উত্তর :
বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবক পিতাই হবেন। যদিও স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা
হন। পালক পিতা নিজ পিতার স্থলাভিষিক্ত হ’তে পারবেন না, যদিও তিনি লালন-পালন
করে থাকেন। এক্ষণে মূল পিতা যদি মেয়ের অলী হ’তে ইচ্ছুক হন, তবে তিনিই
অভিভাবক হবেন। আর যদি ইচ্ছুক না হন, তাহ’লে সরকারের পক্ষে আদালত বা কাযী
অভিভাবক হয়ে বিয়ে দিবেন। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার অলী নেই, শাসক তার
অলী’ (ইবনু মাজাহ হা/১৮৭৯; মিশকাত হা/৩১৩১)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে মহিলা তার অলীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, বাতিল এবং বাতিল। যদি এরপর স্বামী তার সাথে সহবাস করে তবে স্ত্রী মহরানার হকদার হবে; যেহেতু তার স্বামী তার লজ্জাস্থানকে হালাল মনে করে ভোগ করেছে। আর অলী তথা অভিভাবকরা যদি বিবাদে লিপ্ত হয়, তবে যার অভিভাবক নেই তার অলী বা অভিভাবক হবে দেশের শাসক (মিশকাত হা/৩১৩১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন নারী কোন নারীকে বিবাহ দিতে পারে না এবং কোন নারী নিজেকে নিজে বিবাহ দিতে পারে না। এরূপ করলে সে ব্যভিচারিণী হিসাবে গণ্য হবে’ (দারাকুৎনী হা/৩৫৮৪; ইরওয়া হা/১৮৪১)।
প্রশ্নের আলোকে মূল পিতা অভিভাবক হিসাবে তার দায়িত্ব পালন না করলে আল্লাহর নিকটে গোনাহগার হবে। আর পালক পিতা নেকীর হকদার হবেন। পালক মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে তিনি শরী‘আত মেনে কাজ করবেন।