উত্তর : প্রত্যেক মানুষের হেফাযত ও আমলনামা সংরক্ষণের জন্য আল্লাহ ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দু’জন ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমলনামা লিপিবদ্ধ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্ত্তত প্রহরী রয়েছে (ক্বা-ফ ৫০/১৭-১৮; ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা ক্বা-ফ উক্ত আয়াত)। তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের জন্য তার সামনে ও পিছনে পরপর আগত পাহারাদার ফেরেশতারা রয়েছে, যারা তাকে হেফাযত করে আল্লাহর হুকুমে’ (রা‘দ ১৩/১১)। যে ফেরেশতা ডানে অবস্থান করেন তিনি মানুষের ছওয়াব লিখেন। আর যে বামে অবস্থান করেন তিনি পাপ লিখেন। এর অর্থ ফেরেশতা মানুষের সাথে সর্বদা অবস্থান করে (ছহীহাহ হা/১২০৯)। সুতরাং এটা প্রমাণিত যে, একজন ব্যক্তিকে দিনে ও রাতে কমপক্ষে চারজন করে ফেরেশতা পাহারা দেয়। যাদের দু’জন ডানে ও বামে মানুষের আমলনামা লিখে, অপর দু’জন মানুষের পিছনে ও সামনে থেকে পাহারা দিয়ে থাকে (বুখারী, হা/৫৫৫; ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা রা‘দ ঐ আয়াত)। উল্লেখ্য যে, কেউ কেউ মনে করে রাকীব ও আতীদ দুইজন ফেরেশতার নাম যা সঠিক নয় (ড. ওমর সুলায়মান, আলামুল মালায়েকাতিল আবরার, ১২ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল হালীম, ভূগরইল, রাজশাহী।