উত্তর :
একই আলোচনা সূরা আলে ইমরান ১২৯, মায়েদাহ্ ১৮ ও ৪০ এবং ফাত্হ ১৪ আয়াতেও
এসেছে। আল্লাহ তা‘আলা শিরক ছাড়া অন্য পাপের সাথে জড়িতদের যাকে ইচ্ছা ক্ষমা
করবেন আর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবেন (নিসা ৪৮, ১১৬)।
বান্দা হয়তো পাপ করার সাথে সাথে এমন কিছু সৎকর্ম করে যে তা যত ছোটই হোক
আল্লাহ তাতে সন্তুষ্ট হয়ে তার গুনাহ্গুলোকে ক্ষমা করে দিবেন। যেমন
তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর ফলে এক ব্যভিচারিণী মহিলাকে আল্লাহ
ক্ষমা করে জান্নাতে দিবেন (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/১৯০২)। আবার এক বিড়ালকে মৃত্যু পর্যন্ত না খাইয়ে বন্দী করে রাখার কারণে এক নারীকে জাহান্নামে যেতে হবে (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/১৯০৩)।
আদম সন্তান পরবর্তীতে দুনিয়াতে গিয়ে স্বেচ্ছায় যা কিছু করবে তা আল্লাহ্ পূর্ব থেকেই অবগত আছেন। কারণ তাঁর অবস্থান দেশ ও কালের ঊর্ধ্বে। অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যত বলে তাঁর নিকট কিছুই নেই। তাই অগ্রিম জ্ঞানের কারণে কে জান্নাতী হবে আর কে জাহান্নামী সবকিছুই তাঁর ইলমে রয়েছে। তাঁর সিদ্ধান্ত মানুষ যা করবে তার ভিত্তিতেই; তাঁর নিজের চাপানো নয়। কেননা ‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর যুলুমকারী নন’ (আলে ইমরান ১৮২; আনফাল ৫১; হজ্জ্ব ১০; ফুছছিলাত ৪৬; ক্বাফ ২৯)।