উত্তর : প্রকৃতিগতভাবে পুরুষ কোনভাবে নারী হ’তে পারে না। আবার নারী কখনো পুরুষ হ’তে পারে না। কেউ পুরুষ হয়ে নারীর ভান করার চেষ্টা করলে সেটা হারাম হবে। প্রথমতঃ এটা সৃষ্টির পরিবর্তন, যা আল্লাহ তা‘আলা হারাম করেছেন (নিসা ৪/১১৯)। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ) এদের প্রতি অভিশাপ করেছেন এবং মদীনা থেকে বহিষ্কার করেছেন। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী নারীদেরকে অভিশাপ করেছেন। অন্য বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন। আর তিনি বলেছেন, তাদেরকে তোমাদের ঘর হ’তে বের করে দাও। ফলে তিনি অমুককে এবং ওমর (রাঃ) অমুক অমুককে বের করে দিয়েছেন (বুখারী হা/৫৮৮৬, ৫৮৩৪; মিশকাত হা/৪৪২৮)। তিনি আরো বলেন, রাসূল (ছাঃ) সেই পুরুষকে অভিসম্পাত করেছেন, যে মহিলার পোষাক পরে এবং সেই মহিলাকে অভিসম্পাত করেছেন যে পুরুষের পোষাক পরিধান করে (আবূদাউদ হা/৪০৯৮; মিশকাত হা/৪৪৬৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৫০৯৫)। এক্ষণে নারীর পোষাক পরিধানে বা ভান করাতেই যখন এত অভিশাপ সেখানে লিঙ্গ পরিবর্তন করলে কি ভয়াবহ শাস্তি হ’তে পারে তা সহজেই অনুমেয়। তৃতীয়তঃ নিজেকে পরিবর্তন করলেও পূর্বের হুকুমে তার যাবতীয় বিধান কার্যকর হবে। অর্থাৎ জন্মগত পুরুষ হ’লে মৃত্যু অবধি পুরুষই থাকবে এবং জন্মগত নারী হ’লে নারীর বিধানই কার্যকর হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/৪৫-৪৯)।
প্রশ্নকারী : রাফাত আনাম, মহাদেবপুর, নওগাঁ।