উত্তর : সূরা ফালাক্ব ও নাস পড়াই যথেষ্ট। তবে সেই সাথে সূরা ইখলাছও পাঠ করা যেতে পারে। সূরা ফালাক্ব ও নাসকে ‘মুআ‘উভেযাতাইন’ বলা হয়। কেননা এ দু’টি সূরার শূরুতে ‘আ‘উযু’ (আমি পানাহ চাচ্ছি) শব্দ রয়েছে। প্রত্যেক ছালাত শেষে অন্যান্য দো‘আর সাথে উপরোক্ত দু’টি সূরা পাঠ করা মুস্তাহাব। ছাহাবী ওক্ববা ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে প্রতি ছালাতের শেষে সূরা ফালাক্ব ও নাস পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন’ (তিরমিযী হা/২৯০৩ ও অন্যান্য; মিশকাত হা/৯৬৯; ছহীহাহ হা/১৫১৪)। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জিন ও ইনসানের চোখ লাগা হ’তে আশ্রয় চাইতেন। কিন্তু যখন সূরা ফালাক্ব ও নাস নাযিল হ’ল, তখন তিনি সব বাদ দিয়ে এ দু’টিই পড়তে থাকেন’ (তিরমিযী হা/২০৫৮ ও অন্যান্য; মিশকাত হা/৪৫৬৩ ‘চিকিৎসা ও ঝাড়ফুঁক’ অধ্যায়)

ওক্ববা (রাঃ) থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমি প্রত্যেক ছালাতের শেষে ‘মুআ‘উভেযাত’ (পানাহ চাওয়ার সূরা সমূহ) পাঠ করি’ (আহমাদ হা/১৭৪৫৩; আবূদাঊদ হা/১৫২৩; মিশকাত হা/৯৬৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তোমরা প্রত্যেক ছালাতের শেষে ‘মুআ‘উভেযাত’ পাঠ কর’ (হাকেম হা/৯২৯, সনদ ছহীহ)। এখানে বহুবচন (সূরা সমূহ)-এর ব্যাখ্যায় ছাহেবে মির‘আত বলেন, এর দ্বারা সূরা ফালাক্ব ও নাস বুঝানো হয়েছে। কেননা নিম্নতম বহুবচন হ’ল দুই। অথবা এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঐ সকল আয়াত, যার মধ্যে শব্দগতভাবে অথবা মর্মগতভাবে আল্লাহর নিকট পানাহ চাওয়ার অর্থ রয়েছে। সে হিসাবে ফালাক্ব ও নাস ছাড়াও সূরা ইখলাছ ও কাফেরূন এর মধ্যে শামিল হ’তে পারে। কেননা ঐ দু’টি সূরায় শিরক মুক্তির বিষয়ে আল্লাহর পানাহ চাওয়ার অর্থ রয়েছে (মির‘আত হা/৯৭৬-এর ব্যাখ্যা; মিরক্বাত হা/৯৬৯-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। 






প্রশ্ন (৩০/২৩০) : সাক্ষাতের সময় সালাম-মুছাফাহার সাথে সাথে কোলাকুলি করা, চুমু খাওয়া ইত্যাদি শরী‘আতসম্মত কি? - -এমদাদ, ছয়ঘরিয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩৯/৪৩৯) : কুরআন হেফয করার পর মুখস্থ না রাখতে পারলে গোনাহগার হবে কি? ‘কুরআন ভুলে গেলে ক্বিয়ামতের দিন তাদের মুখের চামড়া থাকবে না’ কথাটির সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৪০/৪০) : ঈদের মাঠে মিম্বার কখন থেকে চালু হয়েছে? জনৈক আলেম কয়েকটি হাদীছ উল্লেখ করে বলেন, রাসূল (ছাঃ) মিম্বারের উপরে দাঁড়িয়ে ঈদের খুৎবা দিতেন। এক্ষণে এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান জানতে চাই। - -মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলামসোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (১/৪০১) : রামাযান মাসে ইফতারীর কিছু পূর্বে নারীদের ঋতু শুরু হ’লে ঐদিনের ছিয়ামটি রাখা যাবে কি? - -উম্মে হাবীবা, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পরামর্শ অগ্রাধিকার পাবে, না-কি ইস্তেখারার ছালাত অগ্রাধিকার পাবে?
প্রশ্ন (৯/৯) : সহো সিজদা দেওয়ার নিয়ম কি? সহো সিজদার পর একদিকে সালাম ফিরাতে হবে না দু’দিকে? - -মীযান, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) :মূসা (আঃ) কি তোতলা ছিলেন? এটা যদি হয় তাহ’লে এটা কি নবুঅতের শানের খেলাফ নয়?
প্রশ্ন (৩৬/১৫৬) : ক্বিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ব্যবসার কাজে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে সহযোগিতা করবে- মর্মে বর্ণিত হাদীছটির ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন (৩০/৪৩০) : কারো উপরে জিন আছর করলে কবিরাজের নিকট থেকে তদবীর করা যাবে কি? এরূপ করা না গেলে কিভাবে তার চিকিৎসা করতে হবে?
প্রশ্ন (২/৪২) : কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ‘আল্লাহ বান্দার সাথে আছেন’ মর্মে বহু আয়াত বর্ণিত হয়েছে। এর প্রকৃতি ও স্বরূপ কি?
প্রশ্ন (৩২/২৭২) : ছালাতের প্রতি রাক‘আতেই কি সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলতে হবে না কেবল ১ম রাক‘আতে বললেই চলবে?
প্রশ্ন (১০/১৩০) : কাদিয়ানীদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে কি? কেউ তাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে তার পরিণাম কি হবে?
আরও
আরও
.