উত্তর : উক্ত মর্মে একটি প্রসিদ্ধ হাদীছ পাওয়া যায়। যাতে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচারীর সাথে এ উদ্দেশ্যে চলে যে, সে তার শক্তি বৃদ্ধি করবে; আর সে এটা জানে যে, সে যুলুমকারী, তবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৬১৯; মিশকাত হা/৫১৩৫; যঈফাহ হা/৭৫৮)। তবে বর্ণনাটির সনদ ছহীহ নয় (আলবানী, যঈফাহ হা/৭৫৮)। এক্ষণে যুলুম যদি বড় শিরক পর্যায়ের হয় এবং তাতে কেউ সহায়তা করে তাহ’লে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা যালেমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না। তাহ’লে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে’ (হূদ ১১/১১৩)।
উল্লেখ্য যে, কোন অবস্থাতেই এবং কোনভাবেই যালেম শাসককে সহায়তা করা যাবে না। আত্বা বিন রাবাহ বলেন, ‘কারো জন্য যালেমকে সাহায্য করা জায়েয নয়। তার জন্য কোন কিছু লিখে দিবে না এবং তার সাহচর্যে থাকবে না। যদি কেউ এর কোন একটি করে, তাহ’লে সে যালেমের সাহায্যকারী হিসাবে গণ্য হবে’ (তাফসীরে কুরতুবী ১৩/২৬৩)।
ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘যালেমদের এজেন্ট হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে তাদের সাহায্য করে; যদিও সে তাদের জন্য কালি প্রস্ত্তত করে অথবা তাদের জন্য একটি কলম তৈরী করে দেয়। এমনকি কেউ কেউ মনে করেন, যে যালেমদের কাপড় ধুয়ে দেয় সেও তাদের সহযোগী’ (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৭/৬৪)। তিনি আরো বলেন, ‘কোন লোকের জন্য যালেমের সহায়ক হওয়া জায়েয নয়’ (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৮/২৮৩)।
প্রশ্নকারী : মুনীরুয্যামান, সাভার, ঢাকা।