উত্তর : জুম‘আর খুৎবা মুছল্লীদের মাতৃভাষা বা তাদের বোধগম্য ভাষায় হ’তে হবে। যেমন আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘আমরা তোমার নিকটে ‘যিকর’ (কুরআন-হাদীছ) নাযিল করেছি, যাতে তুমি লোকদের নিকটে ঐ সকল বিষয় ব্যাখ্যা করে দাও, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে। যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহল ১৬/৪৪)। অতএব নবীর ওয়ারিছ হিসাবে প্রত্যেক আলেম ও খত্বীবের দায়িত্ব হ’ল মুছল্লীদের নিজস্ব ভাষায় কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বিধানসমূহ খুৎবায় ব্যাখ্যা করে শুনানো।
রাসূল (ছাঃ) আরবীভাষী ছিলেন বলেই তিনি আরবীতে খুৎবা দিতেন। কিন্তু তিনি ছিলেন বিশ্বনবী ও তাঁর দ্বীন ছিল বিশ্বজনীন। অতএব বিশ্বের সর্বত্র সবধরনের মুছল্লীর ভাষায় তাঁর দ্বীনের ব্যাখ্যা করা খত্বীবদের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু এদেশে খত্বীবগণ আরবীতে খুৎবা দেন, যা একেবারেই খুৎবার উদ্দেশ্য বিরোধী। তাই মুছল্লীদের চাহিদা বুঝতে পেরে তারা খুৎবার পূর্বে বাংলায় বয়ানের নামে তৃতীয় আরেকটি খুৎবা চালু করেছেন, যা নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। আর প্রশ্নমতে খুৎবার পূর্বে খত্বীব ভিন্ন অপর কোন ব্যক্তি যে বয়ান করেন, তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।