
উত্তর : আল্লাহ বান্দার কর্ম দেখে হাসেন (বায়হাক্বী, আসমা ওয়া ছিফাত, ‘আল্লাহর হাসি’ অনুচ্ছেদ ২/২১৬-২৪)।
যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ ঐ দুই ব্যক্তিকে দেখে হাসবেন যারা
একে অপরকে হত্যা করেছে, অতঃপর দু’জনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছে। একজন আল্লাহর
রাস্তায় লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। অতঃপর হত্যাকারীর তওবা আল্লাহ কবুল
করেছেন এবং সে শহীদ হয়েছে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৮০৭ ‘জিহাদ’ অধ্যায়)।
অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তিন ব্যক্তিকে ভালবাসেন ও তাদের
দেখে হাসেন এবং তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দেন। (১) যে ব্যক্তি আল্লাহর
রাস্তায় যুদ্ধ করে শহীদ হয় অথবা যুদ্ধে সাহায্য করে (২) যে ব্যক্তির
সুন্দরী স্ত্রী ও সুন্দর বিছানা রয়েছে। অথচ সবকিছু ছেড়ে শেষ রাতে উঠে
তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করে (৩) যে ব্যক্তি সফরে কাফেলার সঙ্গে থাকা
অবস্থায় ভাল থাক বা কষ্টে থাক ঘুম থেকে উঠে ছালাত আদায় করে’ (হাকেম ১/২৫; ছহীহাহ হা/৩৪৭৮)। আল্লাহর আকার ও তাঁর নীচের আসমানে অবতরণ বিষয়ে অনেক ছহীহ দলীল রয়েছে (মায়েদাহ ৬৪; ছোয়াদ ৭৫; কলম ৪২; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২২৩)।
তবে তিনি কিভাবে অবতরণ করেন সে সম্পর্কে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। কারণ এর
অর্থ স্পষ্ট কিন্তু ধরণ অস্পষ্ট (معناه معلوم وكيفيته مجهول) (উছূলুল ই‘তিক্বাদ ৩/৩৮৭-এর টীকা দ্রঃ; আক্বীদাতুস সালাফ. পৃঃ ২৯; ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ ডক্টরেট থিসিস, পৃঃ ১১৭)।