উত্তর : ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব এবং কেউ ভুলে গেলে তাকে পুনরায় ওযূ করতে হবে। আল্লাহর বাণী ‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা ছালাতে দন্ডায়মান হবে, তখন (তার পূর্বে বে-ওযূ থাকলে ওযূ করার জন্য) তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় কনুই সমেত ধৌত কর এবং মাথা মাসাহ কর ও পদযুগল টাখনু সমেত ধৌত কর’ (মায়েদাহ ৫/৬)। উক্ত আয়াত এবং অন্যান্য হাদীছের ভাষ্য মোতাবেক ইমাম শাফেঈ, ইমাম আহমাদ প্রমুখ বিদ্বানগণ ধারাবাহিকতা অবলম্বন করাকে আবশ্যিক বলেছেন এবং এটিই অধিকতর গ্রহণযোগ্য মত (মুসলিম হা/৮৩২; ওছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, পৃঃ ২১৯; ফাতাওয়া শায়খ বিন বায ১০/১০২-১০৩; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৮-৩৯)। তবে কেউ যদি ওযূর কোন অঙ্গ ধৌত করতে ভুলে যায় আর অন্যান্য অঙ্গগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই স্মরণ করতে পারে, তাহ’লে সেই অঙ্গকে ধৌত করবে এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে পরের অঙ্গগুলো পুনরায় ধৌত করবে। কিন্তু যদি অন্যান্য অঙ্গগুলো শুকিয়ে যায় তাহ’লে তাকে পুনরায় ওযূ করতে হবে (মাসায়েলুল ইমাম আহমাদ, পৃঃ ২৬, প্রশ্ন নং-৯২)। এ অবস্থায় এমনকি যদি ছালাত আদায় করেও ফেলে তাহ’লে ওযূ করে তাকে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ এক ব্যক্তি ওযূ করে এমন অবস্থায় ছালাত আদায় করছিল যে, তার পায়ের নখ পরিমাণ (তথা অতি সামান্য) অংশে পানি পৌঁছেনি। রাসূল (ছাঃ) তাকে পুনরায় সুন্দরভাবে ওযূ করার নির্দেশ দেন (ইবনু মাজাহ হা/৬৬৫; আবুদাউদ হা/১৭৩, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি তাকে পুনরায় ওযূ করে ছালাত আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেন (ইবনু মাজাহ হা/৬৬৬)। উল্লেখ্য যে, কোন কোন বিদ্বানের নিকট ওযূতে ধারাবাহিকতা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত (আল মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ১১/১০০-১০২)। শায়খ আলবানীও মিক্বদাম ইবনে মা‘দী কারিব (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদীছ (আহমাদ হা/১৭২২৭)-এর ভিত্তিতে ওযূর ধারাবাহিকতা আবশ্যক নয় মন্তব্য করেছেন (সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬১-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে হাদীছটি এ ক্ষেত্রে দলীলযোগ্য নয়। শায়খ শু‘আইব আরনাঊত্ব বলেন, হাদীছটি যঈফ। কারণ এর বর্ণনায় বৈপরিত্য এসেছে। অর্থাৎ কুলি করা ও নাক ঝাড়ার কথাটি হবে প্রথমে দু’হাত ধোয়ার পরে। যা বিশুদ্ধ হাদীছসমূহ দ্বারা প্রমাণিত (তাহকীক মুসনাদ আহমাদ ২৮/৪২৫)। এজন্য ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর ওযূর পদ্ধতি ছিল ধারাবাহিক ও ক্রমান্বয়িক। একবারের জন্যও তিনি এর ব্যত্যয় ঘটাননি (যাদুল মা‘আদ ১/১৮৭)






প্রশ্ন (৩০/৩৫০) : সশব্দে আমীন বলার ক্ষেত্রে কণ্ঠস্বর কিরূপ উচু করা যাবে? জনৈক আলেম বলেন, পাশের দুইজন পর্যন্ত শুনতে পায় এরূপ জোরে বলতে হবে। এক্ষণে সঠিক সমাধান কি? - -আরীফুল ইসলাম জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা
প্রশ্ন (১/২৪১) : মহিলারা পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত মসজিদে গিয়ে আদায় করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (২২/৩০২) : আমি একজন বৃদ্ধ। আমার বড় ছেলে আমার কোন খরচ বহন করে না। বরং খুবই খারাপ ব্যবহার করে। আমার যাবতীয় খরচ ছোট ছেলে বহন করে। এক্ষণে আমি আমার সম্পদ থেকে ছোট ছেলেকে কিছু বেশী দিতে পারব কি?
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : বুখারী ৫৬১০ নং হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) মদ, মধু ও দুধের মধ্যে দুধ পান করেছিলেন। এ হাদীছের ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন?
প্রশ্ন (২৪/২৪) : রাসূল (ছাঃ) হজ্জের সময় জাবালে রহমতে খুৎবা প্রদান করেছিলেন। অথচ বর্তমানে মসজিদে নামিরায় কেন খুৎবা দেওয়া হচ্ছে? - -আসমাউল আলমহরিমোহন সরকারী স্কুল, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : আমার পিতা মারা গেছেন। তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে আধা কাঠা জমির উপর তিন তলা বাড়ী এবং ভিন্ন ভিন্ন দামের আরো প্রায় ৩৯ শতাংশ জমি। আমরা ৪ ভাই ৩ বোন, আমার মা এবং দাদী জীবিত আছেন। আমরা ভাই-বোনেরা চাই তিন তলা বাড়ীটি মায়ের নামে দিতে এবং ভাই-বোনেরা কম দাম এবং বেশী দামের জমি মিলিয়ে বণ্টন করে নিতে এবং কম মূল্যের জমি দাদীকে দিতে। আমার এক ভাই ও এক বোন এখনো নাবালক। এইভাবে বণ্টন করলে কি দাদীর সাথে বেইনছাফী করা হবে? অথবা কিভাবে বণ্টন করলে ইনছাফপূর্ণ বন্টন হবে জানালে উপকৃত হব। - -মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : এক মা তার ২ বছরের দুধের শিশুর খাদ্যের অবশিষ্টাংশ নিজে না খেয়ে অন্য কাউকে খেতে দেয়। জিজ্ঞেস করা হ’লে সে বলে যে শিশু দুধ না ছাড়া পর্যন্ত নাকি তার খাদ্যের অবশিষ্টাংশ মা খেতে পারবে না এবং এ ব্যাপারে নিষেধ আছে। এ কথা কি সঠিক? - -জাবির হোসেন, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : মাসিক আত-তাহরীক ডিসেম্বর ২০০৯ সংখ্যা ১২নং পৃষ্ঠায় ‘নয়টি প্রশ্নের উত্তর’ নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, যাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেনি, তাদের জন্য আখিরাতে আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকবে। আর সেটা এই যে, তাদের পরীক্ষার জন্য আল্লাহ তাদের কাছে একজন রাসূল পাঠাবেন। প্রশ্ন হ’ল, ঐ রাসূলের নাম কী?
প্রশ্ন (৮/২৪৮) : বর্তমানে জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে পদ্ধতি চালু আছে তা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (১৫/৩৭৫) : যখন আযানের জবাব দেয়া শেষ হবে তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর, তাহলে তোমাকে প্রদান করা হবে’ (আবুদাঊদ) ‘আযান ও ইকামতের মাঝের দো‘আ ফেরত দেয়া হয় না’ (আহমাদ) এবং জুম‘আর দিনে একটি সময় রয়েছে সে সময় কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে দান করেন (বুখারী, মুসলিম)। উক্ত স্থানগুলোতে হাত না তুলে মনে মনে বাংলায় চাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২/২৪২) : জনৈক ব্যক্তি যেলা জজ আদালতের পেশকারের সাথে মামলা লিখেন। সারাদিন মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে যে টাকা জমা হয় তার কিছু অংশ পারিশ্রমিক হিসাবে প্রতিদিন তাকে দেওয়া হয়। উক্ত চাকুরী তার জন্য হালাল হচ্ছে কি?
প্রশ্ন (৪/৮৪) : বাংলাদেশ বেতার থেকে সাহারী অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়েছে যে, আল্লাহর আরশ ও কুরসী থেকে নবীর কবরের মর্যাদা অনেক বেশী। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক।
আরও
আরও
.