উত্তরঃ ছহীহ বুখারীতে নাফে‘-এর সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে ঈদের ছালাতের পূর্বে ছাদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে (বুখারী, হা/১৫১১ ‘যাকাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৭৭)। কিন্তু পরবর্তী অনুচ্ছেদে নাফে‘ (রাঃ) ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে ছাদাক্বাতুল ফিতর সংক্রান্ত আরেকটি হাদীছ বর্ণনার পর বলেন, وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُعْطِيْهَا الَّذِيْنَ يَقْبِلُوْنَهَا- ‘ইবনু ওমর (রাঃ) ছাদাক্বাতুল ফিতর জমাকারীদের নিকট ফিতরা প্রদান করতেন’ (ঐ, হা/১৫১২; ইবনু হাজার আসক্বালানী, ফাহুল বারী, ৩/৪৭৯ পৃঃ)। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, كَانُوْا يُعْطُوْنَ لِلْجَمْعِ لاَ لِلْفُقَرَاءِ ‘তাঁরা জমা করার জন্য দিতেন, ফকীরদের জন্য নয়’। ছহীহ ইবনু খুযায়মাতে আব্দুল ওয়ারেছের সূত্রে আইয়ূব থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হ’ল ইবনু ওমর (রাঃ) ছাদাক্বাতুল ফিতর কখন প্রদান করতেন? তিনি বললেন, আদায়কারী বসলে। তিনি আবার বললেন, আদায়কারী কখন বসতেন? তিনি বললেন, ঈদের ছালাতের একদিন বা দু’দিন পূর্বে (ফাহুল বারী, ৩/৪৮০ পৃঃ)। ইমাম মালিক (রহঃ) নাফে‘ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, أَنَّ عَبْدَ اللهِ ابْنِ عُمَرَ كَانَ يَبْعَثُ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ إِلَى الَّذِيْ تُجْمَعُ عِنْدَهُ قَبْلَ الْفِطْرِ بِيَوْمَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ- ‘আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রাঃ) ঈদুল ফিতরের দু’দিন বা তিনদিন পূর্বে যাদের নিকট ছাদাক্বাতুল ফিতর জমা করা হয় তাদের নিকট ফিতরা প্রেরণ করতেন’ (মুওয়াত্ত্বা মালিক, ১/২৮৫ পৃঃ ‘যাকাত’ অধ্যায় ‘যাকাতুল ফিতর প্রেরণ’ অনুচ্ছেদ)। তেমনি আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, وَكَّلَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ ‘রাসূলুল্লাহ আমাকে রামাযানের যাকাত রক্ষার বা হেফাযতের দায়িত্ব প্রদান করেন’(ফাহুল বারী, ৩/৪৮০ পৃঃ)। যা দ্বারা বুঝা যায় যে, তিনি জমাকৃত ছাদাক্বাতুল ফিতর পাহারা দিচ্ছিলেন। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, ঈদের পূর্বে ছাদাক্বাতুল ফিতর জমা করা সুন্নাত। তাছাড়া ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে ঈদের ছালাতের পূর্বে ছাদাক্বাতুল ফিতর বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা তা ছালাতের পূর্বে বের করতাম এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাত শেষে তা বণ্টন করতেন’ (ইরওয়াউল গালীল, ৩/৩৩২-৩৩ পৃঃ)। অতএব ছাদাক্বাতুল ফিতর ঈদের পূর্বে জমা করতে হবে এবং ঈদের ছালাতের পরে বণ্টন করতে হবে। এটাই সুন্নাতী তরীকা (বিস্তারিত দ্রঃ ফাহুল বারী, হা/১৫১১ ‘যাকাত’ অধ্যায় ৭৭ অনুচ্ছেদ, ৩/৪৩৯-৪০ পৃঃ)






বিষয়সমূহ: জুম‘আ ও ঈদ
প্রশ্ন (১২/২৯২) : আমি মালয়েশিয়া প্রবাসী। সেদেশে রামাযান শুরু হয় বাংলাদেশের এক দিন পূর্বে। সে হিসাবে বাংলাদেশের একদিন পূর্বে সেখানে ঈদ হবে। এক্ষণে আমি ১৫ই রামাযান দেশে যাবো। সেখানে আমি ঈদ করবো কোন দেশের সাথে?
প্রশ্ন (৩৯/৩৯) : স্বামীর আপন চাচা, মামা, খালু কি স্ত্রীর জন্য মাহরাম? অন্যদিকে স্ত্রীর আপন খালা, ফুফু কি স্বামীর জন্য মাহরাম?
প্রশ্ন (৩/২০৩) : জনৈক ব্যক্তি ইমাম হওয়ায় যুবতী মেয়েদেরকে বাধ্য হয়ে পড়াতে হয়। এক্ষণে কিভাবে পড়ালে শরী‘আত সম্মত হবে?
প্রশ্ন (৪/৪) : ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘এক্বামত হ’লে আমরা ওযূ করতাম এবং ওযূ শেষে ছালাতের জন্য বের হ’তাম’ হাদীছটির ব্যাখ্যা জানতে চাই।
প্রশ্ন (২১/১৮১) : সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে পিতা না মাতার সিদ্ধান্ত অগ্রাধিকার পাবে?
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত যে বিদ‘আতী দল তার কারণ জানিয়ে বাধিত করবেন
প্রশ্ন (৭/১২৭) : আক্বীদা ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য কি?
প্রশ্ন (২/৪৪২) : ওয়াক্তিয়া মসজিদ, জামে মসজিদ এবং গৃহাভ্যন্তরে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়ে ছওয়াবের তারতম্য হবে কি?
প্রশ্ন (২৬/১০৬) : কেউ নবজাতক সন্তানের সুসংবাদ দিলে কী বলে দো‘আ করতে হবে?
প্রশ্ন (২২/১০২) : আমাদের এখানে চোর ধরা পড়লে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের নিকটে হস্তান্তর করা হয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশের নিকট থেকে কিছু ঘুষ দিয়ে এরূপ অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়। এভাবে প্রহারের পর পুলিশে সোপর্দ করা সঠিক কি?
প্রশ্ন (৯/২৪৯) : দাঁড়িয়ে পেশাব করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৩১/৪৩১) : পিতা হালাল উপার্জন করেন। কিন্তু দাদী কয়েকটা এনজিও থেকে কিস্তি তোলেন। যৌথ পরিবার হওয়ায় আমাদের মধ্যে হালাল-হারাম সংমিশ্রণ হয়ে যাচ্ছে। দাদা-দাদীকে অনেক বুঝানোর পরও তারা বুঝতে চান না। এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?
আরও
আরও
.