উত্তর :
শ্রোতাদের চাহিদার ভিত্তিতে জালসার সময় ও সময়সীমা নির্ধারিত হবে। রাসূল
(ছাঃ) বলেন, হে জনগণ! তোমরা তোমাদের সাধ্যমত আমল করে যাও। কেননা আল্লাহ
বিরক্ত হন না, যতক্ষণ না তোমরা বিরক্ত হও (বুখারী হা/৫৮৬১; মিশকাত হা/১২৪৩)।
ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) প্রতি বৃহস্পতিবার তা‘লীমী বৈঠক করতেন। লোকেরা প্রতিদিন
এটা দাবী করলে তিনি বলেন, আমি তোমাদের বিরক্তি উৎপাদন করাকে অপসন্দ করি।
রাসূল (ছাঃ) আমাদের বিরক্তির ভয়ে আমাদেরকে মাঝে-মধ্যে ওয়ায করতেন’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২০৭)।
ইবনু আববাস (রাঃ) জুম‘আর দিন নছীহত করতেন। লোকেরা তাকীদ দিলে তিনি সপ্তাহে
দুই বা তিন দিন তা‘লীমী বৈঠক করার ব্যাপারে নির্দেশ দেন’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২)।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও পর্দার ব্যবস্থা থাকলে নারীরা এসব মাহফিলে অংশগ্রহণ
করতে পারবে। আল্লাহ বলেন, তুমি উপদেশ দাও। কেননা উপদেশ মুমিনদের উপকার করে’
(যারিয়াত ৫১/৫৫)। এই উপদেশ মুমিন পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য। রাসূল (ছাঃ) নারীদের উপদেশ দেওয়ার জন্য তাদের দাবীক্রমে পৃথক
একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)।
অতএব দিনে বা রাতে যখনই যতটুকু সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জালসা বা সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করবেন, সে হিসাবে স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনায় সম্মেলন পরিচালিত হবে।
-ফারীহা, কেশবপুর, যশোর।