উত্তর : আল্লাহ যা করেন তা বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন (মুসলিম হা/৭৭১)। তিনি কারও উপর বিন্দু পরিমাণ যুলুম করেন না (নিসা ৪/৪০)।
এক্ষণে বহু শিশু বিকলাঙ্গ বা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মায়। এরা
স্বাস্থ্যবান লোকদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ। তারা নিজেদের সুস্বাস্থ্যের জন্য
আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে কি-না এবং তারা দুর্বলদের প্রতি তাদের মানবিক
দায়িত্ব পালন করে কি-না। এই পরীক্ষা তার পরিবার, সমাজ ও সরকার সবার
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
এই পরীক্ষার বিনিময়ে হয়ত আল্লাহ তার জন্য হেদায়াত ও জান্নাতের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ বলেছেন, আমি যদি আমার কোন বান্দাকে তার অতি প্রিয় দু’টি বস্ত্ত (অর্থাৎ সে ব্যক্তির চক্ষুদ্বয়) সম্পর্কে পরীক্ষায় ফেলি, আর তাতে সে ধৈর্য ধরে, তাহ’লে আমি তাকে সে দু’টির বিনিময়ে জান্নাত দান করব’ (বুখারী হা/৫৬৫৩)।
সর্বোপরি প্রকৃত ঈমানদারের জন্য ভাল ও মন্দ উভয়টিই কল্যাণকর হয়ে থাকে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুমিনের ব্যাপারটি কতই না বিস্ময়কর! তার সমস্ত কাজই তার জন্য কল্যাণকর। যদি তাকে কোন মঙ্গল স্পর্শ করে, সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি তাকে কোন মন্দ স্পর্শ করে, সে ছবর করে। আর এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়’ (মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭)।