উত্তর: মিথ্যা বলা সর্বাবস্থায় হারাম। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক’ (তওবাহ ৯/১১৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দুর্ভোগ সেই ব্যক্তির, যে মিথ্যা বলে লোকদেরকে হাসায়। দুর্ভোগ তার জন্য, দুর্ভোগ তার জন্য’ (আবুদাউদ হা/৪৯৯০; আহমাদ হা/২০০৩৫; ছহীহুত তারগীব হা/২৯৪৪)।
তিনি আরো বলেন, মিথ্যা গুরুত্বের সাথে এবং ঠাট্টাচ্ছলেও সংগত নয়। আর
তোমাদের কেউ তার সন্তানকে কিছু দেয়ার ওয়াদা করলে তাকে তা না দেওয়াটাও সংগত
নয় (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৩৮৭; তাবারাণী কাবীর হা/৮৫২৩, সনদ ছহীহ)।
রাসূল (ছাঃ) মিথ্যা পরিহারের ফযীলত সম্পর্কে বলেন, আমি জান্নাতের সমতলে এক
গৃহের যিম্মাদার হব সেই ব্যক্তির জন্য, যে সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও তর্ক
বর্জন করে। আর আমি জান্নাতের মধ্যখানে এক গৃহের যিম্মাদার হব তার জন্য, যে
উপহাসচ্ছলেও মিথ্যা পরিত্যাগ করে এবং আমি জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরের এক
গৃহের যিম্মাদার হব তার জন্য, যার চরিত্র সুন্দর হয়’ (আবূদাউদ হা/৪৮০০; ছহীহাহ হা/২৭৩)। অতএব মিথ্যা সর্বাবস্থায় বর্জনীয় এবং গল্পচ্ছলেও মিথ্যা বলা যাবে না। বলে ফেললে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে।