
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ‘দুর্ভোগ ঐসব লোকদের জন্য, যারা সম্মুখে ও পশ্চাতে পরনিন্দা করে’ (হুমাযাহ ১)। হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘গীবতকারী বা চোগলখোর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৮২৩)। এতদ্ব্যতীত অন্যান্য ছহীহ হাদীছেও গীবতকারীর ভয়াবহ পরিণতি বর্ণিত হয়েছে (মুসলিম, রিয়াযুছ ছা-লেহীন হা/১৫২৩ ‘গীবত ও জিহবার হেফাযত’ অধ্যায়, মিশকাত হা/৪৮২৮; বুঃ মুঃ রিয়ায হা/১৫১২, মিশকাত হা/৬; বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৩৮)। এক্ষণে যাদের নিকট ক্ষমা চাওয়া সম্ভব নয় তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে (নববী, আল আযকার, পৃ. ৩৪৬, ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ওয়াবিলুছ ছাইয়েব, পৃ. ১৪১)।
উল্লেখ্য যে, স্রেফ ইছলাহের উদ্দেশ্যে ও নেকীর আশায় জনকল্যাণার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যায়। যেটা গীবত নয়। বরং সত্য তুলে ধরা। যেমন (১) অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার জন্য (২) সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা এবং পাপীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য (৩) হাদীছের সনদ যাচাইয়ের জন্য (৪) মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করার জন্য (৫) পাপাচার ও বিদ‘আত থেকে সাবধান করার জন্য (৬) প্রসিদ্ধ নাম বলে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য (নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ২৫৬ অনুচ্ছেদ, পৃ. ৫৭৫; মুসলিম হা/২৫৮৯ ‘গীবত হারাম হওয়া’ অনুচ্ছেদ, নববীর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।
প্রশ্নকারী : ফায়ছাল আহমাদ, ভোলা।