উত্তর : দ্বীনের
মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা ফরযে আইন, যা সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যিক। সেগুলি
হ’ল- ঈমান ও তা বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ, বিশুদ্ধ ও বাতিল আক্বীদা,
তাওহীদ-শিরক, হালাল-হারাম, ছালাত-ছিয়াম, হজ্জ-যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ফরয
ইবাদত পালনের নিয়ম-পদ্ধতি সমূহ (আল-ফাক্বীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ হা/১৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলিমের উপর দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা ফরয’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৪; মিশকাত হা/২১৮)। অতএব ন্যূনতম উক্ত ইলম অর্জন করলে ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এসব জ্ঞানার্জন ছাড়াই দুনিয়াবী জ্ঞান নিয়ে যারা পড়ে আছে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলার সতর্কবাণী- ‘নিশ্চয়ই যারা আমাদের সাথে সাক্ষাতের আশা করে না এবং পার্থিব জীবন নিয়েই তৃপ্ত থাকে ও তার মধ্যেই নিশ্চিন্ত হয় এবং যারা আমাদের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে উদাসীন। এসব লোকদের ঠিকানা হ’ল জাহান্নাম তাদের কৃতকর্মের কারণে (ইউনুস ১০/৭-৮)।
দ্বিতীয় প্রকার ইলম হ’ল দ্বীনের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় গভীর জ্ঞান অর্জন করা। যা ‘ফরযে কিফায়াহ’ তথা কিছু মুসলিম তা অর্জন করলে বাকীরা দায়মুক্ত হবে। আল্লাহ বলেন, অতএব তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হয় না, যাতে তারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে এবং ফিরে এসে নিজ কওমকে (আল্লাহর নাফরমানী হ’তে) ভয় প্রদর্শন করে যাতে তারা সতর্ক হয় (তওবা ৯/১২২)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইলম হাছিলের জন্য কোন পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার মাধ্যমে তাকে জান্নাতের পথ সমূহের একটি পথে পৌঁছে দেন।... আলেমগণের মর্যাদা আবেদগণের উপরে ঐরূপ, পূর্ণিমার রাতে চাঁদের মর্যাদা অন্যান্য তারকাসমূহের উপরে যেরূপ। নিশ্চয়ই আলেমগণ হ’লেন নবীগণের উত্তরাধিকারী... (তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২১২)।
উছায়মীন (রহঃ) বলেন, কল্যাণের পথ বহু রয়েছে। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে আল্লাহ কর্তৃক ফরযকৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরয হ’ল শারঈ ইলম অর্জন করা (উছায়মীন, শারহু রিয়াযিছ ছালেহীন ২/১৫০)।