উত্তর : সাধারণতঃ পিতা-মাতার বদ নযর লাগে না। কেননা বদ নযর মানুষের খারাপ ইচ্ছা থেকে হয়ে থাকে। আর পিতা-মাতা কখনো সন্তানের অকল্যাণ বা খারাপ কিছু চান না। সুতরাং পিতা-মাতাকে অভিযুক্ত করা অন্যায় হবে। তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সৎ মানুষের ক্ষেত্রে অনেক সময় কাউকে অধিক ভালোলাগার দরুন তার সম্পর্কে কোন ভাল মন্তব্যের কারণেও বদ নযর লাগতে পারে। যেমন সাহল ইবনু হুনায়েফ (রাঃ)-এর পুত্র আবু উমামাহ (রহঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন ‘আমের ইবনু রবী‘আহ (রাঃ) সাহল ইবনু হুনায়েফ (রাঃ)-কে গোসল করতে দেখলেন এবং (তার মসৃণ দেহ দেখে) বলে উঠলেন, আল্লাহর কসম! আজকের মতো আমি কোনদিন দেখিনি এবং পর্দার আড়ালে রক্ষিত (কুমারী মেয়ের) কোন চামড়াও (সাহল-এর চামড়ার মতো) এরূপ সুন্দর দেখিনি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর (তার মুখ হ’তে এ শব্দগুলো বের হওয়ার সাথে সাথে) সাহল বেহুঁশ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। (এ অবস্থায়) তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট আনা হ’ল। বলা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি সাহল ইবনু হুনায়েফ-এর জন্য কোন ব্যবস্থা করতে পারেন? আল্লাহর কসম! সে তো তার মাথা উঠাতে পারছে না। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি কাউকে তার সম্পর্কে অভিযুক্ত করো? লোকেরা বলল, আমরা ‘আমের ইবনু রাবী‘আহ-এর ওপর সন্দেহ করি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘আমেরকে ডেকে পাঠালেন এবং কঠোর ভাষায় তাকে তিরষ্কার করে বললেন, তোমাদের কেউ তার আরেক ভাইকে কেন হত্যা করে? তুমি তার জন্য কল্যাণের দো‘আ করলে না কেন? তুমি (তোমার শরীরের কিছু অঙ্গ) সাহল-এর জন্য ধুয়ে দাও। তখন ‘আমের নিজের মুখমন্ডল, উভয় হাত কনুই পর্যন্ত, উভয় পা হাঁটু হ’তে পাতা এবং ইযারের ভিতরের অঙ্গ ধুয়ে পানিগুলো একটি পাত্রে নিলেন। অতঃপর সে পানি সাহল-এর উপর ঢেলে দেয়া হ’ল। তাতে সাহল সুস্থ হয়ে লোকজনের সাথে হেঁটে আসলেন, যেন তাঁর শরীরে কোন কষ্টই ছিল না (ইবনু মাজাহ হা/)৩৫০৯; মিশকাত হা/৪৫৬২; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০২০)

কখনো জিনেরও বদ নযর লাগতে পারে। যেমন উম্মু সালামাহ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) তাঁর ঘরে একটি মেয়েকে দেখলেন যে, তার চেহারা মলিন (জিনের নযর লেগেছে)। তখন তিনি বললেন, তাকে ঝাড়-ফুঁক করাও, কেননা তার উপর নযর লেগেছে (বুখারী হা/৫৭৩৯; মিশকাত হা/৪৫২৮)। এক্ষণে কোন মানুষকে বা শিশুকে ভালো লাগলে বলবে ‘বারাকাল্লাহু লাকা’ অথবা ‘আলায়কা’ তাহ’লে বদ নযর লাগবে না। আর যদি কাউকে বদ নযর লেগে যায়, তাহ’লে বলবে, (বিসমিল্লাহি আরক্বীকা, মিন কুল্লে শাইয়িন ইউযীকা) ‘আল্লাহর নামে আমি তোমাকে ফুঁক দিচ্ছি ঐ সকল বস্ত্ত থেকে, যা তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে’ (মুসলিম হা/২১৮৬; মিশকাত হা/১৫৩৪)। অথবা সূরা ফালাক্ব ও নাস পড়ে দু’হাতে ফুঁক দিয়ে রোগী নিজে অথবা তার হাত ধরে অন্য কেউ যতদূর সম্ভব সারা দেহে বুলাবে (বুখারী হা/৪৪৩৯; মুসলিম হা/২১৯২; মিশকাত হা/১৫৩২)






প্রশ্ন (৮/১৬৮) : আমার অন্তরে অনেক সময় শিরকী কথার উদয় হয়। এ কারণে অস্থিরতা বোধ করি। এজন্য আল্লাহ আমাকে পাকড়াও করবেন কি?
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : জনৈক আলেম বলেন, কসম ভঙ্গের কাফফারা হচ্ছে একটানা ৩টি ছিয়াম পালন করা। মাঝে একটি ছুটে গেলে তিনটির সাথে আরো একটি যোগ করতে হবে। এ বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : এক মা তার ২ বছরের দুধের শিশুর খাদ্যের অবশিষ্টাংশ নিজে না খেয়ে অন্য কাউকে খেতে দেয়। জিজ্ঞেস করা হ’লে সে বলে যে শিশু দুধ না ছাড়া পর্যন্ত নাকি তার খাদ্যের অবশিষ্টাংশ মা খেতে পারবে না এবং এ ব্যাপারে নিষেধ আছে। এ কথা কি সঠিক? - -জাবির হোসেন, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (৩০/৪৭০): ছালাত অবস্থায় কেউ সালাম দিলে উত্তর দেওয়ার পদ্ধতি কি? ছালাতরত অবস্থায় কেউ ডাকলে গলায় আওয়াজ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩৪) : এক ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হয়েছে। আর তার আরেকজনকে হজ্জ করানোর সামর্থ্য রয়েছে। এক্ষণে সে প্রথমে স্ত্রীকে না মাকে হজ্জ করাবে? - -আহমাদুল্লাহনওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৯/৩৩৯) : পোষাক পরিবর্তনের সময় সতর খুলে যাওয়ায় অথবা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে ওযূ ভেঙ্গে যায় কি?
প্রশ্ন (১৮/৩৩৮) : আমেরিকায় দিনের বেলা শিশু জন্মগ্রহণ করলে বাংলাদেশে তখন রাত থাকে। এক্ষণে দেশে তার আক্বীক্বা প্রদান করা হ’লে বাংলাদেশ সময়কে জন্ম তারিখ হিসাবে ধরতে হবে কি? - -হাসান মাহমূদপেনসিলভানিয়া, আমেরিকা।
প্রশ্ন (৬/৮৬) : ‘পানির অপর নাম জীবন’- কথাটি কি কুরআন-হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত?
প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : মাঝে মাঝে ছালাত আদায়কারী কসাইয়ের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে কি? - -লতীফুর রহমান, মতিঝিল, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৩/২৭৩) : জনৈক মুফতি বলেন, যে পুরুষ বাবরী চুল রাখে না সে রাসূল (ছাঃ)-এর আনুগত্য করে না। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? চুল রাখার বিধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৮/৪৮) : জনৈক ব্যক্তি ওযূর ধারাবাহিকতা এবং ফরয গোসলের ক্ষেত্রে বহুদিন যাবৎ বড় ধরণের ভুলের মধ্যে ছিল। এখন তা বুঝতে পারার পর তার পূর্বের আমলের অবস্থা কি হবে? এক্ষেত্রে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : তোমরা ঠান্ডা পানি দ্বারা ইস্তিনজা কর, কারণ এটা হারিশ রোগ আরোগ্যকারী- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি? - -মাযহারুল ইসলাম, শিবগঞ্জ, বগুড়া।
আরও
আরও
.