উত্তর : কবীরা গোনাহ অর্থ মহা পাপ। (১) যার শীর্ষে রয়েছে আল্লাহর সাথে শিরক করা (২) এরপরে ঐসব গোনাহ যার শাস্তি কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা নির্ধারিত। যেমন হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, জুয়া, লটারী, মদ্যপান, মিথ্যা সাক্ষ্য দান ইত্যাদি (৩) যেসব পাপের জন্য আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ) অভিসম্পাৎ করেছেন। যেমন ঘুষ খাওয়া ও দেওয়া, হিল্লা বিয়ে করা (৪) যেসব পাপ মানুষকে অধিকতর বড় পাপে প্ররোচিত করে। যেমন নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, সব ধরনের নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা, মিথ্যা শপথ করা ইত্যাদি (৫) ছগীরা গোনাহ বারবার করা। যেমন কথায় কথায় আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম খাওয়া, দাড়ি শেভ করা ইত্যাদি। কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে কাবীরাহ গোনাহের সংখ্যা ৭ থেকে ৭০০-এর কাছাকাছি। অনুতপ্ত হয়ে তওবা করা ব্যতীত যা মাফ হয় না। নিম্নে বিশেষ কয়েকটি উল্লেখ করা হ’ল :

(১) শিরক করা (২) কবরে সিজদা করা (৩) বিদ‘আত করা (৪) গনক এবং জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করা (৫) আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবেহ ও মানত করা (৬) পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া (৭) তাক্বদীরকে অবিশ্বাস করা (৮) ছালাত ও যাকাত পরিত্যাগ করা (৯) অকারণে রামাযানের ছিয়াম পালন না করা (১০) সামর্থ্যবান ব্যক্তির হজ্জ না করা (১১) যুলুম করা (১২) হত্যা করা (১৩) আত্মহত্যা করা (১৪) চুরি করা (১৫) ডাকাতি করা (১৬) জাদু করা (১৭) ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা (১৮) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া (১৯) ওযনে কম দেওয়া (২০) হারাম খাওয়া (২১) খিয়ানত করা (২২) হালালা করা (২৩) বেপর্দা চলা (২৪) যেনা করা (২৫) যিনার অপবাদ দেয়া (২৬) নারীতে-নারীতে ও পুরুষে পুরুষে ব্যভিচার করা (২৭) স্ত্রীর পায়খানার রাস্তায় সঙ্গম করা (২৮) মাসিক অবস্থায় সহবাস করা (২৯) মহিলা পুরুষের বেশ ও পুরুষ মহিলার বেশ ধারণ করা (৩০) পুরুষের রেশমী কাপড় এবং স্বর্ণালংকার পরা (৩১) মদ্য পান করা (৩২) জুয়া খেলা (৩৩) সূদ গ্রহণ, প্রদান এবং তা লেখা ও তার জন্য সাক্ষী হওয়া (৩৪) ঘুষ গ্রহণ ও প্রদান করা (৩৫) মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা কসম খাওয়া (৩৬) অঙ্গিকার ভঙ্গ করা (৩৭) অহংকার করা (৩৮) পুরুষের কাপড় পায়ের গিটের নিচে পরিধান করা (৩৯) অত্মীয়তা ছিন্ন করা (৪০) শরীয়তের খেলাফ কাজ করা (৪১) রিয়া বা লোকদেখানো আমল করা (৪২) গীবত করা (৪৩) তোহমত দেওয়া (৪৪) অভিশাপ দেয়া (৪৫) দুনিয়ার উদ্দেশ্যে দ্বীন শিক্ষা করা (৪৬) দুনিয়ার লোভে দ্বীন বিক্রি করা (৪৭) বিপদাপদে বা কারো মৃত্যুতে মাথায় ও বুকে আঘাত করা ও চিৎকার করে কাঁদা (৪৮) পেশাব থেকে বেঁচে না থাকা (৪৯) যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা (ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী প্রণীত আল-কাবায়ের গ্রন্থ অবলম্বনে)






বিষয়সমূহ: পাপ
প্রশ্ন (১৪/১৩৪) : কারো মাঝে ঈমান ভঙ্গের ১০টি মৌলিক কারণের কোন একটি দেখলে তাকে প্রকাশ্যে কাফের বলা যাবে কি? নাকি গোপনে কাফের ধারণা পোষণ করতে হবে?
প্রশ্ন (৩২/৪৭২) : ফরয হজ্জ পালনের পূর্বে ওমরা করা যাবে কি? - -মাহবূবুর রহমান, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৮/৪৮) : জনৈক ব্যক্তি ওযূর ধারাবাহিকতা এবং ফরয গোসলের ক্ষেত্রে বহুদিন যাবৎ বড় ধরণের ভুলের মধ্যে ছিল। এখন তা বুঝতে পারার পর তার পূর্বের আমলের অবস্থা কি হবে? এক্ষেত্রে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : পেশাব-পায়খানার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও জামা‘আত ছুটে যাবে বলে জামা‘আত ধরা ঠিক হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : জনৈক ব্যক্তি একটি গার্মেন্টসে কাজ করে, যেখানে তার দায়িত্ব হ’ল কর্মীদের কাজ পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের দিয়ে টার্গেট পূরণ করানো। অনেক সময় কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করে না। তখন সে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বাধ্য হয় এবং অশিক্ষিত হওয়ায় মন্দ ভাষাও ব্যবহার করতে হয়। অন্যথা তারা কাজ করে না। টার্গেট পূরণ করতে না পারলে মালিকও মন্দ ভাষা ব্যবহার করেন। সে জানে ইসলামে গালাগালি নিষিদ্ধ। এক্ষণে একাজ করা তার জন্য জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : ঘুমের মধ্যে ভয় লাগায় জনৈক মাওলানার নিকটে চিকিৎসা নেই। তিনি একটি সূরার নকশা দিয়ে সেটি বালিশের নীচে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষণে কুরআনের আয়াত এভাবে রাখা যাবে কি? - -তুষার আহমাদ*, পুঠিয়া, রাজশাহী ।[শুধু ‘আহমাদ’ নাম রাখুন। ‘তুষার’ নয় (স.স.)।]
প্রশ্ন (৩৯/৪৩৯) : সূরা বাক্বারাহ ১১৫ নং আয়াতের সঠিক অর্থ জানতে চাই। وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللهِِ
প্রশ্ন (৩৯/৩৫৯) : জনৈক ব্যক্তি গোসল ফরয হওয়া অবস্থায় মারা গেলে স্থানীয় মুরববীদের পরামর্শে তাকে দু’বার গোসল দেয়া হয়। এটা সুন্নাহসম্মত হয়েছে কি?
প্রশ্ন (৩/২০৩) : জনৈক ব্যক্তি ইমাম হওয়ায় যুবতী মেয়েদেরকে বাধ্য হয়ে পড়াতে হয়। এক্ষণে কিভাবে পড়ালে শরী‘আত সম্মত হবে?
প্রশ্নঃ (৯/৯) : যাকারিয়া (আঃ)-কে তার সম্প্রদায়ের লোকেরা হত্যা করার জন্য ধাওয়া করলে তিনি গাছের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। গাছ তাকে আশ্রয় দেয়। শয়তান তাদেরকে এ খবর জানিয়ে দিলে গাছটিকে তারা করাত দিয়ে চিরে ফেলে। এ ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩২/৩২) : ছালাতে কিংবা ছালাতের বাইরে হাই উঠলে করণীয় কি? ‘লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বা আসতাগফিরুল্লাহ’ বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/৪) : মৃত্যুর সময় তওবা করলে তা কোন উপকারে আসবে কি?
আরও
আরও
.