উত্তর :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নারীকে বিবাহ করা হয় চারটি কারণে : (১) তার
সম্পদের কারণে (২) তার বংশ মর্যাদার কারণে (৩) তার সৌন্দর্যের কারণে এবং
(৪) তার দ্বীনদারীর কারণে। এর মধ্যে তোমরা দ্বীনদার নারীকে অগ্রাধিকার দাও।
নইলে ধ্বংস হও’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮২, ‘বিবাহ’ অধ্যায়)।
অতঃপর তিনি ছেলে সম্পর্কে বলেন, যখন তোমাদের কাছে এমন কোন ছেলে বিবাহের
পয়গাম দেয়, যার দ্বীনদারী এবং সচ্চরিত্রতার ব্যাপারে তোমরা সন্তুষ্ট, তখন ঐ
ছেলের সাথে তোমাদের মেয়েকে বিয়ে দাও। যদি না দাও, তাহ’লে পৃথিবীতে ফিৎনা ও
বড় ধরনের ফাসাদ সৃষ্টি হবে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)।
উপরোক্ত দু’টি হাদীছে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিবাহের মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে। এক্ষণে দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাকীগুলি যথাসম্ভব সামঞ্জস্য রেখে পারস্পরিক বিবাহ সম্পাদন করাই শরী‘আত সম্মত। প্রশ্নে বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী পিতা-মাতার উক্ত বিয়েতে অসম্মতি জানানো শরী‘আতের অনুকূলে হয়নি। কেননা শুধুমাত্র গরীব হওয়ার কারণে বিয়েতে অসম্মতি জানানো ঠিক নয়। সুতরাং ছেলের উচিৎ হবে পিতা-মাতাকে সাধ্যমত বুঝানো এবং পিতা-মাতারও উচিৎ হবে বিষয়টি ধৈর্যের সাথে অনুধাবন করা। অন্যথায় মেয়েটির সাথে ছেলেটির বিয়ে হয়ে গেলে শরী‘আতের তরফ থেকে তাতে কোন বাধা থাকবে না।