উত্তর : কারো মৃত্যুতে বা কোন বিপদে ‘ইন্না লিল্লাহি... রাজেঊন’ বলাই যথেষ্ট (বাক্বারাহ ২/১৫৬)। এছাড়া এক্ষেত্রে ‘আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুছীবাতী...’ দো‘আটিও পাঠ করা যাবে (বাক্বারা ২/১৫৬; মুসলিম হা/৯১৮, মিশকাত হা/১৬১৮)। তবে একটি হাদীছে এসেছে যে, জনৈক ব্যক্তি স্বীয় সন্তানের মৃত্যুতে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ পাঠ করে তাকদীরের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের চরম পরাকাষ্ঠা দেখালে, আল্লাহ তা‘আলা খুশী হয়ে ফেরেশতামন্ডলীকে তার জন্য জান্নাতে ‘বায়তুল হামদ’ নামে একটি গৃহ নির্মাণ করার নির্দেশ দেন (তিরমিযী হা/১০২১; ছহীহাহ হা/১৪০৮)। এটি বিশেষ অবস্থার একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।
মানুষের জীবন-মৃত্যুসহ যাবতীয় কর্মকান্ডের একমাত্র মালিক ও নিয়ন্ত্রক আল্লাহ (মুলক ২, গাফের ৬৪)। আল্লাহ তা‘আলা পিতা-মাতার মাঝে সন্তানের প্রতি এমন ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন যে, জীবদ্দশায় সন্তানের মৃত্যু পিতা-মাতার জন্য মেনে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। সবই যে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত এ বিশ্বাস থাকলেও এসময় তা কাজে আসে না। তাই এই কঠিন মূহূর্তেও যারা তাকদীরের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে সক্ষম হয়, তাদের পুরস্কারের কথা উক্ত হাদীছে বিবৃত হয়েছে। এর অর্থ এটা নয় যে, মৃত্যুর খবর শুনে আগে আলহামদুলিল্লাহ পড়তে হবে। বরং নিয়ম হ’ল আগে ইন্না লিল্লাহি... পড়া। যেটা কুরআন আয়াত ও হাদীছের মাধ্যমে উপরে বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই ছাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত।