উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন চার ব্যক্তি ঝগড়া করবে। (১) বধির (الأصم) (২) নির্বোধ (الأحمق) (৩) অতিবৃদ্ধ (الهرم) এবং (৪) যে ইসলামের দাওয়াত পায়নি (من ماة في الفةرة)। বধির বলবে, হে আমার প্রতিপালক! ইসলাম এসেছে, অথচ আমি কিছুই শুনতে পাইনি। নির্বোধ বলবে, ইসলাম আগমন করেছে, অথচ শিশুরা আমার দিকে পশুর বিষ্ঠা নিক্ষেপ করেছে। অতিবৃদ্ধ বলবে, ইসলাম আগমন করেছে, অথচ আমি কিছুই বুঝতে সক্ষম হইনি। আর ইসলামের দাওয়াত না পাওয়া ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ! তোমার কোন দাওয়াতদাতা আমার নিকট আসেনি। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের নিকট হ’তে আনুগত্যের শপথ নিবেন। এরপর তাদের নিকট একজন দূত প্রেরণ করবেন এই মর্মে যে, তোমরা আগুনে প্রবেশ কর। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার হাতে আমার জীবন তাঁর কসম করে বলছি, যে ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে, আগুন তার উপর ঠান্ডা ও শান্তিদায়ক হয়ে যাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে না, তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৮৪১; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৪৩৪)

উক্ত হাদীছের আলোকে ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, হাফেয ইবনু কাছীর, ইবনু হাজার, শায়খ উছায়মীন সহ বহু বিদ্বান ফৎওয়া প্রদান করেছেন (মাজমূঊল ফাতাওয়া ৪/৩০৩-৪; আহকামু আহলিল যিম্মাহ ২/১১৪৮-৫২; ফাৎহুল বারী ৩/২৪৬; তাফসীরে ইবনু কাছীর ৫/৫৮; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/০৭)। সর্বোপরি এদের বিচার সম্পর্কে আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।

তবে إنَّمَا أُجَازِي الْعِبَادَ عَلَى قَدْرِ عُقُولِهِمْ ‘আমি মানুষকে তার জ্ঞান অনুযায়ী প্রতিদান দেব’ বলে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সেটি মুনকার বা যঈফ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৩১৯)। আলবানী বলেন, হাদীছটি জাবের (রাঃ)-এর নিজস্ব বক্তব্য হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। সম্ভবতঃ তিনি আহলে কিতাবদের নিকট থেকে বর্ণনাটি শুনেছিলেন। অতএব এ ঘটনা বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের প্রয়োজন নেই (সিলসিলা যঈফাহ, ১৪/৮৭৯ পৃ.)






প্রশ্ন (৩৭/১৯৭) : চকলেট সহ বিভিন্ন খাবারের লোভ দেখিয়ে শিশুদের মসজিদে এনে ছালাত পড়ানো যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/২৯৯) : স্বামী-স্ত্রী জামা‘আতবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরামর্শ অগ্রাধিকার পাবে, না-কি ইস্তেখারার ছালাত অগ্রাধিকার পাবে?
প্রশ্ন (৩৮/২৭৮) : আমার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী মারা যাওয়ার পর তার বিপুল সম্পদ আমরা অনেকদিন যাবৎ ভোগ করে আসছি। পরবর্তীতে আত্মীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি যে তিনি সরকারী প্রতিষ্ঠানের জিএম থাকায় অবৈধভাবে অনেক সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান সম্পদের উৎস সম্পর্কে আমরা অজ্ঞাত। এক্ষণে এসব ভোগ করা আমার মা বা আমাদের জন্য জায়েয হবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (২৪/১৮৪) : রুকূ অবস্থায় মুছল্লীর দৃষ্টি কোন দিকে থাকবে? - -মামূন, আরএমপি, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৩/২৩৩) : আমার মা এক আলেম-এর কাছে গিয়ে একটি কাঠালের পাতা পড়ে এনেছেন, যাতে আমি আসন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ’তে পারি। তিনি চান আমি যেন তা কোমরে সর্বাবস্থায় বেঁধে রাখি। উক্ত আলেম এরূপ চিকিৎসা নাকি স্বপ্নে পেয়েছেন। এটা সঠিক কি?
প্রশ্ন (৩৬/২৩৬) : বিবাহের পূর্বে দেনমোহর নিয়ে অভিভাবকের সাথে পাত্রের বনিবনা না হওয়ায় বিবাহ ভেঙ্গে যায়। পরে তারা পালিয়ে গিয়ে কাযী অফিসের মাধ্যমে বিবাহ করে। কিছুদিন পর যুবকটি তাকে তিন মাসে তিন তালাক দেয়। এক্ষণে তারা পুনরায় সংসার করতে ইচ্ছুক। তাদের জন্য করণীয় কি? - আবু তাহের খান, ভালুকা, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (১৫/৩৫৫) : আমাদের এখানে পীরের মাজারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী ওরস হয়। এ উপলক্ষে মেলা এবং বিরানী খাওয়ানো হয়। উক্ত মেলা থেকে কিছু কেনাকাটা বা তাদের বিতরণকৃত বিরানী খাওয়া যাবে কি? - -আতীকুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
প্রশ্ন (১৮/১৭৮) : জমির মালিকের সাথে চুক্তি করা হ’ল যে বিঘা প্রতি জমির দাম ২৭ লাখ করে মালিককে দেওয়া হবে। এর উপর ক্রেতার নিকট থেকে দালাল যত বেশী মূল্য আদায় করতে পারবে সেটা তার লাভ। উভয়ের সন্তুষ্টিতে এরূপ চুক্তি করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৯/১৬৯) : নিজের ব্যভিচারে জন্মগ্রহণ করা মেয়েকে বিবাহ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : জুম‘আর ছালাত আদায়রত অবস্থায় মাইকের লাইন বন্ধ হয়ে গেলে এবং কিছু মুছল্লী ইমাম ছাহেবের আওয়ায শুনতে না পেলে তাদের জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩/১২৩) : পোষা বিড়ালকে নিউটার-স্প্রে তথা প্রজনন ক্ষমতা স্থায়ীভাবে নষ্ট করা হ’লে তার আক্রমণাত্মক আচরণ কমে, শান্ত হয় এবং বিভিন্ন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেয়ে দীর্ঘায়ু লাভ করে। এটা করা কি জায়েয হবে?
আরও
আরও
.