উত্তর : ঘুষের কারবার সম্পূর্ণ হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষদাতা, ঘুষ গ্রহীতা ও ঘুষের দালাল সকলের উপর লা‘নত করেছেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, বায়হাক্বী ইত্যাদি মিশকাত হা/৩৭৫৩-৫৫, সনদ ছহীহ)। অতএব কষ্টকর হ’লেও ঘুষ দেওয়া বা ঘুষের কাজে মধ্যস্ততা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে ঘুষ দেওয়া ছাড়া নিজের বৈধ হক আদায়ে একান্ত নিরুপায় হ’লে দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঘুষগ্রহীতাই পাপের বোঝা বহন করবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার নিকট কেউ কিছু চাইলে আমি তাকে দেই। আর তা নিয়ে সে হারাম কাজে লিপ্ত হয়। অথচ তা তাদের জন্য জাহান্নাম। ওমর (রাঃ) বললেন, তাহ’লে আপনি তাদের দেবেন কেন? তিনি বললেন, তারা না পেলে যাবে না (এজন্য দেই)। আর আল্লাহ কৃপণতাকে অপসন্দ করেন’ (আহমাদ হা/১১১৩৯; ছহীহুত তারগীব হা/৮৪৪)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হাবশায় পলায়নকালে সন্ত্রাসীরা তাকে আটক করলে তিনি তাদেরকে দুই দিরহাম উপহার দেন। তাতে তারা তাকে ছেড়ে দেয় (বায়হাক্বী হা/২০২৬৯, ১০/২১ পৃ.; ইবনু আবী শায়বাহ হা/২২৪২৪)। উক্ত হাদীছদ্বয়ের উপর ভিত্তি করে ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনু হযম, সুবকী, সুয়ূত্বী, যারকাশী প্রমুখ বিদ্বান বলেছেন, এরূপ বাধ্যগত অবস্থায় বখশিশ বা ঘুষ দেওয়া যাবে। আর এক্ষেত্রে ঘুষগ্রহীতা গুনাহগার হবে, ঘুষদাতা নয় (মাজমূউল ফাতাওয়া ২৯/২৫২, ৩১/২৭৮; মুহাল্লা ৮/১১৮ মাসআলা নং ১৬৩৮; আল-মাওসূআতুল ফিক্বহিয়া ৬/১৬৫-১৬৭)। তবে যতদূর সম্ভব এ পেশা ব্যতীত অন্য কোন বৈধ উপায় অবলম্বন করা তাক্বওয়াশীল মুমিনের জন্য কর্তব্য।

প্রশ্নকারী : শরীফুল আলম, সিলেট।







বিষয়সমূহ: হালাল-হারাম
প্রশ্ন (৩০/৩৯০) : রাসূল (ছাঃ)-এর মোট কতবার বক্ষবিদারণ হয়েছিল? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৩/৯৩) : সফর অবস্থায় ছালাত ক্বছর করতেই হবে এরূপ কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি? - -মেহদী হাসান, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (১৪/১৩৪) : চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্য গ্রহণের সময় সহবাস করলে কোন ক্ষতি হয় কি?
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : পিতাকে কষ্ট দেওয়া সন্তানের জন্য মহাপাপ। কিন্তু পিতা যদি সন্তানকে কষ্ট দেয়, তাহ’লে তাঁর শাস্তি কি? পিতা আমাকে ৮ বছর পূর্বে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। বহুবার তার নিকটে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু তিনি ও মা-ভাই-বোন সকলে মিলে আমাকে স্থান দেয়নি। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -রতন আলী, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (২০/১০০) : কা‘বা গৃহের দিকে দৃষ্টিপাত করা কি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত? ছহীহ হাদীছের আলোকে জানতে চাই। - -রায়হান কবীর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩২/২৩২) : সকল নবীর নামের শেষে ‘আলাইহিস সালাম’ এবং আমাদের নবীর নামের শেষে ‘ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা হয়। এর কারণ কি? এ মর্মে কোন দলীল আছে কি? ছাহাবায়ে কেরাম এভাবে ব্যবহার করতেন কি?
প্রশ্ন (৩৪/৪৭৪) : প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সাগর, নদী, পাহাড় পর্বত, খনিজ সম্পদ ইত্যাদিকে প্রকৃতির সৃষ্টি বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৩৩৫) : জনৈক ব্যক্তি খুবই আমলদার ছিলেন। তিনি মারা যাওয়াতে অনেকে কষ্টও পেয়েছেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন গোঁড়া বিদ‘আতী। তার কোন আমল কাজে আসবে কি?
প্রশ্ন (৬/৮৬) : দাফনের প্রাক্কালে নারী বা পুরুষ মাইয়েতের বুকের উপর নিজের হাত রেখে ইমাম ছাহেব ‘বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ বলবেন। এ বিধানের কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৮/১৮) : ‘আদম সন্তানের পেট মাটি ব্যতীত পূর্ণ হবে না’ মর্মে হাদীছটির ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন (৪/৮৪) : অতি দরিদ্র হওয়ার কারণে আব্দুল্লাহ আনছারী ও তার স্ত্রীর একটাই কাপড় ছিল। ঘরের মধ্যে গভীর গর্তে স্ত্রীকে উলঙ্গ অবস্থায় রেখে মসজিদে ছালাত আদায় করতে যেতেন। ছালাত আদায় করে আসলে তিনি তার স্ত্রীকে কাপড় দিয়ে দিতেন আর তিনি উলঙ্গ হয়ে গর্তে ঢুকে পরেন। তখন স্ত্রী ঐ কাপড়ে ছালাত আদায় করতেন। উক্ত ঘটনা কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৮/৪৭৮) : আমাদের এখানে বর্তমানে যোহরের ছালাতের সময় হয় ১২ টা ৫ মিনিটে। কিন্তু আশপাশের আহলেহাদীছ, হানাফী সব মসজিদে ১টা থেকে ১টা ৩০ এর মধ্যে ছালাত হয়। এক্ষণে আমার জন্য বাড়ীতে ছালাত আদায় করে নিতে হবে কি? - -তাহমীদুল হক, মনোহারদী, নরসিংদী।
আরও
আরও
.