উত্তর : উক্ত আয়াতের অর্থ : আল্লাহ বাহীরাহ, সায়েবাহ, অছীলাহ ও হামী-র প্রচলন করেননি। বরং কাফেররাই এ ব্যাপারে আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করেছে মাত্র। আর তাদের অধিকাংশই কোন জ্ঞান রাখে না (মায়েদাহ ৫/১০৩)। আয়াতে বর্ণিত চারটি পরিভাষা চার প্রকারের পশুর নামে প্রচলিত। যেগুলিকে জাহেলী আরবের লোকেরা তাদের দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করে ছেড়ে দিত। সেগুলিকে সবাই সম্মান করত এবং কোন কাজে ব্যবহার করা হ’ত না। উক্ত চার প্রকার উট বা দুম্বার পরিচয় সম্পর্কে অগ্রগণ্য ব্যাখ্যাটি হ’ল : (১) বাহীরাহ : যার দুধ কেবল মূর্তির জন্য উৎসর্গীত। অন্য কেউ তা পান করতে পারত না (২) সায়েবাহ : যা মূর্তির নামে উৎসর্গ করা হ’ত। যা স্বাধীনভাবে বিচরণ করত। তার পিঠে কেউ সওয়ার হ’তে পারত না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি আমর বিন লুহাইকে জাহান্নামে তার নাড়ি-ভুঁড়ি টেনে হাঁটতে দেখেছি। কেননা সেই-ই প্রথম ইবরাহীমের দ্বীনকে পরিবর্তন করে (অর্থাৎ মূর্তিপূজার প্রচলন করে) এবং সেই-ই প্রথম (মূর্তির নামে উৎসর্গীত) পশু ছেড়ে দেওয়ার রীতি চালু করে (বুখারী হা/১২১২; হাকেম হা/৮৭৮৯; ছহীহাহ হা/১৬৭৭) (৩) অছীলাহ : ঐ উষ্ট্রী যা উপর্যুপরি মাদী বাচ্চা প্রসব করে এবং যাকে মূর্তির নামে উৎসর্গ করে ছেড়ে দেওয়া হ’ত (৪) হামী : ঐ নর উট যার দ্বারা নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রজনন কাজ নেওয়ার পর তাকে মূর্তির নামে উৎসর্গ করে ছেড়ে দেওয়া হ’ত (বুখারী হা/৪৬২৩; মুসলিম হা/২৮৫৬)।