উত্তর: প্রথমতঃ ভাইকে সঠিক হিসাব প্রদানের জন্য নিজে বা কাউকে দিয়ে অনুরোধ জানাবে এবং সামাজিকভাবে চাপ সৃষ্টি করবে। কারণ ইসলাম পারস্পরিক কল্যাণকামিতার ধর্ম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দ্বীন হ’ল কল্যাণ কামনার নাম। আমরা বললাম, কার জন্য? তিনি বললেন, আললাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিমদের শাসকদের জন্য এবং মুসলিম জনসাধারণের জন্য (মুসলিম হা/৫৫; মিশকাত হা/৭৯৬৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুমিন তাঁর ভাইয়ের জন্য আয়নাস্বরূপ। সে তার কোন ধরনের ভুল দেখলে সংশোধন করে দেয়’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/২৩৭; ছহীহাহ হা/৯২৬)। দ্বিতীয়ত: হক আদায় করা সম্ভব না হ’লে ভাইকে সম্ভবপর ক্ষমা করে দিবে। কেননা ক্ষমা আল্লাহর অন্যতম গুণ, যে গুণে গুণান্বিত হ’তে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। আর ক্ষমা করতে না পারলে পরকালে পাওয়ার আশায় ছেড়ে দিবে। পরকালে এর চেয়ে উত্তম বিনিময় পাবেন ইনশা‘আল্লাহ। আর যারা অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে তারা বান্দার হক বিনষ্টের অপরাধে অপরাধী হবে। এজন্য ক্বিয়ামতের দিন তাকে নিজ ছওয়াব থেকে এর বিনিময় আদায় করতে হবে। যদি ছওয়াব শেষ হয়ে যায়, তবে পাওনাদারের গুনাহগুলো তার আমলনামায় যোগ হবে। অতঃপর সে নিঃস্ব অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে’ (মুসলিম হা/২৫৮১; মিশকাত হা/৫১২৭)।
প্রশ্নকারী : আবু তাসনিয়া ফারিন, সাতক্ষীরা।