উত্তর :প্রথমত নিজ অপরাধের কথা গোপন রেখে খালেছ নিয়তে তওবা করবে এবং অধিকহারে সৎকর্ম সম্পাদন করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তে ও রাত্রির কিছু অংশে। নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে’ (হূদ ১১/১১৪)। তিনি আরো বলেন, ‘বল, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (যুমার ৩৯/৫৩)। দ্বিতীয়ত কেউ গোপনে কোন পাপ করে ফেললে সেটা ইসলামী রাষ্ট্রের কাছে বলতে হবে এর বাধ্যবাধকতা নেই। বরং আল্লাহ চান কারো পাপের কথা প্রকাশ না পাক। বরং নিজে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করবে। তবে প্রকাশ হয়ে গেলে বা বিচারকের নিকট নালিশ করা হ’লে এবং সেটা প্রমাণিত হ’লে বিচারের মুখোমুখী হ’তে হবে (ইবনু মাজাহ হা/২৫৯৫; মিশকাত হা/৩৫৯৮; সনদ ছহীহ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোন অপরাধ তোমাদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে, ততক্ষণ তোমরা পরস্পরে তা ক্ষমা করে দাও। আর যদি তা আমার নিকট পেশ করা হয়, তবে তার জন্য শরী‘আত সম্মত শাস্তি প্রদান ওয়াজিব হয়ে যায়’ (আবুদাউদ হা/৪৩৭৬; মিশকাত হা/৩৫৬৮; ছহীহুল জামে‘ হা/২৯৫৪)।
প্রশ্নকারী : *সৌরভ, টাঙ্গাইল।
*[আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]