উত্তর : এরূপ ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। কারণ ঋণ পরিশোধ ব্যতীত মৃত্যুবরণ করলে হাশরের মাঠে নিজ নেকী থেকে ঋণের দাবী পূরণ করতে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৫১২৬ ‘আদব’ অধ্যায় ‘যুলুম’ অনুচ্ছেদ)। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের আত্মা ঝুলন্ত অবস্থায় রাখা হয় তার ঋণের কারণে, যতক্ষণ না তার পক্ষ হ’তে ঋণ পরিশোধ করা হয়’ (তিরমিযী হা/১০৭৮; মিশকাত হা/২৯১৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭৭৯)। সাথে সাথে আল্লাহর নিকটে ঋণমুক্তির জন্য দো‘আ করতে হবে ‘আল্লা-হুম্মাক্ফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগ্নিনী বিফায্লিকা ‘আম্মান সিওয়া-কা’। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করুন!
রাসূল (ছাঃ) বলেন, এই দো‘আর ফলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন’ (তিরমিযী হা/৩৫৬৩; মিশকাত হা/২৪৪৯; ছহীহাহ হা/২৬৬)।
কোনভাবেই সম্ভব না হ’লে সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, সংগঠন বা সরকার তার ঋণমুক্তির ব্যবস্থা করবে। আর একারণেই শরী‘আতে যাকাতের ৮টি খাতের একটি খাত হিসাবে ঋণমুক্তিকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অথবা ঋণদাতার নিকট ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং ঋণদাতার উচিত সত্যিকারের অক্ষম ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেওয়া। কেননা আবু ক্বাতাদা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তিকে অবকাশ দিবে অথবা ঋণ ক্ষমা করে দিবে, আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট হ’তে মুক্তি দিবেন’ (মুসলিম হা/৩০০৬; মিশকাত হা/২৯০৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন স্বীয় ছায়ায় নিচে ছায়া দান করবেন’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০৪)।