উত্তর : যাবে। কারণ ফিৎরা ধনী-গরীব সকলের উপর ফরয। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫)। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম পরস্পরের ঋণ পরিশোধ করে দিতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯০৬; ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/১৮৪)।
যেহেতু জানের ছাদাক্বা হিসাবে ফিৎরা সকলের উপর ফরয, সেহেতু ফকীর-মিসকীনকেও
ফিৎরা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সে ফিৎরা দিবে এবং ফিৎরা গ্রহণও করবে। কিছু
বিদ্বানের মতে, কোন স্বাধীন মুসলিম ব্যক্তির নিকট যদি তার পরিবার-পরিজনের
জন্য একদিনের চেয়ে অধিক পরিমাণ খাদ্য মওজূদ থাকে, তাহ’লে তার উপর ফিৎরা
আদায় করা ওয়াজিব’ (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪১২-১৩)। আর ক্রীতদাসের ফিৎরা মনিব আদায় করবে।