
উত্তর :
কাফের বা অমুসলিম দুনিয়াতে কোন সৎকর্ম করলে এর প্রতিদান দুনিয়াতেই পাবে,
পরকালে নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা অবিশ্বাসী হয়েছে এবং
অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের কারু কাছ থেকে যমীন ভর্তি
স্বর্ণও গ্রহণ করা হবে না, যদি তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তির বিনিময়ে তা
দিতে চায়। ওদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি এবং ওদের কোন সাহায্যকারী
নেই’ (আলে ইমরান ৩/৯১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কাফের
যদি দুনিয়াতে কোন সৎকর্ম করে তবে এর প্রতিদান স্বরূপ দুনিয়াতেই তাকে
জীবনোপকরণ প্রদান করা হয়ে থাকে। আর মুমিনদের নেকী আল্লাহ তা‘আলা আখেরাতের
জন্য জমা রাখেন এবং আনুগত্যের পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহ তাদেরকে পৃথিবীতেও
জীবিকা প্রদান করে থাকেন’ (মুসলিম হা/২৮০৮)। আয়েশা (রাঃ)
বলেন, জাহেলী যুগে আব্দুল্লাহ বিন জুদ‘আন বড় অতিথিবৎসল ছিল। সে মযলূমকে
সাহায্য করত এবং অভুক্তকে খাদ্য দান করত। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর
রাসূল! ঐ ব্যক্তির সৎকর্ম তার পরকালে কোন ফায়েদা দিবে কি? জবাবে রাসূল
(ছাঃ) বললেন, না। কেননা ঐ ব্যক্তি একদিনের জন্যেও বলেনি, ‘হে আমার
পালনকর্তা! শেষ বিচারের দিন তুমি আমার গোনাহ সমূহ ক্ষমা কর’ (মুসলিম হা/২১৪)।
এতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, কাফের যখন মুসলিম হয়, তখন তার জাহেলী যুগের
সৎকর্ম তার উপকারে আসে। কিন্তু যদি কুফরী হালতে মৃত্যুবরণ করে, তাহ’লে
সেগুলি তার কোন কাজে আসে না। বরং কুফরীর কারণে সবই বিফলে যায় (ছহীহাহ হা/২৪৯-এর আলোচনা)।
আনাস (রাঃ)বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন কাফেরকে হাযির করে বলা
হবে, যদি তোমার কাছে যমীন ভর্তি স্বর্ণ থাকে, তবে তুমি কি তার বিনিময়ে
জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি কামনা করবে? সে বলবে, হ্যাঁ। তখন তাকে বলা
হবে, হ্যাঁ, তার চাইতে খুব সহজ বস্ত্ত তোমার কাছে চাওয়া হয়েছিল (তথা ঈমান)।
কিন্তু তুমি তা গ্রহণ করনি (বুখারী হা/৬৫৩৮; মুসলিম হা/২৮০৫)। অতএব অমুসলিম ব্যক্তির সৎকর্ম পরকালে কোন কাজে আসবে না।
প্রশ্নকারী : ইব্রাহীম হোসাইন, মান্দা, নওগাঁ।