উত্তরঃ দু’টি যঈফ হাদীছের ভুল ব্যাখ্যা করে উক্ত ফযীলত সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন ‘ছালাত, ছিয়াম ও যিকিরকে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার উপরে ৭০০ গুণ নেকী বৃদ্ধি করা হয় (আবুদাঊদ, ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১৪)। অন্যটি হ’ল, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় টাকা প্রেরণ করল এবং নিজ বাড়ীতে অবস্থান করল সে প্রত্যেক দিরহামের বিনিময়ে ৭০০ দিরহামের নেকী পেল। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল এবং খরচ করল, সে ব্যক্তি প্রত্যেক দিরহামের বিনিময়ে ৭ লক্ষ নেবী পেল (ইবনু মাজাহ, ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৪, মিশকাত হা/৩৮৫৭ ‘জিহাদ’ অধ্যায়)। উক্ত দুই হাদীছের আলোকে প্রত্যেক সৎ আমলকে গুণ করে (৭০০´৭,০০,০০০) তারা ৪৯ কোটি বানিয়ে থাকে।

প্রথমতঃ উক্ত দু’টি হাদীছই যঈফ (যঈফ আবুদাঊদ হা/২৪৯৮; যঈফ ইবনু মাজাহ হা/২৭৬১)। দ্বিতীয়তঃ দুই হাদীছে দুই রকম ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু একত্রিত করে গুণ করার এখতিয়ার কে দিল? প্রতি নেকীর বিনিময়ে ঊনপঞ্চাশ কোটি নেকী পেলে তো রাসূল (ছাঃ)ই বলে যেতেন। এ ধরনের উদ্ভট ফযীলতের ধোঁকা থেকে বেঁচে থেকে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত ফযীলতের আমল সমূহ করা কর্তব্য।

তাবলীগ জামা‘আতের লোকেরা এরূপ বহু ফযীলতের কথা বলে থাকে। যার সিংহভাগই মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রচলিত চিল্লা পদ্ধতির দাওয়াত সুন্নাতী তরীকার দাওয়াত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), তাঁর ছাহাবীগণ এবং তাবে‘ঈগণের যুগ থেকে শুরু করে বিগত একশত বছর পূর্বেও এ পদ্ধতি সম্পর্কে মুসলমানগণ জানতেন না। এটি একটি বিদ‘আতী পদ্ধতি। এছাড়া এ জামা‘আতের সাথে যারা বের হন, তারা বহু মিথ্যা কারামতের বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী এবং জাল-যঈফ হাদীছ বর্ণনা করে থাকেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮)






বিষয়সমূহ: আমল
প্রশ্ন (৫/৩৬৫) : দ্বিতল বিশিষ্ট মসজিদে জামা‘আতে ছালাতের রুকূ ধরার জন্য সামনের কাতার খালি রেখেই পেছনের কাতারে দাঁড়ানো এবং নীচ তলায় কাতার ফাঁকা রেখেই উপরের তলায় গিয়ে ছালাত আদায় করার হুকুম কি? - -তাওয়াবুল হক, ভদ্রা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৩/১৯৩) : নিয়মিতভাবে বিতর ছালাত আদায় না করলে সে কি কবীরা গুনাহগার হিসাবে গণ্য হবে? - -আবু যাহরাহ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (২৫/৪৬৫) : হজ্জ বা ওমরাহর সময় অনেকে সারা দিনে বার বার কা‘বাঘর তাওয়াফ করতে থাকেন। এভাবে ইচ্ছামত তাওয়াফ করা যাবে কি? তাওয়াফ করার ফযীলত কি?
প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : আমাদের এলাকায় হিন্দুদের সামাজিক উন্নয়নমূলক সংগঠন আছে। তারা এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদে অনুদান দিতে চাচ্ছে। এক্ষণে হিন্দুদের অনুদান গ্রহণ করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/১৫০) : অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে এসে জনৈক বুযর্গ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাবে সে শহীদ হয়ে যাবে, কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে এবং সকাল-সন্ধ্যা তাকে জান্নাতের রিযিক দেওয়া হবে’। উক্ত হাদীছের সনদ সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৩/৪১৩) : ইস্তেখারাহ কি? নিজের কোন বিষয়ে অন্য কেউ ইস্তেখারাহ করতে পারবে কি? না নিজের বিষয় নিজেকেই করতে হবে?
প্রশ্ন (২৬/২২৬) : স্বামী স্ত্রীকে মোহরানা হিসাবে ৫ বিঘা জমি দান করে। কিন্তু পরবর্তীতে স্ত্রী নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায়। এখন স্ত্রীর রেখে যাওয়া সেই ৫ বিঘা জমি থেকে স্বামী মীরাছ হিসাবে কিছু পাবে কি? পেলে কতটুকু পাবে? - -আব্দুল খালেক, বগুড়া।
প্রশ্ন (১১/৩৭১) : কোন নারী বা পুরুষ কর্তৃক একে অপরকে সরাসরি বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া শরী‘আতসম্মত কি? - আজমাল হোসাইন, পুঠিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২/১৬২) : জেনে-শুনে সুদ-ঘুষ গ্রহীতা, মদ বিক্রেতা ইত্যাদি হারাম উপার্জন কারী ব্যক্তিদের অর্থ মসজিদ নির্মাণের জন্য গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৯/৩২৯) : আমি বাংলাদেশ থেকে মক্কায় গিয়ে তাদের সাথে ঈদ করেছি। এতে আমার ২৮টি ছিয়াম হয়েছে। এক্ষণে আমার একটি ছিয়ামের জন্য করণীয় কি? - -কাযী হারূণুর রশীদ, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : আমাদের এখানে কসাইয়ের পেশায় যুক্ত অধিকাংশ মুসলমান ছালাত আদায় করে না। আবার পৌরসভা থেকে নিযুক্ত বিদ‘আতী ইমাম তা যবেহ করে। এই গোশত খাওয়া যাবে কি? - -ইসমাঈল হোসাইন, মাগুরা।
প্রশ্ন (১২/২৯২) : আমি সিঙ্গাপুর জাতীয় মসজিদে মিম্বারের ৭টি স্তর এবং মালয়েশিয়া জাতীয় মসজিদে ১২টি স্তর দেখেছি। মূলত মিম্বরে কয়টি স্তর থাকা সুন্নাত? - -আব্দুল লতীফ, সিঙ্গাপুর।
আরও
আরও
.