উত্তর : ইবনু তায়মিয়া (রহঃ)-এর বক্তব্য অনুযায়ী ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর একটি উক্তির ভুল ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে মুখে নিয়ত পাঠের সূচনা হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন,بِأَنَّ الصَّلَاةَ فِي أَوَّلِهَا كَلَامٌ ‘ছালাতের পূর্বে কালাম বা বাক্য রয়েছে। ইমাম ইবনু তায়মিয়া (রহঃ) এ ব্যাপারে বলেন, বিদ্বানগণের ঐক্যমতে নিয়তের স্থান হ’ল অন্তর। কেউ যদি অন্তরে নিয়ত করে, মুখে উচ্চারণ না করে তাহ’লে তা যথেষ্ট হবে। শাফেঈ মাযহাবের কিছু অনুসারী ইমাম শাফেঈ-এর উক্তি ভুল বুঝে নতুন পথ বের করেছে। তিনি তাকবীরে তাহরীমা ও ছালাতের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য বলেছেন যে, بِأَنَّ الصَّلَاةَ فِي أَوَّلِهَا كَلَامٌ অথবা لاَ بُدَّ مِنْ النُّطْقِ فِي أَوَّلِهَا। এর দ্বারা কিছু অনুসারী মনে করেছেন যে, তিনি এর দ্বারা মুখে নিয়ত পাঠ করা বুঝিয়েছেন। অথচ তিনি এর দ্বারা তাকবীরে তাহরীমা বুঝিয়েছেন (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/২৬২, ২২/২২১, ২২/২৩০)। ইমাম শাফেঈর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করার বিষয়টি ইমাম নববীও সমর্থন করেছেন (নববী, শারহুল মুহাযযাব ৩/২৪৩)

এছাড়া হেদায়া লেখক আল-মারগীনানী (৫১১-৫৯৩ হি.) সহ পরবর্তী কালের কিছু ফক্বীহ অন্তরে নিয়ত করার সাথে সাথে মুখে তা পাঠ করাকে ‘সুন্দর’ বলে গণ্য করেন। যেমন হেদায়া-তে বলা হয়েছে, ‘নিয়ত অর্থ সংকল্প করা। তবে শর্ত হ’ল এই যে, মুছল্লী কোন ছালাত আদায় করবে, সেটা অন্তর থেকে জানা। মুখে নিয়ত পাঠ করার কোন গুরুত্ব নেই। তবে হৃদয়ের সংকল্পকে একীভূত করার স্বার্থে মুখে নিয়ত পাঠকে সুন্দর গণ্য করা চলে’ (অর্থাৎ সংকল্পের সাথে সাথে মুখে তা উচ্চারণ করা) [হেদায়া (দেউবন্দ, ভারত: মাকতাবা থানবী ১৪১৬ হিঃ) ১/৯৬ পৃঃ ‘ছালাতের শর্তাবলী’ অধ্যায়]

মোল্লা আলী ক্বারী, কামাল ইবনুল হুমাম, আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী (রহঃ) প্রমুখ খ্যাতনামা হানাফী বিদ্বানগণ এ মতের বিরোধিতা করেছেন ও একে ‘বিদ‘আত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন (মিরক্বাত শরহ মিশকাত ১/৪০-৪১ পৃঃ; হেদায়া ১/৯৬ পৃঃ টীকা-১৩ দ্রষ্টব্য)। অন্যান্য স্থান সহ ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ মুসলমানের মধ্যে ‘নাওয়াইতু ‘আন উছাল্লিয়া’ পাঠের মাধ্যমে মুখে নিয়ত পড়ার প্রথা চালু রয়েছে। অথচ এর কোন শারঈ ভিত্তি নেই। ছালাতের শুরু হ’তে শেষ পর্যন্ত পুরা অনুষ্ঠানটিই আল্লাহর ‘অহি’ দ্বারা নির্ধারিত। এখানে ‘রায়’ বা ‘ক্বিয়াস’-এর কোন অবকাশ নেই। অতএব মুখে নিয়ত পাঠ করা ‘সুন্দর’ নয় বরং ‘বিদ‘আত’- যা অবশ্যই ‘মন্দ’ ও পরিত্যাজ্য (ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) পৃ. ৪৬ টীকা-১১২ দ্র.)






প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : বীর্য কি পবিত্র? ধোয়ার পরও কিছু অংশ লেগে থাকলে উক্ত কাপড়ে ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/১১৭) : আল্লাহ সবকিছু জানেন ও দেখেন। এছাড়া পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাযার বছর পূর্বেই তিনি ভাগ্য এমনকি জান্নাতী না জাহান্নামী তা নির্ধারণ করে রেখেছেন। এক্ষণে বান্দার কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য কিরামান কাতেবীন নিয়োগ করার পিছনে কি তাৎপর্য আছে?
প্রশ্ন (৭/৭) : মসজিদে অনেক সময় মুছল্লী পাওয়া যায় না। দেখা যায়, মুওয়াযযিন আযান দিয়ে একা ছালাত পড়ে সময়ের পূর্বেই বাসায় চলে গেছেন। সেক্ষেত্রে মসজিদে একাই ছালাত আদায় করতে হয়। এভাবে একাকী ছালাত আদায় করলে জামা’আতের নেকী পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/১৩৯) : জনৈক ব্যক্তি দু’জন স্ত্রী রেখে মারা গেছেন। একজন নিঃসন্তান, অপরজনের ৩ ছেলে। এক্ষণে সম্পদ কিভাবে বণ্টিত হবে? - -আতীকুল ইসলাম, উপশহর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৯/৩৭৯) : জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন যে, রামাযান মাসে ইতিকাফকারী দু’টি হজ্জ ও দু’টি ওমরাহ করার সমপরিমাণ নেকী পায়। এর কোন সত্যতা আছে কি? - -মাহমূদ সরদার, পিরোজপুর।
প্রশ্ন (২০/২২০) : জনৈকা নারী তিন তালাক প্রাপ্তা হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে। কিন্তু কিছুদিন পর দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে তৃতীয় স্বামী গ্রহণ করে। কিছুদিন পর তৃতীয় বিবাহও ভেঙ্গে যায়। উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় স্বামী আনুষ্ঠানিক কোন তালাক দেয়নি। তবে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হ’লে সে অস্বীকৃতি জানায় এবং অন্যত্র বিবাহ হ’লে তার কোন আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। এক্ষণে সে প্রথম স্বামীর সাথে নতুনভাবে সংসার করতে পারবে কী?
প্রশ্ন (১২/২১২) : জুম‘আর ছালাতে ইমামের তাশাহহুদে থাকাবস্থায় আমি জামা‘আতে শরীক হই। এখন কি আমি চার রাক‘আত যোহর আদায় করব? না-কি ২ রাক‘আত জুম‘আর ছালাত আদায় করব? - -আনাস, সৈয়দপুর, নীলফামারী।
প্রশ্ন (১৪/২৫৪) : রোগমুক্তি বা পরীক্ষায় ভালো করার আশায় কুরআন তেলাওয়াত, দান-ছাদাক্বা, ছিয়াম ইত্যাদি পালন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩৮) : নারীরা পিতা, ভাই, সন্তান তথা মাহরাম পুরুষদের সামনে কতটুকু পরিমাণ সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবে? জনৈক আলিম বলেন, মুখ ও হস্তদ্বয় ব্যতীত অন্য কিছু তাদের সামনে প্রকাশ করা যাবে না। একথা সঠিক কি? - -বিলকীস আরা, নরেন্দ্রপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩২/৩২) : মাছ চাষের জন্য পুকুরে মানুষের মলমূত্র নিক্ষেপ করা কি শরী‘আতসম্মত?
প্রশ্ন (৩/১২৩) :যমযম পানির সাথে অন্য পানি মিশ্রণ জায়েয হবে কি? বা যমযমের সাথে অন্য পানি মিশিয়ে পান করলে কোন উপকার পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : জনৈক বক্তা বলেন, সাতদিন দুধপান করলে শিশু দুধ সন্তান হিসাবে গণ্য হবে। এর সত্যতা আছে কি?
আরও
আরও
.