উত্তর : সম্পদ আত্মসাৎকারী বা ছিনতাইকারী নিঃসন্দেহে কবীরা গোনাহগার ও মহাপাপী এবং তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি (শূরা ৪২/৪২; মুত্বাফ্ফেফীন ৮৩/১-৬)। আদালতে বিচারক তাদের অপরাধের মাত্রা অনুপাতে শাস্তি নির্ধারণ করবেন। সেটি জেল বা জরিমানা বা উভয়টি হ’তে পারে। কিন্তু সকল বিদ্বানদের ঐক্যমতে তার হাত কাটা যাবে না (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১২/৪১৬)। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘লুণ্ঠনকারী, ছিনতাইকারী ও আত্মসাৎকারীর হাত কর্তন করা হবে না’ (দারেমী হা/২৩৭৬; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪০২)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যের মাল ছিনতাই করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (আহমাদ হা/১৫১১২; মিশকাত হা/৩৫৯৬; ইরওয়া হা/২৪০৩)। হাসান বাছরী ও ইয়াস বিন মু‘আবিয়ার মধ্যে ছিনতাইকারীর হাত কাটা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলে তারা খলীফা ওমর বিন আব্দুল আযীযের নিকট পত্র প্রেরণ করেন। তিনি উত্তরে লিখেন ছিনতাইকারীর হাত কাটা যাবে না। বরং তার পিঠে চাবুক মার এবং তাকে বন্দী কর (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৮৬৬৫)।
প্রশ্নকারী : আমানুল্লাহ, জিন্নাহ নগর, রাজশাহী।