উত্তর : এসময়
হাজীগণ কেবল যোহর, মাগরিব ও এশার সুন্নাতগুলি বাদ দিবেন। তাছাড়া অন্য সকল
প্রকার নফল ছালাত আদায় করবেন। যেমন তাহাজ্জুদ, ছালাতুয যোহা, ছালাতুল
ইস্তেখারাহ, ছালাতুল হাজত, ছালাতুত তওবা ও অন্যান্য নফল ছালাত (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/৩৫৬)। তবে রাসূল (ছাঃ) মুযদালিফায় মাগরিব ও এশা এক আযান ও দুই ইক্বামতসহ আদায় করেন। কিন্তু এ দু’য়ের মাঝে কোন সুন্নাত বা নফল পড়লেন না (বুখারী হা/১৬৭৩; মিশকাত হা/২৬০৭)।
হযরত জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত বিদায় হজ্জের দীর্ঘ হাদীছে দেখা যায় যে,
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুযদালিফায় মাগরিব ও এশা জমা ও ক্বছর শেষে ফজর পর্যন্ত
ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি ফজর পড়েন’ (মুসলিম হা/১২১৮ (১৪৭); মিশকাত হা/২৫৫৫)। এতে বুঝা যায় যে, তিনি এই রাতে বিতর বা তাহাজ্জুদ পড়েননি (‘হজ্জ ও ওমরাহ’ বই ৮৯ পৃ.)।
ফজরের পূর্বের দু’রাক‘আত সুন্নাত, বিতর ও তাহাজ্জুদের ছালাত সবসময় আদায় করা যায়। কেননা রাসূল (ছাঃ) এই ছালাতগুলি সাধারণতঃ পরিত্যাগ করতেন না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত আদায় করার প্রতি যত কঠোরভাবে খেয়াল রাখতেন অন্য কোন নফল ছালাতের প্রতি ততখানি রাখতেন না (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১১৬৩)।