উত্তর : মুছল্লীদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে যেকোন সময় ছালাত শেষে নিয়মিত দ্বীনী আলোচনার আয়োজন করায় কোন বাধা নেই। তবে মুছল্লীদের মাসনূন যিকর-আযকার শেষ হওয়ার পর আলোচনা শুরু করা উত্তম (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৬/৭৪-৭৫)। শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, ছালাতের পরে আলোচনা করা বিদ‘আত নয়; বরং এটিও যিকর ও জ্ঞান আদান-প্রদানের অংশ (ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ১২/৯০)। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) প্রায় ছালাত শেষে আলোচনা করতেন (বুখারী হা/৪০১; মিশকাত হা/১২৯, ১৬৫, ৯০৯, ১১৩৭, ৪৬২১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফরয ছালাত আদায় করার পর বসে যায় এবং লোকদের তা‘লীম দেয়, সে ব্যক্তি যে দিনে ছিয়াম পালন করে ও রাতে ইবাদত করে তার চেয়ে বেশী মর্যাদাবান। যেমন তোমাদের একজন সাধারণ মানুষের ওপর আমি মর্যাদাবান’ (দারেমী হা/৩৪০; মিশকাত হা/২৫০)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) প্রতি বৃহস্পতিবারে এবং আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) প্রতি শুক্রবারে মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে ওয়ায করতেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২০৭; বুখারী হা/৬৩৩৭; মিশকাত হা/২৫২)। তবে মুছল্লীদের মানসিকতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে তাদের অসুবিধা বা বিরক্তির কারণ না হয়।
প্রশ্নকারী : আলমগীর হোসাইন, গোড়ান, ঢাকা।