উত্তর :
কোন মহিলার শারীরিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝের
মানবীয় চাহিদাকে অস্বীকার করা এবং একে ইবাদত-বন্দেগীর জন্য ক্ষতিকর গণ্য
করা ইসলামী নীতির চরম লঙ্ঘন। কারণ স্বামী ও স্ত্রীর মিলিত হওয়াও একটি ইবাদত
(মুসলিম; মিশকাত হা/১৮৯৮)। যে যত বেশী
দ্বীনদার হবে, সে তত বেশী স্বামীকে খুশী রাখার চেষ্টা করবে। রাসূল (ছাঃ)
স্বামীর আনুগত্যকে স্ত্রীর জান্নাত লাভের কারণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন (আহমাদ, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৬০, ৬৬১)।
এছাড়া স্বামীর অবাধ্যতার পরিণতি ভয়াবহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন
ব্যক্তির ছালাত তাদের কর্ণকুহর পার হয় না (অর্থাৎ কবুল হয় না)। তন্মধ্যে
একজন হচ্ছে ঐ মহিলা যে স্বামীর অসন্তুষ্টিতে রাত্রি যাপন করে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১১২২ ‘ইমামত’ অনুচ্ছেদ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ফেরেশতাগণ সকাল পর্যন্ত ঐ মহিলার উপর অভিসম্পাত করতে থাকে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩২৪৬)।