উত্তর : এক শিশু আরেক শিশুকে মারলে বা কোন কিছু দ্বারা আঘাত করলে আহত শিশুর পিতা মেরে প্রতিশোধ নিতে পারবে না। বরং আঘাতকারী শিশুর অভিভাবকের মাধ্যমে তাকে শাসন করতে হবে বা আদব শিক্ষা দিতে হবে (ইবনু ফারহুন, তাবছিরাতুল হুক্কাম ২/২৪২,২৫৭; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ১৩/১৩)। তবে প্রাপ্তবয়স্ক কোন জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি কাউকে শাস্তিযোগ্যভাবে মারলে বা আঘাত করলে তাকে প্রশাসনের আশ্রয় নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যাতে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট না হয়। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, একটি বালককে গোপনে হত্যা করা হয়। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, যদি গোটা ছান‘আবাসী এতে অংশ নিত তাহ’লে আমি তাদেরকে হত্যা করতাম। মুগীরাহ বিন হাকীম (রহঃ) তার পিতা সূত্রে বর্ণনা করেন, চারজন লোক একটি বালককে হত্যা করেছিল। তখন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) উপরোক্ত কথা বলেছিলেন। আবুবকর ও ইবনু যুবায়ের, আলী ও সুওয়াইদ ইবনু মুক্বার্রিন (রাঃ) থাপ্পড়ের বিষয়ে ক্বিছাছের নির্দেশ দেন। ওমর (রাঃ) ছড়ি দিয়ে মারার ব্যাপারে ক্বিছাছের নির্দেশ দেন। আর আলী (রাঃ) তিনটি বেত্রাঘাতের জন্য ক্বিছাছের নির্দেশ দেন এবং কাযী শুরাইহ (রহঃ) একটি বেত্রাঘাত ও নখের আঁচড়ের জন্য ক্বিছাছ বলবৎ করেন (বুখারী হা/৬৮৯৬)।
প্রশ্নকারী : আরমান, চৌরাস্তা, গাযীপুর।