উত্তর : এক্ষেত্রে সুন্নাত হ’ল- (১) আঙ্গুলের মাধ্যমে গণনা করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাসবীহ সমূহ আঙ্গুলে গণনা কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা কথা বলবে’ (আবূদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩১৬)। (২) ডান হাতে গণনা করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ডান হাতে তাসবীহ গণনা করতেন (আবূদাঊদ হা/১৫০২; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৩-এর আলোচনা)। তিনি যেকোন কাজ ডান দিক থেকে করা পসন্দ করতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪০০)। (৩) গণনা কড়ে আঙ্গুল দিয়ে শুরু করা। কেননা ডান হাতের ডান পাশ কড়ে আঙ্গুল দিয়েই শুরু হয়েছে এবং এ আঙ্গুল দিয়ে গণনা শুরু করাটাই সহজ ও স্বভাবগত (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল পৃঃ ১৫০)। আর ডান হাতে গণনা করতে অক্ষম হ’লে বাম হাতে গণনা করতে পারে। উল্লেখ্য যে, তাসবীহ গণনার জন্য পুঁথিদানা, ডিজিটাল গণনা মেশিন ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কেননা এতে স্বভাবতই রিয়া আসে। তাছাড়া বিভিন্ন বিদ‘আতী যিকির-আযকারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার হয় তাসবীহদানা। এজন্য বিদ্বানগণ তাসবীহদানা ব্যবহারকে অপসন্দ করেছেন (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৩/৩০)। এমনকি শায়খ আলবানী একে বিদ‘আত আখ্যায়িত করেছেন, কেননা এটি বহু মানুষের কাছে ধর্মীয় প্রতীকে পরিণত হয়েছে (সিলসিলা যঈফাহ ১/১১০)। 

-মুহাম্মাদ বিল­াল, ওয়ারী, ঢাকা।







প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : তায়েফ সফরকালে রাসূল (ছাঃ) নির্যাতিত হওয়ার পর একটি আঙ্গুর বাগানে বসে যে দো‘আটি করেছিলেন, তা ছহীহ কি?
প্রশ্ন (২৯/১৮৯) : ছহীহ মুসলিমের একটি হাদীছে কারো আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলা হয়েছে। এক্ষণে রাষ্ট্রীয় আইন-আদালত ও প্রশাসন থাকা অবস্থায় এটা জায়েয হবে কি? - -শহীদুল ইসলামনতুনহাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৩/৪৫৩) : ছোট বাচ্চা, গরু বা অন্য কিছু হারিয়ে গেলে তা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/৪০৪) : রাস্তার পাশে অবস্থিত গাছে সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবারের ফেস্টুন টাঙানো যাবে কী?
প্রশ্ন (৩/৩৬৩) : বিবাহের বৈঠকে হাত তুলে সম্মিলিতভাবে দো‘আ করা যাবে কি? - -আমীর হামযা, সাগরদীঘি, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (৮/২৪৮) : কোন হিন্দু লোক ঘরে এলে সেই জায়গায় ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১২/১৩২) : কুকুর লালন-পালন করার জন্য শরী‘আতে কি কি শর্ত রয়েছে? - -গোলাম রববানী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১১/১৩১) : মহিষ দ্বারা কুরবানী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : আইনজীবী হওয়ার কারণে আমাকে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদির আইনজীবী হিসাবে কাজ করতে হয়। আমাদের কাজের ধরনটা যেমন- (১) কোন ব্যক্তি ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে যামানত স্বরূপ ঋণগ্রহীতার জায়গা-জমির কাগজ ব্যাংকে মর্টগেজ রাখতে হয়। ওই কাগজপত্র আইনজীবী হিসাবে আমাদের যাচাই করতে হয়। ব্যাংক অনেক সময় সূদ মওকূফও করে এবং আইনজীবী এক্ষেত্রে সহায়তা করেন। (২) মানুষ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঐামানত হিসাবে চেক জমা দেয়। নির্ধারিত সময়ে চেকের টাকা ব্যাংকে জমা না দিলে ব্যাংক তখন চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের মামলা করে। এ ধরনের মামলায় আইনজীবীকে লড়তে হয়। প্রশ্ন হল, উপরোক্ত ক্ষেত্রসমূহে আইনজীবী হিসাবে আমি কাজ করতে পারি কি? - -এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার।
প্রশ্ন (২/৩২২) : ওছমান বিন আফফান (রাঃ)-কে দেখে ফেরেশতারা কেন লজ্জিত হতেন? - -মুহাম্মাদ আব্দুল মুমিন, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (৩২/৩১২) : ছালাতে সালাম ফিরানোর সময় দুই দিকেই ‘ওয়া বারাক্বা-তুহু’ বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/৩২৪) : বিভিন্ন তরীকা ও মাযহাবে বিভক্ত মুসলিম মিল্লাতের জন্য ‘ওয়া‘তাছিমু বিহাবলিল্লা-হি জামী‘আওঁ ওয়ালা তাফাররাকূ’ এ আয়াতের নির্দেশ কিভাবে বাস্তবায়িত হবে?
আরও
আরও
.