উত্তর : حضرة ‘হযরত’ আরবী শব্দ, পুংলিঙ্গ। অর্থ নৈকট্য, নেতা, জনাব, সম্মানসূচক উপাধি। جناب ‘জনাব’ আরবী শব্দ, উভয় লিঙ্গ। অর্থ সম্মানিত ব্যক্তি, আশ্রয়স্থল ইত্যাদি (ফীরোযুল লুগাত (উর্দূ)। সম্মানিত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য তাঁদের নামের শুরুতে ‘হযরত’, ‘জনাব’ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। যেমন, হযরতুল উস্তায/আদ-দাকতূর, হযরতুল মুহতারাম ইত্যাদি’ (মু‘জামুল লুগাতিল আরাবিইয়াহ আল-মু‘আছারাহ ১/৪০১, ৫১৪)। আরবী ভাষায় ‘হযরত’ শব্দের ব্যবহার বহূ পূর্ব থেকেই চালু আছে। যেমন ইমাম যাহাবী, হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) প্রমুখ বিদ্বানগণ সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে এ শব্দ ব্যবহার করেছেন (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১০/৫৫২, আল-বিদায়াহ ১৩/২৬১)

বস্ত্ততঃ প্রত্যেক দেশের প্রচলিত সর্বোচ্চ সম্মানসূচক শব্দ রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের নামের পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন আরব দেশে উপনাম দিয়ে ডাকাকে সম্মানসূচক মনে করা হ’ত। যেমন, আবুল ক্বাসেম, আবু হুরায়রা, আবু হাফছ ইত্যাদি। বর্তমানে সেখানে শায়খ, সাইয়েদ, বহুবচনে সাদাত, সাইয়েদাত ইত্যাদি বলা হয়। এছাড়া ইংরেজীতে ইয়োর অনার, হিজ ম্যাজেস্টী, ইয়োর এক্সেলেন্সী এবং জাপানে ‘সান’, ‘সামা’, ‘চ্যান’ ইত্যাদি। একইভাবে উপমহাদেশে জনাব, হযরত, হুযুর, মাওলানা ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়।

আল্লাহ পরস্পরকে মন্দ লকবে ডাকতে নিষেধ করেছেন (হুজুরাত ৪৯/১১)। অতএব প্রচলিত উত্তম লকব সমূহে আহবান করায় কোন দোষ নেই।

তবে যদি কেউ এর দ্বারা মন্দ অর্থ গ্রহণ করেন, সেজন্য তিনি দায়ী হবেন। যেমন, মদীনায় মুসলমানরা রাসূল (ছাঃ)-কে ‘রা‘এনা’ বলতেন (বাক্বারাহ ২/১০৪)। কিন্তু ইহূদীরা সেটা বলত গালি অর্থে। মুসলমানরা ‘রব’ বলতে আল্লাহকে বুঝেন, কিন্তু ফেরাঊন ‘রব’ বলতে নিজেকে বুঝিয়েছিল (নাযে‘আত ২৪)। কুরআনে আল্লাহকে ‘মাওলানা’ (আমাদের প্রভু) বলা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২৮৬, তওবা ৯/৫১)। কিন্তু বান্দার ক্ষেত্রেও ‘মাওলা’ বন্ধু বা গোলাম বা অভিভাবক অর্থে ব্যবহৃত হয়। ‘মৌলবী’ অর্থ দুনিয়াত্যাগী, বড় আলেম ইত্যাদি’ (আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব)

উপমহাদেশে সম্মানসূচক সম্বোধন হিসাবে ‘মাওলানা’ (আমাদের অভিভাবক) বলা হয়ে থাকে (ফীরোযুল লুগাত)। ‘শরীফ’ অর্থ সর্বোচ্চ সম্মানিত। সে অর্থে কুরআন শরীফ, কা‘বা শরীফ ইত্যাদি বলা হয়ে থাকে। এক্ষণে যদি কেউ শিরকের আড্ডাখানা কোন কবরকে ‘শরীফ’ বলেন, তার জন্য তিনি দায়ী হবেন। কিন্তু সেজন্য কুরআন শরীফ বলা যাবে না, এমনটি নয়। একইভাবে জনাব, হুযুর, মাওলানা, হযরত ইত্যাদি শব্দ সম্মানসূচক অর্থে ব্যবহার করায় কোন দোষ নেই।

-মবীনুল ইসলাম

উপশহর, রাজশাহী।






প্রশ্ন (৩/২৮৩) : অনেকে পবিত্র কুরআনের কসম করে থাকে। এটা কি শরী‘আত সম্মত? কার নামে কসম করতে হবে?
প্রশ্ন (২৮/৬৮) : ‘আমার উম্মতের মধ্যে সবার আগে আমি মদীনাবাসীর জন্য শাফা‘আত করব, অতঃপর মক্কাবাসীর, অতঃপর ত্বায়েফবাসীর জন্য’-মর্মে ত্বাবারাণীতে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি? - -রোকনুয্যামান, সরকারী আযীযুল হক কলেজ, বগুড়া।
প্রশ্ন (২/৪০২) : রাসূল (ছাঃ) মাইয়েতকে তাড়াতাড়ি দাফন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর দাফনে তিন দিন দেরী হ’ল কেন?
প্রশ্ন (৩৩/৩৫৪) : তিনটি জিনিস সর্বদা সাথে রাখা সুন্নাত। চিরুনী, আতর ও মিসওয়াক। উক্ত কথার দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য অনুদান না দিলে চাকুরী হবে না। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : ইমাম গাযালী (রহঃ) ‘এহইয়াউ উলূমিদ্দীন’ বইয়ে লিখেছেন ‘দ্বিপ্রহরের পরে মিসওয়াক না করা রোযার সুন্নাত’। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : পবিত্র কুরআনে বর্ণিত শো‘আয়েব (আঃ) কি নবী ছিলেন, না একজন সৎ ব্যক্তি ছিলেন?
প্রশ্ন (৪০/৪৮০) : আলট্রাসনো করে শিশুর লিঙ্গ জানা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩৯১) : আমার বোন তার ডিভোর্সের পর প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে প্রথমে গরু কিনে দেন। আমার বড় ভাই ও আমরা সবাই মিলে সেই গরু লালন-পালন করে বেশ কয়েকটি গরু হয়। সেই গরু বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কিছু জমি আমার মায়ের নামে ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে আমার বোনের আগের স্বামীর সাথে বিয়ে হয় এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঐ স্বামী বর্তমান আছে। তবে তিনি বোনকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতেন না। জমি হ’তে প্রাপ্ত ফসল আমার বোনকে দেওয়া হ’ত। আমার বোন দীর্ঘদিন পর্যন্ত অসুস্থ ছিল। ২০২২ সালে তার ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ে। আমার বোনের চিকিৎসার সমস্ত খরচ আমি একাই বহন করেছি। আমার বোন তার মৃত্যুর আগে তার জমি আমাকে দিতে বলেছে। কিন্তু আমি তা গ্রহণ করতে চাই না। এক্ষণে ঐ জমি কিভাবে বণ্টন করতে হবে?
প্রশ্ন (৩৪/৩৯৪) : কোন মহিলা স্বামী থাকা অবস্থায় অন্য পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে কি? বিশেষতঃ বার বার বলা সত্ত্বেও স্বামী যদি তালাক না দেয় সেক্ষেত্রে করণীয় কি? - ইমরান চৌধুরী, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : স্বপ্নদোষ হ’লে গেঞ্জী-জামা-পায়জামা সহ সব পোষাকই কি ধুয়ে ফেলতে হবে?
প্রশ্ন (৩৮/৪৭৮) : রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে অভাবমুক্ত হওয়ার জন্য বিবাহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন। যদি ঘটনাটি সঠিক না হয় তবে অসচ্ছলতার কারণে বিবাহ না করলে গোনাহগার হ’তে হবে কি?
আরও
আরও
.