উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও ছহীহ হাদীছ সমূহে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলার আকার আছে। যেমন আল্লাহর চেহারা (আর-রহমান ২৭), তাঁর দুই হাত (ছোয়াদ ৭৫; মায়েদাহ ৬৪), তাঁর চোখ (তূর ৪৮)
আছে বলে কুরআন মজীদে উল্লেখিত হয়েছে। অনুরূপভাবে হাদীছে এসেছে, আল্লাহ যখন
জাহান্নামকে বলবেন, তুমি কি পূর্ণ হয়েছ? তখন সে বলবে, আরো বেশি আছে কি?
তখন মহান আল্লাহ জাহান্নামে তাঁর পা রাখবেন। জাহান্নাম তখন বলবে, যথেষ্ট
হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে (বুখারী হা/৪৮৪৮; মুসলিম ‘জান্নাত’ অধ্যায় হা/৩৫, ৩৭, ৩৮; মিশকাত হা/৫৬৯৪-৯৫)। তাছাড়া মুমিনগণ জান্নাতে আল্লাহর দর্শন লাভে সর্বাধিক খুশি হবেন (মুসলিম হা/৪৬৬-৬৭ ‘ঈমান’ অধ্যায়)। কুরআন ও হাদীছে এ ধরনের অনেক প্রমাণ রয়েছে।
আল্লাহর নিজস্ব আকার আছে। কিন্তু তা কারু সাথে তুলনীয় নয় (শূরা ১১; নাহল ৭৪)। আল্লাহ নিরাকার হ’লে মুমিনগণ কিভাবে তাঁকে জান্নাতে দেখতে পাবেন? ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হ’ল, মুমিনগণ জান্নাতে আল্লাহ তা‘আলার দর্শন লাভে ধন্য হবেন। আল্লাহর দর্শনকে কেবল বিদ‘আতী মু‘তাযিলা, মাতুরিদিয়া ও কতিপয় মুর্জিয়া অস্বীকার করে।
আল্লাহর জ্ঞান ও ক্ষমতা অসীম। সুতরাং তাঁর আকার থাকা এ গুণের বিরোধী নয়। অতি যুক্তিবাদীরা আল্লাহকে অবশেষে আকার ও গুণহীন শূন্য সত্তায় পরিণত করেছে। যা নাস্তিক্যবাদের শামিল এবং কুরআন ও হাদীছের প্রকাশ্য অর্থের বিরোধী (দ্রঃ আহলেহাদীছ আন্দোলন থিসিস, পৃঃ ৯৮)।