উত্তর : এ বিষয়ে চুপ থাকতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমার ছাহাবীদের ব্যাপারে তোমরা চুপ থাকো (ত্বাবারাণী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৪)। ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ)-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,تِلْكَ دِمَاءٌ طَهَّرَ اللَّهُ مِنْهَا يَدَيَّ، فَمَا لِي أُخَضِّبُ لِسَانِي مِنْهَا ‘সেটি ছিল রক্তাক্ত ইতিহাস, আল্লাহ তা থেকে আমার হাতকে মুক্ত রেখেছেন। তাহ’লে এ বিষয়ে কথা বলে খামাখা কেন আমি আমার জিহবাকে রঞ্জিত করব? (ইবনু তায়মিয়াহ, মিনহাজুস সুন্নাহ ৬/২৫৪)। 

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা আমার ছাহাবীগণকে গালি দিও না। যার হাতে আমার প্রাণ, সেই মহান সত্তার কসম করে বলছি, তোমাদের কেউ যদি ওহোদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তথাপিও সে তাঁদের কোন একজনের পূর্ণ এক মুদ্দ বা অর্ধ মুদ্দ দান সমপরিমাণও পৌঁছতে পারবে না’ (বুখারী, হা/৩৬৭৩)। তিনি বলেন,

দ্বিতীয়তঃ ছাহাবায়ে কেরাম ক্ষমাপ্রাপ্ত। আল্লাহ বলেন, মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে যারা অগ্রবর্তী ও প্রথম দিককার এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে নিষ্ঠার সাথে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য প্রস্ত্তত রেখেছেন জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আর এটাই হ’ল মহা সফলতা (তওবা ১০০)।

ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতি হ’ল, তারা ছাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে তাদের হৃদয় ও জিহবাকে সংযত রাখেন, তাদের ব্যাপারে বিদ্বেষ পোষণকারী ও গালিদানকারী রাফেযীদের পথ থেকে দূরে থাকেন এবং তাদের মাঝে মতভেদগত বিষয়ে চুপ থাকেন (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/১৫৪-৫৫)। 

এক্ষণে ‘হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামী’ কথাটি সম্পর্কে মুহাদ্দিছ বিদ্বানগণের ব্যাখ্যা হ’ল এই যে, এটি হ’ল ধমকিমূলক হাদীছ (من باب الوعيد)। যেমন বলা হয়েছে, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং তার সাথে যুদ্ধ করা কুফরী (বুখারী হা/৪৮; মুসলিম হা/৬৪; মিশকাত হা/৪৮১৪)। এর দ্বারা ধমকি বুঝানো হয়েছে। কেননা এর দ্বারা সে প্রকৃত কাফের হয় না। যেরূপ খারেজী চরমপন্থীরা বলে থাকে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা মতে কেবল নবীগণ নিষ্পাপ, অন্যেরা নন। তাছাড়া এ ব্যাপারে ইজমা রয়েছে যে, ছাহাবীগণ পরস্পরে ইছলাহের জন্য বের হয়েছিলেন, হত্যার জন্য নয়। অতএব উপরোক্ত ধমকি ছাহাবীগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ তাঁদের অন্তরের খবর রাখতেন। আর তিনি তাদের উপর রাযী হয়েছেন এবং তাদের জন্য জান্নাত প্রস্ত্তত রেখেছেন (তওবা ৯/১০০)। অতএব ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে তাঁদের বিষয়ে কোন মন্তব্য করা অন্যায় কাজ হবে।





প্রশ্ন (৩২/১৯২) : একই ব্যক্তির জানাযায় একাধিকবার অংশগ্রহণ করা যাবে কি? - -আনীসুর রহমান, দারিয়া, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : আমি জীবনে বহু মানুষের গীবত করেছি, তোহমতও দিয়েছি। আমার জানামতে এ গোনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। যাদের গীবত করেছি তাদের অনেকের সাথে আমার যোগাযোগও নেই। আবার ক্ষমা চাওয়াও লজ্জার ব্যাপার। এক্ষণে এ পাপ থেকে বাঁচার জন্য আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৭/২০৭) : ছালাতের শেষ বৈঠকে সর্বনিম্ন কি কি দো‘আ পাঠ করা আবশ্যক? তাশাহহুদ ব্যতীত কোন দো‘আ পাঠ করার পূর্বেই ইমাম সালাম ফিরিয়ে দিলে ছালাত হবে কি? - -আব্দুল লতীফ, সিঙ্গাপুর।
প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : অনেক জীবিত বা মৃত ব্যক্তির নামের শেষে (রহঃ) যোগ করা হয়। এর জন্য বিশেষ কোন যোগ্যতা রয়েছে কি? - .
প্রশ্ন (২৮/১৮৮) : মসজিদে নববীতে আয়েশা খুঁটি, হান্নানা খুঁটি এরূপ বিভিন্ন খুঁটি রয়েছে। এসব স্থানের পাশে ছালাত আদায় করায় বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (০৮/৪০৮) : ইসলামে একাধিক বিবাহ জায়েয থাকা সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক আলী (রাঃ)-কে ফাতেমা (রাঃ) থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিবাহ করতে নিষেধ করার কারণ কি ছিল? - আব্দুল্লাহ, আবুধাবী, আরব আমিরাত।
প্রশ্ন (৩০/২৭০) : জেহরী ছালাত তথা ফজর, মাগরিব ও এশার ছালাতে মুক্তাদী সূরা ফাতিহা পাঠ করবে কি? - মাহদী হাসান রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩/২৮৩) : অনেকে পবিত্র কুরআনের কসম করে থাকে। এটা কি শরী‘আত সম্মত? কার নামে কসম করতে হবে?
প্রশ্ন (১১/১১): মহিলারা চুল কালো করার জন্য কালো মেহদী, কালো তেল ও স্টার ব্যবহার করে থাকে। এটা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/৩৯৯) : নারীদের পাত্র পসন্দ করার অধিকার আছে কি? পিতা যদি মেয়ের মতামত না নিয়ে বিয়ে ঠিক করে এবং মেয়ে যদি তাতে সম্মত না হয় তাহ’লে কোন গুনাহ হবে কি? - -মারজানা, বগুড়া।
প্রশ্ন (১৮/১৭৮) : জনৈক বক্তা বলেন, ওযর ব্যতীত হজ্জ থেকে বিরত থাকা ব্যক্তি ইহূদী বা খ্রিষ্টান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। একথা কোন সত্যতা আছে কি? - -সাইফুদ্দীন, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২০/২৬০) : নবী করীম (ছাঃ) তাহাজ্জুদ ছালাত প্রথম দুই রাক‘আত হালকাভাবে পড়তেন। তিনি এই দুই রাক‘আতে কি কি সূরা পাঠ করতেন? - -মিনহাজ পারভেয, হড়গ্রাম, রাজশাহী।
আরও
আরও
.