উত্তর : উক্ত কারণে পিতা বা ভাইয়ের নিকট থেকে টাকা দাবী করার শারঈ কোন অধিকার নেই। কারণ শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর এটা পূরণ করতে সন্তানদের মাঝে তারতম্য হওয়া স্বাভাবিক। তবে উক্ত চাকুরীজীবী ভাইয়ের উচিৎ হবে, অন্যান্য ভাই-বোনের প্রতি ইহসান করা।

উল্লেখ্য যে, কোন সন্তানের জন্য বাড়তি সম্পদ প্রদানের ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় লক্ষ্যণীয়। এক- যদি পিতা সন্তানদের কোন সম্পদ হেবা বা দান করতে চান, তাহ’লে সকল সন্তানকে সমানভাবে দিতে হবে। আর মেয়েদেরকে ছেলেদের অর্ধেক দিতে হবে। তবে কাউকে বেশী দিতে চাইলে অন্য শরীকদের সম্মতি থাকতে হবে, যাতে তাদের মাঝে পক্ষপাতিত্ব ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি না হয়। দুই- বিষয়টি যদি সাধারণ ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে হয়, তাহ’লে কম-বেশীতে বাধা নেই। যেমন দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে মেডিকেল কলেজে পড়ে যার খরচ অনেক বেশী। অপরদিকে আরেক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যার খরচ অনেক কম। অনুরূপভাবে কোন অসুস্থ, প্রতিবন্ধী বা অভাবী সন্তানের জন্য অতিরিক্ত খরচ করা ইত্যাদি। এরূপ খরচের ক্ষেত্রে কমবেশী করাতে কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৫/৩৮৯, ৬/৫৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩৪/১০৫; উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২/৬৩)। উল্লেখ্য যে, ‘যদি তুমি দানের ক্ষেত্রে কাউকে প্রাধান্য দিতে চাও তাহ’লে মেয়েদের প্রাধান্য দিবে’- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফাহ হা/৩৪০)

প্রশ্নকারী : শামাউন সরকার, মুর্শিদাবাদ, ভারত।







প্রশ্ন (৮/৪৮) : জনৈক ব্যক্তি ওযূর ধারাবাহিকতা এবং ফরয গোসলের ক্ষেত্রে বহুদিন যাবৎ বড় ধরণের ভুলের মধ্যে ছিল। এখন তা বুঝতে পারার পর তার পূর্বের আমলের অবস্থা কি হবে? এক্ষেত্রে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৭/২১৭) : ইক্বামত দেয়ার সময় ইমাম ও মুক্তাদীদের হাত কিভাবে থাকবে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৫/১১৫) : আদম (আঃ) সৃষ্টির পূর্বে পৃথিবীতে যে জিন জাতি ছিল তাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন নবী-রাসূল এসেছিলেন কি?
প্রশ্ন (১২/২৯২) : শেষ যামানায় আল্লাহর অবাধ্যতা ব্যতীত জীবিকা অর্জন সম্ভব হবে না- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - -আমীনুল ইসলাম, নোয়াখালী সদর, নোয়াখালী।
প্রশ্ন (২০/৩৪০) : আমাদের এলাকার মসজিদটি ৩৫ বছর পূর্বে নির্মিত। এখন জানা যাচ্ছে যে তার নীচে একটি কবর ছিল। কিন্তু কেউ জানে না সেটা কোন দিকে। উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - -আয়নুল হক, বাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : নেয়ামুল কুরআনের ৯৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ৫টি স্থানে মিথ্যা বলা জায়েয। ১. জিহাদের সময়, ২. মীমাংসার সময়, ৩. স্ত্রীর মন জয় করার জন্য, ৪. ছেলে-মেয়েকে পড়ানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য, ৫. কথা বলার ইচ্ছা নেই তবুও বলতে হয়, এমন অবস্থায়। এগুলোর সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৮/৮৮) : আমি একটি হারাম কর্মে জড়িয়ে ছিলাম। সেখান থেকে সরে এসেছি। নিয়মিত ছালাত আদায় করি ও দো‘আ-দরূদ পড়ি। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় মাঝে-মধ্যে পুনরায় আগের মত জড়িয়ে পড়ি। এ থেকে বাঁচার উপায় কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩৯৭) : গর্ভবতী বা দুর্বল দরিদ্র মহিলারা ছিয়াম পালন করতে এবং ফিদইয়া দিতে সক্ষম না হ’লে করণীয় কি?
প্রশ্ন (২২/৩৪২) : কোন কাফের-মুশরিক বা হিন্দুদের অর্থ আত্মসাৎ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩৫৪) : কিছু মানুষকে দেখা যায় তারা কথায় কথায় বলে, ‘জীবনটাই মিথ্যা’- এমন কথা বলার ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কি?
প্রশ্ন (৪/১২৪) : মায়ের মৃত্যুর পর তার সম্পদ সন্তানদের মাঝে কিভাবে বণ্টন করতে হবে?
প্রশ্ন (৭/১২৭) : বর্তমানে অধিকাংশ বিবাহ অনুষ্ঠানে মেহমানরা দামী উপহার সামগ্রী নিয়ে যায়, যা দাওয়াত দাতাদের নিকটে কাংখিত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বিবাহ অনুষ্ঠানে দাওয়াতের সাথে উপহার কামনা করা কি শরী‘আতসম্মত? এরূপ দাওয়াত গ্রহণ না করলে কি মুসলমানের হক নষ্ট করা হবে?
আরও
আরও
.