উত্তর : কুরআনের সম্মানে তাদের পৃথক বিচার করা হবে না। তবে শহীদ, আলেম ও ক্বারী এবং দাতাদের প্রথমে বিচার করা হবে মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেখানে লোক দেখানো আমলকারীরা পাকড়াও হবে (মুসলিম হা/১৯০৫; মিশকাত হা/২০৫)। আর ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হবে। ১. আরশের ডানে অবস্থানকারী। এরা সকলে জান্নাতবাসী। ২. আরশের বামে অবস্থানকারী যারা সকলে জাহান্নামী। ৩. অগ্রগামী দল যারা আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভকারী। যাদের মধ্যে রয়েছে নবী-রাসূল, শহীদ ও ছিদ্দীকগণ (ওয়াকি‘আ ৫৬/৭-৮; তাফসীরে ইবনু কাছীর অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। উল্লেখ্য যে, হাফেযে কুরআনের বিশেষ ফযীলত হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। তারা সম্মানিত ফেরেশতাদের সাথে অবস্থান করবেন (বুখারী হা/৪৯৩৭; মুসলিম হা/৭৯৮;মিশকাত হা/২১১২)। তাদের মুখস্থ অনুযায়ী জান্নাতের উঁচুস্তরে স্থান লাভ করবে (আবুদাউদ হা/১৪৬৪; মিশখাত হা/২১৩৪; ছহীহাহ হা/২২৪০)। তাদেরকে সম্মানের মুকুট ও পোশাক পরানো হবে এবং আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন (তিরমিযী হা/২৯১৫; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৪২৫)। কুরআন তাদের জন্য সুফারিশ করবে (মুসলিম হা/৮০৪; মিশকাত হা/২১২০)। নেক আমলকারী হাফেযকে মর্যাদার মুকুট ও তার পিতা-মাতাকে দু’জোড়া সর্বোত্তম পোষাক পরানো হবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৬০১৪, ছহীহাহ হা/২৮২৯)।