উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতি চালু করবে, তার পাপের বোঝা তার উপরই বর্তাবে এবং সে অনুযায়ী যে আমল করবে তার পাপও তার উপরে বর্তাবে। অথচ তাদের (অনুসরণকারীদের) পাপের কোন কমতি করা হবে না। পক্ষান্তরে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক কোন খুৎবা বা ভাষণ শেয়ার করলে সেটি যত লোক শুনবে ও আমল করবে, শেয়ারকারী ব্যক্তি তত নেকী পাবে (মুসলিম হা/১০১৭; মিশকাত হা/২১০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হ’লে, তার এ খুনের পাপের অংশ আদম (আঃ)-এর প্রথম পুত্র (ক্বাবীল)-এর উপর বর্তায়। কারণ সে-ই প্রথম হত্যার প্রচলন ঘটায় (বুখারী হা/৩৩৩৫; মিশকাত হা/২১১)। উপরোক্ত হাদীছদ্বয় প্রমাণ করে যে, যেকোন স্থানে কেউ মন্দ রীতি চালু করলে বা তাতে শেয়ার করলে তাকে সেই গুনাহের ভাগীদার হ’তে হবে।
প্রশ্নকারী : তামীম ইকবাল, কাউখালী, ময়মনসিংহ।