উত্তর : ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে এরূপ আমল পাওয়া যায় না। পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীয করা যদিও কতিপয় বিদ্বান জায়েয বলেছেন, কিন্তু তা জায়েয হওয়ার পক্ষে স্পষ্ট দলীল নেই। বরং কুরআন তেলাওয়াত ও আয়াত দ্বারা ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে কুরআন থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়া হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত বায়হাক্বীর একটি হাদীছ থেকে তাবীয লটকানো প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানে এমন কোন কথা নেই, যা দ্বারা স্পষ্টভাবে তাবীয লটকানো প্রমাণিত হয়। অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ ইবনু আমরের ব্যক্তিগত আমল সংক্রান্ত একটি হাদীছ তাবীয লটকানোর পক্ষে পেশ করা হয় (তিরমিযী হা/৩৫০৮)। কিন্তু প্রথমতঃ সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, এটি তিনি কেবল সেই শিশুদের জন্য করতেন, যারা এখনো কথা বলতে শেখেনি। দ্বিতীয়তঃ হাদীছটি যঈফ (যঈফুত তারগীব হা/৯৯১)

পক্ষান্তরে এর বিপক্ষে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যা দ্বারা সকল প্রকার তাবীয লটকানো নিষিদ্ধ ও শিরক প্রমাণিত হয়। যেমন ঈসা ইবনু হামযাহ (রহঃ) বলেন, একদিন আমি আব্দুল্লাহ ইবনু উকায়েম-এর নিকট গেলাম। দেখি তার শরীরে লাল ফোস্কা পড়ে আছে। আমি বললাম, আপনি তাবীয ব্যবহার করবেন না? উত্তরে তিনি বললেন, ‘নাঊযুবিল্লাহি মিন যা-লিক্’ তা হ’তে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এটার জন্য কোন কিছু লটকায় তাকে তার প্রতি সোপর্দ করে দেওয়া হয়’ (তিরমিযী হা/২০৭২; মিশকাত হা/৪৫৫৬; ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৫৬)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয ব্যবহার করবে, আল্লাহ তাকে পূর্ণতা দেবেন না, আর যে ব্যক্তি কড়ি ব্যবহার করবে, আল্লাহ তাকে কল্যাণ দান করবেন না (আহমাদ হা/১৭৪৪০; ছহীহাহ হা/৪৯২)।’

অন্য হাদীছে রয়েছে ‘জাদু, তাবীয, অবৈধ প্রেম ঘটানোর মন্ত্র নিঃসন্দেহে শিরক’ (আবুদাউদ হা/৩৮৮৩; মিশকাত হা/৪৫৫২; ছহীহাহ হা/৩৩১)। উল্লেখিত হাদীছসমূহে স্পষ্টভাবে সকল প্রকার তাবীয লটকানোকে শিরক বলা হয়েছে। অতএব কোন অপব্যাখ্যা বা ছলনা করে শিরকী কাজকে বৈধ করার কোন সুযোগ নেই (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৪৫৩)। বরং শিরক থেকে নিরাপদে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো মুমিনের সবচেয়ে বড় কর্তব্য।

প্রশ্নকারী : আনীসুর রহমান

 সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।






প্রশ্ন (২৬/৩৪৬) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মি‘রাজ রজনীতে আসমানে গিয়ে জান্নাত ও জাহান্নাম দেখেছেন। তাহ’লে কি জাহান্নাম আসমানে? অনেকে বলেন, সাত সমুদ্র সাতটি জাহান্নাম। অনেকে বলেন, সপ্তম যমীনের নীচে জাহান্নাম অবস্থিত। কোনটি সঠিক?
প্রশ্ন (২৩/২৬৩) : একাধিক স্ত্রী থাকাকালীন সফরে একজনকে নিয়ে যাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২২/২৬২) : প্রচলিত চিল্লা প্রথা কি হাদীছ সম্মত?
প্রশ্ন (১০/১৭০) : কেউ কারো মাধ্যমে উপকৃত হ’লে তার প্রশংসায় বলে, ‘আকাশে আল্লাহ আছেন আর তুমি যমীনে’- এমন ভাষায় কারো উপকারের প্রশংসায় বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩১) : লাশ দাফনের সময় কবরের ভিতরে যে বাঁশ দেওয়া হয়, সে বাঁশ গজিয়ে বাঁশঝাড়ে পরিণত হ’লে সেই বাঁশ কাটা যাবে কি? এছাড়া কবরস্থানের গাছ কেটে বিক্রি করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/২৩৪) : ছিয়ামরত অবস্থায় কেউ কবীরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়লে তার ছিয়াম কি ভঙ্গ হয়ে যাবে?
প্রশ্ন (১৬/১৩৬): কোন ঘরে মক্কা-মদীনা কিংবা কোন মাযারের ছবি থাকলে সেই ঘরে ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (৮/৮) : মিহরাব বিহীন মসজিদের নিচতলায় ইমাম দাঁড়ানোর পর উপরের তলাগুলিতে ইমামের কাতারে দাঁড়ানো যাবে কি? না প্রত্যেক তলাতেই ইমামের কাতার ছেড়ে দাঁড়াতে হবে?
প্রশ্ন (১১/৫১) : কবরকে মযবুত করে বাঁধানো এবং জন্ম-মৃত্যু তারিখ লেখা কি জায়েয?
প্রশ্ন (৩২/৭২): মে‘রাজে রাসূল (ছাঃ) যখন সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছে একটি স্বর্ণের ছাদের চারপাশে প্রজাপতি উড়তে দেখলেন, তখন জিব্রীল (আঃ) তাকে বললেন, প্রজাপতিগুলি একেকটি মানবাত্মা। বক্তব্যটি কি সঠিক?
প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : ব্যাংকে ৫/১০ বছরের মেয়াদে যে টাকা রাখা হয় তার যাকাত দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৯/৩৩৯) : জুম‘আর দিন আমাদের মসজিদে পিতা-মাতাগণ ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আসে, যারা মুছল্লীদের সামনে দিয়ে দৌড়াদৌড়ি, মারামারি করে ছালাতে বিঘ্ন ঘটায়। এভাবে তাদেরকে মসজিদে আনা যাবে কি? - -কামাল শেখ, চরকান্দি, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।
আরও
আরও
.