উত্তর : প্রথমতঃ এটা মুসলমানদের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল (শূরা ৪২/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। (১) যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে প্লেগ মহামারী আকারে রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। (২) যখন কোন জাতি ওযন ও মাপে কারচুপি করে, তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন দারিদ্র্য এবং শাসকদের নিষ্ঠুর নিপীড়ন। (৩) যখন কোন জাতি তাদের ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করে না, তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকত, তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হ’ত না। (৪) যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়। (৫) যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন (ইবনু মাজাহ হা/৪০১৯, ছহীহাহ হা/১০৬-০৭)

দ্বিতীয়তঃ দলে দলে বিভক্ত হওয়া। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং পরস্পর ঝগড়া করো না, তাহলে তোমরা সাহসহারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে (আনফাল ৪৬)

তৃতীয়তঃ মুমিন বান্দাদের উপর বিপদ-আপদ আপতিত হয় পরীক্ষা স্বরূপ। আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা তোমাদের পরীক্ষা নেব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-শস্যাদি বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ হ’ল ধৈর্যশীলদের জন্য’ (বাক্বারাহ ২/১৫৫)

চতুর্থতঃ আমর বিল মা‘রূফ ও নাহী ‘আনিল মুনকার-এর দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যখন কোন অন্যায় হ’তে দেখে, অতঃপর তারা তা প্রতিরোধ করে না, তখন সত্বর আল্লাহ তাদেরকে ব্যাপক গযবের দ্বারা পাকড়াও করেন’ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫১৪২)। মুসলমান তাদের এ দায়িত্ব যেন ভুলে গেছে। ফলে আল্লাহর গযব ব্যাপকতা লাভ করছে।

সুতরাং মুসলমানদের উপর সকল নির্যাতনের মূলে রয়েছে, অহি-র বিধান থেকে দূরে সরে যাওয়া। এক্ষণে মুসলমানদের একমাত্র করণীয় হ’ল, অহি-র বিধানের দিকে প্রত্যাবর্তন করা এবং তার আলোকে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজ গড়ে তোলা।  






প্রশ্ন (২৭/৪৬৭) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম তাশাহহুদে ভুলক্রমে দরূদ পড়লে কি সহো সিজদা দিতে হবে? - -মোবারক হোসাইন, বনানী, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : গোসলখানা ও টয়লেট একত্রে থাকলে সেখানে ওযূ করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (১৮/৩৩৮) অবহেলাবশতঃ গত তিনবছর রামাযানের ছিয়াম পালন থেকে বিরত ছিলাম। এক্ষণে বোধোদয় হওয়ার পর আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৪/৩৭৪) : ‘হাসবুনাল্লাহ ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল, নি‘মাল মাওলা ওয়া নি‘মান নাছীর’- দো‘আটি কি ছহীহ কি? কোন কোন ক্ষেত্রে দো‘আটি পাঠ করা যায়?
প্রশ্ন (২/৩২২) : চাচা এবং মামারা কি মাহরামদের অন্তর্ভুক্ত। কারণ কুরআনে তাদের বিষয়টি উল্লেখ নেই।
প্রশ্ন (৭/৭) : আমি তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করার চেষ্টা করি। অনেক সময় জাগতে না পারায় ছুটে যায়। এমতাবস্থায় কিভাবে বিতর পড়তে হবে?
প্রশ্ন (১৪/২৫৪) : মাসবূক মুছল্লী ইমামের এক সালামের পর দাঁড়াবে না দুই সালামের পর দাঁড়াবে?
প্রশ্ন (৮/২৮৮) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অসীলায় দো‘আ করা যাবে কি? এ ব্যাপারে কোন দলীল আছে কি? - শহীদুল ইসলাম খান, সানারপাড়, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৭/৪৩৭) : পিতা হারাম-হালালের বিধান না মেনে ব্যবসা করলে তার বাড়িতে সন্তান হিসাবে আমার থাকা-খাওয়া বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (৩০/১১০) : যে দিনে যে জন্ম গ্রহণ করবে সেদিনেই সে মৃত্যুবরণ করবে, এ কথা কতটুকু সত্য?
প্রশ্ন (৭/১২৭) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, কোন ব্যক্তি ওয়ায মাহফিলে যাওয়ার ইচ্ছা করে সামনের পা বাড়িয়ে পিছনের পা তোলার আগেই সকল গোনাহ মাফ হয়ে যায়। একথার কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২/৪২) : জনৈক পীর ছাহেব বলেন, সূরা হূদের ২নং আয়াতে ‘ইল্লাল্লাহ’ শব্দটি রয়েছে। তাই আমরা ‘ইল্লাল্লাহ’ যিকির করি। একথার সত্যতা আছে কি? - -আব্দুল মালেক মাস্টারদুমকী, পটুয়াখালী।
আরও
আরও
.