উত্তর : ত্বাগূত শব্দের অর্থ শয়তান, মূর্তি, প্রতিমা। আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ)-কে বাদ দিয়ে অন্য কারো নিকট থেকে ফায়ছালা গ্রহণ করা বা কারো প্রতি অন্ধ আনুগত্য প্রদর্শন করাই ত্বাগূত। এক কথায় আল্লাহ ব্যতীত অন্য যে কাউকে মা‘বূদ বা উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করাই ত্বাগূতের অনুসরণ (ইবনু কাছীর, সূরা নিসা ৬০ আয়াতের তাফসীর)। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নিকট আমরা রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব কর এবং ত্বাগূত থেকে বিরত হও’ (নাহল ১৬/৩৬)। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয় এবং নিঃর্শত আনুগত্য করা হয় তারাই ত্বাগূত। এই দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজে ত্বাগূত অনেক প্রকার। যেমন- (১) শয়তান (ইয়াসীন ৬০), (২) আল্লাহ ব্যতীত যার ইবাদত করা হয় এবং তাতে যে খুশী থাকে (আম্বিয়া ২১/২৯)। (৩) যে নিজেকে অদৃশ্যের খবর জানে বলে দাবী করে (নামল ৬৫)। (৪) যে নিজের ইবাদতের জন্য অন্যকে আহবান করে। যেমন পীরপন্থী ও কুসংস্কারবাদীরা। (৫) স্বেচ্ছায় আল্লাহ ব্যতীত অন্যের বিধান দ্বারা ফয়ছালাকারী ব্যক্তি ও শাসক (নিসা ৪/৬০)।
প্রশ্নকারীঃ আলফায হোসাইন, পাবনা।