উত্তর :
রুকূতে যাওয়া ও রুকূ হ’তে ওঠার সময় ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করা সম্পর্কে চার
খলীফা সহ প্রায় ২৫ জন ছাহাবী থেকে বর্ণিত ছহীহ হাদীছ সমূহ রয়েছে। একটি
হিসাব মতে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’-এর হাদীছের রাবী সংখ্যা ‘আশারায়ে মুবাশ্শারাহ’
সহ অন্যূন ৫০ জন ছাহাবী (ফাৎহুল বারী ২/২৫৮) এবং সর্বমোট ছহীহ হাদীছ ও আছারের সংখ্যা অন্যূন চার শত (সিফরুস সা‘আদাত ১৫ পৃঃ)।
ইমাম বুখারী বলেন, কোন ছাহাবী রাফ‘উল ইয়াদায়েন তরক করেছেন বলে প্রমাণিত
হয়নি। তিনি আরও বলেন ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’-এর হাদীছ সমূহের সনদের চেয়ে
বিশুদ্ধতম সনদ আর নেই’ (ফাৎহুল বারী ২/২৫৭)।
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের শুরুতে, রুকূতে যাওয়াকালীন ও রুকূ হ’তে ওঠাকালীন সময়ে..... এবং ২য় রাক‘আত থেকে উঠে দাঁড়াবার সময় ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করতেন’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, বুখারী, মিশকাত হা/৭৯৩-৯৪)। হাদীছটি বায়হাক্বীতে বর্ধিতভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘এভাবেই তাঁর ছালাত জারি ছিল, যতদিন না তিনি আল্লাহর সাথে মিলিত হন’। অর্থাৎ আমৃত্যু তিনি রাফ‘উল ইয়াদায়েন সহ ছালাত আদায় করেছেন। হাসান বছরী ও হামীদ বিন হেলাল বলেন, সকল ছাহাবী উক্ত তিন স্থানে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন’। (বায়হাক্বী, মা‘রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার হা/৮১৩, ‘মুরসাল হাসান’ ২/৪৭২, দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১০৮-১১১)।
এক্ষণে রাফঊল ইয়াদায়েন মানসূখ হয়েছে মর্মে আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর কর্তৃক বর্ণিত যে হাদীছটি পেশ করা হয় (বুখারী, ইন্ডিয়া ছাপা, ১/১০২ পৃঃ টীকা দ্রঃ; হেদায়া ১/১১১ পৃঃ), তা কোন হাদীছ গ্রন্থে পাওয়া যায় না। মুওয়াত্ত্বা মুহাম্মাদের ভাষ্যকার বলেন, ‘এই আছারের সন্ধান কোন মুহাদ্দিছ কোন হাদীছ গ্রন্থে পাননি (মুওয়াত্ত্বা মুহাম্মাদ, তাহকীক : ড. তাক্বিউদ্দীন নাদভী, হা/১০৪-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। বরং ইমাম বুখারী তার ‘জুয্উ রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ পুস্তকে বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) রুকূতে যাওয়া ও রুকূ থেকে উঠার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন’ (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ; বুখারী, জুয্উ রাফ‘উল ইয়াদায়েন হা/১৬ ও ৫৭)।