উত্তর : মৃত্যুর
পরে তার রূহ যেখানে থাকবে সেখানেই প্রশ্নোত্তর হবে। সেখানেই সে আযাব অথবা
শান্তি পাবে। সেটি মাটির কবরে হ’তে পারে কিংবা অন্যত্র, যা সম্পূর্ণরূপে
আল্লাহর এখতিয়ারে। এটি ঈমান বিল গায়েবের অন্তর্ভুক্ত। যে জগতের খবরাখবর
ইহজগতে কোনভাবে অনুভূত হওয়ার নয়। কাজেই কুরআন-হাদীছে বারযাখী জীবন সম্পর্কে
আমাদেরকে যা অবহিত করা হয়েছে তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নেয়াই হবে ঈমান বিল
গায়েবের দাবী। এটা সুনিশ্চিত যে, প্রত্যেক মানুষকেই কবরে প্রশ্নোত্তরের
সম্মুখীন হ’তে হবে (বুখারী, মিশকাত হা/১২৬)। তবে কীভাবে সেটা হবে
তা আল্লাহই সম্যক অবগত। এ ব্যাপারে আল্লাহর বাণী, ‘যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ
তা‘আলা তাদেরকে অটল বাক্য দ্বারা সুদৃঢ় রাখবেন ইহজীবনে এবং পরজীবনে’ (ইবরাহীম ২৭)। এ আয়াতটি কবরের আযাব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।