উত্তর :
এগুলি সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। কেননা যেকোন মেয়ের স্বামীর বাড়ীতে যেমন
অধিকার আছে, পিতার বাড়ীতেও তেমনি অধিকার রয়েছে। এই অধিকার ভোগের কোন
সময়সীমা নেই। যতদিন খুশী মেয়ে তার বাপের বাড়ী থাকবে। সেখানে সে মেহমান নয়,
বরং সে তার পিতার রক্তের উত্তরাধিকার। সম্ভবতঃ একটি হাদীছের ভুল ব্যাখ্যা
থেকেই উক্ত কুসংস্কারের উদ্ভব হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মেহমানদারী হ’ল
তিনদিন। বাকী সময় হবে ছাদাক্বাহ। অতএব কারু জন্য উচিৎ হবে না তার বেশী দিন
অবস্থান করা, যা মেযবানকে বিরক্ত করে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪২৪৪)। অর্থাৎ তিনদিন মেহমানদারী করা কর্তব্য। বাকীটা উপঢৌকন হিসাবে গণ্য হবে। যাতে তিনি নেকী পাবেন। তবে মেহমানের জন্য সেটা উচিৎ হবে না।