়ম হ’ল ইমাম সামনে দাঁড়াবে ও মুছল্লীরা পিছনে দাঁড়াবে। তবে বাধ্যতামূলক কোন ওযরবশত বা মসজিদে জায়গা সংকুলান না হ’লে পুরুষ বা নারী মুছল্লীরা সাময়িকভাবে ইমাম থেকে সামনে দাঁড়ালে ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/৪
উত্তর : স্ত্রীর পক্ষ থেকে খোলা বা বিবাহ বিচ্ছেদ করা হ’লে স্ত্রী দেনমোহর ফেরত দিয়ে স্বামীর নিকট তালাক নিবে (ইবনু কুদামাহ ৭/৩২৩, ৩২৫)। এখানে স্ত্রী যেহেতু তালাকের নোটিশ দিয়েছে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছে, সেহেতু সে আর দেনমোহর পাওয়ার হকদার নয়। অতএব মৃত
উত্তর : সিজদার আয়াত যখনই পাঠ করবে বা শ্রবণ করবে তখনই সিজদা দেওয়া সুন্নাত। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করতেন এবং আমরা তাঁর নিকট থাকতাম, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম। এতে এত ভিড় হতো যে,
উত্তর : কুরআন যেভাবে মীরাছ বণ্টন করে দিয়েছে সেভাবে বণ্টন করা আবশ্যক। কেননা সেটিই সর্বাধিক ইনছাফপূর্ণ। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান। যদি
উত্তর : মাথাসমেত দাড়িতে লাল মেহেদী ব্যবহারে কোন বাধা নেই। যেকোন রঙে দাড়ি ও মাথা রাঙানো যেতে পারে (আবুদাঊদ হা/৪২১১; মিশকাত হা/৪৪৫৪, সনদ জাইয়েদ তবে এর মর্ম ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণীত, আহমাদ হা/২২৩৩৭; ছহীহাহ হা/১২৪৫)। তবে কালো রং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ (মু
উত্তর : নিজের ব্যবহারের জন্য কেনা গাড়ী বা ভাড়ায় খাটানো গাড়ীর উপর কোন যাকাত লাগবে না। তবে ভাড়া থেকে প্রাপ্ত সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে এবং তাতে এক বছর অতিক্রান্ত হ’লে যাকাত দিতে হবে। তবে ব্যবসায়িক পণ্য হিসাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে শোরুমে রক্ষিত গাড়ী
উত্তর : এজন্য কাফফারা নয় বরং যে কয়দিন ছুটে গেছে সে কয়দিন ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে হবে। সাথে সাথে আল্লাহর নিকট খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে। কারণ পরীক্ষার জন্য ছিয়াম ছেড়ে দেওয়া কোন শারঈ ওযর নয় (ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তিযকার ১/৭৭; ইবনু কুদামাহ, মু
উত্তর : যে সকল গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারিণী নারী ছিয়াম পালনে শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা করবে তাদের জন্য দু’টি পদ্ধতি জায়েয। একটি হ’ল- প্রতিদিনের বিনিময়ে অর্ধ ছা‘ ফিদিয়া প্রদান করবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর বাণী- (অর্থ) যারা সামর্থ্যবান তারা মিসক
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত শেষে ‘ছাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ বলার কোন দলীল পাওয়া যায় না। রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম এমনকি তাবেঈগণের আমল থেকেও এর বর্ণনা পাওয়া যায় না। সেজন্য অনেক বিদ্বান একে বিদ‘আত বলেছেন (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/৩৩০-৩১; উছায়মীন, ইযালা
উত্তর: সাহারীর শেষ সময় এবং ফজরের আযানের সময় আলাদা নয়। বরং সাহারীর শেষ সময়ই ফজরের আযানের সময়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় বেলাল (রাঃ) সাহারীর আযান দিতেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) ফজরের আযান দিতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ব
উত্তর : ই‘তেকাফের নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। বরং একটি দিনের জন্যও কেউ যদি আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার জন্য মসজিদে আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে আবদ্ধ রাখে তাহ’লে সেটি ই‘তেকাফ হিসাবে গণ্য হবে। আর কেউ নির্দিষ্ট দিনের জন্য নিজেকে আটকে রাখার নিয়ত করলে সে দিনগুলো
উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, কুরআন প্রতি বছর (রামাযানে) একবার রাসূল (ছাঃ)-এর উপরে পেশ করা হ’ত। অতঃপর মৃত্যুর বছরে দু’বার পেশ করা হয়। আর তিনি প্রতি বছর ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। অতঃপর মৃত্যুর বছরে ২০ দিন ইতিকাফ করেন। ২য় হিজরীতে ছিয়াম ফরয হ
উত্তর : অংশীদারকে না জানিয়ে এককভাবে বাড়তি মূল্য গ্রহণ করা জায়েয হবে না। কেননা এটি প্রতারণার শামিল। এক্ষেত্রে পরিচয় সূত্রে কেউ বিশেষ সুবিধা পেলে বা বিনামূল্যে পেলে তার ভাগীদার তারা উভয়ই হবে, বিশেষ কোন একজন নয়। অংশীদার তাকে অনুমতি দিলেই কেবল সে
উত্তর : মালিকানা আলাদা হওয়ায় সম্পদগুলো আলাদাভাবে নিছাব পরিমাণ হ’তে হবে এবং পৃথকভাবে যাকাত দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যে তার হক (যাকাত) আদায় করে না, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের বহু পাত তৈরী করা হবে’
উত্তর : এক্ষেত্রে পিতা বা অভিভাবকেরাই শিশুর সম্পদ থেকে যাকাত আদায় করবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৪৬৫; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৩০২; বিন বায, ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৯/৪১০)। ওমর (রাঃ) বলেন, তোমরা ইয়াতীমের সম্পদ দ্বারা ব্যবসা কর, যেন তা যাকাতের মাধ্যমে নিঃশেষ না হ
উত্তর : উপরোক্ত পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট জিনিসগুলি হারাম হওয়ায় সেগুলোর উপর যাকাত দিতে হবে না। কারণ তা আল্লাহর নিকট কবুল হবে না। কেননা ‘আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র বস্ত্ত ব্যতীত কবুল করেন না’ (মুসলিম হা/১০১৫; মিশকাত হা/২৭৬০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ
উত্তর : মসজিদের মাইক কেবলমাত্র আযানের জন্যই নির্ধারিত। যা অন্য কাজে ব্যবহার বাঞ্ছনীয় নয়। এতে মৃত্যু খবর প্রচার করা আদৌ জায়েয নয়। কেননা তা না‘ঈ বা শোক সংবাদ প্রচারের শামিল। যা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (তিরমিযী হা/৯৮৬; তালখীছ, পৃ. ১৯, ৯৮)। মসজিদের মাইকে আ
উত্তর : উপরোক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে মাথা মুন্ডন করা ও কুরবানী করা প্রসংগে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, لاَ حَرَجَ ‘এতে কোন অসুবিধা নেই’। অন্য বর্ণনায় এসেছে افْعَلُوْا وَلاَ حَرَجَ ‘এটি কর, এতে কোন অসুবিধা
উত্তর : এরূপ কারণে মসজিদ নির্মাণে কোন বাধা নেই এবং কমিটির সম্মতিক্রমে এক মসজিদের অতিরিক্ত অর্থ অন্য মসজিদে ব্যবহারেও কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৬/৩১; শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, এক মসজিদের অতিরিক্ত অর্থ অ
উত্তর : এধরনের সম্পদ ছওয়াবের আশা ব্যতীত ফকীর-মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করে দিতে হবে। এছাড়া মুসলমানদের কল্যাণার্থে অন্যান্য খাতে ব্যয় করা যাবে। যেমন অভাবী আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী ইত্যাদি (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৩/৩৫২, ১৬/৫৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘য
উত্তর : সামনের কাতার পূরণ না করে পিছনে কাতার বানানো বা নীচের তলায় ফাঁকা রেখে উপর তলায় দাঁড়ানো সিদ্ধ নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) সামনের কাতার পূরণ করে পিছনের কাতার পূর্ণ করার আদেশ দিয়েছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের নিকটে যেরূপ সা
উত্তর : সালামের শব্দগুলো উচ্চারণ করতে করতে মুখ ডানে এবং বামে ঘুরাতে হবে। কেননা সালামই মুখ ঘুরানোর কারণ। অতএব সালাম সহকারেই ডানে-বামে মুখ ঘুরাতে হবে, মুখ পূর্ণভাবে ঘুরিয়ে তারপর সালাম বলা সঠিক পদ্ধতি নয় (মুগনী ১/৩৯৮; আল-ইনছাফ ২/৮২-৮৩; ফাতাওয়া নুর
উত্তর : মাদরাসা সমূহে যে খতমে বুখারীর অনুষ্ঠান করা হয়, তা যদি সুন্নাত বা আবশ্যকীয় মনে না করা হয় এবং তাতে রিয়া বা কোন দুনিয়াবী স্বার্থ যুক্ত না থাকে, তাহ’লে স্রেফ আল্লাহর শুকরিয়া স্বরূপ এ ধরনের অনুষ্ঠান করা যায়।আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন,
উত্তর : মহিলাদের ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয কি-না? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে সঠিক কথা হ’ল, নারীদের ব্যবহৃত অলংকারে যাকাত ফরয। যেমন (১) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)-এর স্ত্রী যয়নব বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) তাঁর উপর পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয হওয়ার পর সর্বপ্রথম যোহরের ছালাত আদায় করেছিলেন। যেমন হাদীছে এসেছে, আবু বারাযাহ আসলামী (রাঃ)-কে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহরের ছালাত যা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের কথা বলা হয়েছে। অতএব নিয়মিত এই আমলকারী ব্যক্তি যদি কোনদিন শারঈ ওযর তথা ভীতি বা অসুস্থতার মত বাধ্যগত কারণে বাড়িতে জামা‘আতে ছালাত আদায় করে এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত যিকর-আযকার পাঠ শেষে ইশরাকের ছা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ এবং মুনকার (আবু ইয়া‘লা হা/৪৯১১; যঈফাহ হা/৫০৮৬; যঈফুত তারগীব হা/৬১৯)। বরং শা‘বান মাসে অধিকহারে ছিয়াম পালনের ব্যাপারে উসামা ইবনু যায়েদ (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘শা‘বান মাস রজব এবং রামাযানের
উত্তর : এক্ষেত্রে স্ত্রী এক-চতুর্থাংশ পাবে। আর বাকী সম্পত্তি বোনেরা আছহাবুল ফুরুয ও পরে আছাবা হিসাবে পুরো সম্পত্তি পেয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে স্ত্রীরা সিকি পাবে, যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে’ (নিসা ৪/১১)। তিনি
উত্তর : সাধারণ মানুষের জন্য কাদিয়ানীদের বই-পুস্ত্তক ও তাফসীর পাঠ করা জায়েয নয়। কারণ এতে আক্বীদা নষ্ট হয়ে পথভ্রষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে। একবার ওমর (রাঃ)-এর হাতে তাওরাতের একটি অংশ দেখে রাসূল (ছাঃ) রেগে গিয়ে তাঁকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, ‘হে খাত্
উত্তর : সাধারণভাবে মানুষ জিন বা শয়তানকে দেখতে পায় না। আল্লাহ বলেন, ‘সে ও তার দল তোমাদেরকে এমন স্থান থেকে দেখে যেখান থেকে তোমরা তাদের দেখতে পাও না। আমরা শয়তানকে অবিশ্বাসী লোকদের বন্ধু বানিয়ে দিয়েছি’ (আ‘রাফ ৭/২৭)। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষ জিন
উত্তর : মোবাইল বন্ধ করেই ছালাতে আসবে। ভুলবশতঃ মোবাইল বন্ধ না করে ছালাত শুরু করলে এবং ছালাতরত অবস্থায় মোবাইল বেজে উঠলে তা বন্ধ করা যাবে। কেননা ছালাতে বিঘ্ন ঘটায় এমন কাজ ছালাত অবস্থায় প্রতিহত করা যায় (আহমাদ, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/১০০৫)।
উত্তর: এ বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর উপর চরম মিথ্যা অপবাদ। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর নিজস্ব রচিত কোন কিতাব নেই। যে কিতাবগুলো তাঁর নামের সাথে সম্পৃক্ত করা হয় তার কোন ভিত্তি নেই। মূলতঃ দু’টি কিতাব তাঁর রচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
উত্তর : স্বামীর ইমামতিতে স্ত্রী জামা‘আতে ছালাত আদায় করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর পিছনের কাতারে দাঁড়াবে (ফাতাওয়া ইসলামিয়া ১/৫৫৯)। আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা একদিন রাসূলের সাথে ছালাতে দাঁড়ালাম। তখন আমি ও ইয়াতীম বালক তার পেছনে দাঁড়ালাম এবং বৃ
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তুহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিবে। আর ইদ্দত পার হয়ে গেলে উভয়ের সম
উত্তর : খুৎবা চলাকালীন ইমাম ও মুক্তাদীদের হাত তুলে মুনাজাত করা বিদ‘আত। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম এভাবে হাত উত্তোলন করে দো‘আ করেননি। কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য হাত তুলে দো‘আ করেছিলেন। ব
উত্তর : জুম‘আর খুৎবা শ্রবণের জন্য বসার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। মুছল্লী আদব বজায় রেখে সুবিধামত বসবে। তবে সাধারণ অবস্থায় যেভাবে বসা সমীচীন নয় মসজিদেও সেভাবে বসা উচিৎ নয় (ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ১/২৩৫)। যেমন হাদীছে এসেছে, ছাহাবীগণ বলেন, রাসূল (
উত্তরঃ উক্ত ঘটনা শী‘আ ঐতিহাসিকরা তাদের গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, যা কিছু সুন্নী ঐতিহাসিকও তাদের গ্রন্থে উপস্থাপন করেছেন। অথচ ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। এর দ্বারা শী‘আরা হযরত আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর মর্যাদায় আঘাত করতে চেয়ে
উত্তর : ফক্বীহদের নিকট জায়েয ও হালাল এবং নাজায়েয ও হারামের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বরং উভয়ই সমার্থক হিসাবে ব্যবহৃত হয় (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১/১০; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১১২/০২)।
উত্তর : উক্ত ঘটনার কোন ভিত্তি নেই। বরং যয়নব বিনতে জাহাশ যায়েদ বিন হারেছার নিকট থেকে তালাকপ্রাপ্তা হ’লে রাসূল (ছাঃ) তাকে বিয়ে করেন (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/১৩৫৬০)। আবু সালামা (রাঃ) মৃত্যুকালে দো‘আ করেছিলেন যেন উম্মে সালামা তার মৃত্যুর পর তার অ
উত্তর : খুৎবা চলাকালীন মসজিদের বাইরে অবস্থান করলে খাওয়া ও পান করাতে কোন দোষ নেই। কিন্তু মসজিদে অবস্থানকালে পানাহারসহ দুনিয়াবী কাজ করা নিষিদ্ধ। তবে অসুস্থ হ’লে বা বাধ্যগত অবস্থায় পড়লে খাদ্য বা পানি গ্রহণে দোষ নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫২৯; বাহুতী
উত্তর : কুরআনের ভাষ্য থেকে বোঝা যায় যে, পূর্ববতী নবী-রাসূল ও তাদের উম্মতদের উপরও ছিয়াম ফরয ছিল। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হ’ল, যেমন তা ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর’ (বাক্বারাহ ২/১৮৩)। তবে তাদের উপ
উত্তর : পিতার জন্য সন্তানের কর্তব্য হ’ল তাঁর জন্য সাধ্যমত ছাদাক্বা করা এবং নিয়মিত তাঁর মাগফিরাতের জন্য দো‘আ করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সমস্ত আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেবল তিনটি আমল ব্যতীত- (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়
উত্তর : এমতবস্থায় পিতার অবৈধ কাজে কোনরূপ সহযোগিতা করা যাবে না (মায়েদা ৫/২; তিরমিযী হা/১৭০৭; মিশকাত হা/৩৬৯৬)। খাওয়া, পরা ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যেতে যতটুকু খরচ লাগে কেবল ততটুকু খরচ দিতে হবে। সেই সাথে পিতাকে শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
উত্তর : না, আযানের হাদীছগুলো এর কোন প্রমাণ বহন করে না। কারণ কেবল দু’জন ছাহাবীর স্বপ্নের মাধ্যমে আযানের বিধান সাব্যস্ত হয়নি। বরং রাসূল (ছাঃ)-এর অনুমোদনের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়েছে। আর স্বপ্ন তখনই অহী হিসাবে গণ্য হবে যখন তা রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক স্বী
উত্তর : হারানো বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিয়ম হ’ল, হাটে-বাজারে ও মসজিদের বাইরে এর মালিককে সন্ধান করা। যদি এক বছরেও মালিকের সন্ধান না মিলে তাহ’লে ব্যক্তি উক্ত সম্পদ ভোগ করতে পারবে (বুখারী হা/২৪২৭; মুসলিম হা/১৭২২; মিশকাত হা/৩০৩৩)। তবে মোরগ ও এই জাতীয় হা
উত্তর : মৃত্যুর পূর্বে হাসি দেওয়া ব্যক্তির সৎআমলের উপর মৃত্যুবরণ করার প্রমাণ বহন করে। কারণ মুমিনের মৃত্যুর সময় জান্নাতের ফেরেশতা তাকে সুসংবাদ দিয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। অতঃপর তার উপর অবিচল থাকে,
উত্তর : সাধারণভাবে রাতে গাছের ফল নামানো সমীচীন নয়। হুসাইন (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাতে গাছ থেকে খেজুর আহরণ করতে এবং রাতে ক্ষেত থেকে ফসল কাটতে নিষেধ করেছেন’। জা‘ফর ইবনু মুহাম্মাদ বলেন, আমার মনে হয় ফক্বীর-মিসকীনদের দেওয়ার ভয়ে (বায়হাক্বী,
উত্তর : এমতবস্থায় সাধ্যমত তাদেরকে বিশুদ্ধ আক্বীদা ও মানহাজসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর যদি তারা ভুল আক্বীদা ও আমল সম্পর্কে সচেতন না হয়; বরং ভুলের উপর অটল থাকে, তবে সহযোগিতা করা যাবে না। কেননা দ্বীনশিক্ষার নামে জেন
উত্তর : ছুটে যাওয়া সুন্নাত যোহরের ফরয ছালাতের পর আদায় করা যাবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যদি যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত না আদায় করতেন তবে যোহরের (ফরযের) পর তা আদায় করতেন’ (তিরমিযী হা/৪২৬; ইবনু মাজাহ হা/১১৫৮, সনদ হাসান)। পূর্বের সু
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বা কোন ছাহাবী থেকে ইমাম আবু হানীফার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী নেই। বরং উক্ত বিষয়ে বর্ণিত হাদীছ দ্বারা প্রখ্যাত ছাহাবী সালমান ফারেসী ও তাঁর জাতিকে বুঝানো হয়েছে। হাদীছটির অনুবাদ হ’ল- আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এ
উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-এর অসুবিধার জন্য নয় বরং প্রস্তাবিত নারীরা আবু জাহলের বংশধর ছিল বলে রাসূল (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বিবাহের অনুমতি দেননি। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, বনু হিশাম ইবনু মুগীরা আলীর কাছে তাদের মেয়েকে বিবাহ দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছ
উত্তর : আল্লাহর হুকুমে মৃতকে জীবিত করা ঈসা (আঃ)-এর মু‘জেযা ছিল (মায়েদাহ ৫/১১০)। কিন্তু ক্বিয়ামতের পূর্বে ঈসা (আঃ) যখন পুনরায় পৃথিবীতে আসবেন তখনও মৃতকে জীবিত করার ক্ষমতা নিয়ে আসবেন কি-না এ ব্যাপারে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে তিনি যেহেতু নবী কর
উত্তর : ফরয ছালাতের পর নিয়মিত দরূদ পাঠের পক্ষে দলীল নেই। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, হাফেয আবু মূসা ও অন্যান্যরা ফরয ছালাতের পর দরূদ পাঠের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তারা একটি কাল্পনিক ঘটনা ব্যতীত কোন দলীল উল্লেখ করেননি (জালাউল আফহাম ১/৪৩৪)।
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের সময় হাত বাঁধার কোন পদ্ধতি ইসলামী শরী‘আতে নেই। বরং কুরআনকে সর্বাধিক সম্মান প্রদর্শন করে স্বাভাবিকভাবে তেলাওয়াত করবে।
উত্তর : প্রথমত: পিতার জন্য সন্তানকে কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত শাসন বা মারপিট করা সমীচীন নয়। সন্তানকে শাসনের ক্ষেত্রেও ইসলামের বিধান রয়েছে। প্রথমে তাদের বুঝাতে হবে, এরপর শাস্তির ভয় দেখাতে হবে, তারপর ভৎর্সনা করতে হবে। এতেও সংশোধন না হ’লে মৃদুভাবে
উত্তর : পারবে না। কারণ মসজিদ এবং বাড়ী পৃথক। মসজিদের গুরুত্ব ও মর্যাদা অধিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়তম স্থান হ’ল মসজিদ’ (মুসলিম হা/৬৭১; মিশকাত হা/৬৯৬)। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর স্ত্রীদের কক্ষ সমূহ মসজিদে নববীর অতীব নিকটবর্তী
উত্তর : এভাবে ঠিকাদারীর মাধ্যমে লাভ করাতে কোম্পানীর কোন আপত্তি না থাকলে উক্ত অর্থ গ্রহণ করা যাবে। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা একে অপরের মাল অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না, তোমাদের পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসা ব্যতীত’ (নিসা ৪/২৯)।
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি গণক ও জাদুকরদের মধ্যে প্রচলিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা শিরকী কালেমা বা মন্ত্র পাঠ করে। অতএব এসব পদ্ধতি অবলম্বনকারীদের উপর বিশ্বাস করা বা তাদের নিকট গমন করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে
উত্তর : শী‘আদের ইমামতিতে ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ তারা প্রথম তিন খলীফাসহ অধিকাংশ ছাহাবীকে কাফির মনে করে। তারা আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে নিকৃষ্ট আক্বীদা পোষণ করে। এর বিপরীতে তারা আলী (রাঃ) সম্পর্কে চরম বাড়াবাড়ি করে থাকে।পবিত্রতা ও ছালাতের নিয়ম-
উত্তর : পুরুষদের মাথার চুল খাটো এবং নারীদের মাথার চুল লম্বা, এটাই হ’ল মানুষের স্বভাবগত বিধান। এর বিপরীতে বর্তমান যুগে যুবকদের মধ্যে হিপ্পীদের ন্যায় নানা কাটিংয়ের চুল দেখা যায়। একইভাবে নারীদের মধ্যেও বব কাটিং তথা চুল খাটো করার প্রবণতা দেখা যাচ
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে খাৎনার জন্য কোন অনুষ্ঠান করার প্রমাণ ছহীহ হাদীছে পাওয়া যায় না। ওছমান বিন আবুল ‘আছ ছাক্বাফী (রাঃ)-কে একটি খাৎনার অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হ’লে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর যাম
উত্তর : এরূপ মেয়েদের বিবাহ করায় কোন দোষ নেই। বরং ধার্মিক মনে করলে তাদেরকেই বিবাহ করতে হবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)। অবৈধ সম্পদ উপার্জনের জন্য পিতা দায়ী হবেন, সন্তানরা নয় (আন‘আম ৬/১৬৪)।
উত্তর : উক্ত শব্দে বর্ণিত হাদীছের কোন ভিত্তি নেই। তবে কাছাকাছি মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি তার কোন অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে গেলে সে না বসা পর্যন্ত জান্নাতের খেজুর পাড়ার স্থান দিয়ে চলতে থাকে। অতঃপ
উত্তর : মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী (৫৫৮-৬৩৮ হিঃ) একজন প্রসিদ্ধ ছূফী সাধক ও দার্শনিক ছিলেন। যিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং দামেশকে মৃত্যুবরণ করেন। ছূফীদের নিকট তিনি ‘আশ-শায়খুল আকবার’ নামে খ্যাত। ইয়ামনের বিখ্যাত দানবীর হাতেম তাঈ তাঁর পূর্বপুরুষ হওয়
উত্তর : সফরের সময় তারাবীহর ছালাত আদায় করা যায়। তবে এটি ওয়াজিব বা সুন্নাতে রাতেবার মত নয়। তাই কেউ পরিত্যাগ করলে দোষ নেই। আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সফরে তার সওয়ারীর উপর ক্বিয়ামুল লায়লের ছালাত আদায় করতেন সওয়ারী যে দিকেই মু
উত্তর: এমতাবস্থায় ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, সাধারণভাবে বমি হ’লে ছিয়াম ক্বাযা করতে হবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে এবং তদস্থলে একটি ছিয়াম ক্বাযা করতে হবে (তিরমিযী হা/৭২০, মিশকাত হা/২০০৭)।
উত্তর : জুম‘আর দিন ক্বিয়ামত হবে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট হাদীছ রয়েছে (মুসলিম হা/৮৫৪; আবুদাউদ হা/১০৪৬; মিশকাত হা/১৩৬৩)। কিন্তু সেদিন ১০ই মুহাররম হবে এ বিষয়ে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। অতএব ক্বিয়ামত কখন হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বল,
উত্তর : হস্তমৈথুন বা অন্য কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যৌনসুখ ভোগ করা হারাম’ (মুমিনূন ২৩/৬-৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১০/২৫৬)। সেজন্য বিবাহের চেষ্টা চালাতে হবে। এতদ্ব্যতীত যৌন চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আরেকটি উত্তম পথ হ’ল অধিকহারে ছিয়াম পালন করা (বুঃ
উত্তর : এমতাবস্থায় ইহরাম ভঙ্গ করার কোন প্রয়োজন নেই। বরং ইহরাম অবস্থায় থাকবে এবং ছালাত ও তাওয়াফ ব্যতীত অবশিষ্ট কাজগুলি সম্পন্ন করবে। এ সময় পোষাক পরিবর্তনেও কোন দোষ নেই। ঋতু থেকে পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফ করবে ও মাতাফে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (ই
উত্তর : যেসব ইনজেকশন শুধুমাত্র প্রতিষেধক হিসাবে প্রয়োগ করা হয়, সেসব ইনজেকশন ছিয়াম অবস্থায় নেয়া যাবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) ছিয়ামরত অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০২)। আর যেসব ইনজেকশন খাদ্য হিসাবে প্রয়োগ করা হয়, তা জায়েয ন
উত্তর : এতে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। এ পরীক্ষা করার সময় লম্বা চিকন একটি পাইপ রোগীর মুখ দিয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করানো হয়। এটির মাথায় একটি ক্যামেরা থাকে। যা দিয়ে চিকিৎসকগণ রোগীর পেটের ভিতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। যেহেতু এন্ডোস্কপি মেশিনে কোন মেডিসিন
উত্তর : অন্যান্য হারাম দ্রব্য সহ সত্তাগতভাবে হারাম যেমন মাদকদ্রব্য থাকলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে না। কারণ আল্লাহর নিষিদ্ধ কর্মে সহযোগিতা করা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের ক
উত্তর : বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে ডাক্তারের পরামর্শে শারীরিক কোন ক্ষতি না হ’লে এবং সন্তান ধারণ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত না হ’লে ঔষধ ব্যবহার করে সাময়িকভাবে ঋতু বন্ধ রাখা যায় (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ছিয়াম অধ্যায় ফৎওয়া নং ৫৩; ১৫/২০০-২০১ পৃঃ)। তবে এথে
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে নিঃসন্দেহে অধিকহারে যিকির করলে হৃদয় কলুষমুক্ত থাকে (তিরমিযী হা/৩৩৭৭, সনদ ছহীহ)। আর আমলগত নিফাক্বের কারণে কেউ স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে না। কেবলমাত্র যারা আক্বীদাগত মুনাফিক্ব তারাই স্থায়ী এব
উত্তর : ইফতারের বিষয়টি সূর্যাস্তের সাথে সম্পর্কিত। অতএব যেদেশে অবস্থান করবে সে দেশে যখন সূর্য অস্তমিত হবে তখন ইফতার করবে। এক্ষণে বিমানে অবস্থানকালে যখন সূর্যাস্ত হ’তে দেখবে, তখন ইফতার করবে। যদিও দিন বড় হয়ে যায়। তবে দিন বড় হওয়ার কারণে ছিয়াম পা
উত্তর : পুর্ববর্তী নবী-রাসূল ও তাঁদের উম্মতের উপর ছালাত ফরয ছিল। এটি কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা ইব্রাহীম ও ইসমাঈলের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারীদের জন্য, এখানে অবস্
উত্তর : সাদা স্রাব নির্গমনের কারণে ওযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কোন পুরুষের মযী বের হ’লে ওযূ ভঙ্গ হয়। ছালাতরত অবস্থায় এমন দেখা দিলে সে ছালাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর লজ্জাস্থান ধুয়ে এসে ওযূ করে পুনরায় ছালাত আদায় করবে। তবে এটি যদি কারো নিয়মিত ব্যাধি হয় এবং
উত্তর : যদি স্কার্ফ খোলা কষ্টকর হয় তবে তার উপরেই মাসাহ করবে। রাসূল (ছাঃ) মোযা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন (বুখারী হা/২০৫; মুসলিম হা/২৭৫)। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা মোযা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ কর’ (আহমাদ হা/২৩৯৩৯, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) তার মা
উত্তর : এজন্য রাসূল (ছাঃ) দো‘আ করতেন,اللَّهمَّ إنّي أعُوذُبِكَ مِنْ يَّوْمِ السَّوْءِ وَمِنْ لَيْلَةِ السَّوْءِ وَمِنْ سَاعَةِ السَّوْءِ وَمِنْ صَاحِبِ السَّوْءِ وَمِنْ جَارِ السَّوْءِ فِي دَارِ الْمُقَامَةِ- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিইঁ
উত্তর : হস্তমৈথুন বা অন্য কোন উপায়ে বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। এটি কবীরা গোনাহ। আল্লাহ বলেন, যারা নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারা সীমালংঘনকারী (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)। সুতরাং শয়তানের কুমন্ত্রণায় পড়ে কেউ এই গর্হিত কর্মে
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। মসজিদ পরিচালিত হয় মুসলমানদের কল্যাণার্থে। আর ইমাম ও মুওয়ায্যিন এই কল্যাণের কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত। সুতরাং তাদেরকে মসজিদের জন্য প্রাপ্ত অনুদানের অর্থ থেকে বেতন ও ভাতা দেওয়া যাবে (ইবনু কুদামাহ, আল মুগন
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে সাহারী না করে ঘুমিয়ে থাকা সুন্নাতের বরখেলাফ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা সাহারী খাও। কেননা তাতে বরকত রয়েছে’ (বুখারী হা/১৯২৩, মুসলিম হা/১০৯৫)। তিনি বলেন, ‘আমাদের ও আহলে কিতাবদের ছিয়ামের পার্থক্য হ’ল সাহারী করা’ (মুসলিম হা/১০৯৬)। অর
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ছালাতে জামার কাপড় ও চুল গুটিয়ে রাখতে নিষেধ করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৮৮৭)। অনিচ্ছাকৃতভাবে কেউ কাপড় ও চুল গুটানো অবস্থায় ছালাত আদায় করলে ছালাতের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ (মিরক্বাত হা/৮৮৭-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। তব
উত্তর : যাবে। কারণ এগুলো কোন খাদ্য নয় যা পাকস্থলীতে যায়। আর এগুলি রক্ত তৈরিতেও সহায়তা করে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৫/২৪৫; মাজাল্লাতু মাজমা‘ইল ফিক্বহিল ইসলামী ১০/৯১৩)।
উত্তর : চোখে ও কানে ড্রপ ব্যবহার করায় কোন বাধা নেই। কারণ তা কণ্ঠনালী অতিক্রম করে না এবং দেহে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৫/২৪৫; মাজাল্লাতু মাজমা‘ইল ফিক্বহিল ইসলামী ১০/৯১৩)। তবে নাকে ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা আবশ্
উত্তর : সাতটি অঙ্গের উপর ভর করে সিজদা করাই নিয়ম। এ বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) নিজে আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে ছাহাবায়ে কেরামকে আদেশ করেছেন। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি হাড় (অঙ্গ) দ্বারা
উত্তর : মৃত শিশুর জন্য আক্বীক্বা দেওয়া যেতে পারে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে... (আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইরওয়া হা/১১৬৫; মিশকাত হা/৪১৫৩)। আর বন্ধক থাকার বিষয়টি মৃত্যু হ’লেও অবশিষ্ট থাকে। বন্ধক থেকে মুক্ত হওয়
উত্তর : যে সন্তান মাতৃগর্ভে চার মাস বা ১২০ দিন অবস্থান করার পর গর্ভচ্যুত হবে বা মারা যাবে সে সন্তান পিতা-মাতার উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ (নববী, আল মাজমূ‘ ৫/২৮৭; হাশিয়াতু ইবনু আবেদীন ২/২২৮)। কারণ এ সময় তাকে জীবন, রিযিক ও বয়স দান করা হয় ও ভাগ্য লিখে দেও
উত্তর : এরূপ ক্ষেত্রে ডানে বা বামের মুছল্লীরা ধীর-স্থিরভাবে ফাঁকা স্থান পূর্ণ করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) কাতারের ফাঁকা স্থান পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরষ্পরে কাতারের ফাঁক বন্ধ কর। কেননা শয়তান কালো বকরীর বাচ্চার ন্যায় ফা
উত্তর : শী‘আদের মধ্যে ২২টি দল রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আক্বীদাসম্পন্ন হ’ল রাফেযী সম্প্রদায়। এদের আবির্ভাব হয়েছিল ইহূদী নেতা আব্দুল্লাহ বিন সাবার মাধ্যমে। রাফেযী শব্দের অর্থ প্রত্যাখ্যানকারী। একদা একদল শী‘আ যায়েদ বিন আলী যায়নুল আবেদীন
উত্তর : নাছেবী তারা যারা আলী (রাঃ) ও আহলে বায়তের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে এবং তাদেরকে নিন্দা করে ও গালাগালি করে। এরা আক্বীদার ক্ষেত্রে রাফেযীদের বিপরীত। তারা আহলে বায়তের প্রতি শত্রুতা করে বিশেষ করে আলী (রাঃ)-এর প্রতি। তাদের কেউ তাকে গালি দেয়, ক
উত্তর : বিশিষ্ট তাবেঈ ওয়াইস ক্বারনী (মৃ. ৩৭ হিঃ) এবং হাসান বছরী (২১-১১০ হিঃ) কথিত ছূফী ছিলেন না; বরং তারা আল্লাহভীরু, ইবাদতগুযার ও দুনিয়াত্যাগী যাহেদ ছিলেন। তাঁদের সাথে প্রচলিত ছূফী আক্বীদার দূরতম সম্পর্ক নেই। অথচ বিদ‘আতীরা তাঁদেরকে ছূফীবাদের
উত্তর : উক্ত মর্মে পাঁচটি সনদে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যার সবগুলো যঈফ ও মুনকার। সাখাভী বলেন, উক্ত মর্মে বহু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যার সবগুলো ভিত্তিহীন (আল-মাক্বাছিদুল হাসানাহ ১/৩২৯)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, এধরনের হাদীছ রাসূল (ছাঃ) থেকে পরিচিত নয় (মাজ
উত্তর : ইসমে আ‘যম নির্ধারণে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) এরূপ মোট ১৪টি মতামত উল্লেখ করেছেন। যেমন- ১. (هو) হুওয়া, ২. আল্লাহ, ৩. আল্লাহুর রহমানুর রাহীম, ৪. আর-রহমানুর রাহীমুল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম, ৫. আল-
উত্তর : ‘ওরস’ একটি বিদ‘আতী প্রথা। ‘ওরস’ শব্দের মূল অর্থ নবদম্পতির বাসর। এখান থেকে রূপকার্থে উদ্দেশ্য নেওয়া হয়েছে পীরের আত্মার সাথে আল্লাহর পরমাত্মার মিলনের আনন্দঘন মুহূর্ত। আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌভী হানাফী (রহঃ) বলেন, ‘ওরসে’র মত কোন অনুষ্ঠানের অস
উত্তর : তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য কোন সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়। এমনকি স্ত্রী উপস্থিত থাকা বা তাকে তালাকের কথা শোনানোও শর্ত নয়। স্বামী তালাকের বিষয়টি যে কোন মাধ্যমে স্ত্রীকে জানালে তালাক কার্যকর হবে। এভাবে তিন তুহরে তিন তালাক দিলে স্ত্রী স্থ
উত্তর : প্রত্যেক আমল তার নিজ অবস্থানে উত্তম। রাসূল (ছাঃ) ব্যক্তি বা সময় আবার কখনো অবস্থার প্রেক্ষিতে একেকটি আমলকে উত্তম আমল বলেছেন। কখনো ছালাত, কখনো হজ্জ, কখনো জিহাদ আবার কখনো ছিয়াম। তবে ইবাদতগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত ছালাত। রাসূল (ছাঃ) বলে
উত্তর : ক্বিয়ামুল লায়েলের সময় শুরু হয় এশার ছালাতের পর থেকে এবং অব্যাহত থাকে ছুবহে ছাদিকের পূর্ব পর্যন্ত (মুসলিম হা/৭৪৫; মিশকাত হা/১২৬১; ছহীহাহ হা/১০৮)।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসের ২৩, ২৫ ও ২৭ তিন রাত্রি মসজিদে জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদা
উত্তর : ওয়াক্বফের নিয়ম হ’ল, যে উদ্দেশ্যে ওয়াক্বফ করা হয়েছে, কেবল সেজন্যই তা ব্যবহৃত হ’তে হবে। তবে ইবনু তায়মিয়া সহ কতিপয় বিদ্বানের মতে, অধিকতর কল্যাণের উদ্দেশ্যে হ’লে ওয়াক্বফকারীর প্রদত্ত শর্ত পরিবর্তন করা যায়। অতএব উক্ত জমির কিছু অংশে মসজিদ ন
উত্তর : হালাল প্রাণীর প্রক্রিয়াজাত হাড়ের তৈরি পাত্রে খাওয়া ও পান করায় কোন দোষ নেই। কেননা এগুলো মৌলিকভাবে পবিত্র। যারা এগুলোকে অপবিত্র বলেছেন তাদের পক্ষে কোন দলীল নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমুঊল ফাতাওয়া ২১/৯৬-১০৫)।
উত্তর : আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইফতারের সময় পরিবার-পরিজন ও সন্তানদের ডেকে দো‘আ করতেন’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৩৯০৭; মুসনাদে ত্বায়ালেসী হা/৬২৬২; ইরওয়া ৪/৪৪)। এছাড়া ‘ইফতারের সময় দো‘আ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈ
উত্তর : মযী নির্গত হওয়ার ধারণা নিশ্চিত হ’লে ছালাত ছেড়ে দিয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে পুনরায় ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। তবে কেবল ধারণা হলে বা ভেজা অবস্থা বুঝতে না পারলে ছালাত অব্যাহত রাখবে। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ছালাত ত্যাগ করবে না। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : প্রিয় ও অপ্রিয় যেকোন ব্যক্তির হেদায়াতের জন্য দো‘আ করার বিধান রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছাহাবীর হেদায়াতের জন্য দো‘আ করেছেন। তিনি একবার আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর মায়ের হেদায়াতের জন্য দো‘আ করেন (মুসলিম হা/২৪৯১; মিশকাত হা/৫৮৯৫)। তিন
উত্তর : উক্ত আক্বীদা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। নবী করীম (ছাঃ) বা ছাহাবীগণ থেকে এ বিষয়ে কোন বর্ণনা আসেনি। অতএব এই ধরনের আক্বীদা পোষণ করা বিদ‘আত। আর কবরের উপর কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা হারাম (মুসলিম হা/৯৭০; হাকেম হা/১৩৩০; মিশকাত হা/১৬৭০)। এই বিদ‘আতের
উত্তর : উক্ত ব্যবসায়ে ৫ নং শর্ত অনুযায়ী মোট নির্মাণ ব্যয়ের ২০% টাকা চুক্তিকালীন সময় মালিককে জমা দিতে হবে। অতঃপর ৬ নং শর্ত অনুযায়ী কোম্পানীর বিনিয়োগকৃত ৮০% টাকার উপরে ৩% সার্ভিস চার্জ এবং ৭ নং শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর মাস থেকে মাসিক কিস্তি প্রদা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। পিতা হৌক বা মাতা হৌক তাদের সম্পত্তিতে ছেলেরা মেয়েদের দ্বিগুণ হারে পাবে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান (নিস
উত্তর : সোলায়মান (আঃ)-এর স্ত্রীদের সংখ্যার ব্যাপারে ছহীহ হাদীছ সমূহে ৬০, ৭০, ৯০, ১০০ জন বলে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে (বুখারী হা/২৮১৯, ৩৪২৪, ৫২৪২, ৬৬৩৯, ৭৪৬৯; মুসলিম হা/১৬৫৪; মিশকাত হা/৫৭২০)। ইমাম বুখারী (রহঃ) উপরোক্ত সকল সংখ্যাই উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি
উত্তর : এধরনের উৎসাহ মূলক কাজ করা যায়। হয়তবা এতে এক পর্যায়ে মুছল্লীরা জামা‘আতে ছালাত আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে ইনশাআল্লাহ। সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) বলেন, আমরা জুম‘আর দিনে আনন্দিত হ’তাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হ’ল, কেন? তিনি বললেন, আমাদের একজন বৃদ্ধা মহি
উত্তর : শাশুড়ীকে যাকাতের মাল দেওয়া যাবে যদি তিনি হকদার হন। কারণ শাশুড়ীর প্রতি খরচ করা জামাই বা বউ কারো জন্য আবশ্যক নয়। কিন্তু যাদের প্রতি খরচ করা অপরিহার্য, যেমন পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, স্ত্রী ও সন্তান, তাদেরকে যাকাত থেকে দেওয়া যাবে না। বরং তাদ
উত্তর : একই ব্যক্তির জন্য সাহারী ও ফজরের আযান দেওয়াতে কোন বাধা নেই। তবে সাহারীর আযানের সময় ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাওম’ বলবে না। কারণ সাহারী গ্রহণকারী ও তাহাজ্জুদ আদায়কারীগণ যাতে উভয় আযানের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন। তাছাড়া একই মসজিদে একাধি
উত্তর : কোন অবস্থায় ব্যাংকের সূদ গ্রহণ করা যাবে না। কারণ সূদ সর্বাস্থায় হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল ও সূদকে হারাম করেছেন’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। সুতরাং যত অসহায়ত্বই থাকুক না কেন, হারাম কাজে যুক্ত হওয়ার অনুমতি ইসলামে নেই। এক্ষণে আপন
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থা ছাড়া এধরনের কক্ষে ছালাত আদায় করা উচিৎ নয়। কারণ যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না (বুখারী হা/৩২২৫; মুসলিম হা/২১০৪; মিশকাত হা/৪৪৯০)। তবে কেউ আদায় করে থাকলে তার ছালাত হয়ে যাবে। কারণ এটি ছালাত ভঙ্গের কারণ
উত্তর : তাহাজ্জুদ বা সাহারীর আযান সাধারণ আযানের ন্যায় দিতে হবে। অতঃপর ফজরের আযানের সাথেই কেবল ‘আছছালা-তু খায়রুম মিনান নাউম’ যোগ হবে। আর ‘এটি কেবল ফজরের আযানের সাথেই যুক্ত’ (মির‘আত ২/৩৫১)। আবু মাহযূরাহ (রাঃ) বর্ণিত আযান শিক্ষাদান বিষয়ক হ
উত্তর : কেবল ইয়াস (إياس) বা আয়াস নাম রাখায় কোন দোষ নেই। ‘হাসান’ যোগ করা ঠিক নয়। একাধিক ছাহাবীর নাম ‘ইয়াস’ ছিল। যদিও এর অর্থ ‘হতাশা বা নৈরাশ্য’ (বুখারী হা/৩৯৯১; আবুদাউদ হা/২১৪৬; হাকেম হা/৫৯০১)। অনুরূপভাবে আইয়াশ নাম রাখাতেও কোন বাধা নেই। কারণ আইয়াশ ন
উত্তর : ইসলামী বিধানে সূর্যাস্তের পর থেকে দিবস গণনা শুরু হয়। অতএব যে সময় সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে সেখান থেকে চল্লিশতম দিনের উক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এর পরেও নিফাস চলতে থাকলে ইস্তেহাযা মনে করে পবিত্র হয়ে ছালাত আদায় করবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্
উত্তর : উক্ত বারো রাক‘আত ছালাত একই সাথে পড়া যাবে না। কারণ উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় এই বারো রাক‘আত পড়ার সময় বর্ণিত হয়েছে। যেমন উম্মে হাবীবাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি দিন-রাতে বারো রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করবে, তার জন্য জান্ন
উত্তর : যে স্থানে পশু যবেহ করার জন্য মানত করা হয়েছে সেখানেই যবেহ করতে হবে, যদি সেখানে কোন মূর্তি বা অন্য ধর্মের কোন স্মৃতি বিজড়িত না থাকে। এরূপ করলে কাফফারা দিতে হবে। ছাবিত ইবনু যাহহাক (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ)-এর যামানায় জনৈক ব্যক্তি এরূপ ম
উত্তর : আর্থিক ছাদাক্বা ব্যতীত কোন ইবাদত কারো নামে ছাদাক্বা করা যায় না। বর্ণিত হাদীছটির ব্যাখ্যা হ’ল- এই ইবাদতটি পালনকারী ব্যক্তির ৩৬০টি হাড়ের পক্ষ থেকে ছাদাক্বা হবে। অন্যের পক্ষ থেকে নয় (উছায়মীন, শরহ রিয়াযুছ ছালেহীন ২/১৫৫)। যেমন রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : প্রথমত অবস্থানের ক্ষেত্রে তাদের থেকে সাধ্যমত দূরে থাকার চেষ্টা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে যে সকল মুসলমান বসবাস করে আমি তাদের দায়িত্ব হ’তে মুক্ত...’(আবুদাউদ হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩৫৪৭; ছহীহাহ হা/৬৩৬)। তিনি বলেন, ‘মুশরিকদের সা
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা জায়েয হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/৬৯১)। তবে সর্বাবস্থায় মসজিদকে ছবি ও মনোযোগ বিঘ্নকারী সকল প্রকার বস্ত্ত মুক্ত রাখা আবশ্যক। কারণ এতে মুছল্লীর মনোযোগ বিনষ্ট হ’তে পারে, যা ছালাতের শিষ্টাচার বিরোধী। রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে। কারণ কবুলের ইঙ্গিতবহ যেকোন শব্দ দ্বারা সম্মতি জানালেই বিবাহ সংঘটিত হয়ে যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৮২-৮৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/৩৮)।
উত্তর : পারস্পরিক বিবাদকে কেন্দ্র করে পৃথক মসজিদ নির্মাণ এবং সমাজে বিচ্ছিন্নতা ও অনৈক্য সৃষ্টি করা সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ (তওবা ৯/১০৭)। অতএব বিবাদ মীমাংসা করে পূর্বাবস্থায় ফিরে এসে বড় জামা‘আত করার সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আ
উত্তর : এই ধরনের লোকদের রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচানো যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আ
উত্তর : উক্ত ছালাতগুলো পুনরায় আদায় করতে হবে না। তবে অজ্ঞতাজনিত ভুলের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে পবিত্রতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ছালাত আদায় করতে হবে (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৩; মিশকাত হা/৬২৯৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১০১-০২, ২
উত্তর : জেনে-শুনে শিরকী কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। অতএব যদি জানা যায় যে, উক্ত মোরগটি মাযারে যবেহ করা হবে তাহ’লে তার নিকট বিক্রয় করা যাবে না’ (ফাতাওয়া ছালেহ ফাওযান ২/৭২০-২১)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ ও অন্যায়ের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদ
উত্তর : এক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে যেগুলো ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। উক্ত হাদীছগুলোতে দিন-রাতের কোন পার্থক্য করা হয়নি।১. সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার ও লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহ
উত্তর : রুচি না হ’লে এরূপ পরিবেশে ব্যবসা ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। তবে অমুসলিমদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করা জায়েয। যদিও তারা হারাম বস্ত্ত খায়। রাসূল (ছাঃ) তাদের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন’ (বুখারী হা/২০৯৬,২১৬৫, ২৬১৭; মুসলিম হা/১৫৫১, ২১৯
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত আমলে ছালেহ-এর অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমলকে অসীলা করে আল্লাহর নিকট দো‘আ করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করে, সে যেন এর বিনিময়ে আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করে। কেননা শীঘ্র এমন লোকদের আগমন ঘটবে যারা কু
উত্তর : উক্ত স্থানে জুম‘আর ছালাত আদায় করা যাবে। ওমর (রাঃ) বাহরাইনবাসীদের উদ্দেশ্যে লিখিত পত্রে বলেন, তোমরা যেখানে অবস্থান করবে সেখানেই জুম‘আ আদায় করবে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫১০৮; ইরওয়া ৩/৬৬, সনদ ছহীহ)। জমহূর বিদ্বানগণের মতে জুম‘আর ছালাতের জন্য নি
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে কনের নিরাপত্তা বাবদ টাকা দেওয়ার কোন বিধান নেই। এটি কনে পক্ষ থেকে বর পক্ষের উপর চাপিয়ে দেয়া যুলুম, যা অবশ্যই বাতিল যোগ্য। ইসলামে নারীর সম্মান ও নিরাপত্তার জন্যই মোহরানা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরিশোধ করা ছেলের জন্য অপরিহা
উত্তর : ‘পাপের কারণে বান্দা তার রিযিক থেকে বঞ্চিত হয়’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফুত তারগীব হা/১৭৭৩; যঈফুল জামে‘ হা/৩০০৬)। তবে পাপের কারণে রিযিকে বরকত কমে যেতে পারে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯১৮; মিরক্বাত)। উল্লেখ্য যে, পাপ মানুষকে রিযিক থেকে বঞ্চ
উত্তর : হিংসা-বিদ্বেষের কারণে ছালাতের জামা‘আত ত্যাগ করা নিষিদ্ধ। প্রত্যেক মুছল্লীর জন্য কর্তব্য হ’ল জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা। এমনকি পূর্বে ছালাত আদায় করে থাকলেও জামা‘আত হ’তে দেখলে পুনরায় তাতে অংশগ্রহণ করবে। তার শেষের ছালাত নফল হয়ে যাবে (মুসলিম হা/
উত্তর : কুরআনের বাকী অংশটুকু তেলাওয়াত করে কুরআন খতম করবে। কারণ আল্লাহর আনুগত্যের কাজে ওযরবশত দেরী হ’লে দোষ নেই’ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৩/৩৪১; ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৩)। আর দানের ক্ষেত্রে দু’টি পদ্ধতি গ্রহণীয়। (১) যখন সক্ষম হবে তখন এক সাথে বকেয়াসহ দান
উত্তর : সামর্থ্যবান হ’লে বাক প্রতিবন্ধীর উপরও হজ্জ ফরয (ইমরান ৩/৯৭)। সে সাধ্য অনুযায়ী হজ্জের কার্যসমূহ পালন করবে। যেগুলি পালন করতে পারবে না সেগুলি অন্যের সহায়তা নিয়ে পালন করবে। সম্ভব না হ’লে ছেড়ে দিবে। ‘তালবিয়া’ সে ইশারায় পাঠ করবে অথবা তা
উত্তর : ফুক্বাহায়ে সাব‘আ বলতে মদীনার প্রসিদ্ধ সাতজন ফক্বীহকে বুঝায়। তারা হ’লেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়েব, উরওয়া ইবনুয যুবায়ের, ক্বাসেম বিন মুহাম্মাদ বিন আবুবকর, ওবায়দুল্লাহ বিন ওতবা বিন মাসঊদ, খারেজাহ বিন যায়েদ বিন ছাবেত, সুলায়মান বিন ইয়াসার ও আবু
উত্তর : আরাফার দিনে গোসল করা ‘মুস্তাহাব’। গোসল করলে ছওয়াব পাবে। আর না করলে ছওয়াব পাবে না। আলী (রাঃ)-কে গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, চাইলে প্রতিদিন গোসল কর। তাকে বলা হ’ল, এই গোসল নয়। তখন তিনি বললেন, তাহ’লে জুম‘আর দিন, আরাফার দিন ও
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ‘হাসান’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৭৭৬৫; ছহীহাহ হা/১২০৯)। তবে অন্য একটি হাদীছে সাত ঘন্টার কথা রয়েছে যা ‘মউযূ’ বা জাল (যঈফাহ হা/২২৩৭)। এতদ্ব্যতীত রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা (ফেরেশতাদেরকে) বলেন, ‘আমার বান্দা কোন প
উত্তর : এমতাবস্থায় দেখতে হবে যে, বর্গা কি শর্তে দেয়া হয়েছে। যদি মুযারাবা (একজনের অর্থ, অপরজনের শ্রম) পদ্ধতিতে হয়, তবে কেবল বিনিয়োগকারী বা জমির মালিক ক্ষতির অংশীদার হবে। আর মুশারাকা (উভয়ের অর্থ ও পরিশ্রম) পদ্ধতিতে হ’লে বিনিয়োগকারী ও চাষী উভয়ই
উত্তর : কারো সন্তানকে কোলে নেওয়ার জন্য প্রতিবার সালাম দিতে হবে মর্মে শরী‘আতে কোন বিধান নেই। তাছাড়া সালাম দিয়ে কোলে না নিলে বদনযর লাগার বিষয়টিও ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার মাত্র।
উত্তর : মসজিদে বসে কসম করা যাবে। এ ব্যাপারে ইমাম মালেক (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, মসজিদে আল্লাহর নামে কসম করতে পারে (আল-মুদউওয়ানাহ ৪/৫)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনিও গুরুত্বের জন্য মসজিদে কসম করার পক্ষে মত দেন’ (কিতাবুল উম্ম ৭
উত্তর : মুছল্লীদের সম্মতিক্রমে এরূপ সঙ্গত কারণে ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণে কোন বাধা নেই এবং এক মসজিদের অতিরিক্ত অর্থ অন্য মসজিদের জন্য ব্যবহারেও কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৬/৩১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ল ফাতাওয়া ৩১/১৮,২০৬-২০৭)। হযরত আয়েশা (র
উত্তর : উক্ত বিহারীর উত্তরাধিকারী খুঁজে পাওয়া গেলে তাদের নিকট জমি হস্তান্তর করতে হবে। আর কোনভাবে খোঁজ পাওয়া না গেলে বিহারীর নামে নিজের অভাবগ্রস্ত সন্তানকে দান করতে পারে। এতে বিহারী ছওয়াব পাবেন এবং দানকারীও ছওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ (মুসলিম হা/১০
উত্তর : অঙ্গীকার রক্ষা করা মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর। নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে’ (ইসরা ১৭/৩৪)। এক্ষণে প্রশ্নমতে যদি মেয়েটির মধ্যে যথার্থই দ্বীনদারী না থাকে, তাহ’লে উক্ত অঙ্গীকার রক
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআন বা হাদীছে কোন নির্দেশনা নেই। কারো লাশ ভারী মনে হওয়া মাইয়েতের দেহের ওযনের উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া প্রাণহীন বস্ত্তর ওযন বেশী মনে হয়। অথবা এটি হ’তে পারে বহনকারীদের ধারণামাত্র।
উত্তর : ক্ষতিকর প্রাণী হ’লে হারাম এলাকাতেও মারা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পাঁচ প্রকার দুষ্ট জন্তুকে হারাম এবং হারামের বাইরে হত্যা করা যায়। আর তা হ’ল- সাপ, আব্কা (যার বুক ও পিঠ সাদা বর্ণের), কাক, ইঁদুর, হিংস্র কুকুর এবং চিল’ (মুসলিম হা/১১৯৮; মিশক
উত্তর : সূরা বাক্বারার ৩৬-৩৯ আয়াতের তাফসীরে মুফাসি্সরগণ দু’টি মত দিয়েছেন। (১) প্রথম নির্দেশের মাধ্যমে আদম (আঃ)-কে জান্নাত থেকে আসমানে নামানো হয়। এরপরের নির্দেশে আসমান থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়। (২) প্রথম নির্দেশে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। অতঃপর দ্বিত
উত্তর : এটি কুসংস্কার মাত্র। এ ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
উত্তর : প্রয়োজন সাপেক্ষে বিয়ের জন্য একাধিক মেয়ে দেখায় কোন বাধা নেই। নিয়ম হ’ল, বিবাহের উদ্দেশ্যে প্রথমে মেয়েকে না জানিয়ে দেখে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন তোমাদের কেউ কোন নারীকে বিবাহের প্রস্তাব দিবে তখন তার প্রতি দৃষ্টিদানে কোন দোষ নেই যদি কেব
উত্তর : এরূপ পরিত্যক্ত মসজিদে জুম‘আর ছালাত আদায় করা জায়েয। কারণ জুম‘আর ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট মসজিদ হওয়াই শর্ত নয়। তবে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ থাকলে সেখানে ছালাত আদায় করাই উত্তম’ (ইরাকী, তারহুত তাছরীব ৩/১৯০; আল-ইনছাফ ২/৩৭৮; শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া
উত্তর : হজ্জ থেকে ফিরে এসে হাজী ছাহেব যাবতীয় বৈধ কাজ করতে পারবেন। সফর করাতেও কোন বাধা নেই। তবে সালাফে ছালেহীনের মতে হজ্জ কবুল হ’লে ব্যক্তি পূর্বের তুলনায় বেশী নেক আমল করবে (নববী, শরহ মুসলিম ২/৭৫; মির‘আতুল মাফাতীহ ৮/৩০০)।
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। আবু নাঈম ইস্ফাহানীর ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া ওয়া ত্বাবাক্বাতু আছফিয়া’ (৩/৩৫৮) নামক গ্রন্থে উক্ত মর্মে একটি হাদীছ রয়েছে যা নিতান্তই যঈফ (ইবনু হাজার, আত-তালখীছুল হাবীর ২/৩৪১)। তবে নিঃসন্দেহে উক্ত কর্মটি ন
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। আবু নাঈম ইস্ফাহানীর ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া ওয়া ত্বাবাক্বাতু আছফিয়া’ (৩/৩৫৮) নামক গ্রন্থে উক্ত মর্মে একটি হাদীছ রয়েছে যা নিতান্তই যঈফ (ইবনু হাজার, আত-তালখীছুল হাবীর ২/৩৪১)। তবে নিঃসন্দেহে উক্ত কর্মটি ন
উত্তর: কবীরা গুনাহগার বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবে না। তবে খালেছ তাওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করতেও পারেন, নাও করতে পারেন। আল্লাহ বলেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করে না এবং যারা আল্লাহ যাকে হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, ন্যায়সঙ্গত কারণ
উত্তর : এ বিষয়ে বিশুদ্ধ মত হ’ল, সহোদর ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় দাদা পোতার সম্পত্তিতে মীরাছ পাবেন এবং এমতাবস্থায় ভাইয়েরা বঞ্চিত হবে (বুখারী ২২/২২১; আত-তাহজীল ফী তাখরীজে মা লাম ইউখাররাজ্ ফী ইরওয়াউল গালীল ১/২০৭)। এই পক্ষেই মত দিয়েছেন আবুবকর, আবু মূসা ও
উত্তর : প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি সূদী কারবারের সাথে জড়িত না থাকায় সেখানে চাকুরী করতে বাধা নেই। তবে সম্ভব হলে ভিন্ন কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী গ্রহণই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সন্দিগ্ধ বিষয় পরিহার করে নিঃসন্দেহ বিষয়ের দিকে ধাবিত হও। কেননা সত্যে রয়েছে প্
উত্তর : ইসমে আ‘যম হ’ল আল্লাহর মহান নাম। ইসমে আ‘যমকে কেন্দ্র করে ১৪টি মত রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ কথা হ’ল ইসমে আযম হ’ল ‘আল্লাহ’ ও তাঁর সকল গুণবাচক নাম। আর এগুলোর মধ্যে যে নামগুলোতে তাওহীদের ঘোষণা রয়েছে সেগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আল হাইয়ুল ক্বাইয়
উত্তর : পদোন্নতির জন্য আবেদন করা যাবে। কারণ পদবী ও নেতৃত্ব এক নয়। বরং এটি একটি পদমর্যাদা, যা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ব্যক্তির যোগ্যতা যাচাই সাপেক্ষে দিয়ে থাকে। তাছাড়া এ ধরনের দায়িত্বের জন্য কেউ নিজেকে অধিক যোগ্য ও উপযুক্ত মনে করলে আবেদন করতে পার
উত্তর : এক্ষেত্রে নতুন বিবাহের প্রয়োজন নেই। কারণ গর্ভবতী নারীর ইদ্দত হ’ল সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত’ (তালাক্ব ৬৫/৪)।
উত্তর : স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তিতে অংশ পাবে। তাদের সন্তান না থাকায় স্বামী স্ত্রীর পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। আল্লাহ বলেন, আর তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তোমরা অর্ধেক পাবে, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি থাকে, তবে তোমরা সিকি
উত্তর : এক্ষেত্রে অজ্ঞতা কোন ওযর হিসাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং যেহেতু আপনি সজ্ঞানে অসংখ্যবার ও বিভিন্ন মাসে পবিত্র ও অপবিত্র অবস্থায় তালাক দিয়েছেন সেহেতু ইতিমধ্যে তিন তালাক তথা তালাকে বায়েন হয়ে গেছে। এক্ষণে উক্ত মহিলা তার সন্তান প্রসব করা
উত্তর : উক্ত ঘটনা জীবনীকারগণ বর্ণনা করেছেন (হাফেয ইবনু হাজার, আল-ইছাবাহ ৮/২০২; ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তী‘আব ৪/১৮৬৯)। কিন্তু কেউ সনদ উল্লেখ করেননি। ইবনুল আরাবীসহ অনেক বিদ্বান বর্ণনাটিকে বাতিল বলেছেন (ইবনুল ‘আরাবী, আহকামুল কুরআন ৩/৪৮২; তাফসীরে কুরতুব
উত্তর : কোন সুস্থ মানুষের জন্য কোন হিজড়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ হবে না। এমনকি যৌন মিলনে অক্ষম পুরুষের জন্য কোন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াও বৈধ নয় (বুখারী হা/১৯০৫; মুসলিম হা/১৪০০; মিশকাত হা/৩০৮০)। উল্লেখ্য যে, হিজড়া দুই প্রক
উত্তর : এমতবস্থায় বাম হাত দিয়ে নয়, বরং ডান হাতের সহযোগিতা নিয়ে দুই হাতে পানি পান করবে। রাসূল (ছাঃ) কোন কোন সময় দুই হাতের সহায়তায় পানি পান করেছেন (বুখারী হা/৫২৯০; হাকেম হা/৪২৯১; তিরমিযী হা/২৪৭৭; নববী, আল-মাজমূ‘ ১/৩১৬)।
উত্তর : ছগীরাহ গুনাহ অর্থ ছোট গুনাহ। যে সকল গুনাহের ব্যাপারে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ) সতর্ক করেছেন কিন্তু কোন শাস্তির কথা বলেননি। যা নেক আমল করলেই ক্ষমা হয়ে যায় তওবার প্রয়োজন হয় না। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত, এ
উত্তর : কবর খননকারী অশেষ ছওয়াবের অধিকারী হবেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নেকীর কাজে তোমরা পরস্পরে সহযোগিতা কর...’ (মায়েদাহ ৫/২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুসলিম মাইয়েতকে গোসল করাল। অতঃপর তার গোপনীয়তাসমূহ গোপন রাখল, আল্লাহ তাকে চল্লিশ বার ক্ষমা
উত্তর : কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিবরণ অনুযায়ী আসমান ও যমীন সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না (হাক্কাহ ১৩-১৮; মা‘আরিজ ৮-৯; তাকভীর ১-১৪)। সুতরাং সবকিছুই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। অতঃপর আল্লাহ আসমান ও যমীনকে ভিন্নরূপে সৃষ্টি করবেন (ইবরাহীম
উত্তর : উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ পিতার অসম্মতিতে মেয়ের বিবাহ বৈধ নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাউদ, ইবনে মাজাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩১৩১ ও
উত্তর : মাসবূকের উক্ত রাক‘আত প্রথম রাক‘আত হিসাবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা (ছালাতের যে অংশটুকু) পাও সেটুকু আদায় কর এবং যেটুকু বাদ পড়ে যায় সেটুকু পূর্ণ কর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৬)। ইবনু আব্দিল বার্র বলেন, মুছল্লী ইমামে
উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে দু’টি (জ্ঞান) পাত্র সংরক্ষণ করেছি। যার একটি তো আমি প্রচার করে দিয়েছি। কিন্তু তার দ্বিতীয়টি যদি প্রচার করতাম, তাহ’লে আমার এই কণ্ঠনালী কাটা যেত’ (বুখারী হা/১২০; মিশকাত হা/২৭১)।
উত্তর : পর্দার সাথে নারীরা শরীর চর্চা করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সবল মুমিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মুমিন অপেক্ষা বেশী প্রিয়। আর প্রত্যেকের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। তুমি ঐ জিনিসে যত্নবান হও, যাতে তোমার কল্যাণ আছে’ (মুসলিম হা/২৬৬৪; মিশকাত হা/৫২৯৮)। তি
উত্তর : হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম (বাক্বারা ২/২২২)। ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কেউ করে, তবে তাকে খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে এবং কাফফারা স্বরূপ এক দীনার বা অর্ধ দীনার গরীব-মিসকীনকে দান করতে হবে (তিরমিযী, আবুদাঊদ হা/২৬৪; ইরওয়া হা/১৯৭; মিশকাত হা/৫৫৩)।
উত্তর : সমিতির নিয়ম-নীতি যদি কুরআন-হাদীছ বিরোধী না হয় ও ব্যবসায়ের জন্য ক্ষতিকর না হয় তাহ’লে দুনিয়াবী শৃংখলার স্বার্থে নিয়ম মেনেই বই কেনা-বেচা করবে। কারণ ইসলামী শরী‘আত সর্বাবস্থায় জাগতিক শান্তি-শৃংখলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে (ক্বাছাছ ২৮/৮৩)।
উত্তর : এক্ষণে তাকে যোহরের চার রাক‘আত ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ জুম‘আর ছালাতের ক্ষেত্রে পূর্ণ এক রাক‘আত না পেলে জুম‘আর ছালাত পাওয়া সাব্যস্ত হয় না’ (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫৫৮; ইরওয়া হা/৬২২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি জুম‘আর ছালাতের এক রাক‘আত পেল, স
উত্তর : ঘরের সৌন্দর্যের জন্য এগুলো ব্যবহার করা যাবে। মহিলারা এগুলো মালা হিসাবে পরিধান করতে পারবেন। কারণ এগুলো মৌলিকভাবে কোন হারাম বস্ত্ত নয় এবং এর খোলসগুলো মানুষের নিত্য-ব্যবহার্য তৈজসপত্র বা উপকরণে পরিণত হয়। তবে পুরুষেরা এর তৈরী মালা ব্যবহার
উত্তর : এমন ব্যক্তি হওয়া যরূরী নয়, তবে উত্তম। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর কন্যার কবরের পার্শ্বে উপস্থিত হন। তিনি সেখানে বসেন। আমি দেখতে পেলাম, তাঁর চোখ হ’তে অশ্রু ঝরছে। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি
উত্তর : শায়খ বিন বায সহ কতিপয় বিদ্বানের মতে এটি জায়েয হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরের বন্ধু (সহযোগী)। তারা সৎ কাজের আদেশ করে ও অসৎ কাজে নিষেধ করে’ (তওবা ৯/৭১)। অতএব পূর্ণ শারঈ পর্দা ও আদব বজায় রেখে এরূপ সেমিনার বা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ‘হাসান’ (আলবানী, ফিক্বহুস সীরাহ ১/৩৫৯; ইবনু তায়মিয়াহ, আল-জাওয়াবুছ ছহীহ ১/৩২০-২১; আল-বিদায়াহ ৪/২৭০)। তবে কেউ কেউ এটিকে ‘মুরসাল’ ছহীহ বলেছেন (ইবনু সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা ১/৩৪৭)।
উত্তর : যিহার হ’ল স্ত্রীর কোন অঙ্গকে মা বা স্থায়ী মাহরামের পিঠ বা অন্য কোন অঙ্গের সাথে তুলনা করা (নাসাঈ, বুলূগুল মারাম হা/১০৯১ ‘যিহার’ অনুচ্ছেদ)। আর এরূপ যিহারের কাফ্ফারা হ’ল স্বামী একটি গোলাম আযাদ করবে অথবা এক টানা দু’মাস ছিয়াম পালন করবে অথবা ৬০ জন
উত্তর : হাত খোলা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে রাখবে। এরপর ইমাম তাকবীর দিলে মুছল্লী তাকবীর দিয়ে বুকে হাত বাঁধবে।
উত্তর : এমতবস্থায় করণীয় হ’ল, স্বামী পত্রে লিখবে যে, তুমি যদি পবিত্র অবস্থায় থাক তাহ’লে তালাক, আর যদি হায়েয অবস্থায় থাক তাহ’লে যখন পবিত্র হবে তখন তালাক, যেমনটি ইমাম শাফেঈ (রহঃ) মত ব্যক্ত করেছেন (কিতাবুল উম্ম ৫/১৯৪)। সুন্নাতী তালাকের নিয়ম হ’ল এভা
উত্তর : কোন সাধারণ ব্যক্তি নবী ও রাসূলগণের সমমর্যাদা লাভ করতে পারবে না। এমনকি সকল নবী-রাসূলও পরস্পর সমান মর্যাদার অধিকারী হবেন না। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘উক্ত রাসূলগণ, আমরা তাদেরকে একে অপরের উপর মর্যাদা দান করেছি। তাদের কারু সাথে আল্লাহ কথা বলেছে
উত্তর : আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তাঁর চাচাত বোন উম্মে হানীকে দুই বার বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন একবার নবুঅত লাভের পূর্বে জাহেলী যুগে তার পিতা আবু তালেবকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিকটাত্মীয়দের বাইরে আত্মীয় বানানোর
উত্তর : সূরা ফালাক্ব ও নাস পড়াই যথেষ্ট। তবে সেই সাথে সূরা ইখলাছও পাঠ করা যেতে পারে। সূরা ফালাক্ব ও নাসকে ‘মুআ‘উভেযাতাইন’ বলা হয়। কেননা এ দু’টি সূরার শূরুতে ‘আ‘উযু’ (আমি পানাহ চাচ্ছি) শব্দ রয়েছে। প্রত্যেক ছালাত শেষে অন্যান্য দো‘আর সাথে উপরোক্ত
উত্তর : যিনি রাসূল (ছাঃ)-কে দেখেছেন, তাঁর প্রতি ঈমান এনেছেন এবং ঈমানের হালতে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনিই ছাহাবী। সে অনুযায়ী ওয়াহশী বিন হারব হাবাশী একজন ছাহাবী ছিলেন (আল-ইছাবাহ ৬/৪৭০)। তিনি মুত্বঈম বা তু‘মা বিন ‘আদীর ক্রীতদাস ছিলেন। তিনি দাসত্ব থেক
উত্তর : এই মিম্বার ব্যবহারে বাধা নেই। যদিও রাসূল (ছাঃ)-এর মেম্বার তিন স্তর বিশিষ্ট ছিল (মুসলিম হা/৫৪৪; ইবনু মাজাহ হা/১৪১৪; আহমাদ হা/২৪১৯)। মু‘আবিয়া (রাঃ) মিম্বারের স্তর সংখ্যা বৃদ্ধি করেন যাতে লোকেরা তাঁকে দেখতে পায় এবং তাঁর কথা শুনতে পায়’ (ফাৎহুল
উত্তর: উক্ত বিবাহ বিধিসম্মত হয়নি। কারণ মেয়ের অলী তথা পিতা এ বিষয়ে অবহিত নন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অলী ব্যতীত বিবাহ হয় না’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, ‘দু’জন সাক্ষী এবং একজন জ্ঞানসম্পন্ন অলী ব্যতীত বিবাহ হয় না’ (ইরওয়াউল গালীল হা/১৮৪
উত্তর : মরু অঞ্চলের ক্ষণজন্মা উদ্ভিদ মরিয়ম ফুল। মধ্যপ্রাচ্য ও সাব-সাহারার বিস্তীর্ণ মরুময় অঞ্চলে বছরের পর বছর শুকনো গাছ মাটি আঁকড়ে থাকে। মরুভূমির অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকা শুকনো এই গাছ এবং নির্জীব পাথরের মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। ক
উত্তর : প্রশ্নকারীর কোন ভাই-বোন না থাকায় তার সন্তান আছাবা হিসাবে দাদার পুরো সম্পত্তির মালিক হবে। কারণ নাতি তখনই দাদার সম্পত্তি পাবে না যখন দাদার অন্য ছেলে বা মেয়ে থাকবে (তোহফাতুল মুহতাজ ৬/৪০২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্ত
উত্তর : দীর্ঘ সময় ধরে নিখোঁজ ব্যক্তি নিহত হিসাবে পরিগণিত হবে। এক্ষেত্রে যদি বিচারক তার হারানোর ব্যাপারে নিশ্চিত ফায়ছালা দেন তবে এই সম্পত্তি নিয়ম অনুযায়ী মেয়ের তুলনায় ছেলে দ্বিগুণ আকারে বণ্টিত হবে। আর বাকী অংশ নিকটতম পুরুষ আত্মীয়গণ আছাবা হিসাব
উত্তর : দো‘আয়ে মাছূরাহ ও অন্যান্য দো‘আ শেষে ডাইনে ও বামে কেবল ‘আস্সালা-মু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লা-হ’ বলবে’ (নাসাঈ হা/১৩২৫; মিশকাত হা/৯৫০)। এটিই সর্বোত্তম। আর কেবল ডাইনে বা বামে সালামের শেষদিকে ‘ওয়া বারাকা-তুহূ’ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে।
উত্তর : নাক-মুখ ঢেকে ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) মুখ ঢেকে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৯৬৬; মিশকাত হা/৭৬৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৮৮৩)। আর ঠান্ডার কারণে হাতের উপর চাদর রাখাতে কোন দোষ নেই। তবে কাপড় দ্বারা নিজেকে পেঁচানো যাবে না’
উত্তর: হিন্দুরা বিসমিল্লাহ বলে পশু যবেহ করলেও উক্ত পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। কারণ হিন্দুরা মুশরিকদের মতই অপবিত্র (তওবাহ ৯/২৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৪৩৯; মাজাল্লাতু মাজমাঈল ফিক্বহিল ইসলামী ১০/২৪৩)। উল্লেখ্য যে, কোন আহলে কিতাব তথা ইহুদী-খৃষ্টানের যবে
উত্তর : একজন মৃত ব্যক্তির জানাযার ছালাত একাধিকবার পড়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জানাযার ছালাত অনেক বার পড়া হয়েছিল (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ৭৫৪)। অনুরূপভাবে একই ব্যক্তির জানাযা পুনরায় অনুষ্ঠিত হ’লে একজন একাধিকবারও শরীক হ’তে পারে (বুখারী হা/১৩২১; মিশক
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। বরং এটি হিন্দুয়ানী প্রথা থেকে আগত। প্রাচীন ভারতে হিন্দুরা যেসকল ধারণা থেকে টিপ ব্যবহার করত তন্মধ্যে একটি হ’ল শিশুর উপর থেকে দুষ্ট শক্তির প্রভাব দূর করা। এমনকি তারা এটিকে তৃতীয় চোখ মনে করত। সুতরাং এরূপ ভ্রান্ত ধ
উত্তর : এক্ষেত্রে নযর বা মানত পূর্ণ না করে কসমের কাফফারা দিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে কোন লোক মানত করলে সে যেন তা পূর্ণ করে। আর তাঁর অবাধ্যতার উদ্দেশ্যে মানত করলে সে যেন তা পূর্ণ না করে’ (বুখারী হা/৬৬৯৬; মিশকাত হা/
উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। আল্লাহ তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার মাধ্যমে এই পানি সরবরাহ করে থাকেন। ইসলামের ইতিহাসে যমযম কূপের উৎপত্তি নিয়ে স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। নবী ইবরাহীম (আঃ) তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী হাজেরা ও শিশুপুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে আল্লাহর আ
উত্তর : মসজিদ যদি ওয়াক্ফকৃত হয় এবং ওয়াক্ফকারীর পূর্ব থেকে মসজিদের উপর কোয়ার্টার নির্মাণের পরিকল্পনা থাকে তবে মসজিদের আদব বজায় রেখে কোয়ার্টার নির্মাণ করা যেতে পারে। আর পূর্ব থেকে পরিকল্পনা না থাকলে দাতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার নির্মাণ করা স
উত্তর : ‘আগুন যেমন কাঠকে পুড়িয়ে দেয় তেমনি মসজিদে কথা-বার্তা ছওয়াবকে পুড়িয়ে দেয়’ মর্মের বর্ণনাটি জাল (যঈফাহ হা/০৪)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, চতুষ্পদ জন্তু যেমন তৃণলতা খেয়ে ফেলে তেমনি মসজিদে কথা-বার্তা বলা ছওয়াবকে খেয়ে ফেলে’ সেটিও ভিত্তিহীন (যঈফাহ হা/০৪;
উত্তর : এই আক্বীদাহ যারা পোষণ করে তাদের পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। তবে বিকল্প মসজিদ বা ইমামের পিছনে ছালাত আদায়ের সুযোগ থাকলে সেখানে ছালাত আদায় করাই উত্তম (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৮০-৮১, ৭/৫০৭, ২৩/২৫৬; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরু
উত্তর : আট বছর পর ওহোদ শহীদদের নিকট গিয়ে রাসূল (ছাঃ) দো‘আ করেছিলেন। যেমন ওক্ববাহ বিন আমের (রাঃ) বলেন, আট বছর পর নবী করীম (ছাঃ) ওহোদের শহীদদের জন্য (কবরস্থানে) এমনভাবে দো’আ করলেন যেমন কোন বিদায় গ্রহণকারী জীবিত ও মৃতদের জন্য দো‘আ করেন (বুখারী হ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। মসজিদকে বিশেষ করে মসজিদে নববীকে এগুলো থেকে মুক্ত রাখার জন্য ওমর (রাঃ) এধরনের ব্যবস্থা করেছিলেন। সালেম ইবনু ওমরের বরাতে বলেন, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) মসজিদে নববীর পার্শ্বে একটি বড় চত্বর বানিয়েছিলেন, এর নাম রাখা হয়ে
উত্তর : প্রথমত, মসজিদ হ’তে ভিন্ন স্থানে ঈদের ছালাত আদায় করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে নববীর পূর্ব পার্শ্বের ময়দানে ঈদের ছালাত আদায় করতেন (যাদুল মা‘আদ ১/৪২৫ পৃঃ; আলবানী, ছালাতুল ঈদায়েন ফিল মুছাল্লা বই)। অথচ মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে ছ
উত্তর : সম্পদের ব্যাপারে পিতার পক্ষ থেকে সন্তানের জন্য অছিয়ত কার্যকরী নয়। কারণ সন্তান পিতার সম্পদের উত্তরাধিকারী। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক হকদারের জন্য তার হক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। অতএব ওয়ারিছের জন্য কোন অছিয়ত নেই’ (আবূদাঊ
উত্তর : শারঈ কারণ ব্যতীত কবর খনন করে লাশ উঠানো বা গোরস্থান স্থানান্তর করা জায়েয নয়। তাতে লাশের অসম্মান করা হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, লাশের হাড্ডি ভাঙ্গা জীবিতের হাড্ডি ভাঙ্গার সমান (মুওয়াত্ত্বা, আবূদাউদ হা/৩২০৭; মিশকাত হা/১৭১৪ ‘মৃতের দাফন’ অন
উত্তর : মি‘রাজে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখেননি। আবু যার গিফারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলা হ’ল, আপনি কি আল্লাহকে দেখেছেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তো নূর। আমি কি করে তাঁকে দেখব’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৫৯-৫৬৬০ ‘আ
উত্তর : কবরের পার্শ্বে গিয়ে হাত তুলে মুনাজাত করা যাবে। তবে জামা‘আতবদ্ধভাবে নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) একাকী কবরস্থানে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে হাত তুলে মুনাজাত করেছেন (মুসলিম হা/৯৭৪; নাসাঈ হা/২০৩৭; আহমাদ হা/২৫৮৯৭)। এজন্য কিবলামুখী হওয়ার শর্ত নেই। অতএব সুবিধা
উত্তর : খুৎবা চলাকালীন সময়ে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলা নিষেধ (বুখারী হা/৯৩৪; মুসলিম হা/৮৫১; মিশকাত হা/১৩৮৫)। সুতরাং এসময় বিশেষ কোন দো‘আ পাঠ করা উচিৎ নয়। তবে ইমামের দো‘আ বা বক্তব্যের উত্তরে নিম্নস্বরে আমীন বা অন্যান্য তাসবীহ বলা যাবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাত
উত্তর : এক্ষেত্রে মুছল্লী নফল ছালাতে থাকলে ছালাতরত অবস্থায় দরজা খুলে দিয়ে ছালাত অব্যাহত রাখবে (আবূদাউদ হা/৯২২; তিরমিযী হা/৬০১)। তবে দূরত্ব বেশী হ’লে ছালাত ছেড়ে দিয়ে পুনরায় নতুনভাবে ছালাত শুরু করবে (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩/১৭৩)। আর ফরয ছালাতে থাকলে যরূরী
উত্তর : প্রথম কুরআন নাযিলের পর জিব্রীলের মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ) ওযূ ও ছালাত শিক্ষা করেন (আহমাদ হা/১৭৫১৫, দারাকুৎনী হা/৩৯৯, মিশকাত হা/৩৬৬; ছহীহাহ হা/৮৪১)। হিজরতের স্বল্পকাল পূর্বে মি‘রাজ সংঘটিত হবার আগ পর্যন্ত ফজরের দু’রাক‘আত ও আছরের দু’রাক‘আত করে ছা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে নিঃসন্দেহে উপরোক্ত কর্মগুলো ইসলামী আদবের বিপরীত হওয়ায় পরিত্যাজ্য।
উত্তর : মি‘রাজের রাতে তিনি সপ্তাকাশে গমন করেন ও একই রাতে তিনি নেমে আসেন এবং বায়তুল মুক্বাদ্দাস মসজিদে নবীগণের ছালাতে ইমামতি করেন। অতঃপর বোরাকে চড়ে রাত্রি কিছু বাকী থাকতেই মক্কায় মাসজিদুল হারামে ফিরে আসেন (বুখারী হা/৩৮৮৭; মুসলিম হা/১৬৪, ১৭৮; মিশ
উত্তর : ইবনু কুদামা বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী লোকসানের ভাগীদার হবে না। কেবল বিনিয়োগকারী হবে। তবে লাভের ক্ষেত্রে উভয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশীদার হবে। এ বিষয়ে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন মতভেদ আছে বলে আমরা জানি না (ইবনু কুদামা ৫/২৭-২৮, ৫/৪৯, ৫১)। কেননা
উত্তর : আল্লাহর বাণী, ‘নিশ্চয়ই যাক্কুম বৃক্ষ পাপীর খাদ্য হবে। এই আয়াতে ‘যাক্কুম’ বলা হয়েছে। অন্যত্র এসেছে যরী‘। কোথাও এসেছে পুঁজ-রক্ত। কুরতুবী বলেন, এই আয়াতগুলির মধ্যে সমন্বয় এই যে, জাহান্নামীদের অনেকগুলি স্তর থাকবে; একেক স্তরের পাপীকে একেক ধ
উত্তর : যতক্ষণ না তাদের আদর্শ গ্রহণের চাপ দেবে ততক্ষণ এরূপ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/৪৮৬)। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর পরিবারে খাদ্যকষ্টের খবর জানতে পেরে আমি কাজের সন্ধানে বের হই। পরে একজন ইহূদীর বাগিচায় প্রত
উত্তর : সফরে ক্বছর কেবল মাত্র চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন যোহর, আছর ও এশাতে। ফজর ও মাগরিবে পূর্ণ ছালাত আদায় করতে হবে। আর সুন্নাতের ক্ষেত্রে কেবল ফজরের পূর্বের দু’রাক‘আত সুন্নাত ও বিতর ছালাত পড়তে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) এই
উত্তর : সাধ্যমত তাদের বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। যদি তারা হক গ্রহণ না করে তবুও তাদের সাথে দুনিয়াবী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে (লোক্বমান ৩১/১৫)। হক-এর দাওয়াত পৌঁছানোই মূল কর্তব্য। গ্রহণ করা বা না করা তাদের ব্যাপার। আল্লাহ চাইলে আপনার প্রচেষ্টা ও দো‘আর
উত্তর : ফজর বা যোহরের সুন্নাত আদায় করাই তাহিইয়াতুল মাসজিদের জন্য যথেষ্ট। তবে সময় পেলে উভয়টি আদায় করতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১/৭/২৪৪)।
উত্তর : প্রতিবেশী অমুসলিম হ’লেও বিধিসম্মতভাবে তাদের হক আদায় করতে হবে। যেমন তাদের সাথে সদাচরণ করা, বিপদে সহযোগিতা করা, গরীব হ’লে অর্থ সাহায্য করা ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের দ
উত্তর : অহী লেখক ছাহাবীগণের মধ্যে আব্দুল্লাহ বিন সা‘দ বিন আবী সারাহ নামে একজন ছাহাবী মুরতাদ হয়েছিলেন। তিনি ওছমান (রাঃ)-এর দুধ ভাই ছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (ছাঃ) তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ওছমান (রাঃ) তাঁর জন্য নিরাপত্তা প্র
উত্তর : এটি হারাম ভক্ষণের শামিল হবে না। কারণ মুখের ভিতরের রক্ত শরীরের অংশ। এটি নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের সাধ্যের বাইরে। যদি বেশী বের হয় তবে কুলি করে ফেলে দিবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ক্রমিক ১৯৮১১, ২২/২৭২ পৃ.)।
উত্তর : ‘দাদন’ শব্দটি ফার্সী দাদান (প্রদান করা) শব্দ থেকে উদ্ভূত। কোন ব্যক্তি কোন ব্যবসায়িক চুক্তি হিসাবে কোন কিছু অগ্রিম দিলে তাকে দাদনদার বলা হয়। আঠারো শতকে বাংলায় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ব্যবসা-ব্যবস্থাপনায় দাদন কথাটি একটি বাণিজ্যিক প
উত্তর : সন্তানদের ভালোবাসার ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ের মাঝে সাধ্যমত সমতা রক্ষা করতে হবে। সম্ভবত প্রশ্নটি এসেছে নিম্নোক্ত হাদীছটি অনুসারে- একদিন রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে একজন ছাহাবী বসে ছিলেন। তার পুত্র সন্তানটি আগমন করলে সে চুমু দিয়ে নিজের কোলে বাসালো।
উত্তর : হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে উঠতে হবে। সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে দু’হাত মাটিতে রাখবে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ রাক‘আতের জন্য ওঠার সময়ও হাতের তালুর উপর ভর করে দাঁড়াবে। কেননা এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, ‘হাঁটুর পূর্বে হাত
উত্তর : যে কোন ভয়ংকর ও আতঙ্কজনক মুহূর্তে ছালাত ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া যাবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে সাপ ও বিচ্ছু দেখলে তা হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন (আহমাদ, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/১০০৪, সনদ ছহীহ)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে
উত্তর : কেবল লূত (আঃ) নন, প্রত্যেক মানুষ নিজ সম্পর্কে এতই বিভোর থাকবে যে সে নিজ স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন ও পিতা-মাতা থেকে পলায়ন করবে (আবাসা ৮০/৩৪-৩৭)। তবে কোন কোন তাফসীরকার উপরোক্ত আয়াতগুলির তাফসীরে বলেন, কাবীল তার ভাই হাবীল থেকে, ইবরাহীম
উত্তর : মামী মাহরাম না হওয়ায় উভয়কে পূর্ণ শারঈ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। কেননা যে সকল নারীকে আল্লাহ মাহরাম হিসাবে উল্লেখ করেছেন মামী তাদের মধ্যে গণ্য নন (নিসা ৪/২৪)। আর ফিৎনার আশঙ্কা না থাকলে নেকাব পরিধান করা আবশ্যক নয়; তবে উত্তম (আবুদাউদ হা/৪১০৪;
উত্তর : ইদ্দত পালন মূলতঃ স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর জন্য শোক পালন। আর এর সময়সীমা হ’ল, স্বামীর মৃত্যুর দিন থেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত। আর এটা স্বামীর গৃহে থেকেই করতে হয়। এই সময়সীমা পার হয়ে গেলে আর ইদ্দত নেই। তবে সঠিক নিয়মে ইদ্দতের বিধান পালন ন
উত্তর : সফর হিসাবে গণ্য করা যায়, এরূপ সফরে বের হ’লে নিজ বাসস্থান থেকে বেরিয়ে কিছুদূর গেলেই ‘জমা ও ক্বছর’ করা যায়। কোন কোন বিদ্বানের নিকটে সফরের নিয়ত করলে ঘর থেকেই ‘ক্বছর’ শুরু করা যায়। তবে ইবনুল মুনযির বলেন যে, সফরের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ছা
উত্তর : বিষয়টি যেহেতু ধর্ষণ ছিল, সেহেতু স্বামীর উচিৎ হবে সেটিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা। কেননা এতে মেয়েটির কোন দোষ ছিল না। অপরপক্ষে মেয়েটিরও উচিৎ ছিল বিষয়টি প্রকাশ না করা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর নিষিদ্ধ এই ধরণের জঘন্য কর্মস
উত্তর : পারবে। এতে কোন বাধা নেই। আর পুরুষের ইমামতিতেও তাদের জন্য জানাযার জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা জায়েয। তবে পর্দার ব্যবস্থা না থাকলে পৃথকভাবে তারা নিজেরাই জানাযা পড়তে পারেন। যেমন মা আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য উম্মাহাতুল মুমিনীন হযরত সা’দ বিন আবু ওয়
উত্তর : উক্ত ছেলের সাথে স্ত্রী কথা বললে এক তালাক গণ্য হবে। কারণ একই বৈঠকে তিন শব্দ উল্লেখ করলেও এক তালাকই হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩৩/৪৬)।
উত্তর : যে ব্যক্তি পার্শ্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে সে ডান কাতে ফিরে ক্বিবলামুখী হয়ে ছালাত আদায় করবে (বুখারী হা/১১১৭; মিশকাত হা/১২৪৮)। যদি পার্শ্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা না রাখে তাহলে চিৎ হয়ে শুয়ে পা কিববলার দিকে করে ছালাত আদায় করবে (নাসাঈ হা/; দারাকু
উত্তর : জানাযার ছালাতে ইমাম সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোন সূরা মিলিয়ে পড়বেন (নাসাঈ হা/১৯৮৭; ইবনু হিববান হা/৩০৭১; আল-আছারুছ ছহীহাহ হা/৪১২; তোহফাহ ৪/৯৬)। ইমাম সরবে পড়লে মুক্তাদীর জন্য কেবল সূরা ফাতিহা পড়াই যথেষ্ট। আর ইমাম নীরবে পড়লে মুক্তাদী সূরা ফাতি
উত্তর : মাইয়েতের মুখ দেখাতে দোষের কিছু নেই (বুখারী হা/১২৪১)। তবে নারীদের ক্ষেত্রে যে সকল নারীকে জীবিত অবস্থায় দেখা হারাম, সে সকল নারীকে মৃত অবস্থায়ও দেখা হারাম। অতএব কোন গায়ের মাহরাম পুরুষের জন্য কোন মৃত নারীকে দেখা জায়েয নয়। অনুরূপভাবে নারীদের
উত্তর : একজনের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অন্যের সাথে বিবাহ হয় না। তাই বর্ণিত নারীর দ্বিতীয় বিবাহ কোন বিবাহই নয়। অতএব পরপুরুষের সাথে সে যা কিছু করেছে পুরোটাই ব্যভিচার হিসাবে গণ্য হবে। ইসলামী বিধান মতে এই মহাপাপের জন্য সে রজমের শাস্তিযোগ্য অপরাধী হয়ে
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত অবস্থায় মুক্তাদী ইমামের সাথে রুকূতে চলে যাবে এবং এই রাক‘আতটি ইমাম সালাম ফিরানোর পর পড়ে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা জামা‘আতে ছালাতের যতটুকু পাও, ততটুকু আদায় কর এবং যেটুকু ছুটে যায় সেটুকু পূর্ণ কর’ (মুত্তাফাক আলাইহ, মি
উত্তর : আল্লাহর নাম বা গুণাবলী ছাড়া অন্য কারু নামে কসম করা শিরক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম করল, সে কুফরী করল অথবা শিরক করল’ (তিরমিযী হা/১৫৩৫; মিশকাত হা/৩৪১৯; ছহীহাহ হা/২০৪২)। তিনি আরও বলেন, ‘যে কসম খেতে চায়,
উত্তর : এটি জায়েয হবে না। কারণ এতে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হবে। যদিও এটি রাষ্ট্রীয় যুলুম এবং এর জন্য সরকার আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সত্ত্বর আমার পরে তোমাদের উপর যালেম শাসকদের আগমন ঘটবে এবং এমন কিছু কাজসমূহ দেখবে, যা তোমরা অপসন্
উত্তর : দৈহিক কোন ক্ষতি না হ’লে এরূপ করা বৈধ। তবে যদি নারী কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা করা উচিৎ নয়। অবশ্য ঋতুবতী স্ত্রীকে মিলন ছাড়া অন্য সকল পন্থায় সম্ভোগ করা যাবে (মুসলিম হা/৩০২; ইবনু মাজাহ হা/৬৪৪)।
উত্তর : কোন আলেম বা কবিরাজ সন্তান দেওয়ার মালিক নয়। বরং আল্লাহ যখন ও যাকে খুশি তখন সন্তান দান করেন। আল্লাহ বলেন, ...তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে চান কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে চান পুত্র সন্তান দান করেন।...যাকে চান বন্ধ্যা করেন’ (শূর
উত্তর : যত টাকা মালিককে না জানিয়ে নেওয়া হয়েছে তা তাকে ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় খেয়ানতের দায়ে আল্লাহর দরবারে অপরাধী সাব্যস্ত হ’তে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা বাতিল পন্থায় অন্যের মাল ভক্ষণ করো না’ (নিসা ৪/২৯)। যদি ফিরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তবে
উত্তর : উক্ত হাদীছ নারী-পুরুষ সবাইকে শামিল করে। কারণ হিসাব নারী-পুরুষ উভয়েরই হবে এবং উভয়ের আমলের উপর তাদের কর্মফল নির্ভর করবে। তবে সাত শ্রেণীর মধ্যে দুটি বিষয়ে নারীরা শামিল হবে না। আর তা হ’ল ন্যায়পরায়ণ শাসক। কারণ শাসক নারী হতে পারে না। আর মসজ
উত্তর : মহিলার জন্য তার জামাই (মেয়ের স্বামী) এবং শ্বশুর উভয়ই মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। অতএব এদের সাথে হজ্জ বা সফর করা বৈধ। আল্লাহ বলেন, তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রীকে হারাম করা হয়েছে (সুরা নিসা ২৩)।মাহরামগণ হলেন, রক্ত সম্পর্কীয় ৭ জন : (১) পিতা-দ
উত্তর : মহিলাদের দুই হাতের তালু ও চেহারা ব্যতীত মাথা হ’তে পায়ের পাতা পর্যন্ত সর্বাঙ্গ সতর (আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। সে হিসাবে ছালাতে নারীদের জন্য পায়ের পাতা ঢেকে রাখা উত্তম। উম্মে সালামাহ (রাঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ সম
উত্তর : আয়াতটির অনুবাদ : ‘হে নবী! আমরা তোমার জন্য হালাল করেছি ঐসব স্ত্রীদের, যাদেরকে তুমি মোহর দিয়েছ এবং ঐসব দাসীদের, যাদেরকে আল্লাহ তোমার জন্য গণীমত হিসাবে প্রদান করেছেন। আর তোমার চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন ও খালাতো বোনকে, যারা তোমার
উত্তর : এক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট প্রাণ খুলে দো‘আ করতে হবে। আর দো‘আ কবুলের শ্রেষ্ঠ সময় হ’ল শেষ রাত্রি (দো‘আ কবূলের শর্তাবলী দ্রষ্টব্য : ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২৬৮ পৃঃ)। আল্লাহ চাইলে যেকোন সময় দো‘আ কবুল করতে পারেন। এজন্য বায়তুল্লাহ গমন বা কোন মানত করা শ
উত্তর : দাড়িতে মেহেদী ব্যবহার করা অভ্যাসগত সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইহূদী ও নাছারারা (দাড়ি-চুলে) রং লাগায় না। তোমরা তাদের বিপরীত কর’ (বুখারী হা/৩৪৬২; মুসলিম হা/২১০৩)। রাসূল (ছাঃ) একদল সাদা দাড়িধারী লোকদের পাশ দিয়ে গমনকালে বলেন, হে আনছারগণ! তোমর
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ ছহীহ নয় (আবূদাউদ হা/২১৭৮; যঈফুল জামে‘ হা/৪৪)। তবে মর্ম সঠিক। শায়খ উছায়মীন বলেন, উক্ত মর্মে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে; কিন্তু সনদ ছহীহ নয়। যদিও মর্ম ছহীহ। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তালাক দেওয়াকে অপসন্দ করেন। কিন্তু জাত
উত্তর : মসজিদে বিবাহের অনুষ্ঠান বা ওয়ালীমা করা যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৮/১১০-১১১)। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ আয-যুবাইদী (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে মসজিদে বসে রুটি ও গোশত খেতাম (ইবনু মাজাহ হা/৩৩০০; মিশকাত হা/৪২৭৫)। তবে এক্ষেত্রে কয়েকট
উত্তর : শাওয়াহেদ ও মুতাবা‘আত হ’ল উছূলে হাদীছের দু’টি পরিভাষা। একই হাদীছ ভিন্ন ভিন্ন ছাহাবী থেকে বর্ণিত হ’লে হাদীছগুলি পরস্পরের জন্য ‘শাহেদ’। হ’তে পারে প্রথম সনদে কোন দুর্বল রাবী রয়েছে, কিন্তু অন্য ছাহাবী থেকে বর্ণিত দ্বিতীয় বা তৃতীয় সনদ
উত্তর : মুছল্লীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এমন কিছু মসজিদের দেয়ালে বা মেহরাবে লেখা বা লাগানো উচিৎ নয়। কেননা ছালাতের সময় এগুলি চোখে পড়লে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি নকশাদার চাদরে ছালাত আদায় করেন। ছালাত শেষে ত
উত্তর : উক্ত মর্মে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এর সনদ অত্যন্ত যঈফ (মিশকাত হা/৫২১২; যঈফাহ হা/২০৫৯)। বরং এটি একটি আরবী প্রবাদ মাত্র। এতে দুশ্চরিত্রা নারীদের থেকে সাবধান করা হয়েছে, সকল নারী উদ্দেশ্য নয়।
উত্তর : কসমের কাফফারার তিনটি ছিয়াম ধারাবাহিকভাবে রাখা আবশ্যক নয়। বরং যেকোন দিন আলাদাভাবে রাখা যাবে। তবে যেকোন ওয়াজিব ছিয়াম ধারাবাহিকভাবে রাখা উত্তম (নববী, আল-মাজমূ‘ ১৮/১২২; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৯/৫৫৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২২/২৩)।
উত্তর : এ মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ ব্যতীত সকল সৃষ্টজীব ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে, সবই ধ্বংসশীল। কেবল অবশিষ্ট থাকবে তোমার প্রতিপালকের চেহারা (রহমান ৫৫/২৬-২৭)। এছাড়া ক্বিয়ামতের পূর্বে ক
উত্তর : ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) একজন মুজতাহিদে মুত্বলাক ছিলেন। তিনি নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন না। বরং কুরআন ও হাদীছের ভিত্তিতে যে বিষয়টি সঠিক মনে হ’ত তিনি সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতেন। আল্লামা সুয়ূতী (রহঃ) ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-কে মুজতাহি
উত্তর : হাদিয়ার কাপড় ইহরামে পরা জায়েয। এমনকি কেউ হজ্জের পুরো অর্থ হাদিয়া হিসাবে দিলে তা দ্বারাও হজ্জ করা জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/৩৪-৪০)। এতে সহযোগিতাকারী পূর্ণ ছওয়াব পাবেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য ক
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তাছাড়া শরী‘আতের কোন স্পষ্ট বিধান পরিবর্তন বা সংশোধন করার কোন সুযোগ নেই। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের কালেমা সত্য ও ন্যায় দ্বারা পূর্ণ। যার পরিবর্তনকারী কেউ নেই’ (আন‘আম ৬/১১৫)। কারণ ইসলামী শরী‘আত
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর জানাযা এককভাবে হয়েছিল। জায়গার সংকীর্ণতার কারণে জামা‘আত করা সম্ভব হয়নি (আহমাদ হা/২০৭৮৫; মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১৪২৭৩)। ঘরের মধ্যে খননকৃত কবরের পাশেই তাঁর লাশ রাখা হয়। অতঃপর আবুবকর (রাঃ)-এর নির্দেশক্রমে দশ দশজন করে ভিতরে গিয়ে জা
উত্তর : মুক্তাদীসহ ইমামকে সহো সিজদা দেওয়া আবশ্যক ছিল। তবে উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না। কারণ ইমাম ভুলক্রমে এটি করেছেন। ফলে ইমাম যে কয় রাক‘আত পড়েন, মুক্তাদী তাই পড়বেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইমাম নিযুক্ত হন তাকে অনুসরণ করার জন্য (মুত্তাফাক আল
উত্তর : সূদী ব্যাংকে প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করা যাবে না। কারণ তাতে অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৫/৪১; ফাতাওয়া ইসলামিয়া ২/৮৭১)। অনুরূপভাবে রেডিও ও টেলিভিশনে যদি অশ্লীলতা, গান-বাজনা প্রচার করা হয়, তবে সেখানেও চাকুরী করা জায়েয হব
উত্তর : রুকূ ও সিজদায় কুরআনের সূরা ও আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! আমাকে রুকূ-সিজদায় কুরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই তোমরা রুকূতে তোমাদের রবের মহিমা বর্ণনা কর। আর সিজদায় অতি মনোযোগের সাথে দো‘আ কর। আশা করা
উত্তর : প্রথমতঃ সূদের উপর ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা জায়েয নয়। কারণ সূদ সর্বাবস্থায় হারাম এবং সবচেয়ে বড় কবীরা গুণাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত (বাক্বারাহ ২/২৭৫৮)। অতএব উক্ত ব্যক্তিকে অবিলম্বে খালেছ তওবা করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব ঋণ পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতী
উত্তর : আক্বীক্বার সুন্নাতী নিয়ম হ’ল ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল বা দুম্বা আক্বীক্বা দেওয়া (আবূদাঊদ হা/২৮৩৪; মিশকাত হা/৪১৫২; ছহীহাহ হা/১৬৫৫)। গরু ও উট দিয়ে আক্বীক্বা করার প্রমাণে বর্ণিত হাদীছটি জাল। আয়েশা (রাঃ)-এর ভাতিজা জন্
উত্তর : মামার পরিবার এই মন্দ আচরণের মাধ্যমে কবীরা গুনাহগার হয়েছে। এর বিপরীতে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে যারা অপমানিত হয়েছে তারা অশেষ নেকীর অধিকারী হয়েছে। জনৈক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমার আত্মীয়-স্
উত্তর : একই সমাজে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে যদি নতুন মসজিদ তৈরী করা হয় এবং এর দ্বারা মুমিন সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি ও ক্ষতি করা উদ্দেশ্য হয়, তবে উক্ত মসজিদ ‘মসজিদে যেরার’ বা ‘ক্ষতিকর মসজিদ’ হিসাবে গণ্য হবে। কেননা এরূপ মসজিদ তৈরীর ক্ষেত্রে আ
উত্তর : উক্ত অর্থ ঘুষ হিসাবেই গণ্য হবে। কেননা কর্মকর্তা না হয়ে বাড়িতে বসে থাকলে উক্ত টাকা গ্রাহকেরা দিয়ে যেত না। রাসূল (ছাঃ) ইবনুল লুৎবাহকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করলে সে এসে বলল যে, এগুলি যাকাত এবং এগুলি আমাকে দেওয়া হাদিয়া। এ ঘটনা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল ও মুনকার (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৩৫৪১; যঈফাহ হা/৩২৬১)। এছাড়াও অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে, উক্ত দো‘আটি সত্তুরটি মহা বিপদ থেকে রক্ষাকারী যার সর্বনিম্ন হ’ল দরিদ্রতা (তিরমিযী হা/৩৬০১; যঈফাহ হা/৬৬২২-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
উত্তর : জুম‘আর ছালাত আদায় করা প্রত্যেক সক্ষম পুরুষের জন্য ওয়াজিব (আবুদাঊদ হা/১০৬৯, ১৯১৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৩১১১)। অতএব কাজের অজুহাতে তা পরিত্যাগ করার সুযোগ নেই। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যখন তোমাদেরকে জুম‘আর দিন ছালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন আল্লা
উত্তর : বিড়ালের মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া যেতে পারে। কারণ বিড়ালের লালা অপবিত্র নয়। অতএব কারো রুচি হ’লে খেতে পারে (আবুদাঊদ হা/৭৫; মিশকাত হা৪৮৩; ছহীহুল জামে হা/২৪৩৭; আল-মুগনী ১/৭০)।
উত্তর : বিবাহের জন্য পাত্রের অভিভাবক থাকা শর্ত নয়, যদিও পাত্রের পিতা-মাতার সম্মতি থাকা উত্তম। কিন্তু পাত্রীর অভিভাবকের সম্মতি থাকা অপরিহার্য (আবুদাঊদ হা/২০৮৫; মিশকাত হা/৩১৩০; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। সুতরাং প্রশ্নমতে পাত্রীর পিতার ব্যবস্থাপনায় উক্ত
উত্তর : পারবেন। কেননা যে সকল ছালাতে পুরুষগণ সরবে ক্বিরাআত করেন, মহিলাগণও সেই সকল ছালাতে সরবে তেলাওয়াত করবেন। এ বিধান নারী-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রে সমান (ইবনু কুদামাহ, মুগনী, ৩/৩৮. নববী, আল মাজমূ ৩/৩৯০)।
উত্তর : শিঙ্গায় কে ফুঁক দিবেন মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে কিছু যঈফ হাদীছে ইস্রাফীল (আঃ)-এর নাম উল্লেখ আছে (ত্ববারাণী আওসাত্ব হা/৯২৮৩ ও অন্যান্য)। হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, এর সনদে দুর্বলতা রয়েছে। তবে তিনি ইস্রাফীল (আঃ)-এর নাম প্রসিদ্
উত্তর : বখশিশ তথা ঘুষ আদান-প্রদান কবীরা গুনাহ। এদের উপর আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয় (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। তবে নিজের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের স্বার্থে বাধ্যগত অবস্থায় জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার নিকট কেউ কিছু চাইলে আমি তাকে দেই। আর তা
উত্তর : এক্ষেত্রে তার পূর্ব স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তানেরা ‘ছেলেরা মেয়েদের দ্বিগুণ’ হারে পুরো সম্পত্তি পেয়ে যাবে এবং তার বর্তমান স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ পাবে (নিসা ৪/১১-১২)। কেননা পূর্বতন স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হ’লেও তার সন্তানেরা পিতার সন্তান হিসাবে যথারীতি
উত্তর : টয়লেটে প্রবেশের দো‘আ পাঠের সাথে বিসমিল্লাহ পাঠ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, জিনের দৃষ্টি ও আদম সন্তানের লজ্জাস্থানের মাঝখানে পর্দা হ’ল, টয়লেটে প্রবেশকালে বিসমিল্লাহ বলা (ইবনু মাজাহ হা/২৯৭; ছহীহুল জামে’ হা/৩৬১১)।
উত্তর : এরূপ অবস্থায় তিন মেয়ে পাবে দুই-তৃতীয়াংশ ও স্ত্রী পাবেন এক-অষ্টমাংশ (নিসা ৪/১২)। এরপর বাকী অংশ ‘আছাবা’ হিসাবে ভাই পাবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অংশের হকদারদের নিকট মীরাছ পৌঁছে দাও। অতঃপর যা বাকী থাকবে তা মাইয়েতের নিকটতম পুরুষের জ
উত্তর : হায়েযা নারী বা জুনুবী ব্যক্তি লাশকে গোসল করাতে পারে। কারণ তারা মৌলিকভাবে পবিত্র (ইবনু হাজার হায়তামী, তুহফাতুল মুহতাজ ৩/১৮৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৩৬৯)। যেমন হজ্জের সময় নাপাক হ’লে রাসূল (ছাঃ) স্ত্রী আয়েশাকে বলেন তুমি তাওয়াফ ও ছালাত ব্যতীত সব
উত্তর : শর্ত সাপেক্ষে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। যেমন কেউ তার স্ত্রীকে বলল, তুমি তোমার পিতার বাড়ি গেলে তালাক হয়ে যাবে। অতঃপর সে যদি পিতার বাড়ি যায় তাহ’লে তালাক হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে তুমি আগামী মাসের অমুক তারিখে তালাক,
উত্তর : মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হ’ল লেখা। কুরআনে ঋণদানের ব্যাপারে উভয় পক্ষে লিখিত প্রমাণ রাখার কথা বলা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২৮২)। সুতরাং কেউ যদি স্ত্রীর নিকট স্থির সংকল্পে লিখিত তালাকনামা পাঠিয়ে দেয় এবং তা যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়, তাহ’লে ত
উত্তর : নিজের দৈহিক আমল অন্যকে দেওয়া যায় না। কেননা কর্ম যার পুরষ্কার তারই (নাজম ৫৩/৩৯)। সুতরাং বই লিখে কারও উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার অর্থ যদি তার ছওয়াব পৌঁছানো হয়, তবে তা বিদ‘আত হবে। সালাফে ছালেহীন থেকে এমন কোন আমল পাওয়া যায় না। আর যদি এর দ্বারা উ
উত্তর : এই বিবাহে কোন বাধা নেই। কেননা দুধপানের মাধ্যমে কেবল দুধপানকারী তার দুধ মাতার পরিবারের জন্য হারাম সাব্যস্ত হয়, দুধ পানকারীর অন্য ভাই-বোনেরা নয় (বুখারী, ফাৎহুল বারী হা/২৬৪৫-এর আলোচনা; মিশকাত হা/৩১৬১-এর ব্যাখ্যা, মিরক্বাত; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজ
উত্তর : ওযরবশত জায়েয হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৬/১০৭)। তবে সুন্নাত হ’ল জন্মের সপ্তম দিনে নাম রেখে আকীকা করা এবং মাথা মন্ডন করে চুলের ওযনে রূপা বা তার পরিমাণ অর্থ ছাদাকা করা (তিরমিযী হা/১৫১৯; মিশকাত হা/৪১৫৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৯৬০)।
উত্তর : স্ত্রীর নামের শেষে স্বামীর নাম যোগ করার কোন প্রমাণ শরী‘আতে নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ বা কোন মহিলা ছাহাবী নিজেদের নামের সাথে স্বামীর নাম যোগ করেছেন বলে জানা যায় না। অনুরূপভাবে ইসলামের ইতিহাসে এমন কোন প্রচলন দেখা যায় না। বরং আধুনিককা
উত্তর : আযরাঈলও মারা যাবেন। কেননা আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংসশীল (ক্বাছাছ ২৮/৮৮; রহমান ৫৫/২৬-২৭)। আল্লাহ বলেন, ‘..এবং শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে। ফলে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়বে যাদেরকে আল্লাহ ইচ্ছা করেন তারা ব্যতীত। অতঃপর দ্বি
উত্তর : হাদীছটির অনুবাদ হ’ল, বুরাইদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক যুবতী নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, আমার পিতা তার ভ্রাতুষ্পুত্রকে তার দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য আমাকে তার সাথে বিবাহ দিয়েছেন। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ
উত্তর : হুবহু উক্ত শব্দে হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে এর কাছাকাছি অর্থে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের বাছাই করা হবে, যেভাবে ভালো খেজুর মন্দ খেজুর থেকে বাছাই করা হয়। তোমাদের মধ্যকার নেককার লোকগুলো বিদায় নিবে এবং মন্দ লোকগুলো অবশ
উত্তর : স্ত্রী রাযী থাকলে তা মোহরানা হিসাবেই গণ্য হবে। নিয়ত পরিবর্তন মূখ্য বিষয় নয়; বরং স্ত্রীর সম্মতি থাকাটিই মুখ্য বিষয়। কারণ মোহরানার মালিক স্ত্রী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খু
উত্তর : উক্ত মর্মে সনদবিহীন কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন ইবনুল জাওযী বলেন, রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আমার প্রতি দরূদের সংখ্যা যার যত বেশী হবে জান্নাতে তার তত বেশী স্ত্রী হবে (বুস্তানুল ওয়ায়েযীন ১/২৯৩)। কিন্তু তিনি কোন সনদ উল্লেখ করেননি
উত্তর : এধরনের ব্যবসা করা জায়েয নয়। কারণ ইসলামী শরী‘আতে সম মানসম্পন্ন একই দ্রব্য কমবেশীতে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সমান পরিমাণ ছাড়া তোমরা সোনার বদলে সোনা বিক্রি করবে না, একটি অপরটি হ’তে কম-বেশী করবে না। সমান ছাড়া তোমরা
উত্তর : সূরা মুল্ক তেলাওয়াতকারীর জন্য কুরআন সুফারিশ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ত্রিশটি আয়াত আছে যেটি তার পাঠকারীর পক্ষে সুফারিশ করবে এবং তার সুফারিশেই তাকে জান্নাত প্রদান করা হবে। সেটি হ’ল সূরা মুল্ক (তাবারাণী আওসাত্ব হা/
উত্তর : ওমরাহ নফল ইবাদত। আর শরী‘আতে কেবল ফরয বিধানের ক্ষেত্রে কারও পক্ষে বদলী ইবাদত করার অনুমতি রয়েছে, নফলের ক্ষেত্রে নয়। সুতরাং বিশুদ্ধ মতে তা সক্ষম বা অক্ষম কারো পক্ষ থেকেই আদায় করা জায়েয নয় (উছায়মীন, মাজমূ ফাতাওয়া ২১/১৪১; দ্রঃ হজ্জ ও ও
উত্তর : পরিচ্ছন্ন কুকুরের স্পর্শ লাগা ওযূ ভঙ্গের কারণ নয় এবং এ অবস্থায় পুনরায় ওযূ করার প্রয়োজন নেই। তবে কুকুর কোন পাত্রে মুখ দিলে তা অপবিত্র হয়ে যায় এবং তা সাতবার পানি দিয়ে ধৌত করতে হয়। কেননা তার লালা অপবিত্র (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৭৯-১৮০
উত্তর : দূর-দূরান্ত থেকে স্রেফ মসজিদে ক্বোবার ফযীলত লাভের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না। এই ফযীলত কেবল অত্র মসজিদের আশ-পাশে বসবাসকারী বা অবস্থানকারীদের জন্য (ইবনু তায়মিয়াহ, ইকতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ২/৩৪০-৩৪৪)। মসজিদে ক্বোবায় ছালাত আদায়ের বহু ফয
উত্তর : যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর তালাকের নিয়তসহ এরূপ ইঙ্গিতবহ বাক্য উল্লেখ করে তালাক প্রদান করাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। যেমন আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
উত্তর : জিনদের কে বা কারা পথভ্রষ্ট করেছিল এবং কিভাবে তারা ধ্বংস হয়েছিল সে ব্যাপারে কুরআনে বা হাদীছে কিছু বর্ণিত হয়নি। তবে মানবজাতির পূর্বে যে জিনদের বসবাস ছিল, সেটি ফেরেশতাদের উত্তরে বুঝা যায়। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতা
উত্তর : গ্রন্থটির প্রকৃত নাম ‘তালখীছুল হাবীর ফী তাখরীজি আহাদীছির রাফেঈ আল-কাবীর’। তবে সাখাভী ও বেক্বাঈ ‘আত-তালখীছুল হাবীর’ নাম বলেছেন। এটি সংকলন করেছেন হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ)। ৪ খন্ডে বিভক্ত এ গ্রন্থটি শাফেঈ মাযহাবের প্রসিদ্ধ
উত্তর : উক্ত মর্মে হাদীছ ও তাফসীর গ্রন্থে কিছু বর্ণনা এসেছে, যার কোনটি জাল এবং কোনটি যঈফ (আলবানী, যিলালুল জান্নাহ হা/৬৯৬; হাকেম হা/৪২৩১; ইবনুল জাওযী, মাওযূ‘আত ১/২০০)।
উত্তর : স্ত্রী নন, বরং দাসী ছিলেন। রাসূল (ছাঃ)-এর মোট চারজন দাসী ছিলেন, যাদের মধ্যে মারিয়াহ ক্বিবত্বিয়া ছিলেন অন্যতম (যাদুল মা‘আদ ১/১১০, সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৭৫৯ পৃ.)। তিনি ছিলেন মিসরীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর গর্ভে রাসূল (ছাঃ)-এর শেষ সন্তান ইব্রাহী
উত্তর : এমতাবস্থায় ওযূ করে পুনরায় ত্বাওয়াফ শুরু করা উত্তম। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ছালাতের মতই। কিন্তু তাতে তোমরা কথা বলতে পারো (তিরমিযী হা/৯৬০; মিশকাত হা/২৫৭৬)। তবে ভিড়ের কারণে ওযূ করা কষ্টকর হ’লে ঐ অবস্থায় ত্বাওয়াফ শেষ করবে
উত্তর : কোন মুসলমান কবরপূজারী হ’লে সে নিঃসন্দেহে শিরককারী ও কবীরা গোনাহগার। কিন্তু প্রকাশ্যে কালেমা শাহাদতকে অস্বীকার করেনি বিধায় সে প্রকৃত কাফির গণ্য হবে না এবং তার অন্তরের পাপের হিসাব আল্লাহর উপরেই ন্যস্ত হবে (বুখারী হা/২৫; মুসলিম হা/২১-২২; ম
উত্তর : কোন সন্তান বিপদগ্রস্ত বা ঋণী হ’লে বিপদমুক্তি ও ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করতে বাধা নেই এবং এতে অন্য সন্তানদের সম্মতি থাকা অপরিহার্য নয়। কেননা বিপদগ্রস্ত সন্তানকে সহযোগিতা করা পিতার দায়িত্ব এবং তা ন্যায়বিচারেরই অন্তর্ভুক্ত। ই
উত্তর : কুরআনে সূদখোরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামী ঘোষণা করা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। তবে বিষয়টি ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। কারণ শিরককারী ব্যতীত অন্য কোন কবীরা গুনাহগার ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না, যা কুরআন ও হাদীছের অসংখ্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত। সেকারণ
উত্তর : এস্তেঞ্জার সময় কমপক্ষে তিনটি ঢিলা ব্যবহার করা আবশ্যক (মুসলিম হা/২৬২; আহমাদ হা/৭৪০৯; আবূ দাউদ হা/৮)। সুতরাং টিস্যু বা অনুরূপ কিছু ব্যবহার করলেও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন বার ব্যবহার করতে হবে (ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ
উত্তর : এ মর্মে তাফসীর গ্রন্থসমূহে কিছু বর্ণনা পাওয়া গেলেও সেগুলির সূত্র যঈফ ও মুনকার (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৭৯-২৮১)। এছাড়া বিষয়টি কুরআন ও ছহীহ হাদীছেরও বিরোধী। কেননা ঈসা (আঃ) তাঁর পরবর্তী যে নবী সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়েছেন তিনি ছিলেন ‘আহমাদ’ (ছাফ ৬১/০৬)।
উত্তর : লাইলী-মজনু খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে রচিত বিখ্যাত প্রেমমূলক কাব্যকাহিনীর দু’টি প্রধান চরিত্রের নাম। তাদের প্রেমের ঘটনাকে উপলক্ষ করে লায়লী-মজনু নামে খ্যাতনামা সুন্নী মুসলিম ফার্সী কবি নিযামী গাঞ্জাবী (১১৪১-১২০৯ খৃ.) মহাকাব্য রচনা করেন। মজনু
উত্তর : সে দুধবোন হিসাবে গণ্য হবে না। কারণ সে দুধপান করার সময় (২ বছর) অতিক্রান্ত হওয়ার পর তা পান করেছে (তিরমিযী হা/১১৫২; মিশকাত হা/৩১৭৩)। দুধ মাতা সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত। ১. দু’বছরের কম বয়সে দুধ পান করতে হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৩; দারাকুৎনী হা/৪৪১
উত্তর : এক্ষত্রে এমন চেয়ার ব্যবহার করা উচিৎ যাতে একজন মানুষের জায়গা দখল করে। আর পাশে যারা দাঁড়াবে চেয়ারের সাথে ঘেষে দাঁড়াবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) পায়ে সাথে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছালাতে দাঁড়াতে বলেছেন (আবূদাঊদ হা/৬৬২)। এক্ষণে পুরো ছালাত বসে আদায় কর
উত্তর : জীবিত বা মৃত কারো পক্ষ থেকে কেবল তাওয়াফ করা ও এর ছওয়াব অন্যের জন্য বখশে দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ তওয়াফ ছালাতের মত (নাসাঈ হা/২৯২২)। আর ছালাতের মত শারঈ ইবাদত অন্যের পক্ষ থেকে আদায় করা যায় না। সুতরাং কেবলমাত্র কেউ যদি কারো পক্ষ থেকে বদলী
উত্তর : আচরণ খারাপের কারণে পিতাকে ত্যাগ করা যাবে না। কারণ পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি (তিরমিযী হা/১৮৯৯; মিশকাত হা/৪৯২৭; ছহীহাহ হা/৫১৬)। আর আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে চাপ দেয় আমার সাথে কাউ
উত্তর : পরবর্তীতে বুঝতে পারলে গোসল করে উক্ত ছালাতের ক্বাযা আদায় করবে। কারণ অপবিত্র অবস্থায় ছালাত কবুল হয় না (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০০, ৩০১; উছায়মীন, মাজমূ ফাতাওয়া ১১/১৫৯, ১৬৬)। আয়েশা (রাঃ বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়
উত্তর : যাকাতের অর্থ থেকে ঋণগ্রস্ত ভাইকে দেওয়া যাবে (তাওবাহ ৯/৬০)। বরং আত্মীয়কে দিলে দ্বিগুণ ছওয়াব হবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মিসকীনকে ছাদাক্বা দিলে একটি নেকী হয়। কিন্তু সে যদি রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয় হয়, তবে নেকী দ্বিগুণ হয়। এক- ছাদাক্বা এ
উত্তর : ইমাম মেহরাবের ভেতরে বা বাইরে যে কোন স্থানে সুবিধামত দাঁড়াতে পারে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, পিছনের মুছল্লীগণ যেন ইমামকে দেখতে পায় (মিতালিবু উলিন নুহা ১/৬৯৬; আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/২৭৫)।
উত্তর : বক্তব্যটি দলীল সম্মত নয়। কেননা এ বিষয়ে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখিত হয়নি (ফাতাওয়া ইমাম নববী ১৯০-১৯১ পৃ.)।
উত্তর : যে কোন সৎকাজে উৎসাহমূলক পুরস্কার দেওয়া যায়। কেননা এতে লোকেরা ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত হয় (ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ফুরুসিয়া ৩১৮ পৃ.; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৫/১৭৯, ১৮৯)। আল্লাহ বলেন, ‘আর এরূপ বিষয়েই প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত’ (মুত্বাফফেফীন ৮৩
উত্তর : এরূপ কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। যখনই ক্ষুধা অনুভব করবে তখনই খাবে। তবে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীগণ দিনে-রাতে সাধারণত দু’বেলা খাবার গ্রহণ করতেন। যেমন আয়েশা (রাঃ) বলেন, মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর পরিবারবর্গ একদিনে দু’বেলা খানা খেলে একবেলা শুধু খেজুর
উত্তর : তেল ও সুগন্ধি ব্যবহার করা রাসূল (ছাঃ)-এর অভ্যাসগত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, ‘দুনিয়ার মধ্যে আমার কাছে স্ত্রী ও আতরকে প্রিয় করা হয়েছে’ (আহমাদ হা/১২৩১৫; নাসাঈ হা/৩৯৩৯, ছহীহুল জামে‘ হা/৩১২৪)। আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। কারণ এর সনদে কাসেম, ইবনু যুহায়ের ও হামযা নামে তিনজন অপরিচিত বর্ণনকারী রয়েছে (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/১৮২৭; আলবানী, যঈফাহ হা/৬৮২)।
উত্তর : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন (তিরমিযী হা/১৮৮৮; মিশকাত হা/৪২৭৭, সনদ ছহীহ)। পানীয়তে ফুঁ দিলে তাতে নিঃশ্বাস থেকে নিঃসৃত জীবাণু মিশ্রিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্যই সম্ভব
উত্তর : নতুনভাবে বিবাহের প্রয়োজন নেই। কারণ ইতিপূর্বে তিনি অজ্ঞতাবশে এটি করেছিলেন। যা তওবার কারণে আল্লাহ ক্ষমা করবেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে কেউ দুষ্কর্ম করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অবিচার করে, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং কুরআনের সকল সূরা ও আয়াত সমূহ ‘মুতাওয়াতির’। এবিষয়ে কোন ছাহাবীর কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। ইবনে মাসঊদ (রাঃ) সম্পর্কে যে কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে বিদ্বানগণের বক্তব্য এই যে, তিনি এ সূরা দু’টিকে প্রথমে কুরআনের অংশ হিস
উত্তর : সাপ বিষাক্ত ও ক্ষতিকর প্রাণী। হাদীছে তা দৃষ্টিগোচর হ’লে মারার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে (বুখারী, হা/৩২৩৩, ৩২৯৯)। সুতরাং সাধারণভাবে সাপ পালন করা এবং তা দ্বারা খেলা দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করা বিদ্বানদের ঐক্যমতে নাজায়েয (আল-আশবাহ ওয়ান নাযায়ের ২৮০ পৃ.
উত্তর : ওলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ হ’লেও সেটি বিবাহের অনুরূপই (শিবহে নিকাহ) ছিল। সুতরাং যদি তাকে তিন তুহ্রে তিন তালাক দেওয়া হয়ে থাকে, তাহ’লে তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোন উপায় নেই। ইবনু কুদামা বলেন, মতপার্থক্যপূর্ণ বিবাহের ক্ষেত্রে তালাক দিলে তালাক হয়ে
উত্তর : সালমান ফারেসী (রাঃ)-এর জন্ম সাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন বর্ণনা নেই। তিনি পারস্যে এক অগ্নিপূজকের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ফলে প্রথম জীবনে তিনি অগ্নিপূজক ছিলেন। পরে খৃষ্টধর্ম এবং সবশেষে মদীনায় এসে ইসলাম কবুল করেন। তিনি হযরত ওছমান (রাঃ)-এর খেলা
উত্তর : এতে কোন শারঈ বাধা নেই। তবে চিকিৎসকদের মতে, গোসলের পর খালি পেটে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যা পেটে অ্যাসিড সৃষ্টি করে। কারণ প্রতিটি ফলেই থাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাসিড। সাধারণত কেউ যখন গোসল করে আসে, তখন তার ক্ষুধা অনুভূত হয়। তাতে প
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (ইবনুল জাওযী, আল-মাওযূআত ৩/৩০; আলবানী, যঈফাহ হা/১৮৭৯)।
উত্তর : প্রতারণা হবে না। কারণ প্রতারণার বিধান কেবল মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, মাছ বা অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে নয়। মাছকে আল্লাহ মানুষের খাদ্য হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। যেমন তিনি বলেন, ‘(লোনা ও মিঠা পানির দু’টি সমুদ্র থেকেই) তোমরা তাযা গোশত (মৎস্য) ভক
উত্তর : ইমামের এমন আমল মোটেই সুন্নাত সম্মত নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ইমামতি করবে, তখন ছালাত সংক্ষিপ্ত করবে। কেননা তাদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ, দুর্বল ও রোগী ব্যক্তি থাকে। আর যখন একাকী ছালাত আদায় করবে তখন যেভাবে মন
উত্তর : সকল ভাই ও বোনদের সম্মতি থাকলে ছোট ভাইকে বেশী দেওয়া যাবে। কিন্তু কারো আপত্তি থাকলে কমবেশী করার কোন সুযোগ নেই। কারণ উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টননীতি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত (নিসা ৪/১১-১২; বুখারী হা/২৫৮৭; মিশকাত হা/৩০১৯; ফাতাওয়াল জামেআ লি
উত্তর : বিশুদ্ধ মতে রাসূল (ছাঃ)-এর দুধমাতা হালীমা সা‘দিয়া (রাঃ) ইসলাম কবুল করেছিলেন। হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) তাকে ছাহাবীগণের মধ্যে গণ্য করেছেন (আল-ইছাবাহ ক্রমিক ১১০৫০, ৭/৫৮৪)। রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ের পর হালীমা ও তার স্বামী হারেছ বিন আব
উত্তর : মাইয়েতের সম্পদ দ্বারা এটা করা যাবে না। জারীর বিন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ) বলেন, দাফনের পরে মাইয়েতের বাড়িতে সমবেত হওয়া এবং খানাপিনার আয়োজন করাকে আমরা বিলাপ হিসাবে গণ্য করতাম (যা নিষিদ্ধ)’ (আহমাদ হা/৬৯০৫; ইবনু মাজাহ হা/১৬১২, সনদ ছহীহ)।
উত্তর : মোহর বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ (নিসা ৪/৪)। আর বিবাহের মোহর স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ প্রদান করাই উত্তম। তবে কারো নগদ অর্থ না থাকলে পরে দিতে পারে। এমনকি বিবাহের পূর্বে মোহর নির্ধারণ না করেই বিবাহ সম্পন্ন করতে পারে। যেমন রাসূ
উত্তর : প্রতি শেষ রাতে আল্লাহ প্রথম আকাশে নেমে আসেন, যা বহু ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/১১৪৫, মুসলিম হা/৭৫৮ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১২২৩)। কিন্ত তিনি কিভাবে নেমে আসেন তা অজ্ঞাত। এগুলি অদৃশ্য বিষয়ক জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। যা স্রেফ আল্লাহর ইলমে র
উত্তর : এরূপ অবস্থায় মা মৃত পুত্রের সম্পদ থেকে এক-ষষ্ঠাংশ পাবেন। আল্লাহ বলেন, ‘মৃতের পিতা-মাতার প্রত্যেকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ করে পাবে, যদি মৃতের কোন পুত্র সন্তান থাকে’ (নিসা ৪/১১)।
উত্তর : ষাড়ের প্রজননের বিনিময়ে টাকা উপার্জন করা তথা ব্যবসা হিসাবে গ্রহণ করা হারাম। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ষাড়ের প্রজননের বিনিময়ে উপার্জন করতে নিষেধ করেছেন’ (বুখারী হা/২২৮৪; মিশকাত হা/২৮৫৬ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)। জাবের (
উত্তর : ‘রববানী’ নাম রাখাতে কোন বাধা নেই। কারণ ‘রববানী’ অর্থ আল্লাহওয়ালা। তবে ‘গোলাম রববানী’ নাম রাখা যাবে না। কেননা এর অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহওয়ালা ব্যক্তির গোলাম। আর রাববী নয়, বরং ফযলে রাববী নামে ডাকা যাবে। যার অর্থ আমার রবের অনুগ্রহ।
উত্তর : হজ্জে তামাত্তু পালনকারীদের জন্য হাদ্ই বা কুরবানী করা ওয়াজিব। যেহেতু এটি হজ্জের একটি অংশ, সেহেতু যার জন্য হজ্জ করা হবে তার পক্ষ থেকেই কুরবানী দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, বদলী হজ্জ করার ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা শর্ত নয়। বরং অন্তরে নি
উত্তর : পূর্বে ইহরাম বাঁধলে পরে আর বাঁধতে হবে না। সুন্নাত হ’ল ৮ই যিলহজ্জ যোহরের পূর্বে ইহরাম বেঁধে মিনায় গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করা (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/২৫১)। উল্লেখ্য যে, ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করা যায় (লাজনা দায়েমাহ, প্রশ্নোত্তর
উত্তর : এগুলি দু’টি কারণে তালাক হিসাবে গণ্য হবে না। প্রথমত, বর্ণনা মতে ছেলেটি মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত এবং কারণে-অকারণে তার মধ্যে অদ্ভুত সব কার্যকলাপ ও অসংলগ্ন কথাবার্তা প্রকাশ পায়। অতএব এরূপ ব্যক্তির রাগান্বিত অবস্থায় প্রদত্ত তালাক ধর্তব্য হবে না
উত্তর : সাপের কামড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদের মর্যাদা লাভ করবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/১১৬৮৬; যঈফাহ হা/৩৯৬৭)। তবে আলী (রাঃ) বলেন, মুমিন যেভাবেই মৃত্যুবরণ করুক না কেন তার মৃত্যু শাহাদতের মৃত্যু। তবে শাহাদতের মর্যাদায় স্তরভেদ রয়েছে (ফা
উত্তর : প্রতি আরবী মাসের মধ্যবর্তী ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ, আইয়ামে বীয-এর ৩ দিন ছিয়াম পালন করা মুস্তাহাব (তিরমিযী হা/৭৬১, নাসাঈ হা/২৪২৪; মিশকাত হা/২০৫৭)। তবে কোন সমস্যা থাকলে মাসের অন্য যেকোন দিনেও রাখতে পারে। যেমন আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে জানতে চাওয়া হ’ল য
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) থেকে উক্ত দো‘আটি পাঠের কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে রাসূল (ছাঃ) জিনদের সামনে সূরা রহমান পাঠ করলে উক্ত আয়াতের জওয়াবে জিনেরা প্রতিবার উত্তরটি দিয়েছিল বলে রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদেরকে সংবাদ দিয়েছিলেন (তিরমিযী হা/৩২৯১; ছহীহাহ হা/২১৫০)।
উত্তর : শূকরের মত কুকুরও সত্ত্বাগতভাবে নাপাক। সেকারণে কুকুর পালনে নিষেধ করা হয়েছে (মুসলিম হা/১৫৭৪, ২১০৬)। তাছাড়া কুকুরের লালা ও মলমূত্র মুছল্লীর কাপড়ে লাগলে কাপড় অপবিত্র হয়ে যায় (তায়সীরুল আল্লাম ২/২০৯)। এদের লালায় ভয়ংকর জীবাণু থাকে, যার স্পর্শকৃত পাত
উত্তর : সরকার কর্তৃক বর্তমানে অত্যধিক হারে গৃহীত জমি রেজিস্ট্রি ফী নিঃসন্দেহে জনগণের উপর যুলুম। তবুও তা ফাঁকি দেয়ার জন্য প্রশ্নে উল্লেখিত কৌশল কিংবা কোন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করা উচিৎ হবে না। কেননা যালেম শাসকদের অধীনে বসবাসরত নাগরিকদের করণীয় স
উত্তর : ‘গাযওয়াতুল হিন্দ’ নামে এক যুদ্ধের বর্ণনা বিভিন্ন হাদীছে রয়েছে, যার মধ্যে একটিমাত্র ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের দু’টি দল রয়েছে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে
উত্তর : খোলা বাগানে বৃক্ষের নীচে পড়ে থাকা ফল কুড়িয়ে খাওয়া জায়েয। আর যদি বাগান প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকে তাহ’লে মালিক বা তার প্রতিনিধিকে ডেকে অনুমতি নিবে। মালিক না থাকলে ফল কুড়িয়ে বা পেড়ে খাওয়া যাবে। তবে ফল বেঁধে বাড়ি নেওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) ব
উত্তর : ’আহলে ছহীহ হাদীছ’ নাম সালাফে ছালেহীন থেকে বর্ণিত হয়নি। তার কোন প্রয়োজনও নেই। কেননা আহলে হাদীছ তথা হাদীছের অনুসারী বলতে ছহীহ হাদীছের অনুসারীকেই বুঝানো হয়। তাছাড়া আহলেহাদীছ শব্দটি কুরআন ও হাদীছ উভয়কে শামিল করে।
উত্তর : খায়েফ বলা হয় এমন স্থানকে যা পাহাড়ের ঢালু অংশে এবং পানির প্রবাহ থেকে উঁচুতে অবস্থিত (আন-নিহায়াতু ফী গারীবিল আছার ২/১৯৪)। মিনার দক্ষিণে ছোট জামরার নিকটে এই প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত। উক্ত মসজিদের মর্যাদা হ’ল এখানে মূসা (আঃ) সহ ৭০ জন নবী-রাসূল
উত্তর : মেয়ের পিতার পক্ষ থেকে উকীল নিযুক্ত করায় উক্ত বিবাহ সঠিক হয়েছে। মেয়ের পিতা যে কাউকে ওলী নিযুক্ত করে বিবাহ পড়ানোর ব্যবস্থা করলে তা জায়েয (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৭/১৯; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/৩৭, ৯৩)। অতএব এজন্য দ্বিতীয়বার বিবাহ পড়ানোর
উত্তর : খাওয়ার সময় ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘বিসমিল্লাহ’ বললেই যথেষ্ট হবে। কারণ খাওয়ার সময়ের ব্যাপারে স্পষ্ট হাদীছ এসেছে (আবুদাউদ হা/৩৭৬৭; মিশকাত হা/৪২০২; ছহীহুত তারগীব হা/২১০৭)। অতএব কেউ কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই
উত্তর : আক্দ হওয়ার অর্থই হ’ল বিবাহ হওয়া। সুতরাং মিলন হৌক বা না হৌক উক্ত স্ত্রীর মাকে কোন অবস্থায় বিবাহ করা যাবে না। কেননা বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর মা স্থায়ীভাবে হারাম হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খাল
উত্তর : এক্ষেত্রে মাকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ যত ছাহাবী অন্যের পক্ষ থেকে হজ্জ করার ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছেন তাদের অধিকাংশই মাতা-পিতার পক্ষ থেকে। যেমন বিগত যুগে পাহাড়ের গুহায় আটকে পড়া তিন যুবকের মধ্যে একজন এমন ছিলেন, যিনি ছাগলের দুধ দোহন করে
উত্তর : আয়াতটি রাসূল (ছাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়েছে। মুফাস্সিরগণ এই আয়াতের বিভিন্ন তাফসীর করেছেন, যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, দুনিয়ায় বেশী পাওয়ার আশায় তুমি দান করো না। মুজাহিদ বলেন, নিজের আমলকে তুমি এমনভাবে বড় করে
উত্তর : এটা ভিত্তিহীন কুসংস্কার মাত্র। বরং কারো প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে বাকীতে মাল দেওয়া নেকীর কাজ। কেননা এটা ঋণ প্রদানের ন্যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দানের নেকী ১০ গুণ। আর ঋণদানের নেকী ১৮ গুণ (বায়হাক্বী, ছহীহাহ হা/৩৪০৭)। এছাড়া পণ্য বিক্রয়ের পর চু
উত্তর : অমুসলিমের রান্না করা খাবার খাওয়ায় কোন বাধা নেই (বুখারী হা/৩৪৪; মুসলিম হা/২৪৯১; আবুদাউদ হা/৪৫১০; মিশকাত হা/৫৮৮৪, ৫৮৯৫, ৫৯৩১)। তবে তাদের যবহকৃত পশুর গোশত খাওয়া যাবে না (আন‘আম ৬/১২১)। এক্ষেত্রে কোন মুসলিম বিসমিল্লাহ বলে যবেহ করে দিলে এবং তারা রা
উত্তর : এমতাবস্থায় সামনের কাতারে একজন এবং পিছনে একজন একাকী দাঁড়াবে। একাকী পিছনের কাতারে দাঁড়িয়ে ছালাত হবে না মর্মে যে হাদীছ রয়েছে (আবুদাউদ হা/৬৮২; তিরমিযী হা/২৩১; মিশকাত হা/১১০৫) তা তখনই প্রযোজ্য হবে, যখন সামনের কাতার অপূর্ণ থাকবে। অতএব এরূপ অবস্থা
উত্তর : উক্ত অবস্থায় গোসলের কারণে রোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৩১)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। অসুস্থ হবার আশংকায় গোসল না করে তায়াম
উত্তর : এদের মধ্যে বিবাহ জায়েয। কুরআনে যে ১৪ জন মাহরাম নারীর কথা বলা হয়েছে এরা তাদের অর্ন্তভুক্ত নয় (নিসা ৪/২৩)। ইবনু কুদামা বলেন, পিতার স্ত্রীর অন্য স্বামীর কন্যারা হারাম নয়। পিতার কন্যারা এজন্য হারাম যে তারা পিতার ঔরসজাত। কিন্তু তাদের মেয়েদের হ
উত্তর : এমতাবস্থায় হজ্জ আদায় হয়ে যাবে এবং এর জন্য কোন কাফ্ফারা দিতে হবে না। কেননা কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (নাজম ৩৮)। তবে অভিযুক্ত মু‘আল্লিমগণ কঠিন গুনাহের ভাগিদার হবেন। এটা একদিকে যেমন প্রতারণা, অন্যদিকে হজ্জের একটি ওয়াজিব বিধান লঙ্ঘন। যা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ হওয়ায় আমলযোগ্য নয় (তিরমিযী হা/২৯২২; মিশকাত হা/২১৫৭; যঈফুত তারগীব হা/৩৭৯)। এর সনদে খালিদ বিন ত্বাহমান নামে একজন শী‘আ রাবী রয়েছে (তাকরীবুত তাহযীব ১৬৪৯, ১/২৫৯)। উল্লেখ্য যে, ঘুমানোর পূর্বে সূরা হাশর পাঠের বিশেষ ফযীল
উত্তর : জাবালে রহমত ও মসজিদে নামিরা উভয়টি আরাফার অন্তর্ভুক্ত। আর আরাফার যেকোন স্থানে খুৎবা দেওয়ায় কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি এখানে কুরবানী করছি এবং মিনার গোটা এলাকা কুরবানীর স্থান। অতএব তোমরা যার যার অবস্থানে কুরবানী কর। আর আমি এখানে
উত্তর : এরূপ অবস্থায় তথা নফল ছালাত আদায়কারীর পিছনে ফরয ছালাত আদায়কারীর ছালাত আদায় হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বিতর আদায়কারীর জন্য তা বিতর হিসাবে গণ্য হবে আর ফরয আদায়কারীর জন্য ফরয হিসাবে গণ্য হবে। আর ইমাম যতক্ষণ ছালাতে থাকবে মুছল্লী তার অনুসরণ করবে
উত্তর : কারো নিকট থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী বিক্রয় করা যাবে এবং সেটি অন্যকে উপহার হিসাবেও দেওয়া যাবে। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, দুমা নিবাসী উকায়দির নবী করীম (ছাঃ)-কে একটি রেশমী কাপড় উপঢৌকন দিলে তিনি সেটি আলী (রাঃ)-কে দিয়ে বললেন, তুমি এটি ফেড়ে
উত্তর : হজ্জে তামাত্তু ও ক্বিরান পালনকারীগণ একই পরিবারভুক্ত হ’লেও প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথকভাবে কুরবানী করা ওয়াজিব। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ওমরাহর সাথে হজ্জ পালন করতে চাও, সে যা সহজলভ্য তাই কুরবানী করবে। তবে কেউ যদি কুরবা
উত্তর : আল্লাহ নিরাকার সত্তা নন। বরং তাঁর নিজস্ব আকার রয়েছে। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা। এতে কোন কল্পিত ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। কেননা কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদীছে আল্লাহর হাত, পা, চেহারা তথা আকার-আকৃতির প্রমাণ
উত্তর: এরূপ বিবাহ জায়েয হবে না। কারণ এ অবস্থায় আপন ভাগ্নীকে বিবাহ করা হবে, যা শরী‘আতে হারাম। তবে দ্বিতীয়া স্ত্রীর নাতনী যদি পূর্বের স্বামীর সন্তানের ছেলে বা মেয়ে হয়, তাহ’লে এরূপ বিবাহ জায়েয (ইবনু কুদামা, মুগনী ৭/১২৮)।
উত্তর : এ কথার কোন ভিত্তি নেই। তবে কুরআন সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন পবিত্র গ্রন্থ (বুরূজ ২২)। অনিচ্ছাকৃতভাবে কুরআন পড়ে গেলে কিংবা পা লাগলে ভীতি ও শ্রদ্ধার সাথে তওবার মন নিয়ে ‘ইন্নালিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজে‘উন’ পাঠ করবে (বাক্বারাহ ২/১৫৬; উম্মে
উত্তর : ইসলামী আলোচনা বৈঠকসহ যে কোন বৈধ আলোচনায় কোন বাধা নেই। তবে তা জুম‘আর ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে সাধারণ মুছল্লীদের প্রবেশের পূর্বেই শেষ করতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) জুম‘আর দিন ছালাতের পূর্বে মসজিদে খুৎবা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে একত্রিত হ’
উত্তর : হাই কমোড ব্যবহার করায় বাধা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কাপড়ে অপবিত্রতা না লাগে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৩৮)।
উত্তর : গুনাহগার হ’তে হবে। কারণ মন্দির ও শ্মশান নির্মাণে সহযোগিতা করার অর্থই হ’ল শিরকী কাজে সহযোগিতা করা, যা হারাম (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৪/৪৮২)। ওমর (রাঃ) সিরিয়ার খৃষ্টানদের সাথে সন্ধি করার সময় শর্তারোপ করেছিলেন যে, সেখানে গির্জা বা মন্দির নির্মাণ ক
উত্তর : দাঁতের দোষ-ত্রুটি দূর করার জন্য এমন কাজ করা যাবে। তবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য করা যাবে না। ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হোক সেসব নারীদের উপর... যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত কেটে সরু করে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে,
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। বরং তাশাহহুদে বসার পর থেকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত আঙ্গুল নাড়াতে থাকবে। এসময়ে দৃষ্টি আঙ্গুলের দিকে থাকবে (আবুদাউদ হা/৯৮৮, ৯৯০; নাসাঈ হা/১২৭৫; মিশকাত হা/৯১২, ৯১৭)।
উত্তর : বিশ্বাস নিয়ে এসকল বানোয়াট রাশিফল পাঠ করলে কেবল উক্ত বিধানই নয়, বরং তা কুফরী হিসাবে গণ্য হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, ঐ ব্যক্তি মুহাম্মাদ-এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তার সাথে কুফরী
উত্তর : উক্ত ছালাত বলতে খোলা মাঠে মুসাফিরের ছালাতকে বুঝানো হয়েছে। আর অতিরিক্ত ফযীলতের কারণ হ’ল এই যে, মুসাফির অধিক ক্লান্তি ও অবসাদ থাকা সত্ত্বেও রুকূ ও সিজদা সুন্দর ও পূর্ণভাবে আদায় করায় আল্লাহ তাকে ৫০ গুণ বেশী পুরস্কার দিবেন। এক্ষণে একাকী ছ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত আছারটি ছহীহ। কিন্তু এর ব্যাখ্যা ভুল হয়েছে। আছারটির দু’টি অর্থ হ’তে পারে। ১. আয়েশা (রাঃ) উক্ত বিবাহে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত ও নিকটাত্মীয় হওয়ার কারণে বর্ণনাকারী ওলী হওয়ার বিষয়টি তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন।
উত্তর : যেকোন মাসে বিতর ছালাত জামা‘আতে আদায় করা যায়। কারণ এটি নফল ছালাত। আর ছাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) নফল ছালাত রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে জামা‘আতে আদায় করেছেন। তাছাড়া সালমান ও আবুদ্দারদা (রাঃ) জামা‘আতে নফল ছালাত আদায় করেছেন (বুখারী হা/৬৮, ১১৭; মুসলিম হা/৭
উত্তর : যেকোন খুশীর সংবাদে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করায় কোন দোষ নেই (উছায়মীন, আল-ফাতাওয়াছ ছুলাছিয়া ১/৫৬)। এছাড়া খুশীর কারণে শুকরিয়া স্বরূপ আল্লাহর রাস্তায় ছাদাক্বা করার একাধিক ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায়। কা‘ব বিন মালেক (রাঃ) স্বীয় তওবা কবুলের সংব
উত্তর : বাধা হ’ল এই যে, কাজটি রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় করা হয়নি বা তিনি সমর্থনও করেননি। এ ব্যাপারে রাসূলের নির্দেশনা বা অনুমোদন না থাকাটাই তা বিদ‘আত হওয়ার বড় প্রমাণ। মালেক বিন আনাস (রহঃ) দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, ‘রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীদের স
উত্তর : এগুলি পুড়িয়ে বা মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। যাতে অন্য কেউ তা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন জিনিস হারাম করেন তখন তার মূল্য গ্রহণও হারাম করেন’ (আহমাদ হা/২৬৭৮; ইবনু হিববান হা/৪৯৩৮, সনদ ছহীহ)। তিনি আরো
উত্তর : এসময় দুই পা খাড়া ও আঙ্গুলগুলি সাধ্যমত কেবলামুখী থাকবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৩, ‘সিজদা ও সিজদার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ; মুস্তাদরাক হাকেম ১/৩৪০ পৃঃ, হা/৮৩২; ইবনু হিববান হা/১৯৩৩; মির‘আত ৩/২০৪)।
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। ওমর (রাঃ)-এর যুগে কূফার দায়িত্বশীল ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ)। একদা মসজিদ হ’তে বায়তুল মাল চুরি হ’লে সে ঘটনা ওমর (রাঃ)- কে জানানো হয়। তিনি মসজিদ স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন। ফলে মসজিদ স্থানান্তরিত করা হয় এবং পূ
উত্তর : যাবে। কেননা এখানে লিজ গ্রহীতা মালিক নয়। আর আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (নাজম ৫৩/৫৫; আন‘আম ৬/১৬৪)।
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থায় জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ। তবে উক্ত সম্পদ মৌলিকভাবে হারাম হ’লে তা সন্তানের জন্য গ্রহণ করা জায়েয নয়। যেমন চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও ঘুষ ইত্যাদির টাকা (উছায়মীন, আল-ক্বাওলুল মুফীদ আলা কিতাবিত তাওহীদ ২/৩৫২)।
উত্তর : হাদীছটি যঈফ (আলবানী, যঈফাহ হা/৩৪০২; যঈফুল জামে‘ হা/২৪৩৪)। তবে ব্যবসার গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সবচেয়ে পবিত্র উপার্জন হ’ল, যা মানুষ নিজ হাতে করে এবং সৎ (প্রতারণা ও খেয়ানতমুক্ত) ব্যবসার মাধ্যমে করা হয়’ (আহমাদ হা/১৭৩০৪; মিশকাত হ
উত্তর : যদি ছালাত অস্বীকারকারী না হয়, তবে অলসতা ও অজ্ঞতাবশে ছালাত পরিত্যাগকারী পিতার জন্য দো‘আ করা যাবে এবং সন্তানের দো‘আয় পিতা উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১২৪/১১৬)। আর সন্তানের দো‘আ পিতা-মাতার উপকারে আসে। রাসূল (ছাঃ
উত্তর : পুরুষের জন্য সকল প্রকার স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘স্বর্ণ ও রেশমী কাপড় আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল করা হয়েছে এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৯৫; আবুদাঊদ হা/৪০৫৭; মিশকাত হা/৪৩৯৪)। এক্ষণে কারো
উত্তর : অসুস্থ অবস্থায় ইমাম বসে ছালাতে ইমামতি করতে পারবেন। তবে দাঁড়িয়ে ইমামতি করার মত অন্য কেউ থাকলে তাকে ইমামতি করতে দেওয়া উত্তম (নববী, আল মাজমূ‘ ৪/২৬৪; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ২/১৬২)। এক্ষণে ইমাম বসে ছালাত শুরু করলে মুছাল্লীরাও বসে ছালাত আদায় করবে।
উত্তর : এই ধরনের পরিস্থিতি বর্তমান মুসলিম দেশগুলোতে অতীব দুঃখজনক এক বাস্তবতা। ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক শিক্ষা পরিবেশ প্রদান না করে কর্তৃপক্ষ এমন ভয়ংকরভাবে তাদেরকে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার ব্যবস্থা করছে। নিঃসন্দেহে এতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, ছাত্র-ছাত্রী
উত্তর : উক্ত হাদীছ যঈফ (আলবানী, যঈফাহ হা/৩৪০২; যঈফুল জামে‘ হা/২৪৩৪)। বিভিন্ন হাদীছ গ্রন্থে বর্ণিত হ’লেও এই হাদীছের কোন সনদই ছহীহ নয় (তারীখু ইবনু মাঈন হা/৩০৮৯; ইবনু হাজার, আল-মাতালিবুল আলিয়া হা/১৪৭৮; সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৪০২)। তবে ব্যবসায়ের মধ্যে বরকত
উত্তর : মুসলিম শিক্ষক কেবল ইসলাম ধর্ম পড়াবে, অন্য কোন ধর্ম নয়। কর্তৃপক্ষেরও উচিৎ হবে না কোন মুসলিম শিক্ষককে এমন নির্দেশ দেয়া। বিকল্প শিক্ষক না থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ দায়িত্বে পাঠ করে নেবে।
উত্তর : চিকিৎসার জন্য উক্ত ক্রিম ব্যবহার করা যাবে, যদিও তাতে সুগন্ধি থাকে। কারণ এর দ্বারা সুগন্ধি ব্যবহার করা উদ্দেশ্য নয়। আর ইহরাম অবস্থায় অসুস্থ হ’লে যেকোন বৈধ পন্থায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১০/১৫৭; উছায়মীন, আশ-শারহু
উত্তর : শিশু অবস্থায় হজ্জ পালন করলে হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হবে না। পরবর্তীতে হজ্জ করতে হবে। কেননা তার জন্য শরঈ বিধান প্রযোজ্য নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন শিশু বালেগ হওয়ার পূর্বে হজ্জ করলেও পরবর্তীতে (সামর্থবান হ’লে) তাকে পুনরায় হজ্জ করতে হবে’ (হা
উত্তর : ফরয হজ্জ করার পূর্বে ওমরা করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) হজ্জের পূর্বে ওমরা করেছেন (বুখারী হা/১৭৭৪; মিশকাত হা/২৫১৯)। বারা ইবনু আযেব বলেন, রাসূল (ছাঃ) হজ্জের পূর্বে দু‘বার ওমরা করেছেন (বুখারী হা/১৭৮১; মিশকাত হা/২৫১৯)। ইমাম নববী বলেন, হজ্জের পূর্বে ওমরা
উত্তর : বিবাহ নিশ্চিত করতে আংটি বিনিময়ের পদ্ধতিটি খৃষ্টানদের মধ্যে প্রচলিত প্রথা, যা প্রাচীন গ্রীকদের থেকে আগত। তারা বিশ্বাস করত যে, বামহাতের অনামিকায় আংটি পরালে হবু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয় (উইকিপিডিয়া)। সুতরাং এই রীতি অনুসরণ থেকে ম
উত্তর : যারা হজ্জ বা ওমরার জন্য মক্কায় গমন করবে কেবল তাদের জন্য ইহরাম বাঁধা আবশ্যক। কেউ মক্কায় স্বীয় কর্মস্থল বা ব্যবসাস্থলে গেলে, তাওয়াফ করতে গেলে বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে ইহরাম বাঁধতে হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হজ্জ ও ওমরার ন
উত্তর: এই বিবাহ জায়েয নয়। কারণ মেয়েটি সম্পর্কে ছেলেটির আপন ভাগ্নী। যার সাথে বিবাহ শরী‘আতে হারাম। এক্ষণে যদি দ্বিতীয়া স্ত্রীর নাতনী পূর্বের স্বামীর সন্তানের মেয়ে হয় তাহ’লে এরূপ বিবাহ জায়েয (মুগনী ৭/১২৮)।
উত্তর : এরূপ কাজ করা যাবে না। কারণ উত্তরাধিকার সম্পদের বণ্টননীতি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত (নিসা ৪/১১)। অতএব যার যতটুকু প্রাপ্য তা বুঝিয়ে দিতে হবে। আর নানা তার প্রথমা স্ত্রীকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে কবীরা গোনাহ করেছেন। এক্ষণে নানা জীবিত থাকলে হ
উত্তর : ঘটনাটি সত্য। আবুবকর (রাঃ) মৃত্যুর পূর্বে আয়েশা (রাঃ)-কে ওছিয়ত করেছিলেন যাতে তাঁকে রাসূলের পার্শ্বে দাফন করা হয়। আবুবকর (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে আয়েশা (রাঃ) পিতার ওছিয়ত অনুসারে তাকে রাসূলের পার্শ্বে দাফন করেন (তাবাকাতু ইবনু সা‘দ ৩/২০৯;
উত্তর : প্রশ্নমতে উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ সাক্ষীর ক্ষেত্রে একজন নারী পুরুষের তুলনায় অর্ধেক। আর বিবাহতে পূর্ণ দু’জন সাক্ষী থাকা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘এ ব্যাপারে তোমরা তোমাদের মধ্যেকার দু’জন পুরুষকে সাক্ষী রাখবে। যদি দু’জন পুরুষ না হয়, তবে এ
উত্তর : যদি ওলী বা অভিভাবকের অনুমতিক্রমে ও দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে উক্ত বিবাহ সম্পাদিত হয়ে থাকে তাহ’লে বিবাহ বৈধ হয়েছে। কেননা বিদেশে থাকার কারণে অভিভাবক যদি ফোনের মাধ্যমে কাউকে তার পক্ষ থেকে ওলী নিয়োজিত করে এবং দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ঈজাব
উত্তর : তাওয়াফ করা অবস্থায় ক্লান্ত হয়ে পড়লে সঙ্গী-সাথীরা তাকে হুইল চেয়ারে বহন করে তাওয়াফ করানোর ব্যবস্থা করবে। আর যদি তাওয়াফ ছেড়ে বাইরে যেতে হয় কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তাহ’লে ফিরে এসে পুনরায় নতুনভাবে তাওয়াফ শুরু করবে। কেননা তাওয়াফ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ভারতীয় এই আগর কাঠ ব্যবহার করবে। কেননা তার মধ্যে সাত ধরনের চিকিৎসা (নিরাময়) রয়েছে। শ্বাসনালীর ব্যথার জন্য এর (ধোঁয়া) নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়। নিউমোনিয়া দূর করার জন্যও তা সেবন করা
উত্তর : উক্ত গ্রন্থসমূহে এসকল বর্ণনা পাওয়া গেলেও এর কোন গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই। আলবানী বলেন, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর ব্যাপারে যা বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এশার ওযূতে চল্লিশ বছর ফজরের ছালাত আদায় করেছেন, তাতে তোমরা প্রতারিত হয়ো না। কারণ তাঁর থেকে এসক
উত্তর : পিতার উপরোক্ত কথা নিতান্তই কথার কথা, যা তার মনের কথা নয়। এমনকি মনের কথা হ’লেও যেহেতু যথাযথ পদ্ধতিতে বিবাহ পড়ানো হয়নি, অতএব পিতার উক্ত কথায় বিবাহ সংঘটিত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আল্লাহ বলেন, ‘অর্থহীন শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদের ধরবেন না। তব
উত্তর : উক্ত রক্ত নিফাস হিসাবে গণ্য হবে না। বরং মুস্তাহাযা হিসাবে গণ্য হবে। কারণ সাধারণত বাচ্চার বয়স কমপক্ষে ৮০ দিন না হ’লে দৈহিক আকৃতি ফুটে ওঠে না। সুতরাং এর পূর্বে গর্ভপাত ঘটলে তার রক্ত নিফাস হিসাবে গণ্য হবে না। এ অবস্থায় তাকে ছালাত ও ছিয়াম
উত্তর : বিবাহের পূর্বে তালাক দেওয়ার বিধান ইসলামী শরী‘আতে নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিয়ের আগে তালাক নেই’ (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৮; মিশকাত হা/৩২৮১; ইরওয়া হা/২০৬৮, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তিনি বলেন, ‘যে বস্ত্ত স্বীয় মালিকানায় নেই সেই বস্ত্ততে আদম সন
উত্তর : মসজিদে ফরয ছালাত আদায়ের জন্য কোন স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়া নিষিদ্ধ। কেননা রাসূল (ছাঃ) কাকের ঠোকরের ন্যায় (তাড়াতাড়ি) সিজদা করতে, চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় বাহু বিছাতে এবং উটের ন্যায় মসজিদের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থান বেছে নিতে নিষেধ করেছেন (আবূদা
উত্তর : তা‘লীমে না গেলে ঈমান থাকবে না বা খেতে না দিলে খাদ্যে বরকত হবে না- এ সকল কথা বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। বরং আমল-আক্বীদা শিরক ও বিদ‘আতপূর্ণ হ’লে কোনভাবেই তাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না।স্মর্তব্য যে, নারীরা নিজস্ব পরিসরে তা‘লীম করতে পারে, তবে তা
উত্তর : উক্ত মর্মে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত একটি আছার পাওয়া যায়, যার দ্বারা উদ্দেশ্য ছাহাবীগণ। আছারটির পূর্ণরূপ হ’ল- ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কারো কোন তরীকা অনুসরণ করতে চায়, সে যেন তাদের পথ অনুসরণ করে যারা দুনিয়া থেকে ব
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ (আহমাদ হা/১৪৫৭৬; ছহীহুত তারগীব হা/১৮১২)। অতএব ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকতে হবে।
উত্তর : ঋণ থাকা অবস্থায় মারা গেলে এবং তা পরিশোধ না করা হ’লে শাস্তি পেতে হবে। সেজন্য মৃত্যুর পূর্বে ঋণ পরিশোধ করা অত্যন্ত যরূরী। কারণ ঋণ বান্দার হক। তা বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের আত্মা ঝুলন্ত অবস্থায়
উত্তর : কিয়ামতের এমন কিছু আলামত আছে যেগুলো ঘটে গেছে। আবার কিছু আলামত আছে যা বর্তমানে ঘটছে। আর কিছু আলামত আছে যা ভবিষ্যতে ঘটবে। আর কিয়ামতের বড় আলামতগুলোর ধারাবাহিকতা নিয়ে হাদীছে বিভিন্নরূপ বর্ণনা পরিলক্ষিত হয়। এ সকল হাদীছের আলোকে বলা যায়
উত্তর : জিনদের স্বতন্ত্র কোন ধর্মগ্রন্থ নেই বা তাদের নিকট তাদের মধ্য থেকে কোন নবী-রাসূল প্রেরণ করা হয়নি। বরং মানব জাতির নিকট যে নবী-রাসূল বা কিতাব প্রেরণ করা হয়েছিল, তাদের জন্যও একই নবী-রাসূল বা ধর্মগ্রন্থ প্রযোজ্য। আল্লাহ বলেন, ‘(স্মরণ কর) য
উত্তর : আইয়ামে বীয ও শাওয়ালের ছিয়াম দু’টি পৃথক ইবাদত। একই নিয়তের মধ্যে শামিল করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। সুতরাং পৃথক নিয়তে স্বতন্ত্রভাবে দু’টি ইবাদত পালন করতে হবে (ছালেহ ফাওযান, আল-মুনতাকা ৫১/২৫)। তবে কেউ যদি আইয়ামে বীযের দিনগুলোতে কিংবা 
উত্তর : যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থাই ধর্তব্য, পূর্বের অবস্থা নয়। অতএব যে ব্যক্তি মিসকীন হিসাবে গণ্য, তাকে যাকাতের অর্থ প্রদান করতে বাধা নেই (তওবাহ ৯/৬০)। সুতরাং যাকাত প্রদানের নিয়ত সহকারে দান করে থাকলে তা যাকাত হিসাবে গণ্য হবে।
উত্তর : মৃত্যুপথযাত্রীর প্রতি কর্তব্য হ’ল তাকে তালক্বীন করানো। তালক্বীন (التلقين) অর্থ কথা বুঝানো বা দ্রুত মুখস্থ করিয়ে দেওয়া। মৃত্যুর আলামত দেখা গেলে রোগীর শিয়রে বসে তাকে কালেমায়ে ত্বাইয়িবা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ পড়ানো উচিত (মুসলিম হা/৯১৭ (২)
উত্তর : বিশেষ প্রয়োজনে শারঈ আদব বজায় রেখে গায়রে মাহরামের সাথে যোগাযোগ করা যাবে। সেটা ম্যাসেঞ্জার, মোবাইল বা অন্য কোন যোগাযোগ মাধ্যমে হোক। কেননা এগুলি দ্বারা হাদীছে নিষিদ্ধ নারী-পুরুষের ‘খালওয়া’ বা ‘নির্জনে একত্রিত হওয়া’ বুঝায় না। কিন্তু অপ্রয়
উত্তর : কোন মুমিন অপর মুমিনকে অভিশাপ দিতে পারে না (আহমাদ হা/৩৯৪৮, তিরমিযী হা/১৯৭৭, মিশকাত হা/৪৮৪৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুমিনকে অভিশাপ দেয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য’ (বুখারী হা/৬৬৫২; মুসলিম হা/১৭৬; মিশকাত হা/৩৪১০)। বিশেষত নারীদের অধিকহারে জাহান্নাম
উত্তর : এরূপ সুযোগ নেই। কেননা ই‘তিকাফ অবস্থায় একান্ত বাধ্যগত অবস্থা ব্যতীত মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ই‘তিকাফে থাকা অবস্থায় প্রাকৃতিক প্রয়োজন (পেশাব-পায়খানা ইত্যাদি) ব্যতীত গৃহে প্রবেশ করতেন না’ (বুখারী হা
উত্তর : উক্ত মর্মে মারফূ ও মাওকূফ সূত্রে বেশ কিছু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হাদীছগুলো যঈফ। তবে ওমর, ইবনু আববাস, আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবী থেকে কতিপয় আছারের সনদ ছহীহ। শায়খ আলবানী মাওকূফ সূত্রগুলোকে ছহীহ বলার পর উল্লেখ ক
উত্তর : কালেমা তাইয়েবাহ হ’ল ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে কোন মতপার্থক্য নেই। কিছু অজ্ঞ ব্যক্তি এই কালেমার সাথে ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ যোগ করে একে ‘কালেমা তাইয়েবাহ’ বলে। অথচ মুহাম্মাদ যোগ করলে সেটি ‘কালেমা শাহাদাত’ হয়ে যা
উত্তর : কোন মুসলিম ব্যক্তি শিরক থেকে তওবা করার পর নতুনভাবে কালিমা পাঠ করতে হবে না কিংবা বিবাহ নবায়নেরও কোন প্রয়োজন নেই। কেননা শিরকের মত মহাপাপে জড়িত থাকলেও সে ব্যক্তি ইসলাম অস্বীকারকারী নয়। অতএব তার জন্য তওবাই যথেষ্ট। আল্লাহ
উত্তর : সার্ভিস চার্জ হিসাবে কাটলে সেটি সূদ হবে না। কিন্তু লক্ষ্য করা যায় যে, তাদের গৃহীত চার্জ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী, অর্থাৎ সার্ভিস চার্জ ব্যতীত অতিরিক্ত অর্থও কাটা হয়। প্রকৃতই যদি এরূপ অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা হয়, তবে তা সূদ হবে। কেননা
উত্তর : ঈদ মোবারক (আপনার ঈদ বরকতপূর্ণ হৌক) বলা বিদ‘আত নয়। কেননা এটি ইবাদত পালন বা বিশেষ ছওয়াবের উদ্দেশ্যে করা হয় না। তাছাড়া ঈদের সময় অনেক ছাহাবী ও তাবেঈ এরূপ অভিনন্দনসূচক বাক্য ব্যবহার করেছেন। যেমন তাঁরা পরস্পর সাক্ষাৎকালে বলতেন, ‘তাকাববাল্লা
উত্তর : জন্মদাতা পিতা দায়িত্ব পালন না করলেও তার সাথে সদাচরণ করতে হবে। পিতা দায়িত্ব পালন না করার কারণে গুনাহগার হবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮৫)। কিন্তু এই কারণে সন্তানও পিতার সাথে অসদাচরণ করলে সেও গুনাহগার হবে। কেননা শরী‘আতের নির্দেশ হ’ল
উত্তর : তাকে মুনাফিক বলে আখ্যায়িত করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, আর তোমরা একে অপরের নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নাম কতই না নিকৃষ্ট (হুজুরাত ৪৯/১১)। সর্বোচ্চ হয়ত এতটুকু বলা যেতে পারে যে, তার মধ্যে মুনাফিকের একট
উত্তর : শর্ত সাপেক্ষে ওয়াক্ফ করা জায়েয, যদি তা বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত হয় (বুখারী হা/২৭৩৭; মিশকাত হা/৩০০৮, ইবনু কুদামাহ আল-মুগনী ৬/৮)। কিন্তু প্রশ্নমতে মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান প্রভৃতি জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠিত স্থানের জন্য ওয়াক্ফ করা জমিতে ব্যক্তিগত
উত্তর : বর্ণিত প্রেক্ষাপটে গর্ভে সন্তান আসা অবস্থায় বিবাহের হুকুম সম্পর্কে বিদ্বানদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। তবে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মতে, তাদের মাঝে বিবাহ জায়েয (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ আল-কুয়েতিয়াহ ২৯/৩৩৮-৩৩৯)। কেননা প্রথমতঃ কোন হারাম কাজের কারণে
উত্তর : শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর প্রতি জামাইয়ের অবশ্য পালনীয় শারঈ কোন কর্তব্য নেই, যেমনটি তার স্বীয় পিতা-মাতার প্রতি রয়েছে। তবে নিকটাত্মীয় হিসাবে তাদের প্রতি সদাচরণ করবে এবং প্রয়োজনে তাদের জন্য খরচ করবে। আল্লাহ বলেন, তিনিই মানুষকে পানি হ’তে সৃষ্টি কর
উত্তর : যাবে। এভাবে তাকবীর ধ্বনি বলা ও বলতে বলা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। প্রখ্যাত তাবেঈ মুজাহিদ বলেন, আবু হুরায়রা ও ইবনু ওমর যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশকে বাযারে বের হতেন এবং সশব্দে তাকবীরধ্বনি দিতেন। তাদের তাকবীর শুনে লোকেরাও তাকবীর দিতেন। তা
উত্তর : এরূপ সংবাদ গোপন রাখা যাবে না। কারণ পরবর্তীতে জানাজানি হ’লে সংসারে অশান্তি নেমে আসতে পারে। আল্লাহ বলেন, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনেশুনে সত্যকে গোপন করো না (বাক্বারাহ ২/৪২)। অপরদিকে এটা দোষ গোপন করার পাপ হবে।
উত্তর : যে সকল পত্র-পত্রিকা মূলত সংবাদ প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হয়, তার ব্যবসা মৌলিকভাবে নাজায়েয নয়। আর এতে যে সকল অশালীন ছবি প্রকাশিত হয়, তার জন্য বিক্রেতা দায়ী হবে না, বরং পত্রিকার প্রকাশকগণ দায়ী হবেন। তবে তাক্বওয়ার দাবী হ’ল, অশ্লীলতা প্
উত্তর : নির্ধারিত লাভের শর্তে অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। এমনটি করলে তা সূদ হিসাবে গণ্য হবে। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, যে ঋণের বিনিময় লাভ করা হয়, তা সূদ (ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। অতএব উক্ত টাকা কোন সৎ ব্যবসায়ীকে লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে প্রদান করতে হবে।
উত্তর : এজন্য প্রথমে অনুতপ্ত হয়ে পুনরায় উক্ত পাপ না করার দৃঢ় প্রত্যয়ে তওবা করতে হবে (ইবনু মাজাহ হা/৪২৫০; মিশকাত হা/২৩৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা হদযোগ্য পাপ থেকে দূরে থাক। যে ব্যক্তি এর শিকার হবে সে যেন তা গোপন রাখে এবং আল্লাহর নিকট তওবা ক
উত্তর : রুকূ-সিজদা ছালাতের রুকন। আর কোন রুকন ছাড়া পড়লে ছালাত বাতিল হয়। তাই এরূপ অবস্থায় কেবল সহো সিজদা যথেষ্ট নয়, বরং অতিরিক্ত এক রাক‘আত আদায় করতে হবে এবং সহো সিজদা দিতে হবে (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৩/৩৭১-৭২; আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১
উত্তর : ছালাত আদায় হয়ে যাবে। কেননা যারা এগুলি করেন, তারা অধিকাংশই বরকত মনে করে অথবা অজ্ঞতাবশে করে থাকেন। স্মর্তব্য যে, মসজিদের মেহরাবের উপরে এক পার্শ্বে ‘আল্লাহ’ অপর পাশে^র্ ‘মুহাম্মাদ’ লেখা শিরকের পর্যায়ভুক্ত। এতে আল্লাহ ও রাসূলকে তথা স্রষ্ট
উত্তর : সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাসায় জামা‘আত করে ছালাত আদায় করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আযান শুনলো এবং তার কোন ওযর না থাকা সত্ত্বেও জামা‘আতে উপস্থিত হ’ল না, তার ছালাত হ’ল না’ (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩; মিশকাত হা/১০৭৭; ছহীহুল জা
উত্তর : ঘুমানোর সময় সূরা মারিয়াম পাঠের বিশেষ কোন ফযীলত নেই। উক্ত মর্মে যে বর্ণনাটি বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে পাওয়া যায় তা ‘জাল’ (তাফসীরে ছা‘লাবী ৬/২০৫; তাফসীরুল ওয়াসীত্ব ৩/১৭৪; যামাখশারী, বায়যাভী)। উক্ত বর্ণনায় সালামুত ত্বাবীল নামক একজন জাল
উত্তর : পিয়াজ ও রসুন হালাল এবং অনেক উপকারী খাদ্যবস্ত্ত হওয়া সত্ত্বেও এর তীব্র গন্ধ অন্যের জন্য কষ্টকর হওয়ায় রাসূল (ছাঃ) কাঁচা পিয়াজ ও রসুন খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং এই নিষেধাজ্ঞা কেবল মসজিদে জামা‘আতের সাথে সম্পৃক্ত। অবশ্য রান্না ক
উত্তর : ছালাত বাতিল হবে না। বরং ছালাত পূর্ণ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যদি সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে আছরের ছালাতের এক সিজদা পায়, তাহ’লে সে যেন ছালাত পূর্ণ করে নেয়। আর যদি সূর্য উদিত হবার পূর্বে ফজরের ছালাতের এক সিজদা পায়, তাহ’লে সে যে
উত্তর : স্বামীর মৃত্যুর পর চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন স্ত্রীর জন্য আবশ্যকীয় কর্তব্য (বাক্বারাহ ২/২৩৪, বুখারী হা/১২৮০, মুসলিম হা/১৪৮৬, মিশকাত হা/৩৩৩০)। এ সময় কেবল যরূরী প্রয়োজন ছাড়া তার জন্য ঘর থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় হজ
উত্তর : এ ব্যাপারে শরী‘আতের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। যৌথ মালিকানা বা প্রতিবেশী হওয়ার কারণে জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অংশীদারের কাছে কিংবা প্রতিবেশীর কাছে বিক্রয় করতে হবে। একে শরী‘আতের পরিভাষায় শুফ‘আ বলে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, জমি
উত্তর : প্রশ্নমতে পূর্বে জমাকৃত অর্থ যদি নিছাব পরিমাণ হয়, তবে বছরান্তে কেবল উক্ত অর্থেরই যাকাত দিতে হবে এবং অতিরিক্ত যোগ হওয়া অর্থ নতুনভাবে হিসাব করতে হবে। এরপর যদি পরবর্তী বছরান্ত পর্যন্ত তা জমা থাকে, তবে তার যাকাত একত্রিতভাবে আদায় করতে হবে।
উত্তর : গরুর গোশত খাওয়াতে যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কিছু স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এ্যালার্জি, এ্যাজমা, হাই-প্রেসার ইত্যাদি দুরারোগ্য ব্যাধিতে ডাক্তাররা বিশেষত গরুর গোশত খেতে নিষেধ করেন। রাসূল (ছাঃ) থেকে গরুর গোশতের
উত্তর : বর্ণনামতে পিতা-মাতা ও ভাইয়েরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে যদি ভাইয়ের অবদান অস্বীকার করে এবং যুলুম করে, তাহ’লে তারা কবীরা গুনাহগার হবে। এক্ষেত্রে উক্ত প্রবাসী ভাই সমাজ নেতাদের সহায়তা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিবেন। অথবা প্রচলিত আইনের আশ্রয় ন
উত্তর : এরূপ ওয়াদা ভঙ্গের কারণে গুনাহগার হবে না। আর এজন্য তার নিকট ক্ষমা চাইতেও হবে না (ইমাম শাফেঈ, আল-উম্ম, ৮/৬৩১)। কোন ব্যক্তিকে সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা বৈধ বা তার গোপন কথা এমন ব্যক্তিকে বলা যায়, যার মাধ্যমে সে সংশোধন হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। কারণ রক্ত বের হওয়া ছিয়াম ভঙ্গের কোন কারণ নয়। আর রাসূল (ছাঃ) ছিয়ামরত অবস্থায় তাঁর দেহে শিঙ্গা লাগিয়েছেন (বুখারী হা/১৯৩৮; মিশকাত হা/২০০২)।
উত্তর : ঈদের ছালাত মসজিদে আদায় করা হ’লে ছালাতের পূর্বে দু’রাক‘আত তাহ্ইয়াতুল মসজিদ ছালাত আদায় করা মুস্তাহাব। এটি মসজিদের সাথে সম্পর্কিত সুন্নাত, ঈদের ছালাতের সাথে নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, সে যেন দু’রাক‘আত
উত্তর : সূরা কাহফের প্রথম বা শেষ দশ আয়াত পাঠের ফযীলত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত বা শেষ দশ আয়াত পাঠ করবে তাকে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে নিরাপদ রাখা হবে’ (মুসলিম হা/৮০৯; আহমাদ হা/২৭৫৫৬)। সূরা কাহফ সম্পূর্ণ পা
উত্তর : ক্ষতি হবে না। তবে এক্ষেত্রে নিয়ম হ’ল দু’জন মুছল্লী হ’লে ইমাম বামে ও মুক্তাদী ডাইনে দাঁড়াবে (বুখারী হা/৬৯৭, ৬৯৯; মুসলিম হা/৭৬৩; মিশকাত হা/১১০৬)। আর দু’জনের জামা‘আত চলাকালে তৃতীয়জন হাযির হ’লে মুক্তাদীকে পিছনে টেনে নিবে এবং পিছনে জায়গা না থা
উত্তর : ইসলামে ব্যবসা-বাণিজ্যের মূলনীতি হ’ল, ইবাহাত বা বৈধতা, যতক্ষণ না শরী‘আত কর্তৃক তা হারাম করা হয়। স্বর্ণ মৌলিকভাবে হালাল, অতএব তার ব্যবসা করাও হালাল। আর স্বর্ণ বা স্বর্ণালংকার পুরুষদের জন্য হারাম হ’লেও মহিলাদের জন্য তা হালাল। রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : জিন ও ইনসানকে কবরের আযাব শ্রবণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। কেননা আল্লাহ বলেন, আর তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত’ (মুমিনূন ২৩/১০০)। রাসূল (ছাঃ) পাপী কবরবাসীর কথা উল্লেখ করে বলেন, অতঃপর তাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে ভীষণ জোরে পি
উত্তর : জেদ্দাবাসীরা নিজ বাসস্থান থেকেই ইহরাম বাঁধতে পারবে। কেননা জেদ্দা শহর ইয়ালামলাম মীক্বাতের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মীক্বাতের অভ্যন্তরভাগের অধিবাসীরা সেখান থেকে ইহ্রাম বাঁধবে। আর মক্কাবাসীরা মক্কা থেকেই ইহ্রাম বাঁধবে’
উত্তর : ২৭শে রামাযান ইফতার করানোর বিশেষ কোন ফযীলত নেই। বরং সাধারণভাবে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কেউ যদি কোন ছায়েমকে ইফতার করায় তবে তার জন্য অনুরূপ (ছিয়ামের) ছওয়াব হবে। কিন্তু এতে ছিয়াম পালনকারীর ছওয়াবে কোন ঘাটতি হবে না’ (তিরমিযী হা/৮০৭; ইবনু মাজাহ
উত্তর : মসজিদের মাইক আযান ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। তবে মসজিদে উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে ইসলামী কবিতা পাঠ ও শ্রবণে কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সভাকবি হাসসান বিন ছাবেত (রাঃ) মসজিদে নববীতে মুশরিকদের বিরুদ্ধে কবিতা বলতেন
উত্তর : সূর্য ডোবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও বাড়তি সতর্কতার দোহাই দিয়ে তারা এটা করেন। যা সুন্নাত পরিপন্থী। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বুখারী হা/১৯৫৪; মুসলিম হা/১১০০; মিশকাত হা/১৯৮৫)। শুধু তাই নয়, দেরী করে
উত্তর : ছালাত হয়ে যাবে। কারণ যে সকল প্রাণীর গোশত হালাল, সেগুলির পেশাব অপবিত্র নয় (মুগনী ২/৬৫-৬৬; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৩৭৮)। রাসূল (ছাঃ) একদল লোককে উটের পেশাব দ্বারা চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়েছিলেন (বুখারী হা/৫৭৮১)। অথচ তিনি হারাম বস্ত্ত দ্বারা চিকিৎ
উত্তর : এরূপ মসজিদে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। কেননা একজনের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (নাজম ৩৮)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) কাফিরদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৫-২৬১৮)।
উত্তর : স্ত্রীর স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণ না থাকলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তান নিতে বাধ্য করতে পারবেন। কেননা সন্তান ধারণ ও বংশবৃদ্ধি বিবাহের প্রধানতম উদ্দেশ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বেশী বেশী সন্তান দায়িনী মহিলাকে বিবাহ কর’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হ
উত্তর : যদি ওযূ অবস্থায় মোযাসহ জুতা পরিধান করে থাকে, তবে জুতার উপর মাসাহ করা জায়েয, যদি মোযা গোড়ালী পর্যন্ত ঢাকা থাকে (তিরমিযী হা/৯৯; ইবনু বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১১১, ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৬৩)। তবে মোজাবিহীন কেবল জুতা পরে থাকলে শর্ত হ’ল জুতাটি গ
উত্তর : সুনান তিরমিযীতে বা অন্য কোন হাদীছগ্রন্থে উক্ত মর্মের কোন হাদীছ পাওয়া যায়নি।
উত্তর : যেকোন খুৎবায় বা বক্তব্যের সময় হাতে লাঠি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিয়মিত সুন্নাত। হাকাম ইবনে হুযন আল-কুলফী বলেন, ‘আমি সপ্তম অথবা অষ্টম দিনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। অতঃপর বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার সাথে
উত্তর : এরূপ করা সুন্নাত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এ ব্যাপারে কোন আমল পাওয়া যায় না। তবে যিনি ইমামতি করবেন, তিনি উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ঈমান বর্ধক সংক্ষিপ্ত কিছু নছীহত করতে পারেন। যাতে উপস্থিতগণ মৃত্যুর কথা স্মরণ করেন এ
উত্তর : অমুসলিম আত্মীয়ের রান্না করা খাদ্য খাওয়া জায়েয। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ইহুদীর রান্নাকৃত গোশত খেয়েছিলেন (বুখারী হা/২৬১৭; মুসলিম হা/২১৯০)। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের দাওয়াত খেয়েছেন এবং তাদের উপহার গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৫-১৮, ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদি
উত্তর : উত্তম মাল থাকা সত্ত্বেও খারাপ মাল দিয়ে যাকাত আদায় করা শরী‘আত সম্মত নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং যা আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্ত্ত ব্যয় কর এবং তা থেকে নিকৃষ্ট বস্ত
উত্তর : পাত্র পসন্দ করার অধিকার মেয়েদের আছে। তবে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া মেয়ের বিবাহ শুদ্ধ হয় না। অভিভাবক অবশ্যই তার মেয়ের মতামত নিবেন। অনুমতি নেওয়ার ক্ষেত্রে মেয়ে যদি কুমারী হয় এবং চুপ থাকে, তাহ’লে চুপ থাকাটাই হবে তার সম্মতির লক্ষণ। আর বিধবা হ
উত্তর : নিজ বিধবা ও দরিদ্র মেয়েকে ফিদইয়ার টাকা দেওয়া যাবে না। কারণ তাদের উপর খরচ করা পিতা-মাতার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। তবে পিতা নিজে দরিদ্র হ’লে এবং তার উপর ফিদইয়া ওয়াজিব হ’লে উক্ত ফিদইয়া নিজ দরিদ্র সন্তানদের প্রদান করতে পারবে (ইবনু হাজার, ফা
উত্তর : না। তবে একাধিক সন্তান থাকলে যৌথ পরিবারে পর্দা পালনে অসুবিধা হয় বলে পৃথক আবাসস্থল থাকাই উত্তম। ছাহাবায়ে কেরামের জীবন পর্যালোচনায় দেখা যায় অনেক ছাহাবীর আমল এরূপই ছিল। যেমন আব্দুল্লাহ বিন আমর বিবাহের পর পৃথক বাড়িতে থাকতেন। পিতা আমর ইবনুল
উত্তর : সন্দেহ দৃঢ় হ’লেই কেবল পুনরায় ওযূ করতে হবে; অন্যথায় নয় (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৬)। তবে সর্বদা স্মরণ রাখতে হবে যে, ওযূ ব্যতীত ছালাত আদায় করলে তা কবুল না হওয়ার সাথে সাথে এর জন্য কবরে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে (মু‘জামুল কাবীর হা/১৩৬১০; ছহীহাহ হা/২৭৭৪
উত্তর : প্রতারণা না থাকলে বা অন্যের হক বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য না থাকলে জায়েয হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে যদি তা হালাল হয় (হাকেম হা/২৩১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭১৫)। ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘দালালের মজুরী’ শিরোনামে অ
উত্তর : টয়লেটে প্রবেশের সময় মুখ ঢাকার ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন আমল প্রমাণিত নেই। এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছসমূহ যঈফ (যঈফাহ হা/৪১৯১-৯২; যঈফুল জামে‘ হা/৪৩৯৩)। তবে আবুবকর (রাঃ) এসময় মাথা আবৃত করতেন মর্মে একটি আছার বর্ণিত হয়েছে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/১১৩৩
উত্তর : অবশ্য প্রয়োজনীয় বলতে মূলতঃ পায়খানা ও পেশাবের প্রয়োজনীয়তাকে বুঝানো হয়েছে (ইবনু হাজার, ফাৎহুলবারী হা/২০২৯-এর আলোচনা)। অতএব মসজিদে টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকলে বাড়ি থেকে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে আসতে পারে (বুখারী হা/২০২৯; মুসলিম হা/২৯৭)। এছাড়া অন্য
উত্তর : মৃত ব্যক্তির সামনে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় না। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, মৃত্যুর পর লাশের নিকট কুরআন তেলাওয়াত করা বিদ‘আত (আল-ইখতিয়ারাত ১/৪৪৭, ৯১)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ
উত্তর : বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমলসম্পন্ন ইমামের পিছনে ছালাত আদায়ের চেষ্টা করবে। তবে বাধ্যগত অবস্থা্য় অনুচ্চস্বরে আমীন বলে হ’লেও জামা‘আতে ছালাত আদায় করবে। এক্ষেত্রে সুন্নাতের উপর আমল করায় বাধাদানকারী ব্যক্তি গুনাহগার হবে। উল্লেখ্য যে, উক্ত সুন্নাত
উত্তর : এভাবে টাকা রেখে সূদের অর্থ সন্তানকে দান করা জায়েয নয়। কারণ সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। এরূপ করার কারণে মূলত উক্ত মা গুনাহগার হবেন। এক্ষণে উক্ত টাকা উঠিয়ে মূল টাকা থেকে সন্তানের পিছনে খরচ করবেন। অথবা তা কোন বৈধ ব্যবসায় খাটিয়ে সেখান থেকে সন্
উত্তর : ওয়ালীমা করা বিবাহের শর্ত নয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তুমি ওয়ালীমা কর। একটি বকরী দিয়ে হ’লেও’ (বুখারী হা/২০৪৮, মিশকাত হা/৩২১০)। আর বাসর রাতের পরের দিন ওয়ালীমা করাই সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ)-এর সাথে বাসর
উত্তর : জেনে বুঝে কখনোই বিদ‘আতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। কারণ জেনে-শুনে বিদ‘আতকারীর কোন আমল কবুল হয় না, যতক্ষণ না সে তওবা করে ফিরে আসে’ (বুখারী হা/৩১৭২; মুসলিম হা/১৩১৭; মিশকাত হা/২৭২৮, ত্বাবারাণী, ছহীহুত তারগীব হা/৫৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা
উত্তর : পাঠ করতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ ছালাত আদায় করতে এসে ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, তখন ইমাম যেরূপ করে সেও যেন অনুরূপ করে’ (তিরমিযী হা/৫৯১; মিশকাত হা/১১৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১)। এছাড়া রাক‘আত গণ্য না হ’লেও এর মাধ্যমে সে জামা‘আতের
উত্তর : এমন অবস্থায় তাকে সর্বাগ্রে রামাযানের ছিয়াম পালন করতে হবে এবং পূর্বের ছুটে যাওয়া ছিয়াম রামাযানের পরে আদায় করবে। সাথে সাথে কাযা আদায়ে দেরী করে ফেলার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে (নববী, আল মাজমূ‘ ৩/৩৬৬; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘
উত্তর : হালাল হবে না। কারণ এটা প্রতারণা মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৬০, ৩৫২০)।
উত্তর : হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সম্মুখে পুতুল নিয়ে খেলা করতাম আর আমার কিছু সাথীও আমার সাথে খেলা করত। যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রবেশ করতেন তখন তারা আত্মগোপন করত। কিন্তু তিনি তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন, অতঃপর তারা
উত্তর : এরূপ করার কোন দলীল নেই। বরং নেকীর কাজ যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করতে হবে। কেননা বিপদাপদ ও প্রতিবন্ধকতা যে কোন সময় আপতিত হ’তে পারে। তাছাড়া মৃত্যু থেকে কেউ নিরাপদ নয় এবং বিলম্ব কখনোই প্রশংসিত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ফিৎনাসমূহ উপস্থিত হওয়ার প
উত্তর : উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ ওলী ছাড়া কোন নারীর জন্য বিবাহ সিদ্ধ নয় (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। এক্ষণে উভয়কে একনিষ্ঠ চিত্তে তওবা করতে হবে এবং নতুনভাবে নিয়মমাফিক বিবাহ করতে হবে। এছাড়া না জানার কারণে তারা যদি বিবাহ জায়েয হয়েছে মনে করে সহবাস
উত্তর : মদের বোতল ব্যবহার না করাই উত্তম। বাধ্যগত অবস্থায় ব্যবহার করতে হ’লে ভালোভাবে ধৌত করে নিয়ে ব্যবহার করবে। যাতে পাত্রে মদের কোন চিহ্ন বা ক্রিয়া না থাকে। আবু ছা’লাবা খুশানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা তিনি রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞে
উত্তর : গায়ের মাহরাম পুরুষের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েয। তবে এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় লক্ষণীয় (১) তাদের সাথে এমন কোমল কণ্ঠে কথা বলা যাবে না, যাতে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা প্রলুব্ধ হয় (আহযাব ৩৩/৩২)। (২) এরূপ কারু সাথে একাকী হবে না (তিরমিযী হা/
উত্তর : এরূপ ঔষধ সেবন করা জায়েয। কারণ হালাল জিনিসকে হারাম উদ্দেশ্যে কেউ ব্যবহার করলে তা হারাম হয়ে যায় না (ফাতওয়া লাজনা দায়েমা ২২/১১০; উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২৩১/৩)। যেমন তালের রস খাওয়া হালাল হ’লেও কেউ তা মদ হিসাবেও ব্যবহার করে।
উত্তর : এসময় সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কোন সূরা পাঠ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, আর যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর এবং চুপ থাকো ... (আ‘রাফ ৭/২০৪)। ওবাদাহ বিন ছামেত (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন ফজরের ছালাত শেষে রাসূল
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে এবং যতক্ষণ ছালাত তাকে আটক রাখে, ততক্ষণ সে ছালাতের মধ্যে থাকে। তোমাদের কেউ যে মজলিসে ছালাত পড়েছে, তাতে যতক্ষণ সে অবস্থান ক
উত্তর : না। বরং ওড়নার উপর দিয়ে মাথা মাসাহ করবে। রাসূল (ছাঃ) নিজে মোযা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন (মুসলিম হা/২৭৫; তিরমিযী হা/১০১)। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা মোযা ও পাগড়ীর উপর মাসাহ কর’ (আহমাদ হা/২৩৯৩৯, সনদ ছহীহ)। অতএব এরূপ শারঈ কারণে নারী-পুরুষ সবার জন্য ওড়ন
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ২৩, ২৫ ও ২৭ যে তিনদিন জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন সেই তিনদিন প্রথম রাতেই শুরু করেছেন। যা কখনো রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ, কখনো অর্ধাংশ এবং শেষদিন সাহারীর পূর্ব পর্যন্ত ছালাত আদায় করেছেন। অতঃপর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি
উত্তর : এর জন্য প্রয়োজনমত কিছু সার্ভিস চার্জ নিতে পারেন। কিন্তু নগদে কম মূল্যে ও বাকীতে বেশী মূল্যে বিক্রয় করলে তা জায়েয হবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক ব্যবসায়ের মধ্যে দুই বিক্রয় নিষেধ করেছেন’ (তিরমিযী হা/১২৩১; মুওয়াত্ত্বা হা/২৪৪৪; নাসাঈ হা/
উত্তর : হাদীছে ‘বিবাহ দ্বীনের অর্ধেক বা ঈমানের অর্ধেক’ কথাটি বিবাহের প্রতি উৎসাহ প্রদানের জন্য অলংকারপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কেননা তা মানুষের চারিত্রিক সংযম বজায় রাখা এবং অশ্লীল কর্ম হ’তে দূরে থাকার বড় মাধ্যম। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, এর
উত্তর : দাফনের পর তার জন্য ইস্তিগফার ও কবরে প্রশ্নোত্তরে দৃঢ় থাকার জন্য দো‘আ করতে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ অপেক্ষা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তিনি যেন মুনকার-নাকীরের প্রশ্নের উত্তর দানের সময় দৃ
উত্তর : এ স্থানে সাকতা করার বিধান সম্বলিত হাদীছটি যঈফ (দ্রঃ ইরওয়াউল গালীল হা/৫০৫, যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৭৭-৭৮০)। সুতরাং তা আমলযোগ্য নয়। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, والجمهور لا يستحبون ان يسكت الامام ليقرأ الماموم- ‘জমহূর বিদ্বানগণ এটা
উত্তর : এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি হ’ল, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে বা রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হ’তে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৭৩)। উক্ত হাদীছটি শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ার
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ইমাম বুখারী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, উক্ত আয়াতটি ‘মানসূখ’ নয়। বরং এর অর্থ হ’ল, যাদের ছিয়াম রাখার ক্ষমতা নেই যেমন অতি বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা, তারা প্রতিদিনের ছিয়ামের বদলে একজন মিসকী
উত্তর : অতিরিক্ত জমি ভোগ করা জায়েয হবে না। কারণ সেগুলোর মালিক বিক্রেতা। এক্ষণে বিষয়টি জমির মালিককে অভিহিত করে অতিরিক্ত অংশ তাকে বা তার উত্তরাধিকারীদের ফেরত দিতে হবে। এছাড়া বিষয়টি প্রশাসন বিভাগের ভুলেও হ’তে পারে। সেক্ষেত্রে সেখান থেকে তা সমাধা
উত্তর : ‘খোলা’কারিনীর ইদ্দতকাল এক হায়েয। ছাবিত বিন ক্বায়সের স্ত্রী স্বামীর নিকট হ’তে খোলা‘ তালাক গ্রহণ করলে নবী করীম (ছাঃ) তার ইদ্দতের সময় একটি হায়েয 
উত্তর : এরূপ কোন বিধান নেই। বরং রাসূল (ছাঃ) প্রত্যেক রামাযানে ১০ দিন ই‘তিকাফ করেছিলেন এবং জীবনের শেষ রামাযানে পূর্বের বছরের ছুটে যাওয়া ই‘তিকাফের ক্বাযাসহ ২০ দিন ই‘তিকাফ করেছিলেন (বুখারী হা/২০৪৪; আহমাদ হা/২১৩১৪)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) যেক্ষেত্রে যে দো‘আ পাঠের নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনরূপ কমবেশী ছাড়া হুবহু তার অনুসরণ করতে হবে (বুখারী হা/২৪৭)। বিভিন্ন গ্রন্থে দুর্বল সূত্রে আযানের দো‘আয় বিভিন্ন বাক্য এসেছে, যা আমলযোগ্য নয়। যেমন বায়হাক্বীতে (১ম খন্ড ৪১০ পৃঃ) বর্ণিত আয
উত্তর : এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন বর্ণনা নেই। তবে হাদীছে ইঙ্গিত রয়েছে যে, কাতারে দাঁড়িয়ে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য অনুযায়ী পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে যতটুকু ফাঁকা রাখার প্রয়োজন হয়, ততটুকু ফাঁকা রাখবে (বুখারী হা/৭২৫; আবুদাঊদ হা/৬৬২; ফাতাওয়া লা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) সূরা ফাতিহা শেষে তিনবার আমীন বলেছেন মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ এবং ছহীহ হাদীছের বিরোধী (মু‘জামুল কাবীর হা/৩৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২৬৬৭)। দ্বিতীয়তঃ অত্র হাদীছটি ইবনু মাজাহতে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে তিনবার আমীন বলার কথা নেই (ইবনু
উত্তর : এ বিষয়ে সাধারণ নিয়ম হ’ল- যোহর ও আছরের ছালাতে ইমাম-মুক্তাদী সকলে সূরা ফাতিহাসহ অন্য সূরা পড়বে এবং ৩য় ও ৪র্থ রাক‘আতে কেবল সূরায়ে ফাতিহা পড়বে। আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরা ফাত
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন শেষে শাওয়াল মাসের ৬টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৭)। হাদীছটির ব্যাখ্যা এসেছে অন্য বর্ণনায়, যেখানে তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক
উত্তর : এমতাবস্থায় খাৎনা করাই যরূরী। কারণ এটি মানুষের ফিৎরাত বা স্বভাবজাত পাঁচটি বিষয়ের অন্যতম (বুখারী হা/৫৮৯১, মিশকাত হা/৪৪২০ ‘পোষাক’ অধ্যায় ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। এর মধ্যে যে স্বাস্থ্যগত কল্যাণ নিহিত রয়েছে, সে বিষয়ে সকল স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী একম
উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী উক্ত সন্তান বালেগা। এমতাবস্থায় সে যদি স্বেচ্ছায় মায়ের নিকটে অবস্থান করে এবং মা তার যাবতীয় খরচ বহন করে, সেক্ষেত্রে তার উপর পিতার অভিভাবকত্বের অধিকার থাকে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট জনৈকা স্ত্রী
উত্তর : হ্যাঁ। অমুসলিমদের উপর হদ ও তা‘যীর বিধান চালু ছিল। যেমন জনৈক ইহুদী এক আনছারী কিশোরীর মাথা পাথর দ্বারা পিষে দিলে রাসূল (ছাঃ) নির্দেশনায় উক্ত ইহুদীর মাথাও পিষে দেওয়া হয় (বুখারী হা/২৪১৩; মিশকাত হা/৩৪৫৯)। জনৈক ইহুদী বিবাহিত নারী-পুরুষ যেনা ক
উত্তর : অপেক্ষা করবে না। বরং ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, তাকবীরে তাহরীমা বলে সে অবস্থায় ছালাতে যোগ দিবে (আবুদাউদ হা/৬১৮; মিশকাত হা/৩১২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা জামা‘আতে শরীক হওয়ার জন্যে ছালাতে এসে আমাদেরকে সিজদা অবস্থায় পেলে তোমরাও সিজদায় যাও। আর এ
উত্তর : না। কারণ তা দাড়িরই অংশ (লিসানুল আরব ১৫/২৪৩)। ইবনু হাজার ও ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) উভয় কানের পাশে গজানো লোমকে দাড়ির মধ্যে গণ্য করেছেন (ফৎহুল বারী ১০/৩৫০; শারহুল ঊমাদাহ ১৮৪ পৃ:)। শায়খ উছায়মীন বলেন, দাড়ির সীমারেখা হল কানের লতি থেকে মুখমন্ডল পর্যন্ত।
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেন, হে আয়েশা তুমি কি জান! জান্নাতে আল্লাহ মুসার বোন কুলছুম, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া ও ঈসার মা মারিয়ামের সাথে আমার বিবাহ দিবেন (ইবনু আসাকের, ইবনু কাছীর ৮/১৬৬, সূরা
উত্তর : বক্তব্যটি ভিত্তিহীন। কারণ সিগারেট খাওয়া হয় ইচ্ছাকৃতভাবে। হানাফী বিদ্বান ইবনু আবেদীন বলেন, যেকোন প্রকারের ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রহণ করলে ছওম ভঙ্গ হয়ে যাবে (রাদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার ২/৩৯৫)। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিগারেটের ধোঁয়া চলে য
উত্তর : না। কারণ ঈদের ছালাত একাকী আদায় করার বিধান নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছওম সেদিন যেদিন তোমরা সকলে ছিয়াম রাখবে। ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা সেদিন যেদিন তোমরা সকলে ঈদ করবে (তিরমিযী হা/৭৯৭, ইবনু মাজাহ হা/১৬৬০; ছহীহাহ হা/২২৪)। বরং ঈদের ছালাতের শে
উত্তর : তাকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা করাতে হবে। বিষয়টি মানসিক হয়ে থাকলে মনোচিকিৎসার মাধ্যমে তা নিরাময় হবে ইনশাআল্লাহ। আর শারীরিক হয়ে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক শারীরিকভাবে তাকে যে লিঙ্গের নিকটবর্তী পাওয়া যাবে, সেদিকে পূর্ণতা দেওয়া
উত্তর : এর কারণ কয়েকটি হ’তে পারে- ১. ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) যঈফ ও জাল বর্ণনাগুলো উল্লেখ করার সময় ويُذْكَرُ (বলা হয়) শব্দ দ্বারা বর্ণনাটির দুর্বলতার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। যা প্রমাণ করে যে তিনি কেবল জানানোর জন্য বর্ণনাটি উপস্থাপন করেছেন। ২. কোন কোন
উত্তর : এরূপ নারীকে বিবাহ করা জায়েয। তবে রাসূল (ছাঃ) অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার প্রতিই উৎসাহিত করেছেন। মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বলে, আমি একজন সুন্দরী এবং সদ্বংশীয়
উত্তর : মামী শ্বাশুড়ি বা খালা শ্বাশুড়ি মাহরামের অন্তর্ভুক্ত নয়। এদের সাথে নির্জনবাস বা সফর জায়েয নয়। তবে স্ত্রী থাকা অবস্থায় তার মামী, খালা বা তার বোনকে বিবাহ করা যাবে না। এক্ষেত্রে তারা সাময়িক মাহরাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা কোন স্ত্রীলোককে
উত্তর : এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ নয়; বরং সুন্নাতে যায়েদাহ। যেমন ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আছরের পূর্বে ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করবে তার প্রতি আল্লাহ তা‘আলা অনুগ্রহ করবেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১১৭০)
উত্তর : খাওয়ার সময় সালাম বিনিময় বা প্রয়োজনীয় আলাপ করা যায়। যেসব কথা সাধারণ অবস্থায় জায়েয, তা খাদ্য গ্রহণের সময়ও জায়েয। ‘খাদ্যগ্রহণের সময় কোন কথা বা কোন সালাম দেওয়া যাবে না’ মর্মে যেকথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে, তার কোন ভিত্তি নেই। রাসূল (ছাঃ) খাবা
উত্তর : এটি বিবাহের উদ্দেশ্য বিরোধী কাজ। অতএব এ থেকে বিরত থাকা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) সর্বদা অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার জন্য উৎসাহিত করেছেন (আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩০৯১)। তবে বাধ্যগত অবস্থায় সাময়িকভাবে আযল করলে গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ (বুখ
উত্তর : এরূপ কোন নির্দেশনা শরী‘আতে নেই। বরং সুবিধাজনকভাবে ঘুমাবে। স্মর্তব্য যে, প্রত্যেক নারী-পুরুষের জন্য ডান কাতে ঘুমানো সুন্নাত (বুখারী হা/২৪৭, ৬৩১৪; মুসলিম হা/২৭১০; মিশকাত হা/২৩৮৫)।
উত্তর : উক্ত অবস্থায় সেখানে এমন কিছু দিয়ে রাখবে যাতে তা প্রবাহিত না হয়। আর এক্ষেত্রে মুস্তাহাযার বিধান প্রযোজ্য হবে। মুস্তাহাযা মহিলা কিংবা ফোঁটা ফোঁটা পেশাব অথবা সর্বদা বায়ু আসে এসব মহিলা ও পুরুষ প্রত্যেক ছালাতের জন্য পৃথকভাবে ওযূ করলে
উত্তর : এক্ষেত্রে জামা‘আতে ৮ রাক‘আত ছালাত আদায় করে নিয়ে ই‘তিকাফ স্থলে ফিরে আসবে এবং অন্যান্য নফল ইবাদত করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) রামাযান বা রামাযানের বাইরে ১১ বা ১৩ রাক‘আতের অধিক রাত্রিকালীন নফল ছালাত আদায় করেননি’ (বুখারী হা/১১৪৭; মুসলিম হা/১৭২৩;
উত্তর : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, ‘ইবরাহীম (আঃ) তিনটি ব্যতীত কোন মিথ্যা বলেননি’। উক্ত তিনটি মিথ্যা ছিল- (১) মেলায় না যাবার অজুহাত হিসাবে তিনি বলেছিলেন إِنِّيْ سَقِيْمٌ ‘আমি অসুস্থ’ (ছাফফাত ৩৭/৮৯)। (২) মূর্তি ভেঙ্গেছে কে? এরূপ প্রশ্নের জবা
উত্তর : হজ্জ ও ওমরা দু’টি পৃথক ইবাদত। একটি আরেকটির স্থলাভিষিক্ত হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও ওমরাহ পূর্ণ কর’ (বাকারাহ ২/১৯৬)। লাক্বীত ইবনে আমের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, আমার পিতা
উত্তর : কবর থাকার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রথমতঃ দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে জানতে হবে যে কবরটি কতদিন পূর্বের এবং কোন স্থানে অবস্থিত। যদি বহু পুরাতন হয় ও হাড়-হাড্ড
উত্তর : বিজ্ঞাপনে শরী‘আত বিরোধী কিছু না থাকলে এবং তা শরী‘আত বিরোধী কোন কাজের নির্দেশনা না থাকলে, উক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করা বা প্রচারে সহযোগিতা করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে যদি বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ভাল-মন্দ বাছাই করার নিয়ন্ত্র
উত্তর : যে দেশে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে সেখানকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সন্তানের আক্বীক্বা প্রদানের দিন নির্ধারণ করবে। কারণ আক্বীক্বা সপ্তম দিনে করতে বলা হয়েছে যা জন্ম ও জন্ম স্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট।
উত্তর : সাহারী-ইফতারের ক্ষেত্রে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা হ’ল ইফতার দ্রুত করা ও সাহারী দেরীতে করা। রাসূলুল্ললাহ (ছাঃ) বলেন, দ্বীন চিরদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা ইফতার দ্রুত করবে। কেননা ইহূদী-নাছারাগণ ইফতার দেরীতে করে’ (আবুদাউদ হা/২৩৫৩; মিশকাত
উত্তর : ছওম ভঙ্গ হবে না। তবে এতে তার ছওম ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং নেকী কমে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কর্ম ছাড়ল না তার খানাপিনা ত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৯৯)। অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় আযীমাবাদী বলেন
উত্তর : সুৎরা হিসাবে বোধগম্য হয়, এরূপ প্রত্যেক বস্ত্তকে সুৎরা হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। রাসূল (ছাঃ)-কে সুৎরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, উটের হাওদার পিছনের কাঠের পরিমাণ (মুসলিম হা/৪৯৯)। নববী বলেন, হাওদার পিছনের কাঠ, যা হাতের (কনুই থেকে আঙ
উত্তর : নারীদের জন্য কবর যিয়ারত করা জায়েয। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান বিন আবুবকর (রাঃ)-এর কবর যিয়ারত করার সময় তাকে বলা হ’ল রাসূল (ছাঃ) কি কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ নিষেধ করেছিলেন। তবে পরে তিনি কবর যিয়ারত করার অনুমত
উত্তর : সূরা ইয়াসীনের ফযীলত সম্পর্কে যত বর্ণনা রয়েছে, তার সবগুলো যঈফ অথবা জাল। একটি হাদীছও ছহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়নি (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৬৯, ৬৮৪৪, ১২৪৬; যঈফুল জামে‘ হা/৫৭৮৫-৮৯; যঈফ আত-তারগীব হা/৮৮৬)।
উত্তর : সাধারণভাবে স্থায়ী জন্মনিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ হারাম। তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদি জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাহ’লে স্থায়ী পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। কারণ আল্লাহ হারাম জিনিসকে কখনো কখনো হালাল করেছেন। যেমন নিরুপায় অবস্থায় মৃত প্রাণীর গো
উত্তর : নিয়ত করা ফরয (মুত্তাফাকুন আলাইহ্, মিশকাত হা/০১; মুগনী ১/২৮৭)। কিন্তু নিয়ত পড়া বিদ‘আত। নিয়ত না করলে আমল কবুলযোগ্য হবে না। এরূপ অবস্থা হ’লে সঠিকভাবে নিয়ত করে নতুনভাবে তাকবীরে তাহরীমা বলে ছালাত শুরু করবে। স্মর্তব্য যে, ছালাতের জন্য মনে মনে
উত্তর : জায়েয হবে না। কারণ এর মাধ্যমে সরকারকে ফাঁকি দেওয়া হবে। যা প্রতারণার শামিল। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার অনুসারী নয়’ (বুখারী হা/১০২; মিশকাত হা/২৮৬০)। স্মর্তব্য যে, কারণবশতঃ কখনো টিকেট না কেটে পরিবহনে উঠে পড়লে সরক
উত্তর : এক্ষেত্রে সেদেশের হিসাব অনুযায়ী আরেকটি ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করবে। কারণ আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে হয় (বুখারী হা/১৯১০, ১৯১৩; নাসাঈ হা/২১৩৮; বাক্বারাহ ২/১৮৪; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/১৫৮; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৪৮, ৪৯,৭২, ৭৩)।
উত্তর : বিভিন্ন কারণে শেয়ার বেচাকেনা জায়েয নয়। যেমন- (১) ক্রেতার অনেক সময় সম্যক জ্ঞান থাকে না কী বস্ত্তর শেয়ার তিনি ক্রয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হারাম বস্ত্তর ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন (মুসনাদে ইবনুল জা‘দ হা/৩৩১৯; গায়াতুল মারাম হা/৩১৮)। (২) যে
উত্তর : হাজীদের জন্য ঈদের ছালাত সুন্নাত নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীন মিনাতে কখনো ঈদুল আযহার ছালাত আদায় করেননি। আর ১০ই যিলহাজ্জ তাকবীর সহ কংকর নিক্ষেপ করা ঈদুল আযহার তাকবীর ও ছালাতের স্থলাভিষিক্ত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/৬
উত্তর : এর পক্ষে কোন দলীল নেই। বরং রাসূল (ছাঃ) ইক্বামতের যে বাক্যগুলি শিক্ষা দিয়েছেন, সেখানে স্পষ্টভাবে ‘আল্লাহু আকবার’-কে দু’বার উল্লেখ করা হয়েছে (আবুদাঊদ হা/৪৯৯; ইবনু মাজাহ হা/৭০৯; ইরওয়া হা/২৪৬)। কেউ কেউ হাদীছে বর্ণিত ‘ইক্বামত একবার একবার’ (নাস
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৬২০)। তবে কাছাকাছি মর্মে একটি হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, একদা রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে ছিয়াম পালনকারী হিসাবে সকাল করেছে? উত্তরে আবুবকর (রাঃ) বল
উত্তর : বক্তব্যটি সত্য নয়। ঈদের ছালাতে ১২ তাকবীরের হাদীছকে ইমাম বুখারী, তিরমিযী, আবুদাউদ, নববী, হাফেয ইরাকী, ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনু হাজার আসক্বালানী, আহমাদ শাকের ও হানাফী মুহাক্কিক শু‘আইব আরনাউত্বসহ অসংখ্য মুহাদ্দিছ ছহীহ বলেছেন। ইমাম তিরমিযী ‘রা
উত্তর : মসজিদের মাইক আযান ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে নিষেধ করে বলেন, মসজিদ এ কাজের জন্য বানানো হয়নি’ (মুসলিম হা/৫৬৮, মিশকাত হা/৭০৬)।
উত্তর : এ ব্যাপারে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। ঈদের রাত্রি জাগরণকারীর অন্তর কখনো মারা যাবে না মর্মের বর্ণনাটি মওযূ‘ বা জাল (ইবনু মাজাহ হা/১৭৮২; সিলসিলা যঈফাহ হা/৫২০)। এ মর্মে আরো একটি জাল বর্ণনা এসেছে, যে ব্যক্তি তারবিয়াহ, আরাফাহ, ঈদুল ফিতর
উত্তর : ছালাতের মধ্যে হাঁচি আসলে ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ বলা যাবে। কিন্তু মুক্তাদী তার জওয়াবে মুখে ‘ইয়ারহামুকাল্লা-হ’ বলা যাবে না। কারণ তখন সম্বোধনের ব্যক্তি হবে মানুষ, যা ছালাতের মধ্যে জায়েয নয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৯৭৮)। এছাড়া নিম্নের দো‘আটিও পাঠ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করা উত্তম। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ‘মুমিনদের মা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন (আহযাব ৩৩/০৬)। আর তাদের কন্যাদের ‘মা’ বলে সম্বোধন করার বিষয়টিও অনুরূপ। কারণ তাঁদের সঙ্গে মুসলমানদের স্রেফ দ্বীনী সম্পর্ক,
উত্তর : নাপাকীর দিনগুলিতে ছিয়াম ছেড়ে দিয়ে অন্য দিনে তা পালন করাই সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ঋতু অবস্থায় আমাদেরকে ছিয়াম ক্বাযা করার এবং ছালাত ছেড়ে দেয়ার আদেশ দেওয়া হ’ত (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩২, ‘ক্বাযা ছিয়াম’ অনুচ্ছেদ)। তবে বিশেষ অবস্থার প্রেক্
উত্তর : চুরির ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে। মালের মালিক চোরকে ক্ষমা করে দিলে চোরের হাত কাটা আবশ্যক হবে না। বরং সে ক্ষমা প্রাপ্ত হবে। তবে ক্ষমার বিষয়টি বিচারকের নিকটে উত্থাপনের পূর্বে হ’তে হবে। ছাফওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নিজের চাদরকে
উত্তর : ফিৎনা অর্থ পরীক্ষা। যার মাধ্যমে আল্লাহ মুমিনকে পরীক্ষা করেন। ফিৎনা প্রধানতঃ ৩টি। যথা সম্পদ, সন্তান ও নারী জাতি (আনফাল ৮/২৮; তাগাবুন ৬৪/১৪; আলে ইমরান ৩/১৪; বুখারী হা/৫০৯৬; তিরমিযী হা/২৩৩৬)। যার প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অপরিহার্য। প্রতিটিরই ভা
উত্তর : এরূপ ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। একে শরী‘আতের পরিভাষা ‘বায়‘এ সালাম’ বলা হয়। আর তা হ’ল নগদ মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট মাপে ও নির্দিষ্ট ওযনে মাল সরবরাহ করা (বুখারী হা/২২৪০, মিশকাত হা/২৮৮৩ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়)। এর বিপরীত বায়‘এ
উত্তর : এমতাবস্থায় যদি সে সঙ্গে সঙ্গে এথেকে বিরত হয়, তাহ’লে তার ছওম অক্ষুণ্ণ থাকবে। কিন্তু যদি সে ঐ অবস্থাতেই থাকে, তাহ’লে তার ছওম বাতিল হবে এবং তার উপর ক্বাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৩০৯; ইবনু কুদামা, মুগনী ৩/১৩৯)। তা হ’ল, (১)
উত্তর : দেওয়া যাবে। এসব কিতাব থেকে শিক্ষক-ছাত্র সকলে উপকৃত হ’তে পারবে (আল-মওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ২৮/৩৩৬-৩৭)। তবে এরূপ মাদ্রাসায় নির্মাণ বা অন্য কোন খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
উত্তর : যে সব ইনজেকশন শুধুমাত্র ঔষধ হিসাবে প্রয়োগ করা হয়, সেসব ইনজেকশন ছিয়াম অবস্থায় নেয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) ছিয়ামরত অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০২)। আর যে সব ইনজেকশন খাদ্য হিসাবে প্রয়োগ করা হয়, তা জায়েয নয়। কারণ ছিয়া
উত্তর : পারবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ পরিচয়ে ডাকো। সেটাই আল্লাহর নিকট অধিক ন্যায় সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জানো, তাহ’লে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধু (আহযাব ৩৩/৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে অন্যকে পি
উত্তর : ই‘তিকাফের জন্য জুম‘আ মসজিদ হওয়াই উত্তম। তবে জামা‘আত হয় এরূপ ওয়াক্তিয়া মসজিদে ই‘তিকাফ করাও জায়েয। ‘জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ হবে না’ (আবুদাঊদ হা/২৪৭৩) মর্মে আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত হাদীছটি অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘জামা‘আত হয় এরূপ মসজিদে ই‘তিকা
উত্তর : মযী নির্গত হলে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/৩৭৫-৭৬)। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে নাকে পানি প্রবেশ করলে ছিয়ামের ক্ষতি হবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০৩)। তবে রাসূল (রাঃ) ছিয়াম অবস্থায় নাকে এমনভাবে পানি নিতে নিষেধ করেছেন, যাতে ভ
উত্তর : কেবল ভোগের সামগ্রী নয়। বরং তাদের সামাজিক নিরাপত্তাই এখানে প্রধান। আর যুদ্ধবন্দীদের এই বিধান ইসলামপূর্ব যামানা থেকেই চালু ছিল। ইসলাম সেটা বাতিল করেনি। আল্লাহ বলেন, তবে তাদের স্ত্রীগণ ও মালিকানাধীন দাসীরা ব্যতীত। কেননা এতে তারা নিন্দিত
উত্তর : যাবে। কারণ তা স্পর্শযোগ্য নয়। এটি হাফেযদের হৃদয়ে কুরআন থাকার ন্যায়। কিন্তু তাদের জন্য টয়লেটে যাওয়া নিষিদ্ধ নয়। তাছাড়া কুরআনের কোন আয়াত যদি মোবাইলের উপরে লেখা থাকে তাহ’লে পকেটের ভিতরে রাখতে হবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১০৯)। পায়খানারত
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থায় জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ। কারণ সন্তান হারাম উপার্জন করলে, বরং সে নিজে দায়ী হবে পিতা-মাতা নয় (বাক্বারাহ ৫৭ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। তবে পিতামাতা হিসাবে তারা সন্তানকে হারাম থেকে বিরত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। সাধ্য থাকলে সন্তানের
উত্তর : ছিয়াম অবস্থায় মিসওয়াক করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমি যদি উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম তাহলে প্রত্যেক ছালাতের সময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৭৬ ‘মিসওয়াক’ অনুচ্ছেদ)। উক্ত হুকুম দ্বারা ছিয়াম পালনকারী
উত্তর : যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) এসকল স্থানে বিভিন্ন দো‘আ পাঠ করতেন, যা তওবা ও ইস্তেগফারকে শামিল করে। তাছাড়া এসকল স্থানে দো‘আ কবুল হয়। সিজদার ক্ষেত্রে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা হ’ল, ‘বান্দা স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটে পৌঁছে যায়, যখন সে সিজদায় রত
উত্তর : নাবালিকা হলেও একাকী পড়াতে দেওয়া ঠিক নয়। সাথে কাউকে থাকতে হবে। তবে একাধিক নাবালিকা মেয়ে এক সাথে পড়তে পারে। এতে ফিৎনার আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন পরপুরুষ যদি কোন মহিলার সঙ্গে নির্জনে মিলিত হয়, তাহ’লে সেখানে তৃতী
উত্তর : সাময়িক গর্ভনিরোধ জায়েয। অতএব সাময়িক গর্ভনিরোধক ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় করাও জায়েয। তবে স্থায়ীভাবে জন্মনিরোধকারী কোন ঔষধ দোকানে রাখবে না। কারণ এর মাধ্যমে অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা হবে। আর আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগ
উত্তর : কাপড় পরিধান করে ওযূ করাই উত্তম। তবে ওযূর জন্য কাপড় পরিধান করা শর্ত নয়। অতএব এমতাবস্থায় ওযূ করায় কোন বাধা নেই। (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১৮/২২২)।
উত্তর : এরূপ কোন যন্ত্র বা বস্তু দ্বারা তাসবীহ গণনা করা যাবে না। বরং আঙ্গুল দ্বারা গণনা করবে। গণনায় ভুল হ’লে আল্লাহ ক্ষমা করবেন। রাসূল (ছাঃ) আঙ্গুলে তাসবীহ গণনার জন্য আদেশ করেছেন। কেননা ক্বিয়ামতের দিন আঙ্গুলগুলো জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা কথা বলব
উত্তর : এরূপ করা জায়েয হবে না। কারণ পুত্র সন্তান না থাকায় মৃতের নিকটতম পুরুষেরা আছাবা হিসাবে নির্দিষ্ট অংশ পাবে (নিসা ৪/১১; বুখারী হা/৬৭৩২; মিশকাত হা/৩০৪২)। আর মৃত্যুর পূর্বে স্ত্রী-কন্যাদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করলে তাদেরকে বঞ্চিত করা হবে, যা হারাম।উল্ল
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় বিলাল (রাঃ) সাহারীর আযান দিতেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) ফজরের আযান দিতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বিলালের আযান শুনে খাও, যতক্ষণ না ইবনু উম্মে মাকতূমের আযান শুনতে না পাও’ (মুত্তাফাক্ব ‘
উত্তর : প্রচলিত দলবদ্ধ মুনাজাত বিদ‘আত। তবে সেজন্য জামা‘আত আলাদা করা যাবে না। বরং জামা‘আতে ছালাত আদায় করবে। কিন্তু মুনাজাত থেকে বিরত থাকবে। এসময় হাদীছে বর্ণিত ছালাত পরবর্তী দো‘আসমূহ পাঠ করবে।
উত্তর : মসজিদের মিহরাব বরাবর পূর্ব দিকে প্রবেশ দরজা থাকতে হবে, এমনটি আবশ্যক নয়। তবে পূর্ব দিকে দরজা থাকলে মুছল্লীদের ইমামকে দেখতে, আযান দিতে ও ছালাতের অবস্থা বুঝতে সুবিধা হয়। সেজন্য এরূপ দরজা রাখা ভালো।
উত্তর : আযানের দো‘আয় বর্ণিত অসীলা দ্বারা জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্থানকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ রাসূলের জন্য সে সুউচ্চ মর্যাদাকে চাইতে বলা হয়েছে। যেমন অন্য হাদীছে আছে, রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীগণকে বললেন, ‘তোমরা আমার জন্যে আল্লাহর কাছে অসীলা প্র
উত্তর : গুল-জর্দা সরাসরি তামাক থেকে তৈরী। আর তামাক বা তামাকজাত যে কোন নেশাদার দ্রব্য খাওয়া সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মাদকতা আনয়নকারী প্রত্যেক বস্ত্তই মদ এবং প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৩৮)। এছাড়া তামাক শ
উত্তর : ই‘তিকাফের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে দুনিয়াবী কাজকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিবিষ্ট মনে পরকালীন পাথেয় সঞ্চয়ে ব্যস্ত থাকা। তাই এসময় সাধারণ গল্প-গুজব জায়েয নয়। তবে দ্বীনী বিষয়ে বা প্রয়োজনীয় কথা বলায় বাধা নেই। নবী-সহধর্মিনী ছাফিয়া (রাঃ) বর্ণনা করে
উত্তর : মৃত্যু পরবর্তী মাইয়েতের কল্যাণার্থে সমাজে প্রচলিত এসব আচার-অনুষ্ঠানের কোন ভিত্তি শরী‘আতে নেই। বরং এগুলো নিকৃষ্টতম বিদ‘আত মাত্র (বিস্তারিত দেখুন : ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃঃ ২৩৮-৪৩, ‘কুরআন ও কলেমাখানী’ বই)। এক্ষণে মাইয়েতের জন্য করণীয় হ’ল বেশী
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন দলীল নেই। বরং যেনাকারী বিবাহিত হ’লে রজম করতে হবে এবং অবিবাহিত হ’লে একশ’টি বেত্রাঘাত করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারী নারী ও পুরুষের প্রত্যেককে তোমরা একশ’ বেত্রাঘাত কর’ (নূর ২৪/০২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অবিবাহিত নারী-পুরুষ
উত্তর : নিয়মিতভাবে দেরী করে ছালাত আদায় করা যাবে না। বরং সাধ্যমত যথাসময়ে ছালাত আদায়ের চেষ্টা করবে। প্রয়োজনে বিশেষ অনুমতি নিয়ে সময়মত ছালাত আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। সুযোগ না পেলে যখন সময় পাবে তখনই ছালাত আদায় করে নিবে (মুসলিম হা/৬৮৪; মিশকাত হা/৬০৪)।
উত্তর : মাহরাম ছাড়া কোন মহিলার উপর হজ্জ ফরয নয়। যদি কোন মহিলার সঙ্গে মাহরাম না যায় তাহ’লে তার উপর হজ্জ বা সফর বৈধ নয় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১৩, ১৫ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)। ভাগ্নী জামাই তার মামী শ্বাশুড়ীর জন্য মাহরাম নয়। অতএব তার সঙ্গে হজ্জে যাও
উত্তর : এগুলি কুসংস্কার মাত্র। তবে এজন্য শিরকের গুনাহ হবে না।
উত্তর : শিরক থেকে ক্ষমা চাওয়ার সময় শিরকের নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। বরং সামগ্রিকভাবে শিরকের গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য তওবা করতে হবে। মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) বলেন, আমি আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ)-এর সাথে নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। তিনি বললেন, হে
উত্তর : কথাটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ খাওয়ার সময় যেন পাত্রের মাঝখান থেকে না খায়, বরং তার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে। কেননা পাত্রের মাঝখানে বরকত নাযিল হয় (আবুদাউদ হা/৩৭৭২; তিরমিযী হা/১৮০৫)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
উত্তর : মুরগী-বিড়াল বা এজাতীয় প্রাণী মুছল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করলে ছালাত বিনষ্ট হবে না। তবে সর্বদা চেষ্টায় থাকতে হবে যাতে মুছল্লীর সুৎরার ভিতর দিয়ে কিছু অতিক্রম না করে। আমর ইবনু শু‘আয়েব তার দাদার সূত্রে বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে (মক্ক
উত্তর : উক্ত কারণে মসজিদ ত্যাগ করা যাবে না। মাঝে-মধ্যে হ’লেও উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করতে হবে যাতে ধীরে ধীরে মনোমালিন্য কমে আসে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন ব্যক্তির জন্য হালাল নয় যে সে তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশী এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে,
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফাহ হা/৯৯৬; যঈফুল জামে‘ হা/৪৫৪০)। তবে রাসূল (ছাঃ) মূলতঃ খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। খেজুর না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করতেন (আবুদাউদ হা/২৩৫৬; মিশকাত হা/১৯৯১; ছহীহাহ হা/২৮৪০)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘ইমাম ও মুক্তাদীর জোরে আমীন বলা’ শিরোনামে অধ্যায় রচনা করেছেন (বুখারী ৩/৩১৯)। ‘ইমামের সশব্দে আমীন বলা’ অনুচ্ছেদে ইমাম বুখারী বলেন, আতা‘ (রহঃ) বলেন, আমীন হ’ল দো‘আ। তিনি আরো বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়
উত্তর : নফল ছিয়াম কারণবশতঃ ছেড়ে দিলে তার ক্বাযা আদায় করা মুস্তাহাব। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খানা প্রস্ত্তত করলাম। অতঃপর তিনি এবং তাঁর ছাহাবীগণ আসলেন। যখন খানা পেশ করলাম তখন তাদের মধ্য হ’তে একজন ছাহাবী বললেন, আমি ছায়
উত্তর : এগুলি তালাক হিসাবে গণ্য হবে না। কেননা সিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক ব্যাধি, যার ফলে ব্যক্তির চিন্তাধারা, আচার-ব্যবহার, অনুভূতি প্রকাশ ইত্যাদির মধ্যে নানা অসঙ্গতি দেখা যায়। ফলে তার থেকে অবাস্তব চিন্তাধারা, অদ্ভুত কার্যকলাপ
উত্তর : উক্ত কারণ ওযূ ভেঙ্গে যাবে মর্মে স্পষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না। সেকারণ ইমাম মালেক (রহঃ) এর দ্বারা ওযূ ভঙ্গ হবে না বলেছেন। আর ‘দুই রাস্তা দিয়ে কিছু বের হ’লে ওযূ নষ্ট হবে’ মর্মে বর্ণিত মূলনীতি দ্বারা কেবল পায়খানা ও পেশাবকে বুঝানো হয়েছে। ব
উত্তর : মৃত্যুর পর সৎ বান্দাদের রূহ ইল্লিয়ীনে এবং পাপীদের রূহ সিজ্জীনে অবস্থান করে। অতঃপর তাদের আমল অনুযায়ী তাদের রূহের উপর শান্তি অথবা শাস্তি প্রদান করা হয় (গাফের ৪০/৪৫-৪৬; আবুদাঊদ হা/৪৭৫৫; মিশকাত হা/১৩১)। এছাড়া কবরে ব্যক্তির দেহে পুনরায় রূহ ফ
উত্তর : না। কেননা এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১০০৪; ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৫৮৮)।
উত্তর : বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। পৃথিবীর কোন মুফাসসির উক্ত আয়াতের তাফসীরে এরূপ কথা বলেননি। আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘আর তুমি নিজেকে ধরে রাখো তাদের সাথে যারা সকালে ও সন্ধ্যায় তাদের পালনকর্তাকে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি কামনায় এবং তুমি তাদের থেকে ত
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেবল খাদ্য প্রস্ত্তত নয়, বরং স্ত্রীর উপর কর্তব্য হ’ল স্বামীর শরী‘আতসম্মত যেকোন নির্দেশ নির্দ্বিধায় পালন করা। আল্লাহ বলেন, পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (নিসা ৫/৩৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নারী তার স্বামীগৃহের কর্ত্রী
উত্তর : হাদীছটিতে বলা হয়েছে যে, একদা রাসূল (ছাঃ) ইবনু আববাসকে বললেন, যাও, মু‘আবিয়াকে আমার কাছে ডেকে আনো। তিনি ডাকতে গেলেন এবং ঘুরে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল তিনি খাচ্ছেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তাকে পুনরায় পাঠালে তিনি এসে একই কথা বললেন। তখ
উত্তর : হাউয সকল নবী ও রাসূলকে প্রদান করা হবে। যাতে তারা হাশরের ময়দানে নিজ নিজ উম্মতকে পানি পান করাতে পারেন। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর হাউয সবচেয়ে বড় হবে এবং তার নাম হবে হাউযে কাওছার। আল্লাহ বলেন, আমরা তোমাকে হাউযে কাওছার দান করেছি (কাওছার ১)। সামুর
উত্তর : কোন অমুসলিমকে যাকাতের মাল থেকে দেওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামনে প্রেরণের সময় বলেছিলেন, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে এই মর্মে যে, আল্লাহ তাদের উপরে ছাদাক্বা ফরয করেছেন। যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে নেওয়া হবে ও তাদের
উত্তর : কবরস্থানে গিয়ে প্রথমে দো‘আ পাঠ করবে। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কবর যিয়ারতের সময় আমি কী বলব? তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি বল, ‘আস্সালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইয়ারহামুল্লা-হুল মুস্তাক্বদিম
উত্তর : বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ নারী নিজের বিবাহ নিজে বা অন্য নারীকে বিবাহ দিতে পারে না (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮২; ইবনু মাজাহ হা/৩১৩৭; ইরওয়া হা/১৮৪১)। নারীর বিবাহের জন্য নিকটতম অভিভাবকের অনুমতি আবশ্যক। এমনকি পিতা, দাদা, ভাই প্রমুখদের
উত্তর : দৈহিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যার বিয়ে করার সামর্থ্য আছে, সে যেন অবশ্যই বিয়ে করে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)। তিনি বলেন, বিবাহ ক
উত্তর : সপ্তম দিনের পূর্বে সন্তান মারা গেলেও তার আক্বীক্বা দিবে। কারণ আক্বীক্বা দেওয়ার জন্য বাচ্চা সপ্তম দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা শর্ত নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/৪৪৫)। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে’ (আবুদাউদ হা
উত্তর : পরবর্তীতে এরূপ পদবী না রাখা উচিৎ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের মধ্যে কে সর্বাধিক নেক আমলকারী সে সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক অবগত (মুসলিম হা/২১৪২; মিশকাত হা/৪৭৫৬)। তবে জন্মের পর পিতা-মাতা যদি এরূপ নাম রাখেন, তাহ
উত্তর : একথা সত্য। যে ব্যক্তি অন্যায় করে ও যে ব্যক্তি শক্তি থাকা সত্ত্বেও উক্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না, পাপের দিক দিয়ে উভয়ে সমান। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি দৃষ্টান্ত পেশ করেন। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্
উত্তর : বর্ণনাটি জাল ও মুনকার। এই বর্ণনা থেকেই তাবলীগ জামা‘আত চল্লিশ দিনের চিল্লার প্রবর্তন করেছে, যা ভিত্তিহীন ও বাতিল। আবু নু‘আইম তার হিলইয়াহ গ্রন্থে (৫/১৮৯), কাযাঈ মুসনাদে শিহাবে (হা/৪৬৬), ইহইয়াউ ঊলূমিদ্দীনসহ কিছু কিতাবে এটি বর্ণিত হয়েছে (কি
উত্তর : জায়েয হবে না। কারণ এর মাধ্যমে একদিকে মূর্তি নির্মাণের গোনাহ অন্যদিকে অমুসলিম ধর্মীয় উৎসবে সহযোগিতা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদা ৫/২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : যাবে। তবে নিয়মিত পড়াই উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তোমরা রাতের ছালাত ছেড়ে দিয়ো না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এ ছালাত ছাড়তেন না। যখন তিনি অসুস্থ বা দুর্বল বোধ করতেন তখন তা বসে আদায় করতেন (আহমাদ হা/২৬১৫৭; আবুদাঊদ হা/১৩০৭, সনদ ছহীহ)। এছাড়া আল্লাহ
উত্তর : যৌতুক লেনদেন ইসলামে হারাম। তাই যৌতুক গ্রহণকারী পাপী হবে। কিন্তু এজন্য তার দাওয়াত গ্রহণে কোন বাধা নেই। কারণ একজনের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ১৬৪)। বরং স্পষ্ট পাপাচারী না হ’লে ওয়ালীমার দাওয়াত গ্রহণ করা ওয়াজিব (বুখারী হা/৫১৭৭; মুসল
উত্তর : কোন ছালাতের জন্য সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কেউ এরূপ করে ছালাত আদায় করলে তাকে পুনরায় আযান দিয়ে ছালাত আদায় করতে হবে (আবুদাউদ হা/৫৩২-৫৩৩; ইবনু কুদামা, মুগনী ১/২৯৭)। তবে ফজরের পূর্বে সাহারী বা তাহাজ্জুদের জন্য আযান দেওয়া যাবে (
উত্তর : এরূপ ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নয়। কারণ বেশী নেওয়াটা সূদ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একটি ব্যবসায়ে দু’টি বিক্রয় করে সে কম মূল্যেরটা নিবে অথবা সূদ নিবে’ (আবুদাঊদ হা/৩৪৬১; ছহীহাহ হা/২৩২৬)। এখানে ক্রেতাকে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে দু’টির যেকোন একটি
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ‘খোলা’ হয়েছে। এক্ষণে উক্ত নারীর সাথে সংসার করতে চাইলে নতুন বিবাহের মাধ্যমে সংসার করবে (বাক্বারাহ ২/২৩২; তালাক ৬৫/১; বুখারী হা/৫১৩০)।
উত্তর : এটা প্রচলিত একটি কথা মাত্র। উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। এর দ্বারা মূলত ছালাতের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।
উত্তর : উক্ত স্ত্রীর সাথে সংসার করা হারাম। কেননা তিন মাসে তিন তালাক প্রদানের মাধ্যমে তালাকটি ‘বায়েন’ তথা বিচ্ছিন্নকারী তালাকে পরিণত হয়েছে। এরপর তার পক্ষে আর পূর্ব স্বামীর কাছে ফিরে আসার সুযোগ নেই, যতক্ষণ না সে অন্যত্র স্বেচ্ছায় বিবাহ করে ও স্
উত্তর : কোন মুসলিম কর্তৃক বিসমিল্লাহ বলে যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া জায়েয। কারণ সে ছালাতকে অস্বীকার করে না। বরং অলসতাবশত মাঝে-মধ্যে ছেড়ে দেয় (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/২৭৫)। তবে তাকে ছালাত আদায়ের উপদেশ দিতে হবে। কারণ ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত পরিত্য
উত্তর : অনুবাদ পড়ে তেলাওয়াতের নেকী পাওয়ার পক্ষে কোন দলীল নেই। কুরআন আরবীতেই পড়তে হবে, যাতে প্রতি হরফের বিনিময়ে ১০টি নেকী পাওয়া যাবে (হাকেম হা/২০৮০; ছহীহাহ হা/৬৬০)। তবে কেউ কুরআন বুঝার জন্য অনুবাদ পাঠ করলে ছওয়াব পাবে (নিসা ৪/৮২; মুহাম্মাদ ৪৭/২৪)। কারণ
উত্তর : এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না এবং এজন্য সহো সিজদাও দিতে হবে না। উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, একবার আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাতে ছিলাম। তিনি একটি আয়াত ছেড়ে চলে গেলেন। ছালাত শেষে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আয়াতটি মানসূখ হয়ে গেছ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৪৮৫৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৮৩৮২; সিলসিলা যঈফাহ হা/৭০১০;)।
উত্তর : কুরআনের সম্মানে তাদের পৃথক বিচার করা হবে না। তবে শহীদ, আলেম ও ক্বারী এবং দাতাদের প্রথমে বিচার করা হবে মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেখানে লোক দেখানো আমলকারীরা পাকড়াও হবে (মুসলিম হা/১৯০৫; মিশকাত হা/২০৫)। আর ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে তিন শ্রে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) প্রতি ছালাতে দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করতেন। কারণ শরী‘আতের বিধান রাসূল (ছাঃ) নিজে আগে পালন করতেন। তারপর ছাহাবীগণকে শিক্ষা দিতেন (মিরক্বাত ২/৭৩৩-৭৩৪)। আলবানী বলেন, রাসূল (ছাঃ) তাশাহহুদে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজের প্রতি নিজে দরূদ
উত্তর : যেকোন কল্যাণকর কাজে দো‘আ করা যাবে। কারো দ্বীনদারী ও উত্তম আচরণ দেখে তার সাথে বিবাহের জন্যও দো‘আ করা যেতে পারে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪৭১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৩/২০৫-৬)। তবে এক্ষেত্রে হাদীছে বর্ণিত সারগর্ভ দো‘আ করাই উত্তম। যেমন রাববানা আ-তিনা
উত্তর : উপরিভাগ পবিত্র থাকলে তার উপর ছালাত আদায় করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সমস্ত যমীন আমার জন্য পবিন্ত এবং তা ছালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কোন ব্যক্তি ওয়াক্ত হ’লেই ছালাত আদায় করতে পারবে’ (বুখারী হা/ ৩৩৫; মুসলিম হা/৫৭৪৭)
উত্তর : যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর খুৎবা শুরু করে শীত-গ্রীষ্মকালভেদে ১-টা থেকে ১.৩০ মিনিটের মধ্যে জুম‘আর ছালাত সমাপ্ত করা সমীচীন হবে। কারণ এরপরে আদায় করলে আউয়াল ওয়াক্ত থাকে না। আউয়াল ওয়াক্ত বলতে ওয়াক্তের প্রথমভাগকে বুঝানো হয়, ওয়াক্তের শুরুকে
উত্তর : বাদ্য-বাজনা ইসলামে হারাম। তাই বাঁশি ও বাজনাযুক্ত জুতা পরানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’টি বস্ত্ত দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। আনন্দের সময় বাঁশি বাজানো এবং মুছীবতের সময় বিলাপ করা (বাযযার, ছহীহুত তারগীব হা/৩৫২৭; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৪০১৭)
উত্তর : পানি থাকলে পানি ব্যবহার করবে। কারণ আল্লাহ পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন (আবুদাউদ হা/৪৪; মিশকাত হা/৩৬৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭৬০)। ইমাম তিরিমিযী বলেন, বিদ্বানগণ (পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে) পানিকেই যথেষ্ট মনে করেন। পানি না পেলে কুলুখ
উত্তর : নিয়মিত এক ও তিন রাক‘আত বিতর পড়া যাবে। আর রামাযানে তিন রাক‘আত বিতর পড়ার কারণ হ’ল হাদীছে বর্ণিত এগার রাক‘আত পূর্ণ করা। কারণ তারাবীহ ও তাহাজ্জুদের ব্যাপারে হাদীছে ১১ রাক‘আতের কথাই বলা হয়েছে। তন্মধ্যে চার চার আট রাক‘আত তারাবীহ ও তিন রাক‘আ
উত্তর : উক্ত পোষাকে ছালাত হবে। অতএব মুছাল্লীর রুচি হ’লে তাতে ছালাত আদায় করবে নতুবা তা পরিবর্তন করবে। কারণ বমি নাপাক হওয়ার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ, আলবানী, শাওকানী, শায়খ বিন বায, উছায়মীন প্রমুখ বিদ্বান বমিকে ওযূ ভঙ
উত্তর : মা সম্পদের মালিকানা গ্রহণে নিরুপায় হ’লে তিনি গুনাহগার হবেন না ইনশাআল্লাহ। কারণ যাকাত দেওয়ার জন্য শর্ত হ’ল সম্পদ ব্যক্তির মালিকানায় থাকা। অতএব যেদিন তিনি পূর্ণ মালিকানা লাভ করবেন, সেদিন থেকে নিয়ম অনুযায়ী যাকাত আদায় করবেন (ইবনু তায়মিয়াহ
উত্তর : মসজিদের নীচতলায় ছাত্রাবাস করায় কোন বাধা নেই। ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘মসজিদের নীচে দোকান-পাট ও পানির হাউয তৈরী করা যায়। তাতে কোন বাধা নেই’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩১/২১৮-২১৯)। যেখানে দোকানপাট করা যাবে সেখানে ছাত্রাবাসও করা যাবে। তবে ছা
উত্তর : রিজাল শাস্ত্র হ’ল হাদীছের সনদ সম্পর্কে জ্ঞান। অর্থাৎ সনদে যে সকল বর্ণনাকারী রয়েছেন তারা নির্ভরযোগ্য কি-না, সে সম্পর্কিত বিশেষায়িত জ্ঞান। ইসলামী শরী‘আতের বিধি-বিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ আলেমদের জন্য রিজালশাস্ত্র জানা আবশ্যক। দক্ষতা ও অভিজ্ঞ
উত্তর : সুন্নাত হ’ল একই অঞ্জলী দিয়ে মুখে ও নাকে পানি দিয়ে ওযূ করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) এক অঞ্জলী পানি নিয়ে অর্ধেক দিয়ে কুলি করতেন এবং অর্ধেক পানি নাকে দিতেন (বুখারী হা/১৯১, ১৯৯; মুসলিম হা/২৩৫; মিশকাত হা/৩৯৪)। এর বিপরীত যা কিছু বর্ণিত হয়েছে
উত্তর : প্রকৃত মালিকের নিকট সেটি পৌঁছানোর জন্য এক বছর যাবৎ সাধ্যমত চেষ্টা করবে। তারপরেও খোঁজ না পাওয়া গেলে তা নিজে ব্যবহার করবে এবং হিসাব করে রাখবে। পরবর্তীতে কেউ দাবী করলে তাকে তা ফেরত দিবে (বুখারী হা/৯১; মুসলিম হা/১৭২২; মিশকাত হা/৩০৩৩)।
উত্তর : কুরআনকে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াতের জন্য যেকোন বৈধ পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন কুরআনকে সহজে তেলাওয়াতের জন্য ছাহাবী ও তাবেঈদের যুগে নোকতা ও হরকত সংযোজন করা হয় (যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৬/৫০৩; যুরক্বানী, মানাহিলুল ইরফান ১/৪০৬-৪০৭)। কিন্তু ব
উত্তর : ছালাত অবস্থায় মাথার চুল ও কাপড় গুটিয়ে নিতে নিষেধ করা হয়েছে। যাতে মাথার চুল ও ঝুলে থাকা কাপড়ও মুছল্লীর সাথে সিজদায় যায়। পাশাপাশি মুছল্লীর ভিতরে যেন কোন অহংকার প্রকাশ না পায়। কেননা সিজদায় গিয়ে ধূলা লাগার ভয়ে কাপড় ভাঁজ হয়ে যাওয়ার আ
উত্তর : বৈধ কর্মে ভাড়া দিতে হবে এবং যথাসম্ভব শরী‘আত বিরোধী কাজে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবে মায়েদাহ ৫/২)। আল্লাহকে ভয় করলে ও তাঁর উপর ভরসা করলে তিনি ব্যবস্থা করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন (তালাক ৬৫/২; বুখারী হা/৫১৬৪; মুসলিম হা/৩৬৭)। বৈধ কর্মে ভাড়া দেওয়ার
উত্তর : যথা সম্ভব উভয়টির দিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে ছালাতে ক্বিরাআতের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। নইলে ক্বিরাআত ও ছালাতে ভুল হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, দুর্ভোগ ঐসকল মুছল্লীর জন্য, যারা ছালাতে উদাসীন (মাঊন ৪)। রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল, সর্বোত্তম ক
উত্তর : আল্লাহ চাইলে তিনি দু’জন শহীদের মর্যাদা পাবেন। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, নৌযানের ঝাঁকুনিতে বমি হ’লে সমুদ্রে সফরকারী ব্যক্তির জন্য একজন শহীদের ছওয়াব রয়েছে। আর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া ব্যক্তির জন্য রয়েছে দু’জন শহীদের ছওয়াব (আবুদাউদ হা/২৪৯৩; মিশ
উত্তর : এটি মুছাল্লীর অবস্থার উপর নির্ভর করবে। জামা‘আত শুরু হওয়ার পর সুন্নাত ছালাত আদায়কারী যদি বুঝতে পারে যে, ইমাম রুকূতে যাওয়ার পূর্বে সে জামা‘আতে শরীক হ’তে পারবে এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করতে পারবে, তাহ’লে সে সংক্ষেপে সুন্নাত শেষ করে জামা‘আতে শ
উত্তর : এটা সঠিক নয়। তালাক দেওয়া কোন উত্তম সমাধান নয়। বরং স্ত্রীকে ছহীহ হাদীছের উপর আমল করার ব্যাপারে নছীহত করে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে তাকে সত্যের উপর ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তম নছীহ
উত্তর : ‘ফাযায়েলে আমল’, ‘ফাযায়েলে ছাদাক্বা’ সহ তাবলীগ জামা‘আতের এ কিতাবসমূহে বহু যঈফ ও জাল হাদীছ এবং ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা রয়েছে। উক্ত বইগুলোতে যা রয়েছে, তা বিশুদ্ধ আক্বীদা-আমল থেকে মানুষকে অনেক দূরে সরিয়ে দেয়। অতএব এ সমস্ত ফাযায়েল ছেড়ে পবি
উত্তর : এটি করা জায়েয নয়। কারণ মসজিদ ব্যবসার স্থান নয়। রাসূল (ছাঃ) মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন’ (তিরমিযী হা/৩২২; মিশকাত হা/৭৩২, সনদ হাসান)। তবে ইসলামী বই-পুস্তক জুম‘আর দিন মসজিদের বারান্দার বাইরে বিক্রয় করতে বাধা নেই। কেননা এটি দ্বীনের দাওয়া
উত্তর : যদি কেবল সন্দেহ হয়, তবে ছালাত পরিত্যাগ করবে না। কারণ সন্দেহের দ্বারা পবিত্রতা নষ্ট হয় না (বুখারী হা/১৩৭, মুসলিম হা/৩৬২, মিশকাত হা/৩০৬)। আর যদি দৃঢ় বিশ্বাস হয় তবে ছালাত পরিত্যাগ করবে এবং ওযূ করে পুনরায় ছালাত আদায় করবে। রাসূল (ছাঃ) মযী নির্
উত্তর : নারীরা এভাবে বক্তব্য দিতে পারে না। আর এর জন্য নারী দায়িত্বশীলও নয়। আল্লাহ তা‘আলা এক লক্ষ চবিবশ হাযার নবী-রাসূল প্রেরণ করলেও কোন নারীকে নবী করে পাঠাননি (আহমাদ হা/২২৩৪২; মিশকাত হা/৫৭৩৭; ছহীহাহ হা/২৬৬৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। এক্ষণে দ্বীন প্
উত্তর : এমর্মে বিভিন্ন দো‘আ রয়েছে। বিশেষ করে কোন মারাত্মক রোগীকে দেখে তা পাঠ করলে, সেই রোগ তার হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে লোক কোন বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, ‘আল-হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী মিম্মাব্তালা-কা বিহী ওয়া ফায্যালানী ‘আ
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছ ও আছারগুলি খুবই যঈফ (আলবানী, আহকামুল জানায়েয ১/১৩, ১৯১-১৯২; যঈফাহ হা/৪১৪০-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অতএব এগুলি আমলযোগ্য নয়।
উত্তর : কবরের মাটি দৃঢ় করার জন্য কবরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) তাঁর ছেলে ইবরাহীমকে দাফন করার পর কবরের উপর পানি ছিটিয়ে ছিলেন (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৬১৪১; মিশকাত হা/১৭০৮; ছহীহাহ হা/৩০৪৫; ইবনু কুদামা, মুগনী ২/৩৭৬)। তবে পানি ছিটানোর ম
উত্তর : ময়ূর, তোতা, টিয়া ইত্যাদি পাখির গোশত খাওয়া জায়েয। কারণ এগুলি ধারালো নখ বিশিষ্ট পাখি নয়, যা খেতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১০৫; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ১৫/৩৩; আল-ইনছাফ ১০/৩৬৪)।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলো জাল ও নিতান্তই যঈফ (যঈফাহ হা/৫৮৫১-৫৮৫২)। তবে ইয়াতীমদের সাথে সদ্ব্যবহার করা আবশ্যক (যোহা ৯৩/৯; বাক্বারাহ ২/২২০; তিরমিযী হা/১৯১৮; ছহীহাহ হা/৮০০)।
উত্তর : ফজর ও মাগরিবের সুন্নাত ছালাতে সূরা কাফেরূন ও ইখলাছ পাঠ করা মুস্তাহাব। ইবনে ওমর ও ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘আমরা রাসূল (ছাঃ)-কে মাগরিবের দু’রাক‘আত ও ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাতে অসংখ্যবার এ দু’টি সূরা তিলাওয়াত করতে শুনেছি’ (নাসাঈ হা/৯৯২; মুস
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) অধিক বিনয় প্রকাশের জন্য মাটিতে বসে খেতেন। যেমন তিনি বলেন, আমি খাই যেভাবে গোলাম খায়। আমি বসি যেভাবে গোলামে বসে (শারহুস সুন্নাহ, মিশকাত হা/৫৮৩৬; ছহীহাহ হা/৫৪৪)। তবে এটা অভ্যাসগত সুন্নাত, যা সুনানুয যাওয়ায়েদ-এর অন্তর্ভুক্ত। এটি ব্যবহ
উত্তর : তাড়াহুড়া করে দৌড়িয়ে ছালাতে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন ছালাতের এক্বামত দেওয়া হয়, তখন তোমরা দৌড়ে যেয়ো না; বরং স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাও। স্থিরতা অবলম্বন কর। অতঃপর তোমরা জামা‘আতে যতটুকু পাও ততটুকু আদায় কর এবং ছুটে যাওয়া ছ
উত্তর : সরাসরি মাটিতে সিজদা দেওয়ার বিশেষ কোন ফযীলত নেই। রাসূল (ছাঃ) কখনো চাটাইয়ের উপর সিজদা দিয়েছেন (বুখারী হা/৩৮০, ৩৭৯; মুসলিম হা/৬৫৮)। কখনো খেজুর পাতার তৈরী বিছানায় ছালাত আদায় করেছেন’ (মুসলিম হা/৬৫৯)। আবার কখনো সরাসরি মাটিতে সিজদা দিয়েছেন (বু
উত্তর : এটি সঠিক হচ্ছে না। বরং সঠিক নিয়ম হ’ল বিনিয়োগকারী প্রতিবছর তার মূল সম্পদ এবং প্রাপ্ত লভ্যাংশের উপর যাকাত আদায় করবে। আর ব্যবসায়ী কেবল তার প্রাপ্ত লভ্যাংশের উপর যাকাত দিবে যদি তা নিছাব পরিমাণ হয় এবং এক বছর অতিক্রান্ত হয় (ছালেহ ফাওযান, আল
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৫৮৯; যঈফুল জামে‘ হা/৫৫৬৮)। ইবনু মুলাক্কিন বলেন, হাদীছটি বিশটি তুরুকে বর্ণিত হয়েছে, সবগুলো যঈফ। ইমাম দারাকুৎনী বলেন, এর সকল তুরুক দুর্বল, কোনটিই গ্রহণযোগ্য নয়। বায়হাক্বী বলেন, সকল
উত্তর : পিতা-মাতার কর্তব্য প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের বিবাহের ব্যবস্থা করা। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পিতা ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তানের বিবাহের ব্যবস্থা না করলে গোনাহগার হবেন। এক্ষণে শরী‘আতসম্মত কারণে পিতা-মাতা কোন বিবাহের অনুমতি না দিলে, তাদের নির্দেশনা ম
উত্তর : এরূপ বৃত্তি গ্রহণ করা জায়েয নয়। কারণ এটি প্রতারণার শামিল। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০১; মিশকাত হা/৩৫২০)।
উত্তর : নারী অন্য নারীর সামনে শরীরের অতটুকু প্রকাশ করতে পারবে, যতটুকু নিকটতম মাহরাম পুরুষের নিকট প্রকাশ করতে পারে। যেমন- হাত, পা, মুখমন্ডল ইত্যাদি। (নূর ২৪/৩১; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৭/২৯১, ২৯৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২৭১)।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণনা রয়েছে যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইসলাম পুরাতন হয়ে যাবে, যেমন কাপড়ের কারুকার্য পুরাতন হয়ে যায়। এমনকি অবস্থা এমন হবে যে, জানবে না, ছিয়াম কি? ছালাত কি? কুরবানী কি, যাকাত কি?। এক রাতে পৃথিবী থেকে মহ
উত্তর : মুসলমানের কবরস্থানকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। তা সংরক্ষণ করা জীবিত মানুষের দায়িত্ব (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১/২৭২; শায়খ মুহাম্মাদ ইবরাহীম, ফাতাওয়া ও রাসায়েল ৩/২০০)। রাসূল (ছাঃ) বাক্বীউল গারক্বাদকে মদীনাবাসীর কবরস্থান হিসাবে নির্ধ
উত্তর : ইমাম ও মুছল্লীদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী জামা‘আতে অংশ গ্রহণ না করে তাদের পাহারায় নিয়োজিত থাকতে পারে। যেমন কুরআনে যুদ্ধের ময়দানে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণার্থে একটি দলকে জামা‘আতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে (নিসা ৪/১০২)। তারা
উত্তর : দড়ি, তাবীয-কবয ইত্যাদি পরানো যাবে না (তিরমিযী হা/২০৭২; মিশকাত হা/৪৫৫৬; ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৫৬)। রাসূল (ছাঃ) পশুর গলায় রশির মালা বা এজাতীয় কিছু থাকলে তা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী হা/৩০০৫; মুসলিম হা/২১১৫)। বরং এক্ষেত্রে কুরআন ও হাদীছে ব
উত্তর : এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা এটা ছবি-মূর্তির হুকুমে পড়ে না। তবে মুছল্লী প্রতিচ্ছবির দিকে তাকাবে না। বরং এ সময় মুছল্লীর দৃষ্টি থাকবে সিজদার স্থানে (ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/৩০১২)। আর এই প্রতিচ্ছবির কারণে যদি ছালাতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়,
উত্তর : এক্ষেত্রে দান নয় বরং অন্য কারু মাধ্যমে বদলী হজ্জ করাতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) এরূপ ক্ষেত্রে হজ্জের অর্থ দান করতে বলেননি। বরং তার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে বলেছেন (তিরমিযী হা/৯৩০; আহমাদ হা/১৬২২৯; মিশকাত হা/২৫২৮)। আর নিজের হজ্জ না করে অন্যের জন্
উত্তর : শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানোর পূর্বে কেবল তাশাহ্হুদ (আত্তাহিইয়াতু) পাঠ করা আবশ্যক (নাসাঈ হা/১২৭৭; দারাকুৎনী হা/১৩৪৩; ইরওয়া হা/৩১৯)। অন্যান্য দো‘আগুলি পাঠ করা সুন্নাত ও মুস্তাহাব। অতএব কেবল তাশাহহুদ পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নিলে ছালাতের ফরযিয়াত আদায়
উত্তর : প্রথম পক্ষের ছেলেটি কেবল তার নিজ পিতার সম্পদের ওয়ারিছ হবে। সৎ পিতার সম্পদের হবে না। তবে সে তার মায়ের সম্পদের ওয়ারিছ হবে। অবশ্য সৎপিতার সাথে অন্য দিক থেকে আত্মীয়তার সম্পর্ক (যেমন চাচা) থাকলে আছাবা সূত্রে পেতে পারে।
উত্তর : এ মর্মে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীগণ থেকে নির্দিষ্ট কোন দো‘আ বা যিকির বর্ণিত হয়নি। তবে যেহেতু জুম‘আর দিনের এই সময়টি দো‘আ কবুলের বিশেষ সময়ের অন্তর্ভুক্ত (মুসলিম হা/৮৫২; আহমাদ হা/৭৭৫৬), তাই মুছল্লী বা ইমাম চাইলে যেকোন দো‘আ পাঠ করতে পারেন (উছায়ম
উত্তর : বিদ্বানগণ জুম‘আর দিনে দো‘আ কবুলের সঠিক সময় নিয়ে মতভেদ করেছেন। এবিষয়ে ৪৩টি মতভেদ উল্লেখিত হয়েছে (শাওকানী, নায়লুল আওত্বার ৪/১৭২-৭৬)। তন্মধ্যে দু’টি মত সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও প্রমাণিত (১) ইমাম ছাহেবের মিম্বারে বসা থেকে নিয়ে ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত
উত্তর : জিমে (Gym) গিয়ে শরীর চর্চায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। বরং শরী‘আত শরীর চর্চার প্রতি উৎসাহিত করেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘শক্তিশালী মুমিন আল্লাহর নিকট উত্তম ও অধিকতর প্রিয় দুর্বল মুমিনের চাইতে’ (মুসলিম হা/২৬৬৪; মিশকাত হা/৫২৯৮)। তবে এমন শরীর চর
উত্তর : বক্তব্যটি ভিত্তিহীন। কারণ হেদায়াত কোন সময় বা নির্দিষ্ট একদল মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। সূরা ফাতিহায় হেদায়াত প্রার্থনা করা হয়েছে, যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য (ফাতিহা ১/৫)। সূরা বাক্বারার শুরুতে কুরআনকে আল্লাহভীরুদের
উত্তর : এক দিন ও একরাতের ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ মুকীমের জন্য মোযার উপর মাসাহ করার বিধান একদিন ও একরাত (মুসলিম হা/২৭৬; ইবনু মাজাহ হা/৫৫৫; মিশকাত হা/৫১৭; ছহীহাহ হা/৩৪৫৫)। আর মাসাহের মেয়াদকাল শুরু হবে মোযার উপর প্রথম মাসাহ করা থেকে; ওযূ করার
উত্তর : আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে মানত, নযর-নেয়ায করা বা যবেহ করা শিরক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল ... আর যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয় এবং তীর্থকেন্দ্রে যে সব পশু যবেহ করা হয়’... (মায়েদা ৩)। অতএব এক্ষেত্রে মানত
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং এর অর্থ হ’ল- ‘আর তুমি বল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে (ইবাদতে) প্রবেশ করাও যথার্থভাবে এবং সেখান থেকে বের কর যথার্থভাবে। আর আমাকে তোমার পক্ষ হ’তে সাহায্যকারী শক্তি দাও’ (ইসরা ১৭/৮০)। এটি সর্বাবস্থায় দো‘আ হিস
উত্তর : সন্তান দানের মালিক আল্লাহ। অতএব পুত্র সন্তান লাভের জন্য কোনরূপ ঝাড়-ফুঁক বা তদবীর করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন অথবা যাকে ইচ্ছা পুত্র ও কন্যা যমজ সন্তান
উত্তর : বাধ্যগত কারণ ব্যতীত এসময় বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না (তালাক্ব ৬৫/১; আবুদাউদ হা/২৩০০; মিশকাত হা/৩৩৩২; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৮/১৬৩)। আর নারীদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা ফরয নয় (আহমাদ হা/২৭১৩৫, বুখারী, আবুদাঊদ, মি
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় দুই তালাক পতিত হয়েছে। আর তৃতীয় তালাকটি ঋতুবতী অবস্থায় দেওয়ার কারণে সেটি পতিত হবে না। কারণ তোহর অবস্থায় তালাক দেওয়াটাই নিয়ম, হায়েয অবস্থায় নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদেরকে তালাক দাও ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং ইদ্দ
উত্তর : একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের প্রেক্ষাপটে এটি বড় কঠিন বাস্তবতা। তথাপি ঈমানের দাবী হ’ল অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হ’তে বিরত থাকা। কারণ তা ঘুষ হিসাবে গণ্য হবে, যা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি, আমরা তার রূযীর ব্যবস্থা
উত্তর : যেকোন বৈধ কর্মের বিনিময়ে মজুরী গ্রহণ করায় বাধা নেই। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং তাকে মজুরী দিয়েছেন। যদি এটি হারাম (حَرَامًا) হ’ত বা তিনি নিকৃষ্টخَبِيثًا) ) মনে করতেন, তবে তিনি মজুরী দিতেন না’ (বুখারী হা/
উত্তর : বক্তব্যটি সঠিক নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) মু‘আয বিন জাবালকে ইয়ামনে পাঠানোর সময় বলেছিলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে ছাদাক্বা (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ছালাত ক্বছর করা যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘সফর অবস্থায় ছালাতে ‘ক্বছর’ করলে তোমাদের জন্য কোন গোনাহ নেই’ (নিসা ৪/১০১)। আর কুরআন ও ছহীহ হাদীছে কোথাও সফরের দূরত্ব বা সময়সীমা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/১২-১৩; উছ
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে কোন স্পষ্ট বর্ণনা নেই। তবে একটি যঈফ বর্ণনায় এসেছে যে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, একশ’ ছহীফা ও চারটি কিতাব আল্লাহ নাযিল করেন। এর মধ্যে ৫০টি শীছ (আঃ)-এর উপর, ৩০টি ইদরীস (আঃ)-এর উপর, ১০টি ইবরাহীম (আঃ)-এর উপর ও অপর
উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, এমন সময় ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে যখন রোমকদের সংখ্যা অধিক হবে (মুসলিম হা/২৮৯৮; আহমাদ হা/১৮০৫৮)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, লোকেরা দাজ্জালের ভয়ে পাহাড়ে পালিয়ে যাবে। এ কথা শু
উত্তর : সবকিছু দিয়ে হ’লেও ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া বেতন থেকে প্রতিমাসে কিছু টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করবে। সেটাও সম্ভব না হ’লে ঋণদাতার নিকট ঋণ মওকূফের জন্য আবেদন করতে হবে। এতে সে সম্মত না হ’লে সমাজের বায়তুল মাল তহবিল থেকে সাহায্য
উত্তর : এরূপ চুক্তি জায়েয হবে না। ইবনু কুদামা বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী লোকসানের ভাগিদার হবে না। কেবল বিনিয়োগকারী হবে। তবে লাভের ক্ষেত্রে উভয়ে সমঝোতা মোতাবেক শরীক হবে। এক্ষেত্রে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন মতভেদ আছে বলে আমরা জানি না (ইবনু কুদামা ৫/২
উত্তর : খুৎবা চলাকালে খত্বীবের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে উপরোক্ত দো‘আসমূহ পাঠ করায় কোন বাধা নেই। যেমন খুৎবার সময় ইমাম দো‘আ করলে, রাসূল (ছাঃ)-এর নাম নিলে, আল্লাহ প্রদত্ত বড় কোন নে‘মত অথবা কোন আমলে প্রভূত ফযীলত ইত্যাদি বর্ণনা করলে প্রত্যুত্তরে নিম্
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আত মূলতঃ মুসলিম উম্মাহর কাবীরা গোনাহগারদের জন্য (আবুদাঊদ হা/৪৭৩৯; তিরমিযী হা/২৪৩৫; ইবনু মাজাহ হা/৪৩১০)। তবে এটিই একমাত্র শাফা‘আত নয়। বরং শাফা‘আতকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। (১) শাফা‘আতে উযমা বা প্রধান শাফা‘আত, যা রাসূল
উত্তর : বাচ্চাকে থামানোর নিয়তে এসব বলায় কোন দোষ নেই। যেমন অনর্থক বা সংকল্পহীন কসমের কোন কাফফারা নেই (বাক্বারাহ ২/২২৫; আবুদাঊদ হা/৩২৫৪, মিশকাত হা/৩৪১৭, ঐ মিরক্বাত)। তবে যদি মনের সংকল্প অনুযায়ী হয় এবং সত্যিকারের ধোঁকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে হয়, তবে তা মি
উত্তর : তাশাহহুদ ব্যতীত ছালাতের অন্য সময়ে দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন কা‘বা ঘরে ঢুকে ছালাত আদায় করলেন, তখন তাঁর দৃষ্টি ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত সিজদার স্থান থেকে সরেনি (হাকেম হা/১৭৬১; ছহীহ ইবনু
উত্তর : এ মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাছাড়া ছালাত পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন- এমন গর্হিত বক্তব্যই কাহিনীটি বানোয়াট হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
উত্তর : এমতাবস্থায় ক্রেতাকে পরিষ্কারভাবে চিনি মিশ্রণের বিষয়টি জানাতে হবে। নচেৎ তা প্রতারণা হিসাবে গণ্য হবে, যা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদিন একটি খাদ্যস্তূপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি তার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিলে তাঁর হাত ভিজে গেল। তিনি
উত্তর : এ মর্মে কোন দলীল নেই। বদরুদ্দীন আয়নী হানাফী ইমাম বুখারী বর্ণিত একটি হাদীছ (বুখারী, হা/৫৭৪৭)-এর উপর কিয়াস করে যেকোন দো‘আ পাঠ করে শরীরে হাত বুলানোকে জায়েয বলেছেন (উমদাতুল ক্বারী শরহ বুখারী ২১/২৭০), যা গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এক্ষেত্রে শরী‘আত নির্দ
উত্তর : করা যাবে। ওযূর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে যে সকল কাজ করা যাবে, তায়াম্মুম করেও সে সকল কাজ করা যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি পানি না পাও, তাহ’লে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর’ (নিসা ৪/৪৩)। অত্র আয়াতে আল্লাহ্ পানির বিকল্প হিসাবে পবিত্র মাটি
উত্তর : ওয়ারিছগণ কে কতটুকু পাবে তা স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন (নিসা ৪/৭, ১১)। সুতরাং বণ্টনের ক্ষেত্রে উক্ত নীতির ভিত্তিতেই ভাগ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন কমবেশী করা নিঃসন্দেহে কাবীরা গুনাহ এবং তা হক বিনষ্টের শামিল। প্রশ্ন অনুযায়ী পিতা ও ভাই
উত্তর : ছহীহায়েনের পর বিশেষভাবে ছহীহ হাদীছ সংকলনের জন্য স্বতন্ত্র দু’টি গ্রন্থ হ’ল ছহীহ ইবনু খুযায়মা (পূর্ণ নাম- مختصر المختصر من المسند الصحيح عن النبي صلى الله عليه وسلم) এবং ছহীহ ইবনে হিববান (পূর্ণ নাম : المسند الصحيح على التقاسيم والأنواع
উত্তর : সাধারণভাবে লজ্জাস্থানে স্পর্শে ওযূ ও ছালাত নষ্ট হয় না (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩২০)। যে সকল হাদীছে লজ্জাস্থান স্পর্শে ওযূ নষ্ট হবে বা ওযূ করতে হবে বলা হয়েছে (আহমাদ, ইরওয়া হা/১১৬, ১১৭; ছহীহ ইবনু হিববান হা/১১১৮, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৬৩, মিশকাত
উত্তর : যদি রোবট হুবহু প্রাণীর আকৃতি বিশিষ্ট হয়, তাহ’লে তা মূর্তি হিসাবে গণ্য হবে, যা তৈরী করা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, যারা ছবি/মূর্তি তৈরী করে, তারা ক্বিয়ামতের দিন কঠিন আযাবপ্রাপ্ত হবে। তাদেরকে বলা হবে তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে তা
উত্তর : শারঈ দৃষ্টিতে স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহের জন্য পূর্ব স্ত্রীর অনুমতি গ্রহণ আবশ্যক নয়। আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম পুরুষকে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছেন (নিসা ৪/৩)। তবে বিবাহ করার চেয়ে স্ত্রীদের মাঝে ইনছাফ করার বিষয়টি বেশী যরূরী ও কঠিন
উত্তর : ‘নারদাশীর’ অনারব শব্দ। যা প্রাচীন পারস্য ও শামের লোকেরা আবিষ্কার করে। নারদাশীর বলতে সে সকল খেলাকে বুঝায় যাতে কাঠ, হাড় বা প্লাস্টিকের তৈরী বাক্স কিংবা চৌকো (dice) রয়েছে। যেমন পাশা, লুডু, দাবা, শতরঞ্জ প্রভৃতি, যা মূলতঃ ভাগ্য ও অনুমাননির
উত্তর : ফাসেক-ফাজের লোকদের ইমাম, নেতা বা মসজিদের সভাপতি বানানো ঊচিৎ নয়। আল্লাহ বলেন, আল্লাহর মসজিদ সমূহ কেবল তারাই আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও বিচার দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। যারা ছালাত কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউ
উত্তর : উপরোক্ত বর্ণনাটি রাসূলের নয় বরং ইমাম বুখারী ও মুসলিমের উস্তাদ ইবরাহীম বিন মূসা (রহঃ)-এর। রাসূল (ছাঃ) একটি হাদীছে বলেন, শেষ যামানায় আমার উম্মতের মধ্যকার একটি দলকে পূর্ববর্তীদের ন্যায় ছওয়াব প্রদান করা হবে। তারা অসৎকাজে নিষেধ করবে এবং ফি
উত্তর : কতিপয় প্রাচীন ও সমকালীন বিদ্বান এমন মন্তব্য করেছেন (মুগনী ১/৩৮১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৮৩)। তবে সরাসরি এ মর্মে কোন বর্ণনা নেই। বরং ছাহাবীগণ বলেন, ‘ছালাতের মধ্যে যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বেজোড় রাক‘আতে পৌঁছতেন, তখন দাঁড়াতেন না যতক্ষণ না
উত্তর : শালীনভাবে পূর্ণ পর্দার মধ্যে এসব পোষাক পরিধানে কোন বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান! আমরা তোমাদের উপর পোষাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি বেশভূষার উপকরণ সমূহ। তবে আল্লাহভীতির পোষাকই সর্বোত্তম। এট
উত্তর : তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা নারীর ভরণ-পোষণ ও তত্ত্বাবধানের প্রধান দায়িত্ব তার সন্তানদের। অতঃপর তার ভাইদের। অতঃপর সর্বাধিক নিকটবর্তী আত্মীয়গণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা তোমা
উত্তর : এর কোন শারঈ কোন ভিত্তি নেই। আরবী হরফসমূহের আবজাদী তথা সংখ্যাতাত্ত্বিক গণনা পদ্ধতিতে ‘বিসমিল্লাহ্’-এর ১৯টি হরফের মান যোগ করে ৭৮৬ বানানো হয়েছে। যেমন- আলিফে ১, বা-তে ২, জীমে ৩, দালে ৪, মীমে ৪০, নূনে ৫০, গাইনে ১০০০ ইত্যাদি। এভাবে ৭৮৬ সংখ্
উত্তর : জুম‘আর খুৎবা মুছল্লীদের মাতৃভাষা বা তাদের বোধগম্য ভাষায় হ’তে হবে। যেমন আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘আমরা তোমার নিকটে ‘যিকর’ (কুরআন-হাদীছ) নাযিল করেছি, যাতে তুমি লোকদের নিকটে ঐ সকল বিষয় ব্যাখ্যা করে দাও, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে।
উত্তর : পরহেযগার ও সত্যবাদী মানুষের স্বপ্ন সত্য হ’তে পারে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হবে, তখন (খাঁটি) মুসলিমের অধিকাংশ স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের মধ্যকার অধিক সত্যবাদী লোক সর্বাধিক সত্য স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। তিনি
উত্তর : এজন্য উভয়েই গোনাহগার হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘রক্ত সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুখারী হা/৫৯৮৪; মুসলিম হা/২৫৫৬; মিশকাত হা/৪৯২২)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা তোমাদের পিতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না (অর্থাৎ তাকে অস্বীকার করো
উত্তর : বৈধ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত প্রচলিত কোর্ট ম্যারেজ শরী‘আতসম্মত নয়। এরূপ সম্পর্ক যেনার শামিল (তিরমিযী হা/১১০২; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। এক্ষণে পূর্বের বিবাহটি যেহেতু সঠিক ছিল না; সেহেতু পরবর্তী বিবাহ ও সংসারের কারণে কোন গুনাহ
উত্তর : সশব্দে পড়ার কোন ছহীহ দলীল নেই (শাওকানী, নায়লুল আওত্বার ৩/৪৬)। অতএব ‘বিসমিল্লাহ’ নীরবে পড়বে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। প্রকাশ থাকে যে, ‘আঊযুবিল্লাহ’ কেবল ১ম রাক‘আতে পড়বে, বাকী রাক‘আতগুলিতে নয় (ফিক্বহুস সুন্নাহ পৃঃ ১/১১২; নায়ল পৃঃ ৩/৩৬-৩৯; ছা
উত্তর : ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব এবং কেউ ভুলে গেলে তাকে পুনরায় ওযূ করতে হবে। আল্লাহর বাণী ‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা ছালাতে দন্ডায়মান হবে, তখন (তার পূর্বে বে-ওযূ থাকলে ওযূ করার জন্য) তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় কনুই সমেত ধৌত কর এবং মাথা মাস
উত্তর : ছহীহ হাদীছ কখনো কুরআন বিরোধী হবে না। যদি কখনো পরস্পর বিরোধী মনে হয়ে থাকে, তবে সেটি আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার ফল। কেননা শরী‘আত প্রণেতার কোন বিধানে স্ববিরোধিতা নেই। আর রাসূল (ছাঃ) যা বলতেন তা অহী (নাজম ৫৩/৩-৪)। এক্ষণে কোন হাদীছ বাহ্যত
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হ’তে চারজন সাক্ষী উপস্থিত কর’ (নিসা ৪/১৫)। তিনি আরো বলেন, ‘আর যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি (ব্যভিচারের) অপবাদ দেয়। অথচ চারজন (প্রত্যক্ষদর্শী) সাক্ষী হাযির
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফায়ছালা করেন, তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয়ই এতে চিন্তা
উত্তর : এরূপ অবস্থায় যোহর ছালাত আদায় করবে। প্রয়োজনে যোহর-আছর জমা করবে (বুখারী হা/১১৭৪; দ্রঃ ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’ ১৮৮ পৃ.)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ১৬, বাক্বারাহ ২/২৮৬, আবুদাঊদ হা/৬৫০)।
উত্তর : নফল ছালাতের ক্ষেত্রে ছালাতরত অবস্থায় রাক‘আত কম বা বেশী করার নিয়ত পরিবর্তন করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘রাতের নফল ছালাত দুই দুই রাক‘আত। অতঃপর যখন তোমাদের কেউ ফজর হয়ে যাবার আশংকা করবে, তখন সে যেন এক রাক‘আত পড়ে নেয়। যা
উত্তর : ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় নারী নেতৃত্ব সিদ্ধ নয়। আল্লাহ বলেন, ‘পুরুষ জাতি নারী জাতির উপরে কর্তৃত্বশীল’ (নিসা ৪/৩৪)। রাসূল (ছাঃ) যখন অবগত হ’লেন যে, ইরানের জনগণ কিসরার কন্যাকে তাদের নেত্রী নির্বাচন করেছে। তখন তিনি বললেন, ‘ঐ জাতি কখনও সফলকাম হ’ত
উত্তর : নবী ও রাসূল দু’টি শব্দের অর্থই বার্তাবাহক। তারা সকলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বাণী প্রচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এক্ষণে উভয়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় সূরা হজ্জের ৫২ আয়াতে। তবে সে পার্থক্যের স্বরূপ নিয়ে মতভে
উত্তর : ‘অল্প খাদ্যগ্রহণকারী সর্বোত্তম’ মর্মের বর্ণনাটি ভিত্তিহীন (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৪৩)। অতঃপর প্রত্যেকেই সামর্থ্য অনুযায়ী হালাল খাদ্য খাবে। আল্লাহর শুকরিয়ার সাথে খেলে এতে আল্লাহ বেশী খুশী হন। তবে যদি সে কৃপণতা করে কিংবা নষ্ট করে, তাহ’লে তা অপ
উত্তর : এরূপ করা উচিত হবে না। কারণ এতে মুছল্লীদের খুশূ-খুযূ বিনষ্ট হয় এবং খুৎবা ও ছালাতের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয়। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সফলকাম হবে মুমিনগণ, যারা তাদের ছালাতে তন্ময়-তদ্গত (মুমিনুন ২৩/১-২)। অতএব জুম‘আর খুৎবায় প্রজেক্টর ব্যবহার থেকে বি
উত্তর : এখানে প্রশ্নকারীর বুঝতে ভুল হয়েছে। হাদীছটি বর্ণনা করেছেন প্রখ্যাত তাবেঈ সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (১৫-৯৪ হি.)। এখানে তিনি বলেন যে, প্রথম ফিৎনা অর্থাৎ ৩৫ হিজরীতে ওছমান হত্যাকান্ডের পর বদরী ছাহাবীদের আর কেউ বেঁচে ছিলেন না। দ্বিতীয় ফিৎনা অর্থাৎ
উত্তর : এতে দোষের কিছু নেই। আবু মূসা আশ‘আরী সর্বপ্রথম বছরার জামে‘ মসজিদে ওমর (রাঃ)-এর প্রশংসা করে খুৎবা প্রদান করলে যাববাহ বিন মিহছান প্রতিবাদ করে বলেন, আপনি কেবল ওমরের জন্য দো‘আ করলেন অথচ তাঁর সাথীর জন্য করলেন না। এক সময় ওমর (রাঃ) বিষয়টি জান
উত্তর : উক্ত মসজিদের সাথে মাযার না থাকলে সেখানে ছালাত আদায় করা জায়েয। কারণ কা‘বাগৃহ মুশরিকদের অর্থায়নে পুনর্নিমিত হ’লেও রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ ছালাত আদায় করেছেন (ইবনু হিশাম ১/১৯৭; আহমাদ হা/১৫৫৪৩; হাকেম হা/১৬৮৩; সনদ ছহীহ)। তবে মসজিদটি যদি
উত্তর : কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে তালাক দেওয়া এবং তাকে বিপদের মুখে নিক্ষেপ করা নিঃসন্দেহে অন্যায়। তবে তা নাজায়েয নয় (ছহীহাহ হা/২০০৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। এক্ষেত্রে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকে বায়েন দিলে মোহরানার টাকা পূর্বে না দিয়ে থাকলে স্ত্রী কেবল সেটিই প
উত্তর : এ বিষয়ে শরী‘আতের বিধান হ’ল গোফ ছাঁটা। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দশটি বিষয় হ’ল স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। তার মধ্যে গোঁফ ছাঁটা অন্যতম’ (মুসলিম হা/২৬১; মিশকাত হা/৩৭৯ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়)। আর চল্লিশ দিনের অধিক গোঁফ না ছেঁটে রাখা
উত্তর : উক্ত আয়াতে রাসূল (ছাঃ)-এর উপরে দরূদ পাঠের নির্দেশ রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা জুম‘আর দিন আমার উপর বেশী বেশী দরূদ পাঠ কর’ (আবুদাঊদ হা/১০৪৭; মিশকাত হা/১৩৬১)। উক্ত আয়াত ও হাদীছের আলোকে জুম‘আর খুৎবায় এটি পাঠ করা হয়ে থাকে। ইমাম আবু ইউসুফ (
উত্তর : ইমাম স্পষ্ট শিরকে জড়িত থাকলে কিংবা মসজিদ শিরক-বিদ‘আত যুক্ত হ’লে অন্য মসজিদে গিয়ে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। অধিক জ্ঞান অর্জন বা বড় জামা‘আতে অংশগ্রহণ করার জন্য অন্য মসজিদে যেতে কোন বাধা নেই (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/২৪১-২৪২)। কিন্তু আশেপা
উত্তর : কোন প্রাণীকে যদি কারেন্টে শক করে আর জীবিত অবস্থায় তাকে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবেহ করা সম্ভব না হয়, তাহ’লে তার গোশত খাওয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের গোশত, যেসব বস্ত্ত আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যব
উত্তর : এক্ষেত্রে মৃতের সকল সম্পদ বিক্রি করে হলেও পরিবারকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কারণ ঋণ পরিশোধ ব্যতীত মৃত্যুবরণ করলে হাশরের মাঠে নিজ নেকী থেকে ঋণের দাবী পূরণ করতে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৫১২৬ ‘আদব’ অধ্যায় ‘যুলুম’ অনুচ্ছেদ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুম
উত্তর : ভ্রূ অধিক ঘন হয়ে দৃষ্টির উপর পতিত হ’লে যে পরিমাণে সমস্যা সৃষ্টি করে ঐ পরিমাণটুকু কেটে ফেলা যায় (ফাতাওয়া উছায়মীন ১১/১৩৩, প্রশ্নোত্তর সংখ্যা ৬২)। কিন্তু কেবল সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভ্রূ উপড়িয়ে ফেলা বা কেটে ফেলা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরূপ না
উত্তর : একথা ঠিক নয়। বরং মুহাররম মাসের নবম ও দশম এ দু’দিন ছিয়াম পালন করাই সর্বোত্তম। কারণ রাসূল (ছাঃ) ইহূদীদের খেলাফ করার জন্য দশম দিনের সাথে নবম দিন যোগ করে মোট দু’দিন ছিয়াম পালনের আকাংখা প্রকাশ করেছিলেন (মুসলিম হা/১১৩৪; মিশকাত হা/২০৪১)। ইবনু
উত্তর : কোন বাধা নেই। যাদের পক্ষ থেকে বদলী হজ্জ ও ওমরাহ করা শরী‘আত সম্মত তারা হ’লেন, মৃত ব্যক্তি, অতি বৃদ্ধ, চির রোগী, এমন মহিলা যার সাথে মাহরাম নেই প্রমুখ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৫১১-১৩ ‘হজ্জ’ অধ্যায়)। আবু রাযীন আল-উকায়লী (রাঃ) বলেন,
উত্তর : শূকরের গোশত নিজেও খাওয়া যাবে না, অপরকেও খাওয়ানো যাবে না। কারণ এটিকে আল্লাহ হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২/১৭৩) এবং রাসূল (ছাঃ) মক্কা বিজয়ের দিন এর ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন (বুখারী হা/২২৩৬; মুসলিম হা/১৫৮১; মিশকাত হা/২৭৬৬)।
উত্তর : যদি মৃতের পিতা-মাতা বা ঊর্ধ্বতন কোন ওয়ারেছ না থাকে, তাহ’লে দুই স্ত্রী আট ভাগের এক ভাগ এবং বাকী সমুদয় সম্পত্তি ছেলেরা পাবে। আল্লাহ বলেন, আর তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে স্ত্রীরা সিকি পাবে, যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি থাকে, তবে
উত্তর : এক্ষেত্রে ভাই-বোন সর্বসম্মতিক্রমে তাকে কিছু বেশী দিলে তাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। তবে সম্মতি না দিলে কোন কম-বেশী করার সুযোগ নেই। কেননা প্রত্যেকের প্রাপ্য হক পবিত্র কুরআনে নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে (নিসা ৪/১১)।
উত্তর : ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে তাঁর জুতায় নাপাকী লেগে থাকার বিষয়টি জানতে পারলে জুতা ছুঁড়ে ফেলেন। কিন্তু ছালাত পুনরায় আদায় করেননি (আবুদাউদ হা/৬৫০; মিশকাত হা/৭৬৬)।
উত্তর : উক্ত হাদীছে বর্ণিত ১২ জন খলীফা সম্পর্কে ওলামায়ে কেরাম মতভেদ করেছেন। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, এর দ্বারা ন্যায়পরায়ণ শাসকদের বুঝানো হয়েছে, যাদের অনেকে পূর্বে গত হয়েছেন এবং ক্বিয়ামতের পূর্বে অবশিষ্টদের দ্বারা পূর্ণতা লাভ করবে (শারহুন নববী ‘আ
উত্তর : ইসলামে কোন দিবস পালন নেই। প্রচলিত বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান বিজাতীয় অনুকরণ মাত্র। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এমন কোন দিবস পালনের নযীর নেই। সুতরাং মুসলমানদের এসব থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের স
উত্তর : শরী‘আতের কোন বিধানের কারণ তালাশ করা অন্যায়। বরং নির্বিবাদে মেনে নেওয়ার মধ্যেই বান্দার কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এক্ষণে ফরয গোসলের তাৎপর্য এটাই হ’তে পারে যে, বীর্য পুরো দেহ শোষণ করে বের হয় এবং তাতে শরীর ও মন উভয়টিই দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রতিটি লো
উত্তর : বিবাহ করা হয় স্থায়ীভাবে বসবাসের নিয়তে। তালাকের নিয়তে বিবাহ করা হারাম। ইসলামের প্রাথমিক যুগে সাময়িক বিবাহ জায়েয ছিল। কিন্তু মক্কা বিজয়ের দ্বিতীয় দিন তা ক্বিয়ামত পর্যন্ত চিরতরে হারাম করা হয় (মুসলিম হা/১৪০৬ (২১)। কিন্তু শী‘আ রাফেযীরা এখন
উত্তর : কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নিযুক্ত হওয়া যাবে। কারণ কমিশনটি হ’ল পারিশ্রমিকের অন্তর্ভুক্ত। তবে এক্ষেত্রে তাক্বওয়া অবলম্বন করবে এবং কোন ধরনের ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিবে না। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘আমরা যাকে মজুরীর বিনিময়ে কোন কাজে নিযুক্ত করি
উত্তর : এরূপ নিকৃষ্ট কর্মে লিপ্ত ব্যক্তির উপর বিচারক পরিস্থিতি অনুপাতে শাস্তি প্রদান করবেন। তবে তার উপর ‘হদ’ নেই। আর পশুটিকে হত্যা করতে হবে (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ১৪/২৪৬; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৯/৬২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পশুর সাথে কুকর্
উত্তর : এরূপ কোন নির্দেশনা ছহীহ বুখারী বা অন্য কোন হাদীছ গ্রন্থে নেই। তথ্যদাতা সম্ভবতঃ হজ্জের বিধান সংশ্লিষ্ট ছহীহ বুখারীর একটি হাদীছ দেখে ভ্রমে পতিত হয়েছেন। হাদীছটি হ’ল- আব্দুল্লাহ ইবনু মা‘ক্বিল (রহঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি কা‘ব ইবনু উজর
উত্তর : শরী‘আতসম্মত কাজের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত যেকোন কোম্পানীতে চাকুরী করা যাবে। যদিও তার মজুরী সূদযুক্ত অর্থ দিয়ে প্রদান করা হয়। আর এজন্য দায়ী হবে উক্ত সূদ গ্রহীতা কোম্পানীর মালিক (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৫/৫৯)। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি য
উত্তর : একাকী বা নির্জনে এমন পোষাক তাক্বওয়া এবং শালীনতার পরিপন্থী বিধায় পরিধান করা উচিৎ নয়। বাহয ইবনু হাকীম থেকে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের ঢেকে রাখার অঙ্গসমূহ কার সামনে
উত্তর : ইসলাম গ্রহণই সর্বপ্রথম করণীয়। পিতা-মাতা যদি শিরকের আদেশ দেন তবে তা মানার সুযোগ নেই, যদিও তাদের সাথে স্বাভাবিক সদাচরণ করতে হবে। আললাহ বলেন, ‘আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে চাপ দেয় আমার সাথে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই,
উত্তর : এটি হাদীছ হিসাবে বহুল প্রচলিত, কিন্তু হাদীছ নয়। বরং একটি উপদেশমূলক কাহিনী। উক্ত কাহিনী বিভিন্ন গল্প ও সাহিত্যের বইপত্রে পাওয়া যায় (জাহিয, আল-মাহাসিন ওয়াল আযদাদ ১/৬০; যামাখশারী, রবী‘ঊল আবরার ৪/৩৪০; আত-তাযকিরাতুল হামদুনিয়া ৩/৪৯; মুবাররা
উত্তর : বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে সে দেশেরই কোন হকপন্থী সালাফী সংগঠনের সাথে জড়িত হওয়া যায়। সেটি সম্ভব না হ’লে স্বদেশে অবস্থিত অনুরূপ কোন সংগঠনের শাখা গঠন করে কাজ করা যেতে পারে। সেটিও সম্ভব না হ’লে বাংলা ভাষাভাষীদের নিয়ে পৃথক সালাফী জামা‘আত গঠন
উত্তর : শহীদগণ কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না এবং কবরের যাবতীয় ফিৎনা থেকে রক্ষা পাবেন। জনৈক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! শহীদ ব্যতীত সকল মুমিনই কবরের ফিৎনায় পতিত হবে। এর কারণ কি? তিনি বললেন, তার মাথার উপর তরবার
উত্তর : ক্রোধ মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য ষড়রিপুর অন্যতম। যা নিয়ন্ত্রণে রাখা অতীব যরূরী। মুত্তাক্বীদের পরিচয় বর্ণনায় আল্লাহ বলেন, ‘যারা সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা সর্বাবস্থায় (আল্লাহর রাস্তায়) ব্যয় করে, ক্রোধ দমন করে ও মানুষকে ক্ষমা করে’ (আলে ইমরান ৩/১৩৪)।
উত্তর : কুরআনে বর্ণিত ‘রাক্বীবুন ‘আতীদ’ ‘সদা প্রস্ত্তত প্রহরী’ (ক্বাফ ১৭-১৮) কোন ফেরেশতার নাম নয়, বরং এর দ্বারা দু’জন বা একদল সম্মানিত লেখক ফেরেশতাকে বুঝানো হয়েছে, যাঁরা প্রত্যেক মানুষের সাথে থাকেন। যাঁরা মানুষের ভাল-মন্দ আমল লিখেন। তাদের হেফায
উত্তর : যারা কুরআন মুখস্থ করে ও অর্থ অনুধাবন করে এবং তদনুযায়ী আমল করে তারাই মূলতঃ আহলে কুরআন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কতক লোক আহলে কুরআন। ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তিনি বলেন, কুরআন তেলাওয়াতকারীগণ আহলে কুরআন এবং তাঁর বিশে
উত্তর : ঢোক নয় বরং অধিকতর গ্রহণযোগ্য মতে, পৃথক পৃথক সময়ে পাঁচবার দুধ পান করালেই একজন নারী দুধ মা হিসাবে সাব্যস্ত হবেন (মুসলিম হা/১৪৫১; মিশকাত হা/৩১৬৭; আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/১১২-১১৩, ১৩/৪২৭)। অন্য বর্ণনায় আছে, ‘একবার বা দু’বার দুধপান অথবা এক চুমুক বা দু
উত্তর : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড়ে কোন পার্থক্য নেই। উভয়কে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৩৫)। মহিলাদের জন্য প্রচলিত পাঁচ কাপড়ের হাদীছ যঈফ (আবূদাঊদ হা/৩১৫৭, সনদ যঈফ)।
উত্তর : কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী জায়েয হবে। তবে বাস্তবতায় তা মিথ্যা ভাউচার প্রদানের নামান্তর। এক্ষণে কোম্পানী যদি দিন হিসাব করে গড়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দুপুরে খাবার জন্য প্রদান করে এবং কর্মীরা সেখান থেকে ইচ্ছামত কম-বেশী খরচ করে, সেক্ষেত্
উত্তর : ছহীহ হাদীছের প্রমাণ ব্যতীত কুরআনের নির্দিষ্ট কোন আয়াত নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ও নির্দিষ্টবার পাঠ করা যাবে না। এটা বিদ‘আত। তবে কুরআন মানসিক ও শারীরিক ব্যাধির মহৌষধ (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৪/৩২২-৩২৩)। তাই কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ
উত্তর : কোন অবস্থাতেই সত্য গোপন বা নিফাকের আশ্রয় গ্রহণ করা যাবে না। হিকমত বলতে প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান কর প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে’ (নাহল ১৬/১২৫)। ‘হিকমত’
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। এর ব্যাখ্যায় ত্বীবী বলেন, এর দ্বারা চেহারায়, চরিত্রে ও পোষাকে সাদৃশ্য বুঝানো হয়েছে। তবে পোষাকে সাদৃশ্যই প্রধান’। ম
উত্তর : ছালাতের ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে এ থেকে বেঁচে থাকা উত্তম। কেননা এর দ্বারা সত্যিকার অর্থে কাঁধ ঢাকা হয় না। আর উভয় কাঁধ পূর্ণরূপে ঢেকে রাখাই সুন্নাত (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৭৫৪)। অতএব সতর ঢাকার স্বার্থে পাতলা কাপড় নারী-পুরুষ
উত্তর : এরূপ ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা জায়েয নয়। আল্লাহ বলেন, ‘নবী ও মুমিনের উচিত নয়, মুশরিকদের মাগফিরাত কামনা করা, যদিও তারা আত্মীয় হয়। এ কথা স্পষ্ট হওয়ার পর যে, তারা জাহান্নামী’ (তওবা ৯/১১৩)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার রাসূল (ছাঃ
উত্তর : কুরবানী সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। এটি যাকাত ফরয হওয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী না করলে রাসূল (ছাঃ) তাদেরকে ঈদগাহে যেতে নিষেধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩১২৩; হাকেম হা/৩৪৬৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৮৭)। এটা ওয়াজিব নয় য
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, অবশ্যই তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে। নইলে সত্বর আল্লাহ তার পক্ষ হ’তে তোমাদের উপর শাস্তি প্রেরণ করবেন। অতঃপর তোমরা দো‘আ করবে, কিন্তু তা আর কবুল করা হবে না’ (তিরমিযী হা/২১৬৯; মিশকাত হা/৫১৪০)। অন্য
উত্তর : কাহিনীটি ভিত্তিহীন। তবে এটি বিভিন্ন গল্প ও সাহিত্যের বইপুস্তকে পাওয়া যায় (জাহিয, আল-মাহাসিন ওয়াল আযদাদ ১/৬০; যামাখশারী, রবী‘ঊল আবরার ৪/৩৪০; মুবাররাদ, আল-কামিল ফিল আদাব ২/১৫৬)। তাই রাসূল (ছাঃ)-এর নামে উক্ত কাহিনী বর্ণনা করার কোন সুযোগ নেই। র
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত দো‘আটি জনৈক ছাহাবী পাঠ করলে রাসূল (ছাঃ) তার ফযীলত বর্ণনা করে বলেন, আমি বিস্মিত হ’লাম যে, তার জন্য আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হ’ল (মুসলিম হা/৬০১; মিশকাত হা/৮১৭)। এটি প্রমাণ করে যে, দো‘আটি রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক অনুমোদিত। তবে দ
উত্তর : এভাবে ছালাত কবূলযোগ্য হবে না। কারণ আল্লাহ অজান্তে কৃত অপরাধ ক্ষমা করতে পারেন। কিন্তু স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ জানা সত্ত্বেও কেবল মাযহাবী গোঁড়ামীর কারণে তা ছেড়ে দিলে অবশ্যই সে ব্যক্তি গোনাহগার হবে। কেননা ইবাদত কবূলের শর্ত ২টি। (১) ইখলাছ থাকা
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরলে গোনাহগার হ’তে হবে। হাদীছে পোশাক ঝুলিয়ে টাখনু বা গোড়ালীর নীচে পরতে নিষেধ করা হয়েছে। তা জুববা, পায়জামা বা লুঙ্গী হ’লেও বিধান একই থাকবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘টাখনুর নীচে কাপড়ের যতটুকু যাবে, ততটুকু
উত্তর : ঈদগাহে আদায়কৃত অর্থ মূলতঃ ঈদগাহের উন্নয়নে ব্যয় করবে। উদ্বৃত্ত অর্থ সমাজ কল্যাণমূলক যে কোন খাতে ব্যয় করা যাবে (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৬/৩১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩১/১৮,২০৬-২০৭)।
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাটি জাল। যা শী‘আ রাফেযীরা আলী (রাঃ)-এর প্রতি অতিভক্তির আতিশয্যে তৈরী করেছে (সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৯২১)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, কতিপয় মহামিথ্যুক বর্ণনা করেছে যে, আলী (রাঃ) ছালাতরত অবস্থায় হাতের আংটি দান করলে সূরা মায়েদাহ ৫৫
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআনে বা হাদীছে কোন বর্ণনা নেই। তবে একদল বিদ্বান মনে করেন, যেমনভাবে শহীদগণ কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না’ (নাসাঈ হা/২০৫৩), তেমনি নবীগণও কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না (ইবনুল ক্বাইয়িম, কিতাবুর রূহ ১/৮১-৮২)।
উত্তর : ভারসাম্য বজায় রেখে উভয়টিই করতে হবে। নিঃসন্দেহে পরিবারের হক আদায় করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইবাদতের পরেই পিতা-মাতার সেবা করার আদেশ দিয়েছেন (ইসরা ১৭/২৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমার উপর তোমার দেহের হক আছে, চক্ষুদ্বয়ের হক
উত্তর : পাপমুক্তির জন্য এরূপ চেষ্টা ও পরিকল্পনা প্রশংসনীয়। তবে এতে সত্যিকার পাপমুক্তি ঘটবে না। কেননা এক্ষেত্রে শিরক-বিদ‘আত ও হারামযুক্ত কার্যাবলী বন্ধ করে কেবল বৈধ ও শিরক-বিদ‘আত মুক্ত কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং যদি ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন
উত্তর : আহলে কিতাব তথা ইহূদী এবং খৃষ্টানদের যবেহ করা হালাল পশু খাওয়া জায়েয, যদি তারা যবহের সময় আল্লাহর নাম নেয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর আহলে কিতাবদের যবেহকৃত পশু তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের যবেহকৃত পশু তাদের জন্য হালাল’ (মায়েদাহ ৫/৫)। যবেহের সময় ‘ব
উত্তর : ‘খলীফা’ অর্থ প্রতিনিধি বা স্থলাভিষিক্ত। মানুষকে যেহেতু জিন জাতির পর পৃথিবীকে আবাদ করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, সেহেতু তাদেরকে খলীফা বা জিন জাতির স্থলাভিষিক্ত বলা হয়েছে (তাফসীর ত্বাবারী হা/৬০১, ১/৪৫০)। ইবনু কাছীর বলেন, এর দ্বারা এমন জাতিক
উত্তর : হাদীছটি মুসনাদে আহমাদ (হা/৬৫৭৫), আবুদাঊদ (হা/২৭৮৯), নাসাঈ (হা/৪৪৩৯), ছহীহ ইবনে হিববান (হা/৫৯১৪), ত্বাবারাণী মু‘জামুল কাবীর (হা/১৫৭, ১৫৮), সুনান দারাকুৎনী (হা/৪৭৪৯), হাকেম মুস্তাদরাক (হা/৭৫২৯), বায়হাক্বী সুনানুল কুবরা (হা/১৯০২৮-২৯) প্র
উত্তর : এটি ক্বিয়ামতের আলামতসমূহের অন্যতম, যা এখনও প্রকাশিত হয়নি। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবনু নাওফাল (রহঃ) বলেন, আমি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় তিনি বললেন, মানুষ বিভিন্নভাবে দুনিয়াবী সম্পদ উপার্জনে ব্যস্ত থাকবে। আমি ব
উত্তর : এরূপ নিয়ত শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ দৈহিক ইবাদত অন্যের উপকারে আসে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘মানুষের জন্য ততটুকুই প্রাপ্য, যতটুকুর জন্য সে চেষ্টা করে’ (নাজম ৫/৩৯)। তবে নির্দিষ্ট কিছু নেকীর কাজ রয়েছে যা একজন পালন করে অন্যজনকে পৌঁছাতে পারে। যেমন-
উত্তর : এভাবে শ্রেণী বিন্যাসের কোন শারঈ ভিত্তি নেই। তাছাড়া এতে কিছু বাড়াবাড়ি রয়েছে। কারণ ঘুমের মৌলিক বিষয় হ’ল সেটি জায়েয এবং যেকোন সময় যেকোন কারণে তা হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম হ’ল রাত্রি ও দিবাভাগে তোমাদের নিদ্রা
উত্তর : উক্ত বিবাহ শরী‘আতসম্মত হয়নি। কারণ আপনার মামা আপনার দুধভাই। যেমন হামযা (রাঃ) চাচা হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর দুধভাই। আর দুধ ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বংশীয় সূত্রে যে সকল মহিলাকে বিবাহ করা হারাম, দুগ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতের অনুবাদ হ’ল- ‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণ। যারা ছালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং তারা হয় বিনয়ী’। অত্র আয়াতে ওলী বলে আল্লাহ, রাসূল ও মুমিনদের বুঝানো হয়েছে। আর মুমিনদের বৈ
উত্তর : এটি শরী‘আত সম্মত নয়। কেননা হজ্জের সময় আরাফাহ ময়দানে রাসূল (ছাঃ) বা সালাফে ছালেহীন দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করেছিলেন মর্মে কোন দলীল নেই। বরং আরাফাহ ময়দানে প্রত্যেকে একাকী আল্লাহর দরবারে বিনয়ের সাথে ক্ষমাপ্রাপ্তির আশায় প্রার্থনা করবে। রাসূল (
উত্তর : ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। রাজনীতি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই এটি পূর্ণাঙ্গ (বাক্বারাহ ২০৮; মায়েদাহ ৩)। কিন্তু মুসলিম রাষ্ট্রনেতাদের হাতেই এর রাজনীতি ও অর্থনীতি উপেক্ষিত। অথচ দু’টি পরস্পরে সম্পর্কিত।ইসলামী অর্থনীতি এবং প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিং
উত্তর : হ্যাঁ সুন্নাত। কারণ রাসূল (ছাঃ) নিজে খুৎবা দিতেন এবং তিনিই ইমামতি করতেন। ইবনু কুদামা বলেন, সুন্নাত হ’ল যিনি খুৎবা দিবেন তিনিই ইমামতি করবেন। কেননা নবী করীম (ছাঃ) উভয়টি নিজেই করতেন। অনুরূপভাবে পরে খুলাফায়ে রাশেদীনও এমনটি করেছেন। তবে ওযর
উত্তর : এটি হায়েয হিসাবে গণ্য হবে না। বরং প্রদর রোগ। অতএব ছিয়াম পালনে কোন বাধা নেই। ‘হায়েয’ বলা হয় প্রবহমান রক্তকে, যা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবিরতভাবে নির্গত হয়। কিন্তু প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়টি তা নয়। উছায়মীন বলেন, এ অবস্থায় তার ছিয়াম সঠিক। কারণ
উত্তর : হাদীছটি বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ফেরাঊনকে যখন পানিতে ডুবিয়ে দিলেন তখন সে বলল, ‘আমি ঈমান আনলাম তার প্রতি, যার উপর বনু ইসরাঈল ঈমান এনেছে। নিশ্চয়ই তিনি ব্যতীত
উত্তর : এটি বিদ‘আতী কাজ। রাসূল (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কারো পানি বা অন্য কিছু দ্বারা বরকত হাছিলের কামনা করা বিদ‘আত (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৬৭; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/৬৫)। ইমাম শাত্বেবী বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর তাঁর ছাহাবীগণ এমনকি চার খলীফ
উত্তর : মুওয়াযযিন আযান ও ইক্বামত দিলে শয়তান বায়ু নিঃসরণ করতে করতে পালিয়ে যায়’ (বুখারী হা/৬০৮; মুসলিম হা/৩৮৯; মিশকাত হা/৬৫৫)। কিন্তু শয়তান তাড়ানোর জন্য পৃথকভাবে আযান দেওয়ার কোন বিধান নেই। তবে এজন্য ‘আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজীম’ পাঠ করা যায় (বুখ
উত্তর: যদি কোন ঋণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা আবশ্যিক হয়, তাহ’লে হজ্জের উপর ঋণ পরিশোধ প্রাধান্য পাবে। কেননা হজ্জ ফরয হওয়ার আগেই ঋণ হয়েছে। কিন্তু যদি তা দীর্ঘমেয়াদী ঋণ হয়, সেক্ষেত্রে ব্যক্তি যদি মনে করে যে, ঋণ পরিশোধের মেয়াদে সে তা পরিশোধ করতে পা
উত্তর : ইবাদত করার জন্য অধিকতর কষ্টকর অবস্থাকে ছওয়াব হাছিলের লক্ষ্য বানানো শরী‘আতসম্মত নয়। এতে কোন ছওয়াব নেই। কেননা কৃচ্ছ্রতা সাধন ইসলামী ইবাদতের ঈপ্সিত লক্ষ্য নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ
উত্তর : নাঊযুবিল্লাহ! ইমাম বুখারী (রহঃ)-কে কাফের আখ্যায়িত করার প্রশ্নই আসে না। আলবানীসহ সকল যুগের বিদ্বানগণের নিকট ইমাম বুখারী (রহঃ) পরম শ্রদ্ধার পাত্র। মূলতঃ বিষয়টি যে প্রসঙ্গে উত্থাপিত হয়েছে তা হ’ল, আল্লাহর বাণী ‘সব কি
উত্তর : সাধারণভাবে আইনী সহায়তা কোন নাজায়েয পেশা নয়। তবে সেখানে সর্বদা সত্যকে বিজয়ী করা, যুলুমের প্রতিরোধ করা এবং মানুষকে তার হক ফেরত দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হয় এবং অপরাধী ছাড়া না পায়। আল্লাহ বলে
উত্তর : আশূরা উপলক্ষে ফেরাঊনের কবল থেকে নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে দু’দিন নফল ছিয়াম রাখা ব্যতীত আর সকল কর্মই বিদ‘আত। অতএব এ উপলক্ষে শী‘আ বা সুন্নীদের যেকোন অনুষ্ঠান বা খাদ্য ভক্ষণ সবই নাজায়েয (দ্রঃ ‘আশূরায়ে মুহাররম ও আমাদের করণীয়’ পুস্তিকা)। এ
উত্তর : কুরআন ও হাদীছের ছেঁড়া পাতা ও বই-পুস্তক পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কুরআন ও হাদীছ অতীব পবিত্র ও সম্মানের বস্ত্ত। এগুলির ছিন্ন পাতা বা কিতাব কোনভাবে যাতে অসম্মানিত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্ভবতঃ ছাহাবায়ে কেরাম এগুলি পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্
উত্তর : না। এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি হ’ল- আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা কি মনে কর যে, আমার দৃষ্টি (কেবল) ক্বিবলাহর দিকে? আল্লাহর কসম! আমার নিকট তোমাদের খূশু (বিনয়) ও রুকূ কিছুই গোপন থাকে না। অবশ্যই আমি আমার পেছন হতেও তোমাদে
উত্তর : এভাবে নির্দিষ্ট ওয়াক্তে উক্ত সূরা দু’টি আজীবনের জন্য বেছে নেওয়ার কোন দলীল নেই। বরং তার জন্য কুরআনের যে অংশ সহজ হবে তা পাঠ করবে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৭৯০)। তবে ছালাতে সাময়িকভাবে একই সূরা বা একই আয়াত বারবার পড়া যায় (আবুদাঊদ হা/৮১৬; ইবন
উত্তর : ‘রাসূল পরিবার’ (أَهْلُ الْبَيْتِ) বলতে তাঁর স্ত্রীগণ এবং আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইনকে বুঝানো হয়’ (মুসলিম হা/২৪২৪)। যারা ছিলেন উম্মতের সবচেয়ে মর্যাদাবান পরিবার। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী পরিবারের সদস্যগণ! আল্লাহ চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর
উত্তর : আপনা-আপনি তালাক হবে না। ওযর ব্যতীত স্বামী স্ত্রী থেকে দূরে থাকলে বা কোন ধরনের খোঁজ-খবর না নিলে স্ত্রী আদালত বা সমাজের দায়িত্বশীল নেতার মাধ্যমে ‘খোলা’ করে বিচ্ছিন্ন হ’তে পারে (বুখারী, মিশকাত হা/৩২৭৪)। তবে স্বামী যদি কোন ইঙ্গিত ছাড়াই নি
উত্তর : কথাটি শরী‘আতসম্মত নয়। বরং এটাই বলা উচিৎ যে, যতটুকু জানো ততটুকু আমল কর। বস্ত্তত দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা ফরযে ‘আয়েন, যা সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যিক (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; মিশকাত হা/২১৮)। অর্থাৎ ইসলামের পাঁচটি বুনিয়াদী ফরয এবং তাওহীদ ও
উত্তর : আল্লাহর উপর ভরসা রেখে গাছ বা গাছের পাতা ঔষধ হিসাবে দেহের যেকোন স্থানে লাগানো বা সেবন করায় কোন বাধা নেই। তবে আরোগ্য লাভের ধারণায় শরীরে কোন কিছু ঝুলালে তা শিরক হবে। চাই তা তাবীয হোক বা অন্য কিছু হোক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শরীরে
উত্তর : বলা যাবে। কারণ তারা কাফেরদের নির্মম যুলুমের মুখে জীবন বাঁচাতে ও দ্বীন রক্ষার্থে বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পত্তি ফেলে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। নববী যুগে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীগণও জীবন ও দ্বীন রক্ষার্থে হাবাশা ও মদীনায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উত্তর : কাপড়ে কোন অপবিত্র বস্ত্ত লেগে না থাকলে তা পবিত্র বলে গণ্য হবে ইনশাআল্লাহ (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৮৬)।
উত্তর : একজনের জায়গা থাকলে একজন সামনে যাবে ও আরেকজন পিছনে একাকী দাঁড়াবে (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিইয়াহ ১/৪৩৩; আলবানী, যঈফাহ হা/৯২২-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। উল্লেখ্য যে, পিছনে একাকী ছালাত আদায় করার কারণে রাসূল (ছাঃ) জনৈক ছাহাবীকে পুনরায় ছালাত
উত্তর : উক্ত মর্মে প্রচলিত বর্ণনাটি মওযূ‘ (ইবনু হিববান, আল-মাজরূহীন ২/২৫৭; ইবনুল জাওযী, আল-মাওযূ‘আত ৩/১৪; হায়ছামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১২৪৩৩)।
উত্তর : ক্যাঙ্গারুর গোশত খাওয়া হালাল। কারণ তা হিংস্র বা তীক্ষ্ণ দন্ত ও নখর বিশিষ্ট নয়। ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জন্তু এবং ধারালো নখ বিশিষ্ট পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম হা/১৯৩৪; মিশকাত হা/৪১০৫)। আর শরী‘আতের বিধান
উত্তর : যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ বিতর রেখে ঘুমিয়ে গেলে অথবা ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে অথবা যখন ঘুম থেকে জাগবে, তখন সে যেন বিতর পড়ে নেয়’ (তিরমিযী হা/৪৬৫; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৮; মিশকাত হা/১২৭৯)। রাসূল (ছাঃ) কারণবশতঃ সুন্নাত পড়তে না পারলে পরে তা আদায়
উত্তর : এরূপ প্রতিযোগিতা স্রেফ অপচয়ের শামিল। আল্লাহ বলেন, তোমরা খাও ও পান কর। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না (আ‘রাফ ৭/৩১)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা খানা-পিনা হালাল করেছে
উত্তর : রাখা যাবে না। বরং শব্দবিহীন ঘড়ি রাখবে। রাসূল (ছাঃ) ঘণ্টাধ্বনিকে শয়তানের বাঁশী বলে আখ্যায়িত করেছেন (আবুদাঊদ হা/২৫৫৬)।
উত্তর : ইমাম ছাহেবের সহো সিজদা প্রদান সঠিক হয়েছে। কারণ সহো সিজদা ফরয-নফল সকল ছালাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের কারো ছালাতের মাঝে ভুল হয়ে গেলে সে যেন দু’টি সিজদা করে (মুসলিম হা/৫৭২)। এ হাদীছে ফরয বা নফলের মধ্যে পার্থক্য করা হয়
উত্তর : অলসতাবশতঃ ছালাত ত্যাগ করলে সম্পদের অংশ দেওয়া যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৪৯-৫০)। আর যদি ছালাতকে বিশ্বাসগতভাবে অস্বীকার করে, তাহ’লে সে কাফির হিসাবে গণ্য হবে এবং মুসলিম পিতা বা আত্মীয়ের সম্পদে অংশীদার হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিম কোন
উত্তর : সে ক্ষমা পাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ তিন ব্যক্তির উপর থেকে শরী‘আতের বিধান পালনের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে পাগল অন্যতম (আবুদাঊদ হা/৪৪০১; মিশকাত হা/৩২৮৭)। কিয়ামতের দিন তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলবে, হে আল্লাহ আম
উত্তর : এভাবে হক কথা বলায় শ্বশুর অসন্তুষ্ট হ’লে তাতে দোষ নেই। তবে বাড়াবাড়ি করে থাকলে সেটা ঠিক হয়নি। কন্যা সন্তানদের বঞ্চিত করায় পিতা অবশ্যই গুনাহগার হবেন। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ
উত্তর : কামনামুক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ব্যবসা করবে ও গাড়ী চালাবে এবং সাধ্যমত দৃষ্টি অবনমিত রাখবে। এরূপ করলে চোখের গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে
উত্তর : করা যাবে (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৬/৩১)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, এক মসজিদের অতিরিক্ত অর্থ অন্য মসজিদে বা নিকটতম দরিদ্রদের মধ্যে ছাদাকা করে দিবে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩১/১৮,২০৬-২০৭)।
উত্তর : যামানতের অর্থ শপিং মল নির্মাণে ব্যয় হয়ে গেলে তার যাকাত দিতে হবে না। কিন্তু গচ্ছিত থাকলে, নিছাব পরিমাণ হ’লে এবং তাতে ১ বছর পূর্ণ হ’লে আমানতদারগণ তার যাকাত দিবেন।
উত্তর : ছালাতে বা ছালাতের বাইরে কোন সময়ই ছবিযুক্ত পোশাক পরিধান জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) প্রাণীর ছবিযুক্ত কোন কিছু দেখলে তা বিনষ্ট করে দিতেন (বুখারী হা/৫৯৫২; মিশকাত হা/৪৪৯১)। এক্ষণে বাধ্যগত অবস্থায় ছবিযুক্ত পোষাক পরিধান করতে হ’লে ছালাতের সময় সেটি আবৃ
উত্তর : সঠিক হয়েছে এবং এতে কোন দোষ নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ৩১/২১৭-২১৮)। মসজিদের দোকানপাটে শরী‘আত বিরোধী কোন প্রকার গান-বাজনা, অশ্লীল ছবি ও অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
উত্তর : বর্তমান সমাজে অশ্লীলতা প্রসারের অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেগানা নারী-পুরুষের সহাবস্থান। তাই এরূপ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না করাই উত্তম। বাধ্যগত অবস্থায় এসব স্থানে চাকুরী করতে হ’লে তাকে সাধ্যমত পূর্ণ পর্দা ও তাক্বওয়া বজায় রেখ
উত্তর : বৈমাত্রেয় বোন স্বীয় পিতার ঔরসজাত হ’লে উক্ত বিবাহ বাতিল হিসাবে গণ্য হবে। কারণ সৎ বোনের মেয়েকে বিবাহ করা হারাম। এক্ষণে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ করে আলাদা হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সন্তান কোলের শিশু হ’লে অন্যত্র বিবাহ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মায়ের প
উত্তর : এরূপ দো‘আ করার কোন সুযোগ নেই। কারণ এর মাধ্যমে জান্নাতে পরপুরুষের স্ত্রীর সঙ্গ কামনা করা হবে, যা গুনাহের শামিল। বরং নেককার স্বামী তার নিজ স্ত্রীর সঙ্গ লাভের জন্য দো‘আ করতে পারে। কারণ সতী-সাধ্বী নারী তার নেককার স্বামীর সাথে জান্নাতে থাক
উত্তর : আতর ব্যবহার করা রাসূল (ছাঃ)-এর অভ্যাসগত সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, ‘দুনিয়ার মধ্যে আমার কাছে স্ত্রী ও আতরকে প্রিয় করা হয়েছে’ (আহমাদ হা/১২৩১৫; নাসাঈ হা/৩৯৩৯, ছহীহুল জামে‘ হা/৩১২৪)। এক্ষণে বাড়াবাড়ির বিষয়টি আপেক্ষিক। সম্পদশালী
উত্তর : আদায় করা যাবে। তবে সেটি সুন্নাতের বিরোধী হবে। কেননা সূর্যাস্তের সাথে সাথেই রাসূল (ছাঃ) মাগরিবের ছালাত আদায় করতেন (নাসাঈ হা/৫২৭)। রাফে‘ বিন খাদীজ (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে মাগরিবের ছালাত আদায় করতাম। অতঃপর আমাদের কেউ ফিরে যাওয়ার
উত্তর : ঘটনাটি বানোয়াট কাহিনী মাত্র। শী‘আদের বইসমূহে কাহিনীটি সনদবিহীনভাবে বর্ণিত হয়েছে (মুহাম্মাদ ছালেহ আল-হুসাইনী, আল-মানাক্বিবুল মুরতাযাবিইয়াহ পৃ. ৩৬৪)। যা অগ্রহণযোগ্য।
উত্তর : ইমামতি করবে না বা ইক্বামত দিবে না। এ ব্যাপারে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল বিদ্বান একমত যে, নারীরা ৎংরুষের ইমামতি করতে পারবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/২৫৫; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ২/১৪৬; ইবনু হাযম, মুহাল্লা ২/১৬৭)। আল্লাহ বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের উপর কর
উত্তর : সর্বদা নয়, মাঝে-মধ্যে করতেন (ইবনু মাজাহ হা/৪১২৬; ছহীহাহ হা/৩০৮; মিশকাত হা/৫২৪৪)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, এর অর্থ হ’ল ‘আমাকে ভীত ও বিনয়ী হিসাবে বাঁচিয়ে রাখুন’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৩২৬, ৩৫৭)। ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঐ দীনত
উত্তর : দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবীদের সংখ্যা অনেক। তন্মধ্যে ১- ১০ জন ‘আশারায়ে মুবাশশারাহ’ নামে খ্যাত। তাঁরা হ’লেন, (১) আবুবকর ছিদ্দীক (২) ওমর (৩) ওছমান (৪) আলী (৫) ত্বালহা (৬) যুবায়ের (৭) আব্দুর রহমান বিন ‘আওফ (৮) সা‘দ বিন আবু
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলির কোনটি জাল কোনটি যঈফ (ইবনু হাজার, নাতাইজুল আফকার ৫/৫৬; ইবনুল জাওযী, আল-আহাদীছুল ওয়াহিয়াহ হা/৭৯৬; সিলসিলা যঈফাহ হা/২১৫, ৩৮০৪)।
উত্তর : শরী‘আতে এর কোন ভিত্তি নেই।
উত্তর : সুন্নাতে খাৎনা করার নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে সাবালক হওয়ার পূর্বে করাই উত্তম (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/৩০৩)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, খাৎনা যখন ইচ্ছা করা যায়। তবে সাবালক হওয়ার পূর্বেই করা উচিৎ যেমনটি আরবরা করে থাকে... (আল-ফাতাওয়াল কুব
উত্তর : সাধারণভাবে জামা‘আতে ছালাত আদায় করার সময় দুই পিলারের মাঝে কাতার করা যাবে না। কারণ এতে কাতারে বিছিন্নতা আসে (ইবনু মাজাহ হা/১০০২; ছহীহাহ হা/৩৩৫)। তবে ভীড়ের কারণে বাধ্যগত অবস্থায় এভাবে দাঁড়ালে ছালাত সিদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। আব্দুল হামীদ বি
উত্তর : এরূপ কথা ভিত্তিহীন। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম হ’ল আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান (মুসলিম হা/২১৩২; মিশকাত হা/৪৭৫২)। অতএব ‘আবদ’ যুক্ত নাম রাখাই উত্তম। এতে বান্দার বার বার স্মরণ হবে যে, সে আল্লাহর দাস। তবে কেবল রহম
উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ : ‘তোমরা আল্লাহ ব্যতীত কারু ইবাদত করো না। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হ’তে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা’ (হূদ ১১/০২)। উক্ত আয়াতে ‘ইল্লাল্লাহ’ বলে যিকির করতে বলা হয়নি। বরং আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করতে নিষেধ করা হয়েছে।উল্ল
উত্তর : এরূপ কাজ প্রতিদিন করার কোনই সুযোগ নেই। বরং দাওয়াতী কাজ ও পড়াশুনার জন্য অন্য সময় নির্ধারণ অথবা পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নির্ধারিত সময়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের উপরে ‘ছালাত’ নির্দিষ্ট সময়ের জন্
উত্তর : এগুলি মূর্তিপূজার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি করে। অতএব এগুলি থেকে দূরে থাকতে হবে। তাছাড়া বর্তমানে প্লাষ্টিক বা অন্য বস্ত্তর দ্বারা পূর্ণদেহী পুতুল তৈরী করা হয়। যার মুখ, চোখ, নাক, কান সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হুবহু মানুষের বা প্রাণীর আকৃতির
উত্তর : যদি কেউ সাক্ষী ও ওলী ব্যতীত গোপনে কাউকে বিবাহ করে, উক্ত বিবাহ বাতিল হওয়ার ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম একমত। তবে যদি তারা একান্তই বিবাহ জায়েয হয়েছে মনে করে সহবাস করে, সেক্ষেত্রে তাদের একত্রবাস ‘সন্দেহপূর্ণ’ বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায় সন্তান পি
উত্তর : প্রশ্নের সাথে কুরবানীর কোন সম্পর্ক নেই। কারণ এখানে প্রশ্ন হ’ল গোশত বেশী পাওয়ার জন্য। পক্ষান্তরে কুরবানী হ’ল আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের মাধ্যম। অতএব সামর্থ্য থাকলে বড় পরিবারের জন্য বড় পশু বা একাধিক পশু কুরবানী দিবে। আল্লাহ বলেন, ‘কুরবানীর
উত্তর : স্ত্রীর সম্মতি থাকলে জায়েয হবে। স্ত্রী স্বামীর সংসারে খরচ করলে দ্বিগুণ নেকী পাবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘মিসকীনকে ছাদাক্বা দিলে একটি ছাদাক্বা হয়। কিন্তু সে যদি রক্ত সম্পর্কীয় নিকটাত্মীয় হয়, তবে নেকী দ্বিগুণ হয়। এক-ছাদাক্বা এব
উত্তর : নারীর জন্য নেকাব ব্যবহার করা ওয়াজিব। আল্লাহ বলেন, ‘মহিলারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তবে যা সাধারণভাবে প্রকাশ পায়, তা ব্যতীত’ (নূর ২৪/৩১)। নারী সৌন্দর্যের কেন্দ্রস্থল হ’ল তার মুখমন্ডল। সেকারণ নিষেধ থাকা সত্ত্বেও হজ্জের সময়ও
উত্তর : নিশ্চিতভাবে জানা গেলে চুরিকৃত বস্ত্ত ক্রয় করা যাবে না। এটা অন্যায় কাজে সহযোগিতার শামিল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (সূরা মায়েদা ৫/২; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৯২)।
উত্তর : যাবে। হযরত ওমর, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ, আনাস, আবু হুরায়রা (রাঃ) প্রমুখ ছাহাবী থেকে কুনূতে বুক বরাবর হাত উঠিয়ে দো‘আ করা প্রমাণিত আছে। মুহাদ্দিছগণ এর দ্বারা কুনূতে বিতর বুঝেছেন (বায়হাক্বী ২/২১১-১২, মির‘আত ৪/৩০০; তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৫৬৭, ইর
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। তবে হাদীছে এভাবে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইলম শিখে এজন্য যে, তার দ্বারা সে আলেমদের সাথে বিতর্ক করবে ও মূর্খদের সঙ্গে ঝগড়া করবে কিংবা মানুষকে তার দিকে আকৃষ্ট করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্
উত্তর : এক্ষেত্রে প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি সময়ে জমাকৃত পুরো অর্থের উপর যাকাত বের করলেই যথেষ্ট হবে। সেক্ষেত্রে কিছু অর্থের উপর বছর পূর্ণ না হ’লেও অসুবিধা নেই। বরং তা অগ্রিম যাকাত হিসাবে গণ্য হবে। যাকাত দানকারীর জন্য এটাই নিরাপদ ও প্রশান্তিদায়ক
উত্তর : ঈসা (আঃ) পৃথিবীতে আগমন করে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আমার ও তাঁর অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর মাঝে কোন নবী নেই। ...তিনি পৃথিবীতে চল্লিশ বছর অবস্থান করবেন। অতঃপর মৃত্যুবরণ করবেন এবং মুসলিমর
উত্তর : আত্মীয় হৌক বা অনাত্মীয় হৌক প্রকৃত হকদার হ’লে তাকে দেওয়া যাবে এবং তাকে দেওয়ার জন্য সুফারিশ করা যাবে। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট কেউ কিছু চাইলে বা প্রয়োজনীয় কিছু চাওয়া হ’লে তিনি বলতেন, তোমরা
উত্তর : তাদের সাথে সদাচরণ করতে হবে। তাদের সাথে উঠা-বসা, দাওয়াত আদান-প্রদান করা যাবে। তবে তাদের যবেহকৃত পশু-পাখি খাওয়া যাবে না (আন‘আম ৬/১২১) এবং তাদের ধর্মীয় উৎসবে যোগদান করা যাবে না (ফুরকান ৭২; আবূদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) জিন জাতির নিকটও ইসলাম প্রচার করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে জিন ও মানব সম্প্রদায়! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বরগণ আগমন করেননি, যাঁরা তোমাদেরকে আমার বিধানসমূহ বর্ণনা করতেন এবং তোমাদেরকে আজকের এ দিনে সাক্ষাতের ব্যাপারে
উত্তর : উপরোক্ত ব্যক্তিরা বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয়। আত্মীয় তিন ধরনের। পিতৃ বংশগত, শ্বশুর বংশগত বা বৈবাহিক সূত্রের ও দুগ্ধসম্পর্কীয়। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই মানুষকে পানি হ’তে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বিবাহগত সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন’
উত্তর : আরকানুল ইসলাম ৫টি (বুখারী হা/৮)। এখানে যোগ-বিয়োগের কোন সুযোগ নেই। কুরআন-হাদীছ বা সালাফে ছালেহীন থেকে জিহাদকে ৬ষ্ঠ রুকন হিসাবে আখ্যায়িত করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে হুযায়ফা (রাঃ)-এর একটি আছার পাওয়া যায়। যেখানে তিনি জিহাদকে ইসলামের আটট
উত্তর : যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ প্রাণীর প্রতি দয়া দেখানো কর্তব্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ যদি চড়ুই পাখি যবহের ক্ষেত্রেও তার প্রতি অনুগ্রহ করে, ক্বিয়ামতের দিনে আল্লাহ তার প্রতি অনুগ্রহ করবেন (আল-আদাবুল মুফরাদ, ছহীহাহ হা/২৭)। কিন্তু
উত্তর : রক্ত বের হওয়ার কারণে ছালাত ছাড়বে না। কেননা রক্ত বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। রক্ত বের হ’লে ওযূ করতে হবে মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (দারাকুৎনী; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৭০; মিশকাত হা/৩৩৩)। বরং বাকর (রহঃ) বলেন, আমি ইবনু ওমর (রাঃ)-কে দেখে
উত্তর : এরূপ কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা যাবে না। কারণ এগুলো স্পষ্ট বিদ‘আত, যা অবশ্যই বর্জনীয় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০)।
উত্তর : শারঈ প্রয়োজন ব্যতীত কবর স্থানান্তর করা জায়েয নয় (বুখারী হা/১৩৫১-৪২; ইবনু তায়মিয়া, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/৩০৩; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২৭৩; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৫/৩৬৯)। এক্ষণে কবর স্থানান্তরের উদ্দেশ্য যদি কেবল দুনিয়াবী স্বার্থ হাছিল করা হয়, তবে একাজ থ
উত্তর : কোন রোগের ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার যোগ্যতা থাকলেই কেবল সেই রোগের চিকিৎসা দেওয়া যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) সতর্ক করে বলেন, যে চিকিৎসক চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ছাড়াই কারো চিকিৎসা করে এবং এর ফলে সে দুর্ভোগে পতিত হয়, তাহ’লে সে এজ
উত্তর : হজ্জ পালনকালে মহিলাদের অলংকার ব্যবহারে কোন বাধা নেই। তবে এ সময় যেন তা পরপুরুষেরা দেখতে না পায় সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ অলংকার নারী সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/১৯২; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/২০১)।
উত্তর : তাদের সাথে যোগায়োগে কোন বাধা নেই। তবে ত্বাওয়াফ ও সাঈ চলাকালীন সময়ে বিরত থাকবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, বায়তুল্লাহর ত্বাওয়াফ ছালাতের মতই। অতএব তোমরা সেখানে অল্প কথা বল (নাসাঈ হা/২৯২২; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৯৫৪)।
উত্তর : বিনা কারণে জীব-জন্তু হত্যা করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ। কিন্তু যে সকল প্রাণী মানুষের ক্ষতি করে সেগুলো মারার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাপ ক্ষতিকর প্রাণী। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সাপের ভয়ে সাপ হত্যা করল না, সে আমার শরী‘আতের অন্তর্ভুক্
উত্তর : যে দেখবে বা যে এলাকায় দেখা যাবে কেবল তারাই সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের ছালাত আদায় করবে (নাসাঈ হা/১৪৮৩, ১৫০২; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩২)।
উত্তর : কোন বাধা নেই। বরং সফর অবস্থাতেও তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) সফরে আরোহীর উপরে তাহাজ্জুদ ও বিতর আদায় করতেন (বুখারী হা/১০০০; মিশকাত হা/১৩৪০)। তবে ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকলে রাতের প্রথম প্রহরে বিতরের পর দুই রাক‘আত ছালাত আদায় কর
উত্তর : এ ব্যাপারে শরী‘আতে কোন বিধি-নিষেধ নেই। বরং মানুষকে বেশী বেশী মিসওয়াক করার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে মিসওয়াক করতেন (মুসলিম হা/২৫৩; মিশকাত হা/৩৭৭)। তিনি দিনে বা রাতে যেকোন সময় ঘুম থেকে জাগ্রত হ’লে মিসওয়া
উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী এজন্য পিতা-মাতা গুনাহগার হবেন, সন্তান নয়। এক্ষণে সন্তানের জন্য কর্তব্য হবে পিতা-মাতাকে উক্ত শিরকী কাজ থেকে ফেরানোর জন্য নছীহত করা। যেমন ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় মূর্তিপূজারী পিতাকে নছীহত করেছিলেন (মারিয়াম ১৯/৪২-৪৫)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, জিব্রীলের পায়ের গোড়ালি বা ডানার আঘাতে যমযম কূপের সৃষ্টি হয়েছে (বুখারী হা/৩৩৬৪-৬৫, ‘নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়, ৯ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : সশব্দে পড়াই উত্তম। রাসূল (ছাঃ)-এর একবার ফজরের ছালাত ছুটে গেলে সূর্যোদয়ের পর তিনি অন্যান্য দিনের মতই সশব্দে তা আদায় করেন (মুসলিম হা/৬৮১; মিশকাত হা/৫৯১১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/১৪০)। তবে একাকী পড়ার ক্ষেত্রে নীরবে বা সরবে পড়ার বিষয়টি মুছল্ল
উত্তর : এমর্মের বর্ণনাটি মওযূ বা জাল। কারণ এর একাধিক বর্ণনা সূত্রে অধিকাংশ যঈফ ও অপরিচিত রাবী রয়েছেন (বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩২৯৮; মিশকাত হা/৪৯৪৪)। তবে পিতা-মাতার প্রতি অনুগ্রহ করার জন্য কুরআন ও হাদীছে অসংখ্য নির্দেশ রয়েছে। যেমন
উত্তর : এভাবে নিয়মিত সিজদায়ে শুকর আদায় করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের নিকট থেকে এরূপ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। কেবল নতুন নে‘মত প্রাপ্ত হ’লে বা কোন বিপদ দূর হ’লে সিজদায়ে শুকুর আদায় করতে হয় (হাকেম হা/২০১৯; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৬৫৮)। রাস
উত্তর : উক্ত অবস্থায় কেবল ওযূ করলেই যথেষ্ট হবে। কারণ ছালাতের জন্য শর্ত হ’ল ওযূ করা (মায়েদাহ ৫/৬)। তবে এমতাবস্থায় গোসল করার সুযোগ থাকলে তা করাই উত্তম হবে। কেননা শরীরে অতিরিক্ত ঘাম থাকলে, তার গন্ধে পাশের মুছল্লী কষ্ট পেতে পারে (বুখারী হা/৯০২; মুসলি
উত্তর : একটি কুরবানীই যথেষ্ট হবে। একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য সংখ্যা যত বেশীই হৌক না কেন সকলের পক্ষ থেকে একটি পশুই যথেষ্ট হবে (মুসলিম হা/১৯৬৭; মিশকাত হা/১৪৫৪; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২২৫/৭)। এক্ষেত্রে পরিবার প্রধানের নাম ও তার পরিবারের পক্ষ হ
উত্তর : দেহের পশম কষ্টদায়ক হ’লে কাটা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর গ্রন্থে যা হালাল করেছেন তা-ই বৈধ এবং যা হারাম করেছেন তা-ই অবৈধ। আর তিনি যে সকল বিষয়ে নীরব থেকেছেন (বৈধ বা অবৈধ কিছুই বলেননি) তা তাঁর ক্ষমার অন্তর্ভুক্ত (তিরমিযী হ
উত্তর : সফরে ৭ ভাগই করতে হবে। কারণ ভাগা কুরবানী সম্পর্কিত হাদীছসমূহে গরুতে সাত ও উঁটে দশভাগের কথা বলা হয়েছে (মুসলিম হা/১৩১৮; মিশকাত হা/১৪৫৮)। সাতের নীচে ভাগের কোন দলীল পাওয়া যায় না। শায়েখ উছায়মীন বলেন, যদি একটি কুরবানীতে দু’জন শরীক হয় তা জায়েয হব
উত্তর : এতে হজ্জের কোন ক্ষতি হবে না। আর প্রয়োজনমত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কোন বাধা নেই। বিদায় হজ্জে রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য আরাফা ময়দানের নামেরায় তাঁবু খাটানো হয়েছিল (মুসলিম হা/১২১৮; মিশকাত হা/২৫৫৫)।
উত্তর : কথাটি ভিত্তিহীন। উক্ত আয়াতদ্বয়ে সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা পর ইফতার করার কোন দলীল নেই। কেননা ইফতারের সময়ের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট বক্তব্য হ’ল, যখন এই (পূর্ব) দিক হ’তে রাত্রি আগমন করবে, আর এই (পশ্চিম) দিক হ’তে দিন প্রস্থান করবে এবং স
উত্তর : এভাবে ছালাত আদায় করা যাবে। এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না এবং এটি কারো সাথে সাদৃশ্যপূর্ণও হবে না। কারণ কয়েল বা হারিকেন পূজা করার জন্য জ্বালানো হয় না। আর বান্দার সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল (বুখারী হা/১)। রাসূল (ছাঃ) সূর্যগ্রহণের ছালাতে জ
উত্তর : বিভিন্ন পত্রিকায় অসুন্দর ছবি সমূহের বিপরীতে এটি সুন্দরের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সৃষ্টি মাত্র। আত-তাহরীক এগুলোর মাধ্যমে মসজিদকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে উৎসাহিত করে না। বরং এর উদ্দেশ্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মসজিদগুলি সম্পর্কে ধারণা দ
উত্তর : এগুলো বিক্রয় করে উপকৃত হওয়া যাবে না। কারণ এগুলি হারাম কাজের উদ্দেশ্যে তৈরী। অতএব এগুলি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এক মশক শরাব হাদিয়া স্বরূপ নিয়ে আসে। রাসূল (ছাঃ) তাকে বললেন, তুমি কি
উত্তর : বিগত দিনে আমাদের দেশের যেসব প্রবীণ ব্যক্তি দীর্ঘ সফরের মাধ্যমে হজ্জ করে ফিরে আসতেন এবং সকল অন্যায় কাজ-কর্ম হ’তে দূরে থেকে নিজেকে দ্বীনী কাজে লিপ্ত রাখতেন, তাদেরকে নাম ধরে না ডেকে বিশেষ শ্রদ্ধার সাথে ‘আলহাজ্জ’ বা ‘হাজী ছাহেব’ বলে সম্বো
উত্তর : বলা যাবে না। কারণ বিদ‘আত বলা এবং বিদ‘আতী বলা এক জিনিস নয়। ইজতিহাদী বা ব্যাখ্যাগত ভুলের কারণে কাউকে বিদ‘আতী বলা যায় না।শায়েখ আলবানী (রহঃ) বলেন, একজন আলেম কোন বিদ‘আত করার অর্থ এই নয় যে তিনি বিদ‘আতী। কোন আলেম যদি ইজতিহাদের মাধ্যমে কোন হারাম
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বা কোন মৃতের জন্য পৃথকভাবে কুরবানী দেওয়ার কোন বিধান নেই। আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)- এর অছিয়ত হিসাবে তাঁর জন্য পৃথক একটি দুম্বা কুরবানী করেছিলেন মর্মে যে বর্ণনা এসেছে (আহমাদ হা/১২৭৮; তিরিমিযী হা/১৪৯৫; মিশকাত হা/১৪৬২), তা
উত্তর : রামাযানের পর পরই শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম ধারাবাহিকভাবে রাখা উত্তম। তবে কেউ যদি মাঝে মধ্যে ছিয়াম বাদ দেয় তাতে কোন দোষ নেই। মোটকথা শাওয়াল মাসের এই ছিয়াম পালনের নেকী অর্জনের জন্য এ মাসের মধ্যেই ছয়টি ছিয়াম পালন করতে হবে।
উত্তর : মালিকের অনুমতি থাকলে এবং এজন্য প্রত্যাশা না রেখে এরূপ সম্মানী গ্রহণ করলে সেটি নাজায়েয হবে না। তবে এথেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা সে মালিকের বেতনভুক। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিযুক্ত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্
উত্তর : আয়াতটির অর্থ : তিনি (আল্লাহ) দুই পূর্ব ও দুই পশ্চিমের রব (রহমান ৫৫/১৭)। মুজাহিদ বলেন, দুই পূর্ব বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের দুই উদয়াচল এবং দুই পশ্চিম বলতে গ্রীষ্ম ও শীতকালের দুই অস্তাচলকে বুঝানো হয়েছে (তাফসীরে ত্বাবারী ২৩/২৭-২৮; তাফসীরে ইবনু কাছী
উত্তর : যথাসময়ে মসজিদে উপস্থিত হতে হবে। নতুবা মুছল্লী বহু নেকী থেকে বঞ্চিত হবে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৮১-৮৪, ১৩৮৮)। প্রয়োজনে যে মসজিদে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক খুৎবা হয় সেখানে যেতে হবে। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, মুছল্লী যদি জানতে পা
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন দলীল নেই। যদিও কোন কোন জীবনীকার এগুলি লিখেছেন। যার কোন ভিত্তি নেই। তবে আল্লাহর বিশেষ রহমতে মু‘জিযা হিসাবে কখনো কখনো মেঘ, গাছ ইত্যাদি তাঁকে ছায়া করত (তিরমিযী হা/৩৬২০; মুসলিম হা/৩০১২; মিশকাত হা/৫৯১৮, ৫৮৮৫)। উল্লেখ্য যে, বুখ
উত্তর : যাবে। তবে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে যেন ছালাতের খুশূ‘-খুযূ‘ নষ্ট না হয়। মু‘আইক্বেব (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-কে ছালাতের মধ্যে সিজদার স্থানের মাটি সমানকারী ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘যদি তা তোমাকে করতেই হয়, তবে শুধু একবার করবে (
উত্তর : ফরয ছালাত হোক অথবা নফল ছালাত হোক প্রত্যেক ছালাতের শুরুতে দো‘আয়ে ইস্তেফতাহ বা ছানা পাঠ করা সুনণাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখনই ছালাত আরম্ভ করতেন, তখনই তাকবীরে তাহরীমার পর দো‘আয়ে ইস্তেফতাহ পড়তেন (বুখারী হা/৭৪৪, মিশকাত হা/৮১২-১৩)। যেহেতু ত
উত্তর : বিষয়টি বক্তার দৃষ্টিতে সত্য হ’লে গীবত হিসাবে গণ্য হবে না। বরং তাকে সংশোধন বা তার বা অন্য কারো কল্যাণে এরূপ নারীর কথা গোপনে বলা যাবে (নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ২৫৬ অনুচ্ছেদ, পৃঃ ৫৭৫)।
উত্তর : জুম‘আর জন্য দু’টি খুৎবা দেওয়া সুন্নাত, যার মাঝখানে বসতে হয় (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫)। ইমাম মিম্বরে বসার সময় মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সালাম দিবেন (ইবনু মাজাহ হা/১১০৯; ছহীহাহ হা/২০৭৬)। আবুবকর ও ওমর (রাঃ) এটি নিয়মিত করতেন। আবু হানীফা ও মালেক (রহঃ) প্
উত্তর : সন্তানও ছওয়াব পাবে। আল্লাহ বলেন, ’নারী হৌক পুরুষ হৌক আমি তোমাদের কোন আমলকারীর কর্মফল বিনষ্ট করব না’ (আলে ইমরান ৩/১৯৫)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, জনৈক স্ত্রীলোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। তিনি এভাবে মারা না গেলে ছাদাক্বা করে য
উত্তর : অধিক আগ্রহ, মসজিদের সাথে হৃদয় লটকিয়ে থাকা এবং পবিত্র অবস্থায় কষ্ট করে পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করার কারণে আল্লাহ এই মর্যাদা দান করবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলমান যখন ফরয ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে সুন্দরভাবে ওযূ করে এবং পূর্ণ মনোনিবেশ ও ভীতি
উত্তর : কথাটির সত্যতা নেই। কারণ কুরবানীর গোশত বিবাহতে খাওয়ানো যাবে না এমন কোন শর্ত নেই। তাছাড়া কুরবানীর গোশত ঈদের পরে জমা রেখে খাওয়া জায়েয (ইবনু মাজাহ হা/৩১৫৯, মিশকাত হা/১৭৬২)। তুরতুসী বলেন, কেউ যদি বিবাহের ওয়ালীমায় কুরবানীর গোশত খাওয়ায় সেটিই তার
উত্তর : সামর্থ্য থাকলে নিজ অবস্থানস্থলেই কুরবানী করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তখন তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আহার করাও যারা চায় না তাদেরকে ও যারা চায় তাদেরকে’ (হজ্জ ২২/৩৬)। অত্র আয়াতে নিজে ভক্ষণ ও অপরকে দান করার নির্দেশনা এসেছে।অতএব অবস্থানস্থলের
উত্তর : ছালাতের পরে নছীহত করা বা হাদীছ পাঠে শারঈ কোন বাধা নেই। তবে পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনমত উপদেশ প্রদান করাই সমীচীন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৮/২৮১)। আল্লাহ বলেন, এবং উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে (যারিআত ৫১/৫৫)। হাদীছ পাঠে অল্প সময়ের
উত্তর : যাবে। তবে ফজরের নির্দিষ্ট সুন্নাত মসজিদে এসে আদায় করলে তা তাহিইয়াতুল মসজিদ ও তাহিইয়াতুল ওযূর জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য বাড়িতে সুন্নাত আদায় করে মসজিদে আসলে তাহিইয়াতুল মসজিদ আদায় করা সুন্নাত। কেননা রাসূল (ছাঃ) মসজিদে এসে দু’রাক‘আত ছাল
উত্তর : এধরনের লোকদের একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত এড়িয়ে চলতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তুমি মুমিন ব্যতীত কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবে না এবং তোমার খাদ্য যেন কেবল মুত্তাকীরা খায়’ (আবুদাঊদ হা/৪৮৩২; মিশকাত হা/৫০১৮)। তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর রীতির
উত্তর : না। বরং একজন ব্যক্তিই খুৎবা দিবেন। এটাই রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত (মুসলিম হা/৮৮৫, মিশকাত হা/১৪৪৬)। ওযরবশতঃ কাউকে মাঝপথে খুৎবা পরিত্যাগ করতে হ’লে অপরজন প্রথম থেকে খুৎবা শুরু করবেন (ওছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৫/৫৮)।
উত্তর : স্বামী জেলে থাকলে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয় না। এক্ষণে মহিলা যা করেছে তা ভুল করেছে। যা যেনার শামিল। অতএব স্ত্রী তওবা করবে। অতঃপর বিবাহ ছাড়াই সংসার শুরু করবে। স্মর্তব্য যে, দীর্ঘদিনের জন্য স্বামী কারান্তরীণ থাকলে প্রয়োজনে স্ত্রী স্বামীর নিকটে
উত্তর : হ্যাঁ। কারণ কুরবানী করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের জন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। ইবনু হাযম বলেন, কুরবানীর বিধান মুক্বীম-মুসাফির সবার জন্য প্রযোজ্য এতে কোন পার্থক্য নেই, অনুরূপভাবে নারীদের জন্যও প্রযোজ্য (মুহাল্লা ৬/৩৭)। উল্লেখ্য য
উত্তর : ব্যক্তি অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তা রক্ষা করতে হবে। যদিও তা অন্য কেউ প্রকাশ করে দেয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ কোন কথা বলার পর মুখ ঘুরালে (কেউ শুনছে কি-না তা লক্ষ্য করে) তা আমানতস্বরূপ’ (আবুদাঊদ হা/৪৮৬৮; মিশকাত হা/৫০৬১; ছহীহাহ হা/১০৯০)। আন
উত্তর : উক্ত টাকা কর্য হিসাবে প্রদান করলে তার লভ্যাংশ নেওয়া যাবে না। কারণ তা সূদ হিসাবে গণ্য হবে। আর যেকোন পরিমাণ লভ্যাংশের চুক্তি করলে তা গ্রহণ করা জায়েয। এরূপ চুক্তি বায়‘এ মুযারাবাহ-এর অন্তর্ভুক্ত হবে। এটা হ’ল একজনের পুঁজি অপরজনের শ্রম। এক্
উত্তর : যাবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ওছমান বিন মাযঊন (রাঃ) মারা গেলে এবং তাঁকে গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরানো হ’লে রাসূল (ছাঃ) তার নিকট প্রবেশ করলেন এবং মৃত ওছমানকে চুমু দিলেন যখন তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল (বুখারী হা/১২৪৩; আবুদাঊদ হা/৩১৬৩; ইরওয়া ৩/১
উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ : আল্লাহ বাহীরাহ, সায়েবাহ, অছীলাহ ও হামী-র প্রচলন করেননি। বরং কাফেররাই এ ব্যাপারে আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করেছে মাত্র। আর তাদের অধিকাংশই কোন জ্ঞান রাখে না (মায়েদাহ ৫/১০৩)। আয়াতে বর্ণিত চারটি পরিভাষা চার প্রকারের পশুর না
উত্তর : স্বামীর অসন্তুষ্টিতে ও অসম্মতিতে স্ত্রীর এরূপ অবস্থান জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর শয্যা ছেড়ে অন্যত্র রাত্রি যাপন করে, তাহ’লে যতক্ষণ না সে তার স্বামীর শয্যায় ফিরে আসে, ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তার ওপর লা‘নত বর্ষণ করত
উত্তর : ‘আমেলীন’-এর পারিভাষিক অর্থ ইসলামী সরকার কর্তৃক যাকাত ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ। যারা যাকাত-ফিৎরা আদায়-বণ্টন ইত্যাদি বিষয়ে তদারকি করেন। এক্ষণে সমাজের ছোট্ট পরিসরে কাজটি করে উক্ত ভাগ কামনা করা কারো জন্য জায়েয হবে না। কারণ তিনি সর
উত্তর : ছেলে সন্তান থাকলে ভাইয়েরা অংশীদার হবে না। কেবল স্ত্রী ও কন্যা সন্তান থাকলে ব্যক্তি মারা গেলে এবং তার পিতা-মাতা বেঁচে না থাকলে ভাইয়েরা অংশীদার হবে। এটি আল্লাহর দেওয়া বিধান, যা প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নেওয়া আবশ্যক। তবে স্ত্রীর নিজস্ব সম্পদে
উত্তর : যাবে না। কারণ জমির সাথে ফলদার বৃক্ষ রয়েছে, যা মূল লক্ষ্য। জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) কয়েক বছরের জন্য জমি বিক্রি ও কয়েক বছরের জন্যে ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/১৫৩৬; মিশকাত হা/২৮৪১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৩২)।
উত্তর : ফল পরিপক্ব হওয়ার কারণে এভাবে বিক্রয় করা যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ফলের উপযোগিতা প্রকাশ হওয়ার আগে তা বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং খেজুরের রং ধরার আগে (বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন)। জিজ্ঞেস করা হ’ল, রং ধরার অর্থ কি? তিনি বলেন, লাল
উত্তর : যাবে না। এরূপ উপহার প্রদান-গ্রহণ উভয়টিই নিষিদ্ধ। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে উপহার প্রদানকারী কোম্পানীর ঔষধ রোগীদেরকে লিখে দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেই উক্ত গিফট প্রদান করা হয়ে থাকে। যা ঘুষ হিসাবে গণ্য (ফাতাওয়া লাজন
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন বিশুদ্ধ বর্ণনা পাওয়া যায় না। ইমাম মালেক (রহঃ) বাম হাতের উপর ডান হাত রেখেই ছালাত আদায় করতেন। তাঁর স্বীয় মুওয়াত্ত্বা গ্রন্থে অধ্যায় রচনা করা হয়েছে, ‘ছালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা’, অতঃপর তাতে সাহল বিন সা‘দের প্রসিদ্ধ
উত্তর : একই মর্মে নয়, তবে কাছাকাছি মর্মে একটি বর্ণনা রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, ‘মেহমান তার রিযিক নিয়ে প্রবেশ করে এবং মানুষের গোনাহসমূহ নিয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে তাদের গোনাহসমূহ মিটে যায়’। তবে বর্ণনাটি মওযূ বা জাল (যঈফুল জামে‘ হা/৩৬০৪)।
উত্তর : পারবে। কারণ কুরআনে যে সকল নারীকে হারাম করা হয়েছে দুলাভাইয়ের অন্য স্ত্রীর মেয়ে তার মধ্যে গণ্য নয় (নিসা ৪/২৩)।
উত্তর : কবর সামনে না থাকায় ছালাত হবে। তবে মসজিদের প্রাচীরের পাশাপাশি কবরস্থানের আলাদা প্রাচীর থাকা উত্তম (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩১/১২; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৫৭)। কারণ রাসূল (ছাঃ) কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম
উত্তর : পিতার সাথে যথাসম্ভব সম্পর্ক রাখতে হবে এবং সদাচরণ করতে হবে। নইলে গুনাহগার হ’তে হবে। কেননা পিতা-মাতার হক সন্তানের উপর অপরিসীম, যা কখনো পূরণীয় নয়। তাঁরা সদাচরণ করুন বা না করুন, তাদের সেবা করা সন্তানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। এমনকি তারা শিরক
উত্তর : সর্বোচ্চ খাঁটি স্বর্ণের মূল্যমান ধরে যাকাত দেওয়া উত্তম। ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ সাধারণত ৯৯.৯৯% খাঁটি হয়ে থাকে। অতএব ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের হিসাবে যাকাত দিতে হবে।
উত্তর : যাবে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। ইহূদী-নাছারারা সূদী লেন-দেনে জড়িত ছিল জেনেও রাসূল (ছাঃ) তাদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন এবং তাদের তৈরী খাবার খেয়েছেন (মুমতাহিনা ৬০/৮; বুখারী হা/১৪৮১, ৩১৬৯; মিশকাত হা/৫৯৩৫)। ইব
উত্তর : ৩৬ হিজরীতে সংঘটিত উষ্ট্রের যুদ্ধের ন্যায় ৩৭ হিজরীর ছিফফীন যুদ্ধেরও মূল কারণ ছিল ওছমান (রাঃ)-এর হত্যাকারী বিদ্রোহীদের গভীর ষড়যন্ত্র। ৩৫ হিজরীর যিলহাজ্জ মাসে ওছমান (রাঃ) শাহাদত বরণ করলে লোকেরা আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করে। বিদ্রোহ
উত্তর : কাউকে কোন কিছু দান করার পর দো‘আ চাওয়া অনুচিৎ। কেননা এটি দানের বিনিময়ে প্রতিদান চাওয়ার মত হয়ে যায়। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন যে সাত শ্রেণীর লোক আল্লাহর ছায়ার নিচে আশ্রয় পাবে, তাদের অন্যতম হ’ল, যে ব্যক্তি ডান হাতে দান
উত্তর : কোন পশুকে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করা বা ক্রয় করার পর যদি কোন ত্রুটি প্রকাশ পায়, তাহ’লে তা দ্বারা কুরবানী করা যাবে। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ)-এর নিকট হজ্জের হাদ্ঈ সমূহ আনা হ’লে তার মধ্যে একটি এক চক্ষুহীন ট্যারা উট পাওয়া যায়। তখন ত
উত্তর : ফরয গোসল ব্যতীত সকল গোসলই নফল। গুরুত্ব বিবেচনায় এসব গোসল কখনো মুবাহ, কখনো মুস্তাহাব, কখনো ওয়াজিব হিসাবে গণ্য হয়। যারা দৈনিক গোসল করেন এবং যারা সপ্তাহে একদিন গোসল করেন, তারা সমান নন। জুম‘আর দিনের বিবেচনায় এদিনের গোসলকে অধিক গুরুত্ব দেও
উত্তর : একথা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং সকল সৃষ্টি সর্বাবস্থায় আল্লাহকে সিজদা করে। আল্লাহ বলেন, তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে... সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্ররাজি, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু ও বহু মানুষ? (হজ
উত্তর : সে আট বছর সংসার করেছে এবং তার সন্তান হয়েছে। এটাই তার সম্মতির প্রমাণ। অতএব বিবাহ সঠিক বলে গণ্য হবে (নববী, শরহ মুসলিম ৯/২০৪, হা/১৪১৯-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। এক্ষণে দু’জনে চাইলে সংসার করতে পারে। নইলে ‘খোলা’ বা ‘তালাকে’র মাধ্যমে উভয়ে পৃথক হ’তে পারে
উত্তর : হযরত আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘এক রাত্রিতে আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বিছানায় না পেয়ে আমার হাত দিয়ে খুঁজতে থাকলাম। অতঃপর আমার হাত তাঁর দু’পায়ের উপর পতিত হয়। তখন তিনি সিজদারত ছিলেন এবং তাঁর পা দু’টি খাঁড়া ছিল’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯৩,
উত্তর : এক্ষেত্রে চাকুরী পরিত্যাগ করে খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে এবং পরবর্তীতে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ নেকীর আশা ব্যতীত দান করে দিতে হবে। কারণ যে সূদী অর্থ থেকে বাঁচার জন্য উক্ত চাকুরী ছাড়া হচ্ছে, তা থেকে প্রাপ্য সকল অর্থই তার অন্তর্ভুক্ত।তবে তওবাক
উত্তর : ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত ৩টি : (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া (কাহফ ১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া (মুসলিম হা/১৭১৮)। (৩) আমল ইখলাছপূর্ণ হওয়া (যুমার ৩৯/১১)। এই শর্তগুলি পূরণ হ’লে আমল কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি সৎকর্ম করে, আমরা ত
উত্তর : যাকাত পরিবারের উপর নয়, বরং ব্যক্তির উপর ফরয। অতএব উক্ত অবস্থায় মা কেবল তার নিজস্ব সম্পদের যাকাত প্রদান করবেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৭৭২; আবুদাঊদ হা/১৫৭৩, সনদ ছহীহ)।
উত্তর : যাবে না। কারণ (১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্যে কুরআনের আয়াত, দো‘আ ইত্যাদি দ্বারা বিভিন্ন রঙের ডিজাইনে নকশা করা হয়। অথচ কুরআন নাযিল হয়েছে মানুষকে হেদায়াতের জন্য, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য নয়। অতএব এরূপ কাজ কুরআনকে তাচ্ছিল্য কর
উত্তর : সঠিক হয়নি। কারণ পিতার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী, কন্যা, ভাই-বোন সহ অন্যান্যদের অংশ শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত (নিসা ৪/১১)। যার ব্যত্যয় ঘটানো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লংঘনের শামিল (নিসা ৪/১৩)। বিবরণ অনুযায়ী মোট সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ দুই মেয়ে পাব
উত্তর : সাধারণভাবে মহিলারা পুরুষদের পিছনের কাতারে দাঁড়াবে (বুখারী হা/৩৮০; মুসলিম হা/৬৫৮)। এরপরেও ব্যবস্থাপনা না থাকলে ওযরবশতঃ পুরুষদের কাতারের ডানে বা বামে পর্দা বা দেওয়াল দ্বারা ঘেরা স্থানে মহিলারা দাঁড়াতে পারে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/২৫২; আল-মাবসূত্ব ১/
উত্তর : কানের মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিতে হবে। এসময় মাথা ঘুরবে, দেহ নয়। আবু জুহায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি বেলাল (রাঃ)-কে আযান দিতে দেখলাম এবং তাকে মুখ ঘুরাতে দেখলাম। এসময় তার (দুই হাতের) দুই আঙ্গুল উভয় কানের মধ্যে ছিল (তিরমিযী হা/১৯৭; ইরওয়া হা/২৩০)।
উত্তর : সাধারণভাবে খেলা-ধুলার সামগ্রী বিক্রয়ে শরী‘আতে বাধা নেই। তবে যদি কোন খেলা মানুষকে হারামের দিকে প্রলুব্ধ করে, সেসব খেলার দ্রব্যাদি বিক্রি করা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের
উত্তর : সিজদায়ে তেলাওয়াতের নিয়ম হ’ল- প্রথমে তাকবীর দিয়ে সিজদায় যাবে। অতঃপর দো‘আ পড়বে এবং পুনরায় তাকবীর দিয়ে মাথা উঠাবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫৯৩০; বায়হাক্বী ২/৩২৫, সনদ ছহীহ; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ২৬৯ পৃঃ)। সিজদা মাত্র একটি হবে। এতে তাশাহ্হুদ
উত্তর : না। যেদিন কুরবানী করবে সেদিনই নখ ও চুল কাটাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’ (মুসলিম হা/১৯৭৭; মি
উত্তর : না। বরং চল্লিশ দিনের মধ্যে গোফ খাটো করা, বগলের লোম উপড়ানো ও নাভীর নীচের লোম কাটা রাসূল (ছাঃ) নির্দেশিত সুন্নাত (মুসলিম, মিশকাত হ/৪৪২২)। নির্ধারিত সময়সীমা হওয়ায় এটা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ করা জায়েয নয় (নায়লুল আওত্বার ১/১৪৩)।আর দাড়ি রাখা গুরুত্ব
উত্তর : ঈদগাহের জন্য মেঝে পাকা করা, ছায়ার জন্য সামিয়ানা টাঙানো, ফ্যান ঝুলানো, এসি করা বা ছাদ করা কোনটাই আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বা খুলাফায়ে রাশেদীনের আমল থেকে প্রমাণিত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার মৃত্যুর পরে তোমরা অনেক মতভেদ দেখতে পাবে। তখন তোমাদে
উত্তর : রামাযানের বাইরে নিয়মিতভাবে জামা‘আতের সাথে রাত্রির নফল ছালাত আদায় করা বিদ‘আত। তবে মাঝে মাঝে করা যেতে পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ) কখনো ইবনু আববাস (বুখারী হা/১৩৮; মুসলিম হা/৭৬৩; মিশকাত হা/১১৯৫), কখনো ইবনু মাসঊদ (বুখারী হা/১১৩৫), কখনো হুযায়ফা ইবনু
উত্তর : মৃত্যুর পূর্বে কাফনের কাপড় কিনে রাখায় শারঈ কোন বাধা নেই। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, যখন তাঁর মৃত্যু উপস্থিত হ’ল তখন তিনি নতুন কাপড় আনালেন এবং পরিধান করে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘মৃত ব্যক্তিকে ক্বিয়ামতের দিন
উত্তর : যাবে না। উক্ববা বিন ‘আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) তিনটি সময়ে আমাদেরকে জানাযার ছালাত আদায় ও মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে নিষেধ করতেন (১) যখন সূর্যোদয় আরম্ভ হয়, তখন থেকে সূর্য উপরে উঠা পর্যন্ত; (২) ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়, পশ্চি
উত্তর : এরূপ করা ঠিক হবে না। তাতে হিতে বিপরীত হ’তে পারে। বরং প্রথমে তাদেরকে বুঝানোর মাধ্যমে বিরত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে এবং সামাজিকভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এতে ব্যর্থ হ’লে প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন নিজে
উত্তর : যাবে এবং এটি ছাদাক্বায়ে জারিয়া হিসাবে গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়, কেবল ৩টি আমল ব্যতীত। (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ (২) এমন ইলম, যার দ্বারা জনগণের কল্যাণ সাধিত হয় এবং (৩) সুসন্
উত্তর : চিকিৎসার্থে বা কোন দোষ-ক্রটি দূরীকরণার্থে এরূপ করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৪০০, সনদ হাসান; নববী, আল-মাজমূ‘ ১/২৫৬; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২৪/৫৬)।
উত্তর : ফরয ছিয়াম সাধ্যপক্ষে পালন করার চেষ্টা করতে হবে। কষ্টকর হ’লে ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করবে। আল্লাহ বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পীড়িত হবে অথবা সফরে থাকবে, সে যেন এটি অন্য সময় পালন করে (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। একবার সফরে থাকা অবস
উত্তর : যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মাগরিবের ছালাতের ন্যায় (মাঝখানে বৈঠক করে) বিতর ছালাত আদায় করো না’ (দারাকুৎনী হা/১৬৩৪-৩৫, সনদ ছহীহ)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) তিন রাক‘আত বিতর পড়তেন। তিনি শেষের রাক‘আতে ব্যতীত বসতেন না’ (হাকেম হা/১১৪০; বায়
উত্তর : উপরোক্ত অবস্থায় উপায়ান্তর না থাকলে খাবার আনার জন্য বাড়িতে যাওয়া যাবে। খাবার এনে মসজিদে বসে খাবে। অথবা বাড়ীতে গিয়ে খেয়ে চলে আসবে। কোনরূপ অপ্রয়োজনীয় কথা বলা যাবে না। এটি একান্ত প্রাকৃতিক প্রয়োজন হিসাবে গণ্য হবে ইনশাআল্লাহ। হযরত আয়েশা (র
উত্তর : ফরয ও সুন্নাত ছালাতের জন্য পৃথক কোন ছানা বর্ণিত হয়নি। অতএব হাদীছে বর্ণিত যেকোন ছানা ফরয ও সুন্নাত উভয় ছালাতে পাঠ করা যাবে (মিশকাত হা/৮১২-১৫, ৮২০; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা প্রশ্নোত্তর নং ১৮৫৯১)।
উত্তর : পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে পূর্বের সমস্ত আসমানী কিতাবের বিধান রহিত হয়ে গেছে (আলে ইমরান ৩/৮৫)। তাই জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে কুরআন ব্যতীত অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা জায়েয নয়। জাবের (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন যে, একদিন য
উত্তর : উক্ত মর্মে বেশ কিছু বর্ণনা রয়েছে, যার কোনটি যঈফ কোনটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৯-২৯১; মিশকাত হা/২১৮১)।
উত্তর : এতে তিনি যাকাত দিবেন, ওশর নয়। উক্ত ধানের বাজার মূল্য হিসাব করে নিছাব পরিমাণ হ’লে এবং তার উপর এক বছর অতিক্রান্ত হ’লে তাতে শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত প্রদান করতে হবে। আর নিজের উৎপাদিত হ’লে ফসল কাটার পর পরই ওশর দিবেন।
উত্তর : যাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। যা আল্লাহর ওয়াস্তে প্রদান করলে সম্পদ পবিত্র হয় এবং বৃদ্ধি পায় (তওবা ৯/১০৩; বাক্বারাহ ২/২৭৬)। এটি প্রত্যেক মুমিনের জন্য আর্থিক ফরয ইবাদত। অন্যদিকে ট্যাক্স হ’ল সরকারী কর। এর সাথে যাকাতের কোন সম্পর্ক নেই। র
উত্তর : ঈদায়নের খুৎবা ১টি। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদগাহে বের হ’লেন এবং সর্বপ্রথম ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর খুৎবা দিলেন। তারপর তিনি মহিলাদের কাছে আসলেন, তাদেরকে ওয়ায-নছীহত করলেন এবং দান-ছাদাক্বার নির্দেশ দিলেন.
উত্তর : ভঙ্গ হবে না ইনশাআল্লাহ। এগুলি খাদ্য বা পানীয় নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১০/২৭৫; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৫৫)।
উত্তর : রামাযান মাসে ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত করালে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে এতে স্ত্রী সহবাসের ন্যায় কাফফারা দিতে হবে না। বরং সেই দিনের ক্বাযা আদায় করতে হবে এবং অধিকহারে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। আর স্ত্রী সহবাসের সাথে এর তুলনা করা যাবে না (ইবনু কুদ
উত্তর : এখানে ছালাত আদায় করায় কোন বাধা নেই। তবে ওয়াকফকারীর ওয়াকফের জন্য কমিটিতে ভালো পদ পাওয়া বা অন্য কোন স্বার্থ হাছিলের ইচ্ছা করা নিতান্তই অন্যায় ও নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। এরূপ করলে তাকে তওবা করতে হবে। নতুবা কেবল নিয়তে গরমিলের কারণে ওয়াকফের
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি সঠিক। তারাবীহর ছালাত রাসূল (ছাঃ) এভাবেও আদায় করেছেন (বুখারী হা/৬২৬; মুসলিম হা/৭৩৬; মিশকাত হা/১১৮৮)। তবে এভাবে নিয়মিত করা ঠিক নয়।
উত্তর : উত্তমটিই পালনযোগ্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীন থেকে এবং রাসূল (ছাঃ)-এর অন্য কোন স্ত্রী ও ছাহাবী থেকে ১১ বা ১৩ রাক‘আতের ঊর্ধ্বে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদের কোন বিশুদ্ধ প্রমাণ নেই (বুখারী হা/১১৪৭; মুসলিম হা/৭৩৮; মুওয়াত্ত্বা, ৭১ পৃঃ,
উত্তর : যাবে না। রাসূল (ছাঃ) মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ সে নেককার হ’লে হয়তো অধিক নেকী অর্জন করবে এবং বদকার হ’লে সম্ভবত তওবা করে আল্লাহর সন্তোষ লাভে সমর্থ হবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৫৯৮
উত্তর : ইফতারীর সামান্য পূর্বে হ’লেও ছিয়াম ভেঙ্গে ফেলতে হবে এবং পরবর্তীতে এর ক্বাযা আদায় করতে হবে (মুসলিম হা/৩৩৫; মিশকাত হা/২০৩২)।
উত্তর : এক্ষেত্রে মাসবূকের রাক‘আত পূর্ণ হয়ে গেছে। অতএব সে ইমামের সাথে সালাম ফিরিয়ে ছালাত সম্পন্ন করবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া প্রশ্নোত্তর ৬৫২, ১৪/০৬)। এ সময় ইমাম সহো সিজদা দিলে সে তার অনুসরণ করবে। কেননা ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য (আবুদাঊ
উত্তর : যেকোন ক্ষেত্রে, যেকোন অবস্থায় মুখে আঘাত করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) চেহারায় আঘাত করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/২৫৫৯, মুসলিম হা/২৬১২, মিশকাত হা/৩৫২৫)। তিনি বলেন, যখন তোমরা কাউকে মারবে, তখন চোহারার উপর মারা থেকে বিরত থাকবে (আবুদ
উত্তর : পূর্বে কৃত আমলের নেকী ফিরে পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পর তার মুশরিক অবস্থায় কৃত ছাদাক্বা, দাসমুক্তি, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ইত্যাদি সৎকর্ম সমূহের পুরস্কার পাওয়া যাবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ছা
উত্তর : এরূপ মুমিন ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা পাবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ যারা পুড়ে মারা যান, তারা শহীদ হিসাবে গণ্য হন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী ছাড়াও আরও সাত শ্রেণীর মানুষ শাহাদতের মর্যাদা লাভ করবে। তারা হ’ল : (১) মহামারীতে ম
উত্তর : কোন দীর্ঘ সফর থেকে ফিরে আসার পর এরূপ আয়োজন করা যায়। জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তিনি একটি উট অথবা একটি গাভী যবহ করেন (বুখারী হা/৩০৮৯; মিশকাত হা/৩৯০৫)। হাদীছটির ব্যাখ্যায় ত্বীবী
উত্তর : এজন্য কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পুনরায় ওযূ করা ওয়াজিব নয়। কেননা বমি হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। রাসূল (ছাঃ)-এর বমি হ’লে তিনি ওযূ করেন’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ হ’লেও তা ওযূ ভঙ্গের কারণ হওয়ার ব্যাপারে কোন দলীল নয় (আলবানী, ইরওয়া হা/১১১,
উত্তর : না। বরং রাসূল (ছাঃ) এই শব্দে দো‘আটি পাঠ করেছেন বলেই আমাদেরকে তা পাঠ করতে হবে। তাশাহহুদ সম্পর্কিত সকল ছহীহ মরফূ হাদীছে রাসূল (ছাঃ)-কে সম্বোধন সূচক ‘আইয়ুহান্নাবী’ শব্দ বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে আব্দুল্লাহ ইবন
উত্তর : হাদীছটি যঈফ। আর উক্ত মর্মের সকল বর্ণনাই যঈফ, মুনকার ও মওযূ‘ (যঈফাহ হা/৮৭১; মিশকাত হা/১৯৬৫ ‘ছওম’ অধ্যায়; যঈফ আত-তারগীব হা/৫৮৯-৬০১)।
উত্তর : এ সময় মাঝে-মধ্যে অতি সংক্ষেপে কেবল ছালাত ও কাতার সংক্রান্ত কথা বলা যাবে। যেমন আনাস (রাঃ) বলেন, ছালাতের ইক্বামত হয়ে গেলে রাসূল (ছাঃ) আমাদের দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর এবং ভালভাবে পরস্পরে মিলে দাঁড়াও’ (বুখারী
উত্তর : চিকিৎসার স্বার্থে বাধ্যগত অবস্থায় এরূপ করা যাবে (বাক্বারাহ ২/১৭৩; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৪৩৩)। তবে সাধ্যমত ইসলামী পর্দার বিধান মেনে এবং দৃষ্টিকে নত রাখতে হবে (নূর ২৪/৩০)। আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় অশ্লীলতার নিকটবর্তী হ’তে নিষেধ কর
উত্তর : ছিয়াম ইসলামের পাঁচটি রুকনের অন্যতম। সুতরাং সম্ভবপর তা রাখার চেষ্টা করতে হবে। কোনভাবেই রাখা সম্ভব না হ’লে এটা রোগ হিসাবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে তা গণনা করে রেখে পরবর্তীতে আদায় করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি পীড়িত হবে অথবা সফরে থাকবে স
উত্তর : ইমামের অনুসরণ করে সহো সিজদা দিবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/২২, ১৪/৪৫)।
উত্তর : যাবে। আল্লাহ বলেন, আর যদি তোমরা পানি না পাও, তাহ’লে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর (নিসা ৪/৪২)। আরবী পরিভাষায় ‘মাটি’ বলতে ভূ-পৃষ্ঠকে বুঝায় (আল-মিছবাহুল মুনীর; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘তায়াম্মুম’ অনুচ্ছেদ ৬৭ পৃ.)। অতএব ভূ-পৃষ্ঠের মাটি, বালি বা
উত্তর : সরকারী সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত লাভ সম্পূর্ণরূপে সূদের অন্তর্ভুক্ত, যা গ্রহণ করা হারাম। উল্লেখ্য, এক লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করলে ৫ বছরে নির্দিষ্টভাবে ৫৪,৭২০ টাকা লভ্যাংশ পাওয়া যায়। যা স্পষ্টভাবে সূদের অন্তর্ভুক্ত। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ
উত্তর : এরূপ সামর্থ্যবান মৃত মাতা-পিতার পক্ষ থেকে তাদের সম্পদ দ্বারা বদলী হজ্জ করা ওয়ারিছদের জন্য ওয়াজিব। পিতা অছিয়ত করুন বা না করুন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/১০০, প্রশ্ন নং ১২৪১; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/৪০২)। ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণনা করেন যে
উত্তর : এটি রামাযানের ছিয়ামের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। হাদীছটি হ’ল- তাবেঈ বিদ্বান ছিলাহ বিন যুফার (রহঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমরা সন্দেহজনক দিনে ‘আম্মার (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। সেখানে একটি ভুনা বকরী পেশ করা হ’লে সেখানকার কিছু লোক (ছিয়াম রাখার
উত্তর : একথা ঠিক নয়। বরং প্রথম রাসূল ছিলেন নূহ (আঃ)। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আমরা তোমার প্রতি ‘অহি’ প্রেরণ করেছি, যেমন ‘অহি’ করেছিলাম নূহের নিকট এবং তার পরবর্তী নবীগণের নিকট’ (নিসা ৪/১৬৩)। এছাড়া শাফা‘আতের হাদীছে স্পষ্টভাবে আছে যে, ক্বিয়ামতের দিন
উত্তর : এমতাবস্থায় তাকে কিছুই করতে হবে না’ (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৩/৩৯৭)।
উত্তর : এজন্য পিতা-মাতা ও ভাই-বোন সকলেই দায়ী হবে। কারণ তারা সন্তান ও ভাইয়ের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করেননি। শরী‘আতে সন্তানের সাথে স্থায়ীভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার কোন সুযোগ নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে
উত্তর : এধরনের বিদ‘আতী অনুষ্ঠানের জন্য তৈরীকৃত খাবার খাওয়া ও সেখানে উপস্থিত হওয়া সহ যেকোন প্রকার সহযোগিতা করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ এটি উক্ত বিদ‘আতী কর্মে সহযোগিতার শামিল, যা নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৫/২)। কোন কারণবশতঃ গ্রহণ করা হ’লে তা পশু-পাখিকে খাইয়
উত্তর : এরূপ মালের যাকাত কবুল হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিনা ওযূতে ছালাত কবুল হয় না এবং খেয়ানত বা হারাম মালের ছাদাক্বা কবুল হয় না’ (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০১)। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি হারাম মাল সঞ্চয় করল এবং তা দ্বারা ছাদাক্বা করল। তার জন্য কোন নে
উত্তর : যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ শাবান বা শ্যাম্পু সুগন্ধি নয়। কেবল শরীর পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উছায়মীন (রহঃ) বলেন, ‘কোন বাধা নেই। কারণ এটি কোন সুগন্ধি নয় এবং কেউ সুগন্ধি হিসাবে এটি ব্যবহার করে না’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১৬০)।
উত্তর : সরকার কর্তৃক এরূপ সূদ গ্রহণ যুলুমের নামান্তর। এরপরেও তা পরিশোধ না করা সঠিক হয়নি। কারণ যালেম সরকারের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট নির্দেশ- ‘তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৭২)। এক্ষে
উত্তর : কথাটি সঠিক নয়। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের জীবনে কোথাও এর প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এটা অমুসলিমদের রীতি, যা মুসলিম সমাজে প্রবেশ করেছে। এসব থেকে রাসূল (ছাঃ) স্বীয় উম্মতকে সাবধান করে বলেন, তোমরা ইহূদী-নাছারাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে হাতে
উত্তর : এমতাবস্থায় পিতা-মাতাকে এরূপ অন্যায়কর্ম থেকে বিরত রাখার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। সূদের ভয়াবহ শাস্তি থেকে তাদেরকে সাবধান করতে হবে। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, প্রয়োজনে তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখতে হবে। আর এক্ষেত্রে পাপ থেকে বাঁচান
উত্তর : হ্যাঁ। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মোহরের বিনিময়ে কোন মহিলাকে বিবাহ করল, অথচ মোহর পরিশোধ করবে না বলে নিয়ত করল, সে যেনাকারী’ (বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমান হা/৫৫৪৯; বাযযার হা/৮৭২১; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৮০৬, ছহীহ লিগায়রিহী)। বিবাহে মোহর আদা
উত্তর : এমর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল। যেখানে বলা হয়েছে ‘যে ব্যক্তি হজ্জের পূর্বে বিবাহ করল সে গুনাহ দ্বারা সূচনা করল’ (সিলসিলা যঈফাহ হা/২২১-২২২)। অতএব এর উপর বিশ্বাস বা আমল করা যাবে না।
উত্তর : আবশ্যকতা নেই। কেননা রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত হজ্জ বা ওমরার কোন অংশ নয়। শায়খ বিন বায বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত করা ওয়াজিব নয় বা হজ্জের কোন শর্তও নয়, যেমনটি সাধারণ মানুষ ধারণা করে থাকে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/১১১)। উল্লেখ্য যে, হজ্জের স
উত্তর : রোগ ভেদে বিভিন্ন পদ্ধতিতে খাওয়া যায়। কখনো শুধুই দানা, কখনো ৫/৭টি বা ২১টি দানা পিষে মধুর সাথে, কখনো যয়তুন তেলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া বা ড্রপ হিসাবে নাকে দেওয়া ইত্যাদি রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১০/১৪৪)। এজন্য অধিক
উত্তর : শিয়ালের গোশত খাওয়া হারাম। কেননা তা তীক্ষ্ণ দন্তধারী ও হিংস্র জন্তুর অন্তর্ভুক্ত। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দন্তধারী হিংস্র জন্তু এবং নখ ও থাবা দ্বারা শিকারী পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (মুসলিম হা/১৯৩৪; মিশকাত
উত্তর : উক্ত দরূদের কোন ভিত্তি নেই। এটি ছূফীদের সৃষ্ট বিদ‘আত মাত্র। এছাড়া দো‘আটি শিরকী বক্তব্যে পরিপূর্ণ। যেমন সেখানে বলা হয়েছে, اللهم صل صلاةً كاملة وسلاما تاما على سيدنا محمد الذي تنحل به العقد، وتتفرج به الكرب، وتقضى به الحوائج وتنال به ال
উত্তর : মুসলমানের জীবনে হজ্জ একবারই ফরয। বাকীগুলো নফল। আক্বরা‘ বিন হাবেস বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! হজ্জ কি প্রতি বছর না একবার? তিনি বললেন, একবার। তবে যে ব্যক্তি একাধিকবার করবে, সেটি তার জন্য নফল হবে (আবুদাঊদ হা/১৭২১; ইবনু মাজাহ হা/২৮৮৬, সনদ ছহীহ)
উত্তর : এমতাবস্থায় তাকে আটকে রাখতে হবে এবং এরূপ অন্যায় থেকে বিরত রাখতে হবে। জনৈক ব্যক্তি এসে রাসূল (ছাঃ)-কে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার একজন স্ত্রী আছে। সে এমনই যে, কাউকে ফিরিয়ে দেয় না। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। সে বলল, আমি
উত্তর : কন্যা শিশু সাবালিকা হ’লে এবং তার শারীরিক গঠনে পরিবর্তন দেখা দিলে তাকে পর্দার পোষাক পরাতে হবে। তবে সাবালিকা হওয়ার পূর্ব থেকেই পর্দার অভ্যাস গড়ে তোলা যরূরী (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৭/২১৯)। কেননা রাসূল (ছাঃ) সাত বছর বয়স থেকে শিশুদের ছালাতের
উত্তর : সাধারণভাবে এরূপ সহযোগিতা করা যায়। তবে তাদেরকে যাকাতের মাল দেওয়া যাবে না। একবার রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে একটি রেশমী পোষাক হাদিয়া হিসাবে আসলে তিনি তা ওমর (রাঃ)-এর নিকটে পাঠিয়ে দেন। অতঃপর তিনি তা মক্কায় অবস্থানরত তার মুশরিক ভাইকে পরিধানের জন
উত্তর : প্রচলিত এসব অনুষ্ঠান রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে ছিল না। অতএব এগুলি বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত এবং অবশ্য বর্জনীয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছুর উদ্ভব ঘটালো, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশক
উত্তর : ঘটনাটি হ’ল- আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) স্বীয় খেলাফতকালে (ইরানের দক্ষিণ হামদান এলাকার নাহাওয়ান্দে) ‘সারিয়াহ’ নামক জনৈক সেনাপতির অধীনে একদল সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে তারা পরাজয়
উত্তর : বিবাহ শেষে বা ছালাত শেষে হাত তুলে সম্মিলিতভাবে দো‘আ করার রীতি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত নয়। কেবলমাত্র ‘ইস্তিসক্বা’ অর্থাৎ বৃষ্টি প্রার্থনার ছালাতে এবং ‘কুনূতে নাযেলাহ’ ও ‘কুনূতে বিতরে’ ইমাম ও মুক্তাদী সম্ম
উত্তর : অনিচ্ছাকৃতভাবে এরূপ ঘটে গেলে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না (বুখারী হা/৪৩০২; মিশকাত হা/১১২৬; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ২/১৭২)। তবে বুঝতে পারার সাথে সাথে সতর ঢেকে ফেলতে হবে।
উত্তর : এরূপ নিয়মিত করা যাবে না। উপরোক্ত কারণসমূহ গ্রহণযোগ্য কোন শারঈ ওযর নয়। বরং ছালাতের সময় দোকান বন্ধ রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যখন জুম‘আর দিন ছালাতের আযান হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে দৌড়ে যাও এবং ব্যবসা ছাড়’ (জুম‘আ ৬২/৯)। এটি কেবল জ
(১) আত-তাহরীক মে’১৭ প্রশ্নোত্তর ২৫/৩০৫-এর শেষে বলা হয়েছে, ‘চার রাক‘আত বিশিষ্ট ফরয ছালাতের শেষ দু’রাক‘আতে অন্য সূরা মিলাবেন না’। কিন্তু প্রশ্নের আলোকে উত্তর হবে ‘নফল ছালাতে’র শেষ দু’রাক‘আতে অন্য সূরা মিলাবেন’ (মুসলিম হা/৩৯৪)।(২) ফেব্রুয়ারী’১৭ প্
উত্তর : উক্ত মর্মের বর্ণনাগুলি দুর্বল। (ক) রাসূল (ছাঃ) একবার তাঁর হাজামতের রক্ত গোপন স্থানে ফেলার জন্য আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরকে আদেশ করলে তিনি তা বাইরে নিয়ে গিয়ে নিজেই পান করেন। জানতে পেরে রাসূল (ছাঃ) তাকে বলেন, কে তোমাকে রক্তপানের নির্দেশ দি
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মাওযূ। এছাড়া ইতিকাফের ফযীলত বর্ণনায় যত হাদীছ এসেছে সবই যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/১৭৮১; যঈফাহ হা/৫৩৪৫; যঈফুল জামে‘ হা/৫৪৫২)।
উত্তর : বিধি মতে খরিদ করে নিলে জায়েয হবে, নইলে নয়। বিধি মত খরিদকৃত না হলে সম্পদগুলি সঠিক স্থানে ফেরত দিবে অথবা ইনছাফের সাথে সেগুলির মূল্য নির্ধারণ করে উক্ত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা দিবে। তাতে ফিৎনার ভয় থাকলে কোন জনহিতকর কাজে দান করবে। অতঃপর অ
উত্তর : নিজ ধর্ম যথাযথভাবে বজায় রেখে বিধর্মী কোন ব্যক্তির সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও থাকা-খাওয়া জায়েয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে না, তাদের সাথে সদাচরণ করতে আল
উত্তর : ছালাতের ভাষা আরবী। তাই দো‘আও আরবীতেই পাঠ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমাদের এ ছালাতে মানুষের কথাবার্তা সিদ্ধ নয়। এটা হ’ল তাসবীহ, তাকবীর এবং তেলাওয়াতে কুরআন’ (মুসলিম হা/৫৩৭; মিশকাত হা/৯৭৮)। ছালাতের মধ্যে অন্য ভাষায় দো‘আ করা যায় মর্মে
উত্তর : মাতার জীবদ্দশায় তার ছেলে মৃত্যুবরণ করায় ঐ ছেলের সন্তানেরা তাদের দাদীর সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ১৯১৪৯, ১৬/৪৮৯ পৃঃ)। এমতাবস্থায় দাদী সর্বাগ্রে তার ঋণ (যদি থাকে) পরিশোধের পর নাতী-নাতনীদের জন্য অনধিক এক-তৃতীয়াংশ হে
উত্তর : তিন বারে তিন তালাক দেওয়ার কারণে আপনার স্ত্রী পূর্ণ তালাকপ্রাপ্তা হয়েছেন। অতএব তাকে আর ফিরিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই (বাক্বারাহ ২/২২৮-২৯)। যতক্ষণ না তিনি অন্যত্র বিবাহিতা হন এবং সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে তালাকপ্রাপ্তা হন (বাক্বারাহ ২/২৩০)।উল্লেখ্
উত্তর : পড়া যাবে। হাদীছে সকল ছালাতের জন্য আমভাবে প্রথমে আল্লাহু আকবর একবার সরবে, অতঃপর তিনবার ‘আসতাগফিরুল্লা-হ’ এবং একবার ‘আল্লা-হুম্মা আনতাস সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-মু তাবা-রাকতা ইয়া-যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম’ পাঠের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৮৪
উত্তর : ইহ্রাম অবস্থায় বিবাহ করা বা বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া উভয়টি নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় কেউ বিবাহ করলে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তি নিজে বিবাহ করবে না, অন্যকেও বিবাহ করাবে না এবং বিবাহের প্রস্তাবও দিবে না’ (মুস
উত্তর : ইফতারের পর ও সাহারীর পূর্বে ইনসুলিন নেওয়াই উত্তম। যদি এরপরেও প্রয়োজন হয়, সেটা দিনের বেলায় ছিয়াম অবস্থায় নিতে পারে। কেননা ইনসুলিন গ্রহণ করা ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। আর এটি কোন খাদ্য নয়। অনুরূপ হাঁপানী রোগের জন্য ছিয়াম অবস্থায় ‘ইনহেলার’ নে
উত্তর : হাদীছটিতে বলা হয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ফজরের ছালাত পড়বে, অতঃপর সূর্যোদয়কালে ছালাত আদায় করবে না, যতক্ষণ না তা কিছুটা উপরে উঠে। কেননা, যখন তা উদিত হয়, তখন শয়তানের দুই শিং-এর মধ্য দিয়ে উদিত হয় এবং এসময় কাফেররা তাকে সিজদা করে। ...অতঃপর ছা
উত্তর : শরী‘আতে প্রত্যেক ছালাতের যে রাক‘আত সংখ্যা বর্ণিত হয়েছে, সেটা আদায় করাই প্রকৃত বিধান। আর সফর অবস্থায় ছালাতে ‘ক্বছর’ করা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাদের প্রতি একটি উপহার স্বরূপ। এটা বাধ্যগত বিষয় নয়। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমরা সফর কর, তখন ছালাত
উত্তর : যাবে। ডুস বা সাপোজিটরি যেহেতু খাদ্য নয়, খাদ্যের বিকল্পও নয় এবং তা পাকস্থলীতেও প্রবেশ করে না; বরং তা একপ্রকার ওষুধ, যা মলম বা ক্রীমের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এর দ্বারা খাদ্যের কোন চাহিদা পূরণ হয় না। তাই এর দ্বারা ছিয়াম ভঙ্গ হবে না (উছায়মী
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আহমাদ হা/১৯৫; তিরমিযী হা/৬৫৬২; মিশকাত হা/২২৪৮; যঈফুল জামে‘ হা/৬২৭৮)। তবে সাধারণভাবে মুমিনগণ একে অপরের নিকটে দো‘আ চাইবে। যেমন ইউসুফ (আঃ)-এর ভাইয়েরা পিতা ইয়াকূব (আঃ)-এর নিকটে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি আমাদের
উত্তর : তেজপাতার ধোঁয়ায় কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই বলে নিশ্চিত হ’লে সেটা করা যাবে। নইলে নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্ষতি করো না, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না’ (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ছহীহাহ হা/২৫০)।
উত্তর : তাবীয খুলে ফেলতে হবে। কারণ তাবীয ঝুলানো শিরক (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৯৪; ছহীহাহ হা/৪৯২)। জিনের কুপ্রভাব থেকে বাঁচার জন্য কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত বিশুদ্ধ দো‘আসমূহ পাঠ করবে। বিশেষ করে নিয়মিত সকাল-সন্ধ্যায় সূরা নাস, ফালাক্ব, ইখলাছ ও আয়াতুল
উত্তর : রুকূ থেকে উঠে যে দো‘আটা পড়তে হয় তা নীরবে পড়াই উত্তম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রভুকে ডাক, বিনীতভাবে ও চুপে চুপে’ (আ‘রাফ ৭/৫৫)। মক্কা ও মদীনার হারামে মুকাবিবর এটি মাইকে জোরে পড়েন সম্ভবতঃ ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত হাদীছটির উপর ভিত্তি করে। যে
উত্তর : এমতাবস্থায় পুনরায় জামা‘আত করবে। অর্থাৎ ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর সহ দু’রাক‘আত ছালাত জামা‘আতে আদায় করবে। তবে ইমামের খুৎবা শ্রবণের পর এটি আদায় করা উত্তম হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৮/৩০৬)। ইমাম বুখারী (রহঃ) অধ্যায় রচনা করেছেন, যার ঈদের ছালাত ছুট
উত্তর : সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় বা প্রসবের সময় এমনকি নিফাস চলাকালীন অবস্থায় মুমিন নারী মারা গেলে তিনি শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি ছাড়া আরও সাত জন ‘শহীদ’ রয়েছে। তারা হ’ল : (১) ম
উত্তর : হস্তমৈথুন বা অবৈধ পন্থায় বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, যারা নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারা সীমালংঘনকারী (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)। এটি হারাম এবং কবীরা গোনাহ, যা মানুষের জীবন-যৌবন ধ্বংস করে। ক্বিয়ামতের
উত্তর : সরকারী আবহাওয়া অধিদফতরের সময়সূচীতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তা বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে সূর্যাস্তের প্রকৃত সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন মূল সময়ের সাথে ৩ মিনিট যোগ করে ইফতারীর সময় নির্ধারণ করে। তাদের
উত্তর : পুরুষের সতর হচ্ছে নাভী হ’তে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত (ছহীহ জামে‘উছ ছাগীর হা/৫৫৮৩; ইরওয়াউল গালীল হা/২৭১)। তাই নাভী ও হাঁটু সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং নাভীর নিচ থেকে হাঁটুর উপর সতর (আল-মুগনী ১/৪১৪; নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/১৭৩)। এ অংশ সর্বদা ঢেকে রাখা ওয়াজিব
উত্তর : সরকারী-বেসরকারী যেকোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি অফিস ফাঁকি দিলে গুনাহগার হবে। কারণ চাকুরীরত ব্যক্তি নিয়োগকারীর সাথে নির্দিষ্ট শর্তাধীনে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কর্মরত হয়েছেন। যা একটি আমানত। এর খেয়ানত করলে কাবীরা গুনাহ হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মু
উত্তর : সাধারণভাবে এরূপ করা জায়েয নয়। তবে ঋণগ্রহীতা যদি হতদরিদ্র হয় তথা যাকাত গ্রহণের প্রকৃত হকদার হয়, সেক্ষেত্রে তাকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৫/৮৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/২৪৬, ৩৩৭)।
উত্তর : মুছল্লী কোন রাক‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে ভুলে গেলে ইমামের সালাম ফিরানোর পর উঠে এক রাক‘আত ছালাত পৃথকভাবে আদায় করবে এবং সহো সিজদা দিবে। কারণ সূরা ফাতিহা ব্যতীত ছালাত হয় না (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৮২২; ছহীহ ইবনু খুযায়মা,
উত্তর : যাবে না। এসব স্পষ্টভাবে বিদ‘আতী অনুষ্ঠান। এছাড়া এসব স্থানে বহু শিরকী কর্মকান্ড হয়ে থাকে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু নতুন আবিষ্কার করবে যা এর অন্তর্ভুক্ত নয় তা প্রত্যাখ্যাত’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত
উত্তর : বিদ্বেষবশতঃ কমবেশী না করে, সন্তানদের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি রেখে জীবদ্দশায় প্রয়োজনমত খরচে কমবেশী করায় কোন বাধা নেই। বরং এটাই ইনছাফ। কিন্তু কারো প্রতি অবজ্ঞা, কাউকে অধিক ভালোবাসা, কাউকে শাস্তি দেওয়া ইত্যাদি দৃষ্টিভঙ্গিতে কমবেশী করলে অব
উত্তর : উৎসাহ দিয়ে নাবালেগ শিশুদের ছিয়াম পালন করানোতে কোন বাধা নেই। রুবায়ি‘ বিনতে মু‘আওবিয (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আশূরার দিন সকালে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আনছারদের সকল পল্লীতে এ নির্দেশ জারী করলেন যে, যে ব্যক্তি ছওম পালন করেনি সে যেন দিনের
উত্তর : এরূপ গাড়ির মূল্যের উপর যাকাত দিতে হবে না (বুখারী হা/১৪৬৩; মুসলিম হা/৯৮২; মিশকাত হা/১৭৯৫)। বরং তা থেকে উপার্জিত অর্থের যাকাত দিতে হবে (আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/১৮১)।
উত্তর : মানুষকে পানি পান করানোর ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন একদা সা‘দ বিন ওবাদাহ (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, আপনার নিকট কোন ছাদাক্বা সর্বাধিক পসন্দনীয়? তিনি বললেন, পানি পান করানো’ (আবুদাঊদ হা/১৬৭৯; হাকেম হা/১৫১১)। অ
উত্তর : ছালাত ছেড়ে দিয়ে তা পরিষ্কার করে পুনরায় ছালাতে যোগদান করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মেয়েদের পেশাব ধুয়ে ফেলতে হবে এবং ছেলেদের পেশাবে পানি ছিটাতে হবে’ (আহমাদ হা/৫৬৩; মিশকাত হা/৫০১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৮৪২)। উম্মু কায়েস বিনতে মিহছান (রাঃ) বলেন, দুধপ
উত্তর : এসব চাকুরী হ’তে দূরে থাকতে হবে। কারণ গান-বাজনা শরী‘আতে হারাম (লোকমান ৩১/৬)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর। গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)।
উত্তর : জায়েয হবে। কেননা সরকারী বিধি অনুযায়ী জন্মগতভাবে, রোগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অথবা অপচিকিৎসা বা অন্য কোন কারণে একটি বা উভয় চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (সমাজকল্যাণ অধিদফতর প্রতিবন্ধী ভাতা বাস্তবায়ন নীতিমালা
উত্তর : এগুলি উপমহাদেশে সুলতানী আমল, মোগল ও বৃটিশ ভারতে প্রচলিত বিভিন্ন পরিচিতি মূলক পদবী মাত্র। এরূপ পদবী নামের শেষে যোগ করায় কোন বাধা নেই। তবে সর্বদা নিম্নোক্ত হাদীছটি স্মরণ রাখতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘লোকেরা যেন তাদের বাপ-দাদার নামে গর্ব
উত্তর : মাইকে খুৎবা প্রদান জায়েয। তবে সাউন্ড বক্স এমনভাবে সেট করতে হবে যেন তা কেবল মসজিদে আগত শ্রোতারাই শ্রবণ করে। মসজিদে বা বাসায় অবস্থানকারী মুছল্লীদের মনোযোগে বিঘ্ন না ঘটে। ই‘তিকাফে থাকাকালীন সময়ে এক ব্যক্তি সরবে ক্বিরাআত করলে রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : এরূপ করাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। ডাকের মাধ্যমে দরাদরি করে দ্রব্য-সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করা শরী‘আত সম্মত। হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছে এসেছে, ‘জনৈক অভাবগ্রস্ত ব্যক্তি তার মুদাববার গোলামকে মুক্ত করলে রাসূল (ছাঃ) উক
উত্তর : যাকাত প্রদানের জন্য নিছাব পরিমাণ সঞ্চিত সম্পদ থাকা আবশ্যক (বুখারী হা/১৪৫৯; মুসলিম হা/৯৮০; মিশকাত হা/১৭৯৪) এবং তা এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া শর্ত (আবুদাঊদ হা/১৫৭৩)। ঋণদাতা ঋণ প্রদানের পর উক্ত সম্পদের মালিক থাকেন না। অতএব তাকে এর যাকাত দিতে হবে
উত্তর : এমতাবস্থায় দাওয়াত দাতার অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় ফিরে যাবে। আবু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আবু শু‘আইব নামক জনৈক আনছারী রাসূল (ছাঃ)-কে দাওয়াত দিলে তিনি তাঁর সাথে অতিরিক্ত একজন নিয়ে আসলেন। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন, ‘এ আমাদের সঙ্
উত্তর : নাবালেগ ও পাগলের মাল নিছাব পরিমাণ হ’লে যাকাত দিতে হবে। অভিভাবক তাদের সম্পদ থেকে যাকাত বের করবেন। কারণ যাকাত আদায়ের মূল শর্ত হ’ল সম্পদ থাকা। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তাদের মাল-সম্পদ থেকে যাকাত গ্রহণ কর। যা দ্বারা তুমি তাদের পবিত্র করবে ও পরি
উত্তর : দুই দুধবোনকে একত্রে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের দুধ মাতা ও দুধ বোন’ (নিসা ৪/২৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বংশগত কারণে যা হারাম হয়, দুধ পানের সম্পর্কের কারণেও তা হারাম হয়’ (বুখারী হা/২৬৪৫; মুসলিম হা/১৪৪৫
উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী ওয়াদাকারী আল্লাহর নামে ওয়াদা করেছেন, যা কসমের শামিল। অতএব এক্ষেত্রে কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে। আর কসম ভঙ্গের কাফফারা হ’ল দশজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য খাওয়ানো অথবা বস্ত্র দান করা অথবা একটি দাস মুক্ত করা। এতে অসমর্থ হ’লে তিন
উত্তর : তালাক না দেওয়ায় বিবাহ ঠিক আছে। তবে একত্রে থাকার পরও স্ত্রী থেকে এতদিন বিরত থাকায় স্বামী কবীরা গোনাহগার হয়েছে। এজন্য তাকে তওবা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর (নিসা ৪/১৯)। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আব্দুল্লাহ বিন আমর ই
উত্তর : এরূপ অবস্থায় উক্ত স্বর্ণের মালিক হবে তার মা। যা তার কন্যাকে সাময়িকভাবে ধার স্বরূপ দেওয়া হয়েছে। অতএব মায়ের স্বর্ণের সাথে এটিকে মিলিয়ে একত্রে যাকাত দিতে হবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৬৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক স্বর্ণ ও রৌপ্যের ম
উত্তর : বাধ্যগত অবস্থা ছাড়া এ সময় কারো সাথে কথা বলা ঠিক নয়। রাসূল (ছাঃ) ই‘তিকাফ অবস্থায় প্রয়োজনবোধে দু’জন ব্যক্তির সাথে কথা বলেছিলেন (বুখারী হা/২০৩৫; মুসলিম হা/২১৭৫)। এছাড়া ই‘তিকাফের পবিত্রতা বিরোধী কোন কথা বলা যাবে না এবং প্রয়োজনীয় কথা অতি সংক্ষেপে
উত্তর : এরূপ কারবার শরী‘আত সম্মত নয়। এটি সুস্পষ্ট সূদ যা ইসলামে হারাম। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন ও সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। অতএব সম্ভব হ’লে সূদ মুক্ত ঋণ দ্বারা ব্যবসা করতে হবে। নইলে ছেড়ে দিতে হবে।
উত্তর : না। তবে স্বাদ চাখার সময় যাতে কণ্ঠনালীতে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছিয়াম অবস্থায় ঝোল বা কোন বস্ত্তর স্বাদ আস্বাদনের সময় হলক্ব বা কণ্ঠনালীতে প্রবেশ না করলে কোন ক্ষতি নেই’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, ইরওয়াউল গ
উত্তর : কবর ও মসজিদের মধ্যে পৃথক দেওয়াল না থাকায় উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সাবধান! তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের নবীগণ ও নেক ব্যক্তিগণের কবর সমূহকে মসজিদে পরিণত করেছিল। সাবধান! তোমরা কবর সমূহকে ম
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল। যেমন- আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘পাঁচটি কর্ম ছিয়াম ও ওযূকে বিনষ্ট করে : (১) মিথ্যা কথা (২) গীবত বা পরনিন্দা (৩) চোগলখুরী (অর্থাৎ একের কথা অন্যকে লাগিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেওয়া)
উত্তর : না। এতে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। কারণ এ ব্যাপারে কোন দলীল নেই। আর এর মাধ্যমে কেবল ওযূ বিনষ্ট হয় (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩০২)। আর ওযূ নষ্ট হ’লে ছিয়াম নষ্ট হয় না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১০/২৭৩; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৬/২৩৬)।
উত্তর : বিশুদ্ধ আক্বীদা হ’ল, সৎকর্মে ঈমান বৃদ্ধি পায় ও পাপ কর্মে তা হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন কেবল তারাই, যখন তাদের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর সমূহ ভয়ে কেঁপে ওঠে। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন তাদের ঈমান ব
উত্তর : ১ম বৈঠকে বাম পা পেতে তার উপরে বসবে ও শেষ বৈঠকে ডান পায়ের তলা দিয়ে বাম পায়ের অগ্রভাগ বের করে দিয়ে বাম নিতম্বের উপরে বসবে ও ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখবে। এই সময় ডান পায়ের আঙ্গুলী সমূহের অগ্রভাগ ক্বিবলা মুখী থাকবে (বুখারী হা/৮২৮, আবুদাঊদ, মিশকাত হা
উত্তর : দুর্নীতির অভিযোগে নয়, বরং অন্য অভিযোগের কারণে ওমর (রাঃ) প্রশাসনিক শৃংখলা রক্ষা ও জনগণকে শান্ত করার জন্য তদন্তের পূর্বেই আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বাহরাইনের গভর্ণরের দায়িত্ব হ’তে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছিলেন। যেমন সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ)-কে কূফার
উত্তর : এদেশে ‘খানা’র আয়োজন করা হয় মৃতের কল্যাণের জন্য। যা একটি বিদ‘আতী প্রথা। এক্ষণে জীবিত অবস্থায় উক্ত খানার আয়োজন করা একটি বিদ‘আতের সঙ্গে আরেকটি বিদ‘আতের সংযুক্তি মাত্র। যা আদৌ শরী‘আত সম্মত নয়। বরং আখেরাতে কল্যাণের লক্ষ্যে মুমিনদের খাওয়ানো সহ যেকো
উত্তর : ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ছালাতুর রাগায়েব নামে ১২ রাক‘আত ছালাত যা রজব মাসের প্রথম জুম‘আর দিন মাগরিব থেকে এশার মধ্যে পড়া হয় এবং মধ্য শা‘বানের রাতে যে ১০০ রাক‘আত ছালাত পড়া হয়, তা নিকৃষ্ট বিদ‘আত। এ বিষয়ে ‘কুতুল কুলূব’ ও ‘এহইয়াউ ঊলূমিদ্দীন’ নামে দু’ট
উত্তর : কনে পক্ষের অভিভাবক প্রথমে রাযী থাকলেও পরে স্রেফ ‘আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে’ রাযী না হওয়াটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া ছেলে ও মেয়ে উভয়ে সন্তুষ্টচিত্তে সংসার করছে বিধায় বিবাহ বাতিলের প্রশ্নই ওঠে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার দ্বীনদারী এবং সচ্চরিত্রতার ব্যা
উত্তর : মসজিদ যতক্ষণ খোলা থাকে ততক্ষণ মসজিদে বসে যিকর-আযকার করবে। নইলে বাড়িতে এসে দু’রাক‘আত নফল ছালাত পড়ে মুছাল্লায় বসে যিকির-আযকার করবে। আর নফল ইবাদত বাড়ীতে করাই সুন্নাত (ইবনু মাজাহ হা/১৩৭৮)। চার রাক‘আত বিশিষ্ট ‘নফল ছালাতে’র শেষ দু’রাক‘আতে অ
উত্তর : হাদীছ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দরিদ্র মুসলমানগণ জান্নাতে যাবে সম্পদশালীদের চেয়ে অর্ধদিন পূর্বে। এই অর্ধদিন হ’ল পাঁচ শত বছরের সমান’ (তিরমিযী হা/২৩৫৪; মুসলিম হা/২৭৩৬)। ঈমানদারীর দিক থেকে সমান
উত্তর : একথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমর্মে একটি জাল বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু সেটি কোন জাল হাদীছের কিতাবে নেই। ইমাম শাওকানী বলেন, প্রশ্নাতীতভাবে এটি জাল। জাল বর্ণনার কিতাবগুলোতেও আমি এটি পাইনি। কিন্তু বর্তমান যুগে এটি ছান‘আ শহরের ফক্বীহদের নিকট প্রসিদ্
উত্তর : কোনরূপ দুনিয়াবী স্বার্থ ছাড়াই বিশুদ্ধ নিয়তে পাঠালে ছওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কোন জিহাদে গমনকারীকে প্রস্ত্তত করে দিল তথা খরচ বহন করল অথবা কোন হজ্জপালনকারীর খরচ বহন করল, অথবা জিহাদে বা হজ্জে গমনকারীর পরিবারের তত্
উত্তর : ‘বিসমিল্লাহ’ বলে গুলি ছুঁড়লে এবং তাতে রক্ত প্রবাহিত হ’লে প্রাণীটি যবেহ করার পূর্বে মারা গেলেও খাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে পশু (আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তা) থেকে রক্ত বের হয় এবং যাতে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তা তোমরা খেতে পার’ (বুখারী হা/২৫০৭; মিশকা
উত্তর : পেনশন গ্রহণ করাই উচিত হবে। কারণ পেনশন চাকুরীর চুক্তির অন্তর্ভুক্ত অবসরকালীন ভাতা। যা সূদ নয়। কিন্তু তা উত্তোলন করে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ প্রদানের শর্তে কোন সূদভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রেখে অর্থ গ্রহণ করা স্পষ্ট সূদ।
উত্তর : ইসলামে ধর্ম ভাই-বোন বা ধর্ম বাপ-মা বলে কিছু নেই। জাহেলী যুগে এরূপ রেওয়াজ ছিল। এমনকি রাসূল (ছাঃ)-এর পালক পুত্র যায়েদকে তাঁর দিকে সম্বন্ধ করে বলা হ’ত যায়েদ বিন মুহাম্মাদ। এর প্রতিবাদে আল্লাহ বলেন, ‘আর তিনি তোমাদের পোষ্যদেরকে তোমাদের পুত্র করেনন
উত্তর : এরূপ মেয়েকে বিবাহ করা যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বিয়েতে কনের দ্বীনকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮২, ৩০৯০)। তবে বংশীয়ভাবে ধার্মিক পরিবার হ’লে সেটাই সর্বোত্তম। এছাড়া শিরক-বিদ‘আতে অভ্যস্ত পরিবার হ’তে দূরে থাকা যরূরী।
উত্তর : এভাবে মানত করার কোন দলীল পাওয়া যায় না। এর জন্য আল্লাহর নিকট খালেছ নিয়তে দো‘আ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানতে ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। এতে কৃপণদের নিকট থেকে কিছু মাল বেরিয়ে আসে মাত্র’ (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৪২৬)। তবে মানত করলে তা পূরণ ক
উত্তর : নিফাসের নিম্ন সময়ের কোন মেয়াদ নেই। যখনই পবিত্র হবে, তখনই ছালাত ও ছিয়াম শুরু করবে (তিরমিযী হা/১৩৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/৪৫৮)। তবে এর ঊর্ধ্ব সময়সীমা হ’ল ৪০ দিন। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, নিফাসগ্রস্ত মহিলাগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে ৪০ দিন অপে
উত্তর : স্ত্রীর জন্য যরূরী হ’ল স্বামীর আনুগত্য করা। স্বামী স্ত্রীকে যেখানে রাখবে সে সেখানেই অবস্থান করবে। স্বামী মাতা-পিতার খিদমত কীভাবে করবে সেটি স্বামীর দায়িত্ব। এক্ষেত্রে স্বামীর সুযোগ থাকলে এবং স্ত্রীর যথাযথ হক আদায় করতে পারলে স্ত্রীকে গ্রামের বা
উত্তর : একই পানি দিয়ে একাধিক ব্যক্তি ওযূ করতে পারে। কারণ পানি পবিত্র। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই পানি পবিত্র। তাকে কোন বস্ত্ত অপবিত্র করতে পারে না’ (আবুদাঊদ হা/৬৭; মিশকাত হা/৪৭৮)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, যতক্ষণ না তা নাপাকী বহন করে (আবুদাঊদ হা/৬৩; মিশকাত
উত্তর : এরূপ অবস্থায় দেশে ফিরে আসার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা উচিত। তবে কোন উপায় না থাকলে জীবন রক্ষার্থে অন্য দেশে অবৈধ ও ঝুকিপূর্ণভাবে যাওয়া আত্মহত্যার শামিল হবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ সে মৃত্যুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেনি। বরং বাঁচার জন্য যাত্রা করেছিল। &
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মিম্বার ছিল তিন স্তর বিশিষ্ট এবং এটিই সুন্নাত (আহমাদ হা/২২৯২২; ইবনু মাজাহ হা/১৪১৪; মুসলিম হা/৫৪৪)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর মিম্বার ছিল খাটো এবং তিন স্তর বিশিষ্ট (আহমাদ হা/২৪১৯; ইবনু খুযায়মাহ হা/১৭৫৫; সনদ ছহী
উত্তর : কোন বাধা নেই। নাপাক অবস্থায় ঘুম থেকে উঠে শুধু সাহারী খাওয়ার সময় অবশিষ্ট থাকলে বিনা গোসলেই সাহারী খাবে। অতঃপর গোসল করে ফজরের ছালাত আদায় করবে (হাইআতু কিবারিল ওলামা ১/৪২৬ পৃঃ)। তবে সাহারী খাওয়ার সুযোগ নেই এমন সময় ঘুম ভাঙলে গোসল করে ছালাত (ফজর) আ
উত্তর : কথাটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। পথভ্রষ্ট ছূফী মতবাদের লোকেরা এসব বলে থাকে। তারা বদরী ছাহাবী ৩১৩ জন, রাসূলগণের সংখ্যা ৩১৩ জন ও বাদশাহ তালূতের পক্ষে ৩১৩ জন্য লড়াই করেছিল ইত্যাদি যুক্তি দেখিয়ে ৩১৩ বার আয়াতুল কুরসীর ফযীলত বর্ণনা করে থাকে। কুরআন ও হাদী
উত্তর : না। বরং কুরআনকে সসম্মানে উঁচু স্থানে রেখে তেলাওয়াত করতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, একবার ইহূদীদের একটি দল রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে যেনার ফয়ছালা গ্রহণের জন্য আসলে রাসূল (ছাঃ) তাদেরকে তওরাতের একটি কপি আনতে বলেন। এসময় তারা রাসূল (ছাঃ)-এর ব
উত্তর : কেবল সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ)-এর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশে কম্পন সৃষ্টি হয় বলে ছহীহ হাদীছে পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ) মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল (বুখারী হা/৩৮০৩; মুসলিম হা/২৪৬৪; মিশকাত হা/৬১৯৭)। তিনি আরো বলেন, সা‘দ
উত্তর : মাক্কী সূরাগুলির প্রায় সবই জাহান্নামের ভীতি সঞ্চারকারী। এজন্য তাফসীরুল কুরআন ৩০তম পারা নিয়মিত পাঠ করুন। এছাড়াও নিম্নোক্ত আয়াতগুলি অর্থ সহ পাঠ করুন। যেমন সূরা বাক্বারাহ ২/১৬১-১৬২, ১৬৬-১৬৭, ১৭৪-১৭৫, আলে ইমরান ৩/১০, ১৬২, ১৮৫, ১৯৬-১৯৭, নিসা ৪/১৪,
উত্তর : এ ঘটনা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। উক্ত মর্মে দু’টি বর্ণনা রয়েছে। একটি উম্মে আয়মন ও আরেকটি উম্মে সালামা বা উম্মে হাবীবার হাবশী দাসী উম্মে ইউসুফ বারাকাহ -এর নামে। যাতে বলা হয়েছে, রাসূল (ছাঃ) রাতে একটি কাঠের পাত্রে পেশাব করে রাখলে তারা পানি
উত্তর : সে সাধ্যমত তাকবীর ও ক্বিরাআত করে ছালাত আদায় করবে। তার জন্য বিশুদ্ধ উচ্চারণ বা উঁচুস্বরে পাঠ শর্ত নয়। তবে তাকে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ কোন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না’ (বাক্বারাহ ২/২৮৬)। অতএব
উত্তর : অবৈধ পন্থায় নেওয়া টাকা মামাকে ফেরত দিয়ে তওবা করতে হবে। আর টাকা ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে মামার নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু তিনি ক্ষমা না করলে গৃহীত টাকা ধীরে ধীরে পরিশোধ করার ব্যাপারে রাযী করাতে হবে। অর্থাৎ যেকোন মূল্যে বিষয়টি সম
উত্তর : গণকের নিকট যাওয়া যাওয়া যাবে না। কারণ সে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে বলে। গণকদের কিছু কথা কখনো সত্যের সাথে মিলে যেতে পারে। কিন্তু সেটি শয়তানের চুপিসারে শ্রুত কথা মাত্র। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ফেরেশতাগণ মেঘমালার উপরে অবতরণ করেন এবং আকাশে (আল্লাহর) নির্ধার
উত্তর : না। কেননা সূদ সর্বাবস্থায় হারাম (বাক্বারাহ ২/২৭৫)। ইবনু কুদামাহ বলেন, সূদ যেমন মুসলিম রাষ্ট্রে হারাম তেমনি অমুসলিম রাষ্ট্রেও হারাম। একথাই বলেছেন ইমাম মালেক, শাফেঈ, আওযাঈ, ইসহাক ও আবু ইউসুফ (রহঃ)’ (আল-মুগনী, মাসআলা নং ২৮৪২ ‘দারুল হারবে সূদ’ অন
উত্তর : না। বরং নারীরা টাখনুর নীচে কাপড় পরবে। উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, মহিলারা তাদের কাপড়ের আঁচলের ক্ষেত্রে কি করবে? তিনি বললেন, তারা (মধ্যহাঁটু থেকে) এক বিঘত ঝুলিয়ে রাখবে। তিনি বললেন, এতে তো তাদের পা প্রকাশ হয়ে যা
উত্তর : ঐ নারী আল্লাহর নিকটে অনুতপ্ত হৃদয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং উক্ত ছিয়ামগুলির ক্বাযা আদায় করবে। কেননা আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমাদেরকে ঋতুকালীন সময়ে ছিয়ামের ক্বাযা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হ’ত। কিন্তু ছালাতের ক্বাযা আদায়ের আদেশ দেওয়া হ’ত না (মুসল
উত্তর : সাধারণভাবে এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যে অধিক লাভ বা কল্যাণের উদ্দেশ্যে এরূপ আগরবাতি জ্বালালে তা অবশ্যই শিরক হবে। দোকান, বাড়ী বা নিজেকে সুগন্ধিময় রাখা উত্তম অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, দুনিয়ার তিনটি বস্ত্ত রাস
উত্তর : উক্ত সন্তানদের খরচ বহন করা অপরিহার্য নয়। বরং মায়ের অধীনে থাকলে অভিভাবক হিসাবে মা তাদের খরচ বহন করার ব্যাপারে দায়িত্বশীল হবে। তবে মা যেহেতু ব্যক্তির স্ত্রী হিসাবে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেহেতু অশেষ ছওয়াবের আশায় উক্ত সন্তানদের খরচ
উত্তর : দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন, যা সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যিক। সেগুলি হ’ল- ঈমান ও তা বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ, বিশুদ্ধ ও বাতিল আক্বীদা, তাওহীদ-শিরক, হালাল-হারাম, ছালাত-ছিয়াম, হজ্জ-যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ফরয ইবাদত পালনের নিয়ম-পদ্ধতি স
উত্তর : মাহরাম ব্যতীত মহিলাদের একাকী সফরে বের হওয়া শরী‘আতে নিষিদ্ধ (বুখারী হা/৩০০৬; মিশকাত হা/২৫১৩)। তাই স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা অন্য মাহরামদের সহযোগিতা নিবেন বা অন্য কাউকে দিয়ে বাজার করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে স্বামীর অনুমতিক্রমে শহরের ম
উত্তর : ছালাত অবস্থায় পুরুষের জন্য জামার হাতা সমূহ বা কাপড় গুটিয়ে রাখা উচিত নয়। বরং খোলামেলা ছেড়ে দিতে হবে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৮৮৭, ‘সিজদা ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : মুসলিম ব্যক্তি মারা গেলে ইন্নালিল্লাহি...বলতে হবে (বাক্বারাহ ২/১৫৬)। কিন্তু অমুসলিমদের মৃত্যুতে ‘ফী নারে জাহান্নাম’ বলতে হবে এটা নিতান্তই বানোয়াট কথা। তবে অমুসলিমরা নিশ্চিতভাবেই জাহান্নামে যাবে। আল্লাহ বলেন, আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে
উত্তর : ফেরেশতাগণও মৃত্যুবরণ করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করো না। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। প্রত্যেক বস্ত্তই ধ্বংস হবে তাঁর চেহারা ব্যতীত। বিধান কেবল তাঁরই এবং তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে’ (ক্বাছাছ ২৮/৮৮)।
উত্তর : শ্বশুর-শাশুড়ীর কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করলে ও তাদের সেবা-যত্ন করলে তাতে অশেষ নেকী অর্জিত হবে। এর ফলে স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি অধিক সন্তুষ্ট থাকবেন। রাসূল (ছাঃ) জনৈক মহিলাকে বলেন, তুমি লক্ষ্য রেখ যে, তুমি তোমার স্বামীর হৃদয়ের কোথায় অবস্থান
উত্তর : সাধারণভাবে প্রাণীর ছবি তোলা নিষিদ্ধ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৪৯৮, ‘ছবিসমূহ’ অনুচ্ছেদ)। ছবি সম্পর্কিত হাদীছসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সম্মানের উদ্দেশ্যে অর্ধদেহী বা পূর্ণদেহী সকল প্রকার প্রাণীর ছবি টাঙানো বা স্থাপন করা নিষিদ্ধ। কেবল বা
উত্তর : হুবহু উক্ত অর্থে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। কাছাকাছি অর্থে যে সকল বর্ণনা প্রচলিত আছে, তা ছহীহ নয়। আর সূরা তওবার শেষ আয়াতটি সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করার ব্যাপারে যে বর্ণনা এসেছে তা জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/৫২৮৬)। আনাস (রাঃ)-এর সাথে হাজ্জাজ বিন
উত্তর : পেশাবের ছিটাযুক্ত স্থানের কাপড় ধুয়ে পবিত্র করতে হবে। জেনে-শুনে এরূপ পেশাবযুক্ত কাপড়ে ছালাত আদায় করলে উক্ত ছালাতের ক্বাযা আদায় করতে হবে। কারণ ছালাত আদায়ের জন্য পোষাক পবিত্র হওয়া শর্ত (মুদ্দাছছির ৭৪/৪; ইবনু হিববান হা/২৩৩৩; ইবনু খুযায়মা হা
উত্তর : যাবে না। কারণ আপনি সরকার বা কোম্পানীর বেতনভুক। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমরা যাকে অর্থের বিনিময়ে কোন কাজে নিয়োজিত করি, তার অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করলে তা হবে খেয়ানত বা আত্মসাৎ (আবুদাঊদ হা/২৯৪৩; মিশকাত হা/৩৭৪৮)। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে যাক
উত্তর : এটা সঠিক রীতি নয়। বরং পিতা-মাতার সমুদয় সম্পত্তিতে ছেলেদের সাথে মেয়েরাও অংশীদার হবে। আল্লাহ বলেন, পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদের অংশ রয়েছে এবং নারীদের অংশ রয়েছে কম হৌক বা বেশী হৌক। এ অংশ সুনির্ধারিত’ (নিসা ৪/৭)
উত্তর : উক্ত অনুদান গ্রহণ করা যাবে। কারণ সরকার গঠিত হয় জনকল্যাণের জন্য। এটি ব্যাংকের ন্যায় কেবল সূদী লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় না। এক্ষণে যদি সরকারী তহবিলে কোন হারাম উপার্জন থেকে থাকে, তবে তার জন্য সরকার দায়ী হবে, জনগণ নয়। আল্লাহ বলেন
উত্তর : সংক্ষেপে এরূপ লেখায় কোন বাধা নেই। আরবী, বাংলা, ইংরেজী সব ভাষাতেই এরূপ সংক্ষেপে বলার নিয়ম আছে। তবে পাঠক মুখে পুরাটাই বলবেন। শায়খ আলবানী বলেন, কেবল (ص) লেখায় কোন বাধা নেই। কারণ এটি রাসূল (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠের ইঙ্গিতবহ অক্ষরে পরিণত হয়ে
উত্তর : এরূপ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। বরং মৃত্যুর পর থেকেই হিসাবের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায় (বুখারী হা/১৩৭৯, মুসলিম হা/২৮৬৬; মিশকাত হা/১২৭; আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৬৩০)। সেকারণ দাফনের ব্যস্ততা শেষ হওয়ার পর রাসূল (ছাঃ) বলতেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইয়ে
উত্তর : দেখা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে’ (নূর ২৪/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা হ’ল (বেগানা) নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা’ (বুখারী হা/৬২৪৩; মুসলিম হা/২৬৫৭; মিশকাত হা/৮৬)।
উত্তর : প্রথমা স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া শর্ত নয়। সামর্থ্য থাকলে একজন পুরুষ চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার অধিকার রাখে (নিসা৪/৩; বুখারী হা/৪৮৭৮)। তবে সকল স্ত্রীর প্রতি ইনছাফ রাখতে হবে এবং কারো অধিকার আদায়ে কোনরূপ ত্রুটি করা যাবে না। কারণ আখেরাতে এর পরিণাম হব
উত্তর : এরূপ বাধ্যগত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পেশাব করা যায়। হুযায়ফা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) একদা একটি গোত্রের ডাষ্টবিনে দাঁড়িয়ে পেশাব করেন। বলা হয়েছে যে, সেটি ছিল ওযর বশতঃ (বুখারী হা/২২৪; মুসলিম হা/২৭৩; মিশকাত হা/৩৬৪ ‘পবিত্রতা’ অধ্
উত্তর : মোট সম্পত্তি ১২ ভাগ করে তিন ভাই দুই ভাগ করে নিবে এবং বোনেরা একভাগ করে নিবে (নিসা ৪/১১)।
উত্তর : ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবহ করলে এরূপ গোশত খাওয়া জায়েয। বিদ‘আতীর যবহ এবং কসাইয়ের ছালাত আদায় না করার কারণে গোশত হারাম হবে না’ (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৫০১; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ২৫/৬৬; নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৮০)।
উত্তর : ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে শুদ্ধ তেলাওয়াত না শিখে এরূপ নিয়মিত ভুল পড়া কুরআনের প্রতি অবহেলার নামান্তর। অথচ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলিমের উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা ফরয’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; মিশকাত হা/২১৮)। আর বিশুদ্ধ কুরআন ত
উত্তর : ঋণদাতা পাওনা টাকার বাইরে দাবী করতে পারবে না। নির্ধারিত টাকার বেশী গ্রহণ করলে তা সূদ হবে (ইরওয়া হা/১৩৯৭)। তাই সূদের ভয়াবহ পরিণামের বিষয়টি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। যেকোন উপায়ে উক্ত অর্থ তাকে প্রদান করে দায়িত্বমুক্ত হ’তে হবে।
উত্তর : এরূপ পরিস্থিতিতে পশ্চাদ্বার ব্যবহার ও ক্ষতিকর পন্থা ব্যতীত যেকোন পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৫১; ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ফাতাওয়া আশ-শাবকাতুল ইসলামিয়া, ফৎওয়া নং ৫৬৩১২)।
উত্তর : এটি কোন হাদীছ নয় এবং হাদীছের কোন কিতাবে এটি খুঁজে পাওয়া যায় না (ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমা ৩/২৫৯)। অতএব রাসূল (ছাঃ)-এর নামে এরূপ মিথ্যা প্রচার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কথা বলল, যা আমি বলিনি। সে তার স্থান জাহান
উত্তর : না পড়াই উত্তম। কারণ এর পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। অধিক তাসবীহ পাঠের কারণে এই ছালাতকে ‘ছালাতুত তাসবীহ’ বলা হয়। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত এ সম্পর্কিত হাদীছকে কেউ ‘মুরসাল’ কেউ ‘মওকূফ’ কেউ ‘যঈফ’ কেউ ‘মওযূ’ বা জাল বলেছেন। ইমাম ইবনু
উত্তর : কৃত্রিম পদ্ধতিতে গাভী প্রজনন করা যাবে। গৃহপালিত প্রাণীসহ পৃথিবীর সকল প্রাণী আল্লাহ তা‘আলা মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন। অনুরূপভাবে গাভীও একটি কল্যাণকর পশু। কাজেই গবাদী পশুর উন্নয়নের লক্ষ্যে যে কোন উন্নতমানের প্রজনন পদ্ধতি গ্রহণ
উত্তর : হিন্দু বা অমুসলিমদের বাসা ভাড়া দেওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই, যদি তাদের থেকে কোন ক্ষতির আশংকা না থাকে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ ১/২৮৬; আল-মাবসূত্ব ১৬/৩৯)। তবে তাদের ধর্মীয় কর্মকান্ডের জন্য বা শরী‘আতে হারাম এরূপ কোন কাজের জন্য ভাড়া দেওয়া যাবে
উত্তর : উক্ত অবস্থায় স্ত্রীকে বেশী বেশী উপদেশ দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তম নছীহত কর। কেননা নারী জাতিকে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। তুমি যদি তা সোজা করতে যা
উত্তর : উক্ত বিষয়ে নিম্নের দু’টি পদ্ধতি গ্রহণে কোন বাধা নেই। (১) স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের শুক্রানু ও ডিম্বানু পরাগায়ন করে স্ত্রীর রেহেমে পুশ করা। (২) স্বামীর শুক্রানু নিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্ত্রীর রেহেমে পুশ করা। এছাড়া অন্য সকল পদ্ধতি শরী‘আত
উত্তর : এসব দিবস পালন বিজাতীয় অপসংস্কৃতির অনুকরণ মাত্র। যা নিষিদ্ধ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; তিরমিযী হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৯৪)। তাই এসকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা বা তাদের প্রদত্ত খাবার খাওয়া অন্যায়কর্মে সহযোগিতার শামিল। যা থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন (মায়ে
উত্তর : জেনেশুনে নারী-পুরুষের এরূপ অবাধ মেলামেশার সুযোগ দিলে হোটেল মালিক অবশ্যই গুনাহগার হবেন। এরূপ হোটেলে জেনে-শুনে যাওয়া উচিত নয়। গেলেও ফিরে আসতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো না (মায়েদা ৫/২)। অতএব
উত্তর : গৃহপলিত পশু মারা গেলে পশুটি মাটিতে পুঁতে দেওয়াই উচিত (ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ ৮/৪৪৪-৪৪৫)। স্মর্তব্য যে, মৃত পশুর চামড়া আলাদা করে তা দ্বারা উপকার গ্রহণ করা যায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৯)।
উত্তর : অজ্ঞান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় এর কোন কাফফারা দিতে হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না জাগ্রত হয় (২) শিশু যতক্ষণ না বালেগ হয় (৩) পাগল যতক্ষণ না জ্ঞান ফিরে পায় (তিরমিযী, আ
উত্তর : শরী‘আত দু’টি বস্ত্ত খাওয়া নিষিদ্ধ। (১) যা মাদকতা আনে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪২৯১)। (২) যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর (ইবনু মাজাহ, ছহীহাহ হা/২৫০)। কফির উৎস একপ্রকার ফলের বীজ থেকে। এটি পানে ঝিমুনি ভাব কেটে গিয়ে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে মাদকত
উত্তর : চাকুরী শেষে শুধুমাত্র মূল বেতন থেকে কর্তিত অর্থ এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুরূপ জমাকৃত অর্থ গ্রহণ করা যাবে। এছাড়া সূদের অংশটি আলাদা করে নেকীর আশা ব্যতীত সমাজ কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। আর যে কোন মূল্যে সূদ থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের
উত্তর : আয়াতটির অর্থ : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মাল খরিদ করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে। তারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে। অতঃপর তারা হত্যা করে অথবা নিহত হয়। এর বিনিময়ে তাদের জন্য (জান্নাত লাভের) সত্য ওয়াদা করা হয়েছে তওরাত,
উত্তর : জানার সাথে সাথে ঋণদাতাকে ডেকে সূদ গ্রহণের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে অবহিত করতে হবে এবং তাকে তা গ্রহণ না করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অতঃপর করযে হাসানার নেকী সম্পর্কে বুঝাতে হবে। এভাবে সূদ ব্যতীত মূল টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হ
উত্তর : আল্লাহর উপর ভরসা রেখে ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন, তাবীয নয়। ঔষধের ক্রিয়া আছে, কিন্তু তাবীযের নিজস্ব কোন ক্রিয়া নেই। এটি মানুষকে আল্লাহর উপর ভরসা বিনষ্ট করে মাত্র। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকালো সে শিরক করল’ (আহমাদ, ছহীহ
কাশ্ফ অর্থ উন্মুক্ত করা। আল্লাহ কর্তৃক তার কোন বান্দার নিকট অহী মারফত এমন কিছুর জ্ঞান প্রকাশ করা, যা অন্যের নিকট অপ্রকাশিত। আর এটি কেবল নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (জুরজানী, কিতাবুত তা‘রিফাত ৩৪ পৃঃ)। তবে কখনও কখনও রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য কার
উত্তর : উক্ত দলের বক্তব্য ভিত্তিহীন। ইমামতি বা কুরআন শিক্ষাদান সহ যেকোন বৈধ কাজের জন্য কাউকে নিয়োগ করা হ’লে, তার কাজের বিনিময়ে সম্মানজনক রূযীর ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রুযী
উত্তর : হোয়াইট গোল্ড বা সিটি গোল্ড যে নামকরণই করা হৌক না কেন যদি তাতে স্বর্ণের কোন অংশ থাকে, তাহ’লে পুরুষদের জন্য তা ব্যবহার করা হারাম। যদি না থাকে তাহ’লে জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৭৬/২৪, ২৪/৬১)। তবে বাজারে প্রচলিত হোয়াইট গোল্ড অলংকারগুলি বিভিন্ন ক
উত্তর : সূদী ব্যাংকসহ যেকোন সূদী প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর কারণে উপার্জিত সম্পদ কেবল উপার্জনকারীর জন্য হারাম। উপার্জনকারীর ওয়ারিছ হিসাবে বৈধ পন্থায় গ্রহণকারী এ জন্য দায়ী হবে না (উছায়মীন, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ৫৭ আয়াত ১/১৯৮)। অতএব পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিছরা
উত্তর : বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। সেকারণ তালাক প্রযোজ্য হবে না। কেননা কন্যার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ বৈধ নয় (ইবনু মাজাহ হা/১৮৭৯; মিশকাত হা/৩১৩১, ৩১৩৭)। অতএব যতদিন তারা বসবাস করেছে, ততদিন তারা ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল। এক্ষণে তারা বিবাহ বন
উত্তর : এরূপ কারণে ইমাম ছাহেবকে বরখাস্ত করা জায়েয হবে না। বরং স্পষ্ট যুলুম হবে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে এখানে ইমাম ছাহেব দোষী নন। আর আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে। কেউ কারু পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। এ ব্যাপারে ইমা
উত্তর : পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আসমান ও যমীনে যত প্রাণী আছে, সবই আল্লাহকে সিজদা করে এবং ফেরেশতাগণ। আর তারা অহংকার করে না’ (নাহল ১৪/৪৯)। উক্ত আয়াত থেকে অনুমতি হয় যে, আসমানে ফেরেশতা ছাড়াও অন্য সৃষ্টি রয়েছ
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত কারণে গিফ্ট বা উপঢৌকন প্রদান করা নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কারু জন্য সুফারিশ করল, অতঃপর এর বিনিময়ে তাকে কোন বস্ত্ত প্রদান করা হ’লে সে তা গ্রহণ করল, ঐ ব্যক্তি একটি বড় ধরনের সূদ গ্রহণ করল’ (আবুদাঊদ হা/৩
উত্তর : ইবনু আববাস (রাঃ) তাফসীর বা অন্য কোন গ্রন্থ রচনা করে যাননি। ‘তাফসীর ইবনু আববাস’ নামে যে তাফসীর গ্রন্থ প্রচলিত রয়েছে তা পরবর্তীতে রচিত। তাই তাঁর প্রতি এই তাফসীর গ্রন্থটি সম্বন্ধিত করা যাবে না।ইবনু আববাসের তাফসীর হিসাবে একটি তাফসীর রচনা করেছেন ম
উত্তর : কেবল অপবিত্র স্থানটুকু পরিষ্কার করলেই যথেষ্ট হবে। পুরো পোশাক বা পুরো বিছানা ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই। একবার এক ব্যক্তি আয়েশা (রাঃ)-এর মেহমান হ’ল। অতঃপর সকালে সে তার কাপড় ধুতে লাগল। তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, তুমি যদি (কাপড়ে) তা (বীর্য) দেখতে পাও, তব
উত্তর : ছাত্র যে ধর্মেরই হৌক না কেন তাকে পাঠ্য বই পড়ানোতে কোন গুনাহ হবে না। আর বৈধ যেকোন কাজের বিনিময়ে মজুরী নেওয়া যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৫/৯৬)। তবে কাউকে হিন্দু ধর্মে উদ্বুদ্ধ করা জায়েয হবে না।
উত্তর : এগুলি জায়েয নয়। বরং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরিয়ে ফেলা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং অন্যতম ছাদাক্বাহ (বুখারী হা/২৬৩১, ২৯৮৯; মিশকাত হা/৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে চলার সময় রাস্তায় একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখতে পেয়ে তা সর
উত্তর : স্বর্ণ কম হৌক বা বেশী হৌক পুরুষের জন্য ব্যবহার করা হারাম। তাই এরূপ ঘড়ি পুরুষদের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তির হাতে একটি স্বর্ণের আংটি দেখতে পেয়ে সেটি খুলে ফেলে দেন এবং বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আগুনের টুকরা সংগ্রহ করে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তবে আলেম হোক বা সাধারণ মুমিন হোক কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে কবরবাসীর জন্য দো‘আ করলে মৃত মুমিন ব্যক্তি উপকৃত হবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৬৪ ‘জানাযা’ অধ্যায় ‘কবর যিয়ারত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : ইমাম বুখারী (রহঃ) ছহীহ বুখারীর তরজমাতুল বাব রচনার সময় রাসূল (ছাঃ)-এর কবরের দ্বারা বরকত গ্রহণ করেছেন ইমাম বুখারী একথা বলেননি। বরং তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর কবর এবং তাঁর মিম্বারের মাঝে মসজিদে বসে তরজমাতুল বাব রচনা করেছিলেন এবং প্রতিটি তরজমাতুল বাব রচ
উত্তর : লোকমান অত্যন্ত উঁচুদরের একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। সুফিয়ান ছওরী ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে, ক্বাতাদাহ জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে এবং সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব সহ অধিকাংশ সালাফের মতে তিনি নবী নন; বরং তিনি একজন সৎ বান্দা ছিলেন। যে আছার দ্বারা তাঁর নবী
উত্তর : এমতাবস্থায় জামে মসজিদে গিয়ে ছালাত আদায় করাই কর্তব্য। কেননা জামা‘আত যত বড় হবে, মুছল্লীদের নেকী তত বেশী হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জামা‘আতে মুছল্লী যত বেশী হবে, আল্লাহর নিকটে তা তত বেশী প্রিয়তর হবে’ (আবুদাঊদ হা/৫৫৪, মিশকাত হা/১০৬৬)। তিনি বলেন
উত্তর : না। কারণ মায়ের সৎ খালা তার আপন খালার ন্যায়। কারণ হাদীছে এসেছে, الْخَالَةُ بِمَنْزِلَةِ الأُمِّ ‘খালা মায়ের মর্যাদা সম্পন্ন’ (বুখারী হা/২৬৯৯; মিশকাত হা/৩৩৭৭)। অতএব নানী হিসাবে তিনি মাহরাম পর্যায়ভুক্ত (নিসা ৪/২৩; ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/৭৫)।
উত্তর : ঘটনাটি শিক্ষণীয় ও বহুল প্রচলিত হ’লেও শুদ্ধ বা অশুদ্ধ কোন সূত্রে এটি পাওয়া যায়নি। তাছাড়া এটি ওমর (রাঃ)-এর আত্মসম্মানের বরখেলাফ।
উত্তর : দারিদ্র্য বিবাহের জন্য বাধা নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন আছে, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও ... তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে স্বচ্ছল করে দিবেন’ (নূর ২৪/৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্
উত্তর : কুরবানীর চামড়া মসজিদের উন্নয়নে লাগানো যাবে না। কারণ সূরা তওবাহর ৬০ আয়াতে যাকাতের যে ৮টি খাত উল্লেখ করা হয়েছে, মসজিদ তার অন্তর্ভুক্ত নয়।
উত্তর : ওযূর পূর্বে সর্বাবস্থায় বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। এটি পাঠ করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত (তিরমিযী হা/২৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৪০২; ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ ৫/৯৪; শারহুল মুমতে‘ ১/১৬০)। এছাড়া টয়লেটের ভিতরে যেকোন দো‘আ পাঠে বাধা নেই (মুসলিম হা/৩৭৩; মিশকাত হা/৪৫৬
উত্তর : উভয় তাশাহহুদেই আঙ্গুল নাড়ানো সুন্নাত। এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছসমূহে প্রথম বা শেষ তাশাহহুদ বলে পৃথক করা হয়নি। বরং উভয় তাশাহহুদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে (আবুদাউদ হা/৯৮৮, ৯৯০; নাসাঈ হা/১২৭৫; মিশকাত হা/৯১২)।
উত্তর : একাধিক নারী ও পুরুষের একই সাথে জানাযার ছালাত আদায় করায় কোন বাধা নেই। এক্ষেত্রে পুরুষের লাশ ইমামের কাছাকাছি সম্মুখে রাখবে। তারপর মহিলার লাশ রাখবে। ইবনু ওমর (রাঃ) একই সাথে নয়জন নারী-পুরুষের জানাযার ছালাত আদায় করেন এবং নারীদের ক্বিবলার দিকে ও পু
উত্তর : এগুলি তাওয়াক্কুল বিরোধী নয়। বরং চিকিৎসা নেওয়াই শরী‘আতের নির্দেশ। তবে ঔষধ বা ডাক্তারকে আরোগ্যদানকারী মনে করলে শিরক হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা চিকিৎসা করাও। তবে হারাম বস্ত্ত দিয়ে করো না’ (আহমাদ হা/১২৬১৮; ছহীহুল জামে‘ হা/১৭৫৪; মিশকাত হা/৪৫৩৮)।
উত্তর : কেবল মাহরাম পুরুষদের সামনে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে সূরা নূর ৩১ আয়াতে ১০ জন পুরুষের কথা বলা হয়েছে, যাদের সাথে নারী সাধারণ পোষাকে সাক্ষাৎ করতে পারে। যেমন স্বামী, পিতা (দাদা-নানা, চাচা-মামা), শ্বশুর (জামাতা), পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা (বৈপিত্রেয়
উত্তর : এমতাবস্থায় মাসবূক মুছল্লী বাকী ছালাতে নীরবে অথবা নীচু স্বরে ক্বিরাআত করবেন (আবুদাউদ হা/১৩৩২; ছহীহাহ হা/১৬০৩)।
উত্তর : ছালাত হয়ে যাবে। আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে লোকদের ইমামতি করতে দেখেছি, অথচ তখন আবুল ‘আছের কন্যা উমামা (অর্থাৎ নাতনী) তাঁর কাঁধের উপর ছিল। তিনি যখন রুকূ করতেন তাকে নামিয়ে দিতেন, আর যখন সিজদা হ’তে মাথা তুলতেন পুনরায় উঠিয়ে নিতেন
উত্তর : সফররত অবস্থায় ছালাতের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এবং যানবাহন থেকে নামার কোন সুযোগ না থাকলে যানবাহনেই প্রবল ধারণার ভিত্তিতে ক্বিবলামুখী হয়ে ছালাত আদায় করবে। নইলে যেকোন দিকে ফিরে ছালাত আদায় করবে (বাক্বারাহ ২/২৩৮; বুখারী হা/৪৫৩৫, ইবনু
উত্তর : যাবে না। কারণ যেসব স্থানে শিরক-বিদ‘আত ও শরী‘আত বিরোধী কার্যকলাপ হয় সেখানে যাওয়া, বেচা-কেনা ও ব্যবসা করা এবং সহযোগিতা করা গুনাহের কাজ। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে কাউকে সাহায্য করো না’ (
উত্তর : শারঈ পন্থায় পশু যবহ করার পর যেকোন উপায়ে খাদ্যোপযোগী করে তা খাওয়া যাবে। পুড়িয়ে খাওয়ার ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং এটাই প্রমাণিত যে, রাসূল (ছাঃ) দুম্বার পোড়ানো পাঁজরের হাড্ডি খেয়েছেন (আহমাদ হা/২৬৬৬৪; তিরমিযী হা/১৮২৯; মিশকাত হা/৩২৫)
উত্তর : পারবে। তবে কোন গায়ের মাহরাম পুরুষ তা শ্রবণের সম্ভাবনা থাকলে নিম্নস্বরে ক্বিরাআত করবে (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩৪৩ পৃ.)। কারণ মহিলাদের কণ্ঠস্বরও পর্দার অন্তর্ভুক্ত (আহযাব ৩৩/৩২; বুখারী হা/১২০৩; মুসলিম হা/৪২২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নারী জাতি লজ্জার ব
উত্তর : ছালাত অবস্থায় পুরুষের জন্য জামার হাতা সমূহ বা কাপড় গুটিয়ে রাখা উচিত নয়। বরং খোলামেলা ছেড়ে দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৮৮৭, ‘সিজদা ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-১৪; ছিফাতু ছালাতিন্নবী পৃ. ১২৫)।
উত্তর : শিরকের গুনাহ আল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট। অতএব ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু বান্দার হক বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট, যা বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তার নিজস্ব তওবা এক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না (বিস
উত্তর : বৈধ অভিভাবকের অনুমতি ও দু’জন ন্যায়বান সাক্ষী ছাড়া সম্পন্ন হওয়ায় উক্ত বিবাহ বাতিল (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪০৭৫; আবুদাঊদ হা/২০৮৩ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩১)। তবে এজন্য সন্তানকে ত্যাজ্য করার কোন বিধান শরী‘আতে নেই। কোন পিতা এরূপ করে থাকলে তা গ্রহণযোগ্য
উত্তর : স্থানীয় আলেমদের অনুসরণ করা অপরিহার্য নয়। তবে কোন বিষয়ে উভয় পক্ষের দলীল যদি ছহীহ হয়, সেক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে প্রচলিত ছহীহ আমলকে অগ্রাধিকার দেওয়াই উত্তম হবে। আর ফৎওয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে সকল স্তরের মানুষের জন্য যরূরী হ’ল, দলীল জেনে নেওয়া। ছাহাবীগণ
উত্তর : স্ত্রী স্বেচ্ছায় সম্মতি দিলে মোহরানার পরিমাণ কমানো যায়। এমনকি সে চাইলে তার মোহরানার অর্থ স্বামীকে ভোগ করতে দিতে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তোমাদের কিছু দেয়, তাহ’লে ত
উত্তর : এমতাবস্থায় সহো সিজদা দিতে হবে না। কারণ জামা‘আতে ছালাতরত অবস্থায় ইমামের অনুসরণ করা অপরিহার্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ইমাম নিযুক্ত করা হয় অনুসরণের জন্য’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। আত্বা, ইবরাহীম নাখঈ, মাকহূল, যুহরী, হাম্মাদ, ক্বাতাদা প
উত্তর : যেহেতু তারা উভয়ে এক মায়ের ও এক পিতার সন্তান নয়, সেহেতু তাদের বিবাহ বৈধ। আল্লাহ বলেন, ‘এদের ব্যতীত তোমাদের জন্য সকল নারী হালাল করা হয়েছে এই শর্তে যে, তোমরা তাদেরকে মালের বিনিময়ে কামনা করবে বিবাহের উদ্দেশ্যে, ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে নয়’ (নিসা ৪/২৪
উত্তর : ‘হায়াতুন্নবী’ সম্পর্কিত বিশুদ্ধ আক্বীদা হ’ল, রাসূল (ছাঃ) সহ সকল নবী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁদের রূহ ‘আলমে বারযাখে’ জীবিত আছে। যা দুনিয়াবী জীবন থেকে পৃথক। যে জগত সম্পর্কে আল্লাহ ব্যতীত কেউ অবগত নন (আলবানী, ছহীহাহ হা/৬২১-এর আলোচনা)। আল্লাহ বলেন, ‘
উত্তর : সবগুলি ছহীহ নয়। যার কিছু কিছু তিনি নিজেই যঈফ সাব্যস্ত করেছেন। আবার কিছু পরবর্তী মুহাদ্দিছগণ যঈফ প্রমাণ করেছেন।
উত্তর : উক্ত পদে যোগ্য হয়ে থাকলে সে খালেছ নিয়তে তওবা করবে এবং চাকুরীরত থাকবে। কারণ যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও যুলুম প্রতিরোধের জন্য বা বাধ্যগত অবস্থায় ঘুষ দিলে সেক্ষেত্রে ঘুষগ্রহীতা পাপের বোঝা বহন করবে, ঘুষদাতা নয় (মুহাল্লা ৮/১১৮ মাসআলা নং ১৬৩৮; মাজমূ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং ইসলাম বিরোধী। ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতা বশে বাজে কথা খরিদ করে মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। তাদের জন্য রয়েছে
উত্তর : এটি আদৌ জায়েয নয়। কেননা আয়াতটির অর্থ হ’ল, ‘আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফায়ছালা করেন, তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সম
উত্তর : হালাল কর্মের বিনিময়ে এরূপ মজুরী গ্রহণ করা হালাল। তবে উভয়ের সন্তুষ্টি থাকতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা একে অপরের মাল অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না, তোমাদের পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসা ব্যতীত’ (নিসা ৪/২৯)। রাসূল (ছাঃ)-এর একদল ছ
উত্তর : এরূপ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা হারাম। কারণ শূকরের গোশত হারাম (বাক্বারাহ ২/১৭৩)। আর হারাম কাজে অন্যকে সাহায্য করাও হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর। গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)।
উত্তর : কোম্পানীর সম্মতি থাকলেই কেবল হালাল হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রুযীর ব্যবস্থা করে থাকি। এর বাইরে যদি সে নেয়, তবে তা খেয়ানত হবে’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৮৮; মিশকাত হা/৩৭৪৮)।
উত্তর : না। কারণ বিতর ছালাত আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত হ’লেও তা ফরয নয়। যে কারণে এটি আদায় না করলে তাকে শাস্তিও দেওয়া হবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৭/১৭২)। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ছাহাবীর প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয। সে বলল, আ
উত্তর : কারো মৃত্যুতে বা কোন বিপদে ‘ইন্না লিল্লাহি... রাজেঊন’ বলাই যথেষ্ট (বাক্বারাহ ২/১৫৬)। এছাড়া এক্ষেত্রে ‘আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুছীবাতী...’ দো‘আটিও পাঠ করা যাবে (বাক্বারা ২/১৫৬; মুসলিম হা/৯১৮, মিশকাত হা/১৬১৮)। তবে একটি হাদীছে এসেছে যে, জনৈক ব্
উত্তর : ইবনু তায়মিয়া (রহঃ)-এর বক্তব্য অনুযায়ী ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর একটি উক্তির ভুল ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে মুখে নিয়ত পাঠের সূচনা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন,بِأَنَّ الصَّلَاةَ فِي أَوَّلِهَا كَلَامٌ ‘ছালাতের পূর্বে কালাম বা বাক্য রয়েছে। ইমাম ইবনু তায়ম
উত্তর : এসব নেশাদার দ্রব্য পান করা হারাম (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৬৫২)। তাই এগুলি যারা খান, তারা কবীরা গোনাহগার। কিন্তু কাফির নন। অতএব তাদের পিছনে ছালাত হবে এবং তাদেরকে সালাম দেওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, তোমার রুকূকারীর পিছনে রুকূ কর (বাক্বারাহ ২/৪৩)।
উত্তর : এ বিষয়ে আবুদাঊদের আরবী ভাষ্যকার শামসুল হক আযীমাবাদী বলেন, কোন কোন বিদ্বান রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতাকে জীবিতকরণ, ঈমান আনয়ন ও নাজাত প্রাপ্তি সম্পর্কে কিছু দলীল পেশ করার চেষ্টা করেছেন, যার অধিকাংশই মুহাদ্দিছ ওলামায়ে কেরামের নিকটে মিথ্যা ও
উত্তর : বিভিন্ন হাদীছ, আছার ও বিদ্বানগণের নামকরণের মাধ্যমে অন্যূন ৩০টি নাম বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে ছহীহ হাদীছসমূহে এসেছে ৮টি। যেমন : (১) উম্মুল কুরআন (কুরআনের মূল)। (২) উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল)। (৩) আস-সাব‘উল মাছানী (সাতটি বারবার পঠিতব্য আয়া
উত্তর : উক্ত চিকিৎসা মনগড়া ও শরী‘আত পরিপন্থী। তাই বালিশের নীচে কুরআনের আয়াতের নকশা রাখা যাবে না। বরং ভয় থেকে বাঁচার জন্য সুন্নাতসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়।... কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখল
উত্তর : যাবে। হারাম অর্থ উপার্জনের জন্য উক্ত ব্যক্তি দায়ী হবে; মুছল্লীগণ নয়। আল্লাহ বলেন, কেউ অপরের (পাপের) বোঝা বহন করবে না’ (বনু ইসরাঈল ১৭/১৫)। অতএব উক্ত মসজিদে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই।
উত্তর : এরূপ নকল পদ্ধতি সমূহ গ্রহণ করা হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করল, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২০)। একবার রাসূল (ছাঃ) (বাজারে) একটি খাদ্যশস্যের স্তূপের মধ্যে হাত প্রবেশ করিয়ে ভিজা অনুভব করলে স্তূপের মালিক তা ব
উত্তর : এখানে ‘গরীব’ বলতে অল্প সংখ্যক লোকদের বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ শেষ যামানায় অল্প সংখ্যক লোকের মধ্যেই খাঁটি ইসলাম কেন্দ্রীভূত হবে। বংশগত ও নামধারী মুসলমানের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু প্রকৃত মুসলমানের সংখ্যা কমবে এবং কমতে কমতে তা এক পর্যায়ে মুষ্টি
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। এ মর্মে বর্ণিত হাদীছসমূহ যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১২৪৬, ৪১৪০)। সেখানে কুরআন তেলাওয়াতের নেকী মৃত ব্যক্তি পাবেন না। তিরমিযীর ভাষ্যকার আব্দুর রহমান মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, ইবাদতে বদনী, যেমন কুরআন তেলাওয়াত, ছালাত, ছিয়াম ইত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছসমূহ মওযূ‘ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৫৯০-৯১, ৬২৬৬, ৬৫৪১)। ইবনুল জাওযী বলেন, রাসূল (ছাঃ) থেকে এমর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি (আল-ইলালুল মুতানাহিয়া ১/১৬১-১৬৫; আল-মাওযূ‘আত ১/৩৯৭)। ইমাম বায়হাক্বী বলেন, এই মর্মে বহু হাদীছ
উত্তর : আল্লাহ এরূপ করতে পারেন, যেভাবে তিনি প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণকারী শনিবারওয়ালাদেরকে শাস্তিস্বরূপ নিকৃষ্ট বানরে পরিণত করেছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা তাদের বিষয়ে সম্যক অবগত আছো, যারা তোমাদের মধ্যে শনিবারের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছিল। তখন আমর
উত্তর : নিরাপত্তাজনিত কারণে এরূপ করা যায়। তবে সাধারণ অবস্থায় কবরকে উঁচু ও পাকা করা যাবে না (মুসলিম হা/৯৭০)।
উত্তর : এরূপ করা জায়েয। ইমাম আহমাদ বলেন, ব্যক্তির নিজের জন্য কবরের মাটি কিনে রাখাতে এবং তাতে দাফনের অছিয়ত করায় বাধা নেই (আল-মুগনী ৩/৪৪৩)। তবে সাধারণ কবরস্থানে দাফন করা এবং তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখাই উত্তম। ব্যক্তিগত স্থানে কবরস্থান করা ক
উত্তর : দুই কাতারের মাঝে এমন ফাঁক রাখতে হবে, যাতে সহজে সিজদা করা যায়। তবে এমন ফাঁক রাখা যাবে না, যার মাঝে আরেকটি কাতার করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ছালাতের কাতারে পরস্পরে মিলে দাঁড়াবে এবং কাতার পরস্পর কাছাকাছি রাখবে। আর তোমাদের কাঁধসমূহ
উত্তর : না। বরং এর দ্বারা সালমান ফারেসী ও তাঁর জাতিকে বুঝানো হয়েছে। হাদীছটির অনুবাদ হ’ল, আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে বসেছিলাম। এসময় তার উপর সূরা জুম‘আ অবতীর্ণ হ’ল, যার একটি আয়াত হ’ল- ‘এবং তাদের অন্যান্
উত্তর : যাবে। কারণ মিসওয়াক করার উদ্দেশ্য হ’ল মুখ পরিষ্কার রাখা। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মিসওয়াক হচ্ছে মুখ পরিষ্কারকারী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়’ (আহমাদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৮১, হাদীছ ছহীহ)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) মিসওয়াকের জন্য
উত্তর : নারীর মৌলিক দায়িত্ব স্বামীর ঘর সামলানো এবং সন্তান প্রতিপালন। আর পুরুষের দায়িত্ব পরিবারের ভরণ-পোষণ। (ক্বিয়ামতের দিন) স্বামী পরিবার সম্পর্কে তার দায়িত্বের ব্যাপারে এবং স্ত্রী তার স্বামীর সংসার ও সন্তান-সন্তুতি সম্পর্কিত দায়ি
উত্তর : ঋণ পরিশোধকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) গড়িমসি করা যুলুম’ (বুখারী হা/২৪০০; মুসলিম হা/১৫৬৪; মিশকাত হা/২৯০৭)। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছাদাক্বাহ করতে চায়; অথচ সে নিজেই দরিদ্র বা তার পরিবার-পরিজন
উত্তর : ইমাম ডানে সালাম ফিরানোর পর মুছল্লী ডানে এবং বামে সালাম ফিরানোর পর বামে সালাম ফিরাবে। রাসূলুললাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। তিনি বলেন, হে লোকসকল! আমি তোমাদের ইমাম। সুতরাং তোমর
উত্তর : উক্ত স্থানে পঠিতব্য কোন দো‘আ হাদীছে পাওয়া যায় না। সুতরাং কিছু পাঠ করা যাবে না।
উত্তর : ছাগল যদি কুকুরে রূপান্তরিত না হয়, তবে তা দিয়ে কুরবানী করায় কোন বাধা নেই। কারণ খানাপিনায় হালাল-হারামের বিধান পশু-পাখির জন্য প্রযোজ্য নয়।
উত্তর : বসে ছালাত আদায় করলেও যথাস্থানে রাফঊল ইয়াদায়েন করতে হবে। কারণ দৈহিক অক্ষমতার কারণে যতটুকু অনুসরণ করা সম্ভব হয় না, ততটুকুর ব্যাপারে শরী‘আতে ছাড় রয়েছে, তার বেশী নয়। তবে কেউ কেউوَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ قَاع
উত্তর : ইবলীস আল্লাহর ইবাদত করত। তবে সে ফেরেশতাদের সর্দার ছিল না। বরং আল্লাহ বলেন, সে জিন জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর সে তার রবের আদেশের অবাধ্যতা করল’ (কাহফ ১৮/৫০)। তবে ইবলীস তার ইবাদতে ফেরেশতাদের সদৃশ হয়েছিল। একারণে তাকে তাদের সাথে সম্বোধন করা হ
উত্তর : খুৎবা চলাকালীন সময়ে পারস্পরিক বাক্যালাপ শরী‘আত সম্মত নয়। এমনকি রাসূল (ছাঃ) কাউকে ‘চুপ কর’ বলতেও নিষেধে করেছেন। যেমন তিনি বলেন, জুম‘আর দিন ইমাম খুৎবারত অবস্থায় যদি তুমি তোমার পাশের মুছল্লীকে ‘চুপ কর’ বল, তাহ’লে তুমি অনর্থক কথা বললে’ (ব
উত্তর : এর জওয়াবে একই উত্তর দেওয়া যায়। একদা উসাইদ বিন হুযায়ের (রাঃ) কোন এক প্রেক্ষিতে শুকরিয়া স্বরূপ রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ বা ‘জাযাকাল্লাহু আত্বইয়াবাল জাযা’। উত্তরে তিনি বললেন, ‘ফা জাযাকুমুল্লাহু খায়রান’ (হাকেম হা/৬৯৭৪;
উত্তর : অপবিত্র নয়। কারণ ওযূতে ব্যবহৃত পানি অপবিত্র নয় (বুখারী হা/১৮৭-৮৮)। তাছাড়া অপবিত্র বস্ত্ত মিশ্রিত না হ’লে কোন পানিই অপবিত্র হয় না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/২৩৬)।
উত্তর : যাবে। ছালাতের পরে বা যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে একাকী হাত তুলে মুনাজাত করা যাবে। হাত তুলে দো‘আ করলে আল্লাহ্ শূন্য হাত ফিরিয়ে দেন না’ (আবুদাঊদ হা/১৪৮৮; তিরমিযী হা/৩৫৫৬)। তবে মুখে হাত মাসাহ করার হাদীছ যঈফ (আবুদাঊদ; মিশকাত হা/২২৫৫)।
উত্তর : না। কারণ কবরে মাটি দেওয়ার জন্য ওযূ শর্ত নয়।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) আযান ও ইক্বামতের জবাব এবং আযান পরবর্তী দো‘আ পাঠের অনেক ফযীলত বর্ণনা করেছেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুওয়ায্যিনের পিছে পিছে আযানের বাক্যগুলি অন্তর থেকে পাঠ করে..., সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (মুসলিম হা/৩৮৫; মিশকাত হ
উত্তর : শারঈ ওযর ব্যতীত ডান হাত দিয়ে পা ধোয়া উচিত নয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর ডান হাত ছিল পবিত্রতা অর্জন ও খাওয়ার জন্য এবং বাম হাত ছিল শৌচকর্মও অন্যান্য অপসন্দনীয় কাজসমূহ করার জন্য’ (আবুদাঊদ হা/৩৩; মিশকাত হা/৩৪৮, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনা
উত্তর : না। কারণ রাসূল (ছাঃ) দাড়ি ছাটতেন বা কাটতেন মর্মে কোন দলীল নেই। বরং উম্মতের উদ্দেশ্যে তিনি বলে গেছেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর’ (বুখারী হা/৫৮৯২; মিশকাত হা/৪৪২১)। তিনি দাড়ি ছাটতেন মর্মে তিরমিযীতে যে হাদীছটি
উত্তর : আছে। ‘মাকরূহ’ অর্থ- অপসন্দনীয়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এশার ছালাতের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার পরে কথা বলাকে অপসন্দ করতেন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৮৭ ‘জলদী ছালাত আদায়’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, অনেক বিদ্বান মাকরূহকে তানযীহী ও তাহরীমী দু’ভাগে ভ
উত্তর : অনুসরণীয় চার ইমামের মধ্যে ইমাম শাফেঈ (রহঃ) ব্যতীত বাকী তিনজনের কেউই ফিক্বহী বিষয়ে কোন গ্রন্থ রচনা করে যাননি। যদি ‘ফিক্বহে আকবর’ ও ‘মুসনাদে আবু হানীফা’-কে তাঁর কিতাব বলে ধরেও নেওয়া হয়, তাহ’লে বলা হবে যে, প্রথমোক্ত ছোট পুস্তিকাটি আক্বায়
উত্তর : চুমু খাওয়া বা কদমবূসী করা ইসলামী রীতি নয়। একদা আনাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ যখন তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে কি তার জন্য মাথা ঝুঁকাবে? তিনি বললেন, না। আনাস (রাঃ) বললেন, তবে কি তাকে জড়িয়
উত্তর : একদামে ক্রয়-বিক্রয় জায়েয। কারণ ক্রয়-বিক্রয় শুদ্ধ হওয়ার মৌলিক শর্ত হ’ল উভয়ের সন্তষ্টি (নিসা ৪/২৯; ইবনু মাজাহ, ইরওয়া হা/১২৮৩) এবং ধোঁকা না থাকা (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২০)। সুতরাং একদামে ক্রয়-বিক্রয়ে কোন বাধা নেই। তবে যে কোন বস্ত্ত দরদাম
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলি যঈফ। আবু হাতেম ও আবু যুর‘আ বলেন, আমর বিন হুক্কাম বর্ণিত উক্ত হাদীছটি মুনকার। কারণ তিনি ব্যতীত অন্য কেউ এটি বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানি না’ (ইলালুল হাদীছ ১/৩০২)। হায়ছামী বলেন, বর্ণনাটি যঈফ (মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই এবং ছফর মাসেও কোন অশুভ নেই। একথা শুনে জনৈক বেদুঈন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তাহ’লে পালের মধ্যে একটা চর্মরোগী উট আসলে বাকীগুলি চর্মরোগী হয়
উত্তর : উভয়ে সমান হকদার। আল্লাহ বলেন, তোমরা পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হন, তাহ’লে তুমি তাদের প্রতি উহ শব্দটিও করো না এবং তাদেরকে ধমক দিয়ো না। তাদের প্রতি মমতাবশে নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত
উত্তর : অমুসলিমদের অনুকরণে এসব দিবস পালিত হয়। যা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এগুলি স্রেফ জাহেলিয়াত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন) তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে
উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ হল, ‘আর আল্লাহর জন্যই পূর্ব ও পশ্চিম। অতএব যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও সেদিকেই রয়েছে আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যাপী ও সর্বজ্ঞ’।উল্লেখ্য যে, তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআনের বঙ্গানুবাদে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যেদিকেই মুখ ফের
উত্তর : হ্যাঁ। কেননা সে তাশাহহুদ থেকে দাঁড়িয়েছে। আর তাশাহহুদ থেকে দাঁড়িয়ে বাকী ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে প্রথমে রাফউল ইয়াদায়েন করাই শরী‘আতের নির্দেশনা (বুখারী হা/৭৩৯; ওছায়মীন, ইসলাম কিউএ ফতওয়া নং ২১৫০৬)।
উত্তর : যাবে না। এটা চুরি হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না’ (নিসা ৪/২৯)। সরকার জনগণের নিকট থেকে টাকা নিয়ে জনগণের প্রয়োজনে তা ব্যয় করে। এক্ষণে যদি তারা যুলুম করে বা কোন খেয়ানত করে, তখন বৈধ উপায়ে তার প্র
উত্তর : বাম দিকের সালামে স্বর নীচু করতে হবে মর্মে শরী‘আতে কোন নির্দেশনা নেই। বরং জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ছালাত-এর বৈঠকে হাটুর ওপর হাত রেখে ডানে বামে তোমাদের ভাইদের (মুখ ফিরিয়ে) ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বলাই তোমাদের জন্
উত্তর : ইমাম ইক্বামত দেওয়ায় কোন দোষ নেই। যে কেউ ইক্বামত দিতে পারে। আর আযান দাতাকেই ইক্বামত দিতে হবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/১৯৯; মিশকাত হা/৬৪৮; যঈফাহ হা/৩৫)।
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২১৬৭; যঈফুল জামে‘ হা/৪০৮১)। এছাড়া কুরআন দেখে পড়া বা মুখস্থ পড়ার মধ্যে ছওয়াবের পার্থক্যের বিষয়ে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। এবিষয়ে যত হাদীছ আছে সবগুলিই যঈফ ও জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৫৬,
উত্তর : না। বরং এসময় উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে এসে উত্তর দিতে হবে। এটাই রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত (বুখারী হা/৩৩৭; আবুদাঊদ হা/১৭; মিশকাত হা/৪৬৭, ৫৩৫)।
উত্তর : প্রথমতঃ এটা রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ। সা‘দ বিন আবু ওয়াক্কাছ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) টিকটিকি মারার আদেশ দিয়েছেন এবং একে ছোট ফাসিক বলে নামকরণ করেছেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১২০)। দ্বিতীয়তঃ ইবরাহীম (আঃ)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হ’লে আগুনকে প্রজ্বলি
উত্তর : এসব বর্ণনা মুক্বাদ্দামা শরহ বেকায়াহ ৩৬-৩৭ পৃষ্ঠা সহ বিভিন্ন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। তবে তার সবই যঈফ (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/৩০৩. ফাতাওয়াউল কুবরা ২/১৩৭)। আলবানী বলেন, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর ব্যাপারে যা বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এশার
উত্তর : হবে। এসব মানুষকে হারামের দিকে নিয়ে যায়। উপরন্তু বিনা প্রয়োজনে এরূপ কথা-বার্তা যেনার শামিল। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা তাকানো, কানের যেনা শ্রবণ করা, জিহবার যেনা কথা বলা, হাতের যেনা স্পর্শ করা এবং
উত্তর : আছারটির মধ্যেকার দো‘আটি ছহীহ হ’লেও (আবুদাউদ হা/৩৮৯৩; মিশকাত হা/২৪৭৭) ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ)-এর আমলের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা যঈফ (আলবানী, আল-কালিমুত তাইয়্যিব হা/৪৯)। এছাড়া এর বিরুদ্ধে রাসূল (ছাঃ)-এর স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ বিদ্যমান রয়েছ
উত্তর : হাদীছটির পটভূমিতে বলা হয়েছে, জনৈক ব্যক্তি এক বালকের গালে চপেটাঘাত করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে এভাবে গালে চপেটাঘাত করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, خَلَقَ اللهُ آدَمَ عَلَى صُوْرَتِهِ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আদমকে স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন
উত্তর : একই সমাজে পরস্পরের মধ্যে স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে যদি নতুন মসজিদ তৈরি করা হয় এবং যার দ্বারা মুমিন সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি ও ক্ষতি করা উদ্দেশ্য হয়, তাহ’লে উক্ত মসজিদকে ‘মসজিদে যেরার’ বা ‘ক্ষতিকর মসজিদ’ বলা হয়। এরূপ মসজিদ তৈরীর ক্ষেত্রে
উত্তর : এসব ব্যক্তিকেও ফরয ইবাদতসহ অন্যান্য ইবাদত করতে হবে। কারণ তার ইবাদতই হয়ত তাকে একসময় পাপ থেকে ফিরিয়ে আনবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বলল, অমুক ব্যক্তি রাতে ছালাত আদায় করে, কিন্তু ভোরে উঠে সে চুর
উত্তর : কেউ মন্দ কাজে প্ররোচিত করলে তা করা যাবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ ;মিশকাত হা/৩৬৬৪)। এমনকি পিতা-মাতা হ’লেও নয় (লোকমান ৩১/১৫)। এমতাবস্থায় তাদের প্রতি সদাচরণ বজায় রাখতে হবে, উত্তমরূপে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে এবং প্রয়োজন ব্যতীত এড়িয়ে চলতে হবে (
উতর : ঘটনাটি সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ত্বাবাকাতুল কুবরা, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, হিলইয়াতুল আউলিয়া, ছিফাতুছ ছাফওয়া প্রভৃতি গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। তবে এর সনদ যঈফ (যাহাবী, তাহকীক সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২/৩৪৯; হিলয়াতুল আওলিয়া ১/২১৭)। তাছাড়া কথাগুলো হাদীছ ব
উত্তর : এসময় কেবল ইমাম ছাহেব উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে লক্ষ্য করে ঈমান বর্ধক কিছু সংক্ষিপ্ত কথা বলতে পারেন (বুখারী হা/১৩৬২; মিশকাত হা/৮৫, ১৬০৩) এবং উত্তরাধিকারীদের মধ্য হ’তে মাইয়েতের ঋণ পরিশোধ বিষয়ে বলতে পারেন (বুখারী, মিশকাত হা/২৯০৯)। আর জানাযার আগে বা
উত্তর : উক্ত বিবাহ সংঘটিত হয়নি। কারণ নারীর পিতা বা তাঁর অবর্তমানে বৈধ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ সিদ্ধ হয়না (আবুদাঊদ; মিশকাত হা/৩১৩০)। তিনি আরও বলেন, ‘কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকে বিবাহ দিতে পারে না এবং নিজেকেও (ওলী ব্যতীত) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারব
উত্তর : স্ত্রীর পক্ষ থেকে যিহার হয় না (ফাতাওয়া মারআতুল মুসলিমাহ ২/৮০৩ পৃঃ; উছায়মীন, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব-১৯)। করলে তা বাজে কথার অন্তর্ভুক্ত হবে। যা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। মুমিন অনর্থক কথা বা কাজ থেকে বিরত থাকে (মুমিনূন ২৩/১-৩)। অতএব এ ধরনের কথাবার্
উত্তর : এসব নিতান্তই ভিত্তিহীন বানোয়াট বক্তব্য। এমনকি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল জান্নাতবাসীদের কুরআন তেলাওয়াত করে শুনাবেন মর্মের বর্ণনাগুলোর কোনটি যঈফ আবার কোনটি জাল (যঈফুল জামে‘ হা/১৮৩৪, ৪১৫৮; দায়লামী, মীযান ৪/৭৪; যঈফাহ হা/১২৪৮, ৩২৮২; ইবনু তায়মিয়াহ,
উত্তর : যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) তা নফল ছালাতে পাঠের জন্য বলেছেন। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে সকল কাজে ‘ইস্তেখা-রাহ’ শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তিনি আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন কাজের সংকল্প
উত্তর : না। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন তুমি সিজদা করবে, তখন হাতের তালু মাটিতে এবং উভয় কনুই উঁচু রাখবে (মুসলিম হা/৪৯৪)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, উঁচু করবে এবং খাড়া করে রাখবে (ইবনু হিববান হা/১৯১৬; মিশকাত হা/৮৮৯)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন (সিজদায়) কুক
উত্তর : রাস্তায় চলার আদব হ’ল- দৃষ্টি অবনমিত রাখবে (নূর ২৪/৩০-৩১)। এদিক সেদিক তাকাবে না (হাকেম হা/৭৭৯৪; ছহীহাহ হা/২০৮৬)। সতর্কতার সাথে পথ চলবে, যাতে অন্যের বা নিজের কোন ক্ষতি না হয় (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ছহীহাহ হা/২৫০)। অহংকার পরিহার করে বিনয়ের সাথে পথ
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেকের জন্য অধিকার নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সন্তানের উপার্জন থেকে প্রয়োজন মত পাওয়ার অধিকার যেমন পিতা-মাতার রয়েছে, তেমনি স্ত্রী-সন্তানেরও রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক হকদারের জন্য তার হক নির্দিষ্ট করে দিয়েছে
উত্তর : এরূপ লটারী বৈধ (দ্রঃ বুখারী হা/২৬৮৮ ‘কিতাবুশ শাহাদাত’; আবূদাঊদ হা/৩১৩৮; নাসাঈ হা/৩৪৮৮; ইবনু মাজাহ হা/২৩৪৮)। তবে জীবিকা অর্জনের জন্য অমুসলিম দেশে না গিয়ে মুসলিম দেশে অবস্থান করাই উচিৎ। কারণ ঐসব দেশে দ্বীনী পরিবেশ ও স্বাধীনতা নেই। অতএব দুনি
উত্তর : এটি শরী‘আত সম্মত নয়। গরম পানি করে গোসল করবে। তার ব্যবস্থা না থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ; মিশকাত হা/৫৩১)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার আশংকায় গোসল না
উত্তর : হজ্জ পালনের জন্য এরূপ কোন শর্ত শরী‘আতে নেই। তাই সন্তানদের চাচী বা খালা ও অনুরূপ নিকট আত্মীয়ের কাছে রেখে হজ্জে যেতে বাধা নেই। সন্তানদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পিতার। তিনি যেখানে নিরাপদ মনে করবেন সেখানেই রেখে যাবেন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২১
উত্তর : মানত মানুষের নিয়তের উপর নির্ভর করে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৪১৬)। তাই মসজিদের মুছল্লীগণকে খাওয়ানোর নিয়তে মানত করলে সকলেই খেতে পারে। আর যদি কেবল ফকীর-মিসকীনকে খাওয়ানোর নিয়ত থাকে, তবে কেবল তারাই খাবে। অর্থাৎ যখন যেভাবে মানত করবে তখন সেভাবে বাস
উত্তর : কথাটি ঠিক নয়। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর অনেক গুণবাচক নাম রয়েছে। যেমন তিনি বলেন, ‘আমার অনেকগুলো নাম আছে। আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ। আমি মাহী; আমার দ্বারা আল্লাহ সমস্ত কুফরী দূর করবেন। আমি হাশির; আমার পেছনে সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে এবং আমি
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি ভিত্তিহীন (ফৎওয়া শায়খ বিন বায ৪/৪৪৫, ২৫/১২৬)। এছাড়াও তিরমিযীতে বর্ণিত ‘যে আমাকে বা আমার কোন ছাহাবীকে দেখল, সে মুসলমানকে আগুন স্পর্শ করবে না’ বর্ণনাটিও যঈফ (তিরমিযী হা/৩৮৫৮; যঈফুল জামে‘ হা/৬২৭৭)।
উত্তর : এরূপ করা জায়েয নয়। কারণ মোহর পরিশোধ করা ফরয। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তোমাদের কিছু দেয়, তাহ’লে তা তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর’ (নিসা ৪/৪)। অতএব এটা
উত্তর : কোন মুসলিমকে গালি দেওয়া কাবীরা গুনাহ (নববী, শরহ মুসলিম হা/৬৪-এর ব্যাখ্যা)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং তার সাথে যুদ্ধ করা কুফরী (বুখারী হা/৪৮; মুসলিম হা/৬৪; মিশকাত হা/৪৮১৪)।লাক্বীত্ব বিন ছাবেরাহ (রাঃ) বলেন, ‘একদিন আম
উত্তর : ‘তা‘লীক্ব’ বলতে ঐ সকল হাদীছকে বুঝানো হয়, যার সনদ থেকে হাদীছ সংকলক মুহাদ্দিছ এক বা একাধিক রাবীর নাম বিলুপ্ত করে দেন অথবা কখনও মূল উৎসসহ পূর্ণ সনদই বিলুপ্ত করে দেন। সাধারণতঃ সংক্ষেপায়নের উদ্দেশ্যেই তাঁরা এমনটি করে থাকেন। যেমন ছহীহ বুখারীতে মারফ
উত্তর : সুবহা-না রবিবয়াল ‘আযীম ও সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা কম পক্ষে তিনবার বলবে (আবুদাঊদ হা/৮৭১, ৮৮৫; ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮)। বেশী বলার নির্ধারিত সংখ্যা নেই। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনো কখনো দীর্ঘ সময় রুকূ ও সিজদাতে থাকতেন এবং দো‘আ সমূহ পাঠ করতেন (আবুদাঊদ হা
উত্তর : চার রাক‘আত হৌক বা দুই রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাত হৌক, শেষ তাশাহহুদে নিতম্বের উপর বসা তথা তাওয়াররুক করা সুন্নাত। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শেষ রাক‘আতে নিতম্বের উপর বসার জন্য বলেছেন (বুখারী হা/৮২৮; ইরওয়া হা/৩৬৫)। ছাহাবীগণ বলেন, যে রাক‘আতে সালাম রয়েছে স
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এভাবে ফাতেহা পাঠের কোন দলীল নেই (আলবানী, তালখীছু আহকামিল জানায়েয ৮২ পৃঃ)। সুতরাং এটি নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। যা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যার ব্যাপারে আমার কোন নির্দেশ
উত্তর : তাঁর নাম খাজা মঈনুদ্দীন হাসান বিন খাজা গিয়াছুদ্দীন সিজযী। তিনি গরীবে নেওয়ায বা গরীবদের সাহায্যকারী হিসাবে ব্যাপক পরিচিত। ইরানের পূর্বাঞ্চল সীস্তান নগরীতে ৫৩৬/৫৩৭ হিজরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জ্ঞান অর্জনের জন্য তিনি বুখারা সহ বিভিন্ন দেশে সফর
উত্তর : আমাদের জানা মতে, ফরেক্স ব্যবসা হ’ল বিভিন্ন দেশের মূদ্রা বেচাকেনার ব্যবসা। বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মূল্যের মধ্যে প্রতিনিয়ত কমবেশী হয়। তাই লভ্যাংশের ভিত্তিতে এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশের মুদ্রার সাথে বিনিময় করা জায়েয। তবে এটি নগদে হ’তে হবে (শায়খ বি
উত্তর : বিশেষ অবস্থায় এটি পড়া যাবে। প্রথমটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ হিসাবে এবং পরেরটি নফল হিসাবে। মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিছনে জামা‘আতের সাথে এশার ছালাত পড়তেন এবং নিজ সম্প্রদায়ে গিয়ে আবার তাদের ইমামতি করতেন (বুখারী হা/৭১১, মুসলিম হা
উত্তর : সাধারণ মানুষ হৌক বা আলেম হৌক, প্রত্যেকের জন্যই বিশুদ্ধ দলীল ভিত্তিক সঠিক উত্তর না জেনে ফৎওয়া দেয়া নিষিদ্ধ (ইসরা ১৭/৩৬)। কারণ দলীলবিহীন ভুল ফৎওয়া দিলে তার পাপ তার উপরেই বর্তাবে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৪২)। তাই সাধারণ মানুষের জন্য কর্তব্য হবে, সম্
উত্তর : মুসলিম-অমুসলিম যেকোন মানুষের মৃত্যু বা বিপদে দুঃখিত হওয়া এবং সমাবেদনা জানানোই মানুষের স্বাভাবিক কর্তব্য। তবে মুসলিম হৌক বা অমুসলিম হৌক, ইসলাম বিদ্বেষী যে কারো মৃত্যুতে বা তাদের কোন বিপদে আনন্দিত হওয়া যাবে (আহযাব ৩৩/৯; বুখারী হা/১৩০১; মু
উত্তর : এক্ষেত্রে প্রথমে জামা‘আতের সাথে এশা পড়বে। অতঃপর পৃথকভাবে মাগরিবের ছালাত আদায় করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১০৬)।
উত্তর : সঊদী ফাতাওয়া বোর্ডকে এ মর্মে প্রশ্ন করা হ’লে তারা উত্তরে বলেন- জাতীয় পতাকাকে সালাম দেয়া কিংবা জাতীয় পতাকার সম্মানে দেখিয়ে দাঁড়ানো নিকৃষ্ট বিদ‘আত। এরূপ কাজ রাসূল (ছাঃ) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে ছিল না। এছাড়া এসব কর্মকান্ডের দ্বারা কাফেরদের র
উত্তর : বিবাহের খুৎবা বর নিজেই পড়তে পারে। ইবনু হাবীব বলেন, তারা উত্তম মনে করতেন যে, বর প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠ করবে (খুৎবা পাঠ করবে) অতঃপর কনেকে বিবাহের প্রস্তাব দিবে (ইবনু বাত্ত্বাল, শারহুল বুখারী ১৩/২৬০)। ইবনু কুদামা
উত্তর : প্রসিদ্ধ ৬টি কিতাবকে ‘ছিহাহ সিত্তাহ’ না বলে কুতুবুস সিত্তাহ বলাই উত্তম। মূলতঃ ছহীহ কিতাব শুধু বুখারী ও মুসলিম। যাকে একত্রে ছহীহায়েন বলা হয়। এ গ্রন্থদ্বয়ের সব হাদীছই ছহীহ। যেকারণ ইমাম বুখারী ও মুসলিম উভয়েই স্ব স্ব কিতাবের নামে ‘ছহীহ’ যুক্ত করে
উত্তর : শিশু অসহায়, ইয়াতীম বা দরিদ্র হ’লে তাদের লালন-পালন করায় প্রভূত নেকী রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি ও ইয়াতীমের তত্ত্বাবধায়ক, চাই সে ইয়াতীম নিজের বংশের হৌক বা অন্যের হৌক, জান্নাতে এভাবে থাকব। একথা বলে তিনি নিজের শাহাদত ও মধ্যমা আঙ্গুলি দু
উত্তর : নির্দিষ্টভাবে কেবল ২৭ তারিখ নয়, বরং রামাযানের শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোড় রাতেই কদর তালাশ করার জন্য শারঈ নির্দেশনা এসেছে (বুখারী হা/২০১৭; মিশকাত হা/২০৮৩)। আর ক্বদরের রাত্রিগুলিকে ইবাদতের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। খাওয়া-দাওয়ার মাহফিলের জন্য
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। টুপি রাসূল (ছাঃ)-এর অভ্যাসগত সুন্নাত (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/১৩০)। মস্তকাবরণ ব্যবহার করা উত্তম পোষাকের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ছালাতের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর’ (আ‘রাফ ৭/৩১)। অতএব বহিরাগত
উত্তর : সন্তানকে মানবতার সেবাদানের লক্ষ্যে গড়ে তোলার ব্রতে পিতা-মাতা যদি এরূপ কামনা করেন, তবে তাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং আল্লাহর নিকটে তাওফীক কামনা করতে হবে। কারণ উক্ত পেশার মাধ্যমে বহু মানুষের জীবন রক্ষা সম্ভব হয়। যা অত্যন্ত নেকীর কাজ। আল্
উত্তর : সাক্ষী রাখা আবশ্যক। বরং যেকোন লেনদেনের ক্ষেত্রেই সাক্ষী রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন, এ ব্যাপারে তোমরা তোমাদের মধ্যেকার দু’জন পুরুষকে সাক্ষী রাখবে। যদি দু’জন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী, ঐসব সাক্ষীদের মধ্যে যাদেরকে তোমরা পসন্দ কর। যাতে
উত্তর : সালাফে ছালেহীনের মাঝে ফাসেক ও কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আতীদের সালাম না দেওয়ার প্রচলন ছিল (দ্র: ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৪র্থ সংস্করণ পৃঃ ২৭৪)। যেমন ছাহাবী জাবের (রাঃ) ফাসেক ও অত্যাচারী উমাইয়া গভর্ণর হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে সালাম দেননি (আল-আদাবুল মুফরাদ হ
উত্তর : এসব বাক্য ছাহাবায়ে কেরামের শানে তাদের জন্য দো‘আ হিসাবে বলা হয়। এগুলি সালাফে ছালেহীনের রীতি। আল্লাহ বলেন, ‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে যারা অগ্রবর্তী ও প্রথম দিককার এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে নিষ্ঠার সাথে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং
উত্তর : ৩৫ হিজরীর যিলহজ্জ মাসে ওছমান (রাঃ) বিদ্রোহীদের হাতে শাহাদত বরণ করলে লোকেরা আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করে। বিদ্রোহীরাও আলী (রাঃ)-এর হাতে বায়‘আত নেয়। আলী (রাঃ) প্রথমে রাষ্ট্রীয় শৃংখলা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনায় এবং বিদ্রোহীদের সংখ্যাধিক্যের কা
উত্তর : সালাম ফিরানোর পরে একবার সরবে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৯৫৯, ৯৬১)। অতঃপর অন্যান্য দো‘আসমূহ নীরবে পাঠ করবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রভুকে ডাক, বিনীতভাবে ও চুপে চুপে’ (আ‘রাফ ৭/৫৫)। তিনি
উত্তর : মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর হ’তে এশার ওয়াক্ত শুরু হয় এবং মধ্যরাতে শেষ হয় (তিরমিযী হা/১৫১; ছহীহাহ হা/১৬৯৬)। তবে যরূরী কারণবশতঃ ফজরের পূর্ব পর্যন্ত এশার ছালাত আদায় করা জায়েয আছে (মুসলিম হা/৬৮১ ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়-৫, ‘ক্বাযা ছালাত আদায়’ অনুচ্ছে
উত্তর : এসব খাওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। রুচি হ’লে যে কোন অঙ্গ খাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের জন্য দু’টি রক্ত হালাল করা হয়েছে। তা হ’ল কলিজা ও প্লীহা’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৩১৪; মিশকাত হা/৪২৩২)। স্মর্তব্য যে, কেউ কেউ মুরগীর কোন কোন অংশকে হারাম মনে ক
উত্তর : যাবে। বরং এরূপ পরিস্থিতিতে ক্ষমতা থাকলে দ্বিতীয় বিবাহ করাই উত্তম (নিসা ৪/৩)। এক্ষেত্রে স্ত্রীরও উচিত স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহের জন্য উৎসাহিত করা। যেমন উম্মুল মুমিনীন সাওদা (রাঃ) বার্ধক্যকালে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক তাঁর জন্য নির্ধারিত দিনটি আয়েশা (র
উত্তর : হালাল হবে। আর প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত কাজ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। তবে সরাসরি সূদী লেনদেন হয় যেমন ব্যাংক, বীমা সহ এরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মে অংশগ্রহণ করা যাবে না।
উত্তর : সূদের উপর টাকা নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯) এবং সূদগ্রহীতা ও সূদদাতা উভয়কে লা‘নত বা অভিসম্পাত করেছেন (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সূদে
উত্তর : পারবে। কারণ মাইয়েতকে গোসল করোনোর জন্য পবিত্র থাকা শর্ত নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৮/৩৬৯; উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১/৭৮; নববী, শারহুল মুহাযযাব ৫/১৪৫)। ইবনু কুদামাহ বলেন, হায়েযা ও অপবিত্র ব্যক্তি কর্তৃক মাইয়েতকে গোসল দেওয়া ও তার চোখ বন্ধ করা
উত্তর: ইমাম ‘সাবিবহিসমা রবিবকাল আ‘লা’ পাঠ করলে-এর জবাবে ‘সুবহানা রবিবয়াল আলা’ বলতে হবে (আহমাদ, আবুদাঊদ, হাকেম, মিশকাত, ‘ছালাতে ক্বিরা‘আত’ অধ্যায় হা/৮৫৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭৬৬)। তবে এর সাথে ‘আল-মুকতাদিরাহ’ যোগ করার কোন প্রমাণ নেই।
উত্তর : আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়া যাবে। তবে মসজিদের ইমাম বা কোন বুযর্গ আলেম তার জানাযায় শরীক হবেন না। অন্যেরা ছালাত পড়াবেন। কারণ আত্মহত্যাকারীর জানাযা রাসূল (ছাঃ) পড়েননি (মুসলিম হা/৯৭৮; নাসাঈ হা/১৯৬৪)। আর এটি ছিল তাঁর পক্ষ হ’তে অন্যকে আদব শিখানোর জন্
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৭৩, ৩৯৭৮; যঈফুল জামে‘ হা/৩৯৮৮)। ইবনুল জাওযী (রহঃ) বলেন, এ হাদীছ ছহীহ নয় (আল মাওযূ‘আত ৩/১৪৪)। মোল্লা আলী কারী হানাফী বলেন, এটি কোন হাদীছ নয় (আল-মাছনূ‘ পৃ. ৮২)।
উত্তর : বিদ‘আতীরা এরূপ ক্বাফ যুক্ত কিছু আয়াতকে একসাথে করে বিভিন্ন ফযীলত বর্ণনা করে দো‘আ বানিয়ে থাকে, যার কোন অস্তিত্ব ইসলামী শরী‘আতে নেই। কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত দো‘আই কেবল আমলযোগ্য দো‘আ হিসাবে গৃহীত হবে।
উত্তর : গবাদি পশুকে উত্তমরূপে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে (মায়েদাহ ৫/৩১)। তবে এটি আবশ্যক নয়। বাইরে পড়ে থাকাতে মানুষের কষ্ট হ’লে পুঁতে দিবে। এক্ষেত্রে মানুষের ন্যায় দাফন কার্য সম্পাদন করার প্রয়োজন নেই। কারণ শরী‘আতের বিধান কেবল মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (ফাত
উত্তর : এরূপ মিথ্যা বলা যাবে না। যে তিন শ্রেণীর লোকের সাথে আল্ললাহ ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের প্রতি দৃষ্টি দিবেন না এবং তাদেরকে পবিত্রও করবেন না। তাদের মধ্যে অন্যতম হ’ল ঐ ব্যবসায়ী, যে মিথ্যা শপথ করে তার পণ্য বিক্রি করে’ (মুসলিম হা
উত্তর : আক্বীক্বার মাধ্যমে নাম রাখা হয়। কিন্তু ভুল নাম হ’লে তা পরিবর্তন করা যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন (তিরমিযী হা/২৮৩৯; মিশকাত হা/৪৭৭৪; ছহীহাহ হা/২০৭; আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৮২৯)। তাঁর কাছে আগন্তুক কোন ব্যক্তির নাম অপসন্দনীয় মনে
উত্তর : সালাম ফিরানোর পূর্বে ঋণমুক্তির দো‘আ, পিতা-মাতার জন্য দো‘আ সহ যে কোন দো‘আ পাঠ করা যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আত্তাহিইয়াতু’ পড়ার পর মুছল্লী তার ইচ্ছামত দো‘আ পড়বে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৯০৯)। ইবনু হাজার বলেন, এ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় য
উত্তর : দুই সিজদার মাঝের বৈঠকে শাহাদত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা যাবে না। এব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি ‘শায’ বা বিরল (আহমাদ হা/১৮৮৭৮; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ১/২১৪; ছহীহাহ হা/২২৪৭-এর আলোচনা দ্রঃ)। অতএব এর উপর আমল থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
উত্তর : কবর দেওয়া ও পায়ের হেফাযতের স্বার্থে জুতা পায়ে দিয়ে কবরে মাটি দেওয়া ও কবরস্থানে যাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মানুষ যখন দাফন সেরে চলে আসে, কবরে মৃত ব্যক্তি তাদের জুতার আওয়ায শুনতে পায় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১২৬)। তবে বিলাসী জুতা পরে গর্ব স
উত্তর : ফরয হোক বা নফল হোক কোন ছালাতে মহিলারা পুরুষদের ইমামতি করতে পারবে না (আর-রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/৩১২)। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল’ (নিসা ৪/৩৪)। তাছাড়া এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-এর কোন নির্দেশ নেই এবং তাঁর ও ছাহাবায়ে কেরামের য
উত্তর : জেহরী ছালাতে ইমামের পিছনে মুক্তাদী কেবল সূরা ফাতেহা পড়বে। অতঃপর মনোযোগ দিয়ে ক্বিরাআত শুনবে।আয়েশা (রাঃ) বলেন, (একদিন) রাসূল (ছাঃ) উঠে ওযূ করলেন এবং ছালাতে দাঁড়ালেন। অতঃপর কাঁদতে আরম্ভ করলেন। কাঁদতে কাঁদতে তাঁর বুক ভিজে গেল। এমনকি একপর্যায়ে (পা
উত্তর : মসজিদে উক্ত পদ্ধতি চালু করা ঠিক নয়। কারণ কোন ব্যক্তি যদি ছালাত পড়তে থাকে আর জামা‘আতের সময় হয়ে যায় তাহ’লে সে হাদীছের নির্দেশ মোতাবেক ছালাত ছেড়ে দিয়ে জামা‘আতে শরীক হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৮)। এতে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ ছালাতের নেকী পেয়ে যা
উত্তর : জায়গার সংকীর্ণতার কারণে এরূপ হ’লে কোন অসুবিধা নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২০৫; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৪/২৬৪)। স্মর্তব্য যে, ইমামকে মধ্যবর্তী ধরে কাতার ডানে ও বামে সমান সমান মুছল্লী থাকাই সুন্নাত (মুসলিম হা/৩০১০; আবুদাউদ হা/
উত্তর : এথেকে বিরত থাকাই উত্তম। কারণ সাধারণভাবে আলো না থাকা এমন কোন সমস্যা নয় যা ছালাতের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। বরং আলো জ্বালাতে গেলে ছালাতের প্রতি একাগ্রতা বিনষ্ট হয়। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আলো বিহীন ঘরেও ছালাত আদায় করেছেন (বুখারী হা/৫১৩, মিশকা
উত্তর : তাকে অছিয়ত স্বরূপ কিছু দান করা যাবে। যার সর্বোচ্চ পরিমাণ হচ্ছে মোট সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩০৭১, ‘অছিয়ত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : ইচ্ছামত সবকিছু ভোগ করা যাবে না, বরং সকল ক্ষেত্রে হালাল-হারাম বাছাই করে চলতে হবে। আল্লাহর নে‘মত ভোগ করার সময় সর্বদা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার অনুভূতি ও স্বীকৃতি থাকতে হবে (বাক্বারাহ ২/১৭২) এবং সকল প্রকারের বাড়াবাড়ি ও অপচয় হ’তে দূরে থাকতে হবে (আ‘রাফ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত (مَنْ صَمَتَ نَجَا) হাদীছটি ছহীহ (তিরমিযী হা/২৫০১; ছহীহাহ হা/৫৫৫; মিশকাত হা/৪৮৩৬)। উক্ত হাদীছে মন্দ কথা থেকে বিরত থাকার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, মানুষ ভালো কথা বলা ছেড়ে দিবে। বরং যেন সে সর্বদা উত্তম কথা বল
উত্তর : খাদ্যের কোন অংশের মধ্যে বরকত আছে, সেটি আল্লাহই সর্বাধিক অবগত। তবে চেটে খাওয়ার ফলে জিহবা দিয়ে যে লালা বের হয়, তা হযমের সহায়ক। এর দ্বারা দেহে ইনসুলিন বৃদ্ধি পায়, যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। এতদ্ব্যতীত হৃদরোগ, পেটের পীড়া ও মানসিক রোগের চিকিৎ
উত্তর : জুম‘আর ছালাতে কেবল তাশাহ্হুদ পেলে সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে যোহরের চার রাক‘আত ফরয ছালাত আদায় করবে। কারণ জুম‘আর ছালাতের কমপক্ষে এক রাক‘আত না পেলে, তা জামা‘আত পাওয়া হিসাবে গণ্য হয় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর এক রাক‘আত পেল সে যেন তার
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকটে লিখিতভাবে বা যেকোন যোগ্য মাধ্যমে জানাতে হবে। অতঃপর সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হ’লে উক্ত ব্যবসা ছেড়ে দিতে হবে। যালেম শাসকদের অধীনে নাগরিকদের করণীয় সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাদের হক তাদের দাও এ
উত্তর : মাহরাম না থাকার কারণে তার উপর হজ্জ ফরয হয়নি। কারণ নারীর জন্য মাহরাম থাকা অপরিহার্য (বুখারী হা/১০৮৬; মিশকাত হা/২৫১৫)। এমতাবস্থায় কোন পরহেযগার ব্যক্তির মাধ্যমে বদলী হজ্জ করানো যাবে, যিনি ইতিপূর্বে নিজের হজ্জ করেছেন’ (আবূদাউদ হা/১৮১১; ইবনু মাজাহ
উত্তর : সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানোর বিষয়টি নির্ভর করবে মাসবূকের রাক‘আত প্রাপ্তির উপর। মাসবূক ইমামের সাথে এক রাক‘আত পেলে দ্বিতীয় রাক‘আতে অন্য সূরা মিলাবে। আর বাকী দু’রাক‘আতে মিলাবে না। অন্যদিকে ইমামের সাথে দু’রাক‘আত পেলে বাকী দু’রাক‘আতে মিলানো
উত্তর : ক্ষতস্থান থেকে বের হওয়া রক্ত কাপড়ে লাগলে কাপড় অপবিত্র হবে না এবং ঐ কাপড় পরে ছালাত আদায় করা যাবে (বুখারী তরজমাতুল বাব অনুচ্ছেদ-৩৪; আবূদাউদ হা/১৯৮)। উল্লেখ্য, তিন প্রকার রক্ত অপবিত্র। যথা- হায়েয, নিফাস ও ইস্তিহাযার রক্ত, যা ধৌত করতে রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : পঞ্চায়েতভুক্ত যেসকল ব্যক্তি কুরবানী করতে পারেনি, তাদের জন্য তিনভাগের একভাগ পঞ্চায়েতে জমা করতে হবে। বাকী একভাগ স্ব স্ব বাড়ী থেকে ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে বিতরণ করবে। বাকী একভাগ নিজেরা খাবে। প্রয়োজনে উক্ত বণ্টনে কমবেশী করায় কোন দোষ নেই (হজ্জ ৩৬; সু
উত্তর : কোন বাধা নেই। বরং সেই টাকা তুলে জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যয় করাই উত্তম হবে। কারণ ব্যাংকে সে অর্থ রেখে দিলে তাতে আরও সূদ জমা হবে এবং তা আরও অধিক অন্যায় কাজে ব্যয়িত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ক্রমিক ১৫২৫৯, ১৩/৩৫২; নববী, আল-মাজমূ
উত্তর : ওযরবশতঃ যমযম পানি দাঁড়িয়ে পান করা জায়েয। আর উক্ত পানি সহ যেকোন পানাহার বসে করাই সুন্নাত। হাদীছে দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে কঠোর ধমকি এসেছে (মুসলিম হা/২০২৪; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দাঁড়িয়ে পানকারী ব্যক্তি যদি জানতো এতে
উত্তর : ইয়াতীম বা বৃদ্ধ সরাসরি যাকাতের হকদার নন। তবে এদের মধ্যে যারা দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্র, কেবল তাদের কল্যাণার্থে ও উন্নতিকল্পে যাকাতের সম্পদ থেকে উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ নির্মাণ করা যাবে (তওবা ৯/৬০)। শর্ত হ’ল এসব প্রতিষ্ঠান কেবল এরূপ অসহায়দের কল্যাণ
উত্তর : সামনে দিয়ে কেউ গেলে মারতে বলা হয়নি। বরং তাকে হাত দিয়ে প্রতিহত করতে বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ কোন বস্ত্তকে সম্মুখে রেখে ছালাত আদায় করবে যা তার জন্য লোকদের থেকে সুৎরা বা পর্দা স্বরূপ হবে। এমতাবস্থায় তার সম্মুখ দিয়ে যদি
উত্তর : বিবাহ না করার কারণে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা করলে প্রথমে বিবাহ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহ করতে সক্ষম, সে যেন বিবাহ করে। কেননা বিবাহ চক্ষুকে অবনমিত ও লজ্জাস্থানকে সংযত রাখে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩০৮০
উত্তর : পাপ হবে না। কারণ কেঁচোকে প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু’ (বাক্বারাহ ২/২৯)। অর্থাৎ সবকিছুই মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে বিনা প্রয়োজনে কোন জী
উত্তর : রুকূ-সিজদা ছালাতের রুকন। আর রুকন তরক করলে ছালাতও বাতিল হয়। তাই এরূপ অবস্থায় এক রাক‘আত অতিরিক্ত আদায় করতে হবে এবং সহো সিজদা দিতে হবে (উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ৩/৩৭১-৭২; আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২৭৭)। স্মর্তব্য যে, ছালাতের কোন র
উত্তর: না। কারণ রাসূল (ছাঃ) ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেছেন (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/১৯১৬২; ইবনু মাজাহ হা/৩২২৩, সনদ ছহীহ)। এমনকি ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করতেও নিষেধ করেছেন’ (আবুদাউদ হা/৩৮৭১; মিশকাত হা/৪৫৪৫, সনদ ছহীহ)। উপরন্তু ‘ব্যাঙ খেলে মেধা বৃদ্ধি পায়’ কথা
উত্তর : জায়েয নয়। এতে নিজের ও প্রতিবেশীদের জন্য প্রভূত ক্ষতির আশংকা রয়েছে। সেকারণ এথেকে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা ঘুমানোর সময় তোমাদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রেখো না’ (বুখারী হা/৬২৯৩; মুস
উত্তর : এটি সম্পূর্ণরূপে শরী‘আত বিরোধী কাজ এবং অমুসলিমদের অনুকরণে সৃষ্ট। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়
উত্তর : নবজাতকের যেকোন বৈধ অভিভাবক আকীকা দিতে পারবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) নানা হয়ে দুই নাতি হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-এর আকীকা দিয়েছিলেন (নাসাঈ হা/৪২১৩; মিশকাত হা/৪১৫৫; ইরওয়া হা/১১৬৪, সনদ ছহীহ)।
উত্তর : মন্দ কোন কিছু দেখলে বা শুনলে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন’ পাঠ করবে (বাক্বারাহ ২/১৫৬) । আর ভালো কোন সংবাদ আসলে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবে (মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭)। তাছাড়াও নিম্নের দো‘আটি পাঠ করা যায়। ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ম
উত্তর : নেকী পাওয়া যাবে না। এমতাবস্থায় নিজে করতে না পারলে পিতা-মাতা বা আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে কুরবানী করিয়ে নেওয়ায় বাধা নেই।
উত্তর : ‘মুনশী’ আল্লাহ তা‘আলার কোন নাম নয়। সুতরাং এটা বলায় কোন দোষ নেই। ‘মুনশী’ (আরবী) অর্থ লেখক, প্রবন্ধকার, সুন্দর হস্ত লিখনে পারদর্শী। ‘মুনশীখানা’ (ফারসী) অর্থ অফিস বা অফিস সংলগ্ন কক্ষ। যেখানে ফাইলপত্র থাকে। ‘মুনশীগিরী’ অর্থ কেরানীগিরী। তবে যদি কে
উত্তর : ফজরের ও মাগরিবের সুন্নাত ছালাতে সূরা কাফেরূন ও সূরা ইখলাছ একাধিকবার পাঠ করার বিষয়টি হাদীছ সম্মত (আহমাদ হা/৪৭৬৩; নাসাঈ হা/৯৯২; ছহীহাহ হা/৩৩২৮)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমি অগণিত বার রাসূল (ছাঃ)-কে ফজরের পূর্বের দুই রাক‘আতে এবং মাগরিব
উত্তর : বিবাহের পর স্বামীই তার স্ত্রীর মূল অভিভাবক। অতএব স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করা জায়েয হবে না। তিনি অন্যায়ভাবে এরূপ করে থাকলে স্ত্রী নিজে বা অন্য কারু মাধ্যমে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু কোনক্রমেই তার অবাধ্য হবে না। রাসূল (ছাঃ) জনৈকা মহিল
উত্তর : কাজ শুরু করার পূর্বে ‘আল্লাহু আকবার’ বলার কোন দলীল নেই। বরং যেকোন শুভ কাজের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা সুন্নাত (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৪৮০)। রাসূল (ছাঃ) খাদ্যগ্রহণ সহ বহু কাজ ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী হা/৫৩৭৬; মুসলিম
উত্তর: পানি পান করার আদব হ’ল: (১) প্রথমে বিসমিল্লাহ বলা (২) ডান হাতে পাত্র ধরা (৩) বসে পান করা (৪) তিন নিঃশ্বাসে পান করা (মুসলিম হা/২০২৪-২৬; মিশকাত হা/৪২৬৭; ছহীহাহ হা/১২৭৭)। (৫) পাত্রের ভিতরে নিঃশ্বাস না ফেলা (৬) পান শেষে আল-হামদুলিল্লাহ বলা (ছহীহুল
উত্তর : মুহাম্মাদ (ছাঃ) মোহরানা স্বরূপ খাদীজা (রাঃ)-কে বিবাহের মোহর স্বরূপ ২০টি উট প্রদান করেন। এ সময় খাদীজা ছিলেন মক্কার শ্রেষ্ঠ ধনী ও সম্ভ্রান্ত মহিলা এবং সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারিণী হিসাবে ‘তাহেরা’ (পবিত্রা) নামে খ্যাত। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪০ এবং মু
উত্তর : উক্ত সূরাদ্বয় পাঠ করে শরীরে হাত বুলানোর বিষয়টি ঘুমানোর সময় এবং রোগাক্রান্ত অবস্থায় প্রযোজ্য (বুখারী হা/৫০১৭, ৪৪৩৯; মিশকাত হা/২১৩২, ১৫৩২)। প্রত্যেক ছালাতের পর নিয়মিতভাবে সূরা ফালাক্ব ও নাস পাঠ করা যাবে (আবুদাঊদ হা/১৫২৩; মিশকাত হা/৯৬৯)। কিন্তু
উত্তর : এভাবে বসা যাবে না। কারণ প্রথমতঃ এতে আলস্য আসে এবং ঘুমের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যাতে ওযূ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয়তঃ এতে খুৎবার প্রতি মনোযোগ বিঘ্নিত হয় এবং অবহেলা সৃষ্টি হয়। অথচ বিভিন্ন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে,إِذَا اسْتَوَى عَلَى ا
উত্তর : ‘অসীলা’ অর্থ নৈকট্য। পারিভাষিক অর্থে যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য কামনা করা হয়। অসীলা দুই প্রকার (১) সিদ্ধ অসীলা। এর পদ্ধতি তিনটি। যেমন- (ক) আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর অসীলায় প্রার্থনা। যেমন রাসূল (ছাঃ) যখন কোন দুঃখ বা সংকটের সম্মুখীন হ’তেন, তখন বল
উত্তর : ইমাম মাহদীর আগমন ক্বিয়ামতের আলামতসমূহের অন্যতম। কিন্তু তিনি ক্বিয়ামতের কতদিন পূর্বে এবং কোন দিক থেকে আগমন করবেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছুই বর্ণিত হয়নি। তবে ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর আগমনের পূর্বে তিনি আসবেন। কারণ ইমাম মাহদীর ইমামতি
উত্তর : এগুলি পেশাব-পায়খানার ন্যায় দেহের পরিত্যক্ত বস্ত্ত। এগুলির ব্যবসা হালাল। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন এগুলি পরচুলা বানানোর মত কোন নিষিদ্ধ কাজে ব্যবহৃত না হয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে পরচুলা লাগিয়ে নিল এবং যে লাগিয়ে দিল উভয়ের উপর আল্লাহর লা‘নত’ (
উত্তর : শিক্ষা সনদে বয়স কমবেশী করাটা বড় অন্যায়। এজন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তবে এজন্য সময়ের আগেই অবসর নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে যথাযথভাবে কাজ করেই বেতন নেওয়া হয়। ভবিষ্যতে নিজ সন্তানদের জন্ম নিবন্ধনে যাতে কোন ম
উত্তর : কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ মানতে গেলে প্রত্যেক মুসলিমকে জামা‘আতবদ্ধ থাকতে হবে, যেখানেই তিনি বসবাস করুন না কেন। যাকে তিনি ফিরক্বা নাজিয়াহর আমীর হিসাবে মনে করেন, তার প্রতি আল্লাহর নামে আনুগত্যের অঙ্গীকার করবেন। অতঃপর তাঁর দেওয়া কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভ
উত্তর : এরূপ পশু যবেহ করে গোশত খাওয়া, ছাদাক্বা করা বা বিক্রয় করা সবই জায়েয। এর পরিবর্তে অন্য একটি পশু কুরবানী দেওয়া যরূরী নয়। তবে সক্ষমতা থাকলে দিতে পারবেন (দ্রঃ ‘মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীক্বা’ ২৫ পৃঃ)।
উত্তর : উক্ত বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং এ বিষয়ে কুরআনী বর্ণনা হ’ল এই যে, আদম (আঃ)-এর পুত্রদ্বয় আল্লাহ্র নামে কুরবানী করেছিল। কিন্তু আল্লাহ একজনের কুরবানী কবুল করেন, অন্যজনেরটা করেননি। এতে একজন ক্ষুব্ধ হয়ে অপরজনক
উত্তর : হাশরের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নাম, পিতার নাম ও বংশ পরিচয় সহ আহবান করা হবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৬)।
উত্তর : গরীবদের মাঝে বিতরণের জন্য জমাকৃত গোশত বন্টনের পর অতিরিক্ত গোশত নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেওয়া জায়েয নয়। কেননা দান করে ফেরত নেওয়াকে রাসূল (ছাঃ) বমি করে পুনরায় তা ভক্ষণ করার সাথে তুলনা করেছেন (বুখারী হা/১৪৯০, মিশকাত হা/১৯৫৪)। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (মুসনাদুল ফিরদাউস হা/৩৭৩১; লিসানুল মীযান হা/১৭০০, ইবনু হাজার বলেন, এটি একাধিক সনদে বর্ণিত হলেও তার সবই যঈফ)। তবে অভাব বা ঋণমুক্তির জন্য অনেক বিশুদ্ধ দো‘আ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন (১) ‘আল্লাহুম্মাগফিরলী যানবী ওয়া
উত্তর : মসজিদের নামের সাথে ‘আহলেহাদীছ’ যুক্ত করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে ‘মসজিদে ক্বোবা’, ‘মসজিদে বনী যুরায়েক্ব’ নামে মসজিদ সমূহের নামকরণ করা হয়েছিল (বুখারী হা/৪২০; মুসলিম হা/১৮৭০; মিশকাত হা/৩৮৭০)। ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, এ হাদীছ দ্
উত্তর : মাসিক অবস্থায় নারীরা মসজিদে অবস্থান করতে পারবে। তবে ছালাত আদায় করতে পারবে না। রাসূল (ছাঃ) ঋতুবতী অবস্থায় কেবলমাত্র ছালাত ও তাওয়াফ থেকে নিষেধ করেছেন, মসজিদে গমন থেকে নয়। যেমন ঋতুবতী অবস্থায় আয়েশা (রাঃ) হজ্জ পালনের জন্য মক্কায় আসলে রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : রাশিফলের কোন কার্যকারিতা নেই। বরং এগুলি মানুষকে আল্লাহর উপর বিশ্বাস থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার একেকটি শয়তানী ফাঁদ মাত্র। এর মাধ্যমে কৃত ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করলে বা তা সত্য বলে মেনে নিলে আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্
উত্তর : মানব চক্ষুর অন্তরালে কিংবা বাথরুমের মধ্যে হ’লে যাবে (বুখারী হা/২৭৯, ৩৪০৪; মিশকাত হা/৫৭০৭, ৫৭০৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন গোসল করবে তখন সে যেন পর্দা করে’ (নাসাঈ হা/৪০৬; মিশকাত হা/৪৪৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর গুপ্তাঙ্গ কখনো দেখেননি বলে
উত্তর : হাই উঠার সময় কোন দো‘আ পড়তে হবে না। বরং এসময় ‘হা’ করে শব্দ না করে মুখে হাত দিয়ে চেপে রাখতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো হাই আসে তখন সে যেন স্বীয় হাত দ্বারা নিজের মুখ বন্ধ করে রাখে। কেননা শয়তান মুখের ভিতর প্রবেশ করে’ (মুসলিম হ
উত্তর : শারঈ কারণের প্রেক্ষিতে পিতা-মাতা যদি অনুরূপ নির্দেশ দেন, তবে তা মান্য করতে হবে। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা ওমর তাকে ঘৃণা করতেন এবং আমাকে তালাক দিতে বললেন। আমি তালাক দিতে অস্বীকার করি। আমার পিতা রাসূলুল
উত্তর : প্রত্যেক ভিক্ষুককে ভিক্ষা চাইলে কিছু দান করা যরূরী। উম্মু বুজাইদ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! ভিক্ষুক আমার দরজায় দাঁড়ায়, আমার বাড়িতে কিছু না থাকায় আমি তার হাতে কিছু দিতে পারি না, এতে আমি লজ্জাবোধ করি। রাসূলুল্লাহ (
উত্তর : মুসলমানদের বায়‘আতপ্রাপ্ত আমীর হওয়ার প্রধানতম শর্ত হ’ল মুসলিম হওয়া (নিসা ৪/১৪১, ৫৯; নববী শরহ মুসলিম ১২/২২৯)। এছাড়া অন্যান্য প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ : (১) পবিত্র কুরআন এবং ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক জনগণকে পরিচালনা করা (তিরমিযী হা/১৭০৬;
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) হিজরতের পরে মাত্র একবার হজ্জ করেছেন। যা বিদায় হজ্জ নামে খ্যাত (বুখারী হা/৪৪০৪ মুসলিম হা/১২৫৩)। তবে হিজরতের পূর্বে তিনি একাধিকবার হজ্জ করেছেন (তিরমিযী হা/৮১৫; ইবনু মাজাহ হা/৩০৭৬; সনদ ছহীহ, আলবানী, হাজ্জাতুন নবী (ছাঃ) ৬৭-৮৩ পৃষ্ঠা)।
উত্তর : ইমাম বুখারী (রহঃ) কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলেন না। বরং তিনি একজন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন মুহাদ্দিছ ও মুজতাহিদ ছিলেন। তিনি ইমাম শাফেঈ, মালেক ও আহমাদ (রহঃ)-এর ন্যায় হাদীছের অনুসরণ করতেন বলেই অধিকাংশ মাসআলায় তাঁদের সাথে ঐক্যমত পরিলক্ষিত হয়। অপরদিকে ইম
উত্তর : উক্ত অবস্থায় পূর্ণ ছালাত আদায় করতে হবে। ইবনু ওমর (রাঃ) (সফরে) একাকী ছালাতরত অবস্থায় দু’রাক‘আত এবং ইমামের সাথে চার রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/৬৯৪, মিশকাত হা/১৩৪৭)। ইবনু আববাস (রাঃ) এভাবে পড়াকেই সুন্নাত বলেছেন (আহমাদ, ইরওয়া হা/৫৭১; ফিক্
উত্তর : কবুলযোগ্য হবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৩৭; ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ ১১/৪০৬)। তবে একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য সংখ্যা যত বেশীই হৌক না কেন সকলের পক্ষ থেকে একটি পশুই যথেষ্ট হবে (মুসলিম হা/১৯৬৭; মিশকাত হা/১৪৫৪)।
উত্তর : তালাক হবে না। বরং তিনি উক্ত সন্তানের দুধ মা হিসাবে গণ্য হবেন (বুখারী হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩১৬১)।
উত্তর : ইসলামের সোনালী যুগে আক্বীক্বার জন্য লোকদেরকে দাওয়াত দেওয়ার কোন প্রচলন ছিল না। ইবনু ‘আব্দিল বার্র ইমাম মালেক (রহঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বিবাহের ওয়ালীমায় যেভাবে লোকদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়, সেভাবে আক্বীক্বায় লোকদের দাওয়াত দেওয়া হ’ত না’ (ইবনুল ক্
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে তাহিইইয়াতুল মসজিদ দু’রাক‘আত ব্যতীত নির্ধারিত কোন ছালাত নেই। বরং খুৎবার আগ পর্যন্ত দুই দুই রাক‘আত করে যতটুকু সম্ভব নফল ছালাত আদায় করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম‘আর দিনে গোসল করে ছালাতে আসবে এবং সাধ্যানুযায়
উত্তর : এভাবে সালাম দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। বরং শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সালাম দিবেন (বুখারী হা/৬২৩১; মিশকাত হা/৪৬৩৩) এবং তারা উত্তর দিবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যদি কেউ এতে আনন্দবোধ করে যে, লোকেরা তাকে দেখে স্থিরভ
উত্তর : এরূপ ক্ষেত্রে বিছানা পৃথক না করে ধৈর্যধারণ করতে হবে। কারণ ধৈর্যের দ্বারা যে ফলাফল পাওয়া যায়, অন্য কিছু দ্বারা তা পাওয়া যায় না (বুখারী হা/১৪৬৯, মুসলিম হা/১০৫৩)। এভাবে স্বামীকে অন্যায় পথ থেকে ফিরিয়ে আনার সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। এতে একসময় স্বাম
উত্তর : যে কোন হালাল বস্ত্ত ও প্রাণী মসজিদে দান করা যাবে ও তা বিক্রয় করে মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজে লাগানো যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে একটি মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহ নির্ম
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং তাহাজ্জুদের ছালাতের সঠিক সময় হ’ল রাত্রির তৃতীয় প্রহর (বুখারী হা/৩৪২০; মুসলিম হা/১১৫৯; মিশকাত হা/১২২৫)। যেসময় আল্লাহ তার বান্দাদেরকে ডেকে ডেকে বলেন, কে আছ আমাকে আহবানকারী, আমি তার আহবানে সাড়া দেব। কে আছ আমার কাছে যাঞ্
উত্তর : সর্বপ্রথম অবতীর্ণ আয়াত হ’ল সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত- (১) ‘পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’ (২) ‘সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে’ (৩) ‘পড় এবং তোমার প্রভু বড়ই দয়ালু’ (৪) ‘যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দান করেছেন’ (৫) ‘তি
উত্তর : রামাযান মাসে সফর অবস্থায় ছিয়াম রাখা বা ছাড়া উভয়টিই জায়েয। আবু সাঈদ খুদরী, আনাস, ইবনু আববাস (রাঃ) সহ অনেক ছাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সফরকালে তিনি ছিয়াম পালনকারী বা পরিত্যাগকারী কাউকেই দোষারোপ করেননি। বরং তিনি কখনো রাখতেন
উত্তর : জনগণের ক্ষতি না করে এবং লোক চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে এগুলি করা যাবে। শান্তিপূর্ণ মিছিল বা মানববন্ধনে সাধারণতঃ এরূপ কোন বিশৃংখলা হয় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অন্যায় কিছু দেখলে তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। নইলে যবান দিয়ে। নইলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে। আর
উত্তর : জিবরীল নন, স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা আরাফার দিনে প্রথম আকাশে নেমে আসেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আরাফার দিন ব্যতীত অন্য কোন দিন আল্লাহ এত অধিক পরিমাণ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন না। ঐদিন তিনি নিকটবর্তী হন। অতঃপর আরাফাহ ময়দানের হাজীদের নিয়ে ফেরেশতাদের
উত্তর : সূরা ফাতেহা ব্যতীত জানাযার ছালাত সুন্নাত মোতাবেক হবে না। কারণ সূরা ফাতিহা অন্যান্য ছালাতের ন্যায় জানাযার ছালাতেরও অন্যতম রুকন। কারণ সূরা ফাতিহা ব্যতীত ছালাত সিদ্ধ নয় (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৮২২)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল
উত্তর : মসজিদে ছালাতের নির্ধারিত জামা‘আত শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় জামা‘আত করা যাবে এবং সেজন্য ইক্বামতও দিতে হবে (বুখারী ১/২১৬; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/৮৩-৮৪; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/১৬৬)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি (মসজিদে) আগমন করল এমতা
উত্তর : শারঈ কারণে মসজিদ স্থানান্তরে কোন বাধা নেই। অতএব উক্ত জমি বিক্রয় ও এওয়ায বা বিনিময় করা যাবে। ওমর ফারূক (রাঃ) কূফার পুরাতন মসজিদের স্থানটি বিক্রয় করেন এবং অন্য স্থানে মসজিদ নির্মাণ করেন। অতঃপর পুরাতন মসজিদের স্থানটি খেজুর ক্রয়-বিক্রয়ের বাজারে প
উত্তর : সফর অবস্থায় জমা তাক্বদীম ও তাখীর করাই উত্তম (বুখারী হা/১১১২; মুসলিম হা/৭০৪; মিশকাত হা/১৩৪৪)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিবহনে সফর করতেন এবং সেক্ষেত্রে তারা জমা ও ক্বছরই করতেন। আর ফরয ছালাত জামা‘আতে আদায় করা সর্বাবস
উত্তর : সহো সিজদার নিয়ম হ’ল- (১) যদি ইমাম ছালাতরত অবস্থায় নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হন কিংবা সরবে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলার মাধ্যমে লোকমা দিয়ে মুক্তাদীগণ ভুল ধরিয়ে দেন, তবে তিনি শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে তাকবীর দিয়ে পরপর দু’টি সিজদা দিবেন। অতঃপর সালাম ফির
উত্তর : এ ধরনের বাক্য মূলতঃ আরবী বাকরীতি। এর দ্বারা নিগূঢ় ভালবাসা ও আনুগত্য প্রকাশ করা হয় মাত্র। ছাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে কোন কথা বলতে চাইলে এ ধরনের বাক্য ব্যবহার করে তাঁকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে চাইতেন এবং আনুগত্য প্রকাশ করতেন। সাথে সাথে ‘আমার
উত্তর : উক্ত বাক্য দ্বারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সামগ্রিক জীবনাদর্শকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসকে কামনা করে ও অধিকহারে আল্লাহকে স্মরণ করে’ (আহযাব ৩৩/২১)
উত্তর : বিবাহের পূর্বে এরূপ ওয়াদাবদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। তাই পিতা-মাতার নির্দেশ মেনে নিতে হবে। কেননা শরী‘আত বিরোধী নির্দেশ ছাড়া অন্য সকল ব্যাপারে পিতা-মাতার আনুগত্য করা অপরিহার্য (নিসা ৪/৩৬; আনকাবূত ২৯/৮; ইসরা ১৭/২৩, ২৪, লোকমান ৩১/১৪)। রাসূল
উত্তর : এমতাবস্থায় ছিয়াম হবে না। বরং ভুলবশতঃ এরূপ করে ফেললে ক্বাযা আদায় করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা (রামাযানের রাতে) খানাপিনা কর, যতক্ষণ না (রাত্রির) কালো রেখা হ’তে ভোরের শুভ্ররেখা স্পষ্ট হয় (বাক্বারাহ ২/১৮৭)। তবে আযানের পূর্বে খাওয়া শুরু কর
উত্তর : মৃত্যুর পরে রূহ কিছুক্ষণের জন্য দেহ হ’তে বিচ্ছিন্ন হলেও পুনরায় আপন দেহে তা স্থাপন করা হবে এবং বান্দাকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে (আহমাদ হা/১৮৫৫৭; ইবনু মাজাহ হা/৪২৬২; মিশকাত হা/১৬৩০)। ক্বিয়ামতের দিনও মানুষের আত্মার সাথে তার দেহ জুড়ে দেওয়া হবে (ফজর
উত্তর : মৃত ব্যক্তির নামে ইফতার মাহফিল করা যাবে না, যেখানে সকল শ্রেণীর মানুষ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কারণ মৃত ব্যক্তির নামে যা করা হয় তা হ’ল ছাদাক্বাহ, যা ধনীরা খেতে পারে না (তওবাহ ৯/৬০; তিরমিযী হা/৬৫২)। তবে কেবলমাত্র দরিদ্র ছায়েমদের ইফতার করানো যাবে বা ত
উত্তর : মূল্য নির্ধারণ না করে এরূপ লেনদেন বৈধ হবে না। কেননা তা ‘গারার’ বা প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত হবে, যা থেকে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/১৫১৩; মিশকাত হা/২৮৫৪)।
উত্তর : ছিয়াম পালনের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। কারণ সে ছিয়ামের শর্ত পূর্ণ করেছে। তবে হারাম খাদ্য খাওয়ার কারণে সে গুনাহগার হবে এবং তার ছিয়াম ত্রুটিপূর্ণ হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও তার উপর আমল করা ছাড়তে পারল না, তার খানা-
উত্তর : অতি দুর্বল ও একান্ত বাধ্যগত অবস্থায় বসে খুৎবা দেওয়া যাবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/২৩২, মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫২৬৬)। মনে রাখতে হবে যে, জুম‘আর খুৎবা দাঁড়িয়ে প্রদান করতে হবে এবং দুই খুৎবার মাঝখানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বসতে হবে, এটাই বিধিব
উত্তর : ইমামের অনুসরণ করতে অসুবিধা না হলে এভাবে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে আছার বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি (মসজিদের ভিতরে থাকা) ইমামের সাথে মসজিদের ছাদে ছালাত আদায় করেছেন (বুখারী ২/১৫৬, হা/৩৭৭-এর অনুচ্ছেদ দ্রঃ; বায়হাক্বী হা/৫৪৫১, ৫৪৫
উত্তর : না। মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করতে হবে। আউয়াল ওয়াক্ত বলতে ওয়াক্তের শুরুকে বুঝানো হয় না। বরং ওয়াক্তের প্রথমভাগকে বুঝানো হয়। জিবরীল (আঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে আউয়াল ও আখেরী ওয়াক্তে দু’দিন ছালাত আদায় করে বলেন, উক্ত দুই ওয়াক্তের মধ্যবর্তী স
উত্তর : উভয় সময়ের মধ্যে এমন পার্থক্য থাকবে, যাতে একজন ব্যক্তি সহজে ফজরের আযানের পূর্বে প্রয়োজনে রান্না ও খাদ্য গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারে। তা একঘণ্টা বা তার কিছু কমবেশী হ’তে পারে। যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে ফজরের সময় ঘনিয়ে এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামা
উত্তর : যাবে না। মীকাত থেকেই ইহরাম বাঁধতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) সারা বিশ্ব থেকে হজ্জব্রত পালনকারীদের জন্য পৃথক পৃথক মীকাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/২৫১৬)। ইবনে ওমর (রাঃ)-কে (যুল হুলায়ফার নিকটবর্তী একটি স্থান) বায়দা থেকে ইহরাম বা
উত্তর : এরূপ অন্ধ অনুসরণকে তাক্বলীদে শাখছী বলা হয়। অর্থাৎ ‘নবী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির কোন শারঈ সিদ্ধান্তকে বিনা দলীলে মেনে নেওয়া। এর ফলে মানুষ অন্য একজন মানুষের অন্ধ অনুসারী হয়ে পড়ে। অনুসরণীয় ব্যক্তির ভুল-শুদ্ধ সব কিছুকেই সে সঠিক মনে করে। মান
উত্তর : শরী‘আতে ওয়ালীমা করার জন্য জোর তাকীদ এসেছে। তাই সামর্থ থাকলে এরূপ করায় বাধা নেই। আল্লাহ তা‘আলা বান্দার উপর তাঁর প্রদত্ত নে‘মতের নিদর্শন দেখতে ভালোবাসেন (আবুদাউদ হা/;৪০৬৩; মিশকাত হা/৪৩৫২; ছহীহুল জামে‘ হা/২৫৪)। রাসূল (ছাঃ) একটি বকরী দিয়ে হ’লেও ও
উত্তর : বিবাহ সামনা সামনি হওয়াই বিধেয়। একান্ত বাধ্যগত কারণে দেশী ও প্রবাসীর মধ্যে বিবাহের ক্ষেত্রে ক্বাযী ছাহেব সাধারণ বিবাহের ন্যায় প্রথমে বিবাহের খুৎবা পাঠ করবেন, যা দুই পক্ষ শুনবে (দারেমী হা/২২০২; মিশকাত হা/৩১৪৯)। অতঃপর অভিভাবক কর্তৃক মেয়ের
উত্তর : তারা মানুষের সাথে এমন ভাষায় কথা বলবেন, যা তারা বুঝতে পারবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৩/৪৫০)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, সেদিন মানুষ কোন ভাষায় কথা বলবে তা জানা যায় না। কেননা আল্লাহ ও রাসূল (ছা
উত্তর : ই‘তিকাফের জন্য জুম‘আ মসজিদ হওয়াই উত্তম। তবে জামা‘আত হয় এরূপ ওয়াক্তিয়া মসজিদে ই‘তিকাফ করাও জায়েয। কারণ এ মর্মে আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি একটি বর্ণনায় ‘জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ হবে না’ (আবুদাঊদ হা/২৪৭৩) আসলেও অন্য বর্ণনায় ‘জামা‘আত হয় এরূপ মসজ
উত্তর : সূদ হবে না ইনশাআল্লাহ। বিবরণ অনুযায়ী সার্ভিস চার্জ প্রয়োজন অনুসারে নিতে পারে। কারণ এটা ঋণের বিনিময়ে লাভ হিসাবে নয়, বরং সংশ্লিষ্ট কর্মীর বেতন হিসাবে গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে নিয়তের সামান্য গরমিল হ’লে নেকীর কাজ গুনাহে পরিণত হবে। অতএব এক্ষেত্রে সাবধ
উত্তর : মানুষ ও প্রাণী ছবি নিয়ে কাজ করা জায়েয হবে না। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, যারা এসব ছবি তৈরী করে, তারা ক্বিয়ামতের দিন কঠিন আযাবপ্রাপ্ত হবে। তাদেরকে বলা হবে তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে তাতে প্রাণ দাও’ (বুখার
উত্তর : সপ্তাহে দু’টি ছিয়াম পালন এবং মাসের আইয়ামে বীযের ছিয়াম উভয়ই উত্তম আমল। দু’টির মধ্যে ছওয়াবের দিক দিয়ে উত্তম-অনুত্তম ভাগ করার অধিকার বান্দার নেই। তবে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় সোমবার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দু’দিন ছিয়াম রাখা উত্তম। সপ্তাহে সোম ও বৃ
উত্তর : ১০, ১১, ১২ই যিলহাজ্জ তিনদিনের রাত-দিন যে কোন সময় কুরবানী করা যাবে (মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১৪৭৩, হাদীছ ছহীহ; ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/৩০ পৃঃ; নায়লুল আওত্বার ৬/২৫৩)। এতে কোন মতভেদ নেই। তবে অনেক ছাহাবী, ইমাম শাফেঈ ও বহু বিদ্বানের মতে ঈদুল আযহার পরের ত
উত্তর : বাধা নেই। এক্ষেত্রে বিচারকগণ উক্ত অর্থ বায়তুল মালে জমা করতে পারেন অথবা কোন সৎকাজে ব্যয় করতে পারেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১/২২১)। তবে ঐ অর্থ মসজিদে ব্যয় করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। যদিও সেটি নাজায়েয নয়।
উত্তর : এরূপ অছিয়ত করা পিতার জন্য জায়েয হয়নি। কারণ রাসূল (ছাঃ) সর্বোচ্চ তিনভাগের একভাগ সম্পদ অছিয়ত করার অনুমতি দিয়েছেন (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩০৭১ ‘অছিয়ত সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। উপরন্তু ওয়ারিছদের জন্য কোন অছিয়ত নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা প
উত্তর : হারাম পশুর পেশাব পান করা হারাম। আর হারাম বস্ত্ত ঔষধ হ’তে পারে না। জনৈক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ) কে ঔষধ হিসাবে মদ ব্যবহারের অনুমতি চাইলে তিনি বলেন, এটা কখনোই রোগের প্রতিষেধক নয়। বরং তা রোগ সৃষ্টিকারী (মুসলিম হা/১৯৮৪, মিশকাত হা/৩৬৪২)। তবে বিশেষজ্ঞ ডা
উত্তর : কর মওকূফের সুযোগ লাভের উদ্দেশ্যে এভাবে সূদী কাজে সহযোগিতা করা জায়েয হবে না (মায়েদাহ ৫/২)। কেননা সূদের পাপ অত্যন্ত ভয়াবহ (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯; মুসলিম হা/১৫৯৮, মিশকাত হা/২৮০৭)।
উত্তর : যরূরী প্রয়োজন ব্যতীত কবর স্থানান্তর করা জায়েয নয় (বুখারী হা/১৩৫১-৪২; নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২৭৩; উছায়মীন, শারহুল মুহাযযাব ৫/৩৬৯)। তবে প্রশ্নে বর্ণিত কারণ দেখা দিলে কবর খুড়ে কোন হাড়গোড় পাওয়া গেলে তা নতুন কবরস্থানে স্থানান্তর করা এবং উক্ত জমি বিক্রি
উত্তম : যাকাতের টাকা এরূপ ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এগুলো ফী সাবীলিল্লাহ খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে (মাজমু‘ ফাতাওয়া উছায়মীন ১৮/২৫২)।
উত্তর : এমন অবস্থায় বিবাহ করাই উত্তম হবে। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত আছে, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও ... তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছলতা দান করবেন’ (নূর ২৪/৩২)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ
উত্তর : জায়েয হবে। কেননা বৈধ বস্ত্ত উৎপাদনকারী তথা বৈধ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত যেকোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে। যদিও তার মজুরী সূদযুক্ত অর্থ দিয়ে প্রদান করা হয়। এজন্য দায়ী হবে উক্ত সূদের গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফত
উত্তর : অবশ্যই দো‘আ রয়েছে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) দুই সিজদার মাঝে বলতেন,اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِىْ وَارْحَمْنِىْ وَاجْبُرْنِىْ وَاهْدِنِىْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِىْ (আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়াহদিনী ওয়া ‘আফিনী ওয়ারযুক্বনী) অর্থ
উত্তর : এভাবে নিয়মিতভাবে কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করা জায়েয নয় (তিরমিযী হা/৪০২; মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৪৫৫-৫৭; মিশকাত হা/১২৯১-৯২)। আর এর জন্য সহো সিজদা দেওয়ারও কোন প্রয়োজন নেই। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বিপদাপদের ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কুন
উত্তর : এরূপ অবস্থায় ছালাত চালিয়ে যেতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, স্পষ্টভাবে বায়ূর শব্দ বা গন্ধ না পেলে ওযূ করতে হবে না (ইবনু মাজাহ হা/৫১৫; মিশকাত হা/৩১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৭২; বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল পৃ. ৬৩)।
উত্তর : সামর্থ্য না থাকলে একটি ছাগল দেওয়া যাবে (আবুদাউদ হা/২৮৪১; মিশকাত হা/৪১৫৫; ইরওয়া হা/১১৬৭, সনদ ছহীহ; দ্র: মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীক্বা পৃ. ৪৮)।
উত্তর : পরিবারের সাথে থেকেই দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পরিবারের সদস্যদের বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা সন্তানদের পিতা-মাতার সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তাদের শরী‘আতবিরোধী নির্দেশ মানা যাবে না (লোকমান ৩১/১৯)। বরং
উত্তর : হজ্জ করার নিয়তে টাকা জমা দিয়ে থাকলে আল্লাহ তার হজ্জ কবুল করবেন এবং তিনি এর পূর্ণ নেকী পাবেন ইনশাআল্লাহ (নিসা ৪/১০০)। আর ঐ টাকা দিয়ে বদলী হজ্জ করা উত্তম। যেমন জনৈকা মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা হজ্জ করার মানত করেছিলেন। কিন্তু তিনি
উত্তর : কোন কোন সময়সূচীতে ঢাকা ব্যতীত অন্য যেলায় সাহারী-ইফতারীর সময় নিরূপণের ক্ষেত্রে ঢাকাকে কেন্দ্র ধরে যেলাসমূহের দ্রাঘিমার দূরত্ব অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করা হয়। ফলে অন্য যেলাগুলির সাথে ঢাকার সময়ের পার্থক্য এবং সাহারী ও ইফতারের ক্ষেত্রেও সময়ের পার্থক
উত্তর : এমতাবস্থায় ছালাত ছেড়ে দিবে এবং জামা‘আতে শরীক হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ছালাতের ইক্বামত হবে, তখন ফরয ছালাত ব্যতীত কোন ছালাত নেই (মুসলিম হা/৭১০; মিশকাত হা/১০৫৮)।
উত্তর : হ্যাঁ সঠিক। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এক মাস যাবৎ যোহর, আছর, মাগরিব, এশা ও ফজরের ছালাতে কুনূতে নাযেলাহ পড়েছিলেন। তিনি শেষ রাক‘আতে রুকূর পরে দো‘আয়ে কুনূত পড়তেন এবং মুক্তাদীগণ আমীন আমীন বলতেন (আবুদাঊদ হা/১৪৪৩; মিশকাত হা/১২৯০; মির
উত্তর : অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি পাপের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুতরাং এর ব্যবসা থেকে দূরে থেকে অন্যকোন হালাল ব্যবসা করাই উত্তম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ ও সীমা লংঘনের কাজে একে অপরকে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)।
উত্তর : মসজিদে পরিচ্ছন্ন ও উত্তম পোষাক পরিধান করবে (আ‘রাফ ৩১)। ডান পা আগে দিয়ে দো‘আ পাঠ করে মসজিদে প্রবেশ করবে (মুসলিম হা/৭১৩; মিশকাত হা/৭০৩; হাকেম, ছহীহাহ হা/২৪৭৪)। প্রবেশ করে সময় থাকলে ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (বুখারী হা/১১৬৩;
উত্তর : বৈধ হবে। কারণ যে সকল নারীকে বিবাহ করা হারাম, বিমাতার পূর্ব স্বামীর কন্যা তাদের অন্তর্ভুক্ত নয় (নিসা ৪/২৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২/৬০০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২১/১৯৯; ফাতাওয়া ছালেহ ফাওযান ৫/২৫৮)।
উত্তর : দীর্ঘ সময়ের জন্য কোন দেশে অবস্থান করার নিয়ত করলে সেখানে পুরো ছালাতই আদায় করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) মদীনায় হিজরত করার পর সেখানে ক্বছর করেননি। কিন্তু ১০ম হিজরী সনে মদীনা থেকে মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে ক্বছর করেছিলেন, যদিও তাঁর জন্মস্থান ছিল মক
উত্তর : পারবে। মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে পিছনে এশার ছালাত পড়তেন এবং পরে নিজ মহল্লায় গিয়ে আবার তাদের ইমামতি করতেন (বুখারী হা/৭১১, মুসলিম হা/৪৬৫)। এক্ষণে ইমাম না পাওয়ার কারণে যদি এরূপ করতে হয়, তাহ’লে তাতে কোন বাধা নেই।
উত্তর : কোন অবস্থাতেই সুন্নাত ছাড়া যাবে না। একারণেই রাসূল (ছাঃ) ভবিষদ্বাণী করেছেন, ‘তোমাদের পরে এমন একটা কঠিন সময় আসছে, যখন সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণকারী ব্যক্তি তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশ জন শহীদের সমান নেকী পাবে’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০২৪০; ছহীহুল জামে‘ হ
উত্তর : তাদের সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ তারা কাফের সম্প্রদায়। যদিও তারা মুসলমানদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য নিজেদেরকে ‘মুসলিম’ বলে। এদের সাথে কোনরূপ ইবাদতে শরীক হওয়া যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘শয়তানেরা তাদের বন্ধুদের মনে এমন সব কুমন্ত্রণা
উত্তর : অসুস্থতা বা সফরের কারণে ছুটে যাওয়া ছিয়ামসমূহ পরবর্তীতে আদায় করতে হবে (বাক্বারাহ ২/১৮৪; বুখারী হা/৩২১; মুসলিম হা/৩৩৫; মিশকাত হা/২০৩২)। উক্ত ছিয়ামগুলি শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম আদায় করার পরে করবে (বুখারী হা/১৯৫০; মুসলিম হা/১১৪৬; মিশকাত হা/২০৩০)।
উত্তর : বলা যাবে না। কারণ এগুলি বিদ‘আতী রেওয়াজ মাত্র। শরী‘আতে এর কোন ভিত্তি নেই। শুধু ফজর নয়, কোন আযানের পূর্বেই দরূদ পাঠ, কুরআন পাঠ বা আহবানসূচক অন্য কিছু পাঠ করা বা বক্তব্য রাখা কিছুরই কোন ভিত্তি নেই। ইসলামের স্বর্ণযুগে এগুলির কোন রেওয়াজ ছিল না। (ই
উত্তর : উক্ত হাদীছ অনুযায়ী জনৈকা মহিলার নাম ছিল বাররাহ, যার অর্থ গুনাহমুক্ত। রাসূল (ছাঃ) তা পরিবর্তন করে যয়নব (সুন্দর ও সুগন্ধিযুক্ত বৃক্ষ) রেখে বললেন, তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের মধ্যে কে সর্বাধিক সৎ আমলকারী সে সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক অবগত (মুস
উত্তর : অমুসলিম বা মুসলিম ব্যক্তির কোন অপরাধ রাষ্ট্রীয় আদালত কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ার পূর্বে কারো জন্য আইন হাতে তুলে নেওয়া জায়েয নয়। এরূপ করলে উক্ত ব্যক্তি কবীরা গুনাহগার হিসাবে গণ্য হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে হত্যাকারী ব্যক্তি জান্নাতে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছসমূহ মওযূ‘ বা জাল, যার অধিকাংশ রাফেযী শী‘আদের তৈরী মিথ্যা বর্ণনা মাত্র (যঈফ আত-তারগীব হা/২২১০; যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৯/৩৯২-৯৩; সৈয়ূতী, আল-লাআলি আল-মাছনূ‘ ফিল আহাদীছিল মাওযূ‘আহ ২/১৭৭)।
উত্তর : মহিলারা নিজেদের মধ্যে তা‘লীম করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন কওম কোন গৃহে বসে, অতঃপর কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তা পর্যালোচনা করে, সেখানে তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ হ’তে প্রশান্তি নাযিল হয় ও ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে রাখে... (মুসলিম হা/২৬৯৯; মিশকাত
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে বা সালাম ফিরানোর পর ‘ইসমে আ‘যম’ সহ নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করতে হয়। ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নাকা আনতাল্লা-হুল আহাদুছ ছামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে প্
উত্তর : আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা অবশ্যই মুসলিম না হয়ে মরো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। এখানে তিনটি বিষয় এসেছে, মুমিন, মুত্তাক্বী ও মুসলিম। প্রথম দু’টি হৃদয়ে বিশ্বাসগত কমবেশীর সাথে সম্পর্কিত এবং শেষেরটি
উত্তর : এরূপ ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। কারণ ঋণ পরিশোধ ব্যতীত মৃত্যুবরণ করলে হাশরের মাঠে নিজ নেকী থেকে ঋণের দাবী পূরণ করতে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৫১২৬ ‘আদব’ অধ্যায় ‘যুলুম’ অনুচ্ছেদ)। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের আত্মা ঝুলন্ত অবস্থ
উত্তর : একথার কোন সত্যতা নেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মুমিন নর ও নারীকে স্ব স্ব দৃষ্টিকে নিম্নমুখী করে চলাফেরার নির্দেশ দিয়েছেন (নূর ২৪/৩০-৩১)। জারীর (রাঃ) বলেন, হঠাৎ নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়া সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তোমার দৃষ্
উত্তর : ফরয ত্যাগ করার কারণে কবীরা গুনাহগার হ’তে হবে (বাক্বারাহ ২/১৮৩; বুখারী হা/৮; মিশকাত হা/৪)। অতএব কষ্ট করে হ’লেও ছিয়াম পালন করতে হবে।
উত্তর : ছালাত হবে না। বরং যে স্থানে কবর আছে বলে নিশ্চিত হবে তা খুঁড়ে লাশের কোন চিহ্ন পেলে তা উঠিয়ে অন্যত্র দাফন করতে হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১ পৃঃ; তালখীছু আহকামিল জানায়েয, পৃঃ ৯১-৯৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করো
উত্তর : কথাটি ভিত্তিহীন। বরং মানুষ হিসাবে সবার প্রতি সমবেদনা দেখানো যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া প্রদর্শন কর, আসমানবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন’ (আবুদাউদ হা/৪৯৪১; মিশকাত হা/৪৯৬৯; ছহীহাহ হা/৯২৫)। ... জনৈক ইহূদ
উত্তর : সরাসরি এটি আল্লাহর গুণবাচক নাম হিসাবে হাদীছে না আসলেও রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবাগণ এ নামে আল্লাহকে সম্বোধন করেছেন। আব্দুর রহমান ইবনু শিখখীর (রাঃ) বলেন, আমরা বনু ‘আমের প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট গিয়ে বললাম, আপনি আমাদের সাইয়েদ! তখন
উত্তর : ক্লান্তির অজুহাতে ফরয ছালাত নিয়মিতভাবে বসে আদায় করলে তা কবুলযোগ্য হবে না। কেননা ক্বিয়াম ছালাতের অন্যতম রুকন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর জন্য বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় কর’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। বরং ক্লান্তি দূর হওয়ার পরেই ছালাত আদায় করবে। কেন
উত্তর : এটি হ’ল খারেজী চরমপন্থীদের ব্যাখ্যা। তাদের মতে ‘যেখানেই পাও’ এটি সাধারণ নির্দেশ। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের যেখানেই পাও না কেন তাদেরকে বধ কর, পাকড়াও কর হারাম শরীফ ব্যতীত’ (যুগে যুগে শয়তান-এর হামলা ৯২ পৃ.)।আয়াতটি বিদায় হজ্জের আগের বছর নাযিল হয় এবং মুশরি
উত্তর : আছে। রাসূল (ছাঃ) ‘ছালাতুল বিতর’-এর প্রথম রাক‘আতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা কাফিরূন এবং তৃতীয় রাক‘আতে সূরা ইখলাছ পাঠ করতেন (ইবনু মাজাহ হা/১১৭১; নাসাঈ হা/১৭৩৪; মিশকাত হা/১২৭২)। ঐ সাথে ফালাক্ব ও নাস পড়ার কথাও এসেছে (আবুদাঊদ হা/১৪২৪, দারেমী
উত্তর : নিরুপায় অবস্থায় গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে হারাম অর্থ উপার্জনকারী সন্তানের জন্য উক্ত সম্পদ হারাম হ’লেও মায়ের জন্য তা সরাসরি হারাম নয়। কেননা একজনের পাপ অন্যে বহন করবে না (হাকেম হা/৭০৫৩; ছহীহাহ হা/২১৮৬)। আর পিতা-মাতার ভরণ-পোষণের ব্যাপারে সন্তান দ
উত্তর : বিক্রয় মূল্যের পরিমাণ ধরে যাকাত দিতে হবে। সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ কারো নিকটে এক বছর যাবৎ থাকলে তার উপর উক্ত স্বর্ণের বর্তমান বিক্রয় মূল্যের হিসাবে মোট সম্পদের ২.৫০% যাকাত দেওয়া ফরয।
উত্তর : মৃত্যুর পরে রূহ কিছুক্ষণের জন্য দেহ হ’তে বিচ্ছিন্ন হ’লেও পুনরায় আপন দেহে তা স্থাপন করা হয় এবং বান্দাকে প্রশ্ন করা হয় (আহমাদ হা/১৮৫৫৭; ইবনু মাজাহ হা/৪২৬২; মিশকাত হা/১৬৩০; ছহীহুল জামে‘ হা/১৬৭৬)। অতএব কিয়ামতের দিনও মানুষের আত্মার সাথে দেহ জুড়ে দ
উত্তর : দো‘আ কুনূতের সাথে কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহ পাঠ করা যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৬/৭২)। ওমর (রাঃ)-এর যুগে ছাহাবীগণ দীর্ঘ সময় ধরে কুনূতের দো‘আ পাঠ করতেন (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১১০০; মিশকাত হা/১৩০১, সনদ ছহীহ)। ওছায়মীন বলেন, বর্ণিত দো‘আর সা
উত্তর: বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্রী পাত্রকে দেখতে পারে। কারণ সাধারণভাবেই প্রবৃত্তির বশবর্তী না হয়ে নারী যেকোন পুরুষকে দেখতে পারে (বুখারী হা/৯৮৮)। তবে এক্ষেত্রে অভিভাবকের উপস্থিতিতে দেখবে। কেননা তার সম্মতি ব্যতীত বিবাহ জায়েয নয় (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/
উত্তর : ঘুমানোর পূর্বে সূরা মুলক পাঠের বিশেষ ফযীলত আছে। যেমন জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সূরা সাজদা ও মুল্ক না পড়ে রাতে ঘুমাতেন না (তিরমিযী হা/৩০৬৬; মিশকাত হা/২১৫৫)। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ৩০ টি আয়াত রয়েছে, পাঠকারীর জন্য এটি
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৬২৫; যঈফাহ হা/২৯৭২; যঈফুল জামে‘ হা/১৩৭৫)। স্মর্তব্য যে, সাদা দাড়ি বা চুল রঙ্গিন করা যায়। তবে কালো রং করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, শেষ যামানায় একশ্রেণীর লোক চুল-দাড়িতে কালো রং দ্বারা খেযাব দিবে। দ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) প্রথম ও দ্বিতীয় কাতারে ছালাত আদায়কারীদের জন্য যে দো‘আ করেছিলেন (ইবনু মাজাহ হা/৯৯৬) তা উক্ত কাতারদ্বয়ে ছালাত আদায়কারী মুছল্লীদের জন্য ক্বিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এ দো‘আ রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য খাছ। তা পরবর্তী ইমামগণের জন্য অ
উত্তর: ঘটনাটি মাওযূ‘ বা জাল (আল-মুগনী ফিয-যুআ‘ফা ১/২৮৫)। ইবনুল জাওযী বলেন, বর্ণনাটি জাল। এর সনদে একদল দুর্বল রাবী রয়েছে (আল-মাওযূ‘আত ৩/১২১)। ইবনু হাজার বলেন, এটি গল্প মাত্র (আল-ইছাবাহ ১/৪০৫)। অতএব এসব ঘটনা বিশ্বাস করা বা প্রচার করা নিষিদ্ধ।
উত্তর : উক্ত দো‘আ পাঠ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/৮৮৭; তিরমিযী হা/৩৩৪৭; মিশকাত হা/৮৬০, সনদ যঈফ)।
উত্তর : নিজের ও পরিবারের সকল মৌলিক চাহিদা পূরণের পর যদি অবশিষ্ট সম্পদ দ্বারা হজ্জের খরচ নির্বাহ করা যায়, তাহ’লে উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হবে। এরূপ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও শারঈ কোন ওযর ব্যতীত তা পালন না করে কেউ মারা গেলে অবশ্যই তাকে ফরয ত্যাগের কারণে
উত্তর : এভাবে নিয়মিত ছালাত ক্বাযা করা যাবে না। যুদ্ধের ময়দানেও আল্লাহ তা‘আলা যথাসময়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন (নিসা ৪/১০২)। তবে এরূপ পরিস্থিতিতে মাঝে-মধ্যে দু’ওয়াক্তের ছালাত ক্বছর ও সুন্নাত ছাড়াই একত্রে জমা করে পড়া যেতে পারে। যে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছসমূহের কোনটি জাল, কোনটি যঈফ (বায়হাকী, শু‘আবুল ঈমান হা/২৪৭৯; যঈফাহ হা/৬১৮৩, ৩৫৩৭, ৩৫৩৮,৭০৮১; যঈফুল জামে‘ হা/২৮০২)।
উত্তর : তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতম করার বিশেষ কোন ফযীলত নেই এবং খতম তারাবীহ বলে কোন নিয়ম শরী‘আতে নেই। রাসূল (ছাঃ) তারাবীহর ছালাত ২৩, ২৫, ২৭ তিনদিন জামা‘আতের সাথে আদায় করেছেন। তার প্রথমদিন রাতের এক তৃতীয়াংশ, দ্বিতীয় দিন অর্ধাংশ ও তৃতীয় দিন সাহারীর আগ প
উত্তর : লজ্জাস্থান বরাবর কাপড়ের উপর পানি ছিটানো নারী-পুরুষের জন্য মুস্তাহাব (মুবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৫০-এর ব্যাখ্যা)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, প্রথমে আমার নিকট যখন অহী নাযিল করা হয় তখন জিব্রীল (আঃ) আমার নিকট এসে আমাকে ছালাত ও ওযূ শিক্ষা দিলেন। ওযূ শ
উত্তর : সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত বেতনের যে অংশ প্রতি মাসে কেটে নেওয়া হয়, চাকুরী শেষে শুধু সেই অর্থই গ্রহণ করা জায়েয হবে। আর বেতন থেকে সূদের অংশটি আলাদা করে নেকীর আশা ব্যতীত জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করতে হবে। ভাই-বোন দরিদ্র হ’লে তাদেরকেও দেওয়া যেতে প
উত্তর : এ ঘটনার কোন সত্যতা নেই। তাছাড়া উক্ত কাছীদায় বহু শিরকী কথা থাকায় ইমাম শাওকানী, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব, উছায়মীন, ছালেহ বিন ফাওযান প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম তার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন (বিস্তারিত দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৬৮৮ পৃ.)।
উত্তর : একাধিক বিবাহ বৈধ হওয়া সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক আলী (রাঃ) দ্বিতীয় বিবাহ করতে নিষেধ করার কারণ ছিল এই যে, তিনি ইসলামের চির শত্রু আবু জাহলের মেয়েকে বিবাহ করতে চেয়েছিলেন। আবু জাহলের মেয়ের সাথে একই ঘরে ফাতিমা (রাঃ) সংসার করলে তাঁর ফিৎনায় পড়ার সম
উত্তর : টাকার বিনিময়ে জমি কট বা বন্ধক নিয়ে সেই জমি থেকে উপকৃত হওয়া সূদের অন্তর্ভুক্ত। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যে ঋণের বিনিময় লাভ করা হয়, তা সূদ (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/১০৭১৫; ইরওয়া হা/১৩৯৭, সনদ ছহীহ)। কট-কবলা বা বন্ধকী প্রথা শরী‘আত সম্মত নয়। কেনন
উত্তর : চোখে ও কানে ড্রপস ব্যবহার করায় কোন বাধা নেই। কারণ তা কণ্ঠনালী অতিক্রম করে না। তবে নাকের ড্রপস-এর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে তা কণ্ঠনালী অতিক্রম না করে (আবুদাঊদ হা/২৩৬৬, মিশকাত হা/৪০৫; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৫০)। স্মর্ত
উত্তর : দেশের কোন ব্যাংকেরই কার্যক্রম শতভাগ সূদমুক্ত নয়। তাই ব্যাংকে ডি.পি.এস খোলা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। তবে যে কোন একাউন্টে হৌক বা অন্য কোথাও হৌক তাতে নিজস্ব মালিকানা সাব্যস্ত থাকলে এবং সেখানে নিছাব পরিমাণ অর্থ এক বছর সঞ্চিত থাকলে তা থেকে শতকরা আড়
উত্তর : সুৎরার উদ্দেশ্য আড়াল করা। তা যে কোন বস্ত্ত দ্বারা হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ) কখনো সওয়ারীকে সুৎরা হিসাবে গ্রহণ করেছেন (বুখারী, মিশকাত হা/৭৭৪)। এমনকি তিনি হাওদার পিছনের কাঠের ন্যায় সামান্য উঁচু কিছু হ’লেও তা দ্বারা সুৎরা দেওয়
উত্তর : এরূপ অবস্থায় নারীরা মুখমন্ডল ঢেকে ছালাত আদায় করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৭/২৫৬)। যেমন হজ্জের সময়ও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণ বেগানা পুরুষ দেখলে মুখ ঢাকতেন (বায়হাকী, সুনানুল কুবরা হা/৮৮৩২; ইরওয়া হা/১০২৩; মিশকাত হা/২৬৯০, সনদ ছহীহ)।
উত্তর : স্ত্রীর হজ্জের খরচ বহন করাকে বিবাহের মোহরানা হিসাবে নির্ধারণ করায় কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) কুরআনের সূরা শিক্ষা দানকেও বিবাহের মোহরানা হিসাবে গণ্য করেছেন (বুখারী হা/৫০২৯; মুসলিম হা/১৪২৫; মিশকাত হা/৩২০২)।
উত্তর : সর্বাবস্থায় মানুষকে ক্ষমা করার গুরুত্ব ও ফযীলত অত্যধিক। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদের সাথে করা হয়েছে। কিন্তু যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, তাহ’লে ধৈর্যশীলদের জন্য নিশ্চয়ই সেটি উত্তম’ (নাহাল ১৬/ ১২৬
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় এভাবে কবর দেওয়ার বিধান ইসলামী শরী‘আতে নেই। অতঃপর যদি এর মাধ্যমে কোন কল্যাণ কামনা করা হয়, তবে সেটা স্রেফ কুসংস্কার বৈ কিছুই নয়। এছাড়া এর মাধ্যমে কবরকে অসম্মান করা হয়, যা নিষিদ্ধ। উপরন্তু এর দ্বারা পূর্বের কবরস্থ ব্যক্তির হাড়-হাড
উত্তর : বাহাঈ একটি ধর্মত্যাগী কাফের সম্প্রদায়। ১২৬০ হি. মোতাবেক ১৮৪৪ সালে বারো ইমামে বিশ্বাসী শী‘আদের থেকেই এ সম্প্রদায়ের উৎপত্তি। আলী মুহাম্মাদ রেযা শীরাযী নামক এক ব্যক্তি এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা। যার উপাধি ছিল ‘আলবাব’। সে নিজেকে প্রথমে বাবুল মাহ
উত্তর : জানাযার ছালাতে লোকসংখ্যা বেশী হওয়া ভাল। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মৃত ব্যক্তির উপর যদি একশ’ জন মুসলমান জানাযা পড়ে, আর প্রত্যেকেই যদি তার জন্য সুফারিশ করে (ক্ষমা প্রার্থনা করে), তাহ’লে তাদের সুফারিশ কবুল করা হয়’ (মুসলিম হা/৯৪৭; মিশকাত হা/১৬৬১ ‘জা
উত্তর : প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উক্ত তালাক বৈধ হয়নি। কারণ জোর করে বা ভয়-ভীতি দেখিয়ে তালাক হয় না (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৩; মিশকাত হা/৬২৮৪; ইরওয়া হা/১০২৭, সনদ ছহীহ)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘জোর করে বা অসম্মত ব্যক্তির তালাক বৈধ নয়’ (বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হ
উত্তর : ‘মুলতাযাম’ অর্থ জড়িয়ে ধরার স্থান। আর এটি হ’ল কা‘বার দরজা ও হাজারে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থান। এ স্থানের জন্য নির্দিষ্ট কোন দো‘আ বা আমল রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণিত হয়নি। তবে ইবনু আববাস (রাঃ) সহ একাধিক ছাহাবী এখানে নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে দো‘আ করেছেন। এ স্
উত্তর : ধাত্রীর বর্তমানে স্বামী আনুসঙ্গিক কাজে সাহায্য করতে পারেন। তবে প্রসবের ব্যাপারে নয়। তাই এসময় তার জন্য সেখানে থাকা বৈধ হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন পরপুরুষ যদি কোন মহিলার সঙ্গে নির্জনে মিলিত হয়, তাহ’লে সেখানে তৃতীয়জন উপস্থিত হয় শয়তান’ (তির
উত্তর : পারবে না। কারণ স্বামীর সাথে উক্ত মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এক্ষণে স্বামী তালাক দিতে না চাইলে মোহরানা ফেরৎ দিয়ে ‘ফিসখে নিকাহ’ করবে এবং এক ঋতুকাল ইদ্দত শেষে অন্যের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে (নাসাঈ হা/৩৪৯৭ ‘খোলা কারিনীর ইদ্দতকাল’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : (১) ইহরামের পূর্বে ওযূ বা গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা উত্তম (তিরমিযী হা/৮৩০, মিশকাত হা/২৫৪৭)। তবে শর্ত নয়। মহিলাগণ নাপাক অবস্থাতেও ইহরাম বাঁধতে পারবেন (মুসলিম হা/১২১৮, মিশকাত হা/২৫৫৫) (২) পুরুষদের জন্য সাদা সেলাই বিহীন লুঙ্গী ও চাদর পরি
উত্তর : একথা সঠিক নয়। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আহমাদ হা/৮৭০২, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৯৯-এর আলোচনা দ্রঃ)। আশূরার ছিয়াম ফেরাঊনের কবল থেকে নাজাতে মূসা (আঃ)-এর শুকরিয়া হিসাবে মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদী শরী‘আতে পালিত হয় (বুখারী হা/৪৭৩৭; মুসলিম হা/১১৩০)।
উত্তর : বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট প্রিয় খাদ্য হ’ল যাতে অনেক হাত অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ যে খাদ্য অনেকে এক সাথে খায় (আবু ইয়া‘লা হা/২০৪৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১৭১; ছহীহাহ হা/৮৯৫)। তিনি বলেন, তোমরা একত্রে খাবার গ্রহণ করো। পৃথক হয়ে খাবার গ্র
উত্তর : শারঈ বিবেচনায় দাতা তার নিয়ত পরিবর্তন করতে পারেন, অন্য কোন বিবেচনায় নয়। যেমন মসজিদে শিরক-বিদ‘আতের প্রচলন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে বা মসজিদের জমিতে ওয়াকফের ব্যাপারে কোন ত্রুটি থাকলে অথবা অন্য মসজিদে দানের অধিক প্রয়োজন মনে করলে ইত্যাদি কারণে নিয়ত পর
উত্তর : মুসলিম স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্যই আরবীতে সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা আবশ্যিক। রাসূল (ছাঃ) মন্দ নাম পরিবর্তন করে দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৭৭৪; ছহীহাহ হা/২০৭-৯)। অমুসলিমদের সাথে সামঞ্জস্যশীল ও শিরক-বিদ‘আতযুক্ত নাম বা ডাকনাম রাখা যাবে না। তাছাড়া
উত্তর : স্বামী স্ত্রী উভয়ে এতে সম্মত থাকলে উভয়কে কাফফারা ও কাযা আদায় করতে হবে (বুখারী হা/১৯৩৬; মুসলিম হা/১১১১; মিশকাত হা/২০০৪; আব্দুল্লাহ বিন বায, মাজমূ ফাতাওয়া ১৫/৩০৭)। উক্ত ছিয়াম কাযা আদায় করতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে। এর কাফফারা হ’ল- ১- একজন দাস
উত্তর : কুরআন পাঠের পর উক্ত দো‘আ পড়ার কোন বিধান নেই। রাসূল (ছাঃ) তাঁর ছাহাবীগণ, তাবেঈগণ বা সালফে ছালেহীন কখনো উক্ত দো‘আ পাঠ করেন নি। তাই এই দো‘আ পরিত্যাজ্য (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৪/১৪৯-১৫০, ফৎওয়া নং ৩৩০৩)। বরং কুরআন তেলাওয়াত শেষে বলতে হবে- ‘সুবহা-নাকা
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। অতএব স্ত্রীকে ধৈর্যের সাথে সময় নিয়ে স্বীয় স্বামীকে বুঝাতে হবে এবং স্বামীর হেদায়াতের জন্য বেশী বেশী দো‘আ করতে হবে। কোন ভাবেই একত্রে থাকা সম্ভব না হলে স্ত্রী চাইলে খোলা-র মাধ্য
উত্তর : হাফহাতা গেঞ্জি পরে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। কেননা এতে দু’কাঁধ ঢাকা থাকে। কিন্তু স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ছালাত আদায় জায়েয নয়। কারণ এতে দু’কাঁধ আলগা থাকে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন যে, কোন ব্যক্তি যেন এমন এক কাপড়ে ছালাত আদায় না করে যাতে কাপড়ের কিছু
উত্তর : আল্লাহর প্রত্যেক সৃষ্টির মধ্যে হিকমত রয়েছে। যারা গবেষণা করবে, তারা এক পর্যায়ে তারা রহস্য জানতে পারবে। যেমন সাপ ক্ষতিকর প্রাণী হলেও তার বিষ দিয়ে ঔষধ তৈরী হয়ে থাকে। তবে মানুষে জ্ঞান সর্বদাই সীমিত। আল্লাহ বলেন, তিনি মানুষকে সামান্যই জ্ঞান
উত্তর : ঋণের সাথে হজ্জের কোন সম্পর্ক নেই। তবে ঋণ পরিশোধ করলে যদি হজ্জের সামর্থ না থাকে, তবে তার উপর হজ্জ ফরয হয়নি। এমতাবস্থায় তার ঋণ পরিশোধ করা ফরয। আর যদি ঋণ পরিশোধ করে হজ্জ করার সামর্থ্য থাকে তাহ’লে পরিশোধ না করে হজ্জ করলে হজ্জ হয়ে যাবে। অবশ্য ঋণ প
উত্তর : সম্মানের উদ্দেশ্যে ছবি ঝুলানো নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিম নেতা যখন কোন পাপ কাজের নির্দেশ দিবে, তখন সে ব্যাপারে তার কথা শ্রবণ করা যাবে না, তার আনুগত্যও করা যাবে না (বুখারী হা/৭১৪৪; মুসলিম হা/১৮৩৬)। তবে ছবি টাঙ্গাতে বাধ্য করা হ’লে নির্দেশ
উত্তর : নাবালক ইমাম যদি কুরআন তিলাওয়াতে পারদর্শী হয় তাহ’লে তার পিছনে ফরয ছালাত সহ সবধরনের ছালাত জায়েয। কনিষ্ঠ ছাহাবী আমর বিন সালামা বিন ক্বায়েস (রাঃ) বলেন, এক সফরে লোকেরা দেখল যে, আমার চেয়ে অধিক কুরআন জানা আর কেউ নেই। কেননা আমি পথিকদের নিকট হ’তে আগেই
উত্তর : মাথার চুল লম্বা ও খাটো উভয়টিই রাখা জায়েয। তবে এটি ‘সুনানুয যাওয়ায়েদ’ বা ব্যবহারগত অতিরিক্ত সুন্নাত সমূহের অন্তর্ভুক্ত। যার উপর আমল করা উত্তম। তবে ছেড়ে দেওয়া অপসন্দনীয় নয়’ (শরীফ জুরজানী, কিতাবুত তা‘রীফাত, বৈরূত ছাপা ১৪০৮/১৯৮৮ ‘সুন্নাতের বর্ণনা
উত্তর : এরূপ আমল সিদ্ধ নয়। বরং যখনই ইক্বামত শুরু হবে, তখনই মুছল্লীরা দাঁড়াবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে আসার পূর্বে ইক্বামত দেওয়া হ’ত এবং ছাহাবীগণ দাঁড়িয়ে কাতার ঠিক করে নিতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এসে তাঁর স্থানে দাঁড়াতেন। প
উত্তর : ছিয়ামরত অবস্থায় প্রয়োজনে দাঁত তোলা যেতে পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ) ছিয়ামরত অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২০০২)।
উত্তর : না। কারণ মসজিদে গমনের ক্ষেত্রে মহিলাদের সুগন্ধি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। বাড়িতে নয় (আবুদাঊদ হা/৫৬৫; মুসলিম হা/৪৪৩; মিশকাত হা/১০৫৯-৬১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পুরুষের জন্য সুগন্ধি যাতে রং নেই এবং নারীর জন্য রং যাতে সুগন্ধি নেই। রাবী সাঈদ বিন আ
উত্তর : এরূপ করা জায়েয নয়। শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘কিছু সংখ্যক লোক হজ্জের পর অধিক সংখ্যক ওমরাহ করার আগ্রহে ‘তানঈম’ বা জি‘ইর্রানাহ নামক স্থানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসেন। শরী‘আতে এর কোনই প্রমাণ নেই’ (দলীলুল হাজ্জ ওয়াল মু‘তামির, অনু: আব্দুল মত
উত্তর : খিযির (আঃ) ‘আবে হায়াৎ’ পান করে আজও বেঁচে আছেন’ এবং উক্ত মর্মে আরও যেসব কথা প্রচলিত আছে তা ‘ইস্রাঈলিয়াত’ (الإسرائيليات)-এর অন্তর্ভুক্ত (দ্রঃ ফাৎহুল বারী ৮/২৬৮ পৃঃ, হা/৪৭২৬-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ; ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ১/৩৩৭)। এসব কাহিন
উত্তর : এটি জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে না। তাছাড়া কুরআন শিক্ষার বিনিময় গ্রহণ করায় কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে বস্ত্তর উপর তোমরা পারিশ্রমিক গ্রহণ কর, সেগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশী হকদার হ’ল আল্লাহর কিতাব (বুখারী, মিশকাত হা/২৯৮৫; শাওকানী, নায়লুল আও
উত্তর : হ্যাঁ। এ মর্মে দো‘আ আছে। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন, তখন কথা-বার্তা ছেড়ে দিয়ে নিম্নের দো‘আটি পাঠ করতেন। (‘সুবহা-নাল্লাযী ইয়ুসাবিবহুর রা‘দু বিহামদিহী ওয়াল মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহ’) ‘মহা পবিত্র সেই সত্তা যাঁর গুণগান কর
উত্তর : চিকিৎসার স্বার্থে বাধ্যগত অবস্থায় এরূপ করা যেতে পারে (বাক্বারাহ ২/১৭৩)। তবে সাধ্যমত ইসলামী পর্দার বিধান মেনে অপারেশন করবেন এবং দৃষ্টিকে নত রাখতে চেষ্টা করবেন (নূর ২৪/৩০)। আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় অশ্লীল কাজের নিকটবর্তী হওয়া থেকে নিষেধ কর
উত্তর : উভয় পরিবারের মধ্যে প্রস্তাব আদান-প্রদানের মাধ্যমে বিবাহ সংঘটিত হওয়াই বিবাহের শরী‘আতসম্মত পদ্ধতি। পুরুষের জন্য এটা জায়েয হ’লেও সরাসরি প্রস্তাব প্রদান শালীনতা ও আদবের বরখেলাফ। অতএব একজন পুরুষ কোন নারীর বৈধ অভিভাবকের নিকটে বিবাহের প্রস্তাব পাঠাব
উত্তর : এমতাবস্থায় ছিয়াম পালনে কোন বাধা নেই। কারণ ডায়ালাইসিস ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। এটা শিঙ্গা লাগানোর ন্যায়। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) ছিয়াম অবস্থায় (রোগমুক্তির জন্য) শিঙ্গা লাগাতেন (বুখারী হা/১৯৩৮, ১৯৩৯)। তবে যদি ছিয়াম পালন কষ্টকর হয়, তা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রামাযানের ছিয়াম পালন শেষে শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম পালন করল, সে যেন সারা বছর ছিয়াম পালন করল’ (মুসলিম হা/১১৬৪; মিশকাত হা/২০৪৭)। অন্য হাদীছে এক বছরের হিসাব রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এভাবে দিয়েছেন যে, ‘রামাযানের একমাস
উত্তর : মাসিক অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করে তেলাওয়াত ব্যতীত যেকোন কাজ করা যাবে (মুসলিম হা/৩৭৩, মিশকাত হা/৪৫৬; উছায়মীন, শারহুল মুমতে‘ ১/৩৪৯ পৃঃ)। স্মর্তব্য যে, মাসিক অবস্থায় স্ত্রীকে পৃথক রাখা ইহূদীদের কাজ। আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, ‘ইহূদীদের কোন স্ত্রী ল
উত্তর : ‘আল্লাহু আ‘লাম’ বা আল্লাহ সর্বাধিক অবগত বলায় বা লেখায় কোন বাধা নেই এবং এতে কোন ছহীহ হাদীছের প্রতি সন্দেহ পোষণ করাও হবে না। বরং এরূপ বলাই আদবের পরিচয়। কারণ প্রত্যেক মানুষই ভুলকারী (তিরমিযী হা/২৪৯৯, মিশকাত হা/২৩৪১)। আর আল্লাহ বলেন, প্রত্যেক জ্ঞ
উত্তর : অমুসলিমের রান্না করা খাবার খাওয়ায় কোন বাধা নেই (বুখারী হা/৩৪৪; মুসলিম হা/২৪৯১; আবুদাউদ হা/৪৫১০; মিশকাত হা/৫৮৮৪, ৫৮৯৫, ৫৯৩১)। তবে তাদের যবহকৃত পশুর গোশত খাওয়া যাবে না (আন‘আম ৬/১২১)। এক্ষেত্রে কোন মুসলিম বিসমিল্লাহ বলে যবেহ করে দিলে এবং তারা রা
উত্তর : ঐ দাহ্য পদার্থে যদি ভূমির উর্বরা শক্তি বিনষ্ট না হয় এবং তাতে অন্যের কোন ক্ষতি না হয়, তাহ’লে কোন বাধা নেই। তবে অকারণে কোন প্রাণী হত্যা বা গাছপালা বিনষ্ট করা নিষিদ্ধ (নাসাঈ হা/৪৩৪৯; ছহীহ আত-তারগীব হা/১০৯২; বায়হাক্বী কুবরা হা/১৮৬১৪)।
উত্তর : ফজরের ছালাতের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে বসে তাসবীহ-তাহলীল করার বিশেষ ফযীলত রয়েছে (তিরমিযী হা/৫৮৬; মিশকাত হা/৯৭১)। এছাড়া ফজরসহ যেকোন ফরয ছালাত শেষে মুছল্লী যতক্ষণ স্বীয় স্থানে বসে তাসবীহ-তাহলীল করে, ততক্ষণ ফেরেশতামন্ডলী তার জন্য দো‘আ করতে থাক
উত্তর : আরাফাহর ময়দানে হাজীগণ যোহরকে পিছিয়ে ও আছরকে এগিয়ে যোহর ও আছর দু’রাক‘আত করে জমা ও ক্বছর করবেন। অনুরূপভাবে মুযদালিফায় গিয়ে মাগরিব পিছিয়ে ও এশা এগিয়ে জমা করবেন। এ সময় কেবল এশার ছালাত ক্বছর করবেন। একাকী হোক বা জামা‘আতে হোক, জমা ও ক্বছর করা সুন্না
উত্তর : আছে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আযান ও ইক্বামতের মধ্যবর্তী সময়ের দো‘আ ফেরত দেয়া হয় না। অতএব তোমরা এসময় দো‘আ কর (আহমাদ হা/১২৬০৬; তিরমিযী হা/২১২; মিশকাত হা/৬৭১)। তিনি বলেন, যখন ছালাতের আযান দেওয়া হয়, তখন আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং দো‘আ কবূল করা
উত্তর : মৃত ব্যক্তির খারাপ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। সেটি জীবিত ব্যক্তির গীবত অপেক্ষা কঠিন গীবত হবে। কারণ জীবিত ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু মৃত ব্যক্তির নিকট এ সুযোগ থাকে না (মির‘আত হা/১৬৯২-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। তবে যদি মৃত ব্
উত্তর : প্রথমতঃ ইউসুফ (আঃ)-এর মাধ্যমে দেশের নেতার কাছে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরে তা ব্যবহারের মাধ্যমে আসন্ন দুর্ভিক্ষ পীড়িত সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষার সুযোগ প্রার্থনা করেছিলেন মাত্র। যেমনটি এ যুগেও যেকোন কর্মের ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের
উত্তর : এর ব্যাখ্যায় ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, তাদের মৃত্যু হবে ইসলামপূর্ব জাহেলী যুগের মানুষদের ন্যায় ভ্রষ্টতার উপরে ও অনুসরণীয় আমীরবিহীন বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। এর অর্থ এই নয় যে, তারা কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। বরং তারা আল্লাহর অবাধ্য
উত্তর : মসজিদের ফান্ড থেকে এরূপ খাওয়ানো জায়েয হবে না। বরং মসজিদের প্রতিবেশীরা আগত অতিথিদের মেহমানদারী করবে। অবশ্য মুছল্লীরা যদি মুসাফিরদের আপ্যায়নের জন্য মসজিদে পৃথকভাবে ফান্ড তৈরী করে, তবে সেখান থেকে খরচ করায় কোন বাধা নেই।
উত্তর : কুরআনের উপর কুরআন ব্যতীত অন্য কোন বই রাখা যাবে না। কারণ পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর বাণী, যা পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থের চেয়ে মর্যাদামন্ডিত। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে এক গোপন কিতাবে, যারা পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ এক
উত্তর : ক্বদরের রাত্রি তথা রামাযানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাত্রিগুলোতে ওয়ায-নছীহত করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসের ২৩, ২৫ ও ২৭ তারিখ তিনদিন মসজিদে নববীতে জামা‘আত সহকারে তারাবীহ পড়েছিলেন। উক্ত তিনদিনের প্রথম দিন রাতে
উত্তর : নিশ্চিত হ’লে ছিয়াম ছেড়ে দিতে হবে এবং ৩০ শা‘বান পূর্ণ করতে হবে। কেননা সন্দেহের উপর ছিয়াম পালন করা জায়েয নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘চাঁদ না দেখা পর্যন্ত তোমরা ছিয়াম ও ইফতার করবে না। যদি মেঘের কারণে চা
উত্তর : এমন নিয়ত করা শরী‘আত সম্মত। কারণ কোন ব্যক্তি যদি ছওয়াবের উদ্দেশ্য ছিয়াম পালনকারীকে ইফতার করায়, তাহ’লে সে প্রভূত নেকীর হকদার হবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِ
উত্তর : বৃক্ষরোপণ করা নেকীর কাজ এবং ছাদাক্বায়ে জারিয়া (বুখারী হা/২৩২০; মুসলিম হা/১৫৫২; মিশকাত হা/১৯০০) হ’লেও প্রয়োজনে তা কর্তন করায় কোন বাধা নেই। (বুখারী হা/২৩২৬)। কারণ আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৯)। অতএব
উত্তর : ছায়েম ভুল বশতঃ পেট ভরে বা সামান্য পরিমাণে খেয়ে ফেললে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না। ফলে পরে তার ক্বাযা আদায় করার কোন প্রয়োজন নেই। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসুল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘ছিয়াম অবস্থায় কেউ যদি ভুল করে পানাহার করে, তাহ’লে সে
উত্তর : দাড়ি রাখা অবশ্য পালনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। উক্ত মর্মে বিভিন্ন আদেশ সূচক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১; মুসলিম হা/৬২৫-২৬)। অতএব দাড়িকে (কোন প্রকার কাটছাট ছাড়াই) স্বীয় অবস্থায় ছেড়ে দেওয়াই পুরুষের জন্য সুন্নাত
উত্তর : ইমাম-মুক্তাদী উভয়ে স্বাভাবিক স্বরের চেয়ে একটু উঁচু স্বরে আমীন বলবে। হাদীছে আমীন বলার ক্ষেত্রে ‘রাফা‘আ’, ‘মাদ্দা’, ‘জাহারা’ ইত্যাদি শব্দ এসেছে। যার দ্বারা স্বাভাবিক ক্বিরাআতের চেয়ে উঁচু স্বরে বলা বুঝায়। ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর মতে, আমীনের
উত্তর : মূল টাকা ফেরত দিতে হবে এবং তওবা করতে হবে। তবে তা দ্বারা উপার্জিত সম্পদ ফেরত দেওয়া অধিক তাক্বওয়ার পরিচয় হবে এবং সৎ নিয়তের কারণে সে প্রভূত প্রতিদান পাবে ইনশাআল্লাহ। গুহায় আটকে পড়া তিন ব্যক্তির হাদীছ দ্বারা যা স্পষ্টভাবে বুঝা যায় (বুখারী
উত্তর : পূর্ণ পর্দা ও সর্বোচ্চ সংযম বজায় রেখেই খাবার পরিবেশন ও প্রয়োজনীয় কথা বলবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর (তাগাবুন ৬৪/১৬)। এক্ষেত্রে এমনভাবে চলতে হবে যেন কখনো কারু সাথে নিরিবিলি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি না হয়। তাতে গুনাহের সুযোগ সৃষ্
উত্তর : সাহারীর জন্য আযান দেওয়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় বিলাল (রাঃ) সাহারীর আযান দিতেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) ফজরের আযান দিতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা বিলালের আযান শুনে খাও, যতক্ষণ না ইবনু উম্মে মাকতূম
উত্তর : এম, এল, এম সিস্টেমে সকল প্রকার ব্যবসা নিষিদ্ধ। পিরামিড স্কীম, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এমএলএম যে নামেই হোক না কেন এ ধরনের সকল প্রকার লেনদেন প্রতারণামূলক। কেননা এর উদ্দেশ্য হ’ল, কোম্পানীর জন্য নতুন নতুন সদস্য সৃষ্টির মাধ্যমে কমিশন লাভ কর
উত্তর : দো‘আটি কেবল ঈদে নয় বরং প্রতি মাসে নতুন চাঁদ দেখে পাঠ করতে হবে। দো‘আটি হ’ল- আল্লা-হু আকবর, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহূ ‘আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমা-নি, ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল ইসলা-মি, ওয়াততাওফীক্বি লিমা তুহিববু ওয়া তারযা; রববী ওয়া রববুকাল্লা-হ। অর্থ :
উত্তর : বিতর ছালাতে দো‘আয়ে কুনূত রুকূর পূর্বে ও পরে দু’ভাবেই পড়া যায় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৯; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৩-৮৪; মিশকাত হা/১২৯৪; মির‘আত ৪/২৮৬-৮৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭ পৃঃ)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কারো বিরুদ্ধে
উত্তর : পুরুষ বা মহিলা কারো জন্যই জুম‘আ মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ করা সিদ্ধ নয় (বাক্বারাহ্ ১৮৭, আবুদাঊদ; মিশকাত হা/২১০৬)। মহিলাদের জন্য এরূপ মসজিদে পৃথক জায়গা থাকলে এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে কোন জুম‘আ মসজিদে গিয়ে ই‘তিকাফ করতে পারবে। রাসূল (ছা
উত্তর : এটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরূপ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪১৫১)। ‘তাহনীক’ অর্থ খেজুর বা মিষ্টি জাতীয় কিছু চিবিয়ে বাচ্চার মুখে দেওয়া। হিজরতের পর মদীনায় জন্মগ্রহণকারী প্রথম মুহাজির সন্তান আব্দুল্লাহ ইবনে
উত্তর : পালিত সন্তানের নিকট আসল পিতা-মাতার পরিচয় গোপন করা শরী‘আতসম্মত নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে অন্যকে পিতা-মাতা দাবী করে, তার জন্য জান্নাত হারাম’ (বুখারী হা/৪৩২৬; মুসলিম হা/৬৩; মিশকাত হা/৩৩১৪)। পালক সন্তানকে উক্ত অন্যায়
উত্তর : ওযূ সহ পায়ে মোযা পরা থাকলে নতুনভাবে ওযূর সময়ে মোযার উপরিভাগে দুই হাতের ভিজা আংগুল পায়ের পাতা হ’তে টাখ্নু পর্যন্ত টেনে এনে একবার মাসাহ করবে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫২২, ৫২৫, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৮)। মুক্বীম অবস্থায় একদিন একরাত ও মুসাফির অবস্থ
উত্তর : বাচ্চাদের মসজিদে নিয়ে আসায় কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে এটি করেছেন। আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে লোকদের ইমামতি করতে দেখেছি, এমতাবস্থায় নাতনী উমামা বিনতে আবুল ‘আছ তার কাঁধে ছিল। যখন তিনি
উত্তর : পিতার অছিয়ত মানতে গিয়ে নিকটবর্তী মসজিদ ছেড়ে অন্য মসজিদে ছালাত আদায় করা কিংবা নিয়মিতভাবে সেখানে জুম‘আর ছালাত আদায় করা উচিৎ নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের নিজ মসজিদেই ছালাত আদায় করা উচিত। অন্য মসজ
উত্তর : তওবার জন্য একাকী দু’রাক‘আত ছালাত আদায়ের বিধান রয়েছে। তবে জামা‘আতবদ্ধভাবে নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন লোক যদি গুনাহ করার পর পবিত্রতা অর্জন করে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে, তারপর আল্লাহ তা‘আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে তাকে আল্লাহ তা‘আলা
উত্তর : উক্ত জমির মূল্য ফেরৎ দেওয়া সন্তানের জন্য আবশ্যক নয়। আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)। এক্ষণে সন্তান যদি জমির ক্রেতাকে মূল্য ফেরৎ দেয়, তবে বিষয়টি উভয়পক্ষ মীমাংসার মাধ্যমে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সমাধা করতে হবে। এক
উত্তর : ছালাত অবস্থায় টুপি পড়ে গেলে তুলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা টুপী ছালাতের আবশ্যিক পোষাক নয়। তবে তা তুলে নেওয়াতেও দোষ নেই। কেননা ছালাত অবস্থায় খুশূ-খুযূ বিনষ্ট না করে ছোটখাট কাজ করা যায়। আবু ক্বাতাদা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে দেখ
উত্তর : এটা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা জানাযা করে দ্রুত লাশ দাফন কর। কেননা যদি মৃত ব্যক্তি পুণ্যবান হয়, তবে তোমরা ‘ভাল’-কে দ্রুত কবরে সমর্পণ কর। আর যদি অন্যরূপ হয়, তাহ’লে ‘মন্দ’-কে দ্রুত তোমাদের কাঁধ থেকে নামিয়ে দাও’ (মুত্তাফাক্ব
উত্তর : এগুলির ব্যবসা ও মেরামত করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কারণ এগুলি বৈধ-অবৈধ উভয় কাজেই ব্যবহার হয়। সুতরাং এর অবৈধ ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারী দায়ী হবে, মেরামতকারী নয়। আল্লাহ বলেন, ‘একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪)।
উত্তর : নারীর ন্যায় পুরুষেরও পর্দা আছে (নূর ৩০)। লজ্জাশীলতা ঈমানের অঙ্গ (বুখারী হা/৯)। তাই লজ্জাশীলতার খেলাফ করা যাবে না। তবে প্রয়োজনে খালি গায়ে থাকা যাবে। ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি মাদুরের উপর চিৎ হয়ে শুয়েছি
উত্তর : মুসলিম মাইয়েত জীবিত ব্যক্তির ন্যায় সম্মানিত। তাই বাধ্যগত অবস্থায় ও রাষ্ট্রীয় নির্দেশে লাশের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করতঃ কবরস্থ লাশ উত্তোলন করা যাবে। জাবের (রাঃ) বলেন, আমার পিতাকে একজন লোকের পাশে দাফন করা হয়েছিল। এটা আমার কাছে পস
উত্তর : এভাবে টাকা দিয়ে জমি গ্রহণ করাকে বন্ধক বলা হয়। আর বন্ধক গ্রহীতা বন্ধকী জমি ভোগ করতে পারবে না। এটা পরিষ্কার সূদ। এভাবে জমি নিলে চাষের খরচ ব্যতীত বাকী শস্য মালিকের কাছে ফেরত দিতে হবে। কারণ এটা একটা কর্য। আর কর্যের লাভ ভোগ করা যায় না। ইবন
উত্তর : সাধারণভাবে মহিলারা পুরুষদের পিছনের কাতারে দাঁড়াবে (বুখারী হা/৩৮০; মুসলিম হা/৬৫৮)। আর মহিলাদের জন্য মসজিদে জামা‘আতে আসা ফরয নয়। এরপরেও আসলে এবং ব্যবস্থাপনা না থাকলে ওযরবশতঃ পুরুষদের কাতারের ডানে বা বামে পর্দা বা দেওয়াল দ্বারা ঘেরা স্থানে
উত্তর : এটি সুন্নাত নয়। বরং মুস্তাহাব। কারণ হাদিয়া প্রদান করলে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া দাও ও মহববত বৃদ্ধি কর’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)। আর রাসূল (ছাঃ) মুসলিম ভাইয়ের জন্য আনন্দদায়ক কিছু
উত্তর : বক্তব্যটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হ’ল, লোকেরা মসজিদ অতিক্রম করে চলে যাবে অথচ সেখানে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে না’ (মু‘জামুল কাবীর হা/৯৪৮৮; শু‘আবুল
উত্তর : নির্দিষ্ট শর্তের অধীনে এসব উপহার গ্রহণ করলে ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে হাদিয়া প্রদানকারী কোম্পানীর ঔষধ রোগীদেরকে লিখে দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেই উক্ত হাদিয়া প্রদান করা হয়ে থাকে। যা ঘুষ হিসাবে গণ্
উত্তর : এরূপ শয়ন নিষিদ্ধ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললেন, আল্লাহ তা‘আলা এ রকম শোয়া পসন্দ করেন না (তিরমিযী হা/২৭৬৮; মিশকাত হা/৪৭১৮)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, এরূপ শয়ন আল্লাহকে ক্রুদ্ধ করে (আদাবুল মুফরাদ হা/১১৪৭; মিশকাত গা/৪
উত্তর : ছালাতে একই সূরা বারবার পড়া যাবে। তবে নিয়মিত পড়া ঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একবার ফজরের ছালাতে সূরা যিলযাল পর পর দু’রাক‘আতে পড়েছেন’ (আবুদাঊদ হা/৮১৬; মিশকাত হা/৮৬২, মির‘আতুল মাফাতীহ ৪/১৯১)। আবু যার গিফারী (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ম
উত্তর : ‘হূর’ (حُوْرٌ) শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। এটি জান্নাতী পুরুষদের জন্য নির্ধারিত। তবে জান্নাতী মহিলাদের জন্য অবশ্যই জান্নাতী স্বামী হবেন। যদিও তাদেরকে হূর বলা হবে না। নারীদের প্রতি পুরুষদের অধিক আসক্তির কারণে কুরআনে পুরুষদের জন্য হূরের কথা বলা
উত্তর : ওছমান (রাঃ) উত্তম চরিত্রের অধিকারী এবং অতি লজ্জাশীল ব্যক্তি ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে আমার উম্মতের প্রতি সর্বাপেক্ষা দয়ার্দ্র ব্যক্তি হ’ল আবুবকর, আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে সর্বাপেক্ষা কঠোর হ’ল ওমর এবং সর্বাধিক
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাতের গুরুত্ব অত্যধিক। আল্লাহ বলেন, ‘আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করবে। এটি তোমার জন্য অতিরিক্ত। নিঃসন্দেহে তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উঠাবেন’ (ইসরা ১৭/৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ফরয ছালাতের প
উত্তর : এভাবে নিয়মিত আমল করা যাবে না। তবে যদি কেউ শেষ রাতে উঠার ব্যাপারে আশংকা করে এবং উঠতে না পারে, তাহ’লে উক্ত ছালাতই তার জন্য যথেষ্ট হবে (মির‘আত ৪/২৯৮ পৃঃ)। এছাড়া ঘটনাটি সফরের হ’তে পারে। কেননা অন্য হাদীছে السهر বা ‘রাত’-এর স্থলে السفر বা ‘সফ
উত্তর : একই পণ্য ক্রেতা ভেদে একজনের নিকট বেশী আরেকজনের নিকট কম মূল্যে বিক্রয় করা জায়েয। কারণ একই মূল্যে সকল ক্রেতা পণ্য ক্রয় করতে চায় না। সেকারণ এক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার সন্তুষ্টিকে ক্রয়-বিক্রয়ের মানদন্ড হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে (নিসা ৪/২৯)।
উত্তর : নাহরাওয়ানের যুদ্ধে পরাজিত খারেজী শক্তি হযরত আলী (রাঃ)-কে হত্যার নিকৃষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে। খারেজী নেতা আব্দুর রহমান ইবনু মুলজাম, হাজ্জাজ ও আমর ইবনু বকর মক্কায় মিলিত হয়ে যুদ্ধে নিহত খারেজীদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করে বলে যে, আমরা বেঁচে
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ৬০-এর অধিক অথবা ৭০-এর অধিক শাখা-প্রশাখা নির্ধারণ করেছেন। بِضْعٌ বলতে ৩ থেকে ৯ পর্যন্ত বুঝায়। সে হিসাবে সর্বোচ্চ ৬৯ বা ৭৯ টি হয়। তবে এর দ্বারা মূলতঃ অসংখ্য বুঝানো হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ঈমানের সর্বোচ্চ শাখা হ’ল লা ইলা
উত্তর : সফর অবস্থায় ছালাত জমা করা যাবে। কারণ জুম‘আ যোহরের স্থলাভিষিক্ত (মু‘জামুল কাবীর হা/৯৫৪৫, ৯৫৪৭; তামামুল মিন্নাহ ১/৩৪০; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৩১৭১, সনদ হাসান)। রাসূল (ছাঃ) যোহরের সাথে আছরের ছালাত জমা করেছেন। মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসূ
উত্তর : এরূপ আমল রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীন থেকে প্রমাণিত নয়। তবে মসজিদে প্রবেশের সময় সালাম দেওয়া যাবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৯১)। আর কোন মজলিসে উপস্থিত হওয়া ও বের হওয়া উভয়ক্ষেত্রে সালাম দেওয়া যাবে (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১০০৭,১০০৮
উত্তর : বরকত ও ফযীলতের আশায় কেবল জুম‘আর রাত্রিকে নির্দিষ্ট করে জাগরণ করা নিষিদ্ধ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন কেবল জুম‘আর রাত্রিকে জাগরণের জন্য নির্দিষ্ট না করে। অনুরূপভাবে কেবল জুম‘আর দিনকে নির্দিষ্ট করে ছিয়াম পালন না করে, তার একদ
উত্তর : দ্বীনের মৌলিক বিশ্বাস, বিধি-বিধান, হালাল-হারাম ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা সকল মুসলিমের জন্য ফরয (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৯১৩, ৩৯১৪)। দুনিয়ার জ্ঞান অর্জন যদি আখিরাতের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়, তাহ’লে সেটিও আল্লাহর ইবাদত হিসাব
উত্তর : ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ দু’টি শর্ত প্রদান করেছেন। ঈমান ও আমলে ছালেহ। অর্থাৎ নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাস ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক সৎকর্ম। এক্ষণে মুসলিম-অমুসলিম সকল দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য মৌলিক কর্তব্য হ’ল নবী-রাসূলগণের দেখানো পথে নি
উত্তর : নিজের ভুল সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হওয়ার পরও জেনে-শুনে তা অবহেলা করা, কপটতাবশতঃ তা অবজ্ঞা করা, অহংকারবশতঃ ভুল স্বীকার না করা, অন্য কারু দোহাই দিয়ে কোন আমলের উপর যিদ করা ইত্যাদি কর্মকান্ডে লিপ্ত যে কোন আলেম এজন্য গোনাহগার হবেন। কেবল খালেছ নিয়ত
উত্তর : ভিনেগার বা সিরকায় ব্যবহৃত উপাদান মদের পর্যায়ভুক্ত নয়। এটি আপেল, খেজুর, টমেটো, নারিকেল, চাউল, গম প্রভৃতি ফলমূল থেকে তৈরী করা হয়। রাসূল (ছাঃ) সিরকাকে উত্তম তরকারী হিসাবে অভিহিত করেছেন (মুসলিম হা/২০৫১-৫২; মিশকাত হা/৪১৮৩)। আর মদ থেকে যে সির
উত্তর : গৃহীত লভ্যাংশ সূদমুক্ত না হওয়ায় উক্ত যাকাত কবুলযোগ্য হবে না। বরং মূল অর্থ হ’তে যাকাত দিতে হবে। কারণ বর্তমানে প্রচলিত কোন ব্যাংকই পুরোপুরি সূদমুক্ত নয়। বরং সন্দেহযুক্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, হালাল স্পষ্ট ও হারাম স্পষ্ট। এর মধ্যবর্তী বি
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। প্রয়োজনে মসজিদে ঘুমানো জায়েয। আব্দুল্লাহ্ ইবনু ওমর (রাঃ) অবিবাহিত যুবক হওয়া সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ)-এর মসজিদে ঘুমিয়েছেন (বুখারী হা/৪৪০; নাসাঈ হা/৭২২)। তিনি বলেন, আমরা যুবকেরা রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে মসজিদে ঘুমাতাম (তিরমিয
উত্তর : বিশেষ প্রয়োজনে মসজিদ স্থানান্তর করা যায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) কা‘বাগৃহ ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিলেন এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর দেওয়া ভিতের উপর ভিত দিতে চেয়েছিলেন। কারণ কুরায়েশরা কা‘বাগৃহ নির্মাণের সময় ইবরাহীম (আঃ)-এর ভিত থেকে ছোট করে নির্মাণ করেছিল। কিন্
উত্তর : ইলেকট্রিক র্যাকেট দ্বারা মশা ও ক্ষতিকর প্রাণী হত্যা করায় কোন বাধা নেই। কারণ কোন প্রাণী যদি কষ্টদায়ক এবং ক্ষতিকর হয়, তাহ’লে তাকে হত্যা করা শরী‘আতসম্মত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নবীগণের মধ্যে কোন এক নবী একটি গাছের নীচে অবতরণ করলে তাঁকে
উত্তর : এগুলি বিজাতীয় কুসংস্কার থেকে এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)। অতএব এগুলি অবশ্যই প
উত্তর : উন্মুক্ত স্থানে এধরনের কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (নূর ২৪/৩১)। আল্লাহ তা‘আলা পুরুষকে শক্তিধর এবং নারীকে দুর্বল ও পুরুষের জন্য আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন। এজন্য মাহরাম ব্যতীত কোন নারী যখন পরপুরুষের সঙ্গে নির্জনে একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন থাকে
উত্তর : সফরে বের হয়ে ছালাতের সময় হলে যানবাহনে ছালাত পড়া যাবে (বুখারী হা/৪০০)। তবে ছালাতের সময় অবশিষ্ট থাকতেই গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব হ’লে সেখানে গিয়ে ছালাত আদায় করবে। অথবা দুই ওয়াক্তের ছালাত জমা তাক্বদীম কিংবা জমা তাখীর করবে (আবুদাঊদ হা/১২০৮; মিশ
উত্তর : উক্ত আমল হাদীছসম্মত। তবে কেবল বয়সে বৃদ্ধ ও সম্মানী নয় বরং ধর্মীয় বিষয়াদি সম্পর্কে জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যক্তিগণই ইমামের পিছনে ও নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়াবেন (মুসলিম হা/৪৩২; মিশকাত হা/১০৮৯)। এর কারণ হ’ল তাঁরা যেন ইমামের ভুলের ক্ষেত্রে তাকে সতর্ক
উত্তর : এটা আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন নয়। বরং এটি জন্মগত ত্রুটি সংশোধন। অতএব তা অপারেশনের মাধ্যমে প্রকৃতরূপে ফিরিয়ে আনায় কোন বাধা নেই। আরফাজা বিন আস‘আদ (রাঃ) (জাহেলী যুগে) কুলাব যুদ্ধে নাক হারালে তিনি সেখানে রূপার তৈরী একটি নাক লাগান। কিন্তু তাত
উত্তর : নিজেদের ইছলাহের জন্য উদাহরণ স্বরূপ অন্য কারু কোন ত্রুটির প্রসঙ্গ উঠে এলে এবং সেখানে কোন মন্দ উদ্দেশ্য না থাকলে সেটা গীবত হবে না। যেভাবে হাদীছের সনদ সমূহের ভাল-মন্দ যাচাই করা হয়ে থাকে। কপট উদ্দেশ্য থাকলে সেটা গীবত হবে। কারণ শরী‘আতে গীবত
উত্তর : শরী‘আত পালনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার বাধা মান্য করা যাবে না (লোকমান ৩১/১৫; বুখারী হা/৭২৫৭; মুসলিম হা/১৮৪০; মিশকাত হা/৩৬৬৫)। যে ছাহাবী জিহাদে না গিয়ে মায়ের খিদমত করেছিলেন, তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশেই তা করেছিলেন (বুখারী হা/৩০০৪; মিশকাত হা
উত্তর : উক্ত সম্পদের হকদার স্ত্রী (নিসা ৪/৪)। স্ত্রী চাইলে স্বীয় পিতাকে হাদিয়া হিসাবে দিতে পারে এবং পিতাও চাইলে ঋণ হিসাবে কিছু নিতে পারে। তবে পিতা নিজের মনে করে উক্ত টাকা ভোগ করতে পারবে না।
উত্তর : প্রত্যেক প্রাণীর জন্য পৃথকভাবে বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে যবেহ করা কর্তব্য (আন‘আম ৬/১১৮-১১৯; বুখারী হা/৫৫৬৫, তিরমিযী হা/১৫২১, ইরওয়া হা/২৫৩৬)। তবে কোন আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে এক সাথে বহু প্রাণী যবেহ করা সম্ভব হ’লে একবার দো‘আ পাঠ করাই
উত্তর : শারঈ ওযর ব্যতীত পরিত্যক্ত সম্পদ দ্রুত বণ্টন করাই উত্তম। তবে এর কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা নেই। হকদারদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কিছু দেরী করাতেও কোন বাধা নেই (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২০/২৪৩)। প্রথমে মাইয়েতের ঋণ পরিশোধ করবে। অতঃপর তাঁর কোন বৈ
উত্তর : ঋতুর অপবিত্র কাপড় অন্য পবিত্র কাপড়ের সাথে একত্রে ধৌত করলে পবিত্র কাপড় অপবিত্র হবে না। তবে পৃথকভাবে ধোয়াই রূচিশীলতার পরিচয়। ঋতুর কাপড় ধোয়ার পদ্ধতির ব্যাপারে জনৈকা মহিলা রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সে তা ঘষে ফেলবে, তারপর পানি দ
উত্তর : মসজিদের ভিতরে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৭৩২)। তিনি আরও বলেন, যখন তোমরা মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখবে তখন বলবে, আল্লাহ যেন আপনার ব্যবসায় লাভ না দেন (তিরমিযী হা/১৩
উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী বুঝা যায় যে, উক্ত পিতা যাকাত প্রদানের হকদার হিসাবে সম্পদশালী এবং সন্তান যাকাত গ্রহণের হকদার হিসাবে দুস্থ। এমতাবস্থায় উক্ত সন্তানের জন্য যাকাতের অর্থ নয় বরং সাধারণভাবে নিজ মাল থেকে খরচ করা পিতার জন্য যরূরী কর্তব্য (ইবনু তা
উত্তর : এরূপ কোন বিধান ইসলামী শরী‘আতে নেই। এসব সুন্নাত বিরোধী বিদ‘আতী আমল। বরং এক্ষেত্রে মজলিস ভঙ্গের যে দো‘আ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শিখিয়েছেন, তা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে পড়বে। সেটি হ’ল : ‘সুবহানাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা
উত্তর : স্থায়ীভাবে ঈদগাহ হিসাবে নির্দিষ্ট করা যাবে না। কারণ মামলা চলায় এর মালিকানা সাব্যস্ত হয়নি। তবে সকলের সম্মতিক্রমে সাময়িকভাবে ঈদের ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। স্থায়ী ঈদগাহ বা মসজিদের জন্য জমি ওয়াকফকৃত হওয়া যরূরী (বুখারী হা/২৭৭৪; মুসলিম হা/৫২
উত্তর : এটা ভিত্তিহীন বক্তব্য। বরং জিবরীল (আঃ) কর্তৃক মৌখিকভাবে সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়েছে সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত (বুখারী হা/৩; মুসলিম হা/১৬০; মিশকাত হা/৫৮৪১; দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ), ৮৩ পৃঃ)।
উত্তর : বিশুদ্ধ নিয়ম হ’ল, আযানের জওয়াব দান শেষে প্রথমে দরূদ পড়বে (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। অতঃপর আযানের দো‘আ পড়বে ‘আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ দা‘ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াছ ছলা-তিল ক্বা-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাহ, ওয়াব‘আছ্হু মাক্
উত্তর : মৃত্যুর পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অসীলায় দো‘আ করা বা কোন বিপদে তাঁর নিকটে সাহায্য প্রার্থনা করা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ মৃত্যুর পরে কেউ কারু কোন উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না। আল্লাহ বলেন, তাদের সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্
উত্তর : সাধারণ পাঠকের জন্য এরূপ অনুবাদ থেকে দূরে থাকাই উত্তম। কারণ ভাষাগত অদক্ষতার কারণে এবং আক্বীদা বিরোধী হওয়ার কারণে তাদের অনুবাদে ভুল থাকার সম্ভাবনা থাকে। তবে বিশুদ্ধতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হ’লে কোন অমুসলিমের অনুবাদ পাঠে কোন বাধা নেই।
উত্তর : মৃতব্যক্তির দাফনের পর দাফন-কাফনের অংশ হিসাবে কবরস্থানে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে বা একাকী হাত তুলে দো‘আ করার কোন বিধান শরী‘আতে নেই। এরূপ আমল বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত। তবে দাফনের পরে মাইয়েতের ‘তাছবীত’ অর্থাৎ মুনকার নাকীর-এর প্রশ্নের জবাব দানের সম
উত্তর : অন্ধকার ঘরে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অন্ধকার ঘরে ছালাত আদায় করেছেন (বুখারী, হা/৩৮২; মুসলিম, হা/৫১২, ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘সুৎরা’ অনুচ্ছেদ, মিশকাত হা/৭৮৬)। তবে সামান্য হলেও আলোকিত স্থানে ছালাত আদায় করা উত্তম। তাতে ক্ষতিকর প
উত্তর : এরূপ কোন আমলের অস্তিত্ব শরী‘আতে নেই। সুতরাং এই দো‘আ ‘এতবার পাঠ করলে এই ফযীলত’-এরূপ আমলের কোন সুযোগ নেই। বরং বিপদের সময় এক বা একাধিকবার দো‘আ ইউনুস পাঠ করতে হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে কোন মুসলিম ব্যক্তি যে কোন সমস্যায় দো‘আটি পাঠ করলে আল্লাহ
উত্তর : সেফটি ট্যাংকের উপরিভাগ পবিত্র থাকলে তার উপর ছালাত আদায় করা যাবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৩৮০)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কবরস্থান ও গোসলখানা ব্যতীত সম্পূর্ণ পৃথিবী ছালাতের স্থান’ (আবুদাঊদ হা/৪৯২; মিশকাত হা
উত্তর : আমীন বলা ইমাম-মুক্তাদী উভয়ের জন্য যরূরী। এক্ষণে ইমাম আমীন না বললেও মুক্তাদীরা আমীন বলবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখনই ইমাম ওয়া লাযযা-ল্লীন’ বলবে, তখন তোমরা আমীন বল’। কেননা যার আমীন ফেরেশতাদের আমীন-এর সঙ্গে মিলে যাবে, তার পূর্বেকার সকল গ
উত্তর : করযে হাসানাহ প্রদানের গুরুত্ব অত্যধিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ছাদাক্বার নেকী ১০ গুণ। আর করযে হাসানাহর নেকী ১৮ গুণ’ (বায়হাক্বী, ছহীহাহ হা/৩৪০৭)। তিনি বলেন, কোন মুসলমান অপর মুসলমানকে দু’বার কর্য দিলে সে সেই পরিমাণ মাল একবার ছাদাক্বা করার
উত্তর : এ বিষয়ে চুপ থাকতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমার ছাহাবীদের ব্যাপারে তোমরা চুপ থাকো (ত্বাবারাণী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৪)। ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ)-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,تِلْكَ دِمَاءٌ طَهَّرَ اللَّهُ مِنْهَا يَدَيَّ، فَمَا
উত্তর : এ সমস্ত ব্যাখ্য সম্পূর্ণ শরী‘আত পরিপন্থী এবং শিরক মিশ্রিত। কেননা চূড়ান্ত সত্য ও সর্বজনবিদিত বিষয়কে আরবী সাহিত্যে أَلَمْ تَرَ ‘আলাম তারা’ তুমি কি দেখোনি? শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এখানে أَلَمْ تَرَ ‘আপনি কি দেখেননি’ থেকে উদ্দেশ্য হ’ল ‘আপ
উত্তর : দো‘আ হিসাবে আবশ্যিক নয়। কেননা হাদীছে এরূপ অনেক কুরআনী দো‘আ আছে, যা পড়া হয় কিন্তু আঊযুবিল্লাহ পড়তে হয় না। যেমন তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী ও রুকনে হাজারে আসওয়াদ-এর মধ্যবর্তী স্থানে রাসূল (ছাঃ) ‘রববানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও’... (বাক্বারাহ
উত্তর : ওযায়ের একজন আল্লাহভীরু ও সৎকর্মশীল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি নবী ছিলেন কি-না তা জানা যায় না। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমি জানি না ওযায়ের নবী ছিলেন কি না’ (আবুদাউদ হা/৪৬৭৪)। ইহূদীরা ওযায়ের-কে ‘আল্লাহর পুত্র’ (ابن الله) বলে থাকে (তওবা ৯/৩০)। তাই কিয়
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত আছারটি যঈফ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৯৭৬, সনদ যঈফ)। পা ছুঁয়ে সালাম করা শরী‘আত পরিপন্থী কাজ এবং এটি বিধর্মীদের রীতি-নীতির অনুকরণ মাত্র। বরং সাক্ষাতে কেবল সালাম বিনিময় করবে। একদা আনাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাস
উত্তর : ছহীহ হাদীছে কাঁধের সাথে কাঁধ, পায়ের সাথে পা মিলিয়ে ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়ানোর নির্দেশ এসেছে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কাতার সমূহে দুই ইট পরস্পরে মিলানোর ন্যায় মিলে দাঁড়াও এবং দুই কাতারের মাঝের ফাঁক নিকটবর্তী রাখবে। কাঁধসমূহ সমান্
উত্তর : উভয়ে উভয়ের কল্যাণের জন্য সৎ পরামর্শ দিতে পারে। তবে যথাযোগ্য কোন বিষয়ে কৈফিয়ত চাওয়ার অধিকার পরিবার প্রধান হিসাবে কেবল স্বামীর জন্য নির্দিষ্ট। আল্লাহ বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল। ....নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগত... (নিসা ৩৪)। রা
উত্তর : এগুলো শী‘আদের তৈরী কল্পকাহিনী মাত্র। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ইন্তেকালের ৬ মাস পর তিনি মারা যান। তাঁর জানাযা পড়িয়েছিলেন তাঁর স্বামী হযরত আলী (রাঃ) (বুখারী হা/৪২৪০, মুসলিম হা/১৭৫৯)। রাত্রি বেলায় বাক্বীঊল গারক্বাদে তাকে দাফন করা হয় (হাকেম হা/৪
উত্তর : প্রত্যেক ছালাতের মোট সময়ের প্রথম অর্ধাংশকে আউয়াল ওয়াক্ত বলা হয়। মি‘রাজ রজনীতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয হওয়ার পরের দিন যোহরের সময় জিবরীল (আঃ) এসে প্রথম দিন আউয়াল ওয়াক্তে ও পরের দিন আখেরী ওয়াক্তে নিজ ইমামতিতে পবিত্র কা‘বা চত্বরে মাক্বামে ইবরা
উত্তর : আযানের পর সরবে ডাকাডাকি করা যাবে না। একে ইবনু ওমর (রাঃ) বিদ‘আত বলেছেন (আবুদাউদ হা/৫৩৮; ইরওয়া হা/২৩৬, সনদ হাসান)। তবে ব্যক্তিগতভাবে একে অপরকে ডেকে দেওয়ায় কোন বাধা নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তুমি তোমার পরিবারকে ছালাতের আদেশ দাও এবং তুমি
উত্তর : ইমামের ক্বিরাআতের সাথে সাথে মুক্তাদীগণও ফজর, মাগরিব ও এশার ছালাতে নীরবে সূরা ফাতেহা পাঠ করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩; আবুদাঊদ হা/৭৩৬-৩৭; তিরমিযী হা/২৫৭; মিশকাত হা/৮৫৪ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ)। এক্ষণে সূরা ফাতিহা কখন পাঠ করতে হবে স
উত্তর :তাঁর পুরো নাম আব্দুর রহমান বিন কামাল আবূবকর বিন মুহাম্মাদ আল-খুযাইরী আল-আসয়ূত্বী। তবে তিনি জালালুদ্দীন সৈয়ূতী নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ৮৪৯ হিজরীতে মিসরের আসয়ূত নগরীর প্রভূত ইলম ও আমলে প্রসিদ্ধ এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৯১১ হি
উত্তর : সূরা তওবা ১১ আয়াতের অর্থ হ’ল- এক্ষণে যদি ওরা তওবা করে এবং ছালাত কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে, তাহ’লে ওরা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমরা জ্ঞানী লোকদের জন্য আয়াত সমূহ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে থাকি’ (তওবা ৯/১১)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, তওবা করা অর্থ
উত্তর : প্রতিদিন এভাবে নিয়মিত ক্বাযা করা কবীরা গুনাহ। প্রতিদিন এভাবে ঘুমিয়ে থেকে যথাসময়ে ছালাত আদায় না করলে কবরে এবং জাহান্নামে অব্যাহতভাবে তার মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ করা হবে (বুখারী হা/১৩৮৬; মিশকাত হা/৪৬২১ ‘স্বপ্ন’ অধ্যায়)। অতএব এভাবে নিয়ম
উত্তর : কথাটি ভিত্তিহীন। রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যেয়ারতের সাথে হজ্জের কোন সম্পর্ক নেই। উক্ত মর্মে কয়েকটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যার সবই জাল (যঈফাহ হা/৪৫)।
উত্তর : মসজিদের ছাদের উপর ধান, গম, কাপড় ইত্যাদি শুকানো মসজিদের আদবের খেলাফ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয় মসজিদ সমূহ হ’ল আল্লাহর ইবাদতের জন্য... (জিন ১৮)। অতএব মসজিদের ছাদকে এরূপ কাজে ব্যবহার না করাই উত্তম। তবে সাময়িক ও বাধ্যগত অবস্থার কথা আলাদা। ম
উত্তর : মুক্তাদীদের শিক্ষাদানের জন্য এরূপ করা যেতে পারে। তবে তা অধিকাংশ মাসবূকের ছালাত শেষে করতে হবে। এছাড়া বিশেষ কোন নেকী মনে করে নিয়মিতভাবে এরূপ করার কোন সুযোগ নেই। এতে কাজটি পরবর্তীতে বিদ‘আতে পরিণত হ’তে পারে।
উত্তর : উক্ত মর্মে ছহীহ হাদীছ রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, সুলায়মান (আঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নির্মাণ কাজ শেষ করে আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেন। আল্লাহর হুকুম মত ন্যায়বিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে
উত্তর : মুক্তাদীদের ছালাত ফরয ছালাত হিসাবেই গণ্য হবে। কারণ নফল ছালাত আদায়কারীর পিছনে ফরয ছালাত আদায় করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর সাথে এশার ছালাত আদায় করে নিজ গোত্রে গিয়ে ঐ একই ছালাতের ইমামতি করতেন এবং এটা তা
উত্তর : জীবিত থাকা অবস্থায় যবহ করলে তা খাওয়ায় কোন দোষ নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তবে যা তোমরা যবহ দ্বারা হালাল করেছ (তা তোমাদের জন্য হালাল)’ (মায়েদাহ ৩)।
উত্তর : দৃষ্টি আকর্ষক নক্সা সমৃদ্ধ জায়নামাযে ছালাত আদায় থেকে দূরে থাকাই উত্তম। এতে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এমন একটি চাদরে ছালাত আদায় করলেন, যাতে চকচকে ডোরা দাগ ছিল। তিনি সেদিকে একবার নযর দ
উত্তর : কৃত্রিমভাবে লাগানো দাঁতের পাটি বা দাঁত খোলার প্রয়োজন নেই। ভালভাবে কুলি করাই যথেষ্ট হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ছাহাবীর নাক যুদ্ধে ভেঙ্গে গেলে তাকে স্বর্ণের নাক লাগানোর নির্দেশ দেন (আ
উত্তর : হেদায়াতের জন্য বিশেষ দো‘আর প্রমাণ আছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর মুশরিক মাতার হেদায়াতের জন্য পাঠ করেছিলেন, اللَّهُمَّ اهْدِ أُمَّ أَبِيْ هُرَيْرَةَ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তুমি আবু হুরায়রার মাকে হেদায়াত দাও’ (মুসলিম হা/২৪৯১, মিশকা
উত্তর : প্রশ্নে উল্লিখিত বর্ণনা মতে এটা নিঃসন্দেহে নাজায়েয। তবে সাধারণভাবে এক-আধটু খেয়ে থাকলে সেটা ধর্তব্য নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যেকোন মুসলিম ব্যক্তি যদি গাছ লাগায় অথবা শস্য উৎপাদন করে অতঃপর সে শস্য বা গাছ মানুষ, পশুপাখি ও চতুষ্পদ জন্তু ভক
উত্তর : ‘বৈশাখ’ উদযাপন ‘বর্ষবরণ’ প্রভৃতি অনৈসলামী প্রথা। যা থেকে মুসলিমকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। হযরত আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন মদীনাবাসীদের দু’টি উৎসব পালন করতে দেখে তিনি তাদের বলেন, তোমাদের এ দু’টি দিন কেমন? ত
উত্তর : এর কোন নিষিদ্ধ বা নির্ধারিত সময় নেই। বরং আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরূপ। সুতরাং তোমরা তোমাদের ক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর’ (বাক্বারাহ ২২৩)। এছাড়া শুক্রবারে মিলিত হওয়ার ব্যাপারে আলী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি ‘মুনকার’ ত
উত্তর : এভাবে বাড়ীতে বা মসজিদে মহিলাদের ইমামতিতে জুম‘আর ছালাত আদায়ের নিয়ম ইসলামী শরী‘আতে নেই। বরং তারা পুরুষ ইমামের পিছনে মসজিদে গিয়ে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে (বুখারী হা/৩২৪; মুসলিম হা/৮৯০; আবুদাউদ হা/১০৬৭; মিশকাত হা/১৩৭৭, ১৪৩১)।তবে ফরয ও তারাবীহর
উত্তর : কুরআনের সূরা ও আয়াত সমূহের বিন্যাস আল্লাহর হুকুমে জিবরীলের নির্দেশনায় রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক সম্পন্ন হয়েছে। এটি তাওক্বীফী অর্থাৎ অপরিবর্তনীয় বিষয় সমূহের অন্তর্ভুক্ত। এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর ইজমা রয়েছে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর রামা
উত্তর : বিসমিল্লাহ বলে খাবেন (বুখারী হা/৭৩৯৮, মিশকাত হা/৪০৬৯ ‘শিকার ও যবহ’ অধ্যায়)
উত্তর : একথা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। নবী করীম (ছাঃ)-এর কাফন-দাফন-জানাযা সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। কাফনের পর তার মৃত্যুবরণ করার স্থান আয়েশা (রাঃ)-এর গৃহে লাশ রাখা হয়। অতঃপর খলীফা আবুবকর (রাঃ)-এর নির্দেশক্রমে দশ দশজন করে ভিতরে গিয়ে জানাযা পড়েন। জান
উত্তর : মুসলিম শ্রমিকদের জন্য অমুসলিমদের উপাসনালয় তৈরী করা জায়েয হবে না। জমহূর বিদ্বানগণ বলেন, কোন মুসলমান শ্রমিক অমুসলিম মালিকের অধীনস্ত থেকে সেই কাজই করতে পারবে, যে কাজ তার মুসলমান হিসাবে সম্পাদন করা শরী‘আত সম্মত। যেহেতু অমুসলিমদের উপাসনালয়গুল
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন নিয়মিত আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে একটি হাদীছে এসেছে, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (ছাঃ) উটনীর উপর থাকা অবস্থায় সূরা ফাৎহ বা তার কিছু অংশ ধীরকণ্ঠে বারবার পাঠ করেছিলেন (বুখারী হা/৪২৮১; সীরাতুর র
উত্তর : মাশরূমের ব্যবসা করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। কারণ মাশরূম হালাল বস্ত্ত (বিস্তারিত দ্রঃ ডঃ ইকতেদার হোসেন ফারুকী, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে কুরআনে বর্ণিত উদ্ভিদ, ই,ফা,বা ২০০৮, পৃঃ ১৩-২০)।
উত্তর : এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না এবং নেকীরও কোন কম-বেশী হবে না। তবে টুপী মাথায় দিয়ে ছালাত আদায় করা যীনাত বা সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ টুপী মাথায় দিয়ে ছালাত আদায় করা উত্তম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক ছালাতের সময় সুন্দর
উত্তর : সন্তানের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করা জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) এ ব্যাপারে নিষেধ করে বলেন, ‘তোমরা নিজেদের জন্য বদদো‘আ করো না, নিজ সন্তানদের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করো না এবং নিজেদের অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে বদদো‘আ করো না। যাতে তোমরা এমন এক সময়ে না পৌঁছে যাও, যে সময়
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায় এবং আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় দু’টিই সমান যরূরী (বাক্বারাহ ২/৪৩; নিসা ৪/১০২; ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩; মিশকাত হা/১০৭৭; বুখারী হা/৫২৭; মিশকাত হা/৫৬৮)। অতএব আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করে পরে পুনরায় জামা‘আতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাতে
উত্তর :এসব শয়তানী ওয়াসওয়াসা মাত্র। আল্লাহর আকার রয়েছে যা তাঁর উপযুক্ত। তা কারু সাথে তুলনীয় নয় (শূরা ৪২/১১)। অতএব এই বিশুদ্ধ আক্বীদার বিরোধী কোন চিন্তা আসলে সূরা ইখলাছ পাঠ করে বাম দিকে তিনবার থুক মারবেন এবং আঊযুবিল্লাহ পাঠ করবেন। এছাড়া ‘আমানতু বিল্লাহ
উত্তর : এরূপ অবস্থায় স্বামীকে আর কিছুই দিতে হবে না। বরং স্ত্রী স্বেচ্ছায় সংসার ত্যাগ করতে চাইলে তাকে স্বামী প্রদত্ত পুরা মোহরানা ফেরত দিয়ে ‘খোলা’-র মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হ’তে হবে (বুখারী হা/৫২৭৩; মিশকাত হা/৩২৭৪)।
উত্তর : মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা জায়েয। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান বিন আবুবকর (রাঃ)-এর কবর যিয়ারত করার সময় তাকে বলা হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ নিষেধ করেছিলেন। তবে পরে তিনি কবর যিয়ারত করার অনুমতি
উত্তর : এরূপ বিবাহ বৈধ নয়। বরং এভাবে জাদুর মাধ্যমে কোন কিছু করা কবীরা গুনাহ (বুখারী হা/৫৬২)। ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই ঝাড়-ফুঁক করা, কোন কিছু ঝুলানো এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা বৃদ্ধি করার যেকোন মাধ্যম অব
উত্তর : এক্ষেত্রে করণীয় হ’ল, তাদের নিকটে ক্ষমা চাওয়া এবং সম্ভবপর চুরিকৃত জিনিস ফেরত দেওয়া। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি তার কোন ভাইয়ের সম্মান বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুম করে থাকে, তাহ’লে সে যেন আজই তার সমাধা করে নেয়। সেদিন আসার আগে যেদিন তার
উত্তর : ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সহ দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বারো ইমামে বিশ্বাসী ইছনা ‘আশারিয়া ইমামিয়া শী‘আ। নিম্নে তাদের মৌলিক কিছু আক্বীদা তাদের কিতাবসমূহ থেকে বর্ণিত হ’ল।- (১) তাদের ইমামগণ অতীত এবং ভবিষ্যতের যাবতীয় গায়েবের জ্ঞান রাখে (কুলাইনী,
উত্তর : আয়াতটির অর্থ হ’ল, আর প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে পৃথক ক্বিবলা, যেদিকে তারা উপাসনাকালে মুখ করে থাকে। কাজেই দ্রুত সৎকর্ম সমূহের দিকে এগিয়ে যাও (অর্থাৎ কা‘বামুখী হও)। যেখানেই তোমরা থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকে সমবেত করবেন। নিশ্চয়ই
উত্তর : প্রথমতঃ কোন ব্যাংকেই টাকা রেখে লভ্যাংশ ভোগ করা যাবে না। কারণ উক্ত লভ্যাংশ সূদের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়তঃ জমাকৃত সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে যাকাত বের করা আবশ্যক। দরিদ্রতা এর জন্য বাঁধা নয়। অতএব আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে উক্ত টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়
উত্তর : ‘যাব’ (الضَّبُّ) সরীসৃপ জাতীয় বুকে ভর দিয়ে চলা একটি প্রাণী। যার শরীরের চামড়া পুরু ও অমসৃণ। লেজ চওড়া, খসখসে ও অধিক গিটবিশিষ্ট। আরব মরু অঞ্চলে এটি অধিকহারে পাওয়া যায় (আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব)। এটি দেখতে গুই সাপের ন্যায়, তবে গুইসাপ নয়। গুই সাপ আরবী
উত্তর : তাবীয ব্যবহার করা সর্বাবস্থায় শিরক (আহমাদ হা/১৬৯৬৯; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯২; মিশকাত হা/৪৫৫৬)। আর আল্লাহ তা‘আলা শিরকের গুনাহ মাফ করেন না (নিসা ৪/৪৮)। অতএব তাবীয ফেলে দিয়ে আল্লাহর প্রতি ভরসা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সাথে সাথ
উত্তর : গীবত করা হারাম (হুজুরাত ৪৯/১২)।এর ক্ষতিকর প্রভাবে ব্যক্তি থেকে সমাজের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে স্রেফ ইছলাহের উদ্দেশ্যে ও নেকীর আশায় জনকল্যাণার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যায়। যেটা আসলে গীবত নয়। বরং সত্য তুলে ধরা। যে
উত্তর : কোন বাধা নেই। বিশেষতঃ অধিক পদচারণা এবং বড় জামা‘আতে ছালাত আদায়ের মাধ্যমে অধিক নেকী লাভের আশায় এরূপ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাতের নেকী অর্জনের ব্যাপারে ঐ ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা নেকীর ভাগিদার, যে অধিক দূর থেকে আগমনকারী (বুখারী হা/৬৫১, মিশকাত
উত্তর : ইমাম সম্ভবপর পিছনে জায়গা রেখে ছালাত শুরু করবেন, যাতে পরবর্তীতে যোগদানকারী মুছল্লী পিছনে কাতার দিতে পারে। অতঃপর মাসবূক মুছল্লী ইমামের সাথে ছালাতরত মুক্তাদীকে পিছনে টেনে নিয়ে কাতার দিবেন। আর সে যদি অজ্ঞতার কারণে ইমামের পাশেই দাঁড়িয়ে যায়, তবে ইম
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আহমাদ হা/১৪২১; আবুদাঊদ হা/৮৮৭; মিশকাত হা/৮৬০, আলবানী, আরনাঊত্ব, সনদ যঈফ)।
উত্তর : পরিত্যক্ত সম্পদ বণ্টনে কমবেশী করায় উক্ত পিতা কঠিন গুনাহগার হবেন। ক্বিয়ামতের দিন তার গলায় সাত তবক পরিমাণ যমীন বেড়ি রূপে পরিয়ে দেওয়া হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৯৩৮)। জেনেশুনে উক্ত সম্পদ ভোগ করলে সন্তানরাও গুনাহগার হবে। এক্ষণে নিজদের বাঁ
উত্তর : এটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সর্বশেষ কর্মের উপর সকল আমল নির্ভরশীল’ (বুখারী হা/৬৪৯৩; মিশকাত হা/৮৩)। আর ফাঁসির আসামী হ’লেই যে তিনি জান্নাতী হবেন তা বলার কোন সুযোগ নেই। বান্দার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর কৃত তওবা আল্লাহ ক
উত্তর : প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে এরূপ সাজেশন দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত ধারণা হ’লে, তা গ্রহণ করা জায়েয নয়। কারণ শরী‘আতে অন্যায় কাজে সাহায্য করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৫/২)।
উত্তর : ‘আখেরী চাহার সোম্বা’ কথাটি ফার্সী। এর অর্থ ছফর মাসের শেষ বুধবার। ইরান, ইরাক, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এটি দিবস হিসাবে পালিত হয়ে থাকে। এর ভিত্তি হ’ল- মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে বুধবার রাসূল (ছাঃ)-এর দেহের উত্তাপ ও মাথাব্যথা খুব বৃদ্ধি পায়। তাতে
উত্তর : স্ত্রী-সন্তানের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা স্বামী বা পিতার কর্তব্য। সে হিসাবে কৃপণ পিতার সম্পদ থেকে ন্যয়সঙ্গতভাবে কিছু গ্রহণ করা সন্তানের জন্য জায়েয। হিন্দা বিনতে ঊতবা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আবু সুফিয়ান একজন অতি কৃপণ ব্যক্তি। আমি তাকে না জান
উত্তর: বিবাহের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তান পিতা-মাতা উভয়ের সম্পত্তির অংশীদার হবে (নিসা ৪/১১)। কার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হয়েছে সম্পদের অংশ পাওয়ার ক্ষেত্রে সেটি ধর্তব্য নয়।
উত্তর : মহিলারা একাকী হৌক বা একাধিক হৌক, পুরুষ ইমামের পিছনে পৃথক কাতারে দাঁড়াবে। আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আমি ও একজন ইয়াতীম ছেলে আমাদের বাড়ীতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিছনে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করেছিলাম। আর আমার মা আমাদের পিছনে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করেছিলেন’ (মুসল
উত্তর : তার নাম উম্মে খায়ের রাবে‘আ বিনতে ইসমাঈল আল-‘আদাবী। তিনি আনুমানিক ১০০ হিঃ/৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে ইরাকের বছরা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে মাতা-পিতা মারা যাওয়ায় তাকে দাসত্ববরণ করতে হয়। তিনি সংসার বিরাগী ইবাদতগুযার মহিলা ছিলেন। তার সাথে সুফিয়ান ছাওরী,
উত্তর : ওযূ করা যরূরী নয়। তবে সর্বদা ওযূ অবস্থায় থাকা নিঃসন্দেহে উত্তম কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক’ (মুসলিম হা/২২৩; মিশকাত হা/২৮১)। তিনি আরো বলেন, ওযূ করার মাধ্যমে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে ছগীরা গুনাহ ঝরে যায় (মুসলিম হা/২৪৫; মিশক
উত্তর : পিতাকে আশ্রয় দিতে হবে। পিতা-মাতা সর্বাবস্থায় সদ্ব্যবহার পাওয়ার হকদার (ইসরা ১৪/২৩,২৪)। এমনকি তারা শিরক করার জন্য চাপ দিলে তাদের আনুগত্য করা যাবে না, কিন্তু তাদের সাথে সদাচরণ করতে হবে (লোক্বমান ৩১/১৪-১৫)। আর পিতা তাঁর দায়িত্বে অবহেলার কারণে গোন
উত্তর : পূর্বে প্রদত্ত তালাকটি ধর্তব্য হবে এবং দ্বিতীয় বারের দু’তালাক যদি একই বৈঠকে সংঘটিত হয়ে থাকে, তাহ’লে এটা এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে (মুসলিম হা/১৪৭২-৭৩; আবুদাঊদ হা/২১৯৬)। অতএব মোট দু’তালাক হওয়ায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ায় বাধা নেই (বাক্বারাহ ২/২২৯)।
উত্তর : আযানের মূল উদ্দেশ্য লোকদের কাছে ছালাতের আহবান পৌঁছানো। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) উঁচু কণ্ঠস্বরের অধিকারী হওয়ায় বেলাল (রাঃ)-কে আযানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন (আবুদাউদ হা/৪৯৯; ইবনু মাজাহ হা/৭০৬; মিশকাত হা/৬৫০, সনদ ছহীহ)। একই উদ্দেশ্যে সেসময় মসজিদের বাইরে কো
উত্তর : পিতা ও পুত্র পারবে। হাদীছে বিছানা পৃথক করতে বলা হয়েছে, ঘর নয় (আহমাদ হা/৬৭৫৬, ৬৬৮৯; মিশকাত হা/৫৭২ ‘ছালাত’ অধ্যায়)। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেক নারী ও পুরুষকে পৃথক পৃথক ঘরে অবস্থান করাই কর্তব্য।
উত্তর : কথাটি সম্পূর্ণ শরী‘আত বিরোধী। মুহাম্মাদী শরী‘আতে এটি সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। এভাবে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের প্রতি সিজদা করার দূরতম সম্ভাবনাকেও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। একবার মু‘আয (রাঃ) খ্রিষ্টানদের দেখাদেখি রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি সম্মানের সিজদা করতে
উত্তর : নারীরা গৃহাভ্যন্তরে পর্দার মধ্যে নিজেকে সুসজ্জিত করার লক্ষ্যে কসমেটিকস ব্যবহার করতে পারে (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৪৩)। আয়েশা (রাঃ)-কে বাসর রাতের জন্য সাজানো হয়েছিল (ইবনু মাজাহ, হা/১৮৭৬; আলবানী, আদাবুয যিফাফ, পৃঃ ১৯)। তবে পবিত্রতা ও শালীনতার দিকে
উত্তর : বিশেষ কারণবশতঃ কুনূতে নাযেলাহ যে কোন ওয়াক্তেই পাঠ করা যায় (বুখারী হা/৭৯৭; মুসলিম হা/৬৭৮; নাসাঈ হা/১০৭৬)। রাসূল (ছাঃ) দীর্ঘ এক মাস যাবৎ এ দো‘আ পাঠ করেছিলেন (বুখারী হা/১০০২,৪০৯৪; মুসলিম হা/৬৭৭; মিশকাত হা/১২৮৯-৯০)। কিন্তু কোন দিন নির্ধারণ করেননি
উত্তর : প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়েদের একসাথে পড়াশুনা করা সম্পূর্ণরূপে শরী‘আতবিরোধী কাজ (আহযাব ২৪/৫৩)। এছাড়াও এটি মানুষের স্বভাব ধর্মের বিরোধী এবং পারস্পরিক নীতিবোধের জন্য চরম ক্ষতিকর। আধুনিক বংশধরগণের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হ’ল প্রচ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর আযান দেওয়ার ব্যাপারে কোন ছহীহ বর্ণনা পাওয়া যায় না। একবার সফরে তিনি আযান দিয়েছিলেন মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/৪১১; আহমাদ হা/১৭৬০৯; যঈফাহ হা/৬৪৩৪)। রাসূল (ছাঃ) এমনকি খোলাফায়ে রাশেদীন আযান না দেওয়ার বহু কারণ রয়েছে। যেমন
উত্তর : মুসলিম সন্তান কাফের পিতার সম্পদের অংশীদার হবে না (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩০৪৩)। তবে বিনা কামনায় প্রাপ্ত সম্পদ পুনরায় ফেরত দেওয়ার বা দান করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উত্তর : এক্ষেত্রে কর্তব্য হ’ল (১) উত্তম পন্থায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করা (মুসলিম হা/৪৯, মিশকাত হা/৫১৩৭)। (২) দেশে ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য জনমত গঠন করা এবং বৈধপন্থায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো (রা‘দ ১৩/১১)। (৩) বিভিন্ন উপায়ে সরকারকে নছীহত করা (মুসলিম
উত্তর : বিতরের পর কারণবশতঃ যেকোন ছালাত এসময় আদায় করা যেতে পারে। যেমন রাতের শেষ প্রহরে ঘুম না ভাঙ্গার আশংকা থাকলে রাতের প্রথম ভাগে বিতর ছালাতের পর দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করা যায়, যা তাহাজ্জুদের স্থলাভিষিক্ত হয় (দারেমী, মিশকাত হা/১২৮৬; ছহীহাহ হা/১৯৯৩
উত্তর : এটা পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছে। বেলাল (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা তিনি ফজরের আযান দেওয়ার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আসলেন। তাকে বলা হ’ল যে, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। তখন বেলাল (রাঃ) বললেন,الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ (ঘুম থেকে ছালাত উত্তম)। অতঃপর এই শব্দাব
উত্তর : চোখ-মুখ ঢেকে ছালাত আদায় করা যাবে না। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে মুখ ঢেকে রাখতে নিষেধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৯৬৬; মিশকাত হা/৭৬৪, সনদ হাসান)। তবে গায়ের মাহরাম পুরুষ আগমনের সম্ভাবনা থাকলে নারীরা মুখমন্ডল আবৃত করে ছালা
উত্তর : উক্ত অবস্থায় ইমামের অনুসরণ করার জন্য সরাসরি তাকবীর দিয়ে রুকূতে যেতে হবে। কারণ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা যখন ছালাতে আসবে আর ইমামকে রুকূ‘ অবস্থায় পাবে, তখন রুকূতে যাবে। আর
উত্তর : স্বামী স্ত্রীকে রাজঈ তালাক দিলে ইদ্দতকাল পর্যন্ত খোরপোষ দিবে (নাসাঈ হা/৩৪০৩; ছহীহাহ হা/১৭১১; আল-ইসতিযকার ১৮/৬৯)। আর তালাকপ্রাপ্তা তিন তালাক বায়েন হয়ে গেলে তাকে কোন খোরপোষ দিতে হবে না (মুসলিম হা/১৪৮০; মিশকাত হা/৩৩২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৫১)। তবে
উত্তর : ঘটনাটি প্রসিদ্ধ কিন্তু বিশুদ্ধ নয়। এ মর্মে একাধিক ঘটনা বর্ণিত হ’লেও এর কোনটি ভিত্তিহীন, কোনটির সনদ অত্যন্ত যঈফ। যেমন ইবনু আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে আবু ছালেহ গেফারীর বর্ণনাসূত্রে এ ঘটনাটি সংকলন করেছেন (তারীখু ইবনু আসাকির ৩০/৩২২)। অথচ তিনি আবু
উত্তর : প্রথমতঃ মৃত ব্যক্তিকে পশ্চিম দিকে মুখ করে কবরে রাখা উচিত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘উভয় জীবনে মানুষের ক্বিবলা হচ্ছে কা‘বা’ (আবুদাঊদ হা/২৮৭৫, ইরওয়া হা/৬৯০)। আলবানী (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগ হ’তে অদ্যাবধি এরূপ আমলই হয়ে আসছে (আলবানী,
উত্তর : ঈদগাহের মাঠে বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ ও অন্যান্য দিবস পালনার্থে কোন অনুষ্ঠান করা বৈধ নয়। কারণ অমুসলিমদের অনুকরণে পালিত এসব দিবসের সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। খেলাধূলা থেকেও দূরে থাকা কর্তব্য। কেননা এতে ঈদগাহের ধর্মীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।
উত্তর : অন্যান্য ছালাতের ন্যায় জানাযার ছালাতেও উভয় দিকে সালাম ফিরাতে হয়। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, লোকেরা তিনটি কাজ ছেড়ে দিয়েছে, যেগুলো রাসূল (ছাঃ) করতেন। তার একটি হ’ল, জানাযার ছালাতের সালাম অন্যান্য ছালাতের ন্যায় হওয়া (বায়হাক্বী কুবরা হা/৭
উত্তর : আবু সুফিয়ান (রাঃ) একজন বিশিষ্ট ছাহাবী ছিলেন। তিনি মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট ইসলাম কবুল করেন এবং ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফতকালে ৩১ হিজরীতে ঈমানের উপর মৃত্যুবরণ করেন। ওছমান (রাঃ) তাঁর জানাযার ছালাত পড়ান এবং বাকী‘ গোরস্থানে তাকে দাফ
উত্তর : একথা ঠিক নয়। বরং এর দ্বারা ধমকি দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত হজ্জ সম্পাদনের তাকীদ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/৮১২; মিশকাত হা/২৫৩৫; যঈফ তারগীব হা/৭৫৪)। তবে একই মর্মে ওমর (রাঃ) থেকে মওকূফ সনদে বর্ণিত আছারটিকে ইবনু কাছ
উত্তর : প্রথমতঃ প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীছটি নিতান্তই যঈফ (ইবনু মাজাহ হা/৩৯৫০, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৯৬; বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, মিশকাত হা/১৭৪-এর টীকা ‘ঈমান’ অধ্যায়, ‘কিতাব ও সন্নাহকে আঁকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ পৃঃ ৩০)। দ্বিতীয়তঃ হাদীছটি পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়
উত্তর : এদের আক্বীদা ভ্রান্ত ফিরক্বা খারেজীদের আক্বীদার সাথে অধিক সামঞ্জস্যশীল। এই ভ্রান্ত মতবাদটি হিজরী ১ম শতকে বছরায় জন্মলাভ করে। আব্দুল্লাহ বিন ইবায আত-তামীমীর নামে মতবাদটির জন্ম হলেও আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-এর প্রখ্যাত ছাত্র জাবের বিন যায়েদ
উত্তর : আত্মঘাতি হওয়া আত্মহত্যার শামিল। শরী‘আতে যার কোন অনুমোদন নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করে ইসলামের পক্ষে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ শেষে যখমে অতিষ্ঠ হয়ে নিজের তরবারি দিয়ে আত্মহত্যা করলে রাসূল (ছাঃ) তাকে জাহান্নামী বলে আখ্যায়িত করেন (
উত্তর : ইমাম বুখারী ছহীহ বুখারী সংকলনের ক্ষেত্রে যেসব কঠিন শর্তসমূহ আরোপ করেছিলেন, আল-আদাবুল মুফরাদ ও তারীখুল কাবীর গ্রন্থে সেসব শর্ত আরোপ করেননি। ফলে সেখানে অনেক দুর্বল বর্ণনা স্থান পেয়েছে, যা পৃথক করা তাঁর জীবদ্দশায় সম্ভব হয়নি। তাই তিনি নিজ থেকে সে
উত্তর : ক্রুশের ছবিসহ দৃষ্টি আকর্ষক কিছু সামনে রেখে ছালাত আদায় করা যাবে না (বুখারী হা/৩৭৪; আবুদাঊদ হা/২০৩০)। বরং সামনে ছবি নেই এমন স্থানে ছালাত আদায় করতে হবে। তবে সর্বোত্তম হ’ল অমুসলিমদের স্কুল পরিত্যাগ করে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত মসজিদে আদায় করা যায়, এরূপ
উত্তর : প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রার্থী হয়ে ভোট বা সমর্থন চাওয়া জায়েয নয়। হযরত আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর কসম! আমরা আমাদের কোন কাজে এমন ব্যক্তিকে নেতা নিযুক্ত করি না, যে তা চেয়ে নেয় বা লোভ করে বা তার আকাংখা করে’ (বুখা
উত্তর : সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ আল্লাহর বিশেষ নিদর্শন। এসময় আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও ভীতি সহকারে জামা‘আতসহ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা, খুৎবা দেওয়া, হাত তুলে দো‘আ ও ইস্তেগফার করা, দান-ছাদাক্বা করা সুন্নাত (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৫৮০, ‘সূর্য বা চন্
উত্তর : প্রথমতঃ বিনা ওযরে অঙ্গীকার ভঙ্গ করা কাবীরা গুনাহ (মায়েদাহ ৫/০১; যাহাবী, কিতাবুল কাবায়ের ১/১৬৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যার অঙ্গীকার পূরণ নেই তার দ্বীন নেই’ (আহমাদ হা/১২৪০৬; মিশকাত হা/৩৫;)। দ্বিতীয়তঃ এটি মুনাফিকের লক্ষণ (বুখারী হা/৩৪; মিশকাত হা/৫৬
উত্তর: তাকবীরে তাহরীমার পরে ছানা পড়ার সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পর জামা‘আতে যোগদানকারীকে ছানা পড়তে হবে না। কেননা এটা সুন্নাত এবং এসময় এটি পাঠের সময় ফউত হয়ে যায় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৩১৮)। এ অবস্থায় কেবল সূরা ফাতিহা পড়বে। কেননা জেহরী ছালাতে ইমামের ক্বিরাআ
উত্তর : সঠিক জামা‘আত খুঁজে নিয়ে নিজ থেকে তার আমীরের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করা এবং তা মেনে চলাই মুমিন নারী-পুরুষের কর্তব্য। এজন্য অঞ্চল বা দেশ শর্ত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জামা‘আবদ্ধ জীবন হ’ল রহমত এবং বিচ্ছিন্ন জীবন হ’ল আযাব (আহমাদ, ছহীহাহ হা/৬
উত্তর : মাদরাসার ফান্ডের ব্যাপারে কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোন ব্যক্তিকে কর্যে হাসানাহ দিলে তাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এক্ষেত্রে তারা কোন অন্যায়ের আশ্রয় নিলে তারাই গোনাহগার হবে। এজন্য দাতাদের নেকীতে ঘাটতি হবে না।
উত্তর : লাশের খাটিয়া বহনকারীদের জন্য পঠিতব্য নির্দিষ্ট কোন দো‘আ নেই। তবে এসময় আল্লাহর স্মরণ করবে এবং মৃত্যুর চিন্তা করতে করতে চুপচাপ মধ্যম গতিতে কবরের দিকে এগিয়ে যাবে (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২২৯ পৃঃ)।
উত্তর : আবশ্যিক না হ’লেও সন্তানদের জন্য কিছু সম্পদ রেখে যাওয়া উত্তম। রাসূল (ছাঃ) সা‘দ বিন খাওলা (রাঃ)-কে মাত্র একটি কন্যা থাকা সত্ত্বে্ও তিনভাগের একভাগের বেশী অছিয়ত করতে নিষেধ করে বলেন, তোমার সন্তানদের নিঃস্ব অবস্থায় মানুষে কাছে প্রার্থী হিসাবে রেখে
উত্তর : হারামের মিশ্রণ থাকলে নাজায়েয। তবে সাধারণভাবে জায়েয। কেননা রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের উপহার গ্রহণ করেছেন, তাদের হাদিয়া খেয়েছেন এবং তাদের সাথে ব্যবসা করেছেন (বুখারী হা/২৬১৫-১৮, ২৩৬৬; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৯৩১)। তবে মুসলমানদের তৈরী পণ্য পেলে তা ব্যবহা
উত্তর : এটি কার্টুনের ধরনের উপর নির্ভর করবে। কার্টুনে কোন অশ্লীলতা এবং ইসলাম ও আক্বীদা বিরোধী কোন কথা ও কাজ না থাকলে তা দেখা যেতে পারে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২৮০, ১২/২৭৯)। তবে শিশুদেরকে টিভিতে কার্টূন দেখানোর মত অনর্থক কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। বর
উত্তর : সাদা কাপড় দ্বারা কাফন দেওয়া সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা সাদা পোষাক পরিধান কর। কেননা এটি পূত-পবিত্র। আর এর দ্বারা তোমাদের মৃতদের কাফন পরাও’ (তিরমিযী হা/২৮১০; মিশকাত হা/৪৩৩৭)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের জন্য সর্বোত্তম
উত্তর : কোন অনুষ্ঠান বা সম্মেলন শেষে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মুনাজাত করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এভাবে দো‘আ করা বিদ‘আত (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৩২-৩৩ পৃঃ)। বরং এসময় মজলিস ভঙ্গের শরী‘আত নির্দেশিত দো‘আটি পাঠ করবে (তিরযিমী হা/৩৪৩৩;
উত্তর : এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাউদ হা/৫০৯৬)। আলবানী (রহঃ) প্রথমে এ হাদীছটিকে ছহীহ বললেও (ছহীহাহ হা/২২৫, ছহীহুল জামে‘ হা/৮৩৯) পরবর্তীতে তাঁর নিকটে স্পষ্ট হয় যে, হাদীছটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে শুরাইহ বিন ওবায়েদ ও আবু মালেক আশ‘আরীর মধ্যে ইনক্বিতা
উত্তর : ‘মাছ সমূদ্রের কিনারায় চলে আসত’- একথা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে জিন, মানুষ, পাখি, চতুষ্পদ জন্তু সমূহ দাউদ (আঃ)-এর তেলাওয়াত শুনার জন্য একত্রিত হ’ত বলে সূত্রবিহীনভাবে বর্ণিত হয়েছে (কাশফুল বায়ান ৩/৪১৬; তাফসীরুল কাবী
উত্তর : মসজিদে হৌক বা বাইরে হৌক এরূপ করা সম্পূর্ণরূপে শরী‘আত বিরোধী কাজ। আর মৃতের স্মরণে কুরআন পাঠ করার কোন বিধান শরী‘আতে নেই। সুতরাং এরূপ আমল সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আতী প্রথা। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)। শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন,
উত্তর : জমাকৃত টাকা বছর শেষে নিছাব পরিমাণ হ’লে শতকরা আড়াই টাকা হারে যাকাত দিতে হবে (আবুদাউদ হা/১৫৭৩; তিরমিযী হা/৬৩১-৩২)। স্মর্তব্য যে, উক্ত জমাকৃত টাকার সূদ ভোগ না করে নেকীর উদ্দেশ্য ব্যতীত দান করে দিতে হবে এবং যাকাতের নির্ধারিত অংশ সূদ থেকে নয় বরং ম
উত্তর : ইমাম-মুক্তাদী উভয়েই ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ ও ‘আল্লা-হুম্মা রববানা লাকাল হামদ...’ বলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ছালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইমাম নির্ধারণ করা হয়
উত্তর : একথা ঠিক নয়। বরং এর দ্বারা ধমকি দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত হজ্জ সম্পাদনের তাকীদ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/৮১২; মিশকাত হা/২৫৩৫; যঈফ তারগীব হা/৭৫৪)। তবে একই মর্মে ওমর (রাঃ) থেকে মওকূফ সনদে বর্ণিত আছারটিকে ইবনু কাছ
উত্তর : আযান দাতার জন্য ইক্বামত দেওয়া যরূরী নয়। এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/১৯৯; মিশকাত হা/৬৪৮; যঈফাহ হা/৩৫)। অতএব শৃংখলাগত কোন সমস্যা না থাকলে যে কেউ ইক্বামত দিতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত মুওয়াযযিনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
উত্তর : কবরস্থানে দাঁড়িয়ে পিতা-মাতা ও অন্যান্য কবরবাসীদের জন্য দো‘আ করবে। এসময় একাকী দু’হাত উঠানো যাবে (মুসলিম হা/৯৭৪; নাসাঈ হা/২০৩৭; ছহীহাহ হা/১৭৭৪)। তবে সেখানে স্রেফ দো‘আ ব্যতীত ছালাত, তেলাওয়াত, যিকর-আযকার, দান-ছাদাক্বা কিছু করা জায়েয নয়। এছাড়া জুম
উত্তর : ফজরের আযানের পূর্বে আযান ব্যতীত সকল প্রকার গান, তেলাওয়াত ও যিকির সম্পূর্ণরূপে শরী‘আতবিরোধী কাজ (ইবনু তায়মিয়াহ, ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিইয়াহ, ৪০৭ পৃঃ)। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, সাহারীর সময় (আযান ব্যতীত) লোক জাগানোর নামে অন্য যেসব কাজ করা হ
উত্তর : মূল সম্পদ রেখে দিয়ে সূদের মাধ্যমে অর্জিত ও জমাকৃত সম্পদ সাধ্যমত হিসাব করে পৃথক করতে হবে এবং নেকীর প্রত্যাশা ব্যতীত তা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে দিতে হবে (ছহীহ ইবনে হিববান হা/৩৩৫৬, ছহীহুত তারগীব হা/৮৮০)। অনিচ্ছাকৃত কমবেশীতে দোষ নেই। কারণ আল্ল
উত্তর : ‘আ‘উযুবিল্লা-হ’ বাম দিকে তিনবার থুক মারবে। ওছমান ইবনু আবিল ‘আছ বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার ছালাত এবং ক্বিরাআতের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উত্তরে বললেন, ‘এটা একটা শয়তান যাকে ‘খিনযাব’ বলা হয়। সুতরাং তুমি যখন এর খটকা অনু
উত্তর : পিতা-মাতার ন্যায় শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর ব্যয়ভার বহন করা জামাইয়ের জন্য আবশ্যিক নয়। তবে হকদার হ’লে জামাই তাদেরকে যাকাতের টাকা দিতে পারবে এবং তাদের জন্য এ টাকা গ্রহণ করাও জায়েয হবে (বুখারী হা/১৪৬২; ইরওয়া হা/৮৭৮; ফাৎহুল বারী ৩/৩২৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা
উত্তর : প্রস্তাব দানকারী তিনজন ছাহাবী মু‘আবিয়া, আবু জাহম ও ওসামা বিন যায়েদ (রাঃ) সকলেই পরহেযগারিতা ও চারিত্রিক দিক থেকে উত্তম ছিলেন। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) অন্যান্য দিক সমূহ বিবেচনা করে ওসামা (রাঃ)-এর সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন। যেমন আবুবকর ও ওমর (রাঃ) উভয়ে ফা
উত্তর : শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে অস্বীকার করায় কাদিয়ানী সম্প্রদায় কাফের। চৌদ্দশ’ হিজরীর প্রথম দিকে গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীর (১৮৩৫-১৯০৮) মাধ্যমে মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায় এ সম্প্রদায় জন্মলাভ করে (পৃঃ ১১৮-২২)। গোলাম আহমাদ প্রথ
উত্তর : আদম (আঃ)-কে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। অতঃপর তাঁর থেকে স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে। অতঃপর স্বামী-স্ত্রীর মিলনে পানি বিন্দুর মাধ্যমে অন্যান্য মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে (আলে ইমরান ৩/৫৯; নিসা ৪/১)। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানবমন্ডলী! তোমরা যদি পুনর
উত্তর : এভাবে মসজিদ নির্মাণ করা জায়েয নয়। কবরের উপর নির্মিত মসজিদের নীচ তলায় যেমন ছালাত জায়েয নয়, তেমনি দোতলায়ও জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কবরের উপর বসো না এবং কবরের দিকে ফিরে ও কবরের উপরে ছালাত আদায় করো না’ (মুসলিম হা/৯৭২; মিশকাত হা/১৬৯৮)।
উত্তর : যেকোন খুৎবায় বা বক্তব্যের সময় হাতে লাঠি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিয়মিত সুন্নাত। হাকাম ইবনে হুযন আল-কুলফী বলেন, ‘আমি সপ্তম অথবা অষ্টম দিনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। অতঃপর বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার সাথে সাক্ষাতে
উত্তর : তিনটি ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা বলা যায়- কথাটি সত্য। সে তিনটি ক্ষেত্র হ’ল- দু’ব্যক্তির মধ্যে মীমাংসার জন্য, (২) যুদ্ধক্ষেত্রে, (৩) স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের নিকট (আবুদাঊদ হা/৪৯২১; তিরমিযী হা/১৯৩৭; মিশকাত হা/৫০৩১, ৫০৩৩; ছহীহাহ হা/৫৪৫)। এছাড়া কল্যাণকর ক
উত্তর : لحية বা দাড়ি বলতে ঐ সমস্ত লোমকে বুঝায়, যা পুরুষের দুই চোয়াল বা গাল ও থুতনীতে গজায় (شعر الخدين والذقن) (ইবনুল মানযূর, লিসানুল আরব ১৫/২৪৩; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী হা/৫৮৯২-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। অতএব দুই চোয়াল ও থুতনীতে গজানো লোম কাটা বা ছাটা যাবে ন
উত্তর : হ্যাঁ প্রমাণিত। যেমন আল্লাহ বলেন, (১) আল্লাহ মুমিনদেরকে দৃঢ় বাক্য দ্বারা দৃঢ় রাখেন ইহজীবনে ও পরজীবনে (ইবরাহীম ১৪/২৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে কবরের আযাব বিষয়ে। যখন তাকে বলা হবে, তোমার প্রতিপালক কে? সে বলবে, আমার
উত্তর : এরূপ হ’তে পারে। স্বপ্নে কারো পুরোপুরি খাৎনা হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর খাৎনা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যদি তা সম্পূর্ণরূপে না হয়ে থাকে, তাহ’লে পুনরায় সুন্দরভাবে খাৎনা করা উচিত। কারণ এটি সুন্নাত এবং এর মধ্যে রয়েছে শিশুর ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের জন্য অশেষ
উত্তর : রুচি হ’লে কচ্ছপ খেতে পারে। কারণ কচ্ছপ জলজ প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কল্যাণার্থে তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৯৬)। আয়াতটির ব্যাখ্যায় হাসান বছরী বলেন, কচ্ছপে কোন দোষ নেই (বুখারী, ত
উত্তর : মাইয়েতকে গোসল করিয়ে নিজে গোসল করা এবং লাশ বহন করার পর ওযূ করা উত্তম। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাইয়েতকে গোসল করাবে সে যেন নিজে গোসল করে এবং যে ব্যক্তি লাশ বহন করবে সে যেন ওযূ করে’ (আবুদাউদ হা/৩১৬১; ইরওয়া হা