উত্তর : এক্ষেত্রে কর্তব্য হ’ল (১) উত্তম পন্থায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করা (মুসলিম হা/৪৯, মিশকাত হা/৫১৩৭)। (২) দেশে ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য জনমত গঠন করা এবং বৈধপন্থায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো (রা‘দ ১৩/১১)। (৩) বিভিন্ন উপায়ে সরকারকে নছীহত করা (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৯৬৬)। (৪) সরকারের হেদায়াতের জন্য দো‘আ করা (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৫৯৯৬)। (৫) সরকারের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকটে কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করা (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৯)। (৬) প্রয়োজনে হিজরত করা। যেমন রাসূল (ছাঃ) দাওয়াতের প্রথম দিকে যখন মক্কার মুসলিমদের উপর কাফেররা চরম নির্যাতন করছিল, তখন তিনি তাদেরকে পার্শ্ববর্তী ন্যায়নিষ্ঠ খ্রিষ্টান রাজা নাজাশীর হাবশা রাজ্যে তাদেরকে হিজরত করার নির্দেশ দেন (বায়হাক্বী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩১৯০)। (৭) আর মুসলিম সরকারের সুস্পষ্ট কুফরী প্রমাণিত হ’লে, শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা কল্যাণকর হবে কি-না, সে বিষয়ে অবশ্যই দেশের নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম পরামর্শ করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং মুসলিম নাগরিকগণ তাদের অনুসরণ করবেন। বিদ্রোহ করায় কল্যাণের চেয়ে যদি অকল্যাণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে, তাহ’লে বিদ্রোহ করা যাবে না। বরং ধৈর্যধারণ করতে হবে, যতক্ষণ না আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন ফায়ছালা নাযিল হয় (বাক্বারাহ ১০৯, তওবা ২৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, শাসকের নিকট থেকে কেউ অপসন্দনীয় কিছু দেখলে যেন সে ধৈর্যধারণ করে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৬৭)। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৭২)।‘কেননা তাদের পাপ তাদের উপর এবং তোমাদের পাপ তোমাদের উপর বর্তাবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৭৩)। তিনি বলেন, তোমরা তাদের হক দিয়ে দাও। কেননা আল্লাহ শাসকদেরকেই জিজ্ঞেস করবেন তাদের শাসন সম্পর্কে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৭৫)।




প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) : অমুসলিমদের সালাম দেওয়া যাবে না। এক্ষণে কাউকে সালাম দেয়ার পর তিনি অমুসলিম জানতে পারলে করণীয় কি? উক্ত সালাম প্রত্যাহার করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৭/২৮৭) : অমুসলিম কর্তৃক অনুবাদকৃত কুরআন পড়া জায়েয হবে কি? - আশরাফ, ডিমলা, নীলফামারী।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : যে সকল স্ত্রী তাদের স্বামী ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে করে, শরী‘আতে তাদের বিধান কি?
প্রশ্ন (২৯/২২৯) : ইসলামের দৃষ্টিতে কোন দিবস পালন করা কোন পর্যায়ের শিরক? কিভাবে এটা শিরকের পর্যায়ভুক্ত গোনাহে পরিণত হয় জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩/৪৩) : মসজিদে উঁচু মিনার তৈরি করা যাবে কি? আর তাতে চাঁদের ছবি অাঁকানো বা আল্লাহু আকবার লেখা যাবে কি? - -আব্দুল হালীম, সন্তোষপুর, পবা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১০/২৯০) : শয়তান কি কখনো মানুষের কানে পেশাব করতে পারে? এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) কিছু বলেছেন কি? - -রাফিয়া তাসনীম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : ‘মিল্লাতা আবীকুম ইরবাহীমা, হুয়া সাম্মাকুমুল মুসলেমীন’ আয়াতটির অর্থ কি? জনৈক টিভি আলোচক বলেন, ইব্রাহীম (আঃ) আরবদের পিতা, সকল মুসলিমের পিতা নন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৯/৪৯) : শুভলক্ষণ বা কুলক্ষণ বলতে কি বুঝায়? শরী‘আতে এসবের কোন ভিত্তি আছে কি? - .
প্রশ্ন (১২/৯২) : মহিলা মাইয়েতকে বুক সমান এবং পুরুষ মাইয়েতকে কোমর সমান গভীর করে কবর খনন করার প্রচলিত প্রথা কি শরী‘আত সম্মত? এক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি কি?
প্রশ্ন (৬/১৬৬) : ছালাতে শেষ বৈঠকে দো‘আ মাছূরাহ পড়ার পর নিজের জন্য ইচ্ছানুযায়ী দো‘আ করা যায় কি? অনেকেই বলেন, তাশাহ্হুদ লম্বা করা নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৬/২২৬) : প্রশিক্ষণ শিবির চলাকালীন সময়ে আমরা মসজিদের ময়দানে জুম‘আর ছালাত আদায় করি। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৮/৮) : কোন কারণে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হ’লে দাঁতে ক্যাপ পরানো যাবে কি? এটা সৃষ্টির পরিবর্তন হিসাবে গণ্য হবে কি?
আরও
আরও
.