উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হ’লে ছেলে-মেয়ে কবীরা গোনাহগার হয়। কিন্তু মীরাছ হ’তে বঞ্চিত হয় না। কারণ মীরাছ হয় বংশীয় কারণে, সদাচরণের জন্য নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/২৮১)। তাই সন্তানকে ত্যাজ্যপুত্র করা বা সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ। বরং পিতা-মাতা একাজ করলে সন্তানের হক নষ্ট করা হবে, যা পরকালে নিজের নেকী থেকে তাকে পরিশোধ করতে হবে (মুসলিম হা/২৫৮১; মিশকাত হা/৫১২৭)। তবে সন্তান ‘মুরতাদ’ হ’লে কিংবা অন্যায়ভাবে পিতা বা মাতাকে হত্যা করলে সে তাদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে (বুখারী হা/৬৭৬৪; মুসলিম হা/১৬১৪; মিশকাত হা/৩০৪৩; আবুদাঊদ হা/৪৫৬৪ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩৫০০)। এক্ষেত্রে অবাধ্য ছেলে-মেয়েকে পিতা-মাতার কাছে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে হবে। কেননা পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি’ (তিরমিযী হা/১৮৯৯) এবং মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত (নাসাঈ হা/৩১০৪)। এখানে উভয়পক্ষকে নমনীয় হ’তে হবে। কেননা ‘রক্তসম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুখারী হা/৫৯৮৪; মুসলিম হা/২৫৫৬; মিশকাত হা/৪৯২২)।  

প্রশ্নকারী : নূর নাহার বেগম, পটিয়া, চট্রগ্রাম






বিষয়সমূহ: মীরাছ
প্রশ্ন (১৮/২৯৮) : কনে দ্বীনদার, কিন্তু তার পরিবার মাযহাবী এবং দ্বীনের প্রতি গাফেল। এরূপ নারী বিবাহ করা যাবে কি? - -তাওহীদুর রহমান, সাহেববাজার, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৪/৪) : সহো সিজদা দেওয়ার বিধান কি? কেউ যদি তা দিতে ভুলে যায় এবং অনেকদিন পর তা স্মরণ হয় তার জন্য করণীয় কি? সহো সিজদা সালাম ফিরানোর পূর্বে না পরে দেওয়া উত্তম? - -জাহাঙ্গীর আলম, বাড্ডা, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৬/৫৬) : হযরত সোলায়মান (আঃ)-এর ঘোড়ার সত্যিই কি দু’টো ডানা ছিল?
প্রশ্ন (১২/৪১২) : আমাদের এলাকায় বন্ধক দু’ভাবে হয়ে থাকে। যেমন আমার এক বিঘা জমি আছে, টাকার প্রয়োজন, কিন্তু জমি বিক্রি করা সম্ভব নয়। অন্য একজনের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আমার জমি তাকে দিলাম। সেক্ষেত্রে যতদিন টাকা ফেরত না দিচ্ছি ততদিন এই জমি তার দখলে থাকবে এবং তিনি চাষাবাদ করবেন এবং এর থেকে প্রাপ্ত সকল ফসল তিনি নিজেই ভোগ করবেন। দ্বিতীয়তঃ জমি আমার দখলে থাকবে এবং আমিই এর চাষাবাদ করবো। যদি তিনি চাষাবাদের খরচ বহন করেন তাহ’লে ফসলের অর্ধেক ভাগ পাবেন আর চাষাবাদের খরচ বহন না করলে ৩ ভাগের এক ভাগ ফসল পাবেন। আমি বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি প্রথম নিয়মটি স্পষ্ট সূদ। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে দ্বিতীয় নিয়মে বন্ধক দিলে সেটা কি সূদ হবে?
প্রশ্ন (৪০/১৬০) : কুরআনী নির্দেশনা অনুযায়ী কোন নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হ’লে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে ৪ জন পুরুষ সাক্ষী হাযির করা আবশ্যক। কিন্তু সেটি কিভাবে সম্ভব? আর চারজন সাক্ষী পেশ করার পিছনে হিকমত কি? - -তা‘লীমুল হক, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৮/৩৪৮) : মহিলারা পর্দার মধ্যে থেকে মটর সাইকেল, সাইকেল, প্রাইভেট কার ইত্যাদি চালাতে পারে কি?
প্রশ্ন (৩২/৩৫২) : স্বামী ও স্ত্রী জামা‘আতে ছালাত পড়তে পারবে কি? - -আব্দুল হাকীম, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৮/৩৬৮) : যে ব্যক্তি মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলবে তার ৪০ বছরের ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত হাদীছের সত্যতা সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৭/১২৭) : আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমাকে গ্রামের লোকজন বাড়ি করে দিয়েছে। আমি কি এখন আমার বিধর্মী বাবার সম্পত্তি নিতে পারব?
প্রশ্ন (৩৯/১৫৯) : আমার নেফাসের ৩৭তম দিনে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। পবিত্র হয়েছি মনে করে স্বামীকে অবহিত করি। পবিত্রতা অর্জন করে স্বামী-স্ত্রী নির্জনবাস করি। রাতে আবারও রক্ত দেখা যায়। এক্ষণে আমাদের কাফফারা দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩/১২৩) : ওমর (রাঃ) বলেন, ‘যদি ফোরাত নদীর কূলে একটি ভেড়ার বাচ্চাও হারানো অবস্থায় মারা যায়, তাতে আমি ভীত হই যে, সেজন্য আমাকে ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হ’তে হবে’- এ মর্মে বর্ণিত আছারটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই? - -আব্দুর রহমান, মনোহরদী, নরসিংদী।
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : ঔষধের দোকানে তরল জাতীয় কিছু ঔষধ পাওয়া যায়, যা রোগের উপশমের কাজ করে। আবার মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তা নেশা করার জন্য ব্যবহার করে। এরূপ ঔষধ সেবন করা জায়েয হবে কি? - -রাশেদুয্যামান, ফুলতলা, পঞ্চগড়।
আরও
আরও
.